Tag: bangla news

bangla news

  • PM Modi: ‘ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

    PM Modi: ‘ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (AAP) নেতা মনীশ সিসোদিয়া। সেই সিসোদিয়ার হয়ে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লিখলেন দেশের ৮টি রাজনৈতিক দলের ৯ জন নেতা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইডি (ED)-সিবিআইয়ের (CBI) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তবে যে ৮টি রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে, তাতে আশ্চর্যজনকভাবে নেই কংগ্রেস। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন।

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) লেখা ওই চিঠিতে সই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও রয়েছেন ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের তালিকায়। এঁরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁরা হলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শারদ পাওয়ার, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।

    স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে কংগ্রেস নেই। যদিও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে জেরা করেছে ইডি। মা ও ছেলেকে গত বছরই জেরা করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চিঠিতে (PM Modi) বলা হয়েছে, আমরা আশা করি, আপনি আমাদের সঙ্গে একমত হবেন যে ভারত এখনও গণতান্ত্রিক দেশ। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে আদতে সেগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। যা থেকে মনে হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নেই, রয়েছে স্বৈরতন্ত্র। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই সিবিআই গ্রেফতার করেছে মনীশ সিসোদিয়াকে। তার আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নির্লজ্জ আচরণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, আমরা গণতন্ত্র থেকে স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছি।

    আরও পড়ুুন: মাত্র ৫ আসনে জয়, নাগাল্যান্ডে টাকা উড়িয়ে জয়োৎসব এনপিপি-র

    চিঠিতে (PM Modi) আরও লেখা হয়েছে, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে, বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এটা হয়ে আসছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই বিরোধী দলের নেতা। তবে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে ধীর গতিতে। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নামোল্লেখ করেছেন। বছর কয়েক আগে কংগ্রেসে ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে যোগ দিয়েছেন হিমন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Pratima Bhoumik: প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পাবে ত্রিপুরা?

    Pratima Bhoumik: প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পাবে ত্রিপুরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয়বারের জন্য ত্রিপুরার (Tripura) কুর্সিতে ফিরেছে বিজেপি (BJP)। তবে কে বসবেন মুখ্যমন্ত্রীর তখতে, তা ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার পাশাপাশি আরও একটি নাম ভেসে আসছে মুখ্যমন্ত্রী পদে। তিনি প্রতিমা ভৌমিক (Pratima Bhoumik), কেন্দ্রীয় সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ামেন্ট দফতরের প্রতিমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর নাম নির্বাচিত হলে, তিনিই হবেন ত্রিপুরার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, প্রতিমাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর লক্ষ্যে ধনপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়।

    প্রতিমা ভৌমিক (Pratima Bhoumik)…

    মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সিপিএমের মানিক সরকার দীর্ঘদিন এই ধনপুর আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি ছিলেন ওই কেন্দ্রের বিধায়ক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ওই কেন্দ্রে এবার জয়ী হয়েছেন পদ্ম-প্রার্থী প্রতিমা (Pratima Bhoumik)। শনিবার মোদি-স্তুতি শোনা গিয়েছে প্রতিমার গলায়। তিনি বলেন, এক সময় উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভুগছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রাজ্যগুলিকে আইডেনটিটি দিয়েছেন।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ৩২টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ভোট প্রাপ্তির হার প্রায় ৩৯ শতাংশ। ১৩টি আসনে জয়ী হয়ে এ রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছে তিপ্রা মথা পার্টি। ১১টি আসন পেয়েছে সিপিএম। মাত্র ৩টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। একটি আসনে জয়ী হয়ে রাজ্যে খাতা খুলেছে আইপিএফটি।

