Tag: bangla news

bangla news

  • Delhi Election: প্রাথমিক গণনায় ম্যাজিক ফিগার পার, দিল্লিতে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি, ধরাশায়ী আপ

    Delhi Election: প্রাথমিক গণনায় ম্যাজিক ফিগার পার, দিল্লিতে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি, ধরাশায়ী আপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭ বছর পরে দিল্লি বিধানসভা (Delhi Election) দখলের পথে বিজেপি (BJP), গেরুয়া ঝড়ে বেসামাল আম আদমি পার্টি। ২০২৫ সালের বিধানসভা ভোটের প্রাথমিক ফলাফল যা দেখা যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন ফলাফলের জন্য নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিপুল কর্মযজ্ঞ যেমন ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে, একইভাবে আম আদমি পার্টির দুর্নীতি সমান ভাবে দায়ী। প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতিতে জেলে যেতে হয় আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এবং উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়াকে। সেই প্রতিফলনই ইভিএমে পড়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল।

    বিজেপি এগিয়ে ৪৪ আসনে, পিছিয়ে আপের মুখ্যমন্ত্রী

    সকাল দশটা পর্যন্ত যে প্রাথমিক ফলাফল দেখা যাচ্ছে, সেখানে স্পষ্ট ছবি উঠে আসছে যে ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় (Delhi Election) বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৪৪ আসনে, আম আদমি পার্টি এগিয়ে রয়েছে ২৬ আসনে। কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত কোথাও খাতা খুলতে পারেনি। এই প্রাথমিক ফলাফল আম আদমি পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভায় (Delhi Election) পিছিয়ে রয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী অতিশী মারলেনা।

    ৫০.৪২ লক্ষ পুরুষ এবং ৪৪.০৮ লক্ষ মহিলা ভোট দান করেছেন দিল্লিতে

    দিল্লি বিধানসভার (Delhi Election) ভোট গণনা চলছে ১৯টি কেন্দ্রে। গত পাঁচ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর পরবর্তীকালে সামনে আসে জনমত সমীক্ষা। প্রত্যেকটি জনমত সমীক্ষাতে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। সেই জনমত সমীক্ষারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে গণনার দিনে। প্রসঙ্গত, পাঁচ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা ভোটে ভোট দান করেছিলেন ৬০.৫৪ শতাংশ ভোটার। ২০২০ সালে তুলনায় যা ছিল ২.৫ শতাংশ কম। ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয় দিল্লি বিধানসভার (Delhi Election) ভোটে ভোট দিয়েছেন ৫০.৪২ লক্ষ পুরুষ এবং ৪৪.০৮ লক্ষ মহিলা।

  • India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) মন্তব্য তাঁর ‘ব্যক্তিগত’। তার সঙ্গে ভারতের (India-Bangladesh Relation) কোনও সম্পর্ক নেই। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বাংলাদেশের সঙ্গে সদর্থক, গঠনমূলক, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কও বজায় রাখতে চায় ভারত ৷ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে এই কথাও জানিয়ে দিল সাউথ ব্লক ৷

    কেন তলব রাষ্ট্রদূতকে

    বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  ধানমন্ডিতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক মুজিবুর রহমানের বাড়িতে তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে৷ পরদিন সকালে সেই ঐতিহাসিক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৷ এদিকে সেদিনই ভার্চুয়ালি বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেন গণঅভ্যুত্থানের জেরে দেশছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ ভারতও মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করে। এর জন্য ভারতের সমালোচনা করে ইউনুস সরকার। এরপরই শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নুরল ইসলামকে সমন পাঠিয়ে সাউথ ব্লকে তলব করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় বিদেশ মন্ত্রক।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, ভারত একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশের সঙ্গে। সম্প্রতি দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বার বার এই বিষয়টি ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে এটা দুঃখজনক যে, বাংলাদেশ প্রশাসনের নিয়মিত বিবৃতিতে ভারতকে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। সে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এ ধরনের বিবৃতি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে। হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে নয়াদিল্লি আরও এক বার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসিনা (Sheikh Hasina) নিজের ক্ষমতাবলে মন্তব্য করছেন। এখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। হাসিনার মন্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতিতে সাহায্য করবে না। বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে, ‘‘ভারত সরকার পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশও সেই পরিবেশ নষ্ট না-করে একই রকম ভাবে হাত বাড়িয়ে দেবে।’’

