Tag: bangla news

bangla news

  • Indian High Commission London: ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ার জের! লন্ডনে কড়া নিরাপত্তা ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে

    Indian High Commission London: ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ার জের! লন্ডনে কড়া নিরাপত্তা ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian High Commission London) পতাকা নামিয়ে নিয়েছিলেন খালিস্তানপন্থীরা। তার জেরে ভারতীয় (India) হাইকমিশনের সামনে আরও আঁটসাঁট করা হল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বুধবার বিকেলে ব্যারিকেড দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় ভারতীয় হাইকমিশন। মোতায়েন করা হয় পুলিশ আধিকারিক ও টহলদার পুলিশকর্মীদের।

    খালিস্তানের পক্ষেও স্লোগান…

    এদিকে, এদিন দুশোরও বেশি খালিস্তানপন্থী সান ফ্রান্সসিসকোতে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে খালিস্তানের পতাকা দেখাতে থাকেন। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা খালিস্তানের পতাকা ওড়াতে থাকেন। খালিস্তানের পক্ষেও স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, রবিবার লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian High Commission London) অফিসে ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেন সে দেশে বসবাসকারী খালিস্তানপন্থীরা। তার জেরে দু দেশের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত হয়। ঘটনার জেরে ব্রিটেনকে কড়া বার্তা দেয় ভারত। তার ফলে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশন অফিসে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ব্রিটিশ সরকার।

    ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসে ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সোম ও মঙ্গলবার দিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশন অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি ও শিখদের কয়েকটি সংগঠন। সেদিন বিক্ষোভকারীদের রুখতে হাইকমিশন অফিস ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। সিমেন্টের ব্লক দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল ব্রিটিশ দূতাবাস ও দূতের বাড়ি। মোতায়েন করা হয়েছিল বাড়তি পুলিশও। বুধবার সিমেন্টের ব্লক সরিয়ে দিয়ে নিরাপত্তা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: পাক-সীমান্তে সারদা মন্দির উদ্বোধন অমিত শাহের, দিলেন বড় প্রতিশ্রুতি

    কূটনৈতিক মহলের ধারণা, রবিবার যেভাবে বিনা বাধায় খালিস্তানপন্থীরা লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে তাণ্ডব চালিয়েছেন, তা ভালভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। তাণ্ডব চালানোর সময় খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের সমর্থকরা দূতাবাসে (Indian High Commission London) টাঙানো ভারতের জাতীয় পতাকা খুলে নেন। তার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় ভারতের তরফে। আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা, দিল্লির ব্রিটিশ হাইকমিশনের সামনে থেকে ব্যারিকেড তুলে নেওয়া তারই প্রতিক্রিয়া।

    গত শনিবার থেকে খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপালকে ধরতে উঠেপড়ে লেগেছে পঞ্জাব পুলিশ। তাঁর সংগঠন ওয়ারিস পঞ্জাব দে-র সঙ্গে যুক্ত শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে অমৃতপালের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনও রয়েছেন। তবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এখনও অধরা অমৃতপাল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • Sukanta Majumdar: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। এই অয়নের সংস্থার মাধ্যমেই রাজ্যের ৬০ পুরসভায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে স্পষ্ট হয়েছে ইডির তদন্তে। তার জেরে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে চিঠি দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। চিঠিতে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির কেন্দ্রীয় তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। অবিলম্বে কেন্দ্রের তহবিলের টাকা দেওয়া বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন ওই চিঠিতে। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠি পেয়ে পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্র। মিড-ডে মিল ও আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) জানান, নগরোন্নয়ন মন্ত্রক দেশের পুরসভাগুলিকে টাকা দেয়। এ রাজ্যের পুরসভাগুলিও টাকা পায় কেন্দ্র থেকে। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রের অবগত থাকা উচিত। সুকান্ত বলেন, ৬০টি পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের টাকা না দিয়ে কেউ চাকরি পায়নি, একজনও নয়। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া উচিত। কেন্দ্রের কাছে তদন্তের টিম পাঠানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

    অয়নকে গ্রেফতার করার পরেই ইডির হাতে এসেছে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য। ঝাড়ুদার থেকে ক্লার্ক, পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দিতে ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের মাধ্যমে একাধিক পুরসভায় চুক্তি হত বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার পরীক্ষার ওএমআর শিট।

    আরও পড়ুুন: ইডির দফতরে হাজিরা শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশের! আর কী কী তথ্য পেল তদন্তকারীরা?

