Tag: bangla news

bangla news

  • Suvendu Adhikari: ‘অভারতীয়রা টাটা বাইবাই…’, কালীপুজোয় রাজ্যে হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অভারতীয়রা টাটা বাইবাই…’, কালীপুজোয় রাজ্যে হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ফের রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার, কালীপুজোর উদ্বোধনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu on President Rule)। সেখান থেকেই সমস্ত বাঙালি হিন্দুদের একজোট হওয়ার কথা বলেন তিনি। তাঁর কথায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আদি বাসিন্দারা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে ঘটছে অনুপ্রবেশ। নির্বাচনের আগে এসআইআর হলেই তা স্পষ্ট হবে, বলে জানান শুভেন্দু।

    অনুপ্রবেশ রুখতেই হবে

    রবিবার আমতলায় একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “যাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মূল নিবাসী তাদের সংখ্যা কমছে। অন্যরা দখল করে নিয়েছে। ভারতীয় মুসলমানদের নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী। তাঁরা ভারতীয় নয়। আপনারা যাঁরা ভারতকে ভালবাসেন আমি জানি তাঁরাও চান অভারতীয়রা টাটা বাইবাই।” তিনি আরও বলেন, “এখানে গণতন্ত্র নেই। ভোট কাকে দেবেন আপনার ব্যাপার। কালীমাতার মঞ্চে আমি বলব না আমাদের দিন কিন্তু মনে রাখবেন আপনাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ইভিএম-এ সেলোটেপ। আমার কাছে কয়েকশো ভিডিয়ো আছে। ক্যামেরা বন্ধ ছিল। ডায়মন্ড হারবারের ক্যামেরার লিঙ্ক যাদবপুরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৪ নভেম্বরের পর দেখিয়ে দেব প্রমাণ সহ।”

    জিহাদিদের জন্য নন্দীগ্রামের শুভেন্দু যথেষ্ট

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, “আমি রায়দিঘিতে গিয়েছি ২০০০ হাজার লোক ছিল। আমায় অনেকে প্রশ্ন করে আপনাদের দলের লোক কেন লড়ে না? আমি বলি, কর্মীদের দিয়ে আর কত লড়াব? মিথ্যা মামলা আর মার খেতে খেতে আপনাদের পিঠও দেওয়ালে ঠেকে গেছে। জিহাদিদের জন্য নন্দীগ্রামের শুভেন্দু যথেষ্ট।” এদিন, রায়দিঘি ও পাথরপ্রতিমা যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা। রায়দিঘিতে কালীপুজোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গাড়িতে চাপড় মারা হয়। এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নয়। কালীপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরও তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হল। শুভেন্দু বলেন, “এটা একটা প্রীতিপূর্ণ অনুষ্ঠান। সব হিন্দুরা এসেছেন অনুষ্ঠানে। আমি হিন্দু হিসাবে এসেছি। দলের ঝান্ডা নিয়ে আসিনি। আমায় রাস্তার উপর আটকানো চেষ্টা করছে। গাড়িতে ধাক্কা মারছে। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ছে। আমি ধর্ম পালন করতে এসেছি। আমি আজ বিজেপি করতে আসিনি। আমি হিন্দু ধর্ম পালন করতে এসেছিলাম। মায়ের দর্শন করতে এসেছি।”

    বাংলায় হিন্দুরা এক হোন

    এরপরই হিন্দুদের একজোট হওয়ার ডাক দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, যে সকল হিন্দু তৃণমূল বা সিপিএম করেন, তাঁরা এখনও ভাবুন। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জিততে হলে হিন্দুদের একজোট হতে হবে বলে গত কয়েকমাস ধরে বলে আসছেন শুভেন্দু। এদিন ফের সেকথা শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলাদেশে যে ভাবে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে, হিন্দুরা হারিয়ে যাওয়ার পথে। আজ পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, সব থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশি করে হচ্ছে। আমি এখনও বলব যে সকল হিন্দুরা তৃণমূল বা সিপিএম করছেন, বলব ভাবুন আপনাদের অবস্থাও যোগেন মণ্ডলের মতো হবে।”

    বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

    পাথরপ্রতিমার সভা থেকে এদিন রাষ্ট্রপতি শাসনের (Suvendu on President Rule) দাবি ওঠে। সেখান থেকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “জনগণ আওয়াজ তুলুন। আমার হাতে তো ওটা নেই। আমার হাতে থাকলে ওটা এক ঘণ্টা লাগত না।” এর আগে আরামবাগের সভা থেকে শুভেন্দু নিজেই রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সুর চড়িয়েছিলেন এসআইআরের পক্ষে। তৃণমূলের তুলোধনা করে স্পষ্ট বলেছিলেন, “নো এসআইআর, নো ইলেকশন। আর রাষ্ট্রপতি শাসন হলে সিপিএম তো তাও টিকে আছে কিন্তু এদের তো অস্তিত্বই থাকবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বালি মাফিয়া আর পুলিশ নির্ভর এই তৃণমূল কংগ্রেস হাওয়াতে উবে যাবে। আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।” কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকেও। সাফ বলেছিলেন বাংলার মানুষ চাইছে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা লাঘু হোক। এবার ফের বিরোধী দলনেতার সামনেও একই দাবি উঠল।

