Tag: bangla news

bangla news

  • Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলা হচ্ছে—এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, গত এক সপ্তাহে সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭০ হাজারেরও বেশি নতুন ভোটার ফর্ম জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত এই সংখ্যাটি ২০ থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে থাকে। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্য প্রশাসনের সহযোগিতায় বেআইনিভাবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করে তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন, ২৫ জুলাইয়ের পর জারি হওয়া কোনও ডোমিসাইল সার্টিফিকেট যেন SIR এর সময় বৈধ হিসেবে গৃহীত না হয়।

    অগাস্টেই শুরু SIR

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। অর্থাৎ অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে চালু হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, তারা প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহেই বাংলায় ৭০ হাজারেরও বেশি নাগরিক অনলাইনে ভোটার কার্ড সংশোধন করার আবেদন করেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে, এই আবেদনগুলির অধিকাংশই এসেছে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে—যা ইতিমধ্যে কমিশনের নজরে এসেছে।

    নবান্নের নির্দেশে দেওয়া হচ্ছে ডোমিসাইল, তোপ শুভেন্দুর

    সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (নবান্ন) থেকে জেলাশাসক ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে উদারভাবে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এই নির্দেশনামূলক জেলার তালিকায় রয়েছে—নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কোচবিহার।

    অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে আবেদন

    শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, গত সপ্তাহে রাজ্যে ভোটার তালিকায় নতুন নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের অপব্যবহার করে অবৈধ বাসিন্দাদের বৈধ ভোটারে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

  • ECI: বিহারে ৭.২৪ কোটিরও বেশি ভোটার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, জানাল নির্বাচন কমিশন

    ECI: বিহারে ৭.২৪ কোটিরও বেশি ভোটার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে (Bihar) মোট ৭.৮৯ কোটি নথিভুক্ত ভোটারের মধ্যে ৭.২৪ কোটিরও বেশি মানুষ স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে তাঁদের গণনার ফর্ম জমা দিয়েছেন। ২৪ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলেছে। এতে ৯১.৬৯ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন। রবিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (ECI) তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    এসআইআর প্রক্রিয়া (ECI)

    কমিশন এই এসআইআর প্রক্রিয়াকে একটি ব্যাপক ও সফল নাগরিক অংশগ্রহণের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে। এর লক্ষ্য হল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকাগুলির যথার্থতা বাড়ানো। জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই গণনা প্রক্রিয়া বিহারের ৩৮টি জেলায়ই ভোটার রেকর্ড যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এসআইআরের প্রধান লক্ষ্য ছিল সমস্ত ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তারা আরও জানিয়েছে, বুথ লেভেল অফিসার, বুথ লেভেল এজেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক ও রাজনৈতিক কর্মীদের ভূমিকাও এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বুথ লেভেল এজেন্টদের সংখ্যা ১৬ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। িসিপএেমর ১০৮৩ শতাংশ, কংগ্রেসের ১০৫ শতাংশ এবং সিপিআইয়ের ৫৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজেপির সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। আর আরজেডি এবং জেডিইউয়ের বুথ লেভেল এজেন্টের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

    তিন দফায় ফর্ম বিলি

    বুথস্তরের (Bihar) অফিসাররা প্রতিটি নথিভুক্ত ভোটারের বাড়িতে গিয়ে অন্তত তিন দফায় ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করেন (ECI)। শহরাঞ্চলের ভোটার, প্রথমবারের তরুণ ভোটার এবং বিহার থেকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত ভোটারদের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রবাসী ভোটারদের কাছে পৌঁছতে ২৪৬টি পত্রিকায় একটি পুরো পাতাজুড়ে হিন্দিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। বিহারের প্রধান নির্বাচনী অফিসার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি লেখেন, যাতে তারা বিহার থেকে আগত অভিবাসীদের গণনায় অংশগ্রহণের জন্য সাহায্য করে (Bihar)। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ২৯ লক্ষ ফর্ম অনলাইনে পূরণ বা ডাউনলোড করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬ লক্ষেরও বেশি ফর্ম জমা দেওয়া হয়েছে (ECI) ডিজিটাল মাধ্যমে।

  • PM Modi: মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসে প্রধান অতিথি মোদি, কী বলছে গ্লোবাল মিডিয়া?

