Tag: bangla news

bangla news

  • Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের (COVID) সময় ব্যয় সংকোচ ঘটাতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। অর্থনীতির ভাষায় একে বলা হয় এমবার্গো।
    করোনা দেশের বিভিন্ন জায়গায় চোখ রাঙালেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত তার কোনও প্রভাব নেই। জনজীবনও কার্যত স্বাভাবিক। সরকারের তরফে খেলা, মেলা, দান, খয়রাতি সবকিছুই চলছে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই।  

    কিন্তু করোনার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি অর্থ দফতর। তার প্রমাণ মিলল একটি নির্দেশিকায়, যা জারি করা হয়েছে ৩০ মার্চ এবং কার্যকর নতুন বছরের শুরু, ১ এপ্রিল থেকেই। নতুন অর্থবর্ষের শুরু থেকেই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)। যা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, সরকার বাইরে সবকিছু স্বাভাবিক দেখাতে চাইলেও ভিতরে ভিতরে আসলে কঙ্কালসার হয়ে গিয়েছে।

    কী বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে? 

    ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর বাজেট (Budget) বরাদ্দের কত শতাংশ টাকা খরচ করতে পারবে। এতেই দেখা যাচ্ছে, বেতন, অনুদান, হাসপাতালের ওষুধ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা ছাড়া যাবে, তার বেশি কোনওভাবেই নয়। বহু ক্ষেত্রেই কোনও দফতর ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কী কী শর্ত পূরণ করে ওই টাকা খরচ করা যাবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

    কী বলল বিজেপি? 

    এই নির্দেশিকার কথা প্রকাশে আসতেই রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব কড়া সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নানা কথা বলা হলেও বাস্তবে সরকারের ভাঁড়ারে কোনও টাকাই নেই। রাস্তাশ্রী হোক বা কন্যাশ্রী, কোনও প্রকল্পই আর বেশিদিন চলবে না। ঠিকাদাররা পেমেন্ট পাবেন না। সরকারকে যারা পণ্য সরবরাহ করে, তারা টাকা পাবে না। হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ হবে না, রাস্তা সারাই হবে না, রাস্তার আলো জ্বলবে না, সেচের জল পাওয়া যাবে না, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন পর্যন্ত অনিয়মিত হয়ে পড়বে। মাথার উপর সাড়ে ছয় লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। বোঝাই যায়, এই সরকারের আয়ু আর কতদিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sagar Dutta Medical College: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের আসন সংখ্যা! কত জানেন?

    Sagar Dutta Medical College: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের আসন সংখ্যা! কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক কামারহাটির (Kamarhati) সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে (Sagar Dutta Medical College) আন্ডার গ্র্যাজুয়েটে আগেই আসন সংখ্যা বেড়েছিল। এবার এই মেডিক্যাল কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে আসন সংখ্যা বাড়তে চলেছে। আর সেই জন্যই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই এই কলেজে আন্ডার গ্র্যাজুয়েটে আগে ১০০টি আসন ছিল। এখন তা বেড়ে ১২৫টি হয়েছে। আর পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে ৪০টি আসন রয়েছে। এবার সেখানে আরও ৫০টি আসন বাড়তে চলেছে। নতুন করে ৫০টি আসন সংখ্যা বাড়লে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে মোট ৯০টি আসন হবে।

    সাগর দত্তে (Sagar Dutta Medical College) পরিকাঠামো উন্নয়নে কী করা হচ্ছে?

    আসন সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পড়ুয়াদের হস্টেল থেকে শুরু করে সমস্ত রকম পরিকাঠামো থাকার প্রয়োজন। তাই, এখন থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ১৫ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। সাগর দত্ত হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) চত্বরের মধ্যেই নতুন করে বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম প্রধান বলেন, এবার পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে আরও ৫০টি আসন বাড়তে চলেছে। তবে, শুধু আসন বাড়ালে তো হবে না, উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। এবার সেই কাজও আমরা শুরু করেছি।

    হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) সূত্রে কী জানা যাচ্ছে? 

