Tag: bangla news

bangla news

  • Kailash Satyarthi: হিন্দুদের ওপর অত্যাচার! ইউনূসকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ কৈলাস সত্যার্থীর

    Kailash Satyarthi: হিন্দুদের ওপর অত্যাচার! ইউনূসকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ কৈলাস সত্যার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নোবেল জয়ীকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ আর এক নোবেলজয়ীর! বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান তথা শান্তিতে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসকে রাজধর্ম পালনের আবেদন জানালেন ভারতের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ব্যক্তিত্ব কৈলাস সত্যার্থী (Kailash Satyarthi)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বাংলাদেশে প্রায় ৪০ বছর কাজ করেছি। তখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল। কিন্তু আজ আর সেই পরিস্থিতি নেই।”

    কী বললেন কৈলাস সত্যার্থী?

    মানবাধিকার দিবসে ইউনূসকে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সত্যার্থী বলেন, “যেভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে, তাতে মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। বাংলাদেশে যেন মানবাধিকারকে বন্দি করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। অবিলম্বে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন।”

    ইউনূসকে নিশানা অভিজিতেরও

    বিশ্বশান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন ইউনূস। তাঁর পুরস্কার কেড়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যেভাবে অন্য ধর্মের ওপর বিশেষত হিন্দু ধর্মের ওপর যে আক্রমণ চলছে, তাতে আমি মনে করি নোবেল কমিটির উচিত এই মুহূর্তে তাঁর নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া।” তিনি বলেন, “আপনারা হয়তো আমায় জিজ্ঞেস করতে পারেন, নোবেল কমিটির এই রুল আছে কিনা। আমি তা বলতে পারব না। তবে একটা সাধারণ রুল রয়েছে, যে কোনও কর্তৃপক্ষ যদি কোনও একটা কাজ করতে চান, করার ক্ষমতা থাকে, তাহলে তার সেই কাজ নাকচ করার ক্ষমতাও থাকে।” অভিজিৎ বলেন, “সেই নীতির ওপর ভিত্তি করেই আমি দাবি করছি, নোবেল কমিটি এই মুহূর্তে ইউনূসের নোবেল পুরস্কার ফেরত নিয়ে নিক।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ঢুকেছে এক কোটি রোহিঙ্গা! হিন্দুদের বাঁচাতে ধর্ম রক্ষা কমিটি গড়ার ডাক শুভেন্দুর

    অভিজিৎ (Kailash Satyarthi) বলেন, “একটা সময় ছিল যখন তাঁকে বলা হত গরিবের ব্যাঙ্কার। গোটা বিশ্বে তখন তাঁর প্রশংসা। ২০০৬ সালে তাঁর ঝুলিতে আসে নোবেল শান্তি পুরস্কার। কিন্তু সেই মহম্মদ ইউনূসের আমলেই আজ বাংলাদেশে হিন্দুদের শান্তি খানখান।” তিনি বলেন, “অত্যাচারের ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। আর কার্যত চুপ করে দেখছেন মহম্মদ ইউনূস।” সত্যার্থী (Kailash Satyarthi) বলেন, “বারবার প্রশ্ন উঠছে, যে মোল্লাতন্ত্র পাকিস্তানকে চালাত, এখন কি সেই মোল্লাতন্ত্রের ইশারায়ই চলছেন (Bangladesh Crisis) শান্তিতে নোবেল জয়ী?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Bangladesh: হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে গণবিক্ষোভ

    Bangladesh: হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে গণবিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের বিজয় দিবসের কথা মনে করিয়ে দিতে দিল্লিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) হাই কমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে বিরাট বিক্ষোভে সামিল হয়েছে ভারতীয়রা। গত ৫ অগাস্ট থেকে লাগাতার হওয়া বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে ওই দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতীয় হিন্দু সমাজ। হাজার হাজার সাধারণ জনতার সঙ্গে সাধুসন্তরা এদিন এই কর্মসূচীতে যোগদান করেছেন। দাবি একটাই হিন্দু নির্যাতন বন্ধ হোক।

    হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তির রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে (Bangladesh)

