Tag: bangla news

bangla news

  • Baby: হাসপাতালে মায়ের কোল থেকে সদ্যোজাত শিশু চুরি! শোরগোল এলাকায়

    Baby: হাসপাতালে মায়ের কোল থেকে সদ্যোজাত শিশু চুরি! শোরগোল এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক সদ্যোজাত শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে হাসপাতাল জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়িবাড়ি বাতাসির চব্বিশ বছরের গৃহবধূ রঞ্জিতা সিংহ ১৮ এপ্রিল খড়িবাড়ি ব্লক হাসপাতালে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বুধবার তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এদিন দুপুরে ওই প্রসূতির বেড থেকে সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে তুলে নিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    প্রসূতির পাশের বেডের এক রোগীর আত্মীয়া বলেন, এদিন বেলা বারোটার পর রঞ্জিতা সিংহ নামে ওই প্রসূতির কোলে শিশুটি ছিল। প্রসূতিকে খাইয়ে দিচ্ছিলেন তাঁর মা। সে সময় তাঁর সন্তান কাঁদছিল। অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলা এসে তাঁর শিশুসন্তানটিকে শান্ত করার নাম করে নিয়ে যায়। বলে তুমি খাও। বাইরে থেকে বাচ্চাকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসছি। সরল বিশ্বাসে ওই প্রসূতি ও তাঁর মা তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানকে ওই মহিলার হাতে তুলে দেন। তার পরই মহিলা ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যায়। অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও শিশু নিয়ে মহিলা ফিরে না আসায় সকলে তার খোঁজ শুরু করে। কিন্তু, কোথাও তার হদিশ মেলেনি।

    কী বললেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন?

    হাসপাতালের প্রসূতিদের এই ওয়ার্ড থেকে বাইরে বের হতে গেলে তিনটি গেট অতিক্রম করতে হয়। সেখানে বেসরকারি সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে। তাহলে একটি শিশুকে নিয়ে এক মহিলা বেরিয়ে যাচ্ছে, তার ছুটি হয়েছে কি না বা সে কেন যাচ্ছে, তার কাছে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট রয়েছে কি না-এসব যাচাই কেন করা হয়নি, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রসূতির স্বামী নিত্যানন্দ সিংহ বলেন, বেসরকারি সিকিউরিটি গার্ড যাঁরা গেটে রয়েছেন, তাঁরা কেন ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসা করেননি। যে ওয়ার্ডে ঘুরছে, তার পরিচয় কি? যেখান থেকে আমার সন্তানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখান থেকে বাইরে বের হতে গেলে প্রসূতি ওয়ার্ডের প্রধান গেটের পাশেই রয়েছে নার্স ও ডাক্তারের টেবিল। সেখানে অনেক নার্স ও ডাক্তার থাকার পরও তাঁদের নজরে কেন ধরা পড়ল না?

    কী বললেন হাসপাতালে সুপার?

    এদিকে খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ আউটপোস্ট তদন্তে নামে। মেডিক্যাল কলেজের মূল গেটে পুলিশের লাগানো সিসিটিভিতে ধরা পড়ে, এক মহিলা একটি টোটোতে করে বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ টোটোচালককে আটক করে জেরা করছে। কোথায় ওই মহিলাকে টোটোচালক ছেড়ে এসেছে তা জানার জন্য টোটোচালককে নিয়ে পুলিশ সেই মহিলার সন্ধানে বেরিয়েছে। কেন হাসপাতালের সব জায়গায় সিসিটিভি নেই, নিরাপত্তা কেন ঢিলে-ঢালা, প্রসূতি ওয়ার্ডে বাইরের লোক কী করে ঢোকে? এধরনের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক। তিনি বলেন, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: কুন্তলের বিস্ফোরক চিঠিকাণ্ডে শুনানি হবে ‘সুপ্রিম’ রায়ের পর, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Kuntal Ghosh: কুন্তলের বিস্ফোরক চিঠিকাণ্ডে শুনানি হবে ‘সুপ্রিম’ রায়ের পর, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) বিস্ফোরক চিঠি মামলা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারাধীন। তাই এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের পক্ষ থেকে ৩টি হার্ড ডিস্ক ও অরিজিনাল ভিজিটর রেজিস্টার খাতা জমা দেওয়া হয় আদালতে। এইসব নথি সিল কভারে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ ছিল, সংশোধনাগারের সিসি টিভি ফুটেজ ও অরিজিনাল ভিজিটর রেজিস্টার খাতা পেশ করার।

    কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)…

    ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের এক সভায় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, সারদা মামলায় হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তলও (Kuntal Ghosh) একই অভিযোগ করেন। প্রেসিডেন্সি জেলে বসে ইডি এবং সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল। সেই চিঠির মূল বক্তব্য হল, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছেন ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কুন্তলের অভিযোগ, অভিষেকের নাম না বলায় তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচারও চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু নেতাদের খুন করতে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই?

