মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ’, বৃহস্পতিবার এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করল ইউনাইটেড কংগ্রেসনাল সেনেটরিয়ার কমিটি। অরুণাচলে চিনা আগ্রাসনের নিন্দাও করা হয়েছে প্রস্তাবে। এদিন মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে প্রস্তাবটি পেশ করেন ওরেগেনের ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জেফ মার্কলে, টেক্সাসের রিপাবলিকান সেনেটর জন করনিন এবং টেনেসির রিপাবলিকান সেনেটর বিল হ্যাগার্টি।
ম্যাকমোহন লাইনকেই মান্যতা
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘ভারত ও চিনের সীমান্তে থাকা ম্যাকমোহন লাইনকেই মান্যতা দেয় আমেরিকায়। তাই অরুণাচল প্রদেশ ভারতেই।’ চিনের দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে এই প্রস্তাব। তাতে বলা হয়েছে, ‘অরুণাচল প্রদেশের একটা বিরাট অংশ তাদের (ভারতে) ভূখণ্ড। ভারতের সেই ভূখণ্ডে ক্রমাগত আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে চিন।’ প্রস্তাবে এও বলা হয়েছে, ‘আমেরিকা সব সময় স্বাধীনতাকেই সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমেরিকা প্রতিটি দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে মান্যতা দেয়। কিন্তু চিন ঠিক এর উল্টো পথে হাঁটছে।‘
অরুণাচল চিনের নয়, ভারতের
সেনেটে চিন বিষয়ক কমিটির প্রধান জেফ মার্কলেও বলেন, “অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কমিটি এই প্রস্তাব পাশ করেছে এটা বোঝাতে যে অরুণাচল প্রদেশ যে ভারত সাধারণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এটা বোঝাতে। এই ভূখণ্ড পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার নয়। এবং এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমেরিকা এ ব্যাপারে ভারতকে সমর্থন ও প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে, যেমনটা আমেরিকা করে সমমনস্ক আন্তর্জাতিক সব দেশের ক্ষেত্রেই।”
— Senator Jeff Merkley (@SenJeffMerkley) July 13, 2023
সেনেটর জন করনিন বলেন, “সীমান্তে ভারত এবং চিনের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। আমেরিকা সব সময় গণতন্ত্র রক্ষা করতে শক্তিশালী অবস্থান নেবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলির সাহায্যেই এটা করা হবে।” তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতেরই, চিনের নয়, তা বোঝাতেই পাশ করা হয়েছে প্রস্তাব।” হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি করিনে জিন পিয়ারে বলেন, “অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মেনে আসছে আমেরিকা। তাই সেখানে আগ্রাসনের কোনও চেষ্টাই আমরা মেনে নেব না।”
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘড়ির কাঁটা বলছে বাকি আর মাত্র তিন ঘণ্টা। তার পরই ইতিহাসের পথে পা বাড়াবে ভারত ও তার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3 Launch)।
মাহেন্দ্রক্ষণ দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট
শুক্রবার ঠিক দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ভারতের সর্ববৃহৎ এলভিএম-৩ রকেটে চেপে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3 Launch)। প্রায় এক মাস পর চাঁদের বুকে অবতরণ করবে ল্যান্ডার ও রোভার। এই অভিযান সফল হলে ভারত চতুর্থ দেশ হবে যদি এই অভিযান সফল হয়। এর আগে চাঁদে সফট ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেছিল আমেরিকা, রাশিয়া, চিন এবং ইজরায়েল। ইজরায়েল ছাড়া বাকি দেশগুলি সফল হয়েছে। চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করলে ভারত চতুর্থ দেশ হবে। এই গোটা মিশনের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৬১৫ কোটি টাকা।
উৎক্ষেপণের লাইভ স্ট্রিমিং
