Tag: bangla news

bangla news

  • Ministry of Culture: ২০ এপ্রিল দিল্লিতে গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট, ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    Ministry of Culture: ২০ এপ্রিল দিল্লিতে গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট, ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ এপ্রিল হবে গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট। ওই অধিবেশনে উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অধিবেশন হবে দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের (Ministry of Culture) তরফে জারি করা এক বিবৃতিতেই জানা গিয়েছে এ খবর। দিল্লির অশোক হোটেলে সকাল ১০টায় ভাষণ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সম্মেলন চলবে এপ্রিলের দুদিন ধরে। ২০ এপ্রিল উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের সাংস্কৃতিক মন্ত্রকের সঙ্গে ইন্টার ন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশনের কোলাবরেশনে আয়োজন করা হয়েছে ওই সম্মেলনের। সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় হল, রেসপন্সেস টু কনটেম্পোরারি চ্যালেঞ্জস: ফিলসফি টু প্রাক্সিস।

    গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট…

    প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সম্মেলন গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট ধম্মের নেতৃত্বকে সামিল করার একটি চেষ্টা। বুদ্ধিস্ট এবং ইউনিভার্সাল উদ্বেগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে বলবেন বিভিন্ন দেশের পণ্ডিতরা। সম্মিলিতভাবে শোনা হবে তাঁদের বক্তব্য। সম্মেলনে বুদ্ধের ধম্মের মৌলিক মূল্যবোধগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। সমসাময়িক (Ministry of Culture) সেটিংস সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করা হবে। দেওয়া হবে নির্দেশনাও। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সম্মেলনে অংশ নেবেন বিশ্বের বিভিন্ন পণ্ডিত ব্যক্তি, সংঘ নেতা এবং ধম্ম অনুশীলনকারীরা। গ্লোবাল বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা। বুদ্ধের ধম্মের মূল্যবোধের বিশ্বজনীন মূল্যবোধের ভিত্তিতে আলোচনা করবেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, মূলত চারটি বিষয়ের ওপর আলোচনা হবে।এই চারটি বিষয় হল, বুদ্ধ ধম্ম ও শান্তি, বুদ্ধ ধম্ম: এনভায়রনমেন্টাল ক্রাইসিস, হেল্থ অ্যান্ড সাসটেনাবিলিটি, প্রিজারভেশন অফ নালন্দা বুদ্ধিস্ট ট্র্যাডিশন, বুদ্ধ ধম্ম পিলগ্রিমেজ, লিভিং হেরিটেজ অ্যান্ড বুদ্ধ রেলিক্স: এ রেসিলেন্ট ফাউন্ডেশন টু ইন্ডিয়াস সেঞ্চুরিস-ওল্ড কালচারাল লিঙ্কস টু কান্ট্রিস ইন সাউথ, সাউথ ইস্ট অ্যান্ড ইস্ট এশিয়া। ২০২০ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন অধ্যাপক রবার্ট থার্মান। বুদ্ধের (Ministry of Culture) মতাদর্শের ওপর তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য। এই সম্মেলনের মূল সুরটি বেঁধে দেবেন তিনিই। বিবৃতি থেকে আরও জানা গিয়েছে, ৩০টির বেশি দেশের ১৭০ জনেরও বেশি মাস্টার্স অংশ নেবেন এই সম্মেলনে। এখানে হবে ফটো প্রদর্শনীও। গত ১০ বছর ধরে ইন্টার ন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন কী কী কাজ করেছে, সেই ছবিও প্রদর্শিত হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jiban Krishna Saha: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    Jiban Krishna Saha: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সোমবার ভোরে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণের সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। এর পাশাপাশি রয়েছে বেনামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে ৪টি রয়েছে ওই তৃণমূল নেতার নামে। তাঁর স্ত্রী টগরী সাহার নামে রয়েছে ৩টি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, কত টাকাই বা রয়েছে, সে সংক্রান্ত যাবতীয় নথি ব্যাঙ্কের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, কেবল মুর্শিদাবাদ নয়, তৃণমূল বিধায়কের অ্যাকাউন্ট রয়েছে বীরভূমেও। এই দুই জেলা ছাড়াও অন্য কোথাও কোনও অ্যাকাউন্ট বিধায়কের রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) সম্পত্তি…