    কুন্তলের  (Kuntal Ghosh) বিস্ফোরক চিঠি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রয়োজনে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সেই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, ২১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারের প্রবেশ ও বাহিরপথের সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে কারা গিয়েছিলেন, তা জানাতে ভিজিটর্স রেজিস্টার খাতা জেল কর্তৃপক্ষকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এদিনই ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশ মোতাবেক এদিন তিনটি হার্ডডিস্ক, ভিজিটর রেজিস্টার খাতা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেন প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Eid 2023: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

    Eid 2023: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন ঈদের দিন (Eid 2023) রেড রোডে নামাজ পড়বেন, এরমধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই। কিন্তু এবার এই ঘটনাকে ঘিরেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়েছে বিড়াল, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এমনই জোরালো অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের এক টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, রেড রোড এবং ময়দান এলাকা জুড়ে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য যাবতীয় বন্দোবস্ত করতে মাঠে নেমেছে রাজ্য সরকারই। তিনটি পৃথক কাজের জন্য সব মিলিয়ে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৬ লক্ষ টাকা। বিরোধী মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কোনও একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মাচরণের জন্য রাজ্য সরকার কি এভাবে দরাজ হস্তে দানধ্যান করতে পারে?

    ঈদের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে ঠিক কী বলা হয়েছে?

    এবার ৫ ই এপ্রিল জারি করা ওই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, ঈদ-উল-ফিতর (Eid 2023) উপলক্ষে আশপাশের গ্রাউন্ড থেকে আবর্জনা সরানো, মাঠ পরিষ্কার করা, বাস্কেটবল ক্লাবের সামনে জমে থাকা জলকাদা বালি দিয়ে ভর্তি করা ইত্যাদি কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৩ টাকা। ঈদ-উল-ফিতরের জন্য অস্থায়ী প্যান্ডেল, স্টেজ এবং আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৮৯ টাকা। ময়দান এলাকায় গেট এবং এই সংক্রান্ত কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৮৯ টাকা।  এই সমস্ত কাজই তিনদিনের মধ্যে শেষ করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এমনকি টাকা আরও লাগলে দেবে গৌরী সেন, এমনও আশ্বাস দিয়ে রাখা হয়েছে। 

    দল এবং সরকার একাকার হয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের সভাতেও

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে একই ধরনের একটি ঘটনা এভাবেই প্রকাশ্যে এসেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল শহিদ মিনারে। আর ওই সভার জন্য যাবতীয় বন্দোবস্ত করতে মাঠে নেমেছিল খোদ রাজ্য সরকার। সেবারও দেখা গিয়েছিল, পূর্ত দফতর রেড রোড এবং আশপাশের এলাকায় প্যান্ডেল তৈরি, ব্যারিকেড বসানো ইত্যাদি কাজের জন্য তড়িঘড়ি টেন্ডার ডেকেছিল। তখনও প্রশ্ন উঠেছিল, একটি রাজনৈতিক দলের জন্য সরকার কি এভাবে টাকা খরচ করতে পারে? বিরোধীরা তখনও তীব্র সমালোচনা করে বলেছিল, দল ও সরকার যে একাকার হয়ে গেছে, এটাই তার বড় প্রমাণ।

    তোষণের রাজনীতিরই জ্বলন্ত প্রমাণ, তোপ বিজেপির

    ঈদের (Eid 2023) ওই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্য সরকারের ব্যাপক সমালোচনায় নেমেছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, সরকার তাহলে সব জায়গাতেই নামাজ পড়ার জন্য খরচের ব্যবস্থা করুক। আর শুধু একটি ধর্ম কেন, সব ধর্মের জন্যই সরকার এমন দরাজহস্ত হোক। পরে এ ব্যাপারে ট্যুইট-বাণও নিক্ষেপ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