চন্দ্রযান ৩-এর উৎক্ষেপণের পুরো বিষয়টি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং ইসরো-র ইউটিউব চ্যানেলেও এই বিষয়টি লাইভে দেখা যাবে৷ পাশাপাশি ডিডি ন্যাশানাল চ্যানেলেও এই উৎক্ষেপণ (Chandrayaan 3 Launch) লাইভ দেখা যাবে৷ অথবা সরাসরি দেখতে এখানে নিচের ভিডিওতে ক্লিক করুন —
চন্দ্রযানকে মহাকাশে পৌঁছে দেবে ভারতের ‘বাহুবলী’
ইসরোর এই চন্দ্রযাত্রার কেন্দ্রে রয়েছে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাহুবলী’ রকেট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ (ISRO Chandrayaan 3) বা এলভিএম-৩ রকেট। এই রকেট চন্দ্রযানটিকে শক্তি জোগাবে এবং পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে ঠেলে দেবে। এলভিএম-৩ হল একটি ত্রিস্তরীয় উৎক্ষেপণ যান। এর মধ্যে দু’টি স্তরে কঠিন জ্বালানি এবং একটি স্তরে তরল জ্বালানি রয়েছে। কঠিন জ্বালানি ১২৭ সেকেন্ড ধরে জ্বলে। উৎক্ষেপণের ১০৮ সেকেন্ডের মধ্যে জ্বলতে শুরু করে তরল জ্বালানি। তা ২০৩ সেকেন্ড ধরে রকেটটি চালনা করে। উৎক্ষেপণের সময় রকেটের ওজন প্রায় ৬৪২ টন থাকবে। এর মধ্যে শুধুমাত্র জ্বালানির পরিমাণ ৫৫৩ টনের বেশি।
কোন পদ্ধতিতে চাঁদের দিকে এগোবে চন্দ্রযান ৩?
উৎক্ষেপণের পর ১৬ মিনিটেই চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3 Launch) মহাকাশযানকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭৯ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে দেবে রকেট। সেখানে পেলোড ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রথমে, ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে শুরু করবে চন্দ্রযান মডিউল। লক্ষ্য গতি সঞ্চয় করা। এইভাবে বারে বারে কক্ষপথের আয়তন একদিকে স্থির রেথে অন্যদিকে বাড়াতে থাকবে চন্দ্রযান ৩ (ISRO Chandrayaan 3)। ডিম্বাকৃতি কক্ষপথ এমন ভাবে তৈরি হবে যা একদিকে ১৭০ কিলোমিটার (পৃথিবী থেকে নিকট) অন্যদিকে ৩৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার (পৃথিবী থেকে দূরে)। এর পরের ধাপে, বুস্টার ইঞ্জিন ফায়ার করিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের উদ্দেশে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটারের পথ পাড়ি দেওয়া শুরু করবে চন্দ্রযান ৩ মহাকাশযান। চন্দ্রযান মহাকাশযানের মোট ওজন ৩,৯০০ কেজি। এতে রয়েছে একটি ল্যান্ডার, একটি রোভার ও একটি প্রোপালশন মডিউল। রোভারটি রয়েছে ল্যান্ডারের পেটে। এই দুটো মিলিয়ে ল্যান্ডার মডিউল। প্রোপালশন মডিউলের কাজ ল্যান্ডার মডিউলকে বহন করা। প্রোপালশন মডিউলের ওজন ২,১৪৮ কেজি, ল্যান্ডারটি ১,৭২৩ কেজি ও রোভারের ওজন ২৬ কেজি।
চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডারের নকশা এমনভারে করা হয়েছে, যাতে তা চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করতে পারে। প্রোপালশন মডিউল ল্যান্ডার মডিউলকে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে দেবে। চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশের পর প্রোপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এই চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3 Launch) ল্যান্ডার মডিউল। শেষ পর্যায়ে, সেখান থেকে চূড়ান্ত অবতরণ শুরু করবে ল্যান্ডার মডিউল। এবারের চন্দ্রযানে মোট ১৩টি ‘থ্রাস্টার’ রয়েছে, যা সফট ল্যান্ডিং করতে সাহায্য করবে। প্রোপালশন মডিউল যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। চন্দ্রযান ২-এর অন্তিম ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডারে এবার কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। ইসরো সূত্রে খবর, এই ল্যান্ডার চাঁদের মাটিতে ১২০ ডিগ্রি কোণে অবতরণ করবে। উলম্ব গতিবেগ থাকবে সেকেন্ডে ২ মিটারেরও কম।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অন্ধকার পিঠে নামবে চন্দ্রযান ৩
