Tag: bangla news

bangla news

  • Chinese Dress Code: তালিবানি ফতোয়া চিনেও! পোশাকবিধি চালু হচ্ছে ড্রাগনের দেশে?

    Chinese Dress Code: তালিবানি ফতোয়া চিনেও! পোশাকবিধি চালু হচ্ছে ড্রাগনের দেশে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তালিবানি ফতোয়া চিনেও! দেশবাসীর ভাবাবেগে আঘাত লাগে এমন কোনও পোশাক (Chinese Dress Code) পরা যাবে না সে দেশে। এমনই একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। নয়া আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনও পোশাক পরা যাবে না। এমন কোনও চিহ্নও ব্যবহার করা যাবে না।

    জরিমানার বিধান

    আইন ভাঙলে ১৫ দিনের জেল বা ৫ হাজার ইয়েন (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৬ হাজার টাকা) জরিমানা গুণতে হবে। চিনের ভাবাবেগে আঘাত করে এমন কোনও কথাও বলা যাবে না। ওই ধরনের কোনও প্রতিবেদনও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। স্থানীয় হিরো এবং শহিদদের সম্পর্কেও কোনও কটু কথা বলা যাবে না। তাঁদের মূর্তি ভাঙলেও ভোগ করতে হবে কড়া সাজা। ২০১২ সালে চিনের কুর্সিতে বসেন জিনপিং। তারপর থেকে একের পর এক আদর্শ আরচণবিধি চালু করে চলেছেন তিনি। 

    ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ?

    তবে ঠিক কী ধরনের পোশাক (Chinese Dress Code) পরতে হবে, তা বলা হয়নি খসড়া আইনে। যেমন বলা হয়নি, কোন ধরনের পোশাক পরা যাবে না। চিনাদের একাংশের প্রশ্ন, তবে কী এবার থেকে পাশ্চাত্যের কোনও পোশাক পরা যাবে না?  তাঁদের মতে, চিনা নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে জিনপিংয়ের সরকার।

    চিনের ইউনিভার্সিটি অফ পলিটিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক ঝাও হং বলেন, “শত্রুতা চরিতার্থ করতে সহজেই পুলিশ এই আইনের অপব্যবহার করতে পারে। গত বছর সুঝৌ প্রদেশে এক মহিলাকে আটক করা হয়। জাপানি পোশাক কিমোনো পরে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন তিনি।” চিনা আইনজীবীদের একাংশও মনে করছেন, প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় অনেক বিষয়ই স্পষ্ট নয়। এই প্রস্তাব আইনে পরিণত হলে নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে।

    আরও পড়ুুন: মোদির সঙ্গে সেলফি তুললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ‘জি২০ সম্মেলন সফল’, জানালেন আলবানিজ

    ২০১৯ সালে চিন (Chinese Dress Code) দেশবাসীর জন্য আদর্শ আচরণ বিধি সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করে জিনপিংয়ের সরকার। তাতে বলা হয়েছিল, নাগরিকদের নম্র আচরণ করতে হবে। জিনপিং এবং তার দলের ওপর আস্থা রাখতে হবে। পায়ে ধুলো লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানো চলবে না। পড়শি দেশ আফগানিস্তানে পোশাক ফতোয়া চালু হয়েছে বছর তিনেক আগে, তালিবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর। এবার কী সেই একই ফতোয়া চালু হতে চলেছে ড্রাগনের দেশে? প্রশ্ন চিনা নাগরিকদেরই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: মোদির সঙ্গে সেলফি তুললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ‘জি২০ সম্মেলন সফল’, জানালেন আলবানিজ

    G20 Summit: মোদির সঙ্গে সেলফি তুললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ‘জি২০ সম্মেলন সফল’, জানালেন আলবানিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মে মাসেই অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানকার আতিথেয়তায় মুগ্ধতাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুত্ব মজবুত হল বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘সম্মেলন সফল’

