Tag: bangla news

bangla news

  • INDI Block Rift: ফের প্রকাশ্যে ‘ইন্ডি’ জোটের ফাটল, কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গরহাজির তৃণমূল, সপা

    INDI Block Rift: ফের প্রকাশ্যে ‘ইন্ডি’ জোটের ফাটল, কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গরহাজির তৃণমূল, সপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটের (INDI Block Rift) বৈঠকে গরহাজির ছিল তৃণমূল। একবার নয়, দু’দু’বার। তখনই বোঝা গিয়েছিল ফের ফাটল ধরেছে ইন্ডি জোটে। আদানি ঘুষকাণ্ডে ফের একবার প্রকাশ্যে এল ইন্ডি জোটের অন্দরের কোন্দল। আদানি ঘুষকাণ্ডে মঙ্গলবার কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন যৌথ প্রতিবাদে যোগ দিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (TMC SP Skip)।

    বিজেপির কটাক্ষ (INDI Block Rift)

    এদিন ঘুষকাণ্ডের প্রতিবাদে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের বিভিন্ন শরিকদল। এই কর্মসূচিতে সামনের সারিতে ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হয়নি তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টি। ইন্ডি জোটের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টির অনুপস্থিতিকে বিরোধী জোটে ফাটল (INDI Block Rift) বলে দাবি করেছে পদ্ম পার্টি। রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কংগ্রেস যেখানেই যায়, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে।” ইন্ডি জোটের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আপনারা অবস্থাটা দেখুন। কখনও তৃণমূল থাকে না, তো কখনও আবার আম আদমি পার্টি থাকে না।”

    তৃণমূলের সাফাই

    ইন্ডি জোটের প্রতিবাদ সভায় গরহাজির থাকার (INDI Block Rift) প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল সাংসদ তথা লোকসভার উপদলনেতা কাকলি ঘোষদস্তিদারের সাফাই, “আমাদের দল সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি সংসদে তুলে ধরবে।” তিনি জানান, তৃণমূল চায় মসৃণভাবে সংসদের কাজ পরিচালিত হোক। কাকলি বলেন, “আমরা সংসদ অচল করতে চাই না। বিভিন্ন বিষয়ে ব্যর্থতার জন্য আমরা এই সরকারের জবাব চাই।”

    প্রসঙ্গত, সোমবার সংসদে কক্ষ সমন্বয় নিয়ে ইন্ডি জোটের বৈঠকেও যায়নি তৃণমূল। তার আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাসভবনে আয়োজিত ইন্ডি জোটের বৈঠকেও গরহাজির ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে শামিল হল না অখিলেশের দলও (INDI Block Rift)। এদিকে, সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা এদিন দেখা করেছেন লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে। সাম্ভাল ইস্যুতে আলোচনার (TMC SP Skip) জন্য অনুরোধও করেছেন। সমাজবাদী পার্টির নেতাদের মতে, আদানির বিষয়টি সাম্ভালের মতো বড় নয়। সাংসদ সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, “আমাদের কাছে আদানির চেয়ে কৃষকরা একটি বড় সমস্যা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘ছুরির ধারে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ’! হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে নিন্দার ঝড় ব্রিটিশ সংসদে

    Bangladesh: ‘ছুরির ধারে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ’! হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে নিন্দার ঝড় ব্রিটিশ সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন ব্রিটেনের সাংসদ প্রীতি প্যাটেল এবং ব্যারি গার্ডিনার। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গার্ডিনারের মন্তব্য যে, বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে তা ‘ছুরির ধারে’র ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবারই বসেছিল ব্রিটেনের সংসদ অধিবেশন। সেখানেই বক্তব্য রাখেন গার্ডিনার। নিজের বক্তব্যে তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সরকার, অথচ মন্দিরে যারা হামলা করছে তাদের ধরতে পারছে না ইউনূস প্রশাসন।

    মন্দিরে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি ইউনূস সরকার

    গার্ডিনার নিজের বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘যখন বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুরা, তখনই তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তাঁদের জামিন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কিন্তু মন্দিরগুলিতে যারা হামলা করছে, তাদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি ইউনূস সরকার।’’ এর পাশাপাশি বাংলাদেশের শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি জোরদার সওয়াল করেন ব্রিটিশ সংসদে। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি ছুরির ধারের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’

