Tag: bangla news

bangla news

  • Police: মেমারি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, কেন জানেন?

    Police: মেমারি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত বেসুরো হয়ে পড়ছে শাসক দলের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী। প্রকাশ্যেই পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। কয়েকদিন আগে বেলঘরিয়ায় প্রকাশ্য জনসভায় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। পুলিশ (Police)  তৃণমূলের কথা শুনছে না, বিজেপি-সিপিএমের হয়ে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য রাখার দুদিনের মধ্যে ফের রাজ্যের এক মন্ত্রী পুলিশকে হুমকি দিলেন। রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ঝিকরা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ছিল। মেমারি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের বাড়ির কাছেই সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী প্রকাশ্যে পুলিশকে (Police)  হুমকি দেন। এমনকী মেমারি থানা ঘেরাওয়ের তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, যে বা যারা মন্ত্রীসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে গালমন্দ করে অপদস্ত করছে। আইনের চোখে তারা অপরাধ করছে। পুলিশ (Police)  তাদের গ্রেফতার করে নেবে, আমি বলে রাখছি। পুলিশ (Police)  কি করবে তার ব্যাপার। পুলিশকে বুঝতে হবে কারা অফিসিয়াল দল। আশ আর বাঁশ পাতাকে এক করলে হবে না। পুলিশ (Police)  কি নাবালক নাকি, পুলিশকে সাবালক হতে হবে। এসব ভণ্ডামি আমি শুনবো না। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সাধারণ মানুষ আমার নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। আমি বুঝে নেব। আমার চিন্তা পুলিশকে (Police)  করতে হবে না। পুলিশকে দক্ষ প্রশাসনের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা অফিসিয়াল। তিন মাস আগে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ কিছু জানে না এটা হতে পারে না। আমি এসপিকে তেল লাগাতে যাব না। এসপি আমার গুরুদেব নয়। এখন এসপি, ডিএসপি দেখানো হচ্ছে। এরপর তিনি হুমকির সুরে বলেন, আজ পুলিশকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে গেলাম। পুলিশ যদি ঠিক মতো কাজ না করে মেমারি থানার বড়বাবুকে ঘোরাও করে রাখব। থানা থেকে বের হতে দেব না বলে তিনি হুমকি দেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পুলিশ মন্ত্রী। তাই, দলের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী সকলেই পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাঁরা সরাসরি আঙুল তুলছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পুলিশের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর এত ক্ষোভ কেন? Police

    মেমারি-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন মহম্মদ ইসমাইল। পাশাপাশি তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। মাস ছয়েক আগে তাঁকে সরিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর অনুগামী একজনকে নতুন সভাপতি করা হয়। তিন মাস আগে ব্লক কমিটি গঠিত হয়। সেখানেও মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের ঠাঁই হয়। গত দুমাস ধরে মন্ত্রী নিজের বিধানসভায় সভা করতে গেলেই দলের একাংশ তাঁকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে, গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এসবই মহম্মদ ইসমাইল ও তাঁর অনুগামীরা করাচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশের (Police) কাছে বলার পরও কোনও কাজ হচ্ছে না। দলের অফিসিয়াল ব্লক কমিটিকে পুলিশ (Police) পাত্তা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে, দলের মধ্যে কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এলাকায় নিজের দাপট এবং নতুন কমিটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই পুলিশের (Police)  বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মন্ত্রী বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, আমি তো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করিনি। তিনি আসলে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তাই এসব বলছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। পরে ফের দল বদলে হাতে তুলে নেন তৃণমূলের ঝান্ডা। এর পরেই মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্পিকারের রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিরোধী দলনেতা। দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। দেশের শীর্ষ আদালত শুভেন্দুকে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলে। সেই মতো সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি পাঠায় সিঙ্গল বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে মামলাটি রিলিজ হওয়ার পর শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ।

    তিনি তৃণমূল বিধায়ক, দাবি মুকুলের…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে আসা মুকুল রায়। বিধায়ক হওয়ার পর ওই বছরই ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। তার পরেই বিজেপির পরিষদীয় দল মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকারের দ্বারস্থ হন। গত ৮ জুন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, মুকুল এখনও বিজেপিরই বিধায়ক। তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দিতে এসে মুকুল দাবি করেন, তিনি তৃণমূল বিধায়ক। মুকুলের এই দাবিতে যারপরনাই অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্যের শাসক দল।

