Tag: bangla news

bangla news

  • Anubrata Mondal: অয়ন শীলের হাত ধরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার ছেলের চাকরি! জানেন কোন পুরসভায়?

    Anubrata Mondal: অয়ন শীলের হাত ধরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার ছেলের চাকরি! জানেন কোন পুরসভায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার নাম জড়াল গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতার বাড়ি বীরভূমে। তিনি তৃণমূলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতা। তাঁর ছেলের চাকরি হয়েছে বরানগর পুরসভায়। আর সেটা হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের হাত ধরে। এমনিতেই শাসক দলের নেতার পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের চাকরি হয়েছে এই পুরসভায়। অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে এই পুরসভায় নিয়োগ হওয়ায় প্যানেল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এমনিতেই তৃণমূলের একটি অংশকে বাদ রেখে কয়েকজন মিলে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গঠন করে নিয়োগ করা হয়েছিল। ফলে, দলীয় কর্মীদের একাংশ তাতে ক্ষুব্ধ ছিল। এবার অয়ন শীলের কোম্পানির হাত ধরে নিয়োগ হওয়া কর্মীদের তথ্য জানতে গিয়ে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। যদিও এই বিষয়ে বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, এই পুরসভায় নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে সব কিছু হয়েছে। যারা এই পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন নিজেদের যোগ্যতায় পেয়েছেন।

    বরানগর পুরসভায় নিয়মিত আসতেন অয়ন শীল! Anubrata Mondal

    এমনিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ হয়েছিল। তবে, তাঁর নিত্য যাতায়াত ছিল বরানগর পুরসভায়। এমনিতেই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির পাশাপাশি তাঁর পছন্দের লোকজনদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০১৭ সালে এই পুরসভায় কর্মী নিয়োগ হয়। অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে সমস্ত নিয়োগ হয়েছিল। প্রায় কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছিল। তারমধ্যে ১৭০ জনের চাকরি হয়। কিন্তু, চাকরি প্যানেলে দেখা যায়, বরানগর পুরসভার একাধিক কাউন্সিলারের পরিবারের লোকজন চাকরি পেয়েছেন। শুধু তাই নয় কামারহাটি পুরসভার দাপুটে তৃণমূল নেতার আত্মীয় বরানগর পুরসভায় চাকরি পান। আর তার বিনিময়ে বরানগর পুরসভার তৃণমূলের সামনের সারির এক নেতার পরিবারের লোকজন কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পান। আর এসবই নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে হয়েছে। এমনকী তৃণমূলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতার ছেলের চাকরিও হয় বরানগর পুরসভায়। অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হিসেবেই তিনি বীরভূম জেলায় পরিচিত। তাই, ওই জেলায় চাকরি পাইয়ে দিলে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে পারে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় তৃণমূলের ওই নেতা বারাকপুর মহকুমা জুড়ে একাধিক গেট মিটিং করেছিলেন। নিজের প্রভাব বুঝিয়ে দেওয়ার পর অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে তাঁর ছেলেকে বরানগর পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেন। তাঁর ছেলে বরানগর পুরসভায় ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে চাকরি করছেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন বরানগরে ঘর ভাড়া করে পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন। ফলে, কলকাতা লাগোয়া পুরসভায় ছেলে চাকরি করায় এতদিন কেউ প্রশ্ন তোলেননি। নিয়োগ নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ আসায় বরানগর পুরসভায় তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ইডি বা সিবিআই তদন্ত হতে পারে। তাই, পুরসভার পক্ষ থেকে আলাদা করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের প্রশাসন দলদাস হয়ে গিয়েছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করে। এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগের সত্যতা মিলল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম-১ ব্লকে। এই ব্লকের তৃণমূলের (TMC) সভামঞ্চে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এক আসনে বসে রয়েছেন কেতুগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল। যুব তৃণমূল ও তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের ডাকে শহিদ মিনার চলো প্রস্তুতির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লক অফিস চত্বরে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে একটি সভা ঘর তৈরি করা হয়। এই সভাগৃহে শুধুমাত্র সরকারি অনুষ্ঠান হয়। আর সেখানেই দেখা গেল সরকারি অনুষ্ঠান না হয়ে, তৃণমূলের (TMC) রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর ওই কর্মসূচিতে দেখা গেল খোদ কেতুগ্রাম -১ নম্বর ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালকে। রাজনৈতিক ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ, বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি রাজবিহারী হালদার। এই দুজনের পাশে বসে ছিলেন কেতুগ্রাম- ১ নম্বর ব্লকের বিডিও। তৃণমূলের (TMC) সেই সভামঞ্চে বিডিওর উপস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিডিও? TMC

