Tag: bangla news

bangla news

  • Imran Khan: ‘দেশকে বিপদ থেকে উদ্ধারের কোনও পরিকল্পনাই নেই সরকারের’, জনসভায় বললেন ইমরান

    Imran Khan: ‘দেশকে বিপদ থেকে উদ্ধারের কোনও পরিকল্পনাই নেই সরকারের’, জনসভায় বললেন ইমরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে পাহাড় প্রমাণ সমস্যা। এ থেকে দেশকে কীভাবে উদ্ধার করা যাবে সে ব্যাপারে কোনও ভাবনা চিন্তা নেই ক্ষমতাসীন সরকারের। রবিবার এই অভিযোগ করলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (PTI) চেয়ারম্যান ইমরান খান (Imran Khan)। কেবল তাই নয়, দেশকে চলতি বিপদ থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যাবে, সে ব্যাপারেও বাতলে দিলেন রোডম্যাপ। এদিন সকালে মিনার-ই-পাকিস্তানে ভিড়ে ঠাসা এক জনসভায় ভাষণ দেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ বক্তৃতা শুনে মনে হয়েছে, তিনি যেন প্রাক-নির্বাচনী কোনও জনসভা করছেন। ঠিক এক দশক আগে ভোটের সময় যেমনটা করেছিলেন তিনি।

    ইমরান খানের (Imran Khan) নিশানায়…

    এদিনের সমাবেশে পাকিস্তানের শেহবাজ শরিফের সরকারকে নিশানা করেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী (Imran Khan)। গত বছর সরকার থেকে সরে যেতে বাধ্য হন ইমরান। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তাঁকে দমাতে রাষ্ট্র তাঁর এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি সরকার থেকে সরে যাওয়ার পর থেকেই এমনটা হচ্ছে। পাকিস্তানের চলতি সমস্যা প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, দেশের বর্তমান সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা কিংবা ইচ্ছে নেই শেহবাজ শরিফের সরকারের। তিনি বলেন, সরকার যদি বলে, তাদের একটা পরিকল্পনা রয়েছে, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। কারণ সরকারের কোনও পরিকল্পনাই নেই। দেশের বর্তমান সমস্যা সমাধানের কোনও সহজ পন্থা নেই বলেও জানিয়ে দেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যখন কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, তখন সরকার তা করেনি।

    আরও পড়ুুন: ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, বাম আমলে স্বজনপোষণের অভিযোগ

    নির্বাচন প্রসঙ্গে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রের মেশিনারি ব্যবহার করে বিরোধীদের হাত শক্ত করা চলবে না। বর্তমান সমস্যা থেকে পাকিস্তানকে উদ্ধার করতে ১০ দফা কর্মসূচির কথাও বলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী (Imran Khan)। তিনি বলেন, বারবার আইএমএফের কাছে হাত না পেতে সরকারের উচিত বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে জোর দেওয়া। ইমরান বলেন, যাঁরা রফতানি করবে এবং দেশে ডলার নিয়ে আসবেন তাঁদের আমরা সংবর্ধনা দেব। দেশের পর্যটন শিল্পকেও প্রোমোট করব। রাজস্ব বাড়াতে দেশের খনিজ সম্পদের দিকে নজর দেব। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙা করব। আয় বাড়াতে তাঁর সরকার ট্যাক্সও বাড়াবে। ক্ষমতায় এলে তাঁর সরকার চিনের সহযোগিতায় দেশে কৃষি পণ্য উৎপাদনের দিকেও বাড়তি নজর দেবে বলেও জানান ইমরান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrarta Mondal: পুরসভায় নিয়োগে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার যোগ! কোথায় জানেন?

    Anubrarta Mondal: পুরসভায় নিয়োগে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার যোগ! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বরানগর পুরসভায় কর্মী নিয়োগে গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ পুর কর্মচারী ইউনিয়নের এক রাজ্য নেতার সরাসরি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, পুরসভায় কর্মী নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে। রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে যে সব পুর প্রতিনিধিরা ছিলেন, তাঁরা কেউ নিজেদের পরিবারের লোকজনকে বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে এই সব নিয়োগ হয়েছে। ফলে, এই পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনিতে কামারহাটি পুরসভা ইডি নজরে রয়েছে। বরানগর পুরসভায় যে ভাবে নিয়োগ হয়েছে তা নিয়ে দলের অন্দরে এখন চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিতর্কিত প্যানেলে কত জন কর্মী নিয়োগ হয়? Anubrata Mondal