    PM Modi: মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসে প্রধান অতিথি মোদি, কী বলছে গ্লোবাল মিডিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমে গেল খেলা! ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে চিনপন্থী (China) মহম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নন, প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। শুধু তাই নয়, মুইজ্জুর মুখে মোদি-স্তুতিও নজর কেড়েছে তামাম বিশ্বের। এতেই যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশের। মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মোদিকে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মান প্রদর্শন কেবল ভারত ও মলদ্বীপেই নয়, বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হয়ে ওঠে সংবাদ মাধ্যমের।

    মোদির সফর বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ (PM Modi)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই দ্বীপরাষ্ট্র সফর বেশ কয়েকটি কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার প্রধান কারণ মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ২০২৩ সালে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউটে’র। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই প্রতিশ্রুতি পূরণে উঠেপড়ে লাগেন মুইজ্জু। ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার পাশাপাশি চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতেও উদ্যোগী হন তিনি। কুর্সিতে বসার পরে পরেই তিনি মলদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাকর্মীদের ভারতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। মলদ্বীপের এই পদক্ষেপটিকে নয়াদিল্লি চিনের দিকে মালদ্বীপের একটি কৌশলগত ঝুঁকে পড়া হিসেবে দেখেছিল। সেই একই নেতাই এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই প্রতীকী বার্তাটি একেবারেই স্পষ্ট। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন, বিশেষ করে যখন চিন যখন ভারত মহাসাগরে নিজের প্রভাব আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    কী বলছে গ্লোবাল টাইমস

    বেজিংয়ের রাষ্ট্র-পরিচালিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে ভারতের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট প্রকাশে ধরনের সমালোচনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফরকে ঘিরেই এই রিপোর্ট। গ্লোবাল টাইমসের মতে, কিছু ভারতীয় মিডিয়া এই সফরকে চিনের কৌশলগত পরাজয় এবং ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছে (PM Modi)। গ্লোবাল টাইমসের অভিযোগ, ভারতীয় মিডিয়া (China) ‘জিরো সাম থিংকিং’য়ে জড়িয়ে পড়েছে। এই চিন্তাধারা অনুযায়ী, ভারতের যে কোনও লাভকেই চিনের ক্ষতি হিসেবে দেখা হয়। ওই সংবাদপত্রে চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কৌশল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর কিয়ান ফেংয়ের মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “মলদ্বীপ স্বাভাবিকভাবেই তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়, তবে একইসঙ্গে বৈচিত্র্যময় বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে, যার মধ্যে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর সঙ্গে যুক্ত থাকাও অন্তর্ভুক্ত।” তিনি বলেন, “এই কৌশলগুলির মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।”

    নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদন

    সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদনের শিরোনাম “মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভারতের মোদি”। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির সফরে নয়া পরিকাঠামো অংশীদারিত্ব, আর্থিক প্রতিশ্রুতি এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উষ্ণতার পুনর্জাগরণ স্পষ্ট। মলদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রক ভবনের উদ্বোধন করেন। ভারত যেসব প্রকল্পে টাকা ঢেলেছে, সেগুলির উদ্বোধনও করেন। দ্বীপরাষ্ট্রকে দেন অর্থনৈতিক সাহায্যের আশ্বাসও (China)। নিউজ এশিয়ার দাবি, নয়াদিল্লিতে মোদির এই সফরকে চিনের প্রভাব থেকে মলদ্বীপকে দূরে রাখার আশ্বাস হিসেবে দেখা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর শাসনের শুরুতেই ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল (PM Modi)। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে মোদির এই দু’দিনের দ্বীপরাষ্ট্র সফরকে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, এটি ভারত মহাসাগরের প্রধান সমুদ্রপথে ভারতের প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর একটি লক্ষ্য। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি নতুন সূচনার ইঙ্গিত দিতে পারে।

