Tag: bangla news

bangla news

  • BJP: দিল্লিতে বৈঠকে বসছে ‘ইন্ডি’ জোট, পাল্টা আয়োজন বিজেপিরও, থাকছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং

    BJP: দিল্লিতে বৈঠকে বসছে ‘ইন্ডি’ জোট, পাল্টা আয়োজন বিজেপিরও, থাকছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বৈঠকে বসছে ‘ইন্ডি’ জোটের সমন্বয় কমিটি। ১৩ সেপ্টেম্বর খোদ নয়া দিল্লিতে হবে বৈঠক। লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করা এবং আসন রফা নিয়েই মূলত আলোচনা হবে ওই বৈঠকে। ‘ইন্ডি’ জোটের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে ওই দিনই বৈঠকে বসার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপিও (BJP)। এদিন বৈঠকে বসবেন পদ্মশিবিরের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্যরা। চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে পাঁচ রাজ্যে। এই বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচন নিয়েও হবে আলোচনা। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং।

    পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন

    এ বছরই পুজোর পরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গনা, ছত্তিশগড় ও মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের আগে যা বিজেপির (BJP) কাছে অগ্নিপরীক্ষা-স্বরূপ। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের ৭ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও ইন্ডি জোটকে ঘায়েল করতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। সেই কারণেই বৈঠকে বসছেন পদ্ম নেতৃত্ব।

    লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়েও আলোচনা

    বিজেপির এই বৈঠকে মিজোরাম সহ পাঁচ রাজ্যে সংগঠনের কী অবস্থা, ‘ইন্ডি’ জোটকে পরাস্ত করতে প্রয়োগ করা হবে কোন হাতিয়ার, লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল কী হবে, এসব নিয়েই মূলত হবে আলোচনা। যে পাঁচটি রাজ্যে এবছরই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা, সেখানে প্রার্থী বাছাই নিয়েও আলোচনা হবে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা।

    আরও পড়ুুন: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডি’। ‘ইন্ডি’-র প্রথম বৈঠক হয়েছে বিহারের পাটনায়। দ্বিতীয় দফার বৈঠক হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। আরব সাগরের তীরে হয়েছিল তৃতীয় বৈঠক। এবার খাস দেশের রাজধানীর বুকে হতে চলেছে ‘ইন্ডি’-র সমন্বয় কমিটির বৈঠক। তার পরেও লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে (BJP) পরাস্ত করা যাবে না বলেই ইঙ্গিত মিলেছে বিভিন্ন সমীক্ষায়।

    ইন্ডিয়ার বিজেপি-বধের যাবতীয় উদ্যোগ কি তাহলে জলেই যাবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup 2023: আজ ফের ম্যাচ, ক্লান্ত কোহলি! পাকিস্তান-বধে পাঁচ উইকেটের রহস্য জানালেন কুলদীপ

    Asia Cup 2023: আজ ফের ম্যাচ, ক্লান্ত কোহলি! পাকিস্তান-বধে পাঁচ উইকেটের রহস্য জানালেন কুলদীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার এই গরমে টানা তিন দিন খেলা বেশ ক্লান্তির, জানালেন কিং কোহলি। রবিবার ২৪ ওভার, সোমবার খেলতে হল ৫৭ ওভার, মঙ্গলবার আবার মাঠে নেমে ১০০ ওভার খেলতে হতে পারে। এশিয়া কাপে ভারতের কঠিন সূচির কথা মেনে নিলেন বিরাট। পাকিস্তানকে হারিয়ে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে সঞ্চালক সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে আগে ভাগেই কোহলি বলে দিলেন, “আমি অনুরোধ করব আপনি যাতে সাক্ষাৎকারটা খুব ছোট নেন। আমি প্রচণ্ড ক্লান্ত।”