    হাসপাতাল ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) এখন মোট বেড রয়েছে প্রায় ৬০০টি। সিসিইউ ইউনিট রয়েছে। তবে, কার্ডিওলজি বিভাগ নেই। যদিও হার্টের সাধারণ চিকিৎসা এই হাসপাতালে হয়। কিন্তু, কোনও রোগীর স্টেন্ট বসানোর প্রয়োজন হলে তাঁকে রেফার করা ছাড়া উপায় থাকে না। জানা গিয়েছে, হাসপাতালটি (Kamarhati) এখন ছয় তলার। এবার সেখানেই আরও নতুন করে তিনটি তলা তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই সাততলা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই এই হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা কম। তাই, আলাদা ক্যাম্পাস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

    স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই খড়দহের বলরাম হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) সেকেন্ড ক্যাম্পাসের জন্যই পরিদর্শনও করা হয়েছে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের কর্মকর্তারা বলরাম হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। এই হাসপাতালে আদৌ মেডিক্যাল কলেজের সেকেন্ড ক্যাম্পাস করা যাবে কি না তার সার্বিক রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে জমা করা হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Changu Lake: সিকিমে তুষার ধসে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ২ বাঙালিও, সমবেদনা মোদির

    Changu Lake: সিকিমে তুষার ধসে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ২ বাঙালিও, সমবেদনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে (Changu Lake) তুষার ধসে দুই বাঙালি সহ সাতজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩ জন। মঙ্গলবার দিনভর উদ্ধারকাজ চালানোর পর রাতে এনডিআরএফের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর কোনও পর্যটক বরফের নিচে চাপা পড়ে নেই। তাই বন্ধ করা হচ্ছে উদ্ধার কাজ। এদিনের তুষার ধসে যে দুই বাঙালির মৃত্যু হয়েছে তাঁরা হলেন কলকাতার বাসিন্দা বছর আটত্রিশের প্রীতম মাইতি এবং শিলিগুড়ির বাসিন্দা বছর সাতাশের সৌরভ চৌধুরী। আর বাকি পাঁচ পর্যটকের মধ্যে তিনজন নেপালের বাসিন্দা, দুজন উত্তর প্রদেশের।

    সিকিমের ছাঙ্গু (Changu Lake) রোডে ধসে ক্ষতি…

    মঙ্গলবার পর পর দু বার ধস নামে সিকিমের ছাঙ্গু (Changu Lake) রোডে ১৭ মাইল এলাকায়। পাহাড়ের ওপর থেকে হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে বরফের স্রোত। সেই সময় পাহাড়ের ঢালে দাঁড়িয়ে যাঁরা প্রকৃতির শোভা উপভোগ করছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই চাপা পড়ে যান তুষারের নিচে। পরে সেনা নামিয়ে সামাল দেওয়া হয় পরিস্থিতি। তুষারধসের জেরে কেবল পর্যটকরাই নন, বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। যে অঞ্চলে ধস নেমেছে, তার আশপাশের বহু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরাত জোরে যাঁরা প্রাণে বেঁচেছেন, তাঁরা জানাচ্ছেন, তুষারের নিচে চাপা পড়ে যাওয়ায় হাত-পা নাড়ানোর সুযোগটুকুও পাচ্ছিলেন না তাঁরা। পরে অন্যান্য পর্যটক, সেনাবাহিনী ও এনডিআরএফের সাহায্যে উদ্ধার করা হয় তাঁদের।

    মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, সিকিমে (Changu Lake) তুষার ধসে চাপা পড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। উদ্ধারকার্য চলছে। ধসের জেরে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনী মোট ২২ জন পর্যটককে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে খোঁজ নেওয়া হয়েছে সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে সিকিম সরকার উত্তর ও পূর্ব সিকিমের পারমিট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।   

     

  • Veer Savarkar: সাভারকার ইস্যুতে রাহুলকে নিশানা গডকড়ির, একহাত নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশও

    Veer Savarkar: সাভারকার ইস্যুতে রাহুলকে নিশানা গডকড়ির, একহাত নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাভারকার (Veer Savarkar) ইস্যুতে কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি ও মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। বিজেপিকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য রাহুলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নীতিন। তিনি বলেন, আমাদের উচিত রাহুল গান্ধীকে ধন্যবাদ জানানো। কারণ তিনি আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন সাভারকারকে প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দিতে। রাহুল গান্ধীর এরকম করে যাওয়া উচিত। সাভারকার গৌরব যাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন নীতিন। সেখানেই তিনি নিশানা করেন রাহুলকে।