    শনিবার নয়াদিল্লিতে আয়োজিত দু’ দিনের জি২০ সম্মেলনে (G20 Summit) যোগ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ। মোদিতে মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তুলেছেন সেলফিও। ভারতের সম্মেলন আয়োজন যে সফল, তাও জানিয়েছেন তিনি। আলবানিজ জানান, নয়াদিল্লি সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মধ্যে কমপ্রিহেনসিভ ইকনমিক কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20 Summit) যোগ দিতে শুক্রবারই ভারতে পা রেখেছেন আলবানিজ।

    ‘অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে লাভজনক’

    মে মাসে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন, তখনই আলবানিজ বলেছিলেন, “আমাদের মধ্যের এই সম্পর্ককে বিনিয়োগে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন। ভারতের সঙ্গে আমাদের মজবুত অংশীদারিত্ব ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্ব অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে লাভজনক হবে।” আলবানিজ জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তিনি ছ’ বার সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি এও জানান, অস্ট্রেলিয়া খুবই ভাল জায়গা। এর নেপথ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান-অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রদায়। তিনি দুই দেশের মধ্যে আরও নিবিড় সম্পর্ক দেখতে চান।

    এক্স হ্যান্ডেলে (G20 Summit) আলবানিজ জানান, ‘অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত দুই দেশই পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহার বাড়াতে যৌথভাবে কাজ করছে’। নয়াদিল্লি সম্মেলনে ভারত আলোকপাত করেছে মূলত ইনক্লুসিভ গ্রোথ, ডিজিটাল ইননোভেশন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ইক্যুইটেবল গ্লোবাল হেল্থ অ্যাকসেসের ওপর।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দেশভাগ ভুল ছিল’’, জি২০-এর জাঁকজমক দেখে মন্তব্য পাকিস্তানের নাগরিকদের

    মে মাসে অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট-বার্তায় লিখেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা, ঐতিহাসিক কমিউনিটি প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া, বাণিজ্য জগতের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট অস্ট্রেলিয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ – সব মিলিয়ে এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর, যা ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করবে’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Earthquake: মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরলো হাজারের গন্ডি, সাহায্যের আশ্বাস মোদির

    Earthquake: মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরলো হাজারের গন্ডি, সাহায্যের আশ্বাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরক্কোয় ভূমিকম্পের (Earthquake) বলি এক হাজারেরও বেশি মানুষ। জখম হয়েছেন বহু মানুষ। শুক্রবার রাতে অনুভূত হয় কম্পন। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৮। সূত্রের খবর, চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৩০০ বাসিন্দাকে।

    ব্যথিত প্রধানমন্ত্রী

    সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জানান, ক্ষয়ক্ষতির বেশিরভাগটাই হয়েছে শহর ও শহরতলির বাইরে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত, তা জানার চেষ্টা করছেন মরক্কোর কর্তারা। ভূমিকম্পে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মরক্কোয় ভূমিকম্পে প্রাণহানির জন্য আমি গভীরভাবে ব্যথিত। এই কঠিন মুহূর্তে আমি পাশে রয়েছি মরক্কোবাসীর। যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাই। যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই কঠিন সময়ে মরক্কোকে সব রকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত।” 

    দ্বিতীয় কম্পন

    মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে জানা গিয়েছে, রাত্রি ১১.১১টা নাগাদ শুরু হয় কম্পন (Earthquake)। স্থায়িত্ব ছিল বেশ কয়েক সেকেন্ডের। মরক্কোর ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং অ্যান্ড অ্যালার্ট নেটওয়ার্কের দাবি, কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭। মার্কিন এজেন্সির দাবি, প্রথম কম্পনের ১৯ মিনিট পরে অনুভূত হয়েছে দ্বিতীয় কম্পন। উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে ভূমিকম্প হয় তুলনামূলকভাবে কম। এদিন যে কম্পন অনুভূত হয়েছে, তার উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ৮০০ কিলোমিটার গভীরে। এর আগে এ দেশে ভূমিকম্প হয়েছিল ২০০৪ সালে। সেবার কম্পন অনুভূত হয়েছিল উত্তর পূর্বের আল হোসেইমা এলাকায়।

    আরও পড়ুুন: নতুন বছরেই খুলছে রামমন্দিরের দ্বার, শুভদিনটি কবে জানেন?