  • PM Modi on Diwali: ‘স্বদেশি জিনিসের প্রতি গর্ব করুন’, দীপাবলিতে দেশবাসীকে আত্মনির্ভরতার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi on Diwali: ‘স্বদেশি জিনিসের প্রতি গর্ব করুন’, দীপাবলিতে দেশবাসীকে আত্মনির্ভরতার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির প্রাক্কালে দেশবাসীকে স্বনির্ভরতা ও দেশি পণ্যের প্রতি সমর্থন জানাতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Diwali)। স্বদেশি জিনিস নিয়ে গর্ব করার কথা বললেন। সোমবার সকালে দেশবাসীকে দীপাবলির আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এই উৎসবকে “ইতিবাচকতা ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর” করে তোলার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবছরের মতো এবারও ভারতীয় সেনার সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবছর তিনি সম্ভবত ভারতের যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত-এ গিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করবেন। দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুও।

    রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছাবার্তা

    দীপাবলি আলোর উৎসব হিসেবে পরিচিত, যা অধর্মের উপর ধর্মের, অন্ধকারের উপর আলোর, মন্দের উপর ভালোর এবং অজ্ঞতার উপর জ্ঞানের আধ্যাত্মিক বিজয়ের প্রতীক। এই উৎসব দেশজুড়ে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। মানুষ প্রদীপ এবং মোমবাতি জ্বালায় এবং দেবী লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা করে। এক্স হ্যান্ডেলে নিজের বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু বলেন, “শুভ দীপাবলি উপলক্ষে, আমি ভারত এবং বিশ্বজুড়ে সকল ভারতীয়কে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানাই।” তিনি আরও বলেন, ‘দেশজুড়ে প্রচুর উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত দীপাবলি পারস্পরিক স্নেহ এবং ভ্রাতৃত্বের বার্তা দেয়। এই দিনে ভক্তরা সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মীর পূজা করেন।’ নিজের পোস্টে সতর্কতার বার্তা দিয়ে রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, ‘আমি সকলকে নিরাপদে, দায়িত্বশীলভাবে এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে দীপাবলি উদযাপন করার আহ্বান জানাচ্ছি। এই দীপাবলি সকলের জন্য সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।’ তিনি প্রবাসী ভারতীয়দেরও এই আলোর উৎসবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    দেশবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘দীপাবলিতে সকলকে শুভেচ্ছা। এই আলোর উৎসব জীবনকে সুখী এবং সমৃদ্ধ করুক। আমাদের চারপাশে ইতিবাচক চেতনা অবস্থান করুক। এই উৎসব হোক ১৪০ কোটির পরিশ্রম, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের উদযাপন। চলুন দেশীয় পণ্য কিনে বলি — গর্ব সহকারে বলুন, এটি স্বদেশি।’ প্রধানমন্ত্রী আরও অনুরোধ করেন, মানুষ যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের কেনাকাটার ছবি শেয়ার করে অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করেন। তাঁর কথায়, “আপনি কী কিনলেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। এতে অন্যরাও উৎসাহিত হবেন দেশি পণ্য কেনার জন্য।” ইতিমধ্যেই দীপাবলির আনন্দে মেতেছে গোটা দেশ। রাস্তাঘাট, বাড়ি সেজে উঠেছে আলোয়। তবে কোনও ভাবেই যাতে বায়ুদূষণ না হয়, সেই জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সুপ্রিম কোর্টও দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার জন্য বাজি সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে।

    নৌসেনার সঙ্গে দীপাবলি পালন প্রধানমন্ত্রীর

    উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সৃজনশীলতা এবং স্বনির্ভরতার সমর্থনে দেশীয় পণ্য়ের উপর বরাবরই জোর দিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ প্রতিরক্ষা, কৃষি, প্রযুক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বনির্ভরতার কথা বলেন তিনি ৷ এদিন আলোর উৎসব উদযাপনে দেশবাসীকে সেই কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন মোদি ৷ এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেন তিনি ৷ সেখানে দেশের কারিগরদের সহযোগিতার জন্য সকলকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী ৷ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মোদি প্রতি বছরই সীমান্তে ও দুর্গম এলাকায় মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করছেন। প্রথম বছরে তিনি লাদাখের সিয়াচেন হিমবাহে মোতায়েন সৈনিকদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন। পরের বছর যান পাঞ্জাবের অমৃতসরে ডোগরাই ওয়ার মেমোরিয়ালে, যেখানে তিনি ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এবার নৌসেনার সঙ্গে দীপাবলি পালন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির।

  • Dhanteras 2025: ভারতীয় অর্থনীতি নাকি ‘ডেড ইকোনমি’! ট্রাম্প-রাহুলের মুখে ঝামা ঘষে দিল ধনতেরাসের বাজার

    Dhanteras 2025: ভারতীয় অর্থনীতি নাকি ‘ডেড ইকোনমি’! ট্রাম্প-রাহুলের মুখে ঝামা ঘষে দিল ধনতেরাসের বাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় অর্থনীতিকে ‘ডেড ইকোনমি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কথায় সায় (Indian Economy) দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীও। তবে দিন দুয়েক আগে ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) কেনাকাটার বাজার শুনলে চোখ কপালে উঠবে ট্রাম্প এবং গান্ধীরও। যদিও ধনতেরাসের বিকিকিনির হিসেব শুনে আর রা কাড়েননি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল। বাণিজ্য সংগঠনের অনুমান, চলতি বছর ধনতেরাসে বিপুল কেনাকাটা করেছেন দেশবাসী। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের প্রাথমিক অনুমান, এই ধনতেরাসে সারা দেশে মানুষ প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার কেনাকাটা করেছেন। এর মধ্যে কেবল সোনা ও রুপো বিক্রি হয়েছে ৬০ কোটি টাকারও বেশি। বাকি টাকার অন্যান্য সামগ্রী। প্রসঙ্গত, ধনতেরাসের দিন কোনও কিছু কিনলে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় বলেই বিশ্বাস ভারতীয়দের।