    আরও পড়ুুন: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) তখন অভিযোগ করেছিলেন, সংবিধানের দশম তফশিল পশ্চিমবঙ্গে অনুসৃত হয় না। প্রসঙ্গত, সংবিধানের দশম তফশিল অনুসারে, কোনও বিধায়ক দলবিরোধী আচরণ করছেন কি না, এবং সেই কারণে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হবে কি না, তা নির্ধারণের চূড়ান্ত অধিকার স্পিকারের। মুকুলকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করার বিরোধিতা করেও পৃথক একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেছিল বিজেপি। তখনও পদ্ম শিবিরকে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার জেরেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলকে রুখতে সশক্তিকরণ অভিযান শুরু বিজেপির

    BJP: তৃণমূলকে রুখতে সশক্তিকরণ অভিযান শুরু বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে বিজেপির (BJP) বুথ সশক্তিকরণ অভিযান। এদিন বালুরঘাটে এই অভিযানের সূচনা করেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর নন্দীগ্রামে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সংগঠন শক্তিশালী করাই লক্ষ্য বিজেপির (BJP)…

    মাস দুয়েকের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই দুই নির্বাচনের কারণেই বাংলায় শক্তি বাড়ানোর প্রয়োজন। প্রয়োজন তৃণমূলকে রুখে দেওয়া। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বঙ্গ বিজেপির সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় দলের বুথ পর্যায়ে সক্রিয়তা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কম। সেই সব বুধে নতুন করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্ম শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০০ আসন। যদিও সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি গেরুয়া শিবির। মাত্র ৭৭টি আসন পেয়েই থেমে গিয়েছিল বিজেপির (BJP) অশ্বমেধের ঘোড়া। সমীক্ষায় গেরুয়া শিবির দেখেছে, বিভিন্ন বুথে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারেনি পদ্ম শিবির। সেই কারণেই শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বঙ্গ বিজেপি। তার জেরেই হচ্ছে বুথ সশক্তিকরণ অভিযান।

    ১২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। ১৩ দিন ধরে চলা এই কর্মসূচিতে রাজ্যের সব সাংগঠনিক জেলায় বুথ স্তরে যাবেন বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতারা। এদিন দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ খানপুর সংসদের ৮৮ নম্বর বুথ সশক্তিকরণ অভিযানের সূচনা করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, বুথ আমাদের আগেও ছিল। এখনও আছে। এবার সেই বুথগুলিকে নতুন করে দেখা। নতুন লোক ঢোকানো। আরও শক্তিশালী করা। এই জন্যই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন, পরবর্তীকালে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত শক্তিশালী বুথ তৈরি করে লড়াই করা।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতার গলা জড়িয়ে চটুল নাচ সুন্দরী নর্তকীর, টাকা ছড়াচ্ছেন নেতা, কোথায় দেখে নিন

    এদিন একই সঙ্গে নন্দীগ্রামে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি গিয়েছিলেন সোনাচূড়ার ২৭৮ নম্বর বুথে। শুভেন্দু বলেন, গোটা গ্রামে একজনও আমফানের টাকা পাননি। মোদিজি ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা তুলে নিয়েছে। ২৭৮ নম্বর বুথে একটাও শৌচালয় নেই। তিনি বলেন, এই গ্রামের দিকে তাকিয়ে দেখুন, ১০টার মধ্যে একটা পাকা বাড়ি। উন্নয়ন শুধু মমতার পরিবারের হয়েছে। এদিন কলকাতার শ্যামপুকুর এলাকায় কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪১ ও ৪৩ নম্বর বুথে যান বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে? হতবাক বিচারপতি বসু

    Recruitment Scam: কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে? হতবাক বিচারপতি বসু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগকাণ্ডে (Recruitment Scam) ফের মিলল বিস্ফোরক তথ্য! কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে। কাউন্সেলিং ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয়েছে ইংরেজি শিক্ষক পদে। বীরভূমের চাকরিপ্রার্থী সালমা সুলতানার রোল নম্বরে নিয়োগ করা হয়েছে অন্যজনকে। এটা জানতে পেরে হতবাক কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ঘটনার জেরে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে পেশ হতে পারে রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, এসএলএসটিতে উত্তীর্ণ হন সালমা সুলতানা। ইন্টারভিউও দেন। অথচ তার পর আর কাউন্সেলিংয়ের জন্য এ পর্যন্ত ডাকা হয়নি তাঁকে। যদিও তাঁর রোল নম্বরে সুপারিশ ও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