    সেক্রেটারি অফ স্টেট, ক্যাথরিন ওয়েস্টের বিবৃতি

    ব্রেইন্ড ওয়েস্টের এমপি তথা লেবার পার্টির নেতা ব্যারি গার্ডিনার ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রককে অনুরোধ জানান যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চলমান হামলার ওপর বিবৃতি দিতে। এরই জবাবে ব্রিটেনের কমনওয়েলথ বিষয়ক বিদেশসচিব ক্যাথরিন ওয়েস্ট আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ইতিমধ্যে বিষয়টি (সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা) জানানো হয়েছে। ক্যাথরিন আরও বলেন, ‘‘তারা (বাংলাদেশ সরকার) জানিয়েছে যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমর্থনেই তারা চলবে।’’ ক্যাথরিন ওয়েস্ট নিজের বক্তব্যে বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আমরা সম্পূর্ণভাবে আলোচনা করেছি এবং যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল বাংলাদেশি হিন্দুদের সুরক্ষা। কারণ ব্রিটিশ সরকার সবসময় মনে করে, ধর্মীয় স্বাধীনতা অধিকার প্রত্যেকের থাকা উচিত।’’ নিজের বক্তব্যে ক্যাথরিন ওয়েস্ট আরও বলেন, ‘‘ওই বৈঠকের সময়ে আমাকে ইউনূস সরকার আশ্বস্ত করেছিল, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্যতম প্রধান উৎসব, দুর্গাপুজোর আগে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যা সমস্যা হয়েছে তা মিটিয়ে নেওয়া হবে। আমরা তখন খুশি হয়েছিলাম ও লক্ষ্য করেছিলাম যে মণ্ডপ এবং হিন্দু মন্দিরগুলোতে সুরক্ষার জন্য বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা ছিল।’’

    হিন্দু সন্ন্যাসী গ্রেফতার উদ্বেগ প্রকাশ গার্ডিনারের (Attacks on Hindus)

    অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংসদে বক্তব্যের সময় লেবার পার্টির নেতা গার্ডিনার হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘‘একজন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন ইসকনের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘ইসকন হল হিন্দু ধর্মের একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম। আমাদের দেশেও অনেক ইসকনের ভক্ত রয়েছেন। আমার নির্বাচনী এলাকা উত্তর পশ্চিম মন্ডলের আশেপাশেও দেখা যায়।’’

    বাংলাদেশে (Bangladesh) প্রতিষ্ঠিত হোক আইনের শাসন

    তিনি (গার্ডিনার ) আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকারের উচিত সেদেশে আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠা করা এবং শান্তি-শৃঙ্খলাকে ফিরিয়ে আনা। আমরা এখন যা দেখছি তাতে বোঝা যাচ্ছে যে সেখানকার হিংসা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।’’ অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির এমপি প্রীতি প্যাটেলের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং গার্ডিনারের বক্তব্যকে সমর্থন করে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিংসা আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আমরা এখন তা লক্ষ্য করছি। আমরা দেখছি বাংলাদেশের মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।’’ একইসঙ্গে প্রীতি প্যাটেল ব্রিটিশ সরকারের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের জীবন রক্ষার অধিকার, হিংসা প্রতিরোধ— এ সমস্ত বিষয় নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের কী আলোচনা হয়েছে তার বিবরণ মন্ত্রী কি দেবেন?’’

    বাংলাদেশের ঘটনাবলীর ওপর নজর রাখছে ব্রিটিশ হাইকমিশন

    এর জবাবে ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, ‘‘বাংলাদেশে অবস্থিত আমাদের হাইকমিশন অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে এবং প্রতিটি ঘটনার উপরে গুরুত্বপূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যখনই ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় বিশ্বাস চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে, আমরা সেখানে সেই সমস্ত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অধিকারের পক্ষে সওয়াল করব।’’

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছেই, হল না চিন্ময় প্রভুর শুনানি

    প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে ছিল চিন্ময় প্রভুর মামলার শুনানি। সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর (Chinmoy Krishna Das) হয়ে সওয়াল করার কথা ছিল আইনজীবী রমেন রায়ের। কিন্তু তাঁর ওপর নৃশংস হামলা চালায় মৌলবাদীরা। বর্তমানে, সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে রমেন রায়। ফলে, আশঙ্কা ছিলই যে, আজ, মঙ্গলবার চিন্ময়ের হয়ে আদালতে সওয়াল কে করবেন? সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। প্রাণের ভয়ে কোনও আইনজীবী হিন্দু সন্ন্যাসীর হয়ে আদালতে সওয়াল করলেন না। এর ফলে পিছিয়ে গেল সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলা। মঙ্গলবার আদালত কী রায় দেয়, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন বিশ্বজুড়ে হিন্দুরা। কিন্তু এদিন কোনও আইনজীবী উপস্থিত না হওয়ায়, পিছিয়ে গেল সেই মামলা। আপাতত ১ মাস জেলেই থাকতে হবে (Bangladesh) সনাতনী সন্ন্যাসীকে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cigarettes Price Hike: সুখটানে পকেটে টান! বাড়তে পারে সিগারেটের দাম, দামী হতে পারে কোল্ড ড্রিঙ্কসও 

    Cigarettes Price Hike: সুখটানে পকেটে টান! বাড়তে পারে সিগারেটের দাম, দামী হতে পারে কোল্ড ড্রিঙ্কসও 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুখটানে পকেটে টান পড়তে চলেছে মধ্যবিত্তের। দাম বাড়ছে সিগারেট (Cigarettes Price Hike) সহ অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের। প্রায় ৩৫ শতাংশ দাম বাড়তে পারে সিগারেটের। কোপ পড়তে পারে বেশ কিছু পানীয়ের উপরেও। কারণ কোল্ড ড্রিঙ্কস, সিগারেট, তামাকজাত দ্রব্য-সহ শরীরের পক্ষে বিভিন্ন ক্ষতিকারক দ্রব্যের জিএসটি বাড়ানোর সুপারিশ করল মন্ত্রিগোষ্ঠী (GST Council)। আপাতত সেইসব দ্রব্যের উপরে ২৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়। সেটা বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