    অয়নের মামলা চলাকালীন আদালতে ইডি জানিয়েছে, অয়নের সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের ৬০টিরও বেশি পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আর সেই সবকটি ক্ষেত্রেই হয়েছে দুর্নীতি। প্রায় ৫ হাজার প্রার্থীর চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। কামারহাটি, হালিশহর, পানিহাটি, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, ডায়মন্ড হারবার সহ বিভিন্ন পুরসভার নাম রয়েছে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তালিকায়। প্রশ্ন হল, কলকাতা পুরসভায় নিয়োগেও কি অয়ন প্রভাব খাটিয়েছিল? কারণ, ইডির সিজার লিস্টে উল্লেখ রয়েছে, অয়নের অফিসে তল্লাশির সময় মিলেছে কলকাতা পুরসভাকে দেওয়া একটি চিঠির কপি। চিঠিটি লিখেছেন একজন চাকরিপ্রার্থী। একটি ড্রাফট লেটারও উদ্ধার হয়েছে। প্রণব নামে কেউ একজন ওই চিঠি পাঠিয়েছেন পুরসভার মেয়রকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Scam: ১১ জনকে নিয়োগ করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ তৃণমূল বিধায়কের, কোন পদে চাকরি জানেন?

    Scam: ১১ জনকে নিয়োগ করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ তৃণমূল বিধায়কের, কোন পদে চাকরি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) নিয়ে রাজ্যে এখন তোলপাড় চলছে। আদালতের নির্দেশে, দুর্নীতিতে (Scam)  জড়িত থাকার অভিযোগে একের পর এক শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। নতুন করে আরও অনেকের চাকরি যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় ১১ জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন করে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়ে সুপারিশ করেছিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক। সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এমনিতেই নিয়োগ  দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী  থাকার সময় বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক নিজের প্যাডে লিখে তাদের চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া চিঠিতে কী রয়েছে? (Scam)

    তৃণমূল বিধায়ক ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। বিধায়কের প্যাডে চিঠি লেখা হয়েছিল। চিঠিতে  তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করা হয়, তাঁর মনোনীত ১১ জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। ওই প্যাডে ছেলেমেয়েদের নাম, রোল নম্বর সহ অন্যান্য তথ্য দেওয়া রয়েছে। চিঠির নীচে বিধায়কের সই এবং স্ট্যাম্প দেওয়া রয়েছে। দুর্নীতিকাণ্ড সামনে আসতেই তৃণমূল বিধায়কের এই চিঠি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। চিঠির বিষয়টি সামনে আসতেই বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। বিস্তারিত জেনে এব্যাপারে বলতে পারব।

    চিঠি নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা? Scam

    বিজেপির বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) যে ভাবে একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যাচ্ছে তাতে সারা দেশের কাছে এই রাজ্যের শিক্ষার মান একেবারে তলানিতে নামিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক যে ১১ জনের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করেছিলেন, কত টাকার বিনিময়ে তাদের চাকরি হয়েছে তা সকলেই জানতে চায়। মেধাবীদের বাদ দিয়ে এভাবে ঘুর পথে কাটমানির বিনিময়ে চাকরির সুপারিশের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। আর এই ঘটনায় তদন্তের দাবি করছি।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গরু পাচার কাণ্ডে এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর এককালের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, সকলেই একসময় আসানসোল জেলেই ছিলেন। তাঁদের কারাবাসের সময় সংশোধানাগারের সুপার থেকেছেন কৃপাময় নন্দী। এবার গরু পাচারকাণ্ডে আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জেল সুপারকে শুধু দিল্লিতে ডাকা হয়েছে এমন নয়, তাঁকে আগামী ৫ এপ্রিল তাঁর যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সহ আসতে বলেছে ইডি। এদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে জেল সুপার বলেছেন,”ই-মেল পেয়েছি। তবে কি কারণে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তা বলতে পারব না। আমি উচ্চ আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যেমন বলবেন আমি সেই পথেই চলব।” গরু পাচারকাণ্ডে দীর্ঘদিন আসানসোল জেলে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অভিযোগ, এই সময় জেল থেকেই তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিতেন কেষ্ট। নিজের জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখতেন তিনি। বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ নিজেই এই অভিযোগ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। কেষ্টর দিল্লি যাত্রা আটকাতে অবশ্য অনেক চেষ্টাই করা হয়েছিল। বীরভূম জেলার নেতারা প্রকাশ্য সভায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে দিতেই পরিকল্পিতভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে নিজে বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত আসছে বলে কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে।’ মমতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধীরা বলেছিলেন, ‘এর থেকেই স্পষ্ট যে অনুব্রত জেলে বসেই দলের কাজ করছিলেন।’ আর এই সব বিতর্কের মাঝেই এবার আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে ইডির তলব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    জেল সুপারকে কী জিজ্ঞাসা করতে পারে ইডিAnubrata Mondal