    ভূমিকম্পে মারা গিয়েছিলেন ৬২৮ জন। এর আগে আরও একবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মরক্কো। আগাদির অঞ্চলের ওই ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১২ হাজার মানুষের। এদিন রাতে আচমকাই কেঁপে (Earthquake) ওঠে মরক্কো। কম্পন স্থায়ী ছিল ২০ সেকেন্ড। কম্পনের আঘাতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। বাড়ির নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বহু মানুষ। মারাকাশের বিভিন্ন রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে চওড়া ফাটলের। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • G20 Summit: জি২০ সম্মেলনে গৃহীত হল নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    G20 Summit: জি২০ সম্মেলনে গৃহীত হল নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে জি২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেন প্রশ্নে ঐক্যমত্যে পৌঁছলেন সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। শনিবার শুরু হয়েছে জি২০ সম্মেলন। নয়াদিল্লির এই সম্মেলনে নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন গৃহীত হয়েছে। এই ডিক্লারেশন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের ঘোষণার পর ইউক্রেন প্রশ্নে স্বমত স্পষ্ট করে দিল নয়াদিল্লি।

    জি২০ শীর্ষ সম্মেলন

    নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে বসেছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আসর। এদিন উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ আস্থাহীনতারই পরিণতি। আমাদের এই আবহ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।” তিনি বলেন, “একুশ শতক বিশ্বকে নতুন দিক নির্দেশ দেওয়ার শতক। নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের পুরনো সমস্যাগুলির সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। যখন আমরা কোভিডকে পরাজিত করতে পেরেছি, তখন আমরা এই আস্থার ঘাটতির সঙ্কটের বিরুদ্ধেও জয়ী হতে পারব।”

    সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্র

    প্রধানমন্ত্রী (G20 Summit) বলেন, “সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রেই আস্থাহীনতার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদের।” তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে এই যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠে আমাদের ভরসা রাখতে হবে বিশ্বাস এবং আস্থার ওপর।”

    দিল্লি লিডার্স ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে প্রয়োজন স্থায়ী এবং উপযুক্ত শান্তি। জি২০-এর সদস্য দেশগুলির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে এই বলে যে, কেউ যদি পরমানু অস্ত্র প্রয়োগ কিংবা বলপ্রয়োগ করে অন্যের এলাকা দখল করার কৌশল নেয়, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না’।

    যৌথ ঘোষণাপত্রের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের টিমের কঠোর পরিশ্রম ও আপনাদের সহযোগিতায় নয়াদিল্লিতে জি২০ (G20 Summit) সম্মেলনের ঘোষণাপত্র এসে পৌঁছেছে। এই ঘোষণাপত্র গ্রহণ করার প্রস্তাব ছিল আমার। সব সদস্য দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সহমত হয়ে এটি গৃহীত হল। দেশের সমস্ত মন্ত্রী, শেরপা ও সব আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। যাদের জন্য এটি সম্ভব হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Ayodhya Ram Mandir: নতুন বছরেই খুলছে রামমন্দিরের দ্বার, শুভদিনটি কবে জানেন?

    Ayodhya Ram Mandir: নতুন বছরেই খুলছে রামমন্দিরের দ্বার, শুভদিনটি কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই জন সাধারণের জন্য অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) দ্বার খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের তরফে। নতুন বছরের জানুয়ারি মাসেই মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালা প্রতিষ্ঠিত হবেন বলেও জানা গিয়েছিল। তবে ঠিক কবে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে, তা জানা গিয়েছিল না। এবার জানা গেল সেই শুভদিনটিও।

    উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    শনিবার রামমন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে মন্দিরের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন সংঘ নেতা জি জোশী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধু-সন্তদেরও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পাঠানো হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস জানান, রামলালা দর্শনে ভক্তদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য বসানো হচ্ছে ৪২টি দরজা। মন্দিরের গর্ভগৃহে একটি সোনার দরজাও বসানো হবে। দরজায় খোদাই থাকবে ময়ূর, কলস, চক্র এবং ফুল। গর্ভগৃহে বসানো হবে রামের দুটি ছোট মূর্তি। গর্ভগৃহের দেওয়াল তৈরি হচ্ছে দুধসাদা মার্বেল পাথর দিয়ে। বৈদ্যুতিক যানের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা যেতে পারবেন মন্দিরের ভেতরে।

