Tag: bangla news

bangla news

  • Amit Shah: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠিত হবে”, প্রত্যয়ী শাহ

    Amit Shah: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠিত হবে”, প্রত্যয়ী শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপির নির্বাসন শেষ হবে এবং বিজেপি সরকার গঠিত হবে।” মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে (Delhi Election) ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিজেপি। এই পর্বে দিল্লি শাসন করেছে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি। শেষ দু’বারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পারফরম্যান্স ছিল মোটামুটি। ৭০টি আসনের দিল্লি বিধানসভায় ক্ষমতায় আসে আপ। বিধানসভায় ফল খারাপ হলেও, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে ব্যাপক ভালো ফল করেছে পদ্ম শিবির। গত বছর সাতটি আসনেই জয়লাভ করেছে গেরুয়া পার্টি।

    কী বললেন শাহ

    শাহ বলেন, “আপ হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। তারা আন্না হাজারের দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছিল।” তিনি বলেন, “মিথ্যারও একটি আয়ু আছে। এখানে মিথ্যা বহুদিন ধরে চলছে। ১০ বছর হয়ে গেছে। জনগণ সব জানতে পেরেছে। তাই এবার পরিবর্তন আসবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “কিছু প্রতিশ্রুতি একই রকম হতে পারে। তারা সেগুলো পূরণ করেনি। কিন্তু জনগণ জানে যে মোদিজি সেগুলো পূরণ করবেন।” প্রসঙ্গত, ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এবার লড়াই হবে ত্রিমুখী। নির্বাচনী ময়দানে রয়েছে শাসক দল আপ, বিজেপি এবং কংগ্রেস।

    মদ কেলেঙ্কারিই বড় ইস্যু

    দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মদ কেলেঙ্কারিই বড় ইস্যু। ক্যাগ রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে আপকে নিশানা করেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, মদ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দিল্লিতে দুহাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাদের দাবি, টাকা ঢুকেছে আম আদমি পার্টির নেতাদের পকেটে। ক্যাগের লিক হওয়া রিপোর্ট পেশ করেছে বিজেপি। বিজেপি দিল্লি সরকারের ওপর এক্সপার্ট প্যানেলের সুপারিশ না মানার অভিযোগও করেছে। বিজেপির দাবি, ক্যাগের রিপোর্টে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এসেছে। মদ কেলেঙ্কারিতে সরকারি তহবিলের ২০২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে (Amit Shah)। বিজেপির দাবি, পলিসি লাগু করতেও ব্যর্থ হয়েছে (Delhi Election) আপ। আপ নেতাদের পকেটে মোটা টাকা ঘুষও ঢুকেছে।

  • Mahakumbh 2025: বুধে স্নান মৌনী অমাবস্যার, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানেন?

    Mahakumbh 2025: বুধে স্নান মৌনী অমাবস্যার, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মৌনী অমাবস্যা। ২৯ জানুয়ারির এই পুণ্য দিনে প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে অমৃতস্নান (Mauni Amavasya) করবেন (Mahakumbh 2025) ১০ কোটিরও বেশি ভক্ত। যেহেতু এদিন কয়েক কোটি ভক্তের সমাগম হবে, তাই ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। ভিড় ও যানবাহন ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষ একটি অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা চালু করেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভক্তদের জন্য নির্দিষ্ট পথ ও স্নানের ঘাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কিরণ আনন্দ বলেন, “সবচেয়ে বড় স্নান উৎসবের জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা যে সেক্টর বা অঞ্চলে স্নান করেছেন, সেখান থেকেই ফিরে যাবেন, এবং কঠোর নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল চলাচল নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    সুরক্ষা ব্যবস্থা

    ভিড় কমাতে তীর্থযাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট ঘাটে স্নান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কানপুরের তীর্থযাত্রীরা স্নান করবেন সংঘম নোজ ঘাটে। লখনউ ও অযোধ্যার তীর্থযাত্রীরা স্নান করবেন দশাশ্বমেধ ঘাটে। ভিড়ের পরিমাণ বাড়লে পুণ্যার্থীদের পাঠানো হবে নাগবাসুকি, রাসূলাবাদ এবং ফাফামাউ ঘাটে। বারাণসী, জৌনপুর, আজমগড় এবং গোরখপুরের তীর্থযাত্রীরা অমৃতস্নান করবেন ঐরাবত ও ত্রিবেণী ঘাটে। মির্জাপুর এবং মধ্যপ্রদেশের তীর্থযাত্রীরা ডুব দেবেন আরাইল ত্রিবেণী পুষ্পের কাছাকাছি ঘাটে। এখানে সংঘমের দিকে যাওয়ার জন্য গতিবিধি সীমাবদ্ধ থাকবে। স্নান শেষে ভক্তরা (Mauni Amavasya) যাতে তাদের নির্ধারিত অঞ্চলে ফিরে যেতে পারেন, তাই সংঘম নোজের কাছাকাছি আন্তঃঅঞ্চল ভ্রমণ বন্ধ রাখা হবে (Mahakumbh 2025)।

