Tag: bangla news

bangla news

  • Tarapith: তারাপীঠে ডান্সবার, বন্ধ করার আশ্বাস জেলা শাসকের

    Tarapith: তারাপীঠে ডান্সবার, বন্ধ করার আশ্বাস জেলা শাসকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (Tarapith) এখন রাজ্য ছড়িয়ে সমগ্র দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু এই তীর্থক্ষেত্রে আগত যাত্রীদের নেশায় বুঁদ করে অর্থ উপার্জন করতে মন্দিরের ঢিল ছোড়া দূরত্বে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ডান্সবার। এলাকার মানুষের অভিযোগ, বারে চলে উদ্দাম নেশা এবং লুটপাটের মতন কাজকর্ম। তীর্থক্ষেত্রে এই সমাজ বিরোধীদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জেলা শাসকের কাছে জানানো হয়েছে বিশেষ অভিযোগ।

    তারাপীঠে (Tarapith) কী ভাবে চলছে বার?

    তীর্থক্ষেত্রে (Tarapith) বাউন্সার দিয়ে রীতিমত রমরমিয়ে চলছে বার। অনুমতি ছাড়াই ছোট ছোট পোশাকে চটুল গানের সঙ্গে চলছে অশ্লীল নাচ। রাত বাড়লে বেলেল্লাপনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ওড়ানো হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। মদ্যপানের সঙ্গে মহিলাদের নৃত্যে বুঁদ হলেই মদ্যপায়ীদের হতে হয় সর্বস্বান্ত। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল, সোনার গয়না। প্রায় দিনেই এনিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয় এলাকায়। অভিযোগ করলে মদ্যপায়ীদের বাউন্সার দিয়ে মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি টাকা, মোবাইল, সোনার গয়নাও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বারের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযোগ

    তারাপীঠে (Tarapith) সম্প্রতি জয়ন্ত রায় নামে এক মদ্যপায়ীর সঙ্গে বারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রশাসনের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বারের ভিতর রাত বাড়লে মদের সঙ্গে ড্রাগ মেশানো হয়। হুক্কা বারে গাঁজা, চরস মিশিয়ে গ্রাহককে বুঁদ করে চলে লুঠপাট। আমার সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হয়েছে। সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চেন কেড়ে নিয়েছে বারের ম্যানেজার সপ্তম সিংহ এবং বাউন্সার সিলন শেখ। আমি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’

    মন্দির কমিটি ও প্রশাসনের বক্তব্য

    তারাপীঠে (Tarapith) দিনের পর দিন এমনই অভিযোগ জমা পড়ছিল প্রশাসনের কাছে। মন্দির সংলগ্ন এই বারে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মন্দির কমিটিও। মন্দির কমিটিও এই বার বন্ধের বিশেষ দাবি জানায়। মন্দিরের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও তীর্থক্ষেত্রে বার কাম্য নয়। ডান্স বার তো নয়ই। প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’ অপর দিকে বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ এরপরই ওইসব ডান্স বারগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে পুলিশ প্রশাসন। তীর্থক্ষেত্র এখন কবে ডান্সবার মুক্ত হয় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: “কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছি, টিকিট কাটব না”! খয়রাতির প্রতিশ্রুতি ব্যুমেরাং হচ্ছে ‘হাত’-এর

    Congress: “কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছি, টিকিট কাটব না”! খয়রাতির প্রতিশ্রুতি ব্যুমেরাং হচ্ছে ‘হাত’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢালাও খয়রাতির (Freebies) প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্নাটকে (karnataka) ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস (Congress)। তবে সোনিয়া গান্ধীর দল জানত না যে সেই ‘গালভরা প্রতিশ্রুতি’ই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরবে। কংগ্রেস সরকার শপথ নেওয়ার পর জনতার একাংশ বিদ্যুতের বিল দিচ্ছেন না। নিখরচায় বাসেও যাতায়াত করছেন অনেক মহিলা। যার জেরে কার্যত মাথায় হাত হওয়ার জোগাড় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের। বিষয়টা তাহলে খুলেই বলা যাক।