    ব্যাপক বিক্রি (Dhanteras 2025)

    ধনতেরাসে ভারতবাসী সাধারণত কেনেন সোনা, রুপোর পাশাপাশি বাসনকোসন, ইলেকট্রিক জিনিসপত্র, লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি, মাটির প্রদীপ, মোমবাতি এবং পুজোর অন্যান্য সামগ্রী। অনেকে আবার এই দিনেই কেনেন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটের মতো ইলেকট্রনিক গ্যাজেটও। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের সম্পাদক প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল বলেন, “ধনতেরাসে দেশজুড়ে সোনা, রুপো এবং অন্যান্য শুভ জিনিসপত্রের মোট ব্যবসা ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি হবে বলে অনুমান।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি (Dhanteras 2025) বলেন, “গত দু’দিনে সোনার বাজারে ব্যাপক ভিড় দেখা গিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, কেবল সোনা ও রুপোর লেনদেন হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি (Indian Economy)।” এবার দিল্লিতে সোনা বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এটি একটি রেকর্ড। গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি হয়েছে ২৫ গুণ বেশি।

    সোনার দাম

    জানা গিয়েছে, দেশে সোনার দামের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। গত বছর ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকারও বেশি। শতাংশের বিচারে বৃদ্ধির হার ৬০-এর কাছাকাছি। ২০২৪ সালে রুপোর দাম ছিল কিলো প্রতি ৯৮ হাজার টাকা। এবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বৃদ্ধির হার ৫৫ শতাংশ। তা সত্ত্বেও ধনতেরাসে এই দুই মূল্যবান ধাতু কিনতে পিছপা হননি ভারতীয় ক্রেতারা। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের তরফে জানানো হয়েছে, সোনা ও রুপো ছাড়াও ব্যাপক বিক্রিবাটা হয়েছে অন্যান্য সামগ্রীও। এর মধ্যে রয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার রান্নাঘরের জিনিসপত্র, ১০ হাজার কোটি টাকার ইলেকট্রনিক্স গুডস, সাজসজ্জার জিনিসপত্র, প্রদীপ এবং পুজোর অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার (Dhanteras 2025)। শুকনো ফল, মিষ্টি, পোশাক, যানবাহন এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি হয়েছে (Indian Economy) ১২ হাজার কোটি টাকার।

    রুপোর বিক্রিবাটা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে

    ওই বাণিজ্য সংগঠনের দাবি, এবার ব্যাপক কেনাকাটার নেপথ্যে রয়েছে মূলত জিএসটি সংস্কার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ প্রচার। এর ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উপকৃত হয়েছেন ছোট ব্যবসায়ী এবং পণ্য উৎপাদনকারীরা। এই দু’দিনে মানুষ যেমন দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র কিনেছেন, তেমনি ব্যবসা হয়েছে অনলাইনেও। ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সুরেন্দ্র মেহতা জানান, মুম্বইয়ের জাভেরি বাজারে সোনা ও রুপোর কয়েন কেনার জন্য ভিড় উপচে পড়েছিল। জানা গিয়েছে, সোনার চড়া দামের কারণে এবার রুপোর বিক্রিবাটা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সোনা যাঁদের নাগালের বাইরে, তাঁরা ঝাঁপিয়েছেন রুপো কিনতে। এর জেরে রুপোর জিনিসের বিক্রি বেড়েছে গত বছরের তুলনায় ঢের বেশি।

    গয়না ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

    কল্যাণ জুয়েলার্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রমেশ কল্যাণরামন বলেন, “অনেক জায়গায় সোনা-রুপোর মুদ্রার সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেড়েছে (Indian Economy)। কারণ খুচরো বিক্রেতারা উচ্চ মূল্যের প্রতিকূল প্রভাবের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না (Dhanteras 2025)।” ভারতীয় সংস্কৃতিতে ধনতেরাসের সময় সোনা কেনা শুভ বলে বিবেচিত হয়। গয়না ব্যবসায়ীদের মতে, এই উৎসবের মরশুমে ভারতীয় সোনার বাজারে যে অর্থনৈতিক সঞ্চালন ঘটেছে, তা শুধু খুচরো ব্যবসাকেই চাঙা করেনি, বরং ভারতের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও এক ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে।

    ট্রাম্প-রাহুলের মুখে ঝামা!

    প্রসঙ্গত, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। সে প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে মাস কয়েক আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তারা তাদের মৃত অর্থনীতিকে এক সঙ্গে ধ্বংস করতে পারে।” ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যে যারপরনাই খুশি হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সুরে সুর মিলিয়ে তিনি বলেছিলেন, “উনি (ট্রাম্প) ঠিকই বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ছাড়া এটা সবাই জানেন। সবাই জানেন যে ভারতীয় অর্থনীতি একটি মৃত অর্থনীতি। আমি খুশি যে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প একটি সত্য কথা বলেছেন (Indian Economy)।”

    ধনতেরাসের বাজার কি তবে এঁদের মুখে ঝামা ঘষে দিল (Dhanteras 2025)?

