Tag: bangla news

bangla news

  • BSF: অশান্ত বাংলাদেশ! মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজরদারি, কী কী ব্যবস্থা?

    BSF: অশান্ত বাংলাদেশ! মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজরদারি, কী কী ব্যবস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। এই আবহের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রহরা জোরদার করছে বিএসএফ (BSF)। কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় জমি! সেই জমিকে আগলে রাখতে বিএসএফের সর্বক্ষণ কড়া নজরদারি সীমান্তবর্তী এলাকায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন সেই এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত রয়েছে। 

    মুর্শিদাবাদ সীমান্তে কড়া নজরদারি (BSF)

    জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রাজানগর, কাকমারী, জলঙ্গী, রানিনগর সীমান্তের জিরো পয়েন্ট অর্থাৎ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসএফ (BSF) জওয়ানদের মোতায়েন করা হচ্ছে। দু’দেশের সীমান্তের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিএসএফ ক্যাম্প এবং ওপি পয়েন্টগুলি। নজরদারি বাড়াতে বাড়ানো হচ্ছে টহলদারি ভ্যানের সংখ্যা। বাড়ানো হয়েছে উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। এতদিন বিএসএফ সীমানার ভেতরের দিকে ডমিনেশন লাইনে মোতায়েন ছিল। কারণ, রাস্তাঘাট, আলোর সুবিধা ছিল। আইবি দূরে ছিল, সেখানে যাতায়াতের সুবিধা ছিল না। সীমান্ত এলাকার মানুষজন, যারা বিশেষত চরে চাষবাস করেন তারা বড় সমস্যার মুখোমুখি হন এতদিন। মূলত সীমান্ত এলাকার চরের কৃষি জমিতে বাংলাদেশি দুর্বৃত্তদের হানা ও অনুপ্রবেশ রুখতে এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফ-এর মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি অনিল কুমার সিনহা জানান, ‘‘চেকিং পয়েন্ট জিরো লাইনের কাছে এগিয়ে দেওয়া হল। কৃষকদের সুবিধা বাড়াতেই এই পদক্ষেপ, যাতে তারা কৃষিকাজে সময় পান। কৃষকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও নজর রাখা হবে।”

    আরও পড়ুন: এবার ঢাকার ইসকন মন্দিরে আগুন লাগাল মৌলবাদীরা, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি

    জলপাইগুড়ির সীমান্তে জোর দিল বিএসএফ

    জলপাইগুড়ি সীমান্ত (BSF) এলাকায় কাঁটাতারের ওপারে থাকা ভারতীয় জমিকে ঘিরে বেশ ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতে হয় সীমান্তবর্তী কিছু এলাকাবাসীদের। কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে, বাংলাদেশের পঞ্চাগড় জেলার ভুজালিপাড়া সহ অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকা সংলগ্ন কাঁটাতারের ওপারে ভারতের জমি রয়েছে, সেই জমিতে রুজি রুটির জন্য নিয়মিত চাষাবাদ করে ভারতীয় কৃষকরা। সন্ধ্যে হওয়ার আগেই কাঁটাতারের এপারে চলে আসতে হয় কৃষকদের। এই সব এলাকায়  সর্বক্ষণ কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। তাদের জন্যেই এখনও পর্যন্ত স্বস্তিতে থাকতে পারছেন সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা। স্থানীয়দের কথায়, এখনও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এলাকাগুলিতে। জলপাইগুড়ি বর্ডার সংলগ্ন এলাকায় যেমন খারিজা বেরুবারি ২, বোনাপাড়া, সিপায় পাড়া ইত্যাদি এলাকায় বিএসএফের উপস্থিতি বেশ শক্তিশালী। তেমনই বিপরীত পাড়ে বাংলাদেশের পঞ্চাগড় এলাকাতেও শান্তি বজায় রাখা হয়েছে। বিএসএফের উপস্থিতি এবং তাদের কার্যক্রমের কারণে এলাকাবাসীরা বর্তমানে নিশ্চিন্তে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন।

    ইউনূস জমানায় কতজন অনুপ্রবেশ করেছে ভারতে?

    মহম্মদ ইউনূসের সরকার গঠনের পর থেকে ভারতে নাকি একজনও বাংলাদেশি বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ করেনি। এমনই দাবি করল বিএসএফ। বিএসএফ (BSF) প্রধান দলজিৎ সিং চৌধুরি বলেন, ‘‘৫ অগাস্টের পর বাংলাদেশ থেকে যারাই ভারতে এসেছে, তারা বৈধ ভিসা নিয়েই সীমান্ত পার করেছে। প্রাথমিক ভাবে সীমান্তে অনেকেই ভিড় করেছিল বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করার জন্যে। তবে বিএসএফের তৎপরতা এবং বিজিবির সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়ার জন্যেই কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেনি।” উল্লেখ্য, এই বছরে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১১ হাজার ৮৬৬ কেজি মাদক উদ্ধার হয়েছে। ১৪টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ২২ পাচারকারীকে খতম করা হয়েছে। ৪১৬৮ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও সীমান্তে পাচারের সময় উদ্ধার হয়েছে ১৩০০ কোটি মূল্যের ১৭৩ কেজি সোনা এবং ১৭৯ কেজি রুপো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Walmart: হিন্দু বিক্ষোভের জের, অন্তর্বাস থেকে ভগবান গণেশের ছবি সরাল ওয়ালমার্ট

