Tag: bangla news

bangla news

  • Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে “নো কিংস” আন্দোলন, লোকে লোকারণ্য

    Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে “নো কিংস” আন্দোলন, লোকে লোকারণ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনসভায় অচলাবস্থার কারণে সরকারি কার্যকলাপ বন্ধ রয়েছে তিন সপ্তাহ ধরে। এহেন আবহে শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যজুড়ে প্রচুর বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে সমবেত হন। বিক্ষোভকারীরা এই প্রতিবাদকে “নো কিংস” (No Kings) আন্দোলন আখ্যা দেন। রিপাবলিকানরা একে ব্যঙ্গ করে “হেট আমেরিকা” (Hate America) সমাবেশ বলে অভিহিত করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই ২,৫০০-রও বেশি বিক্ষোভ কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে ওয়াশিংটন (US) ডিসি এবং নিউ ইয়র্কের মতো বড় শহর, তেমনি রয়েছে মধ্য-পশ্চিমের ছোট ছোট শহরও।

    “নো কিং!” (Donald Trump)

    সান ফ্রান্সিসকোয় শয়ে শয়ে মানুষ ওসান বিচে তাঁদের শরীর দিয়ে “নো কিং!” (কোনও রাজা নয়!) এবং অন্যান্য স্লোগান লিখে প্রতিবাদ জানান। স্ট্যাচু অব লিবার্টির পোশাকে সেজেছিলেন হেইলি উইঙ্গার্ড। তিনি বলেন, “আমি আগে কখনও কোনও বিক্ষোভে অংশ নিইনি।” সম্প্রতি তিনি ট্রাম্পকে একজন একনায়ক হিসেবে দেখতে শুরু করেন। “এটাই গণতন্ত্রের চেহারা!” – এমনতর স্লোগানে হাজারো মানুষ ওয়াশিংটনে মার্কিন ক্যাপিটল ভবনের কাছে প্রতিবাদ জানান। প্রসঙ্গত, আইনসভায় অচলাবস্থার কারণে ফেডারেল সরকার টানা তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে।

    ট্রাম্পের সমালোচনা

    বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের তথাকথিত কঠোর কৌশলের তীব্র সমালোচনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে গণমাধ্যম, রাজনৈতিক বিরোধী ও অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ওপর আক্রমণও। ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফেরার পর এটি ছিল তৃতীয় বৃহৎ গণ-সমাবেশ, যা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন শাটডাউন থাকায় শুধু ফেডারেল কর্মসূচি ও সেবা বন্ধই হয়ে যায়নি, ক্ষমতার মৌলিক ভারসাম্যেরও পরীক্ষা হয়েছে। একটি আক্রমণাত্মক এক্সিকিউটিভ শাখা যেভাবে কংগ্রেস ও আদালতের (US) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে, তা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা সতর্ক করেছেন। তাঁদের মতে, এটি কর্তৃত্ববাদিতার বিপজ্জনক স্খলন (Donald Trump)।

    প্রতিবাদের কারণ

    বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কিছু নির্দিষ্ট নীতি ও পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এর মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলিতে ফেডারেল বাহিনী ও ন্যাশনাল গার্ড পাঠানো, যা ফেডারেল ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া ও সমাজের সামরিকীকরণ হিসেবে দেখা হয়েছে; ব্যাপক অভিবাসন অভিযান ও নীতিগুলি যা বহিষ্কার ও অভিযোগ করা অবিচারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার বন্ধের ফলে ফেডারেল কর্মী ও জরুরি সেবার ওপরও যে প্রভাব পড়েছে, তাও প্রতিবাদের অন্যতম কারণ (Donald Trump)।

    ট্রাম্প বলেন, “ওরা আমায় রাজা বলে উল্লেখ করছে। আমি কোনও রাজা নই।” ট্রাম্পের প্রচার টিমের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেও বিক্ষোভকারীদের ব্যঙ্গ করে একটি পোস্ট করা হয়, যেখানে ট্রাম্পকে এক রাজামহারাজার মতো মুকুট পরে ব্যালকনি থেকে হাত নাড়তে দেখা গিয়েছে (US)।

  • Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করা হল কালী পুজো। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিটি একজন হিন্দু জমিদার দান করেছিলেন। হিন্দু সমাজের মানুষের দেওয়া জমির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ এখানেই আজ সনাতন ধর্মের কালী পুজোকে (Kali Puja) নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হিন্দু ছাত্র, শিক্ষক এবং কর্মচারীরা। বাংলাদেশে ইউনূসের রাজত্বে হিন্দু ধর্মের মানুষরা যে কতটা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, তার আরও একটি বাস্তব চিত্র এই ঘটনা।

    উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে বন্ধ পুজো (Bangladesh)

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়ে (Bangladesh) কালী পুজো বন্ধের নির্দেশের স্বপক্ষে সাফাই গেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে এক ব্যক্তি বলেন, “কালী পুজো (Kali Puja) উত্তর ভারতের সংস্কৃতির অংশ।” কিন্তু এই মন্তব্য ঐতিহাসিক ভাবে বাঙালি সংস্কৃতির পরিপন্থী। এটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক চক্রান্ত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বঙ্গে কালীপুজো হয়ে আসছে। তারা, কালিকা, দুর্গা, উমা, ভগবতী বাঙালির শক্তিরূপা দেবী শক্তির প্রতীক। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই পুজো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ছাত্র এবং অধ্যাপকদের মত খুব স্পষ্ট। হিন্দু সমাজকে নিপীড়ন করতে প্রশাসন পুজো বন্ধ করেছে। ঢাকার বুকেই যদি পুজো বন্ধ হয়, তাহলে দেশজুড়ে কী হবে? সেই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে বাংলাদেশজুড়ে।

