Tag: bangla news

bangla news

  • PM Modi: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    PM Modi: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত ন-বছর ধরে মোদি সরকারের আমলে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে নারীর সর্বাঙ্গীন উন্নয়নকে। নারী কল্যাণে একাধিক কর্মসূচি ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার (PM Modi)। সামাজিকভাবে নারী সুরক্ষা আনতে চালু হয়েছে বিভিন্ন আইন। যেমন আইন করে বন্ধ করা গেছে তিন তালাক প্রথা। মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোদি সরকার গ্রহণ করেছে ‘মিশন পোষণ’। এটা এক ধরনের পুষ্টির প্রোগ্রাম, গর্ভবতী মহিলা এবং সদ্যোজাতদের জন্য। এই প্রকল্পে এখনও অবধি ১.৮১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার।

    নারী সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়নের প্রকল্প

    অন্যদিকে সরকারি সূত্রেই জানা যাচ্ছে, ‘মিশন শক্তি’ প্রকল্পে দুটি স্কিম রয়েছে। একটি হল ‘সম্বল’ এবং অপরটি ‘সামর্থ্য’। নারী সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়নের জন্যই এই প্রকল্পগুলি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প, বিপদগ্রস্ত মহিলাদের জন্য হেল্পলাইন ১৮১। নারীঘটিত যে কোনও অপরাধের দ্রুত বিচারের জন্য তৈরি করা হয়েছে মহিলা আদালত। অন্যদিকে ‘সম্বল’ স্কিমের আবার দুটি ভাগ রয়েছে। একটি হল ‘প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনা’ এবং ‘শক্তি সাধন’। মাতৃ বন্দনা যোজনার মধ্যে পড়ছে উজ্জ্বলা যোজনা। যেখানে মোদি সরকার ৯ কোটির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ করেছে। কর্মরত মহিলাদের জন্য মোদি সরকারের প্রকল্প হল সখী নিবাস। যা একধরনের মহিলা হস্টেল। লিঙ্গ অনুপাত প্রথমবারের জন্য বেড়েছে। প্রতি ১০০০ জন পুরুষে মহিলা হল ১০২০। মহিলাদের ওপর সাংসারিক নির্যাতনও কমেছে। কন্যা ভ্রুণ হত্যাও কম।

    নানা ক্ষেত্রে মহিলাদের সক্রিয় উপস্থিতি

    মোদি সরকারের ঘোষিত প্রাথমিক নীতি হল, প্রতিটি নারী যেন মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে। একটা সময় ছিল, যখন ভারতের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে শৌচকর্ম সারতে মহিলাদের মাঠে যেতে হত। কিন্তু স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে প্রতি বাড়িতেই এখন টয়লেট স্থাপন করতে পেরেছে মোদি সরকার। এই সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। ভারতবর্ষের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুয়ো থেকে পানীয় জল আনতে মহিলাদের অনেক দূরে যেতে হত। এখন সেটাও মোদি সরকারের সৌজন্যে বন্ধ হয়েছে এবং তার বদলে বাড়ি বাড়ি জলের পাইপ লাইন পৌঁছেছে। জল জীবন মিশনের আওতায় এই প্রকল্প গড়ে উঠেছে। প্রায় ১২ কোটি বাড়িতে জলের পাইপলাইন পৌঁছেছে। পরিসংখ্যান বলছে, মুদ্রা যোজনায় ৬৮ শতাংশ লোনই মহিলারা পেয়েছেন, যা সংখ্যায় কয়েক কোটি। এখন ঘরের জন্যও মহিলাদের চিন্তা করতে হয় না। কারণ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সেই সমস্যা দূর করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত ন-বছর ধরে মোদি জমানায় নারী শক্তির বিকাশ উল্লেখযোগ্য হয়েছে। ভারতীয় মহিলাদের সাফল্যের হারও চোখে পড়ার মতো। মহিলা পুলিশের সংখ্যাও বেড়েছে মোদি জমানায় (PM Modi)। একই কথা সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রেও। মহিলা ক্রীড়াবিদের সংখ্যাও বাড়ছে। টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান প্রভৃতি নানা ক্ষেত্রে মহিলাদের সক্রিয় উপস্থিতি বেড়েছে।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, গত ন’ বছরে নারী উন্নয়নে মোদি সরকার (PM Modi) কী কী কাজ করেছে

