Tag: bangla news

bangla news

  • ED: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    ED: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে ঠিক দুর্গাপুজোর আগে জামিন পেয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mandal)। বেরিয়ে এসেছিলেন তিহাড় জেল থেকে। ফিরেছিলেন বাড়ি, মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে। বর্তমানে তৃণমূলের এই নেতা ইতিমধ্যে সক্রিয় রাজনীতিতেও নেমে পড়েছেন। তবে গরু পাচার মামলায় বিপদ যেন কিছুতেই কমছে না অনুব্রতর। এরই মধ্যে গরু পাচার মামলায় ফের অনুব্রত মণ্ডলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ED)। উল্লেখযোগ্য তথ্য হিসেবে উঠে আসছে, শুধুমাত্র অনুব্রতর একার নয়, তাঁর আত্মীয়দের কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ও তাঁর সহযোগী সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    বাজেয়াপ্ত ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা (ED)

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (ED) তরফে এক বিবৃতি দিয়েছে এবিষয়ে। সেখানেই জানানো হয়েছে, অনুব্রতর নামে থাকা ৩৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে ফের একবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার হন অনুব্রত (ED)

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তখন থেকে জেলবন্দি ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। পরে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁকে তিহাড় জেলে স্থানান্তর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এবার তাঁর ৩৬ অ্যাকাউন্টের বিপুল পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ৫১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

    কেন্দ্রীয় তদন্তারী সংস্থা ইডির (ED) দাবি, অনুব্রতর বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত গরু পাচারের টাকা। সেগুলিই বাজেয়াপ্ত করার কাজ চলছিল এতদিন। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত ৫১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলার তদন্ত এখনও চলছে, শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে শাসক দল।

  • Delhi Election: পরাস্ত কেজরিওয়াল, ভরাডুবি দলের, খসে পড়ল সততার মুখোশ

    Delhi Election: পরাস্ত কেজরিওয়াল, ভরাডুবি দলের, খসে পড়ল সততার মুখোশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির ভোটে (Delhi Election) পরাস্ত আম আদমি পার্টির (AAP) সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দিল্লি নির্বাচনে বিজেপি ৪৬ আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, আম আদমি পার্টি বাইশটিতে। নিজ নিজ আসনে হেরে গিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈনরা। কোনও মতে, হার বাঁচিয়েছেন অতিশী। ২৭ বছর পর দেশের রাজধানীতে প্রত্যাবর্তনের পথে বিজেপি।

    মুখে দুর্নীতিমুক্ত, কাজে দুর্নীতিগ্রস্ত

    সততা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েই জন্ম হয়েছিল আম আদমি পার্টির। কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করা আন্না হাজারের অন্যতম শিষ্য ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরেই সততার মুখোশ খসতে থাকে আম আদমি পার্টির। একাধিক দুর্নীতিতে নাম জুড়তে থাকে দলের। আবগারি দুর্নীতিতে জেলেও যেতে হয় মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে। একই সঙ্গে, সুবিধাবাদের রাজনীতির অভিযোগ ওঠে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। কারণ, আম আদমি পার্টির জন্মই হয়েছিল কংগ্রেসকে দুর্নীতিগ্রস্ত অ্যাখা দিয়ে। পরে সেই আম আদমি পার্টি আবার ক্ষমতা ধরে রাখতে কংগ্রেসের সঙ্গেই ইন্ডি জোটে সামিল হয়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জোট করে ধরাশায়ীও হয়। এখানেই উঠতে থাকে আপ পার্টির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন।

    ৪৪ জন প্রার্থীই ছিলেন ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত (Delhi Election)

    অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এবং এখানে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। দেখা যাচ্ছে ২০২৫ সালের দিল্লি নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে (Delhi Election) আম আদমি পার্টির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। তাদের দলে তাহলে ৭০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৪ জনই ফৌজদারী অভিযোগে অভিযুক্ত।