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে এই পুরসভায় অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরে, রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে ছিলেন চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, তত্কালীন ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত রায়, এক্সিকিউটিভ অফিসার সুদীপ ভট্টাচার্য, কাউন্সিলর বিশ্বজিত্ বর্ধন এবং অনিন্দ্য রাউত। পুরসভার কর্মী পদে কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারমধ্যে ১৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু, নিয়োগ হওয়ার পর যে তালিকা সামনে আসে তাতে রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বে থাকা পদাধিকারীদের পরিবারের লোকজনের নাম সামনে আসে। এক সিআইসি সদস্যের পরিবারের লোকজনের নাম তালিকায় রয়েছে। এছাড়া একাধিক কাউন্সিলারদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে কেষ্ট (Anubrata Mondal)  ঘনিষ্ঠ শাসক দলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতার ওই নিয়োগে বড় ভূমিকা রয়েছে। ওই নেতার বাড়ি বীরভূম জেলায়। ওই নেতার হাত ধরে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক ছেলে এই পুরসভায় নিয়োগপত্র পেয়েছে। ওই নেতা অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ করতে কেউ আপত্তি জানানোর সাহস দেখায়নি। স্রেফ শাসক দলের বদান্যতায় তাঁদের চাকরি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এমনকী বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তারা নিয়মিত পুরসভায় পর্যন্ত আসে না বলে অভিযোগ। কিন্তু, তাদের নিয়মিত প্রতিমাসে বেতন হয়ে যায়। এরকম ২৫-৩০ জন কর্মী রয়েছেন। যা নিয়ে তৃণমূলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। বোর্ড মিটিংয়ে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কী বললেন পুরসভার চেয়ারপার্সন ? Anubrata Mondal

    বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, নিয়ম মেনে  পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তবে, কাউন্সিলর বা রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দায়িত্বে থাকলে তাঁর ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন কোনও নিয়ম নেই। পরীক্ষা দিতেই সকলেই চাকরি পেয়েছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে। আর কেউ পুরসভায় নিয়মিত না আসলে তাঁকে শো কজ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid: করোনা প্রস্তুতি কেমন? খতিয়ে দেখতে দেশজুড়ে দু’ দিনের মক ড্রিল

    Covid: করোনা প্রস্তুতি কেমন? খতিয়ে দেখতে দেশজুড়ে দু’ দিনের মক ড্রিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Covid)। দেশে আবারও করোনার ঢেউ এলে তার মোকাবিলা যাতে করা যায় সেজন্য শনিবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হল মক ড্রিলের কথা। এপ্রিলের ১০-১১ দুদিন ধরে দেশজুড়ে হবে ওই মক ড্রিল (Mock Drill)। কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলায় দেশের হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত, মূলত তা দেখতেই আয়োজন করা হচ্ছে মক ড্রিলের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি এই মহড়ায় অংশ নেবে। মহড়ায় দেখা হবে করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে কিনা।

    করোনা (Covid) পরিস্থিতি…

    দিল্লিতে মক ড্রিলে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, যদি করোনা (Covid) সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তার জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবাই যাতে সঠিক চিকিৎসা পায়, তা নিশ্চিত করতেই এই মহড়া। এদিন দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মহড়ায় যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সেক্রেটারি রাজেশ ভূষণ জানান, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে ধাপে ধাপে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে সিংহভাগ করোনা সংক্রমিতের খবর মিলেছে কয়েকটি রাজ্য থেকে। যেহেতু ব্যাপক করোনা টিকাকরণ হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হারও কম, তা সত্ত্বেও বাড়ছে সংক্রমণ।

    জানা গিয়েছে, মক ড্রিলের সময় দেখা হবে কোন জেলায় করোনা (Covid) চিকিৎসার কী ব্যবস্থা রয়েছে, করোনা সংক্রমিতদের জন্য হাসপাতালে কত বেড রয়েছে।এক সঙ্গে কতজন রোগীর জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা সম্ভব, হাসপাতালে কতজন করোনা সংক্রমিতকে অক্সিজেন দেওয়া যাবে, তাও খতিয়ে দেখা হবে মক ড্রিলে। অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপের কী ব্যবস্থা রয়েছে, কী প্রয়োজন, তাও নথিভুক্ত করা হবে। কেবল হাসপাতালের বেড বা অক্সিজেন নয়, জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা কতটা প্রস্তুত, তাও দেখা হবে।