    আরও পড়ুুন: মাত্র ৫ আসনে জয়, নাগাল্যান্ডে টাকা উড়িয়ে জয়োৎসব এনপিপি-র

    ধনপুর কেন্দ্রে জয়ী বিজেপি প্রার্থী প্রতিমা ভৌমিক (Pratima Bhoumik) ত্রিপুরার দিদি নামে পরিচিত। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের হার ৪২.২৫ শতাংশ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের কৌশিক চন্দকে ৩ হাজার ৫০০ ভোটে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন প্রতিমা। ধনপুর কেন্দ্রে আগেও লড়েছেন প্রতিমা। একবার ১৯৯৮ ও পরেরবার ২০১৮ সালে। দু বারই সিপিএমের মানিক সরকারের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এবার জয়ী হয়েছেন সিপিএম প্রার্থীকেই হারিয়ে। প্রসঙ্গত, এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি মানিক সরকার।

    বিজ্ঞানে স্নাতক প্রতিমা বিজেপি করছেন ১৯৯১ সাল থেকে। ব্লক, জেলা ও রাজ্যস্তরে খো খো-ও খেলেছেন এক সময়। তিনি বলেন, আমি দলের একজন অনুগত সৈনিক। দলের নির্দেশে আমি বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছি। দল আমার কাছে মায়ের মতো। দল যা বলবে, তাই করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • NPP: মাত্র ৫ আসনে জয়, নাগাল্যান্ডে টাকা উড়িয়ে জয়োৎসব এনপিপি-র

    NPP: মাত্র ৫ আসনে জয়, নাগাল্যান্ডে টাকা উড়িয়ে জয়োৎসব এনপিপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতার বাড়ির সামনে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। তার মধ্যেই উড়ছে রাশি রাশি টাকা। কোনটিও ২০ টাকার, কোনওটি ৫০ টাকার, কোনওটি আবার ১০০ টাকার। উড়ছে ২০০ টাকার নোটও। এ ছবি নাগাল্যান্ডের (Nagaland) কিফিরে এলাকার। চলতি মাসের ২ তারিখে ফল বেরিয়েছে নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনের (Nagaland Assembly Elections)। ৬০ আসনের এই বিধানসভায় ন্যাশন্যাল পিপলস পার্টি (NPP) পেয়েছে ৫টি আসন। সেই জয়োৎসব পালন করতেই নেতার বাড়ির সামনে ওড়ানো হচ্ছে রাশি রাশি টাকা।

    ন্যাশন্যাল পিপলস পার্টি (NPP)…

    দলের নেতা সি কিপিলি সংগতমের বাড়ির সামনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির এই উল্লাসের ছবি হয়েছে ভাইরাল। মেঘ মুলুকের এই দলের নেতা কনরাড সাংমা। পর পর দুটো টার্ম মেঘালয়ে সরকারে ছিল এই দল। তবে নাগাল্যান্ডে এই প্রথমবার ৫টি আসনে জয় পেয়েছে তারা। এটাকেই বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখছে মেঘ রাজ্যের এই দল (NPP)। সেই কারণেই নোট উড়িয়ে উদযাপন হচ্ছে জয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে এনপিপির কর্মীরা শূন্যে উড়িয়ে দিচ্ছেন টাকা। তাঁরা নাচছেন, করছেন জয়সূচক চিৎকারও।

    ৬০ আসনের নাগাল্যান্ড বিধানসভায় ৩৭টি আসন পেয়েছে বিজেপি-এনডিপিপি জোট। ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে যা ঢের বেশি। সরকার গড়বে তারাই। নাগাল্যান্ডে খাতা খুলেছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডও। একটি আসন পেয়েছে তারা। আর ৭টি আসন পেয়েছে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। দুটি আসন পেয়েছে রাম বিলাসের লোক জনশক্তি দলও। নাগা পিপলস ফ্রন্ট এবং রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া (আথাওয়ালে) দুই দলই পেয়েছে দুটি করে আসন। চারটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা।

    আরও পড়ুুন: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    নাগাল্যান্ডে ক্ষমতায় রয়েছে ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি। এই দলই ফের ফিরছে কুর্সিতে। মুখ্যমন্ত্রী নেইফুই রিও এনডিপিপি লেজিলেচার পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। এদিনই তিনি রাজ্যপাল লা গণেশনের কাছে জমা দিয়েছেন পদত্যাগপত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Bomb Blast:  বোমা বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূল নেতার বাড়ি, কোথায় দেখে নিন?

