Tag: bangla news

bangla news

  • Railway: নববর্ষে আরেকটি বন্দে ভারত পেতে চলেছে বাংলা! কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    Railway: নববর্ষে আরেকটি বন্দে ভারত পেতে চলেছে বাংলা! কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সামনে বাংলা নববর্ষ, আর এই নববর্ষে উপহার হিসাবে বঙ্গবাসী পেতে চলেছে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। উদ্যোগী রেল (Railway) মন্ত্রক। নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এই রাজ্যে আগেই চালু হয়েছে। এবার চালু হতে চলেছে নিউ জলপাইগুড়ি – গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এমনটাই জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডা: জয়ন্ত রায়। তিনি বলেন, নতুন এই এক্সপ্রেস চালু হয়ে গেলে অনেক কম সময়ের মধ্যে গুয়াহাটি যাওয়া সম্ভব হবে।

    কবে চালু হতে চলেছে এই ট্রেন? Railway

    উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন “এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর প্রস্তাব আমরা রেল (Railway) মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছিলাম। সেই মতো আলোচনা এগিয়েছে। তবে, কবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হবে সে ব্যাপারে রেল (Railway) মন্ত্রকের থেকে এখনও কোনও নোটিশ পাইনি। তবে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের (Railway) প্রস্তুতি শেষের পথে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই এই ট্রেন চালু হতে চলেছে।”

     কোন কোন স্টেশনে থামবে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস? Railway

    নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী, সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে। বেলা ১২ টা ৩০ মিনিটে গুয়াহাটিতে পৌঁছাবে। সব মিলিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি যেতে ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট লাগবে। অন্যদিকে, দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে গুয়াহাটি থেকে ছাড়বে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিটে। তাই, ফিরতি পথেও ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময় লাগবে। রেল (Railway) সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি ও গুয়াহাটি যাত্রাপথে মোট ৪টি স্টেশনে দাঁড়াবে। সেই স্টেশনগুলি হল, নিউ কোচবিহার, কোকরাঝাড়, নিউ বঙ্গাইগাঁও এবং রঙ্গিয়া জংশন। পাশাপাশি, এ বছরের মধ্যে শুরু হতে চলেছে সেবক – রংপো রেল (Railway) প্রকল্প। তার কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। ফলে, পর্যটনের এক বিশাল পরিবর্তন আসতে চলেছে, যা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য খুশির খবর ।

    নতুন প্রকল্প নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Railway

    এই নতুন রেল (Railway) প্রকল্পের শুরু নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও কম হয়নি। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, “বিজেপি রেলের ঢালাও কর্মসূচি নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করলে আমাদের পাল্টা প্রশ্ন থাকবে, সেবক রংপো (Railway) রেল প্রকল্প নিয়ে বিজেপি কৃতিত্ব দাবি করতে পারে কি? কেননা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। এতে বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। বরং, তাদের জবাবদিহি করতে হবে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে এতদিন লাগলো কেন?”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Railway

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা মাটিগাড়া – নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেছেন “তৃণমূল এই প্রচার করলে মানুষ তাতে প্রভাবিত হবে না। কেননা সকলেই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন, সারা দেশের সঙ্গে উত্তরবঙ্গ রেল পরিষদের উন্নয়নে বিজেপির সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে। নতুন বন্দে ভারত তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আর সেবক রংপো রেল (Railway) প্রকল্পের কাজ বিজেপি ইচ্ছা করে দেরি করেনি, বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার কারণে দেরি হয়েছে কাজ শুরু হতে। সবকিছু স্বাভাবিক হতেই আবার কাজ শুরু হয়েছে। বিজেপি উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করে না। তৃণমূল অপপ্রচার করছে ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস’! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস’! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড়ই হবে তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিস। অপেক্ষা করুন। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই। বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে দু দিনের অবস্থান বিক্ষোভ করে বঙ্গ বিজেপি। এই কর্মসূচিতে সুকান্তের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের অন্য নেতানেত্রীরা।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) উবাচ…