  • Ayodhya Deepotsav: ২৬ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত সরযূ! দীপাবলিতে গিনেস বুকে জোড়া রেকর্ড অযোধ্যার

    Ayodhya Deepotsav: ২৬ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত সরযূ! দীপাবলিতে গিনেস বুকে জোড়া রেকর্ড অযোধ্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আলোয় আলোকিত অযোধ্যা (Ayodhya Deepotsav)। উত্তরপ্রদেশের পবিত্র শহর ইতিহাস গড়ল বিশ্বমঞ্চে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে অযোধ্যার দীপোৎসবে তৈরি হল এক নয়, দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। সরযূ নদীর দুই তীর সেজে উঠল ২৬ লক্ষ প্রদীপে। একসঙ্গে ২ হাজারেও বেশি মানুষ আরতি করলেন। দীপাবলিতে আগেও রেকর্ড গড়েছে উত্তর প্রদেশ। অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে ধুমধাম করে পালিত হয় দীপোৎসব। জ্বালানো হয় লাখ লাখ প্রদীপ। গত বছরও গিনেস বুকে নাম তুলেছিল অযোধ্যা। এবার সেই রেকর্ড ভাঙল তারাই।

    গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ফের অযোধ্যা

    প্রতি বছরের মতো এবারও দেশ ও বিশ্বের নজর ছিল সরযূ নদীর তীরে। দীপ উৎসব (Deepotsav 2025) উপলক্ষে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রামকথা পার্কের মঞ্চে রামের প্রতীকী রাজ্যাভিষেক করেন। এরপর, রাম মন্দির পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম তলায় রাম দরবারের সামনে মাথা নত করে আশীর্বাদ গ্রহণ ও রামলালার পুজোর পর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী কমপ্লেক্সের প্রধান প্রবেশপথের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপোৎসবের উদ্বোধন করেন। দীপোৎসব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অযোধ্যার মানুষ ৫৬টি ঘাটে ২৬,১৭,২১৫টি প্রদীপ জ্বালিয়ে রেকর্ড গড়া হয়। প্রথম রেকর্ডটি ‘সবচেয়ে বেশি মানুষ একসঙ্গে প্রদীপ ঘোরানোর’ জন্য। দ্বিতীয়টি ‘সবচেয়ে বড় প্রদীপ প্রজ্বলন প্রদর্শনী’র জন্য। মাত্র ১৫ মিনিটে এতগুলি প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠে রামভূমির। এই ঐতিহাসিক আয়োজনের দায়িত্বে ছিল উত্তরপ্রদেশ পর্যটন দফতর, অযোধ্যা জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার।

    ভারতের আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতীক

    গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর অফিসিয়াল প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে এই অসাধারণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকেন। তাঁরা রেকর্ডের প্রমাণ যাচাই করে উত্তরপ্রদেশ সরকারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি সার্টিফিকেট তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, “অযোধ্যা আজ শুধু আলোয় নয়, ভক্তিতে ও ঐতিহ্যে উজ্জ্বল। এটি ভারতের আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতীক।” এদিন সরযূ ঘাটে দাঁড়িয়ে লাখো দর্শক দেখেছেন এক অনন্য দৃশ্য যতদূর চোখ যায়, ততদূর পর্যন্ত সারি সারি প্রদীপ। এই দীপোৎসবে অংশ নেয় হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী, স্থানীয় বাসিন্দা, ছাত্রছাত্রী এবং তীর্থযাত্রী।

    ড্রোন শো থেকে আতশবাজির প্রদর্শনী, কড়া নিরাপত্তা

    সরযূ নদীর তীরে ২,১২৮ জন বেদাচার্যের উপস্থিতিতে মহাআরতির পরই মুখ্যমন্ত্রী যোগীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশ্বরেকর্ডের শংসাপত্র। তার আগে, অযোধ্যায় একটি ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১,১০০টি ড্রোনের মাধ্যমে আকাশে রামের প্রতিচ্ছবি তৈরি করা হয়। রাম কি পৌড়িতে আয়োজিত লেজার এবং ড্রোন শো ছিল দেখার মতো। চলে আতশবাজির প্রদর্শনী। অসাধারণ সেই দৃশ্য উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান রাস্তায়। রামায়ণ অভিনয় করে দেখানো হয়। রামলীলা অভিনয় করতে ৫টি দেশ থেকে শিল্পীরা এসেছিলেন। কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। অযোধ্যাকে ১৮টি জোন এবং ৪২টি সেক্টরে ভাগ করে ১০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয় ওই অঞ্চলে। পিএসি, আরএএফ, এটিএস, বিডিএস এবং স্থানীয় পুলিশ ছিল সর্বত্র। রাম কি পৌড়ি এবং রামপথের পাশের বাড়িগুলির ছাদে মোতায়েন করা হয় সশস্ত্র সেনা। অ্যান্টি-মাইন দল, ব্যাগেজ স্ক্যানার এবং ফায়ার ব্রিগেডও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

    বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রেও উজ্জ্বল অযোধ্যা

    উত্তরপ্রদেশ পর্যটন বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য অযোধ্যাকে বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে আরও উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরা। তাদের মতে, দীপোৎসব আজ শুধুমাত্র এক ধর্মীয় আচার নয় এটি হয়ে উঠেছে এক বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। বিশেষজ্ঞদের মতে, অযোধ্যার দীপোৎসব এখন কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ভারতের ‘সফট পাওয়ার’-এর প্রতীক যা বিশ্বে ভারতের ঐতিহ্য, ঐক্য ও ভক্তির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেন, “রাম রাজ্যের আদর্শে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই দীপোৎসব বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, বিশ্বাস ও ঐতিহ্য একসঙ্গে থাকলে ইতিহাস তৈরি হয়।”