    সাভারকার (Veer Savarkar) ইস্যুতে নীতিন বলেন…

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সাভারকারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীর উচিত ক্ষমা চাওয়া। তিনি বলেন, রাহুল জানেন না তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী এবং দাদু ফিরোজ গান্ধী কী বলেছিলেন সাভারকার (Veer Savarkar) সম্পর্কে। গডকড়ি বলেন, সাভারকারই বলেছিলেন যে হিন্দুত্ব একটা জীবনযাপনের পন্থা। সাভারকার জাতিগত বাধার প্রাচীর ভেঙে দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দু বছরের কারাদণ্ড হয় রাহুলের। গুজরাটের সুরাটের একটি আদালত রাহুলকে ওই শাস্তি দেয়। তার জেরে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির। এর পরেই রাহুল বলেছিলেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না, কারণ তিনি সাভারকার নন।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, রাজ্যের রিপোর্ট তলব অমিত শাহের

    সাভারকার (Veer Savarkar) গৌরব যাত্রা উপলক্ষে নাগপুরে আয়োজিত এক জনসভায় ওই একই ইস্যুতে রাহুলকে আক্রমণ করেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশও। তিনি বলেন, ভারতে কিছু মানুষ জন্মান যাঁরা দেশের ইতিহাস জানেন না, জানেন না সমসাময়িক কালের ইতিহাসও। ফড়নবিশ বলেন, যাঁর কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই, এমন একজন ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সাভারকারকে আক্রমণ করেন। এই জাতীয় মানুষদের যোগ্য জবাব দিতে মহারাষ্ট্রবাসী সাভারকার গৌরব যাত্রায় যোগ দিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি সাভারকারও নন, গান্ধীও নন। সাভারকার হতে গেলে অনেক ত্যাগ করতে হয়।

    তিনি বলেন, কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট একদিনও জেলে থাকতে পারবেন না। অথচ দেশের কঠিনতম পরিস্থিতিতে সাভারকার বছরের পর বছর বন্দি ছিলেন আন্দামান-নিকোবরের সেলুলার জেলে। তিনি বলেন, রাহুলের মতো মানুষ সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছেন। তাই তিনি জানেন না, সাভারকার (Veer Savarkar) কতটা আত্মবলিদান করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশরা আমাদের কষ্ট দিত, স্বাধীনতার পরে দিচ্ছে ব্রিটিশদের এজেন্টরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Toilet: পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির হওয়ায় গ্রামে কারও বাড়িতে নেই শৌচালয়! কোথায় জানেন?

    Toilet: পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির হওয়ায় গ্রামে কারও বাড়িতে নেই শৌচালয়! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত সদস্যা বিজেপির। তাই, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ি গ্রামে “নির্মল বাংলা মিশন” এর প্রভাব এখনও পড়েনি। এই অঞ্চলের আদিবাসী পাড়ার সমস্ত মানুষকে মাঠে ঘাটে খোলা আকাশের নীচেই শৌচকর্ম করতে হয়। বছর তিনেক আগে এই জেলাকে নির্মল ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা প্রশাসন যাতে মানুষকে মাঠে ঘাটে শৌচকর্ম করতে না যেতে হয় তারজন্য প্রচারও করেছিল। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করার জন্য জরিমানাও করতে দেখা যায় প্রশাসনকে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে এই সচেতনতা মূলক অভিযান চালানো হয়। কিন্তু, এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি শৌচালয় (Toilet) করে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? Toilet

    স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় মার্ডি বলেন, যা রোজগার করি তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চালাই। বাড়িতে শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার মতো আর্থিক অবস্থা আমাদের নেই। এক গৃহবধূ বলেন, “খোলা আকাশের নীচে শৌচকর্ম করা ঠিক নয় তা জানি, কিন্তু, নিজের পয়সা দিয়ে শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার মত সামর্থ্য আমাদের নেই। শুধু বাড়িতে নয়, স্থানীয় বিদ্যালয়েও নেই শৌচাগার। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কল্পনা মণ্ডল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শৌচাগারটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে। পড়ুয়াদের চরম সমস্যা হয়।

