Tag: bangla news

bangla news

  • PM Modi: “রামায়ণ-মহাভারত অনুবাদ করতে কত সময় লাগল?” কুয়েতে প্রশ্ন মোদির

    PM Modi: “রামায়ণ-মহাভারত অনুবাদ করতে কত সময় লাগল?” কুয়েতে প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামায়ণ-মহাভারতের আরবি অনুবাদকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার বিশ্বশ্রুত এই দুই মহাকাব্যের আরবি সংস্করণের প্রকাশকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ (Kuwait) করেন তিনি। পরে দুটি বইয়ে স্বাক্ষরও করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর উচ্ছ্বসিত কুয়েতের প্রশাসক এবং অনুবাদকও।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন (PM Modi)

    দু’দিনের সফরে কুয়েত গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কুয়েত প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। দেখা করবেন সে দেশের প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও। শনিবার কুয়েতে পা রাখার পর প্রধানমন্ত্রী দেখা করেন রামায়ণ-মহাভারতের আরবি অনুবাদক আবদুল্লা বারন ও প্রকাশক আবদুল্লাতিফ আলনেসেফের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জিজ্ঞেস করেন, “রামায়ণ-মহাভারত অনুবাদ করতে কত সময় লেগেছে?” তাঁরা জানান, দু’বছর আট মাস। প্রকাশক বলেন, “আমি খুব খুশি। এটা আমার কাছে সম্মানের। এই দুটো বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উনি (মোদি) দুটি বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন।” অনুবাদক বলেন, “এই দুটি গ্রন্থের মাধ্যমে আমরা ভারতীয় সংস্কৃতিকে উপলব্ধি করেছি।”

    শতায়ু প্রাক্তন ফরেন সার্ভিসেস অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    প্রসঙ্গত, রামায়ণ ও মহাভারত আরবি ভাষায় অনুবাদ হওয়ার খবর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) স্বয়ং। এদিকে, এদিন প্রধানমন্ত্রী দেখা করলেন ১০১ বছর বয়সী প্রাক্তন ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসেস অফিসার মঙ্গল সাঁই হান্ডার সঙ্গে। হান্ডার নাতনি শ্রেয়া জুনেজা সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদিকে তাঁর ঠাকুর্দার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কথা দিয়েছিলেন, তিনি কুয়েত পৌঁছেই দেখা করবেন। সেই কথা রাখতেই তিনি গিয়েছিলেন হান্ডার বাড়িতে।

    আরও পড়ুন: সিআইএর ধাঁচে বাংলাদেশে ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি গড়ছে আইএসআই!

    এদিন রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, “আজ ও আগামিকাল আমি কুয়েতে থাকব। এই সফর কুয়েতের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। আমি কুয়েতের আমির, যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছি। আজ সন্ধ্যায় আমি ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করব এবং আরবিয়ান গালফ কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও (Kuwait) যোগ দেব (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Passport: খামে তেহট্টের ঠিকানায় একসঙ্গে ৫৫টি পাসপোর্ট! পোস্ট অফিসের জল গড়াল থানায়

    Passport: খামে তেহট্টের ঠিকানায় একসঙ্গে ৫৫টি পাসপোর্ট! পোস্ট অফিসের জল গড়াল থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল পাসপোর্ট (Passport) নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। সীমান্ত এলাকায় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট চক্রের হদিশ মিলেছে। ইতিমধ্যেই সমরেশ বিশ্বাস সহ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই আবহে এবার টিটাগড় পোস্ট অফিসের বাক্সে মিলল খাম খোলা অবস্থায় ৫৫টি পাসপোর্ট। পোস্ট অফিসের কর্মীদের নজরে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Passport)