    নিয়োগকাণ্ড (Recruitment Scam)…

    নিয়োগে (Recruitment Scam) যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে তা ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফেঁসে গিয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতাও। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন গ্রুপ ডি-র কয়েকশো কর্মী। আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর গ্রামের তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে ও জামাইয়ের। প্রকাশের দুই মেয়ে মাম্পি ও শম্পার চাকরি গিয়েছে। চাকরি হারিয়েছেন জামাই বিপ্লব দাসও। মাম্পি চাকরি করতেন হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলে। শম্পা ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয়ে। আর কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের ক্লার্কের পদে ছিলেন বিপ্লব।

    আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের যুব তৃণমূল নেতা সামসুর রহমানেরও। তিনি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। প্রায় ফাঁকা ওএমআর শিটেই চাকরি জুটেছিল তাঁর। যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, তাঁদের নামের যে তালিকা এসএসসি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছেন, তাতে ৫৫১ নম্বরে রয়েছে সামসুরের নাম।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ

    চাকরি খুইয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সহ সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ণবও। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ এসএসসি গ্রুপ সি-র (Recruitment Scam) চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন দুর্গাপুরের অর্ণব। পরীক্ষায় পাশ করে কম্পিউটার টাইপিং ও ইন্টারভিউয়ে সফল হয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে চাকরি পান তিনি। দুর্গাপুর প্রোজেক্টস টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে বছর পাঁচেক চাকরি করার পর হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ান তিনি। চাকরি হারিয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য টুম্পা মেটেও। ডানকুনির বামুনারির বাসিন্দা তিনি। তাঁর স্বামীও তৃণমূল নেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Same Sex Marriage: সমলিঙ্গে বিবাহ প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Same Sex Marriage: সমলিঙ্গে বিবাহ প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গের ব্যক্তিদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক (Same Sex Marriage) ভারতের প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী। রবিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের করা হলফনামায় একথা সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্র। কেন্দ্র যে সমকামী বিবাহের বিরুদ্ধে এদিন ফের তা একবার জানিয়ে দেওয়া হল। হলফনামায় জানানো হয়েছ, ভারতীয়রা পরিবার বলতে বোঝেন স্বামী, স্ত্রী এবং সন্তানকে। স্বামী-স্ত্রী বলতে একজন জৈবিক পুরুষ ও একজন জৈবিক নারীকেই বিবেচনা করা হয়। তাঁদের মধ্যে মিলনের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে জৈবিক পুরুষ বাবা হিসেবে এবং জৈবিক মহিলা মা হিসেবে লালন-পালন করেন।

    সমকামী বিবাহকে (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি দিলে…

    কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে কিছু আইনি জটিলতাও সৃষ্টি হবে। বর্তমানে ভারতে ব্যক্তিগত এবং বিধিবদ্ধ আইনে নিষিদ্ধ সম্পর্ক, বিয়ের শর্ত, আনুষ্ঠানিকতা এবং আচারের প্রয়োজনীয়তা গার্হস্থ্য হিংসার মতো বিষয়ে যে বিধানগুলি রয়েছে, সমকামী বিবাহ আইনি স্বীকৃতি পেলে সেগুলি লঙ্ঘন হতে পারে। কারণ বিয়ে শুধু নারী-পুরুষের মধ্যেই হয়, এমনটা ধরেই বিধানগুলি তৈরি করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, সংবিধানে যে ভারতীয় নাগরিকদের নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে বিয়ে করার অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেই অধিকার এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের নাগরিকদেরও পাওয়া উচিত। এই দাবি করেই সমকামী বিবাহের (Same Sex Marriage) আইনি স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন হায়দরাবাদের সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অভয় ডাং। তবে শুধু তাঁরাই নন, দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে একাধিক সমকামী যুগল সমকামী বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কেন্দ্র জানিয়েছে, ভিন্নধর্মী দুটি লিঙ্গের মানুষের মিলনই বিবাহ। আমাদের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল। বিবাহের এই সংজ্ঞা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং আইনগতভাবে এদেশের মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে। আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে একে গুলিয়ে দেওয়া উচিত নয়।

