Tag: bangla news

bangla news

  • Panchayat Election 2023: হাতিয়ার ‘দুর্নীতি’, তৃণমূলকে টক্কর দেবে বিজেপি!

    Panchayat Election 2023: হাতিয়ার ‘দুর্নীতি’, তৃণমূলকে টক্কর দেবে বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। নির্বাচন হবে ৬১ হাজারেরও বেশি আসনে। শাসক দল তৃণমূলকে বিনা যুদ্ধে সুচ্যগ্র মেদিনীও ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। তবে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো এবার তৃণমূল আর একতরফা খেলতে পারবে না বলেই দাবি বিরোধীদের। রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনে যে সমানে সমানে টক্কর হবে, তা মেনে নিয়েছে শাসক ও বিরোধী উভয়পক্ষই। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে জেলা পরিষদে তৃণমূলকে যথেষ্ট বেগ দেবে বিজেপি। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুরেও তৃণমূলকে টক্কর দেবেন বিরোধীরা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ত্রিস্তরে বিজেপি জিতেছিল ৬ হাজারের কাছাকাছি আসনে। এবার তাদের লক্ষ্য ১৫ হাজার আসনে জয়। বাম-কংগ্রেস জোটের আশা, মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়ায় ভাল ফল করবে তারা।

    জেলা পরিষদে লড়াই

    রাজ্যে জেলা (Panchayat Election 2023) পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৯২৮টি। শাসক দল ১৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়ায় নির্বাচন হচ্ছে ৯১২টিতে। এর সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি লড়ছে ৮৯৭টি আসনে। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৬৪৪টি আসনে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৮২৫টি। তার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতেছিল ২০৩টি আসনে। তবে এবার আর তা হচ্ছে না। তাই খেলা হবে! বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার জেরেই রাজ্যবাসী উচিত শিক্ষা দেবে শাসক দলকে।

    ভোট চায় জনতা

    এদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় (Panchayat Election 2023) গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪২৯০টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ৬৬৫টি আসনে এবং জেলা পরিষদের ৭০টি আসনে লড়াই হচ্ছে। এই জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬২টি ও পঞ্চায়েত সমিতির ২টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছেন না ভোটাররা। তাঁদের বক্তব্য, লড়াই হোক। সেখানেই নির্ধারিত হোক জয়- পরাজয়। তাঁদের মতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ে আদতে বঞ্চিত করা হয় ভোটারদেরই। তাই প্রতিটি আসনেই লড়াই হওয়া উচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভোটারেরই প্রশ্ন, উন্নয়ন করে থাকলে নির্বাচনে কেন অনীহা শাসকের? কেন ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখতে হবে বিরোধীদের?

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: মিড-ডে মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ভোটকর্মীদের ভাতা! রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    Panchayat Election 2023: মিড-ডে মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ভোটকর্মীদের ভাতা! রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড-ডে মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ভোটকর্মীদের ভাতা (Panchayat Election 2023) দেওয়ার অভিযোগ পশ্চিম বর্ধমানে। অবিলম্বে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    মিড-ডে মিলের টাকা

    সম্প্রতি কিছু স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, মিড-ডে মিলের টাকা দেওয়া হয়েছে ভাতা হিসেবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, পশ্চিম বর্ধমানে মিড-ডে মিল বা পিএম পোষণ প্রকল্পে বরাদ্দ করা টাকা খরচ হয়েছে ভোটকর্মীদের ভাতা প্রদানে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। যেটা হয়েছে, তা অন্যায়। রাজ্য সরকারের টাকা না থাকলে অন্য ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু মিড-ডে মিলের টাকা কেন?

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা রাজ্যের?