    সামাজিক মাধ্যমেও আন্দোলন

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “এটা হৃদয়বিদারক ঘটনা। হিন্দু দানশীল ব্যক্তিরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দিয়ে গিয়েছেন, এখন বর্তমান প্রশাসনের কর্তৃপক্ষের লোকেরা কালীপুজো বন্ধ করেছেন। এটা কোন ধরনের ধর্ম নিরপেক্ষতা? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কেন্দ্রীয় উপাসনালয়ের আবেদন জানিয়ে একটি মন্দির স্থাপনের আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতেও সম্মতি মেলেনি। ফলে বাংলাদেশে সার্বিকভাবে বৈচিত্র্যময় কাঠামোকে ভেঙে ফেলতেই এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রীরা হ্যাসট্যাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কালী পুজোর (Kali Puja) মতো অভিযান শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই হিন্দু সমাজের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সব জেনেশুনেও ইউনূস প্রশাসন (Bangladesh) চুপ!

  • JITO: ২১ কোটি ছাড়ে ১৮৬টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনল জৈন গ্রুপ

    JITO: ২১ কোটি ছাড়ে ১৮৬টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনল জৈন গ্রুপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জৈন গ্রুপ ২১ কোটি ছাড়ে ১৮৬টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছে। এই বিলাসবহুল গাড়িগুলির আনুমানিক দামছিল ৬০ লাখ থেকে ১.৩ কোটির মধ্যে। জৈন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (JITO)-এর একটি উদ্যোগের অধীনে একাধিক চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। এই গ্রুপের সারা ভারত জুড়ে মোট ৬৫,০০০জন সদস্য রয়েছেন। দীপাবলি উৎসবে এই গাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ের বাজারে এই খবর বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। সাধারণত উৎসবের মরশুমে গাড়ির বাজারে (Car Business) বিরাট বিনিয়োগের প্রবণতা দেখা যায়। সেই দিক থেকে এই খবর অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক।

    ১৮৬টি উচ্চমানের বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছে (JITO)

    ব্যবসা এবং বিনিয়োগে ঐতিহ্যগত ভাবেই বিশেষভাবে পরিচিত জৈন গ্রুপ। এবার দীপাবলির আগে ২১ কোটি টাকার বিশাল ছাড় পেয়েছে এই গ্রুপ। আর তাই বিএমডব্লিউ, অডি এবং মার্সিডিজের মতো ১৮৬টি উচ্চমানের বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছে। এভাবে গাড়ি কেনার জন্য গ্রুপের ক্রয় ক্ষমতা একটি অসাধারণ চমকপ্রদ বিষয়। জৈন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা (JITO)-র একটি বিশেষ উদ্যোগের আওতায় এই চুক্তিগুলি করা হয়েছে। আগামীদিনে এই চুক্তির ফলে সরকার এবং বাণিজ্যিক সংস্থা গাড়ির বাজারে (Car Business) বিরাট বিনিয়োগের সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করেছে।

    ৮ থেকে ১৭ লাখ টাকা সাশ্রয়

    জৈন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা (JITO)-র সহ-সভাপতি হিমাংশু শাহ এই বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলির সঙ্গে চুক্তিকে বিশেষ ধরনের চুক্তিপত্রের উল্লেখ করেছেন। এই সংস্থার পক্ষ থেকে বিএমডবলু (BMW) এবং মারসডিস ব্রেঞ্জ (Mercedes)-এর মতো শীর্ষ ব্র্যান্ডের ১৫ জন ডিলারের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন। তবে দামের বিষয়ে গ্রাহকদের মার্কেটে সুবিধা দিতে আলোচনাও হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে শাহ বলেন, “বেশিরভাগ বিলাসবহুল গাড়ি গুজরাটের জৈনরা কিনেছিলেন। এই গাড়িগুলির দাম ৬০ লক্ষ থেকে ১.৩ কোটি টাকার মধ্যে ছিল। জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে গাড়িগুলি ক্রেতাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের সদস্যদের ২১ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সাহায্য করেছে। সব মিলিয়ে ১৮৬টি গাড়ি কেনা হয়েছিল এবং ২১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটি আবার পরিবারের একজন সদস্যের কাছে আর একটি করে গাড়ি কেনার (Car Business) জন্য যথেষ্ট সহজলভ্য হতে পারে।”

  • Hindus Under Attack: ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি…

    Hindus Under Attack: ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) অব্যাহত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ১২ অক্টোবর থেকে এই মাসেরই ১৮ তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ এবং বিদেশে।

    ভারতের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার ঘুনুয়া গ্রামে খ্রিস্টান ধর্মান্তর চক্র ভেঙে দিয়েছে চিত্রকূট পুলিশ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কর্মীরা জোরপূর্বক ধর্মান্তরের কার্যকলাপের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করার পর পুলিশ এই পদক্ষেপ নেয়। দু’জনকে পুলিশ আটক করেছে। একজন অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে খ্রিস্টান ধর্ম-সাহিত্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের উদ্যম সিং নগরে উত্তেজনা ছড়ায় যখন সমাজের নেতৃবৃন্দ ও এক তরুণীর পরিবার পুলিশের এক সাব-ইনসপেক্টরের বিরুদ্ধে ‘লাভ জিহাদ’ মামলাটি সঠিকভাবে না সামলানোর অভিযোগ তোলেন। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের এক হিন্দু নারী ও এক মুসলিম পুরুষকে কেন্দ্র করে। বিষয়টি ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতি উসকে দেয়। প্রয়াগরাজে এক নাবালিকা হিন্দু অনাথকে জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও গণধর্ষণের এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে।

