Tag: bangla news

bangla news

  • Indian jujube: সরস্বতী পুজোর পরেই শুরু হয়েছে কুল খাওয়া! জানেন শরীরে কী প্রভাব পড়ছে?

    Indian jujube: সরস্বতী পুজোর পরেই শুরু হয়েছে কুল খাওয়া! জানেন শরীরে কী প্রভাব পড়ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাঙালির বাণীবন্দনা পর্বের পরেই শুরু হয় কুল! সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) পরেই বাজারে পাওয়া যায় অঢেল কুল। কেউ আচার বানিয়ে খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ ফল হিসেবে খান। কেউ কেউ আবার নুন মাখিয়ে বিকেলে কুলমাখা খান! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ফলের শরীরে গভীর প্রভাব রয়েছে! কেউ‌ কেউ কুল থেকে একাধিক উপকারিতা লাভ করতে পারেন, আবার কুল বিপদও ডেকে আনতে পারে। তাই কুল (Indian jujube) খাওয়ার আগে এই ফল সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি। আসুন জেনে নিই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা।

    কুল থেকে কী উপকার পাওয়া যায় (Indian jujube)?

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বাঁচাবে সর্দি-কাশির হাত থেকে! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কুল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। এই সময়ে আবহাওয়ার রকমফের হয়। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করে। আর তার ফলে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। সর্দি-কাশিতে ভোগান্তি কম হবে।

    কুল (Indian jujube) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার!

    কুলের (Indian jujube) পুষ্টিগুণ প্রচুর। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই এই ফল খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ থেকে সাধারণ জীবাণু বাহিত অসুখ, সবকিছুই মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই কুল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফল হিসেবে নিয়মিত কাঁচা কুল (Indian jujube) খেলে এর দুটো‌ বড় উপকার পাওয়া যেতে পারে। কুল রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কুল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্যও তাই এই ফল উপকারী। আবার ওজন কমাতেও এই ফল খুব সাহায্য করে। এই ফল প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে ডিটক্স করে। তাই ওজনেও নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্থুলতা রুখতে কুল খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    চামড়ার জন্য খুবই উপকারী কুল!

    ত্বকের সমস্যা মোকাবিলায় কুল (Indian jujube) বাড়তি সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার রকমফেরে‌ বছরের এই সময়ে ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায়। ফলে ত্বক রুক্ষ্ম হয়ে যায়। কুল এক্ষেত্রে খুবই উপকারী। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে চামড়া মসৃণ থাকে। রুক্ষ্মতা কমে।

    কাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে কুল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কুল (Indian jujube) কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, তার উপরেই এর বিপদ নির্ভর করছে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নুন মিশিয়ে কুল খান। নিয়মিত বাড়তি নুন খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। আবার কিডনির উপরেও বাড়তি চাপ তৈরি করে। বিশেষত যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এই নুন মেশানো কুল খুবই বিপজ্জনক। তাই কুল ফল হিসাবে শুধু খেলে এবং পরিমিত পরিমাণে খেলে এর উপকার পাওয়া যাবে।‌ না হলে এই ফল থেকেও নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Daily Horoscope 10 February 2025: সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 10 February 2025: সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাধার আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) বুকের সমস্যা বৃদ্ধি।

    ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে কোনও ক্ষতি হতে পারে, একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মানসিক অবসাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি, তবে খরচও বাড়বে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) দিনটি ভালো-খারাপ মিশিয়ে কাটবে।

    ২) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ২) বিবাহ নিয়ে অশান্তি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ভালো কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

    ২) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) মধুর ভাষণের দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ২) দাম্পত্য কলহের অবসান।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে কাজের জন্যে শুভ যোগাযোগ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) অন্যের জিনিসের উপর লোভ সামলাতে না পারলে বিপদে পড়তে পারেন।

    ২) সংসারে মনঃকষ্ট।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) চাকরির জায়গায় বিরোধী ব্যক্তির সঙ্গে মিত্রতা হয়ে যেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়।

    ৩) সমাজে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 267: “ধনেখালির খইচুর, খানাকুল কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তাও খেতে সাধ হয়েছিল”

    Ramakrishna 267: “ধনেখালির খইচুর, খানাকুল কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তাও খেতে সাধ হয়েছিল”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    শ্রীমুখ-কথিত চরিতামৃত — ঠাকুরের নানা সাধ