  • Mahakumbh 2025: এখনও বাকি ১৮ দিন! মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সারলেন ৪০ কোটিরও বেশি ভক্ত

    Mahakumbh 2025: এখনও বাকি ১৮ দিন! মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সারলেন ৪০ কোটিরও বেশি ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই জানানো হয়েছিল যে প্রথম ২৪ দিনেই মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩৮.২৯ কোটি। মাঘী পূর্ণিমার আগেই তা ৪০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। ঠিক তেমনটাই হল। ১২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে মাঘী পূর্ণিমা। তার আগেই চল্লিশ কোটি ভক্ত স্নান সেরে ফেললেন মহাকুম্ভে, গঙ্গা-যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে (Triveni Sangam)। রিপোর্ট বলছে গতকাল অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৭৮.৭৮ লক্ষ ভক্ত পবিত্র স্নান সেরেছেন এবং এভাবেই ভক্ত সংখ্যা পার করল ৪০ কোটি। মহাকুম্ভের এখনও বাকি রয়েছে ১৮ দিন। মনে করা হচ্ছে এই সময়ের মধ্যে ৫০ কোটিরও বেশি ভক্ত সংখ্যা স্নান করবেন মহাকুম্ভে।

    মৌনী অমাবস্যায় হাজির ৮ কোটি ভক্ত (Mahakumbh 2025)

    প্রসঙ্গত, প্রথম দিকে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রশাসনের তরফ থেকে অনুমান করা হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত স্নান সারবেন প্রয়াগরাজে। কিন্তু প্রশাসনের সেই অনুমানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভক্ত সংখ্যা। পরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অমৃত স্নান, অর্থাৎ মকর সংক্রান্তির স্নান, মৌনী অমাবস্যা স্নান এবং বসন্তী পঞ্চমীর স্নানে এর পরেও ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন প্রয়াগরাজে। তাঁরা রীতি মেনে স্নান করছেন। একটি হিসেব বলছে, মৌনী অমাবস্যাতে সবথেকে বেশি ভক্ত হাজির হয়েছিলেন এবং সেই দিন পবিত্র স্নান সেরেছেন ৮ কোটি ভক্ত।

    বসন্ত পঞ্চমীতে স্নান ২.৫৭ কোটি ভক্তের (Mahakumbh 2025)

    অন্যদিকে মকর সংক্রান্তির দিনে হাজির হয়েছিলেন সাড়ে তিন কোটি ভক্ত এবং গত ৩০ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি হাজির হয়েছিলেন ২ কোটি ভক্ত। বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে হাজির হয়েছিলেন ২.৫৭ কোটি ভক্ত। মহাকুম্ভ যেন সব কিছুর মেলবন্ধন হয়ে উঠেছে, বলিউড থেকে রাজনীতি। সবাই স্নান করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও বলিউডের হেমা মালিনী, অনুপম খের, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সাইনা নেহওয়াল, ক্রিকেটার সুরেশ রায়না- প্রত্যেকেই হাজির হয়েছেন কুম্ভে।

  • Daily Horoscope 08 February 2025: বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 08 February 2025: বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়ির কোনও সদস্যের বিষয়ে আপনাকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

    ২) কাজের ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছেমতো চলবেন না।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) পরিবারে কোনও বিবাদ চললে তা সমাধানের চেষ্টা করুন।

    ২) সন্তান কোনও কারণে রেগে গেলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

    ৩) নতুন গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।

    মিথুন

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন, যা আপনার জন্য ভালো হবে।

    ২) পরিবারে আপনার প্রিয়জনের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাবেন।

    ৩) আপনার সম্মান বৃদ্ধি হতে পারে।

    সিংহ

    ১) যানবাহন ব্যবহার করার সময় আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) বেশ কয়েকদিনের ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।

    ৩) পরিবারের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব চললে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করুন।

    কন্যা

    ১) বিতর্ক থেকে দূরে থাকুন।

    ২) স্বেচ্ছাচারী আচরণের জন্য আপনি অস্থির থাকতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে, আপনার বস আপনার উপর দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দিতে পারেন।

    তুলা

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় অশান্তি হতে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    ধনু

    ১) জেদের কারণে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) শারীরিক কারণে ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কুম্ভ

    ১) চিকিৎসার জন্য খরচ নিয়ে চিন্তা।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মীন

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Cancer: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! ভারতে এর সংখ্যা বাড়ছে কেন?

