Tag: bangla news

bangla news

  • Union Budget 2025: কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার

    Union Budget 2025: কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Union Budget 2025) যে কৃষি, মহিলা এবং যুবসমাজকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে, শনিবার বাজেট ভাষণের শুরুতেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বাজেট ভাষণের শুরুটাও তিনি করলেন কৃষিক্ষেত্র দিয়েই। কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘোষণা করলেন ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’।

    নির্মলার ঘোষণা (Union Budget 2025)

    নির্মলা জানান, এই যোজনায় উপকৃত হবেন দেশের মোট ১০০টি জেলার ১.৭ কোটি কৃষক। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে ওই জেলাগুলিতে কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, যেসব জেলায় উৎপাদনের হার কম, সেরকমই ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। ওই জেলাগুলির পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আলাদা আালাদা ফসল চিহ্নিত করা হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ব্যবস্থা করা হবে উৎপাদিত ফসল বিক্রির। প্রক্রিয়াকরণও হবে ওই জেলাগুলিতে। নির্মলার দাবি, এই প্রকল্পে বদলে যাবে ১.৭ কোটি কৃষকের জীবন।

    ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা

    ভোজ্য তেল এবং ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বিহারে তৈরি হবে মাখনা বোর্ড। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজিও তৈরি হবে বিহারে। কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা (Union Budget 2025) হবে বলেও বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ। সেটাই বাড়িয়ে করা হবে পাঁচ লাখ। তুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫ বছরের বিশেষ পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের জন্য ইউরিয়া প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। কৃষকরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    বাজেট পেশের শুরুতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, “সবার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি।” এর পরেই তিনি  বলেন, “বাজেটে মধ্যবিত্তদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষক, নারী, ক্ষুদ্রশিল্পে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৭০ শতাংশ মহিলা যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে । আমাদের কাছে আগামী পাঁচ বছর উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে (Union Budget 2025)।”

  • Weather Update: শনি-সকালে ঝিরঝিরে বৃষ্টি কলকাতায়! কেমন থাকবে সরস্বতী পুজোর আবহাওয়া?

    Weather Update: শনি-সকালে ঝিরঝিরে বৃষ্টি কলকাতায়! কেমন থাকবে সরস্বতী পুজোর আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরস্বতী পুজোর আগেই বঙ্গে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। বিগত কয়েকদিন তাপমাত্রার গ্রাফ ক্রমশ উঠেছে। চলতি সপ্তাহে প্রতিদিনই আস্তে আস্তে গরম বেড়েছে। দুপুরের দিকে স্কুল-কলেজ-অফিসে পাখাও চলেছে বনবন করে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মার্চ তো দূর, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিই লোটা কম্বল নিয়ে রাজ্য ছাড়বে শীত। তবে তার আগে শনিবার সকালে শহরবাসীর ঘুম ভাঙল বৃষ্টি চোখে। সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে কুয়াশার দাপট। রবি ও সোম সরস্বতী পুজোর দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে তা-নিয়েই এখন চিন্তা শহরের স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের। চিন্তা ছোট থেকে বড়দের।

    কুয়াশার দাপট রাজ্যে

    শনিবারের সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। হাওয়া অফিস বলছে, বর্তমানে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যথাক্রমে ২১ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। কলকাতা তো বটেই, আশপাশের সব জেলাতে সকাল থেকেই ঘন কুয়াশাও দেখা যায়। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারেরও নিচে নেমে যায়। কিছু জেলায় তো আবার ৫০ মিটারের মধ্যে যান চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। উত্তরবঙ্গের চার জেলাতেও শনিবার কুয়াশার দাপট দেখা গিয়েছে। ঘন কুয়াশা থাকবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে।

    শীতের পথে বাধা

    এই মরশুমে শীত বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। উত্তুরে হাওয়া ঠিকমতো বইতে পারেনি গাঙ্গেয় বঙ্গে। পিছনে কারণ পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। জাঁকিয়ে ঠান্ডা ঠিক করে থিতু হওয়ার আগেই শুরু হয়েছে শীতের বিদায় বেলা, এমনই বলছেন শীতপ্রেমীরা। আবহবিদদের অনুমান, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বাংলা থেকে বিদায় নেবে শীত। দক্ষিণবঙ্গে আগামী চার-পাঁচ দিন স্বাভাবিকের উপরেই থাকবে তাপমাত্রা। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা সামান্য নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। তাই আর মাত্র কয়েকটা দিনই হালকা শীত উপভোগ করতে পারবে শহরবাসী।