চন্দ্রযান ৩ (ISRO Chandrayaan 3) পালকের মতোই সফ্ট ল্যান্ড করবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অন্ধকার পিঠে। চন্দ্রপৃষ্ঠের গঠন, খনিজ শনাক্তকরণ ও বণ্টনের পরিমাণ, পৃষ্ঠের রাসায়নিক গঠন, চাঁদের উপরের মাটির তাপ-ভৌত বৈশিষ্ট্য, চাঁদের ক্ষীণ বায়ুমণ্ডলের গঠন সম্বন্ধে তথ্য অন্বেষণ করা। চাঁদের রেগোলিথ, চন্দ্র ভূকম্পন, চন্দ্র পৃষ্ঠের প্লাজমা বায়ুমণ্ডল এবং মৌলিক গঠনের তাপ পদার্থগত বৈশিষ্ট্যগুলি পরীক্ষা করার জন্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করবে চন্দ্রযান ৩-এ থাকা রোভার ‘প্রজ্ঞান’। এই রোভারের আয়ু এক চন্দ্র-দিবস, বা ১৪ দিন।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) শান্ত হোক। সংখ্যালঘুদের জীবন হোক সুরক্ষিত। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (EU) পার্লামেন্ট। জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বানও জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
অরিন্দম বাগচির ট্যুইট-বার্তা
বৃহস্পতিবার মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এই ধরনের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটা ঔপনিবেশিক মানসিকতারই প্রতিফলন। আমরা দেখেছি, ইউরোপিয় সংসদ মণিপুর নিয়ে আলোচনা করেছে এবং একটি তথাকথিত জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।”
পার্লামেন্টে পেশ করা প্রস্তাব
ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে ভারত, মণিপুরের পরিস্থিতি নামে একটি প্রস্তাব পেশ করে সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্র্যাটদের প্রগতিশীল জোট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে (Manipur) জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধ করার ও সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছে ইউরোপীয় সংসদ। মণিপুরের হিংসার স্বাধীন তদন্ত করার জন্য অনুমতিও চেয়েছে পার্লামেন্ট। বিবদমান সমস্ত পক্ষকে উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করতে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং উত্তেজনা প্রশমনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকেও ভারতের কাছে মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। মণিপুরে (Manipur) ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। প্রেস বিবৃতিতে ইইউ জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য দাবি তুলেছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মণিপুরের হিংসার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করতে দিক।
হিন্দু মেইতি ও খ্রিস্টান কুকি জনজাতির মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে মাস দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর। মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন উপত্যকায়, কুকিরা পাহাড়ি এলাকায়। মেইতিরা নিজেদের তফশিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি জানান। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য। যার জেরে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রঞ্জি ট্রফি এবং আইপিএলে ভাল খেলার ফলে ডাক পেলেন ভারতীয় দলে। প্রথম সুযোগই কাজে লাগালেন ২১ বছরের তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। অভিষেক টেস্টেই শতরান করলেন যশস্বী। বুঝিয়ে দিলেন ভারতীয় দলে তাঁকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। যশস্বী ও অধিনায়ক রোহিত শর্মার জোড়া শতরানে ভর করে প্রথম টেস্টে চালকের আসনে টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩১২ রানে ২ উইকেট। ক্রিজে (India Vs West Indies ) রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল ও বিরাট কোহলি।
অভিষেক টেস্টে শতরান
