Tag: bangla news

bangla news

  • Rishra: ছন্দে ফিরছে রিষড়া, পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিলেন লকেট

    Rishra: ছন্দে ফিরছে রিষড়া, পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিলেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বুধবার থেকে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে রিষড়া (Rishra)। রিষড়ার ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে হাতেগোনা দু-একটি মুদিখানা, সব্জির দোকান খুলেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্ক কাটিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে কেনাকাটাও করেছেন। তবে, রাস্তায় এদিন কোনও জটলা করতে দেয়নি পুলিশ। গোটা রিষড়া (Rishra) জুড়ে প্রায় ৭০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। এদিন এলাকায় দিনভর পুলিশি টহল রয়েছে। রিষড়া, শ্রীরামপুর দুজায়গায় এদিনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চন্দননগর ও হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠানো হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তির জেরে সোমবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবারও আতঙ্কে বিস্তীর্ণ এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এমনকী ব্যান্ডেল-হাওড়া লাইনে মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনও খাঁ খাঁ করেছিল। তবে, বুধবার ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় ছিল।

    পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার বালি থেকে ট্রেন রুটে রিষড়ায় (Rishra) গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ট্রেন থেকে নামার পর ব্যাপক পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পূর্ব ঘোষণা মতো রিষড়াকাণ্ড ইস্যুতে  বুধবার হুগলির চুঁচুড়ার ঘড়ি মোড়ে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত হন। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সেখানে হাজির হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি পুলিশ কমিশনারেট অফিসের দিকে যান। বিজেপি-র ডেপুটেশন কর্মসূচির জন্য আগে থেকেই পুলিশ কমিশনারেটের অফিসের সামনে গার্ডরেল দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সেখানে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। ফলে, বিজেপি কর্মীরা কমিশনারেটের অফিসের সামনে আসতেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। পরে, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনারের অফিসে যান। তবে, পুলিশ কমিশনার না থাকায় ডিসি (সদর) মিসেস নিধিরানির কাছে তাঁরা ডেপুটেশন জমা দেন। ডেপুটেশন দিয়ে বেরিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, খেলনা পিস্তল নিয়ে একজনকে রিষড়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আর যারা ট্রেনে পাথর ছুঁড়ল, এলাকায় হামলা চালাল পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিল না। সাগরদিঘিতে ভরাডুবি হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে এসব করছে। যারজন্য হনুমান জয়ন্তীতে গন্ডগোল হবে তা তিনি আগাম বলে দিচ্ছেন। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে রিষড়া (Rishra) নিয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য বলেছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mobile Phone: মোবাইলে আড়াই লাখের অর্ডার দিয়ে ফেলেছে মেয়ে! একরত্তিকে কী শাস্তি দিলেন মহিলা?

    Mobile Phone: মোবাইলে আড়াই লাখের অর্ডার দিয়ে ফেলেছে মেয়ে! একরত্তিকে কী শাস্তি দিলেন মহিলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র পাঁচ বছর। নাম লীলা ভ্যারিস্কো। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস-এর বাসিন্দা সে। মায়ের সঙ্গে গাড়িতে চেপে ফিরছিল বাড়ি। চালকের আসনে বসে আছেন মা। আর মেয়ে পিছনে সিটে বসে মায়ের মোবাইল (Mobile Phone) নিয়ে খেলতে ব্যস্ত।

    কিন্তু কে জানত, মোবাইল (Mobile Phone) নিয়ে খেলতে খেলতেই মেয়ে এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড বাধিয়ে ফেলবে! ঘটনাটা তখনই জানতে পারেননি মা। পরে বাড়ি ফিরে যখন মোবাইলের নানা জিনিস ঘাঁটাঘুঁটি করে দেখছেন, তখনই তাঁর নজর আটকে গেল একটি নামী অনলাইন কেনাবেচা সংস্থার অ্যাপে।  এ কী কাণ্ড! তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে অর্ডার চলে গেছে ওই সংস্থায়। তাও আবার এক-দু টাকার অর্ডার নয়। ডলারে যার অঙ্ক চার হাজারের কাছাকাছি। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। কিন্তু তিনি তো অর্ডার দেননি। তাহলে কী করে এমনটা হল। না, ধাঁধার মধ্যে তাঁকে বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যই তিনি বুঝে যান, কী করে এমনটা ঘটেছে। ‘বাই নাউ’ বাটনে ক্লিক করে দিয়েছে তাঁর আদরের কন্যাসন্তানই। ব্যস, এবার হ্যাপা সামলাও।

