Tag: bangla news

bangla news

  • G 20: শ্রীনগরে জি-২০-র বৈঠক, ভূস্বর্গে ব্যাপক প্রচার

    G 20: শ্রীনগরে জি-২০-র বৈঠক, ভূস্বর্গে ব্যাপক প্রচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর জি-২০র (G 20) সভাপতিত্ব করার দায় বর্তেছে ভারতের (India) ওপর। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় জি-২০ উপলক্ষে হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান হবে কাশ্মীরেও। সেই কারণে ভূস্বর্গের বিভিন্ন জেলায় এ নিয়ে শুরু হয়েছে প্রচার। ভারতের সভাপতিত্বেই যে এবার জি-২০-র বৈঠক হচ্ছে, ভারতে তাও প্রচার করা হচ্ছে। কাশ্মীরের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই ভারতের এই গর্বিত নেতৃত্বই তুলে ধরার চেষ্টা চলছে। এই সচেতনতা প্রচারের লক্ষ্যে সম্প্রতি কাশ্মীরের বারমুলা জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘রান ফর জি-২ ওয়াকাথন’। দৌড় শুরু হয় গভর্নমেন্ট বয়েজ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে। রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাঞ্চলের নানা স্কুলের পড়ুয়া, তাঁদের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীরা অংশ নেন এই দৌড়ে।

    তরুণদের পাশাপাশি রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে জি-২০ (G 20) সম্পর্কে ভারতের গুরুদায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। বারমুলার ডেপুটি কমিশনার সইদ শেরিষ আসগর বলেন, রাজ্যের ইউথ সার্ভিসেস এবং স্পোর্টস ডিপার্টমেন্ট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। লক্ষ্য হল, রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে এ ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তোলা। তিনি আরও বেশি সংখ্যক পড়ুয়া এবং সাধারণ মানুষকে এই প্রচার কর্মসূচিতে যুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে। উপত্যকায় যে বৈঠক হতে চলেছে, সেখানে যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন, সে ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতেই জোরকদমে চলছে প্রচার কর্মসূচি।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যাভিষেক রাজা তৃতীয় চার্লসের, জানুন রাজকীয় প্রথা সম্পর্কে

    কেবল বারমুলা নয়, রাজ্যের অন্যান্য জেলায়ও পালিত হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচার কর্মসূচি। বান্দিপোরায় ইউথ সার্ভিসেস এবং স্পোর্টস ডিপার্টমেন্ট ওয়াকাথনের আয়োজন করেছিল। অংশ নিয়েছিল জেলার বিভিন্ন স্কুলের ১২০০ পড়ুয়া। বদগামে ইউথ সার্ভিসেস এবং স্পোর্টস ডিপার্টমেন্ট ওয়াকাথনের আয়োজন করেছিল। তাতেও অংশ নিয়েছিল প্রচুর পড়ুয়া। প্রসঙ্গত, ২২ থেকে ২৪ মে শ্রীনগরে হবে জি-২০-র (G 20) বৈঠক। বিশ্বের ২০টি প্রধান অর্থনীতির দেশ এর সদস্য। এই দেশগুলি হল আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • KCF: মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তান জঙ্গী পরমজিৎ সিং পঞ্জর খুন

    KCF: মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তান জঙ্গী পরমজিৎ সিং পঞ্জর খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকালে অজ্ঞাত পরিচিত বাইক আরোহী দুষ্কৃতিদের গুলিতে খুন হলেন খালিস্তানী জঙ্গী নেতা পরমজিৎ সিং (KCF)। লাহোরের কাছে জোহর শহরে থাকতেন তিনি। সকালে হাঁটতে গেলে আচমকাই রাস্তায় হাঁটার সময় খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতিরা। সেই সঙ্গে ঘটনা স্থলে মৃত্যু হয় তাঁর দেহরক্ষীর। কিন্তু কারা খুন করেছে এখনও স্পষ্ট হয়নি।  

    কে ছিলেন পরমজিৎ সিং?