    Cancer: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! ভারতে এর সংখ্যা বাড়ছে কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জীবন যাপনে বদল হয়েছে অনেকখানি। আধুনিক জীবনে ব্যস্ততা বাড়ছে। বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাসের ধরন। তার সঙ্গে বদল হচ্ছে ঘুমের সময়ের। পাশাপাশি পরিবেশ, আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। আর এই সবকিছুর শরীরে গভীর প্রভাব পড়ছে। বিশেষত শিশুদের (Children) শরীরে এর প্রভাব মারাত্মক। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের রিপোর্ট জানাচ্ছে শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের (Cancer) প্রকোপ বাড়ছে। যা যথেষ্ট দুশ্চিন্তার বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে রিপোর্ট?

    ন্যাশনাল ক্যান্সার (Cancer) রেজিস্ট্রি প্রোগ্রামের সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, ১৫ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মোট ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে ০ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের সংখ্যা ৪ শতাংশ। যা বছর দশেক আগেও অনেকটাই কম ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে শিশু (Children) ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কন্যাসন্তানের তুলনায় পুত্রসন্তানের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। সদ্যোজাত থেকে ১৪ বছর বয়সি এক মিলিয়ন ছেলের মধ্যে ২০৩ জন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছে। সেই তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা ১২৫ জন।

    কেন শিশু শরীরে ক্যান্সার বাড়ছে?

    ক্যান্সার (Cancer) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিনগত মিউটেশনের জন্যই শরীরে ক্যান্সার হয়। হঠাৎ করেই শরীরের কোষে, জিনে এক ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়। যার ফলেই ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ তৈরি হয়। এর নির্দিষ্ট কারণ বলা কঠিন। তবে‌ বেশ কিছু কারণের জেরেই এই জিনগত পরিবর্তন। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘জেনেটিক মিউটেশন’ বলা হয়।

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের (Cancer) ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষত শিশুদের (Children) প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একাধিক প্রক্রিয়াজাত খাবার থাকছে। যার প্রভাব শরীরে মারাত্মকভাবে পড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নানান রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত মাংস নিয়মিত খেলে কিডনির, লিভার এবং পাকস্থলীতে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। দেহের ওজনও মারাত্মক বাড়তে থাকে।‌ স্থুলতা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

    নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ফল, সবজি, ডাল, রুটি খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের (Children) মধ্যে কমছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। কিন্তু অধিকাংশ শিশু এখন সবজি খায় না। নিয়মিত রুটি, ফলও খায় না। তার ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব দেখা দেয়। তাই ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকও বাড়ে।

    শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত পর্যাপ্ত বিশ্রাম। অনেক সময়েই শিশুদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হয় না। নিয়মিত শরীরিক কসরত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম হলে তবেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। নানান রোগের ঝুঁকি কমে। তাই ক্যান্সারের (Cancer) মতো‌ জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর রুটিন থাকা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

    ক্যান্সার (Cancer) বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুদের প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করতে হবে। সেদিকে অভিভাবকদের নজর দেওয়া দরকার। সময় মতো স্বাস্থ্যকর খাবার‌ খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত রুটিন মাফিক শারীরিক কসরত, এগুলো যাতে হয় সেদিকে নজরদারি করলে রোগের ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 264: “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়”

    Ramakrishna 264: “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মহেন্দ্র, রাখাল, রাধিকা গোস্বামী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    মহেন্দ্রাদির প্রতি উপদেশ—কাপ্তেনের ভক্তি ও পিতামাতার সেবা 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-কালীমন্দিরে সেই পূর্বপরিচিত ঘরে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। শরৎকাল। শুক্রবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪; ৪ঠা আশ্বিন, ১২৯১; বেলা দুইটা। আজ ভাদ্র অমাবস্যা। মহালয়া। শ্রীযুক্ত মহেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও তাঁহার ভ্রাতা শ্রীযুক্ত প্রিয় মুখোপাধ্যায়, মাস্টার, বাবুরাম, হরিশ, কিশোরী, লাটু, মেঝেতে কেহ বসিয়া কেহ দাঁড়াইয়া আছেন,—কেহ বা ঘরে যাতায়াত করিতেছেন। শ্রীযুক্ত হাজরা বারান্দায় বসিয়া আছেন। রাখাল বলরামের সহিত বৃন্দাবনে আছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna মহেন্দ্রাদি ভক্তদের প্রতি)—কলিকাতায় কাপ্তেনের বাড়িতে গিছলাম। ফিরে আসতে অনেক রাত হয়েছিল।

    “কাপ্তেনের কি স্বভাব! কি ভক্তি! ছোট কাপড়খানি পরে আরতি করে। একবার তিন বাতিওয়ালা প্রদীপে আরতি করে,—তারপর আবার এক বাতিওলা প্রদীপে। আবার কর্পূরের আরতি।

    “সে সময়ে কথা হয় না। আমায় ইশারা করে আসনে বসতে বললে (Kathamrita)।

    “পূজা করবার সময় চোখের ভাব—ঠিক যেন বোলতা কামড়েছে!