    নিজের বেআইনি বাড়ি বানিয়েছেন কেজরিওয়াল, অভিযোগ বিজেপির

    একইসঙ্গে, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে চারটি বাংলো ভেঙে নিজের বাড়ি করার অভিযোগও উঠেছে। নিজের জন্য কেজরিওয়াল বানিয়েছেন রাজকীয় প্রাসাদ। নাম দিয়েছেন শিষমহল। এনিয়ে তোপ দেগেছে বিজেপিও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এই ইস্যুতে নিশানা করেন একাধিক জনসভায়। অন্যদিকে আবগারি দুর্নীতিতে রাজ্যের কোষাগারের ২,০২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইতিমধ্যে সিএজি। ভোটের ফলে এগুলির প্রভাব পড়েছে বলেই মনে করছে (Delhi Election) রাজনৈতিক মহলের একাংশ। হারতে হল খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও।

  • New Income Tax Bill: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জানুন বিশদে

    New Income Tax Bill: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। আয়কর আইন ১৯৬১-এর বদলে আনা হচ্ছে এই বিল (New Income Tax Bill)। ভারতের কর ব্যবস্থাকে সরলীকরণ ও আধুনিকীকরণ করাই এর লক্ষ্য। নয়া বিলটি আইনি ভাষাকেও সহজ করবে যাতে করদাতারা সহজে বুঝতে পারেন বিধানগুলি। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নয়া আইনটি বর্তমানের চেয়ে ৫০ শতাংশ ছোট হবে। এর প্রধান লক্ষ্য হল মামলার সংখ্যা কমানো। বিলটিকে যাতে করদাতা-বান্ধব করে তোলা যায়, তাই বিলটিতে কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে কর জরিমানার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (New Income Tax Bill)

    ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট বক্তৃতায় তিনি এই বিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “১৯৬১ সালের আয়কর আইনের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। সংশোধিত আয়কর আইনটি সরল, স্পষ্ট ও সহজে বোধগম্য হবে।” ২০২১-২৬ অর্থবর্ষ থেকে নয়া কর কাঠামো লাগু হবে। আয়করদাতারা এই সিস্টেমের আওতায় আসবেন ২০২৬-’২৭ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারে। এবারের বাজেটে বার্ষিক আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা এক লাফে পাঁচ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১২ লাখ টাকা করার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ, কারও আয়কর এক লাখ টাকার মধ্যে হলে এক পয়সাও আয়কর দিতে হবে না। অর্থনীতিবিদদের মতে, এর ফলে সাধারণ মানুষের হাতে টাকার জোগান বাড়বে, ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই চাঙা হবে অর্থনীতি (New Income Tax Bill)।

    নয়া বিলের সুবিধা

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া বিলের সুবিধাগুলি –

    নতুন করের প্রয়োজন নেই: বিলটিতে কোনও নতুন কর প্রবর্তন করা হবে না। তবে চালু কর আইন সরলীকরণের ওপর জোর দেওয়া হবে।

    সরলীকৃত ভাষা: আইনি ভাষা আরও সহজলভ্য করা হবে। এতে করদাতারা জটিলতা ছাড়াই বিধানগুলি বুঝতে পারবেন।

    সংক্ষিপ্ত আইন: অপ্রয়োজনীয় বিধান বাদ দিয়ে এবং অস্পষ্টতা হ্রাস করে নতুন আইনটি বিদ্যমান আইনের চেয়ে ৫০ শতাংশ ছোট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    কম শাস্তি: কর ব্যবস্থাকে আরও করদাতা-বান্ধব করে তুলতে কিছু অপরাধের জন্য কম শাস্তি প্রবর্তনের বিধান থাকতে পারে।

    মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস: অপব্যবহার-বিরোধী বিধানের ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্তগুলি স্পষ্ট করে এবং পুরানো ধারাগুলি অপসারণ করে। নতুন বিলের লক্ষ্যই হল কর বিরোধ হ্রাস করা।

    নয়া আয়করের স্ল্যাব

    নয়া আয়কর স্ল্যাবটা একবার দেখে নেওয়া যাক।

    বার্ষিক ৪ লাখ পর্যন্ত কোনও কর দিতে হবে না।

    ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ৫ শতাংশ। ৮ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ১০ শতাংশ, ১২ লাখ থেকে ১৬ লাখ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ১৬ লাখ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত ২০ শতাংশ, ২০ লাখ থেকে ২৪ লাখ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ, ২৪ লাখের ওপর হলে ৩০ শতাংশ।