    Walmart: হিন্দু বিক্ষোভের জের, অন্তর্বাস থেকে ভগবান গণেশের ছবি সরাল ওয়ালমার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান গণেশের ছবি দিয়ে ৭৪ রকমের অন্তর্বাস তৈরি করার অভিযোগ উঠেছিল ওয়ালমার্টের (Walmart) বিরুদ্ধে। অবশেষে হিন্দুদের ব্যাপক প্রতিবাদের (Hindu protest) জেরে বহুজাতিক এই সংস্থা তাদের তৈরি অন্তর্বাস থেকে গণেশের ছবি সরিয়ে ফেলল। আজ শনিবার ওয়ালমার্ট ডট কমে প্রচুর গ্রাহক গণেশ অন্তর্বাস লিখে সার্চ করেন। তখনই ওয়ালমার্ট থেকে জানানো হয় যে গণেশের ছবি সম্বলিত কোনও সার্চ রেজাল্ট নেই। প্রসঙ্গত, ওয়ালমার্ট এই ধরনের অন্তর্বাস তুলে নেওয়ায় আমেরিকার হিন্দু সমাজের অন্যতম নেতা রাজন জেড এক বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি নিজের বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ওয়ালমার্টকে (Walmart) ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই কারণে যে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে বুঝেছেন এবং তাঁরা অনুভব করেছেন যে তাঁদের এই জাতীয় পণ্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। যাইহোক আমরা এখনও পর্যন্ত অপেক্ষা করে আছি যে কখন এই কোম্পানি ক্ষমা চাইবে।’’

    এমন ঘটনা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে ব্যাপক আঘাত করেছে

    প্রসঙ্গত রাজন জেড হলেন ইউনিভার্সাল সোসাইটি অফ হিন্দুজিম নামের একটি সংগঠনের সভাপতি। তিনি ওয়ালমার্টকে পরামর্শ দিয়েছেন যে তাদের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ করাতে। যাতে এ ধরনের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ভাবে আঘাত লাগতে পারে এমন বিজ্ঞাপন তারা প্রচার না করে। নিজের বিবৃতিতে রাজন জেড আরও বলেন, ‘‘ভগবান গণেশ হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেবতা। প্রতি বাড়িতে কিংবা মন্দিরে তাঁকে উপাসনা করা হয়। তাই এমন ভগবানকে কখনও অন্তর্বাসে ব্যবহার করা যায় না। বাণিজ্যিক বা অন্যান্য এজেন্ডার জন্য হিন্দু দেবতাদের (Hindu protest) এভাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়। এমন ঘটনা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে (Walmart) ব্যাপক আঘাত করেছে।’’

    হিন্দুধর্মকে অযৌক্তিকভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়

    রাজন জেড আরও বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্ম হল বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম ধর্ম এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম। একশো কুড়ি কোটি হিন্দু বর্তমানে পৃথিবীতে রয়েছেন। হিন্দু ধর্মের একটি দার্শনিক চিন্তাভাবনা রয়েছে। তাই এই ধর্মকে কখনও অযৌক্তিকভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। যেকোনও ধর্মের প্রতীক বড় হোক বা ছোট, তাকে ভুলভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।’’

    স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে হিন্দুরা, কখনও পবিত্র বিশ্বাসে আঘাত করা ঠিক নয়

    নিজের বিবৃতিতে রাজন জেড আরও বলেন, ‘‘এক দেবতাকে এভাবে টেনে নিচে নামানোর ঘটনায় হিন্দুদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। হিন্দুরা যেকোনো স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। তাঁরা মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিশ্বাস করেন। তাঁরা শিল্পীর স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। কিন্তু যা কিছু পবিত্র সেখানে আঘাত করা ঠিক নয়।’’

    হিন্দু সংগঠনগুলির প্রতিবাদ

    প্রসঙ্গত ওয়ালমার্টের (Walmart) এমন বিজ্ঞাপন সামনে আসতেই প্রতিবাদ শুরু করে হিন্দু সংগঠনগুলি। ব্রিটেনের হিন্দু সংগঠন ‘ইনসাইড ইউকে’ সঙ্গে সঙ্গে ট্যুইট করে বলে, ‘‘হিন্দু সমাজ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। হিন্দু দেবতা, হিন্দু অনুভূতি এবং হিন্দুদের ভাবাবেগকে সম্পূর্ণভাবে আঘাত করা হয়েছে।’’

    একইভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে হিন্দু জাগৃতি নামের সংগঠন। তারাও ট্যুইট করে বলে, ‘‘আন্ডারওয়ার বক্সারদের কস্টিউম, মোজা, চপ্পল ইত্যাদিতে ভগবান গণেশের প্রতিকৃতি ব্যবহার করা হয়েছে যা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং অসম্মানজনক।’’

    এভাবে হিন্দু দেবতাদের অবজ্ঞা করতে পারবেন না

    অন্যদিকে তথভম-আসি নামের একজন এক্স হ্যান্ডেল ব্যবহারকারী  নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘এভাবে হিন্দু দেবতাদের অবজ্ঞা করতে পারবেন না।’’ প্রসঙ্গত প্রতিটি এক্স হ্যান্ডলে যে ছবিগুলো প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ওয়ালমার্ট (Walmart) প্যান্টি, বিকিনি, মোজা, হাওয়াই চপ্পল এসব কিছুতেই ভগবান গণেশের ছবি ব্যবহার করেছে।