    টানা ক্রিকেটের ধকল বিরাটের মুখে

    সোমবার বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক সময়ে খেলা শুরু হয়নি। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি দেরি হয়েছে শুরু হতে। মাঝেও বৃষ্টিতে অনেক ক্ষণ খেলা বন্ধ থেকেছে। পাকিস্তান পুরো ৫০ ওভার খেললে রাত প্রায় ১টা বেজে যেত ম্যাচ শেষ হতে। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি ভারত। ক্লান্তি প্রসঙ্গে কোহলি বললেন, “মাঠে প্রচুর দৌড়ে রান নিয়েছি। প্রত্যেক সময়েই মনে হচ্ছিল, কাল আবার দুপুর ৩টের সময় আমাদের মাঠে নামতে হবে। ভাগ্য ভাল যে আমরা নিয়মিত টেস্ট খেলি। আমি ১০০টার উপর টেস্ট খেলেছি। তাই কী ভাবে পর দিন মাঠে নামতে হয় সেটা আমার জানা। তবে এটাও ঠিক, এই মাঠে প্রচণ্ড গরম। নভেম্বরে আমার ৩৫ বছর বয়স হবে। তাই শরীরের দিকে বাড়তি খেয়াল তো রাখতেই হবে। চাইব যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে তৈরি করতে।”

    কোহলির রেকর্ড

    এদিন এক দিনের ক্রিকেটে ১৩ হাজার রান হয়ে গেল কোহলির। দ্রুততম ব্যাটার হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। সোমবার রিজার্ভ ডে-র দিনে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন তিনি। কোহলির আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা দাঁড়াতেই পারেননি। হ্যারিস রউফকে হারিয়ে এমনিতেই একটু চাপে ছিল পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহেরা কোহলির আগ্রাসনের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। এই নিয়ে ২৭৭ ইনিংসে ১৩ হাজার রান করলেন কোহলি। টপকে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকে, যিনি ৩২১ ইনিংসে ১৩ হাজার রান করেছিলেন। শাহিনের বলে দু’রান নিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন কোহলি। এক দিনের ক্রিকেটে ৪৭তম শতরান হল কোহলির। শীর্ষে থাকা সচিনের থেকে আর দু’টি শতরান পিছনে তিনি।

    আরও পড়ুন: কুলদীপের কেরামতি! কোহলি-রাহুলের শতরান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সহজ জয় ভারতের

    কুলদীপের কেরামতি

    কিছু দিন পরে ভারতের মাটিতে শুরু হচ্ছে এক দিনের বিশ্বকাপ। সেই প্রতিযোগিতায় ভারতের অন্যতম অস্ত্র কুলদীপ যাদব। পাঁচ উইকেট নিয়ে একার হাতে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এদিন কুলদীপ বলেন, “চার বছর আগে ২০১৯-এর বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। ওদের দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারকেই চিনি। তাই স্পিন ওরা কী ভাবে খেলে সেটাও জানি। চেষ্টা করেছিলাম বলের মধ্যে বৈচিত্র আনতে। উইকেট লক্ষ্য করে বল করতে চেয়েছিলাম। স্পিন ভাল খেলে এমন দলের বিরুদ্ধে খেলার সুবাদে দেখেছি, ওরা শুধু সুইপ এবং রিভার্স সুইপ মারার চেষ্টা করে। ওখানেই উইকেট নেওয়ার সুযোগ চলে আসে।”

    কুলদীপ জানিয়েছেন, পাঁচ উইকেট নেওয়া কখনওই তাঁর লক্ষ্য ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন ভাল বল করতে। কুলদীপের কথায়, “প্রথম ওভার থেকেই ভাল ছন্দ পেয়ে গিয়েছিলাম। ধারাবাহিক ভাবে ভাল বল করে গিয়েছি। পাঁচ উইকেট পেলে ভাল লাগে ঠিকই। কিন্তু চারটে উইকেট পেয়ে যাওয়ার পরে কখনও ভাবি না যে আর একটা উইকেট আমাকে পেতেই হবে। সেই মুহূর্তে ভাল লেংথে বল করাই আমার লক্ষ্য থাকে। কিন্তু পাঁচ উইকেট পাওয়ার অনুভূতি যে আলাদা সেটা স্বীকার করতে বাধা নেই।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার তাঁর কনভয়ের রাখা যাতায়াতের গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখে, এই দাবি তিনি প্রায় বেশ কয়েক মাস আগে করেছিলেন। সোমবার তা হাতেনাতে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা এদিন তোপ দাগেন। এমনকী জেলা পুলিশ সুপারকেও তিনি নিশানা করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    এদিন উত্তর ২৪ পরগনায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের হলদিয়া মোড় পেরিয়ে বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করার পর বিশেষ কাজে তিনি ফিরে আসেন হলদিয়া মোড়ের কাছে। তখন তিনি দেখতে পান জাতীয় সড়কের কোলাঘাটে জাতীয় সড়কের পাশে স্পিডোমিটার সরিয়ে নিচ্ছেন পুলিশ কর্মচারীরা। গাড়ি থেকে নেমে হাতেনাতে ধরে ফেলেন শুভেন্দু এবং একগুচ্ছ অভিযোগ করেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কী অভিযোগ?

