Tag: bangla news

bangla news

  • Uttarakhand: ইউসিসি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক সাড়া উত্তরাখণ্ডে, সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে বেড়েই চলেছে ভিড়

    Uttarakhand: ইউসিসি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক সাড়া উত্তরাখণ্ডে, সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে বেড়েই চলেছে ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৭ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কার্যকর হয় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC Registration)। তারপর থেকে এনিয়ে সারা রাজ্যের মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির নিয়মে কী কী পরিবর্তন এসেছে, সে সংক্রান্ত সবকিছু জানতে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন সরকারি দফতরের ওয়েবসাইটগুলিতে প্রবেশ করছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিন্ন অভিন্ন অনুযায়ী একত্রবাসের ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়মে বদল আনা হয়েছে এবং রেজিস্ট্রি করার পরে পরে লিভ-ইন করা যাবে উত্তরাখণ্ডে।

    সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে ব্যাপক ভিড়

    এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে সে রাজ্যের মানুষ ব্যাপকভাবে প্রবেশ করছেন সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পোর্টালে যাঁরা প্রবেশ করছেন এই সংখ্যা ব্যাপক। ২৭ জানুয়ারি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১,০০৬ জন এই পোর্টালে প্রবেশ করেছেন এবং তাঁরা নিজেদের বিবাহকে রেজিস্ট্রি করেছেন।

    কী বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?

    ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যে সমস্ত মানুষ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করছিলেন, তাঁরাও বর্তমানে বুঝতে পারছেন যে এই নিয়ম বিধির আমাদের রাজ্যের জন্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই আইন কারও বিরুদ্ধে আনিনি, কাউকে হয়রানি করতেও আনিনি। এই আইন আনা হয়েছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) জনগণের সুবিধার জন্য।

    প্রতিদিন ওয়েবসাইটে শত শত মানুষ বিবাহ রেজিস্ট্রি করছেন

    প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ইউসিসি পোর্টালে গিয়ে নিজের বিবাহকে নিবন্ধন করিয়েছেন। তারপর থেকেই প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ তাঁদের বিবাহ নিবন্ধন করিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ওই পোর্টালে কোনওরকমের বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয় কেউ নিবন্ধন করেনি বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে দেখার পরেই গুজরাতে বিজেপির সরকার কমিটি তৈরি করেছে। মনে করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি গুজরাতেও চালু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি।

  • State Budget 2025: ‘নারী সুরক্ষা, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, মহিলাদের জন্য কিছুই নেই’ রাজ্য বাজেটকে নিশানা শুভেন্দুর

    State Budget 2025: ‘নারী সুরক্ষা, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, মহিলাদের জন্য কিছুই নেই’ রাজ্য বাজেটকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বাজেটকে (State Budget 2025) বেকার বিরোধী বলে মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বুধবার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মীদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পাশাপাশি পঞ্চায়েতে ও গ্রামোন্নয়নে এবার বরাদ্দ করা হলো ৪৪ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ‘এটি বেকার-বিরোধী বাজেট।’ ২০২৬ সালের পূর্ণাঙ্গ বাজেট বিজেপি সরকারই তৈরি করবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    মহিলাদের জন্য ভাবনা কোথায়

    এদিন, বিধানসভায় বাজেট (State Budget 2025) পেশ করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর বাজেট বক্তৃতা শেষ হতে না হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এই বাজেট বেকার-বিরোধী। মহিলাদের জন্য একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। ডিএ বেড়েছে মাত্র চার শতাংশ। কেন্দ্রের সঙ্গে এখনও ফারাক অনেকটাই। সর্বোপরি যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। বেকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের এই দুর্মূল্যের বাজারে ঠকিয়েছে রাজ্য সরকার।’

    রাজ্য বাজেটে যা নেই

    ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর বৃষ্টিতে জলের তলায় যায় ঘাটাল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এই এলাকায় বন্যার সমস্যা দূর করার জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রয়োজন। মাস্টার প্ল্যান নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘ঘাটালে তো জমি অধিগ্রহণই হয়নি, সেখানে আবার বরাদ্দ কীসের?’ বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ জল পান না। পাহাড়ের জনজাতির জন্য কোনও পরিকল্পনা নেই। অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘মতুয়াদের জন্য একটা বাক্য নেই। সুন্দরবনের কথা নেই। নতুন পে কমিশনেরও প্রস্তাব নেই।’