    সভাগৃহে প্রচুর তৃণমূল (TMC)  কর্মী, সমর্থক হাজির ছিলেন। সভাগৃহের পিছনের দেওয়ালে বড় ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে, শহিদ মিনার চলো। আর এই ফ্লেক্সের সামনেই বসে রয়েছেন বিধায়ক ও তৃণমূলের (TMC)  যুব বর্ধমানের নেতা রাজবিহারী হালদার এবং কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের বিডিও। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালের সাফাই, আসলে ওই সভাগৃহে সবসময় সরকারি অনুষ্ঠান হয়। সভাতে প্রধান, উপ প্রধানরা ছিলেন। সরকারি প্রকল্প নিয়ে প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার প্রয়োজন ছিল। সেই মিটিং করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমার পিছনে একটি দলের ফ্লেক্স লাগানো রয়েছে তা আমি দেখিনি। এটা আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। সরকারি সভাগৃহে রাজনৈতিক সভা হয় না, এখন প্রশ্ন তাহলে রাজনৈতিক সভা কি করে হল ওই সভাগৃহে? বিডিও এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? TMC

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ বলেন, সরকারি সভাগৃহে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি হয় না। কে বা কারা দলীয় ফ্লেক্স লাগিয়ে দিয়েছিল জানি না। আর বিডিও প্রধান, উপ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তৃণমূলের (TMC) দুজন নেতা সেখানে চলে আসে। আগামিদিনে ওই সভাগৃহে যাতে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান না হয় তা দেখব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? TMC  

    বিজেপির জেলা নেতা কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, প্রশাসন আর তৃণমূল (TMC) যে এক হয়ে গিয়েছে তা এই ঘটনা প্রমাণ করে। আসলে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই, প্রশাসনকে ব্যবহার করে কী করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হবে তার রণকৌশল ঠিক করা হচ্ছে। আর সরকারি ভবনে রাজনৈতিক কর্মসূচি হওয়ার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘সিআইডির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই’, ভুয়ো শিক্ষক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর  

    Murshidabad: ‘সিআইডির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই’, ভুয়ো শিক্ষক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডির (CID) ভূমিকায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গোথা এআর হাইস্কুলে চাকরি করছিলেন জনৈক অনিমেষ তিওয়ারি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা আশিস তিওয়ারি। আশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুতির স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ছেলে অনিমেষকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

    অনিমেষ অধরা…

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার তদন্তে সিবিআই নয়, সিআইডির ওপর ভরসা রেখেছিল আদালত। সেই মতো তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৭ ফেব্রুয়ারি ভবানী ভবনে টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আশিসকে (Murshidabad) গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। যদিও আশিসের ছেলে অনিমেষ এখনও অধরা। এদিন সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি বসু বলেন, সিআইডির ভূমিকায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। এভাবে তদন্ত চললে সিআইডির ডিআইজিকে ডেকে পাঠাব। প্রয়োজনে আদালতের পর্যবেক্ষণ সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেব। সেটা কিন্তু ভাল হবে না। বিচারপতি বলেন, মামলাকারীরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। আমি সিআইডির ওপর ভরসা করেছিলাম। তার এই পরিণাম।

    আরও পড়ুুন: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

    তিনি বলেন, এমন কড়া মন্তব্য করতে বাধ্য করবেন না যাতে সিআইডির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাঁর প্রশ্ন, কেন অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারিকে এখনও গ্রেফতার করা গেল না? কীভাবে এতদিন তিনি বেতন পেতেন? কার বদান্যতায় সেটা হল? কেন এখনও তার সন্ধান পেল না সিআইডি? এদিন আদালতে সিআইডি জানায়, অনিমেষ এ রাজ্যে নেই। তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন কখনও উত্তর প্রদেশ কখনওবা বিহার দেখাচ্ছে। ৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ফের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

    বিচারপতি বসু বলেন, আমি কিছু শুনতে চাই না। যেখান থেকে হোক অভিযুক্ত বহিষ্কৃত শিক্ষককে (Murshidabad) খুঁজে বের করুন। তিনি বলেন, তদন্তে যে গাফিলতি হয়েছে, সেটা স্পষ্ট। ৬ এপ্রিলের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা না হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি বসু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • TMC: দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক! কোথায় জানেন?

