Tag: bangla news

bangla news

  • Ram Navami: রামনবমীতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে বাংলা, জানালেন শুভেন্দু

    Ram Navami: রামনবমীতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে বাংলা, জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবারের মতো এবারও মহা সমারোহে রামনবমী (Ram Navami) উদযাপন করতে চলেছে বিজেপি (BJP)। এজন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কয়েক হাজার শোভাযাত্রার পরিকল্পনা করেছে পদ্ম শিবির। চলতি বছর রামনবমী পালিত হবে ৩০ মার্চ। ওই দিন জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে বাংলা কাঁপিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, রামনবমীতে রাজ্যে কীভাবে জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে, তার জন্য অপেক্ষা করুন দুটি সপ্তাহ। রাজ্যে কয়েক হাজার মিছিলে ৪০-৫০ লক্ষ মানুষ গেরুয়া ঝান্ডা নিয়ে অংশ নেবেন। আলিপুরদুয়ার থেকে কাঁথি, কাকদ্বীপ থেকে পুরুলিয়া সর্বত্র জয় শ্রীরাম স্লোগান উঠবে।

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা…

    রাজ্যে রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা সেই অর্থে হত না। ২০১৮ সালে প্রথম রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করে বিজেপি। ওই বছর জেলায় জেলায় শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। তার ফল ফলেছিল উনিশের লোকসভা নির্বাচনে। এ রাজ্যে এক লপ্তে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮। তার পর থেকে প্রতি বছর দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করে বিজেপি। এ বছরও হবে রামনবমীর শোভাযাত্রা। সনাতন পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, চৈত্র মাসকে হিন্দু নববর্ষের সূচনা বলে মনে করা হয়। এ মাসের শুক্লপক্ষে ন দিন ধরে মাতৃদেবীর পুজো করা হয়। নবম দিনটিকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার হিসেবে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই কারণেই চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে পালিত হয় রামনবমী।

    আরও পড়ুুন: ভারতের উত্থান অনেকের কাছে বিপদ! মোদি সরকারের দিশাকে সিলমোহর সঙ্ঘের

    এ বছর রামনবমী (Ram Navami) পালিত হবে ৩০ মার্চ। তার পরে পরেই রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই হবে লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তার আগে রামনবমীর শোভাযাত্রা করে শক্তি যাচাই করে নিতে চাইছে বিজেপি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একদিকে যেমন পুরষোত্তম রামকে শ্রদ্ধা জানানো হবে, তেমনি এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা যাবে সনাতনীদের। যার সুফল ফলতে পারে আসন্ন পঞ্চায়েত ও আগামী লোকসভা নির্বাচনে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasekhar Mantha: নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশেরই, জানাল হাইকোর্ট  

    Rajasekhar Mantha: নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশেরই, জানাল হাইকোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি (BJP) কর্মী অভিজিৎ সরকার (Abhijit Sarkar)। অন্তত এমনই অভিযোগ বিজেপির। এই সংক্রান্ত মামলায় প্রয়াত অভিজিতের মা ও দাদার নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকেই। তাঁরাই এই মামলার মূল দুই সাক্ষী। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মন্তব্য করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajasekhar Mantha)। তাঁর নির্দেশ, নারকেলডাঙা এলাকায় অভিজিতের বাড়িতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ক্যাম্প করে পাহারা দিতে হবে পুলিশকে। এই সময়ের মধ্যে সিবিআই তাদের পাঠানো অভিযোগ বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) প্রশ্ন…

    বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, নিরাপত্তার গাফিলতিতে যদি দুজনের ওপর আক্রমণ হয়, যদি বড় কোনও ঘটনা ঘটে যেত, তাহলে তার দায় কে নেবে? আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতে অভিজিতের মা ও দাদা ১৯ ও ২০ মার্চ সাক্ষ্য দেবেন। এরই মধ্যে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা খুব জরুরি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয় ২ মে। এর পরেই কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, ওই বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করে তারা। পিটিয়ে মারা হয় তাঁর সঙ্গী কুকুটিকেও। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আক্রান্তের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত (Rajasekhar Mantha)।