    ব্রিটিশ দৈনিকের বিশ্লেষণ

    ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ভারত সরকার যখন লাক্ষাদ্বীপকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে প্রচার করতে শুরু করে, তখন মলদ্বীপের অনেকেই তাকে ভারতীয় পর্যটকদের নিজেদের সমুদ্রসৈকত থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখেছিলেন। তার ফলে উভয় দেশের মধ্যেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল (PM Modi)। ভারতের বেশ কয়েকজন তারকাও মলদ্বীপকে পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বয়কট করার ডাক দিয়েছিলেন। প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মুইজু ভারত সফরের আগে চিন সফরকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। এটি নজর এড়ায়নি নয়াদিল্লির। চিন সফর শেষে তিনি ওষুধ ও খাদ্য-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরতা কমানোর কথাও ঘোষণা করেন। তার (China) জেরে উভয় দেশেই শুরু হয় উদ্বেগ। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে যখন মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ওই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উষ্ণতা ফিরিয়ে আনার পথ প্রশস্ত করে। এরই পরিণাম হল মোদির বর্তমান মলদ্বীপ সফর (PM Modi)।

  • India vs England: জাদেজা-সুন্দরের শতরান, ম‍্যাচ বাঁচাল ভারত! ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ড কে কড়া টক্কর, সিরিজে টিকে শুভমনেরা

    India vs England: জাদেজা-সুন্দরের শতরান, ম‍্যাচ বাঁচাল ভারত! ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ড কে কড়া টক্কর, সিরিজে টিকে শুভমনেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হারার আগে হারতে নেই! বাইশ গজে তা ফের প্রমাণ করে দিল ভারতের তরুণ ব্রিগেড। ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ডের (India vs England) মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে ম্যাচ বাঁচিয়ে দিল ভারত। প্রথমে অধিনায়ক গিলের শতরান, লোকেশ রাহুলের লড়াকু ইনিংস আর পরে জাদেজা-সুন্দরের দাপটে সিরিজে টিকে থাকল ভারত। বহুদিন পর টেস্ট ফিরল পুরনো মহিমায়। টি-টোয়েন্টির যুগেও টেস্ট যে এখনও ক্রিকেটের ভিত তা বুঝিয়ে দিল শুভমন-ব্রিগেড। ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ফয়সালা হবে শেষ ম্যাচেই।

    হারের মুখ থেকে ড্র

    খেলা যা-ই হোক, শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে জয় আসবেই। তবে এ ক্ষেত্রে ড্র হলেও, রবি শাস্ত্রী ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলে দিলেন, ম্যাঞ্চেস্টারে (Manchester Test) ভারতের ‘নৈতিক জয়’ হয়েছে। হারের আশঙ্কা দূরে ঠেলে চা-বিরতিতেতই ড্র’য়ের পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। তবে চাপা উদ্বেগ ছিলই। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে চতুর্থ টেস্টের অন্তিম সেশনে সামান্য উদ্বেগটুকুও গ্যালারিতে পাঠালেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। দুই ব্যাটারের ২০৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে সম্মানের সঙ্গে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট ড্র করল ‘মেন ইন ব্লু’।