    Bomb Blast: বোমা বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূল নেতার বাড়ি, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) উড়ে গেল তৃণমূল নেতার বাড়ি। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাঁড়ুই থানার ভেড়ামারি গ্রামে। তৃণমূল নেতার নাম হাফিজুল শেখ। তিনি তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলের নেতার বাড়িতে এরকম বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ শেখ রিন্টু এবং শেখ গোলাম নামে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। গত চারদিন ধরে এই জেলায় এত পরিমাণ বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় জেলা জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    তৃণমূল নেতার বাড়িতে কী করে বোমা বিস্ফোরণ হল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতার বাড়ির গোয়াল ঘরে চারটি  ড্রামের মধ্যে বোমা (Bomb Blast) রাখা ছিল। শুক্রবার রাতে সেই বোমা ভরতি ড্রাম কোনওভাবে নীচে পড়ে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। গোয়াল ঘরে থাকা বেশ কয়েকটি ছাগলও মারা যায়। বিস্ফোরণে (Bomb Blast) তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তৃণমূল নেতার কংক্রিটের বাড়ি একেবারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাতে আচমকাই বিকট শব্দে গোটা গ্রাম কেঁপে ওঠে। প্রথমে কী হয়েছে তা বুঝতে পারিনি। ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি, হাফিজুলের বাড়়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগে থেকে বোমা মজুত ছিল, না বিরোধীরা বোমা রেখে ছিল তা তদন্তসাপেক্ষ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে, পুলিশি তদন্তে ওই তৃণমূল কর্মী দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূম জেলায় পাল্লা দিয়ে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১ মার্চ নানুর থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। ২ মার্চও নানুর থানা এলাকা থেকে ৩ ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে ৩ মার্চ সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। আর ৩ মার্চ রাতে সাঁইথিয়ার পর পাঁড়ুই থানা এলাকায় তৃণমূল নেতার আস্ত একটি বাড়িই কার্যত উড়ে গেল। বিরোধীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বোমা বারুদের ভর কেন্দ্র হয়ে উঠছে এই জেলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Bill Gates: ‘ভারত সফরের অন্যতম সেরা অংশ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ’, বললেন বিল গেটস

    Bill Gates: ‘ভারত সফরের অন্যতম সেরা অংশ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ’, বললেন বিল গেটস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সম্পর্কে আমি আগের চেয়েও বেশি আশাবাদী। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে বৈঠকের পর কথাগুলি বললেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (Bill Gates)। চলতি সপ্তাহেই ভারত সফরে এসেছিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। বিল গেটস জানান, ভারত সফরের অন্যতম সেরা অংশ ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ। তিনি জানান, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে উদ্ভাবন, বিশ্বে অসাম্য কমাতে কী কী বিষয়ে সাহায্য করতে পারে ভারত, তা নিয়েই আলোচনা করেছেন তাঁরা।

    বিল গেটস (Bill Gates)…

    মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা (Bill Gates) তাঁর ব্লগে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উদ্ভাবনী কাজ, জলবায়ু পরিবর্তন, আসন্ন জি-২০ শীর্ষ বৈঠক সহ নানা বিষয়ে মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। করোনা অতিমারি পর্বে বিল গেটসের সংস্থা গেটস ফাউন্ডেশন ভারতে ভ্যাকসিন পাঠিয়েছিল। সেই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোদি সরকার দক্ষতা দেখিয়েছে বলেও জানান মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি লিখেছেন, জীবন রক্ষার সরঞ্জাম তৈরির পাশাপাশি, ভারত সেগুলি সরবরাহের ক্ষেত্রেও উৎকর্ষ দেখাতে পেরেছে।