  • Mohan Bhagwat: “ভারতীয়দের ম্যাকলে জ্ঞানব্যবস্থার বিদেশি প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করা জরুরি”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “ভারতীয়দের ম্যাকলে জ্ঞানব্যবস্থার বিদেশি প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করা জরুরি”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশের নিজস্ব জ্ঞানচর্চার ঐতিহ্যে প্রবেশ ও তার গুরুত্ব বোঝার জন্য ভারতীয়দের ম্যাকলে জ্ঞানব্যবস্থার বিদেশি প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করা জরুরি।” অন্তত এমনই বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) (আরএসএস)-এর সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ১৯ অক্টোবর মুম্বইয়ে ‘আর্য যুগ’ গ্রন্থের প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ভাগবত বলেন, “সকল ভারতীয়ই ম্যাকলে জ্ঞানব্যবস্থার অধীনে শিক্ষালাভ করেছেন। তাই আমাদের মন ও বুদ্ধি বিদেশি হয়ে গিয়েছে।”

    কী বললেন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    তিনি বলেন, “আমরা ভারতীয় পদ্ধতিতে শিক্ষিত হইনি। আমরা শিক্ষিত হয়েছি ম্যাকলে জ্ঞানব্যবস্থায়। আমাদের জ্ঞানের উৎস, ভিত্তি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক গঠন সেই ব্যবস্থার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে। বলা হয়, আমরা উপনিবেশে পরিণত হয়েছিলাম। আমরা ভারতীয় হলেও, আমাদের মন ও বুদ্ধি বিদেশি হয়ে গিয়েছিল। আমাদের সেই বিদেশি প্রভাব থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের মুক্ত করতে হবে। কেবল তখনই আমরা আমাদের জ্ঞান-ঐতিহ্যে প্রবেশ করতে পারব এবং তার গুরুত্ব বুঝতে পারব।” সরসংঘচালক বলেন, “যদি বাকি বিশ্ব কিছুটা অগ্রগতি করে থাকে, তবে আমাদের উচিত তাদের সেই অগ্রগতির গোপন রহস্যটি বোঝা ও তা মূল্যায়ন করা। যা ভালো, তা গ্রহণ করতে পারা উচিত এবং যা অপ্রয়োজনীয় তা বর্জন করতে পারা উচিত।”

    ‘সত্য’ উপলব্ধির পথ

    তিনি বলেন, “জ্ঞানেন্দ্রিয় (যেসব ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে আমরা জগতের জ্ঞান উপলব্ধি করি) দিয়ে যে পৃথিবীকে দেখা হয়, সেটিও মানুষের মনের দিকনির্দেশনার ওপর ভিত্তি করে। তাই ‘সত্য’ উপলব্ধি করতে হলে আমাদের মস্তিষ্কের সীমা অতিক্রম করতে হবে (RSS)।” আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “আধুনিক বিজ্ঞানও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে আমাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় যা দেখে, তা আসলে আমাদের মনের নির্দেশনার ভিত্তিতে। তবে বাস্তবে আমরা যা দেখি, তা সত্য নয়। আমরা মানুষ সাতটি রঙ দেখতে পাই। আমি একজন পশু-চিকিৎসক, আমি জানি একটি কুকুর মাত্র দু’টি রঙ দেখতে পায় এবং একটি মুরগি মাত্র তিনটি রঙ দেখতে পায়।” এর পরেই তিনি বলেন, “ তাহলে কি কুকুর মানুষকে রঙের সংখ্যা নিয়ে আপত্তি জানাবে? সেই কারণেই আমরা মস্তিষ্কের সীমার বাইরে না গেলে সত্য জানতে পারব না। আধুনিক বিজ্ঞানও বলে যে আমরা এটা পারি (Mohan Bhagwat)।”

  • Kali Puja 2025: কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠের কালী মন্দিরে কী কী ভোগ নিবেদন করা হয়?

    Kali Puja 2025: কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠের কালী মন্দিরে কী কী ভোগ নিবেদন করা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপুজো (Kali Puja 2025) বিশেষ জাঁকজমক সহকারে পালিত হয়। আজ কালীপুজো। দুর্গাপুজার পাশাপাশি কালীপুজোতেও বিভিন্ন আচার-নিয়ম (Rituals) থাকে। আর কালীপুজোর বিশেষ আকর্ষণই হল মায়ের ভোগ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শ্যামামায়ের মন্দির। আর সেই এক এক মন্দিরের এক এক রকমের ভোগ মাকে (Maa Kali) নিবেদন করা হয়। কলকাতার সবচেয়ে বিখ্যাত কালীমন্দিরটি হল কালীঘাট মন্দির। এটি একটি সতীপীঠ। এছাড়া দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি, আদ্যাপীঠ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি ইত্যাদি কলকাতার বিখ্যাত কয়েকটি কালীমন্দির। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের সেভকেশ্বরী কালীমন্দিরও বেশ বিখ্যাত।

    কোন মন্দিরে মাকে (Maa Kali) কী কী ভোগ দেওয়া হয়?