    এদিন সেখানেই ভাষণ দেন সুকান্ত। বুধবারই রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে শহিদ মিনারের সভা থেকে দিল্লি অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গেই সুকান্ত বলেন, অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যেই তিহাড় গিয়েছেন। এরপর বাকিরাও যাবেন। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, এবার তিহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা ইউনিট খুলতে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস। অপেক্ষা করুন। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই। আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত। পরিস্থিতি যা, তাতে মাস চারেক তাঁকে থাকতে হবে তিহাড়েই। বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের। এদিন সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আগামিদিনে তিহাড় কংগ্রেসে পরিণত হবে।

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দু দিন ধরে রেড রোড ধর্নায় বসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চ তৈরি করেছে রাজ্য পূর্ত দফতর। অথচ পিছনে তৃণমূলের প্রতীক জ্বলজ্বল করছে। ওটা দলের নাকি সরকারের বোঝা যাচ্ছে না। পুরো মাখামাখি হয়ে ঘেঁটে ঘ হয়ে গিয়েছে। ভাইপোর মঞ্চ কারা করেছে, জানি না। শুধু এটুকু বুঝতে পারছি, নন্দলালের চুরির টাকায় মঞ্চ করে সাধু সাজার ভান। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্র নাকি টাকা দিচ্ছে না? কেন দেবে? আপনার নেতার বান্ধবীর বাড়িতে ৫০ কোটি করে জমাবেন, সেই চুরির জন্য টাকা দেওয়া হবে? সুকান্ত বলেন, সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটি পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে বোকা বানিয়েছেন। এদিনের মঞ্চে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় পুকুর চুরি যাঁরা করেছেন, যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা কেউই ছাড় পাবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে উদ্ধার বোমা! কোথায় জানেন?

    Madan Mitra: মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে উদ্ধার বোমা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসক দলের পক্ষ থেকে বোমা, গুলি মজুত করা হচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ করছে বিরোধীরা। এবার বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগই প্রমাণিত হল কামারহাটিতে। কামারহাটির ষষ্ঠীতলায় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) ঘনিষ্ঠ দলীয় কর্মীর নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করল কামারহাটি থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী পলাতক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ দলীয় কর্মীর ওই আবাসনের মধ্যে কী করে বোমা এল তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই নির্মীয়মাণ আবাসনের আশেপাশে প্রচুর বসতি রয়েছে। ফলে, বোমা ফেটে গেলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা ছিল। তাই, এই বিষয়ে প্রশাসনের কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, বোমাগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কতগুলি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ? Madan Mitra

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটি ষষ্ঠীতলায় একটি আবাসন তৈরির কাজ চলছে। আবাসনটি মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ রিন্টু নামে এক তৃণমূল কর্মীর। বুধবার রাতে পুলিশ সেই নির্মীয়মাণ আবাসনে হানা দেয়। সেখান থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করে কামারহাটি থানার পুলিশ। এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই তৃণমূল কর্মী।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Madan Mitra

    এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা কমল দাস বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। মদন মিত্র (Madan Mitra) আমাদের জননেতা। তাঁর সঙ্গে অনেকেই ছবি তোলেন। মদন মিত্রের (Madan Mitra) সঙ্গে কারও ছবি থাকলে সে তাঁর ঘনিষ্ঠ হবে এটা সম্ভব নয়। আমাদের বিধায়কের নাম জড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে সঠিক সত্য বেরিয়ে আসবে। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী রিন্টু জানিয়েছেন, তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Madan Mitra

    এই বিষয়ে বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, কামারহাটিতে মদন মিত্র (Madan Mitra) এই ধরনের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে ঘোরাফেরা করেন। তাই, এই ধরনের ঘটনা ঘটবে, এটাই স্বাভাবিক। এসব দেখে কেউ আর তৃণমূল কংগ্রেস করতে চাইছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Army: প্রশিক্ষণ চলাকালীন বারাকপুর সেনা ছাউনিতে মৃত্যু দুই জওয়ানের! কী করে ঘটল দুর্ঘটনা?