    আরও পড়ুুন: বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন, কর্নাটকে রোড শো-ও করলেন মোদি

    হলফনামায় সরকার জানিয়েছে, সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিকের নিজের ইচ্ছামতো মেলামেশার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের সম্পর্কগুলির (Same Sex Marriage) ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে আইনি স্বীকৃতি দিতেই হবে এটা কোনও অধিকারের বিষয় নয়। ২১ নম্বর অনু্চ্ছেদের অধীনে জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের আওতায়ও এটা পড়ে না। বিবাহের ধারণা অনিবার্যভাবে বিপরীত লিঙ্গের দুই ব্যক্তির মধ্যে মিলনকে বোঝায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • PM Modi: বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন, কর্নাটকে রোড শো-ও করলেন মোদি

    PM Modi: বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন, কর্নাটকে রোড শো-ও করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের (Bengaluru Mysuru Expressway) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার কর্নাটকের (Karnataka)  মাণ্ড্য জেলায় ১১৮ কিমি দীর্ঘ ওই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। আগে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগত ৩ ঘণ্টা। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় এক শহর থেকে অন্য শহরে পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ৭৫ মিনিট। বিজেপির (BJP) বিরোধী দল জেডি (এস)এর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই মাণ্ড্য জেলা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন…

    এদিন সেখানেই ৮ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। কেবল এই এক্সপ্রেসওয়েই নয়, ভোটমুখী কর্নাটকে এদিন আরও প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে আইআইটি ধারওয়াড়, মাইসুরু-কুশলনগর চার লেনের হাইওয়ে এবং হুবলি স্টেশনে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের মতো প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পগুলি রাজ্যের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথ খুলে দেবে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যুবকরা আমাদের দেশের উন্নয়ন চাক্ষুষ করে গর্ব অনুভব করছেন। তার পরেই তিনি বলেন, এই সমস্ত প্রকল্প আমাদের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথ খুলে দেবে।

    বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ে ১০ লেনের। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই দুই শহরের দূরত্ব এক লপ্তে অনেকখানি কমে যাওয়ায় এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় প্রভাব ফেলবে এই এক্সপ্রেসওয়ে।জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে জাতীয় সড়ক ২৭৫কে যুক্ত করা হচ্ছে। এই এক্সপ্রেসওয়ের চারটি রেল ওভারব্রিজ, ৯টি বড় সেতু, ৪০টি ছোট সেতু এবং ৮৯টি আন্ডারপাস ও ওভারপাস রয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মাইসুরু-কুশলনগর ৪ লেনের হাইওয়ের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। সেটির দৈর্ঘ হবে ৯২ কিলোমিটার। এই প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। এখন এই দুই শহরের একটি থেকে অন্যটিতে যেতে সময় লাগে ৫ ঘণ্টা। হাইওয়ে নির্মাণ হয়ে গেলে সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। মাণ্ড্য জেলায় এদিন রোড শো-ও করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সেখানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি অংশ নেন প্রচুর সাধারণ মানুষও।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Amit Shah: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ

    Amit Shah: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) সম্পর্কে মোদি সরকারের (PM Modi) নীতিই হল জিরো টলারেন্স (Zero Tolerance)। কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। রবিবার ফের একবার স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন হায়দরাবাদে হয় সিআইএসএফের ৫৪তম রেইজিং ডে প্যারেড। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদি সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, গত ৯ বছর ধরে এনডিএ সরকার সফলভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে চলেছে।