  • Employment Surges: ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে কর্মসংস্থান, বাজেটের আগে রিপোর্ট প্রকাশ কেন্দ্রের

    Employment Surges: ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে কর্মসংস্থান, বাজেটের আগে রিপোর্ট প্রকাশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটের আগে কেন্দ্রীয় আর্থিক সীমাক্ষায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, গত ৭ বছরে দেশে বেকারত্বের হার কমছে। এবার জানা গেল অসংগঠিত ক্ষেত্রে বেড়েছে কর্মসংস্থান। নতুন বছরের জানুয়ারির শেষে সেই তথ্য প্রকাশ করল কেন্দ্রের পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক। সরকার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১২.৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সেখানে কর্মসংস্থানের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ১০.০১ শতাংশ।

    কী বলল সমীক্ষা

    চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি অসংগঠিত ক্ষেত্র নিয়ে পেশ করা রিপোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, এক বছরে এই ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান এবং কর্মসংস্থান দু’টিই বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান মোট মূল্য সংযোজনের (গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড বা জিভিএ) সূচকও উপরের দিকে চড়েছে। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরের তুলনায় ওই সূচক ১৬.৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরের সমীক্ষা অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬.৫ কোটি থেকে বেড়ে ৭.৩৪ কোটিতে পৌঁছেছে। মোট মূল্য সংযোজনের নিরিখে প্রথম তিনে রয়েছে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাট।

    মহিলাদের হাতে মালিকানা

    কেন্দ্রের দাবি, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মধ্যে কৃষি ছাড়া অন্য সংস্থাগুলিতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্মী নিয়োগ হয়েছে ১২ কোটি। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরে এই সংখ্যা ১০ কোটি ছিল বলে জানা গিয়েছে। এতে শক্তিশালী শ্রম বাজারের বৃদ্ধি প্রতিফলিত হয়েছে বলে স্পষ্ট করেছে সরকার। সমীক্ষা অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রে এক তৃতীয়াংশের বেশি নিয়োগ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রে মহিলা কর্মীদের অনুপাত ২৫.৬৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৮.১২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই শ্রেণিভুক্ত উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতে সংস্থাগুলির ৫৮ শতাংশের মালিকানা রয়েছে মহিলাদের হাতে।

    ইন্টারনেট নির্ভরতা

    সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মালিক এবং কর্মীরা ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করতে ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়েছেন। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরে গ্রামাঞ্চলে এই কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ১৩.৫ শতাংশ। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে সেটা বেড়ে ১৭.৯ শতাংশে পৌঁছে যায়। শহরাঞ্চলে সূচকটি ৩০.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় মোদি সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরির স্বপ্নও কয়েক কদম এগিয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

  • India Defence: ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স যাচ্ছেন মোদি, তখনই স্বাক্ষর রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি?

    India Defence: ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স যাচ্ছেন মোদি, তখনই স্বাক্ষর রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারতীয় নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও তিনটি স্করপিন সাবমেরিন কিনতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি (India France Deal) করতে চলেছে ভারত। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর।

    নৌসেনার ‘গেমচেঞ্জার’ রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান

    যুদ্ধবিমান থেকে অস্ত্র— প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কেনাকাটার দায়িত্বে রয়েছে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (India Defence)। সম্প্রতি, এই কাউন্সিলের বৈঠকে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে একপ্রকার সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে, নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি বা ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস)। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই বাস্তবায়িত করা হতে পারে চুক্তি (India France Deal)। এর ফলে, ভারতীয় নৌসেনার শক্তি এক লপ্তে অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা (India Defence)। তাঁদের মতে, ভারতীয় নৌসেনার জন্য রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান ‘গেমচেঞ্জার’ হতে পারে।

    মোদির প্যারিস সফরেই স্বাক্ষর হবে চুক্তি?

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ প্যারিস যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। সেখানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম মেধা নিয়ে একটি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তারই ফাঁকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করার কথা মোদির। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই সম্ভবত চুক্তি (India France Deal) সম্পন্ন হতে পারে। বর্তমানে তা একেবারেই চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে, ফ্রান্সের থেকে ২২টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (India Defence)। এই যুদ্ধবিমানগুলি নৌসেনার বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত-এ মোতায়েন করার কথা। তারই সঙ্গে তিনটি স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়েও অনুমোদন মিলেছিল।

    রাফাল-এম জেটের জন্য দুই দেশের সরাসরি চুক্তি?