    বিল গেটসের মুখে এদিন ছিল কেবলই মোদি-স্তুতি। তিনি বলেন, করোনা অতিমারির কারণে গত তিন বছর আমি খুব একটা কোথাও যাইনি। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও আমি নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলাম। বিশেষ করে করোনা টিকা তৈরি ও ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়। মাইক্রোসফটের কর্ণধার বলেন, সুরক্ষিত, কার্যকরী ও সস্তায় ভ্যাকসিন তৈরি করার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে ভারতের। এর মধ্যে বেশ কিছু ভ্যাকসিন তৈরিতে গেটস ফাউন্ডেশন সহায়তা করেছে। করোনাকালে ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে এবং বিশ্বে অন্যান্য রোগ ছড়িয়ে পড়া থেকে প্রতিরোধেও সাহায্য করেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের নীতির কারণেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে’, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

    করোনা অতিমারি পর্বে টিকাকরণের জন্য কো-উইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। মোদির এই উদ্যোগের ভূসয়ী প্রশংসা করে মাইক্রোসফট কর্ণধার (Bill Gates) বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশ্বাস ছিল কো-উইন বিশ্বের জন্য মডেল হয়ে উঠবে। ওঁর চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ সহমত। অতিমারি পর্বে ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উন্নতি ও গতিশক্তি প্রোগ্রামের প্রশংসাও করেন বিল গেটস। মাইক্রোসফটের কর্ণধার বলেন, বহু বছর ধরে আমরা জলবায়ু নিয়ে কাজ করছি। মিশন ইনোভেশনে ভারতও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ২০১৫ সালে আমরা এই উদ্যোগ শুরু করেছিলাম ক্লিন এনার্জির প্রচারের জন্য। আশা করছি, আগামিদিনেও আমরা এক সঙ্গে কাজ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
  • Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গ্রামের নাম হাসনহাটি। গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশ আদিবাসী। দালান বাড়ি কারও নেই। এক চিলতে ঘরে পরিবার নিয়ে তাঁরা দিন গুজরান করেন মাত্র। দিন মজুরি করে কোনওরকমে সংসার চালান তাঁরা। বাড়িতে টিউবওয়েল বসানো তাঁদের কাছে বিলাসিতা। অগত্যা সরকারি সাহায্য তাঁদের অন্যতম ভরসা। নিয়ম মেনে ঘটা করে প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামে পানীয় জলের ট্যাপ, টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। টিউবওয়েল থেকে বহুদিন ধরেই জল (Water demand) পড়ে না। আর পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য যে ট্যাপ বসানো হয়েছিল, গত তিনমাস ধরে সেখান দিয়ে জল পড়ছে না। গরম পড়তেই হাঁসফাঁস অবস্থা। ক্ষোভে ফুঁসছেন কালনা-২ ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের আদিবাসী এই গ্রাম।

    দাবি (Water demand) আদায়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা?

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)  একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করে আদিবাসীদের মন জয়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু, বাস্তব চিত্রটা যে একেবারেই আলাদা তা হাসনহাটি আদিবাসী গ্রামে আসলেই টের পাওয়া যাবে। এই গ্রামের তিন মাস ধরে পানীয় জলের (Water demand) ট্যাপ, টিউবওয়েল থেকে জল বের হচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে আদিবাসী মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীতা মুর্মু, মিতা মুর্মু, শেফালি মান্ডিদের বক্তব্য, এতদিন শীতকাল ছিল। দূর থেকে জল আনতে কষ্ট হত না। জলের (Water demand) চাহিদা কম ছিল। এখন গরম পড়েছে। দিন দিন গরম বাড়বে। এই অবস্থায় গ্রামে পানীয় জলের (Water demand) ব্যবস্থা না থাকলে আমরা কোথায় যাব। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু করেন বলে বিভিন্ন মঞ্চে দাবি করেন। অথচ গত তিনমাস ধরে আমরা পানীয় জল (Water demand) খেতে পাচ্ছি না, এটা রাজ্য সরকারের কারও দেখার সময় নেই। অবিলম্বে পানীয় জলের ব্যবস্থা না করে দিলে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ভোট বয়কট করব। কারণ, বহুদিন ধরে আমরা আবেদন নিবেদন করেছি। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার আমরা জোটবদ্ধ হয়ে সকলেই কেউ আর ভোট দিতে যাব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    হাসনহাটি গ্রামে আদিবাসী পরিবারেরা পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন  কালনা-২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিত কুমার চৌরাসিয়া। তিনি বলেন, কীভাবে তাদের পানীয় জল দেওয়া যায় সেটা ভাবা হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • QUAD: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    QUAD: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-প্রশান্ত (Indo-Pacific) মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমেই পাকাপোক্ত ঘাঁটি গাড়ছে চিন (China)। কৃত্রিম দ্বীপে ইতিমধ্যেই সামরিক ঘাঁটি তৈরি করে ফেলেছে ড্রাগনের দেশ। যার জেরে বিপন্ন মুক্ত বাণিজ্য পথ। এর আগে ওই অঞ্চলে নজরদারি জাহাজ মোতায়েন করেছিল বেজিং। যদিও তাদের দাবি, ওই এলাকায় মোতায়েন করা জাহাজটি লাগানো হচ্ছে গবেষণার কাজে। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে চিন। এমতাবস্থায় নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা দিল কোয়াড (QUAD) গোষ্ঠী।