    মোবাইল (Mobile Phone) কী অর্ডার দিয়েছে শুনবেন?

    বাচ্চাদের খেলনা ১০টি মোটরসাইকেল, একটি জিপ এবং মেয়েদের সাত নম্বর সাইজের কাউগার্ল জুতো। এসব দেখে তো মাথায় হাত মহিলার। রাতেই ফোন করে ফেললেন সংস্থার কাস্টমার কেয়ারে। কিন্তু তখন অনেকটা সময় দেরি হয়ে গিয়েছে। হলে অর্ডার করার সব জিনিস তখনই ক্যানসেল করা যায়নি। কারণ বেশ কিছু জিনিস ওই সংস্থা যখন ডেসপ্যাচ করে দিয়েছে। ভাবছেন, ওই মহিলা আদরের মেয়েকে দু’ঘা কষিয়ে দিয়েছেন, দিয়েছেন চরম শিক্ষা। কিন্তু না তেমনটা ঘটেনি। তিনি মেয়েকে কিছুই বলেননি। তাঁর মতে, তিনি তাঁকে শাস্তি দিতে চান না। এই ঘটনার পর ভবিষ্যতের জন্য সে চরম শিক্ষা পাক, সেটাই তিনি চেয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে অশান্তি রুখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের  

    Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে অশান্তি রুখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। সামনেই হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। ফের যাতে অশান্তি না হয়, সেজন্য আগেভাগেই রাজ্যগুলিকে একটি অ্যাডভাইসারি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। হনুমান জয়ন্তীর প্রস্তুতি ও সেই অনুষ্ঠানের সময় যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।

    হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)…

    ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী। ওই দিন দেশের কোথাও যাতে অশান্তির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে বার্তা দিয়ে এই অ্যাডভাইসারি জারি করেছে কেন্দ্র। যে অ্যাডভাইসারি জারি হয়েছে, তা নিয়ে ট্যুইটে লেখা রয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) প্রস্তুতি নিয়ে অ্যাডভাইসারি জারি করছে। সরকারগুলিকে বলা হচ্ছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হয়। এবং সেই সমস্ত ফ্যাক্টরে যাতে নজর দেওয়া হয়, যা সাম্প্রদায়িক শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হনুমান জয়ন্তী প্রসঙ্গে সমস্ত রাজ্যকে অ্যাডভাইসারি দেওয়া হয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা, শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালন করা, সমস্ত বিষয় যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে, তা যাতে না ঘটে, সেদিকে নজর রাখার বিষয়ে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী! শান্তি বজায় রাখতে কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    প্রসঙ্গত, বুধবার হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) অনুমতি সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বাংলায় যেসব এলাকায় অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে, হনুমান জয়ন্তীর প্রাক্কালে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে ফ্ল্যাগ মার্চ করেছে পুলিশ। ওই এলাকায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অন্যান্য সংগঠনের তরফে কোনও শোভাযাত্রা বের করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত বছর দিল্লির ওই এলাকায়ই হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে হিংসা ছড়িয়েছিল। সেই ঘটনায় ৮ জন পুলিশ কর্মী ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জখম হয়েছিলেন।

    প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে ব্যাপক অশান্তি হয় হাওড়ার কাজিপাড়া ও শিবপুরে। অশান্তি হয়েছে হুগলির রিষড়াও। উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়েছে কোন্নগরেও। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই চলে এসেছে হনুমান জয়ন্তী। এদিন কোনও অশান্তি হয় কিনা, তাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: আদিবাসীদের সড়ক ও রেল অবরোধে স্তব্ধ জঙ্গলমহল, ব্যাপক ভোগান্তি