    আখড়ার সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্য ব্যবস্থা

    কেবল পুণ্যার্থী নন, মহাকুম্ভের বিভিন্ন আখড়ার সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্যও নির্ধারিত হয়েছে স্নানের ঘাট। ১৩টি আখড়ার অমৃতস্নানের পথও নির্ধারণ করা হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী ত্রিবেণী পন্টুন ব্রিজ অতিক্রম করবে আখড়াগুলি। আখড়াগুলির সাধুসন্তরা যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করতে পারেন, তাই ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করিডরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

    পুণ্যার্থীদের জন্য স্নানের ঘাটের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আরও কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জল পুলিশ, এনডিআরএফ, এবং এসডিআরএফের উদ্ধার অভিযানের নৌকা ছাড়া অন্য কোনও নৌকার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষায় বসানো হয়েছে স্টিলের ব্যারিকেড। নিরাপত্তা জাল সহ মজবুত ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে অস্থায়ী আবাসন এবং হোল্ডিং এরিয়া স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কাউশাম্বী, প্রতাপগড় বা ভদোহিতে ভ্রমণ আপাতত বন্ধ করা হতে পারে (Mauni Amavasya)।

    উন্নত পরিকাঠামো

    তীর্থযাত্রীদের জন্য উন্নত পরিকাঠামোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ১২ কিমি দীর্ঘ স্নানের ঘাট উন্নত আলো, পরিচ্ছন্ন টয়লেট এবং পোশাক পরিবর্তনের ঘর তৈরি করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থার পাশাপাশি জরুরি অবস্থার জন্য খড় ও চটের বস্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মেলা কর্তৃপক্ষ মৌনী অমাবস্যায় অমৃতস্নানের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্নানের ক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে। মহানির্বাণী এবং অতল আখড়াগুলি প্রথমে স্নান প্রক্রিয়া শুরু করবে। প্রতিটি আখড়া নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে স্নান করবে। এই ক্রমটি শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ভক্তদের সুষ্ঠুভাবে স্নান করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছে। এই সময়সূচির জন্য সমস্ত আখড়ার সদস্যরা পবিত্র আচার-অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট সময় এবং জায়গা পাবেন। বৃহত্তর ভক্ত সমাবেশের নিরাপত্তা এবং সুবিধাও বজায় রাখা হবে। এই ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমে প্রয়াগরাজ একটি সুসজ্জিত এবং সুসংগঠিত মহাকুম্ভ স্নান উৎসব আয়োজন করতে প্রস্তুত (Mahakumbh 2025)।

    পূর্ণকুম্ভের যোগ

    প্রতি ১২ বছর অন্তর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণ কুম্ভ শেষে হয় একটি মহাকুম্ভ। অর্থাৎ মহাকুম্ভের এই যোগ আবার আসবে ১৪৪ বছর পরে। সেই কারণেই এবার কুম্ভস্নান করবেন অন্তত ৪০ কোটি মানুষ। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও ভক্তরা আসছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুব দিতে। এবার প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে অমৃতস্নানের যোগ মোট ৬টি। এর মধ্যে হয়ে গিয়েছে তিনটি স্নান। বুধবার হবে মৌনী অমাবস্যার স্নান। ৩ ফেব্রুয়ারি হবে বসন্ত পঞ্চমীর স্নান। আর এবারের মতো শেষ স্নান হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, এবার সব মিলিয়ে কুম্ভস্নান করবেন অন্তত ৪০ কোটি পুণ্যার্থী। ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ কোটি পুণ্যার্থী সেরে নিয়েছেন পুণ্যস্নান। বিজেপির বহু নেতা-মন্ত্রীও ডুব দিয়েছেন প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে (Mauni Amavasya)। হিন্দু ভোট কুড়োতে দেরিতে হলেও দিন দুই আগে কুম্ভস্নান করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। ৫ ফেব্রুয়ারি কুম্ভে ডুব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ১০ ফেব্রুয়ারি অমৃতস্নান (Mahakumbh 2025) করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

     

  • India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relation) বরফ। সীমান্ত সংঘাত-পর্ব এখন অতীত। উন্নতি হয়েছে ভারত-চিনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ায়। তাই পাঁচ বছর পর ফের কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra) নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। হিন্দুদের কাছে কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা অতি পবিত্র একটি তীর্থযাত্রা। এই তীর্থযাত্রা নিয়ে আগে থেকে যে চুক্তি রয়েছে দুই দেশের মধ্যে, সেই অনুযায়ীই সব কিছু হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। কেবল এই তীর্থযাত্রা নয়, ভারত ও চিনের মধ্যে ফের সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়েও একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