    কালীপুজোর সময় মায়ের যে ভোগ হয়, তা অন্যান্য পুজোর থেকে বেশ কিছুটা আলাদা। এক নজরে দেখে নিন, কোন মন্দিরে মাকে কী কী ভোগ দেওয়া হয়?

    কালীঘাট মন্দির: সতীর একান্নপীঠের অন্যতম এই কালীঘাট (Kalighat)। সকালে মা-কে আমিষ পদ ভোগে দেওয়া হয়। সেই ভোগের মধ্যে রয়েছে বেগুনভাজা, পটলভাজা, কপি, আলু ও কাঁচকলা ভাজা, ঘিয়ের পোলাও, ঘি ডাল, শুক্তো, শাকভাজা, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস ও চালের পায়েস। তবে রাতে মা-কে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয়। লুচি, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, দুধ, ছানার সন্দেশ আর রাজভোগ থাকে কালীঘাটের ভোগে।

    সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির: আনুমানিক ১৭০৩ সালে উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক সন্ন্যাসী সেই সময় জঙ্গলের মধ্যে পঞ্চমুণ্ডির আসনে ও ঘটে পুজো (Kali Puja 2025) শুরু করেন। কালীপুজোর রাতে ভোগ দেওয়া হয় লুচি, পটলভাজা, ধোঁকা বা আলুভাজা, আলুর দম ও মিষ্টি।

    দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির: ভোরে দেবী ভবতারিণীর বিশেষ আরতি দক্ষিণেশ্বরের পুজোর (Kali Puja 2025) বিশেষ আকর্ষণ। আর ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি।

    তারাপীঠ মন্দির: কালীপুজোর (Kali Puja 2025) দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তাঁরা। কালীপুজোর দিন তারা মা-এর ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা।

    সেভকেশ্বরী কালী মন্দির: শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়ার পথে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এই কালীমন্দির। কালীপুজোর (Kali Puja 2025) দিনগুলিতে এই সেভকেশ্বরী কালীমন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। সেবক পাহাড়ের নির্জনতায় হয় কালী মায়ের আরাধনা। অনেকেরই বিশ্বাস, দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা। এখানে মায়ের (Maa Kali) ভোগে থাকে সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, তরকারি, পায়েস, লুচি, দই, মিষ্টি। আর এখানে ভোগের আকর্ষণ হল বোয়াল মাছ। এদিন এই মাছ দেবীর ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়।

  • Kali Puja 2025: কখনও তিনি শ্যামবর্ণা, কোথাও তাঁর গায়ের রং নীল! জানুন মা কালীর বিভিন্ন রূপ

    Kali Puja 2025: কখনও তিনি শ্যামবর্ণা, কোথাও তাঁর গায়ের রং নীল! জানুন মা কালীর বিভিন্ন রূপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামপ্রসাদের কন্যা, রামকৃষ্ণের মা ভবতারিণী, সাধক কমলাকান্তের সাধনার ধন। তিনি দশমহাবিদ্যার প্রথম দেবী। দেবী কালিকা। বাংলা জুড়ে কালীপুজোর (Kali Puja 2025) মাহাত্ম্য অনেক। শ্মশানবাসিনী থেকে ঘরে ঘরে পূজিত হওয়ার রয়েছে নানা আখ্যান। কড়া নিয়ম মেনে আরাধনা করা হয় দেবী কালিকার। কোথাও তিনি পূজিত হন চামুণ্ডা মতে, তো কোথাও আবার তন্ত্র মতে। কোথাও কোথাও দেবীকে কেন্দ্র করেই চলে তন্ত্র সাধনা। কোথাও তিনি শ্যামবর্ণা, কোথাও তাঁর গায়ের রং নীল। মাকে ১১ রূপে বিনাশকারী শক্তি হিসেবে আরাধনা করে থাকেন ভক্তরা।

    মায়ের (Maa Kali) নানা রূপের কথা 

    দক্ষিণা কালী: বাংলায় সবচেয়ে বেশি আরাধনা হয় দক্ষিণা কালীর। কালীর এই রূপ জায়গা ভেদে শ্যামাকালী নামেও পরিচিত। সারা শরীর নীল বর্ণের, তাঁর মূর্তি ক্রুদ্ধ, ত্রিনয়নী, মুক্তকেশ, চারটি হাত এবং গলায় মুণ্ডমালা। বাম দিকের দুই হাতে নরমুণ্ড এবং খড়গ। ডান হাতে থাকে আশীর্বাদ এবং অভয় মুদ্রা। দেবী মহাদেবের উপরে দণ্ডায়মানা।

    শ্মশান কালী: মূলত প্রাচীন কালে ডাকাতেরা দেবীর এই রূপের আরাধনা করত। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসে এই দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। গৃহস্থের বাড়িতে কালীর এই রূপের পুজো হয় না একেবারেই। মূলত শ্মশানেই তাঁর আরাধনা।

    সিদ্ধ কালী: কালীপুজোর দিনে বহু জায়গায় সিদ্ধ কালীর আরাধনা করা হয়। কালীর (Kali Puja 2025) এই রূপ ভুবনেশ্বরী নামেও পরিচিত। গৃহস্থের বাড়িতে কালীর এই রূপ পুজো হয় না। কালী মায়ের সাধকেরা এই পুজো করে থাকেন। সিদ্ধকালীর দু’টি হাত, শরীর গয়নায় আবৃত। দেবীর ডান পা শিবের বুকে এবং বাঁ পা থাকে তাঁর দু’পায়ের মাঝখানে। এই দেবী রক্ত নয়, বরং অমৃত পানে সন্তুষ্ট থাকেন।