    শুভেন্দু বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস আগে তিনি যে অভিযোগ করেছিলেন সেই অভিযোগের সত্যতা প্রকাশ পেল। বিরোধী দলনেতার যানবাহনের গতিবিধির নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকার স্পিডোমিটার যে ব্যবহার করছিল এটাই তার প্রমাণ। আমি চলে যাওয়ার পর ফিরে আসব ওরা বুঝতে পারেনি। আসলে রাজ্য সরকার বিরোধী দলনেতাকে দমিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু, সম্পূর্ণটাই বিফলে পরিণত হয়।’

    পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে তিনি কী বললেন?

    বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রশাসন তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুক।’ জাতীয় সড়কের ওপর বিভিন্ন বেআইনি বিষয়গুলিও তুলে ধরেন স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সমস্তটাই দায়ভার চাপিয়ে দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা পুলিশ  সুপার অমরনাথ কে-র উপর। স্থানীয় প্রশাসন থেকে জানা যায়, ‘যাই অভিযোগ আসুক না কেন বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখেই স্পিডোমিটার বসানো হয়েছিল সাধারণ মানুষের স্বার্থে।’

    কিন্তু, প্রশ্ন হল, সাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থেই যদি স্পিডোমিটার বসানোই হয়ে থাকে, তাহলে, আচমকা কেন তা গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছিল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shanti Swarup Bhatnagar Prize: গর্বিত বাংলা! বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন চার বাঙালি

    Shanti Swarup Bhatnagar Prize: গর্বিত বাংলা! বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন চার বাঙালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন আইআইসিবি-র বাঙালি চিকিৎসক-গবেষক ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত চার বাঙালি বিজ্ঞানী। ৩৯ বছর পর কলকাতায় কাজ করে মেডিক্যাল সায়েন্সে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন ইমিউনোলজিস্ট শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারমোট ১২ জন এই সম্মান পাচ্ছেন। এর মধ্যে ৪ জন বাঙালি। 

    শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার কী

    দেশে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় পুরস্কার শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize)। কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) এর প্রতিষ্ঠা দিবসে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। সিএসআইআর-এর প্রথম ডিরেক্টর শান্তি স্বরূপ ভাটনাগরের নামানুসারে, প্রতি বছর সাতটি বৈজ্ঞানিক শাখায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়। জীববিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্থ, বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর এবং গ্রহ বিজ্ঞানের মতো ৭ টি বিষয়ে এই পুরস্কার দেওয়া হয়৷ ভাটনগর পুরস্কার স্বরূপ গবেষকদের ৫ লক্ষ টাকা নগদ দেওয়া হয়৷ ৪৫ বছরের কম বয়সী বিজ্ঞানীরা এই সম্মান পেয়ে থাকেন৷

    দীপ্যমানের কীর্তি 

    চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১৯৮৪-র পর এই প্রথম কোনও বাঙালি শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন। কোভিডের উপর কাজ করে এই পুরস্কার পেয়েছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই অনাক্রম্যতা (ইমিউনোলজি) বিষয়ে গবেষণা করছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে বিশেষ ভাবে ছিল অটোইমিউন ডিজিজ। সাম্প্রতিক কালে কোভিডে অনাক্রম্যতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কী ভাবে প্রভাব ফেলেছিল, সেটি নিয়েও গবেষণা করেন তিনি। কোভিডে প্লাজমা থেরাপির পরীক্ষামূলক গবেষণাও করেছেন। সেই সমস্ত কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই এই পুরস্কার পেয়েছেন দীপ্যমান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে। লিখেছেন, ‘সম্মানপ্রাপক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাই। বহু বছর পর বাংলায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একজন গবেষকের হাত ধরে এই ভাটনগর সম্মান এল।’

    কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা?

