Tag: bangla news

bangla news

  • Karnataka Assembly Election: কংগ্রেসের দখলে কর্নাটক, অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    Karnataka Assembly Election: কংগ্রেসের দখলে কর্নাটক, অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) দখলে কর্নাটক (Karnataka)। রাজ্য বিধানসভার (Karnataka Assembly Election) মোট আসন সংখ্যা ২২৪। ম্যাজিক ফিগার ১১৩। শনিবার সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খবরে জানা গিয়েছে, ২২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি। গেরুয়া ঝুলিতে গিয়েছে ৬৪টি আসন। এইচডি কুমারস্বামীর জনতা দল সেক্যুলার জয়ী হয়েছে ২০টি আসনে। রবিবার বিকেলে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে মন্ত্রিসভা নিয়ে।

    কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচনের (Karnataka Assembly Election) ফল এক নজরে

    কংগ্রেস-১৩৬

    বিজেপি-৬৪

    জেডিএস-২০

    অন্যান্য-৪ 

    বিপুল জয়ের জন্য কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কর্নাটকবাসীর প্রত্যাশা পূরণের জন্য কংগ্রেসকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। এদিন বিকেলে ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, কর্নাটক নির্বাচনে যাঁরা আমাদের সমর্থন করেছেন, আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি বিজেপি কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমেরও প্রশংসা করতে চাই। আগামী দিনে আমাদের আরও বেশি করে কর্নাটকের মানুষের সেবা করতে হবে। কর্নাটকের ফলের পরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির অধীন বিজেপি কর্নাটকের উন্নয়নের জন্য লড়বে।

    এদিন যাঁরা পরাজিত (Karnataka Assembly Election) হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি। চিকমাগলুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এই আসনে চারবার বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। এবার হারলেন ৫ হাজার ৯২৬ ভোটে। এই আসনে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী।

    আরও পড়ুুন: উত্তর প্রদেশে ফের জয়জয়কার বিজেপির, পুরভোটে ব্যাপক ফল পদ্ম শিবিরের

    কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়্গে। গত বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এবার প্রিয়াঙ্কর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন বিজেপির মণিকান্ত রাঠোর এবং জেডিএসের সুভাষচন্দ্র রাঠোর। প্রিয়াঙ্ক জয়ী হয়েছেন ১৩ হাজার ভোটে। ধরাশায়ী হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারও উত্তর কর্নাটক (Karnataka Assembly Election) আসনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছিলেন দলবদলু এই নেতা। বিজেপিতে লিঙ্গায়েত নেতাদের মধ্যে অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। টিকিট না পেয়ে দল বদলে যোগ দেন সোনিয়া গান্ধীর দলে। প্রার্থী হয়েছিলেন হুবলি-ধারওয়াড় সেন্ট্রালে। হেরেছেন ৩৪ হাজার ভোটে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • TMC: হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত আরামবাগ, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কেন জানেন?

    TMC: হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত আরামবাগ, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো আরামবাগের আরান্ডি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরো এলাকা। ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল যুব তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা মিছিলের বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। ঘটনায় দুপক্ষের আট-নয়জন জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে প্রথমে দক্ষিণ নারায়ণপুর রুরাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, রাতের দিকে আরামবাগ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বিকালের পর থেকে আরামবাগের আড়ান্ডি ২ নং অঞ্চলের পুরো এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের (TMC) যুব ও মাদার গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকরা। শনিবারও এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকায় এদিন নতুন করে বড় কোনও গণ্ডগোল হয়নি। তবে, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তত মাথা চাড়া দিচ্ছে আরামবাগে। এমনিতেই আরামবাগ মহকুমার চারটি বিধানসভা বিজেপির দখলে। সেই জায়গায় এরকম কোন্দলের ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্বস্তিতে পড়ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    শুক্রবার আরামবাগে যুব তৃণমূলের (TMC) মিছিল ছিল। আড়ান্ডি এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য দুটি বাস পাঠানো হয়েছিল। একটি বাসে ঠাসা ভিড় হলেও অন্য বাস ফাঁকা ছিল। ব্লক তৃণমূল নেতাদের নির্দেশেই কর্মীরা আসেনি বলে যুব তৃণমূল (TMC) নেতারা আশঙ্কা করেন। আর সেই আশঙ্কা থেকেই যুব তৃণমূলের কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ব্লক তৃণমূলের নেতারা পাল্টা প্রতিরোধও গড়ে তোলেন। যুব তৃণমূল কর্মীদের বাসও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