    নভেম্বরের শেষেই বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু ধর্ম গুরু চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন একাধিক জায়গায় কট্টর মৌলবাদী মুসলমানদের চলছে আগ্রাসন। হিন্দু বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, দোকান লুট, মন্দিরে আগুন, মূর্তি ভাঙচুর, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ, খুন-সহ একাধিক ঘটনায় চরম বিপাকে সনাতনী সমাজ। ঢাকার রাজপথে বিলি হচ্ছে ‘ভারত শত্রুরাষ্ট্র’ লিফলেট, চার দিনে কলকাতা দখল হবে বলে দেওয়া হচ্ছে হুঙ্কার। ধর্মগুরুরা প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা করছেন তলোয়ার দিয়ে কোপানো হবে ইসকনকে। এই সব ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস একদম চুপ। চট্টগ্রামের বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে হিন্দু মহিলাকে। ঢাকায় পড়ানো হচ্ছে জগন্নাথের মন্দির। তাই প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে একত্রিত হয়েছেন বহু মানুষ। সকলের মুখে একটাই স্লোগান হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তির রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে বাংলাদেশকে। একই ভাবে ইসকনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা যাবে না। অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ সন্ন্যাসীকে মুক্তি দিতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত

    এদিন দিল্লিতে আন্দোলনকারীরা বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘ কেন নির্বাক? অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠনও হিন্দুদের উপর ভয়াবহ অত্যাচারের বিরুদ্ধে চুপচাপ করে বসে আছে। বাংলাদেশ কি ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা ভুলে গিয়েছে? একই ভাবে আগে মুম্বইয়ে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে একাধিক হিন্দু সংগঠন বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে রবিবার দেশের আরও একাধিক জায়গায় হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ঢাকায় বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হুসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে ঢুকেছে এক কোটি রোহিঙ্গা! হিন্দুদের বাঁচাতে ধর্ম রক্ষা কমিটি গড়ার ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে ঢুকেছে এক কোটি রোহিঙ্গা! হিন্দুদের বাঁচাতে ধর্ম রক্ষা কমিটি গড়ার ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের অস্তিত্ব সঙ্কটে। তাই হিন্দুদের রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে গ্রামে গ্রামে ধর্ম রক্ষা কমিটি (Hindu Raksha Committee) গড়তে হবে।” এমনই ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ঘটে চলা ধারাবাহিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এর আগে পেট্রাপোল সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন শুভেন্দু।

    অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ের ডাক (Suvendu Adhikari)

    মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান উত্তর ২৪ পরগনায় ঘোজাডাঙা সীমান্তে। সেখানেই হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে গ্রামে গ্রামে হিন্দু রক্ষা কমিটি তৈরির ডাক দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতে রাজ্যে ঢুকেছে এক কোটি রোহিঙ্গা।” এর পরেই তিনি বলেন, “হিন্দুদের অস্তিত্ব সঙ্কটে। তাই হিন্দুদের রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে গ্রামে গ্রামে ধর্ম রক্ষা কমিটি গড়তে হবে।” বাংলাদেশের ইউনূস সরকারকেও চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। 

    বলেন, “বাংলাদেশ তো ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ওরা এত বড় বড় কথা বলে কী করে? বলছে কলকাতার দখল নেবে! জেনে রাখুন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ ধ্বংস করে কাশ্মীরে ভারতের ঝান্ডা উড়িয়েছেন, চিনের সঙ্গেও সামরিক শক্তিতে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ভারতের। হাসিমারায় ৪০টি যুদ্ধ বিমান রয়েছে। দুটো পাঠালেই কাজ হয়ে যাবে। কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় জানি।” ভারত ৯৭টি পণ্য না পাঠালে বাংলাদেশের ভাত-কাপড় জুটবে না বলেও ইউনূস সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    নিশানায় সিদ্দিকুল্লাও

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি ইউনূস সরকারকে সমর্থন করছেন বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। অথচ ইউনূসের সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছেন মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য। উনি যদি সত্যিই হিন্দুদের ভালো চান, তাহলে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে সিদ্দিকুল্লাকে বহিষ্কার করুন।”

    হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হতেই মমতা সুর নরম করছেন বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর। বলেন, “উনি (মমত বন্দ্যোপাধ্যায়) বুঝতে পারছেন ৩০ শতাংশ নিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে পারবেন না। ৭০ শতাংশ এক হয়ে যাচ্ছে। তাই বিধানসভায় বাংলাদেশের হিন্দুদের পক্ষে কথা বলছেন।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে (Hindu Raksha Committee) ওঠে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: ঘন কুয়াশার সতর্কতা ৮টি জেলায়, সপ্তাহান্তে রাজ্যে আরও নামবে পারদ