    বিজেপির সাফ কথা, তৃণমূল সরকারের তোষণের রাজনীতি যে কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে, তার আরও একটি জলজ্যান্ত প্রমাণ সামনে এল। বিজেপি নেতৃত্ব বলছে, যে রাজ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়, দুর্গাপুজোর বিসর্জনের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়, রাজ্যের একাধিক জায়গায় মিছিলে নির্লজ্জ আক্রমণের ঘটনা ঘটে, সেখানে ঈদের নামাজের যাবতীয় খরচ বহন করছে রাজ্য সরকার? এরপরেও সাধারণ মানুষের আর বোঝার কিছু বাকি থাকে কি?
    বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ, মুসলিমদের ঠকিয়ে রাজনীতি করার দিন যে শেষ, তা সাগরদিঘিই বুঝিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল সরকারের শেষের সেই দিন যে এগিয়ে আসছে, তা এই ধরনের তোষণনীতি থেকেই পরিষ্কার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘অভিষেকের নাম ভাঙিয়ে তোলা টাকা কুন্তল খাটাচ্ছে হাওয়ালায়’, বিস্ফোরক অভিযোগ তাপসের

    Recruitment Scam: ‘অভিষেকের নাম ভাঙিয়ে তোলা টাকা কুন্তল খাটাচ্ছে হাওয়ালায়’, বিস্ফোরক অভিযোগ তাপসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জেলে রয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। ওই একই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় জেলে রয়েছেন বারাসতের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া প্রধান শিক্ষক তাপস মণ্ডলও। বৃহস্পতিবার ফের বোমা ফাটালেন তিনি। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত চত্বরে তাপস বলেন, আগে আমি বলেছিলাম ১০০ কোটির খেলা। এখন যেটা শুনছি, সেটা হল ৫০০ কোটি টাকার খেলা। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে কুন্তল যে টাকা তুলেছে, সেই টাকা হাওয়ালায় খাটাচ্ছে। জেলে বসেই টাকা খাটাচ্ছে। জেলের ভিতরে অত্যাচার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ার অভিযোগও করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। এদিন সে প্রসঙ্গে তাপস বলেন, আরে সব নাটক। ওর নাটক আপনারা জানেন না তো! শুধু দেখতে থাকুন। আরও অনেক নাটক দেখবেন। তিনি বলেন, কেবল অভিষেক নন, দলের বহু নেতার নাম করে কুন্তল টাকা তুলেছে। কাউকে টাকা দেয়নি। সব টাকা ওর কাছেই আছে।

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)…

    তাপসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুন্তল বলেন, ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ভুলভাল বকছে। এদিন ফের একবার তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে (Recruitment Scam) সুর চড়িয়েছেন কুন্তল। তিনি বলেন, বিজেপির মুখপাত্র আর কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখপাত্র এক। তাহলে বুঝে নিন তদন্ত কোন দিকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, হাতে একটা আংটি থাকলে কেউ প্রভাবশালী হয় না। আমার হাতে আংটি নেই, ঘামাচি আছে। কাউকে ইঙ্গিত করিনি, যে বোঝার ঠিক বুঝে যাবে। কুন্তল বলেন, কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করব? পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমার সিনিয়র লোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাল কী, যে হাতে একটা আংটি থাকলে বলছে প্রভাবশালী। তাই বলছি আমার হাতে আংটি নেই, ঘামাচি আছে। তিনি ফের বলেন, বিজেপির মুখপাত্র আর কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখপাত্র এক, তা হলে তদন্ত কোন পথে যাচ্ছে বুঝে নিন।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু নেতাদের খুন করতে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই?

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কুন্তল ও তাপস। তাপস প্রথমে অভিযোগ করেছিলেন, শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কুন্তল কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। কুন্তলের পাল্টা অভিযোগ, তাঁর কাছে টাকা চেয়েছিলেন তাপস। সেই টাকা না দেওয়ার কারণেই ফাঁসাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • PFI: হিন্দু নেতাদের খুন করতে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই?