    প্রত্যাশিত সংস্কার

    নয়া কর বিলে প্রত্যাশিত যে সব সংস্কার করা হয়েছে, সেগুলি হল –

    একীভূত কর ব্যবস্থা: বর্তমানে, ব্যক্তি, এইচইউএফ, এওপি, বিওআই এবং কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর ব্যবস্থা প্রযোজ্য। নয়া বিলটি এগুলিকে একটি একক কর কাঠামোর মধ্যে প্রবাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে কমবে সম্মতির বোঝা। নিশ্চিত করবে কর নিশ্চিতকরণ।

    উইথহোল্ডিং ট্যাক্স রেশেনালাইজেশন: ব্যবসা ও ব্যক্তিদের জন্য সম্মতি সহজ করার জন্য একটি সরলীকৃত কর উইথহোল্ডিং কাঠামো চালু করা যেতে পারে (Union Cabinet)।

    ব্যবসা করা হবে সহজ: নতুন আইনে প্রকৃত লেনদেনের অপ্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই রোধ করতে অপব্যবহার বিরোধী বিধানের ব্যতিক্রম নির্দিষ্ট করা যেতে পারে (New Income Tax Bill)।

    অপ্রয়োজনীয় বিধান বাতিল: কর আইনকে আরও সুনির্দিষ্ট এবং বস্তুনিষ্ঠ করতে পুরানো এবং যেসব ধারা প্রয়োগ করা হয় না, সেগুলি অপসারণ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, নয়া কর ব্যবস্থা ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। এটি ২০২৬-২৭ মূল্যায়ন বছর থেকে করদাতাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।

    এই আপডেটগুলির মাধ্যমে, সরকার আরও স্বচ্ছ এবং দক্ষ কর ব্যবস্থা তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে। এতে একদিকে যেমন বিরোধ হ্রাস পাবে, তেমনি ব্যবসা এবং ব্যক্তি উভয়ের সম্মতির সহজতা উন্নত করবে (New Income Tax Bill)।

    প্রসঙ্গত, আয়কর আইনের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে ২২টি বিশেষ সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। আয়কর আইন পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে আয়কর বিভাগ সাড়ে ৬ হাজারটি পরামর্শ পেয়েছে (Union Cabinet)।

  • Delhi Election: প্রাথমিক গণনায় ম্যাজিক ফিগার পার, দিল্লিতে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি, ধরাশায়ী আপ

    Delhi Election: প্রাথমিক গণনায় ম্যাজিক ফিগার পার, দিল্লিতে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি, ধরাশায়ী আপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭ বছর পরে দিল্লি বিধানসভা (Delhi Election) দখলের পথে বিজেপি (BJP), গেরুয়া ঝড়ে বেসামাল আম আদমি পার্টি। ২০২৫ সালের বিধানসভা ভোটের প্রাথমিক ফলাফল যা দেখা যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন ফলাফলের জন্য নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিপুল কর্মযজ্ঞ যেমন ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে, একইভাবে আম আদমি পার্টির দুর্নীতি সমান ভাবে দায়ী। প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতিতে জেলে যেতে হয় আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এবং উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়াকে। সেই প্রতিফলনই ইভিএমে পড়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল।

    বিজেপি এগিয়ে ৪৪ আসনে, পিছিয়ে আপের মুখ্যমন্ত্রী

    সকাল দশটা পর্যন্ত যে প্রাথমিক ফলাফল দেখা যাচ্ছে, সেখানে স্পষ্ট ছবি উঠে আসছে যে ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় (Delhi Election) বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৪৪ আসনে, আম আদমি পার্টি এগিয়ে রয়েছে ২৬ আসনে। কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত কোথাও খাতা খুলতে পারেনি। এই প্রাথমিক ফলাফল আম আদমি পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভায় (Delhi Election) পিছিয়ে রয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী অতিশী মারলেনা।