    ১) প্রথমবারের জন্য ভারতবর্ষে বেড়েছে মহিলা লিঙ্গ অনুপাত। প্রতি ১০০০ পুরুষে মহিলা এখন ১০২০।

    ২) কর্মরত মহিলাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২ সপ্তাহ থেকে বেড়ে ২৬ সপ্তাহ হয়েছে।

    ৩) ৩.০৩ কোটি মহিলাকে প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে।

    ৪) জন ঔষধি কেন্দ্রে ২৭ কোটিরও বেশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ১ টাকা মূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।

    ৫) সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় ৩.১৮ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।

    ৬) ৯.৬ কোটি ধোঁয়ামুক্ত কিচেন তৈরি করা গেছে।

    ৭) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৬৮.৯ শতাংশ ঘরই মহিলারা পেয়েছেন, যা সংখ্যায় আড়াই কোটি।

    ৮) ২৭ কোটিরও বেশি মুদ্রা লোনের সুবিধা পাচ্ছেন মহিলারা।

    ৯) সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের জন্য স্থায়ী কমিশন চালু করা হয়েছে।

    ১০) প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে মহিলাদের বিবাহের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার জন্য, যাতে তাঁরা শিক্ষা এবং কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ পান।

    ১১) তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধে আইন আনা হয়েছে, মুসলিম মহিলাদের দেওয়া হয়েছে অধিকার।

    ১২) পিছিয়ে পড়া মহিলাদের অর্থনৈতিক সুবিধা দানের জন্য ৪৫ ছাত্রীকে স্কলারশিপের সুবিধা দিয়েছে মোদি সরকার।

    ১৩) ছাত্রীদের জন্য আলাদাভাবে ৯.৫২ লক্ষ টয়লেট স্কুলগুলিতে স্থাপন করা গেছে।

     

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lakshman Seth: ৭৭ বছর বয়সে বিয়ে করলেন লক্ষ্মণ শেঠ, পাত্রী ৪১ বছরের মানসী!

    Lakshman Seth: ৭৭ বছর বয়সে বিয়ে করলেন লক্ষ্মণ শেঠ, পাত্রী ৪১ বছরের মানসী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখীর প্রেম কাহিনী এক সময় রাজ্যজুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বয়স যে সংখ্যা মাত্র, শোভন-বৈশাখী জুটি তা প্রমাণ করে দিয়েছিল। তাঁদের প্রেম কাহিনী নিয়ে নেট দুনিয়া তোলপাড় হয়েছিল। হালফিল বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী ৬১ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করলেন। তাঁর বিয়ে নিয়েও নেট দুনিয়ায় ব্যাপক চর্চা হয়েছে। এবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ৭৭ বছরের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth)। জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁর এই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা নিয়ে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, গোটা রাজ্যজুড়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পাত্রী কে?

    ২০১৬ সালে লক্ষ্মণ শেঠের (Lakshman Seth) প্রথম স্ত্রী তমালিকা পন্ডা শেঠের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনেও অনেক টানাপোড়েন চলে তাঁর। একাকিত্বে কাটছিল তাঁর জীবন। ৭৭ বছর বয়সে এসে একাকিত্ব দূর করতে আবার নতুন করে কাউকে পাশে পেতে চাইলেন তিনি। কোনও এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় কলকাতার মেয়ে মানসী দে নামে ৪১ বছরের এক মহিলার সঙ্গে। তিনি বহুজাতিক হোটেল সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা। তাঁরও আগে বিয়ে হয়েছিল। তবে, তাঁর স্বামী আর বেঁচে নেই। তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। সে একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। মানসীর সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। পরে, তাঁরা দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়েছে। এখন শুধু সাতপাকে বাঁধা পড়ার অপেক্ষা। সম্ভাব্য ২৮ জুন চার হাত এক হতে চলেছে। কলকাতায় বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, হলদিয়া একসময় প্রাক্তন সাংসদের খাসতালুক ছিল। তাই, সেখানে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

    ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের ঘটনার পর সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হন লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth)। নিজে প্রথমে দল গঠন করেন। পরে, তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। সেখানেও দলের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয় তাঁর। দীর্ঘ কয়েক বছর এভাবেই কেটে যায়। তারপর রাজনীতির দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে। এখন তিনি রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সহ সভাপতি। ৭৭ বছর বয়সে এসে ব্যক্তিগত জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁদের নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নেট দুনিয়ায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘কাকু-জেঠুর পর এবার হয়তো পিসি-ভাইপোর সময় আসছে’’! খোঁচা দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: ‘‘কাকু-জেঠুর পর এবার হয়তো পিসি-ভাইপোর সময় আসছে’’! খোঁচা দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে মঙ্গলবার রাতে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ইডি গ্রেফতার করার পর থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। একদিকে যেমন ট্যুইটে বোমা ফাটিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, তেমনই রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

    ঠিক কী বলেছেন দিলীপ?

    বুধবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানেই তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’-র গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কাকু হল, জেঠু হল। এবার হয়তো পিসির সময় আসছে। ভাইপোও আছে।’’ সঙ্গে সংযোজন করেন, ‘‘কান টানলে মাথা আসে। কান টানাটানি শেষ। এবার হয়তো মাথা আসবে।’’ বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘‘অনেক দিন ধরে খেলিয়ে এবার মাছ তুলছে সিবিআই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘কালীঘাটের কাকু’র সহযোগীদের চিনে নিন’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর, রয়েছে কাদের নাম?

    ‘‘যারা ধরা পড়ছে তারা হ্যান্ডলার’’!

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘পার্থ মন্ত্রী ছিলেন। নিজের মতো একটা চ্যানেল তৈরি করেছিলেন। সেখানে কিছু লোক ছিল। পার্থর সঙ্গে দলের তেমন সম্পর্ক ছিল না।’’ দিলীপের মতে, এখন যারা ধরা পড়ছে, তারা সকলে হ্যান্ডলার। তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু এখন যারা ধরা পড়ছে, তারা হচ্ছে ডাইরেক্ট পার্টির লোক। এখন যারা ধরা পরেছে, তারাই আসল কিংপিন। এরা হ্যান্ডলার। এরাই লোক টেনে আনত। এরাই টাকা তুলত। টাকা বিনিয়োগ করত। টাকা পৌছে দিত। তথ্য খোঁজা হচ্ছিল। সেই তথ্য সিবিআই ইডির হাতে এসেছে। আমার মনে হয় এবার রাস্তা পুরোপুরি খুলে যাবে।’’

    গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

    এখানে বলে দেওয়া প্রয়োজন, মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকা জানতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি। সকাল ১১টা নাগাদ তিনি সেখানে পৌঁছে যান। তারপর থেকেই সুজয়কৃষ্ণকে জেরা চালাতে থাকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জেরার পর অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর হেফাজত চাইতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka News: হিন্দু যুবক প্রহৃত কর্নাটকে! অভিযুক্ত মৌলবাদীরা, কারণ জানলে অবাক হবেন 

    Karnataka News: হিন্দু যুবক প্রহৃত কর্নাটকে! অভিযুক্ত মৌলবাদীরা, কারণ জানলে অবাক হবেন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন ধর্মের বান্ধবীকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলেন। এই অপরাধে কর্নাটকের (Karnataka News) শিবামোগা জেলার ভদ্রাবতীতে এক হিন্দু যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল উগ্র মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, রবিবার ২৮ মে ওই হিন্দু যুবক বিনয় কুমারকে উগ্র ইসলামিক মৌলবাদীরা আক্রমণ করে। এজন্য অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নিগৃহীত বিনয় কুমার ভদ্রাবতীর বিশ্বেশ্বরা নগরের বাসিন্দা। অন্যদিকে কালান্দা নগরের বাসিন্দা হলেন ওই যুবতী। তাঁরা দুজনেই একটি প্যারামেডিক্যাল কলেজে একই ক্লাসে পড়েন।

    কীভাবে ঘটে এই ঘটনা?

