Tag: bangla news

bangla news

  • Dehydration: হঠাৎ বাড়ছে তাপমাত্রা! ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও বাড়ছে! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    Dehydration: হঠাৎ বাড়ছে তাপমাত্রা! ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও বাড়ছে! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    মাধ্যম ডেস্ক: বসন্তের মাঝেই চড়ছে তাপমাত্রার (Temperature) পারদ। আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহে গরম আরও বাড়বে। এবার মার্চেই বাঙালি উষ্ণতা টের পেতে পারে। রোদের ঝাঁঝ বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি। তাপমাত্রার পারদ বেড়ে যাওয়ার বাড়ছে রোগের ঝুঁকিও। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা ডিহাইড্রেশন (Dehydration) নিয়ে। এর জেরে মারাত্মক শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

    কেন আশঙ্কায় চিকিৎসকেরা (Dehydration)?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বসন্তকালে একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ে। শীত ফুরিয়ে আসে। আবার গরমের মরশুম শুরু হয়। এর ফলে, বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু চলতি বছরে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা অনেকখানি বদলে গেল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য থেকে শীত দ্রুত বিদায় নিয়েছে। আর তারপরেই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আর গত কয়েকদিনে সেই পারদ অনেকখানি চড়েছে! এর ফলে নানান রোগের সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। বিশেষত ডিহাইড্রেশনের (Dehydration) ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, হঠাৎ গরমে আবহাওয়ায় শুষ্ক ভাব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে শরীরেও জলের চাহিদা বাড়ছে। সেই চাহিদা পূরণ না হলেই ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই ঝুঁকি বেশি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা অনেক বেশি দৌড়াদৌড়ি করে, এর ফলে তাদের ঘাম বেশি হয়। তারা বেশি‌ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকলে তাই এই পরিবেশে (Temperature)  শিশুদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল খাওয়ার পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্ত বয়স্কদের ও জলের পরিমাণ নিয়ে সজাগ থাকা জরুরি। প্রাপ্ত বয়স্কদের দিনে চার থেকে পাঁচ লিটার জল খাওয়া দরকার। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের দুই থেকে তিন লিটার জল নিয়মিত খাওয়া জরুরি।

    জলের পাশপাশি নিয়মিত রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে তরমুজ, পেঁপে জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে খুবই উপকার হবে। এই ধরনের ফল রসালো। এই ফল খেলে সহজেই শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ হয়।

    এই আবহাওয়ায় এসি ঘরে না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এসি ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকলে শুষ্কতা বাড়ে। তাই এই আবহাওয়ায় এসি ঘরে থাকলে একাধিক রোগে আক্রান্ত (Dehydration) হওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে।

    ঘাটতি মেটাতে লেবুর রস খাওয়ার পরামর্শ

    শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে লেবুর রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও ধরনের লেবুতে‌ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমে।

    এই আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখতে হালকা সহজ পাচ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের (Temperature) একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন এই শুষ্ক আবহাওয়ায় হজমের গোলমালে অনেকেই ভোগেন। এতে শরীরে আরও নানান সমস্যা তৈরি হয়। তাই কম তেল ও মশলা দিয়ে তৈরি হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে সহজেই হজম হবে। অ্যাসিডিটির (Dehydration) সমস্যা তৈরি হলে শরীরে আরও জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া জরুরি।

  • Ramakrishna 288: “তুমি না গীতা, বেদান্ত পড়? তুমি না শিখাও ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা?”

    Ramakrishna 288: “তুমি না গীতা, বেদান্ত পড়? তুমি না শিখাও ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ও কলিকাতায় চৈতন্যলীলা-দর্শন

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২১শে সেপ্টেম্বর

    শ্রীরামকৃষ্ণের জ্ঞানোন্মাদ ও জাতি বিচার

    পূর্বকথা ১৮৫৭—কালীমন্দির প্রতিষ্ঠার পর জ্ঞানীপাগলদর্শন—হলধারী 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—শ্রীমতীর প্রেমোন্মাদ। আবার ভক্তি-উন্মাদ আছে। যেমন হনুমানের। সীতা আগুনে প্রবেশ করেছে দেখে রামকে মারতে যায়। আবার আছে জ্ঞানোন্মআদ। একজন জ্ঞানী পাগলের মতো দেখে ছিলাম। কালীবাড়ির সবে প্রতিষ্ঠার পর। লোকে বললে, রামমোহন রায়ের ব্রাহ্মসভার একজন। একপায়ে ছেঁড়া জুতা, হাতে কঞ্চি আর একটি ভাঁড়, আঁবচারা। গঙ্গায় ডুব দিলে। তারপর কালীঘরে গেল। হলধারী তখন কালীঘরে বসে আছে। তারপর মত্ত হয়ে স্তব করতে লাগল —

    ক্ষ্রৌং ক্ষ্রৌং খট্টাঙ্গধারিণীম্ ‌ইত্যাদি

    “কুকুরের কাছে গিয়ে কান ধরে তার উচ্ছিষ্ট খেলে—কুকুর কিছু বলে নাই। আমারও তখন এই অবস্থা আরম্ভ হয়েছে। আমি হৃদের গলা ধরে বললাম, ওরে হৃদে, আমারও কি ওই দশা হবে?