    “এদিকে গান গাইতে পারে না। কিন্তু সুন্দর স্তব পাঠ করে।

    “তার মার কাছে নিচে বসে। মা—আসনের উপর বসবে।

    “বাপ ইংরাজের হাওয়ালদার। যুদ্ধক্ষেত্রে একহাতে বন্দুক আর-এক হাতে শিবপূজা করে। খানসামা শিব গড়ে গড়ে দিচ্ছে। শিবপূজা না করে জল খাবে না। ছয় হাজার টাকা মাহিনা বছরে।

    “মাকে কাশীতে মাঝে মাঝে পাঠায়। সেখানে বার-তেরো জন মার সেবায় থাকে। অনেক খরচা। বেদান্ত, গীতা, ভাগবত—কাপ্তেনের কণ্ঠস্থ (Ramakrishna)!

    “সে বলে, কলিকাতার বাবুরা ম্লেচ্ছাচার (Kathamrita)।

    “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Swami Avdheshanand Giri: ‘‘সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ জনজাতি সমাজ’’, মত অবধেশানন্দ গিরির

    Swami Avdheshanand Giri: ‘‘সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ জনজাতি সমাজ’’, মত অবধেশানন্দ গিরির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজ (Swami Avdheshanand Giri) মহাকুম্ভের এক ধর্মীয় সভায় বক্তব্য রাখেন এদিন এবং সেখানেই তিনি জনজাতি সমাজকে সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন। প্রসঙ্গত, অখিল ভারতীয় বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের তরফ থেকে প্রয়াগরাজে যুব কুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল এবং সেখানে স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজ (Swami Avdheshanand Giri) বলেন, ‘‘জনজাতি সমাজের সঙ্গে সম্প্রীতি ছাড়া মহাকুম্ভ কখনও সম্পূর্ণতা পেতে পারে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘যেভাবে জনজাতি সমাজের ভাই ও বোনেরা মহাকুম্ভে এসেছেন নিজেদের রীতি, প্রথা, সংস্কৃতি- এই সমস্তকে সঙ্গে নিয়ে, তা প্রশংসনীয়। সমস্ত সন্তের উচিত বনে যাওয়া উচিত এবং সেখানকার পরিবেশ দেখা। সেখানকার সরল সাধারণ বনবাসীদের জীবনকে উপলব্ধি করা।’’ স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজ আরও (Swami Avdheshanand Giri) বলেন, ‘‘যে সমস্ত সন্ন্যাসীরা যাঁরা একনও বুঝে উঠতে পারেন নি আরণ্যক সংস্কৃতি, তাঁদেরকে একবার বনে যেতে হবে।’’

    কারা হাজির ছিলেন?

    প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানে (Sanatan Dharma) হাজির ছিলেন মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী রঘুনাথ বাপ্পাজি মহারাজ, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্গাদাস উইকি, বনবাসী কল্যাণ আশ্রমে জাতীয় সভাপতি সত্যেন্দ্র সিং, প্রাক্তন ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউল ট্রাইপসের সভাপতি হর্ষ চৌহান সমেত অন্যান্যরা। নিজের বক্তব্যে হর্ষ চৌহান বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই অনুষ্ঠান এক কথায় আরণ্যক সংস্কৃতির প্রতিফলন করে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    অন্যদিকে রঘুনাথ বাপ্পাও জনজাতি সমাজকে সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন,‘‘জনজাতি সমাজ হল সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং কোনওভাবেই একে সনাতন ধর্ম থেকে পৃথক করা যাবে না।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দুর্গাদাস উইকি বলেন, ‘‘কিছু সমাজবিরোধী শক্তি সর্বদাই লেগে রয়েছে যে কিভাবে জনজাতি সমাজকে ছোট করা যায়, যুব সমাজকে এর বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে যুবকুম্ভে হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য জনজাতি সমাজের প্রতিনিধি। প্রতিনিধিরা এই যুবকুম্ভে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

  • Ram Janmabhoomi: রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম করসেবক’ কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত, শোক প্রকাশ মোদির