    PFI: হিন্দু নেতাদের খুন করতে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পিএফআইকে (PFI)। তার পরেও মহারাষ্ট্রের পুনের (Pune) কন্ধোয়া এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই। খবর পেয়ে রবিবার ব্লু বেলস নামের ওই স্কুলের দুটি তলা বন্ধ করে দিয়েছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, পিএফআইয়ের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে মুসলিম তরুণদের দক্ষিণপন্থী তথা হিন্দু নেতা ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের ওপর আক্রমণ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।

    পিএফআই (PFI)…

    চলতি মাসের ১৬ তারিখে ওই বেসরকারি স্কুলে হানা দেয় এনআইএ। চালানো হয় খানাতল্লাশি। এর পরেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ওই দুটি তলায়। পরের দিন খবরটি ট্যুইট করে জানায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেসরকারি ওই স্কুলটির চার ও পাঁচতলায় প্রশিক্ষণ শিবির চলছিল। এই শিবিরে মুসলিম তরুণদের কট্টরপন্থার প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। তাদের জঙ্গি তৈরির প্রশিক্ষণও দেওয়া হত। কীভাবে হিন্দু নেতাদের খুন করতে হবে, সেই প্রশিক্ষণও দেওয়া হত।

    ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছে পিএফআই (PFI)। জানা গিয়েছে, সেই মিশন সফল করতেই চালানো হচ্ছিল প্রশিক্ষণ শিবির। যারা এই মিশনের বিরোধিতা করছে, তাদের কীভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে, সেই প্রশিক্ষণও দেওয়া হত। ২০২২ সালেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পিএফআইকে। পিএফআইয়ের পক্ষে সওয়াল করে সুর চড়ায় নিষিদ্ধ আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস। এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরেও লুকিয়ে-চুরিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই।

    আরও পড়ুুন: দায়রা আদালতেও ধাক্কা, ‘মোদি’ অবমাননা মামলায় জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পুনের ওই এলাকা থেকে প্রচুর আপত্তিজনক লিফলেট, পোস্টার উদ্ধার হয়। তার পরেই জানা যায়, বন্দুক ছাড়াও অন্যান্য অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণও দেওয়া হত বেসরকারি ওই স্কুলের প্রশিক্ষণ শিবিরে। এদিকে, কর্নাটকের শিবমোগা মামলায় যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা, তাদের মধ্যে দু জনের ক্ষেত্রে ইসলামিক স্টেটের ভূমিকা প্রকাশ্যে এসেছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, এই দুজন ২৫টিরও বেশি নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এনআইএ জানিয়েছে, বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে ক্রিপ্টোকারেন্সি পেমেন্ট ব্যবহার করত পিএফআই (PFI)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Rahul Gandhi: দায়রা আদালতেও ধাক্কা, ‘মোদি’ অবমাননা মামলায় জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    Rahul Gandhi: দায়রা আদালতেও ধাক্কা, ‘মোদি’ অবমাননা মামলায় জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুরাট দায়রা আদালতেও ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হল জেলে যাওয়ার সম্ভাবনাও। ২৩ মার্চ গুজরাটের (Gujarat) সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে অপরাধমূলক মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দিয়েছিল, অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক আরপি মোগেরা বৃহস্পতিবার তার ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন। রাহুলের আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি মোদি (Modi) উপাধি নিয়ে মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীর সাজা স্থগিত হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আদালতের এই রায়ের জেরে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়েও সংশয় তৈরি হল।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)…

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোলারে মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে রাহুলকে (Rahul Gandhi) ২৩ মার্চ দু বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। রায় কার্যকর করতে ৩০ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল আদালত। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। তার প্রেক্ষিতেই ওই রায় দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এক জনসমাবেশে রাহুল বলেছিলেন, সব চোরেদের পদবি কীভাবে মোদি হতে পারে? আদালতের ওই সিদ্ধান্তের জেরে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, আইনের অধীনে আমাদের কাছে এখনও সব বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। আমরা সেগুলির সদ্ব্যবহার করার কথা ভাবছি।

    আরও পড়ুুন: রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ! নববর্ষের পর ফের জনসভা বাংলায়

    আদালতের রায়ের জেরে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাহুলের (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ করে দেন। তাঁকে দোষী ঘোষণা ও সাজার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ৩ এপ্রিল সুরাটেরই দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন রাহুল। সেই আবেদনই খারিজ হয়ে গেল এদিন। আইনজীবীদের মতে, আদালতের এই রায়ের ওপর যদি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ না দেয়, তাহলে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না রাহুল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chit Fund: সব চিটফান্ড মামলার বিচার হবে একই আদালতে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Chit Fund: সব চিটফান্ড মামলার বিচার হবে একই আদালতে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা (Sarada), রোজভ্যালি (Rose Valley), টাওয়ার, এমপিএসের মতো সব বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার (Chit Fund) বিচার প্রক্রিয়া হবে একই আদালতে। আগেই এ ব্যাপারে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পরেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আলাদা আলাদা আদালতে বিচার চলছিল নানা চিটফান্ড মামলার। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন চিটফান্ড মামলাগুলির বিচার করতে হবে আদালতের একই এজলাসে। আদালতের আরও নির্দেশ, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্ত বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মামলার বিচার প্রক্রিয়া সিবিআই আদালতে করার ব্যবস্থা করতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে।

    বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা (Chit Fund)…

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় এজেন্সির পাশাপাশি এমপিএসের কর্ণধার প্রবীর কুমার চন্দ্র সহ তিনজন আদালতে বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে মোট ২৮টি মামলা চলছে। সেগুলির তদন্ত করছে সিবিআই। সেই সমস্ত মামলা এক জায়গায় এনে বিচার করা হোক। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সব মামলা একই সিবিআই আদালতে চালানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সারদা, রোজভ্যালির মতো অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির (Chit Fund) বিরুদ্ধে মামলা চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। কিন্তু আজও সিবিআই কিংবা ইডি ওই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিতে পারেনি।

    ২০১৩ সালে প্রকাশ্যে এসেছিল সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি। তারপর থেকে ঝুলি থেকে বের হতে থাকে একের পর এক চিটফান্ড কেলেঙ্কারি। এমপিএস, পিনকন, টাওয়ার, ত্রিভুবন অ্যাগ্রো সহ বহু চিটফান্ডের বিরুদ্ধে দায়ের হয় একাধিক মামলা। সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। পরে গ্রেফতার করা হয় রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকেও। তারও পরে ধরা পড়েন আইকোর কর্তা অনুকূল মাইতি সহ অন্যরা। সেই থেকেই জেল খেটে চলেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: ‘গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’! মমতাকে কটাক্ষ করে আর কী কী বললেন সুকান্ত?

    ২০১৪ সাল থেকে সারদা ও রোজভ্যালি (Chit Fund) মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্ত শুরু হয়েছে নারদকাণ্ডেও। তার পর থেকে এ পর্যন্ত কোনও মামলায়ই চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সারদা কেলেঙ্কারির পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর এতগুলো বছর কেটে গেলেও, সেই ষড়যন্ত্রের কিনারা করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাবে তরমুজ-ডাবের জল, বিরিয়ানি কিংবা মদ্যপান কি বাড়াবে বিপদ?

    Heat Wave: তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাবে তরমুজ-ডাবের জল, বিরিয়ানি কিংবা মদ্যপান কি বাড়াবে বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কলকাতা, বাঁকুড়া, বর্ধমান থেকে মেদিনীপুর। তাপপ্রবাহ (Heat Wave) অব্যাহত! প্রত্যেকদিন বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তার সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি! শিশু, বয়স্কদের পাশাপাশি সকলেই এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় অসুস্থ বোধ করছেন। এই গরমে কীভাবে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন? হিট স্ট্রোক কিংবা মাশল ক্র্যাম্পের মতো বিপদ এড়াতে কী করবেন আর কোন দিক থেকে বাড়তে পারে বিপদ? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    গরমে সুস্থ থাকতে কোন কোন খাবার তালিকায় রাখতে হবে? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই মারাত্মক গরমে (Heat Wave) সুস্থ থাকতে খাবারের তালিকায় অবশ্যই বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ, নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে শারীরিক সুস্থতার সম্পর্ক ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে থাকে। তাছাড়া, এই গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা দেখা যায়। অর্থাৎ শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। যা মৃত্যুর আশঙ্কাও বাড়িয়ে তোলে। তাই কী খাওয়া হচ্ছে, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ফল খেতে হবে। বিশেষত, তরমুজ, পেঁপে, লেবু মেনুতে রাখতে হবে। তরমুজ, পেঁপের মতো ফলের মধ্যে জল থাকে, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখে। শরীরে বাড়তি জলের জোগান দেয়। লেবুতে থাকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি, যা যে কোনও রোগের মোকাবিলায় সাহায্য করে। তাই এই গরমে শরীর সুস্থ রাখতে তরমুজ, পেঁপের মতো ফল জলখাবারে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশপাশি, ডাবের জল খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কারণ, ডাবের জলের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তা শরীরে লবণ ও জলের ভারসাম্যকে বজায় রাখে, তাতে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া ডাবের জলে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এই গরমে ডাবের জল বিশেষ উপকারী। তাছাড়া ত্বক ভালো রাখতেও ডাবের জল সাহায্য করে। তাই নিয়মিত একটা করে ডাব খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    দুপুর কিংবা রাতের খাবারের তালিকাতেও হাল্কা ও সহজপাচ্য খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এই গরমে যদি বদহজম হয়, তাহলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের জন্য বিপদ আরও বেশি। তাই কম তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ভাত, সব্জি, হালকা সহজপাচ্য মাছের ঝোল খাবারের মেনুতে থাক, মত চিকিৎসকদের। 
    পর্যাপ্ত পরিমাণ জল অবশ্যই খেতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়ির বাইরে থাকলে জলের পাশপাশি নুন-চিনির সরবত সঙ্গে রাখতে হবে। এটি ওআরএসের মতো কাজ করবে। পরিমাণমতো জল না খেলে, শারীরিক সমস্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। অতিরিক্ত ঘাম হলে একাধিকবার স্নানের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাতে শরীর ঠান্ডা হবে, নানান শারীরিক অস্বস্তি এড়ানো যাবে। 