    Tribal People: আদিবাসীদের সড়ক ও রেল অবরোধে স্তব্ধ জঙ্গলমহল, ব্যাপক ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব ঘোষণা মতো বুধবার পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে রেল অবরোধে সামিল হলেন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People)। এদিন সকাল থেকেই তীর, ধনুক, ধামসা-মাদল নিয়ে সংগঠনের সদস্যরা স্টেশনে এসে জমায়েত হন। পরে, বিভিন্ন দাবিদাওয়ার স্লোগান তুলে রেল লাইনে নেমে অবরোধ শুরু করেন। সকাল পাঁচটা থেকে রেল অবরোধ শুরু করে। পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করা হয়। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামেও সংগঠনের পক্ষ থেকে রেল অবরোধ করা হয়। ফলে, এদিন সাধারণ মানুষ চরম নাকাল হন। হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

    আন্দোলনের জেরে কত ট্রেন বাতিল হল?

    সকাল থেকে রেল অবরোধ করার জন্য খড়গপুর-আদ্রা শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক ট্রেন বাতিল হয়ে যায়। আগাম রেল অবরোধের কথা ঘোষণা করায় দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুম্বই এবং আদ্রা শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়। জানা গিয়েছে, টাটা-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া -হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া-বরবিল জনশতাব্দী, হাওড়া-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু মেমু স্পেশাল বাতিল করা হয়েছে। এমনিতেই মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এদিন জাতীয় সড়কের পাশাপাশি রেলপথও অবরোধ করা হয়। ফলে, জাতীয় সড়কে লাইন দিয়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর নতুন করে রেল অবরোধ শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।

    আন্দোলন নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আমরা রাজ্য সরকারকে বহুদিন ধরে সময় দিয়েছি। কিন্তু, আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তাই, আমরা এর আগেই এই কর্মসূচি নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলাম। রাজ্য সরকার আমাদের দাবির বিষয়ে বিবেচনা না করলে আমরা এই আন্দোলন আরও জোরদার করব। প্রয়োজনে জঙ্গলমহল স্তব্ধ করে দেব। এর আগে ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ’ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত বলেন, ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকা জুড়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়। দাবিদাওয়া আদায়ে এবার সেই আন্দোলন আরও জোরদার করা হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Horse Carriage: ফাইট, মোস্তাক ফাইট! ৬৫ বছর বয়সেও শনশন করে টমটম ছোটাচ্ছেন মোস্তাক

    Horse Carriage: ফাইট, মোস্তাক ফাইট! ৬৫ বছর বয়সেও শনশন করে টমটম ছোটাচ্ছেন মোস্তাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অদম্য ইচ্ছাশক্তি। সঙ্গে সাহসও। এমনই দুই বৈশিষ্ট্যের যেন মেলবন্ধন বছর ৬৫ এর মোস্তাক আলি। ছোটবেলা থেকেই সংসারের জন্য লড়াই আর লড়াই। টমটম অর্থাৎ ঘোড়ার গাড়িই (Horse Carriage) তাঁর বন্ধু, জীবনসঙ্গী। তাই এলাকায় টমটম চালক হিসাবেই সুপরিচিত মোস্তাক।

    কলিয়াচকের (Kaliachak) ২ নম্বর ব্লকের পীরুটোলা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।  এই এলাকায় ৪টি ঘোড়ার গাড়ি দৌড়ায়। তার মধ্যে মোস্তাকেরটিই বেশি পরিচিত। কারণ এই বয়সেও (Old Age) তিনি অবিরাম একই কাজ করে চলেছেন উৎসাহের সঙ্গে। মুখে মৃদু হাসি, চোখেমুখে বয়সের ছাপ। তবুও যেন হার না মানা চরিত্র।

    এই মানুষটি তাঁর পেশা সম্পর্কে কী বলছেন?