    TMC: দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ২০১১ সালে রাজ্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল (TMC)। কিন্তু, এখনও পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। কাগজকলমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হলেও আদতে তৃণমূল সরকার যে কিছু করেনি তা পশ্চিম বর্ধমান জেলার উখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উগরা এলাকার বাসিন্দারা হারে হারে টের পাচ্ছেন। গরম পড়তেই পানীয় জলের হাহাকার চলছে এলাকায়। পানীয় জলের জন্য বাড়ির মহিলাদের দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) উপরে সমস্ত ক্ষোভ তাঁদের। সোমবার দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে যোগ দিতে উখরা গ্রামে রানীগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় যান। আর তৃণমূল বিধায়ককে সামনে পেয়ে এই গরমে পানীয় জল না পাওয়ার জ্বালা মিটিয়ে নেন মহিলারা। জনসংযোগ করার জন্য বিধায়ককে কথা বলতে না দিয়ে এলাকার সমস্ত মহিলারা তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

    কী বললেন এলাকার মহিলারা? TMC

    সোমবার “দিদির সুরক্ষা কবজ” কর্মসূচি ছিল উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এলাকার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। আনন্দমোড় শ্মশান কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে এদিন কর্মসূচির সূচনা হয়। তারপর বড়পাড়া হয়ে ময়রা পাড়ায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যান বিধায়ক সহ অন্যরা। সেখানে স্থানীয় মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিধায়ক। মহিলাদের অভিযোগ, এলাকায় কল থাকলেও কলে জল পড়ে না। ময়রাপাড়া, ধীবর পাড়া ও অস্তল পাড়ার একাংশের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল সংকটে ভুগছেন। ফলে, আমাদের মতো এই এলাকায় সব বাসিন্দারা চরম নাকাল হয়। তাঁরা বিধায়কের কাছে অবিলম্বে পানীয় জলের পরিষেবা উন্নত করার দাবি জানান।

    বিক্ষোভ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? TMC

    এলাকাবাসীদের বিক্ষোভ দেখানোর কথা অস্বীকার করলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেউ কোনও বিক্ষোভ দেখায়নি। আসলে যারা কাজ করে, তাদের কাছেই তো অভাব অভিযোগ জানাবে। স্থানীয় মহিলারা এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়েছেন মাত্র। সমস্যার কথা জানার জন্যই এই কর্মসূচি। সেখানে মহিলারা আমাকে সমস্যার কথা বলেছেন। আসলে এই এলাকায় বহুদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বারাকপুরে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বেধড়ক লাঠিচার্জ পুলিশের! কেন জানেন?

    BJP: বারাকপুরে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বেধড়ক লাঠিচার্জ পুলিশের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার নিয়োগ দুর্নীতিসহ একাধিক দাবিতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির (BJP) বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো এদিন বারাকপুর মহকুমা অফিসে সেই কর্মসূচি সফল করতে বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সব থানা এলাকার কর্মীরা জমায়েত হয়েছিলেন। আর এই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ব্যারাকপুর মহকুমা অফিস চত্বর। জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে বিজেপি (BJP) কর্মীদের বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের লাঠির আঘাতে চারজন বিজেপি (BJP) কর্মী জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহকুমা অফিসের সামনে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি (BJP) কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কী নিয়ে গন্ডগোল? BJP

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভায় নিয়োগ-দুর্নীতি, তহবিল তছরুপ পুর কর্মীদের বকেয়া বেতন, সীমাহীন প্রশাসনিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে বারাকপুর বিজেপি (BJP) সাংগঠনিক জেলার ডাকে বারাকপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি (BJP) কর্মী, সমর্থকরা কর্মসূচিতে হাজির হন। শাসক দলের দুর্নীতি নিয়ে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল বারাকপুর মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। মহকুমা অফিসের বাইরে থাকা বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আচমকা পুলিশের বচসা শুরু হয়। তারপরই বেধড়ক লাঠিচার্জ করে সমস্ত জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছিল। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় এক পুলিশ কর্মী দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁকে আমরা সরে যেতে বলেছিলাম। কারণ, বিক্ষোভের সামনের সারিতে মহিলারা ছিলেন। তাতে ওই পুলিশ কর্মী রেগে যান। শুরু হয় বাগবিতন্ডা। এরপরই সেখানে উপস্থিত সব পুলিশ কর্মীরা একজোট হয়ে তারা আমাদের আচমকা লাঠিচার্জ করে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, মদ খেয়ে কোনও পুলিশ কর্মী ডিউটি করেননি। এই অভিযোগ ঠিক নয়।