     

    বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক (India China Relation)

     

    সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। দুদিনের ওই বৈঠকে যোগ দিতে বেজিং গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। ওই বৈঠকেই দুই দেশ একাধিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে খবর। গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক হয়। তারই রেশ ধরে আলোচনা হয় বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। সেই বৈঠকেই কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে পড়শি দুই দেশ।

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান (India China Relation)। হিন্দুদের বিশ্বাস, কৈলাশ পর্বত ভগবান শিবের বাসস্থান। আর মানস সরোবর সৃষ্টি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। বৌদ্ধদের কাছেও মানস সরোবর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান। ২০২০ সালে অতিমারির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা। সেই যাত্রাই ফের চালু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

    তীর্থযাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা ফের চালুর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। করোনা অতিমারি পর্বে এবং পরবর্তী কালে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে গত পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল (Kailash Mansarovar Yatra)। নতুন করে তা চালু করতে ফের উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশই (India China Relation)।

  • Mahakumbh 2025: “সনাতন ধর্ম হল ভারতের জাতীয় ধর্ম,” ঘোষণা যোগী আদিত্যনাথের

    Mahakumbh 2025: “সনাতন ধর্ম হল ভারতের জাতীয় ধর্ম,” ঘোষণা যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সনাতন ধর্ম শক্তিশালী হলে, দেশ শক্তিশালী হবে।” দিন দুয়েক আগে কথাগুলি বলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এবার সনাতন ধর্মকে তিনি ভারতের জাতীয় ধর্ম বলে ঘোষণা করে দিলেন।

    কী বললেন যোগী আদিত্যনাথ? (Mahakumbh 2025)

    রবিবার মহাকুম্ভ ২০২৫ উপলক্ষে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “সনাতন ধর্ম হল ভারতের জাতীয় ধর্ম। এটি মানবতার ধর্ম। পুজোর প্রক্রিয়া আলাদা হতে পারে। কিন্তু ধর্ম একটাই এবং সেই ধর্ম হল সনাতন ধর্ম। কুম্ভ সেই সনাতন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে।” তিনি বলেন, “১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে অমৃতস্নান করেছেন প্রায় ৬ কোটি ভক্ত।” তিনি বলেন, “এই ঐক্যের বার্তা মহাকুম্ভ দিয়েছে। এখানে কোনও বৈষম্য ছিল না। যারা সনাতন ধর্মের সমালোচনা করতেন, আমরা বলি, আসুন এটি দেখুন। ধৃতরাষ্ট্র হবেন না, নিজের চোখে এটি দেখুন।”

    মহাকুম্ভের বার্তা

    দিন দুয়েক আগে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “মহাকুম্ভের বার্তা হল একতা ও অখণ্ডতার বার্তা, এবং এটি বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত৷ মহাকুম্ভের অংশীদার সমস্ত সাধু, ভক্ত বা এমনকি পর্যটকরাও যদি ঐক্যের বার্তা এগিয়ে নিয়ে যান, তাহলে সনাতন ধর্মকে শক্তিশালী করা হবে এবং, যদি সনাতন ধর্ম শক্তিশালী হয়, তাহলে আমাদের দেশ শক্তিশালী হবে।”

    গত ১৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হয় মহাকুম্ভ উপলক্ষে মেলা। মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে অমৃতস্নানের দিন ৫টি। দুটি স্নান হয়ে গেলেও বাকি রয়েছে তিনটি। এগুলি হল, মৌনী অমাবস্যার স্নান, বসন্ত পঞ্চমীর স্নান এবং মহা শিবরাত্রির স্নান। ইতিমধ্যে প্রয়াগরাজের (Mahakumbh 2025) এই ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সেরেছেন ১২ কোটিরও বেশি মানুষ। যোগী প্রশাসনের আশা, এবার সব মিলিয়ে কুম্ভস্নান করবেন ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে কেবল দেশের লোকজনই নন, বিদেশ থেকেও দলে দলে আসছেন পর্যটক। কেউ পুণ্য লাভের (Yogi Adityanath) আশায়, কেউবা স্রেফ পর্যটক হিসেবে। মহা মিলনের এই মেলায় যেদিকেই চোখ যায়, শুধুই কালো মাথার সারি। আট থেকে আশি কে নেই ত্রিবেণী সঙ্গমের এই মেলায় (Mahakumbh 2025)!