    মোস্তাক আলি বলেন,  “ছোট থেকেই আমি এই কাজ করছি। অন্য কাজ আর কীই বা করব? তাই সাতপাঁচ না ভেবে এই কাজটিই আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত করতে চাই।” জানা গেল, তাঁর দৈনিক আয় ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, যা আজকের বাজারে অনেক কম হলেও সাহস আর মনের জোরে টমটম চালক হিসাবেই রয়েছেন কলিয়াচকে। বললেন, এক সময় অনেক যাত্রী হত। কিন্তু আজকাল কমে গেছে। তাই দোকানহাটে মাল বহন করে যা আয় হয়, তাতেই সংসার (Family) চলে। তিনি জানান, এক সময় এই অঞ্চলে পাঁচশোর বেশি ঘোড়ার গাড়ি (Horse Carriage) ছিল। সেসব গাড়ি বৈষ্ণবনগর, মোথাবাড়ি, সাহাবাজপুর, গোলাপগঞ্জ, কালিয়াচক প্রভৃতি রুটে ছুটে বেড়াত। তিনি এখন মোথাবাড়ি, অচিনতলা সিলামপুর ও কালিয়াচক রুটে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়েই জীবিকার নির্বাহ করেন।

    এই বয়সেও অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা মোস্তাক

    এক সময় এই এলাকা সহ পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গাতেই যোগাযোগের (Communication) মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হত এই টমটম। কিন্তু কালের নিয়মে তা আজ শেষের পথে। আজ এই এলাকায় ঘোড়ার গাড়ির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪টিতে। তবুও এই বয়সে মনের জোর নিয়েই মোস্তাক তাঁর ঘোড়ার গাড়িকে (Horse Carriage) ছুটিয়ে নিয়ে চলেছেন কলিয়াচক জুড়ে। আজ ৬৫ বছর বয়সেও তিনি নিজে অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। কখনও নিজের মনে মনে গান করে ছুটিয়ে নিয়ে চলেন তাঁর টমটম। আর এইসবই তাঁকে আরও উৎসাহ আর মনের জোর দেয় বলে দাবি মোস্তাকের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রাজু খুনে দুই সাক্ষীকে ‘অরক্ষিত’ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হল কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    BJP: রাজু খুনে দুই সাক্ষীকে ‘অরক্ষিত’ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হল কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা (Coal) ব্যবসায়ী রাজু ঝা (Raju Jha)-র খুনের মামলায় প্রধান দুই সাক্ষী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও আব্দুল লতিফের গাড়িচালক নুর হোসেনকে অরক্ষিত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, এই মামলার মূল দুই সাক্ষীকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি পুলিশ। জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ন’টা নাগাদ পুলিশ সুপারের অফিস থেকে বেরিয়ে যান ব্রতীন ও নুর। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের প্রশ্ন, ব্রতীন ও নুরকে কীভাবে ছেড়ে দিল পুলিশ? জেরা শেষে কেন তাঁদের হেফাজতে নিল না পুলিশ?

    দুই সাক্ষীর বয়ান…

    তিনি বলেন, দুই সাক্ষী আলাদা আলাদা বয়ান দিয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁদের অরক্ষিত অবস্থায় ছাড়া হল কেন? পুলিশ কী করে জানল ওঁদের ওপর আক্রমণ হবে না? মৃত্যুঞ্জয় (BJP) বলেন, বাহাত্তর ঘণ্টা হতে চলল। এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি দলদাস পুলিশ। রাজ্য সরকারকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ। নাহলে খুন করে গাড়ি ফেলে খুনিরা পালিয়ে গেল কীভাবে? তাঁর প্রশ্ন, ধামাচাপা দিতেই কি সিট গঠন? প্রসঙ্গত, সোমবারই পুলিশ সুপারের দফতরে ব্রতীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিটের সদস্যরা। নুরকেও সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। নুরের দাবি, গাড়িতে ছিলেন আব্দুল লতিফ। এফআইআরেও তিনি একই দাবি করেছেন। যদিও লতিফকে তিনি চেনেন না বলেই দাবি করেছেন ব্রতীন।