    পূর্বকথা—প্রথম কলিকাতায় নাথের বাগানে—গঙ্গাস্নান 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভোগ লালসা থাকা ভাল নয়। আমি তাই জন্য যা যা মনে উঠতো আমনি করে নিতাম।

    “বড়বাজারের রঙকরা সন্দেশ দেখে খেতে ইচ্ছা হল। এরা আনিয়া দিলে। খুব খেলুম,— তারপর অসুখ।

    “ছেলেবেলা গঙ্গা নাইবার সময় (Kathamrita), তখন নাথের বাগানে, একটি ছেলের কোমরে সোনার গোট দেখেছিলাম। এই অবস্থার পর সেই গোট পরতে সাধ হল। তা বেশিক্ষণ রাখবার জো নাই,— গোট পরে ভিতর দিয়ে সিড়সিড় করে উপরে বায়ু উঠতে লাগল — সোনা গায়ে ঠেকেছে কি না? একটু রেখেই খুলে ফেলতে হল। তা না হলে ছিঁড়ে ফেলতে হবে।

    “ধনেখালির খইচুর, খানাকুল কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তাও খেতে সাধ হয়েছিল।” (সকলের হাস্য)

    পূর্বকথা—শম্ভুর ও রাজনারায়ণের চন্ডী শ্রবণ—ঠাকুরের সাধুসেবা

    “শম্ভুর চন্ডীর গান (Ramakrishna) শুনতে ইচ্ছা হয়েছিল! সে গান শোনার পর আবার রাজনারায়ণের চন্ডী শুনতে ইচ্ছা হয়েছিল। তাও শোনা হল।

    “অনেক সাধুরা সে সময়ে আসত। তা সাধ হল, তাদের সেবার জন্য আলাদা একটি ভাঁড়ার হয়। সেজোবাবু তাই করে দিলে। সেই ভাঁড়ার থেকে সাধুদের সিদে কাঠ, এ-সব দেওয়া হত।

    “একবার মনে উঠল যে খুব ভাল জরির সাজ পরব। আর রূপার গুড়গুড়িতে তামাক খাব। সেজোবাবু নূতন সাজ, গুড়গুড়ি, সব পাঠিয়ে দিলে। সাজ পরা হল। গুড়গুড়ি নানারকম করে টানতে লাগলুম। একবার এপাশ থেকে, একবার ওপাশ থেকে,—উঁচু থেকে নিচু থেকে। তখন বললাম, মন এর নাম রূপার গুড়গুড়িতে তামাক খাওয়া! এই বলে গুড়গুড়ি ত্যাগ হয়ে গেল। সাজগুলো খানিক পরে খুলে ফেললাম,—পা দিয়ে মাড়াতে লাগলাম—আর তার উপর থু থু করতে লাগলাম—বললাম (Kathamrita), এর নাম সাজ! এই সাজে রজোগুণ হয়!”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Manipur: পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    Manipur: পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী (N Biren Singh)। রবিবারই ইম্ফলে গিয়ে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। এন বীরেন সিং তাঁর পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, ‘‘মণিপুরের (Manipur) মানুষের সেবা করতে পেরে আমি সম্মানিত। কেন্দ্রকে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করা, উন্নয়ন, একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আগামীতেও কেন্দ্র যাতে একই পথে হাঁটে সেজন্য অনুরোধ করছি।’’ সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বীরেনকে সরে যেতে বলেন। শাহের সিদ্ধান্ত জানার পর পদত্যাগ করেন বীরেন।

    রবিবারই দিল্লি যান বীরেন

    রবিবার সকালেই নয়াদিল্লিতে অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন বীরেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি ও নাগা পিপল্‌স ফ্রন্ট (এনপিএফ)-এর ১৪ জন বিধায়ক। জানা গিয়েছে, এই বৈঠক হয় ১৫ মিনিটের। বৈঠকের পর ইম্ফলে ফিরেই বীরেন ইস্তফা দেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে।

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার জেরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। মাঝে অবশ্য বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল অশান্তি। পরে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের জেলায় জেলায়। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও চালানো হয় হামলা (Manipur)। এই আবহে ৯ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।