    নারী সুরক্ষার কথা নেই

    বুধবার রাজ্যের পেশ করা বাজেটে (State Budget 2025)  নারী সুরক্ষার বিষয়ে কিছুই উল্লেখ নেই বলে জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দেন, মহিলাদের জন্য সামাজিক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্যও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়নি বাজেটে। তুলনায় টানতে ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির কথা তুলে আনেন তিনি। এমনকি দিল্লিতেও বিজেপি মহিলাদের জন্য মাসে ২৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা-ও স্মরণ করিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর সংযোজন, রাজ্যে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার হলে ‘প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেবে বিজেপি। ২০২৬ সালের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরি করবে বিজেপি সরকারই।’

  • RSS: দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-র সদর দফতর, সবমিলিয়ে ৩০০ কক্ষ, রয়েছে হাসপাতালও

    RSS: দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-র সদর দফতর, সবমিলিয়ে ৩০০ কক্ষ, রয়েছে হাসপাতালও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সদর দফতর নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হল। রাজধানীর ঝন্ডেবালানে ‘কেশব কুঞ্জ’ (Keshav Kunj) নামের আরএসএস-র নয়া সদর দফতরটির নির্মাণ হয়েছে। মোট তিনটি টাওয়ার রয়েছে আরএসএস-র নয়া সদর দফতরে। প্রতিটি টাওয়ার ১২ তলা করে। তিনটি টাওয়ারের নাম হল, ‘সাধনা’, ‘প্রেরণা’ এবং ‘অর্চনা’। জানা গিয়েছে, ৩.৭৫ একর জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে আরএসএস-র সদর দফতরটি। সবমিলিয়ে এই কার্যালয়ে ৩০০ কক্ষ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরএসএস-র তরফে জানানো হয়েছে মোট ১৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে সদর দফতর নির্মাণে। দেশজুড়ে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষের আর্থিক অনুদানেই তৈরি হয়েছে এই দফতর। যেকোনও রকমের বড় অনুষ্ঠান এবার থেকে এই সদর দফতরেই হবে বলে জানিয়েছেন সংঘ নেতারা।

    রয়েছে ৫ শয্যার হাসপাতাল (RSS)

    গোটা ভবনে প্রাচীন এবং আধুনিক স্থাপত্যের নিদর্শনও চোখে পড়ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকেই শুরু হয় নির্মাণকাজ। মূল অডিটোরিয়ামটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিংঘলের স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে। অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন অশোক সিংঘল। দফতরে ঢোকার মুখেই রয়েছে আরএসএস প্রতিষ্ঠিত কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের একটি মূর্তি। ১৩৫টি গাড়ি দাঁড় করানোর পার্কিং-ও রয়েছে আরএসএস-র দফতরে। নয়া সদর দফতরে রয়েছে সৌরবিদ্যুতের জোগানও। এরসঙ্গে রয়েছে একটি বড় গ্রন্থাগার (RSS), সেখানে রয়েছে ৮৫০০ বই। গবেষণার জন্য বিনামূল্যে সেখানে প্রবেশ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে নয়া দফতরে রয়েছে পাশাপাশি, একটি ক্লিনিক এবং পাঁচ শয্যার একটি হাসপাতাল।

    ‘পাঞ্চজন্য’ ও ‘অর্গানাইজার’-এর দফতরও থাকছে এখানে

    জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নয়া দফতরে উপস্থিত হবেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত এবং সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। সেখানেই হবে একটি সম্মেলন হবে। সংঘের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির ওই সদর দফতর থেকেই আরএসএস-র (RSS) যাবতীয় কাজকর্ম সম্পাদিত হবে। জানা গিয়েছে, গুজরাতের বাসিন্দা অনুপ দাভে এই নয়া সদর দফতরের নকশা তৈরি করেছেন। সংঘের মুখপত্র ‘পাঞ্চজন্য’ ও ‘অর্গানাইজার’-এর দফতরও থাকছে এখানে। এর পাশাপাশি, ‘সুরুচি প্রকাশনে’র দফতরও থাকছে নয়া সদর দফতরে।

