Tag: bangla news

bangla news

  • Modi Govt: ভিসা পেলেন না ভারত-বিরোধী ক্ষমা, জাতীয় ঐক্যে আপস নয়, বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার

    Modi Govt: ভিসা পেলেন না ভারত-বিরোধী ক্ষমা, জাতীয় ঐক্যে আপস নয়, বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিরোধী কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না, তা আবারও বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিবিদ ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসা প্রত্যাখ্যান করল কেন্দ্র। প্রাক্তন সিয়াটল সিটি কাউন্সিলর ক্ষমা, সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ সহ বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তাঁর এই অবস্থানের জন্যই তাঁকে ভিসা দিতে অস্বীকার করল ভারত, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের। এই ঘটনা বিশ্বের কাছে কেন্দ্রের জিরো-টলারেন্স বা আপসহীন নীতিকে শক্তিশালী করল।

    কেন ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসা প্রত্যাখ্যান?

    ক্ষমা সাওয়ান্ত একজন ফায়ারব্র্যান্ড সমাজকর্মী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর সিয়াটেলের প্রাক্তন কাউন্সিলর, প্রায়ই ভারত সরকারের সমালোচনা করতেন তিনি। সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের প্রতি তাঁর সমর্থন, ভারতের রাজনৈতিক আবহাওয়ার সমালোচনা এবং দূর-বাম মতাদর্শের সঙ্গে সারিবদ্ধতা তাঁকে একটি মেরুকরণকারী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। যদিও দিল্লির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসা প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে মন্তব্য করা হয়নি। তবে, কূটনৈতিক মহলের অনুমান বিদেশি প্রভাব থেকে ভারতকে রক্ষা করার জন্য মোদি সরকার এই পদক্ষেপ করেছে। সাওয়ান্তকে ভিসা দিতে মোদি সরকারের প্রত্যাখ্যান, জাতীয় ঐক্যকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা রুখবে বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। সর্বোপরি, কেন ভারত তাঁদের আতিথেয়তা বাড়াবে যাঁরা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ভারতের নীতিকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানায়।

    ভারত-বিরোধী কাজ

    ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে মোদি সরকার দেশ বিরোধীদের একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে। সরকারের তরফে বার্তা, দেশ-বিরোধী কার্যকলাপকে সমর্থন করলে, আপনাকে স্বাগত জানানো হবে না। শুধু সিএএ নয়, সিয়াটেল সিটি কাউন্সিলে থাকাকালীন, ক্ষমা ভারতের নীতির বিরুদ্ধে একাধিক প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি একটি প্রস্তাব পেশ করেন, যেখানে হিন্দু ধর্মকে অতিরিক্ত আইনি নিরীক্ষণের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছিল। এই ঘটনা হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এই আবহে কেন্দ্র ক্ষমার ভিসা মঞ্জুর না করে বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারতের জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি করতে পারে এমন প্রচেষ্টা মেনে নেবে না মোদি সরকার।

  • Budget Textile Industry: বাংলাদেশের হারানো বস্ত্রশিল্পের বাজার ধরতে ময়দানে ভারত, বাজেটে ইঙ্গিত

    Budget Textile Industry: বাংলাদেশের হারানো বস্ত্রশিল্পের বাজার ধরতে ময়দানে ভারত, বাজেটে ইঙ্গিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বাজেট পেশ (Budget Textile Industry) করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেটে বস্ত্রশিল্পের (Bangladesh) জন্য বড় ধরনের বুস্ট ঘোষণা করেছেন। গত অর্থবর্ষের চেয়ে এবার এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৯ শতাংশ। এবার বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৪১৭.০৩ কোটি টাকা। দেশে তুলোর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাঁচ বছরের তুলো মিশন ঘোষণা করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশেষ করে অতিরিক্ত লম্বা প্রধান তুলোর উৎপাদন স্থবিরতার সমস্যার সমাধান করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য (Budget Textile Industry)

    বস্ত্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘‘এই মিশনের অধীনে (Bangladesh) কৃষকদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হবে। এটি কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করবে এবং গুণমানসম্পন্ন তুলোর স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করবে।’’ প্রসঙ্গত, ভারতের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার এই প্রচেষ্টা এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন দেশে তুলো উৎপাদনে উদ্বৃত্ত নেই। বর্তমানে, ভারত প্রতি হেক্টরে ৪৫০ কিলোগ্রাম তুলো উৎপাদন করে, যা বৈশ্বিক গড় ৮০০ কিলোগ্রামের তুলনায় অনেক কম।

    বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজার

    বাংলাদেশে চলছে ডামাডোলের বাজার। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বস্ত্রশিল্পের বহু প্রতিষ্ঠান। ওয়াকিবহালের মতে, সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে ভারত। বস্ত্রশিল্পে বাংলাদেশের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। মসলিন থেকে শুরু করে জিনস ও অন্যান্য পোশাকের চাহিদা তামাম বিশ্বেই তুঙ্গে। বিদেশের বহু ব্যবসায়ীই লগ্নি করেন বাংলাদেশের বস্ত্র কারখানাগুলিতে। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে পালান আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকে কার্যত দেশে চলছে অব্যবস্থা। ডামাডোলের বাজারে কাঁচামালের দাম আকাশছোঁয়া। ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি জিনিসপত্রের দাম হাঁকাচ্ছেন। গত অক্টোবরে বস্ত্র শ্রমিকদের প্রতিবাদে (Budget Textile Industry) কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ঢাকা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন দুই শ্রমিক। পড়শি দেশের এই অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিই ভারতের বস্ত্রশিল্পের বাজারকে আরও চাঙা করছে।