    ১৯৮৯ সালে খালিস্তান কমাণ্ডো ফোর্সের (KCF) প্রধান লাভ সিং-এর আততায়ীদের গুলিতে মৃত্যু হয়। এই লাভ সিং ছিলেন পরমজিৎ এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। লাভ সিং মারা গেলে পরমজিৎ সিং খালিস্তান কমাণ্ডো ফোর্সের (KCF) প্রধান দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৯০ সাল থেকে পরমজিৎ পাকিস্তানে গিয়ে সেখান থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা শুরু করেন।

    পরমজিৎ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ভারত সরকারের কাছে পরমজিৎ (KCF) একজন ইউপিএ আইনের ধারায় প্রধান অভিযুক্ত জঙ্গী। প্রত্যক্ষভাবে পাকিস্তানে বসে জঙ্গী নাশকতা মূলক কাজকে পরিচালনা করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে চোরাকারবার, জালনোটের ব্যবসা, অস্ত্র জোগান, অস্ত্র চোরাচালান ইত্যাদির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ছিল। ভারতের পাঞ্জাবকে উত্তপ্ত করার নানা কৌশল তিনি করতেন বলে বিশেষ অভিযোগ রয়েছে। এককথায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে মোস্ট ওয়ান্টেড বলে স্বীকৃতি দিয়ে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে তাঁকে। পরমজিৎ ইউপিএ ধারায় প্রায় ২২ টি মামলায় অভিযুক্ত ছিল বলে জানা গেছে। তিনি পাকিস্তানে শিখ যুবকদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিতেন। যুবকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের কর্মকে বিশেষ পরিণতি দিয়ে থাকতেন। এই লাহোর শহরেই ২০২০ সালে খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স অন্যতম প্রধান নেতা হরমিত সিং কে (KLF) ঠিক একই কায়দায় অজ্ঞাত পরিচিত আততায়ীদের হাতে গুলি বিদ্ধ হয়ে নিহত হতে হয়েছিল।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • King Charles III: রাজ্যাভিষেক রাজা তৃতীয় চার্লসের, জানুন রাজকীয় প্রথা সম্পর্কে

    King Charles III: রাজ্যাভিষেক রাজা তৃতীয় চার্লসের, জানুন রাজকীয় প্রথা সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজা হয়েছিলেন গত সেপ্টেম্বরেই, রানি (Queen) প্রয়াত হওয়ার পরেই। তবে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যাভিষেক হল তৃতীয় চার্লসের (King Charles III)। ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবেতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার পদস্থ অতিথি সাক্ষী রইলেন এই রাজকীয় অনুষ্ঠানের। রাজ্যাভিষেকের এই অনুষ্ঠান দেখতে এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে সেন্ট্রাল লন্ডনে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের ২০৩টি দেশের প্রতিনিধিরা। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যাভিষেক হয় তৃতীয় চার্লসের। এখন থেকে তিনি ব্রিটেন তো বটেই, হলেন আরও ১৪টি দেশেরও রাজা। ইংল্যান্ডের চার্চের সুপ্রিম গভর্নরও তিনি-ই।

    তৃতীয় চার্লসের (King Charles III) রাজ্যাভিষেক… 

    এদিন বিকেলে ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি তৃতীয় চার্লসের মাথায় তুলে দেন ৩৬০ বছরের পুরানো খাঁটি সোনার রাজ মুকুট। এক সময় এই মুকুট পরেছিলেন সেন্ট এডওয়ার্ড। এর পরেই অ্যাঙ্গলিকান চার্চের আধ্যাত্মিক নেতা ঘোষণা করেন, ঈশ্বর রাজাকে রক্ষা করুন। এদিন রাজ্যাভিষেকের (King Charles III) মূল অনুষ্ঠানটি হয় দু ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে। ১৯৫৩ সালে রাজ্যাভিষেক হয়েছিল তৃতীয় চার্লসের মা দ্বিতীয় এলিজাবেথের। সেদিন অনুষ্ঠান হয়েছিল ঘণ্টা তিনেক ধরে। হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে যে প্রথা ব্রিটেনে চলে এসেছে, এদিন সেই প্রথা মেনেই হয়েছে রাজ্যাভিষেক। আর্চবিশপ বলেন, ইংল্যান্ডের চার্চ দেশে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবে যাতে বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারেন।