  • State Budget 2025: “চার শতাংশ ডিএ ভিক্ষা”! রাজ্য বাজেটকে কটাক্ষ সুকান্তর

    State Budget 2025: “চার শতাংশ ডিএ ভিক্ষা”! রাজ্য বাজেটকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনকে সামনে রেখে ভাঁওতার বাজেট (State Budget 2025) পেশ করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার এমনই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mjumdar)। আগামী অর্থবর্ষের জন্য তৈরি করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই বাজেটের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ৷ এদিন হুগলির ত্রিবেণীতে কুম্ভস্নানের পর এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি ৷ সুকান্তর দাবি, এই বাজেটের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে ভাঁওতা দিয়েছে মমতার সরকার ৷

    ডিএ নিয়ে সরব

    রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ল ৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৪ শতাংশ বর্ধিত ডিএ পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এর ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে দাঁড়াল ১৮ শতাংশ। সরকারি কর্মচারিদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে সুকান্তর প্রতিক্রিয়া, “কেন্দ্রের সঙ্গে এখনও কত তফাত। পে কমিশন ঘোষণার দরকার যেখানে, সেখানে ডিএ দিচ্ছে, তাও চার শতাংশ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে চার শতাংশর ভিক্ষা নয়। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া হবে।”

    মিথ্যার ফুলঝুড়ি

    রাজ্য বাজেট (State Budget 2025) পেশের পর এদিন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mjumdar) বলেন, “এই বাজেট নির্বাচনকে সামনে রেখে মিথ্যা কথার ফুলঝুরি। বাজেট কেমন হয় কেন্দ্রীয় বাজেটটা দেখুন।” বাজেটে ৭০ হাজার আশাকর্মীকে স্মার্টফোন দেওয়ার ঘোষণাকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কিনতে দুশো কোটি টাকা, এটা কেন্দ্রের টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর টাকা নয়। আমরা মামলা করব ভাবছিলাম। বাজেটে ঘোষণা করে মামলার হাত থেকে বাঁচল। ভারতবর্ষের সব রাজ্যের আশা ও আইসিডিএস কর্মীরা আগে থেকে মোবাইল ব্যবহার করে। এটা এগিয়ে বাংলা না পিছিয়ে বাংলা!”

    শিল্পের কোনও দিশা নেই

    শিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্যে ২ কোটি চাকরি তৈরি হয়েছে বলে জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যে বেকারত্বের হার কমেছে ৪০ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, মুখেই বলা হচ্ছে কিন্তু কাজ কোথায়। রাজ্য বাজেটে শিল্পেরও কোনও দিশা নেই বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। তিনি বলেন, “বেকার ছেলেদের চাকরি পাওয়ার রাস্তা কোথায়। সরকারি চাকরি না পেলে প্রাইভেট জায়গায় যে কাজ করবে তার রাস্তা কোথায়। শিল্পই নেই।”

  • Assam: অসমে মৌলবাদীদের হামলার শিকার হিন্দু পরিবার, বিক্ষোভে সামিল হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী

    Assam: অসমে মৌলবাদীদের হামলার শিকার হিন্দু পরিবার, বিক্ষোভে সামিল হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে (Assam) এক হিন্দু পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে সে রাজ্যের গরুমারা দলনি গ্রামে। জানা গিয়েছে, এই গ্রামটি গুয়াহাটি শহর থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং তা ময়ং পুলিশ স্টেশনের অন্তর্ভুক্ত। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাজার হাজার গ্রামবাসী পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি। তাঁরা দাবি জানান যে যারা এই ঘটনার অভিযুক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। অর্গানাইজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝামেলার সূত্রপাত গত ৯ ফেব্রুয়ারি। যেখানে একটি গোষ্ঠী জোর করে এক হিন্দু পরিবারের মাঠের ঘাস কেটে নিতে থাকে।

    বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের (Assam)

