Tag: bangla news

bangla news

  • CAR: নেই পুঁথিগত বিদ্যা! মাত্র ৭০ হাজার টাকায় বিনা তেলের চারচাকা গাড়ি বানিয়ে তাক লাগালেন বৃদ্ধ

    CAR: নেই পুঁথিগত বিদ্যা! মাত্র ৭০ হাজার টাকায় বিনা তেলের চারচাকা গাড়ি বানিয়ে তাক লাগালেন বৃদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অদম্য জেদ আর ইচ্ছেশক্তি থাকলে সবকিছু করা সম্ভব। বয়স সেখানে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সে কথাই প্রমাণ করেছেন মেদিনীপুর শহরের জজকোর্টের ৬৫ বছরের শরাফত আলি। পুঁথিগত বিদ্যা তাঁর নেই। তবে, নিজস্ব বুদ্ধি ও মেধা দিয়ে নিজের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিভিন্ন যানবাহনের পরিত্যক্ত জিনিসের সাহায্যে বাড়িতেই তৈরি করে ফেললেন ইলেকট্রিকের চার চাকা গাড়ি (CAR)। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিভিন্ন এলাকায় এখন তিনি চর্চিত। গাড়ির নামকরণ করেছেন মনো-ই-কার।

    কী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই গাড়ি (CAR)?

    জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি (CAR) তৈরি করতে শরাফতসাহেব স্টিয়ারিং সংগ্রহ করেছেন পরিত্যক্ত টাটা ন্যানোর, বিকল হয়ে যাওয়া মহেন্দ্র ভ্যান এর স্টিয়ারিং বক্স, টোটোর চাকা প্রভৃতি। হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে সংগ্রহ করেছেন লোহার সামগ্রী। প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সামগ্রী নিজের মতো করে কিনে বাড়িতে ঝালিয়ে পূর্ণরূপে তৈরি করে ফেলেছেন একটি ইলেকট্রিক কার। নিজস্ব মস্তিষ্কপ্রসূত কায়দায় ইলেকট্রিক ওয়ারিং পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তৈরির প্রথমদিকে অনেকেই হাসাহাসি করছিলেন। কাজ সম্পূর্ণ করার পর সেই গাড়ি (CAR) নিয়ে বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হতেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে। এখন আর হাসাহাসি নয় তাঁকে ঘিরে ধরেন চক বাজারের লোকজন।

    কী বললেন অভিনব গাড়ি (CAR) নির্মাতা?

    বৃদ্ধ শরাফত আলি প্রায় ৪০ বছর ধরে কাঠের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাড়িতে এক ছেলে, সেও বাবার পেশাতেই। তবে তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধ শরাফত আলি অনেকটা সৃজনশীল। নিজের তৈরি গাড়ি (CAR) নিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে পেট্রোলের যা দাম, তাতে বাইক চালানো সমস্যার। তাছাড়া আমার মত বয়স্ক লোকজন বাইকের থেকে চার চাকাতে নিরাপদ। সে কথা মাথায় রেখেই নিজস্ব উদ্যোগ শুরু করেছিলাম। পাঁচ মাসের পরিশ্রমের পর অবশেষে সফল। গাড়ি (CAR) তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। এখন নিজে তো বটেই, বাড়ির নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাজারে, স্কুলেও যাই। যে পরিমাণ টাকা এটাতে খরচ হয়েছে তাতে হয়তো পুরানো টোটো কিনে নিতে পারতাম, কিন্তু নিজ সৃষ্টির মজা আলাদা। বরাবরই আমি কোনও না কোনও কিছু নতুন জিনিস তৈরি করার চেষ্টা করি, এটা আমার প্যাশন।” তাঁর তৈরি অভিনব গাড়ি (CAR) এখন নজর কেড়েছে সকলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের সভার অনুমতি দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি!