    কবে থেকে বাড়বে দাম

    সূত্রের খবর, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর নেতৃত্বে মন্ত্রিগোষ্ঠী যে সুপারিশ করেছে, তা নিয়ে আগামী ২১ ডিসেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করা হবে। জিএসটি বাড়ানো হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বাধীন কাউন্সিল (GST Council)। বর্তমানে সিগারেটের (Cigarettes Price Hike) উপর ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি লাগু আছে। এখন একলাফে জিএসটি ৩৫ শতাংশ বাড়লে, দাম বাড়বে অনেকটাই। বর্তমানে জিএসটি হার ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ, এই চারটি স্তরে রয়েছে। এবার নেশার দ্রব্যের উপর নতুন করে ৩৫ শতাংশ করকাঠামো আনা হতে পারে। মন্ত্রিগোষ্ঠীর তরফে মোট ১৪৮টি পন্যের উপর ট্যাক্স পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

    জিএসটি বাড়ছে কোথায় (GST Council)

    তামাকজাত পণ্যের দাম মূলত জিএসটির উপর নির্ভর করে। কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পর দেখা গিয়েছিল টোবাকো ট্যাক্স বাড়ানো হয়নি। ফলে কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে সিগারেটের দামের (Cigarettes Price Hike) কোনও পরিবর্তন হয়নি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জিএসটি হার যুক্ত করার জন্য জিএসটি পরিষদ গত ৯ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি করেছে। সোমবার সেই গোষ্ঠীর তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বেশ কিছু পানীয়, সিগারেট, তামাক এবং তামাকজাত পণ্যের (Cigarettes Price Hike) উপর ২৮ শতাংশ করের বদলে ৩৫ শতাংশ কর বসানো হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাইয়ের বাড়ির পাশেই থাকি’’! দাউদ-যোগ উস্কে দিল্লির দাবিতে সিলমোহর প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের

    জিএসটি কমছে কোথায়

    মন্ত্রিগোষ্ঠীর (GST Council) ওই বৈঠকে আরও বলা হয়েছে যে, প্যাকেটজাত পানীয় জলের (২০ লিটার বা তার বেশি) ক্ষেত্রে জিএসটি ১৮ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। ১০ হাজার টাকার কম দামের সাইকেলে জিএসটি ১২ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। ১৫ হাজার টাকার বেশি দামের জুতোতে জিএসটি ১৮  থেকে ২৮ শতাংশ করা হতে পারে। ২৫ হাজার টাকার বেশি দামি ঘড়ির উপর জিএসটি ১৮ থেকে বাড়িতে ২৮ শতাংশ করা হতে পারে। এছাড়াও, জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে জিএসটি কমানোর (GST Council) প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এখন বীমার প্রিমিয়ামের ওপর ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হয়। প্রবীণদের ক্ষেত্রে সেটাও সরে যেতে পারে বলে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Monk: “জীবন বাঁচাতে পরিচয় গোপন করুন”, বাংলাদেশে নির্যাতিত হিন্দু সন্ন্যাসীদের পরামর্শ ইসকনের

    Bangladesh Monk: “জীবন বাঁচাতে পরিচয় গোপন করুন”, বাংলাদেশে নির্যাতিত হিন্দু সন্ন্যাসীদের পরামর্শ ইসকনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘শান্তিতে’ নোবেল পেয়ে এখন ‘অশান্তির’ জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। গত ৫ অগাস্টের পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দুরা (Bangladesh Monk) নিপীড়নের শিকার হয়ে চলেছেন ওই দেশে। মঠ, মন্দির, মূর্তি, হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন আক্রমণ করছে কট্টর মুসলিম জেহাদিরা। ওই দেশে হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে পথে নেমে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস।

    অত্যাচার, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ-খুনের সবরকম সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে মৌলবাদীরা। কার্যত হিন্দু শূন্য করার ভয়াবহ চক্রান্ত চলেছে ওই দেশে। এই অবস্থায় কলকাতা ইসকনের (ISKCON) সহ সভাপতি রাধারমণ দাস বলেছেন, “জীবন বাঁচাতে আপনারা হিন্দু পরিচয় গোপন করুন। সন্ন্যাসীরা জীবন রক্ষা করতে পরিচয় আত্মগোপন করুন।” ফলে প্রশ্ন উঠছে এ কোন বাংলাদেশে পরিণত হল? বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্যসেন, প্রীতিলতা, কালীপদ মুখোপাধ্যায়, বিনয়-বাদল-দীনেশের জন্মভূমিতে আজ কারা রাজত্ব করছে?