    Army: প্রশিক্ষণ চলাকালীন বারাকপুর সেনা ছাউনিতে মৃত্যু দুই জওয়ানের! কী করে ঘটল দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে প্রশিক্ষণ চলার সময় জলে ডুবে মৃত্যু হল দুই জওয়ানের। এছাড়াও আরও এক জওয়ান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে সেনা (Army) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম লেংখোলাল এবং অলড্রিন হিমিংথানজুয়ালা। লেংখোলাল নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন। আর সিপাই পদে কর্মরত ছিলেন অলড্রিন। দুজনেই ১৬ নম্বর আসাম রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। একজনের বাড়ি নাগাল্যান্ড। অন্যজনের বাড়ি মিজোরাম। ইতিমধ্যেই দুই সেনা (Army) জওয়ানের দেহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে। নিয়ম মেনে মৃতদের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। তবে, প্রশিক্ষণ চলাকালীন এই ঘটনা কী করে ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী করে মৃত্যু হল দুই সেনা জওয়ানের? Army

    বুধবার বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে অ্যাসল্ট রিভার প্রশিক্ষণ নামে বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছিল। মূলত, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেনা জওয়ানদের দড়ি ধরে জলাশয়ের ওপর দিয়ে পারাপার হতে হয়। সেনা (Army) সূত্রে জানা গিয়েছে, আসাম রেজিমেন্ট থেকে ওই জওয়ানরা এই বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন। ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে বিশাল জলাশয়ের ওপর চলছিল এই প্রশিক্ষণ। নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ করা হয়। দুর্ঘটনার দিন ৬ জন জওয়ানকে নিয়ে প্রশিক্ষণ চলছিল। প্রথম তিনজন নিয়ম মেনেই দড়ি ধরে জলাশয় পারাপার করেন। কারও কোনও সমস্যা হয়নি। পরের তিনজন দড়ি ধরে ওই জলাশয়ের ওপর দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। দড়ি ছিঁড়ে তিনজন জওয়ান জলাশয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তলিয়ে যান। যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশিক্ষকের উদ্যোগে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনজনকে জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দুজনের মৃত্যু হয়। অন্যজন এখনও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তবে, এই ধরনের দুর্ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি। তাই, প্রশিক্ষণ করতে এসে দুই সেনা জওয়ানের মৃত্যুতে বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে ধুন্ধুমার হাওড়ার (Howrah) কাজিপাড়ায়। শোভাযাত্রায় ছোড়া হল বোমা, পেট্রল বোমা। রাস্তার ধারের দোকান ভাঙচুর। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল ফুটপাতের কয়েকটি দোকানেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ছিল রামনবমী। এদিন সন্ধ্যায় হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারের কাছে শোভাযাত্রায় আয়োজন করেছিল অঞ্জনীপুত্র সেনা। শোভাযাত্রা যখন কাজিপাড়া এলাকায় আসে তখন আচমকাই হামলা চালানো হয়। শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা, পেট্রল বোমা। বিয়ারের বোতল, কাচের বোতলও ছোড়া হয়। জখম হন প্রায় ১৫ জন।

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি…

    ঘটনার জেরে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা তল্লাট। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অঞ্জনীপুত্র সেনারা। অভিযোগ, তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। আয়োজকদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় যারা হামলা চালাল, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

    অঞ্জনীপুত্র সেনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সুরেন্দ্র বাবা বলেন, প্রশাসনের সুবিধার্থে এদিন অঞ্জনীপুত্র সেনা, বিশ্বহিন্দু পরিষদ সহ ৪২টি সংগঠন এক সঙ্গে এই শোভাযাত্রা (Ram Navami) বের করে। পুলিশ প্রশাসনকে এই শান্তিপূর্ণ মিছিলের সুরক্ষার জন্য আগাম জানানো হয়েছিল। যদিও গত বছরের মতো এবারও সন্ধ্যা বাজার এলাকায় মিছিল প্রবেশের পরেই হামলা হয়। তাঁর প্রশ্ন, হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করলে কীসের সমস্যা আক্রমণকারীদের?