    বিদেশিদের জন্য ঘর

    টানা দু বছর ধরে চলছে রামমন্দির (Ayodhya Ram Mandir) নির্মাণের কাজ। জানা গিয়েছে, যেভাবে মন্দিরটি গড়ে তোলা হচ্ছে, তাতে ভূমিকম্প হলেও, এর কোনও ক্ষতি হবে না। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সেক্রেটারি চম্পত রাই জানান, মন্দিরের আয়ু অন্তত এক হাজার বছর। মন্দির নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮০০ কোটি টাকা। রামমন্দিরের নির্মাণশৈলি দেখতে আসতে পারেন ভিনদেশিরাও। বিদেশি অতিথিদের থাকার জন্য তাই এখানে থাকছে ঘর। অযোধ্যার ১০০টি প্লট দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনকে।

    আরও পড়ুুন: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

    এদিকে, রামমন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনের কথা মাথায় রেখে ঢেলে সাজানো হচ্ছে অযোধ্যা শহরকে। তৈরি করা হচ্ছে ঝাঁ চকচকে অযোধ্যা স্টেশন, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দর্শনার্থীরা যাতে অনায়াসে রামলালার দর্শনে আসতে পারেন, তাই অযোধ্যাকে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে একাধিক হাইওয়ের সঙ্গে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit 2023: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

    G20 Summit 2023: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসে ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের ওই অধিবেশনে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ‘ভারত’ হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। এই আবহে জল্পনার পালে নতুন করে হাওয়া জোগাল জি২০-এর (G20 Summit 2023) শীর্ষ সম্মেলন।

    পোডিয়ামে লেখা ‘ভারত’ 

    এই সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চের পোডিয়ামে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে ‘ভারত’। জি২০-এর শীর্ষ সম্মেলনে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মানে যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, তাতেও ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘ভারত’ লেখা রয়েছে। এতদিন ভারতের রাষ্ট্রপতির তরফে কাউকে কোনও চিঠি লেখা হলে, তাতে লেখা থাকত ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’। অথচ এবার আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ইন্দোনেশিয়া সফরের যে সূচি এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানেও মোদির পদ হিসেবে লেখা হয়েছিল ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবেই বিরোধীদের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। 

    রাষ্ট্রসংঘের বক্তব্য

    জি২০ সম্মেলন (G20 Summit 2023) উপলক্ষে যে বুকলেট বিলি করা হয়েছে বিদেশি প্রতিনিধিদের মধ্যে, তাতেও লেখা হয়েছে ‘ভারত, গণতন্ত্রের প্রসূতি। এই দেশের অফিসিয়াল নাম ভারত। এটি সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। ১৯৪৬-৪৮-এর আলোচনায়ও এর উল্লেখ রয়েছে’। ভারত প্রয়োজনীয় সমস্ত ফর্মালিটিজ পূরণ করলে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে রাষ্ট্রসংঘের রেকর্ডে ‘ভারত’ লেখা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংঘের তরফে। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের প্রধান মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, “নাম পরিবর্তনের জন্য ভারত যখন সমস্ত ফর্মালিটিজ পূরণ করবে, তারা আমাদের জানাবে। তখন রাষ্ট্রসংঘের রেকর্ডে আমরা নাম পরিবর্তন করে দেব।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকে গুচ্ছ কর্মসূচি বঙ্গ বিজেপির