    সন্ন্যাসীদের টার্গেট করে আক্রমণ করা হচ্ছে (Bangladesh Monk)

    কলকাতা ইসকনের (ISKCON) পক্ষ থেকে রাধারমণ দাস বলেছেন, “বাংলাদেশে ইসকন সন্ন্যাসীদের (Bangladesh Monk) এখন থেকে ধর্মীয় পরিচয়কে আত্মগোপন করে, এমন পোশাকই পরার কথা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গৈরিক পোশাক ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এখন থেকে গলার তুলসীর মালা লুকিয়ে রাখতে হবে। কপালে তিলক কাটা যাবে না। চন্দন কাঠের তিলক মুছে ফেলতে হবে। টাক মাথা এবং টিকি ঢাকতে মাথায় টুপি পরতে হবে। ভিক্ষা করতে গেলে বা প্রার্থনা করতে গেলে জপের মালা যেন প্রকাশ্যে না ব্যবহার করেন, সেই দিকে নজর দিতে হবে। মন্দিরের বাইরে গেলে হিন্দু পরিচয় জ্ঞাপক সব পরিচয়কে আত্মগোপন করতে হবে। মঠ থেকে বাইরে বের হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাংলাদেশে বিপজ্জনক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সন্ন্যাসীদের টার্গেট করে আক্রমণ করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুনঃ আইনজীবী আইসিইউতে, ‘ভয়ে’ দাঁড়ালেন না অন্য কেউ, আরও ১ মাস জেলে চিন্ময় প্রভু

    পুণ্ডরীক ধামকে টার্গেট করছে মুসলিমরা

    বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে চট্টগ্রাম এবং রংপুরে লক্ষ লক্ষ হিন্দুরা আট দফা দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল। তার মুখ্য নেতৃত্বে ছিলেন সনাতনী গুরু চিন্ময় কৃষ্ণ (Bangladesh Monk)। ইউনূস প্রশাসন আন্দোলনকে ভয় পেয়ে দ্রুত দমন করতে এই হিন্দু সন্ন্য়াসীকে গ্রেফতার করে। এরপর লাগাতার চট্টগ্রাম সহ নানা জেলায় হিন্দু নিধনের যজ্ঞ শুরু করে মুসলিম দুষ্কৃতীরা। মিথ্যা মামলা যেমন দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তেমনি হিন্দুদের হয়ে আইনজীবীরা পাশে দাঁড়ালে প্রাণঘাতী হামলাও চলছে প্রকাশ্যে। জেলে বন্দি চিন্ময় কৃষ্ণের জন্য খাবার নিয়ে গেলে দুই আরও সন্ন্যাসীকে গ্রেফতার করে ইউনূস প্রশাসন। এমনকী, চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামকে টার্গেট করে নানা ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকা সহ একাধিক জেলার হিন্দু যুবকদের নির্বিচারে গ্রেফতার চলছে এবং মোবাইল নিয়ে গিয়ে সনাতনী জাগরণ জোটের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা দেখা হচ্ছে। প্রচুর পরিমাণে মিথ্যা মামলা দিয়ে হিন্দুদের জনজীবনে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। দেশে আইন শৃঙ্খলা এবং শাসন বলে কিছু নেই।

    ইসলাম সংখ্যা গরিষ্ঠ রাষ্ট্র নিরাপদ নয়!

    মঙ্গলবার আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণের (Bangladesh Monk) জামিনের শুনানি ছিল। কিন্তু তার ঠিক একদিন আগেই এই তাঁর আইনজীবী রমেন রায়কে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। মৌলবাদী মুসলমানদের আঘাতে গুরুতর জখম হলে ওই আইনজীবীকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। হামলার পাশাপাশি বাড়িতে আক্রমণও করা হয় বাড়িতে। অপর দিকে ভয়ে দ্বিতীয় কোনও আইনজীবী প্রভুর পক্ষে আদালতে হাজির হননি। মামলা পিছিয়ে গিয়েছে ১ মাস। ইসলাম সংখ্যা গরিষ্ঠ রাষ্ট্রে এই ভাবে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় কলকাতা ইসকনের (ISKCON) পক্ষ থেকে ওই দেশের সন্ন্যাসী এবং হিন্দুদের নিয়ে অত্যন্ত চিন্তা-উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digital Arrest: জনমানসে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ স্ক্যাম! প্রতারণার জাল থেকে কীভাবে রক্ষা?

    Digital Arrest: জনমানসে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ স্ক্যাম! প্রতারণার জাল থেকে কীভাবে রক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’-এর (Digital Arrest) মাধ্যমে প্রতারণা করার প্রবণতা বাড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে প্রতারকরা সব কিছু পরিচালনা করে। নানা কৌশল প্রয়োগ করে কোটি কোটি টাকা সাধারণ মানুষের আত্মসাৎ করে নেয় প্রতারকরা। অনেক সময় সারা জীবনের উপার্জনের সমস্ত অর্থ হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।

    সাইবার জালিয়াতিতে দেশে কত টাকা খোয়া গিয়েছে? (Digital Arrest)

    বিদেশে বসে প্রতারকরা একের পর এক প্রতারণা করে চলেছে। পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে যে ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে, ভারত সাইবার জালিয়াতি করে ১,৭৭৭ কোটি টাকা প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ শতাংশ প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে মায়নমার, লাওস এবং কম্বোডিয়ায়। আর সাইবার ক্রাইমের মধ্যে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ (Digital Arrest) প্রতারকদের অন্যতম হাতিয়ার। আর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ১২০ কোটি টাকা হাতিয়েছে প্রতারকরা।

    আরও পড়ুন: দ্রুত নামবে পারদ! মাঝ-ডিসেম্বর থেকেই শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং, বলছে পূর্বাভাস

    ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ কী?

    ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ (Digital Arrest) আসলে একটা টার্ম। এতে সাইবার জালিয়াতরা অন্য একজনকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে তাঁর বাড়িতে বন্দি করে রাখে। এতে সাইবার প্রতারকরা ভিডিও কল করে। প্রতারকরা নিজের চারপাশের ব্যাকগ্রাউন্ডকে হুবহু থানার মতো করে নেয়। অথবা এটিকে কোনও এজেন্সির অফিসের মতো করে নেয়। এই সব দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। এরপর ওই ব্যক্তি ভয় পেয়ে প্রতারণাচক্রের জালে জড়িয়ে পড়েন। এর পরে এই সাইবার জালিয়াতিরা আপনাকে প্রতারণা করতে শুরু করে। আপনার থেকে নানা ভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যে আসা সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং উদ্বেগজনক কেলেঙ্কারিগুলির মধ্যে একটি হল এই ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’।

    ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ স্ক্যাম কীভাবে কাজ করে?

    সাধারণত, এই কেলেঙ্কারি (Digital Arrest) শুরু হয় পুলিশ, সিবিআই বা অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি- সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে জাহির করা একজনের কাছ থেকে একটি অযাচিত ফোন কল বা ভিডিও কলের মাধ্যমে। এসব প্রতারক তাদের ‘টার্গেট’ ব্যক্তিকে নানা কৌশল অবলম্বন করে ভয় দেখাতে শুরু করে। প্রতারকরা মিথ্যাভাবে দাবি করে যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আর্থিক জালিয়াতি, মাদক পাচার বা অর্থ পাচারের মতো উল্লেখযোগ্য অপরাধ করেছে। প্রতারিত হওয়া ব্যক্তি তাদের কথা না মানলে, প্রতারকরা (Scam) তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে তাড়াহুড়ো করতে শুরু করে। প্রতারকদের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হল প্রতারিতদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। স্ক্যামাররা প্রায়ই নিরাপত্তার জন্য দ্রুত টাকা দিতে বলে। প্রতারকরা তাদের প্রতারিত হওয়া ব্যক্তির মানসিক অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে, তাঁকে ভয় দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের সম্মানহানির আশঙ্কার কথা বলে তাঁদের আরও দুর্বল করে তোলে। বিনিময়ে বহু টাকা দাবি করে।

    কীভাবে আপনার টাকা পুনরুদ্ধার করবেন?

    ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ (Digital Arrest) জালিয়াতির কারণে হারানো অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ এই প্রতারণার শিকার হলে তাঁকে অবিলম্বে ১৯৩০ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানীয় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করার কথা বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে আদালতে পিটিশন করতে বলা হচ্ছে। অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পুলিশকে দিন। একইসঙ্গে আপনার আইনজীবীকে অবশ্যই পুলিশ রিপোর্ট এবং আপনার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টগুলি প্রমাণ হিসেবে দিন। আদালত একবার দাবিটি যাচাই করলে, তারা ব্যাংকগুলিকে প্রতারকদের ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টে থাকা আপনার অর্থ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে। তবে, আপনাকে রিফান্ডের পরিমাণের সমান একটি জামিন (সিওরটি) প্রদান করতে হবে, যা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালতে থাকবে। আর আপনি প্রয়োজনীয় জামিন প্রদান করতে ব্যর্থ হলে, আপনি তহবিল পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবেন না। প্রতারকরা যখন বিভিন্ন প্রতারিতদের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে একই অ্যাকাউন্টে রাখে, তখন ব্যাঙ্কগুলি আদালতের আদেশের ক্রম অনুসারে তহবিল ছেড়ে দেয়। আদালতের নির্দেশের মাধ্যমে প্রতারিতরা তাদের অর্থ পুনরুদ্ধার করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: লাভ জেহাদ ও ল্যান্ড জেহাদের বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ডে মহা পঞ্চায়েত সভা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Uttarakhand: লাভ জেহাদ ও ল্যান্ড জেহাদের বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ডে মহা পঞ্চায়েত সভা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত রবিবার, ১ ডিসেম্বর, বেশ কতগুলি হিন্দু সংগঠন মিলে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরাকাশিতে মহা পঞ্চায়েত সভার আয়োজন করে। এই সভার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয় দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ মসজিদ নির্মাণের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডে লাভ জেহাদ ও ল্যান্ড জেহাদের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হয়। ওই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন হায়দরাবাদের বিজেপি নেতা রাজা সিং।

    কী বললেন বক্তারা?