    কোয়াড (QUAD)…

    ভারত (India), জাপান, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মিলে গঠিত হয়েছে কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ, সংক্ষেপে কোয়াড। চলতি বছর জি-২০ সম্মেলন হচ্ছে ভারতে। সেই উপলক্ষে এসেছেন বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। শুক্রবার সেই বৈঠকের ফাঁকে আলোচনায় বসেন কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং এবং মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। যৌথ এক বিবৃতিতে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি সাফ জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর কোয়াড।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আমরা সমর্থন করি। আমরা (কোয়াডভুক্ত দেশগুলি) ইন্ডিয়ান ওসান রিম অ্যাসোসিয়েশনের সম্পর্ককেও মজবুত করব। এই এলাকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আমরা যৌথভাবে মোকাবিলা করব। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে আমরা ইন্ডিয়ান ওসান রিম অ্যাসোসিয়েশনে ভারতের নেতৃত্বকে স্বাগত জানাই। ওই বিবৃতিতেই বলা হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা যাতে মুক্ত থাকে সে ব্যাপারে আমরা (কোয়াডভুক্ত দেশগুলি) প্রতিশ্রতিবদ্ধ। আমরা স্বাধীনতার নীতি, আইনের শাসন, সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের ঐক্য এবং বিতর্কিত বিষয়ের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জোরাল সমর্থক। স্থিতাবস্থা নষ্টের যে কোনও প্রচেষ্টার বিরোধিতাও করি আমরা।

    সন্ত্রাসবাদ যে আধুনিক বিশ্বের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, এদিন তাও উঠে এসেছে কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশগুলির আলোচনায়। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ওয়ার্কিং গ্রুপ গড়তে উদ্যোগী হয়েছে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি। মুম্বইয়ের ২৬/১১ হামলায় যাঁদের প্রাণ গিয়েছে তাঁদের মধ্যে কোয়াডভুক্ত দেশেরও বাসিন্দা ছিলেন। এদিন যৌথ বিবৃতিতে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই জাতীয় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গড়বে কোয়াড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিমের (Egg) কুসুম কেমন হয়? সকলেই এক কথায় জবাব দেবেন, লালচে কিংবা হলুদ। প্লাস্টিকের ডিমের (Plastic egg) নামও কারও অজানা নয়। কারণ, কিছুদিন আগেই রাজ্য জুড়ে এই ডিম নিয়ে জোর চর্চা ছিল। কিন্তু, সাদা ডিমের মধ্যেই কালো কুসুম কখনও শুনেছেন কিংবা দেখেছেন? অবিশ্বাস হলেও এটা সত্যি। মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরের এক শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার সেদ্ধ ডিম খেতে গিয়ে তাঁর নজরে আসে বিষয়টি।