    “আমার উন্মাদ অবস্থা! নারায়ণ (Kathamrita) শাস্ত্রী এসে দেখলে, একটা বাঁশ ঘাড়ে করে বেরাচ্ছি। তখন সে লোকদের কাছে বললে ওহ্‌, উন্মস্ত্‌ হ্যায়। সে অবস্থায় জাত বিচার কিছু থাকতো না। একজন নীচ জাতি, তার মাগ শাক রেঁধে পাঠাতো, আমি খেতুম।

    “কালীবাড়িতে (Ramakrishna) কাঙালীরা খেয়ে গেল, তাদের পাতা মাথায় আর মুখে ঠেকালুম। হলধারী তখন আমায় বললে, তুই করছিস কি? কাঙালীদের এঁটো খেলি, তোর ছেলেপিলের বিয়ে হবে কেমন করে? আমার তখন রাগ হল। হলধারী আমার দাদা হয়। তাহলে কি হয়? তাকে বললাম, তবে রে শ্যালা, তুমি না গীতা, বেদান্ত পড়? তুমি না শিখাও ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা? আমার আবার ছেলেপুলে হবে তুমি ঠাউরেছ! তোর গীতাপাঠের মুখে আগুন (Kathamrita)!

    (মাস্টারের প্রতি) — “দেখ, শুধু পড়াশুনাতে কিছু হয় না। বাজনার বোল লোকে মুখস্থ বেশ বলতে পারে, হাতে আনা বড় শক্ত!”

    ঠাকুর (Ramakrishna) আবার নিজের জ্ঞানোন্মাদ অবস্থা বর্ণনা করিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Sambhal: উদ্ধার ৪১টি মন্দির, ১৯টি প্রাচীন কূপ! হিংসা অতীত, মাত্র ১০০ দিনেই সম্ভল ফিরছে পুরানো গরিমায়

    Sambhal: উদ্ধার ৪১টি মন্দির, ১৯টি প্রাচীন কূপ! হিংসা অতীত, মাত্র ১০০ দিনেই সম্ভল ফিরছে পুরানো গরিমায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ছিল সমৃদ্ধ জনপদ। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ছিল মন্দির, ঐতিহাসিক কূপ। কয়েক শতাব্দীর পুরানো এই সব মন্দিরে নিত্য হত পুজোপাঠ। ১৯৭৮ সালে কারা যেন হিংসার আগুন লাগাল। প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে পালালেন হিন্দুরা (Uttar Pradesh)। পেছনে পড়ে রইল মন্দির, ইতিহাস, জমি-জিরেত সব (Sambhal)। পরবর্তীকালে অবৈধ নির্মাণের কারণে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যেতে থাকে আস্ত ‘ইতিহাস’। সম্প্রতি অবৈধ দখলদারদের হঠাতে গিয়ে উদ্ধার করা হয় মন্দির-কূপ-ইতিহাস সব। মাত্র ১০০ দিনের মধ্যেই ফের হারানো গরিমা ফিরে পেয়েছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল। জেলা প্রশাসন এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের যৌথ প্রচেষ্টায় উদ্ধার হয়েছে ৪১টি মন্দির ও ১৯টি প্রাচীন কূপ।

    সম্ভলের ভোল বদল (Sambhal)

    সম্ভলের এই ভোল বদল ঘটে গত ২৪ নভেম্বর। ওই দিন ষোড়শ শতকের মুঘল আমলের সম্ভলের শাহি জামে মসজিদের আদালত-পর্যবেক্ষিত ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঐতিহাসিক সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে শুরু হয় সমীক্ষার কাজ। তার জেরে শুরু হয় ভয়াবহ সংঘর্ষ। মৃত্যু হয় পাঁচজনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় যায় পুলিশ। জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্তা। পুরো জনপদটি বিশৃঙ্খলায় পর্যবসিত হয়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। শয়ে শয়ে মানুষ বাড়িঘর এবং ব্যবসা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।

    কী বলছেন পুলিশ কর্তা (Uttar Pradesh)

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (Sambhal) এক প্রবীণ পুলিশ কর্তা বলেন, “৩০০ থেকে ৫০০টি বাড়ি তালাবন্ধ, শহর থেকে নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ২,০০০ মানুষ। সবাই সংঘর্ষে জড়িত ছিল না। তবে পুলিশ যখন বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করে, তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৮ সালের হিংসার পর থেকে এই পরিবারের অনেকেই দখল করা জমিতে বসবাস করছিল। শেষমেশ আইন তাদের নাগাল পেয়েছে।” এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই শহরের হারানো গরিমা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়। তার সুফলও মেলে। দখলদারদের হঠিয়ে যেসব জিনিস পুনরাবিষ্কার করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে অমরপতি খেড়া। এই খেড়াটি সংরক্ষিত করেছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ।