    বাংলাদেশে সংকট

    প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের (Bangladesh) চলমান রাজনৈতিক সংকট ভারতের পোশাক শিল্পকে রফতানি বৃদ্ধি করে সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করছে। বাংলাদেশ একসময় বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ ছিল। তবে অর্থনৈতিক সংকট, বিদ্যুৎ সংকট এবং হিংসার কারণে দেশটির পোশাক শিল্প অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ইত্যাদি দেশে তুলোর রফতানি বাড়ানোর সুযোগ পেতে পারে ভারত।

    পোশাক শিল্পের ক্ষতি

    রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ফলে আমদানিকারক দেশগুলি বিকল্প সরবরাহকারীদের সন্ধান করছে। এর ফলে, ভারত এই পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান সুবিধাভোগী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দেশটির টেক্সটাইল ও পোশাক রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ভারতের মার্কিন বাজারে পোশাক রফতানি ৪.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের মার্কিন বাজারে রফতানি ০.৪৬ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

    ভারতের টেক্সটাইল শিল্প

    এদিকে, ভারত সরকার টেক্সটাইল শিল্পকে শক্তিশালী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আর্থিক সহায়তা দান, কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির ওপর শুল্ক হ্রাস, এবং স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ নেওয়া (Bangladesh)। ১লা ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে, ভারত বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল ও পোশাক রফতানিতে ষষ্ঠ বৃহত্তম দেশ, যা দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (GDP), শিল্প উৎপাদন এবং রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে (Budget Textile Industry)।

    রফতানির খতিয়ান

    ২০২৩ সালে ভারত ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের টেক্সটাইল পণ্য রফতানি করেছে, যেখানে পোশাক খাত রফতানি আয়ের ৪২ শতাংশ অংশ নিয়েছে। এরপরে ৩৪ শতাংশ ছিল কাঁচামাল ও আধা-সমাপ্ত সামগ্রী এবং ৩০ শতাংশ ছিল সমাপ্ত পোশাক নয় এমন সামগ্রী। ইউরোপ ও আমেরিকা মিলে ভারতের পোশাক রফতানির প্রায় ৬৬ শতাংশ দখল করেছে। ৫৮ শতাংশ সমাপ্ত পোশাক ছাড়া অন্যান্য সামগ্রী এবং ১২ শতাংশ কাঁচামাল ও আধা-সমাপ্ত সামগ্রী রফতানির অংশীদার হয়েছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে আমেরিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অন্তর্ভুক্ত। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কোভিড-১৯ অতিমারির সময়েও ভারতের টেক্সটাইল রফতানি স্থিতিশীল ছিল।

    ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের টেক্সটাইল শিল্প ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে এবং এতে ৩.৫ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ১লা ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মধ্যবিত্ত শ্রেণির সুবিধার (Bangladesh) কথা মাথায় রেখে তৈরি এই বাজেটের মধ্যে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা, অর্থনীতি, ব্যবসা, পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন খাতে উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ও পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (Budget Textile Industry)।

  • Budget 2025: ৮-১২ লাখ আয়ে ১০% ট্যাক্স ধার্য হলে, কীভাবে ১২ লক্ষ পর্যন্ত কর-মুক্ত আয়? রইল ব্যাখ্যা

    Budget 2025: ৮-১২ লাখ আয়ে ১০% ট্যাক্স ধার্য হলে, কীভাবে ১২ লক্ষ পর্যন্ত কর-মুক্ত আয়? রইল ব্যাখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়লা ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Budget 2025)। তাঁর এই বাজেটে স্বস্তি পেয়েছেন মধ্যবিত্তরা। ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর (Income Tax Slab) দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তার পরেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকার আয়ে ৫ শতাংশ এবং ৮ থেকে ১২ লাখে যে ১০ শতাংশ কর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা কীসের? সেক্ষেত্রে, কীভাবে কর-মুক্ত সম্ভব?

    স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (Budget 2025)

    নয়া কর ব্যবস্থায়, বেতনভোগীদের ক্ষেত্রে ১২ লাখ টাকার ওপর ৭৫ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হিসেবে আয়ের ওপর কোনও কর দিতে হবে না। যদিও সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ৪ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা রোজগারে ৫ শতাংশ, ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্সের পরিমাণ ১০ শতাংশ, ১২ থেকে ১৬ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ট্যাক্স দিতে হবে ১৫ শতাংশ। ১৬ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকাপর্যন্ত আয়ে ট্যাক্স দিতে হবে ২০ শতাংশ, ২০ লক্ষ টাকা থেকে ২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ট্যাক্স দিতে হবে ২৫ শতাংশ। এবং ২৪ লক্ষ টাকার উপরে বার্ষিক আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে সবাইকে৷