    ভাইরাল হওয়া ঘটনাটি চাপা দিতে নয়া বিজ্ঞপ্তি (Panchayat Election 2023) জারি হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তিনি বলেন, তড়িঘড়ি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে প্রথমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি মিড-ডে মিলের নামে খোলা হলেও, এখন তা মিসলেনিয়াস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা কি হতে পারে?  রাজ্য যদি এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট না দেয়, সে ক্ষেত্রে ফের রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, মিড-ডে মিলের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫৪০ টাকা পাঠানো হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এমনটা (Panchayat Election 2023) হয়েছে। যৌথমঞ্চের সরকারি কর্মীরা বলেন, এই টাকা শিশুদের খাবারের টাকা। ভাতার টাকা ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, বগটুই গণহত্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময়ও মিড-ডি মিলের টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে (Odisha Train Accident) করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রেলের তিন আধিকারিককে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই তিন আধিকারিকের কাজকর্মের জেরেই ঘটেছিল দুর্ঘটনা। এদিন যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়র অরুণ কুমার মোহন্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়র মহম্মদ আমির খান ও টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমার। সিবিআই জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ২০১ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তিনজনকে।

    করমণ্ডল দুর্ঘটনা 

    গত ২ জুন বালেশ্বরের (Odisha Train Accident) বাহানগা স্টেশনের অদূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মেইন লাইনের পরিবর্তে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে থাকা আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস ঢুকে পড়েছিল লুপ লাইনে। ওই লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। তার পিছনে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। এরই কয়েকটি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। সেই সময় ওই লাইনে আসছিল ডাউন এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরে হাওড়াগামী ট্রেনের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ২৮৮ জন। আহত হয়েছিলেন এক হাজার জনেরও বেশি মানুষ। 

    তদন্ত শুরু রেলের

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কারণ জানতে তদন্ত শুরু করে রেলের সেফটি কমিশন। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে জানা যায়, সিগন্যালের ভুলের কারণেই ঘটেছিল মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা। মূলত সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের একাধিক ভুলের জন্য মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার এএম চৌধুরীও তাঁর রিপোর্টে দাবি করেছেন, বিভিন্ন স্তরে সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির কারণেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে খড়্গপুর ডিভিশনের বাঁকড়া নয়াবাজ স্টেশনেও এই একই ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছিল সিগন্যালিংয়ে। যার জেরে ভুল করে ট্র্যাকে ঢুকে পড়েছিল ট্রেন। এই রিপোর্টটি সিবিআইকে দেওয়ার কথা। কারণ এই দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) নেপথ্যে অপরাধমূলক কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা জানতে তদন্ত করছে সিবিআই-ও। সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন রেলমন্ত্রী স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে অন্তত চার জন কেন্দ্রীয় জওয়ান! বিএসএফ-এর দাবি মানছে কমিশন

    Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে অন্তত চার জন কেন্দ্রীয় জওয়ান! বিএসএফ-এর দাবি মানছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথ দখল বা সম্ভাব্য হিংসা এড়িয়ে সুষ্ঠু ভোটের কথা মাথায় রেখেই শনিবার, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) সময় সমস্ত বুথে অন্তত চার জন সক্রিয় কেন্দ্রীয় জওয়ান রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর ফলে প্রতি নির্বাচনী বুথে বাহিনী বণ্টনের সমস্যা মিটল। প্রতিটি বুথে চারজন করে সক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও মোতায়েন থাকবে। কমিশনের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই খবর জানানো হয়েছে।

    বাহিনীর প্রস্তাবে সায়

    রাজ্যে বিভিন্ন এলাকায় হিংসার ঘটনার উদাহরণ টেনে প্রতি বুথে অন্তত হাফ সেকশন অর্থাৎ চার জন সক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ভারপ্রাপ্ত কোঅর্ডিনেটর এবং বিএসএফের আইজি। সেই সঙ্গে বলেছিলেন রাজ্য পুলিশকেও পাহারায় থাকতে হবে। শুক্রবার বাহিনী দেওয়া সেই সমস্ত প্রস্তাব মেনে নিল কমিশন। 

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। নির্দেশে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ সিভিক ভলেন্টিয়ারর থাকবেন ভোটের সময় লাইন বজায় রাখার জন্য৷ এ ছাড়া মোবাইল ভ্যানে, অর্থাৎ ভ্রাম্যমাণ কোনও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না৷ বুথ দখল, রিগিং এবং অশান্তি এড়াতে দীর্ঘ একমাস ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে টানাপোড়েন চলছে কেন্দ্র, রাজ্য এবং কমিশনের মধ্যে। তবে আগে কমিশন জানিয়েছিল, বুথ প্রতি একজন করে জওয়ান থাকবে। সেক্ষেত্রে জওয়ানের নিরাপত্তার দিকটি ভেবে দেখার কথা জানায় বিএসএফের আইজি।