    আগেও দেখা গিয়েছে এমন হিন্দু ফোবিয়া

    তবে বহুজাতিক সংস্থাগুলির এমন হিন্দু ফোবিয়া নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ‘সাহারা রে সাঁতার’  নামের একটি সংগঠন সাঁতারের পোশাকে হিন্দু দেবদেবীদের ছবি মুদ্রণ করে। এই ব্র্যান্ডের মালিক ছিলেন সাহারা রায়। এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে ম্যাট এবং টয়লেট কভারে পবিত্র হিন্দু দেবদেবীদের ছবি আমাজনে বিক্রি করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JNU: ম্যালেরিয়া-কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে নয়া আবিষ্কার জেএনইউ বিজ্ঞানীদের

    JNU: ম্যালেরিয়া-কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে নয়া আবিষ্কার জেএনইউ বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় আবিষ্কার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) বিজ্ঞানীদের। ম্যালেরিয়া ও কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এই আবিষ্কার। জেএনইউয়ের (Big Discovery) স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকিউলার মেডিসিনের দলটি একটি মানব প্রোটিন, ‘এইচএসপি ৭০’-কে চিহ্নিত করেছে।

    একাধিক সংক্রমণ রুখবে (JNU)

    এই প্রোটিনটি ম্যালেরিয়া ও কোভিড-১৯ এর মতো রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিজ্ঞানীরা রাশিয়া ও ভারতের গবেষকদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করে এইচএসপি ৭০ এর একটি ছোট মলিকিউল ইনহিবিটর তৈরি করেছেন, যা একাধিক সংক্রমণের জন্য একটি বিস্তৃত-স্পেকট্রাম চিকিৎসা হিসাবে কাজ করতে পারে। এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন জেএনইউয়ের স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকিউলার মেডিসিনের অধ্যাপক আনন্দ রঙ্গনাথন এবং শৈলজা সিং। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, এইচএসপি ৭০-কে টার্গেট করা হলে ওষুধ প্রতিরোধ আটকানো যেতে পারে, যা সংক্রমণের চিকিৎসায় একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কারটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল ফর বায়োলজিকাল ম্যাক্রোমলিকিউলসে।

    এইচএসপি ৭০ টার্গেট

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে (JNU), এইচএসপি ৭০ সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন এবং মানুষের এসিই২ রিসেপ্টরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে, যা ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, জ্বরের সময় এইচএসপি ৭০ এর মাত্রা বাড়ে এবং এই সংযোগকে স্থিতিশীল করে। ফলে ভাইরাসটি কোষে সহজেই প্রবেশ করতে পারে। এইচএসপি ৭০ ইনহিবিট করে তারা ল্যাব পরীক্ষায় ভাইরাসের প্রতিলিপি সম্পূর্ণরূপে থামাতে সক্ষম হন। অধ্যাপক শৈলজা সিং বলেন, “ম্যালেরিয়া পরজীবী বা সার্স-কোভ২ এর মতো রোগজীবাণু হোস্টের মেকানিজম ব্যবহার করে বেঁচে থাকে। এইচএসপি ৭০ টার্গেট করে আমরা তাদের প্রতিলিপি তৈরি করার ক্ষমতা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে (Big Discovery) লড়াই করার ক্ষমতা ব্যাহত করতে পারি।”

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    আবিষ্কারের গুরুত্ব প্রসঙ্গে অধ্যাপক রঙ্গনাথন বলেন, “বিশ্ব হয়ত কোভিড ১৯-কে পেছনে ফেলেছে। কিন্তু বিজ্ঞানী হিসেবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমাদের আবিষ্কার ভবিষ্যৎ মহামারির জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করতে পারে।” এইমসের ড. প্রমোদ গর্গ এবং পিএইচডি স্কলার প্রেরণা জোশি-সহ গবেষণার অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “এই গবেষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে একটি সর্বজনীন পদ্ধতি প্রদান করতে পারে (JNU)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pakistan: পাকিস্তানে প্রকাশ্যে ভাষণ দিচ্ছে জইশ প্রধান মাসুদ! দ্বিচারিতার অভিযোগ এনে কড়া হুঁশিয়ারি ভারতের

    Pakistan: পাকিস্তানে প্রকাশ্যে ভাষণ দিচ্ছে জইশ প্রধান মাসুদ! দ্বিচারিতার অভিযোগ এনে কড়া হুঁশিয়ারি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের রাস্তায় প্রকাশ্যে ভাষণ দিচ্ছে কান্দাহারে বিমান অপহরণকাণ্ড থেকে সংসদ ভবনে হামলা থেকে পুলওয়ামা হামলার মাথা জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার। সম্প্রতি এমনই কিছু রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ভারত। মাসুদ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সন্ত্রাসবাদী। তাঁকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার নেপথ্যে মাসুদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। ভারত বরাবরই অভিযোগ করেছে, মাসুদ গা ঢাকা দিয়ে আছে পাকিস্তানে। কিন্তু পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করেছে বার বার। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা রিপোর্ট যদি সত্য হয়, তবে তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের (Pakistan) ‘দ্বিচারিতা’ ফাঁস করল বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। সেই সঙ্গে মাসুদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছে তারা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Pakistan)

    সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা একটি রিপোর্টে দাবি, পাকিস্তানের (Pakistan) বাহাওয়ালপুর শহরে প্রকাশ্যে ভাষণ দিয়েছে জইশ প্রধান। এছাড়া পাক সরকার তাকে ‘পলাতক’ বলে ঘোষণা করলেও, গত মঙ্গলবার, জইশ পরিচালিত এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মাসুদ আজহারের একটি বক্তৃতা দেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ১৯২৪ সালে তুর্কি খিলাফতের বিলুপ্তি ঘটেছিল। তার শতবর্ষ উপলক্ষে ওই জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। আজহার সেখানে তার বক্তৃতায় ভারত ও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন করে জেহাদি অভিযান শুরুর প্রতিশ্রুতি দেয়। দাবি করে, এর থেকেই বিশ্বব্যাপী একটি নতুন ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। খিলাফত পুনরুদ্ধারের জন্য শ্রোতাদের সে তার নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। শ্রোতাদের করতালির মধ্যে, তাকে বারবার চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘ভারত, তোমার মৃত্যু আসন্ন’।

    আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশের স্কুল পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী!

    মাসুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানাল ভারত

    বিশ্বের তাবড় তদন্তকারী সংস্থা তাকে খুঁজছে। এই অবস্থায় কী করে পাকিস্তানের (Pakistan) রাস্তায় প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে সে প্রকাশ্যে ভাষণ দিল, সেই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। প্রশাসনের মদত ছাড়া তা সম্ভব কি না, তোলা হয়েছে সেই প্রশ্নও। শুক্রবার এ প্রসঙ্গে কড়া বিবৃতি দিয়েছে ভারতের (India) বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা ওর (মাসুদের) বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি। অবিলম্বে ওকে আইনের আওতায় এনে সাজা দেওয়া উচিত। মাসুদ যে পাকিস্তানে আছে, তা বার বার অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।” জয়সওয়াল আরও বলেন, ‘‘রিপোর্ট যদি সঠিক হয়, তবে তা নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের দ্বিচারিতার পর্দাফাঁস করল। মাসুদ ভারতের সীমান্তে একাধিক জঙ্গিহানা ঘটিয়েছে। আমরা তার শাস্তি চাই।”

    মাসুদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে?

    রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ২০১৯ সালের মে মাসে মাসুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত এবং তালিকাভুক্ত করা হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তাকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ভারত। ১৯৯৯ সালে কান্দাহারের ভারতীয় বিমান অপহরণকাণ্ড থেকে শুরু করে ভারতে ২০০১ সালের সংসদ হানা, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা জঙ্গিহানা, ২০১৬ সালের পাঠানকোট হামলা, ২০০১ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা চত্বরে জঙ্গি হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত এই মাসুদ। ১৯৯৪ সালে ভারত তাকে গ্রেফতারও করেছিল। কিন্তু ১৯৯৯ সালে তাকে মুক্ত করতে ভারতের একটি বিমান অপহরণ করা হয়। সেই সময়ে বন্দিদের বাঁচাতে মাসুদকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল নয়াদিল্লি। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি জইশ-ই-মহম্মদ নামের জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরি করে। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মুশারফের প্রাণনাশের চেষ্টা করেছিল মাসুদ আজহার। তার পর থেকে তাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iskcon Temple: এবার ঢাকার ইসকন মন্দিরে আগুন লাগাল মৌলবাদীরা, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি

    Iskcon Temple: এবার ঢাকার ইসকন মন্দিরে আগুন লাগাল মৌলবাদীরা, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া সন্ত্রাস চলছেই বাংলাদেশে। খোদ রাজধানী ঢাকায় ইসকনের (Iskcon Temple) আরও একটি মন্দিরে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। পেট্রোল বা অকটেন ব্যবহার করে লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। পুরো ঘটনা তুলে ধরে এক্স হ্য়ান্ডলে পোস্টও করেছেন রাধারমণ দাস।

    রাধারমণ দাসের ট্যুইট

    বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের ইসকনের মন্দিরে (Iskcon Temple) হামলার অভিযোগ এনে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছেন কলকাতায় ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস। তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে আরও একটি ইসকনের (Iskcon Temple) নামহাট্ট কেন্দ্র পুড়ে গেছে। শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ দেবতা এবং মন্দিরের ভিতরের সমস্ত জিনিসপত্র সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে। ইসকনের কেন্দ্রটি ঢাকায় অবস্থিত। ভোর ২-৩টের মধ্যে দুষ্কৃতীরা শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণের মন্দির এবং শ্রী শ্রী মহাভাগ্য লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করে। তুরাগ থানার আওতাধীন ধৌর গ্রামে অবস্থিত হরে কৃষ্ণ নামহট্ট সঙ্ঘের অধীনে পড়ে এই মন্দিরটি। মন্দিরের পিছনের টিনের ছাদ তুলে পেট্রল বা অকটেন ব্যবহার করে আগুন ধরানো হয়।’’

    সাংবাদিকদের কী বললেন রাধারমণ দাস? 