    আরও পড়ুুন: ‘শান্তিনিকেতনে’র উঠোন দিয়ে গেল ডিএ-র দাবিতে মিছিল, উঠল ‘চোর, চোর’ স্লোগান

    রাজমুকুট পরানোর আগে পালিত হয় ধর্মীয় রীতি। ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ তৃতীয় চার্লসকে পবিত্র তেল মাখান। পরে তাঁকে পরানো হয় রাজকীয় পোশাক। এর পরেই আর্চবিশপ ব্রিটিশ জনগণের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের নতুন রাজার কল্যাণে প্রার্থনা করতে বলেন। তৃতীয় চার্লসের (King Charles III) মাথায় রাজমুকুট তুলে দেওয়ার পর রানি হন তাঁর স্ত্রী ক্যামেলিয়া। একটি ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে রানি ঘোষণা করা হয়। তাঁর মাথায় তুলে দেওয়া হয় রানি মেরির ক্রাউন। প্রসঙ্গত, এই প্রথম রাজা এবং রানির জন্য নতুন মুকুটের ব্যবস্থা করা হয়নি। তাঁরা দুজনেই পরেছেন তাঁদের পূর্বসূরিদের মুকুট। অনুষ্ঠানে বাইবেলের একটি অংশ পাঠ করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে ভারতের তরফে উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনখড়, সোনম কাপুর প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Abhishek Banerjee: অভিষেক জেলা সফরে আসার আগেই তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক! জেলা জুড়ে শোরগোল

    Abhishek Banerjee: অভিষেক জেলা সফরে আসার আগেই তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক! জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনের সপ্তাহে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তার আগেই অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূম জেলায় একের পর এক তৃণমূল নেতা দল ছাড়ছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসক দলের একের পর এক পদাধিকারী দল ছাড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কোন কোন নেতা তৃণমূল ছাড়লেন?

    আগামী ৯, ১০ এবং ১১ মে জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আসছেন। জেলার একাধিক ব্লকে এই কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে। তার ঠিক আগেই রামপুরহাট ১ ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রিয়াজুল হক শুক্রবার আচমকা পদত্যাগ করলেন। উল্লেখ্য, এই ব্লকেই বগটুই গ্রাম। এই গ্রামের প্রতি বিশেষ নজর দিতেই এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় অনুগামী রিয়াজুলকে ব্লক সভাপতি করা হয়। এমনকী শুক্রবার মালদহ থেকে কলকাতা ফেরার পথে রামপুরহাট রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বগটুই গ্রামকে মডেল গ্রাম করার নির্দেশ দিয়ে যান।এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বগটুই গণহত্যাকে সামনে রেখে রাজনৈতিকভাবে গ্রামে দখলদারি করতে চাইছে বিজেপি ও তৃণমূল। গত ২১ মার্চ শহিদ দিবস পালনে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে আচমকা সোশ্যাল মিডিয়ায় শারীরিক কারণ দেখিয়ে ও ব্যবসার প্রসঙ্গ তুলে ধরে শুক্রবার সকালেই পদত্যাগ করেন রিয়াজুল। রিয়াজুল বলেন, পদে থেকে দলকে সময় দিতে পারছিলাম না। আর ব্যবসার কাজও ঠিকমতো করতে পারছিলাম না। তাই, সভাপতির পদ থেকে আমি পদত্যাগ করলাম। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রামপুরহাটের যুব তৃণমূল নেতা সঙ্কেত সেনগুপ্ত শনিবার দল ছাড়লেন। তিনি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রামপুরহাট শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এদিন দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দল ছাড়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পারিবারিক অসুবিধা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে দল ছাড়লাম। আমার জায়গায় দল অন্য কাউকে দায়িত্ব দিলে ভাল হয়।

    কী বললেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি?