    কংগ্রেসের (Congress) প্রতিশ্রুতি

    ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় ১৩৫টি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস (Congress)। মুখ্যমন্ত্রী হন সিদ্দারামাইয়া। তার পরে অনেকেই বন্ধ করে দিয়েছেন বিদ্যুতের বিল মেটানো। নির্বাচনী জনসভায় পাঁচটি গ্যারান্টি দিয়েছিল কর্নাটক কংগ্রেস। সেগুলি হল, পরিবারের মহিলাদের মাসে দেওয়া হবে ২ হাজার করে টাকা, শিক্ষিত বেকারদের ডোল দেওয়া হবে, বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে নিখরচায় ১০ কিলো করে চাল দেওয়া হবে, প্রতিটি বাড়ির ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল মকুব এবং সরকারি বাসে মহিলাদের নিখরচায় যাতায়াতের সুবিধা। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, ভোট কিনতে গিয়ে এই খয়রাতির প্রতিশ্রুতি, তাতে রাজ্য দেনায় আরও ডুবে যাবে। কারণ এই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করতে গেলে সরকারকে খরচ করতে হবে অতিরিক্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা কর্নাটকের ঘাটতির প্রায় দ্বিগুণ। যার খেসারত দিতে হবে করদাতাদের।

    বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি

    যেহেতু ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস (Congress), তাই কর্নাটকের অনেকেই স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বৈদ্যুতিন মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি তুলেছেন। বেলাগাভির একটি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তাঁদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যেহেতু কংগ্রেসই সরকার গড়েছে, তাই বিদ্যুতের বিল দেবেন না তাঁরা। এই দাবিতেই সরব হয়েছেন কালাবুর্গী, কপ্পাল এবং চিত্রদুর্গার মতো কয়েকটি জেলার বাসিন্দারাও।

    মহিলাদের নিখরচায় বাসে যাতায়াতের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের (Congress) ইস্তেহারে। রায়চুরের এক মহিলা সরকারি বাসে উঠে ভাড়া দিতে রাজি হচ্ছেন না। এনিয়ে বাস কন্ডাক্টরের সঙ্গে ওই মহিলাযাত্রীর বচসাও হয়। তিনি বলেন, “আমাদের যদি টাকা দিতেই হয়, তবে কেন কংগ্রেস বলেছিল যে সরকার গঠন করার পর আর মহিলাদের বাসের ভাড়া দিতে হবে না?” ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, “আমরা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছি, তাই টিকিট কাটব না।”

    খয়রাতি প্রসঙ্গে বিজেপির অবস্থান

    প্রসঙ্গত, ঢালাও খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়েই ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা খয়রাতিতে খরচ হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অথচ বিভিন্ন সময় খয়রাতির রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। ভোট কেনার এই পন্থার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। বিরোধীদের খয়রাতি সংস্কৃতির তীব্র সমালোচনা করে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আজকাল আমাদের দেশে বিনামূল্যে রেওয়ারি বিতরণ করে ভোট কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের বিকাশের জন্য এই সংস্কৃতি ঘাতকের মতো। এই খয়রাতি সংস্কৃতি থেকে দেশের নাগরিকদের ও বিশেষ করে যুবদের সতর্ক থাকার দরকার রয়েছে।’  

    আরও পড়ুুন: জাতীয় সড়কে মিছিল অভিষেকের, হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এবার মালদাতেও সভার অনুমতি দিল না পুলিশ! ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: এবার মালদাতেও সভার অনুমতি দিল না পুলিশ! ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিরোধী দলনেতার সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। এবার মালদা। চলতি মাসের ২৭ তারিখ শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দেয়নি মালদা জেলা প্রশাসন। নন্দীগ্রামের বিধায়কের সভায় অনুমতি না দেওয়ার নজির অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও চন্দ্রকোণার সিমলাপালে তাঁর সভা বাতিল করে প্রশাসন। প্রতিবারই হাইকোর্ট থেকে অর্ডার নিয়ে সভা করতে হয় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। মালদার সভা নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। পুলিশ-প্রশাসনের বক্তব্য, কেন ১৫ দিন আগে অনুমতি চাওয়া হয়নি? শুভেন্দু অধিকারী জানাচ্ছেন, অনলাইনে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই আবেদন পরে করা হয়েছে। প্রশাসন শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে, এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে,  প্রতিবারই দেখা যায়, প্রশাসন সভা বাতিল করার পরে কোর্ট অনুমতি দেয়। এতে কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগেই সিলমোহর মেলে।