    ফলহারিণী কালী: এটি বাৎসরিক পুজো। মূলত, গৃহস্থ বাড়িতে শান্তি বজায় রাখতে কালীর এই রূপকে আরাধনা করা হয়।

    মহা কালী: এই দেবীর (Kali Puja 2025) দশটি মাথার মতো দশটি হাত এবং দশটি পা থাকে। প্রতিমার সঙ্গে শিবের কোনও অস্তিত্ব নেই। দশ হাতেই রয়েছে অস্ত্র। দেবীর পায়ের তলায় অসুরের কাটা মুণ্ড থাকে। ভূত চতুর্দশীর দুপুরে এমনই দশমাথা মহা কালীর সাধনা করা হয়। তবে, গৃহস্থ বাড়িতে এই পুজো করা হয় না।

    কাম্যা কালী: বিশেষ প্রার্থনায় কালীর এই রূপ আরাধনা করা হয়। পুজোর নিয়মবিধি দক্ষিণা কালীর মতোই। সাধারণত, অষ্টমী, চতুর্দশী অমাবস্যা পূর্ণিমা ও সংক্রান্তির মতো তিথিতেই কাম্যা কালীর আরাধনা করা হয়।

    গুহ্যকালী: এই দেবীর গায়ের রং গাঢ় কালো। গলায় ৫০টি নরমুন্ডের হার এবং কানে শবদেহের আকারের অলঙ্কার থাকে। শাস্ত্রে কালীর এই রূপকে ভয়ঙ্করী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

    ভদ্রকালী: কালীর এই রূপ সাধারণত বারোয়ারি বিভিন্ন মন্দিরে পুজো করা হয়। ভদ্রকালী নামে ভদ্র শব্দটি ব্যবহার হয়েছে কল্যাণ অর্থে এবং কালী শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে জীবনের শেষ সময় বোঝাতে।

    চামুণ্ডা কালী: চামুণ্ডা হলেন আদিশক্তি। আবার তিনিই ভগবতী দুর্গা। চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে হত্যা করে তিনি ‘চামুণ্ডা’ নামে পরিচিত হন। পার্বতী, চণ্ডী, দুর্গা, চামুণ্ডা ও কালী এক ও অভিন্ন রূপ।

    শ্রী কালী: দেবী দুর্গা বা পার্বতীর একটি রূপ শ্রী কালী (Kali Puja 2025)। অনেকে মনে করেন এই রূপে দেবী দারুক নামে অসুরকে বধ করেছিলেন। পুরাণ অনুয়ায়ী, কালীর এই রূপ মহাদেবের কণ্ঠে প্রবেশ করে তাঁর কণ্ঠের বিষে কৃষ্ণবর্ণা হন এবং পরবর্তীকালে মহাদেব শিশু রূপে স্তন্যপান করে দেবীর শরীর থেকে বিষ গ্রহণ করেন।

    রক্ষাকালী: দক্ষিণা কালীর (Maa Kali) একটি রূপ হল রক্ষাকালী। কথিত, প্রাচীন কালে লোকালয়ের রক্ষার জন্য এই দেবীর পুজো করা হত। এই দেবীর বাহন সিংহ।

  • Daily Horoscope 20 October 2025: গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মোন্নতি করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 20 October 2025: গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মোন্নতি করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    বৃষ

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভাল হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মোন্নতি।

    ৩) ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

    ২) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) আজ লাভের মুখ দেখবেন।

    সিংহ

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুর সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) ধৈর্য্য রেখে কাজ করুন।

    কন্যা

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) কোনও বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়বেন না আজ।

    তুলা

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় কোনও কর্মচারীর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) সমাজে আপনার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে আজ।

    বৃশ্চিক

    ১) স্ত্রীর কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) নিজের বাণীতে সংযম রাখুন।

    ধনু

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    মকর

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) লোকসান হবার বিপুল সম্ভাবনা।

    কুম্ভ

    ১) কাজের বিষয়ে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা ও সেই কারণে আপনার সম্মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) প্রিয়ডনের সঙ্গে খুশিতে কাটান দিনটি

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না

  • Ramakrishna 484: “তবু চেয়ে মুখপানে প্রেমনয়নে, ডাকিছ মধুর বচনে, মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে”

    Ramakrishna 484: “তবু চেয়ে মুখপানে প্রেমনয়নে, ডাকিছ মধুর বচনে, মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    সংকীর্তনানন্দে ভক্তসঙ্গে

    গিরিশ বাড়ি চলিয়া গেলেন। আবার আসিবেন।

    শ্রীযুক্ত জয়গোপাল সেনের সহিত ত্রৈলোক্য আসিয়া উপস্থিত। তাঁহারা ঠাকুরকে প্রনাম করিলেন ও আসন গ্রহণ করিলেন। ঠাকুর তাঁহাদের কুশল প্রশ্ন করিতেছেন। ছোট নরেন আসিয়া ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) বলিলেন, — কই তুই শনিবারে এলিনি? এইবার ত্রৈলোক্য গান গাইবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আহা, তুমি আনন্দময়ীর গান সেদিন করলে,—কি গান! আর সব লোকের গান আলুনী লাগে! সেদিন নরেন্দ্রের গানও ভাল লাগল না। সেইটে অমনি অমনি হোক না।