  • UCC: কথা রাখলেন ধামি, উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    UCC: কথা রাখলেন ধামি, উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কার্যকর হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)। উত্তরাখণ্ডই দেশের প্রথম রাজ্য যেখানে লাগু হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। সোমবার দুপুরে ইউসিসি পোর্টালের উদ্বোধন করেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উত্তরাখণ্ড সফরের আগেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করে দিল ধামি সরকার।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)

    ২০২৫ সালের শুরুতেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি। এই বিধি অনুযায়ী, সব ধর্মের মানুষের জন্য জমি, সম্পত্তি, উত্তরাধিকার, বিয়ে এবং বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত এক ও অভিন্ন আইন প্রচলন হবে। উত্তরাখণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ইউসিসি পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এই অনুষ্ঠানের পরেই উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হয়ে গেল ইউসিসি (UCC)। এর পাশাপাশি, এবার থেকে উত্তরাখণ্ডে কোনও যুগল লিভ-ইন করতে চাইলে বাধ্যতামূলকভাবে অনুমতি নিতে হবে পুলিশ বা জেলা আধিকারিকের।

    মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা

    পোর্টাল উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২৭ জানুয়ারি রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির দিন হিসেবে পালিত হবে। ইউসিসি কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মুখ্যসচিব শত্রুঘ্ন সিং বলেন, বিধিটি কার্যকর করার জন্য বহু গবেষণা করা হয়েছে। কমিটির তিনজন সদস্য রাজ্যের প্রতিটি জেলা ঘুরে দেখেন। এরপর আইন কমিশনের রিপোর্ট-সহ বাকি রিপোর্ট পড়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরও মতামত নেওয়া হয়েছে (UCC)।

    ২০২২ সালে হয় উত্তরাখণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনে জয়ী হয় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন ধামি। তার পরেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ২৭ মে উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। বিধি কার্যকরের জন্য আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জনাপ্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে। গত বছর ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট দেয় সেই কমিটি। ৮ মার্চ বিধানসভায় পাশ হয় বিলটি। পরে পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। রাষ্ট্রপতির অনুমতি মিললে ১৩ মার্চ এ (Uttarakhand) ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে উত্তরাখণ্ড সরকার (UCC)।

     

  • Jyothi Yarraji: জাতীয় রেকর্ড জ্যোতির, ফ্রান্সের মাটিতে ৬০ মিটার হার্ডলে সোনা ভারতের মেয়ের

    Jyothi Yarraji: জাতীয় রেকর্ড জ্যোতির, ফ্রান্সের মাটিতে ৬০ মিটার হার্ডলে সোনা ভারতের মেয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের রেকর্ড ভেঙে ৬০ মিটার হার্ডলে নতুন রেকর্ড গড়লেন জ্যোতি ইয়ারাজ্জি। ইউরোপের প্রতিযগিতায় সোনাও জিতে নিলেন এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ভারতের এই অ্যাথলিট। ফ্রান্সে নন্ত শহরে আয়োজিত এলিট ইন্ডোর মিটে মাত্র ৮.০৪ সেকেন্ড সময়ে ৬০ মিটার হার্ডল অতিক্রম করেছেন। ২৫ বছরের তরুণী অ্য়াথলিট এর আগে ৬০ মিটার হার্ডল অতিক্রম করার ক্ষেত্রে ৮.১২ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন।

     

    জ্যোতির রেকর্ড

    আগামী মার্চ মাসে চিনের নানজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওয়ার্ল্ড ইন্ডোর চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। সেখানে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ৭.৯৪ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে হার্ডল পূরণ করতে হবে। জ্যোতি সম্প্রতি কিছুদিন আগেই অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ইরানের তেহরানে ৮.১২ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে গত বছর এশিয়ান ইন্ডোর চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০ মিটার হার্ডলে সোনা জিতেছিলেন জ্যোতি। জাতীয় আউটডোর ১০০ মিটার হার্ডলেও ১২.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড ধরে রেখেছেন জ্যোতি। ১০০ মিটার হার্ডলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও ২০২৩ সালে এশিয়ান গেমসে ১২.৯১ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপো জিতেছিলেন।

     

    জ্যোতির লক্ষ্য

    ১৯৯৯ সালের ২৮ অগাস্ট জন্মগ্রহণ করেন জ্যোতি ইয়ারাজ্জি। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে বেড়ে ওঠা তাঁর। তাঁর বাবা সূর্যনারায়ণ ইয়ারাজ্জি একজন নিরাপত্তারক্ষী। আর তাঁর মা পোশায় একজন সাফাইকর্মী। বাবা মা শখ করে মেয়ের নাম রাখেন ‘জ্যোতি’। নিজের নামকে যথার্থ করে তুলেছেন জ্যোতি। ছোট থেকেই বেশ লম্বা তিনি। তাই স্কুল শিক্ষকের কথা শুনে হার্ডলস রেসিং শিখতে শুরু করেন। এখন তিনি ভারতের গর্ব। জ্যোতির এই সাফল্য ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার ফর্ম ও ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য এনে দেবে। তবে, জ্যোতির আশু লক্ষ্য ওয়ার্ল্ড ইন্ডোর চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করা।