    আরও পড়ুুন: সাভারকার ইস্যুতে রাহুলকে নিশানা গডকড়ির, একহাত নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশও

    এদিকে, রাজু খুনে আততায়ীদের ব্যবহৃত নীল রংয়ের গাড়িটি দিল্লি থেকে চুরি করা হয়েছিল। গাড়িটির ফরেন্সিক পরীক্ষা করে একথা জানান বিশেষজ্ঞরা। গাড়িটির ইঞ্জিন ও চ্যাসি নম্বর জানতে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখেন, সেগুলি উঘা দিয়ে ঘসে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরে রাসায়নিক ব্যবহার করে ইঞ্জিন ও চ্যাসি নম্বর উদ্ধার করা হয়। তখনই জানা যায়, গাড়িটি গুরুগ্রাম থেকে চুরি গিয়েছিল জানুয়ারি মাসে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে জাল নম্বর প্লেট ব্যবহার করেছিল আততায়ীরা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, রাজু যেদিন খুন হন, সেদিন ভোরে গাড়িটি যায় ঝাড়খণ্ডে। পরে সুপারি কিলারদের নিয়ে যায় শক্তিগড়ে। ঝাড়খণ্ডের টোল প্লাজার সিসিটিভির সেই ফুটেজ এসেছে পুলিশের হাতে। ওই গাড়িতে উদ্ধার হয়েছে ২টি সেভেন এমএম পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলি ও বেশ কয়েকটি নম্বর প্লেট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: মাথায় বুলেটপ্রুফ টুপি, কাঁধের পিছনে ব্যালিস্টিক শিল্ড, কড়া প্রহরায় আদালতে ইমরান

    Imran Khan: মাথায় বুলেটপ্রুফ টুপি, কাঁধের পিছনে ব্যালিস্টিক শিল্ড, কড়া প্রহরায় আদালতে ইমরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা জনসভায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাই এবার আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায়নি পুলিশ। বুধবার লাহোর আদালতে তোলা হল পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan)। তাঁর মাথা থেকে কাঁধ পর্যন্ত রয়েছে গোলাকার বুলেটপ্রুফ টুপি। কাঁধের পিছনে ঝুলছে বুলেটপ্রুফ ব্যালিস্টিক শিল্ড। জানা গিয়েছে, এদিন কড়া প্রহরায় ইমরানকে নিয়ে আসা হয়েছে আদালতে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁর কাঁধের পিছনে ঝুলিয়ে রেখেছেন বুলেটপ্রুফ ব্যালিস্টিক শিল্ড। ব্যালিস্টিক শিল্ড দিয়ে ইমরান খানের চারপাশে একটি বৃত্তও তৈরি করে রাখা হয়েছে।

    ইমরান খানের (Imran Khan) অভিযোগ…

    পাকিস্তান সরকার তাঁকে হত্যা করতে চায় বলে আগে একাধিকবার দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Imran Khan)। পাকিস্তান পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও তুলেছেন ইমরান। তাঁর দাবি, জারদারি তাঁকে হত্যার জন্য সন্ত্রাসবাদীদের সুপারিও দিয়েছেন। এহেন অভিযোগের আবহে ইমরানের নিরাপত্তায় কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা। গত বছরের শেষের দিকে পাকিস্তানের এক জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। গুলি লাগে পায়ে। প্রাণে বাঁচলেও জখম হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান। ওই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল লাহোর।

    পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর (Imran Khan) বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে ইসলামাবাদের দুটি আদালত জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এর একটি হল তোষাখানা মামলা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান যেসব বহুমূল্য উপহার পেয়েছিলেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে, সেগুলি তিনি তোষাখানায় জমা দেননি বলে অভিযোগ। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাক সংসদ তাঁর সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছে। আগামী ছ বছর নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। কিছু দিন আগে ইমরানের লাহোরের বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। সেদিন অবশ্য সমর্থকদের বাধায় ইমরানকে গ্রেফতার করা যায়নি। পরে গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। এদিন তোলা হয় আদালতে।