    জানা গিয়েছে, বীরভূমের সাঁইথিয়া, তালতোড়, তাতারপুর, বাঁধগোড়া ছাড়াও মুর্শিদাবাদের আন্দিতে জীবন (Jiban Krishna Saha) ও তাঁর স্ত্রীর নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। বোলপুরের তাতারপুর, বাঁধগোড়া, তালতোড় মৌজায় তাঁর জমি রয়েছে ১৩০ কাঠারও বেশি। জীবনের নামে এই সমস্ত জমি রেকর্ড হয়েছে ২০১৩-’২২ সালের মধ্যে।সাঁইথিয়ায় একটি চালকল, দুটি হিমঘর, একটি বাড়ি ছাড়াও সাঁইথিয়া থানার লাউটরি মৌজায় প্রায় ২২ কাঠা জমিও রয়েছে এই তৃণমূল বিধায়কের। সব মিলিয়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেশ কয়েক কোটি টাকা। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি বিক্রির দালাল হিসেবে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি টাকা তুলতে শুরু করেন। সেই সময়ই তিনি প্রচুর টাকা কামান। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই রাজনৈতিক মহলে পরিচিত জীবনকৃষ্ণ। সিবিআইয়ের দাবি, গরু পাচারেও উঠে আসছে তাঁর নাম।

    আরও পড়ুুন: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha)। কমিশনের কাছে পেশ করা এডিডেভিটে তিনি জানিয়েছিলেন, বন্ধন ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্টে ৪০ লক্ষের সামান্য বেশি কিছু টাকা রয়েছে তাঁর। ওই ব্যাঙ্কেই স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৮ লক্ষ টাকা। স্টেট ব্যাঙ্কের কুলি শাখায় তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৪ লক্ষ টাকা। বাকি অ্যাকাউন্টগুলির কোনওটায় ৮ লক্ষ, কোনওটায় বা ৫-৬ লক্ষ টাকা রয়েছে। পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্টে তাঁর নামে রয়েছে ১৫ লক্ষ টাকার। এমতাবস্থায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কীভাবে বেশ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল কীভাবে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vice Chancellor: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ৫ শিক্ষাবিদ, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি পুনর্গঠনে সায় রাজ্যের

    Vice Chancellor: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ৫ শিক্ষাবিদ, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি পুনর্গঠনে সায় রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষা (Education) ব্যবস্থার হালহকিকত খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। এই ঘটনায় রাজ্য-রাজভবনের সংঘাত বেড়েছে। রাজ্যপালের এই সারপ্রাইজ ভিজিটে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এহেন আবহে সোমবার রাজভবনে রাজ্যের পাঁচ শিক্ষাবিদকে নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুকান্ত চৌধুরী, শুভঙ্কর সরকার, কাজল দে এবং শিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এদিন মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে সর্বাগ্রে ছিল জাতীয় শিক্ষানীতি (Vice Chancellor)। ডিস্টেন্স লার্নিং ও রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলি নিয়েও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রকে নো কনফ্লিক্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। সকলের জন্য লাইব্রেরি, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্ত করা ও ভাবনা-চিন্তা আদানপ্রদানের বিষয়েও আলোচনা হয়।

    উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগে সার্চ কমিটি…

    এদিকে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটির পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে অর্ডিন্যান্স তৈরির জন্য সোমবার অনুমোদন মিলেছে রাজ্য মন্ত্রিসভার (Vice Chancellor)। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটিতে তিনজনের পরিবর্তে থাকবেন পাঁচজন সদস্য। ইউজিসির প্রতিনিধিকেও ফিরিয়ে আনা হবে। থাকবেন রাজ্যপালের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বা কোর্টের প্রতিনিধি, উচ্চ শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। সেই মতোই পাশ হয়েছে অর্ডিন্যান্স। সম্প্রতি নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সেখানকার সব চেয়ে সিনিয়র শিক্ষক চন্দন বসুকে দায়িত্বভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। নিয়ম অনুযায়ী, উপাচার্য পদে বসতে হলে প্রফেসর হিসেবে অন্তত ১০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। চন্দন বসুর তা নেই। এমতাবস্থায় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে সিনিয়র শিক্ষকদের তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    আরও পড়ুুন: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে ফাঁকা রয়েছে উপাচার্যের পদ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদও শূন্য হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী অস্থায়ী উপাচার্যের (Vice Chancellor) নামের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এবার তিনি কী করেন, তা দেখার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই বা তিনি কী করেন, সেটাও দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling:  দার্জিলিংয়ে উধাও ঠান্ডা! হতাশ পর্যটকরা