    গণ্ডগোল নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূলের (TMC) আরামবাগ ব্লকের সভাপতি শিশির সরকার বলেন, এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে মিটিং চলাকালীন যুব গোষ্ঠীর আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি পলাশ রায়ের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। বাঁশ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে চড়াও হয়। বাসে লোকজন হয়নি বলে আমাদের দায়ী করে ওরা হামলা চালায়। তাতে আমাদের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। যদিও যুব তৃণমূল নেতা পলাশ রায় বলেন, যুব তৃণমূলের (TMC) কোনও কর্মী হামলা চালায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narcotics Control Bureau: অপারেশন ‘সমুদ্রগুপ্ত’, বাজেয়াপ্ত ১২ হাজার কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক

    Narcotics Control Bureau: অপারেশন ‘সমুদ্রগুপ্ত’, বাজেয়াপ্ত ১২ হাজার কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন ‘সমুদ্রগুপ্ত’। তাতেই মিলল সাফল্য। ভারতীয় জলসীমা থেকে বাজেয়াপ্ত হল ২ হাজার ৫০০ কেজি নিষিদ্ধ মাদক (Drug)। যার বাজারমূল্য ১২ হাজার কোটি টাকা। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আসে প্রথম সাফল্য। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau) এবং ভারতীয় নৌবাহিনী হাসিস ৫২৯ কেজি, মেথামফেটামাইন ২২১ কেজি এবং হেরোইন ১৩ কেজি বাজেয়াপ্ত করে। গুজরাট উপকূলের অদূরে উদ্ধার হয় ওই পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক। জানা গিয়েছে, বালুচিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে পাঠানো হচ্ছিল ওই মাদক। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের এক নাগরিককে আটক করা হয়। জলপথে নজরদারি বাড়াতেই ফের মেলে সাফল্য।

    নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau)…

    কেরলের উপকূলের অদূরে ইরানের একটি নৌকা থেকে বাজেয়াপ্ত হয় ২০০ কেজি উচ্চমানের হেরোইন। এই মাদকও আসছিল আফগানিস্তান থেকে। ইরানের ছয় মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতারও করা হয়। অপারেশন সমুদ্রগুপ্ত চালানোর পাশাপাশি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau) নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। তার জেরে গত ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী বাজেয়াপ্ত করে ২৮৬ কেজি হেরোইন এবং ১২৮ কেজি মেথামফেটামাইন। গ্রেফতার করা হয় ১৯ জন পাচারকারীকে। চলতি মাসের এপ্রিলে মালদ্বীপ পুলিশ গ্রেফতার করে ৫ পাচারকারীকে। তাদের কাছে মেলে ৪ কেজি হেরোইন।

    আরও পড়ুুন: উত্তর প্রদেশে ফের জয়জয়কার বিজেপির, পুরভোটে ব্যাপক ফল পদ্ম শিবিরের

    ভারত মহাসাগরের জলপথে নিষিদ্ধ মাদক পাচার রুখতে চালু হয় অপারেশন সমুদ্রগুপ্ত। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর ডিরেক্টর জেনারেল চালু করেন এটি। অপারেশন সমুদ্রগুপ্তর মাথায় রয়েছেন নরকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় কুমার সিংহ। নরকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অপারেশন ব্রাঞ্চের আধিকারিকদেরও শামিল করা হয় ওই অপারেশনে। অপারেশন সমুদ্রগুপ্তর প্রাথমিক লক্ষ্যই ছিল জলপথে পাচার হওয়া নিষিদ্ধ (Narcotics Control Bureau) মাদক ব্যবসার রমরমা রোখা। তার জেরেই মিলেছে সাফল্য। প্রচুর নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন মাদক পাচারকারীকেও।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalna: শুরু হয়েছে ভবা পাগলার মেলা, এবছর প্রশাসন ভীষণ তৎপর