    কী বললেন বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি? BJP

    বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ছিল। সেই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে দলদাস পুলিশকে এরকম নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করতে হল তা ভাবতে পারছি না। আমাদের কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছে। পুলিশ যে ভাবে আমাদের কর্মীদের মেরেছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা করছি। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানাব। এই ধরনের নক্করজনক ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। প্রয়োজনে আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tiljala Murder: নাবালিকা খুনে অগ্নিগর্ভ তিলজলা, জনতার রোষে পুড়ল পুলিশের গাড়ি, বাইক

    Tiljala Murder: নাবালিকা খুনে অগ্নিগর্ভ তিলজলা, জনতার রোষে পুড়ল পুলিশের গাড়ি, বাইক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকা খুনে অগ্নিগর্ভ তিলজলা (Tiljala Murder)। পুলিশের গাড়িতে আগুন (Fire)। দাউদাউ করে জ্বলল বাইক। ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি উত্তেজিত জনতার। পরিস্থিতির জেরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন (Train) চলাচল। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকেও লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। অশান্ত হয়ে ওঠে বন্ডেল গেট, পিকনিক গার্ডেন এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। করে লাঠিচার্জও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। শুরু হয়েছে ধরপাকড়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। লাঠি হাতে টহল দিচ্ছে র‌্যাফ।  

    জনরোষের নেপথ্যে…

    পুলিশের দাবি, স্ত্রীর গর্ভপাত এড়াতেই এক তান্ত্রিকের কথায় ওই নাবালিকাকে খুন (Tiljala Murder) করা হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছেন ধৃত অলোক কুমার। নাবালিকার মাথা, কান ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এর সঙ্গে মিলেছে যৌন নিগ্রহের প্রমাণও। পুলিশি জেরায় অলোক কুমার জানিয়েছেন, তাঁর এখনও কোনও সন্তান নেই। তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী। এর আগে বেশ কয়েকবার গর্ভপাত হয়ে গিয়েছিল তাঁর স্ত্রীর। বিহারের এক তান্ত্রিকের কথায় সন্তান লাভের আশায় বছর সাতেকের ওই নাবালিকাকে খুন করেন অলোক। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। অভিযুক্ত তান্ত্রিককে ধরতেও বিহার যেতে পারে কলকাতা পুলিশের একটি দল।

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে আবর্জনা ফেলতে শিশুটিকে পাঠানো হয়েছিল আবাসনের নীচে। অনুমান তখনই তাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালান দোতলার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অলোক। শিশুটিকে খুন করার পর তার হাত-পা বেঁধে বস্তার ভিতরে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে তিলজলা। বন্ডেলে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। একটি বাসের ছাদে চেপে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতার একাংশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রবিবার সকাল থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ করেনি। রবিবার রাতে তিলজলা (Tiljala Murder) থানায় ভাঙচুর চালায় জনতা।

    ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবারের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রেল চলাচল। অবরোধের কারণে প্রায় ২০টি ট্রেন লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চরম দুর্ভোগের শিকার যাত্রীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পাশাপাশি পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায়ও মামলা রুজু হয়েছে অলোক কুমারের বিরুদ্ধে।

     
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Giriraj Singh: ‘সাভারকারের মতো হতে গেলে রাহুলকে অনেকবার জন্মাতে হবে’, বললেন গিরিরাজ

    Giriraj Singh: ‘সাভারকারের মতো হতে গেলে রাহুলকে অনেকবার জন্মাতে হবে’, বললেন গিরিরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাভারকারের (Savarkar) মতো হতে গেলে তাঁকে অনেকগুলো জন্ম নিতে হবে। সোমবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন বিজেপি (BJP) নেতা গিরিরাজ সিংহ (Giriraj Singh)।  মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দু বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তার জেরে শুক্রবার খারিজ হয়েছে তাঁর সাংসদ পদ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার রাহুল বলেন, আমার নাম সাভারকার নয়, আমার নাম গান্ধী।