    আরও পড়ুুন: ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, বাম আমলে স্বজনপোষণের অভিযোগ

    কোভিড মোকাবিলায় কতজন প্রশিক্ষিত, অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন, তাও দেখা হচ্ছে। অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ব্যবহারে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী কতজন রয়েছেন, তাও দেখা হবে এই মক ড্রিলে। করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট যাতে কোনওভাবেই না ছড়ায় সেজন্য বছর শেষে উৎসবের মরশুমে চূড়ান্ত তৎপরতা। মাস্ক পরার পাশাপাশি দেশবাসীকে কোভিড বিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ৫জি টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কোথায় জানেন?

    Fraud: ৫জি টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ৫ জি টাওয়ার বসানোর জন্য কারও কাছে মোবাইলে ফোন আসলে, ধরবেন না। কারণ, রাজ্য জুড়ে একটি প্রতারণাচক্র (Fraud) সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর তারা ফোন করে ৫  জি টাওয়ার বসানোর জন্য মোটা টাকার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই চক্র (Fraud) । বারাকপুর মহকুমায় নোয়াপাড়া থানা এলাকার এক ব্যক্তি এই প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়ে কার্যত সর্বসান্ত হয়েছে। প্রতারকরা তার বাড়িতে ৫ জি টাওয়ার বসানোর লোভ দেখিয়ে কয়েক দফায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। প্রতারিত হওয়ার পর তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে থানার দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ এই চক্রে (Fraud)  জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুদীপ বিশ্বাস, সুজন ঘোষ, সঞ্জয় বালা, তপন মণ্ডল এবং মহিতোষ কুণ্ডু। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।

     কীভাবে প্রতারণা করল অভিযুক্তরা? Fraud

     কয়েকদিন আগেই নোয়াপাড়ার ওই ব্যক্তির কাছে একজন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করেন। তাঁর বাড়িতে ৫ জি টাওয়ার বসানো হবে বলে টোপ দেওয়া হয়। শুধু বাড়ির ওই জায়গা দেওয়ার জন্য তাঁকে এককালীন ২৫ লক্ষ টাকা এবং প্রতিমাসে ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। তবে, বিষয়টি অন্য কাউকে না জানানোর কথা বলা হয়। পরে, তাঁর বাড়ির ছবি, দলিল সব কিছু চাওয়া হয়। পরে, ওই ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কয়েকদিন এই সব কাজ করার পর ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, ওই ব্যক্তির চাহিদা রয়েছে কি না দেখা হয়। মোটা টাকার হাতছাড়া হয়ে যাবে ভেবে ফের ওই ব্যক্তি যোগাযোগ করেন। কিন্তু, তখনও কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলা হয়। এরকমভাবে আরও কিছুদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর আচমকা ফোন করে তাঁকে জানানো হয়, আপনার কাগজপত্র দেখে অফিস আপনার বাড়িতে টাওয়ার বসানোর আগ্রহ দেখিয়েছে।  এরপর শুরু হয় আসল খেলা। অফিসের অ্যাকাউন্টের নামে একটি ড্যামি অ্যাকাউন্ট পাঠানো হয়। সেই অ্যাকাউন্টে প্রথমে দেড় লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয়। ২৫ লক্ষ টাকা হাতছাড়়া হয়ে যাবে ভেবে ওই ব্যক্তি এক কথায় দেড় লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে, প্রতারকদের (Fraud) কথার জালে ফেঁসে ওই ব্যক্তি কয়েক দফায় সব মিলিয়ে মোট ১৭ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন।  আর ড্যামি অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হত। পরে, টাওয়ার না বসায় ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন প্রতারিত(Fraud)  হয়েছেন। এরপরই তিনি থানার দ্বারস্থ হন।

    প্রতারকদের কোন এলাকা থেকে ধরল পুলিশ? Fraud

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়েই প্রতারকদের (Fraud)  জাল ছড়িয়ে রয়েছে। বাগদা থেকে বিষয়টি অপারেট হচ্ছে। আর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় তাদের এজেন্ট রয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রথমে জগদ্দল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, বারাসত, বাগদা এবং গাইঘাটা থেকে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সঞ্জয় বালা এই অপরাধের মাস্টার মাইন্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, বাম আমলে স্বজনপোষণের অভিযোগ