    বাংলাদেশে ফের ইসকনের (Iskcon Temple) মন্দিরে হামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে রাধারমন দাস বলেন, ‘‘রাতে ঢুকে পুড়িয়ে দিয়েছে। রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি পুড়িয়ে দিয়েছে। সব জিনিসপত্রে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। চতুর্থ ইসকনের মন্দির ভাঙা হল বাংলাদেশে। ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার দিন রাতেও আমাদের জগন্নাথ মন্দিরে বোমা মেরেছিল। এক সপ্তাহ আগে একটি নামহট্ট মন্দিরে হামলা হয়েছে। তিন চারদিন আগেও ওখানে মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর করেছে। এবার ঢাকায় আরও একটি মন্দিরে ঢুকে আগুন ধরাল। আমাদের ভক্তরা খুব আতঙ্কে আছে বাংলাদেশে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India and Italy: বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে উদ্যোগী ভারত ও ইটালি

    India and Italy: বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে উদ্যোগী ভারত ও ইটালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে উদ্যোগী ভারত ও ইটালি (India and Italy)। দুই দেশই একটি নয়া কটন রুট (Cotton Route) তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এই রুট ঐতিহাসিক সিল্ক রুটের পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। মুম্বইয়ে এই ঘোষণা করেন ইটালির বাণিজ্যমন্ত্রী অ্যাডলফো উরসো। তাঁর আশা, ইটালি ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠবে।

    প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (India and Italy)

    তিনি জানান, ইটালি তার প্রতিরক্ষা বাজেট ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা, ট্যাংক, সাবমেরিন এবং মহাকাশ প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উরসো বিশ্বাস করেন, ইটালির প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভারত সাহায্য করতে পারে। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই দুই দেশের মহাকাশ সংস্থাগুলোর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে (India and Italy)।

    মেইড ইন ইটালি

    ইটালির বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ইটালি মেইড ইন ইটালি ২০৩০ শিল্প পরিকল্পনা শুরু করছে, যা খাদ্য, ফ্যাশন এবং টেক্সটাইলের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রগুলিকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। নতুন ফোকাস এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস, এয়ারোস্পেস, মেরিন ইন্ডাস্ট্রি এবং উচ্চ-প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র। তিনি মনে করেন, এই খাতে ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।

    উরসো ভারতকে ইটালিয়ান কোম্পানিগুলির জন্য এশিয়ান বাজারে প্রবেশের একটি গেটওয়ে হিসেবে দেখেন। অন্যদিকে, ইটালি ইউরোপের বাজার লক্ষ্য করা ভারতীয় কোম্পানিগুলির জন্য একটি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। জানা গিয়েছে, গত বছর ভারত ও ইটালির মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইটালি ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাণিজ্য সহযোগী হওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে। এই প্রবৃদ্ধির জন্য লজিস্টিকস এবং বন্দর পরিকাঠামোর উন্নতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প অংশীদারিত্বের বিকাশও এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    প্রসঙ্গত, বর্তমান সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে ভারতের লোহা ও ইস্পাত শিল্পে ইটালির বিনিয়োগ। ভারতের মেশিন টুলস এবং কৃষি খাতে ইটালির বিনিয়োগও প্রবাহিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে মহাকাশ অনুসন্ধান এবং সামুদ্রিক শিল্পে (Cotton Route) সুযোগের প্রত্যাশাও করা হচ্ছে (India and Italy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: দুষ্কৃতীদের আখড়া বাংলাদেশ! ১৭৪ জন জঙ্গি মুক্তি পেয়েছে ইউনূসের চার মাসের রাজত্বে

    Bangladesh: দুষ্কৃতীদের আখড়া বাংলাদেশ! ১৭৪ জন জঙ্গি মুক্তি পেয়েছে ইউনূসের চার মাসের রাজত্বে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা সরকারের (Bangladesh) জমানায় ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়া হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রক্তক্ষয়ী অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের (Militant) গ্রেফতার করে জেলে ভরেছিল। আর ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর মৌলবাদীদের সঙ্গে জঙ্গিরাও হাত মিলিয়ে সংখ্যালঘু নিধনে নেমেছে। মহিলারা বাজারে বের হতে পারবে না বলে তালিবানি ফতোয়া জারি করছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসা থেকেই প্রকাশ্যে মিছিল, মিটিং করছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল তাহরির বলে অভিযোগ। সরকারের মধ্যেও এই জঙ্গিদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তারপর থেকেই খুন, রাহাজানি, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই এবং অপহরণের ঘটনা রোজই ঘটছে।

     চারমাসে ১৭৪ জন জঙ্গি জামিনে মুক্ত! (Bangladesh)

    ইউনূস সরকার ক্ষমতায় (Bangladesh) আসার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ। ক্রমাগত আক্রমণ নেমে আসছে হিন্দুদের ওপর। আতঙ্ক এবং অশান্তির মধ্যে জনজীবন বিপর্যস্ত। এই আবহে ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। সুতরাং ওপার বাংলার ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক স্তরে কতটা বাড়ল সেটা এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। এই বিষয়টি মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের ভালো লাগেনি। ব্রিটিশ সরকার যে নির্দেশিকা দিয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে, “জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশে”। এরপরই ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুককে ডেকে বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা ভিত্তিহীন। যদিও বাংলাদেশের কারা বিভাগের ডিজি জানান, ৮ অগাস্ট ইউনূস সরকার গঠন হওয়ার পরে চার মাসে ১১ জন শীর্ষস্থানীয় দুষ্কৃতী এবং ১৭৪ জন জঙ্গি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। আর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময়ে বিভিন্ন জেল ভেঙে বার করে নেওয়া বন্দিদের মধ্যে অন্তত ৭০০ জন এখনও ধরা পড়েনি। এদের বেশির ভাগই বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য।

    আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশের স্কুল পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী!

    পিঠ বাঁচাতে উগ্র ভারত-বিরোধিতা!