    এর পরেই ওই হিন্দু পরিবার (Assam) প্রতিবাদ জানালে আরও বড় সংখ্যায় গোষ্ঠী জড়ো হয় এবং তারা ওই পরিবারের ওপর হামলা চালায়। জানা যায়, ওই পরিবারের পাঁচজনকেই ব্যাপকভাবে আহত করা হয়। যাঁদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুরাও ছিল। এর পরবর্তীকালে আহতদের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। আহত ওই পরিবার ময়ং পুলিশ থানাতে অভিযোগপত্র দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা গিয়েছে। সে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের এমন গড়িমসিভাব গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রবল বিক্ষোভ তৈরি করেছে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ সামলাতে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    কী জানালেন পুলিশ কর্তা

    অসমের (Assam) উচ্চপদস্থ এক পুলিশ অফিসার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন যে আমরা জনতাকে আশ্বস্ত করছি যে বা যারা অভিযুক্ত তাদেরকে খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনা নতুন বা প্রথম কিছু নয়। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে অসমে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে খবরের শিরোনামেও এসেছে ওই ঘটনাগুলি। ঐদিন হিন্দু জনতা যে বিক্ষোভ দেখায়, সেখানে তারা স্লোগান তোলে যে যদি কঠিন শাস্তি না দেওয়া হয় দোষীদের, তাহলে (Assam) এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলবে এবং এর পরেও কোনও না কোনও পরিবার আবার আক্রান্ত হবে।

  • Daily Horoscope 13 February 2025: চাকরিতে সুখবর আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 13 February 2025: চাকরিতে সুখবর আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) আগুপিছু না ভেবে উপার্জনের রাস্তায় পা দেবেন না।

    ২) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন চঞ্চল থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 269: “মন চল নিজ নিকেতনে’ আর ‘যাবে কি হে দিন আমার বিফলে চলিয়ে”

    Ramakrishna 269: “মন চল নিজ নিকেতনে’ আর ‘যাবে কি হে দিন আমার বিফলে চলিয়ে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    শ্রীমুখ-কথিত চরিতামৃত — ঠাকুরের নানা সাধ

    পূর্বকথা—প্রথম কলিকাতায় নাথের বাগানে—গঙ্গাস্নান 

    পূর্বকথা—নরেন্দ্রের জন্য ক্রন্দন—নরেন্দ্রের প্রথম দর্শন ১৮৮১ 

    “ছোকরাদের ভালবাসি কেন?—ওদের ভিতর কামিনী-কাঞ্চন এখনও ঢুকে নাই। আমি ওদের নিত্যসিদ্ধ দেখি!

    “নরেন্দ্র (Ramakrishna) যখন প্রথম এলো—ময়লা একখানা চাদর গায়ে,—কিন্তু চোখ মুখ দেখে বোধ হল ভিতরে কিছু আছে। তখন বেশি গান জানতো না। দুই-একটা গাইলে,:

    ‘মন চল নিজ নিকেতনে’ আর ‘যাবে কি হে দিন আমার বিফলে চলিয়ে।’

    “যখন আসত,—একঘর লোক—তবু ওর দিক পানে চেয়েই কথা কইতাম। ও বলত, ‘এঁদের সঙ্গে কথা কন’,—তবে কইতাম।

    “যদু মল্লিকের বাগানে কাঁদতুম,—ওকে দেখবার জন্য পাগল হয়েছিলাম। এখানে ভোলানাথের হাত ধরে কান্না!—ভোলানাথ বললে, ‘একটা কায়েতের ছেলের জন্য মশায় আপনার এরূপ করা উচিত নয়।’ মোটা বামুন একদিন হাতজোড় করে বললে, ‘মশায়, ওর সামান্য পড়াশুনো, ওর জন্য আপনি এত অধীর কেন হন?’

    “ভবনাথ নরেন্দ্রের (Ramakrishna) জুড়ি—দুজনে যেন স্ত্রী-পুরুষ! তাই ভবনাথকে নরেন্দ্রের কাছে বাসা করতে বললুম। ওরা দুজনেই অরূপের ঘর।”

    সন্ন্যাসীর কঠিন নিয়ম, লোকশিক্ষার্থ ত্যাগ—ঘোষপাড়ার সাধনের কথা 

    “আমি ছোকরাদের মেয়েদের কাছে বেশি থাকতে বা আনাগোনা করতে বারণ করে দিই।

    “হরিপদ এক ঘোষপাড়ার মাগীর পাল্লায় পড়েছে। সে বাৎসল্যভাব করে। হরিপদ ছেলেমানুষ, কিছু বোঝে না। ওরা ছোকরা দেখলে ওইরকম করে। শুমলাম হরিপদ নাকি ওর কোলে শোয়। আর সে হাতে করে তাকে খাবার খাইয়ে দেয়। আমি ওকে বলে (Kathamrita) দিব—ও-সব ভাল নয়। ওই বাৎসল্যভাব থেকেই আবার তাচ্ছল্যভাব হয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • India vs England: ইংল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দুরন্ত ছন্দে ভারত