    নৌসেনার প্রোজেক্ট ৭৫-এর আওতায় ফ্রান্সের নেভাল গ্রুপের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় ৬টি স্করপিন সাবমেরিন ভারতের মাঝগাঁও ডকইয়ার্ডে ইতিমধ্যেই নির্মিত হয়েছে। এখন অতিরিক্ত তিনটি সাবমেরিনের জন্য চুক্তি (India France Deal) স্বাক্ষরিত হতে চলেছে (India Defence)। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানের সময় যেমন ইন্টার-গভর্নমেন্টাল এগ্রিমেন্ট (দুই সরকারের মধ্যে সরাসরি চুক্তি) হয়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হতে পারে। তেমনটা হলে, সবকটি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ফ্রান্সে নির্মিত হয়ে এখানে আসবে। এতে ভারতীয় নৌসেনা অত্যন্ত দ্রুত এই যুদ্ধবিমান হাতে পাবে।

    প্রতিরক্ষায় ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব…

    মোদি জমানায় ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রতিরক্ষা সমঝোতা ও সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। একদিকে, ভারত যেমন ফ্রান্সের থেকে যুদ্ধবিমান ও অত্যাধুনিক মিসাইল আমদানি করছে (India France Deal)। তেমনভাবেই, ভারতের নিজস্ব পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার কেনার বিষয়ে বিপুল আগ্রহ দেখিয়েছে ফ্রান্স। এর পাশাপাশি, দুই দেশ যুদ্ধবিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের জন্য অত্যাধুনিক জেট ইঞ্জিন যৌথভাবে নির্মাণ করার বিষয়ে আলোচনা অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে (India Defence)।

  • Economic Survey 2025: বেকারত্ব হ্রাস, মূলধন বৃদ্ধি! বাজেটের আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ নির্মলার

    Economic Survey 2025: বেকারত্ব হ্রাস, মূলধন বৃদ্ধি! বাজেটের আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। শনিবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। এই নিয়ে ৮ বার সংসদে বাজেট পেশ করতে চলেছেন নির্মলা সীতারামন। প্রতিবারের মতোই এবারও একরাশ আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বাজেটের দিকে তাকিয়ে আম-আদমি। তার আগে শুক্রবার কেন্দ্রীয় আর্থিক সমীক্ষা পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী। এই আর্থিক সমীক্ষা মূলত সরকারের রিপোর্ট কার্ড হিসেবেই ধরা হয়।

    মূলধন বৃদ্ধি

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল আগামী দিনে এই বৃদ্ধির হার ৩.২ শতাংশ থাকবে বলে তিনি জানান। এদিন সীতারামন উল্লেখ করেছেন, মুদ্রাস্ফীতির হার কমছে। মূলধন ব্যয় (capex), কেন্দ্রের মোট ব্যয়ের শতাংশ হিসাবে, ২০২১ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৪ অর্থবর্ষে ক্রমাগত উন্নতি হয়েছে৷ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পরে, জুলাই-নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.২ শতাংশ।

    রফতানি বৃদ্ধি

    রফতানি ক্ষেত্রে ভারতের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম রফতানি অর্থনীতিতে ভারত সপ্তম স্থানে আছে। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির গ্রস নন-পারফর্মিং অ্যাসেট অনুপাত ২০১৮ অর্থবর্ষের থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ২.৬ শতাংশের সর্বনিম্ন থেকে ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই আর্থিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দেশের সমস্ত সেক্টর ভালো পারফরম্যান্স করছে। দেশের শিল্প ক্ষেত্রগুলি কোভিড-পূর্ববর্তী জায়গায় পৌঁছেছে।

    বেকারত্ব কমেছে

    কেন্দ্রীয় আর্থিক সীমাক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ বছরে দেশে বেকারত্বের হার কমছে। সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের জুলাই-জুন মাসে যেখানে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৬ শতাংশ, সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের একই সময়ে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৩.২ শতাংশ। কৃষি ক্ষেত্রেও আশানরূপ উন্নতি হয়েছে। গ্রামীণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি পরিষেবা এবং অনুন্নত অঞ্চলগুলির মধ্যে ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। যার ফলে সারা দেশে আর্থিক প্রগতি হয়েছে৷ এ বারের বাজেট অধিবেশন দু’দফায় হবে। ১৪ এপ্রিল শেষ হবে।

  • Union Budget 2025: ‘‘১০ বছরে প্রথম বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই’’, বাজেটের আগে মহালক্ষ্মীকে স্মরণ করে বার্তা মোদির