    ৭৫ বছর ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল

    গত ৭৫ বছর ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল এটি। এই জায়গাটিকে দধীচি আশ্রম বলে মনে করা হয়। ২১টি সমাধিও রয়েছে এখানে। এর মধ্যে একটি সমাধি পৃথ্বীরাজ চৌহানের গুরু অমরপতির। অন্য যে সব ঐতিহ্যবাহী স্থান (Uttar Pradesh) পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলি হল সারাইতারিনের দরবার এলাকায় রাজা টঙ্কের আদালত, টোটা মাইনা সমাধি এবং একটি প্রাচীন শিব মন্দির। চান্দৌসির ১৫০ বছরের পুরোনো একটি প্রাচীন কুয়ো, যা ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সময়কার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের সঙ্গে সংযুক্ত। ভদ্রকাশ্রম, স্বর্গদ্বীপ, চক্রপাণি এবং একটি প্রাচীন তীর্থস্থল দাহ স্থান মন্দির। খাগগু সারাইয়ের কার্তিকেশ্বর মন্দির, সারাইতারিনের রাধাকৃষ্ণ মন্দির এবং সম্ভলের স্থাপত্য ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে আবিষ্কৃত হয়েছে একটি বিশাল প্রাচীন কুয়ো।

    যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্য

    হারানো ইতিহাস (Sambhal) পুনরুদ্ধারের পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিধানসভায় বলেছিলেন, “সম্ভলের ৬৮টি তীর্থস্থান এবং ১৯টি কুয়োর চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের সরকারের দায়িত্ব ছিল সেগুলি খুঁজে বের করা। এখন যখন আমরা সেগুলি আবিষ্কার করেছি, আমরা নিশ্চিত করব যে সেগুলি সংরক্ষিত করা হবে। আমরা শুধুমাত্র আমাদের ন্যায্য অধিকারটুকুই চাই।” জানা গিয়েছে, যোগী প্রশাসন এগুলিকে বন্ধন স্কিমের সঙ্গে যুক্ত করেছে। সরকারের পরিকল্পনা, সম্ভলকে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ বিভাগের ধর্মীয় পর্যটন করিডরের একটি প্রধান কেন্দ্র করে তোলা। সম্ভল ত্রিনেত্র কল্কি দেব তীর্থ সমিতি নামে একটি সংস্থা যা হারিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক স্থানগুলির পুনরুজ্জীবনের কাজ করছে এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    প্রত্নরত্ন উদ্ধার

    আমরপতি খেদা খনন করার (Sambhal) সময় প্রত্নতাত্ত্বিকরা মাটির নীচে প্রাচীন মুদ্রা, মাটির হাঁড়ি এবং বিরাগী প্রদীপের সন্ধান পেয়েছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি হল এমন একটি মুদ্রা, যাতে ভগবান রাম, মা সীতা এবং ভগবান লক্ষ্মণের ছবি খোদাই করা রয়েছে। এই আবিষ্কারগুলি এই জায়গার গভীর ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় (Uttar Pradesh) তাৎপর্য প্রমাণ করে। সম্ভলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেন্দ্র সিংহ বলেন, “সম্ভল তার পুরনো গৌরবে ফিরে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য হল এর পরিচয় সংরক্ষণ করা এবং এটিকে একটি ধর্মীয় ও পর্যটন নগরীতে রূপান্তরিত করা।” এসপি কৃষ্ণ কুমার বিষ্ণোইয়ের দাবি, “হিংসার পর এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার হয়েছে।” এক্সিকিউটিভ অফিসার মণিভূষণ তিওয়ারি বলেন, “আমরা চাই দর্শকরা হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখুন এই জায়গাগুলো। অনুভব করুন সেগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব। ধর্মীয় ইতিহাসে সম্ভলের গুরুত্ব অনুধাবন করুন তাঁরা। বিশেষত (Uttar Pradesh) ভগবান কল্কির সঙ্গে এই এলাকার সম্পর্ক (Sambhal)।”

  • India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) মাধ্যমে তুরস্ক (Turkey) থেকে বিপজ্জনক ড্রোন কিনছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারতীয় সীমান্তে সেগুলি মোতায়েন করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুরস্কের ‘টিবি-২ বায়রাক্টার’ ড্রোন আমদানি করেছে এবং নজরদারি অভিযানের জন্য ভারত সীমান্তের (India Bangladesh Border) কাছে সেগুলো মোতায়েন করছে। ভারত এই এলাকাগুলিতে তাদের কার্যকলাপের উপর সতর্ক নজর রাখার জন্য রেডার স্থাপন সহ সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে সেনা সূত্রে খবর।

    পাক সহায়তাতেই ড্রোন আমদানি!

    মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ ক্রমশ পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। পাক যোগসূত্রে তুরস্কের সঙ্গেও সম্পর্ক গাঢ় হচ্ছে বাংলাদেশের। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। ইতিমধ্যে তুরস্ক থেকে বায়রাক্টার টিবি ২ ড্রোন কিনেছে বাংলাদেশ। ভারতের সীমান্তে তা মোতায়েনও করা হয়েছে। পাকিস্তানও তুরস্ক থেকে ওই ড্রোন কিনেছে। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানের পথ দিয়েই তুরস্ক-বাংলাদেশ এই যোগসূত্র গড়ে উঠছে। রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে তুরস্ক পাকিস্তানের পক্ষই নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত বিরোধী শক্তির দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ।

    সতর্ক ভারতীয় সেনা

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের মোতায়েন করা তুরস্কের এই ড্রোন একটানা ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে। ৮ হাজার ২৩০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারে। এমনও দাবি করা হচ্ছে যে এই ড্রোন ফাইটার জেটকেও পাল্লা দিতে পারে। বায়রাক্টার টিবি-২ হল মাঝারি উচ্চতায় হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুরেন্স ড্রোন এবং এটি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের অন্যতম বৃহৎ সাফল্য। মানবহীন বিমানটিতে আকাশ-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রশাসন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ বাড়াচ্ছে এবং এমনকি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডরের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলে ভারত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা পরিদর্শন করতে তাদের কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়েছে। এই আবহে ভারতের সীমান্ত তুরস্কের ড্রোন মোতায়েনকে কেন্দ্র করে সতর্ক দিল্লি।

  • Bofors Case: বোফোর্স মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথির খোঁজে আমেরিকার দ্বারস্থ ভারত

    Bofors Case: বোফোর্স মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথির খোঁজে আমেরিকার দ্বারস্থ ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোফোর্স মামলায় (Bofors Case) গুরুত্বপূর্ণ নথির খোঁজে আমেরিকার দ্বারস্থ হল ভারত (India)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত এ ব্যাপারে একটি জুডিশিয়াল অনুরোধ পাঠিয়েছে। বোফোর্স কেলেঙ্কারি ৬৪ কোটি টাকার মামলা। সরকার আটের দশকের শেষের দিকে কংগ্রেস সরকারের আমলে সুইডেন থেকে ১৫৫ মিমি ফিল্ড আর্টিলারি গান কেনার সঙ্গে জড়িত এই কেলেঙ্কারির তদন্ত পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    ‘রোগেটরি লেটার’ (Bofors Case)

    সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে একটি বিশেষ আদালত থেকে জারি করা হয় ‘রোগেটরি লেটার’ (Letter Rogatory)। সেটি পাঠানো হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে। ভারতীয় সংস্থা সেই কেসের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। এই তথ্য মার্কিন প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা ফেয়ারফ্যাক্সের প্রধান মাইকেল হার্শম্যানের কাছে ছিল। এই তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছিল যে সুইডিশ অস্ত্র নির্মাতা এবি বোফোর্স ভারত থেকে ৪০০টি হাউইৎজার কামানের অর্ডার পাওয়ার জন্য ঘুষ দিয়েছিল বলে অভিযোগ (Bofors Case)।

    হার্শম্যানের দাবি

    ২০১৭ সালে হার্শম্যান দাবি করেছিলেন, খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী “রেগে গিয়েছিলেন”। হার্শম্যানের দাবি, তিনি সুইস ব্যাঙ্কে মোঁ ব্লঁ (Mont Blanc) নামের একটি অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছিলেন। এই অ্যাকাউন্টেই বোফোর্সের দেওয়া ঘুষের অর্থ জমা রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। হার্শম্যান আরও দাবি করেছিলেন, তৎকালীন কংগ্রেস সরকার তাঁর তদন্তকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছিল (India)।

    এজেন্সিটি প্রথমবার দিল্লির আদালতের সঙ্গে অক্টোবর মাসে যোগাযোগ করেছিল। মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনার কথা তাদের জানিয়েছিল। এই পদক্ষেপটি হার্শম্যানের কারণে নেওয়া হয়েছিল। তিনি ভারতীয় এজেন্সিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ‘লেটার রোগেটরি’ হল একটি আনুষ্ঠানিক, লিখিত অনুরোধ যা একটি দেশের আদালত অন্য দেশের আদালতের কাছে পাঠায় প্রমাণ সংগ্রহ বা ফৌজদারি মামলার তদন্ত এবং বিচারের সুবিধার্থে সহায়তার জন্য।

    ১৯৯০ সালে এই মামলা নথিভুক্ত (India) করেছিল সিবিআই। ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে চার্জশিট দাখিল করে। রাজীব গান্ধীকে নির্দোষ ঘোষণা করার পর একটি বিশেষ আদালত হিন্দুজা ভাইদের-সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগও খারিজ করে দেয় (Bofors Case)।

  • Madhya Pradesh: শিবলিঙ্গ-সহ গোটা হিন্দু গ্রামের উপর দাবি জানাল ওয়াকফ বোর্ড! মধ্যপ্রদেশে জনরোষ

    Madhya Pradesh: শিবলিঙ্গ-সহ গোটা হিন্দু গ্রামের উপর দাবি জানাল ওয়াকফ বোর্ড! মধ্যপ্রদেশে জনরোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) রাইসেন জেলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ মাখনি গ্রামে ওয়াকফ বোর্ড এক চমকপ্রদ দাবি তুলেছে। তারা দাবি করছে গ্রামের বাসস্থান, কৃষিজমি এবং এমনকি একটি শিবলিঙ্গের ওপরও তাদের অধিকার রয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডের এই দাবি গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সূত্রের খবর, ওয়াকফ বোর্ড সম্প্রতি গ্রামবাসীদের একটি নোটিশ দিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে জমি তাদের অধীনে রয়েছে এবং তা তাদের মুক্ত করতে হবে।