    ৫০.৪২ লক্ষ পুরুষ এবং ৪৪.০৮ লক্ষ মহিলা ভোট দান করেছেন দিল্লিতে

    দিল্লি বিধানসভার (Delhi Election) ভোট গণনা চলছে ১৯টি কেন্দ্রে। গত পাঁচ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর পরবর্তীকালে সামনে আসে জনমত সমীক্ষা। প্রত্যেকটি জনমত সমীক্ষাতে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। সেই জনমত সমীক্ষারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে গণনার দিনে। প্রসঙ্গত, পাঁচ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা ভোটে ভোট দান করেছিলেন ৬০.৫৪ শতাংশ ভোটার। ২০২০ সালে তুলনায় যা ছিল ২.৫ শতাংশ কম। ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয় দিল্লি বিধানসভার (Delhi Election) ভোটে ভোট দিয়েছেন ৫০.৪২ লক্ষ পুরুষ এবং ৪৪.০৮ লক্ষ মহিলা।

  • India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) মন্তব্য তাঁর ‘ব্যক্তিগত’। তার সঙ্গে ভারতের (India-Bangladesh Relation) কোনও সম্পর্ক নেই। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বাংলাদেশের সঙ্গে সদর্থক, গঠনমূলক, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কও বজায় রাখতে চায় ভারত ৷ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে এই কথাও জানিয়ে দিল সাউথ ব্লক ৷

    কেন তলব রাষ্ট্রদূতকে

    বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  ধানমন্ডিতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক মুজিবুর রহমানের বাড়িতে তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে৷ পরদিন সকালে সেই ঐতিহাসিক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৷ এদিকে সেদিনই ভার্চুয়ালি বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেন গণঅভ্যুত্থানের জেরে দেশছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ ভারতও মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করে। এর জন্য ভারতের সমালোচনা করে ইউনুস সরকার। এরপরই শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নুরল ইসলামকে সমন পাঠিয়ে সাউথ ব্লকে তলব করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় বিদেশ মন্ত্রক।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, ভারত একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশের সঙ্গে। সম্প্রতি দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বার বার এই বিষয়টি ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে এটা দুঃখজনক যে, বাংলাদেশ প্রশাসনের নিয়মিত বিবৃতিতে ভারতকে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। সে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এ ধরনের বিবৃতি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে। হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে নয়াদিল্লি আরও এক বার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসিনা (Sheikh Hasina) নিজের ক্ষমতাবলে মন্তব্য করছেন। এখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। হাসিনার মন্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতিতে সাহায্য করবে না। বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে, ‘‘ভারত সরকার পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশও সেই পরিবেশ নষ্ট না-করে একই রকম ভাবে হাত বাড়িয়ে দেবে।’’

  • Mahakumbh 2025: এখনও বাকি ১৮ দিন! মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সারলেন ৪০ কোটিরও বেশি ভক্ত

    Mahakumbh 2025: এখনও বাকি ১৮ দিন! মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সারলেন ৪০ কোটিরও বেশি ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই জানানো হয়েছিল যে প্রথম ২৪ দিনেই মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩৮.২৯ কোটি। মাঘী পূর্ণিমার আগেই তা ৪০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। ঠিক তেমনটাই হল। ১২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে মাঘী পূর্ণিমা। তার আগেই চল্লিশ কোটি ভক্ত স্নান সেরে ফেললেন মহাকুম্ভে, গঙ্গা-যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে (Triveni Sangam)। রিপোর্ট বলছে গতকাল অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৭৮.৭৮ লক্ষ ভক্ত পবিত্র স্নান সেরেছেন এবং এভাবেই ভক্ত সংখ্যা পার করল ৪০ কোটি। মহাকুম্ভের এখনও বাকি রয়েছে ১৮ দিন। মনে করা হচ্ছে এই সময়ের মধ্যে ৫০ কোটিরও বেশি ভক্ত সংখ্যা স্নান করবেন মহাকুম্ভে।