    India vs England: ইংল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দুরন্ত ছন্দে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) আগে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুরন্ত ছন্দে ভারত (India vs England)। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করল রোহিত ব্রিগেড। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ধুম ধাড়াকা ক্রিকেট দেখলেন ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা। শুরুটা করেছিলেন ভারতের ব্যাটারা, আর শেষটা করলেন বোলাররা। আমেদাবাদে শেষ ওডিআইতে ইংল্যান্ডকে ১৪২ রানে হারাল ভারত। ম্যাচের সেরা শুভমান গিল। ভারতের ৩৫৬ রানের জবাবে ম্যাচে মাত্র ৩৪.২ ওভারে ২১৪ রান করে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।

    ভারতের দাপট

    ভারত (India vs England) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৫৬ রান করে ইংল্যান্ডের সামনে একটা বড় টার্গেট দেয়। আমেদাবাদে ব্যাটিং সহায়ক পিচে এই রান হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই রান তাড়া করার জন্য এই দক্ষতা দরকার ছিল, সেটা ইংল্যান্ডের ছিল না। এই ম্যাচে তিন বোলারকে বসিয়ে খেলতে নামে ভারত। সেই পরিবর্তনটাও পার্থক্য তৈরি করল না। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করলেন টম ব্যান্টন। তাঁকে জ্যাকব বেথেলের জায়গায় খেলানো হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও সুযোগ পেয়েছেন টম ব্যান্টন। তিনি করেন ৩৮ রান। বেন ডাকেট করেন ৩৪ রান। এরা বাদে আর কেউ লড়াই দিতে পারেননি।

    সফল বোলাররা, রান পেলেন বিরাট

    ভারতের (India vs England) বোলিংয়ের মধ্যে প্রশংসনীয় বোলিং করেন হর্ষিত রানা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy) জশপ্রীত বুমরার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন তিনি। কেন তাঁকে বুমরার বিকল্প হিসেবে বাছা হয়েছে সেটার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। অর্শদীপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়া ভালো বোলিং করেন। ভারতের প্রত্যেক বোলারই উইকেট পান। এই ম্যাচ ও সিরিজের পর সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে নামবে ভারত। এদিন দুটি করে উইকেট নেন অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা, অক্ষর প্যাটেল ও হার্দিক পান্ডিয়া। একটি করে উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর ও কুলদীপ যাদব। এর আগে, টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। ভারত ৫০ ওভারে তোলে ৩৫৬ রান। শুভমান গিল ১০২ বলে ১১২, শ্রেয়স আইয়ার ৬৪ বলে ৭৮, বিরাট কোহলি ৫৫ বলে ৫২, লোকেশ রাহুল ২৯ বলে ৪০ রান করেন।

  • Sikh Riots Case: শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমার

    Sikh Riots Case: শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দিরা গান্ধী হত্যা-পরবর্তী শিখ দাঙ্গা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সরস্বতী বিহারে শিখ ধর্মাবলম্বী পিতা-পুত্রকে খুনের ঘটনায় সজ্জন প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। গুরুদ্বারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সংক্রান্ত ওই মামলায় ‘প্রধান প্ররোচনাকারী’ বলে হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে সজ্জনকে।