    ৩৯ বছর পর কলকাতায় কাজ করে মেডিক্যাল সায়েন্সে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। এই পুরষ্কারের ঝুলিতে রয়েছে—একটি প্রশংসাপত্র, একটি ফলক এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা। এই পুরষ্কার পাওয়ার পর দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‌রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই রাজ্যে আর‌ও বেশি করে গবেষণার পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা চলে যাচ্ছে?‌ সেটাও দেখতে হবে।’

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট প্রকাশ বেলুড় মঠের, স্বামীজি প্রচলন করেছিলেন এই পুজো

    আর কোন কোন বাঙালি পেলেন সম্মান

    যে চার বাঙালির আলোয় এ বারের ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) উজ্জ্বল, তাঁরা রসায়নে আইআইটি বম্বের দেবব্রত মাইতি, পদার্থবিদ্যায় বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের (আইআইএসসি) অনিন্দ্য দাস ও টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের বাসুদেব দাশগুপ্ত এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজির দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। দেবব্রতের গবেষণা কার্বন এবং হাইড্রোজেন পরমাণুর পারস্পরিক রাসায়নিক বন্ধন নিয়ে। সন্ধিগত মৌলের অনুঘটন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জীবনদায়ী ওষুধ থেকে কীটনাশক পর্যন্ত বিভিন্ন কিছুর উদ্ভাবনে দিশা দিচ্ছে তাঁর কাজ। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দেবব্রতের পড়াশোনা পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শ্রীরামপুর গ্রামের স্থানীয় কৃষি উচ্চ বিদ্যালয়ে। পদার্থবিদ্যায় পুরস্কার প্রাপক অনিন্দ্য দাসও বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। পদার্থবিদ্যায় পুরস্কার প্রাপক আর এক বাঙালি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের (টিআইএফআর) বাসুদেব দাশগুপ্ত। ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার স্নাতক স্তরের ছাত্র ছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup 2023: কুলদীপের কেরামতি! কোহলি-রাহুলের শতরান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সহজ জয় ভারতের

    Asia Cup 2023: কুলদীপের কেরামতি! কোহলি-রাহুলের শতরান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সহজ জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল শুরু করেছিলেন, শেষ করলেন কুলদীপ যাদব। কার্যত বিনা লড়াইয়ে ভারতের কাছে হার মানল পাকিস্তান। ভারতের ৩৫৭ রানের আকাশছোঁয়া টার্গেট তাড়া করতে নেমে পরপর উইকেট হারাল বাবররা। ৩২ ওভারেই শেষ হয়ে গেল পাকিস্তানের ইনিংস। মাত্র ১২৮ রানে গুটিয়ে গেল তারা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা কুলদীপ যাদব। কুলদীপ-জাদেজার স্পিনের ঝলক, পাকিস্তানকে ২২৮ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপে ম্যাচ পকেটে পুরল ভারত।

    ভারতীয় বোলারদের দাপট

    ফরম্যাট ওয়ান ডে। যদিও ম্যাচ হল দু-দিনে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এত বিরতি দর্শকদের আনন্দ কেড়ে নেয়। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ম্যাচ সম্পূর্ণ হল। গ্রুপস্তরে ভারতের ব্য়াটিংয়ের উপর দাপট দেখালেও সুপার ফোরে সেটা দেখাতে পারলেন না শাহিনরা। পাক বোলারদের দম্ভ গুঁড়িয়ে গেল। কোহলি-রাহুলের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের জেরে আক্ষরিক অর্থেই চোখে সর্ষেফুল দেখছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, শাদাব খানের মতো পাক বোলাররা। বুঝতে পারছিলেন না ঠিক কীভাবে আটকে দেওয়া যাবে কোহলি-রাহুলের রানের গতি। প্রত্যাশিতভাবেই অপরাজিত থেকেছেন দুই ভারতীয় ব্যাটার। ১২২ রানে অপরাজিত রইলেন কোহলি। আর রাহুল অপরাজিত রইলেন ১১১ রান করে।