    স্টোকসের আর্জি ফেরালেন জাদেজা

    ভারতের (India vs England) দ্বিতীয় ইনিংসের বয়স তখন ১৩৮ ওভার। স্কোর ৩৮৬-৪। ক্রি‌জে ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর (৮০) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (৮৯)। তখনও ম্যাচ শেষ হতে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাকি। হঠাৎই জাদেজার দিকে এগিয়ে এসে হাত মেলাতে গেলেন বেন স্টোকস। প্রস্তাব দিলেন ড্র করার। ভারতের দুই ব্যাটার সসম্মানে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন। জানালেন, তাঁরা আরও ব্যাট করতে চান। প্রতিপক্ষ রাজি না হলে অপারগ আম্পায়ারেরাও। তাঁরাও খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। জাদেজা এবং সুন্দর, তখন তাদের সেঞ্চুরির কাছাকাছি ছিলেন, সেই কারণেই ম্যাচ শেষ করতে চাননি। ড্রেসিংরুম থেকে খেলা দেখছিলেন শুভমান গিল, কোনও প্রতিক্রিয়া ছাড়াই চুপচাপ বসে ছিলেন। বেন স্টোকস ভারতের সিদ্ধান্তে খুব রেগে যান। আম্পায়ার এবং ব্যাটারদের সগে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর, তিনি রণে ভঙ্গ দেন। ম্যাচের পর খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলালেও, স্টোকস, জাদেজা এবং সুন্দরের সঙ্গে হাত মেলাননি। সেই ভিডিওটিও ভাইরাল হয়েছে।

    জাদেজার যাদু

    তৃতীয় টেস্টে (India vs England) একাই লড়েছিলন কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিলেন। ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি। চতুর্থ টেস্টে ওল্ড ট্র্যাফোডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে হারের হাত থেকে বাঁচালেন সেই রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। যদিও ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক শুভমন গিল ও লোকেশ রাহুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত যখন ব্যাট করতে নামে তখন পিছিয়ে ৩১১ রানে পিছিয়ে। শুরুতেই শুভমন গিলদের ধাক্কা দেয় ইংল্যান্ডের বোলাররা। শূন্যতেই আউট হয়ে যান যশস্বী জয়সওয়াল ও সাই সুদর্শন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ভারতের ইনিংসের হারের সম্ভাবনা তৈরি হয়। যদিও তখনই হাল ধরেন অধিনায়ক গিল ও লোকেশ রাহুল। টানা ব্যাট করে দলকে ঠিকঠাক জায়গায় পৌঁছে দেন তাঁরা। দ্বিতীয় ইনিংসে রাহুল ও গিলের স্কোর, যথাক্রমে ৯০ ও ১০৩। তারপরেই ইংল্যান্ডের বোলারদের তুলোধনা করেন জাদেজা ও সুন্দর।

    ওয়াশিংটনের সুন্দর ইনিংস

    তামিলনাড়ুর এই ক্রিকেটারকে বারবার পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু যখনই সুযোগ পান নিজের কাজটা করে দেখান ওয়াশিংটন সুন্দর। ওয়াশিংটন যখনই সুযোগ পেয়েছেন, বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি অন্য জাতের ক্রিকেটার। লাল বলের ক্রিকেট তাঁর বরাবরই প্রিয়। কিন্তু রবিবার যে লড়াইটা করলেন, তা বহু দিন ভারতীয় ক্রিকেটের সমর্থকদের মনে থেকে যাবে। ইংল্যান্ডের ইনিংসে ৬৮তম ওভারে বল করতে এসে পর পর দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন ওয়াশিংটন। তার আগের টেস্টে তিনি চারটি উইকেট পেয়েছিলেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো আচমকা ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করার মতো বল করতে পারেন সুন্দর। আর ব্যাটটা! ওয়াশিংটন প্রতি বারই মুখ বুজে নিজের কাজটা করেন। রবিবারের ইনিংসটাও তেমনই। গোটা ইনিংসে একটাও সুযোগ দিলেন না বিপক্ষকে। তিনি ভালই জানতেন, একটা ভুল পদক্ষেপ মানে বিপদ অনিবার্য। তাই তাড়াহুড়ো বা ঝুঁকির রাস্তাতেই গেলেন না। ধীর গতিতে শতরান করে দলের হার আটকালেন।