  • Love Jihad: লাভ জিহাদের অভিযোগ ভোপালে, কোর্ট চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও অভিযুক্তের ওপর

    Love Jihad: লাভ জিহাদের অভিযোগ ভোপালে, কোর্ট চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও অভিযুক্তের ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের (Love Jihad) অভিযোগ উঠল ভোপালে। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) ১৮ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করতে আসে এক মুসলিম ব্যক্তি। এরপরেই লাভ জিহাদের অভিযোগে ভোপালের জেলা আদালত চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও হয় ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপরে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুখ হলেন ওই হিন্দু মহিলার মা। তিনি জানান, ওই ব্যক্তি নানাভাবে তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করত। এ কথা শোনার পরেই ভোপালের পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় ভোপালজুড়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বেরিলি আদালত লাভ জিহাদ (Love Jihad) নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দেয়। কোর্ট জানায়, এটি এমন একটি কাজ যেখানে মুসলমান পুরুষরা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু নারীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য টার্গেট করে মিথ্যে বিয়ের নামে ছদ্মবেশে ভালোবাসার নামে প্রতারণা করে।

    লাভ জিহাদ, কী বলল আদালত (Love Jihad)

    উত্তরপ্রদেশের বেরিলি আদালতের মতে, ‘লাভ জিহাদ ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু অরাজকতাবাদী উপাদান দ্বারা ভারতের ওপর আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা। এটি একটি জনসংখ্যাগত যুদ্ধ, যা সম্ভবত একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। সম্প্রতি এই আদালতই এক মুসলমান যুবককে এক হিন্দু মহিলাকে বারংবার ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। ৪২ পাতার একটি নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক রবি কুমার দেওয়াকার জানান, লাভ জিহাদের মাধ্যমে অবৈধ ধর্মান্তরণ একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ এবং তিনি ভারত সরকারকে এর গুরুতর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। অভিযোগ, লাভ জিহাদের (Love Jihad) অপরাধটা একটা সিন্ডিকেট দ্বারা চালানো হচ্ছে। যারা অ-মুসলিম, তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের দুর্বল অংশের মানুষদের মগজ ধোলাই করে নারী ও শিশুদের প্রভাবিত করছে।

    উত্তরপ্রদেশের ঘটনা

    উত্তরপ্রদেশের ওই ঘটনায় একটি কোচিং সেন্টারে কম্পিউটার কোর্স করতে গিয়ে অভিযুক্ত মহম্মদ আলমের সঙ্গে পরিচয় হয় এক হিন্দু তরুণীর। আলম ওই তরুণীকে আনন্দ বলে পরিচয় দেন। এই পরেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে আলম। শারীরিক সম্পর্কের এই ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করে আলম। অভিযোগ, তারপর থেকে নানা সময় ব্ল্যাকমেইল করে ভিডিওটি দেখিয়ে ওই তরুণীকে একাধিকবার হোটেলে যেতে বাধ্য করে। তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে, গর্ভপাতও করানো হয়। এরপরে হিন্দু ওই তরুণীকে আলম ও তার পরিবার ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। এরপরেই মামলা দায়ের হয় আদালতে। তারই পর্যবেক্ষণে বরেলি আদালত এমন মন্তব্য করে।

  • Israeli Hostages: মুক্ত তিন ইজরায়েলি নাগরিক, কঙ্কালসার চেহারা দেখে হামাসকে দানব আখ্যা নেতানিয়াহুর

    Israeli Hostages: মুক্ত তিন ইজরায়েলি নাগরিক, কঙ্কালসার চেহারা দেখে হামাসকে দানব আখ্যা নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে তিন ইজরায়েলি বন্দিকে (Israeli Hostages) মুক্তি দিল হামাস। এঁরা হলেন- এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি এবং ওর লেভি। এঁরা প্রত্যেকেই ইজরায়েলের সাধারণ নাগরিক। হামাসের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার পরে এই তিন নাগরিকের কঙ্কালসার চেহারা দেখে সকলে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। নিজের দেশের নাগরিকদের এহেন দুর্দশা দেখে হামাস জঙ্গি সংগঠনকে তোপ দেগেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি হামাস জঙ্গি সংগঠনকে দানব আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর হুঙ্কার, ওই জঙ্গি সংগঠনকে ধ্বংস করেই তাঁরা শান্ত হবেন।