    জানা গেছে, এদিন বিনয় কুমারের বান্ধবীর বোন পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। বোনের দুর্ঘটনার খবর বিনয়কে জানান ওই ছাত্রী। এরপর বিনয় তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে যান। যুবতীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পরেই স্থানীয় পাঁচজন যুবক বিনয়ের পিছু নেয় বলে অভিযোগ। কিছুদূর আসার পরেই বিনয়কে ঘিরে ধরা হয়। তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করা হয়। জানতে চাওয়া হয় কেন যুবতীকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসেছে সে! এই প্রশ্ন তুলেই আক্রমণ শুরু করে অভিযুক্তরা। এরপর বিনয় ফোনে তাঁর দুই বন্ধু অভি এবং যশবন্তকে ডাকে। তাঁরা ঘটনাস্থলে এলে তাঁদেরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় এই নিয়ে বিরাট উত্তেজনা তৈরি হয় এনিয়ে।

    আরও পড়ুন: ২০ বার ছুরির কোপ, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন হিন্দু কিশোরীকে! ধৃত মুসলিম যুবক

    কোন কোন ধারায় মামলা দায়ের?

    মারধরের অভিযোগে স্থানীয় ওল্ড টাউন থানায় পাঁচজনের নামে এফআইআর দায়ের করেন বিনয়। তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু একজন এখনও পলাতক বলে জানা গেছে। শিবমোগা জেলার পুলিশ সুপার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ (জীবনের হুমকি), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান), ১৪৩ (বেআইনি সমাবেশ), ১৪৭ (হিংসা), ১৪৯ (সংঘঠিত অপরাধ) এবং ৩২৩ (আক্রমণ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কালীঘাটের কাকু’র সহযোগীদের চিনে নিন’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর, রয়েছে কাদের নাম?

    Suvendu Adhikari: ‘‘কালীঘাটের কাকু’র সহযোগীদের চিনে নিন’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর, রয়েছে কাদের নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার রাতে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ইডি গ্রেফতার করে। তার পরই সুজয়কৃষ্ণর ‘সাহেব’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী। 

    ঠিক কি লিখেছেন শুভেন্দু?

    সুজয়কৃষ্ণ গ্রেফতার হতেই একটি ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আইনের লম্বা হাত অবশেষে মাস্টারমাইন্ড পর্যন্ত পৌঁছল। কেউ রেহাই পাবে না। মাথারা ও প্রভাবশালীরাও জেলে যাবে। সময় ঘনিয়ে আসছে।’’ ওই ট্যুইটেই ‘কালীঘাটের কাকুর সহযোগীদের চিনে নিন’ বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তাতে ‘লিপস্ অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’ (LEAPS & BOUNDS PRIVATE LIMITED) নামের একটি সংস্থার ডিরেক্টরদের তালিকা বলে একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন শুভেন্দু।

    তালিকায় রয়েছে কাদের নাম?

    শুভেন্দুর পেশ করা তালিকায় যাদের নাম দেখা যাচ্ছে, তাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র নাম সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া, ওই তালিকা অনুযায়ী, সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছে বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য নামে আরেকজনের নাম।

    আরও পড়ুন: অভিষেককে ‘সাহেব’ বলে সম্বোধন করা ‘কালীঘাটের কাকু’র পরিচয় কী?

    গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র

    মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকা জানতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি। সকাল ১১টা নাগাদ তিনি সেখানে পৌঁছে যান। তারপর থেকেই সুজয়কৃষ্ণকে জেরা করতে থাকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জেরার পর অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর হেফাজত চাইতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: অভিষেককে ‘সাহেব’ বলে সম্বোধন করা ‘কালীঘাটের কাকু’র পরিচয় কী?