    কুলদীপের স্পিনের যাদু

     ভারতীয় ইনিংস শেষেই বৃষ্টি নামে। তবে খেলা শুরু হতেই কুলদীপের স্পিনের যাদু চোখে পড়ল। পাকিস্তান ন্যূনতম লড়াইটাই করতে পারল না। ওপেন করতে নেমে ফখর জামান ও ইমাম উল হকের জুটি করল মাত্র ১৭ রান। ৯ রানে ইমামকে ফেরান বুমরাহ। এটা ছিল পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসের শুরু। এরপর আর সেটা থামেনি। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ফখর জামান। এরপর আঘা সালমান ও ইফতিকার আহমেদ করেন ২৩ রান করে। এই তিনজন বাদে পাকিস্তানের আর কেউ পাতে দেওয়ার মত রান করতে পারেনি। বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানের মত যাদের নিয়ে পাকিস্তানের গর্ব তাদেরকেই মাটিতে ফেলল ভারত।পাকিস্তানের পাঁচজন ব্যাটার এক অঙ্কের রান করলেন। ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া, শার্দূল ঠাকুর। পাঁচটি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে এই পারফরম্যান্স হালকা রাখবে ক্রিকেটারদের।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা কুলদীপ যাদব। কুলদীপ-জাদেজার স্পিনের ঝলক, পাকিস্তানকে ২২৮ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপে ম্যাচ পকেটে পুরল ভারত।  এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করেন রোহিতরা। ভারতীয় ইনিংস শেষেই বৃষ্টি। ম্যাচ আর সম্পূর্ণ হয়নি। সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তাই যোগ করা হয়েছিল রিজার্ভ ডে। শেষ মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত নেয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। রিজার্ভ ডে কাজে লাগল। তবে চাপও বাড়ল ভারতীয় শিবিরে। টানা দু-দিন খেলতে হল। রাত পোহালেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ। দু-দিনের দ্বৈরথে ভারত জিতল ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Student Abduction: স্কুলের সামনে থেকে ছাত্রকে ‘অপহরণে’র অভিযোগ, খাস কলকাতার ঘটনায় চাঞ্চল্য

    Student Abduction: স্কুলের সামনে থেকে ছাত্রকে ‘অপহরণে’র অভিযোগ, খাস কলকাতার ঘটনায় চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে স্কুলের পাঁচতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের। কলকাতার ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন মৃত ছাত্রের বাবা। সেই ঘটনার রেশ এখনও মেলায়নি। তার মধ্যেই ঘটে গেল আরও একটি শিউরে ওঠার মতো ঘটনা।

    ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ

    এবার দক্ষিণ কলকাতার লেক থানা এলাকার সেলিমপুরের একটি স্কুলের সামনে থেকে একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের (Student Abduction) অভিযোগ। এবারও চর্চার কেন্দ্রে সেই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। অভিযোগ, সোমবার দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাইস্কুলের ওই ছাত্রকে মারধর করে একটি বাইকে তুলে নিয়ে পালায় কয়েকজন। লেক থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। স্কুলে যায় পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে তারা। পরে কসবা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রকে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি

    স্কুলের এক ছাত্রকে যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে (Student Abduction), তা স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় মিত্র। তিনি বলেন, “স্কুলের ছাত্ররা আমাকে জানিয়েছে, স্কুলের বাইরে রাস্তায় ওই ছাত্রকে প্রথমে সাত-আটজন মিলে মারধর করে। পরে তাকে বাইকে তুলে নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে।” ওই স্কুলের প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্র জানায়, এদিন সাড়ে তিনটে নাগাদ স্কুল থেকে বেরিয়েছিল ওই পড়ুয়া। তখনই তাকে ঘিরে ধরে কয়েকজন। মারধর করে জোর করে তাকে বাইকে তুলে নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।

    আরও পড়ুুন: প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগে পার্থর সরাসরি ভূমিকা ছিল! হাইকোর্টে দাবি সিবিআইয়ের

    কী কারণে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রকে মারধর করা হল, কেনইবা তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইকে তুলে নিয়ে চলে যাওয়া হল (Student Abduction), এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশও। পারিবারিক শত্রুতা নাকি অপহরণের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও গল্প, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। খোদ কলকাতার বুকে দিনেদুপুরে এমন ঘটনায় অশনি সংকেত দেখছেন অভিভাবকরা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পড়ুয়ারাও।

    পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পরে পরে বাড়িতে ভিডিও কল করেছিল ওই ছাত্র। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে ছাত্রটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কসবা এলাকায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে ছাত্রটিকে। যদিও এদিন দীর্ঘক্ষণ হদিশ মেলেনি দুষ্কৃতীদের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: হাসপাতালে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    Justice Abhijit Ganguly: হাসপাতালে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বজ্রকঠিন মানুষটির ভেতরেই লুকিয়েছিল নরম মনের একটি মানুষ। এতদিন সেই মানুষটির হদিশ পাননি রাজ্যবাসী।  দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) হিসেবে যাঁকে চেনেন পশ্চিমবঙ্গবাসী, সেই তিনিই ধরে রাখতে পারলেন না আবেগের রাশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক ছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন শিশুর মতো। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার দৌলতে রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশ যাঁকে চিনে গিয়েছে।

    দুর্ঘটনার কবলে মেধাবী ছাত্রী

    হুগলির চাঁপদানির বিএম রোডে বাড়ি সুনীতা বর্মার। মহাদেবানন্দ কলেজের প্রথম সেমেস্টারের ছাত্রী তিনি। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা দিতে কলেজে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। পলতা স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই ছাত্রী। ট্রেন চলে এলে ভিড়ের ধাক্কায় স্টেশন আর ট্রেনের মাঝে পা আটকে যায় তাঁর। তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয় ওই কলেজ ছাত্রীকে। তবে ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। প্রাণে বাঁচলেও, তাঁর দুটি পা-ই কেটে বাদ দিয়ে দেন আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

    হাসপাতালে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় 

    সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে খবরটি জানতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সোমবার মেধাবী ওই ছাত্রীকে দেখতে হাইকোর্ট থেকে সোজা হাসপাতালে চলে যান তিনি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গেও। সুনীতার বাবা নেই। মা ও ভাইকে নিয়েই সংসার তাঁর। সেই সুনীতারই দুটি পা খোয়া যাওয়ায় অথৈ জলে বর্মা পরিবার। এদিন হাসপাতালের সুপারের সঙ্গেও কথা বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের।

    আরও পড়ুুন: ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিবাদই কাল হল বাবুলের, ডানা ছাঁটা হল ‘বহিরাগত’ গায়কের

    তখনই ছাত্রীটির বিষয়ে বলতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন আপাত লৌহকঠিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ধরা গলায় বলেন, “ছাত্রীটি ভাল আছেন। ওই ছাত্রীর পাশে আমরা সবাই রয়েছি। সব রকম সাহায্য করব। কৃত্রিমভাবে পা লাগানো যায় কিনা চিকিৎসকদের কাছে আবেদন করেছি।” তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। তিনিও নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Asia Cup 2023: ভারত-পাক ম্যাচে রেকর্ড কোহলি-রাহুল জুটির, বিরাট ঢুকে পড়লেন ১৩ হাজারি বৃত্তে

    Asia Cup 2023: ভারত-পাক ম্যাচে রেকর্ড কোহলি-রাহুল জুটির, বিরাট ঢুকে পড়লেন ১৩ হাজারি বৃত্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড হল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে। এশিয়া কাপের (Asia Cup 2023) এই খেলায় ভেঙে খান খান হয়ে গেল ২৭ বছর আগের রেকর্ড। সেবার এক দিনের ক্রিকেটে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিল সচিন তেন্ডুলকর-নভজ্যোত সিং সিধুর জুটি। শারজায় এই জুটি করেছিল ২৩১ রান। আর আজ, সোমবার কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে সেই রেকর্ড দুরমুশ করে দিলেন ভারতেরই বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল।

    কোহলি-রাহুলের মারকাটারি ব্যাটিং

    কোহলি-রাহুলের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের জেরে আক্ষরিক অর্থেই চোখে সর্ষেফুল দেখছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, শাদাব খানের মতো পাক বোলাররা। বুঝতে পারছিলেন না ঠিক কীভাবে আটকে দেওয়া যাবে কোহলি-রাহুলের রানের রথের গতি। প্রত্যাশিতভাবেই অপরাজিত থেকেছেন দুই ভারতীয় ব্যাটারই। ১২২ রানে অপরাজিত রইলেন কোহলি। আর রাহুল অপরাজিত রইলেন ১১১ রান করে। ১২৩ রানে ২ উইকেট খোয়ায় ভারত। তার পরেই হাল ধরেন কোহলি-রাহুল। জন্ম নিল নয়া রেকর্ড। যার সাক্ষী রইলেন কলম্বোর ক্রিকেটপ্রেমীরা।