    Kalna: শুরু হয়েছে ভবা পাগলার মেলা, এবছর প্রশাসন ভীষণ তৎপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছে ভবা পাগলা মেলা। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় (Kalna) গঙ্গার ঘাট লাগোয়া ভবা পাগলার মন্দিরে ঐতিহ্যবাহী মেলা শুরু হয়েছে। মেলাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হয়। নদীয়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা ভবা পাগলার মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে থাকেন। কালনায় যেতে নদীয়া জেলার ভবা পাগলা ভক্তদের একমাত্র যাতায়াতের ভরসা গঙ্গার ফেরিঘাট। জলপথে ভক্তদের যাতে কোন বিপদ না হয়, তার জন্য এই বছর প্রশাসন বিশেষভাবে তৎপর।  

    মেলায় প্রশাসন তৎপর কেন?

    ২০১৮ সালে ভবা পাগলা মেলার (Kalna) প্রথম দিনে ভয়াবহ নৌকা ডুবির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৫০ জন। মর্মান্তিক নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল প্রশাসনের গাফিলতির কারণে। ভক্তরা নৌকা ডুবির ঘটনায় গঙ্গায় তলিয়ে যান। প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্ধার কাজ চালিয়ে প্রায় ৪০ জনের দেহ উদ্ধার হয়। তবে স্থানীয়দের অনুমান সেদিনের নৌকা দুর্ঘটনায় প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনার পরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মানুষ। সেই সময় হাজার হাজার ভক্তরা ট্রলারে করে গঙ্গা পার হলেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোন বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনা ঘটার পর যে সমস্ত জরুরি পরিষেবা থাকে সেগুলোও কিছুই ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক হয়েছে জেলা প্রশাসন। যাতে ভবা পাগলা মেলাকে কেন্দ্র করে কোনরকম দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আগাম একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

    মেলার পরিদর্শনে প্রশাসন

    এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার ডক্টর কে কান্নান বলেন, গঙ্গার দুই ফেরি ঘাটেই থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। মেলার ভক্তদের ভিড় সামলানোর জন্য একাধিক ব্যারিকেড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবছর। পাশাপাশি যাতে অ্যাড ভেসেলে অতিরিক্ত যাত্রী না উঠতে পারে, তার জন্য থাকবে পুলিশ মোতায়েন। অন্যদিকে ভাব পাগলা মেলার (Kalna) কারণে অতিরিক্ত একটি ভেসেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • UP Election: উত্তর প্রদেশে ফের জয়জয়কার বিজেপির, পুরভোটে ব্যাপক ফল পদ্ম শিবিরের

    UP Election: উত্তর প্রদেশে ফের জয়জয়কার বিজেপির, পুরভোটে ব্যাপক ফল পদ্ম শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশে ফের জয়জয়কার বিজেপির (BJP)। রাজ্যের (UP Election) ৭৫টি জেলার ১৭টি নগরনিগম, ১৯৯টি নগরপালিকা এবং ৫৪৪টি নগর পঞ্চায়েতের সিংহভাগ আসন গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। গত ৪ মে ও ১১ মে দু দফায় ১৭টি পুরসভার নির্বাচন হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, রাজ্যের সিংহভাগ আসনই পাবে বিজেপি। এদিন ফল প্রকাশিত হতে শুরু হতেই ক্রমেই স্পষ্ট হতে শুরু করে সেই ছবি। সিংহভাগ আসন জয়ের পাশাপাশি উপনির্বাচনে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির কাছ থেকে ২টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে পদ্ম শিবিরের সহযোগ দল আপনা দল (সোনেলাল)।

    উত্তর প্রদেশ পুরভোটের (UP Election) ছবি…

    রাজ্যের (UP Election) ১৭টি নগর নিগমের সবকটিই গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। এই তালিকায় রয়েছে রাজধানী লখনউ, প্রয়াগরাজ, কানপুর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী, মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগীর শহর গোরক্ষপুর এবং অযোধ্যা। সাহারানপুর, আগ্রা, মোরাদাবাদ, ফিরোজাবাদ, মথুরা, ঝাঁসি, মিরাট, গাজিয়াবাদ, বরেলি, শাহজাহানপুর এবং আলিগড়ও রয়েছে এই তালিকায়। এই নগরনিগমগুলির মেয়রপদের পাশাপাশি ১,৪০১টি ওয়ার্ডের কর্পোরেটর পদের ৫০ শতাংশেরও বেশি আসন গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে।