    এর আগেও বিরোধী দলনেতার একাধিক সভা বাতিল

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৪ তারিখ হাওড়ার শ্যামপুরে একই ঘটনা ঘটে। সভার অনুমতি দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। পরে হাইকোর্টে গিয়ে অনুমতি পান উদ্যোক্তারা। পটাশপুরের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। ময়নায় দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে ডাকা বনধকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পটাশপুর এবং সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বিচারে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। তারই প্রতিবাদে সভা করতে আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে সভা হয়।

    আরও পড়ুুন: “মোদিজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে নবান্নে”, বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    এনিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘‘মালদহে তৃণমূলের নবজোয়ারের থেকে পাঁচগুণ বেশি লোক নিয়ে সভা করব। পারলে পিসির ভাইপো আটকে দেখাক।’’ প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে মালদহে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার বিষয় হাইকোর্ট এ নিয়ে কী রায়দান করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: বিপদে আদা শর্মা! সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-খ্যাত অভিনেত্রীর ফোন নম্বর

    The Kerala Story: বিপদে আদা শর্মা! সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-খ্যাত অভিনেত্রীর ফোন নম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র (The Kerala Story) আকাশছোঁয়া সাফল্যের পর থেকেই সিনেজগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা আদা শর্মা। তাঁর নাম এখন দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবির সুবাদে কেরিয়ারে একেবারে শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন আদা শর্মা। এমনকি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও সারাক্ষণ ট্রেন্ডিং থাকছেন অভিনেত্রী। কিন্তু, সাফল্যের সঙ্গে পিছু ধাওয়া করছে হুমকিও। 

    ঠিক কী ঘটেছে?

    কয়েকদিন আগে অভিনেত্রীর (The Kerala Story) কাছে মৃত্যু-হুমকি এসেছিল। এবার জানা গিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছে আদা শর্মার ব্যক্তিগত ফোন নম্বর। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ‘ঝামুন্ডা বোল্টে’ নামে একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী আদা শর্মার কনট্যাক্ট ডিটেলস ফাঁস করে দেয়। সঙ্গে অভিনেত্রীর নতুন ফোন নম্বর ফাঁস করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। যদিও পরে সেই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি ডি-অ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হয়। কিন্তু, অদার ফোন নম্বর ফাঁস হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা দাবানলের গতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে, প্রতিনিয়ত তাঁকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাঁর ভক্তরা মুম্বই সাইবার সেলকে ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    সুদীপ্ত সেনের সিনেমা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’(The Kerala Story) একাধিক কারণে সংবাদে রয়েছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। এই সিনেমার গল্প কেরালার একদল মহিলাকে আবর্তিত করে, যারা ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয় ও পরবর্তীতে আইএসআইএস-এ যোগ দিতে বাধ্য হয়। গোড়া থেকেই এই ছবিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। কখনও এই ছবির গায়ে ‘প্রোপাগান্ডা’ তকমা সেঁটে দেওয়া হয়। তো কখনও ছবির কলাকুশলীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। আবার বাংলাতে এই ছবিকে নিষিদ্ধও করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখতে গিয়ে সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ হিন্দু যুবতীর

    ২০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ

    কিন্তু, যাবতীয় বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বক্স অফিসে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র(The Kerala Story) দৌড় অব্যাহত। সম্প্রতি, বক্স অফিসে ২০০ কোটির মাইলফলক পার করেছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ৫ মে সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে সুদীপ্ত সেনের ছবিটি। মুক্তির পর তৃতীয় সোমবারেই ২০০ কোটির গণ্ডি পার করে এই ছবি। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন আদা। লেখেন, ‘‘ভারতীয় জনগণকে অভিনন্দন! আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন যারা হোর্ডিং ধরেছেন, ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। আপনাদের সাফল্যে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: পর্ষদ তালিকা ও শিক্ষকের নম্বরে ব্যাপক গরমিল

    Uttar Dinajpur: পর্ষদ তালিকা ও শিক্ষকের নম্বরে ব্যাপক গরমিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রকাশিত তালিকায় তথ্যের ভুলে কাঠগড়ায় এক প্রাথমিক শিক্ষক। আর এমনই অভিযোগে বুধবারে শোরগোল উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলায়। পাল্টা পর্ষদের প্রকাশিত তথ্যকে ভুল বলে দাবী করেন ঐ প্রাথমিক শিক্ষক। প্রাথমিক শিক্ষক কর্ণজোড়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে দ্বারস্থ হলে, তথ্য যাচাই করে হতবাক স্কুল পরিদর্শক।

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কে সেই শিক্ষক?