    একাধিক নজির কোহলির 

    কলম্বোর এই (Asia Cup 2023) মাঠ সাক্ষী রইল আরও একাধিক রেকর্ডের। দীর্ঘ ন’ বছর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। এক দিনের ক্রিকেটে ১৩ হাজার রানের অধিকারী হলেন তিনি। দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে এই নজির গড়লেন কোহলি। এই নিয়ে ২৭৭ ইনিংসে ১৩ হাজার রান করলেন তিনি। ছাড়িয়ে গেলেন সচিনকে।

    ৩২১ ইনিংসে ১৩ হাজার রান করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। এক দিনের ক্রিকেটে ৪৭তম শতরানও হল প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের। সচিনের থেকে আর মাত্র দু’টি শতরান পিছনে রয়েছেন কোহলি।

    কলম্বোর (Asia Cup 2023) এই স্টেডিয়ামে টানা চারটি শতরান করলেন কোহলি। এই স্টেডিয়ামে টানা শতরান করেছিলেন হাসিম আমলা। এবার সেই তালিকায় চলে এলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। প্রসঙ্গত, এই মাঠে ২০১২ সালে একটি এবং ২০১৭ সালে দু’টি শতরান করেছিলেন কোহলি।

    আরও পড়ুুন: প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগে পার্থর সরাসরি ভূমিকা ছিল! হাইকোর্টে দাবি সিবিআইয়ের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Babul Supriya: ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিবাদই কাল হল বাবুলের, ডানা ছাঁটা হল ‘বহিরাগত’ গায়কের 

    Babul Supriya: ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিবাদই কাল হল বাবুলের, ডানা ছাঁটা হল ‘বহিরাগত’ গায়কের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ১০ মাস পরে। এর ঠিক এক বছর এক মাস পরে বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriya) ডানা ছেঁটে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! গত বছর অগাস্টে মমতার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়ে বাবুল বলেছিলেন, “দিশা খুঁজে পেলাম।” সপ্তাহের প্রথম দিনই মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব কমে যাওয়ার পর এদিন সন্ধে পর্যন্ত অবশ্য তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    খর্ব করা হল বাবুলের ক্ষমতা

    গায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে গুরুত্ব দিয়ে দেওয়া হল পর্যটন দফতরের দায়িত্ব। বেশ কয়েক মাস ধরে এই দফতরের দায়িত্বে ছিলেন বিজেপি ফেরতা বাবুল। দিন কয়েক আগে বাবুল-ইন্দ্রনীলের কথা কাটাকাটির জেরে বাবুলের ক্ষমতা খর্বের এই সিদ্ধান্ত বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ইন্দ্রনীলকে গুরুত্ব দিলেও বাবুলকে দেওয়া হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি ও অচিরাচরিত শক্তি দফতরের দায়িত্ব।

    “দিদিকে বল…”

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের সামনে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন গায়ক-রাজনীতিক তৃণমূলের দুই মন্ত্রী। বাবুল চড়া সুরে বলেছিলেন, “তুমি কেন কাজ আটকে রেখেছ?” মমতা ঘনিষ্ঠ ইন্দ্রনীলের সপাট জবাব ছিল, “যা বলার দিদিকে গিয়ে বল…।” বাবুল দিদিকে বলেছিলেন কিনা জানা না গেলেও, এটা বোঝা গিয়েছিল দুই গায়ক-মন্ত্রীর বিবাদের জল গড়াবে অনেক দূর। শেষমেশ হলও তাই। ‘বহিরাগত’ বাবুলের (Babul Supriya) ডানা ছেঁটে ‘ঘরের ছেলে’ ইন্দ্রনীলের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগে পার্থর সরাসরি ভূমিকা ছিল! হাইকোর্টে দাবি সিবিআইয়ের