    তিহার জেলের আগে বেশ কয়েকমাস আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন অনুব্রত। যদিও সেই সময় সংশোধনাগারে বহাল তবিয়তে থাকতেন অনুব্রত (Anubrata Mondal), এই অভিযোগ বারে বারে করেছে বিরোধীরা। এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে জেলে কারা দেখা করতে আসত, তা জানতে চাওয়া হতে পারে জেল সুপারের থেকে। এদিকে অনুব্রত যখন আসানসোল সংশোধানাগারে ছিলেন, তখন বেশ কিছু বিষয়ে ইডির প্রশ্নের মুখে পড়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, দিল্লি যাত্রার সময় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল জেল কর্তৃপক্ষের ওপর। সেই সময় কচুরির দোকানে জেলবন্দি অনুব্রত (Anubrata Mondal) দিব্যি বসে তৃণমূলের এক যুবনেতা এবং মেয়ে সুকন্যার গাড়ির চালকের সঙ্গে ‘বৈঠক’ করেছিলেন, যা নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার খোদ জেল সুপারকেই দিল্লিতে তলব করল ইডি।  

    দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁকে রাখা হবে তিহার জেলে। পাশাপাশি দিল্লির আদালত অনুব্রতর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ এপ্রিল। অন্যদিকে, কাকতালীয় হলেও তিহার জেলে এখন রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী ও গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naihati: অয়নের হাত ধরে পুরসভায় চাকরি নৈহাটির শ্বেতার! মেয়েকে নিয়ে কী বললেন বাবা?

    Naihati: অয়নের হাত ধরে পুরসভায় চাকরি নৈহাটির শ্বেতার! মেয়েকে নিয়ে কী বললেন বাবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কামারহাটি পুরসভা সহ ব্যারাকপুর মহকুমার একাধিক পুরসভায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন। রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় নিয়োগ নিয়ন্ত্রণে অয়নের হাত ছিল। এই কামারহাটি পুরসভায় অয়নের হাত ধরেই চাকরি পেয়েছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। বর্তমানে তিনি কামারহাটি পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। নৈহাটির (Naihati) বাড়ি থেকে তিনি যাতায়াত করতেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে এবং ২০১৯ সালে দুটি অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। আর ২০১৯ সালে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। সবমিলিয়ে ১০৪ এবং ১২৫ জনকে পুরসভায় নিয়োগ করা হয়। আর সবটাই অয়নের কোম্পানির হাত ধরে হয়েছে। দেখা যায়, পুরসভায় নিয়োগ হওয়া ২২৯ জনের মধ্যে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। তিনি এর আগে হুগলির জিরাট পঞ্চায়েতে চাকরি করতেন। ফলে, এই কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগের সময় তাঁরা চাকরি পাওয়ার ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ইডি তাঁর চাকরি পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