    অভিজিৎ খুনের প্রধান সাক্ষী তাঁর মা ও দাদা। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর দাদা বিশ্বজিতের বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। অভিজিৎ খুনে জেলবন্দি অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন আইনজীবী এনে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী অভিজিতের মাকে সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিতের মা। ওই রাতেই চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে। তার পরেই নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিশ্বজিৎ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    ওই মামলার শুনানির আগেই ২৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা (Rajasekhar Mantha)। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে। এদিন বিচারপতি মান্থা বলেন, আগামী ১৯ ও ২০ মার্চ অভিজিৎ হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে সাক্ষ্য দেবেন অভিজিতের মা ও দাদা। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিলাম। এরপর মিছিল করে আসব। অবস্থান হবে, ধর্না হবে, শহিদ মিনারের মতো অনশনও হবে। সোমবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধানসভার স্পিকার (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। সেখান থেকে বেরিয়েই এই হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দলবদলু মুকুল রায়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে বিজেপি ছেড়ে যাওয়া বাকি বিধায়কদের সম্পর্কে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানোর দাবিতেই এদিন স্পিকারকে স্মারকলিপি দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুমকি…

    এদিন স্পিকারের ঘর থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, মুকুল রায় সম্পর্কে অধ্যক্ষ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। স্পিকার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি (মুকুল) বিজেপিতেই রয়েছেন। তেমনি বিজেপি ছেড়ে যাওয়া বাকি বিধায়কদের সম্পর্কেও অধ্যক্ষ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করুন। শুভেন্দু বলেন, এতে আমাদের কোর্টে যেতে সুবিধা হবে। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আজ শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিলাম। এরপর মিছিল করে আসব। অবস্থান হবে, ধর্না হবে, শহিদ মিনারের মতো অনশনও হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী হন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়। বিজেপির প্রতীক থাকায় বিপুল ভোটে জয়ীও হন তিনি। তার পরেই দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। তা সত্ত্বেও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান মুকুল রয়েছেন বিজেপিতেই। যদিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে এসে মুকুল জানান, তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুকুল একা নন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হয়েছে দলবদলুর তালিকা। এই তালিকায় রয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, সুমন কাঞ্জিলাল সহ আরও কয়েকজন। এঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির টিকিটে জিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। একুশের বিধানসভা নি্র্বাচনে ৭৭টি আসন পায় বিজেপি। যদিও পদ্ম শিবির ছেড়ে যাওয়ায় বিধানসভায় এখন বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৬৯। বিজেপি ছেড়ে যাঁরা শাসক শিবিরে গিয়ে ভিড়েছেন, তাঁদের অবস্থান জানতেই এদিন স্পিকারকে স্মারকলিপি দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল (Suvendu Adhikari)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট। বালুরঘাট শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে আত্রেয়ী নদী। রাইখোর মাছের (Fish) জন্য বহু সুখ্যাতি ছিল এই নদীর। মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার বড় আধার ছিল এই মাছ। কারণ, নৌকা নিয়ে নদীতে নামলেই তাঁরা প্রচুর পরিমাণে রাইখোর মাছ (Fish) বাজারে নিয়ে যেতে পারতেন। বিক্রি করে ভালো টাকা মুনাফা হত। কয়েক বছর আগে বালুরঘাট শহরের তহ বাজার, সাহেবকাছারি বাজার সহ শহরের বিভিন্ন বাজারে রাইখোর মাছ (Fish) দেখা যেত। আমদানিও ভালো ছিল। শুধু জেলাবাসী নয় ভিন জেলার মানুষের চাহিদার জোগান দিত এই নদী। এক সময় এই রাইখোর মাছ (Fish) রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেত। যদিও এখন তা ইতিহাস। আত্রেয়ীর ঐতিহ্য ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। জেলায় রাইখোর মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না আত্রেয়ী নদী, যার ফলে রাইখোর মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্যপ্রেমীরা। ধীরে ধীরে বালুরঘাটের বাজার গুলিতে আর সেইভাবে দেখা মিলছে না রাইখোর মাছের।