    কী বললেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা? Toilet

    বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্যা মীরা মণ্ডল বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। আর আমি বিজেপির সদস্য বলে এলাকায় কোনও উন্নয়ন ওরা করছে না। আমরা শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার জন্য বহুবার বলেছি। কিন্তু, ওরা কোনও কর্ণপাত করেনি। ফলে, আমার বুথে সেভাবে কোনও উন্নয়ন নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Toilet

     বিজেপির তোলা এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি। তিনি বলেন, বিজেপি সদস্য রয়েছে বলে ওই এলাকায় শৌচালয় (Toilet)  তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি তা ঠিক নয়। এটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা। ইতিমধ্যে প্রশাসনকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Saha: কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, সংবর্ধনা দেবে বঙ্গ বিজেপি

    Manik Saha: কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, সংবর্ধনা দেবে বঙ্গ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) মানিক সাহা (Manik Saha)। চলতি মাসের ৮ তারিখে আসবেন তিনি। সেদিনই রাজ্য বিজেপির তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে তাঁকে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় অবসান ঘটে বাম জমানার। ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন বিপ্লব দেব। পরে বিপ্লবকে দলের কাজে লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় মানিক সাহাকে। মানিকের নেতৃত্বেই বাম নেতা মানিক সরকার ও তিপ্রা মোথার প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মার চ্যালেঞ্জ সামলে জয় পায় বিজেপি। ফের সরকার গড়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন মানিক। তবে দ্বিতীয়বার বিজেপি জয় পাওয়ার পর জল্পনা ছড়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হবে প্রতিমা ভৌমিককে।

    মানিক সাহা (Manik Saha)…

    বর্তমানে প্রতিমা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের মানিক সরকারের আগের কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। ১৯৯১ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রতিমা। তবে শেষমেশ মানিককেই বসানো হয় মুখ্যমন্ত্রী পদে। মানিক (Manik Saha) পেশায় দাঁতের ডাক্তার। পাটনার সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডেন্টাল সার্জারিতে মাস্টার ডিগ্রি পেয়েছিলেন তিনি। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে ডেন্টাল সার্জারির প্রফেসর হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। আগরতলায় ডাঃ বিআরএএম টিচিং হাসপাতালেও শিক্ষকতা করতেন তিনি। ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দলের রাজ্য সভাপতি পদেও ছিলেন বেশ কয়েকদিন। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন মানিক। এহেন মানিককে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসায় বিজেপি।

    ১৬ ফেব্রুয়ারি হয় ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। ভোট পড়ে ৮৭.৬ শতাংশ। ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের ত্রিপুরার রাশ হাতে নেয় বিজেপি। ৩২টি আসনে জয় পায় পদ্ম শিবির। যদিও ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় ম্যাজিক সংখ্যা ৩১। বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে এ রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তৃণমূল সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উঠছে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। প্রত্যাশিতভাবেই জনসমর্থন সরতে শুরু করেছে তৃণমূলের পাশ থেকে। ক্রমেই পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাচ্ছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এমতাবস্থায় মানিককে (Manik Saha) সংবর্ধনা দিয়ে এ রাজ্যেও তৃণমূল জমানার অবসানের শঙ্খনাদ বাজিয়ে দিতে চাইছে পদ্ম শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, রাজ্যের রিপোর্ট তলব অমিত শাহের

    Amit Shah: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, রাজ্যের রিপোর্ট তলব অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় হামলার জেরে অশান্ত বাংলা। হাওড়া, হুগলি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে অশান্তি। অশান্তি থামাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। রাজ্য পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে চেয়ে পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, আগামী তিনদিনের মধ্যেই বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।

    হামলার সাতকাহন…

    ৩০ মার্চ রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগ ওঠে হাওড়ার কাজিপাড়া এলাকায়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। কাজিপাড়ার এই ঘটনার পরে পরেই রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি হয় হাওড়ার শিবপুরে। অশান্তি রুখতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছে হুগলির রিষড়াও। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে এখানেও ছোড়া হয় ইটপাটকেল। রাতের ট্রেন লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ।