    জানা গিয়েছে, টিটাগড় (Titagar) পোস্ট অফিসের বাইরে থাকা বাক্সে কে বা কারা ওই পাসপোর্টগুলি (Passport) একটি খামের মধ্যে রেখে চলে গিয়েছে। পোস্ট অফিসের কর্মীরা সেই খাম নিয়ে এসে দেখেন খামের মুখটি ঠিক মতো করে সিল করা নেই। এরপর সিল করতে গিয়ে একটি পাসপোর্ট বেরিয়ে আসে। খাম খুলতেই বাকি ৫৪টি পাসপোর্ট বেরিয়ে আসে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পাসপোর্টগুলি জাল না আসল তা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে, সব পাসপোর্ট প্রাপকের ঠিকানা নদিয়ার তেহট্ট এলাকা। সেখানকার বিভিন্ন গ্রামের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পাসপোর্টগুলি সবই পুরানো। ফলে, একসঙ্গে এত পাসপোর্ট কেন পাঠানো হচ্ছিল, এর পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে তেহট্ট এলাকায় যাদের নামে পাসপোর্টগুলি রয়েছে, তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কারণ, যেভাবে জাল পাসপোর্ট চক্র রাজ্যজুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, সেই চক্রের সঙ্গে টিটাগড়ের ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। তবে, এই ঘটনার বিষয়ে পোস্ট অফিসের কর্মীরা কেউ মুখ খুলতে চাননি। তাঁরা শুধু জানিয়েছেন, সমস্ত কিছু পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ওপর মহলে জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 227: “ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়, এরই নাম ঈশ্বরদর্শন”

    Ramakrishna 227: “ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়, এরই নাম ঈশ্বরদর্শন”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তসঙ্গে

    বেলঘরে হইতে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ভক্তেরা আসিয়াছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) যেদিন তাঁহার বাটীতে শুভাগমন করিয়াছিলেন, সেদিন গায়কের “জাগ জাগ জননি” এই গান শুনিয়া সমাধিস্থ হইয়াছিলেন। গোবিন্দ সেই গায়কটিকেও আনিয়াছেন। ঠাকুর গায়ককে দেখিয়া আনন্দিত হইয়াছেন ও বলিতেছেন (Kathamrita), তুমি কিছু গান কর। গায়ক গাইতেছেন:

    ১। দোষ কারু নয় গো মা,
    আমি স্বখাত-সলিলে ডুবে মরি শ্যামা।

    ২। ছুঁসনা রে শমন আমার জাত গিয়েছে।
    যদি বলিস ওরে শমন জাত গেল কিসে,
    কেলে সর্বনাশী আমায় সন্ন্যাসী করেছে।

    রাগিণী-মূলতান 

    ৩। জাগ জাগ জননী
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।
    স্বকার্য সাধনে চল মা শির মধ্যে,
    পরম শিব যথা সহস্রদল পদ্মে,
    করি ষড়চক্র ভেদ ঘুচাও মনের খেদ, চৈতন্যরূপিণি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এই গানে ষড় চক্র ভেদের কথা আছে। ঈশ্বর বাহিরেও আছেন, অন্তরেও আছেন। তিনি ভিতরে থেকে মনের নানা অবস্থা করছেন। ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়। এরই নাম ঈশ্বরদর্শন।

    “মায়া দ্বার ছেড়ে না দিলে ঈশ্বরদর্শন হয় না। রাম, লক্ষ্মণ আর সীতা একসঙ্গে যাচ্ছেন; সকলের আগে রাম, মধ্যে সীতা, পশ্চাতে লক্ষ্মণ। যেমন সীতা মাঝে মাঝে থাকাতে — লক্ষ্মণ রামকে দেখতে পাচ্ছেন না, তেমনি মাঝে মায়া থাকাতে জীব ঈশ্বরকে দর্শন করতে পাচ্ছে না। (মণি মল্লিকের প্রতি) তবে ঈশ্বরের কৃপা হলে মায়া দ্বার ছেড়ে দেন। যেমন দ্বারওয়ানরা বলে, বাবু হুকুম করে দিন—ওকে দ্বার ছেড়ে দিচ্ছি।

    “বেদান্ত মত আর পুরাণ মত। বেদান্তমতে বলে, ‘এই সংসার ধোঁকার টাটি’ অর্থাৎ জগৎ সব ভুল, স্বপ্নবৎ। কিন্তু পুরাণমত বা ভক্তিশাস্ত্রে বলে যে, ঈশ্বরই (Ramakrishna) চতুর্বিংশতি তত্ত্ব হয়ে রয়েছেন। তাঁকে অন্তরে বাহিরে পূজা কর।