    গিরিরাজ সিংহ (Giriraj Singh) বলেন…

    তিনি বলেন, গান্ধীরা কারও কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে না। এর পরেই রাহুলকে নিশানা করেন গিরিরাজ। তিনি বলেন, তিনি (রাহুল) বলছেন যে তিনি গান্ধী, কিন্তু তাঁর স্পেশিফাই করা উচিত কোন গান্ধী তিনি? তাঁর দাদু যে গান্ধী ছিলেন? গিরিরাজ (Giriraj Singh) বলেন, তিনি যদি আদালতে গরহাজির না হতেন, ক্ষমা প্রার্থনা করতেন, তাহলে এটা ঘটত না। এর পরেই গিরিরাজ বলেন, সাভারকার জাতির জন্য প্রাণ বলি দিয়েছিলেন। তাই তাঁর (সাভারকার) সঙ্গে তাঁর (রাহুলের) তুলনা করা ভুল হবে। সাভারকারের মতো হতে গেলে রাহুলকে অনেকবার জন্ম নিতে হবে।

    রাহুলকে নিশানা করেছেন বিজেপির আরও এক নেতা অনুরাগ ঠাকুরও। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী স্বপ্নেও সাভারকার হতে পারবেন না। ট্যুইট-বাণে অনুরাগ বলেন, বীর সাভারকার দেশপ্রেমিক। ফাঁসির আগে স্বয়ং ভগৎ সিং তাঁর বই থেকে নোট নিয়েছিলেন। সাভারকারের মতো স্বাধীনতা যোদ্ধাকে রাহুল অপমান করছেন। সাভারকারের দেশপ্রেম ও সাহসের কাছে মাথা নত করতেন বড় বড় নেতারাও। এমন কী কংগ্রেসও ১৯২৩ সালে কাঁকিনাড়া অধিবেশনে সাভারকারকে নিয়ে প্রস্তাব পাশ করে। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সাভারকারের নামে একটি স্ট্যাম্পও তৈরি করেছিলেন বলে মনে করিয়ে দেন অনুরাগ। স্বাধীনতা যুদ্ধে সাভারকারের অবদান মনে করিয়ে দিতে ইন্দিরা গান্ধী একটি চিঠি লিখেছিলেন বলেও জানান অনুরাগ।

    তিনি জানান, ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ভারত সরকার সাভারকারের ওপর একটি ডকুমেন্টরিও করেছিল। অনুরাগ বলেন, সাভারকারকে শ্রদ্ধা জানাতে এত করেছিলেন রাহুলের ঠাকুমা। তাই সাভারকারকে অপমান করে রাহুল একই সঙ্গে তাঁর ঠাকুমাকেও অপমান করলেন।

    আরও পড়ুুন: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Protest:  মালদহে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাঁধুনিকে তালা মেরে বিক্ষোভে স্থানীয়রা! কেন জানেন?

    Protest: মালদহে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাঁধুনিকে তালা মেরে বিক্ষোভে স্থানীয়রা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পচা ডিম ও অনিয়মিত খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও রাঁধুনিকে তালা মেরে বিক্ষোভ (Protest) দেখালেন স্থানীয় অভিভাবকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। অভিযোগ উঠেছে, ওই কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাস পচা ডিম দিয়েছেন। স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বরাবরই নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। লকডাউনের সময় ওই সেন্টারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার ও পচা আলু দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার শিশুর পাতে পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের সিডিপিও ( CDPO) আব্দুস সাত্তার বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।

    কী বললেন অভিভাবকরা? Protest

    সেখ মানা নামে এক অভিভাবক বলেন, এদিন সেন্টার থেকে পচা ডিম দেওয়া হচ্ছিল, যা মুখে তোলা যায় না। পচা ও নিম্নমানের খাবার খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বলতে গেলে কোনও কর্নপাত করছেন না ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, গর্ভবতী মা ও প্রসূতি মায়েরা গোটা ডিম পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাই না। কোন কোন দিন শুধু সাদা ভাত ও কাঁচা ডিম দেওয়া হয়। এমনকী সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ছুটি রাখা হয়। ওই আলি নামে আরও এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, সেন্টারের কর্মীকে পচা ডিম বা নিম্নমানের খাবার নিয়ে বলতে গেলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এদিন সাদা ভাত ও সিদ্ধ পচা ডিম শিশুদের দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়রা বলতে গেলে পচা ডিম ও ভাতগুলি সব পুকুরে ফেলে দেয়।