    Ram Janmabhoomi: রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম করসেবক’ কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত, শোক প্রকাশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Janmabhoomi) ট্রাস্টি কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত হলেন। দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে ৬৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী , চৌপাল দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘এক অনন্য রামভক্ত ছিলেন কামেশ্বর চৌপাল (Kameshwar Chaupal), তাঁর প্রয়াণে আমি দুঃখিত।’’ প্রসঙ্গত, কামেশ্বর চৌপালকে ‘প্রথম করসেবক’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৮৯ সালে তিনি রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য প্রথম ইট স্থাপন করেছিলেন বলে জানা যায়। তিনি বিহারের প্রাক্তন এমএলসি ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ (Ram Janmabhoomi) করা হয়। শোক প্রকাশ করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    কামেশ্বর চৌপাল বিহারের সুপৌল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন

    সূত্রের খবর, চৌপালের মেয়ে তাঁকে আগে একটি কিডনি দান করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিস্থাপন ফলপ্রসূ হয়নি (Ram Janmabhoomi)। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সকালে মারা গেলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সালের ২৪ এপ্রিল কামেশ্বর চৌপাল বিহারের সুপৌল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বলে জানা যায়। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ছিলেন। এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বনবাসী কল্যাণ কেন্দ্র, আরএসএস এবং এবিভিপি সহ সঙ্ঘ পরিবারের একাধিক সংগঠনে কাজ করেন তিনি।

    শোক প্রকাশ অমিত শাহের

    প্রসঙ্গত, কামেশ্বর চৌপালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন অমিত শাহ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Ram Janmabhoomi) লিখেছেন, ‘‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের স্থায়ী সদস্য এবং বিজেপির সিনিয়র নেতা কামেশ্বর চৌপাল জি’র প্রয়াণ অত্যন্ত দুঃখজনক। শ্রীরাম জন্মভূমি আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। সামাজিক কাজ ও বঞ্চিতদের কল্যাণের জন্য বিশেষ কাজ করেছিলেন কামেশ্বর চৌপাল। প্রভু শ্রীরাম তাঁর আত্মাকে শ্রীচরণে স্থান দিন এবং তাঁর শোকগ্রস্ত পরিজনদের মানসিক শক্তি প্রদান করুন।’’

  • Su 57 Fighter Jets: এদেশেই ‘সু-৫৭’ উৎপাদন, ‘অ্যামকা’ তৈরিতে সহযোগিতা! ভারতকে প্রস্তাব রাশিয়ার

    Su 57 Fighter Jets: এদেশেই ‘সু-৫৭’ উৎপাদন, ‘অ্যামকা’ তৈরিতে সহযোগিতা! ভারতকে প্রস্তাব রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পৌঁছল রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান ‘সু-৫৭ই’ (Su 57 Fighter Jets)। বেঙ্গালুরুতে বসতে চলেছে এরো ইন্ডিয়া ২০২৫-এর (Aero India 2025) আসর। বিভিন্ন দেশের যুদ্ধবিমান সেখানে অংশগ্রহণ করবে এবং প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। সেখানেই থাকবে এই অত্যাধুনিক রুশ যুদ্ধবিমান। ইতিমধ্যে, ভারতে এই যুদ্ধবিমান তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। তার পর থেকেই এই যুদ্ধবিমানকে ঘিরে আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছে জনমানসে।

    ভারত বনাম আমেরিকা যুদ্ধবিমানের ডুয়েল!

    এশিয়ার বৃহত্তম এরোস্পেস প্রদর্শনী হল এরো ইন্ডিয়া (Aero India 2025)। এ বছর এই অনুষ্ঠান ১৫ বছরে পড়ল। বেঙ্গালুরুর ইয়ালাহাঙ্কা এয়ারবেসে আগামী ১০ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে বিভিন্ন যুদ্ধবিমানের প্রদর্শনী ও মহড়া। এ বছর এই শোয়ের অন্যতম বড় আকর্ষণ হতে চলেছে সুখোই সু-৫৭ই যুদ্ধবিমান (Su 57 Fighter Jets)। এই শোয়ে অংশগ্রহণ করার কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেলথ প্রঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমানের। কিন্তু, সূত্রের খবর অনুযায়ী, হয়ত মার্কিন জেট এবার অংশগ্রহণ করবে না। একইভাবে, আপগ্রেডেড এফ-১৬ যুদ্ধবিমানেরও প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও, তা সম্ভবত আসছে না বলে খবর। ফলে, রাশিয়া বনাম আমেরিকার আধুনিকতম যুদ্ধবিমানকে একসঙ্গে চাক্ষুষ করার সুযোগ থাকছে না। যে কারণে, রুশ যুদ্ধবিমান (Su 57 Fighter Jets) নিয়ে আগ্রহ আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।