    “যতক্ষণ ‘আমি’ বোধ তিনি রেখেছেন ততক্ষণ সবই আছে। আর স্বপ্নবৎ বলবার (Kathamrita) জো নাই। নিচে আগুন জ্বালা আছে, তাই হাঁড়ির ভিতরে ডাল, ভাত, আলু, পটোল সব টগ্‌বগ্‌ করছে। লাফাচ্ছে, আর যেন বলছে, ‘আমি আছি, আমি লাফাচ্ছি।’ শরীরটা যেন হাঁড়ি; মন বুদ্ধি—জল ইন্দ্রিয়ের বিষয়গুলি যেন—ডাল, ভাত, আলু পটোল। অহং যেন তাদের অভিমান, আমি টগ্‌বগ্‌ করছি! আর সচ্চিদানন্দ অগ্নি।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘বিবাহ পবিত্র বন্ধন, টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়’, খোরপোশ মামলায় ‘সুপ্রিম’ বার্তা

    Supreme Court: ‘বিবাহ পবিত্র বন্ধন, টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়’, খোরপোশ মামলায় ‘সুপ্রিম’ বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোরপোশ মামলায় কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় খোরপোশ দেওয়া নিয়ে আদালত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। সম্প্রতি, বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মী অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেছে বিবাহ বিচ্ছেদকে ঘিরে এবং বিচ্ছেদ-পরবর্তী পর্বে প্রাক্তন স্ত্রীর খোরপোশ দাবিকে কেন্দ্র করে। এমনই একটি বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে যে নারী কল্যাণের জন্য নির্মিত আইনের সুযোগ নিয়ে স্বামীর কাছ থেকে তোলাবাজি করা যাবে না। আইন কখনই টাকা লুট, তোলাবাজি কিংবা হেনস্থা করার জন্য তৈরি করা হয়নি।

    কী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ?(Supreme Court)

    মূলত একটি বিশেষ মামলার সাপেক্ষে এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই মামলায় (Supreme Court) এক মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের পরে তাঁর প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে ৫০০ কোটি টাকার খোরপোশ দাবি করেন। মহিলা জানিয়েছেন যে তাঁর স্বামীর মার্কিন মুলুকে এবং ভারতে ব্যবসায়িক মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। আর তিনি নাকি তাঁর আগের স্ত্রীকেও খোরপোশ হিসেবে ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে খোরপোশ হিসেবে সমপরিমাণ অর্থ দিতে হবে। কিন্তু শীর্ষ আদালত এই মামলা বিচার বিবেচনা করে জানিয়েছেন যে সেই ব্যক্তিকে মোট ১২ কোটি টাকা খোরপোশ হিসেবে দিতে হবে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে। এই প্রসঙ্গেই শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং পঙ্কজ মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিবাহ হল হিন্দু মতে একটি পবিত্র বন্ধন। এটি কোনও টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, খোরপোশের দাবি বিচারের সময় স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর আয়, তাঁর প্রয়োজনীয়তা, বসবাসের অধিকারের মতো বিষয়গুলিও একইভাবে দেখতে হবে। অনেকে স্বামীর আয়, সম্পত্তি উল্লেখ করে তাঁর সম্পদের সমতুল সম্পদ লাভের জন্য খোরপোশের অঙ্ক স্থির করেন। তা নিয়ে আদালতের গুরুতর আপত্তি আছে। বাড়তি টাকার দাবি মেটাতে স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করাও গ্রহণযোগ্য হবে না।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    আদালতের দ্বারস্থ হন মৃত আইটি কর্মীর মা

    কিছুদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছেন আইটি কর্মী অতুল সুভাষ। মৃত্যুর আগে ভিডিও বার্তায় এবং সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন স্ত্রী নিকিতা সিঙ্ঘানিয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারের কথা, হেনস্থার কথা। ৩ কোটি টাকা বাড়তি চেয়েছিল নিকিতার পরিবার। এছাড়া বিচ্ছেদের পর থেকে মাসে ৪০ হাজার টাকা করে খোরপোশ দিয়ে আসছিলেন অতুল। কিন্তু তারপরেও চলতে থাকে হেনস্থা। বিচার চেয়ে সম্প্রতি অতুল সুভাষের মা শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)আবেদন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind kejriwal: আবগারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালাতে অনুমতি দিল্লির উপ-রাজ্যপালের

    Arvind kejriwal: আবগারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালাতে অনুমতি দিল্লির উপ-রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি মামলায় (Excise Case) কেজরিওয়ালের (Arvind kejriwal) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে ইডি। এবার এই মর্মে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অনুমতি দিলেন উপ-রাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। উল্লেখ্য আগেই দুর্নীতি মামলায় জেল গিয়েছিলেন এই আপ প্রধান নেতা, বর্তমানে শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। এদিকে সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, ফলে আসন্ন নির্বাচনের আগে তাঁর যে আরও অস্বস্তি বাড়ল তা রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

    বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে (Arvind kejriwal)

    কেজরিওয়ালের মামলায় গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশিকা দিয়েছিল তার ভিত্তিত্বে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় (Excise Case) বিচারের অনুমতি চেয়ে দিল্লির উপ-রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়েছিল ইডি। গত ৫ ডিসেম্বর সেই আবেদনের পর শনিবার অনুমোদন দিলেন সাক্সেনা। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। যদিও আগে ইডির কোনও মামলায় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সম্মতির প্রয়োজন হত না। সিবিআই বা রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে সেই সম্মতি দরকার হতো। সুপ্রিম-নির্দেশের পর ইডির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হয়।

    আরও পড়ুনঃ মোদি নন, তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ ইন্ডি-নেতারাই! অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই কি আগ্রাসী রাহুল?

    দিল্লি বিধানসভার আগে আরও অস্বস্তিতে কেজরিওয়াল

    আবগারি মামালায় ইডির সপ্তম অতিরিক্ত চার্জশিটের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কেজরিওয়াল (Arvind kejriwal)। নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তাঁর অবশ্য যুক্তি ছিল, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আগে থেকে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। যা ইডি নেয়নি বলে তাঁর অভিযোগ ছিল। যদিও আবগারি মামলায় গত জুলাই মাসে ২০০ পাতার চার্জশিটে আদালতে জমা দিয়েছিল ইডি। তাতে কেজরিওয়াল এবং দিল্লির শাসকদল আপকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। নিম্ন আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কেজরিওয়ালের (Excise Case) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার মতো যথেষ্ট তথ্য চার্জশিটে আছে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    গত ২১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। একই মামলায় সিবিআই তাঁকে ২৬ জুন শোন অ্যারেস্ট করে। এই দুই ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এরপর জেল থেকে বের হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন এবং পদে শপথ নেন আতিশী মার্লেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 22 december 2024: প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 22 december 2024: প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ধর্মালোচনায় মন দিতে পারলে শান্তি পাবেন।

    ২) প্রতিবেশীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) সুবক্তা হিসাবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) পড়াশোনার ব্যাপারে ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য শান্তি পাবেন না।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা আসতে পারে। 

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যার সম্ভাবনা।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ২) সন্তানদের নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে। 

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) বাড়তি ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুচক্রে পড়ে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 10: আক্রমণের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বাংলাদেশের হিন্দুরাও, বিক্ষোভ জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনেও

    Bangladesh Crisis 10: আক্রমণের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বাংলাদেশের হিন্দুরাও, বিক্ষোভ জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনেও

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ অষ্টম পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন নেমে আসে। এরপর থেকেই হিন্দুদের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ শুরু হয়। চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই বড় আকারের সমাবেশ করে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট (Targeting Minority)। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৪ অক্টোবর এখানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু সমাজের ধর্মীয় নেতারা এবং তাঁরা নিজেদের বক্তব্যে হিন্দু ধর্ম তথা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার নিন্দা করেন এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে সরব হন।

    ১৯ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা (Bangladesh Crisis 10)