যশস্বী ১৭তম ভারতীয় ব্যাটার যিনি অভিষেক টেস্টে শতরান করলেন। ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম এই কীর্তি গড়েছিলেন লালা অমরনাথ। ১৯৩৩ সালে তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম ম্যাচে শতরান করেছিলেন। এর পর একাধিক ক্রিকেটার নিজের প্রথম টেস্টে শতরান করেছেন। তাঁদের মধ্যে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বীরেন্দ্র সহবাগ, সুরেশ রায়না, শিখর ধাওয়ানেরা রয়েছেন। ২০২১ সালে অভিষেক হয় শ্রেয়স আয়ারের। তিনিই শেষ ভারতীয় যিনি অভিষেক টেস্টে শতরান করেছিলেন। তার আগে ২০১৮ সালে পৃথ্বী শ অভিষেক টেস্টে শতরান করেছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে যশস্বীই প্রথম ভারতীয় যিনি অভিষেক টেস্টে শতরান করলেন। অভিষেক ম্যাচের টুপি পেয়েছিলেন রোহিত শর্মার হাত থেকে। তাঁর সঙ্গে জুটি গড়েই শতরান করলেন যশস্বী। রোহিতও অভিষেক টেস্টে শতরান করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই।
প্রথম দিন যেখানে শেষ করেন, দ্বিতীয় দিন সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন যশস্বী। বিনা উইকেটে ৮০ রান থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। সেখান থেকে ফের ঠান্ডা মাথায় দলের ইনিংস গড়েন টেস্টে ভারতের নতুন ওপেনিং জুটি। রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়ালের ডানহাত-বাঁ হাতি কম্বিনেশন অভিষেকে সুপার হিট। ক্রিজে টিকে থাকার পাশাপাশি প্রয়োজন মত আক্রমণাত্মক শটও খেলেন দুই ব্যাটার। নিজেদের শতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করে ফেলেন। দলের ২২৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১০৩ রান করে আউট হন ভারত অধিনায়ক। যশস্বীকে ওপেনিং স্লট ছেড়ে দেওয়া শুভমন গিল প্রথম ডাউন এসে বড় রান করতে পারেননি। ৬ রান করে আউট হন। এরপর দিনের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেন যশস্বী ও বিরাট। দিনের শেষে ১৪৩ রানে যশস্বী জয়সওয়াল ও ৩৬ রান বিরাট কোহলি অপরাজিত রয়েছেন। তৃতীয় দিন বড় রান গড়াই লক্ষ্য ভারতের।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সে ইউপিআই (UPI) ব্যবহারের বিষয়ে সম্মত হয়েছে ভারত ও ফ্রান্স। আগামী দিনে, আইফেল টাওয়ারেও ইউপিআই ব্যবহার করা যাবে। বৃহস্পতিবার প্যারিসে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ইউপিআই ব্যবহার চালু হয়ে গেলে ভারতীয় পর্যটকরা ফ্রান্সে ভারতীয় মুদ্রায়ই অর্থ দিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সে ইউপিআই ব্যবহার করা গেলে, ভারতীয় মুদ্রাকে ইউরোয় বদলে নেওয়ার ঝামেলা থাকবে না। পর্যটকদের নগদ ব্যবহারের প্রয়োজনও ফুরোবে।
Glimpses from a memorable community programme in Paris. Gratitude to all those who joined us. We are very proud of the accomplishments of our diaspora. pic.twitter.com/LYgCAQCYJl
ইউপিআই পেমেন্ট সিস্টেমে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আর্থিক লেনদেন করা যায়। মোদি সরকারের আমলেই চালু হয় এই ব্যবস্থা। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া তার সদস্য ব্যাঙ্কগুলিকে নিয়ে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই ব্যবস্থাটি চালু করেছিল। তারপর থেকে দেশে ব্যাপকভাবে এই পেমেন্টের ব্যবহার বেড়েছে।
ইউপিআই নিয়ে আগ্রহ বিদেশেও
করোনা অতিমারি পর্ব ও তার পরবর্তী সময়ে ভারতের (PM Modi) ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম ইউপিআই নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। ভারতে এই অর্থ প্রদান ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। চলতি বছরই সিঙ্গাপুরের পেনাওয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইউপিআই। গত বছর ফ্রান্সের দ্রুত ও নিরাপদ অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম লিরার সঙ্গেও একই ধরনের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এনসিপিআই। ইতিমধ্যেই নেপাল, ভুটান এবং আরব আমিরশাহিতে ইউপিআই পেমেন্ট সিস্টেম চালু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে ইউপিআই পরিষেবাকে পৌঁছে দিতে আলোচনা চালাচ্ছে এনসিপিআই।