    Suvendu Adhikari: ফের সভার অনুমতি দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুর, চন্দ্রকোণার পর এবার বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপাল। ফের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। বিজেপির দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্যই সরকারের নির্দেশে পুলিশ অনুমতি দিতে চাইছে না। সভার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে পদ্ম শিবির। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিমলাপাল রাজবাড়ি মাঠে সভা করার কথা ছিল শুভেন্দুর। সেই মতো যাবতীয় প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছিলেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। একেবারে শেষ মুহূর্তে পুলিশি অনুমতি না মেলায় বাতিল হয়ে যায় সভা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিলে বিজেপির প্রতিক্রিয়া…

    বিজেপির বাঁকুড়ার জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, “পুলিশি অনুমতি না মেলায় সিমলাপালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পূর্ব নির্ধারিত সভা বাতিল করা হয়েছে”। তিনি বলেন, “সমস্ত নিয়ম মেনে পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হলেও, পুলিশ অনুমতি দিতে টালবাহানা করছিল। সভার আগের রাতেও পুলিশি অনুমতি না মেলায় সভা স্থগিত রাখতে হল”। তিনি বলেন, “রাজ্যের পুলিশ প্রাশসন ও মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ঠিকই করে ফেলেছেন তাঁরা বিরোধী দলনেতার কার্যক্রমে বাধা দেবেন, সেখানে আর তাঁদের ওপর ভরসা রাখা যায় না”। সভার অনুমতি চেয়ে এদিনই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক জানান, শুনানিতে দেরি হলে অন্যদিন সভা হবে।

    বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, “এখন পুলিশের প্রধান কাজ বিজেপিকে আটকানো। বিজেপির কর্মসূচি দেখে এ রাজ্যের শাসক দল আতঙ্কিত। তাই পুলিশের নিজস্ব কাজ না করে বিজেপিকে আটকাতে চাইছে”। তিনি বলেন, “রাজ্যের মানুষ সব দেখছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে”।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পাকিস্তানে অশান্তির জন্য দায়ী বিজেপি-আরএসএস’’! আজব দাবি শেহবাজের আপ্ত-সহায়কের

    এই প্রথম নয়, এর আগেও শেষ মুহূর্তে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। আলু চাষিদের আত্মহত্যার প্রতিবাদ সহ কৃষকদের গুচ্ছ সমস্যার কথা তুলে ধরে সভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সভা হওয়ার কথা ছিল চন্দ্রকোণার ঝাঁকড়া হাইস্কুল মাঠে। শুভেন্দুর সেই সভাও বাতিল হয়ে গিয়েছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই দিনই শর্ত সাপেক্ষে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dementia: স্মৃতিশক্তি কমছে মারাত্মকভাবে, মনে রাখার ক্ষমতা কমছে স্কুল পড়ুয়াদেরও!

    Dementia: স্মৃতিশক্তি কমছে মারাত্মকভাবে, মনে রাখার ক্ষমতা কমছে স্কুল পড়ুয়াদেরও!

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    লেখার মাঝেই হারিয়ে যায় শব্দ! এমনকী পরিচিত বর্ণ কীভাবে লিখতে হবে, সেও অনেক সময় মনে পড়ে না। দক্ষিণ কলকাতার বছর তেরোর স্কুল পড়ুয়ার স্কুল থেকে অভিভাবককে জানানো হচ্ছে, পরিচিত অনেক কিছুই হঠাৎ ভুলে যাচ্ছে সে। সত্তরের চৌকাঠ পার হওয়ার আগেই আবার নিজের বাড়ির ঠিকানা হামেশাই ভুলে যান বাগুইআটির এক প্রৌঢ়! এমনকী বিকেলে হেঁটে ফেরার পথে কোন গলিতে ঢুকছেন, সেটাও ঠিক বুঝতে পারেন না! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এগুলো ব্যতিক্রম নয়। গত তিন বছরে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Dementia) সমস্যা মারাত্মকভাবে বেড়েছে।

    স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নতুন স্বাস্থ্য বিপর্যয়? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৬০ বছরের পর স্মৃতিশক্তি কমার প্রবণতা কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। ডিমেনশিয়ায় (Dementia) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবীণদের এই সমস্যা জীবনযাপনের মান কমাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার মতো রোগের চিকিৎসা শুরু হয় দেরিতে। ফলে চিকিৎসার সুযোগ কমে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গত তিন বছর ধরে শুধু বয়স্কদের নয়, কমবয়সীদের মধ্যে মারাত্মকভাবে বাড়ছে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের প্রবণতা। এমনকী স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা।

    কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী (Dementia) হঠাৎ খুব সাধারণ বিষয় মনে করতে পারছেন না। সাধারণ ঘটনা বা খুব চেনা জিনিসও অস্পষ্ট হয়ে উঠছে। মাঝেমধ্যে একটা খালি খালি ভাব মনে হওয়া! অর্থাৎ, কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারেন না। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ব্রেন ফগিং বলা হয়। অনেক সময় মাথা ঝিমঝিম করে। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেয়।

    স্মৃতিশক্তি হ্রাস-বৃদ্ধির নেপথ্যে কী কারণ? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গত তিন বছরে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Dementia) প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষত কমবয়সীদের মধ্যেও এই প্রবণতা প্রবল। আর তার অন্যতম কারণ করোনা বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ব্রেন ফগিংয়ের মতো সমস্যা অর্থাৎ, হঠাৎ করে মস্তিষ্ক ঝাপসা হয়ে যাওয়া বেড়েছে। আর যে রোগীরা এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কমবয়সী রোগীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই বলা যেতে পারে, করোনামুক্তির পরেও শরীরে যে সব দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল স্মৃতিশক্তি হ্রাস। তবে, করোনার পাশাপাশি দূষণকেও স্মৃতিশক্তি হ্রাসের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, দূষণের জেরে মস্তিষ্কের কোষের কার্যক্ষমতা কমছে, আর তার জেরেই মনে রাখার ক্ষমতাও কমছে।

    কীভাবে বাড়বে স্মৃতিশক্তি? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কমবয়সীরা ব্রেন ফগিং কিংবা ভুলে যাওয়ার কোনও রকম উপসর্গ (Dementia) দেখলেই দেরি করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নির্দিষ্ট ওষুধ ও থেরাপির সাহায্যে এই ধরনের সমস্যা কমতে পারে এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু, অনেকক্ষেত্রে রোগীরা চিকিৎসা অনেক দেরিতে শুরু করেন। ফলে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। সাধারণ বিষয় মনে রাখতে না পারার জেরে আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। ফলে, মানসিক অবসাদ গ্রাস করে। তবে, জীবনযাপনের পরিবর্তন এই ধরনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মোবাইল, ল্যাপটপে সময় কাটানো কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলে দিলে মনে রাখার ক্ষমতা কমে। কারণ, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমতে থাকে। নিয়মিত মেডিটেশনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। মনঃসংযোগের অভ্যাস স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ময়নায় নিহত বিজেপি নেতার বাড়িতে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী, কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    BJP: ময়নায় নিহত বিজেপি নেতার বাড়িতে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী, কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার পরিবারের সদস্যদের এবার নিরাপত্তা দেবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আদালতের নির্দেশে বুধবার সকালেই ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ দুজন আসেন পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে। কেন্দ্রীয় জওয়ানরা কোথায় থাকবেন, কীভাবে মৃতের পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপরই সন্ধ্যায় ১২ জন সিআইএসএফ জওয়ান বিজয়বাবুর বাড়িতে আসেন।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কী বললেন নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবারের লোকজন?

    বিজয়কৃষ্ণের মেয়ে টুম্পা ভুঁইয়া বলেন, বাবার মৃত্যুর প্রায় দেড় সপ্তাহ পর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসেছেন। এরজন্য তাঁদের ধন্যবাদ। কারণ, রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। বাবা খুন হওয়ার পর রাজ্য পুলিশ তদন্ত করে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। আরও অনেকেই এখন বাইরে রয়েছে। অভিযুক্তরা সকলে গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আতঙ্কে রয়েছি। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় কিছুটা হলেও সাহস পাচ্ছি। বিজয়বাবুর ছেলে রনজিৎ ভুঁইয়া বলেন, তদন্তভার কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে যতক্ষণ না দেওয়া হচ্ছে, আমাদের আন্দোলন চলবে। বাবাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