    আরও পড়ুুন: স্ল্যাব ভেঙে ৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়লেন পুণ্যার্থীরা, মধ্যপ্রদেশে মৃত ১৩

    প্রসঙ্গত, গত বছরও এই সন্ধ্যাবাজার এলাকায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় ইট ও কাচের বোতল ছোড়া হয়েছিল। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলের উসকানি আর পুলিশের অতিসক্রিতায় এই ঘটনা ঘটেছে। এদিন হাওড়া ময়দান ও শিবপুর সংলগ্ন এলাকায়ও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এসেছে। বিরাট পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    ঘটনার জেরে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন উদ্যোক্তাদের একাংশ। রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে তিনি বলেছিলেন, রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। সবার নিজের নিজের ধর্মাচরণের অধিকার রয়েছে। কিন্তু মিছিলের নামে একটাও মুসলিম এলাকায় হামলা হলে ছেড়ে কথা বলব না। এদিকে, এদিন হাওড়ার রামরাজাতলা এলাকায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, উনিই (মুখ্যমন্ত্রী) অশান্তির কারণ। এদিন গুজরাটের ভাদোদরার ফতেপুরার একটি শোভাযাত্রায়ও পাথর ছোড়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital: সদ্যোজাতের মুখ দেখতে লাগে ৫০০ টাকা! হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে শুনলেন মহকুমা শাসক, কোথায় জানেন ?

    Hospital: সদ্যোজাতের মুখ দেখতে লাগে ৫০০ টাকা! হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে শুনলেন মহকুমা শাসক, কোথায় জানেন ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সদ্যোজাত শিশুর মুখ দেখতে পরিবারের লোকজনকে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা করে দিতে হয়। মহকুমা শাসকের কাছে এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন প্রসূতিদের পরিবারের লোকজন। আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Hospital) এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রসূতিদের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ,  এমনিতেই আয়াদের প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। তারপরও সদ্যোজাতের মুখ দেখার জন্য অতিরিক্ত টাকা কেনো দিতে হবে? এই হাসপাতালের (Hospital)  চতুর্থ শ্রেণী কর্মী, সাফাই কর্মীকেও দিতে হয় টাকা। আবার চিকিৎসার সরঞ্জাম পরিষ্কার করার জন্যও আলাদা করে টাকা দিতে হয়। সমস্ত বিষয়টি তাঁরা মহকুমা শাসককে জানান।

    অভিযোগ পেয়ে কী করলেন মহকুমা শাসক? Hospital

    বুধবার আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার আচমকাই হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন। হাসপাতালের (Hospital) বিভিন্ন ওয়ার্ড তিনি ঘুরে দেখেন। ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত শূন্য দেখে নিজে রক্ত দিয়ে বাকীদের রক্ত দেওয়ার জন্য উত্সাহ দেন। এতক্ষণ সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু, তাল কাটল প্রসূতিদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে। এমনিতে সদ্যোজাতদের মুখ দেখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে টাকা নেওয়ার জুলুমবাজির জন্য প্রসূতির পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। মহকুমা শাসককে সামনে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন। মহকুমা শাসক অভিযোগ শুনে ওই হাসপাতালের (Hospital) সকল আয়াকে ডেকে পাঠান। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে (Hospital) ১৪ জন আয়া কাজ করেন। সকলেই সেখানে হাজির হন। পাশাপাশি হাসপাতালের (Hospital) অন্যান্য কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়। মহকুমা শাসক আয়াদের ধমক দিয়ে প্রসূতির পরিবারের কাছে থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। মহকুমা শাসক হাসপাতাল (Hospital) পরিদর্শনের সময় একজন আয়া এক প্রসূতির পরিবারের লোকজনের কাছে থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা ওই আয়া সঙ্গে সঙ্গে ফেরত দিয়ে দেন। বাকীরাও মহকুমা শাসকের সামনে টাকা ফেরত দিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে। মহকুমা শাসকের নির্দেশে হাসপাতালে (Hospital)  প্রসূতিদের পরিবারের লোকজনের কাছে টাকা নেওয়ার অভিযোগ যে সব আয়াদের বিরুদ্ধে উঠেছিল, তাদের বের করে দেওয়া হয়। পরে, মহকুমা শাসক বলেন, হাসপাতালের (Hospital) মধ্যে এসব কারবার চলতে দেওয়া হবে না। কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indore Madhya Pradesh: স্ল্যাব ভেঙে ৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়লেন পুণ্যার্থীরা, মধ্যপ্রদেশে মৃত ১৩