    সভায় রাজা সিং (T Raja Singh) বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ধামির উচিত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে একটি চায় পে চর্চা করার। কারণ যোগী আদিত্যনাথই ধামিকে বলতে পারতেন ঠিক কিভাবে ল্যান্ড জেহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। আমরা কখনও ল্যান্ড জেহাদকে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) প্রশ্রয় দেব না।’’ অন্যদিকে, গঙ্গোত্রির বিধায়ক সুরেশ সিং চৌহান সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবং তিনি বলেন, ‘‘কোথাও কোথাও এই শহরের ধর্মীয় পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তা সফলতা দেব না। এখানে কোনও রকমের মাংস, ডিম বা মদের দোকান আমরা তৈরি করতে দেব না।’’

    জেলা প্রশাসন শর্ত সাপেক্ষে সভার অনুমতি দেয় 

    প্রসঙ্গত মহা পঞ্চায়েতসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে জেলা প্রশাসন বেশ কিছু শর্ত চাপায় হিন্দু সংগঠনগুলির (Uttarakhand) ওপর। সেখানে বলা হয় যে এমন কিছু বক্তব্য রাখা যাবে না, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়। জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনটির আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং এই সম্মেলনে ৫০০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে উদ্যোক্তারা (Uttarakhand) আরও বড় মহাপঞ্চায়েত সভার করার বিষয়ে জানিয়েছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অনুজ ওয়ালিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা তো শুরু আমরা উত্তরাখণ্ড জুড়ে আরও সভা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: ‘প্রিমিয়ামের ওপর কর কমানোর সিদ্ধান্ত হলে বিমার খরচও কমবে’, বললেন সীতারামন

    Nirmala Sitharaman: ‘প্রিমিয়ামের ওপর কর কমানোর সিদ্ধান্ত হলে বিমার খরচও কমবে’, বললেন সীতারামন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জিএসটি পরিষদের (GST Council) বৈঠকে বিমার প্রিমিয়ামের ওপর কর কমানোর সিদ্ধান্ত হলে দেশে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমার খরচ কমবে।” সোমবার লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী?

    তিনি জানান, জিএসটি পরিষদ (GST Council) গত ৯ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে এজন্য মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি করেছে। সেখানে যদি পরিষদ কর কমানোর প্রস্তাব আসে, তা হলে খরচ কমার কথা। নির্মলা (Nirmala Sitharaman) বলেন, “প্রতিযোগিতাই খরচ কমানো নিশ্চিত করবে।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমার প্রিমিয়ামে জিএসটি বসে ১৮ শতাংশ। চলতি মাসের ২১ তারিখে রাজস্থানের জয়সলমিরে বৈঠকে বসতে চলেছে জিএসটি কাউন্সিল। ওই বৈঠকে জীবন বিমা ও স্বাস্থ্যবিমার ওপর জিএসটি কমানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।

    জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক (GST Council) 

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, “৯ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের সময় জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমার ওপর জিএসটির বিষয়টি সার্বিকভাবে খতিয়ে দেখতে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরির সুপারিশ করা হয়।” তিনি বলেন, “জীবন ও স্বাস্থ্যবিমার জিএসটি হার সংক্রান্ত বিষয়টি মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে পর্যালোচনার জন্য পড়ে রয়েছে। জিএসটি কাউন্সিল (GST Council) যদি বিমা প্রকল্পের জিএসটি হার কমানোর সুপারিশ করে, তা হলে বিমা গ্রাহকের প্রকল্প কেনার খরচ কমে যাবে।” নির্মলা (Nirmala Sitharaman) বলেন, “গ্রাহক টানতে বিভিন্ন বিমা সংস্থা প্রকল্পের ওপর প্রিমিয়ামের যে দর নির্ধারণ করবে, তা-ই সার্বিক ভাবে বিমার খরচ কমানোয় সহায়ক হবে।” তিনি বলেন, “বিমার প্রিমিয়ামের ওপর জিএসটি হার বসানো হয়। কাজেই জিএসটির (GST Council)  হার কমানো হলে তা সরাসরি বিমা গ্রাহকের উপকারে লাগবে।”

    আরও পড়ুন: “কেবল সংখ্যালঘু তোষণের চেষ্টা”, ওয়াকফ বিল নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা জগদম্বিকার

    অর্থমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের স্বাস্থ্য বিমা কেনা প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা ছিল ২.৮৬ লাখ। ২০২৩-২৪ সালে সেটা বেড়ে ৯.০৩ লাখ হয়েছে। সেই সময়ে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি (GST Council) খাতে সরকারের ঘরে এসেছে মোট ১৬ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা (Nirmala Sitharaman)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Drug Seized in Andaman: মাদক পাচারকারীরা যোগাযোগ রাখত মাস্কের স্টারলিঙ্ক দিয়ে! আন্দামান অভিযানে বড় দাবি পুলিশের

    Drug Seized in Andaman: মাদক পাচারকারীরা যোগাযোগ রাখত মাস্কের স্টারলিঙ্ক দিয়ে! আন্দামান অভিযানে বড় দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দামানে (Drug Seized in Andaman) মাছ ধরার ট্রলার থেকে সম্প্রতি ছ’হাজার কেজি নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। এত বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের ঘটনা বঙ্গোপসাগরে এর আগে কখনও ঘটেনি বলে দাবি আধিকারিকদের। আন্দামান পুলিশ জানিয়েছে ওই ট্রলার থেকে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট যোগাযোগ সরঞ্জাম এবং নেভিগেশন কোঅর্ডিনেট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই জাহাজে প্রায় ৬,০০০ কিলোগ্রাম মেথামফেটামিন পাওয়া গিয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩৬ হাজার কোটি টাকা। 