    জানা গিয়েছে, ১৯৯টি নগরপালিকার মধ্যে বিজেপি ৮৮টি, সমাজবাদী পার্টি ৩৪টি, বিএসপি ২১টি, কংগ্রেস ৫টি এবং নির্দল ও অন্যরা ৪৯টি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। ৫৪৪টি নগর পঞ্চায়েতের মধ্যে ২০৫টিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্দলরা। বিজেপি ২০১টি, সমাজবাদী পার্টি ৮৫টি, বিএসপি ৪০টি এবং কংগ্রেস ৯টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘লোকসভা ভোটে শক্তিশালী হয়ে ফিরব’’, কর্নাটকে ফলের পর প্রতিক্রিয়া বোম্মাইয়ের

    এদিকে, বিজেপির (UP Election) সহযোগী আপনা দল (সোনেলাল) জয়ী হয়েছে দুটি বিধানসভা আসনে। রামপুরের সুয়ার আসনটি তারা ছিনিয়ে নিয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির কাছ থেকে। গত বছর নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন সমাজবাদী নেতা আজম খানের ছেলে আবদুল্লা। ফৌজদারি মামলায় কারাদণ্ড হওয়ায় শূন্য হয় আসনটি। সেখানেই এবার জয়ী হয়েছেন বিজেপি সহযোগী আপনা দলের (সোনেলাল)প্রার্থী। মির্জাপুরের ছানবে কেন্দ্রটিতেও জয় পেয়েছে আপনা দল (সোনেলাল)। এই কেন্দ্রের রাশ ছিল এই দলের হাতেই। দলীয় বিধায়কের মৃত্যুর জেরে হয় উপনির্বাচন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL: আইপিএলে বেটিং চক্র! পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ২, উদ্ধার নগদ কয়েক লক্ষ টাকা

    IPL: আইপিএলে বেটিং চক্র! পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ২, উদ্ধার নগদ কয়েক লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলকে (IPL) ঘিরে বেটিং চালানোর দুর্গাপুরের মেনগেট অঞ্চলের নিউ স্টিল পার্ক থেকে মহম্মদ নিয়াজ খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ১১ মে ছিল আইপিএলে (IPL) কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়েলসের ম্যাচ। ম্যাচ শুরু হতেই চালু হয়ে যায় বেটিং। বেটিং অ্যাপ এর লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ হাতেনাতে ধরে নিয়াজকে। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের কাছে খবর ছিল এই বেটিং চক্রের।

    ধৃত যুবকের কাছ থেকে কী কী উদ্ধার হল?

    মূলত দুটি ভাবে আইপিএলের (IPL) এই বেটিং হয়। প্রথমত, সরাসরি ম্যাচের ওপর লগ্নি করে। ম্যাচের আগেই নিজ পছন্দের নির্দিষ্ট টিমের ওপর বাজি রেখে চলে বেটিং। বেটিং এর লগ্নিমূল্য আগেই জমা করতে হয় নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে। পুরোটাই চলে বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে। জিতলে ততক্ষনাৎ টাকা চলে আসে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। আর দ্বিতীয়ত, যেটা হয়, সেটা একটু উঁচু লেভেলে। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন মহানগরগুলিতে সাট্টার মাস্টারমাইন্ডরা তা পরিচালনা করে। সেখানে নির্দিষ্ট ওভার বা নির্দিষ্ট বল-এ কি ঘটবে তার ওপর বাজি ধরা হয়। দুর্গাপুরে কোন বেটিংচক্র চলত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ধৃত নিয়াজকে শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে চার দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ। ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, ধৃতের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, দুটি ডায়েরি ও নগদ ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    কী বলল বেটিং চক্রে ধৃত যুবক?