    Indore Madhya Pradesh: স্ল্যাব ভেঙে ৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়লেন পুণ্যার্থীরা, মধ্যপ্রদেশে মৃত ১৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী উপলক্ষে গিয়েছিলেন পুজো দিতে। ফিরলেন লাশ হয়ে। নিমেষেই ম্লান হয়ে গেল উৎসবের আমেজ। শোকস্তব্ধ মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের (Indore Madhya Pradesh) শ্রী বালেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ছিল রামনবমী। এদিন সকাল থেকেই শ্রী বালেশ্বর মন্দিরে ভিড় করেন কয়েকশো পুণ্যার্থী (Pilgrims)। ভিড়ের কারণে ভাল করে পুজো দেখতে পাচ্ছিলেন না অনেকে। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন উঠে পড়েছিলেন মন্দির চত্বরে থাকা একটি কুয়োর কংক্রিটের স্ল্যাবের ওপর।

    মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে (Indore Madhya Pradesh) দুর্ঘটনা…

    কুয়োটি বেশ পুরনো। দুর্ঘটনা রুখতে কুয়োর মুখ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল স্ল্যাব দিয়ে। আচমকাই ভেঙে পড়ে স্ল্যাব। ৫০ ফুট নীচে পড়ে যান বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন বহু। কুয়োর নীচে কতজন চাপা পড়ে রয়েছেন, এদিন সন্ধে পর্যন্ত অবশ্য তা জানা যায়নি। মধ্যপ্রদেশের (Indore Madhya Pradesh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেন, এই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ উদ্ধার হয়েছে ১১ জনের। তাঁদের মধ্যে ১০ জন মহিলা, একজন পুরুষ। ১৯ জনকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। তিনি জানান, কুয়োয় এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যাঁরা কুয়োয় পড়ে গিয়েছেন, তাঁদের উদ্ধার করতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুুন: ২২ লাখি গাড়ি কিনে দলেই সমালোচনার মুখে সর্বহারার নেতা শতরূপ

    তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি বেদনাদায়ক। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শোক প্রকাশ করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও। শোক প্রকাশের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন শিবরাজের সঙ্গে। পরে রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার করে টাকা। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।

    দুর্ঘটনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের (Indore Madhya Pradesh) পাশাপাশি মন্দির কমিটিকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, রামনবমী উপলক্ষে ফি বার ভিড় হয় এই মন্দিরে। তার পরেও দুর্ঘটনা রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? কেনই বা পরীক্ষা করা হয়নি কুয়োর উপরের কংক্রিটের স্ল্যাব?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পরই হামলা! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুজনের, জখম একাধিক কর্মী, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    Attack: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পরই হামলা! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুজনের, জখম একাধিক কর্মী, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল চোপড়া। প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘাবানা এলাকায়। দলীয় কর্মীদের হামলায় (Attack) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল দুজন তৃণমূল কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম ফয়জুল রহমান (৫৪) এবং হাসু মহম্মদ (৪৫)। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফয়জুলের মৃত্যু হয়। হাসু মহম্মদকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন জখম হন। তাঁদের দলুয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চোপড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।