    ঠিক কী হয়েছিল? সন্দেহ Plastic Egg

    শুক্রবার সকালে বাড়িতে টিফিন করবেন বলে শিক্ষক সুনন্দবাবু বাজারে গিয়ে একটি মুদির দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ডিম নিয়ে আসেন। শিক্ষকের অনুরোধে বাড়িতে ডিম সেদ্ধ করা হয়। ডিম খেতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে শিক্ষকের। কারণ, ডিমের মধ্যে যে কুসুম থাকে তা দেখতে একেবারে পিচের মতো কালো। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এটি নকল ডিম (Plastic egg)। ভালো করে না দেখে, সেদ্ধ ডিমটি আমি যদি ভুলবশত খেয়ে নিতাম, তাহলে কি হতো? ডিমের ভিতরে কালো ওই অংশ দেখেই আর ভয়ে ডিম আমি স্পর্শ করিনি। প্রশাসনের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হয়। তাদের এই ডিম দেওয়া হলে কী হত? কারণ, স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ডিম না দেখে খেয়ে ফেলত। বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি শিক্ষিকা সুপর্ণা মানিক বলেন, ডিম পুষ্টিকর খাবার। আর তাতেই যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে তা সমস্যার। ডিম ভেঙে দেখা যাচ্ছে তার ভিতরে কালো রঙের কিছু আছে। এমন ডিম বাজারে আর বিক্রি না হয় তা দেখার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।পাশাপাশি যে মুদি দোকান থেকে ডিম কেনা হয়েছিল, তাঁর সাফাই, আমি তো মিল্কি থেকে ডিম কিনে নিয়ে আসি। কোনো দিন এরকম হয়নি। কি ভাবে এরকম হল হল তা বুঝতে পারছি না। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে, পরীক্ষা করে রিপোর্ট আসার পরই এই বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

  • Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  গ্রামের নাম শুনলেই কেউ সেই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না। ভালো সম্বন্ধ এলে তা পিছিয়ে যায়। মাথায় হাত দিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটান গ্রামের বাসিন্দারা। এ আবার কেমন গ্রাম? আমাদের রাজ্যেই রয়েছে এমন গ্রাম। জানতে ইচ্ছে করছে কোথায়? দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট দেউড়া গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের দুর্দশা দেখলে আপনারও সেখানে দুবার যেতে ইচ্ছে করবে না। বিয়ের কথা তো অনেক দূরের বিষয়।

    কেন এই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না?

    ছোট দেউড়া আসতে গেলে কাশিয়া খাড়ি পার হতে হয়। সেই কাশিয়া খাড়িতে সেতু (Bridge) তৈরির দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এখনও তা তৈরি হয়নি। নেই গ্রামে রাস্তা। ফলে, উন্নয়নের আলোর কোনও ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামে। প্রাথমিক স্কুল যেতেও কচিকাঁচাদের খাড়ি পার হতে হয়। গরমকালে খাড়িতে জল কম থাকায় বাঁশের নড়বড়ে সেতুই গ্রামবাসীদের পারাপারের ভরসা। কিন্তু, বর্ষার সময় খাড়িতের জল টল টল করে। তখন খাড়ি পার হওয়া মস্তবড় ঝুঁকি হয়ে পড়ে। জলঘর পঞ্চায়েত থেকে ছোট দেউড়া কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এই গ্রামে এই পরিষেবার হাল দেখেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের এই গ্রামে বিয়ে দিতে চান না বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় সরকার। তিনি বলেন, আমরা কোনও ভাল পরিবারে ছেলে বা মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে আমাদের গ্রামের নাম শুনে কেউ আর সম্পর্ক তৈরিতে এগিয়ে আসেন না। সেতু (Bridge) না থাকার কারণে প্রসূতি কিংবা কোনও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চরম নাকাল হতে হয়। ফলে, আমরা চরম মনকষ্টে রয়েছি।