    মৌনী অমাবস্যায় হাজির ৮ কোটি ভক্ত (Mahakumbh 2025)

    প্রসঙ্গত, প্রথম দিকে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রশাসনের তরফ থেকে অনুমান করা হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত স্নান সারবেন প্রয়াগরাজে। কিন্তু প্রশাসনের সেই অনুমানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভক্ত সংখ্যা। পরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অমৃত স্নান, অর্থাৎ মকর সংক্রান্তির স্নান, মৌনী অমাবস্যা স্নান এবং বসন্তী পঞ্চমীর স্নানে এর পরেও ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন প্রয়াগরাজে। তাঁরা রীতি মেনে স্নান করছেন। একটি হিসেব বলছে, মৌনী অমাবস্যাতে সবথেকে বেশি ভক্ত হাজির হয়েছিলেন এবং সেই দিন পবিত্র স্নান সেরেছেন ৮ কোটি ভক্ত।

    বসন্ত পঞ্চমীতে স্নান ২.৫৭ কোটি ভক্তের (Mahakumbh 2025)

    অন্যদিকে মকর সংক্রান্তির দিনে হাজির হয়েছিলেন সাড়ে তিন কোটি ভক্ত এবং গত ৩০ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি হাজির হয়েছিলেন ২ কোটি ভক্ত। বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে হাজির হয়েছিলেন ২.৫৭ কোটি ভক্ত। মহাকুম্ভ যেন সব কিছুর মেলবন্ধন হয়ে উঠেছে, বলিউড থেকে রাজনীতি। সবাই স্নান করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও বলিউডের হেমা মালিনী, অনুপম খের, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সাইনা নেহওয়াল, ক্রিকেটার সুরেশ রায়না- প্রত্যেকেই হাজির হয়েছেন কুম্ভে।

  • Daily Horoscope 08 February 2025: বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 08 February 2025: বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়ির কোনও সদস্যের বিষয়ে আপনাকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

    ২) কাজের ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছেমতো চলবেন না।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) পরিবারে কোনও বিবাদ চললে তা সমাধানের চেষ্টা করুন।

    ২) সন্তান কোনও কারণে রেগে গেলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

    ৩) নতুন গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।

    মিথুন

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন, যা আপনার জন্য ভালো হবে।

    ২) পরিবারে আপনার প্রিয়জনের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাবেন।

    ৩) আপনার সম্মান বৃদ্ধি হতে পারে।

    সিংহ

    ১) যানবাহন ব্যবহার করার সময় আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) বেশ কয়েকদিনের ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।

    ৩) পরিবারের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব চললে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করুন।

    কন্যা

    ১) বিতর্ক থেকে দূরে থাকুন।

    ২) স্বেচ্ছাচারী আচরণের জন্য আপনি অস্থির থাকতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে, আপনার বস আপনার উপর দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দিতে পারেন।

    তুলা

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় অশান্তি হতে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    ধনু

    ১) জেদের কারণে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) শারীরিক কারণে ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কুম্ভ

    ১) চিকিৎসার জন্য খরচ নিয়ে চিন্তা।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মীন

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Cancer: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! ভারতে এর সংখ্যা বাড়ছে কেন?

    Cancer: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! ভারতে এর সংখ্যা বাড়ছে কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জীবন যাপনে বদল হয়েছে অনেকখানি। আধুনিক জীবনে ব্যস্ততা বাড়ছে। বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাসের ধরন। তার সঙ্গে বদল হচ্ছে ঘুমের সময়ের। পাশাপাশি পরিবেশ, আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। আর এই সবকিছুর শরীরে গভীর প্রভাব পড়ছে। বিশেষত শিশুদের (Children) শরীরে এর প্রভাব মারাত্মক। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের রিপোর্ট জানাচ্ছে শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের (Cancer) প্রকোপ বাড়ছে। যা যথেষ্ট দুশ্চিন্তার বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে রিপোর্ট?