    ত্রৈলোক্য গাইতেছেন—‘জয় শচীনন্দন’ (Kathamrita)।

    ঠাকুর মুখ ধুইতে যাইতেছেন। মেয়ে ভক্তেরা চিকের পার্শ্বে ব্যাকুল হইয়া বসিয়া আছেন। তাঁহাদের কাছে গিয়া একবার দর্শন দিবেন। ত্রৈলোক্যের গান চলিতেছে।

    ঠাকুর ঘরের মধ্যে ফিরিয়া আসিয়া ত্রৈলোক্যকে বলিতেছেন,—একটু আনন্দময়ীর গান,—ত্রৈলোক্য গাইতেছেন:

    কত ভালবাস গো মা মানব সন্তানে,
    মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে (গো মা)।
    তব পদে অপরাধী, আছি আমি জন্মাবধি,
    তবু চেয়ে মুখপানে প্রেমনয়নে, ডাকিছ মধুর বচনে,
    মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে।
    তোমার প্রেমের ভার, বহিতে পারি না গো আর,
    প্রাণ উঠিছে কাঁদিয়া, হৃদয় ভেদিয়া, তব স্নেহ দরশনে,
    লইনু শরণ মা গো তব শ্রীচরণে (গো মা) ॥

    গান শুনিতে শুনিতে ছোট নরেন গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হইয়াছেন, যেন কাষ্ঠবৎ! ঠাকুর মাস্টারকে বলিতেছেন, “দেখ, দেখ, কি গভীর ধ্যান! একেবারে বাহ্যশূন্য! (Kathamrita)”

    গান সমাপ্ত হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ত্রৈলোক্যকে এই গানটি গাইতে বলিলেন—‘দে মা পাগল করে, আর কাজ নাই জ্ঞান বিচারে।’

    রাম বলিতেছেন, কিছু হরিনাম হোক! ত্রৈলোক্য গাইতেছেন:

    মন একবার হরি বল হরি বল হরি বল।
    হরি হরি হরি বলে, ভবসিন্ধু পারে চল।

  • Paris: প্যারিসের লুভ্যর জাদুঘর থেকে চুরি গিয়েছে নেপোলিয়ানের অলঙ্কার!

    Paris: প্যারিসের লুভ্যর জাদুঘর থেকে চুরি গিয়েছে নেপোলিয়ানের অলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকালে প্যারিসের (Paris) জাদুঘরে ডাকতির ঘটনায় শোরগোল। কার্যত ফিল্মি কায়দায় জানালা ভেঙে লুভ্যরের একটি ঘরে ঢুকে লাখ লাখ টাকার গয়না লুট করেছে দুই দুষ্কৃতী। ঘরের বাইরে দাঁড়িয়েছিল তৃতীয় একজন। জানা গিয়েছে, চুরি যাওয়া গয়নাগুলি হল ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট (Napoleon-era jewels) এবং সম্রাজ্ঞী জোসেফইনের। মুহূর্তের মধ্যেই দর্শনার্থীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায় জাদুঘরজুড়ে। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।

    ডিস্ক কাটার দিয়ে কাটা হয়েছে (Paris)

    ফ্রান্সের (Paris) সংস্কৃতি মন্ত্রী রাচিদা দাতি এক্স হ্যান্ডলে বলেন, “রবিবার জাদুঘর খুলতেই ডাকাতি হয়। ডিস্ক কাটার দিয়ে কাটা হয়েছে কাঠামো। নেপোলিয়ন (Napoleon-era jewels) এবং সম্রাজ্ঞীর অলঙ্কার সংগ্রহ থেকে ন’টি নগদ অর্থ চুরি হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি। আপাতত জাদুঘর বন্ধ রাখা হয়েছে।” পুলিশ ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানিয়েছে, জাদুঘরের শ্যেন নদীর দিকে সংস্কারের কাজ চলছিল। ওই জায়গা দিয়ে লিফটে করে অভিযুক্তরা ঢুকেছে জাদুঘরে। এরপর ঢুকে পড়ে সোজাসুজি গয়না রাখার ঘরে। তারপর চলে দেদার লুটপাট।

    কী কী আছে জাদুঘরে

    এই জাদুঘর লুভ্যরে (Paris) রয়েছে মোনালিসার ছবি। প্রতিদিন ৩০ হাজার দর্শক আসেন। এখানে ৩৩ হাজারেরও বেশি নিদর্শন রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন জিনিসপত্র, ভাস্কর্য এবং চিত্রকর্ম। প্রধান আকর্ষণ হল মোনালিসার ছবি, যা বিশ্বের সর্বাধিক পরিচিত শিল্পকর্ম। সেই সঙ্গে রয়েছে ভেনাস ডি মিলো এবং সামোথ্রেসের উইংড ভিক্টরি। প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার দ্রষ্টব্য রয়েছে জাদুঘরের সংগ্রহে। ৩৫ হাজার জিনিস রয়েছে প্রদর্শনীতে। প্রতি বছর ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ এই জাদুঘর পরিদর্শনের (Napoleon-era jewels) জন্য যান। আগেও এখান থেকে বহু মূল্যবান জিনিস চুরি গিয়েছে। ১৯১১ সালেই এখান থেকে চুরি গিয়েছিল মোনালিসার ছবি। যদিও সেই ছবি চুরি করেছিলেন জাদুঘরের কর্মীরাই। দু’বছর পরে অবশ্য উদ্ধার হয়েছিল সেই ছবি।

LinkedIn
Share