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি সমেত অন্যান্য আট দফা দাবিতে চট্টগ্রামে এক বিশাল হিন্দু সমাবেশ আয়োজন করে সনাতন জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। হিন্দু সমাজের ওই সমাবেশের পরে ফের একের পর এক সম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা শুরু হয়। চট্টগ্রামে অক্টোবর মাসেই বিতর্কিতভাবে দেশদ্রোহী মামলা দায়ের করা হয় ১৯ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ইস্কন সন্ন্যাসীরাও। অভিযোগ করা হয় যে ইসকনের ওই সন্ন্যাসীরা বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) জাতীয় পতাকার ওপরে গৈরিক পতাকা উত্তোলন করেছেন।  

    ২ নভেম্বর সনাতন জাগরণ মঞ্চের সভা

    হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ চলতে থাকে নভেম্বর মাসেও। সেই সময়ও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) একাধিক জায়গায় মন্দিরে-মন্দিরে হামলা, সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িতে লুট, অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। গত ২ নভেম্বর সেখানকার সনাতন জাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় সভা করে। চট্টগ্রামের ওই সভার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল, বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হওয়া হামলার বিচার। বিপুল সংখ্যায় হিন্দুরা ওই সমাবেশে যোগদান করে এবং তারা নিরাপত্তা তথা বিচারের দাবিতে গর্জন শুরু করে।

    বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা

    বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর লাগাতার এমন অত্যাচারের ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম সমেত বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) জেলায় জেলায় বিক্ষোভের পাশাপাশি, নির্যাতিত হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে গোটা বিশ্বের সনাতনীরা মাঠে নেমে পড়ে। এক ব্যাপক হিন্দু আন্দোলন গড়ে ওঠে সারা বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের কমবেশি প্রত্যেকটি দেশেই শুরু হয় প্রতিবাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সনাতনীরা হাতে পোস্টার এবং ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে সব থেকে বড় আকারের বিক্ষোভ হয়। বাংলাদেশি হিন্দু বংশোদ্ভুতরা জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। নিউইয়র্কের এই বিক্ষোভে ব্যাপক প্রভাব পড়ে দুনিয়াজুড়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসংখ্য সংবাদমাধ্যমও এই ঘটনাগুলিকে খবরের আকারের প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করে। বিক্ষোভ চলতে থাকে মিশিগান, ওয়াশিংটন প্রভৃতি শহরে।

    বিক্ষোভ হোয়াইট হাউসের সামনেও

    অন্যদিকে, হিন্দুরা ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। গোটা দুনিয়ার নজরে আনা হয় বাংলাদেশ সরকারের এমন বর্বরোচিত আচরণ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ দেখা যায় ব্রিটেনেও। সেখানেও দলে দলে হিন্দুরা রাস্তায় নামে। বাংলাদেশের হিন্দুদের বিরুদ্ধে হওয়া আক্রমণের ঘটনায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিল্ডিং-এর সামনে বিবিসি হেডকোয়ার্টারের পাশেই বিক্ষোভ চলতে থাকে। একইসঙ্গে বিক্ষোভ দেখানো হয় লন্ডনেও। শুধুমাত্র ব্রিটেন কিংবা আমেরিকা নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও শুরু হয় এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ। অস্ট্রেলিয়াতে ব্যাপক সংখ্যায় হিন্দুরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সে দেশে বিক্ষোভ চলে মেলবোর্ন অ্যাডিলেড পার্ক প্রভৃতি স্থানে।

    গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় প্রভুকে

    প্রসঙ্গত, মৌলবাদীদের পাশাপাশি সে দেশে প্রশাসনের মদতেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে নির্বিচারে অত্যাচার শুরু হয়। হয়রানি করা হতে থাকে সেখানকার সাধু-সন্ন্যাসীদের। ইসকনের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, যিনি ছিলেন সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের অন্যতম মুখপাত্র এবং ইসকনের সন্ন্যাসী, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয় ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় দেশদ্রোহিতার এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করার। এরপরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে যেদিন চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়, সেদিন ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। সেখানে নিহত হয় এক আইনজীবী।