    Union Budget 2025: ‘‘১০ বছরে প্রথম বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই’’, বাজেটের আগে মহালক্ষ্মীকে স্মরণ করে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও বিদেশি ইন্ধন ছাড়া গত ১০ বছরে এই প্রথম বাজেট অধিবেশন হতে চলেছে। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদের বাইরে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নাম না করে সংসদে অধিবেশন শুরুর ঠিক আগেই বিরোধীদের কড়া নিশানা করলেন তিনি। একই সঙ্গে বাজেট অধিবেশনের আগে অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল দেশ। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়েই মহালক্ষ্মীর মন্ত্র স্তব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্থাপন করেন বিকশিত ভারতের প্রসঙ্গও।

    বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই

    তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে শুক্রবার। শনিবার সংসদে পেশ হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাজেট। পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট পেশের আগের দিন সংসদ ভবনে ঢোকার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘১০ বছর ধরে দেখে আসছি। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত যত বাজেট অধিবেশন হয়েছে, তার ঠিক এক বা দু’দিন আগে বিদেশ থেকে নানা রকম ভাবে ইন্ধন জোগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম বার দেখলাম এ রকম কোনও ঘটনা ঘটল না। প্রতি অধিবেশনের আগে এই শয়তানি হয়। তাদের হাওয়া দেওয়ার লোকের তো অভাব নেই। এই প্রথম দেখলাম বিদেশি উস্কানি এল না বিশ্বের কোনও কোণ থেকে। আমাদের দেশের অনেকেই বিদেশি শক্তির উস্কানি পেয়ে আগুন জ্বালাতে ছাড়েন না।’’ প্রধানমন্ত্রীর এই ‘বিদেশি ইন্ধন’ মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। রাজনীতিকদের অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের মন্তব্য করে পরোক্ষে বিরোধীদের নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মহালক্ষ্মীর স্তব প্রধানমন্ত্রীর

    বাজেট মানেই দেশের ভাঁড়ারের খবর। বাজেট মানেই আগামীর খরচ-খরচার রূপরেখা। তাই এবার বাজেট অধিবেশন শুরু আগে সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে মহালক্ষ্মীর স্তব পাঠ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী বাজেট পেশের আগে সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবীকে স্মরণ করলেন। বললেন,‘‘সিদ্ধি বুদ্ধি প্রদে দেবী ভুক্তি মুক্তি প্রদায়িনী, মন্ত্রমূর্তে সদা দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।’’ বললেন, ‘‘মা লক্ষ্মী আমাদের সিদ্ধি, বুদ্ধি, সমৃদ্ধি, কল্যাণ দান করেন। প্রার্থনা করি, দেশের গরিব মানুষ মধ্যবিত্তর উপর মা লক্ষ্মীর বিশেষ কৃপা বর্ষিত হোক।’’ তাঁর কথায়, ‘‘যে কোনও ধরনের বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা মা লক্ষ্মীকে স্মরণ করি। আজও আমি সেটাই করতে চাই। মা লক্ষ্মী গরিব এবং মধ্যবিত্তদের উপর সদয় হন, এটাই প্রার্থনা।’’ এরপরই মহালক্ষ্মীর মন্ত্র স্তব করেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিকশিত ভারত প্রসঙ্গ

    বিকশিত ভারতের প্রসঙ্গে উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের ৭৫ বছর পূরণ হয়েছে। এটা দেশের মানুষের কাছে গর্বের। বিশ্বের কাছেও ভারত নিজের বিশেষ স্থান তৈরি করেছে। দেশের জনতা আমায় তৃতীয়বার এই দায়িত্ব দিয়েছে। তৃতীয় দফার সরকারের এটা প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আমি বিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণ হবে। এই বাজেট এক নতুন বিশ্বাস তৈরি করবে, নতুন অনুপ্রেরণা দেবে যে দেশ স্বাধীনতার শতবর্ষে সফল ও প্রতিষ্ঠিত হবে। ১৪০ কোটি মানুষই এই স্বপ্ন পূরণ করবে।’’ আর্থিক গতির উপর ভিত্তি করেই দেশ সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে বলে বাজেট অধিবেশনের আগে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, ‘‘উদ্ভাবন , অন্তর্ভুক্তি ও বিনিয়োগ অর্থনৈতিক গতিবিধির আধার হিসেবে কাজ করবে। সংস্কার, দক্ষতা ও পরিবর্তন- বিকাশের জন্য এই তিনটি বিষয়ের উপরেই জোর দেওয়া হয়। এটাই কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য।’’