    তিন বন্দির মুক্তির গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়

    তিন বন্দির মুক্তির গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। তাতে দেখা যাচ্ছিল, ওই দিন ইজরায়েলি নাগরিককে (Israeli Hostages) ঘিরে ধরে রেখেছে মাস্ক পরা হামাস জঙ্গিরা (Hamas)। তাদের প্রত্যেকেরই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। ওই তিন নাগরিককে দুর্বল, ফ্যাকাশে এবং রোগা দেখাচ্ছিল। প্রসঙ্গত, হামাসের সঙ্গে ১৫ মাস যুদ্ধের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদন করে ইজরায়েল (Israeli Hostages)। সরাসরি সম্প্রচার দেখার সময় মুক্ত হওয়া এক বন্দির আত্মীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেই ফেললেন, একেবারে কঙ্কালের মতো অবস্থা হয়েছে। কি ভয়ঙ্কর লাগছে! এরপরই বিবৃতি আসে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যাঁদের মুক্ত করা হল তাঁদের চেহারা দেখে অত্যন্ত মর্মান্তিক লাগছে। আমরা হামাসকে নির্মূল করবই। বাকি সব বন্দিদের আমরা ফিরিয়ে আনব।

    বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে তিনজনের ছবি প্রকাশ করা হয়

    ইজরায়েলের (Israeli Hostages) সরকারি বিভিন্ন সমাজ মাধ্যম থেকে ওই তিনজনের ছবি প্রকাশ করা হয়। হামাসের হাতে বন্দি হওয়ার আগে তাঁরা কেমন ছিলেন, বন্দি হওয়ার পরেই বা তাঁদের কি হাল হয়েছে, তা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এরপরে ক্যাপশনে লেখা হয়, কোনও ভাষা নেই। ওই তিন বন্দি মুক্ত হওয়ার পরে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন। তখনই তাঁরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ভেঙে পড়েন কান্নায়। তাঁদের তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলে হামাস হামলা করে। এরপরেই কিবুতজ বে’য়েরি থেকে ওহাদ বেন আমি এবং এলি শারাবিকে বন্দি করা হয়। পরবর্তীকালে অর লেভিকে নোভা থেকে অপহরণ করা হয়।

  • Donald Trump: ধর্মান্তকরণ, মাওবাদীদের ফান্ডিং করত মার্কিন সংস্থা, কড়া পদক্ষেপ ট্রাম্পের

    Donald Trump: ধর্মান্তকরণ, মাওবাদীদের ফান্ডিং করত মার্কিন সংস্থা, কড়া পদক্ষেপ ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বিতর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিদেশ থেকে যে সাহায্য এরা পেত, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক ইতিমধ্যেই এই সংস্থাকে একটি অপরাধী সংস্থা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এ বিষয়ে এক্স মাধ্যমে তিনি পোস্টও করেছেন।

    ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠা (Donald Trump)

    প্রসঙ্গত, ইউএসএআইডি ছয়ের দশকে গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি পালন করা। যদিও এরই আড়ালে চলছিল নানা রকমের অ্যাজেন্ডা। গোপনে তহবিল সংগ্রহ, যে কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব হরণ করা, সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল তারা। এই সংস্থা যেসব সার্বভৌম দেশগুলির ওপর নজর রাখত, তার মধ্যে ভারতও ছিল। এদেশে মাওবাদীদের ফান্ডিং করা থেকে, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণে ফান্ডিং এসবও করত তারা।

    মোদির জনসমর্থন কমাতে চক্রান্ত

    শুধু তাই নয়, এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যম ব্যবহার করে, তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসমর্থন কমানোর চেষ্টাও করছে। এ বিষয়ে নাম উঠে আসে জর্জ সোরোসের, যিনি ফান্ডিং করতেন এই সংস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো নেতাদের প্রতিহত করতে। এজন্য তিনি এক বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিলও গঠন করেছিলেন বলে জানা যায়।

    কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি যোগ

    এই সংস্থার সঙ্গে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরও একটি যোগসূত্র রয়েছে। রাহুল গান্ধীর অন্যতম পরামর্শদাতা এবং কংগ্রেসের বিদেশ বিভাগের চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা- সরাসরি এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। তাই এটা বলাই যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই সংস্থা অর্থাৎ ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট সরাসরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করত। সবচেয়ে বড় কথা, মার্কিন করদাতাদের অর্থের একটি বড় অংশই এই সংস্থার কাজে ব্যয় করা হত বাইডেনের জমানায়। রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালেই ৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি তহবিল গঠন করা হয়েছিল এই সংস্থার জন্য। কিন্তু সেসব এখন অতীত। আপাতত এই সংস্থার লম্ফঝম্ফে রাশ টানছেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

  • Swati Maliwal: অতিশীর নাচ ভাইরাল সমাজমাধ্যমে! ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ দলীয় সাংসদ স্বাতীর

    Swati Maliwal: অতিশীর নাচ ভাইরাল সমাজমাধ্যমে! ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ দলীয় সাংসদ স্বাতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দল হেরেছে শোচনীয়ভাবে। নয়াদিল্লি আসনে হেরেছেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মণীশ সিসোদিয়া, সৌরভ ভরদ্বাজ, সত্যেন্দ্র জৈনদের মতো হেভিওয়েটরাও ধরাশায়ী হয়েছেন। কিন্তু তাতে কি? দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা (Atishi Marlena) নিজে জিততেই আনন্দে আত্মহারা হলেন। সেই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হতেই কটাক্ষ করলেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল (Swati Maliwal)। দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে নির্লজ্জ বলে কটাক্ষ করলেন স্বাতী।

    নির্লজ্জের মতো নাচছেন কীভাবে, কটাক্ষ স্বাতীর (Swati Maliwal)

    ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিজের কেন্দ্র কালকাজিতে জয়ী হয়েই কর্মীদের সঙ্গে নাচতে শুরু করেন অতিশী। এরপরে অতিশীর এই ‘নাচ’ নিয়েই প্রশ্ন ওঠে দলের অন্দরে। আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল (Swati Maliwal) বলেন, “দল হেরেছে, সব বড় নেতা হেরেছেন। তারপরও অতিশী মারলেনা এভাবে নির্লজ্জের মতো নাচছেন কীভাবে?” প্রসঙ্গত, শনিবারই দিল্লিতে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। মুখ থুবড়ে পড়েছে কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। পেয়েছে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। দলের জয়ের পরে এদিনই বিজেপির সদর দফতরে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    দলের পরাজয়কেই কি তিনি এভাবে সেলিব্রেশন করছেন?

    প্রসঙ্গত, ১০ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতাচ্যুত হল কেজরিওয়ালের দল। ২০২০ সালে তারা ৬২ আসনে জিতেছিল। এবার সেই আসনসংখ্যা নেমে এসেছে একেবারে ২২-এ। এই হারের দায় কেজরিওয়ালের পাশাপাশি বর্তায় অতিশী মারলেনার ওপরেও। কারণ শেষ কয়েক মাস ধরে তিনিই ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এমন শোচনীয় হারের পরে তিনি কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা না দিয়ে নিজেই নাচতে শুরু করলেন। এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, দলের হার নিয়ে কি কোনও মাথাব্যাথা দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর? নাকি দলের পরাজয়কেই তিনি এভাবে সেলিব্রেশন করছেন? দল হারলেও বিশেষ অখুশি নন তিনি, এই বার্তাই কি দিতে চাইলেন অতিশী?

  • Thai Captives: ঘুঁচল বন্দিদশা, হামাসের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরলেন ৫ থাই নাগরিক

    Thai Captives: ঘুঁচল বন্দিদশা, হামাসের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরলেন ৫ থাই নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাসের হাতে বন্দি (Thai Captives) ছিলেন এক বছরেরও বেশি সময়। শেষমেশ ঘুঁচল বন্দিদশা। রবিবার গাজা (Gaza) থেকে দেশে ফিরলেন পাঁচ থাই নাগরিক। এদিন সকালে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে অবতরণের পর ওয়াচারা শ্রীয়াউন, পংসাক থায়েন্না, সাথিয়ান সুওয়ান্নাখাম, সারুসাক রুমনাও এবং বান্নাওয়াত সায়েথাওকে তাঁদের স্বাগত জানান পরিবারের সদস্যরা।

    থাই নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন (Thai Captives)