    গ্রেফতার চিন্ময় প্রভু, বিক্ষোভ বাংলাদেশজুড়ে 

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের পরেই বাংলাদেশ জুড়ে আবার ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে। দলে দলে হিন্দুরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করতে থাকেন। বিক্ষোভ শুরু হয় চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে। এর পাশাপাশি ঢাকা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী প্রত্যেকটি জায়গাতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নামে দলে দলে হিন্দুরা। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ইসকন আনুষ্ঠানিকভাবে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISI: সিআইএর ধাঁচে বাংলাদেশে ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি গড়ছে আইএসআই!

    ISI: সিআইএর ধাঁচে বাংলাদেশে ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি গড়ছে আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি। কারণ বিভিন্ন পক্ষ এই দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টায় লিপ্ত। বাংলাদেশকে এই ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা আইএসআইয়ের (ISI) কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ এতে তারা শুধু যে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি স্থাপন করতে পারবে তা নয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে হওয়া অপমানের প্রতিশোধও নিতে পারবে কড়ায় গন্ডায়।

    রাষ্ট্রের রাশ কবজা করাই লক্ষ্য (ISI)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, এটি একটি সাজানো ছাত্র আন্দোলন। যে আন্দোলনের লক্ষ্যই ছিল হাসিনাকে গদিচ্যুত করে রাষ্ট্রের রাশ কবজা করা। আইএসআইয়ের এই উদ্দশ্যে একশো শতাংশ সফল (ISI)। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, ইউনূস বর্তমানে আইএসআইয়ের হাতের পুতুল। বাংলাদেশে ছাত্রদের এই আন্দোলন নিয়ে সবসময়ই সন্দেহ ছিল। এটি একটি পুরনো কৌশল, যা সিআইএ বহুবার ব্যবহার করেছে। ছাত্রদের দিয়ে সরকার পতনের জন্য এবং পরে কোনও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য। এখন সিআইএর ইউক্রেন কৌশল বাংলাদেশের জন্য ব্যবহার করেছে আইএসআই। মস্কোপন্থী সরকার পতনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এই কৌশলই।

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি নামে একটি নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে, যা ইউনূস-সমর্থিত অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্টের (এডিএসএম) নেতারা পরিচালনা করছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছে এটি একটি বড় উদ্বেগের কারণ। কেননা, এই গোষ্ঠী সশস্ত্র আন্দোলনের ডাক দেয়। অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্ট একটি ইসলামি বিপ্লবী আন্দোলন শুরুর পরিকল্পনা করছে। পৃষ্ঠপোষকতা (Bangladesh) করছেন জর্জ সরোস, বারাক ওবামা, বিল এবং হিলারি ক্লিনটনের মতো মানুষ। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস এঁদের অনুসারী। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে ক্লিনটন, ওবামা এবং সরোসের। বাংলাদেশের এই ছাত্র আন্দোলনটি একটি সশস্ত্র সংগ্রামে রূপান্তরিত হওয়া শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পক্ষেও উদ্বেগের। কারণ নয়া এই আন্দোলন পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট।

    বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়ার প্রস্তুতি

    ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্ট। নয়া সংগঠনে যোগদানের জন্য বহু যুবককে আহ্বানও জানিয়েছে তারা। নয়া এই গোষ্ঠী তৈরি সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলামি উগ্রপন্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয় বই কি! এই গোষ্ঠী গঠিত হলে, অস্থিরতা সৃষ্টি করার কাজে লিপ্ত হতে পারে। যার জেরে এক বিপজ্জনক যুগের সূচনা হতে পারে ভূ-রাজনীতিতে। ইসলামিক বিপ্লবী সেনাবাহিনীর গঠন শেষ হবে এই মাসের শেষের দিকে। এডিএসএমের তরফে আশিকুর রহমান জিম জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে তিন দিনের একটি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হবে। পরে, সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীকে দিয়ে এক মাসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হবে।