    প্রসঙ্গত, ১ লা মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকেই মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায় বিজয়কৃষ্ণকে। উদ্ধার করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিশ। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবার। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত, বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ই মে রাতে ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার বাড়িতে আসেন জওয়ানরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লটারির টাকায় রাজ্যজুড়ে নবজোয়ার তৃণমূলের! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: লটারির টাকায় রাজ্যজুড়ে নবজোয়ার তৃণমূলের! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলে নবজোয়ার নামে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আর এই কর্মসূচি ঘিরে একাধিক জেলায় ব্যালট ছিনতাই, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সন্ধ্যায় হুগলির উত্তরপাড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ডিয়ার লটারির টাকায় নবজোয়ার কর্মসূচি চলছে। লটারির টাকায় তৃণমূলের নবজোয়ার। ইনকাম ট্যাক্সের রিটার্নে লটারির উল্লেখ করেছে। তৃণমূলের নির্বাচনী বন্ডে মাসে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা দেয় এই লটারি সংস্থা। আমার কাছে সব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করার এই ব্যবসা বন্ধ করব। সাবধান ডিয়ার লটারি, সাবধান পশ্চিমবঙ্গের জনগন, সাবধান তৃণমূল। চলছে নবজোয়ার, যাচ্ছি আমি তিহাড়।

    দলত্যাগী এক বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে সরব শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণকল্যাণীর বাড়িতে কিছুদিন আগেই আয়কর হানা দেয়। সেই প্রসঙ্গে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ভিতরে বিজেপি, বাইরে তৃণমূল এমন একজন বিধায়কের বাড়িতে তিনদিন ধরে আয়কর হানা দিয়েছিল। আপনারা সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি দেখেছেন। কিন্তু, ফলাফলটা পাননি। শুনে রাখুন, আমি যা বলি দায়িত্ব নিয়ে বলি। ওই মমতাভক্তের বাড়ি থেকে ৩ কোটি টাকা নগদ এবং ৬ কোটি টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতরকে বলব, বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সত্যি হলে, সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।

    সিপিএম, কংগ্রেস কর্মীদের কী বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, সিপিএম এখন সাইনবোর্ড। কয়েকদিন আগে এই জায়গায় সিপিএম মিছিল করেছে। তাদের কোনও অনুমতি লাগেনি। অথচ আমাদের হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে মিছিল করতে হচ্ছে। তাহলেই ভাবুন সেটিংটা কে করছে। তাঁর কটাক্ষ, এই সিপিএমের দোসর কংগ্রেস। তাদের দিল্লির নেতারা এই চোর সরকারদের বাঁচাতে আইনি লড়াই করছেন। ভাবতে পারেন? এরপরই সিপিএমের উদ্দেশে তিনি বলেন এদের কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের খুনের প্রতিবাদে পাবেন না, রিষড়া, শিবপুরে ইনসাফ মিছিলে পাবেন না, এই দল সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। বেশি কথা বলবনা। শুধু বলবো যে কজন এখনো আছেন তাঁরা চলে আসুন। আমরাই পারবো সাফ করতে। গত মাসের ২ তারিখে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রিষড়া এলাকায় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। রক্তাক্ত হন পুরশুরার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ সহ অনেকেই জখম হন। পুলিশও সেদিন আক্রান্ত হন। এই রেশ দু তিনদিন ধরে চলে। ওই ঘটনার জেরে পুলিশ প্রচুর লোককে ধরপাকড় করে। যদিও পরবর্তীকালে সবাই প্রায় জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। ওই দিন যে সমস্ত রামভক্তরা মার খেয়ে, জেল খেটে বেড়িয়েছেন তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে হিন্দমোটর ধারসা মোড় থেকে উত্তরপাড়া কোতরং পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। যদিও এই মিছিলের অনুমতি স্থানীয় পুলিশ দেয়নি। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদক হাইকোর্ট থেকে আইনি লড়াইয়ে অনুমতি বার করে আনেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Karnataka Assembly: পড়ল রেকর্ড ভোট, ত্রিশঙ্কু হবে কর্নাটক বিধানসভা?