    আত্রেয়ী থেকে কেন হারিয়ে যাচ্ছে রাইখোর মাছ? Fish

    বর্ষার পর আত্রেয়ী নদীর জল ক্রমশ কমতে থাকে। ফলে, কিছু কিছু জায়গায় নদীতে জল প্রায় শুকিয়ে যায়। এছাড়া একসময় এই নদীর গতিপথে প্রচুর বিলের সঙ্গে সংযোগ ছিল। বিলগুলিতে বাঁধ দেওয়ার কারণে নদীর সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই। আর নদীতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ এই মাছ হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে, জেলার পরিবেশপ্রেমীরা আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ যাতে পাওয়া যায় তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগে বেশ কয়েকবার আত্রেয়ী নদীতে মাছের চারাও ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীরা বলেন, আগের নৌকা নদীতে নামালেই ঝুড়ি ভর্তি করে রাইখোর মাছ (Fish) পেতাম। এখন সারাদিন নৌকা নিয়ে নদীতে চষে বেড়ালেও এই মাছ (Fish) পাই না। অথচ এখন এই মাছের বিশাল চাহিদা। বাজারে ৫০০ টাকা কেজি। নদীতে এই মাছের (Fish) যোগান থাকলে খুব ভাল হত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে খুব ভাল হয়।

    জেলা মৎস্য দপ্তরে আধিকারিক  অভিজিৎ সরকার বলেন, রাইখোর মাছ (Fish) মৃদু বাহিত জলে  ডিম পাড়ে। এরজন্য আত্রেয়ী নদীর তীরে যেখানে ঘাস জাতীয় উদ্ভিত থাকে, সেখানে ডিম পারে। কিন্তু, আত্রেয়ী নদী তীরে দূষনের কারণে রাইখোর মাছ আর ডিম পাড়তে পারে না। রাইখোর যাতে বিলুপ্ত না হয়, সেজন্য কৃত্রিমভাবে পুকুরে চাষ করা হলেও আত্রেয়ী নদীর মাছের মত তার স্বাদ নেই। পরিবেশপ্রেমী তুহিন শুভ্র মণ্ডল বলেন, রাইখোর মাছ আমাদের অহংকার ছিল। জেলায় রূপালি মাছ বলে পরিচিত ছিল। বাবা-ঠাকুরদা কাছে শুনেছি, দুর্গা পূজার পর পর আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ (Fish) এত যোগান হত যে নদীর জলের রঙ বোঝা যেত না। এখন এই মাছ নদীতে বিলুপ্ত। পুকুরে চাষ করা মাছের সেই স্বাদ নেই। আসলে বাংলাদেশের আত্রাই নদীর সঙ্গে আমাদের আত্রেয়ী নদী সংযোগ রয়েছে। এতে নদীর প্রবহমান ছিল। কিন্তু, বর্তমানে নদীর প্রবহমান বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে এই মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়। সোমবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC West Bengal) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। শান্তনুর জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেছেন ইডির আইনজীবী। তাঁর দাবি, শান্তনুর যে ২টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি সোনার খনি। সেখানে এমন অনেকের অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন। এমন কতজনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ইডির আইনজীবী বলেন, চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, দেখলে চমকে যাবেন। তিনি জানান, শান্তনু দুটি আইফোন ব্যবহার করতেন। সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ডের পাশাপাশি মিলেছে প্রচুর নথিও।