    ওয়াকফ বোর্ডের কাছে কোনও প্রমাণ নেই (Waqf Board)

    ওয়াকফ বোর্ড দাবি করছে যে, মাখনি গ্রামে অবস্থিত ওই ৩ একর জমি একটি কবরস্থানের অংশ। তবে তাদের দাবি সমর্থনে কোনও শক্তিশালী প্রমাণ দেখানো হয়নি। প্রমাণের অভাব সত্ত্বেও, নোটিশে গ্রামবাসীদের বাড়ি, চাষের জমি, প্ল্যাটফর্ম এবং এমনকি শিবলিঙ্গেরও উল্লেখ করা হয়েছে। বোর্ড দাবি করেছে যে, গ্রামবাসীদের ওই জমি ছাড়তে হবে। যা গ্রামবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ ও রোষের সৃষ্টি করেছে। গ্রামবাসীদের সম্পত্তির পাশাপাশি, বোর্ড একইভাবে রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন জমির ওপরও দাবি জানিয়েছে। বোর্ডের দাবি অনুযায়ী, গ্রামটি একসময় কাদির খান নামে এক ব্যক্তির মালিকানায় ছিল। যিনি ওই জমিটি ওয়াকফে দান করেছিলেন। তবে স্থানীয়রা এই দাবি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে এবং তারা জানাচ্ছে যে, কখনও এমন কোনও ব্যক্তি ওই গ্রামে বাস করেননি।

    ওয়াকফ বোর্ডের নানা জমি নিয়ে বিতর্ক (Waqf Board)

    মাখনি গ্রামে (Madhya Pradesh) বহু পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা তাদের জমি ছাড়বে না। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বিশেষত, শিবলিঙ্গের ওপর এই দাবি গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। তারা বোর্ডের কার্যকলাপকে অধিকতর হস্তক্ষেপ এবং বেআইনি দখল বলে অভিযোগ করছে। রাইসেনের এই বিতর্ক এমন সময় সামনে এসেছে, যখন ভারত সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে কাজ করছে, যা ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা এবং সম্পত্তি দাবির বিষয়গুলো সমাধান করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত। এই বিলটি ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে রাজ্যসভায় উত্থাপন করা হয়। দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডের অস্বাভাবিক প্রভাব ও সম্পত্তি দাবি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে বোর্ড গত কয়েক বছরে মন্দির, হিন্দুদের মালিকানাধীন জমি এবং সরকারি জমির ওপর দাবি তুলেছে।

  • Volodymyr Zelenskyy: হোয়াইট হাউসের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ, জেলেনস্কির মুখে এখন শান্তির বার্তা

    Volodymyr Zelenskyy: হোয়াইট হাউসের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ, জেলেনস্কির মুখে এখন শান্তির বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)! হোয়াইট হাউসকাণ্ডের জেরে ইউক্রেনকে সব রকম সামরিক সহায়তা দেওয়া (Ukraine Peace) বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দুঃখ প্রকাশ (Volodymyr Zelenskyy)

    তিনি বলেন, “শুক্রবার ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে আমাদের বৈঠকটি যেমন হওয়া উচিত ছিল, তেমন হয়নি। এটা দুঃখজনক যে এটা এভাবে ঘটেছে। এখন সময় এসেছে সব কিছু ঠিক করার। আমরা চাই, ভবিষ্যতের সহযোগিতা ও যোগাযোগ গঠনমূলক হোক।” মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট (Volodymyr Zelenskyy) বলেন, “আমি শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমার দেশ স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনায় বসতে চায়।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি ও আমার দল সর্বদা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃঢ় নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত।” জেলেনস্কি বলেন, “কেউই এই যুদ্ধ চায় না।”

    যুদ্ধ শেষ করতে রাজি

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা যুদ্ধ শেষ করার জন্য দ্রুত কাজ করতে প্রস্তুত এবং এর প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে বন্দিদের মুক্তি এবং আকাশ ও সমুদ্রে যুদ্ধবিরতি; যদি রাশিয়াও একই কাজ করে। এর আওতায় ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার ড্রোন, জ্বালানি ও অন্যান্য অসামরিক পরিকাঠামোর ওপর বোমা-হামলা নিষিদ্ধ করা উচিত। আমরা পরবর্তী সব পদক্ষেপ খুব দ্রুত সম্পন্ন করতে চাই। এবং একটি শক্তিশালী চূড়ান্ত চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ সাহায্য করেছে, আমরা তা সত্যিই মূল্যবান বলে মনে করি। আর আমরা সেই মুহূর্তটির কথা মনে করি, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে জ্যাভেলিন সরবরাহ করেছিলেন, তখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছিল। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

    জেলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেন যে কোনও সময় এবং যে কোনও সুবিধাজনক বিন্যাসে খনিজ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। আমরা এই চুক্তিকে বৃহত্তর নিরাপত্তা ও দৃঢ় নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি (Ukraine Peace)। আমি সত্যিই আশা করি, এটি কার্যকরভাবে কাজ করবে (Volodymyr Zelenskyy)।”

  • Bankrupt Bangladesh: বস্ত্রের পর চিংড়ি, বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিল্প, দেউলিয়ার পথে বাংলাদেশ?