    ধ্রুপদী ঘরানায় টেস্টের জয়

    শুভমন, ওয়াশিংটন, জাদেজা— ভারতের এই ত্রয়ী নিশ্চিত হারের মুখ থেকে ড্র করলেন। বছর তিনেক আগে সিডনিতে এ ভাবেই হারা টেস্ট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন হনুমা বিহারি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তারও আগে, ২০০১-এ ইডেন গার্ডেন্সে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং রাহুল দ্রাবিড়ের সেই জুটি ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে। তবে রবিবার (Manchester Test) ভারতের লড়াই সে সবের থেকে খুব একটা পিছিয়ে থাকবে না। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও দল ১৪৩ ওভার ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করছে, এই উদাহরণ সাম্প্রতিক অতীতে নেই। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টির ধুমধাড়াক্কা যুগে, যেখানে লাল বলের ক্রিকেটটাই ভুলতে বসেছেন অধিকাংশ ক্রিকেটার। এই নিয়ে একটি সিরিজের চারটি টেস্টেরই ফয়সালা হল পঞ্চম দিনে, যা আর এক বিরল দৃষ্টান্ত। আর একই সঙ্গে দ্য ওভালে ৩১ অগাস্ট থেকে শুরু হতে চলা শেষ টেস্ট পাঁচ ম্যাচের সিরিজের নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াল ।

  • Bangladesh: হিন্দু হেনস্থায় নতুন ফাঁদ বাংলাদেশে, সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে ছড়ানো হচ্ছে বিদ্বেষ

    Bangladesh: হিন্দু হেনস্থায় নতুন ফাঁদ বাংলাদেশে, সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে ছড়ানো হচ্ছে বিদ্বেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের হেনস্থা করার নতুন ফাঁদ বাংলাদেশে। হিন্দু যুবকের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে সেখান থেকে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছড়ানো হয়। বাংলাদেশের (Bangladesh) রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ বছর বয়সি ওই যুবকের নাম রঞ্জন রায়। তার বিরুদ্ধে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর পোস্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

    ভুয়ো প্রোফাইল (Bangladesh)

    রিপোর্ট অনুযায়ী, রঞ্জন রায়ের নামে থাকা একটি ফেসবুক আইডি—‘ রঞ্জন রায় LRM’ নামক অ্যাকাউন্ট থেকে টানা পাঁচ দিন ধরে এমন বিতর্কিত পোস্ট করা হয়। তবে এই বিষয় নিয়ে বাংলাদেশি ফ্যাক্টচেকার ও সাংবাদিক সোহান আরসি তদন্ত করে দেখান যে, রঞ্জনের নামে আরেকটি ভুয়ো (ডুপ্লিকেট) ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এসব পোস্ট করা হয়েছে। সাংবাদিক সোহান জানান, নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি থেকে রঞ্জনের পুরোনো প্রোফাইল ছবি ও পারিবারিক ছবিগুলি শেয়ার করা হয়েছে এবং সেগুলোর সঙ্গে অবমাননাকর ক্যাপশন জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও, যথাযথভাবে সত্যতা যাচাই না করেই মৌলবাদীরা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গঙ্গাচড়ার রাস্তায় বিক্ষোভে নামে (Bangladesh News)। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা পরিস্থিতির চাপে পড়ে মৌলবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণ করে এবং তাদের দাবির মুখে হিন্দু যুবক রঞ্জন রায়কে গ্রেফতার করে।

    দুর্গাপুজো কমিটির সভাপতিকে গুলি (Bangladesh)

    এদিকে, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুধু এখানেই থেমে থাকেনি। শনিবার খুলনা জেলায় এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একই দিনে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলায় দুর্গাপূজা কমিটির সভাপতি অনির্বাণ চৌধুরী ওরফে রাজীবের ওপর গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মোটরসাইকেলে করে বন্ধু সহ ভ্রমণের সময় এই হামলার শিকার হন অনির্বাণ। দুর্বৃত্তদের গুলিতে অনির্বাণের কোমরে দুটি গুলি লাগে, আর তাঁর বন্ধুর পায়ে একটি গুলি লাগে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে অনির্বাণকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, অনির্বাণ চৌধুরী আওয়ামী লিগের যুব সংগঠন ‘যুবলিগ’-এর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন (Bangladesh News)। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার বিষয়টি তদন্তাধীন।