    Karnataka Assembly: পড়ল রেকর্ড ভোট, ত্রিশঙ্কু হবে কর্নাটক বিধানসভা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার নির্বিঘ্নেই শেষ হল কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন। ভোট হয়েছে বিধানসভার ২২৪টি আসনেই। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৫.৬৯ শতাংশ। নির্বাচনের ফল বেরবে ১৩ মে। তবে এবার বিধানসভা হতে পারে ত্রিশঙ্কু। পাঁচটি এক্সিট পোলের (Exit Poll) ইঙ্গিত অন্তত তাই। কিংমেকার হতে পারে এইচডি কুমারস্বামীর জনতা দল সেকুলার। যে দল ক্ষমতায় আসবে, তাদের পেতে হবে ম্যাজিক ফিগার ১১৩টি আসন।

    কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন…

    এবিপি নিউজ-সি ভোটারের (Karnataka Assembly) সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি পেতে পারে ৮৩-৯৫টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ১০০-১১২টি আসন। কুমারস্বামীর দল পেতে পারে ২১-২৯টি আসন। অন্যদের ভাগ্যে জুটতে পারে ২-৬টি আসন। ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্সের সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি পেতে পারে ৮০-৯০টি, কংগ্রেস ১১০-১২০টি, কুমারস্বামীর দল ২০-২৪টি এবং অন্যরা ১-৩টি আসন। নিউজ নেশান-সিজিএসের ভবিষ্যদ্বাণী, বিজেপি পেতে পারে ১১৪টি, কংগ্রেস ৮৬টি, কুমারস্বামীর দল ২১টি এবং অন্যরা ৩টি আসন। রিপাবলিক টিভি-পি এমএআরকিউয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি ৮৫-১০০টি, কংগ্রেস ৯৪-১০৮টি, কুমারস্বামীর দল ২৪-৩২টি এবং অন্যরা ২-৬টি আসন পেতে পারে।

    সুবর্ণ নিউজ-জন কি বাতের মতে, বিজেপি পেতে পারে ৯৪-১১৭টি, কংগ্রেস ৯১-১০৬টি, কুমারস্বামীর দল ১৪-২৪টি এবং অন্যরা ০-২টি আসন পেতে পারে। টাইমস নাও-ইটিজির সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি ৮৫টি, কংগ্রেস ১১৩টি, কুমারস্বামীর দল ২৩টি এবং অন্যরা ৩টি আসন পেতে পারে। টিভি ৯ ভারতবর্ষ-পোল্সট্রাটের (Karnataka Assembly) সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি পেতে পারে ৮৮-৮৯টি, কংগ্রেস ৯৯-১০৯টি, কুমারস্বামীর দল ২১-২৬টি এবং অন্যরা ০-৪টি আসন। জি নিউজ মার্টিজের সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি পেতে পারে ৭৯-৯৪টি, কংগ্রেস ১০৩-১১৮টি, কুমারস্বামীর দল ২৫-৩৩টি এবং অন্যরা পেতে পারে ২-৫টি আসন।

    আরও পড়ুুন: ইমরানকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, পাকিস্তানে এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও

    কর্নাটকের (Karnataka Assembly) শাসন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। বিরোধী দল কংগ্রেস। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে কুমারস্বামীর দল। রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও। তবে এক্সিট পোলের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে এবার ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে বিধানসভা। যদিও কুমারস্বামীর দল যাদের সঙ্গ নেবে, শেষ হাসি হাসবে তারাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: ইমরানকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, পাকিস্তানে এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও

    Imran Khan: ইমরানকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, পাকিস্তানে এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হয়েছেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। মঙ্গলবারের ওই ঘটনার পর থেকে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই নানা সময় শাসককে সরিয়ে দিয়েছে সেনা। কখনও আবার প্রতিদ্বন্দ্বীর হাতে খুন হয়েছেন সে দেশের প্রাক্তন শাসক। বস্তুত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি পদে বসা আক্ষরিক অর্থেই কাঁটার মুকুট পরা। সেনাবাহিনীর মর্জি মতো চলতে পারলে গদি থাকে, নচেৎ নয়। গত ৭৫ বছর ধরে এই ছবিই দেখে আসছে তামাম বিশ্ব।