    শ্বেতাকে কত টাকা দিয়েছিলেন অয়ন, জানেন কী ? Naihati

    এবার শ্বেতার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তদন্তে নেমে ইডি (ED) জানতে পেরেছে। অয়নের সঙ্গে সখ্যতা হওয়ার পর শ্বেতা ফুলেফেঁপে ওঠে। কামারহাটিতে তিনি একটি ফ্ল্যাট কেনেন। সেখানেই অয়ন আর শ্বেতা মামা-ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে মাঝে মধ্যে থাকতেন। আবাসনের আবাসিকরা সে কথা স্বীকার করেছেন। গাড়িতে করে তাঁরা আসতেন বলে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে পাঁচ দফায় ৫৫ লক্ষ টাকা গিয়েছিল। এমনকী শ্বেতার গাড়ি কেনার পয়সা দিয়েছিল অয়ন।

    শ্বেতাকে নিয়ে কী বললেন তাঁর বাবা? Naihati

    বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরই শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম সামনে আসে। ঘটনার দুদিন কেটে গেলেও তাঁর হদিশ পাননি কেউ। এমনকী নৈহাটির (Naihati) বাড়িতে গিয়েও শ্বেতার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবা অরুণ চক্রবর্তী বলেন, আমার মেয়ে পড়াশুনায় ভালো ছিল। মাধ্যমিকে স্টার পেয়েছিল। হুগলি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করেছিল। প্রথমে সে দমদমে চাকরি করত। পরে, হুগলির জিরাটে চাকরি পায়। এখন ও কামারহাটি পুরসভায় রয়েছে। ও নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। অয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, মেয়ে বড় হয়েছে। ও কার সঙ্গে মেলামেশা করছে তা জানা সম্ভব নয়। অয়নের সঙ্গে আমাদের পরিচয় নেই। তবে, মেয়ে দোষ করে থাকলে শাস্তি পাবে। কারণ, আমাদের নামে পাড়ায় কোনও বদনাম নেই। তাই, আমি এখনও বিশ্বাস করি, মেয়ে কোনও খারাপ কাজ করবে না। আর এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শ্বেতার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ও আমাদের ফোন করেনি। এখন ও কোথায় আছে জানি না। তবে, ইডি ডাকলে শ্বেতা সবসময় তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Conflict: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে হামলা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    Conflict: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে হামলা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে মালদহ জেলায় তৃণমূলের কোন্দল (Conflict) প্রকাশ্যে চলে আসছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পর এবার মানিকচক থানার নুরপুর এলাকা। প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মানিকচক থানার নুরপুর এলাকায়।  বৈঠক চলাকালীন তৃণমূলের একাংশ কর্মীদের নিজেদের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তবে, গন্ডগোল শুধু হাতাহাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। আর তাতে চারজন কর্মী জখম হন। খবর পেয়ে নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বরমপুর এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। এর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েতের একাধিক বুথে প্রার্থী নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। দলীয় নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে, প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে দলীয় কোন্দলের (Conflict) জেরে  নুরপুরে রক্তপাতের ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল?

    এদিন নুরপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বরমপুর বুথের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা বৈঠক হয়। সেখান চারজনের নাম ঠিক করা হয়। শেখ রজিম নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, দলীয় নেতাদের সামনে বুথে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা চলছিল। আচমকাই জাবির শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায়। আমাদের মারধর করা হয়। বৈঠকে যে প্রার্থী ঠিক করা হয় তা জাবিরদের পছন্দ নয়। তারা এই এলাকায় নিজেদের মতো প্রার্থী দেবে। সেই প্রার্থী আমাদের মানতে হবে। এটা হতে পারে না। হামলার জেরে চারজন জখম হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। দলীয় নেতৃত্বকে সব কিছু জানানো হয়েছে। তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, প্রার্থী নিয়ে মতানৈক্য (Conflict) হয়েছিল। তাতে সামান্য গন্ডগোল হয়। পরে, দুপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে।

    সিপিএমের  মানিকচক-১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক মহম্মদ আমিরুল হক বলেন, তৃণমূলের সব জায়গায় গোষ্ঠী কোন্দল (Conflict) হচ্ছে। আসলে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারলেই পাঁচ বছর ধরে চুরি করার সুযোগ মিলবে। সেটা কেউ হাত ছাড়া করতে চাইছে না বলেই গন্ডগোল হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Zilla Parishad: মহিলার পায়ে ধরলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি! কেন জানেন?