    আটক জাহাজে স্টারলিঙ্ক ডিভাইস

    ক্রাইম অ্যান্ড ইকোনমিক অফেন্স পুলিশ স্টেশন (C&EO) এবং ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনীর (ICG) যৌথ অভিযানে জাহাজটি আটক করা হয়। উদ্ধার করা জাহাজে স্টারলিঙ্ক ডিভাইস এবং রাঙ্গাট ও নীল দ্বীপের জন্য সংরক্ষিত জিপিএস কোঅর্ডিনেট ছিল। স্টারলিঙ্ক হল ইলন মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত সংস্থা। এটি দূরবর্তী সামুদ্রিক এলাকায় উচ্চ গতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। এই ডিভাসটিই মাদক পাচারকারীরা অবৈধ কার্যকলাপের জন্য কার্যকর করছিল বলে অনুমান পুলিশের। ওই ট্রলার থেকে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা সকলেই মায়ানমারের নাগরিক। ভারত এবং উপকূলবর্তী অন্য কয়েকটি দেশের উদ্দেশে মাদকবাহী ট্রলারটি আসছিল, বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।

    তদন্তে পুলিশ ও উপকূলরক্ষী বাহিনী

    ওই ট্রলারের ভিতরে ছোট ছোট প্যাকেটে মাদক রাখা ছিল। এই ধরনের তিন হাজার প্যাকেট মিলেছে। প্রতি প্যাকেটে অন্তত দু’কেজি করে মাদক ভরা ছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে ‘মেথাফেটামাইন’ নামের ওই মাদকের আনুমানিক দর ৩৬ হাজার কোটি টাকা। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে এই মাদক উদ্ধার (Drug Seized in Andaman) করা হয়েছে, জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা আধিকারিক। আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে ব্যারেন দ্বীপের কাছে ঘুরছিল ট্রলারটি। তাকে সতর্ক করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। ট্রলারের গতি কমাতে বলা হয়। সতর্ক করে দেওয়া হয় স্থলভাগের আধিকারিকদেরও। তার পরে ব্যারেন দ্বীপের কাছে গিয়ে ওই ট্রলারটিকে আটক করে তল্লাশি চালায় বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় মায়ানমারের নাগরিকদের। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাইয়ের বাড়ির পাশেই থাকি’’! দাউদ-যোগ উস্কে দিল্লির দাবিতে সিলমোহর প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের

    আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। তারা যৌথ ভাবে এই মাদক উদ্ধারের তদন্ত করছে। পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত, জয় ইয়ার সোয়ের অবস্থান মায়ানমার, তাইল্যান্ড এবং লাওসের সীমানার কাছের টাচিলিয়েক শহরে পাওয়া গিয়েছে। ওই জায়গাটি গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিত। মাদক পাচারের কেন্দ্র বলে পরিচিত ওই অঞ্চল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 208: “আলাপ কল্লে আমরা কি শেষে দ্বিচারিণী হব! আমাদের পীতধড়া, মোহনচূড়া-পরা সেই প্রাণবল্লভ কোথায়!”

    Ramakrishna 208: “আলাপ কল্লে আমরা কি শেষে দ্বিচারিণী হব! আমাদের পীতধড়া, মোহনচূড়া-পরা সেই প্রাণবল্লভ কোথায়!”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    মুক্তি ও ভক্তি—গোপীপ্রেম—গোপীরা মুক্তি চান নাই 

    “এই প্রেমাভক্তিতে দুটি জিনিস আছে। ‘অহংতা’ আর ‘মমতা’। যশোদা ভাবতেন, আমি না দেখলে গোপালকে কে দেখবে, তাহলে গোপালের অসুখ করবে। কৃষ্ণকে (Ramakrishna) ভগবান বলে যশোদার বোধ ছিল না। আর ‘মমতা’—আমার জ্ঞান, আমার গোপাল। উদ্ধব বললেন, ‘মা! তোমার কৃষ্ণ সাক্ষাৎ ভগবান, তিনি জগৎ চিন্তামণি। তিনি সামান্য নন।’ যশোদা বললেন (Kathamrita), ‘ওরে, তোদের চিন্তামণি নয়, আমার গোপাল কেমন আছে জিজ্ঞাসা করছি।—চিন্তামণি না, আমার গোপাল।’

    “গোপীদের কি নিষ্ঠা! মথুরায় দ্বারীকে অনেক কাকুতি-মিনতি করে সভায় ঢুকল। দ্বারী কৃষ্ণের কাছে তাদের লয়ে গেল। কিন্তু পাগড়ি-বাঁধা শ্রীকৃষ্ণকে দেখে তারা হেঁটমুখ হয়ে রইল। পরস্পর বলতে লাগল, ‘এ পাগড়ি-বাঁধা আবার কে! এঁর সঙ্গে আলাপ কল্লে আমরা কি শেষে দ্বিচারিণী হব! আমাদের পীতধড়া, মোহনচূড়া-পরা সেই প্রাণবল্লভ (Ramakrishna) কোথায়!’