    এমনিতেই রিয়াজুল হক তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মির না পছন্দের তালিকায় ছিলেন। ফলে, যতদিন গিয়েছে, তত দূরত্ব বেড়েছে তাঁদের। ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “উনি আমার ব্লক কমিটিতে ছিলেন না। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বগটুই স্বজনহারা পরিবারের সদস্য ও সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিহিলাল শেখ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বগটুইকে মডেল গ্রাম করার প্রতিশ্রুতি ভোটের চমক ছাড়া কিছুই নয়। সংখ্যালঘু মানুষদের শুধু ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে তৃণমূল। সংখ্যালঘু মানুষ সেটা বুঝে গিয়েছে। আর কেউ ওদের পাশে থাকবে না। আর রিয়াজুল হক তৃণমূল ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রিয়াজুল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতার সরকারকে ‘টাইট’ দেওয়ার পথ বাতলালেন ডিএ আন্দোলনকারীদের, কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মমতার সরকারকে ‘টাইট’ দেওয়ার পথ বাতলালেন ডিএ আন্দোলনকারীদের, কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি জায়ান্ট কিলার! নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন হাজার দুয়েক ভোটে। তাই মমতার সরকারকে ‘টাইট’ দেওয়ার কৌশল তাঁর জানা আছে বলে নানা সময় দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাড়ায় মিছিল করেন বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীরা। তার আগে তাঁরা জড়ো হয়েছিলেন হাজরা মোড়ে। সেখানেই ভাষণ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাতলে দেন রাজ্য সরকারকে টাইট দেওয়ার কৌশলও।

    প্রশাসন সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মূল্যায়ন…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আপনারা মারপিট করার কোনও কর্মসূচি নেবেন না। রাজ্য প্রশাসন সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন, এরা নিষ্ঠুর, এরা বর্বর, এরা যে কোনও সময় খুন করতে পারে। এরা ট্রিগার হ্যাপি। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, আপনাদের নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। স্ত্রী-পুত্র, পরিবার, বাবা-মা আছেন। অনশন করে শরীর নষ্ট করা যাবে না। এর পরেই রাজ্য সরকারকে টাইট দেওয়ার উপায় বাতলে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, আপনাদের হাতে কলম আছে। কলমের খাপ বন্ধ করলেই টাইটটা হবে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এই বিজেপি নেতা বলেন, সরকারের সঙ্গে লাগাতার অসহযোগের পথে হাঁটলে সরকার এমনিতেই সমস্ত দাবিদাওয়া মেনে নিতে বাধ্য হবে। আন্দোলনকে জোরদার করতে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদেরও এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার ডাক দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: ‘শান্তিনিকেতনে’র উঠোন দিয়ে গেল ডিএ-র দাবিতে মিছিল, উঠল ‘চোর, চোর’ স্লোগান

    শুভেন্দু বলেন, আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। গণদেবতা ওঁকে হারিয়েছেন, আমাকে সামনে রেখে। উনি কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। আপনারা সবাই সাহায্য করুন। কে জিতবে ঠিক করবেন জনগণ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের এই অত্যাচারী শাসককে প্রাক্তন আমাদের করতেই হবে। তিনি বলেন, নিজের দলের ভোট চাওয়ার আগে বলতে হবে, নো ভোট টু মমতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যে লক্ষ লক্ষ পদে কর্মী নেই। সব চাকরি বেচে দিয়েছে। যাঁরা ধর্মঘটে গিয়েছিলেন, মমতার সরকার দমন-পীড়ন করে তাঁদের একদিনের বেতন কেটে নিয়েছে। বদলি করেছে।

    তিনি বলেন, এই আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে ভাস্করবাবু (আহ্বায়ক) সহ পুরো নেতৃত্বকে সমর্থন দিয়েছি আমরা। শুভেন্দু বলেন, জনগণ আমাদের এ রাজ্যের বিরোধী দল করেছেন। বিরোধী দলনেতা মানে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা নয়। যতজন সরকারের দ্বারা, সরকারি দলের দ্বারা আক্রান্ত হবে, তার বিরোধিতায় আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকবও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Andal: সরকারি প্রকল্পের সেড সহ দরজা-জানলা চুরি, খবর নেই পঞ্চায়েতে