    অব্যাহত নির্যাতন

    জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে উভাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আলম কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই মেয়েটি ও তার ১০ বছর বয়সী ভাইকে নিয়ে যায়। প্রথমে তাদের এক স্থানীয় খাবারের দোকানে কাজ করানো হয়। কিছুদিন পরে মেয়েটিকে অপহরণ করে অভিযুক্তের বাড়িতে আটকে রাখা হয়, যেখানে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। কোয়েম্বাটুরের জেলা কালেক্টরের কাছে এক হিন্দু মুন্নানির অভিযোগ, কীরনাথম গ্রামে একটি সিএসআই ক্রাইস্ট চার্চ সরকারি ‘আদিদ্রাবিড়’দের জন্য বরাদ্দ জমিতে জাল পাট্টা নথির মাধ্যমে অবৈধ নির্মাণ করেছে। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে আহাদ খান নামের এক মুসলিম যুবক নিজের ধর্ম গোপন করে এক হিন্দু নারীকে প্রলুব্ধ করে হোটেলে নিয়ে যায় (Roundup Week)। সতর্ক হিন্দু সংগঠনগুলির দ্রুত হস্তক্ষেপে ঘটনাটি প্রকাশ পায় এবং ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় (Hindus Under Attack)।

    বাংলাদেশের ছবি

    এদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা অব্যাহত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হামলা, ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য – এসবই হিন্দুদের আতঙ্কিত করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে (Hindus Under Attack)। দুর্গাপুজো নিয়ে ডেপুটি স্টেট মিনিস্টারের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে সাম্প্রদায়িক, বিভাজনমূলক ও বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েছে ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।’ ফরিদগঞ্জের মানিকরাজ গ্রামে উদ্ধার হয়েছে বছর তিরিশের সুজন দেবনাথের দেহ (Roundup Week)। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টে নাগাদ স্থানীয় একটি জলা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ভাসমান দেহ। গাইবান্ধা জেলার থেংগামারা এলাকায় ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনায় আবারও বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের দুর্দশা প্রকাশ্যে এসেছে। পালপাড়া গ্রামের এক মহিলার পঞ্চম শ্রেণি পাঠরতা কন্যাকে অপহরণের পর শোকে মুহ্যমান ওই মহিলা। নোয়াখালির সুবর্ণচরে জনৈক সুব্রত দাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সবাই এই নিষ্ঠুর দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখলেও, ভয়ে কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি (Hindus Under Attack)।

    খবরে কানাডাও

    কানাডার একটি চিলডেন্স পার্কের কাছে বর্ণবাদী গ্রাফিতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ওই গ্রাফিতিতে লেখা ছিল “ভারতীয় ইঁদুর”। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ যাতে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে, সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধের পেছনে থাকে হিন্দুবিরোধী বিদ্বেষ, যা নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় শিক্ষা ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যে নিহিত। ইসলামি দেশগুলিতে হিন্দুবিদ্বেষ স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে, তবে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন ভারত) প্রতিষ্ঠান এবং জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম (Roundup Week) ধরনের হিন্দুবিরোধী মনোভাব কাজ করে। এই মনোভাব হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণাচারণ ও অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Hindus Under Attack)।

  • Adina Masjid: আদিনা মসজিদ কি মন্দির? নাকি এর পেছনেও রয়েছে অন্য গল্প?

    Adina Masjid: আদিনা মসজিদ কি মন্দির? নাকি এর পেছনেও রয়েছে অন্য গল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ফের খবরের শিরোনামে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের শতাব্দীপ্রাচীন আদিনা মসজিদ (Adina Masjid)। সম্প্রতি এই মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা সাংসদ তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান। তার পরেই বয়ে যায় বিতর্কের ঝড়। সোশ্যাল মিডিয়া (Malda Mosque) ইউজারদের একাংশের দাবি, মসজিদটি আদতে একটি হিন্দু মন্দির। এক ইউজার লেখেন, “প্রিয় ইউসুফ পাঠান, আপনি দাঁড়িয়ে আছেন ভারতের অন্যতম বৃহৎ হিন্দু মন্দির – আদিনাথ মন্দিরের প্রাঙ্গনে, যা আক্রমণকারীরা ধ্বংস ও দখল করেছিল।” তিনি এর সঙ্গে এমন কিছু ছবিও যুক্ত করেন, যেখানে মন্দিরের ভেতরে হিন্দু মন্দিরের মতো বিভিন্ন নকশা ও খোদাই করা প্রতীক দেখা যায়।

    তীব্র বিতর্ক (Adina Masjid)