    বাংলাদেশের (Bangladesh) এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা বলেন, “এই সরকারের আমলে গণতন্ত্রের বদলে মবোক্রেসি চেপে বসেছে। ক্ষোভের প্রকাশ ঘটলে খুনের মামলা দেওয়া থেকে পিটিয়ে মারা হতে পারে বলে মানুষ বুঝতে পেরেছেন। সকলে এখন আতঙ্কিত। একজন নাগরিক হিসেবে আমিও নিজের নামটুকু প্রকাশ করার ঝুঁকি নিতে পারছি না।”  কলকাতায় আওয়ামি লিগের এক নেতা বলছেন, “সংখ্যালঘু নির্যাতন থেকে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে লাগাম টানা- কোনও কাজেই ইউনূস সরকারের উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছেন না বাংলাদেশের আমজনতা। এই পরিস্থিতিতে পিঠ বাঁচাতে উগ্র ভারত-বিরোধিতার পুরনো তাস ফের খেলেছে বর্তমান শাসকেরা।”

    জঙ্গিদের হাতে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র

    এই সরকারের (Bangladesh) জমানায় যে সাংবাদিকরাও নিরাপদ নন তার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। সাংবাদিক মারধর থেকে শুরু করে সরকারি পরিচয়পত্র এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ হারানো সবই ঘটেছে। গত তিন মাসে ৫০০-র বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাহাজানি, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনাও নৈমিত্তিক। পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলনের সময়ে তাদের থানা ও অস্ত্রাগার লুট এবং মোতায়েন পুলিশ ও কারারক্ষীদের হাত থেকে ছিনতাই করা হয়েছিল ৫৮২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং সাড়ে ৬ লক্ষের বেশি গোলাবারুদ। দেড় হাজারের বেশি মারণাস্ত্র ও প্রায় ২ লক্ষ গোলাগুলি এখনও উদ্ধার হয়নি। এর মধ্যে বিশেষ সুরক্ষা বাহিনীর ৩২টি অত্যাধুনিক ভারী অস্ত্রও রয়েছে। গোয়েন্দাদের খবর, এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র দুষ্কৃতীদের হাতে চলে গিয়েছে। জঙ্গি শক্তি তাদের কাছ থেকে এই অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করছে।

    সেনা পাহারায় জঙ্গি নেতাকে মুক্তি!

    ব্লগার হত্যার পাণ্ডা আনসারউল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-র শীর্ষ জঙ্গি জসিমুদ্দিন রাহমানিকে ইউনূস সরকার (Bangladesh) মুক্তি দিয়েছে। সেনা পাহারায় হুডখোলা গাড়িতে হাতমাইকে বক্তৃতা দিতে দিতে রাহমানির জেল থেকে বেরিয়ে আসার ছবি বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করার সাহস দেখিয়েছিল। ইতিমধ্যেই ইউনূস সরকারের রোষে পড়ে সরকারি পরিচয়পত্র এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ হারানো এক সাংবাদিক বলছেন, “অধিকাংশ মিডিয়া এত বড় খবরটি প্রকাশই করেনি সরকারপক্ষ অসন্তুষ্ট হতে পারে ভেবে। ছবি দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।” এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রকাশ্যে এসে মিছিল-সমাবেশ করছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেছে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর চাঁইয়েরা। সরকারের মধ্যেও এই জঙ্গিদের একাধিক কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক, সরব নেটিজেনরা

    ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বিএনপির (Bangladesh) একাংশ। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি একটি লাল শাড়িকে ভারতীয় শাড়ি দাবি করে ছুড়ে ফেলে বলেন, “স্ত্রীর কাছ থেকে চেয়ে এনেছি। পুরনো এই ভারতীয় শাড়িটি বয়কট করছি!” এক দল অনুগামী সঙ্গে সঙ্গে শাড়িটি কুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। রিজভির এই কাণ্ডের ভিডিও নীচে এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “ভারত থেকে চাল-ডাল, তেল, পেঁয়াজ, ডিম, মশলা না-এলে নেতাদের অসুবিধা হয় না। হয় আমাদের। পুরনো শাড়ি পুড়িয়ে বয়কটের নাটক জমছে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বধ্যভূমি বাংলাদেশ! নেত্রকোনায় হামলা কালী মন্দিরে, রাজশাহীতে হিন্দুর জমি জবরদখল

    Bangladesh: বধ্যভূমি বাংলাদেশ! নেত্রকোনায় হামলা কালী মন্দিরে, রাজশাহীতে হিন্দুর জমি জবরদখল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উগ্র জেহাদি মুসলমান (Jehadi Muslim) দুষ্কৃতীদের খপ্পরে বাংলাদেশ (Bangladesh)। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস এখন হিন্দু শূন্যে লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে জেলায় জেলায় হিন্দুদের উপর ব্যাপক অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ওই দেশে হিন্দু নাগরিকদের মানবাধিকার এবং বেঁচে থাকার অধিকার একেবারে নেই বললেই চলে। চট্টগ্রামে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে মিথ্যা মামালায় গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে চিন্ময়ের সহযোগীর মা চুমকিরানি দাসকে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়। শুক্রবার, সুনামগঞ্জে লোকনাথ মন্দির ভাঙা হয়। একই ভাবে ওই দিনেই রাজশাহীর সুপ্রিয় সরকার এবং তাঁর বোনের বসত বাড়ি জবর দখল করে জামাতিরা। সেইসঙ্গে নেত্রকোনায় কালী মন্দির ভাঙচুর করেছে মৌলবাদী মুসলিম দুষ্কৃতীরা। দিন যত এগোচ্ছে বাংলাদেশ হিন্দুদের জন্য বধ্যভূমিতে পরিণত হচ্ছে।

    পুড়িয়ে দেওয়া হয় কালী মন্দির (Bangladesh)!