    Andal: সরকারি প্রকল্পের সেড সহ দরজা-জানলা চুরি, খবর নেই পঞ্চায়েতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতিরা চুরি করে নিয়ে গেছে বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পের সেড সহ দরজা জানালা। শুক্রবার ঘটনাটি সামনে আসে অন্ডালের কাজোরা পঞ্চায়েত (Andal) এলাকায়। পঞ্চায়েত প্রধান বলেন খবর নিয়ে দেখব। থানায় চুরির অভিযোগ জানানো হয়েছে। এখন তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ।

    অভিযোগ কি ?

    ২০১৮-১৯ সালে (Andal) কাজোরা গ্রামপঞ্চায়েতের রায়দত্ত কোপাডাঙ্গা এলাকায় আনুমানিক কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল একটি কঠিন তরল বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্প। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার পর সম্প্রতি সেই প্রকল্পটিতে শুরু হয় বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজ। কিন্তু প্রকল্পটি চালু হতেই দেখা দেয় বিশেষ বিতর্ক। খনি সংস্থা ইসিএলের একটি সার্ভে দল এলাকাটি পরিদর্শন করে জানায় প্রকল্পের এলাকাটি ইসিএলের। জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানানো হয় পঞ্চায়েতকে। এরপরই প্রায় কিছুটা দূরে প্রকল্পটি স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু প্রকল্প স্থানান্তর হলেও পুরনো প্রকল্পটির দরজা-জানলা-টিনের সেড সহ কাঠামোগুলি স্থানান্তর করা হয়নি। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা আচমকা দেখতে পায় পুরনো প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রী টিনের সেড, লোহার দরজা, জানালা কিছু নেই। সম্ভবত সেগুলি চুরি করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতিরা এমনটাই স্থানীয়দের অভিযোগ। এরপর চুরির খবর পৌঁছায় কাজোড়া পঞ্চায়েত দপ্তরে।

    পঞ্চায়েত প্রধানের ভূমিকা

    পঞ্চায়েত প্রশাসনের (Andal) পক্ষ থেকে এই দিন দুপুরে অন্ডাল থানায় চুরির ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান প্রাণকৃষ্ট নুনিয়া জানান, রায়দত্ত কোপাডাঙ্গায় কঠিন তরল বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু ইসিএলের সাথে জায়গাটির মালিকানা নিয়ে ঝামেলা হওয়ার পরে পঞ্চায়েত তার প্রকল্পটি দূরে নিয়ে চলে যায়। সেড সহ কাঠামোগুলি পরে নতুন জায়গায় আনার পরিকল্পনা ছিল। আরও বলেন শুনলাম সেগুলি নাকি চুরি হয়েছে। আমি জানি না কি হয়েছে, গিয়ে খবর নিয়ে দেখতে হবে। তবে এদিন পঞ্চায়েত প্রধান বলেন স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পাই সেগুলি নাকি চুরি হয়ে গেছে। এলাকার মানুষ পঞ্চায়েত প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন। প্রশাসন সরকারি সম্পত্তির প্রতি কতটা দায়িত্বশীল সেই বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। পরে অন্ডাল থানায় অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান এক আধিকারিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা! কেন জানেন?