    ভারতে সু-৫৭ যুদ্ধবিমান উৎপাদনের প্রস্তাব

    ইতিমধ্যেই, ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পঞ্চম প্রজন্মের সু-৫৭ যুদ্ধবিমান (Su 57 Fighter Jets) ভারতেই উৎপাদন করার প্রস্তাব নয়াদিল্লিকে দিয়েছে মস্কো। তবে, ভারত নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘অ্যামকা’ (Indian FGFA) তৈরি করছে। সেই প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ফলে, ভারত কতটা এই প্রস্তাবে আগ্রহ দেখাবে তা নিয়ে সন্দেহ। আর এই বিষয়টা বিলক্ষণ জানে রাশিয়াও। তাই, অ্যামকা তৈরি করার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে রেখেছে মস্কো। রুশ সংবাদসংস্থা স্পুটনিকের দাবি, সু-৫৭ যুদ্ধবিমান রাশিয়ায় তৈরি করে ভারতে উড়িয়ে আনা বা পরে এদেশে যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা এবং অ্যামকা (Indian FGFA) তৈরি করার ক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতা— নয়াদিল্লিকে পাঠানো প্রস্তাবে জানিয়েছে মস্কো। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, অতীতে এই দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে এই যুদ্ধবিমানকেই (পিএকে-এফএ) তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল (Su 57 Fighter Jets)। কিন্তু, দাম, কার্যকারিতা, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও অংশীদারিত্ব নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায়, ওই প্রকল্প থেকে সরে আসে ভারত। ফলে, এত বছর পর, ভারতকে রাজি করানো সহজ নয় রাশিয়ার।

  • RBI Repo Rate: কম হবে ইএমআই! রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, স্বস্তি আমজনতার

    RBI Repo Rate: কম হবে ইএমআই! রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, স্বস্তি আমজনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’বছর পর অবশেষে রেপো রেট বদল করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI Repo Rate)। শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর কথা ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। ফলে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াল ৬.২৫ শতাংশ। পাঁচ বছরে এই প্রথমবার রেপো রেট (Repo Rate) কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই।

    সুদের হার কমায় লাভ কী

    গত ২ বছর রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল আরবিআই। ২০২০ সালের মে মাসে শেষ বার সুদের হার হ্রাস করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। এটি কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার কমে যায়। বলা বাহুল্য এর জেরে স্বস্তি পাবেন ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়া আমজনতা। কমবে তাঁদের মাসিক কিস্তির অঙ্ক। সস্তা হবে হোম লোন, গাড়ি লোন (Car Loan), শিক্ষা ঋণ (Education Loan) এবং ব্যক্তিগত ঋণের (Personal Loan) সুদের হার। অর্থনৈতিক মহলের ধারণা, এটি ব্যবসা ও গ্রাহকদের জন্য ঋণের খরচ কমিয়ে দেবে। গৃহ ও ব্যবসায়িক ঋণের ইএমআই কমানো মানুষের আর্থিক স্বস্তি দেবে। তাদের নিষ্পত্তিযোগ্য আয় বাড়বে ও উপভোক্তাদের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বাজারে নগদের পরিমাণ বাড়বে, যা ব্যবসায়িক বিনিয়োগ বাড়াবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতি দেবে।

    কত হবে ইএমআই

    ধরুন কেউ যদি ২৫ লাখের হোম লোন নেন, তাহলে তাকে ৮.৭৫ শতাংশ সুদের হারে ২২,০৯৩ টাকার ইএমআই দিতে হবে। কিন্তু রেপো হারে এক চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর পরে, সুদের হার ৮.৫০ শতাংশে নেমে আসবে এবং এখন ২১,৬৯৬ টাকা ইএমআই হিসাবে দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে ৪০৩ টাকা সাশ্রয়। এক্ষেত্রে এক বছরে, ইএমআই আকারে ৪,৮৩৬ টাকা সাশ্রয় হবে। এদিন গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্র বলেন, ‘‘সর্বসম্মতিতে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআইয়ের মুদ্রা নীতি কমিটি। ঋণকে সস্তা করা এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

LinkedIn
Share