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন…

    কাশ্মীরে হিংসার ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। উত্তর-পূর্বে এবং লেফ্ট উইং এক্সট্রিমিজম অ্যাফেকটেড এলাকায় সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম কমেছে। তিনি জানান, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থাও বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদে জড়িত মানুষের সংখ্যাও দিন দিন কমছে। অনেকেই জঙ্গি কার্যকলাপ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করছেন। সমাজের মূলস্রোতে ফিরছেন। প্রসঙ্গত, এবারই প্রথম সিআইএসএফের বার্ষিক রেইজিং ডে সেলিব্রেশন হচ্ছে দিল্লির বাইরে, হায়দরাবাদের হাকিমপেটে। এখানেই রয়েছে সিআইএসএফের ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি। সেখানেই হচ্ছে অনুষ্ঠান।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    ১২ মার্চ সিআইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতি বছর দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করে সিআইএসএফ। এতদিন দিল্লিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও, এবার হচ্ছে হাকিমপেটে। এবার সিআইএসএফের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) স্বয়ং। এখান থেকে তিনি যাবেন কেরল সফরে। সেখানে ত্রিশূরে বীরপুত্র সাকথান থাম্পুরানের প্রাসাদ ঘুরে দেখবেন। এ ব্যাপারে ট্যুইটও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, বীরপুত্র সাকথান থাম্পুরান আধুনিক ত্রিশূরের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার দূরদৃষ্টি এবং জ্ঞান ত্রিশূরকে কেরলের সাংস্কৃতিক রাজধানীতে পরিণত করেছে। এখানে কিছুটা সময় কাটাতে চাই আমি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Satish Kaushik: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হতে পারে সতীশকে, দাবি মহিলার

    Satish Kaushik: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হতে পারে সতীশকে, দাবি মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হয়ে থাকতে পারে সতীশ কৌশিককে (Satish Kaushik)। দিল্লির (Delhi) যে ব্যবসায়ীর খামারবাড়িতে হোলি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল, তাঁর স্ত্রীর দাবি সতীশকে বিষ দিয়ে থাকতে পারেন তাঁর স্বামী। দিল্লি পুলিশের (Police) কাছে এই মর্মে অভিযোগও জানিয়েছেন ওই মহিলা। একটি চিঠিতে তিনি জানান, তাঁর স্বামীকে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন সতীশ। সেই টাকা ফেরত চেয়ে ব্যবসায়ীর সঙ্গে একবার বিদেশেও দেখা করেন সতীশ।

    সতীশ কৌশিক (Satish Kaushik)…

    ওই মহিলার দাবি, টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে ওঁদের দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কিও হয়েছিল। সতীশকে টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন বলে নাকি কথাও দিয়েছিলেন তিনি। ওই মহিলার দাবি, তাঁর স্বামীর খামারবাড়িতে হোলি পার্টিতে এসে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা। তাই অভিযোগকারিণীর ধারণা, তাঁর স্বামীই টাকা ফেরত দেওয়া থেকে বাঁচতে সতীশকে বিষজাতীয় কিছু দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, দিল্লির ওই খামারবাড়ি থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক ওষুধ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে ওই মহিলাকে।

    ওই মহিলা এমনতর দাবি করলেও, প্রয়াত অভিনেতার (Satish Kaushik) পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সতীশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে দিল্লি পুলিশ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে সতীশের হৃৎপিণ্ড ও রক্তের নমুনা। প্রসঙ্গত, ৯ মার্চ আচমকাই সতীশের প্রয়াণের খবর আসে। তাঁর ম্যানেজার সন্তোষ রাই বলেন, সে রাতে সাড়ে আটটা নাগাদ খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন অভিনেতা। কারণ পরের দিন ভোরের ফ্লাইট ধরে মুম্বই ফেরার কথা ছিল তাঁর। রাত্রি ১১টা নাগাদ আমাকে ডাকেন। ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড ঠিক করে দিতে বলেন। তার পর আমি ঘরে চলে যাই। রাত ১২.০৫ নাগাদ চিৎকার করে আমায় ডাকেন। ছুটে গেলাম ওঁর ঘরে।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    বললেন, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে চলো। সন্তোষ বলেন, কিছু দূর এগোনোর পরেই ওঁর (Satish Kaushik) বুকের ব্যথা বাড়তে থাকে। তাড়াতাড়ি চলো বলতে বলতে আমার কাঁধে মাথা দিয়ে বলেন, আমি মরতে চাই না। আমাকে বাঁচাও। সন্তোষ বলেন, হাসপাতাল পৌঁছতে আট মিনিট সময় লেগেছিল। কিন্তু তার আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর দাবি, সেদিন সকালেই সতীশ তাঁকে বলেছিলেন, মেয়ে বংশীকার জন্য বাঁচতে চাই। তবে মনে হচ্ছে, বেশি দিন বাঁচব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে যাদবদের দুর্নীতির পরিমাণ ৬০০ কোটি, দাবি ইডি-র