    Darjeeling: দার্জিলিংয়ে উধাও ঠান্ডা! হতাশ পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমে হাঁসফাঁস করছে গোটা রাজ্য। এবার এপ্রিল মাস পড়তে না পড়তেই দাবদাহে জনজীবন নাজেহাল। এই অসহনীয় গরম থেকে রেহাই পেতে কয়েকদিনের জন্য একটু শীতলতার খোঁজে দার্জিলিঙে (Darjeeling) পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কিন্তু, যে আশায় দলে দলে পর্যটকরা আসছেন, এখানে এসে তারা হতাশ হয়ে পড়ছেন। কারণ, এখন দার্জিলিং-এর  তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। ফলে, প্রত্যাশা মতো সেরকম ঠান্ডা এখন নেই দার্জিলিংয়ে (Darjeeling)। কালিম্পঙে গরম আরও বেশি, সেখানে তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি। শীতের আমেজে কয়েকটা দিন পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যটকরা। এই অস্বাভাবিক গরমে  শীতলতার খোঁজে সকলের পক্ষে কাশ্মীর যাওয়া সম্ভব নয়। তাই এবার এপ্রিলের শুরুতেই অস্বাভাবিক গরম পড়ায় দক্ষিণবঙ্গ থেকে দলে দলে পর্যটক পাহাড়ে বেড়াতে আসতে শুরু করেছেন।

    দার্জিলিং (Darjeeling) ঘুরতে এসে পর্যটকরা কী বলছেন?

    পর্যটকরা হতাশ হলেও একটু স্বস্তিতে রয়েছেন। বারাসতের সুধীর রঞ্জন সরকার, গড়িয়ার দীপেন ঘোষ বা পাইকপাড়ার শ্যামল সাহা সকলেরই বক্তব্য, দার্জিলিং-এ (Darjeeling) ঠান্ডা পাবো ভেবেই এসেছিলাম। কিন্তু, সেই ঠান্ডা নেই। এখানে তাপমাত্রা বেশি হলেও স্বস্তি রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে অসহনীয় গরমের মধ্যে থাকতে হয়, আর এখানে গরম সহ্য করা যাচ্ছে। এটাই স্বস্তি। তবে, যতটা আরাম পাব বলে আশা করেছিলাম,তাতে আশাহত হয়েছি।

    কী বললেন উত্তরবঙ্গের এক ট্যুর অপারেটর?

    উত্তরবঙ্গের অন্যতম ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল বলেন, অনেকেরই তিন মাস আগে থেকেই দার্জিলিং-এ (Darjeeling) আসার সবকিছু ব্যবস্থা করা ছিল। কাজেই সেই পর্যটকরা এসময় আসবেন জানাই ছিল। কিন্তু, হঠাৎ করে গরম পড়ায় কলকাতার দিক থেকে হিসেবের বাইরে দলে দলে পর্যটক আসছে। ফলে দার্জিলিং-এ হোটেল থেকে শুরু করে হোমস্টে কোথাও জায়গা নেই। এই সময় দার্জিলিং-এ ঠান্ডা থাকবে ভেবে অনেকেই হালকা গরম জামা কাপড় এনেছিলেন। কিন্তু দার্জিলিং-এ (Darjeeling) পৌঁছে পর্যটকদের যে তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তাতে সেই হালকা গরম পোশাক বাক্সবন্দী হয়ে রয়েছে। সমতলের মত পাতলা পোশাকে দিব্যি দার্জিলিং-এর ম্যাল চৌরাস্তা, চিড়িয়াখানা,মহাকাল মন্দির সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই সময় ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। গত ৩ এপ্রিল সান্দাকফুতে বরফ পড়ায় দার্জিলিং-এর (Darjeeling) তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যায়। তখন পুরোপুরি ঠান্ডা ছিল। অসময়ের এই তুষারপাতে খুশি হয়েছিলাম। পর্যটকরাও বরফ দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, তার কয়েকদিন পর থেকেই হঠাৎ করে দার্জিলিং-এর (Darjeeling) তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দা বিক্রম রাই বলেন, এতদিন শুনে এসেছি ক্লাইমেট চেঞ্জ হচ্ছে উষ্ণায়নের জন্য। এখন সেটা চোখের সামনে দেখছি। প্রকৃতির এই বিরূপ চেহারায় পাহাড়ও উত্তপ্ত হচ্ছে।

    হোটেল মালিকরা কী বলছেন?