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৮ তারিখে বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের এই অধিবেশন শেষ হবে ২২ তারিখে। এই অধিবেশনেই দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। বিজেপির যুক্তি, দেশের নাম এক সময় ‘ভারতবর্ষ’ ছিল। পরে ইংরেজ আমলে দেশের নাম হয় ‘ইন্ডিয়া’। ওয়াকিবহালমহলের মতে, গা থেকে ঔপনিবেশকতার গন্ধ ঝেড়ে ফেলতে দেশের (G20 Summit 2023) নাম বদলে ‘ভারত’ করতে চায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নক্ষত্রদের একটা বড় অংশ। সিংহভাগ দেশবাসীও মনে করেন দেশের নাম ‘ভারত’ হওয়াই শ্রেয়। জন সুরজ পার্টির প্রধান তথা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকেও শর্ত সাপেক্ষে দেশের নাম ‘ভারত’ করার পক্ষেই মত পোষণ করেছেন। যদিও বিরোধীরা চান, দেশের নাম থাকুক অপরিবর্তিতই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • G20 Summit: রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের মেনু প্রকাশ্যে! এক ঝলকে খাবারের তালিকা

    G20 Summit: রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের মেনু প্রকাশ্যে! এক ঝলকে খাবারের তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit), বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছেন। অতিথি আপ্যায়নে ত্রুটি নেই। আমাদের দেশের পরম্পরায় অনুযায়ী যেমন পাতে থাকছে নানা রকমের পদ, তেমনি বিদেশি পদও থাকছে খাদ্য তালিকায়। ইতিমধ্যেই সোনা রুপোর থালা বাসনে রাষ্ট্রপ্রধানদের (G20 Summit) খাবার পরিবেশন করা হবে সে কথা আগেই জানা গিয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধানদের খাবার পরিবেশন করার আগে তা নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষাও করা হবে।

    দুপুরে জয়পুর হাউসে মধ্যাহ্নভোজের মেনু

    জয়পুর হাউসে বিদেশী রাষ্ট্রনেতাদের জন্য একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্নভোজে অবশ্য নিরামিষ খাদ্য পরিবেশন (G20 Summit) করা হয়। ভারতীয় খাদ্যশস্য বাজরাকে জনপ্রিয় করে তুলতে ইতিমধ্যে ২০২৩ সালকে বাজরার বছর হিসেবে ঘোষণা করার অনুরোধ আগেই জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, সেদিকে তাকিয়ে বাজরার তৈরি বিশেষ থালি, বাজরার পোলাও, বাজরার ইডলি এই সমস্ত খাদ্যপদ মধ্যাহ্নভোজে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের পরিবেশন করা। এছাড়াও খাদ্য তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ডাল বাটি, চুরমা, বাংলার বিখ্যাত রসগোল্লা, দক্ষিণ ভারতের মসলা-ধোসা, বিহারের চোখা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি ওয়েলকাম ড্রিংকসে রয়েছে ভারতীয় কফি, চা, মিষ্টি, চকোলেট।  রান্নার কাজে সারাদেশ থেকে এসেছেন নামিদামি শেফরা (G20 Summit)।

    রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের মেনু

    জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের (G20 Summit) মেনু একেবারে তাক লাগানোর মতো। সেখানে স্থানীয় খাবার যেমন থাকবে, তেমনই জায়গা পাবে কন্টিনেন্টাল ডিশ। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কী কী থাকছে আজ রাতের মেনুতে। 

    ভারতের আঞ্চলিক পদে থাকছে—

    – দহি ভাল্লা
    – সিঙাড়া
    – ভেলপুরি
    – বড়া পাব
    – মশলাদার চাট
    – ফুচকা
    – দই পুরি
    – সেও পুরী
    – মির্চি বড়া
    – বিকানেরি ডাল পরটা
    – পলাশ
    – লীলভা কচুরি
    – আলু হার্ট হ্যাপি
    – টিক্কি
    – যোধপুরী কাবুলি পোলাও

    এবছর আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। তাই মিলেটের পদও থাকবে নৈশভোজে। তালিকায় রয়েছে—

    – মিলেটের সিঙাড়া
    – মিলেটের পরোটা
    – মিলেটের ক্ষীর
    – মিলেটের পুডিং

    ভারতীয় প্রাদেশিক স্বাদ। এখানে বিভিন্ন রাজ্যের বিশেষ পদকে বাছাই করে আনা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে—