    Kalighater Kaku: অভিষেককে ‘সাহেব’ বলে সম্বোধন করা ‘কালীঘাটের কাকু’র পরিচয় কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কুন্তল ঘোষ পাঠাতেন ‘কালীঘাটের কাকু’কে! ধৃত কুন্তলের ডায়েরিতে পাওয়া এমনই নাম নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। কৌতূহল বাড়তে থাকে কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku) নিয়ে! কে তিনি? কীই বা তাঁর পরিচয়? উত্তর মেলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলের কাছে। তদন্তকারী সংস্থার গাড়িতে বসে হঠাৎই তিনি বলেন, ‘‘কালীঘাটের কাকু আসলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র!’’ পরবর্তীতে ক্যামেরার সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহেব বলে সম্বোধনও করেন কাকু। তাঁর (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) একটি সংস্থাও দেখভাল করেন বলে জানান সুজয়কৃষ্ণ।

    কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) ঠিকুজি

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কালীঘাটের কাকুর সন্ধান পায় বেহালায়‌। বাড়ির নাম রাধারানি। একাধিকবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাড়িতেও চালানো হয় তল্লাশি অভিযান। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে যোগ মেলে তিন তিনটি সংস্থারও। সেই সংস্থার ডিরেক্টর এবং অ্যাকাউন্টেন্টদের ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, এই সংস্থাগুলি থেকেই নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকাকে সাদা করা হতো। মঙ্গলবার ইডি অফিসে ফের তলব করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। টানা বারো ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।

    বাড়ি বেহালায় কিন্তু কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) বলে তাঁকে কেন ডাকা হতো?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃতরা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে কালীঘাটের কাকু কেন বলতেন? তাঁর বাড়ি তো বেহালায়। সেক্ষেত্রে হওয়া উচিত ছিল বেহালার কাকু। এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ইতিপূর্বে শোনা গিয়েছিল কালীঘাটের কাকুর মুখে। সংবাদমাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মালিক। অভিষেকের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে একটা জলের কারখানা রয়েছে সেটাই দেখাশোনা করেন তিনি। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আর নাকি একদমই সময় দিতে পারেন না। ক্যামেরার সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহেব বলেও সম্বোধন করেছিলেন কাকু (Kalighater Kaku)। পরে এও বলেন তিনি, ‘‘আমি কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করিনি অথবা তার সঙ্গে দেখাও করিনি।’’ নিজেকে তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী বলেও দাবি করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র! কালীঘাটের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক রয়েছে। তাই এখন তদন্ত করে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

     

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku Arrested: নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র

    Kalighater Kaku Arrested: নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার (Kalighater kaku Arrested) করল ইডি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতার ইডি দফতরে তাঁকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিলেন আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে সন্ধ্যার পর থেকেই খবর আসতে থাকে তদন্তে সহযোগিতা করছেন না কালীঘাটের কাকু। এবং তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ছে। সকাল ১১টা থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Kalighater kaku Arrested)। রাত্রি এগারোটা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করেন ইডি আধিকারিকরা। 

    কীভাবে উঠে এল সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের নাম?

    গত বছরের জুলাই মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ কোটি নগদ টাকা। এরপরেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একের পর এক নাম উঠে আসতে থাকে। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের ডাইরিতে কালীঘাটের কাকু নামের উল্লেখ মেলে। পরবর্তীকালে গোপাল দলপতি এবং তাপস মন্ডল নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এই দুইয়ের মুখ থেকে শোনা যায় কালীঘাটের কাকু আসলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Kalighater kaku Arrested)। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কোম্পানির ডিরেক্টর এবং অ্যাকাউন্টেটদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই বয়ানের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তলব করা হয় সুজয় কৃষ্ণকে। এর আগেও প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়েছিল সুজয় কৃষ্ণের বাড়িতে।

    তিনটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সুজয়কৃষ্ণ

    জানা গেছে তিনটি সংস্থার সঙ্গে জড়িত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির অভিযোগ এই সংস্থাগুলির সাহায্যেই কালো টাকাকে সাদা করা হতো। ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যে বিপুল পরিমাণে টাকা উঠে আসতো সেই টাকাই এখানে সাদা করা হতো।