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কালিয়াগঞ্জের ডালিমগাঁ-এর দেওগা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদে কর্মরত ওই শিক্ষকের নাম বরুন চন্দ্র রায়। তিনি ২০১৭ সালে করণদিঘি ব্লকের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান। এরপর কালিয়াগঞ্জের দেওগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন।

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur)  শিক্ষক কেন গেলেন স্কুল পরিদর্শকের কাছে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে ওই শিক্ষকের নাম রয়েছে বলে জানা যায়। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০ শতাংশেরও কম নম্বর পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই খবর পেতেই সেই শিক্ষক বুধবার সন্ধ্যায় জেলা বিদ্যালয় (Uttar Dinajpur) পরিদর্শকের কাছে তাঁর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সহ ডিএলএড ট্রেনিং এর যাবতীয় মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হন।

    শিক্ষকের বক্তব্য

    শিক্ষক বরুণ চন্দ্র রায় এই বিষয়ে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে,পর্ষদ তাতে আমার তথ্য ভুল প্রকাশ করেছে। তিনি একজন স্নাতকোত্তর পাশ, ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক (Uttar Dinajpur)। আর তারপরেও কী ভাবে ওই তালিকায় তাঁর নাম এলো, তাই স্পষ্ট নয় তাঁর কাছে, এই কথাই জানান বরুণবাবু।

    উত্তর দিনাজপুর জেলা (Uttar Dinajpur) পরিদর্শকের বক্তব্য

    অপর দিকে জেলা বিদ্যালয় (Uttar Dinajpur) পরিদর্শক দুলাল সরকার এই শিক্ষকের মার্কশিট, সার্টিফিকেট দেখার পর বিষয়টি নিয়ে হতবাক হয়ে যান। দুলাল বাবু বলেন, বিষয়টি পর্ষদকে ফোন করে আমি জানিয়েছি। তবে প্রকাশিত তালিকায় যা তথ্য বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয় বলে জানান তিনিও। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, এখনো পর্যন্ত সেই তালিকা প্রশাসনিক ভাবে তাঁর কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে প্রকাশিত তালিকার তথ্য কি আদৌ সঠিক? যদি ভুল হয় তাহলে কিভাবে এই ভ্রান্তিবিলাস? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে? তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জাতীয় সড়কে মিছিল অভিষেকের, হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জাতীয় সড়কে মিছিল অভিষেকের, হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমতি না নিয়েই জাতীয় সড়কে মিছিল করেছেন তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ, বৃহস্পতিবার ওই মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ

    নব জোয়ার কর্মসূচি উপলক্ষে পথে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা দলের দু’ নম্বর ব্যক্তিত্ব অভিষেক। রাজকীয় সেই যাত্রা চলবে দু’ মাস ব্যাপী। এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ও মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় অভিষেক জাতীয় সড়কে মিছিল করেন বলে অভিযোগ। গত সপ্তাহে উত্তর দিনাজপুরে নব জোয়ার যাত্রার দ্বিতীয় দিনে হেমতাবাদ, রায়গঞ্জে জনসভা শেষে ইটাহারে পৌঁছন অভিষেক। সেখানে গোটা সড়ক ভরে যায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে। তার পরেই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) তরফে মামলা দায়ের করেন তাঁর আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, জাতীয় সড়ক আইন বলছে অনুমতি না নিয়ে কেউ রাস্তা আটকে মিছিল করতে পারে না।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় জটিলতা

    অভিষেক জাতীয় সড়কে মিছিল করলেও, শুভেন্দুর জনসভা নিয়ে জারি রয়েছে জটিলতা। ২৭ মে মালদহে সভা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। যদিও সেই সভার অনুমতি মেলেনি বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্তও। অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পুলিশের প্রশ্ন, কেন সভার ১৫ দিন আগে অনুমতি চাওয়া হয়নি আর রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, অনলাইনে সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই আবেদন করা হয়েছে পরে।