    উত্তেজনার আঁচ লাগে কোন্নগরেও (Amit Shah)। আহতদের দেখতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ডানকুনির জগন্নাথপুরে দিল্লি রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তর কনভয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত কথা কাটাকাটি হয় সুকান্তর। রাজ্যের এহেন অস্থির পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে দ্রুত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানায় বিজেপির বঙ্গ শাখা। দাবি জানানো হয় এনআইএ তদন্তেরও।

    আরও পড়ুুন: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

    এদিকে, শিবপুর ও রিষড়া থানায় ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট নয়, কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করুন রাজ্যপাল। রাষ্ট্রবাদীদের বাঁচাতে কিছু করে দেখান রাজ্যপাল, তাহলেই বোঝা যাবে। প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তুলনা টেনে শুভেন্দু বলেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যপালের কাছ থেকে পূর্বসুরীদের ভূমিকা দেখতে পাইনি। রাজ্যের রিপোর্ট না চেয়ে, সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে কেন্দ্রের পদক্ষেপ চান। শিবপুর, রিষড়া থানার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তোলার সুপারিশ করুন। তাহলেই বুঝব, শুধু বিবৃতি নয়, কিছু করে দেখাতে চাইছেন সিভি আনন্দ বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রিষড়াকাণ্ডে পুলিশি বাধার মুখে সুকান্ত-লকেট, ধর্নায় বসতে দেওয়া হল না বিজেপি কর্মীদের

    Sukanta Majumdar: রিষড়াকাণ্ডে পুলিশি বাধার মুখে সুকান্ত-লকেট, ধর্নায় বসতে দেওয়া হল না বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার রিষড়াকাণ্ডে জখম বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে হাসপাতালে দেখে ফেরার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) কোন্নগর বিশালাক্ষীতলায় আটকায় পুলিশ। রিষড়া যেতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবস্থানে বসেন। পরে, মঙ্গলবার শ্রীরামপুর বটতলায় ধর্নায় বসবেন বলে তিনি ঘোষণা করেছিলেন। এদিন সেখানে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারটের এক আধিকারিক বলেন, এই ধর্নার কোনও অনুমতি নেই। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই এখানে এখন কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদক বলেন, তাঁরা ইমেল করে অনুমতি নিয়েছেন। মানুষের কোনও অসুবিধা না করে ধর্না দিতে চান। তবে, ধর্না মঞ্চ খুলে নেওয়ার পরেই থানায় যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) শ্রীরামপুর যাওয়ার জন্য রওনা দেন। কিন্তু, ডানকুনির জগন্নাথপুর মোড়ে দিল্লি রোডে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পরে, বিজেপি কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?  Sukanta Majumdar

    এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বাংলা থেকে অশান্ত মুক্ত করার জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছি। দক্ষিণেশ্বর থেকে বেরিয়ে শ্রীরামপুর যাওয়ার পথে ডানকুনিতে তাঁকে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, রিষড়ায় আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই পরিবারের পাশে থাকার জন্যই আমরা সেখানে যেতাম। কিন্তু, আমাদের ডানকুনি এলাকায় আটকে দেওয়া হয়। এই এলাকায় ১৪৪ ধারা নেই। অথচ সেখানে আমাকে বাধা দেওয়া হল। রিষড়ায় শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন। ডিজি, পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।

    ট্রেনে করে কেন রিষড়ায় গেলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়?

    শ্রীরামপুর ও রিষড়া এলাকায় মঙ্গলবারও ১৪৪ ধারা জারি ছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ বাধা এড়াতে এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বালি স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সোজা রিষড়া স্টেশনে যান। ট্রেন থেকে নামতেই পুলিশ কর্মীরা তাঁকে আটকে দেন। এনিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ব্যাপক বচসা হয়। পরে, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের না আটকে রামনবমীর মিছিলের দিন রিষড়ায় পুলিশ যদি হামলাকারীদের আটকাতে পারত, তাহলে হিন্দুরা নিরাপদে থাকত। আসলে এই সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। এই আগুনে ওদেরও হাত পুড়বে।

    মঙ্গলবার রিষড়া এবং শ্রীরামপুরের সার্বিক অবস্থা কেমন ছিল?