    এই কাঠামো নিয়ে প্রথম বিতর্ক তীব্র আকার ধারন করেছিল ২০২২ সালের মে মাসে। ওই সময় বিজেপি নেতা রথীন্দ্র বোস সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন “আদিনাথ মন্দিরটি এই আদিনা মসজিদের নীচে ঘুমিয়ে রয়েছে। জিতু সর্দার এই মন্দির রক্ষায় নিজের জীবন দিয়েছিলেন। এই ইতিহাস অনেকেই জানেন না।” ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তুঙ্গে পৌঁছয় বিতর্ক। ওই সময় হিন্দু পুরোহিত হিরন্ময় গোস্বামী একদল ভক্তকে নিয়ে পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ দফতরের (ASI) তালিকাভুক্ত আদিনা মসজিদ কমপ্লেক্সে পুজো করতে গিয়েছিলেন। পুরোহিতের দাবি, তিনি সেখানে একটি শিবলিঙ্গ ও অন্যান্য পবিত্র প্রতীকের সন্ধান পেয়েছিলেন। শেষমেশ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। ওই পুরোহিতের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর।

    ইতিহাসবিদদের দাবি

    একাধিক ইতিহাসবিদ এবং পুরোহিতের দাবি (Malda Mosque), ইলিয়াস শাহি বংশের সুলতান সিকন্দার শাহ ১৩৭৩–৭৪ খ্রিষ্টাব্দে একটি বিশাল হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেন। তার ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মাণ করেন আদিনা মসজিদ। এটি সেই সময় ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ হিসেবে পরিচিত ছিল। ঐতিহাসিক নথি অনুযায়ী, সুলতান সিকন্দার শাহ ১৩৬৩ থেকে ১৩৭৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন। মৃত্যুর অল্প আগে তিনি আদিনা মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন, যা পরবর্তীকালে বঙ্গ সুলতানাতের শক্তির প্রতীক হয়ে ওঠে (Adina Masjid)।

    মন্দির না মসজিদ

    বহু প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং স্থানীয় ইতিহাসবিদদের মতেও, এই মসজিদটি গড়ে উঠেছে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কাঠামোর ধ্বংসাবশেষ ব্যবহার করেই। এই দাবির সবচেয়ে প্রাচীন প্রমাণ মেলে মসজিদ কমপ্লেক্সের স্থাপত্য নিদর্শন থেকেই। এর ভিত্তি গঠিত হয়েছে ভারী ব্যাসাল্ট পাথরের গাঁথনিতে, যা প্রাচীন হিন্দু মন্দিরগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য। আর ওপরের অংশে ব্যবহৃত হয়েছে ইসলামিক ইটের কাজ। অনেক পাথরের ফলকে ফুলের নকশা, পদ্মের অলঙ্করণ এবং খোদাই করা দেবদেবীর প্রতিরূপ দেখা যায়। বস্তুত এগুলি স্পষ্টতই ইসলামিক নকশা নয়। স্থানীয়রা এই জায়গাটিকে ‘আদিনাথ ধাম’ বলেও উল্লেখ করেন। ‘আদিনা’ শব্দটি সম্ভবত ‘আদিনাথ’ (ভগবান শিবের এক নাম) থেকেই বিবর্তিত হয়েছে।

    কী বলছেন গবেষকরা

    গবেষকদের মতে, এই মসজিদের ভেতরে এমন বেশ কিছু নকশাগত অসংগতি রয়েছে, যা শুধুমাত্র ইসলামি স্থাপত্যের মাধ্যমেই ব্যাখ্যা করা যায় না। প্রথমত, মিহরাব (নামাজের দিক নির্দেশক খাঁজ) ও খিলান কাঠামোয় এমন নকশার ছাপ পাওয়া গিয়েছে, যা মসজিদের খোদাইয়ের চেয়ে হিন্দু মন্দিরের দরজার নকশার সঙ্গে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্তম্ভ ও প্রাচীরের অলংকরণে পদ্মফুল, কেন্দ্রাভিমুখী মণ্ডল (মণ্ডলা), ও নৃত্যরত মানবমূর্তির মতো আইকনোগ্রাফিও দেখা যায়। কাঠামোর কিছু কোণে আংশিক দেবমূর্তির চিত্রও মিলেছে। এর মধ্যে গণেশ ও শিবের নটরাজ রূপের সদৃশ খোদাই উল্লেখযোগ্য। দ্বিতীয়ত, ঐতিহ্যগতভাবে মসজিদ পশ্চিমমুখী (মক্কার দিকে) হয়। কিন্তু আদিনা কাঠামোর কেন্দ্রাংশ একটি প্রাচীন পূর্বমুখী গর্ভগৃহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি হিন্দু মন্দির স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য। তৃতীয়ত, স্থানীয় মৌখিক ঐতিহ্য ও সামাজিক নথিপত্র আদিনা মন্দির হওয়ার দাবিকে আরও শক্তিশালী করে। বহু প্রজন্ম ধরে মালদার গ্রামবাসীরা এই জায়গাকে ‘আদিনাথ ধাম’ বলে অভিহিত করে আসছেন এবং এএসআই রক্ষণাবেক্ষণ শুরু করার বহু আগেই এর আশপাশে মাঝে মাঝে ধর্মীয় আচার পালন করতেন। স্থানীয়দের দাবি, এই ঐতিহ্য ব্রিটিশ আমলের মসজিদ সংক্রান্ত সরকারি রেকর্ডেরও পূর্ববর্তী (Adina Masjid)।