    আইনের ৮৭এ ধারা

    আমজনতার প্রশ্ন হল, বার্ষিক ১২ লক্ষ আয়ের উপর কোনও ট্যাক্স না থাকলে, ৪ থেকে ৮ লক্ষের উপর ৫ শতাংশ এবং ৮ থেকে ১২ লক্ষের উপর ১০ শতাংশ ট্যাক্স তাহলে দেখানো হচ্ছে কেন? বিষয়টা অনেকের কাছেই গোলমেলে লাগছে। তাই প্রয়োজন ব্যাখ্যার। সরকার যে ছাড়ের আইন করেছে, তা আইনের ৮৭এ ধারায়। এর অর্থ হল, আপনার আয়ের মোট ট্যাক্স যদি কোনও স্ল্যাব অনুযায়ী গণনা করা হয়, তাহলে করদাতা কিছু ছাড় পাবেন। বিষয়টা ভালো করে বোঝা যাক। যদি কারও বার্ষিক আয় ৪ থেকে ৮ লাখ টাকার মধ্যে হয়, তাহলে ওই ব্যক্তির ট্যাক্স হবে ২০ হাজার টাকা। বার্ষিক আয় ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা হলে, কর দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে মোট কর হয় ৬০ হাজার টাকা। এবার ৮৭এ-এর আওতায় ১২ লাখ টাকার বার্ষিক আয়ের ওপর কর রিবেট বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ, কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৪ থেকে ৮ লাখ বা বার্ষিক ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা হয়, তাঁকে কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না। এটাই হল ট্যাক্স রিবেট (Budget 2025)।

    প্রশ্ন হল, ট্যাক্স রিবেট কী? ট্যাক্স রিবেট হল একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক আইন, যা করদাতাদের রোজগারের ওপর ধার্য কর থেকে ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হয়। এই আইনটি তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাঁদের বার্ষিক আয় একটি নির্দিষ্ট সীমার নীচে (Income Tax Slab)। ভারতে এই বিধানটিই আসে আয়কর আইনের ৮৭এ ধারায় (Budget 2025)।

  • Saraswati Puja Nadia: নজিরবিহীন! পুলিশ প্রহরায় স্কুলে সরস্বতী পুজো, নদিয়ায় মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Saraswati Puja Nadia: নজিরবিহীন! পুলিশ প্রহরায় স্কুলে সরস্বতী পুজো, নদিয়ায় মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন, পুলিশি প্রহরায় বাগদেবীর আরাধনা! রাজ্যের এমনই অবস্থা যে বিদ্যার দেবীর আরাধনাও করতে হয় পুলিশ প্রহরার মধ্য দিয়ে। সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার নদিয়ার হরিণঘাটা থানার নগরউখড়া এলাকায় একটি সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। অঞ্জলি দিতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানেই কলকাতার যোগেশচন্দ্র ল কলেজে পুলিশি প্রহরায় সরস্বতী পুজো নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বাংলাদেশের পরিস্থিতির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।

     

    সেনা দিয়ে সরস্বতী পুজো!

    নগরউখড়ায় একটি প্রাথমিক স্কুলে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে বিতর্ক হয়েছিল। সেই নগরউখড়ারই একটি সরস্বতী পুজোয় এদিন যোগ দেন শুভেন্দু। পুলিশি প্রহরায় কলকাতার কলেজে পুজো নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “এটাও বাংলাদেশ বানিয়ে দিয়েছে। ওপারের যশোরে সেনা দিয়ে পুজো হচ্ছে। আর এপারে পুলিশ দিয়ে পুজো হচ্ছে। তাও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে।” এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, বিজেপি সরকার গঠন হলে জিহাদিমুক্ত বাংলা হবে। উল্লেখ্য সোমবার , হরিণঘাটার দাসপোলডাঙা প্রাথমিক স্কুলে বাণীবন্দনাতেও হাজির রইল পুলিশ। নামানো হল র‍্যাফও। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে কচিকাঁচাদের বাগদেবীর আরাধনায় স্কুলে যেতে হল ।

     

    পুজোর জন্য পুলিশি প্রহরা

    ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। এই স্কুলে আগে কখনও সরস্বতী পুজো হয়নি। এ বছরই প্রথম বিদ্যালয়ে বাগদেবীর আরাধনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, হরিণঘাটা দাসপোলডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো হবে এই খবর পেয়েই নাকি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। হরিণঘাটার দাসপোলডাঙা প্রাথমিক স্কুলে সরস্বতী পুজো করা যাবে না বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বদলির হুমকি দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়। এই ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে যিনি হুমকি দেন, তিনি তৃণমূলের বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মণ্ডল। যদিও এর আগে অভিযুক্তর দলীয়-যোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। এরপরই সতর্ক হয় জেলা প্রশাসন। তাই সোমবার বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজোর জন্য বসাতে হয় পুলিশি প্রহরা। সোমবার যখন স্কুলে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা চলছে, তখন বাইরে লাঠিধারী পুলিশকে পাহারা দিতে হয় । অশান্তি রুখতে নামাতে হয় র‍্যাফ। নিরাপত্তার খাতিরে হরিণঘাটার স্কুলের গেট বন্ধ করে হয় বাণীবন্দনা। বাইরেই দাঁড়াতে হয় পড়ুয়াদের অভিভাবকদের। বাইরে থেকেই তাঁরা উলুধ্বনি দেন। পুজো শেষ হয় নির্বিঘ্নেই।

  • U19 Women Cricket World Cup: টি২০ বিশ্বকাপজয়ী ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দলকে ৫ কোটি টাকা পুরস্কার বোর্ডের

    U19 Women Cricket World Cup: টি২০ বিশ্বকাপজয়ী ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দলকে ৫ কোটি টাকা পুরস্কার বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দুবার বিশ্বজয়। দ্বিতীয়বার টি-২০ বিশ্বকাপের খেতাব জয় করল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট দল। রবিবার, তারা ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারায়। ফাইনাল ম্যাচে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেন গঙ্গাদি তৃষা। টিম ইন্ডিয়ার এই পারফরম্যান্সের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বিশাল অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করল। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা দলের হাতে ৫ কোটি টাকা পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