    Suvendu Adhikari: ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, বাম আমলে স্বজনপোষণের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ (DA) ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। ৪৭ লক্ষ ৫৮ হাজার কর্মী এবং ৬৯ লক্ষ ৭৬ হাজার পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির ক্যারিশমা। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বৈষম্য আরও বাড়ল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করেছে, সেখানে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতারণা করে ৬ শতাংশ বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ফারাক ৩৬ শতাংশ। ট্যুইট-বার্তায় অন্য রাজ্যের ডিএর হারও তুলে ধরেন তিনি।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    এদিকে, বাম জমানায় নিয়োগে স্বজন-পোষণ নিয়েও মুখ খুললেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, বাম আমলে (DA) আমিও রাজনীতি করেছি। কিন্তু শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। সেই সময় প্রাথমিকে আর শিক্ষাকর্মী পদে ব্যাপক নিয়োগ হয়েছিল। বামেরা টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি। শুধু দলের ক্যাডারদের চাকরি দিয়েছে। তিনি বলেন, সেই সময় নিয়োগের দায়িত্বে থাকত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি। সেই সুযোগই নিয়েছিল বামেরা। তাঁর দাবি, কলেজে চাকরির ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরিতে অনিয়ম হয়ে থাকলেও, যা যে প্রমাণ করা সম্ভব নয়, তাও জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। হাতে লেখা চাকরির নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরির দুর্নীতি যে প্রমাণ করা সম্ভব নয়, তাও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা পাঠাব! ছাড়পত্র না মিললে…’ মুখ্যমন্ত্রীকে হঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের

    শুভেন্দুর দাবি, সিপিএম হোলটাইমারদের আত্মীয়দের চাকরির ব্যবস্থা করে দিত। যাতে তারা দলকে আরও বেশি সময় দিতে পারে। শুভেন্দুর বক্তব্যের সারমর্ম হল, বাম জমানায় টাকা নিয়ে চাকরি হয়নি। তবে স্বজনপোষণ হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বাম আমলে স্বজনপোষণ যে হয়েছিল তার বড় প্রমাণ জলপাইগুড়িতে বাম আমলে (DA) প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির প্যানেল বাতিলের ঘটনা। সেই সময় জেলা বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্বের একের পর এক আত্মীয়ের চাকরির বিষয়টি সামনে আসে। তার সঙ্গেই সামনে এসেছিল একাধিক বাম নেতার আত্মীয়-স্বজনদের ঘুরপথে চাকরি দেওয়ার বিষয়টিও।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
     
  • Karnataka Assembly Elections: কর্নাটকে সংরক্ষণ কোটায় বদল, বাদ পড়লেন মুসলিমরা

    Karnataka Assembly Elections: কর্নাটকে সংরক্ষণ কোটায় বদল, বাদ পড়লেন মুসলিমরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ কোটায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনল কর্নাটকের বিজেপি (BJP) সরকার। মাসখানেক পরেই কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন (Karnataka Assembly Elections)। তার ঠিক আগেই রাজ্যে আসন সংরক্ষণ ৫০ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৫৭ শতাংশ। তুলে নেওয়া হল মুসলমানদের জন্য বরাদ্দ ৪ শতাংশ কোটা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে এবার থেকে আর অনগ্রসর শ্রেণি হিসেবে সংরক্ষণের সুবিধা নিতে পারবেন না মুসলিমরা। কর্নাটকে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণে এতদিন অন্তর্ভুক্ত ছিলেন রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও। কিন্তু শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন।

    সংরক্ষণের হার…

    মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর কর্নাটকে সংরক্ষণের হার গিয়ে ঠেকল ৫৭ শতাংশে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট তা বেঁধে দিয়েছিল ৫০ শতাংশে। কর্নাটক সরকারকে সেই মতো সংরক্ষণের (Karnataka Assembly Elections) হার কমিয়ে ৫০ শতাংশ বা তার নীচে নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত একটি মামলাও ঝুলছে কর্নাটক হাইকোর্টে। আদালতের সেই রায়ের জন্য অপেক্ষা না করেই সংরক্ষণের হারে রদবদল ঘটাল কর্নাটক সরকার।  