  • Christians Massacred: চার্চে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, কঙ্গোতে ভয়াবহ হামলা আইসিস-এর শাখা সংগঠনের, মৃত ৩৮

    Christians Massacred: চার্চে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, কঙ্গোতে ভয়াবহ হামলা আইসিস-এর শাখা সংগঠনের, মৃত ৩৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঙ্গোতে মধ্যরাতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় (Christians Massacred) ৩৮ জন খ্রিস্টানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (ADF), যা ইরাক-সিরিয়ার আইসিস (ISIS) জঙ্গি সংগঠনের একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।

    রাত ১টায় অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা

    এই মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের কোমান্ডা শহরে। জানা গেছে, রাত প্রায় ১টার দিকে ইসলামপন্থী জঙ্গিরা খ্রিস্টানদের লক্ষ্যবস্তু বানায় এবং এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে (Christians Massacred)। প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গিরা প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসেছিল এবং চার্চের আশপাশে অবস্থান নেয়। এরপরই তারা গুলি চালাতে শুরু করে।

    চার্চের ভিতরে অন্তত ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে

    জঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রায় ২০ জন নিহত হন এবং আরও অনেক আহত অবস্থায় পরে মারা যান। কঙ্গোর সিভিল সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর জানিয়েছেন, চার্চের ভিতরে অন্তত ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং চার্চের বাইরে আরও অনেককে হত্যা করা হয়। হামলার সময় চার্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে। স্থানীয় চার্চের ফাদার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং শহরের অন্য প্রান্তে আরও সাতটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে (Christians Massacred)। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে অপহরণ করা হয়েছে এবং তারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন (Church)।

    রাষ্ট্রসংঘের রেডিও চ্যানেল “ওকাপি” কী বলছে?

    রাষ্ট্রসংঘের রেডিও চ্যানেল “ওকাপি” জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৪৩ জনে পৌঁছেছে। পূর্ব কঙ্গোর এই ধরনের হামলা নতুন নয়—ADF পূর্বে বহুবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে, বিশেষ করে কোমান্ডা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ADF তথা অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (Allied Democratic Forces) নামক এই সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনটি গঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালের শুরুতে। মূলত এটি গঠিত হয়েছিল উগান্ডায়, যেখানে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে একদল উগ্রপন্থী নেতা এই সংগঠনটি তৈরি করে।

  • Daily Horoscope 28 July 2025: ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 28 July 2025: ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সামাজিক সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    বৃষ

    ১) গানবাজনার প্রতি আগ্রহ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আত্মীয়কে নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) রক্তচাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) অশান্তির থেকে দূরে থাকুন।

    ৩) বেশিরকাজ কাজেই সাফল্য মিলবে।

    কর্কট

    ১) চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে।

    ২) সঙ্গীতে সাফল্য পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) গাড়ি একটু সাবধানে চালান।

    ২) অর্শ-জাতীয় রোগ বাড়তে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) কুসঙ্গ থেকে দূরে থাকুন।

    ২) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) উঁচু স্থান থেকে পড়ে যেতে পারেন।

    ৩) ধর্মস্থানে ভ্রমণ।

    ধনু

    ১) বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন।

    ২) দাম্পত্য কলহ নিয়ে যন্ত্রণা।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) শরীরে কষ্ট হওয়ার জন্য কাজের সময় নষ্ট।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) ব্যয় অতিরিক্ত পরিমাণে বাড়তে পারে।

    ২) দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 423: গিরিশ ঠাকুরকে নিমন্ত্রণ করলেন, সেই রাতেই যেতে হবে