    ইডির প্রভাবশালী তত্ত্ব…

    শান্তনু যে প্রভাবশালী, এদিন আদালতে তার সপক্ষে যুক্তিজাল বিস্তার করেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, শান্তনুর সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তল্লাশির সময় তাঁর বাড়িতে দুজন হিসাবরক্ষক ছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনু (SSC West Bengal) গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করতেন। এদিন শান্তনুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির প্রসঙ্গও উঠে আসে ইডির সওয়ালে। ইডির আইনজীবীর প্রশ্ন, ২০১৫ সালে সামান্য মোবাইলের দোকানদার থেকে কীভাবে শান্তনু ৫১ কাঠা জমির মালিক, রিসর্ট, রেস্তোরাঁর মালিক হলেন?

    আরও পড়ুুন: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    স্ত্রীর নামে কোম্পানি খুলে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন শান্তনু। অন্তত ইডির আইনজীবীর দাবি এমনই। শান্তনু গ্রেফতার হতেই খোঁজ মিলছে না তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জেরায় কুন্তল শান্তনুকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও যে স্বীকার করেছেন, এদিন তাও আদালতকে জানান ইডির আইনজীবী। ইডির দাবি, শান্তনুর ফোনে ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশের অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে। যাঁরা চাকরি (SSC West Bengal) পেয়েছেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড কীভাবে শান্তনুর ফোনে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাকি যে ৩০০ জনের লিস্ট উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, তা জানার জন্য ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানায় ইডি।   

    প্রসঙ্গত, ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবারই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয় হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনুকে। দু দিনের হেফাজত শেষে এদিন তাঁকে ফের আদালতে পেশ করে ইডি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    Suvendu Adhikari: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন। এঁদের অনেকেই তৃণমূলের (TMC) নেতা-নেত্রীর আত্মীয়-পরিজন। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলেই স্কুলের চাকরি জুটেছিল। এমনই দাবি করে চাকরি হারানো বেশ কয়েকজনের ছবি নিয়ে প্রদর্শনী করল বিজেপি (BJP)। সোমবার ছিল এই পর্বে বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন। এদিনই বিধানসভার ২ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত ওই প্রদর্শনীতে অংশ নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং বিজেপির অন্য বিধায়করা।

    প্রতিবাদে শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)…

    আদালতের নির্দেশে যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতর ভাই খোকন মাহাত। এদিন তাঁদের ছবি ছিল। ছবি ছিল তৃণমূল নেত্রী অসীমা পাত্রর সঙ্গে তাঁর চাকরি খোয়ানো ভাগ্নির। চাকরি গিয়েছে বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতার ছেলেরও। রিষড়ার পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁর চাকরি খোয়ানো স্ত্রীর ছবিও। এদিন যে ১২ জনের ছবি সম্বলিত পোস্টার দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে তৃণমূলের বিধায়ক, মন্ত্রী, পঞ্চায়েত সদস্য এবং জেলা সভাপতির আত্মীয়দের নাম রয়েছে। রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইঝি বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নামও। তৃণমূলের এক কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের সদস্য এবং যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি নিজেই বেআইনিভাবে চাকরি নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে পোস্টারগুলিতে। এদিনের পোস্টার প্রদর্শনীতে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গা সহ বিজেপি বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এদিন থেকে শুরু হল এই প্রদর্শনী। রাজ্যের মানুষকে চেনানো হবে কোন চোরেদের তাঁরা মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা বানিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসক দল। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে নিজেদের অযোগ্য আত্মীয়-পরিজনদের চাকরি দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। রাজ্যের শাসক দলকে আরও গাড্ডায় ফেলতে কোমর কষে নামছে বিজেপি। এদিন সূচনা হল তারই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলার প্রতিটি পাড়ায় এই প্রদর্শনী করা হবে। লোককে দেখানো হবে এই হল মা-মাটি-মানুষের পার্টি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) জেরবার রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশে একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি চলে গিয়েছে। এরইমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam)  বড়সড় অনিয়ম সামনে এসেছে। কাউন্সেলিং ছাড়াই নবম-দশমে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। আর সেটা অন্যজনের রোল নম্বর ব্যবহার করেই কাউন্সেলিং ছাড়াই একজন বহাল তবিয়তে ইংরেজি শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। জানা গিয়েছে, ১২২১১৬৭৬০০০০০৩-এই রোল নম্বরটি সালমা সুলাতানার। তাঁর বাড়ি বোলপুর। তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে কখনও ডাকা হয়নি। অথচ তাঁর এই রোল নম্বরেই অন্য একজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।  এসএসসি-র এই নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) বিষয়টি সামনে আসতেই খোদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু হতবাক হয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানতে এসএসসি এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে তিনি রিপোর্ট তলব করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, একজনের রোল নম্বরে অন্যজনকে কী করে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। ফলে, এর পিছনে বড়সড় চক্র কাজ করেছে। আর এই রোল নম্বর কারচুপি করে নিয়োগপত্র কাকে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে।