    ৫ কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার

    ২০২৩ সালে প্রথমবার মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই দলে ছিলেন রিচা ঘোষ, তিতাস সাধুর মতো ক্রিকেটাররা। দুবছর পর সেই সাফল্য ধরে রাখলেন তৃষারা। গোটা টুর্নামেন্টে একের পর এক প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল ভারত। খেতাবি লড়াইয়েও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধরাশায়ী করলেন নিকি প্রসাদরা। দুর্ধর্ষ জয়ের পর গোটা দলকে বিশেষ বার্তা দিয়েছে বিসিসিআই। বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের তাজ ধরে রাখার জন্য মহিলা ব্রিগেডকে আন্তরিক অভিনন্দন। এই সাফল্যকে সম্মান জানাতেই আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করছে বিসিসিআই। কোচ নুহসিন আল খাদের, প্রত্যেক ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফ- গোটা দলের জন্য ৫ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।’

    ভারতের দাপট

    প্রায় একতরফা ভাবে ফাইনাল জিতে নিল ভারতীয় দল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দলের অধিনায়ক কায়লা রেনেকে। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্তের মর্যাদা দিতে পারেননি দলের ব্যাটাররা। ভারতের বোলিং আক্রমণের কোনও জবাবই দিতে পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা। কুয়ালা লামপুরের বাইশ গজে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন তাঁরা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানোর চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের সফলতম বোলার গঙ্গাদি তৃষা ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। বিশ্বকাপের জন্য ৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুধু ওপেনার জি কমলীনির (৮) উইকেট হারিয়েই জয় ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় দল। অন্য ওপেনার তৃষা ৩৩ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ৮টি চার এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। তিন নম্বরে নামা সনিকা চালকে অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ২৬ রান করে। ৪টি বাউন্ডারি মারেন তিনি।

    শুভেচ্ছা বার্তা

    পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি রজার বিনিও এই বিজয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী আমাদের দেশের মেয়েদের জন্য একরাশ শুভেচ্ছা রইল। এই অভিযান যথেষ্ট কঠিন ছিল। সেই লড়াইয়ে অপরাজিত থাকা কম বড় কথা নয়। গতকাল রাতে নমন অ্যাওয়ার্ড চলাকালীন ওদের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা কথা বলছিলাম। আর আজই ওরা গোটা দেশকে গৌরবান্বিত করল। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট যে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে, সেটা এই খেতাবই স্পষ্ট করে দিচ্ছে।’

  • Labour Code: শ্রম সংস্কারের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, ১ এপ্রিল থেকে দেশে চালু হচ্ছে নতুন শ্রম-বিধি!

    Labour Code: শ্রম সংস্কারের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, ১ এপ্রিল থেকে দেশে চালু হচ্ছে নতুন শ্রম-বিধি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রম সংস্কারের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত ভারত (India)। ৩১ মার্চের মধ্যেই শ্রম কোড চূড়ান্ত হওয়ার কথা। এটি চূড়ান্ত হয়ে গেলে ১ এপ্রিল থেকে চারটি শ্রম কোড বা শ্রম-বিধি (Labour Code) বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হতে পারে। কেন্দ্র ও রাজ্যের শ্রমমন্ত্রকের কর্তাদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে কোডগুলির অধীনে বিধি প্রণয়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটাই বহু প্রতীক্ষিত শ্রম আইন সংস্কারের শেষ ধাপ।

    শ্রমমন্ত্রকের কর্তাদের বৈঠক (Labour Code)

    বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৮টিরও বেশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ সংস্কার কার্যকর করেছে। আর ৩২টিরও বেশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল খসড়া বিধিগুলি প্রকাশ করেছে। অবশিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এ ব্যাপারে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই ৩১ মার্চের মধ্যে সমন্বিত খসড়া বিধির প্রি-পাবলিকেশন সম্পন্ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটা হলেই শ্রম কোডগুলির সর্বভারতীয় বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে। উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠক হয়েছে দুদিন ধরে। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। বৈঠকে  বৃহত্তর শ্রম সংস্কারগুলির ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গিগ এবং প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের নীতিগুলিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    মন্ত্রীর আহ্বান

    শ্রমিকদের কল্যাণ ও শিল্প প্রবৃদ্ধির মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন মন্ত্রী। শ্রম সংস্কারের বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সেরা অনুশীলনগুলি ভাগ করার আহ্বানও জানান তিনি। মাণ্ডব্য উল্লেখ করেন, শ্রমবাজারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য আনার জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ক্যারিয়ার সার্ভিস (NCS) পোর্টাল এবং মডেল ক্যারিয়ার সেন্টারস (MCCs)। এগুলি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে সহায়ক হবে।

    বৈঠকের সময়, মন্ত্রী ই-শ্রমের উদ্যোগের (Labour Code) অধীনে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর মাইক্রোসাইট এবং অকুপেশনাল শর্টেজ ইনডেস্ক চালু করেন। ই-শ্রম মাইক্রোসাইটগুলি জাতীয় ই-শ্রম ডাটাবেসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এতে অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ হবে।