    রিষড়া, শ্রীরামপুর এলাকা জুড়ে সোমবার রাত থেকে পুলিশি টহলদারি শুরু হয়েছে। দুজায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চন্দননগর ও হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠানো হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। দোকানপাটও প্রায় বন্ধ। রিষড়ায় ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তির জেরে সোমবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবারও সকাল থেকে আতঙ্কে ও আশঙ্কায় বিস্তীর্ণ এলাকা একেবারে থমথমে। এতটাই যে ব্যান্ডেল-হাওড়া লাইনে মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনও খাঁ খাঁ করেছে। সোমবার রাতে রিষড়া ৪ নম্বর রেলগেটে গন্ডগোলের ঘটনায় ৩৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আটকানো হল বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। রবিবার তাঁকে হাওড়ার (Howrah) শিবপুরে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য যেতে দেওয়া হয় বালুরঘাটের সাংসদকে। সোমবার রিষড়ার পর মঙ্গলবার শ্রীরামপুরেও (Serampur) ধর্নায় যেতে বাধা দেওয়া হয় সুকান্তকে। এদিন দুপুরে ডানকুনির জগন্নাথপুরে দিল্লি রোডে আটকে দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়ি। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। কিছুক্ষণ পরেই ধর্না শেষ করে রাজ্যপালের কাছে যাব। ১৭ বছরের ছাত্রকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইছি।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছে। যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, যারা অশান্তি করছে, পুলিশ তাদের আশ্রয় দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। রাজ্যপালকে সব কিছু জানিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইব। এদিন পুলিশের বাধা পেয়ে ডানকুনিতে পুলিশ ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থানে বসে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি না হওয়া সত্ত্বেও যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধীদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ইচ্ছে করে জনমানবহীন এলাকায় আটকে রাখা হচ্ছে, যাতে জল, খাবারটুকুও কেউ না পায়।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি আটকে আমাদের আহত কর্মীদের দেখতে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকলে পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যায় না। আমিও পুলিশকে বলেছিলাম পাঁচজনের বেশি লোক যাবে না, আমাদের ঢুকতে দিন। দুই সাংসদ সহ যেতে চাইলেও, তাও দেওয়া হচ্ছে না। সুকান্ত বলেন, ডানকুনি থানা এলাকায় চন্দননগর কমিশনারেট নিয়ন্ত্রণ করছে। কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    সোমবার আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির কনভয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে টানাপোড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এর প্রতিবাদেই মঙ্গলবার শ্রীরামপুর বটতলায় ধর্নায় বসার কথা ঘোষণা করেন সুকান্ত। সেই মতো এদিন সকালে মঞ্চ বাঁধতে শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ গিয়ে খুলে দেয় সেই মঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

     

  • High Court: পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু, ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    High Court: পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু, ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের ঘটনা। স্থান বীরভূমের মল্লারপুর। চোর সন্দেহে আটক করা এক নাবালককে থানার মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে পথে নেমেছিল বিজেপি। চাপে পড়ে থানার দুই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ছাড় দেওয়া হয়েছিল ওসিকে। বিষয়টি যায় হাইকোর্ট (High Court) পর্যন্ত। অবশেষে সেই মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কত দিনের মধ্যে পরিবারের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?

    মঙ্গলবার এই মামলায় মৃত নাবালকের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের (High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ১৫ দিনের মধ্যে ওই টাকা পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে। পুলিশ যে ওই ঘটনায় আইন মেনে কাজ করেনি, এদিন হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, পুলিশ ভবিষ্যতে যদি কোনও ব্যবস্থা নেয়, তা যেন জুভেনাইল জাস্টিস আইন মেনেই করা হয়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর। রেলপাড়ের খালাসিপাড়ার বাসিন্দা এক নাবালককে চোর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে থানার মধ্যেই একটি ঘরে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনা জানাজানি হতেই বিক্ষোভ শুরু করে দেন। তাদের অভিযোগ, ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হাইকোর্ট প্রথমে ওই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছিল। ইতিমধ্যে ওই ঘটনাকে ঘিরে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।  বিজেপি এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে। আসরে নামে শাসকদল। তাদের বক্তব্য ছিল, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে আন্দোলন করছে। কিন্তু মঙ্গলবারের রায়ে বিজেপির অভিযোগই কার্যত মান্যতা পেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share