    সমন্বয় রেখে কাজ

    এদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন জানায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে জেলা শাসক, কমিশনার এবং জেলা সুপারদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি যেহেতু রাজ্য পুলিশও মোতায়েন থাকছে ভোটগ্রহণ (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রগুলোতে, সে কারণে উভয় পক্ষের যোগাযোগ বজায় রেখে সুরক্ষা বলয় তৈরির ব্যাপারে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! ল্যান্ডিং কবে, জানিয়ে দিল ইসরো

    Chandrayaan 3: ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! ল্যান্ডিং কবে, জানিয়ে দিল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ঠিকঠাক চললে আগামী ১৪ জুলাই মহাকাশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) তরফে এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানান, ১৪ তারিখ দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ ‘চন্দ্রযান ৩’-কে সঙ্গে নিয়ে চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ভারতের বৃহত্তম রকেট। একইসঙ্গে, চাঁদের মাটিতে কবে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফে। 

    কাউন্টডাউন শুরু…

    আর মাত্র সাত দিনের অপেক্ষা। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। তারপরই ফের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার হাতছানি। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে উত্তেজনা। ততই চড়ছে আশার পারদ। ২০১৯ সালে ভারত ‘চন্দ্রযান ২’ উৎক্ষেপণ করেছিল। ল্যান্ডিংয়ের আগে, মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযানের। চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞান’। তারপর চার-চারটে বছর কেটে গিয়েছে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পুরোদস্তুর প্রস্তুতি নিয়ে নামছে ইসরো। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে। এস সোমনাথ বলেন, “আমরা চাঁদে সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সক্ষম হব।”

    লক্ষ্য সফট ল্যান্ডিং

    ইতিমধ্যেই, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে (Chandrayaan 3) মহাকাশে বহনকারী রকেটের সাথে সংযুক্ত করেছে। গত বুধবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে পুরোদমে প্রস্তুত ‘লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩’ বা সংক্ষেপে ‘এলভিএম৩’ (LVM3)। প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরে ‘জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩’ বা ‘জিএসএলভি মার্ক ৩’ (GSLV Mark 3) রকেটের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩’। বুধবার, এই রকেটের মাথায় পেলোড সংযুক্ত করা হয়। এই পেলোডের মধ্যে রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। মূলত তিনটি জিনিস রয়েছে এই মডিউলে। একটি ল্যান্ডার, একটি রোভার ও একটি প্রোপালসন মডিউল। বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে এই পেলোড ফেয়ারিংয়ে ভর করে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল চাঁদের উপরে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। সেখান থেকে চাঁদের বুকে অবতরণ-পর্ব শুরু করবে ল্যান্ডার ও রোভার।

    সবচেয়ে ভারী ও উন্নত রকেট ‘এলভিএম৩’

    ‘এলভিএম৩’ হলো ভারতের সবচেয়ে ভারী ও উন্নত প্রযুক্তির রকেট। রকেটটির ওজন ৬৪০ টন। দৈর্ঘ্য ৪৩.৫ মিটার, প্রস্থ ৪ মিটার। মাথায় অবস্থিত পেলোড ফেয়ারিংটি হলো ৫ মিটার ব্যাসের। লঞ্চ যানটি পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ‘লোয়ার আর্থ অরবিট’-এ (LEO) ৮ টন পর্যন্ত পেলোড বা সরঞ্জাম বহন করতে পারে। কিন্তু যখন ‘জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিট’ (জিটিও)-এর কথা আসে যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৫ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত, তখন অনেক কম অর্থাৎ মাত্র চার টন পেলোড বহন করতে পারে ‘এলভিএম৩’। ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) মোট ওজন ৩ হাজার ৯০০ কেজি। অর্থাৎ, প্রায় ৪ টনের কাছাকাছি। এর মধ্যে, শুধু প্রোপালশান মডিউলটির ওজনই ২ হাজার ১৪৮ কেজি।