    অন্যদিকে, অকুপেশনাল শর্টেজ ইনডেস্ক শ্রমবাজারের প্রবণতা বিশ্লেষণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা নীতি নির্ধারক এবং নিয়োগকারীদের দক্ষতার ঘাটতি চিহ্নিত করতে এবং চাকরি প্রার্থীদের দক্ষতাকে শিল্পের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে সহায়তা করবে (India)। এর ফলে সারা দেশে কর্মসংস্থানের ফল উন্নত হবে (Labour Code)।

  • Maha Kumbh 2025: আইআইটির প্রাক্তনী, রতন টাটার চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাস নিয়েছেন জয়শঙ্কর

    Maha Kumbh 2025: আইআইটির প্রাক্তনী, রতন টাটার চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাস নিয়েছেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটির প্রাক্তনী। টাটায় মোটা অঙ্কের চাকরি। ঘুরে এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে এসব তাঁকে টানেনি। তাই চাকরি ছেড়ে নিয়েছেন সন্ন্যাস (Acharya Jaishankar Narayanan)। গেরুয়া পোশাক পরে গলায় ঝুলিয়েছেন রুদ্রাক্ষের মালা। তিনিও এসেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে (Maha Kumbh 2025) ডুব দিতে। আইআইটির প্রাক্তনী এই সন্ন্যাসীর নাম আচার্য জয়শঙ্কর।

    আইআইটি পাশ করে চাকরি (Maha Kumbh 2025)

    আইআইটি বারাণসী থেকে পাশ করে চাকরি নিয়েছিলেন মার্কিন মুলুকের নামী সংস্থায়। বেশ কিছুদিন চাকরি করেছেন রতন টাটার সংস্থায়ও। সেই মোটা মাইনের চাকরিও হেলায় ছেড়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। দীক্ষা নিয়েছেন সন্ন্যাস ধর্মে। পার্থিব সুখ ছেড়ে কেন অপার্থিবের সন্ধানে? জয়শঙ্কর বলেন, “হৃষিকেশে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। তখনই বেদান্তের সংস্পর্শে আসি।” বেদান্তর আত্মমোক্ষ ও চিরন্তন সুখের দর্শন জয়শঙ্করকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন, “জাগতিক সাফল্যলাভের পরেও আমি দেখেছি ভারত ও আমেরিকা দুদেশের মানুষই অসুখী। আসল সুখ এই বস্তুগত পৃথিবীতে মেলে না। বেদান্তে যে আত্মজ্ঞান ও আত্মোপলব্ধির উল্লেখ রয়েছে। তাই প্রকৃত আনন্দ এনে দিতে পারে (Maha Kumbh 2025)।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর বলেন, “জগতে আমরা যে আনন্দ পেয়ে থাকি, তার মধ্যে আনন্দের সঙ্গে বেদনাও মিশে থাকে। আনন্দ কিছুদিন পরে উবে যায়। কিন্তু তখনও দুঃখ রয়ে যায়। আনন্দ-বেদনার এই মিলন-বিচ্ছেদ, আসা-যাওয়া লেগেই থাকে। এই অবস্থায় টাইম ও স্পেসের বাইরে যে জগৎ, তাই আমাদের শাস্বত সুখ এনে দিতে পারে। ধর্মগ্রন্থে একথাই লেখা আছে। বেদান্তেরও সার কথা এটাই।”

    তিনি বলেন, “ধর্মগ্রন্থ বলে, মানুষ অনন্ত। মানুষই সকল জ্ঞানের সার। এই ধারণা অর্জন করতে পারলেই সত্যিকারের সুখ লাভ সম্ভব।” জয়শঙ্কর বলেন, “ধর্মই আমাদের প্রথম পুরুষার্থ, প্রথম লক্ষ্য। ধর্ম ছাড়া মোক্ষলাভ অসম্ভব। আমরা যাই করি না কেন, সব কিছু ধর্মের সঙ্গে সংলগ্ন থাকা উচিত।” তিনি বলেন, “আমি ১৯৯৫ সালে ভারতে ফিরে আসি এবং গুরুকুলমের আবাসিক কোর্সে যোগদান করি। এবং বেদান্ত শিখতে শুরু করি (Acharya Jaishankar Narayanan)। গত ২০ বছর ধরে আমি বেদান্ত ও সংস্কৃত শেখাচ্ছি (Maha Kumbh 2025)।”

  • VHP: ‘মহাকুম্ভের সঙ্গে কোনও তুলনাতেই আসে না হজ’, পরিসংখ্যান তুলে দাবি ভিএইচপির

    VHP: ‘মহাকুম্ভের সঙ্গে কোনও তুলনাতেই আসে না হজ’, পরিসংখ্যান তুলে দাবি ভিএইচপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যায় পদদলিত হয়ে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) বেশ কয়েকজন ভক্তের মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনার পরেই বেশ কিছু হিন্দু বিরোধী শক্তি কুম্ভ মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ তোলে, এমনটাই দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। এর পরে গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP), সেই সমস্ত হিন্দু বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়, যারা মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিশানা করেছিল। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে ১৪৪ বছর পরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ। কোটি কোটি ভক্ত হাজির হচ্ছেন পুণ্যস্নান করতে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এমন নিঁখুত ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। একইসঙ্গে সমাজ মাধ্যমে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা মহাকুম্ভের সঙ্গে হজের একাধিক পার্থক্যও সামনে আনেন। বিবৃতি জারি করে ভিএইপি বলে, গতবারের হজে ১,৩০০-এর বেশি মৃত্যু ঘটে।