    আরও পড়ুুন: সাভারকার ইস্যুতে রাহুলকে নিশানা গডকড়ির, একহাত নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের (COVID) সময় ব্যয় সংকোচ ঘটাতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। অর্থনীতির ভাষায় একে বলা হয় এমবার্গো।
    করোনা দেশের বিভিন্ন জায়গায় চোখ রাঙালেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত তার কোনও প্রভাব নেই। জনজীবনও কার্যত স্বাভাবিক। সরকারের তরফে খেলা, মেলা, দান, খয়রাতি সবকিছুই চলছে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই।  

    কিন্তু করোনার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি অর্থ দফতর। তার প্রমাণ মিলল একটি নির্দেশিকায়, যা জারি করা হয়েছে ৩০ মার্চ এবং কার্যকর নতুন বছরের শুরু, ১ এপ্রিল থেকেই। নতুন অর্থবর্ষের শুরু থেকেই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)। যা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, সরকার বাইরে সবকিছু স্বাভাবিক দেখাতে চাইলেও ভিতরে ভিতরে আসলে কঙ্কালসার হয়ে গিয়েছে।

    কী বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে? 

    ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর বাজেট (Budget) বরাদ্দের কত শতাংশ টাকা খরচ করতে পারবে। এতেই দেখা যাচ্ছে, বেতন, অনুদান, হাসপাতালের ওষুধ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা ছাড়া যাবে, তার বেশি কোনওভাবেই নয়। বহু ক্ষেত্রেই কোনও দফতর ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কী কী শর্ত পূরণ করে ওই টাকা খরচ করা যাবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

    কী বলল বিজেপি? 

    এই নির্দেশিকার কথা প্রকাশে আসতেই রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব কড়া সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নানা কথা বলা হলেও বাস্তবে সরকারের ভাঁড়ারে কোনও টাকাই নেই। রাস্তাশ্রী হোক বা কন্যাশ্রী, কোনও প্রকল্পই আর বেশিদিন চলবে না। ঠিকাদাররা পেমেন্ট পাবেন না। সরকারকে যারা পণ্য সরবরাহ করে, তারা টাকা পাবে না। হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ হবে না, রাস্তা সারাই হবে না, রাস্তার আলো জ্বলবে না, সেচের জল পাওয়া যাবে না, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন পর্যন্ত অনিয়মিত হয়ে পড়বে। মাথার উপর সাড়ে ছয় লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। বোঝাই যায়, এই সরকারের আয়ু আর কতদিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sagar Dutta Medical College: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের আসন সংখ্যা! কত জানেন?

    Sagar Dutta Medical College: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের আসন সংখ্যা! কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক কামারহাটির (Kamarhati) সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে (Sagar Dutta Medical College) আন্ডার গ্র্যাজুয়েটে আগেই আসন সংখ্যা বেড়েছিল। এবার এই মেডিক্যাল কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে আসন সংখ্যা বাড়তে চলেছে। আর সেই জন্যই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই এই কলেজে আন্ডার গ্র্যাজুয়েটে আগে ১০০টি আসন ছিল। এখন তা বেড়ে ১২৫টি হয়েছে। আর পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে ৪০টি আসন রয়েছে। এবার সেখানে আরও ৫০টি আসন বাড়তে চলেছে। নতুন করে ৫০টি আসন সংখ্যা বাড়লে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে মোট ৯০টি আসন হবে।

    সাগর দত্তে (Sagar Dutta Medical College) পরিকাঠামো উন্নয়নে কী করা হচ্ছে?

    আসন সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পড়ুয়াদের হস্টেল থেকে শুরু করে সমস্ত রকম পরিকাঠামো থাকার প্রয়োজন। তাই, এখন থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ১৫ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। সাগর দত্ত হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) চত্বরের মধ্যেই নতুন করে বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম প্রধান বলেন, এবার পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে আরও ৫০টি আসন বাড়তে চলেছে। তবে, শুধু আসন বাড়ালে তো হবে না, উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। এবার সেই কাজও আমরা শুরু করেছি।

    হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) সূত্রে কী জানা যাচ্ছে? 