    নেত্রকোনার (Bangladesh) সদর উপজেলার নসিবপুর গ্রামে ১০-১৫টি হিন্দু পরিবার বসবাস করেন। তাঁরা সেখানে কয়েক পুরুষ ধরে সেখানে রয়েছেন। এখানে একটি মা কালীর একটি বিগ্রহ ছিল। মন্দির নির্মাণ করে বহুদিন ধরে মায়ের পুজো করে আসছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে মন্দিরের একটা অংশ ভাঙা হয়েছে। মা কালীর মূর্তি ভাঙা হয়েছে। ঠাকুরের চুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ডাকিনী-যোগিনীর মূর্তিগুলিকেও ভাঙা হয়। অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের কাছে গেলে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই ভাবে হিন্দু এলাকায় ব্যাপক লুটপাট, ভাঙচুর এবং অত্যাচার চালাচ্ছে মুসলিম দুষ্কৃতীরা (Jehadi Muslim)।

    আমি হিন্দু বলে আমার কোনও জায়গা নেই?

    এক দিকে যেমন সনাতন জাগরণ মঞ্চের এক মহিলা নেত্রীকে বাড়িতে ঢুকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়, ঠিক অপর দিকে উগ্র মুসলমানদের (Jehadi Muslim) আক্রমণের শিকার হয়েছেন (Bangladesh) হিন্দু মহিলারাও। রাজশাহীতে দুই বোন থাকতেন পৈতৃক বাসভবনে। তাঁদের শেষ সম্বল ছিল এই বাড়ি এবং জমি। তাঁদের এই বাড়ি দখল করেছে মুসলমান দুষ্কৃতীরা। দুই বোনকে বেঁধে রেখে বাড়িতে থাকা একাধিক গাছ কেটে নেয় গুন্ডারা। দুই বোন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘ওরা বলেছে, মুসলিম কান্ট্রিতে হিন্দুর কোনও জায়গা নেই। আমি হিন্দু বলে আমার কোনও জায়গা নেই? একবার দখল করেছে। আবার এসেছে দখল করতে। এই দেখ সব মুখ বেঁধে বেঁধে এসেছে। এর আগে আমার মা একা বাড়িতে ছিল। বাড়িতে আমাদের মেরে দিয়ে সব দখল করে নিয়েছে।’’

    লোকনাথ মন্দির ভাঙচুর

    উল্লেখ্য সুনামগঞ্জের (Bangladesh) দোয়ারাবাজারের মংলারগাঁও ও মণিগাঁও পূর্বহাটি গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলাকে নিন্দা করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘গত ৩ ডিসেম্বর রাতে হিন্দুদের শতাধিক বাড়ি, দোকান-ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দোয়ারাবাজারে লোকনাথ মন্দিরে আক্রমণ করা হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। এই ঘটনায় সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত। অনেকেই ভয়ে সিলেট-সহ অন্যত্র চলে গিয়েছেন।’’ ইতিমধ্যে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশি মাইনরিটিস নামে একটি সংগঠন। ইউনূস এখন জামাত-বিএনপি-হিজবুল তাহেরির সঙ্গে সরকার চালাচ্ছেন। তাই হিন্দুদের নিয়ে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই, করছেন না কোনও পদক্ষেপ।

    চূড়ান্ত ভারত-বিদ্বেষীর পথে বাংলাদেশ

    হিন্দু নির্যাতনের খবর যত আসছে, তত আরও খবর আসছে পাকিস্তান (Jehadi Muslim) এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) সুমধুর সম্পর্কের। ৫২ সাল পর করাচি বন্দর থেকে সন্দেহজনক জাহাজ চট্টগ্রামে এসেছে। এখন থেকে পাকিস্তানের নাগরিক হলে বাংলাদেশের আসার ভিসা লাগবে না, সারসরি চলবে বিমান পরিষেবা। সেই সঙ্গে একাধিক সামরিক গোপন যুক্ত স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। আবার ভারতের অসমের ভূমিতে মন্দিরের চূড়া নির্মাণ করলে গুলি করবে বাংলাদেশের সেনা, এমন হুমকি দিয়েছে শুক্রবার। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত বারাবর তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ সেনা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টারা রোজ হুমকি দিচ্ছেন আমাদের বিজিবি প্রস্তুত। উল্লেখ্য, আসন্ন ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস উপলক্ষে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে বাংলাদেশের সেনা বা মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ক্ষীণ হচ্ছে ক্রমশ। ফলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সব সমীকরণ বদলে ফেলতে চাইছে পরিবর্তনের বাংলাদেশ। সঙ্কট যে আরও গভীর হতে চলেছে, তা অনেক বিশেষজ্ঞ মেনে নিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vikram Misri: ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, জানাল বিদেশ মন্ত্রক

    Vikram Misri: ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, জানাল বিদেশ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ (Bangladesh) সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে চলছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননাও হচ্ছে। গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তার জেরে তপ্ত বাংলাদেশ। এহেন আবহে পড়শি দেশে যাচ্ছেন বিক্রম। শুক্রবার বিক্রমের বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করা হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশমন্ত্রকের কার্যনির্বাহী সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিক্রম। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশ সচিব।

    কী বললেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র (Vikram Misri)