    TMC: দলীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যে কোথাও জলাশয় ভরাট করে কোনও কাজ করা যাবে না। আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করে এবার অবাধে পুকুর ভরাট হচ্ছে খড়দহ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। আর এই পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে শুরু হয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরের গোষ্ঠীকোন্দল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    জলাশয় ভরাট নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রাক্তন কাউন্সিলরের মধ্যে তরজা

    প্রাক্তন কাউন্সিলার সঞ্জীব পাল চৌধুরীর অভিযোগ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি জলাশয় রাতের অন্ধকারে পুরসভার ট্রাক্টর করে খাল সংস্কারের মাটি নিয়ে এসে ভরাট করা হচ্ছে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের (TMC) বর্তমান কাউন্সিলর মৌসুমী পালের নেতৃত্বে এই জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে এলাকায় ট্রাক্টর ঢোকার শব্দে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাই এই ঘটনায় সরব হয়েছে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও। যেখানে পুকুর ভরাটের ঘটনা ঘটছে, সেখানে এদিন বিক্ষোভ দেখান প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীরা। প্রাক্তন কাউন্সিলরের আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান কাউন্সিলর মৌসুমী পাল। তিনি বলেন, কোনও জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে না। আসলে এলাকায় একটি রাস্তা তৈরি হবে। প্রাক্তন কাউন্সিলর ৫ বছর ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। এলাকায় কোন উন্নয়ন করেননি। আমি উন্নয়নের কাজ করছি বলে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন তিনি।

    কী বললেন পুরসভার উপ পুরপ্রধান?

    তৃণমূল (TMC) পরিচালিত খড়দহ পুরসভার উপ পুরপ্রধান সায়ন মজুমদার বলেন, দুপক্ষের অভিযোগ পুরসভায় জমা পড়েছে। জলাশয় ভরাট করে কোনও উন্নয়নের কাজ পুরসভা বরদাস্ত করবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    পুকুর ভরাট নিয়ে শাসকদলেরই প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরদের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, গোটা রাজ্য জুড়েই বেআইনি কাজের সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) লোকজন জড়িত। এসবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে গর্জে উঠতে হবে। যতদিন যাবে তৃণমূলের এই ধরনের গোষ্ঠীকোন্দল আরও প্রকট হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ফের একবার ডিএ বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র, কত হবে বেতন?

    DA: ফের একবার ডিএ বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র, কত হবে বেতন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে এ রাজ্যে সরকারি কর্মীদের আন্দোলনের আজ, শনিবার শততম দিন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এদিনই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পাড়ায় মিছিল করেছেন আন্দোলনকারীরা। এহেন আবহে ফের একবার ডিএ বাড়াতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, ১ জুলাই থেকেই ৩ থেকে ৪ শতাংশ হারে বর্ধিত ডিএ দিতে পারে কেন্দ্র। চলতি বছরই মার্চ মাসে একবার ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ মতো বর্ধিত বেতনও পেতে শুরু করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। তার পর দু মাস পেরতে না পেরতেই ফের একপ্রস্ত বাড়তে চলেছে ডিএ। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পান সরকারি কর্মীরা।

    ফের বাড়ছে ডিএ (DA)…

    মূল্যবৃদ্ধির ক্ষতিপূরণ হিসেবে সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের ডিএ (DA) দেয় সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই এই দুই মাসে সংশোধিত হয় ডিএ। সরকারি কর্মীদের মূল বেতনের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় ডিএ। যাঁরা পেনশনভোগী তাঁদের ডিএ দেওয়া হয় মূল পেনশনের ওপর ভিত্তি করে। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের ওপর নির্ভর করে এই ডিএ বৃদ্ধির পরিমাণ। শ্রমমন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স কমেছিল ০.১ পয়েন্ট।

    আরও পড়ুুন: ‘শান্তিনিকেতনে’র উঠোন দিয়ে গেল ডিএ-র দাবিতে মিছিল, উঠল ‘চোর, চোর’ স্লোগান

    এপ্রিলে প্রকাশিত অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, মার্চ মাসে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বেড়েছে ০.৬ পয়েন্ট। প্রত্যাশিতভাবেই ফের বাড়তে চলেছে ডিএ। সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশে ডিএ আরও ৩ থেকে ৪ শতাংশ বাড়বে বলে সূত্র মারফত খবর। বর্তমানে দেশে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী রয়েছেন ৪৭.৫৮ লক্ষ। আর পেনশনভোগীর সংখ্যা ৬৯.৭৬ লক্ষ।