    ন্যাশনাল ক্যান্সার (Cancer) রেজিস্ট্রি প্রোগ্রামের সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, ১৫ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মোট ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে ০ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের সংখ্যা ৪ শতাংশ। যা বছর দশেক আগেও অনেকটাই কম ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে শিশু (Children) ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কন্যাসন্তানের তুলনায় পুত্রসন্তানের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। সদ্যোজাত থেকে ১৪ বছর বয়সি এক মিলিয়ন ছেলের মধ্যে ২০৩ জন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছে। সেই তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা ১২৫ জন।

    কেন শিশু শরীরে ক্যান্সার বাড়ছে?

    ক্যান্সার (Cancer) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিনগত মিউটেশনের জন্যই শরীরে ক্যান্সার হয়। হঠাৎ করেই শরীরের কোষে, জিনে এক ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়। যার ফলেই ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ তৈরি হয়। এর নির্দিষ্ট কারণ বলা কঠিন। তবে‌ বেশ কিছু কারণের জেরেই এই জিনগত পরিবর্তন। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘জেনেটিক মিউটেশন’ বলা হয়।

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের (Cancer) ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষত শিশুদের (Children) প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একাধিক প্রক্রিয়াজাত খাবার থাকছে। যার প্রভাব শরীরে মারাত্মকভাবে পড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নানান রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত মাংস নিয়মিত খেলে কিডনির, লিভার এবং পাকস্থলীতে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। দেহের ওজনও মারাত্মক বাড়তে থাকে।‌ স্থুলতা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

    নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ফল, সবজি, ডাল, রুটি খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের (Children) মধ্যে কমছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। কিন্তু অধিকাংশ শিশু এখন সবজি খায় না। নিয়মিত রুটি, ফলও খায় না। তার ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব দেখা দেয়। তাই ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকও বাড়ে।

    শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত পর্যাপ্ত বিশ্রাম। অনেক সময়েই শিশুদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হয় না। নিয়মিত শরীরিক কসরত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম হলে তবেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। নানান রোগের ঝুঁকি কমে। তাই ক্যান্সারের (Cancer) মতো‌ জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর রুটিন থাকা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

    ক্যান্সার (Cancer) বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুদের প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করতে হবে। সেদিকে অভিভাবকদের নজর দেওয়া দরকার। সময় মতো স্বাস্থ্যকর খাবার‌ খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত রুটিন মাফিক শারীরিক কসরত, এগুলো যাতে হয় সেদিকে নজরদারি করলে রোগের ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 264: “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়”

    Ramakrishna 264: “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মহেন্দ্র, রাখাল, রাধিকা গোস্বামী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    মহেন্দ্রাদির প্রতি উপদেশ—কাপ্তেনের ভক্তি ও পিতামাতার সেবা 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-কালীমন্দিরে সেই পূর্বপরিচিত ঘরে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। শরৎকাল। শুক্রবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪; ৪ঠা আশ্বিন, ১২৯১; বেলা দুইটা। আজ ভাদ্র অমাবস্যা। মহালয়া। শ্রীযুক্ত মহেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও তাঁহার ভ্রাতা শ্রীযুক্ত প্রিয় মুখোপাধ্যায়, মাস্টার, বাবুরাম, হরিশ, কিশোরী, লাটু, মেঝেতে কেহ বসিয়া কেহ দাঁড়াইয়া আছেন,—কেহ বা ঘরে যাতায়াত করিতেছেন। শ্রীযুক্ত হাজরা বারান্দায় বসিয়া আছেন। রাখাল বলরামের সহিত বৃন্দাবনে আছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna মহেন্দ্রাদি ভক্তদের প্রতি)—কলিকাতায় কাপ্তেনের বাড়িতে গিছলাম। ফিরে আসতে অনেক রাত হয়েছিল।

    “কাপ্তেনের কি স্বভাব! কি ভক্তি! ছোট কাপড়খানি পরে আরতি করে। একবার তিন বাতিওয়ালা প্রদীপে আরতি করে,—তারপর আবার এক বাতিওলা প্রদীপে। আবার কর্পূরের আরতি।

    “সে সময়ে কথা হয় না। আমায় ইশারা করে আসনে বসতে বললে (Kathamrita)।

    “পূজা করবার সময় চোখের ভাব—ঠিক যেন বোলতা কামড়েছে!