    নিজের রোল নম্বর চুরি হওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন  সালমা সুলতানা? Scam

    সালমা সুলতানা শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর পরীক্ষার যে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে তাঁর অ্যাকাডেমিক নম্বর ছিল ৩৩। আর লিখিত পরীক্ষায় ওএমআর শিটের নম্বর ছিল ৪৯। ২০১৮ সালে তাঁকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়। তারপর তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে ছিল। কাউন্সেলিংয়ে তাঁকে আর ডাকা হয়নি। পরবর্তীতে আদালত এসএসসি-র কাছে ওএমআর শিট চেয়েছিল। তাতে দেখা যায় তাঁর নম্বর ৪৮। চাকরি না পেয়ে কলকাতায় এসএলএসটি-র যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে তিনি যোগ দেন। সালমা সুলতানা বলেন, কাউন্সেলিংয়ে আমাকে ডাকা হয়নি। তারজন্য আক্ষেপ নেই। কিন্তু, কিছুদিন আগেই জানতে পারি আমার রোল নম্বরে অন্যজন চাকরি করছে। তাঁকে তো কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে? না হলে সে কী করে চাকরি পেল। আর ওই রোল নম্বর ধরে দপ্তর থেকে ডাকা হলে আমি জানতে পারব। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, কোনও কাউন্সেলিং না করেই নিজের মনের মতো কাউকে চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি বিষয়টি জানতে পারিনি। আমাকে অন্ধকারে রেখে আমার রোল নম্বর ব্যবহার করে বহাল তবিয়তে একজন শিক্ষকতা করছেন এটা হতে পারে না। এই দুর্নীতির (Scam)  বিরুদ্ধেই আমি সরব হয়েছি। সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। বিচার ব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রাম দিবস। এদিন নন্দীগ্রামে (Nandigram) শহিদ তর্পণ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। নন্দীগ্রামের ওই সভায় বক্তৃতা করার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিজেপির দাবি, নন্দীগ্রামে শহিদ তর্পণের ওই সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তার পরেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পদ্ম শিবির। আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি মান্থা তাদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় না পুলিশের…

    অবশ্য এই প্রথম নয়, শুভেন্দুর সভায় একাধিকবার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। অতীতে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে একাধিক ইস্যুতে সভা করার ক্ষেত্রে বাধা এসেছে। যদিও শেষতক তাতে হার মানেনি গেরুয়া শিবির। হার মানেননি শুভেন্দু স্বয়ংও। এবারও নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদ তর্পণ সভার অনুমতি না মেলায় ফের আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি।

    গত বছরও ১৪ মার্চ শহিদ তর্পণ উপলক্ষে একই জায়গায় আলাদা দুটি সভা করেছিল বিজেপি ও তৃণমূল। গোকুলনগরে পদযাত্রা করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর ওই দিনই সকালে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে এলাকায় সভা করার কথা ছিল তৃণমূলের। তার পরেই শুরু হয় অশান্তি। শহিদ মঞ্চে মাল্যদান করার পর মূল মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। মঞ্চে কোন নেতা থাকবেন, কে বক্তব্য রাখবেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছিল অশান্তি। পরে তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে।