    Weather Update: ঘন কুয়াশার সতর্কতা ৮টি জেলায়, সপ্তাহান্তে রাজ্যে আরও নামবে পারদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রা নামার ইঙ্গিত দিল হাওয়া অফিস (Weather Update)। আগামী কয়েক দিনে দক্ষিণবঙ্গে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের জন্যও একই ইঙ্গিত মিলেছে। বেশিরভাগ সময়ই জেলাগুলিতে থাকবে ঘন কুয়াশার দাপট। ইতিমধ্যেই ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি হল দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়। কুয়াশার চাদরে ঢাকবে দক্ষিণের তিন জেলাও। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার পর তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

    কবে থেকে পারদ কমবে? (Weather Update)

    চলতি সপ্তাহের শেষেই ১৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলবে কলকাতার পারদ। এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update)। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মঙ্গলের সকালেও সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা (Winter) ছিল পুরুলিয়ায়। তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া, ঝাড়গ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি, কল্যাণীতে ১৫.২ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ১৩.৬ ডিগ্রি, কৃষ্ণনগরে ১৩.২ ডিগ্রি, বর্ধমানে ১৩.৬ ডিগ্রি, দমদমে ১৭.০ ডিগ্রি এবং বাঁকুড়ায় ১৫.১ ডিগ্রি। বুধবার থেকেই তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১০ ডিগ্রি বা তারও নীচে নামতে পারে তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা খানিকটা কমবে। শনিবারের মধ্যে তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পারদ নামতে পারে শহরে। সপ্তাহের শেষে ফিরবে শীতের আমেজ।

    দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ফের দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এর অভিমুখ থাকবে শ্রীলঙ্কা এবং তামিলনাড়ুর উপকূলের দিকে। এই কারণে দক্ষিণবঙ্গে শীতকে আরও কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আলিপুর।

    কুয়াশার দাপট কোন কোন জেলায়?

    হাওয়া অফিসের (Weather Update) পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা সহ বাকি জেলাগুলিতে সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়লে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। তবে কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গেও বুধবার সকালে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের কিছু কিছু জায়গা ঘন কুয়াশায় ঢাকতে পারে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় বুধবার সকালে ঘন কুয়াশা থাকবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদায় কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ১৯৯ মিটার থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। সে জন্য সকালের দিকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে কুয়াশার হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Properties: এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    Waqf Properties: এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)-এর একটি অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, তাদের ২৫০টি সংরক্ষিত ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফ সম্পত্তির হিসেবে তালিকা ভুক্ত হয়েছে। এই রিপোর্টকে যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে পেশ করতে চাইছে দেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। কিন্তু প্রশ্ন হল, সরকারি সম্পত্তি কীভাবে মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Properties) সম্পত্তি হল? বিজেপির অবশ্য দাবি, দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডের নামে প্রচুর সম্পত্তি দখলের বড়সড় চক্রান্ত চলছে। এটা পূর্বতন কংগ্রেসের শাসনেই বেপরোয়া রূপ নিয়েছে। তাই সময়ে এসেছে আইন পরিবর্তনের। উল্লেখ্য, সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ এখন পর্যালোচনার স্তরে রয়েছে। এই বিলের পাশ হওয়া নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    সাচার কিমিটি সুপারিশ করেছিল (Waqf Properties)

    জানা গিয়েছে, এএসআই (ASI)-এর পক্ষ থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, অসংখ্য স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে, যেগুলি ২০০৬ সালের সাচার কমিটির রিপোর্টে স্থান পেয়েছে। যদিও এই রিপোর্ট মূলত রাজনৈতিক স্বার্থ এবং ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস সরকার তৈরি করেছিল। ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থিক, সামজিক এবং শিক্ষাগত অবস্থানকে কেন্দ্র করে প্রাচীন স্মৃতি স্তম্ভগুলিকে নথিভুক্ত করা হয় ওয়াকফ বোর্ডে (Waqf Properties)। রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন, এটা ইসলামি ল্যান্ড জিহাদের একটা বড় মাধ্যম।