    সিআইএর স্ট্র্যাটেজি

    জানা গিয়েছে, নয়া দলটি সিআইএর স্ট্র্যাটেজি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে। একই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল রাশিয়া-সমর্থিত ইউক্রেন সরকারের অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য। এখানে বিদ্রোহী ছাত্ররা একটি মিলিশিয়া গঠন করেছিল। পরে তাণ্ডব চালিয়ে রাজ্যের পরিকাঠামো ধ্বংস করেছিল। এটি পুলিশ বাহিনী ধ্বংস করার পাশাপাশি ইউক্রেনের রুশভাষী জনগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছিল। বাংলাদেশেও আইএসআই একই কাজ করতে চায়। এবং শেষ পর্যন্ত এটিকে পাকিস্তানের মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এর মাধ্যমে আইএসআই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশোধ নিতে চায়। তাছাড়া বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে তা হবে ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে দুঃস্বপ্ন স্বরূপ। এর পাশাপাশি, এই ছাত্র মিলিশিয়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের টার্গেট করবে। এরাই অত্যাচার করছে হিন্দুদের ওপর।

    প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব

    জানা গিয়েছে, আইএসআই স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপকে (এসএসজি) এই ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে দুবাই এবং কাতারে বৈঠকও করেছে তারা। এই এসএসজি অতীতে হিজবুল-উত-তাহরিরের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই মিলিশিয়া একা কাজ করবে না। আপাতত এর ভূমিকা বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আর এসএসজি-প্রশিক্ষিত জঙ্গি গোষ্ঠী হিজব-উত-তাহরির ভারতে হামলা চালাবে। এজন্য সম্প্রতি এসএসজি ৩০০ জন জঙ্গিকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে (ISI)।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    ইউনূস সরকারের কারণে পাকিস্তানের কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। জঙ্গিদের প্রতিটি দাবিই মেনে নিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের জলসীমা উন্মুক্ত করার ফলে পাকিস্তান সমুদ্রপথে অবাধ প্রবেশাধিকার পেয়েছে। ইতিমধ্যেই অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক পাচারে ব্যবহৃতও হচ্ছে। সমুদ্রপথটি ব্যবহৃত হচ্ছে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের বাংলাদেশে পাঠানোর কাজে। তার জেরেই অশান্তির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। যা ক্রমেই মাথাব্যথার (ISI) কারণ হয়ে উঠছে ভারতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Robin Uthappa: পিএফের টাকা আত্মসাৎ! প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

    Robin Uthappa: পিএফের টাকা আত্মসাৎ! প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন ভারতীয় তথা প্রাক্তন কেকেআর ক্রিকেটার (Former Cricketer) রবিন উথাপ্পার (Robin Uthappa) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের সংস্থার কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কাটলেও কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে (এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড) জমা দেননি। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কত টাকার প্রতারাণার অভিযোগ? (Robin Uthappa)

    জানা গিয়েছে, উথাপ্পার (Robin Uthappa) একটি পোশাক তৈরির সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে তহবিলে টাকা জমা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বকেয়ার পরিমাণ ২৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬০২ টাকা। সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উথাপ্পাকে। না হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। গত ৪ ডিসেম্বর উথাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আঞ্চলিক পিএফ কমিশনার সদাক্ষরী গোপাল রেড্ডি। তিনি জানিয়েছেন, উথাপ্পার সংস্থার বিপুল অর্থ বকেয়া থাকায় সংস্থার কর্মীদের তহবিলের হিসেবের কাজ আটকে রয়েছে। যা গ্রাহণযোগ্য নয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    কোথায় রয়েছেন উথাপ্পা?