    ইমরান খান (Imran Khan)…

    স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত পাকিস্তানের কুর্সিতে বসেছেন ৩০ জন প্রধানমন্ত্রী। যদিও তাঁরা কেউই পুরো মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। কারও মেয়াদ মাত্রই দু সপ্তাহের, কেউ আবার গদি বাঁচাতে পেরেছেন সর্বাধিক চার বছর দু মাস।এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ইমরান (Imran Khan)। প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে মাত্র এক বছরে পাঁচজন বসেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে। পাকিস্তানের ঠিক একদিন পরে স্বাধীনতা পাওয়া ভারতের এই সময়সীমার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মাত্র ১৮ জন। যদিও কোনওবারই ওই পদে বসেননি কোনও সেনা প্রধান।

    ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হুসেন সইদ সুরাবর্দিকে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। পরে গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। কখনও দুর্নীতির অভিযোগে, কখনও আবার সেনার নির্দেশে খোয়াতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি। গ্রেফতারও করা হয়েছে তাঁদের। এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো, বেনজির ভুট্টো, নওয়াজ শরিফ, সইদ খাগন আব্বাসি এবং ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বসেই খুন হন প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিকায়ত আলি খান।

    ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল জুলফিকার আলি ভুট্টোকে। রাওয়ালপিন্ডিতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন দু বারের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। প্রকাশ্যে খুন করা হয় তাঁকেও। বিমান ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয় সেনা শাসক প্রেসিডেন্ট মহম্মদ জিয়াউল হকের। ২০২২ সালে খুন করার চেষ্টা করা হয় ইমরানকেও। গত পঁচাত্তর বছরে খুন হয়েছেন পাকিস্তানের ৪৫ জন রাজনীতিবিদ। এদিকে, বুধবার ইমরানের (Imran Khan) আইনজীবীদের অভিযোগ, ইমরানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীরও অভিযোগ, যাতে তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয় তাই তাঁর খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে ইনসুলিন মেশানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Agitation: প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী, কী করলেন?

    Agitation: প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী, কী করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমে হাঁসফাঁস রাজ্যবাসী। খনি অঞ্চল অন্ডাল, উখড়া পাণ্ডবেশ্বরের তাপমাত্রার পারদ দিনে দিনে ৪০ পেরিয়ে আজ ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। তীব্র গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জেরে তিতিবিরক্ত শফিক নগর এলাকার বাসিন্দারা। পরিষেবা ঠিক করার দাবিতে বুধবার উখড়া বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভে (Agitation) সামিল হন এলাকাবাসী। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন উখরা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের স্টেশন ম্যানেজারকে। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্টেশন ম্যানেজারের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    প্রতিদিন রাতের দিকে নিয়ম করে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে রাত দশটা থেকে রাত আড়াইটে পর্যন্ত এই সমস্যা থাকে। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে পাল্লা দিলে লোডশেডিং হওয়ায় চরম নাকাল হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। শেখ শওকত আলী নামে শফিক নগর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বারবার লোডশেডিং এর সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। গরমে লোড শেডিংয়ের জেরে রাতে ঘুমোতে পারছি না। প্রতিদিন নিয়ম করে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। বয়স্ক লোকজনদের চরম কষ্ট হচ্ছে। আমরা বিদ্যুৎ পরিষেবা দ্রুত উন্নত করার জন্য আন্দোলনে (Agitation) সামিল হয়েছি। আমাদের দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন (Agitation) চলবে। প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক?