    কোন কোন দিক অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে?

    খাবারের মেনুতে অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার একেবারেই রাখা যাবে না। বিরিয়ানি, মোগলাই পরোটার মতো খাবার এই গরমে খেলে হজমের সমস্যা আরও বাড়বে, যা নানান শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। এই গরমে মদ্যপানেও রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত, অতিরিক্ত বিয়ার সেবন বিপদ ডাকতে পারে বলেও স্পষ্ট মত তাঁদের। অনেকেই চিলড বিয়ার পান করে গরম (Heat Wave) থেকে সাময়িক আরাম পেতে চাইছেন। কিন্তু এই অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। কারণ, বিয়ার পান করলে অতিরিক্ত ঘাম হয়। আর্দ্রতা বেশি থাকায় এমনিতেই দক্ষিণবঙ্গে গরমে ঘাম হয়। তার উপরে আরও বেশি ঘাম হলে, শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই মদ্যপানে রাশ টানা জরুরি। সফট ড্রিংকস, আইসক্রিমের ক্ষেত্রেও রাশ টানার পরামর্শ চিকিৎসকদের। বিশেষত রাস্তার রঙিন পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেই মত তাঁদের। 
    এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। অনেকক্ষণ ঘরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত কম করে রাখার পর হঠাৎ ঘর থেকে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি-জ্বর দেখা দিতে পারে। দ্রুত তাপমাত্রার তারতম্য বিপদ বাড়াবে। তাই এসি ঘর থেকে বেরনোর আগে কিছুক্ষণ এসি বন্ধ করে ধাতস্থ হয়ে বাইরে যাওয়া জরুরি। 
    ট্যালকম পাউডার ব্যবহার একেবারেই নয়। কারণ, এতে লোমকূপ ঢেকে যায়। ঘাম দেহ থেকে বেরতে পারে না। ফলে, শরীরের উত্তাপ বাড়ে, আবার নানান চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amartya Sen: ১৫ দিনের মধ্যে অমর্ত্য সেনকে জমি ছাড়ার নির্দেশ দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

    Amartya Sen: ১৫ দিনের মধ্যে অমর্ত্য সেনকে জমি ছাড়ার নির্দেশ দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) জমি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকে সকলের নজর ছিল। উচ্ছেদ নোটিশ দেওয়ার পর থেকে নোবেলজয়ীর জমি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ১৫ দিনের মধ্যে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) জমি ছাড়তে বলে বুধবার নোটিশ দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

    নোবেলজয়ীকে (Amartya Sen) দেওয়া বিশ্বভারতীর নোটিশে কী রয়েছে?

    বিশ্বভারতীর দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, অনুমোদিত দখলদার উচ্ছেদ আইন ১৯৭১ ধারা ৫-এর উপধারা ১-এর অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করে ফেরানো হবে বিতর্কিত ১৩ ডেসিমেল জমি। ৬ মের মধ্যে বিশ্বভারতীর প্লট নম্বর ২০১ উত্তর পশ্চিম কোণে ১৯০০/২৪৮৭ সুরুল মৌজার ১৯০০ জেএল নম্বর ১০৪ পাবলিক সম্পত্তির উপর অনুমোদিত দখল জমি খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কর্মসচিব ও এস্টেট অফিসার। ওই সময়সীমার মধ্যে জমি খালি করা না হলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারির পাশাপাশি প্রয়োজনে বল প্রয়োগের মাধ্যমেও খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর আগে ‘প্রতীচী’র গেটে উচ্ছেদের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল, ১৯ এপ্রিল এই জমি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বুধবারই সেই দিন ছিল। এবার তারা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল।

    বিশ্বভারতীকে জবাবি চিঠিতে কী  লিখেছিলেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)?