    দিল্লির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান ওয়াকফের দখলে

    তালিকায় দেখা গিয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Properties) দখলে থাকা ১৭২টি জায়গার মধ্যে দিল্লির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থানো রয়েছে। তালিকায় উল্লেখযোগ্য নামগুলির মধ্য়ে রয়েছে— ফিরোজশাহ কোটলার জামা মসজিদ, আরকে পুরমের ছোটি গুমতি মাকবারা, হাউজ খাস মসজিদ এবং ইদগাহ। এই রকম আরও অনেক স্মৃতিসৌধ বা স্তম্ভগুলি দেশজুড়ে নানা জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের যৌথ সংসদীয় কমিটির সমীক্ষায় ওয়াকফ বোর্ডের মোট ১২০টি জায়গার নাম পাওয়া গিয়েছে যেগুলি সরাসরি এএসআই-এর অধীনে এবং সংরক্ষণে থাকার কথা। এখন ১৯৫৮ সালের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতি স্তম্ভ আইন (ASI) এবং ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ অ্যাক্ট বোর্ডকে আইন অনুযায়ী দুই পক্ষের অধিকার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধিতা একান্ত মিটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। তাই দ্রুত সংসদে ওয়াকফ বিলকে সংশোধন করা একান্ত প্রয়োজন মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Oranges: শীত মানেই কমলালেবু! এই ফল নিয়মিত বেশি খেলে কি কোনও বিপদ হতে পারে?

    Oranges: শীত মানেই কমলালেবু! এই ফল নিয়মিত বেশি খেলে কি কোনও বিপদ হতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ কমছে। শীতের (Winter) আমেজ শহর থেকে জেলা সর্বত্র! আর বাঙালির শীতের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে কমলালেবু। শীতকাল আর কমলালেবু একে অপরের পরিপূরক। শীত পড়তেই অনেকেই নিয়মিত কমলালেবু খান। এই ফলের পুষ্টিগুণ একাধিক রয়েছে। কিন্তু নিয়মিত কমলালেবু (Oranges) খেলে শরীরে নানান সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের মতে, কমলালেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি-র মতো উপাদান। এর ফলে শরীরে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। আবার শীতে সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমাতে কিংবা ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা মেটাতেও কমলালেবু বিশেষ সাহায্য করে। তাই কমলালেবুর একাধিক গুণ রয়েছে, একথা ঠিক। তবে, অতিরিক্ত কমলালেবু নিয়মিত খেলে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবার দেখে নেওয়া যাক, কমলালেবু কোন সমস্যা বাড়াতে পারে?

    আর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়ায় (Oranges)

    কমলালেবু ঠান্ডা ফল। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে শরীরে ব্যথা বাড়তে পারে। বিশেষ করে জয়েন্টের ব্যথা বেশি ভোগাতে পারে। যাঁরা বাতের সমস্যায় কাবু কিংবা আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য বাড়তি ক্ষতিকারক এই ফল। অনেক সময়েই অতিরিক্ত কমলালেবু খেলে হাত-পায়ের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়।

    শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায়, দেখা দেয় হার্ট বার্ন

    কমলালেবু টক জাতীয় ফল। এতে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই কমলালেবু অতিরিক্ত খেলে শরীরে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে বুক জ্বালা বা হার্ট বার্নের মতো সমস্যা হয়‌।

    ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বাড়ায় 

    কমলালেবুতে (Oranges) থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। এমনকী ডায়ারিয়ার মতো জটিল পরিস্থিতিও তৈরি করতে পারে কমলালেবু। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দিনে দু’টোর বেশি কমলালেবু খেলে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যেতে পারে।

    কিডনির ঝুঁকি বাড়ায় (Oranges)

    অনেকেই কিডনির রোগে ভুগছেন। কমলালেবু তাঁদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে নানান অ্যাসিড থাকে। এর ফলে কিডনির সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই কিডনির সমস্যায় আক্রান্তদের কমলালেবু খাওয়ার সময় পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকারক

    কমলালেবু দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে অ্যাসিড থাকে। তাই অতিরিক্ত কমলালেবু খেলে দাঁতের নানান ক্ষতি দেখা যেতে পারে। বিশেষত ক্যাভেটিসের সমস্যা থাকলে কমলালেবু বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে।

    বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে

    কমলালেবু (Oranges) বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ফলের জেরে গ্যাস্ট্রোইজোফেসিয়াল রিফ্ল্যাক্স হতে পারে। ফলে গ্যাস এবং বদহজমের মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, কমলালেবুর পুষ্টিগুণ প্রচুর। তাই নিয়মিত কমলালেবু শীতে খেলে শরীরে যথেষ্ট উপকার হবে। তবে পরিমাণে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। একদিনে একাধিক কমলালেবু খাওয়া কখনই উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৮৫০ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দিল ছত্তিশগড় সরকার