    চাঁদে ল্যান্ডিং ২৩ অথবা ২৪ অগাস্ট

    শুধু উৎক্ষেপণ নয়, একেবারে সম্ভাব্য ল্যান্ডিংয়ের দিনক্ষণও ঘোষণা করেছে ইসরো। অর্থাৎ, চাঁদের মাটি কখন ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, তাও জানিয়ে দিয়েছে ইসরো। সংস্থার চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানান, ২৩ অথবা ২৪ অগাস্ট চাঁদের মাটিতে নিরাপদে চন্দ্রযানটিকে অবতরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইসরো সূত্রে খবর, ‘চন্দ্রযান ২’-এ ল্যান্ডার ও রোভারের যে নাম ছিল, এবারও তাই রাখা হয়েছে। ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অনুসন্ধান চালাবে। চাঁদের ভূতাত্বিক অনুসন্ধান করা হবে। চাঁদের কিছু বিশেষ জায়গায় থার্মোফিজিক্যাল পদার্থ অনুসন্ধান, ল্যান্ডিং সাইটের আশেপাশে চন্দ্রের ভূমিকম্প, চন্দ্র পৃষ্ঠের প্লাজমা পরিবেশ এবং মৌলিক রচনা সংক্রান্ত কিছু তথ্যের সন্ধানে চলছে এই সাম্প্রতিক অভিযান। সোমনাথ জানান, সব ঠিকঠাক চললে আমরা সফট ল্যান্ডিং করব। রোভারের ৬টি চাকা রয়েছে। আনুমানিক ১৪ দিন পর্যন্ত কাজ করবে প্রজ্ঞান।

    আশায় বুক বাঁধছেন ১৪০ কোটি ভারতবাসী 

    এর আগে চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছে বিশ্বের তিন দেশের তৈরি চন্দ্রযান। ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) সফল উৎক্ষেপণ হলে সেই তালিকায় জ্বলজ্বল করবে ভারতের নাম। ভারতের কাছে বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় নাম তোলার আরও একবার হাতছানি। আশায় বুক বাঁধছে আপামর ভারতবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: তৃণমূল জেলা পরিষদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে বিতর্ক, চাঞ্চল্য অন্ডালে

    Asansol: তৃণমূল জেলা পরিষদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে বিতর্ক, চাঞ্চল্য অন্ডালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট। এরই মাঝে তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর বিরুদ্ধে চঞ্চল্যকর দাবী করে কিছু পোস্টার দেখা গেল। এরপর থেকে পোস্টারকে ঘিরে খনি অঞ্চলের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগল শুরু হয়েছে। ঘটনাটি রানীগঞ্জ বিধানসভার (Asansol) অন্ডাল ব্লকে ঘটেছে। 

    কার বিরুদ্ধে পোস্টার (Asansol)?

    শুক্রবার অন্ডালের (Asansol) দিগনালা ও অন্ডাল বাজার এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় অন্ডাল ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা এবারের পঞ্চায়েত ভোটে এলাকার জেলা পরিষদ প্রার্থী কালবরণ মন্ডলের নামে বেশ কিছু পোস্টার নজরে আসে। পোস্টারে লেখা ‘তৃণমূল ব্লক সভাপতি কালবরণ মন্ডল নানান অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত, এলাকায় জমি-কয়লা-বালির অবৈধ কার্যকলাপ করেন।” দীর্ঘদিন তিনি শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক সভাপতির পদে ছিলেন। কিন্তু এতদিনেও সাধারণ মানুষের চেয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধির কথাই বেশি ভেবেছেন বলে পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    পোস্টার প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি (Asansol) কালবরণ মণ্ডল বলেন, ভোটের ঠিক একদিন আগেই এই ধরনের পোস্টার তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের চক্রান্ত। পাশাপাশি কালবরণ মণ্ডল নাম না করে দলের অভ্যন্তরে তাঁর বিরোধীদের দিকেও পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করেন। যদিও কালবরণ মণ্ডল এই ধরনের পোস্টারকে কোনও রকম আমল দিতে নারাজ। তিনি বলেন, এলাকার মানুষ জানেন তাঁর ব্যক্তিত্ব কেমন, আর তার প্রতিফলন আগামী ৮ই জুলাই মানুষ ভোট বাক্সে দেখিয়ে দেবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডালের (Asansol) বিজেপির ব্লক সভাপতি সোহন রাবনী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত অন্ডালে। এই ধরনের পোস্টার তারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। বিজেপি নেতা আরও দাবি করেন, পোস্টারে যে সকল জিনিস কালবরণের বিরুদ্ধে লেখা আছে, তা সবই সত্য। পোস্টারটিতে একেবারে নিচে লেখা, অন্ডাল সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম। এই পোস্টারে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা আছে যে, এই ধরনের ব্যক্তিত্বকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেন ভোট না দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: কুলপিতে খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪

    Panchayat Vote: কুলপিতে খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলপির দৌলতপুরের কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আলফাজ হালদারের খুনের ঘটনায় এবার তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে কুলপির দৌলতপুরে নির্দল প্রার্থী গৌতম ব্যানার্জির প্রচারে (Panchayat Vote) বেরিয়েছিলেন আলফাজ হালদার। সেই সময় চুনফুলির মোড়ের কাছে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় আলফাজের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই বুথেই এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নুরউদ্দিন হালদার।

    আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আলফাজ

    স্থানীয় মানুষদের দাবি, নুরউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের একটা পারিবারিক বিবাদ ছিল এবং আলফাজ এলাকায় একজন ভালো কংগ্রেস কর্মী বলেই পরিচিত ছিল। সেই রাত্রে তৃণমূল প্রার্থী নুর উদ্দিন হালদারের নির্দেশেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয় আলফাজকে। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয় আলফাজ হালদারের। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুুন: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    গ্রেফতার খুনীরা…

    বৃহস্পতিবার আলফাজের মৃত্যুর পরে রাতেই কুলপি থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। ধৃতরা খাজমুর হালদার, আম্মাদুল্লা হালদার, আমিরুল হালদার, মনোয়ার হোসেন হালদার। দৌলতপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশি হেফাজতে চেয়ে ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে নিহত কংগ্রেস নেতা আলফাজ হালদারের দেহ আজ ময়না তদন্তের পর দৌলতপুর গ্রামে নিয়ে আসা হবে।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    Panchayat Election 2023: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। নির্বাচন-পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই মতো রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে রাজ্যে। শুক্রবার বিশেষ বিমানে লেহ্ থেকে এয়ারলিফ্ট করে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে ৫ কোম্পানি এবং ২ প্লাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই বাহিনী নামে পানাগড়ে। সেখান থেকেই তাঁদের মোতায়েন করা হবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।

    লেহ্ থেকে এল বাহিনী

    যেহেতু নির্বাচন (Panchayat Election 2023) শুরু হতে আর মাত্র ঘণ্টা কয়েক বাকি, তাই চাহিদা মতো বাহিনী মিলবে কিনা, তা নিয়ে ছিল সংশয়। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানায়, লাদাখের লেহ্ থেকে এয়ারলিফ্ট করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে আসা হচ্ছে বাংলায়। মোট পাঁচ কোম্পানি ও দুই প্লাটুন বাহিনী আসছে পানাগড়ের বিমানঘাঁটিতে।

    সব বাহিনী আসবে এদিনই

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। তার পর আদালতের গুঁতোয় সব মিলিয়ে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে যেহেতু একেবারে শেষ পর্যায়ে কমিশনের তরফে বাহিনী চাওয়া হয়েছে, তাই বাহিনী আসতে সময় লাগছে। সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে চাহিদা মতো বাহিনী চলে আসবে শুক্রবারই।

    আরও পড়ুুন: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    জানা গিয়েছে, যেখানে ১ থেকে ২টি বুথ রয়েছে, সেখানে মোতায়েন করা হবে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ৩ থেকে ৪টি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় থাকবেন ৮ জন জওয়ান। ৫ থেকে ৬টি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় থাকবেন ১২ জন জওয়ান। ৭ এবং ৭-এর বেশি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় মোতায়েন করা হবে ১৬ জন জওয়ান। স্ট্রং-রুম পাহারায় থাকবে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে স্পর্শকাতর বুথগুলিকে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে স্পর্শকাতর (Panchayat Election 2023) বুথ রয়েছে ৪ হাজার ৮৩৪টি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Global Peace Index 2023: বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড, জানেন কোথায় ভারত? 