এদিকে, ৪০ বছর (PM Modi) আগে তিনি যে ফরাসি ভাষা শিখতে গিয়েছিলেন, এদিন তা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। একটি লালচে রংয়ের কার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি। গুজরাটের আমেদাবাদে কবি কানাইলাল মার্গে রয়েছে আলিয়ান্স ফ্রাঁসের একটি শাখা। ১৯৮১ সালের ৫ ডিসেম্বর ওই শাখায় ভর্তি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য তাঁকে দিতে হয়েছিল ১২৫ টাকা। প্রসঙ্গত, দু দিনের সফরে ফ্রান্সে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর আমন্ত্রণে প্যারিসে গিয়েছেন তিনি। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান লিজিয়ন অব অনার সম্মানে ভূষিত করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্স সফরের প্রথমদিনই তৈরি হল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi in France), সেই দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, ‘গ্র্যান্ড ক্রস অব দ্য লিজিয়ন অব অনার’-এ ভূষিত করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ। প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই সম্মান পেলেন মোদি। বৃহস্পতিবার প্যারিসে তাঁকে সেই সম্মান প্রদান করা হয়।
French President Emmanuel Macron bestowed the Grand Cross of the Legion of Honor on PM Narendra Modi. It is the highest French honour in military or civilian orders. PM Modi will become the first Indian PM to receive this honour.
ফরাসি ভাষায় এই সম্মানের পুরো নাম ‘গ্রঁ খ্রোয়া দ্য লা লেজিওঁ দ’নর’। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সবথেকে যোগ্য নাগরিককে এই সম্মান প্রদান করা হয়। ২০০ বছর ধরে বিভিন্ন নামী ব্যক্তিত্বদের সেই পুরস্কার প্রদান করে থাকে ফ্রান্সের সরকার। ১৮০২ সালে এই সম্মান প্রদান শুরু করেছিলেন ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়ঁ। এই সম্মান আবার পাঁচটি শ্রেণিতে বিভক্ত – নাইট, অফিসার, কমান্ডার, গ্র্যান্ড অফিসার এবং গ্র্যান্ড ক্রস। বৃহস্পতিবার মোদি (Modi in France) সেই গ্র্যান্ড ক্রসে ভূষিত হয়েছেন। যা সর্বোচ্চ পুরস্কার। লেজিওঁ দ’ন-র সম্মান সাধারণত ফ্রান্সের নাগরিকদের দেওয়া হয়। যে বিদেশিরা ফ্রান্সে কাজ করেছেন বা ফ্রান্সের মতাদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেছেন, তাঁদেরও এই সম্মান দেওয়া হয়। অতীতে এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন সত্যজিৎ রায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শাহরুখ খানের মতো ভারতীয়রা। সারা বিশ্বের হাতে গোনা রাষ্ট্রনেতারা এই পুরস্কার পেয়েছেন। সম্মান প্রাপকদের মধ্যে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা, ইংল্যান্ডের রাজা চার্লস, প্রাক্তন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল, রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাক্তন মহাসচিব বুট্রোস-ঘালি প্রমুখ।
ফ্রান্সের ‘ন্যাশনাল ডে’ উদযাপনের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন মোদি (Modi in France)। এলিজে প্যালেসে নরেন্দ্র মোদিকে এই সম্মান জানানোর ছবি ট্যুইট করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। ক্যাপশনে তিনি মুহূর্তটিকে, ‘ভারত-ফ্রান্স অংশীদারিত্বের মেজাজের মূর্ত প্রতীক’ বলে উল্লেখ করেছেন। অরিন্দম বাগচি লিখেছেন, “এই উষ্ণ ব্যবহার ভারত-ফ্রান্স অংশীদারিত্বের মেজাজকে তুলে ধরেছে। রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাক্রঁ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ পুরস্কার, গ্র্যান্ড ক্রস অব দ্য লিজিয়ন অব অনারে ভূষিত করেছেন।”
A warm gesture embodying the spirit of 🇮🇳-🇫🇷 partnership.