    হজের সঙ্গে তুলনা চলে না কুম্ভের (VHP)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সেই সমস্ত মন্তব্যকে চূড়ান্তভাবে নিন্দা করে যেগুলি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছিল শুধুমাত্র মহাকুম্ভের বিরোধ করার জন্য। প্রসঙ্গত, এই বিতর্ক তখনই শুরু হয়েছিল, যখন সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু হিন্দু-বিরোধী শক্তি তুলনা টানে মহাকুম্ভের সঙ্গে হজের। সেখানে হজের ব্যবস্থাপনাকে নিঁখুত বলা হয়। তখনই সরব হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এরপরই ঘোষণা করে যে হজ হল একটি ছোটখাটো তীর্থ অনুষ্ঠান। মহাকুম্ভের সঙ্গে এর কোনওভাবেই তুলনা চলে না।

    মহাকুম্ভে বার্তা দেওয়া হয় মানব কল্যাণের (VHP)

    ভিএইচপি জানিয়েছে, মহাকুম্ভে এই কয়েকদিনেই কোটি কোটি ভক্ত হাজির হয়েছেন। প্রয়াগরাজের পবিত্র সঙ্গমে তাঁরা ডুব দিয়েছেন, অমৃত স্নান করেছেন। এর সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না হজের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় যে মহাকুম্ভ হল মানব কল্যাণের জন্য অনুষ্ঠিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নানের পরে একজন ব্যক্তি মানব কল্যাণের জন্য সংকল্প নেয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে জানানো হয়, এর সঙ্গেই তুলনা করা হচ্ছে হজের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, মহাকুম্ভে যে ধরনের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার, তার সঙ্গে কোনওভাবেই তুলনা চলে না হজের তীর্থযাত্রীদের।

    দূর্দান্ত ব্যবস্থাপনা মহাকুম্ভে (VHP)

    এনিয়ে পরিসংখ্যানও সামনে এনেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী তারা জানিয়েছে যে, গত হজযাত্রাতে ১,৩০০ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এখানেই প্রশ্ন তোলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের মতে, মহাকুম্ভে কি একজন ব্যক্তি আছেন? যিনি ক্ষুধায় নিহত হয়েছেন? যিনি তৃষ্ণায় নিহত হয়েছেন? যিনি সঠিক সময় ওষুধ পাননি বলে নিহত হয়েছেন? এমন এ কজনও নেই। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, এই ঘটনাই প্রমাণ করছে যে কতটা সুষ্ঠুভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    কী বলছেন সংগঠনের জাতীয় মুখপাত্র

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র হলেন বিনোদ বনসল। তিনি উত্তরপ্রদেশের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন মহাকুম্ভের অভূতপূর্ব আয়োজনের জন্য। যেভাবে কুইক রেসপন্স টিম তৈরি রেখেছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকার, সে কথাও তুলে ধরেন বিনোদ বানসল। শুধুমাত্র যোগী আদিত্যনাথের ব্যবস্থাপনার জন্যই কোটি কোটি ভক্ত পবিত্র সঙ্গমস্থলে ডুব দিয়ে আবার তাঁরা পুণ্য অর্জন করে নিজেরা নিজেদের বাড়ি নিরাপদে ফিরে যেতে পারছেন। এমনটাই দাবি বিনোদের।

    প্রতিদিন চারশো ট্রেন ঢুকছে প্রয়াগরাজে

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, চারশোর ওপরে ট্রেন প্রতিদিন ঢুকছে প্রয়াগরাজে। এই প্রত্যেকটা ট্রেন ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা। এছাড়াও বাসে করে, গাড়িতে করে ভক্তরা ঢুকছেন এবং সমস্ত কিছু ব্যবস্থাপনা অভূতপূর্বভাবে তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেই সমস্ত ভক্তদের প্রশংসাও করেন বিনোদ বানসল যাঁরা নিজেদের ব্যস্ততার মধ্যেও মহাকুম্ভে হাজির হচ্ছেন। এতেই বোঝাই যাচ্ছে যে ত্রিবেণী সঙ্গমের আধ্যাত্মিকতার গুরুত্ব ঠিক কতটা!

    কেন এক নয় হজ ও কুম্ভ?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই মুখপাত্রের মতে, মহাকুম্ভ এবং হজ- এই দুটো কখনও এক নয় এবং এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্যের কারণ হল, সেবা, ব্যবস্থাপনা ও মানবকল্যাণের উদ্দেশ্য, যা কুম্ভে আছে, হজে নেই। এমনটাই মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্রের। হজে যেখানে মাত্র কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়, সেখানে মহাকুম্ভে ৪০ কোটি জনসমাগম হচ্ছে। তাহলে, কী করে তা এক হতে পারে? প্রশ্ন ভিএইচপির। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের সরকার মৌনী অমাবস্যায় যে দুর্ঘটনা ঘটে তারপর থেকে যথেষ্ট তৎপর হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করে। এই ঘটনার জন্য ৩ জন সদস্যের একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশন তদন্ত করবে যে পদদলিত হয়ে মানুষগুলির মৃত্যুর কারণ ঠিক কী? তারপরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করবে তারা।

  • Manhole Death: ‘‘মৃত নয়, খুন’’! বানতলায় ম্যানহোলকাণ্ডে তদন্তের দাবি সুকান্তর, ক্ষতিপূরণ ঘিরেও বিতর্ক