    প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পর কেন গুলি চলল? Attack

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে এদিন দিঘাবানা এলাকায় বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে কে এবার প্রার্থী হবে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। প্রার্থী ঠিক করার জন্য কোর কমিটির সদস্যরা আসেন। বহু আলোচনার পর দুজনের নাম ঠিক হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নাসিরের এক অনুগামীকে প্রার্থী হিসেবে ঠিক করা হয়। আর শামসুল রহমান নামে অন্য এক তৃণমূল কর্মীর নাম ঠিক হয়। মৃত তৃণমূল কর্মী ফয়জুলের ভাই শামসুল। কিন্তু, বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত নাসির ও তাঁর অনুগামীদের পছন্দ হয়নি। বৈঠক শেষ হওয়ার পর সকলেই বেরিয়ে আসেন। শামসুলের অনুগামীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। যেটা নাসির ও তাঁর অনুগামীরা সহ্য করতে পারেনি। মৃত তৃণমূল কর্মীর ভাই মহম্মদ আব্বাস বলেন, নাসিররা একজনের নাম পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু, বৈঠকে কোর কমিটির নেতারা দুটি নাম নিয়ে যান। সেটা নাসির ও তার দলবলের পছন্দ হয়নি। বৈঠক শেষে সকলেই বাড়ি ফিরছিলাম। সবাই আনন্দে ছিলাম। আচমকা রাস্তায় উঠতেই নাসির ও তার লোকজন হামলা (Attack)  চালায়। আমাদের লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালানো শুরু করে। সূত্রের খবর, বুথ কমিটির বৈঠকে পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে দুই শিবিরের বচসা হয়। তখনকার মতো মিটেও যায়। কিন্তু, বাড়ি ফেরার সময় বাইরের কিছু দুষ্কৃতী এসে ফয়জুল ও হাসু মহম্মদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেখানেই দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। গুলি লাগে আরও কয়েকজনের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এগুলি সবই ছড়রা গুলি।

    কী বললেন মৃত তৃণমূল কর্মীর ছেলে? Attack

    মৃত তৃণমূল কর্মীর ছেলে কাদের রহমান বলেন, বুথের মিটিং দেখতে এসেছিল বাবা। এবার পঞ্চায়েতে যে প্রার্থী হবে তার দিকে বাবার সমর্থন রয়েছে। এটাই অপরাধ। এরজন্যই বাবাকে ওরা প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে দিল। আরও অনেকের গুলি লেগেছে। বাবা মাটিতে পড়ে যেতেই আমরা ছুটে যাই। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানেই বাবার মৃত্যু হয়। যাদের গুলিতে আমার বাবার প্রাণ গেল, তারা সবাই তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট। এলাকায় তৃণমূল এখন দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? Attack

    গোষ্ঠীকোন্দলকে কেন্দ্র করে শাসক দলের মুখ পুড়েছে। দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃত পরিবারের লোকজন। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বিজেপির সহ সভাপতির কী বক্তব্য? Attack

    বিজেপির সহ সভাপতি সুরজিত্ সেন বলেন, প্রার্থী নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। দলীয় কর্মী খুন হয়ে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট আসার আগে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। আর পঞ্চায়েত ভোট কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা বোঝাই যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shatarup Ghosh: ২২ লাখি গাড়ি কিনে দলেই সমালোচনার মুখে সর্বহারার নেতা শতরূপ

    Shatarup Ghosh: ২২ লাখি গাড়ি কিনে দলেই সমালোচনার মুখে সর্বহারার নেতা শতরূপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সর্বহারার নেতা। তিনি কিনেছেন ২২ লাখি বিলাসবহুল গাড়ি (Luxury Car)। তিনি শতরূপ ঘোষ (Shatarup Ghosh)। যাঁর গাড়ি নিয়ে আপাতত সরগরম রাজ্যরাজনীতি। বাম কর্মী ও তাঁদের পরিবারের দ্বারা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ট্রোলড হচ্ছেন শতরূপ। কেবল তাই নয়, তৃণমূলের তরফেও নিশানা করা হয়েছে বামপন্থী নেতা শতরূপকে। বৃহস্পতিবার তারই জবার দিলেন শতরূপ। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের প্রশ্নের জবাব দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন গাড়ি কেনার টাকার উৎসও।

    শতরূপ ঘোষ (Shatarup Ghosh)…

    মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করেন শতরূপকে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, শতরূপ সম্প্রতি ২২ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ি কিনেছেন। সিপিএমের সর্বক্ষণের কর্মী হয়েও কীভাবে এত দামি গাড়ি তিনি কিনলেন, প্রশ্ন কুণালের। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া শতরূপের সম্পত্তির হিসাবও প্রকাশ্যে এনে দেখিয়েছেন কুণাল।