    ধৃত নিয়াজকে শুক্রবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সে জানায়, ছোটকা পয়েন্ট দেখতো। কে এই ছোটকা? এক্ষেত্রে “পয়েন্ট” ই বা কী? জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই আইপিএলকে (IPL) ঘিরে দুর্গাপুরে ক্রমাগত সক্রিয় হয়ে উঠেছে বেটিং চক্র। এই চক্রে দুর্গাপুরের মাস্টারমাইন্ড ছোটকা। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পয়েন্ট তৈরি করে সেখানে নিজের এজেন্টকে দিয়ে এই বেটিং চক্র চালাত সে। মেনগেট , বেনাচিতি, ইস্পাত কলোনি, মায়াবাজারসহ বহু জায়গায় ছিল এই পয়েন্ট। এই সব পয়েন্টে থাকত তার নিজস্ব লোকেরা। বিগত কয়েক বছরের মধ্যেই সে এই বেটিং চক্রের মাথা হয়ে ওঠে। আইপিএল (IPL) চলাকালীন প্রতিদিনই সক্রিয় হয়ে ওঠে বেটিং চক্র। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে খেলা হয়। ধৃতের কাছ থেকে “ছোটকা” সহ একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে, যাদের মাধ্যমে দুর্গাপুরে এই বেটিং চক্রের জাল বিছানো হয়েছিল।

    বেটিং চক্রে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত

    আইপিএলে (IPL) বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে শিলিগুড়িতে ফের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোনার অলঙ্কারের দোকানের আড়ালে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বেটিং চক্র চালাচ্ছিল ধৃত ব্যক্তি। বিশেষ সূত্রে খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে মাটিগাড়ার সিটি সেন্টার শপিংমলে ওই সোনার দোকানে বেটিং করার সময় সাদা পোশাকে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) ও মাটিগাড়া থানার পুলিশ হাজির হয়। তারপরে হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই দোকানের মালিককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সুন্দরলাল দুগার। ধৃত ব্যক্তি বেশ কয়েকদিন ধরেই অনলাইনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আইপিএলের (IPL) বেটিং চক্র চালাচ্ছিল। তার কাছ থেকে ৯৮ নগদ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। শনিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি এই চক্রের এজেন্ট। এর পিছনে অনেক বড় মাথা রয়েছে। তাদের সন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার শহরের হায়দরপাড়া থেকেও এক ব্যক্তিকে আইপিএলে (IPL) বেটিং চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুদিখানার দোকানের আড়ালে সে বেটিং চালাতো। তার কাছ থেকে নগদ ৬ হাজার ৯০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন পেয়েছিল পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hilli: মালবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগে সরানো হল আরটিও সন্দীপ সাহাকে

    Hilli: মালবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগে সরানো হল আরটিও সন্দীপ সাহাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিলিতে মালবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজি করার অভিযোগে সরানো হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আরটিও সন্দীপ সাহাকে। শুক্রবার সরকারি একটি নির্দেশিকা জারি করে ওই পদে আনা হয়েছে সৌমিত্র বিশ্বাসকে।

    কি হয়েছিল ?

    দক্ষিণ দিনাজপুরের আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের আধিকারিক ছিলেন সন্দীপ সাহা। জেলার আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের ঐ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মালবোঝাই লরি থেকে তিন হাজার টাকা করে তোলার অভিযোগ উঠেছিল। এই বিষয়টি জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। আর এরপর এদিন তাঁর বদলির অর্ডার সামনে আসতেই বেশ শোরগোল পরে যায় জেলা ব্যাপী।

    ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ

    হিলির আন্তর্জাতিক বহিঃবাণিজ্য কেন্দ্র দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দু’শোরও বেশি মাল বোঝাই লরি বাংলাদেশে যায়। এই লরিগুলি থেকেই তোলাবাজি চালাবার অভিযোগ প্রায় শোনা যায়। ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, আমদানি রপ্তানি ব্যবসায় স্লট বুকিং সিস্টেম চালু হবার পর থেকেই কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন লরি মালিকরা। বিগত ছয় মাস ধরে তাঁদের ব্যবসা ভালো না থাকায় চরম দূরাবস্থার মধ্যে পড়েন তাঁরা। অনেকেই ইতিমধ্যে লরি বিক্রি করে ফেলেছেন। ফলে এই তোলাবাজি লরি চালকদের উপর যেন মরার খাঁড়ার ঘা চাপিয়ে দিয়েছিলেন আরটিও। অ্যাসোসিয়েশনের আরও অভিযোগ, মালবোঝাই প্রত্যেকটি লরির ক্ষেত্রে ৩০০০ টাকা এবং পাথর বোঝাই লরির ক্ষেত্রে ১২০০ টাকা করে তুলছিল আরটিও। যার দৌরাত্ম্যে লরির মালিকদের কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছিল। টাকা দিতে অস্বীকার করলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও করতেন এই সরকারি আধিকারিক-এমনটাই অভিযোগ। আরটিও সন্দীপ সাহা বলেন, এমন তোলাবাজি বন্ধ না হলে আগামীতে লরির মালিকরা তাদের সমস্ত গাড়ির কাগজপত্র সরকারের কাছে তুলে দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    প্রশ্ন উঠেছিল সরকারি চেয়ারে বসে একজন আধিকারিক কি ভাবে এমন তোলাবাজি করছিলেন। যদিও ওই লিখিত অভিযোগ পাবার পরেই লরি মালিকদের কিছুটা আশ্বস্ত করেছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা। আর এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকারি একটি নির্দেশিকায় বদলে দেওয়া হয় ওই আরটিওকে। সন্দীপ সাহার পরিবর্তে দক্ষিণ দিনাজপুরের আরটিওর দায়িত্বে আনা হয়েছে সৌমিত্র বিশ্বাসকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Car: সোদপুরে মেলার মাঠে দাবিদারহীন চারচাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ, কী ছিল গাড়ির ভিতরে?

    Car: সোদপুরে মেলার মাঠে দাবিদারহীন চারচাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ, কী ছিল গাড়ির ভিতরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এক সপ্তাহ ধরে শুরু হয়েছে মেলা। আর সেই মেলার মাঠে রাখা রয়েছে দুধ সাদা এক্সইউভি-৫০০ গাড়ি (Car)। আর এই গাড়ি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সোদপুর অমরাবতী এলাকায়। এই অমরাবতীর মাঠে শুরু হয়েছে “পানিহাটি এক্সপো মেলা”। সেই মেলার মঞ্চের পিছনে ভিআইপি গেটের কাছে গত কয়েকদিন ধরে রহস্যজনকভাবে পড়ে থাকা একটি এক্সইউভি গাড়ি শুক্রবার রাতে বাজেয়াপ্ত করে খড়দহ থানার পুলিশ।

    গাড়ির (Car) ভিতর থেকে কী বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটির (Car) রেজিস্ট্রেশন রয়েছে বাঁকুড়া আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের। নথি অনুযায়ী গাড়িটি সেলিম মিদ্যা নামে এক ব্যক্তির। গাড়িটির (Car) বয়স প্রায় ১০ বছর। কিন্তু বাঁকুড়ার গাড়ি সোদপুরে এল কী করে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে গাড়িটি ওই মাঠে রাখা ছিল। ওই গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৬ টি মোবাইল ফোন ও টাকা গোনার মেশিন। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু প্যান কার্ড, এটিএম কার্ড, প্রেস কার্ড, নথিপত্র সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। শনিবার পর্যন্ত গাড়ির মালিকের হদিশ মেলেনি।

    কী বললেন মেলা কমিটির উদ্যোক্তারা?

    গাড়িটির (Car) কোনও মালিকানা না পাওয়ায় মেলা উদ্যোক্তারা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেন। পরে, বিষয়টি নজরে আসে খড়দহ থানার পুলিশের। এরপরই পুলিশ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। মেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক তথা পূর্ব পানিহাটি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোময় রায় বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে গাড়িটি মাঠে পড়েছিল, আমরা পাড়াতে খোঁজখবর নিয়েছিলাম। কিন্তু গাড়ির মালিকানার বিষয় কেউ কিছু বলতে পারেনি। এরপর পুলিশ মেলার মাঠ খতিয়ে দেখতে আসলে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। গাড়ির (Car) ভিতরে কী ছিল তা আমরা জানতাম না। কারণ গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে লক করা ছিল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির যুব নেতা জয় সাহা বলেন, একটি গাড়ি (Car) থেকে যদি টাকা গোনার মেশিন উদ্ধার হতে পারে, তাহলে কেন ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হবে না। বিষয়টি প্রশাসনের খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা উচিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Basavaraj Bommai: ‘‘লোকসভা ভোটে শক্তিশালী হয়ে ফিরব’’, কর্নাটকে ফলের পর প্রতিক্রিয়া বোম্মাইয়ের