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। মন্ত্রিসভার শাখা কমিটি সংরক্ষণের বিভাগে রদবদল ঘটানোর সুপারিশ করেছিল। তা মেনে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে আপাতত অনগ্রসর শ্রেণি ও আরও অনগ্রসর শ্রেণি এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: DA: তোলা হল অনশন, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে চলবে আন্দোলন, সাফ জানাল মঞ্চ

    জানা গিয়েছে, রদবদলের (Karnataka Assembly Elections) পর ভোক্কালিগাদের জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। পঞ্চমশালী, বীরশৈব এবং লিঙ্গায়েতদের ক্ষেত্রেও ৫ থেকে সংরক্ষণের হার বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ। কর্নাটক সরকার তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষণ ১৫ থেকে বাড়িয়ে করেছে ১৭ শতাংশে। তফশিলি উপজাতিদের সংরক্ষণ ৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ।

    পুরাতন মহীশূরের ভোক্কালিকা সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, অষ্টাদশ শতকে মহীশূরের শাসক টিপু সুলতানকে ব্রিটিশ বা মারাঠিরা হত্যা করেনি। তাদের দুই নেতা উরি গৌড়া ও নানজে গৌড়ার হাতেই মৃত্যু হয় টিপুর। ভোক্কালিগাদের সেই বিশ্বাসকে সমর্থন করেছে বিজেপিও। যদিও ইতিহাসবিদদের দাবি, উরি গৌড়া ও নানজে গৌড়া বলে বাস্তবে কেউ ছিলেন না, দুটিই কাল্পনিক চরিত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purnesh Modi: চা-ওয়ালা থেকে বিজেপি বিধায়ক, চিনুন রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাকারী পূর্ণেশকে

    Purnesh Modi: চা-ওয়ালা থেকে বিজেপি বিধায়ক, চিনুন রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাকারী পূর্ণেশকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে তাঁর মিল অনেক। দুজনেরই পদবি মোদি। দুজনেই ছিলেন চা-ওয়ালা। প্রথম জন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর দ্বিতীয়জন পূর্ণেশ মোদি (Purnesh Modi) তাঁরই দল বিজেপির (BJP) একনিষ্ঠ সদস্য। এই পূর্ণেশই বিপাকে ফেলেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। তাঁর করা মামলায়ই গুজরাটের সুরাট আদালত রাহুলকে দু বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। যার জেরে রাহুলকে খোয়াতে হয়েছে সাংসদ পদ। সুরাট আদালতের রায় উচ্চ আদালতেও বহাল থাকলে আগামী আট বছর কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না রাহুল। এবার জেনে নেওয়া যাক, পূর্ণেশের পরিচয়।

    পূর্ণেশ মোদি (Purnesh Modi)…

    ১৯৬৫ সালের ২২ অক্টোবর সুরাটে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পূর্ণেশ (Purnesh Modi)। সুরাট পশ্চিমের বিধায়ক তিনি। দারিদ্রের কারণে এক সময় তিনি চা বিক্রি করতেন। করেছেন দিন মজুরির কাজও। বিকমের পাশাপাশি এলএলবিও পাশ করেছিলেন পূর্ণেশ। পেশায় আইনজীবী এই বিধায়ক এক সময় গুজরাট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৩ সালে বিজেপি বিধায়ক কিশোর ভাই মারা যান। বিজেপি টিকিট দেয় পূর্ণেশকে। জয়ী হন তিনি। ২০১৭ সালে রেকর্ড ভোটে জিতে ফের বিধানসভায় পা রাখেন তিনি।

    এক সময় পূর্ণেশ বিজেপির বুথ কনেভেনার ছিলেন। হয়েছিলেন ওয়ার্ড প্রমুখও। সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বিজেপি কর্পোরেটরও ছিলেন। ছিলেন বিজেপির স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। ২০১০ সাল থেকে পর পর দুটো টার্ম বিজেপির সুরাট ইউনিটের প্রধানও ছিলেন তিনি। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পূর্ণেশ নিজেকে গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের এক জনসভায় রাহুল বলেছিলেন, সব চোরের পদবি কেন মোদি হয়। রাহুলের বক্তব্য নিয়ে হইচই হয় বিস্তর। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন পূর্ণেশ (Purnesh Modi)। শুনানির পরে রাহুলকে দু বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সুরাট আদালত। সঙ্গে করা হয় জরিমানাও। তবে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আবেদন করার সুযোগও দেওয়া হয় রাহুলকে।