    Bankrupt Bangladesh: বস্ত্রের পর চিংড়ি, বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিল্প, দেউলিয়ার পথে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা জমানায় রকেটের গতিতে উত্থান হচ্ছিল বাংলাদেশের। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় (India) বসেন মহম্মদ ইউনূস। তার পর থেকেই পতন হতে থাকে বাংলাদেশের (Bankrupt Bangladesh) উন্নয়নের পারা। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশেরও অবস্থা হবে পাকিস্তানের মতো। ভিক্ষাপাত্র হাতে বিশ্বের দোরে দোরে ঘুরলেও, সাহায্য মিলবে না। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে উদ্যোগের প্রয়োজন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ইউনূসকে তা নিতে দেখা যায়নি। বরং গদি আঁকড়ে বসে থাকতে যা যা করণীয়, কৌশলে তিনি তা অহরহ করে চলেছেন বলে অভিযোগ।

    অবনতির দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ (Bankrupt Bangladesh) 

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার কারণে এমনিতেই সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এখন আবার দেখা দিয়েছে নয়া সঙ্কট। বন্ধ হওয়ার মুখে বাংলাদেশের চিংড়ি ব্যবসা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণের সিংহভাগ কারখানা। রফতানির পরিমাণ হ্রাস ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের মুখে চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প।

    কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ

    কথায় বলে, কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। বাংলাদেশের কাছে যেটা সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটাই ভারতের কাছে হয়েছে পৌষ মাস। কারণ যে যে শিল্পগুলি বাংলাদেশে মুখ থুবড়ে পড়ছে, সেই সেই ক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারে ভারতের কাছে খুলে যাচ্ছে সুযোগের আবারিত দ্বার (Bankrupt Bangladesh)।

    ডেইলি স্টারের রিপোর্ট

    বাংলাদেশের পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টারের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, একসময় লাখ লাখ মার্কিন ডলার আয় করা চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এখন তীব্র মন্দার মুখে পড়েছে। রফতানি অর্ধেকে নেমে (India) আসার কারণে অধিকাংশ চিংড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্পে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হত। এটি দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ডও ছিল। তবে, কাঁচামালের ঘাটতি, রফতানির পতন, পরিবেশগত পরিবর্তন এবং সরকারের উত্থান-পতনের কারণে এই শিল্প এখন ডুবে যাচ্ছে।

    বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য

    বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (BFFEA)-এর মতে, আগে দেশে ১০৯টি চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা ছিল (Bankrupt Bangladesh)। তবে বর্তমানে চালু রয়েছে খুলনায় মাত্র ৩০টি এবং চট্টগ্রামে ১৮টি কারখানা। বাকি সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এসব কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪,০০,০০০ টন হলেও তারা প্রয়োজনীয় চিংড়ি উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ পাচ্ছে। এই ঘাটতির কারণে অনেক কারখানা ইতিমধ্যেই ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কোম্পানিগুলি তাদের প্রয়োজনীয় চিংড়ির মাত্র ২৫-৩০ শতাংশ সংগ্রহ করতে পারছে, যার ফলে বেশ কয়েকটি কারখানা উৎপাদন চলাকালীনই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    আদতে লাভ হয়েছে ভারতের

    রাজনৈতিক ডামাডোলের বাজারে বাংলাদেশের উন্নয়নের পারদ পতন হওয়ায় আদতে লাভ হয়েছে ভারতের। ভারত চিংড়ির একটি বৃহৎ রফতানিকারক দেশ। ভারতে উৎপাদিত চিংড়ি চলে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ১ লাখ ৭৮১ হাজার ৬০২ মেট্রিক টন চিংড়ি রফতানি করেছে। এই পরিমাণ চিংড়ির মোট মূল্য ৬০,৫২৩.৮৯ কোটি টাকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করেছে ২৯৭,৫৭১ মেট্রিক টন ফ্রোজেন চিংড়ি। বাংলাদেশি চিংড়ি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করা হয়। বাংলাদেশ এই চিংড়ি বেশিরভাগ রফতানি করে ইউরোপীয় দেশগুলিতে। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশের বেশি চিংড়ি রফতানি হয় ইইউ দেশগুলিতে। বাংলাদেশে এই শিল্পে সঙ্কট দেখা দেওয়ায় এখন ভারত এই দেশগুলিতে রফতানি করতে পারবে। ফলে ভারতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে (Bankrupt Bangladesh)।