  • Republic Day 2025: রচিত হল ইতিহাস, প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলওয়ামার ত্রাল, মাও-দূর্গে উড়ল তেরঙ্গা

    Republic Day 2025: রচিত হল ইতিহাস, প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলওয়ামার ত্রাল, মাও-দূর্গে উড়ল তেরঙ্গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবসে রচিত হল ইতিহাস। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথমবার জাতীয় পতাকা (National Flag) উড়ল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার ত্রালে। রবিবার সাধারণতন্ত্র দিবসে (Republic Day 2025) ত্রালের ট্রায়াল চকে উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। ‘ভারত মাতা কী জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় ত্রালের আকাশ-বাতাস। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তত হাজার খানেক মানুষ। এর সিংহভাগই তরুণ।

    তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি (Republic Day 2025)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি ঐক্যবদ্ধ ও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের আশা-আকাঙ্খা প্রকাশ করছে। এই ত্রাল এক সময় প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসত অশান্তির কারণে। এদিন সেখানেই মেঘমুক্ত আকাশে পতপত করে উড়তে থাকে ভারতের গর্বের প্রতীক তেরঙ্গা ঝান্ডা (Republic Day 2025)। রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের উদ্যোগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে উদযাপিত হয় সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিনের অনুষ্ঠান স্থানীয় সম্প্রদায় ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। নয়া কাশ্মীরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ।

    পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হন সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান। সেনা কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই ত্রালই সাক্ষী রইল দিন বদলের। প্রথমবার জাতীয় পতাকা উড়ল ত্রালের আকাশে।

    এদিন সন্ধেয় গান্ডারবল জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংগুলি সাজানো হয়েছিল তেরঙ্গা আলোকমালায় (Republic Day 2025)। গান্ডারবল মিনি সেক্রেটারিয়েট এবং দুদারহামা ব্রিজ জাতীয় পতাকার উজ্জ্বল রঙে রাঙানো হয়। লালচকের প্রতীকী ঘণ্টাঘরও ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তেরঙ্গা আলোয় সাজানো হয়েছিল (National Flag)।

    কী বললেন উপমুখ্যমন্ত্রী?

    জম্মু-কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর চৌধুরী শ্রীনগরের বখশি স্টেডিয়ামে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি বলেন, “এটি আমার জন্য গর্বের বিষয়। আজ আমি জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি আমায় এই বখশি স্টেডিয়ামে তেরঙ্গা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছেন। আমরা এই সংবিধানের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছি। বিশেষ মর্যাদার বিষয়ে, এটি আমাদের দাবি ছিল এবং চিরকাল থাকবে।”

    তেরঙ্গা উড়ল ছত্তিশগড়েও

    এই যদি জম্মু-কাশ্মীরের ছবিটা হয়, তাহলে প্রায় একই ছবি দেখা গিয়েছে একদা মাও- অধ্যুষিত ছত্তিশগড়েও। এদিন সেখানকার বিভিন্ন জায়গায়ও উড়েছে তেরঙ্গা ঝান্ডা। বিজাপুর, সুকমা, কাঁকের এবং নারায়ণপুর জেলার ২৬টি প্রান্তিক গ্রামে উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম এই সব এলাকায় উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা। ওই গ্রামগুলি এক সময় মাওবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।

    সুকমা জেলার তুমালপাড় গ্রামে, ৭৪তম ব্যাটালিয়নের সিআরপিএফের কমান্ড্যান্ট নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। এই গ্রামটি একসময় মাওবাদী বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ছিল। মাওবাদীদের দমন করে শিবির স্থাপন করে নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরেই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে (National Flag)।

    মাও ঘাঁটিতেই উড়ল জাতীয় পতাকা

    একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে, সুকমার গোমগুডা, দান্তেওয়াড়ার গোডামের ফুন্দারি এবং বিজাপুরের কোন্ডাপল্লি গ্রামেও (Republic Day 2025)। এক সময় এই গ্রামগুলিও মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। এই জায়গায়গুলিতেও এবারই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। এই গ্রামগুলিতে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রচুর গ্রামবাসী অংশ নেন। এই সব অঞ্চলে যখন মাওবাদীদের রমরমা ছিল, তখন স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কট করার কথা ঘোষণা করত মাওবাদীরা। বনপার্টির ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত্র গ্রামবাসীরা পালন করতে পারতেন না এই দুই জাতীয় উৎসব। মোদি জমানায় মাও দমনে কোমর বেঁধে নামে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মাওবাদীরা। সম্প্রতি ১৬ জন মাওবাদীকে নিকেশ করে নিরাপত্তাবাহিনী। তার পরেই এবার উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা (Republic Day 2025)।

    মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা

    এলাকার পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই রবিবার মাওবাদী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে তেরঙ্গা উত্তোলন হওয়ায় খুশি প্রকাশ করেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি বিকাশমান ছত্তিশগড়ের নতুন বস্তার, পরিবর্তিত বস্তার।” ট্যুইট-বার্তায় তিনি আরও বলেন, “আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের এই শুভ দিনে, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বিজাপুর, নারায়ণপুর, সুকমা এবং কাঁকেরের ২৬টি মাওবাদী-প্রভাবিত গ্রামে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হয়েছে। এটি এক অনন্য আনন্দ এবং আধ্যাত্মিক তৃপ্তির বিষয় (National Flag)। প্রজাতন্ত্র দিবস গর্বের সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে (Republic Day 2025)।”

  • Brahmos Export Deal: মাস্টারস্ট্রোক মোদির! ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ৩৮০০ কোটি টাকার ব্রহ্মোস চুক্তি ভারতের

    Brahmos Export Deal: মাস্টারস্ট্রোক মোদির! ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ৩৮০০ কোটি টাকার ব্রহ্মোস চুক্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জমানায় প্রতিরক্ষায় ভারত এখন শুধুমাত্র আত্মনির্ভর নয়। ভারত এখন প্রতিরক্ষা-রফতানিতেও বিশ্বে নিজের ছাপ ছাড়তে শুরু করে দিয়েছে। কারণ, ফিলিপিন্সের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও একটি দেশ থেকে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের (Brahmos Supersonic Cruise Missile) বিপুল বরাত পাচ্ছে মোদির ভারত (India Indonesia Missile Deal)। সূত্রের খবর, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ব্রহ্মোস চুক্তি (Brahmos Export Deal) নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। চুক্তির মূল্য, প্রায় ৩৮০০ কোটি টাকা বা ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার!

     

    বিমানবাহী রণতরী উৎপাদন নিয়ে আলোচনা

    রবিবার, প্রজাতন্ত্র দিবসে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো ভারতে আসেন প্রধান অতিথি হিসেবে। এই দিনেই, ভারতের থেকে বিমানবাহী রণতরী উৎপাদন নিয়ে সহযোগিতার বিষয়ে জোর ইচ্ছাপ্রকাশ করে জাকার্তা (Brahmos Export Deal)। দুদেশের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের মধ্যে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত হল বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের তালিকায়, যাদের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করার। ইন্দোনেশিয়া এখন ভারতের থেকে এই বিষয়ে সহযোগিতা চাইছে। আর সোমবার এল বড় সুখবর। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারত থেকে সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল কেনার চুক্তি (Brahmos Export Deal) কার্যত পাকা করে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। শোনা যাচ্ছে, চুক্তিকে আরও আকর্ষণীয় করতে, ইন্দোনেশিয়াকে ‘লাইন অফ ক্রেডিট’ দিতেও রাজি নয়াদিল্লি (India Indonesia Missile Deal)।

     

    ব্রহ্মোস কেনার পাকা-কথা

    ২০২০ সালে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারত সফরে এসে ব্রহ্মোস মিসাইল কেনার বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করেছিলেন। দীর্ঘ চার বছরের আলোচনার ফসল ফলছে এখন। সূত্রের খবর, ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধান মহম্মদ আলি সম্প্রতি ব্রহ্মোস এরোস্পেসের সদর দফতরে গিয়ে সংস্থার সিইও জয়তীর্থ জোশির সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Brahmos Export Deal)। সেই সময়ই নাকি ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি দলকে ব্রহ্মোসের যাবতীয় শক্তি ও ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত করেন ব্রহ্মোস প্রধান (India Indonesia Missile Deal)। এর আগে, ভারতের থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চুক্তি সই করেছিল ফিলিপিন্স। সেই প্রথম ভারতে তৈরি অস্ত্র বিদেশে রফতানি করা হয়।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করল আমেরিকা, ট্রাম্পের নির্দেশে বিপাকে ইউনূস