এই সম্মানের জন্য ‘বন্ধু’ মাক্রঁকে ভারতের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি বাসভবন এলিজে প্যালেসে, এক ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই সম্মান জানান প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ। এলিসি প্যালেসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজেরও আয়োজন করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। প্যালেসে তাঁকে স্বাগত জানানোর সময়, প্রেসিডেন্ট মাক্রঁর সঙ্গে ছিলেন ফরাসি ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত মাক্রঁও।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি, তার সঙ্গে ব্যারাজ থেকে ছাড়া জল, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দিল্লি (Flood Like Situation)। বৃষ্টির জমা জলে এমনিতেই ভোগান্তির শেষ ছিল না রাজধানীর বাসিন্দাদের। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো বৃহস্পতিবার যমুনার জল উপচে ভাসল শহর। হু হু করে জল ঢুকে গেল মেট্রো টানেলে। তবে তার জেরে বন্ধ হয়নি রাজধানীর লাইফ লাইন। যদিও ট্রেন চলেছে শম্বুক গতিতে। মঙ্গলবার থেকেই বাড়ছিল যমুনার জল।
ফুলেফেঁপে উঠেছে যমুনা
বৃহস্পতিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ যমুনার জলস্তর ছিল ২০৮.৬৬ মিটার, বিপদসীমার থেকে অন্তত তিন মিটার বেশি। হরিয়ানার হথিনীকুণ্ড ব্যারাজ থেকে ক্রমাগত জল ছাড়ায় যমুনার জল বাড়ছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, হথিনীকুণ্ড থেকে জলছাড়া বন্ধ করতে পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র। সে যাই হোক, ধারাবর্ষণ এবং যমুনার উপচে পড়া জল জমে গিয়ে শোচনীয় অবস্থা (Flood Like Situation) ময়ূর বিহার, মজনু কা টিলা, সিভিল লাইন্স, যমুনা বাজার, মদনপুর এবং খাদার এলাকার। কোথাও হাঁটু সমান, তো কোথাও কোমর সমান জল। যমুনা তীরবর্তী গীতা কলোনি, নিগম বোধ ঘাট সহ বিভিন্ন এলাকা কার্যত জলের তলায়।
দুয়ারে যমুনা
জল চলে এসেছে দিল্লি বিধানসভার অদূরে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাসভবন থেকেও বানের জল (Flood Like Situation) খুব বেশি দূরে নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লিতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। উদ্ধারকার্যে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ টিমকে। ইতিমধ্যেই ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে শহরের নিচু এলাকাগুলি থেকে সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে। বন্যা পরিস্থিতির জেরে রবিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুল-কলেজ। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সরকারি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলা হয়েছে।
যে কারণে ভাসছে দিল্লি, সেই একই কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতেও। টানা বৃষ্টি এবং তিস্তা ব্যারাজের ছাড়া জলে প্লাবিত হওয়ার জোগাড় জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া এলাকা। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকতে শুরু করেছে করলা নদীর জল। জলঢাকা নদীর সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত দুই এলাকায়ই জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। হাতিনালা উপচে পড়ে বানারহাটে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। নাগরাকাটায় ডায়না নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। শিখর ধাওয়ান, পৃথ্বী শ-এর পর তিনি হলেন তৃতীয় ভারতীয় ওপেনার যিনি প্রথম টেস্টে শতরান করলেন। তার লেগেছে ২১৫ বল। মেরেছেন ১১টি চার। শতরান করলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। তাঁর লেগেছে ২২০ টি বল। জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বড় রানের পথে ভারত।
দাপট যশস্বী-রোহিতের