    ভ্যানামেই চিংড়ি চাষ

    ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চাষ হচ্ছে ভ্যানামেই চিংড়ি। কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে চাষ শুরু হয় এই প্রজাতির চিংড়ির। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে চাষের এলাকার পরিমাণও। স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে বাজার। কম লবণাক্ত জলে এই প্রজাতির চিংড়ি চাষ করে পথ দেখিয়েছে হরিয়ানা। সেখানে দুই মৎস্য বিজ্ঞানীর পরামর্শে ভ্যানামেই চাষ করে প্রথমবারই উৎপাদন হয়েছিল ১০ হাজার টন। সেখান থেকেই এই প্রজাতির চিংড়ি চলে যাচ্ছিল গুজরাট এবং দিল্লির বিভিন্ন বাজারে।

    আগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্যানামেইয়ের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। এই প্রজাতির চিংড়ির স্বাদ বাগদার স্বাদের কাছাকাছি। তবে বাগদার মতো দেখনদারি এর নেই। এর নিজস্ব জৈব (India) গন্ধও তত চড়া নয়। তাই বিশ্বের বাজারে ক্রমেই বাড়ছে এই প্রজাতির চিংড়ির চাহিদা। বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্প মার খাওয়ায় এবার সুবর্ণ সুযোগ ভারতের দুয়ারে (Bankrupt Bangladesh)।

  • Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র অনুষ্ঠান ঘিরে ধুন্ধুমার শিক্ষাঙ্গন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। এই আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখা উচিত বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এজন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তৎপর হতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    পঠনপাঠন কার্যত লাটে

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আগমনের জেরে নতুন করে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। যার জেরে কার্যত লাটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন ও গবেষণা। ফের একবার বিক্ষোভ আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘অবিলম্বে রাজ্যপালের উচিত আরজি করের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সেখানে পঠনপাঠন, গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ ছাড়া অন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া। অবিলম্বে ছাত্র সংসদেও তালা লাগানো উচিত, ওয়েবকুপার অফিসেও তালা লাগানো উচিত। ব্রাত্য বসুর অফিসেও তালা লাগানো উচিত আর তথাকথিত সেকু-মাকুদের দফতরেও তালা লাগানো উচিত। যাদবপুরে মাওবাদীদের যে ছাত্র সংগঠন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’’

    দায়ী সরকার, বিজেপি শক্ত হাতে মোকাবিলা করবে

    যাদবপুরে বিশৃঙ্খল (Jadavpur University Chaos) পরিস্থিতির জন্য তণমূল সরকারকে দায়ী করলেও শিক্ষাক্ষেত্রে যে অরাজক পরিস্থিতি কখনওই কাম্য নয়, তা জানায় বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যেরও বক্তব্য, “শিঙ্গাঙ্গনের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার। কিন্তু অধ্যাপক, শিক্ষামন্ত্রীকে নিগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অগ্নি-সংযোগ, এই রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুঙ্কার, ‘‘বাংলার মানুষ শুধু আমাদের পুলিশটা হাতে তুলে দিক। সেকু-মাকু, ওই দু’টোকেই উপড়ে ফেলে দেব! এক ঘণ্টা লাগবে!’’ শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির দাবি জানিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নকশাল মুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। এবিভিপির সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,‘‘বিজেপি সরকারে আসবে ছাব্বিশে। তারপরে এরা আর বেঁচে থাকবে না।’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কথায়, ‘‘আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি সোজা হয়ে গেছে। জেএনইউ অনেকটা সোজা হয়ে গেছে। এটা করতেও বেশিক্ষণ লাগবে না। যোগীজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ফরমুলাতে এক ঘণ্টা লাগবে এদের সোজা করতে।’’

  • India Vs Australia: বিরাট-ব্যাটে ফাইনালে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না রোহিত

    India Vs Australia: বিরাট-ব্যাটে ফাইনালে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না রোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত। আমেদাবাদের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিল এই জয়। ঘরের মাঠে অপরাজিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায়নি ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে পরাজিত হতে হয়েছিল। দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়াকে (India Vs Australia) হারিয়েছে রোহিত-ব্রিগেড। ১১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত। দলটা অস্ট্রেলিয়া, তাই যেন ম্যাচ না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই জয়ের কৃতিত্ব গোটা দলকে দিয়েছেন তিনি।

    দলগত সাফল্যেই জয়

    এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অজিরা। জয়ের জন্য ভারতের কাছে লক্ষ্য ছিল ২৬৫ রান। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, “না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলাম না। ওদের ইনিংস শেষ হওয়ার পর মনে হচ্ছিল, জিততে গেলে আমাদের ভাল ব্যাট করতে হবে। আমরা সেটাই করেছি। সকলে ঠান্ডা মাথায় খেলেছে। জেতা ছাড়া আমাদের মাথায় কিছুই ছিল না। সকলে মিলে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি।”

    রো-‘হিটে’র নজির

    এদিন আইসিসি প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার নজির গড়লেন রোহিত। মঙ্গলবার রোহিত আইসিসির প্রতিযোগিতায় নিজের ৬৫তম ছক্কা মারলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ভেঙে দিলেন ক্রিস গেলের বিশ্বরেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ব্যাটার আইসিসির প্রতিযোগিতায় ৬৪টি ছক্কা মেরেছিলেন। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ছয়ের সংখ্যা ৪৯টি। চতুর্থ স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। আইসিসির প্রতিযোগিতায় তাঁর ছক্কার সংখ্যা ৪৫টি।

    চেজ মাস্টার কোহলি, ছাপিয়ে গেলেন সচিনকে!