    তৃণমূল মুখপাত্রের জবাব দিতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের পার্টি অফিসকেই বেছে নেন শতরূপ (Shatarup Ghosh)। তিনি জানান, গাড়ি কেনা হয়েছে তাঁর নামে। তবে গাড়ির টাকা দিয়েছেন তাঁর বাবা শিবনাথ ঘোষ। সিংহভাগ খরচই করা হয়েছে চেকের মাধ্যমে। কিছু টাকা নগদেও দেওয়া হয়েছে। খরচের রশিদ দেখিয়ে হিসেব প্রকাশ্যে এনেছেন শতরূপ। কবে, কোন ব্যাঙ্ক থেকে কত টাকা খরচ করা হয়েছে, তাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বাবার ফিক্সড ডিপোজিটে কত টাকা রয়েছে, তাও জানান এই সিপিএম নেতা। শতরূপ বলেন, এর পরেও গাড়ির খরচের বিষয়ে কোনও অনিয়ম চোখে পড়লে শাসকদল আইনি পদক্ষেপ করতেই পারে। তিনি বলেন, আমি কার টাকায় গাড়ি কিনব, তা তৃণমূল ঠিক করে দিতে পারে না।

    আরও পড়ুুন: অয়নকে টাকা না দেওয়ায় চাকরি গিয়েছে বৈধ চাকরিপ্রার্থীদের?

    তৃণমূল মুখপাত্র তাঁর ট্যুইটে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে শতরূপকে (Shatarup Ghosh) কটাক্ষ করেছিলেন। নথি প্রকাশ করে তিনি দেখিয়েছিলেন, হলফনামা অনুযায়ী ওই নির্বাচনে কসবার সিপিএম প্রার্থী শতরূপের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। সেই সম্পত্তি নিয়ে কীভাবে সিপিএমের একজন হোলটাইমার গাড়ি কিনতে এত টাকা খরচ করলেন, সেই প্রশ্ন তোলেন কুণাল। এদিন তারই জবাব দেন এই সিপিএম নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • NCLAT: গুগলের বিরুদ্ধে জরিমানায় শিলমোহর ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের

    NCLAT: গুগলের বিরুদ্ধে জরিমানায় শিলমোহর ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল (Google) অ্যানড্রয়েড মার্কেটে তার ডমিনেন্ট পজিশনের অপব্যবহার করেছে। বুধবার কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার (CCI) সঙ্গে এ ব্যাপারে সহমত পোষণ করল ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল (NCLAT)। কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া গুগলের যে ১ হাজার ৩৩৭.৭৬ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল, তাতেও শিলমোহর দিয়েছে ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি অশোক ভূষণ ও টেকনিক্যাল মেম্বার ডঃ অলোক শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ। গত বছর অক্টোবরে পাশ হয়েছিল কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার অর্ডার। সে ব্যাপারে বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কমিশন অনুসন্ধান করে যা পেয়েছে, তা রেকর্ড করেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তেও পৌঁছেছে।

    ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল (NCLAT)…

    প্রসঙ্গত, বিশ্বের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের বিরুদ্ধে প্রতিযোগী সার্চ ইঞ্জিনগুলির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক আচরণের অভিযোগ ছিল। প্রতিযোগীদের রাস্তা থেকে সরাতে তারা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে বলেও অভিযোগ জমা পড়েছিল ভারতে এই বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার কাছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করে পৃথিবীর বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন গুগলকে ১ হাজার ৩৩৭.৭৬ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল কমিশন। তার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে (NCLAT) আবেদন জানায় গুগল। ট্রাইবুনাল তা শুনতে অস্বীকার করে।

    আরও পড়ুুন: সাংসদ পদ ফিরে পেলেন এনসিপি সাংসদ, আশার আলো দেখছে কংগ্রেস

    তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় গুগল। ভারতের শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয় সংস্থার তরফে। আগামী ১৬ জানুয়ারি সেই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি করতে সম্মতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে বেঞ্চ গুগলকে কিছুটা স্বস্তিও দিয়েছে। কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া গুগলের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, সেগুলি আপাতত সরিয়ে রাখা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি (NCLAT) হল, গুগল প্লে সার্ভিসেস অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেসের অ্যাক্সেস ডিনাই করতে পারবে না। ইউজাররা আগে যেসব অ্যাপ ইনস্টল করেছিলেন, সেগুলিকে আনইনস্টল করতে পারবে না। এছাড়াও আরও কয়েকটি রেস্ট্রিকশানও রয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
     
LinkedIn
Share