    কী বললেন অভিযুক্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী? Protest

    অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাস বলেন, সেন্টার থেকে নিয়মিত শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। আজকেও খাবার দেওয়া হয়েছিল। পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগটি সরাসরি মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর একটা চক্রান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

    Suvendu Adhikari: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শাহি দরবারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু। বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাজ্যের বাংলার সাংসদরা। তাঁদের নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার ঠিক আগের দিন শাহ-শুভেন্দু বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শুভেন্দু প্রথমে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। দুজনে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথাবার্তা বলেন। পরে শুভেন্দু সাক্ষাৎ করে নাড্ডার সঙ্গে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যে ওঠা একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানাতেই বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সময় চাইছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। অমিত শাহ সময় দিতেই রবিবার রাতে তড়িঘড়ি দিল্লির উড়ান ধরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সোমবার সকালে সংসদ ভবনে পৌঁছে যান শুভেন্দু। রাহুল গান্ধীকাণ্ডের জেরে বিরোধীদের হইহট্টগোলের ফলে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন। ওই সময়ই শুভেন্দু সাক্ষাৎ করেন শাহের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর ওই বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কীভাবে দলের কাজকর্ম চালানো যায়, কীভাবে রাজ্যজুড়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছে দলীয় বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়, তাঁদের কীভাবে উজ্জ্বীবিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। এদিন বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের একবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনও করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। তা সে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাই হোক কিংবা স্বচ্ছ ভারত মিশন, বুয়া ভাতিজার সরকার এই কাজ করছে। শুভেন্দু বলেন, রাজ্য সরকার জমি দিতে না পারায় কলকাতার কাছে আর একটি বিমানবন্দর তৈরি করা যায়নি। তিনি বলেন, বাংলার পরিস্থিতি জঙ্গলরাজের থেকেও খারাপ। দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময় ঋণ ছিল ২ লক্ষ কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ কোটি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে বাংলায় বেকার ছিল ১ কোটি। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২ কোটিরও বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মোদির ডাকে সুকান্তর নেতৃত্বে দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপি সাংসদরা, কথা হবে বাংলা নিয়ে?

    Sukanta Majumdar: মোদির ডাকে সুকান্তর নেতৃত্বে দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপি সাংসদরা, কথা হবে বাংলা নিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাই বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে দিল্লি যাচ্ছেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে তাঁর কাছে সময় চেয়েছিলেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ সেই সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলার সাংসদরা বারবার বলছিলেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সময় দিয়েছেন। আমরা তাঁর সামনে জবকার্ডের দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, সড়ক যোজনার দুর্নীতির বিষয় সহ নানা বিষয় বিশদে তুলে ধরব। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, মোদিজি আমাদের অভিভাবক। তিনি কোনও পরামর্শ দিলে সেটা আমাদের কাছে নির্দেশ। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে সেটা পালন করি। এবারও এই কৌতূহল নিয়ে যাব যে তিনি কোন পথনির্দেশ করেন।

    দোরগোড়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বার মোদির নেতৃত্বে সরকার গড়তে ইতিমধ্যেই নানা পরিকল্পনা করেছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। সেই মতো পদক্ষেপও করছেন তাঁরা। বিভিন্ন লোকসভার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। মোদিকে মুখ করে কেন্দ্রীয় সরকারের জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও জোর কদমে প্রচারে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। বুথস্তরের সংগঠন কীভাবে সাজাতে হবে, তারও দিশা দিয়েছেন পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এসব নিয়েই আলোচনা হতে পারে এদিনের বৈঠকে।

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    পদ্ম (Sukanta Majumdar) শিবির সূত্রে খবর, এমন বৈঠক এর আগেও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন রাজ্যের দলীয় সাংসদদের সঙ্গে করেছেন একাধিক বৈঠক। এই বৈঠকে সাংসদদের কর্তব্য নিয়েও বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের এলাকায় দলীয় সংগঠন আরও মজবুত করতে কী করণীয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কোন কোন প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে, কীভাবে নেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে, সে ব্যাপারে উপদেশ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার কোনও সংসদ ক্ষেত্রে কী প্রয়োজন, তা নিয়েও কথা বলতে পারেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share