    – বিহারের লিট্টি চোখা
    – বাজরা দিয়ে তৈরি রাজস্থানী ডাল বাটি চুর্মা
    – পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লা
    – পাঞ্জাবের ডাল তরকা
    – দক্ষিণ রাজ্য থেকে উত্তাপম, ইডলি এবং মশলা দোসা
    – মালাবারের পরোটা
    – ইডলি সাম্বার, পেঁয়াজ মরিচ উত্তাপম
    – মহীশূরের দোসা
    – চাঁদনী চকের সুস্বাদু রেসিপি

    স্যালাডে রয়েছে- ভারতীয় গ্রিন স্যালাড, পাস্তা এবং গ্রিল্ড ভেজিটেবল স্যালাড এবং চানা সুন্দল। মেন কোর্সে থাকছে—

    – পনির লাবাবদর
    – আলু লিওনেজ
    – সবজি কোরমা
    – কাজু মাখনা
    – পেন্নে ইন আরারাবিয়াত সস

    এছাড়া থাকবে—

    – জোয়ার ডাল তড়কা
    – ভাত
    – পেঁয়াজ জীরা পোলাও
    – রুটি
    – তন্দুরি রুটি, বাটার নান, কুলচা
    – রাইতা, চাটনি
    – শসা- রাইতা
    – তেঁতুল এবং খেজুরের চাটনি
    – আচার
    – টক দই

    শেষ পাতে ডেসার্টে থাকবে—

    – জিলিপি
    – কুট্টু মালপুয়া
    – কেশর পিস্তা রসমালাই
    – আখরোট এবং আদার গরম পুডিং
    – স্ট্রবেরি আইসক্রিম
    – Blackcurrant আইসক্রিম
    – রসমালাই
    – মালাই ঘেভার
    – গুলাব চুরমা
    – পেস্তা কুলফি
    – গাম পুডিং
    – শ্রীখণ্ড
    – ফালুদার সঙ্গে মালাই কুলফি
    – কেশর পেস্তা ঠাণ্ডাই
    – সেমুই
    – মসুর ডাল-কাঠবাদাম পুডিং
    – মেওয়া
    – ক্ষীর
    – গাজরের হালুয়া
    – মতিচুর লাড্ডু
    – ড্রাই ফ্রুটস
    – আখরোট-ডুমুরের পুডিং
    – আঙ্গুরি রসমালাই
    – অ্যাপল ক্রাম্বল পাই
    – যোধপুরী মেওয়া কচুরি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগমনী দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজো থেকে শুরু করে, শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি পর্ব। উৎসবের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্গা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সাজ শিল্পীদের কারখানায়। এই বছরের কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) সাজ শিল্পীদের তৈরি করা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দেবে আসাম, ত্রিপুরা এবং উত্তর প্রদেশে। করোনার মন্দা থেকে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে সাজ শিল্পীদের ব্যবসা। আশায় বুক বেঁধেছেন শিল্পীরা।

    করোনার আবহ কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে প্রতিমার সাজ শিল্প (Krishna Nagar)

    প্রতিমা প্রস্তুতকারক বিভিন্ন কুমোর পাড়ায় (Nadia) চলছে মূর্তি নির্মাণের চরম ব্যস্ততা। দেবী মূর্তির মৃৎপ্রতিমা প্রস্তুত হওয়ার পর, তা সর্বসাধারণের মাঝে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের অলংকার ব্যবহারে অঙ্গের সাজ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যার ফলে, দুর্গাপূজার সূচনা কালে দেবী মূর্তির সাজ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নিরলস কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চকের পাড়ায়। এলাকার বাসিন্দা পেশায় ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদকের কারখানায় এখন তীব্র ব্যস্ততা। শিল্পী তন্ময় মোদকের তৈরি প্রতিমার ডাকের সাজ এবার পাড়ি দেবে ভিন রাজ্যে। দীর্ঘ দু-তিন বছর করোনা আবহ কাটিয়ে, এই বছর ফেলে আসা পুরনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ডাক শিল্পীরা। যার কারণে করোনা কালে ব্যবসার অভূতপূর্ব ক্ষতি সামাল দিয়ে, এই বছর কিছুটা হলেও বাড়তি রোজগারের আশার আলো দেখছেন এই সাজ শিল্পীরা।