    আরও পড়ুুন: মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তার পর থেকে ফি বছর ১৪ মার্চ দিনটিকে নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। বরাবর এই কমিটির নেতৃত্বে থাকে তৃণমূল। পরে বিজেপিও দিনটি পালন করতে শুরু করে মর্যাদার সঙ্গে। এগারোর বিধানসভা নির্বাচনে নির্ণায়ক শক্তি হয়েছিল এই নন্দীগ্রামের আন্দোলন। যার জেরে অবসান ঘটে সাড়ে তিন দশকের বাম জমানার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিল নন্দীগ্রাম। কারণ এখানে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে গোহারা হারান বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। সেই নন্দীগ্রামেই শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় না পুলিশের। তার জেরেই বিজেপির আদালত যাত্রা।

    এদিন অবশ্য শর্ত সাপেক্ষে সভার অনুমতি মেলে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, শুভেন্দুকে সভা শেষ করতে হবে দু ঘণ্টার মধ্যে। সভা করতে হবে সকাল ৮টা থেকে। তৃণমূলকে সাড়ে ১০টার মধ্যে সভার জায়গা খালি করে দিতে হবে। সভা করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kiran Reddy: ফের কংগ্রেস ছাড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে?

    Kiran Reddy: ফের কংগ্রেস ছাড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপদে কংগ্রেস (Congress)। ফের দল ছাড়লেন আরও একজন। তেলঙ্গানা গঠনের আগে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিরণ কুমার রেড্ডি (Kiran Reddy)। ২০১০ সাল থেকে টানা তিন বছর তিনি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই তিনিই ফের ছেড়ে দিলেন কংগ্রেস। ১১ মার্চ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে এক লাইনের একটি পদত্যাগপত্র পাঠান রেড্ডি। তাতে তিনি লেখেন, এই চিঠিটিকে জাতীয় কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফাপত্র হিসেবে গণ্য করা হোক। মাত্র পাঁচ বছর আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন রেড্ডি। পরে হয়েছিলেন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি ছাড়লেন কংগ্রেস সঙ্গ।

    রাজ্য ভাগের বিরোধিতা করেন কিরণ রেড্ডি (Kiran Reddy)…

    ২০১৪ সালে একবার কংগ্রেস ছেড়েছিলেন রেড্ডি (Kiran Reddy)। তখন ইউপিএ সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক হয়, একটি রাজ্য হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, অন্যটি হবে তেলঙ্গানা। কিরণ রেড্ডি রাজ্য ভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। বিধানসভায় এ নিয়ে বিস্তর হইচইও করেছিলেন। ইউপিএ সরকারের রাজ্য ভাগের এই সিদ্ধান্তের বিস্তর মূল্য চোকাতে হয় কংগ্রেসকে। সেই সময় বেশ কয়েকজন নেতা কংগ্রেস ছেড়ে দেন। যার জেরে এ পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশে একটির বেশি লোকসভা আসন পায়নি সোনিয়া গান্ধীর দল।

    কংগ্রেস ছেড়ে রেড্ডি নিজেই গড়েন রাজনৈতিক দল। নাম দেন জয় সামাইক অন্ধ্র পার্টি। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে হাজির হয় রেড্ডির দল। যদিও গোহারা হারে। তার পর ২০১৮ সালে ফের কংগ্রেসে ফেরেন। তার আগে অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে বিস্তর দর কষাকষি করেন। এহেন রেড্ডি ফের ছাড়লেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সঙ্গ। জানা গিয়েছে, এক সময়ের দাপুটে কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী রেড্ডি শীঘ্রই নাম লেখাতে চলেছেন বিজেপিতে। তেলঙ্গনায় দারুণ শক্তিশালী হলেও, অন্ধ্রে বিজেপি এখনও বেশ দুর্বল। রাজনৈতিক মহলের মতে, কিরণ রেড্ডির হাত ধরে জগমোহন রেড্ডির রাজ্যে পদ্ম ফোটানোর কাজ শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, কিরণ রেড্ডি (Kiran Reddy) ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের ১৬তম মুখ্যমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁর হাত ধরেই রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পদ্ম শিবির।

    আরও পড়ুুন:মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Police: মেমারি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, কেন জানেন?