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করল আমেরিকা, ট্রাম্পের নির্দেশে বিপাকে ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরতেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ইউনূসের বাংলাদেশ। গতকালই একটি তালিকা প্রকাশ করে বিশ্বের একাধিক দেশে যে ত্রাণ পাঠিয়ে থাকে আমেরিকা, তা বন্ধের ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সদ্য় নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই তালিকায় নাম বাংলাদেশেরও। আমেরিকার থেকে আগামী ৯০ দিনের জন্য আর কোনও রকম সাহায্য পাবে না ইউনূসের সরকার। ফলে আমেরিকার টাকায় যেসব কাজ বাংলাদেশে চলছিল তা বন্ধ হতে বসেছে।

     

    সাহায্য বন্ধ কোন কোন খাতে

    মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির (USAID) অর্থায়নে বাংলাদেশে সব প্রকল্প ও কর্মসূচির ব্যয় অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউএসএআইডির বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক রিচার্ড বিষয় অ্যারন গত শনিবার সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সব স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠনের জন্য এ নির্দেশনামা জারি করে চিঠি দেন। এতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির আওতাধীন সকল প্রকল্প ও কর্মসূচির মার্কিন অংশের ব্যয় বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে পরিবেশ, শিক্ষা, কৃষকদের জন্য রোজগারে বিপুল অর্থসাহায্য করে আমেরিকা। পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার জন্য টাকা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার থেকে সেই সুবিধা আর পাবেন না মহম্মদ ইউনূসের সরকার।

     

    টালমাটাল বাংলাদেশ

    ইতিমধ্যেই ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশে তাদের সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। যার হাত ধরে আপাতত আর্থিক অনুদান ও ত্রাণবিলি ছাড়াও বাংলাদেশে আমেরিকার উন্নয়নমূলক সকল কাজে বাধ পড়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জানা গিয়েছে, গত বছর পালাবদলের পর দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিকে সামাল দিতে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলির কাছে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের আবেদন করেছিল ইউনূসের সরকার। যার মধ্যে ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের থেকে নিয়েছিল তারা। যা বাংলাদেশকে চারটি কিস্তিতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আইএমএফ। কিন্তু, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, এখনও পর্যন্ত আইএমএফ-এর চতুর্থ ও শেষ কিস্তির টাকা পায়নি ইউনূস সরকার। তার মধ্যে আবার হাত তুলে নিল আমেরিকা।

     

    আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্কে টান

    গত বছর, বাংলাদেশ- আমেরিকার সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে মার্কিন দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ‘ফরেইন অ্যাসিস্ট্যান্স ডট গভ’ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে ২০২১ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, ২০২২ সালে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালের ৪৯০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে দেশটি। রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যেই ছিল বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, ওই সাহায্য বন্ধ হওয়ার পর এবার স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়বে বাংলাদেশ।

     

    ট্রাম্প সরকার আসতেই চাপে ঢাকা

    অতীতে বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য কথা বলেছিল মহম্মদ ইউনূসের সরকার। মনে করা হচ্ছিল, মার্কিন নির্বাচনে জিতেই বাংলাদেশ সফরে আসবেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেডিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও নির্বাচনে উল্টে ফল হতেই আশঙ্কা বাড়ছিল বাংলাদেশে। কারণ, মার্কিন নির্বাচনের প্রচারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশে সব ধরনের আর্থিক সাহায্য় বন্ধ করলেন তিনি। এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ইউক্রেন (Ukraine) ছাড়াও অনেক দেশে আর্থিক সাহায্য় বন্ধ করে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন , আগামী ৯০ দিন কোনও দেশকে আর্থিক সাহায্য় দেবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা থেকে বিদেশে যে আর্থিক সাহায্য যাচ্ছে, তা তাঁর নীতি অনুসারে হচ্ছে কি না তা আগে দেখে নেবেন তিনি। একবার ছাড়পত্র পেলে তবেই ছাড়া হবে ফান্ড।

  • Maha Kumbh 2025: ‘অমৃত কুম্ভে’র সন্ধানে ‘বিলম্বিত’ স্নান অখিলেশের, কটাক্ষ বিজেপির

    Maha Kumbh 2025: ‘অমৃত কুম্ভে’র সন্ধানে ‘বিলম্বিত’ স্নান অখিলেশের, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুণে গুণে ১১টা ডুব দিলেন। প্রয়াগরাজে অখিলেশ যাদবের পুণ্যস্নানের সেই ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে সমাজবাদী পার্টি। রবিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। কুম্ভমেলা (Maha Kumbh 2025) শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। এতদিন পরে কুম্ভস্নান করায় অখিলেশকে নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম পার্টির মতে, অখিলেশের মহাকুম্ভে পা রাখার ঘটনা ‘রাজনৈতিক মোক্ষ’। প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রয়াগরাজে হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ।

    মিডিয়ার নজর কাড়ার চেষ্টা!