    ১৭ এপ্রিল বিশ্বভারতীকে জবাবি চিঠি দিয়েছিলেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। অমর্ত্য সেন চিঠিতে লিখেছিলেন, লিজের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত কেমন করে কেউ এই জমি দাবি করতে পারেন? পাশাপাশি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ আরও জানান, ‘প্রতীচী’–র জমির আইনশৃঙ্খলা এবং শান্তিরক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। এই জমি তাঁর বাবার। ১.৩৮ একর জমি অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) নামে মিউটেশন করা হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। মিউটেশন করার কথা জানানো হলেও বিশ্বভারতী তাঁদের নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shaista Parveen: আতিকের অনুপস্থিতিতে গ্যাং চালাতেন তাঁর স্ত্রী শইস্তা!

    Shaista Parveen: আতিকের অনুপস্থিতিতে গ্যাং চালাতেন তাঁর স্ত্রী শইস্তা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিলেন পুলিশ (Police) কনস্টেবলের মেয়ে। পরে হন কুখ্যাত গ্যাংস্টার প্রয়াত আতিক আহমেদের (Atiq Ahmad) স্ত্রী। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, স্বামীর মৃত্যুর ঢের আগেই আতিকের সাম্রাজ্যের রাশ হাতে তুলে নিয়েছিলেন শাইস্তা পারভিন (Shaista Parveen)। তাঁকে ধরিয়ে দিতে পারলেই মিলবে ৫০ হাজার টাকা। আতিকের গ্রেফতারির পর থেকে বছর একান্নর এই মহিলাই সামলাচ্ছেন মাফিয়ারাজ।

    শাইস্তা পারভিন (Shaista Parveen)…

    শাইস্তার বাবা ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল। নাম মহম্মদ হারুন। পরিবার নিয়ে তিনি থাকতেন প্রয়াগরাজের দামুপুর গ্রামে। প্রয়াগরাজের স্কুল থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন শাইস্তা। ১৯৯৬ সালে আতিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। গ্যাংস্টার স্বামীর সঙ্গে থাকতে থাকতেই অন্ধকার জগতে ঢুকে পড়েন শাইস্তা (Shaista Parveen)। ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন আইনজীবী উমেশ পাল। বিধায়ক রাজু পাল খুনের প্রধান সাক্ষী ছিলেন তিনিই। রাজু খুনে নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ভাই আসরফের।

    আরও পড়ুুন: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    জানা যায়, উমেশ খুনের কয়েক দিন আগে গুজরাটের সবরমতী জেলে আতিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শাইস্তা। সেখানেই উমেশ খুনের ষড়যন্ত্র করা হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে শাইস্তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। এর একটি উমেশ হত্যা সংক্রান্ত। বাকিগুলি দায়ের হয়েছিল ২০০৯ সালে। মামলাগুলি প্রতারণা সংক্রান্ত। এর ঢের পরে রাজনীতিতে আসেন শাইস্তা। ২০২১ সালে তিনি যোগ দেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএমে। ২০২৩ সালে করেন দলবদল। যোগ দেন মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টিতে। প্রয়াগরাজের মেয়র নির্বাচনে শাইস্তার দাঁড়ানোর জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও উমেশ হত্যায় নাম জড়ানোয় সেই জল্পনায় জল ঢেলে দেন বিএসপি নেতৃত্ব।

    উমেশ খুনের পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে লেখা চিঠিতে শাইস্তা জানিয়েছিলেন, ওই খুনের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁর পরিবারকে। ছেলে আসাদের মৃত্যুর পর থেকেই আর দেখা যাচ্ছে না শাইস্তাকে। তাঁর খোঁজে রাজ্য চষে বেড়াচ্ছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। প্রসঙ্গত, আতিকের এক আত্মীয় মহম্মদ জিশান জানান, একবার আতিক তাঁর ছেলেকে ২৫ জন শ্যুটার সহ জিশানের কাছে পাঠিয়েছিলেন। জিশানের জমি শাইস্তার (Shaista Parveen) নামে লিখে দিতে বলেছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন ৫ কোটি টাকাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
LinkedIn
Share