    Basavaraj Bommai: ‘‘লোকসভা ভোটে শক্তিশালী হয়ে ফিরব’’, কর্নাটকে ফলের পর প্রতিক্রিয়া বোম্মাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক (Karnataka) বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পথে কংগ্রেস (Congress)। হার স্বীকার করে নিল বিজেপি (BJP)। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ কর্নাটকে কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১৩০টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৬৬টি আসনে। এইচডি কুমারস্বামীর জনতা দল (সেক্যুলার) এগিয়ে রয়েছে ২২টি আসনে। অন্যরা পেয়েছে ৬টি আসন। কর্নাটকের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি কর্মীদের মরিয়া চেষ্টা সত্ত্বেও আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশিত হলে হারের কারণ পর্যবেক্ষণ করে দেখব আমরা। এই ফল মাথা পেতে নিচ্ছি। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে শক্তি বাড়িয়ে ফিরে আসব।

    বাসবরাজ বোম্মাইয়ের (Basavaraj Bommai) স্বীকারোক্তি… 

    কর্নাটক বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৪। সরকার গড়তে প্রয়োজন ১১৩টি আসন। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ম্যাজিক সংখ্যার চেয়ে ১৭টি আসনে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। তার পরেই হার স্বীকার করে নেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার একাই কনকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন ৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কর্নাটক বিধানসভা (Basavaraj Bommai) নির্বাচনে বিজেপির জয় জরুরি ছিল। চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে। সেই কারণেও জয় প্রয়োজন ছিল পদ্মশিবিরের। আবার কংগ্রেসের কাছেও কর্নাটক দখল জরুরি ছিল। প্রথমতঃ, লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকে দলের এই জয় নিঃসন্দেহে অক্সিজেন জোগাবে সোনিয়া গান্ধীর দলকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দালালের মাধ্যমে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেছেন পার্থ-মানিক’’! রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    দ্বিতীয়তঃ, দীর্ঘদিন পরে নির্বাচনের মাধ্যমে কংগ্রেসের রাশ গিয়েছে গান্ধী পরিবারের বাইরের কারও হাতে। বর্তমানে দলের রশি রয়েছে মল্লিকার্জুন খাড়্গের হাতে। কর্নাটক তাঁর নিজের রাজ্য। তাই এই জয় দলের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করার জন্যও তাঁর কাছে জরুরি ছিল। এর আগে হিমাচল প্রদেশে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। এবার বিজয় হল কর্নাটক। তবে লোকসভা নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীর দল কতটা হালে পানি পাবে, তা বলবে সময়। দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর যে তুঙ্গ জনপ্রিয়তা, সেই পানশি ভাসিয়েই বিজেপি অনায়াসে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে যাবে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। এদিকে, এদিন বেলা ৩টে পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ৩৬টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। এগিয়ে রয়েছে আরও ১০১টিতে। বিজেপি (Basavaraj Bommai) জয়ী হয়েছে ১৭টি আসনে। এগিয়ে রয়েছে ৪৫টিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Durgapur: তৃণমূলনেতার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারী আবাসন বিক্রি, উচ্ছেদের নোটিশে উড়েছে ঘুম

    Durgapur: তৃণমূলনেতার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারী আবাসন বিক্রি, উচ্ছেদের নোটিশে উড়েছে ঘুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরে (Durgapur) রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ডিপিএলের আবাসন টাকার বিনিময়ে বেআইনীভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। লক্ষণ লামা, বিশ্বজিৎ ওরফে বিশু ও বাবু, এই অভিযুক্তরা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে স্বীকার করেন স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার। উচ্ছেদ অভিযান চলবে জানালো ডিপিএল কর্তৃপক্ষ। এইদিকে টাকা দিয়েও ডিপিএল আবাসন থেকে উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে বিপাকে দুর্গাপুরের বেশ কিছু পরিবার। শাসক দলকে তুলোধোনা বিরোধীদের।

    অভিযোগ কি?

    উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে এখন রাতের ঘুম উড়েছে দুর্গাপুরের (Durgapur) বেশ কিছু মানুষের। শহর দুর্গাপুরের বেশ কিছু জায়গা থেকে এই অসহায় মানুষজন স্থায়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে রাজ্য সরকারের সংস্থা দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের (ডিপিএল) টাউনশিপে এসেছিলেন। মূল অভিযোগ হল স্থানীয় তিন প্রভাবশালী তৃণমূলনেতারা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কিছু অসহায় মানুষকে নিয়ম ভেঙ্গে সরকারি আবাসনে ঢুকিয়ে দেয়। আর এরপর ঐ মানুষগুলি ডিপিএলের নোটিশ পেয়ে বুঝতে পারেন সবটাই জালিয়াতি হয়েছে। ভুক্তভুগী বাসন্তী মল্লিক বলেন, আমরা দিন এনে দিন খেয়ে জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছি তৃণমূলের নেতা বিশুকে। আরেক ভুক্তভুগি পুণম বলেন, টাকা নিয়ে তৃণমূল দলের নেতারা ডিপিএল সমবায় সমিতির তালা ভেঙ্গে  সি-টাইপ ও ই-টাইপ আবাসনে থাকতে দিয়েছিল আমাদের। আমরা বর্তমানে তিনমাস ধরে এখানে বসবাস করছি। এখন ইতিমধ্যে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ আবাসন গুলি ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছেন আমাদেরকে, তিন দিনের মধ্যে আবাসন ফাঁকা না করলে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দেওয়ার নোটিশ দিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন জানি না কি করব আমরা এখন।  

    দুর্নীতির দায়ভার কার?

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এই দায়ভার লক্ষণ লামা, জনৈক বিশু ও বাবুর। এরা তিনজনেই তৃণমূল করেন বলে পরিচয় জানা গেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ তৃণমূল করার পরিচয় দিয়ে আবাসন পাইয়ে দেওয়ার জন্য অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। কিন্তু নেতাদের কাছে এখন ডিপিএলের (Durgapur) উচ্ছেদ নোটিস দেখাতে গেলে পরিবারের মানুষের কাছে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। অভিযুক্তদের মধ্যে লক্ষণ লামাকে সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার সুভাষ মজুমদার। কাউন্সিলার আরও বলেন তৃণমূলের মিছিল মিটিং-এ থাকেন লক্ষণ লামা। আর তাই দলের সক্রিয় কর্মীদেরকে বাঁচাতে আবাসন বিক্রির অবৈধ লেনদেনে ডিপিএল কর্তৃপক্ষের দিকে পাল্টা অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলার।

    ডিপিএল এবং বিরোধীদের বক্তব্য

    উচ্ছেদের নোটিশের বিষয়ে ডিপিএলের পক্ষে জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র বলেন, কে কাকে টাকা দিয়ে ডিপিএলের আবাসনে ঢুকেছে এটা ডিপিএলের দেখার বিষয় নয়। অবৈধ দখল কেউ করে থাকলে উচ্ছেদ করা হবেই। আবার বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ বলেন, তৃণমূলের কাউন্সিলার নেতারা পুলিশকে নিয়ে কোয়াটার ভাড়া দিচ্ছে, পুলিশ টাকা নিচ্ছে, অবৈধ ভাবে জমি দখল করছে। ডিপিএল, ডিভিসি, এমএমসি, ডিএসপি সর্বত্র প্রকল্পে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করছে তৃণমূলের নেতারা। যারা টাকা দিয়েছেন তাঁদের বলবো তৃণমূলের যে নেতাদের টাকা দিয়েছেন তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করুন আমরা সঙ্গে থাকব। সব মিলিয়ে দুর্গাপুর (Durgapur) পুরভোটের আগে সরকারি সংস্থার আবাসন কেনা বেচার অবৈধ লেনদেনের ঘটনার অভিযোগে অস্বস্থি ও বিড়ম্বনা দুই বেড়েছে শাসক শিবিরের। এখন যারা টাকা দিয়েছেন তাঁরা যাবেন কোথায় সেটাই বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share