    উখরা বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার বলেন, গরমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে, সব সময় সমস্যা থাকে এমন নয়। আমরা যতটা পারছি পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ওই এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনলাম। তাদের দাবিপূরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কারণ, অকারণে কোথাও লোডশেডিং করা হয় না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে”, কনভয়কাণ্ডে আদালতে সওয়াল শুভেন্দুর আইনজীবীর

    Suvendu Adhikari: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে”, কনভয়কাণ্ডে আদালতে সওয়াল শুভেন্দুর আইনজীবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। প্রথম গাড়িতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা। দুর্ঘটনা ঘটে সাত নম্বর গাড়িতে।” কনভয় বিতর্কে বুধবার এই কথাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চণ্ডীপুরকাণ্ডে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcatta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই মামলার শুনানিতে সওয়াল করতে গিয়ে এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, রাজ্য কথা দেওয়ার পরেও কনভয়ে সঠিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। তবে শুভেন্দু সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও, মৃতের পরিবারের দাবি সিআইডি তদন্তের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আইনজীবীর দাবি…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, চণ্ডীপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কনভয়ের ৭-৮ নম্বর গাড়িতে দুর্ঘটনা। এই ঘটনা ঘটতই না যদি হাইকোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্য শুভেন্দু অধিকারীর সুরক্ষা বলয়ের জন্য পদক্ষেপ করত। তাঁর দাবি, তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক। এফআইআরের ওপরও স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।

    বৃহস্পতিবার রাতে দিঘা নন্দকুমার জাতীয় সড়কের চণ্ডীপুরে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের ইস্রাফিল খানের। শুভেন্দুর কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগ তুলে চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইস্রাফিলের বাবা সফিরউদ্দিন। ঘটনায় গাড়ির চালককে আটক করেছে পুলিশ। মৃতদেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে প্রতিবাদ মিছিলও করে তৃণমূল।

    আদালতে (Calcatta High Court) শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, আরটি ভেহিক্যালস, ক্যামেরা, রুট লাইনিং এই তিনটি বিষয় জেড সুরক্ষা বলয়ে সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। হাইকোর্টের নির্দেশে এই তিনটি বিষয় শুভেন্দুর সুরক্ষা বলয়ে দেওয়ার কথা রাজ্যের। রাজ্য না দেওয়ায় দুবার রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদন করেন শুভেন্দু। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন কানে তোলেনি রাজ্য। শুভেন্দুর কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তব্যরত কোনও জওয়ানকে এভাবে গ্রেফতার করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানকে গ্রেফতার ও একদিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, চণ্ডীপুরের ঘটনায় এফআইআর ও পুলিশের পদক্ষেপ নির্দষ্ট স্বার্থসিদ্ধির জন্য।

     

  • Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমে তীব্র জল সঙ্কটে অতিষ্ঠ হয়ে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকায় রাজ্য সরকার অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। তবে, শুধু বুধবার নয়, মঙ্গলবারও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। বাড়ির সব কাজ ফেলে মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে এদিন বালতি হাতে নিয়ে অবরোধে সামিল হন। অবরোধের জেরে আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের গড়বাড়ি এলাকায় পানীয় জলের জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মাধ্যমে ট্যাঙ্ক বসানো হয়। পরে গ্রামে গ্রামে সেই প্রকল্পের কলও বসানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, সেই কল থেকে জল পাননি গড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। যার জেরে ওই গ্রামে তীব্র জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়েই আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকার মানুষ মঙ্গলবার বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। কিন্তু, সমস্যার সমাধান হয়নি। এদিন ফের ওই এলাকায় আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা।

    কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ঘটা করে গ্রামে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে কল বসানো হয়। কিন্তু, সেখান থেকে পানীয় জলের পরিষেবা পাওয়া যায় না। প্রকল্প নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এই তীব্র গরমে এলাকাবাসীকে জল কিনে খেতে হচ্ছে। অনেকে দূরের কোনও এলাকা থেকে জল নিয়ে এসে প্রয়োজন মেটাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই জলের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই নিয়ে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, ঘটা করে জলপ্রকল্প করে কী লাভ হল। আসলে তৃণমূলের নাটক এবার শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই মানুষ বুঝতে পেরে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এভাবে আর বেশি দিন নয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share