    Manhole Death: ‘‘মৃত নয়, খুন’’! বানতলায় ম্যানহোলকাণ্ডে তদন্তের দাবি সুকান্তর, ক্ষতিপূরণ ঘিরেও বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ম্যানহোলে মানুষ নামিয়ে চলছে পরিষ্কারের কাজ। বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সে ম্যানহোলে নেমে মৃত্যু ৩ সাফাইকর্মীর। এই ঘটনায় দায় কার? বানতলায় ম্যানহোলকাণ্ডে তদন্তের দাবি তুললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মতে, ‘‘মারা গিয়েছে আমরা ভুল বলছি। মারা যায়নি, খুন করা হয়েছে।’’

    সরকারের ব্যর্থতা

    আইন তৈরি করে ম্যানহোলে মানুষ নামানো নিষিদ্ধ করা হলেও ম্যানহোল, সেপটিক ট্যাঙ্কের আবর্জনা পরিষ্কার করতে মানুষ নামানো বন্ধ হয়নি রাজ্যে। প্রাণের ঝুঁকি থাকলেও সামান্য রোজগারের আশায় প্রান্তিক অংশের মানুষ বাধ্য হন এই কাজ করতে। কিন্তু ন্যূনতম সুরক্ষা সরঞ্জামও পান না তাঁরা। ফলে মৃত্যু কার্যত অবধারিত হয়ে ওঠে। বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে প্রাণ হারান তাঁরা। বারবার সাফাইকর্মীদের সুরক্ষার দাবি উঠলেও সরকার কানে তোলেনি। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফাইকর্মীদের পা ধুইয়ে দিলেও তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে আলো জ্বালানোর কোনও চেষ্টা করেনি মমতা সরকার। এমনকী মৃত সাফাইকর্মীদের অনেকের পরিবার পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণও পায় না।

    কী ঘটেছিল

    রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ বানতলার লেদার কমপ্লেক্সে সাফাইয়ের কাজ করতে গিয়ে ম্যানহোলে পড়ে যান তিন শ্রমিক। প্রথমে এক জন ম্যানহোলে নেমেছিলেন। দীর্ঘ ক্ষণ পরেও তিনি উঠে না-আসায় বাকি দু’জন সেখানে নামেন। ওই নালার গভীরতা ছিল ১০ ফুট। বর্জ্যমিশ্রিত তরলে ডুবে গিয়েছিলেন তাঁরা। দুর্গন্ধে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় তিন জনের দেহ উদ্ধার করেন। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই তিন জন কলকাতা পুরসভার (কেএমডিএ) অস্থায়ী কর্মচারী বলে জানা গিয়েছে। লেদার কমপ্লেক্সের ভিতরে সেক্টর ৬ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীনে সাফাইয়ের কাজ করছিলেন তাঁরা।

    সুকান্তর দাবি

    এই দুর্ঘটনার পরে আঙুল উঠছে প্রশাসনের দিকে। নর্দমা সাফাইয়ের দায়িত্ব বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হয়ে থাকে। বড় নিকাশি নালার ক্ষেত্রে মূলত যন্ত্রের সাহায্যে সাফাই করা হয়। ছোট নর্দমাগুলির ক্ষেত্রে (যেগুলির উচ্চতা কোমরসমান) সংস্থাগুলি কর্মীদের ব্যবহার করে সাফাইকাজ করে থাকে। তবে সেই সব দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এই ঘটনায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘লেদার কমপ্লেক্সের ওখানে কী ধরনের বর্জ্য যায়, আপনারা জানেন। সেই বর্জ্যপদার্থ, তার উপস্থিতিতে মিথেন গ্য়াস থেকে শুরু করে অন্য়ন্য বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয় সেখানে। তিনজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে। আমি তো শুনেছি আরও লোক নাকি ঢুকেছিল, তাঁরা কতটা সুস্থ আছে, খবর নেওয়া উচিত। যাঁরা দায়ী, তাঁদের গ্রেফতার করা উচিত।’’

    সুপ্রিম কোর্টের সতর্কতা

    ম্যানহোলে মানুষ নামানোর কাজ বা ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং’ নিয়ে মাত্র চার দিন আগে কলকাতা-সহ দেশের ছয় শহরকে সতর্ক করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদের প্রধান নির্বাহী কর্তাদের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত হলফনামা চাওয়া হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা জমা দিতে হবে। ১৯ তারিখ শীর্ষ আদালতে এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আদালত জানতে চেয়েছে, এই শহরগুলিতে ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং’ বন্ধ করার জন্য কী পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। হলফনামা আকারে সেটাই জানাতে বলা হয়েছে।

    আইনত নিষিদ্ধ

    ভারতে ম্যানহোল বা নিকাশি নালায় মানুষ নামিয়ে কাজের ব্যবস্থা ১৯৯৩ সাল থেকে বেআইনি। ২০১৩ সালে নতুন করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। আইনে বলা হয়, ম্যানহোল সাফাই, মলমূত্র সাফাই বা বয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ কোনও মানুষকে দিয়ে করানো যাবে না। বিশেষ পরিস্থিতিতে কাউকে ম্যানহোলে নামাতে হলেও সংশ্লিষ্ট সাফাইকর্মীর জীবন এবং স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা

    বিশেষ পরিস্থিতিতে ম্যানহোলে মানুষ নামাতে হলে কী কী নির্দেশিকা মানতে হবে, বিশদে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছিল, নিকাশি নালায় প্রাণঘাতী বিষাক্ত গ্যাস রয়েছে কি না, সে সম্বন্ধে আগে নিশ্চিত হতে হবে। ম্যানহোলে নামার আগে সাফাইকর্মীদের কোমরে দড়ি বেঁধে দিতে হবে। তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাঁদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত বিশেষ অ্যাপ্রনে ঢাকতে হবে। বিশেষ ধরনের মুখোশ পরে ম্যানহোলে নামতে পারবেন সাফাইকর্মীরা। তাঁরা পায়ে গামবুট এবং হাতে দস্তানা পরে ম্যানহোলে নামবেন। লেদার কমপ্লেক্সের ঘটনায় কোনও নির্দেশিকাই মানা হয়নি বলে অভিযোগ।

    ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ঘিরে বিতর্ক

    রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত তিন সাফাইকর্মীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যা, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বেঁধে দেওয়া আর্থিক ক্ষতিপূরণের পরিমাণের তিনভাগের একভাগ মাত্র! মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেব আমরা। ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।’’ এ দিকে ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছিল, নিকাশি নালা পরিষ্কার করতে নেমে সাফাইকর্মীর মৃত্যু হলে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারকে। সেই রায়ের প্রতিলিপির ৪৫ এবং ৪৬ নম্বর পাতায় সে কথা বিস্তারিত বলা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ম্যানহোলে নেমে কোনও সাফাইকর্মীর শরীরের কোনও অঙ্গ স্থায়ী ভাবে অকেজো হয়ে গেলে তাঁকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তবে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ কখনওই ১০ লাখের কম হবে না।

  • Maha Kumbh 2025: বসন্ত পঞ্চমীর ভোরেই সঙ্গমে পবিত্র ডুব ১৭ লাখ ভক্তের, সংখ্যা ছাড়াতে পারে ৫ কোটি

    Maha Kumbh 2025: বসন্ত পঞ্চমীর ভোরেই সঙ্গমে পবিত্র ডুব ১৭ লাখ ভক্তের, সংখ্যা ছাড়াতে পারে ৫ কোটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্ত পঞ্চমীর (Basant Panchami) পুণ্য তিথিতে সোমবার ভোরেই ১৭ লাখেরও বেশি ভক্ত ইতিমধ্যে ডুব দিয়েছেন প্রয়াগরাজের পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গমে। সোমবার ভোর চারটে থেকে ভক্তদের প্রচুর পরিমাণে লাইন দেখা যায় এবং তাঁরা অমৃত স্নান শুরু করেন মহাকুম্ভ মেলাতে (Maha Kumbh 2025)। সকাল সাড়ে সাতটার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩টি আখড়া, যেমন মহানির্বানী, অটল জুনা ও নিরাঞ্জনী ইত্যাদি, প্রত্যেকটি আখড়া পবিত্র স্নান সেরেছে ত্রিবেণী সঙ্গমে। সকাল নটার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬২ লক্ষ পুণ্যার্থী স্নান সেরেছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার সূত্রে খবর, শুধুমাত্র সোমবারই ৫ কোটি ভক্তের আগমন ঘটতে পারে কুম্ভে।

    নিয়ন্ত্রণ করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Maha Kumbh 2025)

    সন্ন্যাসীদের ওপরে পুষ্প বৃষ্টি করা হয় বসন্ত পঞ্চমী তিথির অমৃত স্নানে। সোমবার ভোর থেকেই একদম তদারকি শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিজের কন্ট্রোল রুমে বসে থেকেই তিনি পুরোটা দেখভাল করেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাজির ছিলেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরাই প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেন। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘অপারেশন ১১’ চালু করেছে। মূলত, বিপুল জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে করা ১১টি বিশেষ পদক্ষেপ। এই পরিকল্পনাটি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কঠোর নির্দেশনায় প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং জনসমাগমে অস্বস্তি দূর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই কারণেই গোটা বসন্ত পঞ্চমী তিথির অমৃত স্নান একদম সর্বাঙ্গ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।

    মহাকুম্ভের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট

    বসন্ত পঞ্চমীর স্নানের পরে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, অমৃত স্নান শুরু হয়েছে বিভিন্ন ঘাটে, নাগা সাধুরা স্নান করছেন, বিশ্বাস আস্থা ও ভক্তি নিয়ে। ত্রিবেণী সঙ্গম সাক্ষী থাকছে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের।

    প্রত্যেকটি আখড়ার জন্য সময় বরাদ্দ করা হয় ৪০ মিনিট

    বসন্ত পঞ্চমীর স্নানে অতিরিক্ত প্রচুর পরিমাণে পুলিশ কর্মী মোতায়ন করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে যোগী আদিত্যনাথ সরকার নিয়ম নিয়ে নিয়েছিল ‘জিরো এরর’-র। অর্থাৎ কোনও ভুল নয়। বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নানে প্রত্যেকটি আখড়ার জন্য সময় বরাদ্দ করা হয় ৪০ মিনিট। জানা গিয়েছে, মহানির্বানী এবং অটল আখড়া স্নান করতে যায় ঠিক ভোট চারটে নাগাদ এবং পাঁচটা চল্লিশে দুই আখড়া ফিরে আসে।

    পদদলিত হওয়ার ঘটনার পরেই বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নান

    প্রসঙ্গত, মৌনী অমাবস্যার স্নানেই কুম্ভ মেলায় (Maha Kumbh 2025) দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত পদদলিত হয়ে ৩০ জন ভক্তের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। তারপরেই ছিল বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নান। তবে এদিন তা ভালোভাবেই সম্পন্ন হচ্ছে।

LinkedIn
Share