    ইন্দ্রনীলের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব বাড়িয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং প্রদীপ মজুমদারেরও। বন দফতরের পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়কে দেওয়া হয়েছে শিল্প পুনর্গঠন দফতরের দায়িত্বও। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সমবায় দফতর সামলাতে বলা হয়েছে। সমবায় দফতর থেকে অরুপ রায়কে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মন্ত্রিসভার রদবদলের সিদ্ধান্তে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অনুমোদন দিয়েছেন।”

    বিজেপি ফেরতা বাবুলকে নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ ধুমায়িত হচ্ছিল প্রথম থেকেই। বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে বাবুলকে (Babul Supriya) প্রার্থী করা হলে তৃণমূলের তারকা-রাজনীতিক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতাদের পদ না ধরিয়ে আগে দলের হয়ে খাটানো উচিত।”

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বাবুলের ডানা ছেঁটে কি সেই ইঙ্গিতই দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমোও?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vaibhav Taneja: নাদেলা এবং সুন্দর পিচাইয়ের পর বৈভব তানেজা! টেসলার মাথায় ভারতীয় প্রতিভাবান

    Vaibhav Taneja: নাদেলা এবং সুন্দর পিচাইয়ের পর বৈভব তানেজা! টেসলার মাথায় ভারতীয় প্রতিভাবান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্ব জুড়ে অনেক ভারতীয় প্রতিভাবান অনেক কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে মাইক্রোসফ্ট থেকে গুগল পর্যন্ত অনেক কোম্পানির সঙ্গে ভারতীয়রা যুক্ত। তার মধ্যে সত্য নাদেলা এবং সুন্দর পিচাইয়ের নাম অন্যতম। এবার আরও এক ভারতীয় প্রতিভার নাম জুড়ে গেল এই তালিকায়। তিনি এমন একজন, যাঁর কাছে ইলন মাস্ক তাঁর সমস্ত নথি ও কোম্পানির দায়ভার অর্পণ করেছেন। তাঁর নাম বৈভব তানেজা (Vaibhav Taneja)।

    কীভাবে এলেন এই পদে?

    ইলন মাস্কের কোম্পানি টেসলা বিশ্বের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির মধ্যে একটি। আর এই কোম্পানি ইলন মাস্ককে বিশ্বের ধনী ব্যক্তির মর্যাদা দিয়েছে। আর এই কোম্পানিরই সিএফও (চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার) হিসাবে ইলন মাস্ক নিযুক্ত করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৈভব তানেজাকে (Vaibhav Taneja)। যিনি এই কোম্পানির সমস্ত আর্থিক দায়ভার নিজে সামলান। এর আগে এই পদটি সামলাতেন টেসলার সিএফও জ্যাচারি কিরখোর্ন। সেই সময় বৈভব অ্যাকাউন্টিং বিভাগে কাজ করতেন।

    বৈভব তানেজার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কর্মজীবন

    এত বড় সাফল্যের পিছনে আছে অনেক সংগ্রাম ও পড়াশোনা। বৈভব দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ভারতের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউট থেকে একজন যোগ্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে নিজেকে তৈরি করেন। তিনি এর পর ১৯৯৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডে (PwC) সিনিয়র ম্যানেজার পদে কাজ করেছেন। ২০১৬ সালে তিনি সোলারসিটির কর্পোরেট কন্ট্রোলার হিসাবে যোগদান করেন। এর পর ২০১৭ সালে তিনি টেসলাতে যোগদান করেন। ২০১৮ সালের মে মাসে তিনি (Vaibhav Taneja) কর্পোরেট কন্ট্রোলার হিসাবে নিযুক্ত হন এবং ২০১৯ সালে তিনি প্রধান অ্যাকাউন্টিং অফিসার হিসাবে নিযুক্ত হন।

    দুই সিএফও-র সঙ্গে কাজ

    বৈভব (Vaibhav Taneja) তাঁর কর্মজীবনে অনেক বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। টেসলাতে সিএফও হওয়ার আগে তিনি কর্পোরেট কন্ট্রোলার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। টেসলার আগে বৈভব সোলারসিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। টেসলার প্রাক্তন জ্যাচারি কিরখর্নের সঙ্গেও তিনি আগে কাজ করেছেন। তাছাড়াও আরও এক ভারতীয় দীপক আহুজা, যিনি তাঁরও আগে টেসলার সিএফও ছিলেন, তাঁর সঙ্গেও কাজ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share