    বর্তমানে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ (DA) দেয় কেন্দ্র। অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকারও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিচ্ছে। কিছু দিন আগেই ঝাড়খণ্ড সরকারও সে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৪২ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। হিমাচল প্রদেশের সরকারও সে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়িয়েছে ৩ শতাংশ। যার জেরে ওই রাজ্যের কর্মীরা বর্তমানে ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • DA: ‘শান্তিনিকেতনে’র উঠোন দিয়ে গেল ডিএ-র দাবিতে মিছিল, উঠল ‘চোর, চোর’ স্লোগান

    DA: ‘শান্তিনিকেতনে’র উঠোন দিয়ে গেল ডিএ-র দাবিতে মিছিল, উঠল ‘চোর, চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বিগত কয়েক মাস ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ডিএ সংক্রান্ত মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। অতীতে, ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন তাঁরা। এবার আন্দোলনের শততম দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাড়া তথা তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে করলেন এক কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ মিছিল। আদালতের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনেই হয়েছে মিছিল। কেবল অভিষেকের প্রাসাদোপম বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় উঠেছে ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান।

    মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তা— হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের দু’ধারে ঠায় দাঁড়িয়ে সাদা পোশাকের কলকাতা পুলিশ। এঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা, তেমনি রয়েছেন ছোট কর্তারাও। ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই রাস্তায় আসা-যাওয়ার যাবতীয় বাই-লেন, বিশেষ করে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট ও হরিশ মুখার্জি রোড সংযোগকারী গলি। এহেন নিরাপত্তা বলয়ের পাশ দিয়ে শনিবার দুপুরে হরিশ মুখার্জি রোড ধরে গেল বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের মিছিল। 

    ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    এদিন দুপুর ১টা নাগাদ হাজরা মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। হরিশ মুখার্জি রোড ধরে এগোতে শুরু করে মিছিল। শঙ্খধ্বনি, স্লোগানে গমগম করতে থাকে গোটা এলাকা। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকেও সরকারি কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন এদিনের মিছিলে। মিছিলের মধ্যে একটি শববাহী-খাটিয়াও বয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। সেই খাটিয়ার গায়ে লেখা, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিবেক’। খাটিয়ায় শোয়ানো হয়েছিল একটি পুতুল। তার গলায় দেওয়া মালা। জ্বালানো হয় ধূপও। মিছিল এগিয়ে চলে ঢিমেতালে। মিছিলের (DA) পথে পড়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। মিছিল সেখানে পৌঁছতেই ঝড় ওঠে করতালির। আচমকাই বেড়ে যায় স্লোগানের মাত্রাও।

    আরও পড়ুুন: গরুপাচার করে কেষ্টর আয় ৭৭ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা! চার্জশিটে উল্লেখ ইডির

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে গত ১০০ দিন ধরে চলছে আন্দোলন। আন্দোলন হচ্ছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ব্যানারে। দাবি আদায়ে বন্‌ধ পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা। করেছেন কর্মবিরতিও। মহামিছিলও হয়েছে বার কয়েক। গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দিল্লির যন্তরমন্তরেও ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা (DA)। বেশ কিছুদিন ধর্মতলায় অনশনও করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। আদালতের নির্দেশে সরকারের সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছিলেন তাঁরা। তার পরেও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিল করার পরিকল্পনা করেন আন্দোলনকারীরা (DA)। ঠিক ছিল, ৬ মে ডিএর দাবিতে মিছিল হবে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়। যদিও প্রথমে পুলিশ এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। তার পরেই আন্দোলনকারীরা দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। তৃণমূলের ‘আঁতুড়ঘরে’ মেলে মিছিলের অনুমতি। তবে আদালত এই অনুমতি দিয়েছে শর্ত সাপেক্ষে। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মিছিল করতে হবে সুশৃঙ্খলভাবে। এমন কোনও স্লোগান সেখানে দেওয়া যাবে না, যাতে উত্তেজনা ছড়ায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MGNREGA: গ্রামীণ রাস্তায় বোর্ড লাগানো হলেও হয়নি রাস্তা, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