    Zilla Parishad: মহিলার পায়ে ধরলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার শাসক দল। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসংযোগ নিবিড় করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচি। কিন্তু, সেই কর্মসূচি সফল করতে গিয়ে এভাবে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে তা ভাবতে পারেননি হুগলি জেলা পরিষদের (Zilla Parishad) সভাধিপতি মেহেবুব রহমান। গোঘাটের মান্দারণ পঞ্চায়েতের তারাহাট এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী বিক্ষুব্ধ এক মহিলার পায়ে ধরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি। যা দেখে গ্রামবাসীরা হতবাক হয়ে যান। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাটের মান্দারণে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যোগ দেন জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি মেহেবুব রহমান। দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তারাহাট গ্রামে যেতেই ক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা।

    তৃণমূল নেতাদের দেখে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান কেন? Zilla Parishad

    দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গ্রামে জেলা পরিষদের (Zilla Parishad) সভাধিপতি আসছেন তা এলাকাবাসী আগে থেকেই জানতেন। ফলে, এলাকার মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামে আসতেই বেশ কয়েকজন মহিলা তাঁর সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মূলত তাঁদের অভিযোগ, ভোট এলেই গ্রামে নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ নিতে আসে। কিন্তু, ভোট মিটে গেলে আর নেতাদের দেখা যায় না। এমনকী এলাকার উন্নয়ন করার বিষয়ে কারও কোনও হেলদোল থাকে না।  নেতাদের দেখা করতে গেলে সাধারণ মানুষকে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়। আর এলাকায় আবাসের বাড়ি বিলি করা হয়েছে। প্রকৃত প্রাপকরা বাড়ি পাননি বলেও নেতার সামনে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা। বেগতিক দেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে এক বিক্ষুব্ধ মহিলার পায়েও ধরতে যান সভাধিপতি। অভিযোগ শুনে তা দ্রুত সমাধান করার আশ্বাসও দেন সভাধিপতি।

     হুগলি জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি মেহেবুব রহমান মহিলার পায়ে ধরার প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, কিছু ক্ষোভ থাকতে পারে, তবে এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প, কন্যাশ্রী সহ একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা আমরা এলাকাবাসীকে জানিয়েছি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের আগে পা নিয়ে অনেক নাটক করেছিলেন, এবার হুগলি জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি সেই পথে হাঁটছেন। আসলে সামনে ভোট। তারজন্য মানুষের পায়ে ধরে নাটক করছেন। একসময় এরা মানুষের বুকে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এখন মানুষ সেটা বুঝতে পেরেছে, সে কারণেই ওরা মানুষের পায়ে ধরছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rampurhat: বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়িতে ঢুকতে বাধা তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে! কেন?

    Rampurhat: বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়িতে ঢুকতে বাধা তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রামে শহিদদের প্রথম বর্ষপূর্তি। এদিন শহিদদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়ির সামনে শহিদ বেদি বানিয়েছে বিজেপি। পালটা শহিদ বেদি বানিয়েছে তৃণমূলও। এদিন বেলা ১টা নাগাদ বগটুইয়ে মিহিলাল শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। দলে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, আশিসবাবুকে দেখেই দরজা বন্ধ করে দেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, আশিস ব্যানার্জিকে ভিতরে ঢুকতে দেব না। অনেক চেষ্টাতেও তাদের রাজি করাতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে, আশিসবাবুকে ছাড়াই বাড়িতে ঢোকেন তৃণমূল নেতারা।

    কী বললেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা? Rampurhat

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ বীরভূম জেলার রামপুরহাটের (Rampurhat)  বগটুই গ্রামে ঘটানো হয়েছিল নৃশংস গণহত্যা। শহিদ পরিবারের অভিযোগ, আশিসবাবু বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারগুলির কোনও খোঁজ রাখেননি। ঘটনার পর তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে এলে তাঁর পিছন পিছন এসে মুখ দেখিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের দাবি, বগটুইকাণ্ডে নিহত ১০ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জনের ডেথ সার্টিফিকেট জারি করেছে প্রশাসন। বাকি ৭ জনের ডেথ সার্টিফিকেট এখনও হাতে পাননি পরিবারের সদস্যরা। যার ফলে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে। এখন ঘটা করে লোক দেখানো শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। কিন্তু, আক্রান্তদের পরিবার ও তাঁদের স্বজনরা যে সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ড এখনও ভুলতে পারেননি, ক্ষোভে ফুঁসছেন, সেই আভাস পাওয়া গিয়েছে বগটুই কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী মিহিলাল শেখের পরিবারের কথাতেই। ওই পরিবারের বক্তব্য, “আজ গ্রামে শহিদ দিবস পালন করা হচ্ছে। কিন্তু, এই শহিদ দিবসে যেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে না দেখা যায়, উনি যেন না আসেন। তিনি এলে গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ করবে। তাঁকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না।”