    নারীশক্তির বিকাশ লক্ষ্য, যুবশক্তি ভবিষ্যৎ

    সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। শনিবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আগে শুক্রবার রীতি অনুসারে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এ বারের বাজেটে তরুণ প্রজন্ম এবং মহিলাদের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দেন মোদি। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমার তৃতীয় বারের মেয়াদে এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। জোর কণ্ঠে বলতে পারি যে, ২০৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে, ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যও পূর্ণ হবে। বিশেষ করে নারীশক্তিই এবং নারীশক্তির উন্নয়নই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। গুরুত্বের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে সংস্কার, পরিবর্তন।’’ এদিন যুবশক্তির কথাও স্মরণ করান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এখন যাঁরা ২৪-২৫। তাঁরাই দেশের ভবিষ্যৎ। দেশে যুব-শক্তির ভূমিকা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। তাঁরা যখন ৪০-৪৫ বছর বয়সে পৌঁছবেন তখন তাঁরা খুবই লাভবান হবেন। বিকশিত ভারতের সঙ্গে তাঁরা এগিয়ে যাবেন। বিকশিত ভারতকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই এই বাজেট।’’

  • PM Surya Ghar Scheme: প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর প্রকল্পে সাফল্য, প্রথম বছরেই ৮.৫ লক্ষ বাড়িতে বসল সৌর বিদ্যুৎ

    PM Surya Ghar Scheme: প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর প্রকল্পে সাফল্য, প্রথম বছরেই ৮.৫ লক্ষ বাড়িতে বসল সৌর বিদ্যুৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি ভারতীয়র জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে বিশেষ সুখের দিন। দেশের প্রতিটি ঘরে কার্বন মুক্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে মোদি সরকার। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর স্কিম’। ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতের ২৭ মিলিয়ন ঘরে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবে। সেই প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা ঘোষণা করলেন নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর প্রকল্পের এক বছর পূর্তিতে ৮.৫ লাখ পরিবার সফলভাবে ছাদে সোলার সংযোগ স্থাপন করেছে।

    এই প্রকল্পের লক্ষ্য ও অগ্রগতি

    ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর প্রকল্পের লক্ষ্য এক কোটি সোলার-পাওয়ার বাড়ি স্থাপন করা। সংসদে ইতিমধ্যে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি মিলেছে। ইতিমধ্যে ১ দশমিক ৪৫ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। সমস্ত কাজ শেষ হলে মোট ৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ঘরে চলবে এই বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা। এই এই প্রকল্পের জন্য মোট খরচ পড়বে ৭৫,০২১ কোটি টাকা। দেশের মোট ১ কোটি বাড়ির ছাদে বসানো হবে এই সৌর বিদ্যুৎ পরিষেবা। এই কাজে সরকার ভর্তুকি দেবে। প্রথমে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল। গত ডিসেম্বর মাসে, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি শক্তি বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে, অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত শুধুমাত্র ৫ লাখ ইনস্টলেশন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ২০ লাখ আবেদন পোর্টালে জমা পড়ার কথাও বলে তারা। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দেরির কারণ হিসেবে সরকার আবহাওয়া সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতাকে দায়ী করেছে। তবে, সরকারের আশা ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ১২ লাখ ইনস্টলেশন সম্পন্ন হবে।

    সৌর শক্তির ব্যবহার এগিয়ে ভারত

    এই প্রকল্পের অধীনে, সরকারের তরফে ২ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার সিস্টেমে ৬০ শতাংশ এবং ২-৩ কিলোওয়াট ক্ষমতার অতিরিক্ত সিস্টেমের জন্য ৪০ শতাংশ সাবসিডি দেওয়া হচ্ছে, যা ৩ কিলোওয়াটের ক্ষমতা পর্যন্ত সীমিত। বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী, ১ কিলোওয়াটের জন্য ৩০,০০০ টাকা, ২ কিলোওয়াটের জন্য ৬০,০০০ টাকা এবং ৩ কিলোওয়াট বা তার বেশি সিস্টেমের জন্য ৭৮,০০০ টাকা সাবসিডি দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ফিকি আয়োজিত ইন্ডিয়া এনার্জি ট্রানজিশন কনফারেন্সে মন্ত্রী প্রলহাদ জোশী ভারতের নবীকরণযোগ্য শক্তি খাতে উন্নতির কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রতি বছর ৫০ গিগাওয়াট নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির সক্ষমতা যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং গত দশকে ভারতের নবীকরণযোগ্য শক্তির সক্ষমতা ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে ২০১৪ সালে ৭৫.৫২ গিগাওয়াট শক্তি পাওয়া যেত সেখানে ২০২৩ সালে ২২০ গিগাওয়াটে পৌঁছনো গিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সোলার শক্তির দাম ২০১০-১১ সালে প্রতি ইউনিট ১০.৯৫ টাকা থেকে ৮০ শতাংশ কমে ২.১৫ টাকা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, ভারত বর্তমানে সাশ্রয়ী সোলার শক্তিতে বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।