    এদিকে, দু বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় খারিজ হয়ে যায় রাহুলের সাংসদ পদ। সুরাট আদালতের রায় উচ্চ আদালতেও বহাল থাকলে আগামী আট বছরের জন্য তিনি কোনও নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Eric Garcetti: ভারতে নয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি, শপথ বাক্য পড়ালেন কমলা হ্যারিস  

    Eric Garcetti: ভারতে নয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি, শপথ বাক্য পড়ালেন কমলা হ্যারিস  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) আমেরিকার (America) নয়া রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রাক্তন মেয়র এরিক গারসেটি (Eric Garcetti)। শুক্রবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান আমেরিকার প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস (Kamala Harris)। গত দু বছর ধরে এই পদটি ফাঁকা পড়েছিল।দিন কয়েক আগে ভারতে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে এরিকের মনোনয়নে সায় দেয় আমেরিকার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেট। এরিক ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রথম সারির নেতা। তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পছন্দের প্রার্থী। ৫২-৪২ ভোটে অনুমোদিত হয় প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব। ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা হলেও, এরিকের সঙ্গে সখ্য রয়েছে রিপাবলিকান পার্টিরও।

    এরিক গারসেটি (Eric Garcetti)…

    এদিনের (Eric Garcetti) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এরিকের মেয়ে মায়া, স্ত্রী অ্যামি ওয়েকল্যান্ড, বাবা গিল গারসেটি, মা সুকে গারসেটি এবং শাশুড়ি ডি ওয়েকল্যান্ড সহ তাঁর ঘনিষ্ঠরা। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হিব্রু বাইবেল ধরে রেখেছিলেন এরিকের মেয়ে মায়া। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ছবি ট্যুইট করে কমলা লিখেছেন, আমি আজ সহকর্মী এরিকের ভারতে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত পদে শপথের দায়িত্ব নেওয়ার সম্মান পেয়েছি। রাষ্ট্রদূত গারসেটি একজন দায়বদ্ধ জনসেবক। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন তিনি।

    ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ছিলেন এরিক (Eric Garcetti)। তাঁর আমলে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ উচ্চ প্রশংসিত হয়েছিল আমেরিকার ওই শহরে। বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সঙ্গে সহযোগিতার বন্ধন তৈরির কাজে সাফল্যও পেয়েছিলেন এরিক। যদিও মেয়র পদে থাকাকালীনই নিজের দফতরের এক কর্মীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল এরিকের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    উল্লেখ্য, ভারতে শেষ রাষ্ট্রদূত ছিলেন কেনেথ জাস্টার। ২০২১ সালে আমেরিকায় সরকার পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ভারতের রাষ্ট্রদূত নির্বাচিত হওয়ায় বাইডেন প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এরিক। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির দিকটি নজরে রাখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতে নয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত। ট্যুইট-বার্তায় তিনি (Eric Garcetti) লেখেন, আজ আমি রোমাঞ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে যে পদ খালি ছিল, সেই পদে বসতে পেরে। কঠিন কাজ শুরু হল। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও হোয়াইট হাউসের কাছে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: তোলা হল অনশন, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে চলবে আন্দোলন, সাফ জানাল মঞ্চ

    DA: তোলা হল অনশন, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে চলবে আন্দোলন, সাফ জানাল মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৪ দিনের মাথায় উঠল অনশন। বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ওই অনশন (Fasting) করছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (Songrami Joutho Moncho) সদস্যরা। তবে অনশন প্রত্যাহৃত হলেও, আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিবাদীরা। অনশন তুলে নেওয়ার কারণ হিসেবে কর্মীদের অসুস্থতার কথা জানান আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে তাপস চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘ অনশন আন্দোলনে অনেক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কারও কিডনিতে সমস্যা হচ্ছিল, কেউ কেউ গ্যাসট্রিকের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই আপাতত ডিএর দাবিতে অনশন স্থগিত রাখা হল। তিনি জানান, বকেয়া ডিএর দাবিতে রাজ্যের নানা প্রান্তে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলবে।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    আন্দোলনকারী ভাস্কর ঘোষ বলেন, প্রয়োজন পড়লে ফের আন্দোলনে বসব। আমার সঙ্গে আরও এক অনশনকারী রয়েছেন তাপস সিংহ। তিনিও অনশন আপাতত স্থগিত রেখেছেন। আমাদের শারীরিক পরীক্ষা হবে। তিনি বলেন, অনেকেই অনশন শুরু করলেও, শেষ পর্যন্ত দু জন ছিলেন। ভাস্কর বলেন, আমরা শুধুমাত্র আন্দোলনের (DA) অভিমুখ ঘোরাচ্ছি। ২৯ তারিখ গণ-অনশন হবে। তবে ওই দিন বার্গার-প্যাটিস খেয়ে ফের অনশন হবে। এতদিন আমরা না খেয়ে অনশন করেছি। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে গুচ্ছ কর্মসূচি পালন করা হবে। বকেয়া ডিএর দাবিতে ৩০ মার্চ হবে সরকারি কর্মীদের মহা সমাবেশ হবে। ওই দিন গণছুটি নিয়ে শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে মহা মিছিল হবে। সেই মিছিলে হেঁটে আন্দোলনকারীরা যোগ দেবেন শহিদ মিনারের ধর্নামঞ্চে। ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তরমন্তরে দু দিনের অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