বৃহস্পতিবার, ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে ভারত। প্রথমে হাফ সেঞ্চুরি করেন যশস্বী। তারপর অর্ধ শতরানের গণ্ডি টপকান রোহিত। ওপেনিং জুটিতে বহুদিন পর এত রান উঠলো ভারতের। যা কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে যথেষ্ট স্বস্তির। ৬৯.১ ওভারে আথানাজের বলে ১ রান নিয়ে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন যশস্বী। শিখর ধাওয়ান ও পৃথ্বী শ-র পরে তৃতীয় ভারতীয় ওপেনার হিসেবে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করেন যশস্বী। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ধাওয়ান ও পৃথ্বী ঘরের মাঠে এমন কৃতিত্ব দেখান। যশস্বী প্রথম ভারতীয় ওপেনার, যিনি বিদেশের মাটিতে টেস্ট অভিষেকে শতরানের গণ্ডি টপকালেন। সেই সঙ্গে ঢুকে পড়লেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বীরেন্দ্র সেওয়াগদের অভিজাত তালিকায়। যাঁদের প্রত্যেকেরই টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি রয়েছে। ১৯৯৬ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেন সৌরভ। সৌরভের ২৭ বছর পর টেস্ট অভিষেকে নজরকাড়া সেঞ্চুরি করলেন আরও এক বাঁহাতি, যশস্বী।
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫০ রানে অলআউট হয়ে যায়। ভারতীয় দলের তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন একাই নেন ৫ টি উইকেট। সেই ভিতের উপর ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দাপট দেখাচ্ছেন। তবে ক্যারিবিয়ান বোলিংয়ের এমন দুরবস্থা দেখে অনেকেই বিস্মিত। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সামনে কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি হোল্ডার, কর্নওয়ালরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ব্রাইথওয়েট ৮ বোলারকে ব্যাবহার করেন। শেষ পর্যন্ত সাফল্য আসে অ্যাথাঞ্জির বলে। তিনি ফেরান ভারত অধিনায়ককে। রোহিত ২২১ বলে ১০৩ রানে আউট হন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১০টি চার ও দুটি ছক্কা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বেশ চাপে ছিলেন তিনি। এই ইনিংস হিটমান কে অনেকটাই স্বস্তি দেবে। এই প্রতিবেদন লেখা অবধি ভারত ১ উইকেটে ২৩১ রান তুলেছে। যশস্বী ১১২ শুভমন গিল ১ রানে ক্রিজে।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় রাস্তার নর্দমার পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যালট মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সিনহার এজলাসে। সেখানেই তিরস্কৃত হয় কমিশন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “পঞ্চায়েতে জিতলেই হাতে টাকা। আর সেই জন্যই এত দ্বন্দ্ব।” “রাস্তায় ব্যালট পড়ে থাকলে আর নির্বাচনের স্বচ্ছতা কোথায়?” প্রশ্ন বিচারপতি সিনহার। বৈধ ব্যালট পেপার গণনার আগে কীভাবে সেগুলো গণনা কেন্দ্রের বাইরে গেল ২০ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামায় তা জানানোর নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ জুলাই।
জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব
বুধবার জাঙ্গিপাড়ায় একটি রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় শয়ে শয়ে বৈধ ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপারগুলিতে সিপিএমের প্রতীকে ভোট দেওয়া ছিল। সেগুলি কুড়িয়ে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হুগলির বাম নেতারা। রাস্তায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকার কারণ জানতে চেয়ে জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। বৃহস্পতিবার বেলা ২টোয় আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছিল পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারকেও। ওই বুথের ভোটের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও নামের তালিকা চেয়েছিলেন বিচারপতি। গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও ফুটেজও আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