    বগটুইয়ে শহিদ পরিবারে বাধা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? Rampurhat

    শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “একথা আপনারা শুনেছেন। আমি তো শুনিনি। বাধা দেওয়ার কথা কে বলেছে, তাঁকে আমার সামনে নিয়ে আসুন। আর কিছু জানতে চাইলে হত্যাকাণ্ডের আরেক আক্রান্ত ফটিক শেখের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তার পরিবার আমাকে নিয়ে কি কথা বলছে সেটাও শুনে নিন। তাঁদের বাড়িতে জল নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল একবার। তাঁরা আমার কাছে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আমি নিজ উদ্যোগে সেই সমস্যার সমাধান করেছি।” কিন্তু, বেশ কয়েক মাস ধরে কেন আশিসবাবুকে বগটুইয়ের আশেপাশে দেখা যায়নি, এই প্রশ্ন করা হলে এর দায় তিনি মিডিয়া ও বিরোধীদের ওপরে চাপান। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চলছে। তাই, আমি এলাকায় আসিনি। কারণ,  মিডিয়া ও বিরোধী দলগুলি আমার নামে কুৎসা করার সুযোগ পেত, আর বলত যে আমি উপস্থিত থেকে সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছি।”

    বেদী তৈরি ও তাতে শ্রদ্ধা জানানোকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বগটুইয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়ছিল চড়চড় করে। এদিন শহিদ পরিবারের তৃণমূল বিধায়ককে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মণীশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি, কোথায় জানেন?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মণীশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির বিপুল পরিমাণ জমির হদিশ পেল ইডি। এর আগে তাঁর ৮২৫ কাঠা জমির হদিশ মিলেছিল। এবার আরও সম্পত্তির খোঁজ মিলল। ইডি সূত্রে খবর, বোলপুর লাগোয়া রূপপুর এলাকায় একটি বড়সড় সম্পত্তি রয়েছে মণীশের। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০১৩-১৪ থেকে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রতের (Anubrata Mondal)   ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে ওঠেন বোলপুরের চৌরাস্তার বাসিন্দা মণীশ। এর পরই তাঁর সম্পত্তি বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। এমনই একটি সম্পত্তি রয়েছে রূপপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, রূপপুর গ্রামে মণীশের ৩০-৩৫ বিঘা জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা রয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি ঘরও রয়েছে। একটি রিসর্ট তৈরির পরিকল্পনা ছিল বলে জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘আমরা অনেকের মুখেই শুনেছি, এই জমি মণীশ কোঠারির। কয়েক মাস আগেও কাজ হচ্ছিল। হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।’ মণীশ কোঠারি তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)   নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন তিনি। মণীশ আরও জানিয়েছেন, কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলই (Anubrata Mondal)  ।

    বোলপুর চেয়ারপার্সনের নাম মণীশের মুখে, কেন? Anubrata Mondal

     ইডির দাবি, জেরায় মণীশ নাম নিয়েছেন বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষেরও। ইডি সূত্রে খবর, মণীশ জেরায় বলেছেন যে ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে পর্ণা ও সুদীপ্ত অনেক জমি কিনেছেন। বোলপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রেও খবর, ওই সময়ে ইলামবাজারের গোপালনগর মৌজায় পর্ণার নামে প্রায় ৬৮০ কাঠা জমি কেনা হয়েছিল। সেই জমির বর্তমান বাজার মূল্য ১৫ কোটিরও বেশি। এই বিষয়ে পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ বলেন, “আমার স্বামী চাকরি করেন। আমিও একটি স্কুলের সঙ্গীত শিক্ষিকা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছি। ২০১৫ সাল থেকে আমি কাউন্সিলর। চেয়ারপার্সন হিসেবে মাইনে পাই। এই সমস্ত কিছু যোগ করেও আমাদের যা সম্পত্তি আছে, তা ১৫ কোটি হবে না। এ বিষয়ে যদি তদন্তকারীরা আমাদের ডাকেন, নিশ্চয়ই সমস্ত কাগজপত্র দেখিয়ে আসব”।

    বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার নিয়ে কী বলছে বিরোধীরা? Anubrata Mondal

    এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে আক্রমণ করতে দেরি করেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “সঠিক তদন্ত হলে ওঁদের নামে আরও অনেক কিছু বেরোবে”। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “তদন্ত যত এগোবে, ততই এঁদের দুর্নীতির বহর মানুষ বুঝতে পারবেন”।

    সোমবার রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে তোলা হলে তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতের নির্দেশের পর একান্তে স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁর স্ত্রীকে। তবে এদিন ইডি মনীশকে আর তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি করেনি। তবে, জামিন পেলে অনুব্রতর (Anubrata Mondal)   হিসাবরক্ষক তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আদালতে জানান ইডির আইনজীবী। অন্যদিকে, মনীশের জামিন চেয়ে আদালতে আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর মনীশকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর চাপে জলের দরে নিজের সম্পত্তি সুকন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন! ইডিকে মণীশ

    Anubrata Mondal: কেষ্টর চাপে জলের দরে নিজের সম্পত্তি সুকন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন! ইডিকে মণীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁর হিসাবরক্ষক ছিলেন মণীশ কোঠারি। তাঁর উপর একরকম জোর করেই জলের দরে মেয়ে সুকন্যাকে বিপুল টাকার সম্পত্তি হস্তান্তর করতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। এমনটাই জানা গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে। সুকন্যার নামে থাকা এএনএম অ্যাগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থাটি ছিল আদতে মণীশের। তিনি ছাড়াও আরও ১৬ জন ছিলেন ওই সংস্থার অংশীদার। ইডির দাবি, মণীশ তাঁদের জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে এই সংস্থাটি সুকন্যার নামে হস্তান্তর করতে মণীশকে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তদন্তকারীদের মণীশ জানিয়েছেন, মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই সংস্থাটি সুকন্যার নামে বিক্রি করে দেন তিনি। সেই সময় ওই সংস্থার মূল্য ১৫ কোটি টাকা বলেও ইডিকে জানিয়েছেন মণীশ। তাঁর আমলে কেনা ওই সংস্থার সমস্ত সম্পত্তিও কেষ্ট কন্যাকে হস্তান্তর করতে হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে মণীশের মাধ্যমেই নীর ডেভলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও একটি কোম্পানি  চালু করেন সুকন্যা। জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি।  কয়েকদিন আগেই অনুব্রতের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তিনি এবার অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের আয়ের উৎস সম্পর্কে একের পর এক তথ্য দিচ্ছেন ইডিকে।

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যার ফিক্সড ডিপোজিটের টাকার উৎস কী

    অনুব্রতের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান আগেই পেয়েছে ইডি। সেই এফডি যে গরু পাচারের টাকাতেই হয়েছে তা মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন ইডিকে। এবার সুকন্যার আরও ১০ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান পেল ইডি। বোলপুরের ব্যাঙ্ক অব বরোদা-য় সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১১টি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। ওইসব ফিক্সড ডিপোজিটের মোট মূল্য ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। এছাড়াও সল্টলেক এসবিআইয়ের এক শাখায় রয়েছে ৫টি ফিক্সড ডিপোজিট। এর মূল্য ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৬৪ টাকা। ওইসব ফিক্সড ডিপোজিট খোলা হয়েছে ২ বছরের মধ্যে। সময়টা ২০১৯ সালে মার্চ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে।  সূত্রের খবর, অনুব্রতের সিএ মণীশ কোঠারিকে জেরা করেই ওইসব তথ্য মিলেছে। মণীশ জানিয়েছেন গোরু পাচারের টাকাতেই ওইসব ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share