    Global Peace Index 2023: বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড, জানেন কোথায় ভারত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশগুলির বার্ষিক র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করল গ্লোবাল পিস ইনডেক্স (Global Peace Index – GPI)। ১৬৩টি দেশের উপর সমীক্ষা চালিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে এই তালিকা। তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ডের নাম। ২০০৮ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশের তকমা পেয়ে আসছে ইউরোপের এই দেশ। তালিকায় ভারতের স্থান ১২৬।

    উন্নতি করেছে ভারত

    ২০২৩ জিআইপি অনুসারে, আইসল্যান্ড (Iceland)  বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ। এই দেশটির পরই শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়া ৷ অন্যদিকে সর্বাধিক অশান্ত দেশ হিসেবে অষ্টম বারের জন্য তালিকার একেবার শেষে এবারও রয়েছে আফগানিস্তান। এর ঠিক উপরে রয়েছে চারটি রাষ্ট্র। সেগুলির হল ইয়েমেন, সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও গণতান্ত্রিক-প্রজাতন্ত্র কঙ্গো।

    গত বছর সামগ্রিক ভাবে দেখতে গেলে শান্তির ক্ষেত্রে ৩.৫ শতাংশ উন্নতি করেছে ভারত। যার জেরে গত বছরের তুলনায় দু’ধাপ উপরে উঠে এসেছে নয়াদিল্লি। এই প্রসঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের কথাও উল্লেখ করেছে জিপিআই। তালিকা প্রকাশকারী সংস্থার দাবি, গত বছর থেকেই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গেই সেভাবে সীমান্ত সংঘাতে জড়ায়নি ভারত। শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ১৬৩-র মধ্যে ১২৬ তম স্থানে রয়েছে ভারত। শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ১৬৩-র মধ্যে ১২৬ তম স্থানে রয়েছে ভারত। 

    আরও পড়ুন: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    ১০টি শান্তিপূর্ণ দেশ

    সিডনি-ভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংঘাত, নিরাপত্তা এবং সামরিকীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বার্ষিক শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকা অনুযায়ী, প্রথম দশটি দেশ হল আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, সিঙ্গাপুর, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, জাপান, সুইজারল্যান্ড

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বুথে বাহিনী চেয়ে বারাসত জেলা শাসকের দফতরে বিরোধীদের বিক্ষোভ

    North 24 Parganas: বুথে বাহিনী চেয়ে বারাসত জেলা শাসকের দফতরে বিরোধীদের বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিল সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই রাজ্যে অর্ধেক আধা সেনা ও অর্ধেক রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বারাসত (North 24 Parganas) জেলা শাসকের দফতর এবং এক নম্বর বিডিও অফিসের আওতায় যেসব বুথগুলি রয়েছে তাতে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা পাওয়া যায়নি। তাই শুক্রবার সাতসকালে বারাসাত জেলাশাসকের অফিস এবং এক নম্বর বিডিও অফিসের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলে বিডিওকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সিপিআইএম প্রার্থীরা। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা জেলায়।

    অভিযোগ কী (North 24 Parganas)?

    ভোট কর্মীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদেরকে হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তাই এখন তাঁদের কাছে হয়ে দাঁড়িয়েছে সবথেকে বড় কঠিন চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি তাঁদের আরও বক্তব্য, বারাসত (North 24 Parganas) এক নম্বর বিডিও অফিসের বিডিও সৌগত পাত্র তৃণমূলের হয়েই কাজ করছেন। আগেও একাধিকবার অভিযোগ জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। পুলিশ প্রশাসন বলেছে, তাঁদের কাছে এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছায়নি। তাই এদিন বারাসত জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সিপিআইএম প্রার্থীরা। এছাড়াও এক নম্বর বিডিও অফিসে বিডিওকে ঘিরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ করে ভোট কর্মীরা।

    সিপিআইএম বক্তব্য

    জেলার নেতা হাবিব আলি বলেন, মহামান্য কোর্টের আদেশকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলায় আর যেন কোন মায়ের কোল যেন খালি না হয়, সেই জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী একান্ত প্রয়োজন। আমাদের দাবি বিডিও (North 24 Parganas) সাহেবের কাছে নিয়ে গেলে, উনি আইসির কাছে পাঠান আবার আইসি, বিডিওর কাছে যেতে বলেন। এভাবেই ঘুরতে থাকে দাবি গুলি, যার কোনও সমাধান হচ্ছে না। আমাদের অভাব অভিযোগের কথা কেউ শুনছেন না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share