    ED: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে যাদবদের দুর্নীতির পরিমাণ ৬০০ কোটি, দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় ইতিমধ্যেই তেজস্বী যাদবের দিল্লির (Delhi) বাড়ি সহ ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Yadavs) যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন চাকরির বিনিময়ে যে জমি নেওয়া হয়েছিল, তার মূল্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি। যদিও দুর্নীতি ধরা পড়েছে ৬০০ কোটি টাকার। লালু প্রসাদের পরিবারের যে সম্পত্তির হদিশ ইডি পেয়েছে, তারও দীর্ঘ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিবৃতি জারি করে ইডি জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপের অভিযোগে যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, লালু প্রসাদের পরিবারের নামে পাটনার প্রমিনেন্ট লোকেশনে বিভিন্ন জমির খোঁজ মিলেছে।

    ইডি (ED) জানিয়েছে…

    লালু প্রসাদ যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন জমির বিনিময়ে চাকরি দিয়ে এই জমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল। ইডি (ED) আরও জানিয়েছে, বর্তমানে এই জমির বাজার দর ২০০ কোটি টাকারও বেশি। এই জমিগুলির প্রকৃত মালিক কে, তাঁদেরও চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এদিকে, জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় সিবিআই-ও তলব করেছে লালু প্রসাদের পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্ব যাদবকে।

    প্রসঙ্গত, জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় চলতি সপ্তাহেই আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং কন্যা মিসা ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার আগে লালু ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। ওই মামলায় লালু প্রসাদ, রাবড়ি দেবী সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালত।

    ইডির (ED) দফতর থেকে ছাড়া পেয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। গুজব ছড়ানো এবং তৈরি করা খবর ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সিজার লিস্ট যাতে সকলের নাম রয়েছে, সেই তালিকাও প্রকাশ করার দাবি জানান তেজস্বী।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    ইডির দাবি, দিল্লি, পাটনা, রাঁচি এবং মুম্বই সহ ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১ কোটি টাকা, ১৯০০ মার্কিন ডলার বিদেশি মুদ্রা, ৫৪০ গ্রাম সোনা, দেড় কেজির বেশি সোনার গয়না যার বাজার মূল্য ১.২৫ কোটি টাকা এবং যাদবদের পরিবারের বিভিন্ন নামে জমির হদিশ মিলেছে। ইডির অভিযোগ, যাদবদের পরিবার ৭.৪ লক্ষ টাকার জমি গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন। পরে সেই জমি বিক্রি করা হয় আরজেডির প্রাক্তন বিধায়ক সইদ আবু দোজানাকে। মূল্য নির্ধারিত হয়েছিল সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের (Central Government) বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানা সময় সরব হতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। বিশেষত কোনও নির্বাচন এসে গেলেই কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করতে শুরু করেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে আদতে তৃণমূলের দুর্নীতির দিক থেকে জনতার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment)…

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment) করেছে ৮৯,৯৬০ কোটি টাকা। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাংলার রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আমরুত ২.০-র জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩,৬৫০ কোটি টাকা। রেভেনিউ ডেফিসিট গ্র্যান্টস পেমেন্টের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৩,৫৮৭ কোটি টাকা। গ্রামীণ সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা, ২০২৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৫,৫০০ কোটি টাকা। পিএমএওয়াই-জি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৮,২০০ কোটি টাকা। বাংলায় রাস্তা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শিলিগুড়িতে জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের সম্মতি না মেলায় ক্যাপেক্স লোন পায়নি বাংলা। যদিও পরিকাঠামোর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ (Allotment) হয়েছে ৭,৬০০ কোটি টাকা। ১৯৪৫ সালের আগে যেসব স্কুল গড়ে উঠেছে, সেগুলির উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। রানিগঞ্জে চার লেনের বাইপাস তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১০ কোটি টাকা। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হয়েছে ২,৬৫০ কোটি টাকা। নমামি গঙ্গা প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ১২৩ কোটি টাকা। সর্ব শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে রাজ্য সরকার পেয়েছে ৯৫৫ কোটি টাকা। কর আদায়ের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে ১০,৬৪২ কোটি টাকা।

    মাত্র চার মাসে দেওয়া হয়েছে এই পরিমাণ (Allotment) অর্থ। তার পরেও বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ টাকা খয়রাতি করে রাজ্য সরকার খরচ করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তার জেরে বন্ধ রয়েছে একশো দিনের কাজের মতো নানা প্রকল্প। অথচ রাজ্য সরকার গলা ফাটাচ্ছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share