    এদিকে এবার এই গরম পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি হোটেল মালিকরাও সিলিং ফ্যান কেনার কথা ভাবছেন। এক হোটেল মালিক বলেন, এতদিন দাজিলিং-এ ফ্যান লাগতো না। এখন যে ভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে হোটেলে এবার ফ্যান লাগাতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital:‘‘রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা আনিবেন’’! সরকারি হাসপাতালে পোস্টার-বিতর্ক

    Hospital:‘‘রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা আনিবেন’’! সরকারি হাসপাতালে পোস্টার-বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীরা হাসপাতালে যান চিকিৎসা করে সুস্থ হতে। কিন্তু তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাওয়া এই বাংলায় এমনও হাসপাতালের (Hospital) খোঁজ মিলল, যেখানে গিয়ে রোগীরা আধমরা হয়ে ফিরছেন। কেন এই শোচনীয় অবস্থা, তার উত্তর অবশ্য অনেকের কাছেই সহজ। রাজ্যজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে দুঃসহ অবস্থা মানুষের। বাড়িতে পাখার হাওয়া গায়ে লাগিয়েও তা থেকে যেন নিস্তার মিলছে না। এরকম একটা অবস্থায় কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশাল সংখ্যক রোগীর জন্য যদি গুটিকয়েক পাখা থাকে, তাহলে কী অবস্থা হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। ফলে প্রচণ্ড গরমে রোগীরা অসহনীয় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। রোগী এবং তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। এই অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।

    কোন পোস্টার ঘিরে শোরগোল?

    “ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Hospital) করুণ দশা। রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা বা ফ্যান আনিবেন।” হাসপাতালের বাইরে কে বা কারা এরকমই পোস্টার সেঁটে দিয়েছে। আর এটা নিয়েই এখন শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। কিন্তু কে এই পোস্টার লাগালো, তার হদিশ এখনও মেলেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব, তারা এ ধরনের কোনও পোস্টার লাগায়নি। 

    পাখা নিয়ে কী জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

    হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষের দাবি, একটি মাত্র পাখা আছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। হাসপাতালে যতগুলি পাখার পয়েন্ট রয়েছে, সবকটিতেই পাখা লাগানো আছে। হাসপাতালে মোট শয্যাসংখ্যা হল ৬০ এবং ফ্যান রয়েছে ১২টি। অর্থাৎ এক একটি ফ্যানের জন্য পাঁচজন রোগী রয়েছেন। ফলে সেই হওয়া যে সব রোগীর গায়ে লাগে না, সেকথা তারা স্বীকার করেছে। এই সমস্যা কাটাতে কিছু দেওয়াল ফ্যানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছে।

    কী জানালেন চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের বিডিও? 

    ক্ষীরপাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি (Hospital) চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের মধ্যে পড়ে। এখানকার বিডিও জানিয়েছেন, তিনি এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও অভিযোগপত্র পাননি। তবে এই ঘটনার কথা তাঁর কানে পৌঁছেছে। সেই কারণে বিষয়টি দেখার জন্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atiq Ahmed: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    Atiq Ahmed: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টার-রাজনীতিক আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) ও তাঁর ভাইকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিন অভিযুক্ত। এদের সঙ্গে বিশ্বহিন্দু পরিষদ (VHP) কিংবা বজরং দলের (Bajrang Dal) কোনও সম্পর্কই নেই। সোমবার এমনই দাবি করা হয়েছে বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে। আতিক সমাজবাদী পার্টির টিকিটে সাংসদ হয়েছিলেন। তিনি খুন হওয়ার পরে পরেই অভিযোগের আঙুল ওঠে বজরং দলের দিকে। বজরং দলের দিকে ওঠা এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বিশ্বহিন্দু পরিষদের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট অলোক কুমার বলেন, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দল আইন এবং সংবিধান মেনে কাজ করে।

    আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) খুনে…

    তিনি বলেন, আমরা যথাযথভাবে তদন্ত করেছি। আতিক ও তাঁর ভাই খুনে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে বিশ্বহিন্দু পরিষদ কিংবা বজরং দলের কোনও সম্পর্কই নেই। যা রটানো হচ্ছে, তা নিতান্তই মিথ্যে। অলোক কুমার বলেন, আইন হাতে তুলে নেওয়ার কথা আমরা কখনওই চিন্তা করি না। আমরা বিশ্বাস করি, তদন্তে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে খুন হন আতিক (Atiq Ahmed) ও তাঁর ভাই আশরাফ। আতিকের শরীরে ৯টি গুলি বিঁধেছে বলে জানা গিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, আতিক ও তাঁর ভাই আশরাফকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সাংবাদিক সেজে তাঁদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতরে ঢুকে পড়ে জনৈক লাভলেশ তিওয়ারি, সানি এবং অরুণ মৌর্য। খুব কাছ থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়।

    আরও পড়ুুন: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলার ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ

    বছর ষাটের আতিকের গায়ে ৯টি গুলি লাগলেও, আশরাফের গায়ে লাগে পাঁচটি বুলেট। ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় তিন আততায়ীকেই। পুলিশের দাবি, জেরায় তারা জানিয়েছে যে, আতিক (Atiq Ahmed) ও আশরাফকে খুন করে নিজেরা গ্যাংস্টার হওয়ার আশায়ই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। এর পরেই খুনের দায় চাপিয়ে দেওয়া হয় বজরং দলের ঘাড়ে। যদিও সেই অভিযোগ যে মিথ্যা, তা জানিয়ে দেওয়া হয় বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লি যাত্রা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি কি অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন, তা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রহস্যজনকভাবে মুকুল রায় নিখোঁজ হয়ে যান বলে খবর রটে যায়। যা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় বিষয়টি নিয়ে থানারও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও তখনও পর্যন্ত মুকুল রায়ের (Mukul Roy) অবস্থান সম্পর্কে কারও কিছু জানা ছিল না। পরে জানা যায়, তিনি দিল্লি গিয়েছেন। আর তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই মুখ খুললেন শুভ্রাংশু রায়।

    কী বললেন শুভ্রাংশু রায়?

    মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে সংবাদিক সম্মেলন করে শুভ্রাংশু রায় বলেন, বাবার মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নয়। বাবার (Mukul Roy) ব্রেন অপারেশন হয়েছে। পারকিনসন, ডিমেনশিয়া রয়েছে। হাই সুগার, হাই প্রেসার। সিরোসিস অব লিভার রয়েছে। দিনে ১৮ টা ওষুধ খান। ইনসুলিন নেন। বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে কোনও বড় টাকার খেলা রয়েছে। আমাকে না জানিয়ে দুই সঙ্গীকে নিয়ে দিল্লি গেছে বাবা। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার দুপুরে বাবার শারীরিক অবস্থা জানতে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদনাম করার জন্য রাজনীতি করা হচ্ছে। বাবাকে বিমানবন্দর থেকে ফেরাতে চেষ্টা করেছিলাম। সিআইএসএফ কোনওরকম সাহায্য করেনি। এয়ারপোর্ট থানায় বলেছি।

    বাবার কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? প্রশ্ন শুভ্রাংশু-র

    শুভ্রাংশু রায় আরও বলেন, বাবার (Mukul Roy) কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? বাবা এখন বেতন পান মাত্র একুশ হাজার টাকা। এজেন্সি একজন অবাঙালি ছেলেকে পাঠিয়ে ৫০ হাজার টাকা বাবার (Mukul Roy) হাতে দিয়েছে। অসুস্থ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আমাদের পরিবারের পাশে অভিষেক ব্যানার্জি যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তা কোনওদিন ভুলতে পারবো না। অসুস্থ মানুষ সেটিং করতে পারে? আমি চাই, বাবা রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নাতি-নাতনি নিয়ে থাকুন। পরিবারের সঙ্গে কাটান। পুলিশ সবরকম সহযোগিতা করছে। প্রথম কাজ বাবাকে (Mukul Roy) ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা। এয়ারপোর্ট থানা ও বিধাননগরের সিপি চেষ্টা করছেন। দিল্লি পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না। আর বাবা দিল্লিতে কোথায় আছে তা জানতে পারিনি। কারণ, বাবার ফোন সুইচড অফ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistan: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলার ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ

    Khalistan: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলার ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ১৯ মার্চ লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান খালিস্তানপন্থী (Khalistan) বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। দূতাবাস থেকে খুলে ফেলা হয় ভারতীয় তিরঙ্গা পতাকা খুলে ফেলার। সেই ঘটনার তদন্তভার নিল এনআইএ (NIA)। ভারতের কাউন্টার টেররিজম এবং কাউন্টার রেডিকালাইজেশন ডিভিশনের তরফে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় এনআইএর হাতে। প্রথমে দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ সেল এই ঘটনার তদন্ত করছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত মিলতেই তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় এনআইএর হাতে।

    খালিস্তানপন্থী (Khalistan) বিচ্ছিন্নতাবাদ…

    সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাথাচাড়া দিয়েছেন খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খালিস্তানের দাবিতে ভারতীয়দের ওপর হামলা চালাচ্ছেন তাঁরা। কখনও কোনও মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে, কখনও আবার মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হচ্ছে ভারত বিরোধী স্লোগান। মন্দিরে আসা ভক্তদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে কোনও কোনও জায়গায়। তবে সব চেয়ে বড় ঘটনাটি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা (Khalistan) ঘটান ১৯ মার্চ। ওই দিন লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাস থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা খুলে নেন ভারতের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা।

    তার আগে দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভও দেখান খালিস্তানপন্থীরা। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয়। ভারতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয় দূতাবাসের সামনের নিরাপত্তা নিয়ে। পাল্টা হিসেবে দিল্লিতে ব্রিটিশ দফতর থেকেও তুলে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। এর পরেই দিল্লি পুলিশকে লিগ্যাল অ্যাকশন নিতে বলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মামলা দায়ের করে শুরু হয় তদন্ত। ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারকেও তলব করে কেন্দ্র। চাওয়া হয় ব্যাখ্যা।

    আরও পড়ুুন: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিস ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। ঘটনাটি অসম্মানজনক ও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি। প্রসঙ্গত, স্বঘোষিত ধর্মগুরু অমৃতপাল সিংহের হাতেই বর্তমানে রয়েছে খালিস্তানপন্থী (Khalistan) আন্দোলনের রাশ। তাঁর খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও এখনও ছোঁওয়া যায়নি তাঁর টিকি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Suvendu Adhikari: উদ্যোগ শুভেন্দুর! ১৩ বছর আটকে থাকা রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে নন্দীগ্রামে

    Suvendu Adhikari: উদ্যোগ শুভেন্দুর! ১৩ বছর আটকে থাকা রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে নন্দীগ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নতুন করে সূর্যোদয় হতে চলেছে নন্দীগ্রামে। হ্যাঁ, সেই নন্দীগ্রাম, যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে এককালের সহযোদ্ধার (Suvendu Adhikari) কাছে শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হতে হয়েছিল বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলা বাহুল্য, পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর এই নন্দীগ্রাম শুভেন্দুর দখলে চলে যাওয়ায় এখানকার উন্নয়ন নিয়ে মমতাকে আর মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। এলাকায় কান পাতলে এমনটাই শোনা যায়। এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ, দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নন্দীগ্রামের উন্নয়নের জন্য যে রেলপথের সূচনা মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে হাতে করেছিলেন, সেদিকে আর তিনি ফিরে তাকাননি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ফের প্রাণ ফিরে পেতে চলেছে ওই রেলপথ। নন্দীগ্রামের অসম্পূর্ণ রেলপথ এবার সম্পূর্ণ হওয়ার পথে।  

    শুভেন্দুর উদ্যোগে কীভাবে এটা সম্ভব হচ্ছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশন সহ বিভিন্ন কিছু তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে নয় নয় করে প্রায় ১৩ বছর। এই রেলপথ চালু হলে কলকাতা বা হাওড়ার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা যে উন্নত হবে এবং এলাকার অর্থনীতিতে একটা জোয়ার আসবে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর তাই তৃণমূল সরকারের কাছে অবহেলিত এই রেলপথ নিয়ে তিনি দিল্লিতে রেলমন্ত্রকে দরবার শুরু করে দেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে যেমন ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে প্রকল্পের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন, তেমনি বারবার চিঠি দিয়েও রেলমন্ত্রককে মনে করিয়ে দিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে নড়েচড়ে বসেছে রেল মন্ত্রক। রেল সূত্রে খবর, ওই রেলপথের কাজ সম্পন্ন করার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব রেলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    আশার আলো দেখছেন নন্দীগ্রামবাসী

    এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আনন্দ এবং আবেগে ভাসতে শুরু করেছেন নন্দীগ্রামবাসী। দীর্ঘ ১৩ বছর তা পড়ে রয়েছে অনাদরে এবং অবহেলায়।  দেশপ্রাণ (বাজকুল) থেকে নন্দীগ্রাম-এই ১৭.২ কিলোমিটার রেলপথ তাঁদের কাছে আশার আলো। এই প্রকল্পের জন্য যাঁরা জমি দিয়েছিলেন, শুভেন্দুর  উদ্যোগে (Suvendu Adhikari) রূপায়ণ হওয়ার খবর জেনে তাঁরাও যারপরনাই খুশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: পায়ে হেঁটে লাদাখ জয় করে বাড়ি ফিরলেন আসানসোলের দেবু, বন্ধুকে ঘিরে উচ্ছ্বাস সতীর্থদের

    Ladakh: পায়ে হেঁটে লাদাখ জয় করে বাড়ি ফিরলেন আসানসোলের দেবু, বন্ধুকে ঘিরে উচ্ছ্বাস সতীর্থদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে আসানসোল শহরে এক যুবককে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন তাঁর বন্ধুবান্ধবরা। তাঁকে গলায় মালা পড়িয়ে বাজি ফাটিয়ে স্বাগত জানানো হল। কিন্তু, ওই যুবককে ঘিরে কেন এত আয়োজন। জানা গেল, ওই যুবকের নাম দেবু মুখোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি আসানসোলের মহিশীলা এলাকায়। তিনি পেশায় অটো চালক। পায়ে হেঁটে তিনি লাদাখ (Ladakh) জয় করে দুমাস পর বাড়ি ফিরেছেন। শত প্রতিকুলতা জয় করে তিনি তাঁর লক্ষ্যপূরণ করে ফিরেছেন বলেই তাঁর সতীর্থরা তাঁকে সংবর্ধনা দিয়ে আরও উত্সাহিত করেছেন।

    কেন পায়ে হেঁটে লাদাখ (Ladakh) যাওয়ার পরিকল্পনা?

    কয়েকমাস আগে দেবুর এক বন্ধু গাড়ি করে লাদাখ (Ladakh) গিয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও কারণে তিনি সেবার যেতে পারেননি। এরপর তিনি সাইকেল নিয়ে লাদাখ যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সাইকেল কেনার অর্থ জোগাড় করতে না পেরে তিনি পায়ে হেঁটে লাদাখ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।  ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি আসানসোল থেকে লাদাখের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। ২৪০০ কিলোমিটার পথ তিনি পায়ে হেঁটে যান। মূলত, গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান এই বার্তাকে নিয়ে তিনি পায়ে হেঁটে আসানসোল থেকে লাদাখ (Ladakh) গিয়েছিলেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে তাঁর এই উদ্যোগ। তাঁর এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আসানসোল তথা রাজ্যবাসী।

    নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কী বললেন লাদাখজয়ী (Ladakh)  যুবক?

    অটো চালক দেবু মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রায় দু মাস ধরে আমার যাত্রাপথে বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষকে পাশে পেয়েছি। তবে, পায়ে হেঁটে এতটা পথ পাড়ি দেওয়ার জার্নি খুব সহজ ছিল না। অনেকদিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। পায়ে ফসকা পড়ে গিয়েছে। পাশে পেয়েছি। বন্ধুদের। তাঁরা খবর পেয়ে আসানসোল থেকে আমার কাছে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা সকলেই আমাদের পাশে ছিলেন। আর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন মানুষও সাহায্য করেছেন। ফলে, এত কষ্টের পরও এই ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। আমার ইউব টিউব চ্যানেলে আমার সমস্ত জার্নি আপলোড করেছি। সকলে চাইলে আমার যাত্রাপথ কতটা কষ্টকর ছিল তা বুঝতে পারবেন।

    লাদাখজয়ী (Ladakh) বন্ধুকে নিয়ে কী বললেন সতীর্থরা?

    কৃষ্ণা দাস নামে এক বন্ধু বলেন, গত অক্টোবর মাসে আমি লাদাখ গিয়েছিলাম। ও যেতে পারেনি। সেই লাদাখ (Ladakh) ও পায়ে হেঁটে জয় করবে তা ভাবতে পারিনি। মনের জোর থাকলে যে সবকিছু করা সম্ভব তা দেবুকে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে। আমরা এই বন্ধুর জন্য গর্বিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share