    সাজ শিল্পীদের বক্তব্য

    চলতি বছরে ডাকের সাজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে বলে জানান কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) শিল্পী তন্ময় মোদক। তিনি বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে এই বছর তাঁর কারখানায় তৈরি ডাকের সাজ কলকাতার কুমারটুলিতে যাবে। সেই সঙ্গে সাজ সরঞ্জাম পাড়ি দেবে ত্রিপুরা, আসাম ও উত্তরপ্রদেশে। দেবী প্রতিমার এই সাজ তৈরি হয় মূলত তার দিয়ে। চলতি বছরে ভিন রাজ্য থেকে অধিক সংখ্যক বায়নানামা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে তার কারখানায় দিনরাত পরিশ্রম করে দেবীর সাজ তৈরি করে চলেছেন ৬ জন কারিগর। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ব্যবসায়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে অভিশপ্ত করোনা কাল যেন আর ফিরে না আসে, এই কথাই জানান কৃষ্ণনগরের এই ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kanchrapara: কাঁচরাপাড়ায় মাকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মেয়ের, চাঞ্চল্য

    Kanchrapara: কাঁচরাপাড়ায় মাকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মেয়ের, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাকে খুন করে নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক মহিলা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কাঁচরাপাড়ার (Kanchrapara) ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙাপাড়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাধারানি প্রসাদ (৭০)। অভিযুক্ত অসুস্থ মেয়ের নাম ববিতা প্রসাদ। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kancharapara)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ববিতা প্রসাদ কাঁচরাপাড়ায় (Kanchrapara) মায়ের কাছেই থাকতেন। পাশে থাকতেন তার ভাইরা। ভাইদের সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর ঝামেলা ছিল। তাঁর মা মেয়ের সঙ্গে এক ঘরেই থাকতেন। এদিন সকাল দশটা নাগাদ ঘরের ভেতর থেকে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার ঠিক পাশেই ববিতা দেবীও গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন। বাড়ির লোকজনের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশীদের বিষয়টি নজর আসার পর ববিতা দেবীকে উদ্ধার করে কল্যাণী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর বৃদ্ধা রাধারানিদেবীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    পরিবারের এক সদস্য বলেন, কয়েকদিন মায়ের সঙ্গে মেয়ের গন্ডগোল হলেও শুক্রবার কোনও ঝামেলা হয়নি। অন্যদিনের মতোই খাওয়া দাওয়া করে তারা শুয়েছেন। এদিন বেলা হয়ে গেলেও ঘর থেকে না ওঠায় আমরা ডাকাডাকি করি। এরপরে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই, দেখি দুজনে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কাঁচরাপাড়ায় (Kanchrapara) স্থানীয়  হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যজনের, অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে কল্যাণীতে নিয়ে যাওয়া হয়।

    প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    প্রতিবেশী নিলাম সিং  বলেন, ববিতা মাসি তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকবেন। আমরা নিয়মিতই তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত করতাম। গত দু-তিনদিন ধরে কোনও একটা বিষয় নিয়ে মায়ের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা চলছিল ববিতা মাসির। ফলে মাকে মারধরও করে বলে অভিযোগ। তিনি কাউকে ঘরে ঢুকতে দিতেন না। এদিন সকালে খবরটা পেয়ে আমরা ছুটে আসি। ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি, ববিতা মাসি নিচে পড়ে রয়েছে। আর তাঁর মা বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সম্ভবত বিষ জাতীয় কোনও কিছু দিয়ে বা কোনও ওষুধ খাইয়ে মাকে মারার পর নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। কিন্তু, তার আগে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, নির্দিষ্ট কি কারণে তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটালেন তা আমাদের কাছে অজানা। জানা গিয়েছে, ঘটনা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tea Shop: মেদিনীপুরে ‘পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা’-তে বুঁদ তরুণ প্রজন্ম, কেন জানেন?