    আরও পড়ুুন: কলকাতার শেরিফ করা হোক সৌরভকে, দাবি সুকান্তর

    কেবল মালদহ নয়, এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও। শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) রোখার চেষ্টা হয়েছে আগেও। ২৪ তারিখে হাওড়ার শ্যামপুরে সভা করার কথা ছিল শুভেন্দুর। সেই সভারও অনুমতি দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। পরে হাইকোর্টের অনুমতিতে হয় সভা। বাঁকুড়ার সিমলাপালেও শুভেন্দুকে সভার অনুমতি দিয়েছিল না পুলিশ। পটাশপুর এবং চন্দ্রকোণায়ও তাঁর সভা নিয়ে হয়েছিল টালবাহানা। বিজেপির অভিযোগ, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই সরকারের নির্দেশে পুলিশ অনুমতি দিতে চাইছে না জনসভার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: কলকাতার শেরিফ করা হোক সৌরভকে, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: কলকাতার শেরিফ করা হোক সৌরভকে, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে সম্মান দিয়েছে ত্রিপুরার (Tripura) বিজেপি (BJP) সরকার। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হয়েছে তাঁকে। বাংলার ছেলে হলেও, এ রাজ্যে পানি পাননি তিনি। তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার তাঁকেই কলকাতার শেরিফ করার দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি

    তিনি বলেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একজন আইকন। তাঁকে নিয়ে বাংলা এবং বাঙালি পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আগেই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার সৌরভকে এ ব্যাপারে মর্যাদা দেয়নি। ত্রিপুরায়ও প্রচুর বাঙালি রয়েছেন। ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সৌরভ হওয়ায় আমরা খুশি। আমরা ত্রিপুরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো একজন ব্যক্তিত্বকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “রাজ্য সরকারের কাছে আমি দাবি করছি যে কলকাতায় এই মুহূর্তে কোনও শেরিফ নেই। সৌরভকে অবিলম্বে শেরিফ করা হোক।”

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ

    বিজেপি যে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রয়েছে, এদিন তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সরকারি কর্মীদের ৪২ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ দিচ্ছেন। তাই দিদি যখন তামিলনাড়ুর দেখাদেখি দ্য কেরালা স্টোরি বাতিল করেছিলেন, তাহলে এবার তামিলনাড়ুর দেখাদেখি এখানে ডিএটাও নিশ্চয়ই দেবেন।” তিনি আরও বলেন, “দিদি, আপনি তো কথায় কথায় এগিয়ে বাংলা বলেন। এবার তো এগিয়ে তামিলনাড়ু হয়ে গেল, বাংলা কোথায় গেল? বাঙালি কোথায় এগোল?”

    আরও পড়ুুন: কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের কাছে ‘হিন্দু বিরোধী’ তিন দাবি অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার!

    প্রসঙ্গত, কলকাতার শেরিফ পদটি অরাজনৈতিক। শহরের কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিকেই এই পদে বসানো হয়। নিয়োগ হয় এক বছরের জন্য। শেরিফের একটি অফিস থাকে, থাকেন কর্মীও, তবে নির্বাহী কোনও ক্ষমতা শেরিফের থাকে না। মেয়রের ঠিক পরের পদটিই হল শেরিফের। ভারতের একমাত্র মুম্বই ও কলকাতায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই পদটি। কলকাতার প্রথম শেরিফ ছিলেন দিগম্বর মিত্র। ১৮৭৪ সালে কলকাতার শেরিফ হয়েছিলেন তিনি। ২০০১ সালে শেরিফ হয়েছিলেন বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্র। ২০১৩ সালে তৃণমূল সরকার ওই পদে বসান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিককে। ২০১৯ সালে বসানো হয়েছিল মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ছেলের থেকে মা ৪০ নম্বর বেশি পেয়ে পাশ করলেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়

    Nadia: ছেলের থেকে মা ৪০ নম্বর বেশি পেয়ে পাশ করলেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইচ্ছা আর মনের জোর থাকলে সবকিছুই সম্ভব, আরো একবার প্রমাণ করে দিলেন নদীয়ার (Nadia) লতিকা এবং সৌরভ। মা এবং ছেলে একসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে পাস করে সকলের নজর কাড়লেন। উচ্চ মাধ্যমিকের মায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৩২৪ এবং ছেলের প্রাপ্য নম্বর ২৮৪। উচ্ছ্বসিত পরিবার। 

    নদীয়ার (Nadia) লতিকা কি ভাবে পড়াশুনা করতেন?

    নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুর নতুন সরদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা লতিকা মন্ডল। বর্তমানে তাঁর দুই মেয়ে ও একটি ছেলে। মেয়েরা বর্তমানে কলেজের ছাত্রী। লতিকা মন্ডলের বর্তমান বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। ছোট থেকেই আশা ছিল পড়াশোনা করে কিছু করার। কিন্তু আর্থিক অনটন এবং পারিবারিক সমস্যার কারণে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর, পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এরপরে হাজারো চেষ্টার করেও তিনি পড়াশোনা এগিয়ে যেতে পারেন নি। বাড়ি থেকে লতিকাকে দেখাশোনা করেই বিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল লতিকার। বড় মেয়ে এখন কলেজের গণ্ডিতে পা দিয়েছে। লতিকার নতুন করে ইচ্ছা হয় যে, তিনি পড়াশোনা করবেন। এর পরেই প্রতিবেশীর সাহায্যে তিনি রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকে ভর্তি হন। মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হয়ে লতিকা মন্ডল ভর্তি হন নৃসিংহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। আর তখন থেকেই মা ও ছেলে সৌরভ একই ক্লাসে পড়তেন এবং তাঁরা বাড়িতেও একই সঙ্গে নিয়মিত পড়াশোনা করতে বসতেন। নিজের সংসার সামলে পাশাপাশি প্রতিবেশী মানুষের বিভিন্ন কটুক্তি সহ্য করেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতেন সৌরভ এবং লতিকা।

    পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর লতিকার প্রতিক্রিয়া

    গতকাল উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানা যায়, ছেলে এবং মা দুজনেই পাস করেছে। তবে মা লতিকা মন্ডল, ছেলের থেকে ৪০ নম্বর বেশি পেয়েছেন। এ বিষয়ে লতিকা মন্ডল বলেন, আমি ছেলের মুখ থেকে জানতে পারি যে আমরা দুজনেই পাস করেছি। আমি যে ৪০ নম্বর বেশি পেয়েছি, সেটা ছেলে বেশি পেলেই হয়তো ভাল হতো এবং তাতে আমি আরও বেশি খুশি হতাম। আগামী দিনে উচ্চ শিক্ষায় আরও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান বলেই  জানিয়েছেন  লতিকা মন্ডল (Nadia)।

    ছেলের প্রতিক্রিয়া

    তবে নিজে কম নম্বর পেয়েও মায়ের সাফল্যে যথেষ্ট খুশি ছেলে সৌরভ মন্ডল। তিনি আরও বলেন, মা এত ভালো ফলাফল করেছে, এতে আমি মোটেও দুঃখিত নই। আমরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে আগামী দিনে আরও উচ্চশিক্ষিত হতে চাই। শিক্ষাকেই জীবনের সম্পদ মনে করে শান্তিপুরের (Nadia) মা ও ছেলে এগিয়ে যাবেন বলে অঙ্গিকার করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL 2023: একা হাতেই গুঁড়িয়ে দিলেন লখনউকে! কে এই আকাশ মাধওয়াল?

    IPL 2023: একা হাতেই গুঁড়িয়ে দিলেন লখনউকে! কে এই আকাশ মাধওয়াল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের পুনরাবৃত্তি ২০২৩-এও (IPL 2023)। এলিমেনটর পর্যায় থেকে বিদায় নিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। গতবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দলকে। এবার, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হাতে পর্যুদস্ত হয়ে প্রতিযোগিতা শেষ হল নবাবের শহরের দলটির। বলা যেতে পারে, একা হাতে লখনউকে ধ্বংস করলেন মুম্বইয়ের তরুণ তুর্কি আকাশ মাধওয়াল। এবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হার্দিক পাণ্ডিয়াদের মুখোমুখি হচ্ছেন রোহিত শর্মারা। 