    Police: মেমারি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত বেসুরো হয়ে পড়ছে শাসক দলের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী। প্রকাশ্যেই পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। কয়েকদিন আগে বেলঘরিয়ায় প্রকাশ্য জনসভায় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। পুলিশ (Police)  তৃণমূলের কথা শুনছে না, বিজেপি-সিপিএমের হয়ে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য রাখার দুদিনের মধ্যে ফের রাজ্যের এক মন্ত্রী পুলিশকে হুমকি দিলেন। রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ঝিকরা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ছিল। মেমারি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের বাড়ির কাছেই সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী প্রকাশ্যে পুলিশকে (Police)  হুমকি দেন। এমনকী মেমারি থানা ঘেরাওয়ের তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, যে বা যারা মন্ত্রীসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে গালমন্দ করে অপদস্ত করছে। আইনের চোখে তারা অপরাধ করছে। পুলিশ (Police)  তাদের গ্রেফতার করে নেবে, আমি বলে রাখছি। পুলিশ (Police)  কি করবে তার ব্যাপার। পুলিশকে বুঝতে হবে কারা অফিসিয়াল দল। আশ আর বাঁশ পাতাকে এক করলে হবে না। পুলিশ (Police)  কি নাবালক নাকি, পুলিশকে সাবালক হতে হবে। এসব ভণ্ডামি আমি শুনবো না। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সাধারণ মানুষ আমার নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। আমি বুঝে নেব। আমার চিন্তা পুলিশকে (Police)  করতে হবে না। পুলিশকে দক্ষ প্রশাসনের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা অফিসিয়াল। তিন মাস আগে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ কিছু জানে না এটা হতে পারে না। আমি এসপিকে তেল লাগাতে যাব না। এসপি আমার গুরুদেব নয়। এখন এসপি, ডিএসপি দেখানো হচ্ছে। এরপর তিনি হুমকির সুরে বলেন, আজ পুলিশকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে গেলাম। পুলিশ যদি ঠিক মতো কাজ না করে মেমারি থানার বড়বাবুকে ঘোরাও করে রাখব। থানা থেকে বের হতে দেব না বলে তিনি হুমকি দেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পুলিশ মন্ত্রী। তাই, দলের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী সকলেই পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাঁরা সরাসরি আঙুল তুলছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পুলিশের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর এত ক্ষোভ কেন? Police

    মেমারি-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন মহম্মদ ইসমাইল। পাশাপাশি তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। মাস ছয়েক আগে তাঁকে সরিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর অনুগামী একজনকে নতুন সভাপতি করা হয়। তিন মাস আগে ব্লক কমিটি গঠিত হয়। সেখানেও মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের ঠাঁই হয়। গত দুমাস ধরে মন্ত্রী নিজের বিধানসভায় সভা করতে গেলেই দলের একাংশ তাঁকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে, গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এসবই মহম্মদ ইসমাইল ও তাঁর অনুগামীরা করাচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশের (Police) কাছে বলার পরও কোনও কাজ হচ্ছে না। দলের অফিসিয়াল ব্লক কমিটিকে পুলিশ (Police) পাত্তা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে, দলের মধ্যে কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এলাকায় নিজের দাপট এবং নতুন কমিটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই পুলিশের (Police)  বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মন্ত্রী বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, আমি তো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করিনি। তিনি আসলে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তাই এসব বলছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share