    Tea Shop: মেদিনীপুরে ‘পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা’-তে বুঁদ তরুণ প্রজন্ম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মশালা চা, লেমন চা, জিনজার চা সহ রকমারি চা রয়েছে দোকানে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে চাকরি ছেড়়ে চায়ের দোকান করেছে মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর এলাকায়। চায়ের দোকানের (Tea Shop) নামের জাদুতেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই চায়ের দোকান। দোকানের নাম রাখা হয়েছে, “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”।

    কেন দোকানের (Tea Shop) নাম “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”?

    দোকান (Tea Shop) দিয়ে চায়ের আসর বসিয়ে রাজনীতি সচেতনতা বাড়াতে বার্তা দিচ্ছে মেদিনীপুরের বছর ২৬ এর ছেলে অঞ্জন দাস অধিকারী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ডিপ্লোমা করেছেন তিনি। এরপর কর্ণাটকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতেন। রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ আকর্ষণ তাঁর। ছাত্র জীবনে রাজনীতিও করেছেন। কিন্তু, বাবা অসুস্থতার কারণে চাকরি ছেড়ে ফের মেদিনীপুরে ফিরে আসা। বাবার অসুস্থতায় প্রয়োজন টাকার, অন্যদিকে তাঁর প্রবল আগ্রহ রাজনীতি নিয়ে। নেতাদের বক্তব্য,ষ নেতাদের সভা আলাপ-আলোচনা কলাকৌশল নিয়েও আগ্রহের সীমা নেই এই অঞ্জনের। কিন্তু বাবার অসুস্থতা এবং পরিস্থিতির চাপে শেষ পর্যন্ত এই দোকান খুলতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু, সাধ আর সাধ্যের মধ্যে দোকান খুলে নিজের পেশা ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়ে নাম দিয়েছেন “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”। মূলত নামেতেই প্রকাশ পাচ্ছে আর রাজনীতির গন্ধ। অনেকটাই দুধের স্বাধ ঘোলে মেটানোর মতো।

    “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা” নিয়ে কী বললেন তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা?

     তরুণ প্রজন্ম পড়ুয়াদের নিয়েই এই চায়েওয়ালার আসর চলে মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর এলাকায়। চায়ের দোকানে (Tea Shop) আড্ডা জমান তরুণ তরুণী সহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। চা খেতে খেতে আলোচনা করেন বাম ডান সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের রাজনীতির কলা কৌশল আলাপ-আলোচনা। আর তাতেই কিছুটা হলেও নিজের ইচ্ছে পূরণ হয় এই অঞ্জনের। তার এই চায়ের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভ্যারাইটি চা, যার দামও ৭ টাকা থেকে শুরু হয়ে চল্লিশ টাকায় ঠেকেছে। চা খেতে আসা সৌরভ,হিমাদ্রি,বিক্রমরা বলেন, অঞ্জনদার চায়ের দোকানের নাম এবং চা এই এলাকায় অন্যতম জনপ্রিয়। শুধু চা খেতে আসা নয়,এর সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনার সঙ্গে চুটিয়ে রাজনীতির আলোচনা চলে। তবে, তরুণ সমাজকে রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন বলেও আমরা মনে করি। কারণ, সমস্ত রাজনীতি দুর্নীতিতে যুক্ত বা অসচ্ছ নয়। আর সেই জ্ঞান নিতেই এই পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা এর কাছে আসা আমাদের।

    কী বললেন পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা?

    পলিটিকাল চায়েওয়ালা অঞ্জনবাবু বলেন, ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল রাজনীতিতে নেতা হওয়া। একসময় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।  সামনে থেকে দেখেছে রাজনীতির কর্মকাণ্ড। কিন্তু, তারপরেই ছন্নছাড়া এবং ফিরে আসতে হয়েছে বাড়িতে,খুলতে হয়েছে আর্থিক প্রয়োজনে দোকান (Tea Shop)। তবে, ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েই এই দোকানের নাম রেখেছি পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা। যেখানে সমস্ত ইয়ুথকে জানানো হচ্ছে রাজনীতি মানে অসৎ নয়,দুর্নীতি নয়। অনেক ভালো মানুষ আছে এবং সৎ রাজনীতিও করা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share