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) সেমিফাইনালে ৮৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এল বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের জয় এনে দিল তাঁর ইনিংস। একই সঙ্গে আরও একটি কীর্তি গড়লেন কোহলি। রান তাড়া করতে নেমে এক দিনের ক্রিকেটে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসাবে বিবেচনা করা হয় কোহলিকে। তা যে শুধু কথার কথা নয়, তার প্রমাণ কোহলির পরিসংখ্যান। সচিন তেন্ডুলকরের পর বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে রান তাড়া করতে নেমে ৮০০০ রান পূর্ণ করলেন কোহলি। ১৭০টি ম্যাচে এই সাফল্য অর্জন করলেন তিনি। রান তাড়া করতে নেমে সচিন ২৪২টি ম্যাচে করেছেন ৮৭২০ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ৮৮.৪। কোহলি রান তাড়া করতে নেমে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ৯৩.৩ স্ট্রাইক রেটে। এ ক্ষেত্রে কোহলির গড় ৬৪.৭১। রান তাড়া করতে নেমে এখনও পর্যন্ত ২৪টি শতরান করেছেন কোহলি। সচিন করেছিলেন ১৪টি শতরান।

    কেন হাতছাড়া শতরান

    এদিন তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই এক দিনের আন্তর্জাতিকে ৫২তম শতরান হাতছাড়া করলেন কোহলি। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে বিরাট সে কথা মেনেও নিলেন। কোহলি বলেছেন, “যে সময় আউট হয়েছি, তখন শতরান হতে আর ২০ রান মতো বাকি ছিল। আমি চেয়েছিলাম তাড়াতাড়ি সেই রানটা করে নিয়ে আর দু’ওভারের মধ্যে খেলা শেষ করে দিতে। মাঝেমাঝে সে ভাবেই খেলতে চাই। তবে কখনও-সখনও আপনি যেটা চান সেটা কাজে লাগে না।” আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরিরর নিরিখে সবার উপরে রয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। কেরিয়ারে সব মিলিয়ে একশোটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এদিন সচিনের সঙ্গে বিরাটের ব্যবধান আরও একটু কমবে, এমন সম্ভাবনাই ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৪ রানে ফেরেন চেজমাস্টার।

    মাত্র ৫টি বাউন্ডারি, কোনও ছয় নেই, সিঙ্গল ৫৬!

    বিরাট কোহলির ৮৪ রানের ইনিংসে মাত্র ৫টি বাউন্ডারি। কোনও ছয় নেই। সিঙ্গল নিয়েছেন ৫৬টি! পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির ইনিংসেও ৭টি মাত্র বাউন্ডারি মেরেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ম্যাচের সেরা বিরাট কোহলি বলেন, “আমার মতে আজকের ইনিংসটাও পাকিস্তান ম্যাচের মতোই। সেখানে সেঞ্চুরি করলেও মাত্র ৭টি বাউন্ডারি মেরেছিলাম। আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা। স্ট্রাইক রোটেট করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, এই ধরনের পিচে পার্টনারশিপ খুবই জরুরি। আজও সেটাই চেষ্টা করেছি। মরিয়া হয়ে রান তাড়া করার চেষ্টা করিনি। মাঠের এ দিক-ও দিক খুচরো রান নিতে পেরে ভাল লাগছিল। যখন আপনি ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে খুচরো রান নিতে পারবেন, তখন বুঝবেন ভাল খেলছেন। পাকিস্তান এবং আজকের ম্যাচে আমার কাছে সবচেয়ে তৃপ্তির জায়গা এই বিষয়টাই। আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা। স্ট্রাইক রোটেট করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, এই ধরনের পিচে পার্টনারশিপ খুবই জরুরি। আজও সেটাই চেষ্টা করেছি।”

    পরবর্তী বিশ্বকাপেও থাকবেন কোহলি!

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy 2025) আগে তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতেই একের পর এক বড় ইনিংস খেলে সমস্ত সমালোচনা থামিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি আবার কি এক দিনের ক্রিকেটে সেরা ফর্মে? সহাস্য কোহলির উত্তর, “এটা তো আপনারা ঠিক করবেন। আমি ও সব নিয়ে কখনও মাথা ঘামাই না। মাইলফলকের দিকে না তাকিয়ে দলের জয়ের কথা ভাবলে এ ধরনের জিনিস আপনা থেকেই হতে থাকবে। দল যা চায় সেটা করতে পারলে আমি গর্বিত হই। মাইলফলক আর আকৃষ্ট করে না।” তাহলে কী দলের জন্যই ফের একবার একদিনের বিশ্বকাপে খেলতে চান কোহলি? আপাতত লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। আরও একটি আইসিসি খেতাব।

LinkedIn
Share