    “এদিকে গান গাইতে পারে না। কিন্তু সুন্দর স্তব পাঠ করে।

    “তার মার কাছে নিচে বসে। মা—আসনের উপর বসবে।

    “বাপ ইংরাজের হাওয়ালদার। যুদ্ধক্ষেত্রে একহাতে বন্দুক আর-এক হাতে শিবপূজা করে। খানসামা শিব গড়ে গড়ে দিচ্ছে। শিবপূজা না করে জল খাবে না। ছয় হাজার টাকা মাহিনা বছরে।

    “মাকে কাশীতে মাঝে মাঝে পাঠায়। সেখানে বার-তেরো জন মার সেবায় থাকে। অনেক খরচা। বেদান্ত, গীতা, ভাগবত—কাপ্তেনের কণ্ঠস্থ (Ramakrishna)!

    “সে বলে, কলিকাতার বাবুরা ম্লেচ্ছাচার (Kathamrita)।

    “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Swami Avdheshanand Giri: ‘‘সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ জনজাতি সমাজ’’, মত অবধেশানন্দ গিরির

    Swami Avdheshanand Giri: ‘‘সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ জনজাতি সমাজ’’, মত অবধেশানন্দ গিরির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজ (Swami Avdheshanand Giri) মহাকুম্ভের এক ধর্মীয় সভায় বক্তব্য রাখেন এদিন এবং সেখানেই তিনি জনজাতি সমাজকে সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন। প্রসঙ্গত, অখিল ভারতীয় বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের তরফ থেকে প্রয়াগরাজে যুব কুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল এবং সেখানে স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজ (Swami Avdheshanand Giri) বলেন, ‘‘জনজাতি সমাজের সঙ্গে সম্প্রীতি ছাড়া মহাকুম্ভ কখনও সম্পূর্ণতা পেতে পারে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘যেভাবে জনজাতি সমাজের ভাই ও বোনেরা মহাকুম্ভে এসেছেন নিজেদের রীতি, প্রথা, সংস্কৃতি- এই সমস্তকে সঙ্গে নিয়ে, তা প্রশংসনীয়। সমস্ত সন্তের উচিত বনে যাওয়া উচিত এবং সেখানকার পরিবেশ দেখা। সেখানকার সরল সাধারণ বনবাসীদের জীবনকে উপলব্ধি করা।’’ স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজ আরও (Swami Avdheshanand Giri) বলেন, ‘‘যে সমস্ত সন্ন্যাসীরা যাঁরা একনও বুঝে উঠতে পারেন নি আরণ্যক সংস্কৃতি, তাঁদেরকে একবার বনে যেতে হবে।’’

    কারা হাজির ছিলেন?

    প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানে (Sanatan Dharma) হাজির ছিলেন মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী রঘুনাথ বাপ্পাজি মহারাজ, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্গাদাস উইকি, বনবাসী কল্যাণ আশ্রমে জাতীয় সভাপতি সত্যেন্দ্র সিং, প্রাক্তন ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউল ট্রাইপসের সভাপতি হর্ষ চৌহান সমেত অন্যান্যরা। নিজের বক্তব্যে হর্ষ চৌহান বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই অনুষ্ঠান এক কথায় আরণ্যক সংস্কৃতির প্রতিফলন করে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    অন্যদিকে রঘুনাথ বাপ্পাও জনজাতি সমাজকে সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন,‘‘জনজাতি সমাজ হল সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং কোনওভাবেই একে সনাতন ধর্ম থেকে পৃথক করা যাবে না।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দুর্গাদাস উইকি বলেন, ‘‘কিছু সমাজবিরোধী শক্তি সর্বদাই লেগে রয়েছে যে কিভাবে জনজাতি সমাজকে ছোট করা যায়, যুব সমাজকে এর বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে যুবকুম্ভে হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য জনজাতি সমাজের প্রতিনিধি। প্রতিনিধিরা এই যুবকুম্ভে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

LinkedIn
Share