    দাবি আদায়ে গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে পথে নেমেছেন। তবে, সামনে পঞ্চায়েত ভোট বলে নয়, এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। রাজনীতির কারবারিরা এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভোট মিটতেই তাঁদের আর দেখা নেই। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার তাঁরা ফেস্টুন তৈরি করে ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিষয়ে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান গোপাল মুর্মু বলেন, বর্তমানে রাস্তা ও সেতুর জন্য টাকা ঢোকার কথা রয়েছে, টাকা এলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বুধন মার্ডিও দাবি আদায়ের গ্রামবাসীদের এই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোট বয়কট সমর্থন করি না। কিন্তু, গ্রামবাসীদের রাস্তা ও সেতুর দাবি ন্যায্য। বিজেপির পক্ষ থেকেও জানাই যে, প্রশাসন যেন গ্রামবাসীদের দাবি মেনে এলাকার রাস্তা ও সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Guinnes Book Winner SIDDIKA PARVIN: গিনেস বুক জয়ী বিশ্বের দীর্ঘকায় মহিলা সিদ্দিকা পারভিন এখন কেমন আছে, জানেন কী?

    Guinnes Book Winner SIDDIKA PARVIN: গিনেস বুক জয়ী বিশ্বের দীর্ঘকায় মহিলা সিদ্দিকা পারভিন এখন কেমন আছে, জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সাত ফুট ৮ ইঞ্চির দীর্ঘকায় মহিলা সিদ্দিকা পারভিনকে (Siddika Parvin) মনে পড়ছে। কয়েক বছর আগে পৃথিবীর একমাত্র দীর্ঘকায় মহিলা হিসেবে গিনেস বুকে নাম তুলে রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। তাঁকে নিয়ে অনেক হইচইও হয়েছিল। তবে, এখন সে সব শুধু অতীতের ধূসর স্মৃতি মাত্র। বছর আটেক আগেও গ্রামের রাস্তার ধূলো উড়িয়ে শাসক এবং বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা তাঁর বাড়ি বয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, কেউ কথা রাখেনি।

    কেমন আছেন সিদ্দিকা পারভিন?

    পৃথিবীর একমাত্র অতিকায় মহিলা হিসেবে গিনেস বুকে স্বীকৃতি পাওয়া সিদ্দিকা পারভিন এখন অসুস্থ। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামে তিনি থাকেন। বাড়ি বলতে ভাঙাচোরা এক চিলতে ঘর। এখন তাঁর বয়স মাত্র ৩৩ বছর। এই বয়সেও তিনি ঠিকমতো নড়তে চড়তে পারেন না। আজ পর্যন্ত জোটেনি দিন গুজরানের কোনও সরকারি ভাতা। হয়নি আধার কার্ডও। বিরল রোগে তিনি আক্রান্ত। কিন্তু, তাঁর চিকিত্সা করানোর বিষয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। এক সময় নেতা, মন্ত্রীর সুপারিশে দলীয় কর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে সিদ্দিকার চিকিৎসার জন্য তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন কিছুটা চিকিত্সা হয়েছিল। তারপর দিল্লি থেকে সেই যে বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি, আর তাঁর কেউ খোঁজ রাখেনি। এখনও তিনি সুস্থ নন। সোজা হয়ে এখন তিনি হাঁটতে পারেন না। ক্ষোভে সকলের সাথে ঠিক ভাবে কথা বলাও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন অভিমানী সিদ্দিকা।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ বছর বয়সে সিদ্দিকার পিটুইটারি গ্রন্থিতে টিউমারের সমস্যা তৈরি হয়। তাঁর চেহারা দীর্ঘ হতে থাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাঁর খাবারের চাহিদা। রোজ প্রায় দু’কেজি চালের ভাত খাওয়ার চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতে হয় গরিব পরিবারটিকে। তারপর থেকে ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এহেন তেত্রিশ পেরনো সিদ্দিকাকে নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় দিন কাটচ্ছে তার দিনমজুর বাবা আফাজুদ্দিন ও তার মা মানসুরা বিবির। তাঁদের বক্তব্য, তাঁদের মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা কেউ করল না। এবার অন্তত একটি ভাতার ব্যবস্থা কেউ করে দিলে ভাল হয়। ভবিষ্যতে সিদ্দিকার অল্প হলেও নিশ্চিত সংস্থান থাকে। আর সেই দিনের পথ চেয়ে বসে রয়েছেন সিদ্দিকা ও তাঁর পরিবার ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

LinkedIn
Share