    MGNREGA: গ্রামীণ রাস্তায় বোর্ড লাগানো হলেও হয়নি রাস্তা, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনরেগা প্রকল্পে গ্রামীণ রাস্তা (MGNREGA) ঢালাইয়ের জন্য একবছর আগে টেন্ডার ডেকে কাজের খতিয়ান সম্পর্কিত বোর্ড লাগানো হলেও শুরু হয়নি রাস্তার কাজ। প্রধানের অভিযোগ কনট্রাক্টর কাজ করছেন না। রাস্তা না হওয়ায় ভীষণ ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

    অভিযোগ ঠিক কি!

    ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-১ ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাটবাড়ুই এলাকার। জানা যায়, খাটবাড়ুই থেকে হরেকৃষ্ণপুর পর্যন্ত একটি মোরাম রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এই রাস্তার (MGNREGA) উপর দিয়ে যাতায়াত একাধিক গ্রামের মানুষের। অভিযোগ, একবছর আগে এই রাস্তার ঢালাইয়ের জন্য উদ্যোগ নেয় দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতি। কাজের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এমনকী কাজের খতিয়ান উল্লেখ করে রাস্তার ধারে প্রকল্পের বোর্ডও বসানো হয়, কিছু মালপত্রও ফেলা হয়। কিন্তু এরপরে একবছর কেটে গেলেও ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। রাস্তা না করে কেন সাইনবোর্ড এটাই এলাকাবাসীর প্রশ্ন!

    স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য

    স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে খাটবাড়ুই গ্রামে আব্দুল হালিমের বাড়ি থেকে হরেকৃষ্ণপুর গণেশ খানের বাড়ি পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার বেহাল মোরাম রাস্তার জন্য ৪৩,০২,৫১৪ টাকা মোট ব্যয় ধার্য ধরা হয়। ২০২১-২২ অর্থ বর্ষের রাস্তার কাজের নির্ধারিত সময় অতিক্রম করলেও এখনও শুরুই হয়নি প্রকল্পের কাজ (MGNREGA)। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, কন্টাক্টর চাইলে কাজ শুরু করতে পারতো, চাইলে কাজটা ঠিক সময়ে শেষও করে দিতে পারত। অনেকবার বলা হয়েছে তাকে কিন্তু সে ইচ্ছে কাজ শুরু করেনি। পঞ্চায়েত প্রধান আরও বলেন প্রথমে কন্টাক্টর বলেছে জব কার্ডের টাকা মিলছে না তাই কাজ করা সম্ভবপর হচ্ছে না। কিন্তু যখন জব কার্ড রানিং ছিল তখন ইচ্ছে করেই কাজটি করেননি কন্ট্রাক্টর এমনটাই বক্তব্য প্রধানের। এনিয়ে আমরা ব্লকের বিডিওকে জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু বর্তমানের কন্টাক্টরের মোবাইল বন্ধ। আবার তৃণমূল পরিচালিত দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি তৃণমূল নেতা সুনীল ভৌমিক বলেন কেন্দ্রীয় সরকার মনরেগা প্রকল্পে টাকা বন্ধ করে দিয়েছে তাই কাজ বন্ধ।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয় দীপঙ্কর স্যানাল বলেন এই রাস্তা (MGNREGA) হল রাজ্য সড়কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গ্রামের রাস্তা। রাস্তায় প্রচণ্ড খানা খন্দে ভরা। অসুস্থ রোগীদের নিয়ে যেতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। প্রশাসন কেন বন্ধ করল কাজ বুঝতে পারছি না। আরেক বাসিন্দা স্বপন সাহা বলেন, প্রায় রোজ দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ যাতায়াত করেন এই রাস্তায়, কিন্তু প্রশাসন রাস্তার বিষয়ে কিছু সদর্থক ভূমিকা পালন করছেন না।  শাসকদল ও তার সরকারকে কটাক্ষ করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে দাসপুরের সিপিএম নেতা গুণধর বোস। সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারির কাছে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। এই রাস্তা এখন কবে সম্পন্ন হয় তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share