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আগামী ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন বিদেশ সচিব। তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য – ফরেন অফিস কনসালটেশন। বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার এটা আমাদের প্রয়াস।” তিনি বলেন, “সেখানে বাংলাদেশের বিদেশ সচিবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ জড়িত এমন সব ইস্যুতে আলোচনা হবে। শুধু বাংলাদেশের বিদেশ সচিবের সঙ্গে নয়, বিক্রম মিস্রি আরও একাধিক বৈঠক করবেন।” চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “চিন্ময় দাসের আইনি অধিকার নিশ্চিত করা হবে।” বিদেশ মন্ত্রকের আশা, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচার হবে।

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    তপ্ত আবহেই ঢাকা যাচ্ছেন বিক্রম

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তী কালে অভিযোগ ওঠে, আদালতে মামলা লড়ার সুযোগও পাননি চিন্ময়। তাঁর হয়ে যাঁরা মামলা লড়তে চেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকের (Vikram Misri) ওপর হামলা হয়েছে। হামলা হয়েছে চিন্ময়ের আইনজীবীর ওপরও। তাঁর হয়ে যাতে কোনও আইনজীবী সওয়াল না করেন, তা নিশ্চিত করতে রীতিমতো হুমকিও দেয় কট্টরপন্থীরা। যার জেরে চিন্ময়ের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলা মুলতুবি করে দেওয়া হয় এক মাসের জন্য। এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতের তরফে ইউনূস প্রশাসনের প্রতি বিশেষ বার্তাও পাঠানো হয়। এহেন আবহেই ঢাকা সফরে যাচ্ছেন (Bangladesh) ভারতের বিদেশ সচিব (Vikram Misri)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 212: “রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে, নূতন বাঘটা বললে, বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা..বনে চলে আয়”

    Ramakrishna 212: “রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে, নূতন বাঘটা বললে, বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা..বনে চলে আয়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে — ঠাকুর “অহেতুক কৃপাসিন্ধু”

    আহারের পর ঠাকুর একটু বিশ্রাম করিতেছেন। গাঢ় নিদ্রা নয়, তন্দ্রার ন্যায়। শ্রীযুক্ত মণিলাল মল্লিক (পুরাতন ব্রহ্মজ্ঞানী) আসিয়া ঠাকুরকে (Ramakrishna) প্রণাম করিলেন ও আসন গ্রহণ করিলেন। ঠাকুর তখনও শুইয়া আছেন। মণিলাল এক-একটি কথা কহিতেছেন। ঠাকুরের অর্ধনিদ্রা অর্ধজাগরণ অবস্থা। এক-একবার উত্তর দিতেছেন (Kathamrita)।

    মণিলাল—শিবনাথ নিত্যগোপালকে সুখ্যাতি করেন। বলেন, বেশ অবস্থা।

    ঠাকুর তখনও শুইয়া—চক্ষে যেন নিদ্রা আছে। জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “হাজরাকে ওরা কি বলে?” ঠাকুর উঠিয়া বসিলেন। মণিলালকে ভবনাথের ভক্তির কথা বলিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—আহা, তার কি ভাব! গান না করতে করতে চক্ষে জল আসে। হরিশকে দেখে একেবারে ভাব। বলে, এরা বেশ আছে। হরিশ বাড়ি ছেড়ে এখানে মাঝে মাঝে থাকে কিনা।

    মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “আচ্ছা ভক্তির কারণ কি? ভবনাথ এ-সব ছোকরার কেন উদ্দীপন হয়?”

    মাস্টার চুপ করিয়া আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কি জানো? মানুষ সব দেখতে একরকম, কিন্তু কারুর ভিতর ক্ষীরের পোর! যেমন পুলির ভিতর কলাইয়ের ডালের পোরও থাকতে পারে, ক্ষীরের পোরও থাকতে পারে, কিন্তু দেখতে একরকম। ঈশ্বর জানবার ইচ্ছা, তাঁর উপর প্রেমভক্তি — এরই নাম ক্ষীরের পোর।

    গুরুকৃপায় মুক্তি ও স্বরূপদর্শন—ঠাকুরের অভয়দান 

    এইবার ঠাকুর ভক্তদের অভয় দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)—কেউ কেউ মনে করে, আমার বুঝি জ্ঞানভক্তি হবে না, আমি বুঝি বদ্ধজীব। গুরুর কৃপা হলে কিছুই ভয় নাই। একটা ছাগলের পালে বাঘ পড়েছিল। লাফ দিতে গিয়ে, বাঘের প্রসব হয়ে ছানা হয়ে গেল। বাঘটা মরে গেল, ছানাটি ছাগলের সঙ্গে মানুষ হতে লাগল। তারাও ঘাস খায়, বাঘের ছানাও ঘাস খায়। তারাও “ভ্যা ভ্যা” করে, সেও “ভ্যা ভ্যা” করে (Kathamrita)। ক্রমে ছানাটা খুব বড় হল। একদিন ওই ছাগলের পালে আর-একটা বাঘ এসে পড়ল। সে ঘাসখেকো বাঘটাকে দেখে অবাক্‌! তখন দৌড়ে এসে তাকে ধরলে। সেটাও “ভ্যা ভ্যা” করতে লাগলে। তাকে টেনে হিঁচড়ে জলের কাছে নিয়ে গেল। বললে, “দেখ, জলের ভিতর তোর মুখ দেখ—ঠিক আমার মতো দেখ। আর এই নে খানিকটা মাংস—এইটে খা।” এই বলে তাকে জোর করে খাওয়াতে লাগল। সে কোন মতে খাবে না—“ভ্যা ভ্যা” করছিল। রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে। নূতন বাঘটা বললে, “এখন বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা; এখন আয় আমার সঙ্গে বনে চলে আয়।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share