    এক বছরেরও বেশি সময় পরে দেশে ফেরায় প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে আনন্দাশ্রু ফেলতেও দেখা গিয়েছে কয়েকজনকে। দেশের মাটিতে পা রাখার পর পংসাক বলেন, “জন্মস্থানে ফিরতে পেরে আমরা সকলেই গভীরভাবে মুগ্ধ। আমি আর কী বলব জানি না। আমরা সবাই সত্যিই কৃতজ্ঞ।” ছেলেকে আর বাড়ি থেকে দূরে রাখতে চান না সোমবুন। উত্তর থাইল্যান্ডের নান প্রদেশের এই প্রৌঢ় বলেন, “আমি আর আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে দূরে কোথাও পাঠাব না।”

    বন্দিদশা ঘুঁচল

    গত মাসে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে মুক্তি পান থাইল্যান্ডের এই পাঁচজন। টানা ১৫ মাস ধরে চলেছে ইহুদি রাষ্ট্র ইজারায়েলের সঙ্গে গাজার মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ। পরে স্বাক্ষরিত হয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি। সেই চুক্তির কারণেই বন্দিদশা ঘুঁচল হামাসের হাতে বন্দি থাকা এই পাঁচ থাই নাগরিকেরও। থাইল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী মারিস সাংগিয়াম্পোংসা বন্দিদের ফিরিয়ে এনেছেন ইজরায়েল থেকে। নাগরিকরা দেশে ফিরে আসায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন তিনি। বলেন, “এটি একটি আবেগঘন মুহূর্ত … তাঁরা তাঁদের পরিবারে ফিরে এসেছেন। আমরা কখনও হাল ছাড়িনি। এটি (Thai Captives) তারই ফল।”

    প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, “দেশের পাঁচ নাগরিক মুক্তি পাওয়ায় আমরা উল্লসিত। ধন্যবাদ ইজরায়েল, কাতার, মিশর, ইরান, তুরস্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। তাদের জন্যই আমাদের দেশের নাগরিকদের বন্দিদশা ঘুঁচল।” জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ডে ফেরা পাঁচ নাগরিকই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। সরকার আগামী কয়েক মাস ধরে তাঁদের ওপর নজর রাখবে। তাঁরা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, তাই এই নজরদারি।

    ইজরায়েলে কাজের খোঁজে গিয়ে হামাসের হাতে বন্দি হন সব মিলিয়ে মোট ৩১জন থাই নাগরিক। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাঁদের বন্দি করা হয়। এঁদের মধ্যে ২৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২৩ সালেই। গত মে মাসে বন্দি দশায়ই মৃত্যু হয় দুজনের (Gaza)। পাঁচজন ফিরলেন দেশে। থাই প্রশাসনের আশা, বাকিদেরও দ্রুত দেশে ফেরানো হবে (Thai Captives)।

  • Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমনে ফের বড়সড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। রবিবার সকালে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হন ৩১ জন মাওবাদী (Maoists Death)। শহিদ হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যও। জখমও হয়েছেন দুজন। সপ্তাহখানেক আগেই এই বিজাপুরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিল অন্তত ১৮ জন মাওবাদী। এদিন দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের খোঁজে চলছে অভিযান।

    পুলিশের বক্তব্য (Maoists Death)

    ছত্তিশগড় পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার বিজাপুরের জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের পশ্চিম বস্তার ডিভিশনের সদস্যদের উপস্থিতি সম্পর্ক খবর মেলে সূত্র মারফত। তার পরেই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ এবং কোবরা ইউনিটের সদস্যরা। শনিবার রাত থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই। রবিবার সকালে উদ্ধার হয় ৩১ জন মাওবাদীর দেহ।” চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড় জঙ্গলেও চলছে তল্লাশি অভিযান। তার জেরেই হচ্ছে এনকাউন্টার। নিকেশ হচ্ছেন একের পর এক মাওবাদী। যাঁদের অনেকেরই মাথার দাম কোটি টাকা।

    মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা

    মাও-দমন অভিযান চালানোর পাশাপাশি চলছে মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে শামিল করানোর প্রয়াস (Maoists Death)। প্রশাসনের এই প্রচারে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ এবং মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলের মতো মাওবাদীরা।

    নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে প্রায় ৬০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ১১জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী (Maoists Death)।

LinkedIn
Share