    কী বলল আদালত

    বুধবার বিশেষ বিচারক কাবেরী বাওয়েজা, প্রাক্তন কংগ্রসে সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করার আদেশ দেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর সাজার পরিমাণ নিয়ে যুক্তিতর্ক হবে। এদিন সজ্জন কুমারকে তিহার জেল থেকে আদালতে হাজির করানো হয়। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর ১৯৮৪ সালে কার্যত শিখনিধন যজ্ঞ চলেছিল দেশে। সেই অশান্তি চলাকালীন ১ নভেম্বর যশবন্ত সিং নামের এক ব্যক্তি ও তাঁর পুত্র তরুণদীপ সিংকে খুনের ঘটনায় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের নাম জড়ায়। সেইসময় দিল্লির রাজনগরেরই সাংসদ ছিলেন সজ্জন কুমার। প্রাথমিক ভাবে পাঞ্জাবি বাগ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই এক বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হলে তাদের হাতেই তদন্তের দায়ভার দেওয়া হয়। ২০২৪-এর ডিসেম্বরেই এই মামলার শুনানি সম্পূর্ণ হয়েছিল। শুনানির সময়, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সজ্জন কুমারের নেতৃত্বে সশস্ত্র জনতা শিখ সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছিল। বহু মানুষের ঘর-বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল, তাদের সম্পত্তি ধ্বংস করেছিল।

    কোন কোন মামলায় অভিযুক্ত

    দিল্লিতে শিখবিরোধী হিংসার অন্য একটি মামলায় ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত সজ্জনের যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি তিহাড় জেলে বন্দি। সেখান থেকেই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তাঁকে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজের শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পরই দেশ জুড়ে শিখবিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়। ১ নভেম্বর দক্ষিণ দিল্লির রাজনগরে এক শিখ পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে হত্যা এবং ওই এলাকার একটি গুরুদ্বার জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সজ্জন কুমার। সেই মামলায় ২০১৮ সালে তাঁর সাজা হয়েছিল।

  • Supreme Court: ‘বিনামূল্যে পেয়ে কাজের ইচ্ছা চলে যাচ্ছে’ খয়রাতির রাজনীতি নিয়ে কঠোর পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘বিনামূল্যে পেয়ে কাজের ইচ্ছা চলে যাচ্ছে’ খয়রাতির রাজনীতি নিয়ে কঠোর পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনামূল্যে রেশন। পরিশ্রম না-করেই অ্যাকাউন্টে টাকা! খয়রাতির রাজনীতি, অর্থাৎ, নির্বাচনের আগে বিনামূল্যের উপহার ঘোষণা করার প্রথার তীব্র নিন্দা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালত বলেছে বিনামূল্যে রেশন এবং অর্থ পেয়ে মানুষ কাজ করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছে। আর এই ভাবে তৈরি হচ্ছে একটা পরজীবী শ্রেণি। আদালতের বক্তব্য, এর ফলে মানুষ কাজ করতে চাইছেন না। বিনামূল্যে খাবার পেয়ে গেলে, বিনা শ্রমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভরে গেলে আর পরিশ্রম করার প্রয়োজন পড়ে না। এতে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    শহরাঞ্চলে দারিদ্র দূর করার লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্‌র বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায়, শহরাঞ্চলে দারিদ্র দূরীকরণ মিশন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। যাঁরা শহরের রাস্তায় গৃহহীন, তাঁদের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করা হবে। এ ছাড়াও শহরবাসী দরিদ্র মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘‘শহরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জন্য যে আপনারা ভাবছেন, সেটা খুবই ভাল কথা। কিন্তু তাঁদের যদি সমাজের মূলস্রোতের অঙ্গ করে তোলা যায়, তাঁদের যদি দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো যায়, সেটা কি আরও ভাল হবে না?’’

    কেন এই পর্যবেক্ষণ

    শহরাঞ্চলে দারিদ্র্য দূরীকরণ অভিযান কার্যকর করতে কত সময় লাগবে, তা কেন্দ্রের কাছ থেকে যাচাই করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানিকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ভেঙ্কটরমানি জানান, নগরাঞ্চলে দারিদ্র্য দূরিকরণ অভিযান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্র। এই অভিযান নগরাঞ্চলে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন বিষয়ের মোকাবিলা করবে। ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। মানুষের সুবিধার্থে নানা নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। কোথাও বলা হয়, বিনামূল্যে রেশন পাবেন মানুষ। কোথাও আবার মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা হয়। সরকারি এই প্রকল্পগুলির ফলে মানুষকে আর আগের মতো পরিশ্রম করতে হয় না। বিনা পরিশ্রমেই মেলে সুযোগসুবিধা। ভোট-রাজনীতির এই ‘খয়রাতি’ নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। ছ’সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

LinkedIn
Share