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: রাজ্য সড়কের ধারে বেআইনিভাবে যথেচ্ছ গাছ কাটার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    TMC: রাজ্য সড়কের ধারে বেআইনিভাবে যথেচ্ছ গাছ কাটার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান। স্বামী এলাকার বেতাজ বাদশা। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস নেই। তাই, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য সড়কের ধারে বেআইনিভাবে একের পর এক সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার চোঁয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলের প্রধানের স্বামী ও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে এই গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    হরিহরপাড়ার আমতলা রাজ্য সড়কের ধারে লাইন দিয়ে বড় বড় প্রচুর গাছ ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই রাস্তার ধারে সেই গাছ কাটা চলছিল। রীতিমতো শ্রমিক লাগিয়ে এই গাছ কাটা হচ্ছিল। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দাঁড়িয়ে এই কাজ করায় কেউ গাছ কাটার প্রতিবাদ করার সাহস দেখাননি। ফলে, গত কয়েকদিনে ১৪ থেকে ১৫ টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এদিনও গাছ কাটা চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অভিযোগ পেয়ে এদিন হরিহরপাড়ার বিডিও রাজা ভৌমিক সহ প্রশাসনের কর্তারা গজনীপুরে যান। তিনি গাছ কাটার কাজ বন্ধ করে দেন। শ্রমিকদের বক্তব্য, বন দফতরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না জানি না। তবে, প্রধানের নির্দেশে আমরা গাছ কাটতে এসেছিলাম। যদিও এই ঘটনার পর অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।

    গাছ কাটা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা ইনসার আলি বিশ্বাস বলেন, তৃণমূল (TMC) কোনও আইন মানে না। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। যারা গাছ কেটেছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। প্রধান বা প্রধানের স্বামী বলে কেউ যেন ছাড়া না পায়। প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি জাহাঙ্গির শা বলেন, তৃণমূল মানে একটি চোরের দল। বিধায়ক গোটা বিধানসভার সব গাছ কেটে সাফ করে দিচ্ছে। আর এই প্রধান তার নিজের এলাকার সব গাছ কেটে ফেলছে। আমরা এই ঘটনার কঠোরতম শাস্তি চাই। তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি হাতাদউদ্দিন শেখ বলেন, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। দল এসব বেআইনি কাজে পাশে নেই। আইন মেনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন জানাব। দলের পঞ্চায়েত প্রধান বলে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

    কী বললেন অভিযুক্ত প্রধানের স্বামী?

    তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী রাকিবুল হক বলেন, কয়েকদিন আগে ঝড়ে ডাল ভেঙে পড়ায় রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছিল। তাই, বিডিওর কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়ে আমরা গাছ কাটার কাজ শুরু করেছি। মূলত রাস্তার ধারে কয়েকটি গাছ কেটেছি। বড় গাছ কাটা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে দলের মিটিংয়ে ডেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ

    Malda: তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে দলের মিটিংয়ে ডেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে দলের মিটিংয়ে ডেকে এনে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ তৃণমূলেরই সম্পাদক, অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য সহ অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তেজনা মালদার হবিবপুরের ঋষিপুরে।

    মালদায় (Malda) কেন খুনের চেষ্টা?

    ঋষিপুর অঞ্চলের দলের চেয়ারম্যান (Malda) শিবানন্দ শর্মাকে দলের মিটিং-এর জন্য কানতুর্কা গ্রামে ডাকা হয়। সেখানে রাতেই যান তৃণমূলের চেয়ারম্যান শিবানন্দ। কানতুর্কার মিটিং-এ শিবানন্দ এবং অঞ্চল সভাপতির মধ্যে বাদানুবাদ হয় বলেই শোনা যায়। এরপর মিটিং থেকে ফেরার সময় তিনি নাকি বাইক দুর্ঘটনার শিকার হন। এই ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে শিবানন্দের ভাই ছুটে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় ঋষিপুর অঞ্চলের সম্পাদক, সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য সহ চার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেছে শিবানন্দর পরিবার। হবিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই চেয়ারম্যান ও অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে দলীয় বিবাদ চলছিল।