কমিশনের আইনজীবীকে তিরস্কার
এদিন জাঙ্গিপাড়ার বিডিও আদালতে (Calcutta High Court) জানান, প্রিসাইডিং অফিসার জয়দেব দে-কে ব্যালটগুলি ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু সই মিলছে না। পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব ছিল ভোটের দিন বিষয়টি খতিয়ে দেখার। কিন্তু তার পরে আর আমার কোনও দায়িত্ব নেই। এই বুথ থেকে সন্ত্রাসের কোনও খবর রিপোর্ট হয়নি। কমিশনের আইনজীবীকে তিরস্কার করেন বিচারপতি সিনহা। বলেন, “প্রিসাইডিং অফিসারকে একজন আইনজীবী হিসেবে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে বলুন তো, কী চলছে এটা? কীসের জন্য এত গোলমাল, গন্ডগোল? আসলে এটা একটা কাজ। জয় পেলে টাকা ইনকাম করার রাস্তা খুলে যাবে। তাই এত লড়াই। মামলার পাহাড় জমছে আদালতগুলোতে। কতগুলো ইলেকশন পিটিশনের সমাধান হয়েছে, তথ্য ঘেঁটে বলুন তো। প্র্যাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতা থেকে বলুন।”
এর পরেই আইনজীবী (Calcutta High Court) বলেন, “এখনও কিছু প্রমাণিত নয়। ইলেকশন পিটিশন করতে হবে। এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।” প্রত্যুত্তরে বিচারপতি সিনহা বলেন, “ভোট গণনার সময় গোছা গোছা ব্যালট পেপার রাস্তায় পাওয়া গেল, এরপরও বলছেন কিছু প্রমাণিত নয়! এটা বাড়াবাড়ি না? আপনাদের বিডিও স্বীকার করছেন এগুলো আসল ব্যালট, তার পরেও কিছু প্রমাণিত নয় বলে বিষয়টা লঘু করার চেষ্টা করছেন!”
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ডিগ্রি নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ও অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তার জেরে কেজরিওয়াল ও সাংসদ আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় ২৬ জুলাই ওই দুই আপ নেতাকে হাজিরার নির্দেশ দিল গুজরাটের একটি আদালত। এই মামালায় আজ, ১৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন কেজরিওয়ালের আইনজীবী আদালতে জানান, দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টি চলছে। তাই হাজির থাকতে পারলেন না কেজরিওয়াল। এর পরেই বিচারক তাঁদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন ২৬ জুলাই।
কী জানিয়েছিল গুজরাট হাইকোর্ট?
কিছু দিন আগেই গুজরাট হাইকোর্ট জানিয়েছিল প্রধান নরেন্দ্র মোদির কোনও কলেজের ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ করতে সরব হওয়ায় কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়। পরে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ পটেল ওই দুই আপ নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। রেজিস্ট্রারের দাবি, গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশের পর কেজরিওয়াল ও সঞ্জয় যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন ও ট্যুইটারে পোস্ট করেছিলেন, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানি হয়েছে। সেই মামলায়ই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গুজরাটের আদালত।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় (Arvind Kejriwal) থেকে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন। এহেন শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছিলেন কেজরিওয়াল। তার পরেই চিফ ইনফরমেশন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।
মামলাকারীর পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার যুক্তি ছিল, “একজন ডক্টরেট ও একজন শিক্ষাগত যোগ্যতাহীন ব্যক্তির মধ্যে গণতন্ত্রে কোনও বিভাজন করা হয় না। এ ক্ষেত্রে জনগণের কোনও স্বার্থও জড়িত নয়। পরন্তু এতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার সঙ্গে তাঁর ডিগ্রির কোনও সম্পর্ক নেই। কারও শিশুসুলভ কৌতুহলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না।”