    হাসপাতাল ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) এখন মোট বেড রয়েছে প্রায় ৬০০টি। সিসিইউ ইউনিট রয়েছে। তবে, কার্ডিওলজি বিভাগ নেই। যদিও হার্টের সাধারণ চিকিৎসা এই হাসপাতালে হয়। কিন্তু, কোনও রোগীর স্টেন্ট বসানোর প্রয়োজন হলে তাঁকে রেফার করা ছাড়া উপায় থাকে না। জানা গিয়েছে, হাসপাতালটি (Kamarhati) এখন ছয় তলার। এবার সেখানেই আরও নতুন করে তিনটি তলা তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই সাততলা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই এই হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা কম। তাই, আলাদা ক্যাম্পাস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

    স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই খড়দহের বলরাম হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) সেকেন্ড ক্যাম্পাসের জন্যই পরিদর্শনও করা হয়েছে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের কর্মকর্তারা বলরাম হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। এই হাসপাতালে আদৌ মেডিক্যাল কলেজের সেকেন্ড ক্যাম্পাস করা যাবে কি না তার সার্বিক রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে জমা করা হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Changu Lake: সিকিমে তুষার ধসে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ২ বাঙালিও, সমবেদনা মোদির

    Changu Lake: সিকিমে তুষার ধসে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ২ বাঙালিও, সমবেদনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে (Changu Lake) তুষার ধসে দুই বাঙালি সহ সাতজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩ জন। মঙ্গলবার দিনভর উদ্ধারকাজ চালানোর পর রাতে এনডিআরএফের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর কোনও পর্যটক বরফের নিচে চাপা পড়ে নেই। তাই বন্ধ করা হচ্ছে উদ্ধার কাজ। এদিনের তুষার ধসে যে দুই বাঙালির মৃত্যু হয়েছে তাঁরা হলেন কলকাতার বাসিন্দা বছর আটত্রিশের প্রীতম মাইতি এবং শিলিগুড়ির বাসিন্দা বছর সাতাশের সৌরভ চৌধুরী। আর বাকি পাঁচ পর্যটকের মধ্যে তিনজন নেপালের বাসিন্দা, দুজন উত্তর প্রদেশের।

    সিকিমের ছাঙ্গু (Changu Lake) রোডে ধসে ক্ষতি…

    মঙ্গলবার পর পর দু বার ধস নামে সিকিমের ছাঙ্গু (Changu Lake) রোডে ১৭ মাইল এলাকায়। পাহাড়ের ওপর থেকে হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে বরফের স্রোত। সেই সময় পাহাড়ের ঢালে দাঁড়িয়ে যাঁরা প্রকৃতির শোভা উপভোগ করছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই চাপা পড়ে যান তুষারের নিচে। পরে সেনা নামিয়ে সামাল দেওয়া হয় পরিস্থিতি। তুষারধসের জেরে কেবল পর্যটকরাই নন, বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। যে অঞ্চলে ধস নেমেছে, তার আশপাশের বহু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরাত জোরে যাঁরা প্রাণে বেঁচেছেন, তাঁরা জানাচ্ছেন, তুষারের নিচে চাপা পড়ে যাওয়ায় হাত-পা নাড়ানোর সুযোগটুকুও পাচ্ছিলেন না তাঁরা। পরে অন্যান্য পর্যটক, সেনাবাহিনী ও এনডিআরএফের সাহায্যে উদ্ধার করা হয় তাঁদের।

    মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, সিকিমে (Changu Lake) তুষার ধসে চাপা পড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। উদ্ধারকার্য চলছে। ধসের জেরে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনী মোট ২২ জন পর্যটককে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে খোঁজ নেওয়া হয়েছে সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে সিকিম সরকার উত্তর ও পূর্ব সিকিমের পারমিট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।   

     

LinkedIn
Share