    শিবানন্দের ভাইয়ের আশঙ্কা খুনের প্রচেষ্টা হয়েছে

    শিবানন্দের ভাই রমানন্দ শর্মা বলেন, দাদা মিটিং (Malda) থেকে আসার সময় বাইক দুর্ঘটনার কথা বলা হলেও যে বাইকে করে আসছিলেন, সেই বাইকের কোনও ক্ষতি হয়নি। তপন মজুমদার, দিলীপ সিংহ, নিমাই বর্মন, সৌগত সরকারের মতো তৃণমূল নেতারাও সঙ্গে ছিল। কিন্তু কারও ক্ষতি হয়নি। কেবলমাত্র যে পিছনে বসেছিল, সেই দিলীপ সিংহের হাতে সামান্য লেগেছে। আশপাশে কারও কিছু না হওয়ার ফলে আমার মনে হয়, দাদার কি দুর্ঘটনা ঘটেছে, না খুনের চেষ্টা? দাদা রাজনীতি করতে গিয়ে কিছু হয়ে গেলে তাঁর ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কী হবে? আমি চাই দাদা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরুক।

    পরিবারের মাসির বক্তব্য গোষ্ঠী কোন্দল

    শিবানন্দের মাসি পুতুল চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার দিন শিবাকে বাড়ি (Malda) থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শিবানন্দ নিজে তৃণমূল দল করে। এই রাজ্যে মা মাটির সরকারের আমলে রাজনীতি করতে গিয়ে কি প্রাণ বিসর্জন দিতে হবে? তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ বলছেন পড়ে গেছে, আবার কেউ বলছেন দুর্ঘটনা হয়েছে। বুঝতেই পারছি না! আর তাই আমার সন্দেহ হচ্ছে! তিনি আরও বলেন, মনে হয় ওকে নেশা করিয়ে পিছন থেকে কিছু একটা দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তৃণমূল দলের লোকেরাই এই কাজ করিয়েছে। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ফল বলে মনে করছেন পুতুল চক্রবর্তী। থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Municipal Recruitment Scam: পুর নিয়োগ-দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

    Municipal Recruitment Scam: পুর নিয়োগ-দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ-দুর্নীতি (Municipal Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য। উল্লেখ্য, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এজলাশ বদল হলেও সেই নির্দেশই বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টেরই অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তাতে কোনও সুবিধা হয়নি। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এখনই তদন্তে (Municipal Recruitment Scam) কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয় ৬ জুন। একই সঙ্গে ইডি-কেও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, তারই জেরে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে ওই তদন্তকারী সংস্থা। গত ৮ বছরে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় কী পদ্ধতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, কতজনের চাকরি হয়েছে, এই ধরনের বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছে ইডি।

    আগেও মামলা (Municipal Recruitment Scam) ফেরত পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

    স্কুলের নিয়োগে যে বিরাট দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে তোলপাড় চলছে গোটা রাজ্যে। ওই তদন্ত চলাকালীনই ধরা পড়ে, পুরসভার নিয়োগেও মারাত্মক রকমের দুর্নীতি (Municipal Recruitment Scam) হয়েছে। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই সংক্রান্ত বহু নথি, হার্ডডিস্ক। গত ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Municipal Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। প্রয়োজনে তারা নতুন করে এফআইআর দায়ের করতে পারবে বলেও হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়। এমনকী সিবিআইকে প্রয়োজনে যাবতীয় সাহায্য করার জন্যও রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য গেলেও কিছুই সুবিধা হয়নি। মামলা কলকাতা হাইকোর্টেই ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

    কোথায় কোথায় দুর্নীতি!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মজদুর, সুইপার, ক্লার্ক, পিওন, অ্যাম্বুলেন্স অ্যাটেন্ড্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস্ত্রি, পাম্প অপারেটর, হেল্পার, স্যানিটারি অ্যাসিস্ট্যান্ট, ড্রাইভার-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে (Municipal Recruitment Scam) টাকা-পয়সার লেনদেন হয়েছিল। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। ওই অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। ইডি মনে করছে, অয়নের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। পুর নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরানগর-সহ বহু পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি ইডির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share