    Chhattisgarh: রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৮৫০ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দিল ছত্তিশগড় সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার থেকে ৫০০ এবং কাওয়ার্ধা থেকে ৩৫০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Infiltrators) ফেরত পাঠানো হয়েছে। একথা জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা। অবৈধ জবরদখল প্রবণতার জন্য বাংলাদেশি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন ধরে তোলপাড় চলছে ছত্তিশগড়ে। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায় অবৈধ বাংলাদেশি অনিয়ন্ত্রিত অনুপ্রবেশের কারণে বন্‌ধ পালিত হয়েছিল। যা বিরাট প্রভাব ফেলেছিল এই রাজ্যের রাজনীতিতে।

    সরকার দুর্বল মনোভাব দেখাবে না (Chhattisgarh)

    ৯ ডিসেম্বর ভিলাইতে একটি বিশেষ জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, “রাজ্য থেকে প্রায় ৮৫০ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Infiltrators) বিতাড়িত করেছি। কোন্ডাগাঁও থেকে ৪৬ জন অনুপ্রবেশকারী বর্তমানে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। আরও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে সরকার ব্যাপক ভাবে কাজ করছে। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলগুলির সঙ্গে কোনও রকম সরকার দুর্বল মনোভাব দেখাবে না।”

    আদিবাসী সামজের বন্‌ধ

    ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) বেশ কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশি মুসলমানদের অবৈধ অনুপ্রবেশ (Bangladeshi Infiltrators) এবং এলাকা দখলের বিরুদ্ধে তীব্র ভাবে সরব হয়েছে স্থানীয় জনজাতিরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বন্‌ধ ডেকেছিল স্থানীয় আদিবাসীরা। সেখানে দোকান, বাজার, স্কুল, কলেজ সব বন্ধ রাখা হয়েছিল। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু রাখা হয়েছিল। এখানকার আদিবাসী সমাজের বক্তব্য হল, “বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে চোরা পথে ভারতে ঢুকে ওরা (বাংলাদেশি) এখানকার জায়গা দখল করছে। শহর, গ্রামের সর্বত্র তারা নিজেদের বসতি গড়ে আমাদের জামি জায়গা দখল করে নিচ্ছে। অবিলম্বে তাদের ভারত থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও জনবিন্যাসকে বদলে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

    অপর দিকে, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ছত্তিশগড়ে ব্যাপক অভিযান চলছে। বস্তার আইজি সুন্দর রাজ পি-এর মতে, বস্তার এবং কোন্ডাগাঁও উভয় জেলাকেই কয়েক দশকের বিদ্রোহের পর মাওবাদীমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, “রাজ্যের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন প্রচেষ্টা, তীব্র নিরাপত্তা অভিযান এক সঙ্গে চলছে। এই অঞ্চলে মাওবাদীদের কার্যকলাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে, যা একটি ঐতিহাসিক দিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjay Malhotra: শক্তিকান্ত দাসের পর আরবিআইয়ের নয়া গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা, চেনেন তাঁকে?

    Sanjay Malhotra: শক্তিকান্ত দাসের পর আরবিআইয়ের নয়া গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নয়া গভর্নর নিযুক্ত হলেন সঞ্জয় মালহোত্রা (Sanjay Malhotra)। শক্তিকান্ত দাসের (Shaktikanta Das) স্থলাভিষিক্ত হলেন সঞ্জয়। তিনি হলেন আরবিআইয়ের ২৬তম গভর্নর (RBI Governor)। আজ, মঙ্গলবার শেষ হবে শক্তিকান্তের কার্যকালের মেয়াদ। তার পর, বুধবার থেকে আরবিআইয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন অর্থমন্ত্রকের রাজস্ব সচিব মালহোত্রা। ১৯৯০ ব্যাচের রাজস্থান ক্যাডারের আইএএস অফিসার তিনি।

    শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)

    কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের হয়েই অর্থ দফতরে কাজ করেছেন সঞ্জয় (Sanjay Malhotra)। বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর নীতি তৈরিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ২০১৮ সালে উর্জিত পটেল আরবিআইয়ের গভর্নর পদে ইস্তফা দিলে নিয়োগ করা হয় শক্তিকান্তকে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তিন বছর তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করে মোদি সরকার। এদিনই শেষ হচ্ছে সেই মেয়াদও। আরবিআইয়ের ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদি গভর্নর (RBI Governor) হলেন শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। এর আগে, সাড়ে সাত বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে ছিলেন বেনুগোপাল রামা রাও। শক্তিকান্তের ঝুলি অভিজ্ঞতায় পূর্ণ। তিনি কাজ করেছেন বিশ্বব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কে। আটটি কেন্দ্রীয় বাজেটের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন তিনি। ১৫তম অর্থ কমিশনের সদস্যও ছিলেন শক্তিকান্ত। ভারতের জি২০ শেরপা হিসেবেও কাজ করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    চিনুন সঞ্জয় মালহোত্রাকে (Sanjay Malhotra)

    এই শক্তিকান্তেরই জায়গায় বসানো হল সঞ্জয়কে। তিনি আইআইটি কানপুরের প্রাক্তনী। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক ডিগ্রি। আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও লাভ করেছেন তিনি। অর্থমন্ত্রকের রাজস্ব সচিব হওয়ার আগে আর্থিক পরিষেবা বিভাগের সচিবের দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে প্রশাসনিক কাজের দীর্ঘ ৩৩ বছরের অভিজ্ঞতা। বিদ্যুৎ, কর, তথ্যপ্রযুক্তি ও খনির মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন  সঞ্জয় (Sanjay Malhotra)। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে (RBI Governor) তাঁর মেয়াদ হবে তিন বছর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আবাস নিয়ে তৃণমূলের ব্যাপক দুর্নীতি! পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত অফিসে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    BJP: আবাস নিয়ে তৃণমূলের ব্যাপক দুর্নীতি! পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত অফিসে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার (Awas Yojana) তালিকা তৈরি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। তার জেরে এর আগে বাতিল হয়েছিল গ্রামসভা। এ বারে সেই আবাসের তালিকা তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে চলল বিক্ষোভ। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা পঞ্চায়েতের ঘটনা। মূলত বিজেপির (BJP) স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে আয়োজিত ওই বিক্ষোভে শামিল হন এলাকার শতাধিক মহিলা।

    ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ (BJP)

    বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সাধারণ মহিলারা ঝাঁটা হাতে পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের মধ্যে বাঘাডাবর গ্রামের চিন্তা মাহালি, বারমেস্যা গ্রামের বিজলা হেমব্রমরা বলেন, “আমাদের কাঁচা বাড়ি আছে। দিনমজুরি করে সংসার চলে। প্রথমে তালিকায় নাম থাকলেও পরে বাদ গিয়েছে। কেন আমাদের নাম বাদ গিয়েছে, তার উত্তর নিতেই পঞ্চায়েতে এসেছি।” পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, প্রথমে ১৭১৯ জন উপভোক্তার নাম ছিল আবাসের তালিকায়। শেষমেশ তা ঠেকেছে ৮১৭ জনে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ও বিজেপির অভিযোগ, দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা যথাযথভাবে হয়নি। যাঁরা দুঃস্থ, কাঁচা ভাঙা বাড়িতে বসবাস করে, তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। পরিবর্তে এমন অনেকের নাম রয়েছে, যাঁরা যথেষ্ট সচ্ছল।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির (BJP) স্থানীয় নেতা সন্তু তেওয়ারি বলেন, ‘‘প্রথম বার সমীক্ষা শেষে আবাস তালিকা প্রকাশের পরে তাতে গোলমাল নজরে এসেছিল। আমাদের তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধান গোটা রাত ব্লক অফিস চত্বরে বসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এ বারে ফের সমীক্ষার পরে দেখা যাচ্ছে, যোগ্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, বিজেপির প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য থেকে কর্মীদের অনেকে ভাঙা বাড়িতে থাকলেও তাঁদের নাম তৃণমূলের চাপে প্রশাসন বাদ দিয়েছে। অভিযোগ মানতে নারাজ পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধা তৃণমূলের সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দ্বিতীয় দফ সমীক্ষা তথা সুপার সার্ভে সবটাই ব্লক প্রশাসন করেছে। পঞ্চায়েতের কোনও ভূমিকাই ছিল না।’’ ব্লকের সমাজকল্যাণ দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আধিকারিক কল্যাণপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তালিকা প্রকাশের পরে যাঁরা নাম নথিভুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁদের কয়েক জনের নাম তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু গ্রামসভার দিনে গ্রামবাসী তা ব্যাখ্যা করার সুযোগটাই দেননি।’’  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Meditation Day: ২১ ডিসেম্বর বিশ্ব ধ্যান দিবস, ভারতের প্রাচীন আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের

    World Meditation Day: ২১ ডিসেম্বর বিশ্ব ধ্যান দিবস, ভারতের প্রাচীন আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রচীন জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য এখন বিশ্বব্যাপী আলোচ্য এবং চর্চিত বিষয়। তাকে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) তরফে ২১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব ধ্যান দিবস (World Meditation Day) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই ভারত কতটা জ্ঞান সমৃদ্ধ ছিল এই ঘোষণা তারই প্রমাণ। বিশ্বব্যাপী সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে ধ্যানের প্রয়োজনীয়তা একান্ত আবশ্যক। প্রাচীন মুনি-ঋষিদের দীর্ঘায়ুর প্রধান কারণ ছিল এই ধ্যান এবং যোগ সাধনা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘোষণায় বিশ্বের দরবারে ভারতের প্রচীন জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের গৌরব যে আরও বৃদ্ধি পেল তা প্রত্যেক ভারতীয় এখন আরও বেশি মনে প্রাণে বিশ্বাস করছেন।

    যুদ্ধ-অস্থিরতার বিরুদ্ধে শান্তি আনবে ধ্যান (World Meditation Day)

    সংযুক্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) সাধারণ সভায় ২১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব ধ্যান দিবস (World Meditation Day) হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব পেশ করে লিচেনস্টাইন। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানায় শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মেক্সিকো, অ্যান্ডোরা এবং ভারত। একই ভাবে পূর্ণ সমর্থন দেয় বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া, মরিশাস, মোনাকো এবং আইসল্যান্ড-এর মতো দেশগুলি। তাতে বলা হয়, এই ধ্যান হল এমন এক বিষয় যা গোটা বিশ্বকে ক্রমবর্ধমান, যুদ্ধ, অস্থিরতার বিরুদ্ধে শান্তি এনে দিতে পারে। ধ্যানের গুরুত্ব মানব জীবনে অতুলনীয়। এর পরই প্রস্তাব গৃহীত হয় ওই সভায়।

    বিশ্ব একটি পরিবার

    রাষ্ট্রসঙ্ঘ (United Nations) ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাারভাথানেনি হরিশ এই প্রস্তাবের জন্য বিশেষ ভাবে গর্ব অনুভব করেন। একই সঙ্গে বিশ্বের দরবারে এই ধ্যানের গুরুত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “মানব সমাজের সুস্থতার জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগ (World Meditation Day) ভারতের জন্য বসুধৈব কুটুম্বকম অর্থাৎ বিশ্ব একটি পরিবার এই ভাবনার প্রকাশ দেখা গিয়েছে। বিশ্ব জুড়ে শান্তি এবং সম্প্রীতির জন্য এই ভাবনা একান্ত ভাবে আবশ্যক। সকলের জন্য মঙ্গল কামনা হল এর প্রধান উদ্দেশ্য।”

    আরও পড়ুনঃ উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    যোগদিবসের পরিপূরক

    এই শীতকালের ২১ ডিসেম্বরকে দিন ঠিক করার কারণ হল, এই সময় শীতকালীন অয়নকালের (Winter Solstice) সঙ্গে মিলে যায়, সূর্যের উত্তরায়ণের সূচনাকে চিহ্নিত করা যায়। সেই সঙ্গে মানুষের অভ্যন্তরীণ স্তরে আধ্যাত্মিক ভাবে শারীরিক, মানসিক ভাবনার রূপান্তরকে প্রভাবিত করবে বলে জানানো হয়। ২১ জুন, গ্রীষ্মকালীন অয়নকালের (Summer Solstice) সময় পালিত হয় বিশ্ব যোগ দিবস। ফলে তাকে মাথায় রেখে পরিপূরক হিসেবে ২১ ডিসেম্বর (World Meditation Day) ঠিক করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভারতের প্রাচীন যোগ, ধ্যান, বিজ্ঞান চর্চা, শিল্প স্থাপাত্য, ভাস্কর্য, চারুকলা-সহ নানা প্রাচীন জ্ঞান পরম্পরায় যে মানব জীবনের মোক্ষের ধারণা লুকিয়ে রয়েছে তা বিশ্ববাসীর কাছে ক্রমে ক্রমেই প্রকট হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share