    “দেখেছ, এদের কি নিষ্ঠা! বৃন্দাবনের ভাবই আলাদা। শুনেছি, দ্বারকার কাছে লোকেরা অর্জুনের কৃষ্ণকে পূজা করে। তারা রাধা চায় না।”

    গোপীদের নিষ্ঠা—জ্ঞানভক্তি ও প্রেমাভক্তি 

    ভক্ত—কোন্‌টি ভাল, জ্ঞানমিশ্রিতা ভক্তি, না প্রেমাভক্তি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বরে খুব ভালবাসা না হলে প্রেমাভক্তি হয় না। আর ‘আমার’ জ্ঞান। তিন বন্ধু বন দিয়ে যাচ্ছে, বাঘ এসে উপস্থিত। একজন বললে, “ভাই! আমরা সব মারা গেলুম!” একজন বললে, “কেন? মারা যাব কেন? এর ঈশ্বরকে ডাকি।” আর-একজন বললে (Kathamrita), “না, তাঁকে আর কষ্ট দিয়ে কি হবে? এস, এই গাছে উঠে পড়ি।”

    “যে লোকটি বললে, ‘আমরা মারা গেলুম’, সে জানে না যে ঈশ্বর রক্ষাকর্তা আছেন। যে বললে, ‘এস, আমার ঈশ্বরকে (Ramakrishna) ডাকি’, সে জ্ঞানী; তার বোধ আছে যে, ইশ্বর সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় সব করেছেন। আর যে বললে (Kathamrita), ‘তাঁকে কষ্ট দিয়ে কি হবে, এস, গাছে উঠি,’ তার ভিতরে প্রেম জন্মেছে, ভালবাসা জন্মেছে। তা প্রেমের স্বভাবই এই—আপনাকে বড় মনে করে, আর প্রেমের পাত্রকে ছোট মনে করে। পাছে তার কষ্ট হয়। কেবল এই ইচ্ছা যে, যাকে সে ভালবাসে তার পায়ে কাঁটাটি পর্যন্ত না ফোটে।”

    ঠাকুর (Ramakrishna) ও ভক্তদিগকে রাম উপরে লইয়া গিয়া নানাবিধ মিষ্টান্ন দিয়া সেবা করিলেন। ভক্তেরাও মহানন্দে প্রসাদ পাইলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JPC Chief Attacks Mamata: “কেবল সংখ্যালঘু তোষণের চেষ্টা”, ওয়াকফ বিল নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা জগদম্বিকার

    JPC Chief Attacks Mamata: “কেবল সংখ্যালঘু তোষণের চেষ্টা”, ওয়াকফ বিল নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা জগদম্বিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল সরকার কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এই বার্তা দিতে প্রস্তাব আনছে যে তারা পাশে রয়েছে। এটি সংখ্যালঘু তোষণের চেষ্টার বেশি কিছু নয়।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের (Waqf Bill) প্রস্তাবিত সংস্কার নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল (JPC Chief Attacks Mamata)।

    মমতা সরকারকে তোপ জগদম্বিকার

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রকে ‘অবজ্ঞা ও উপহাস’ করার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত আপত্তিকর পদক্ষেপ এবং গণতন্ত্রের বৃহত্তম মন্দিরের (সংসদ) কর্তৃত্বকে ছোট করার শামিল।” জেপিসি চেয়ারম্যান (JPC Chief Attacks Mamata) বলেন, “যখন জেপিসি ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা করছে, তখন মমতা সরকার এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনছে। তারা এর মাধ্যমে কী প্রমাণ করতে চায়? তাদের কি সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি কোনও শ্রদ্ধা নেই?” প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও বিলটি নিয়ে তাঁর মতামত দেওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে বিলটি জেপিসির বিবেচনাধীন। এই প্রস্তাব নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

    কটাক্ষ কল্যাণকেও

    জেপিসি চেয়ারম্যান জগদম্বিকা (JPC Chief Attacks Mamata) তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন। উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের জন্য কল্যাণকে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, যেখানে মুসলিম সম্প্রদায় নামাজ পড়বে, সেই জমি ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Bill) সম্পত্তি হয়ে যাবে। জনসমক্ষে বড় বড় কথা বলার পরিবর্তে তাঁর উচিত ছিল জেপিসি সভায় প্রস্তাব দেওয়া।”  

    আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা বাংলাদেশে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন রমেন রায়

    এদিকে, জেপিসি রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ওয়াকফ বোর্ডের ৪০ নম্বর ধারা ব্যবহার করে দাবি করা সম্পত্তির বিবরণ সরবরাহ করে তাদের। উল্লেখ্য, কোনও সম্পত্তি তাদের অধিকারভুক্ত কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ওয়াকফ বোর্ডকে দেয় ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা। এ প্রসঙ্গে জগদম্বিকা (JPC Chief Attacks Mamata) বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারগুলিকে বিস্তারিত তথ্য দিতে বলেছি। প্রয়োজনে আমরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্য সচিব বা সংখ্যালঘু বিভাগের সচিবকে তলব করব (Waqf Bill)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share