    হিন্দুদের বিশ্বাস, প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। যেহেতু এবার মহাকুম্ভ, তাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে জড়ো হয়েছেন প্রয়াগরাজে। ১ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সারবেন বিশ্বের ৭৩টি দেশের কূটনীতিকরা। ৫ ফেব্রুয়ারি স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর কুম্ভস্নানের আগে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সেরে মিডিয়ার ফোকাস হয়ে কৌশলে প্রচার সেরে ফেললেন অখিলেশ।

    বিলম্বিত বোধদয়

    কুম্ভস্নান শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই কুম্ভস্নান করেছেন ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। এক এক করে স্নান করেছেন বিজেপির নেতামন্ত্রীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি স্নান করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। বিরোধীদের কাউকে এতদিন কুম্ভস্নান করতে দেখা যায়নি। সেই রীতি ভেঙে প্রথম অমৃতস্নান সারলেন ইন্ডি জোটের নেতা অখিলেশ। এদিন কুম্ভস্নান (Maha Kumbh 2025) শেষে বাবা মুলায়ম সিং যাদবের মূর্তিতে মাল্যদান করেন অখিলেশ। পরে সাক্ষাৎ করেন কুম্ভমেলায় আগত পুণ্যার্থী ও সাধু-সন্তদের সঙ্গে। কুম্ভ-ডুব শেষে অখিলেশ বলেন, “সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভ মুহূর্তে সঙ্গমে ১১ ডুব দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। আজকের বিশেষ দিনে ভেদাভেদ ভুলে, সৌভ্রাতৃত্ব ও সহনশীলতাকে সঙ্গী করে দেশ গঠনের প্রতিজ্ঞা করা উচিত আমাদের।”

    বিজেপির কটাক্ষ

    অখিলেশের ‘বিলম্বিত’ কুম্ভস্নানকে কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ব্রজেশ পাঠক বলেন, “বেটার লেট দ্যান নেভার। আজ তিনি বিশ্বাসের ঢেউ প্রত্যক্ষ করলেন।” তিনি বলেন, “তাঁর অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। সনাতন সবার জন্য এবং এখানকার ব্যবস্থাপনাও চমৎকার (BJP)। তিনি নিজের চোখে দেখলেন, কীভাবে সারা বিশ্বের মানুষ এখানে জড়ো (Maha Kumbh 2025) হয়েছেন।”

    পদ্ম শিবিরের দাবি

    পদ্ম শিবিরের দাবি, মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) হল হিন্দু ঐক্যের এক বিরাট প্রদর্শন। হিন্দুদের এই একতা দেখে ভয় পেয়েছেন অখিলেশ যাবদ। যার জেরেই রাজনীতির মোক্ষলাভে কুম্ভে ডুব দিয়েছেন তিনি। উদ্দেশ্য, হিন্দু ভোট নিজের দিকে টানা। তবে সমাজবাদী পার্টির মাফিয়ারাজ ও তোষণের রাজনীতি আগেই দেখেছে উত্তরপ্রদেশ। তাই এই ডুবে বিশেষ কাজ হবে না।

    রাহুলের কুম্ভস্নান

    অখিলেশের কুম্ভস্নানের পরে কুম্ভ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। কংগ্রসের দাবি, প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নান করেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এবার (BJP) তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন রাহুলও। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কবে কুম্ভস্নানে যাবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, অমৃস্নানের এখনও তিনটি তিথি রয়েছে। একটি ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীর দিন, আর একটি ৪ ফেব্রুয়ারি মৌনী অমাবস্যা, এবং শেষ কুম্ভস্নান হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মোক্ষ লাভের আশায় বসন্ত পঞ্চমীর দিন পুণ্যস্নান সারতে পারেন রাহুল।

    কুম্ভে অমিত শাহ

    এদিকে, আজ, সোমবার প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নান করার কথা (Maha Kumbh 2025) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। পাঠক বলেন, “আমরা অমিত শাহজিকে স্বাগত জানাতে উত্তেজিত, যিনি দেশের যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করেছেন এবং উত্তরপ্রদেশের মানুষের মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা দেখিয়েছেন। ২৫ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।”

    সরকারি, বিবৃতি অনুযায়ী, শাহ প্রয়াগরাজে পৌঁছে অমৃতস্নান করবেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। তিনি বড়ে হনুমানজির মন্দির, অক্ষয়বট এবং জুনা আখড়া পরিদর্শন করবেন। সাধু-সন্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করবেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তাঁদের সঙ্গে। গুরু শরণানন্দজির আশ্রমেও যাওয়ার কথা তাঁর। শৃঙ্গেরি, পুরী এবং দ্বারকা থেকে (BJP) আগত শঙ্করাচার্য-সহ বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে (Maha Kumbh 2025) সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

LinkedIn
Share