    রহস্যের পরত

    রহস্য আরও গভীর হয় আঞ্চলিক ইতিহাসের দৌলতে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলার সুলতানরা প্রায়ই প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পুনঃব্যবহার করে নতুন কাঠামো গড়ে তুলতেন। পাণ্ডুয়া, গৌড় ও গৌড়ের মতো জায়গায় এই ধারা স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত। এই সব জায়গায় মন্দিরের পাথর ও মূর্তি মসজিদ ও প্রাসাদের ভিত্তিতে ফের ব্যবহার করা হয়েছিল (Malda Mosque)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইউসুফ পাঠানের পোস্ট অনিচ্ছাকৃতভাবে এই আন্দোলনে নতুন করে ইন্ধন জুগিয়েছে। এটি শুরু হয়েছিল নিছকই একটি সাধারণ পর্যটন পোস্ট হিসেবে, পরে অবশ্য সেটি এখন বাংলার অন্যতম প্রাচীন ও সংবেদনশীল বিতর্ককে পুনরুজ্জীবিত করেছে (Adina Masjid)।

  • Raju Bista: খগেন-শঙ্কর-মনোজের পর এবার দুষ্কৃতী হামলার শিকার রাজু বিস্ত

    Raju Bista: খগেন-শঙ্কর-মনোজের পর এবার দুষ্কৃতী হামলার শিকার রাজু বিস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার উত্তরবঙ্গে বন্যা কবলিত মানুষকে ত্রাণ বিলি করে ফেরার পথে এবার দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্ত (Raju Bista)। বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ফেরার সময় এই বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা করা হয়। এই ঘটনায় দার্জিলিং (Darjeeling) জেলার সুখিয়া পোখরির কাছে মাসধুরায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। উল্লেখ্য, আগে উত্তরবঙ্গে নিপীড়িত মানুষকে ত্রাণ দিতে দিয়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে গুরুতর জখম হন সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। এই তালিকায়ই এবার জুড়ে গেল রাজুর নামও।

    পাহাড়ে শান্তি বিঘ্নিত করছে দুষ্কৃতীরা

    এক্স হ্যান্ডেলে রাজু যে অভিযোগ করেছেন, তার তির তৃণমূলের দিকেই। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে শান্তি বিঘ্নিত করছে দুষ্কৃতীরা। সুখিয়া পোখরির কাছে মাসধুরায় আমার গাড়িতে হামলা করেছে। আমার গাড়ির পিছনে আঘাত করা হয়েছে। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, পরিকল্পনা করে আমার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। তবে যে বা যারা এই কাণ্ড করেছে, তারা যদি ভাবে বিজেপিকে এই সব করে দমিয়ে রাখা যাবে, তা হলে ভুল হবে। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) উন্নয়ন এবং শান্তি শৃঙ্খলাকে চক্রান্ত করেই ভোটের আগে উত্তপ্ত করেছে তৃণমূল।”

    বড় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়

    সাংসদের (Darjeeling) সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদেরও আঘাত করা হয়। রাজুর (Raju Bista) সহযোগী সঞ্জীব লামার গাড়িতেও বড় পাথর ছোড়া হয়। বিজেপির দাবি, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা আচমকা আক্রমণ করে। তবে এই হামলার ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। সঠিক তদন্ত এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে জোড়বাংলো থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। সাংসদ বলেন, “উত্তরবঙ্গের ঘরে ঘরে বিজেপি পৌঁছে গিয়েছে। মানুষকে সব রকম সুবিধা পৌঁছে দেওয়াই একমাত্র কাজ বিজেপির। তৃণমূলের আসল চরিত্র সকলেই বুঝে গিয়েছেন। বিরোধীদলের জনপ্রতিনিধিদের ওপর হামলার সঠিক প্রতিবাদ গ্রাম বাংলার মানুষ আরও কড়াভাবে দেবেন।”

  • AADHAAR: পথ দেখিয়েছে ভারত, নয়াদিল্লি ঘুরে গিয়ে আধারকার্ডের ধাঁচে পরিচয়পত্র চালু করতে চলেছেন স্টার্মার?

    AADHAAR: পথ দেখিয়েছে ভারত, নয়াদিল্লি ঘুরে গিয়ে আধারকার্ডের ধাঁচে পরিচয়পত্র চালু করতে চলেছেন স্টার্মার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফরে এসে ব্রিটেনে নিয়ে গিয়েছেন আধারকার্ডের (AADHAAR) কনসেপ্ট। সেই ধাঁচেই নয়া পরিচয়পত্র ব্রিটেনে চালু করতে চাইছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। নাম হবে ‘ব্রিট কার্ড’। তবে আধারের মতো বায়েমেট্রিক তথ্য ব্যবহৃত হবে না এই কার্ডে। ব্রিটেনে অনুপ্রবেশকারীদের রুখতেই এই কার্ড চালু করতে চাইছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।

    স্টার্মারের মুখে আধার-স্তুতি (AADHAAR)

    সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন স্টার্মার। তখনই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল আধার-স্তুতি। পরে তিনি সাক্ষাৎ করেন ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানির সঙ্গে। তাঁর কাছ থেকে জেনে নিয়েছিলেন আধার কার্ড এবং সেই সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যও। ব্রিটেনের সরকারি মুখপাত্র জানান, এই কার্ড চালুর ক্ষেত্রে ভারতের অভিজ্ঞতার সাহায্য নেবে ব্রিটেন। যদিও তা আদতে আধার কার্ডের মতো হবে না। এর নকশা হবে আলাদা। এই কার্ডে ব্যবহার করা হবে না বায়োমেট্রিক তথ্যও। আধারের ভূয়শী প্রশাংসা করেছে ব্রিটেনের বিভিন্ন গণমাধ্যম। তাদের মতে, প্রশাসনিক ব্যয় এবং দুর্নীতি কমাতে সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে আধার।

    অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের দাবি

    প্রসঙ্গত, অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের দাবিতে সম্প্রতি ব্রিটেনে বেশ কয়েকটি মিছিল এবং জমায়েত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবৈধভাবে ব্রিটেনে থাকা শ্রমিকদের চিহ্নিত করতে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নয়া সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরি করতে চলেছে ব্রিটেনের স্টার্মার সরকার।মনমোহন সিংয়ের জমানায় ১৫ বছর আগে ভারতে চালু হয়েছিল আধার কার্ড (AADHAAR)। ব্যাংক, পোস্ট অফিসের বিভিন্ন জরুরি কাজে আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতেও কাজে লাগে এই কার্ড। বর্তমানে ভারতের ১৪০ কোটি নাগরিকের কাছেই রয়েছে এই কার্ড।

    ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের এক মুখপাত্র জানান, ভারতের আধার কার্ড সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা শিক্ষা নিচ্ছেন ঠিকই, তবে ব্রিট কার্ডের ধরন একটু আলাদা হবে। জানা গিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে কেবল (Keir Starmer) ব্রিটেনের চাকরিজীবীদের জন্যই বাধ্যতামূলক করা হবে এই কার্ড (AADHAAR)।

  • Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে খাওয়া ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে খাওয়া ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর (Kali Puja 2025) এক রাত আগে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025) বা নরক চতুর্দশী। ভূত চতুর্দশী ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি নিয়মকানুন। বাংলার ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীর দুপুরে চোদ্দ রকমের শাক খেতে হয় এবং সন্ধ্যাবেলা জ্বালানো হয় চোদ্দটি প্রদীপ। মনে করা হয়, ঘোর অমাবস্যার রাতে বিদেহী আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যলোকে। এর ঠিক পরের দিনই চন্দ্রের তিথি নিয়ম মেনে হয় দীপান্বিতা কালীপুজো।

    কেন চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি? (Kali Puja 2025)

    বাঙালীদের ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীতে (Bhoot Chaturdashi 2025) দুটি নিয়ম মূলত পালন করা হয়। অনেকে মনে করেন, চোদ্দ ভুবনের অধীশ্বরী দেবীর উদ্দেশে চোদ্দ শাক খাওয়া এবং চোদ্দটি প্রদীপ জ্বালানো হয়। এর সঙ্গে যুগ যুগ ধরে জড়িয়ে রয়েছে অনেক আচার-বিচার। যেমন, ধরুন খাওয়া-দাওয়ার আচার। সরস্বতী পুজোর পরদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার প্রথা রয়েছে অধিকাংশ বাড়িতে। আবার কিছু ব্রত রয়েছে যেগুলিতে গৃহস্থ কত্রীরা শুধুমাত্র ময়দার তৈরি খাবার খান। প্রতিটি খাওয়া-দাওয়া আচার, পরিবার এবং স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই পালিত হয়। জানেন কি আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ কালীপুজোর (Kali Puja 2025) আগের দিন অনেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক (Bhoot Chaturdashi 14 Saag) খাওয়ার রীতি রয়েছে? এখন প্রশ্ন হল, চোদ্দ শাক খাওয়ার এই আচারের পিছনে কোন ধর্মীয় বিশ্বাস কাজ করছে?

    পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে!

    কথিত আছে, মৃত্যুর পরে মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর এই বিশেষ দিনেই নাকি পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে। হিন্দুশাস্ত্র মতে, আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি-প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষেরা। বিশ্বাস মতে, চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি পালনের মধ্যে দিয়েই তাঁদের ছুঁয়ে থাকা যায়। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা চোদ্দ রকম শাক জলে ধুয়ে, সেই জল বাড়ির চারিদিকে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পূর্বের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে পরবর্তী সাতপুরুষের জন্য খাওয়া হয় শাক। তাই মোট চোদ্দ রকমের শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে।

    কী কী শাক খাওয়া হয়?

    চোদ্দ রকমের শাকগুলি (14 Saag) হল— জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। এই প্রচলিত রীতিগুলির পিছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে বলে অনেকের ধারণা (Kali Puja 2025)। এদেশের সমস্ত আচার এবং অনুষ্ঠান বিজ্ঞানসম্মত এবং প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়। শরৎকালের শেষ এবং হেমন্তকালের শুরুতে অনেক রকমের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ শাক দেয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।

    কোন কোন শাকে কী কী রোগ সারে?

    এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই চোদ্দ রকমের শাকগুলির (14 Saag) কী কী গুণ রয়েছে। জয়ন্তী-উদরাময়, জ্বর, বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণ করে। শাঞ্চে-রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। হিংচে- পিত্তনাশক। ওল-অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ কমায়। পুঁই-হজমে সহায়ক। বেতো-কৃমিনাশক। সর্ষে-যকৃৎ, চোখ যত্নে রাখে। কালকাসুন্দে-অর্শ, কাশি দূর করে। নিম-যে কোনও চর্মরোগ নাশ করে। পলতা-শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখে। শুলকা-হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। গুলঞ্চ-উচ্চ রক্তচাপ, যকৃৎ যত্নে রাখে। ভাঁটপাতা-ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। শুষণী-স্মৃতিবর্ধক (Kali Puja 2025)।

  • Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীর সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ, কোথায় রাখতে হয়?

    Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীর সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ, কোথায় রাখতে হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর (Kali Puja 2025) এক রাত আগে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025) বা নরক চতুর্দশী (Naraka Chaturdashi)। বাংলার ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীর দিনে ১৪ শাক খাওয়ার ও ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে।

    দুপুরে ১৪ শাক, সাঁঝে ১৪ বাতি

    ভূত চতুর্দশীর দিনে যে ১৪টি শাক (14 Saag) খাওয়া হয়, সেগুলি হল— জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। এই শাক খেয়ে এবং সন্ধেবেলা ১৪ প্রদীপ (14 Diya) জ্বালিয়ে দুরাত্মা ও অন্ধকার দূর করার রীতি প্রচলিত আছে। শাস্ত্রমতে, মৃত্যুর পর মানুষের শরীর পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। অর্থাৎ মাটি, জল, হাওয়া, অগ্নি ও আকাশ। তাই মাটি থেকে তুলে আনা শাক খেলে অতৃপ্ত আত্মারা শান্তি পায়। যে জল দিয়ে ১৪ শাক (Bhoot Chaturdashi 14 Saag) ধোয়া হয়, সেই জল আবার অনেকে বাড়িতেও ছেটান। মনে করা হয়, এর ফলে অশুভ শক্তি দূর হয় ও বাধা-বিঘ্ন কেটে যায়।

    ১৪ ভুবনের জন্য ১৪ প্রদীপ! (Kali Puja 2025)

    দুপুরে ১৪ শাক খাওয়ার পর সন্ধেবেলা জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ । পুরাণে ১৪টি ভুবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার সাতটি স্বর্গ ও সাতটি পাতাল। ভূঃ, ভুবঃ, স্বঃ, জনঃ, মহঃ, তপঃ ও সত্য হল স্বর্গ। অন্যদিকে মাটির নীচে রয়েছে অতল, বিতল, সুতল, তলাতল, মহাতল, রসাতল এবং পাতাল এই ১৪ লোকের বাসিন্দাদের সম্মান জানাতে এদিন ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, ভূত চতুর্দশীর দিনে কিছু সময়ের জন্য স্বর্গ ও নরকের দরজা খুলে যায়, তখন আত্মারা মর্ত্যে নেমে আসে। ভূত-প্রেত নিয়ে এদিন রাজা বলিও মর্ত্যে আসেন বলে মনে করা হয়। এই দিনে অশুভ শক্তির প্রকোপ বৃদ্ধি পায় বলে একটা বিশ্বাস প্রচলিত আছে। এই অশুভ শক্তিকে নিজের বাড়ি থেকে দূরে রাখতেই ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে।

    ১৪ পুরুষের উদ্দেশ্যে…

    আবার অন্য বিশ্বাস অনুযায়ী, ১৪ পুরুষের (Kali Puja 2025) উদ্দেশ্যে এই ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। এই ১৪ পুরুষ হলেন, পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ, মাতা, পিতামহী, প্রপিতামহী, মাতামহ, প্রমাতামহ, বৃদ্ধপ্রমাতামহ, মাতামহী, প্রমাতামহী ও বৃদ্ধপ্রমাতামহী। এ ছাড়াও শ্বশুর-শাশুড়ি। অশুভ আত্মাদের হাত থেকে বাঁচতে ভূত চতুর্দশীর দিনে যে মন্ত্র জপ করা হয়, তা হল ‘শীতলঞ্চ সমাযুক্ত সকণ্টক দলান্বিত। হরপাপ সপামার্গে ভ্রাম্যমাণঃ পুনঃ পুনঃ’। এই মন্ত্র পাঠের ফলে অশুভ আত্মার ভয় কেটে যায়।

    হিন্দুমতে মনে করা হয়, ভূত চতুর্দশীর (Bhoot Chaturdashi 2025) রাতে শিবভক্ত রাজা বলি ও তাঁর অনুচরেরা মর্ত্যে পুজো নিতে আসেন। চতুর্দশী তিথির ভরা অমাবস্যার অন্ধকারে রাজা বলির অনুচরেরা যাতে পথ ভুলে বাড়িতে ঢুকে না-পড়েন, তাই এই প্রদীপ জ্বালানোর রীতি প্রচলিত আছে। আবার অন্য একটি প্রথা অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় পিতৃপুরুষদের মর্ত্যে আগমন হয়। এই চতুর্দশী তিথিতেই তাঁরা ফিরে যান। সে সময় অন্ধকারে পথ দেখানোর জন্য ১৪ প্রদীপ (Bhoot Chaturdashi 14 Diya) জ্বালানো হয়।

    কোথায় কোথায় জ্বালবেন ১৪ প্রদীপ?

    এই সময়ে বাড়ির ঠাকুরঘরে প্রদীপ দেওয়াটা সর্বাধিক প্রয়োজন। বাড়িতে তুলসীমঞ্চ থাকলে, সেখানেও একটি প্রদীপ দিতে হবে। বাড়ির সদর দরজায় দুপাশে দুটি প্রদীপ দিতে হবে। তাতে একটি করে লবঙ্গ রাখতে পারেন। বাড়ির যেখানে জলের ব্যবস্থা রয়েছে বা কলতলায় একটি প্রদীপ দিতে হবে। বাড়ির দক্ষিণ দিকে একটি প্রদীপ জ্বালাতে হবে (Kali Puja 2025)। বাড়িতে মাটির উনুন থাকলে, সেই উনুনে একটি প্রদীপ দিন। প্রতিটি প্রদীপই ১৪ পুরুষের প্রতীক।

  • Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে সত্যিই কি মর্ত্যলোকে নেমে আসেন বিদেহী আত্মারা!

    Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে সত্যিই কি মর্ত্যলোকে নেমে আসেন বিদেহী আত্মারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025)। এই তিথিকে আবার অনেকে নরক চতুর্দশী (Naraka Chaturdashi) বলেও জানেন। কালী পুজোর (Kali Puja 2025) একদিন আগে ও ধনতেরসের একদিন পর ভূত চতুর্দশী পালিত হয়। এই তিথিটি ছোট দীপাবলি (Deepawali 2025), রূপ চতুর্দশী বা নরকা পুজো নামেও পরিচিত। এদিন মৃত্যুর দেবতা যম ও কৃষ্ণের পুজো করা হয়। অকাল মৃত্যু থেকে বাঁচতে নরক চতুর্দশীতে পুজো করা হয়। অনেকে এই দিনটিকে পশ্চিমী হ্যালোউইনের ভারতীয় সংস্করণ (Indian Halloween) হিসেবেও দেখেন। পুরাণ মতে, ভূত চতুর্দশীর রাতে শিবভক্ত বলি মর্ত্যে আসেন পুজো নিতে, সঙ্গে আসেন তাঁর অনুচর ভূতেরা। চতুর্দশী তিথির ভরা অমাবস্যায় (Kali Puja 2025) চারিদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে। সেই ঘন অন্ধকারে যাতে বলি রাজার অনুচরেরা বাড়িতে ঢুকে না পড়েন, তার ব্যবস্থাই করা হত প্রাচীন কালে। ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে জড়িত পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, ঘোর অমাবস্যার রাতে বিদেহী আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যলোকে। এর ঠিক পরের দিনই চন্দ্রের তিথির নিয়ম মেনে হয় দীপান্বিতা কালীপুজো।

    কৃষ্ণ-সত্যভামার হাতে নরকাসুর-বধ কাহিনী

    ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশীতে মুক্তিলাভের আশায় পুজো (Kali Puja 2025) করা হয়। এদিন সূর্যোদয়ের আগে উঠে স্নান করার প্রথা রয়েছে। মনে করা হয় এর প্রভাবে যমলোকের দর্শন করতে হয় না। বিষ্ণু পুরাণ ও শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, নরকাসুর নামক এক অসুর নিজের শক্তির দ্বারা দেবতা ও মনুষ্যদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। ১৬ হাজার স্ত্রী এবং সাধুকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল নরকাসুর (Narakasura)। এরপর মুনি-ঋষিরা কৃষ্ণের দ্বারস্থ হন। নরকাসুরের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেন কৃষ্ণ। কিন্তু শুধু স্ত্রীর হাতে মৃত্যুর অভিশাপ পেয়েছিল নরকাসুর। এই কারণে কৃষ্ণ নিজের স্ত্রী সত্যভামাকে সারথী করেন এবং তাঁর সাহায্যে নরকাসুরকে বধ করেন। যেদিন নরকাসুর বধ হয়েছিল, সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি (Kali Puja 2025)। তাই তিথিকে নরক চতুর্দশী বলা হয়।

    এদিন বেরিয়ে আসে অশরীরী প্রেতাত্মারা!

    আবার এই তিথিটিকে ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025) বলার পিছনের আরেক ব্যখ্যা হল, মনে করা হয়, এই তিথিতে সন্ধ্যা নামলেই অশরীরী প্রেতাত্মারা বেরিয়ে আসে। তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই তিথিতে গৃহস্থ বাড়িতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো হয়। আবার আর একটি প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই তিথিতে চোদ্দ পুরুষের আত্মার আসা-যাওয়া থাকে। মনে করা হয় তাঁদের যাতায়াতের পথ আলোকিত রাখার জন্যই প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার প্রথা রয়েছে।

    হ্যালোউইন শব্দের অর্থ কী?

    আমাদের দেশে যেমন কালীপুজোর (Kali Puja 2025) আগের রাতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী, পশ্চিমী দুনিয়ায় তেমনই সবাই মেতে ওঠেন হ্যালোউইন ঘিরে। প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর মৃত আত্মাদের স্মরণ করতে হ্যালোউইন পালিত হয়। আমাদের দেশেও গত কয়েক বছর ধরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে হ্যালোউইন। স্কটিশ শব্দ ‘অল হ্যালোজ ইভ’ থেকে হ্যালোইন বা হ্যালোউইন শব্দটি এসেছে। এই শব্দের উৎপত্তি মোটামুটি ১৭৪৫ সালে। হ্যালোউইন শব্দের অর্থ পবিত্র সন্ধ্যা। হ্যালোউইনের কথা বলতেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে কুমড়ো এবং ভুতুড়ে সাজগোজ। হ্যালোউইনে কুমড়ো কেটে সেখানে নাক, চোখ, মুখ বানিয়ে ভৌতিক চেহারা তৈরি করার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। তার পরে এর ভিতরে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকার রাতে কুমড়োর ভেতরে মোমবাতি জ্বলায় তা আরও ভৌতিক দেখতে লাগে। ভৌতিক কস্টিউম পরে অনেকেই এদিন অন্যকে ভয় দেখিয়ে মজা করে।

LinkedIn
Share