    Ramakrishna 423: গিরিশ ঠাকুরকে নিমন্ত্রণ করলেন, সেই রাতেই যেতে হবে

    বলিলেন— “মা, আমি আমার আমি তোমার। শরণাগত। চাই না মা লোকমান্যতা, চাই না অষ্টসিদ্ধি। কেবল এই করো—যেন তোমার শ্রীপাদপদে শুদ্ধভক্তি হয়; নিষ্কাম, অমলা। হইতেও কি ভক্তি হয়? আর যেন মা, তোমার ভুবনমোহিনী মায়ায় মুগ্ধ না হই। তোমার মায়ার সংসারে কামিনী-কাঞ্চনের উপর ভালোবাসা যেন কখনও না হয়। মা, তোমার বই আমার আর কেউ নাই। আমি ভজনহীন, সাধনহীন, জ্ঞানহীন, ভক্তিহীন। কৃপা করিয়া, শ্রীপাদপদে আমায় ভক্তি দাও।”

    যিনি তাঁর নাম করিতেছেন, যাঁর শ্রীমুখে অভিনীত নামগুণ গঙ্গার মতো তৈলধারার ন্যায় নিরবিচারে প্রবাহিত হইতেছিল, তিনি নীরব ছিলেন না। তাঁর আবার সন্ধ্যা কি মনে পড়ে? তখনই বোঝা যায়, লোকশিক্ষার জন্য ঠাকুর মানবদেহ ধারণ করিয়াছেন।

    “হরি, তুমি এসে যোগীর বেশে নামসংকীর্তন করলে।”
    গিরিশ ঠাকুরকে নিমন্ত্রণ করলেন, সেই রাতেই যেতে হবে।
    শ্রীরামকৃষ্ণ বললেন, “রাত হবে না।”
    গিরিশ বললেন, “না, যখন ইচ্ছা আপনি যাবেন। আমাকে আজ থিয়েটারে যেতে হবে — ওদের ঝগড়া মেটাতে হবে।”
    ১৮৮৫ সালের ১১ মার্চ — রাজপথে শ্রী রামকৃষ্ণের ঈশ্বর-আবেশ

    গিরিশের নিমন্ত্রণে রাত্রেই যেতে হবে। এখন রাত নটা — ঠাকুর রাত্রির আহার গ্রহণ করবেন বলে প্রস্তুতি চলছে।
    পাছে বলরাম মনে কষ্ট পান, ঠাকুর গিরিশের বাড়ি যাইবার সময় তাকে বুঝিয়ে বলছেন,
    “বলরাম, তুমিও খাবার পাঠিয়ে দিও।”

    দোতলা থেকে নামতে নামতেই ঠাকুর ভগবদভাব-বিভোর। যেন মাতাল — সঙ্গে নারায়ণ, মাস্টার, রাম, চুনী প্রমুখ ভক্তগণ।
    একজন ভক্ত বললেন, “সঙ্গে কে যাবে?”
    ঠাকুর বললেন, “একজন থাকলেই হবে।”

  • PM Modi: প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকীতে গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে মোদি, প্রার্থনা করলেন শিব মন্দিরে

    PM Modi: প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকীতে গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে মোদি, প্রার্থনা করলেন শিব মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার, ২৭ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তামিলনাড়ুর গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরম মন্দিরে যোগ দেন চোল সম্রাট প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। ঐতিহাসিক এই শিব মন্দিরে তিনি প্রায় ২০ মিনিট ধরে প্রার্থনা করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রার্থনার পর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই ভূমি বিশ্বাস ও সংস্কৃতির ভূমি। আমি কাশী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এখানে এসে যখন ‘ওম নমঃ শিবায়’ ধ্বনি শুনি, তখন অভিভূত হয়ে পড়ি। এই পবিত্র মন্দিরে আমি ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছি।” তিনি আরও বলেন, “শিবের শক্তি এবং মন্ত্রের আধ্যাত্মিক প্রভাব আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি চাই, ভগবান শিব সকল ভারতবাসীকে আশীর্বাদ করুন।” প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে চোল সাম্রাজ্যের ইতিহাস ও তাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “প্রথম রাজেন্দ্র চোলের শাসনকালে শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ঘটনাক্রমে আমি গতকালই মালদ্বীপ সফর সেরে ফিরেছি, আর আজ এখানে এসে নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছি (Gangaikonda Cholapuram Temple)।”

    রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রথম রাজেন্দ্র চোলের স্মরণে একটি স্মারক মুদ্রা (কয়েন) উদ্বোধন করেন। ঐতিহ্যবাহী চোল শৈলীর প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ধুতি ও সাদা জামা পরে উপস্থিত হন, যা উপস্থিতদের নজর কাড়ে। এদিন তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী জেলার রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কনভয় চলাকালীন রাস্তার দুই ধারে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। তাঁরা জাতীয় পতাকা ও ব্যানার হাতে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। রাস্তাজুড়ে ছিল ‘ভারত মাতার জয়’ ও ‘নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ’ ধ্বনি। আশেপাশের ভবনের ছাদ, ব্যালকনি ও রাস্তার মোড়ে উৎসুক মানুষ ভিড় জমিয়েছিল তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য। এই জনসমাগম ও উৎসাহ দেখেই বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তা উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত সর্বত্র সমান।

  • Mig 21: ৬২ বছর পর অবসর নিচ্ছে ‘নায়ক’ মিগ-২১! ভারতীয় সেনার হাতে এল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’

    Mig 21: ৬২ বছর পর অবসর নিচ্ছে ‘নায়ক’ মিগ-২১! ভারতীয় সেনার হাতে এল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বিমান বাহিনীর দীর্ঘদিনের সঙ্গী এবং বহু ঐতিহাসিক যুদ্ধের সাক্ষী মিগ-২১ যুদ্ধবিমান (Mig 21) অবশেষে অবসর নিতে চলেছে। বিমান বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ের বিমানঘাঁটিতে ২৩ স্কোয়াড্রন (প্যান্থার্স) এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ উড়ান সম্পন্ন করে বিদায় জানানো হবে এই কিংবদন্তি যুদ্ধবিমানকে। ৬২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় আকাশকে রক্ষা করার পর অবশেষে এর স্থানে যোগ দিচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তিতে (Fighter Jet) তৈরি তেজস এমকে১এ যুদ্ধবিমান, যা আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত সেন্সর এবং যুদ্ধক্ষমতা নিয়ে সজ্জিত।

    মিগ-২১ একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী (Mig 21)

    ১৯৬৩ সালে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া এই যুদ্ধবিমানটি তৈরি হয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিকোয়ান-গুরেভিচ অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন দ্বারা। মিগ-২১ একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে—১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, কার্গিল সংঘাত, ২০১৯ সালের বালাকোট অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই যুদ্ধবিমানেই ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উইং কমান্ডার (বর্তমানে গ্রুপ ক্যাপ্টেন) অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের এফ-১৬ জঙ্গিবিমানকে তাড়া করে আকাশযুদ্ধে মোকাবিলা করেছিলেন। শত্রুপক্ষের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ঢুকে পড়ার পরে তিনি ধরা পড়েন, তবে দু’দিনের মধ্যে পাকিস্তান কূটনৈতিক চাপের মুখে তাঁকে ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেয় (Mig 21)। এই সাহসিকতার জন্য তাঁকে (Fighter Jet) বীর চক্র সম্মানে ভূষিত করা হয়।

    প্রথম দফায় তিনটি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে ভারত

    তবে মিগ-২১ (Mig 21) নিয়ে বিতর্কেরও অভাব ছিল না। দীর্ঘ কার্যকালজুড়ে একাধিক দুর্ঘটনা ও যান্ত্রিক ত্রুটির অভিযোগে বিমানটি ‘ফ্লাইং কফিন’ বলেও সমালোচিত হয়েছে। তবুও ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার ইতিহাসে মিগ-২১ এর অবদান অস্বীকার করা যায় না। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য আশার খবর—প্রায় ১৫ মাস অপেক্ষার পরে প্রথম দফায় তিনটি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে ভারত। বছরের শেষে আরও তিনটি কপ্টার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই মার্কিন-নির্মিত অ্যাপাচে AH-64E হেলিকপ্টারগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর আক্রমণ ও নজরদারি চালাতে সক্ষম, যা সেনার শক্তি আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share