    ক্রুনালকে হারিয়ে হার্দিকদের মুখোমুখি রোহিতরা

    বুধবার আইপিএল (IPL 2023) এলিমিনেটরের খেলায় চিপকে টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট খুইয়ে মুম্বই তোলে ১৮২। জবাবে ১০১ রানেই শেষ হয়ে যায় লখনউয়ের ইনিংস। ৮১ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে যায় মুম্বই। রোহিতদের জয়ে বড় অবদান রাখেন অখ্যাত পেসার আকাশ মাধওয়াল। মাত্র সাড়ে তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র পাঁচ রান খরচ করে তিনি তুলে নেন বিপক্ষের পাঁচ উইকেট। বলা ভালো, একা হাতেই আকাশ গুঁড়িয়ে দেন লখনউয়ের ব্যাটিং লাইন-আপ। ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার দল জিতলে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দেখা হতো ভাই হার্দিকদের সঙ্গে। কিন্তু, আকাশ-গর্জনে তা অধরাই থেকে গেল লখনউয়ের। শুক্রবার দ্বিতীয় এলিমিনেটরে গুজরাত টাইটান্সের সামনে মুম্বই। সেই ম্যাচে জয়ী দল আগামী রবিবার মোতেরায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে চেন্নাই সুপার কিংসের।

    কে এই আকাশ মাধওয়াল?

    উত্তরাখণ্ডের রুরকির বাসিন্দা আকাশ মাধওয়ালকে গত বছর কিনেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেবার সূর্যকুমার যাদব চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ার পর তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছিল। তবে, মুম্বইয়ের জার্সিতে (IPL 2023) অভিষেক হয় এবছর। চার বছর আগে উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলিতে টেনিস বলে দাপিয়ে খেপ খেলতেন আকাশ। ২০১৯ সালে ওয়াসিম জাফরের নজরে পড়ে যান। সেখানেই জীবন বদলে যায়। রঞ্জি দলে সুযোগ পান পেশায় ইঞ্জিনিয়ার আকাশ। তার পর বাকিটা ইতিহাস। আকাশের এই বোলিং পরিসংখ্যান ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যুগ্মভাবে সেরা। ২০০৯ সালের আইপিএলে ভারতের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • CV Aanand Bose: রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ রাজ্যপালের, কেন জানেন?

    CV Aanand Bose: রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ রাজ্যপালের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাঁধল নবান্ন-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজভবনে সাপ্তাহিক রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Aanand Bose)। সেই রিপোর্ট না পাঠানোয় রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস। জানা গিয়েছে, ৪ এপ্রিল এবং ২৩ মে দু দফায় চিঠি দেওয়া হয় উপাচার্যদের। তার পরেও মেলেনি জবাব। তার জেরে এবার পাঠানো হল শো-কজ নোটিশ। কলকাতা, যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে এখনও চিঠি পাঠানো হয়নি বলেই খবর।

    রাজ্যপালের (CV Aanand Bose) নির্দেশিকা

    সম্প্রতি রাজভবনের (CV Aanand Bose) তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ হচ্ছে, তা রিপোর্ট আকারে প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে, ইমেল করে রাজভবনকে জানাতে হবে। উপাচার্যরা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরাসরি আচার্যের সঙ্গে টেলিফোন কিংবা ইমেলে কথা বলতে পারবেন।

    রাজ্যের প্রতিক্রিয়া

    রাজ্যপালের এহেন ‘আচরণ’ ভালভাবে নেয়নি নবান্ন। বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যপাল এই নির্দেশিকা জারি করতে পারেন কিনা, তা নিয়ে আমরা আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, উনি ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেবেন। শিক্ষামন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, উপাচার্যরা কাজ না করে সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিতে যাবেন নাকি?  

    আরও পড়ুুন: ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে!’’ দেশে ফিরে বললেন মোদি

    উপাচার্যদের কাছ থেকে কোনওরূপ সাড়াশব্দ না পেয়ে ২৩ মে ফের একবার তাঁদের চিঠি দেন রাজ্যপাল (CV Aanand Bose)। আগের নির্দেশিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলা হয়, সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিতেই হবে। তার পরেও উপাচার্য সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাননি। এর পরেই ওই ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের শোকজ করেন রাজ্যপাল। এর আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, এটা আগের চিঠিরই পুনরাবৃত্তি। যা করার তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই করা হবে। যে ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের শোকজ করা হয়েছে, সেগুলি হল, পুরুলিয়ার সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়, বারাসত স্টেট ইউনির্ভাসিটি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, কাজি নজরুল এবং সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share