    আরও পড়ুুন: একাধিক ব্যাঙ্ক লকারের সন্ধান! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নের স্ত্রীকে ডাকতে পারে ইডি

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএর (DA) দাবিতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মতলার শহিদ মিনার ময়দানে রিলে অনশন শুরু করেছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় ধারাবাহিক অনশন। দাবি পূরণ না হওয়া অবধি আন্দোলনকারীরা উঠবেন না বলে জানিয়েছিলেন। ওই দাবিতে একদিনের কর্মবিরতিও পালন করেন সরকারি কর্মীরা। করেন ধর্মঘটও। কর্মবিরতি ও ধর্মঘটে শামিল হওয়া কর্মীদের শোকজ করে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চায় রাজ্য সরকার। তার পরেও অবশ্য আন্দোলন জারি রেখেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • S Jaishankar: ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলা, মুখ খুললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলা, মুখ খুললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার লন্ডনে (London) ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা। দূতাবাস থেকে নামিয়ে দিয়েছিল ভারতের (India) তেরঙ্গা পতাকা। এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, দূতাবাসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা দেশগুলির দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন ধরা পড়ছে না। লন্ডনের ঘটনাকে ভারত যে হালকাভাবে নিচ্ছে না, তা ধরা পড়েছে জয়শঙ্করের কথায়ই। তিনি বলেন, এই বিষয়ে (খালিস্তানপন্থীদের হামলার বিষয়ে) আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি।

    খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল…

    প্রসঙ্গত, রবিবার খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের নামে স্লোগান দিয়ে বেশ কয়েকজন হামলা চালায় লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে। দূতাবাস থেকে টেনে নামিয়ে দেওয়া হয় ভারতের জাতীয় পতাকা। লন্ডনের ওই ঘটনার পরে পরেই ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূতকে জরুরি তলব করা হয়। চাওয়া হয় ব্যাখ্যাও। ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। ঘটনার জেরে শুক্রবারই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, ভারত আশ্বাস চায় না, চায় উপযুক্ত পদক্ষেপ। তারপর এদিন ভারতের তরফে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিদেশমন্ত্রীও।

    লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনার পরে পরেই যানজটের (S Jaishankar) কারণ দেখিয়ে ভারতের ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়। তার পর তড়িঘড়ি আঁটসাঁট করা হয় লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কেবল লন্ডন নয়, চলতি সপ্তাহেই খালিস্তানপন্থীরা হামলা চালিয়েছিল আমেরিকার সান ফ্রন্সিসকোয় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসেও। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার ভারত ও আমেরিকার তরফে শান্তি মিছিল করা হয় সান ফ্রান্সিসকোয়, ভারতীয় দূতাবাসের সামনে। বহু মানুষ যোগ দিয়েছিলেন এদিনের শান্তি মিছিলে। তাঁদের হাতে ছিল ভারতের তিরঙ্গা পতাকা।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    প্রসঙ্গত, গত রবিবারই খালিস্তানপন্থী একদল লোক সান ফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালায়। খালিস্তানের পক্ষে স্লোগানও দিতে (S Jaishankar) থাকেন তাঁরা। কল্পিত খালিস্তানের দুটি পতাকাও তাঁরা টাঙিয়ে দেন দূতাবাসের সামনে। পরে অবশ্য ওই পতাকা দ্রুত সরিয়ে দেন দূতাবাসের দুই কর্মী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share