    পিএফ কমিশনার রেড্ডি কর্নাটকের পুলকেশিনগরের পুলিশকে উথাপ্পার (Robin Uthappa) বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেন। তবে, গত ৪ ডিসেম্বরের পরোয়ানাটি পুলিশ পিএফ কমিশনারকে ফেরত দিয়েছেন। কারণ, উথাপ্পাকে পুলকেশিনগরের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, প্রাক্তন ভারতীয় তথা প্রাক্তন কেকেআর ক্রিকেটার বর্তমানে সপরিবার দুবাইয়ে বসবাস করেন। বছরের অধিকাংশ সময় তিনি সেখানেই থাকেন। জানা গিয়েছে, দেশের হয়ে ৪৬টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন উথাপ্পা। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কলকাত নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন আইপিএল। রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং পুণে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার হয়েও আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রাক্তন মিডল অর্ডার ব্যাটারের। ৩৯ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটারের কোনও প্রতিক্রিয়া এ ব্যাপারে পাওয়া যায়নি। কর্মীদের বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে নেওয়া পরও কেন তা সময় মতো কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে জমা করা হয়নি, তারও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি তাঁর সংস্থার তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal: সম্ভলের পাঁচটি মন্দির ও ১৯টি কূপ পরিদর্শন করল এএসআই, তালিকায় রয়েছে শিব-হনুমান মন্দিরও

    Sambhal: সম্ভলের পাঁচটি মন্দির ও ১৯টি কূপ পরিদর্শন করল এএসআই, তালিকায় রয়েছে শিব-হনুমান মন্দিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে (Sambhal) আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে পাঁচটি মন্দির এবং ১৯টি কূপ পরিদর্শন করা হয়েছে। তার মধ্যে মুসলিম এলাকায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা শিব-হনুমান মন্দিরও ছিল। প্রসঙ্গত, এই মন্দির উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল এক অদ্ভূত ভাবে। এলাকায় ব্যাপক ভাবে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ আসছিল। পুলিশ চুরি ঠেকাতে অভিযানে নামলে উদ্ধার হয় এই শিব-হনুমান (Shiva-Hanuman temple) মূর্তি। মন্দিরের জায়গাকে অবৈধ ভাবে দখল করে নেয় স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছিল দেশজুড়ে।

    লাগাতার ৮-১০ ঘণ্টা ধরে পরিদর্শনের কাজ (Sambhal)

    সম্ভল জেলার জেলা শাসক রাজেন্দর পেনসিয়া বলেন, “আমরা লাগাতার ৮-১০ ঘণ্টা ধরে এক একটি তীর্থস্থান বা মন্দিরে সমীক্ষা করেছি। মোট ২৪টি এলাকায় এই সমীক্ষা এবং জরিপের কাজ চলেছে। এই তালিকায় রয়েছে ভদ্রক আশ্রম, স্বর্গদীপ, চক্রপানি এবং প্রাচীন শ্মশান মন্দির। একইভাবে এএসআই দলটি ১৯টি প্রাচীন কূপের অবস্থান এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিশদ ভাবে গবেষণা করেছে। যে মন্দিরটিকে খোলা হয়েছে সেই মন্দিরটিকেও জরিপ করা হয়। সমস্ত রিপোর্ট ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কাছে জমা করা হবে। তবে এই পরিদর্শন বা সমীক্ষায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ছিল না।”

    আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    ১৭৭৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা মন্দিরটি

    উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর সম্ভলের (Sambhal) মুসলিম এলাকা থেকে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন একটি দখলকৃত শিব-হনুমানের (Shiva-Hanuman temple) মন্দির উদ্ধার করে। এরপর গত ২০ ডিসেম্বর সকালে ওই মন্দির চত্বর পরিমার্জন করে পুজো, আরাধনা, আরতি করা হয়। এই মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি কমিশনের প্রাক্তন সদস্য এবং বিজেপি নেত্রী গীতা প্রধান। তিনি বলেন, “আমরা খুব খুশি। মাননীয় যোগীজির প্রচেষ্টায় প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি প্রাচীন মন্দির পুনঃআবিষ্কৃত হয়েছে। মন্দিরের বাইরে অনেক মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, যার সবগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং মন্দিরের জমিতে বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। যখন পুলিশ প্রশাসন বিদ্যুৎ চুরির তদন্ত করতে এসেছিল, তারা প্রাচীন মন্দিরটি খুঁজে পেয়েছিল। আজ হিন্দু সম্প্রদায় খুব খুশি।” ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা মন্দিরটি প্রশাসনের চেষ্টায় ১৪ ডিসেম্বর পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share