  • Marichjhapi Massacre: হিন্দু উদ্বাস্তুদের ওপর বাম সরকারের বর্বরোচিত অত্যাচার, ফিরে দেখা মরিচঝাঁপি গণহত্যা

    Marichjhapi Massacre: হিন্দু উদ্বাস্তুদের ওপর বাম সরকারের বর্বরোচিত অত্যাচার, ফিরে দেখা মরিচঝাঁপি গণহত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ জানুয়ারি মরিচঝাঁপি দিবস (Marichjhapi Massacre)। ১৯৭৯ সালের এই দিনেই সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপকে মৃত্যুপুরী করার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৯ সালের মরিচঝাঁপি গণহত্যা, আজও সভ্য সমাজের কাছে লজ্জার অধ্যায় হয়ে আছে। শরণার্থী হিন্দুদের (Hindu Refugees) ওপর সংঘটিত একটি নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল কমিউনিস্ট শাসনে, এমনটাই মত গবেষকদের। অনেকে বলেন, এই ঘটনা শুধু নৃশংসতার জন্য নয়, বরং ক্ষমতাসীন কমিউনিস্টদের শ্রেণি-রাজনীতি ও উদ্বাস্তু বিরোধিতার এক কালো অধ্যায়।

    ঘটনার প্রেক্ষাপট (Marichjhapi Massacre)

    ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর, লক্ষ লক্ষ হিন্দু শরণার্থী পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। বিশেষ করে, নিম্নবর্ণের হিন্দুরা (যেমন নমঃশূদ্র সম্প্রদায়) পাকিস্তানে অত্যাচারের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সরকার তখন তাঁদের যথাযথ পুনর্বাসন দিতে ব্যর্থ হয়। ১৯৫০-এর দশকে, তৎকালীন কংগ্রেস সরকার হিন্দু শরণার্থীদের অপসারণের উদ্দেশ্যে মধ্য ভারতের দণ্ডকারণ্য অঞ্চলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। দণ্ডকারণ্যে থাকা উদ্বাস্তু পরিবারগুলি মানিয়ে নিতে পারেনি সেখানকার আবহাওয়া। কারণ পূর্ববঙ্গে নরম আর্দ্র জল-হাওয়ার পরিবেশেই বেড়ে ওঠা তাঁদের। এই আবহে দণ্ডকের রুক্ষ পাথুরে জমি, দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে ১৯৫৮ সাল থেকেই উদ্বাস্তুরা যখনই সুযোগ পেয়েছেন ছোট ছোট দলে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে চলে এসেছেন। জানা যায়, ১৯৭৬ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন বামফ্রন্টের নেতা জ্যোতি বসু দণ্ডকারণ্যের একটি উদ্বাস্তু শিবির (Marichjhapi Massacre), মানা ক্যাম্পের কাছেই ভিলাই শহরে এক বিরাট জনসভায় বক্তব্য় রাখেন। সেদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত আপনাদের এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’’ শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় এলে উদ্বাস্তুদের সুন্দরবনে বসতি স্থাপনের ন্যায্য দাবি অবশ্যই মানা হবে।’’ অবশেষে ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে। ১৯৭৮ সালের প্রথমদিক থেকেই উদ্বাস্তুদের দল দণ্ডকারণ্য থেকে আসতে থাকে দলে দলে। সুন্দরবনের জনমানবশূন্য মরিচঝাঁপি দ্বীপে তাঁরা বসতি স্থাপন করেন।

    কৃষিকাজ-মাছধরা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন উদ্বাস্তুরা

    প্রথমদিকে, মরিচঝাঁপিতে বসতি গড়ে তোলার পরে শরণার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে কৃষিকাজ, ছোটখাটো ব্যবসা এবং মাছ ধরা শুরু করে। কিন্তু তখনই বামপন্থী সরকার দাবি করল, সুন্দরবনের এই এলাকা পরিবেশগতভাবে সংরক্ষিত এবং সেখানে বসবাস অবৈধ। গবেষকরা বলেন, আসল সত্যি হল, শরণার্থীরা সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছিল, কিন্তু সিপিআই(এম) সরকার তা মানেনি। বরং, তাঁদের উচ্ছেদ করতে রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

    শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান (Marichjhapi Massacre)

    ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত শরণার্থীদের খাদ্য, পানীয়, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি, পুলিশের কঠোর অবরোধের ফলে দ্বীপের ভেতর খাদ্য সংকট ও রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। ১৯৭৯ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ১১ মে পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ ও বামপন্থী ক্যাডারদের যৌথ অভিযানে হাজার হাজার শরণার্থীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারের এই অভিযানে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদেরও হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মারাত্মক অভিযোগ ওঠে বাম সরকারের বিরুদ্ধে, শরণার্থীদের নৌকায় করে নদীতে কুমিরমারি এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। যাতে করে মৃত, অর্ধমৃত দেহগুলি কুমিরে খেয়ে ফেলতে পারে। এভাবেই অত্যাচার চালায় বাম সরকার। সুন্দরবনের বাঘ যে এলাকায় সংরক্ষিত আছে, সেই এলাকায় মৃত অর্ধমৃত দেহগুলিকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অর্ধমৃত মানুষগুলি আমাদের বাঘের পেটে দেবেন না বলে চিৎকারও করেন।

    প্রায় ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ মানুষ এই গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন

    বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ মানুষ এই গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। যদিও কমিউনিস্ট সরকার এই সংখ্যা কখনও স্বীকার করেনি এবং এই অপরাধের জন্য কোনও বিচারও হয়নি আজ পর্যন্ত। জানা যায়, ১৯৭৯ সালের এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের পরেও গণমাধ্যম এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নীরব ছিল। বামপন্থী সরকার এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে একাধিক সংবাদপত্রের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় কিছু সাংবাদিক মরিচঝাঁপি কভার করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদেরকে আটকে দেওয়া হয় এবং তথ্য সংগ্রহ করতে দেওয়া হয়নি।

    আজও কারও হয়নি সাজা

    অনেক গবেষেক বলেন, মরিচঝাঁপির শরণার্থীরা মূলত নমঃশূদ্র ও অন্যান্য তথাকথিক নিম্ন বর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য ছিল। ফলে, বামফ্রন্ট সরকার তাঁদের অবহেলা করে এবং নিষ্ঠুর দমননীতি গ্রহণ করে। প্রসঙ্গত,রাষ্ট্রীয় মদতে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কোনও রাজনৈতিক নেতা বা প্রশাসনিক কর্মকর্তার আজও বিচার হয়নি। বামফ্রন্ট সরকার এই ঘটনার দায় আজও স্বীকার করেনি। দীর্ঘকাল ধরে এই গণহত্যার কথা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টাও করা হয়েছে। গবেষক বিমল দাসের মতে, ‘‘মরিচঝাঁপি গণহত্যা ভারতের শরণার্থী নীতির এক নিষ্ঠুর রূপ এবং কমিউনিস্ট সরকারের অত্যাচারের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয় বরং দলিত নিপীড়নের এক চরম উদাহরণ, যা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এক কালো দাগ হয়ে চিরদিন থাকবে।’’

  • Washington Plane crash: বিমান দুর্ঘটনার দায় ওবামা-বাইডেনের ওপর চাপালেন ট্রাম্প

    Washington Plane crash: বিমান দুর্ঘটনার দায় ওবামা-বাইডেনের ওপর চাপালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটনে (Washington Plane crash) বিমান দুর্ঘটনায় মৃত সকলেই। জেট বিমানের সঙ্গে সেনা কপ্টারের ধাক্কায় বিমানের ৬৭ জন যাত্রীই মৃত। তথ্য বলছে, বিগত দুই দশকে মার্কিন ইতিহাসে এটাই সবথেকে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। সম্প্রতি, প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তারপরেই সামনে এসেছে এই দুর্ঘটনা। তবে দুর্ঘটনার সব দায় তিনি প্রাক্তন দুই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও বারাক ওবামার কাঁধেই চাপিয়েছেন।

    ট্রাম্পের দাবি (Washington Plane crash)

    ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ফেডেরাল ডাইভার্সিটি পলিসি বা নীতির জন্যই (Washington Plane crash) এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গত, ওই বিমানে আমেরিকান ইগল ফ্লাইট ৫৩৪২-র সঙ্গে মার্কিন সেনার ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের ধাক্কা লাগে, রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের সামনে। বিমানে ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। হেলিকপ্টারে তিনজন জওয়ান ছিলেন। ওয়াশিংটনে রেগান জাতীয় বিমানবন্দরের কাছে মাঝ আকাশে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর একাধিক সংস্থা বিমানবন্দর লাগোয়া পটোম্যাক নদীতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। মুখোমুখি সংঘর্ষে বিমানটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় এবং পটোম্যাক নদীতে পড়ে। ডুবুরিরা নদীতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালায়। হেলিকপ্টারটিও পড়ে ওই একই নদীতে।

    কী বললেন ট্রাম্প (Donald Trump)?

    দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও সামনে আসেনি। তদন্ত চলছে। মনে করা হচ্ছে, রেডিও কমিউনিকেশনে শোনা গিয়েছিল যে হেলিকপ্টারকে গতিপথ বদলাতে বলা হচ্ছিল। এরপরই দুর্ঘটনা ঘটে। এই আবহে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে মার্কিন সেনার হেলিকপ্টারের পাইলটকে নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি। ফেডেরাল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সুরক্ষা ব্যবস্থা শিথিল করে দিয়েছে কি না, সেই বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা জানি না কী করে দুর্ঘটনা ঘটল, তবে বেশ কিছু ধারণা ও মতামত উঠে আসছে।’’ ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি নিরাপত্তাকে সবার ওপরে রাখি। কিন্তু ওবামা, বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটরা নীতিকে (পলিসি) কে প্রথমে রাখেন। তাঁরা আসলে বলতে চেয়েছেন আরও বেশি শ্বেতাঙ্গ। কিন্তু আমরা বলেছি যোগ্য লোকদের চাই।’’

  • Maha Kumbh 2025: যোগী সরকারের প্রশংসা, মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনায় অভিভূত বিদেশি তীর্থযাত্রীরা

    Maha Kumbh 2025: যোগী সরকারের প্রশংসা, মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনায় অভিভূত বিদেশি তীর্থযাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। এই মহা মিলন মেলায় শামিল হয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু পুণ্যার্থী। মহাকুম্ভ ২০২৫-এর মহিমা এবং সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা বিদেশি তীর্থযাত্রীদের অভিভূত করেছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার যেভাবে এই মেলার আয়োজন করেছে তাতে খুশি বিদেশিরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক তীর্থযাত্রীর কথায়, “এত বিশাল একটি সমাবেশ কীভাবে একত্রিত হয়েছে তা কল্পনা করা কঠিন। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি অবাক করার মতো। কীভাবে সরকার সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করছে, তা অবিশ্বাস্য।”

    সহযোগিতার মনোভাব

    তীর্থযাত্রীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাবও এই মিলনমেলার একটি চমকপ্রদ দিক,বলে মনে করছেন বিদেশিরা। এখানে মানুষ একে অপরকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করছে। ফ্লোরিডার বাসিন্দা মারিয়া জানান, ১২ বছর আগে তিনি কুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025) পরিদর্শন করেছিলেন এবং সেই অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার কারণে তিনি আবারও এই আয়োজন দেখতে এসেছেন। তিনি বলেন, “এটি আমার জীবনের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। আমি গত ২৬ বছর ধরে প্রতি বছর ভারত সফর করি এবং এখানকার সংস্কৃতিকে ভালোবাসি। পুলিশ কর্তৃক জনসমাবেশ ব্যবস্থাপনা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

    মহাকুম্ভের অভিজ্ঞতা

    মস্কো থেকে আসা জুলিয়া তার প্রথম মহাকুম্ভের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, “এটি আমাদের প্রথম মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025), এবং আমরা খুবই মুগ্ধ। এখানে পরিবেশ নিরাপদ এবং আধ্যাত্মিক। প্রশাসন যে উপায়ে এই বিশাল আয়োজন পরিচালনা করেছে, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য।” কাজাখস্তানের আলমাতির আলেনা জানান, “কুম্ভ মেলা পরিদর্শন করা ছিল আমার স্বপ্ন। ভাগবানের আশীর্বাদে আমি এখানে আছি, এবং এই অভিজ্ঞতা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন।” পাঞ্জাবের পাঠানকোটের বাসিন্দা অঞ্জু উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “প্রশাসন তীর্থযাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ সাহায্য প্রদান করছে। আমাদের উচিত গুজবে কান না দেওয়া।”

    বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের কথায়, যোগী সরকার কুম্ভমেলা নিরাপত্তা, সুশৃঙ্খলতা এবং নির্বিঘ্ন আয়োজন নিশ্চিত করতে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিদিন কোটি কোটি তীর্থযাত্রী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করতে জড়ো হচ্ছেন, প্রশাসন শক্ত হাতে সবটা সামলাচ্ছে। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করেছে। ড্রোন ব্যবহার করে জনসমাবেশ পরিচালনা করা হচ্ছে, যা কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি মনিটর করতে এবং যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে সাহায্য করছে।

LinkedIn
Share