Tag: bangla news

bangla news

  • Vastu Dosh: কী করে বুঝবেন বাড়িতে বাস্তুদোষ আছে কি না? রইল সমাধানের টিপস

    Vastu Dosh: কী করে বুঝবেন বাড়িতে বাস্তুদোষ আছে কি না? রইল সমাধানের টিপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে বাস্তু (Vastu Dosh) ব্যবহার করলে পরিবারের সদস্যদের উন্নতি হয় এবং মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে বাড়িতে বাস্ত দোষ থাকলে পরিবারের সদস্যদের জীবনে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই, হিন্দু ধর্মে বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বাস্তুশাস্ত্র হল একটি প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্য এবং নকশা প্রণালী, যার লক্ষ্য বাসস্থান এবং কাজের স্থানগুলির মধ্যে শক্তি প্রবাহকে সামঞ্জস্য এবং ভারসাম্য করা। আসুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক আপনার বাড়িতে বাস্ত দোষ আছে কি না। আর দোষ থাকলে কী করলে সেখান থেকে মুক্তি পাবেন।

    বাস্তু দোষের লক্ষণ (Vastu Dosh)

    বাস্তুশাস্ত্র (Vastu Dosh) অনুসারে যে বাড়িতে মানুষ বারবার যদি আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন বা আপনি না চাইলেও হঠাৎ করে অপ্রয়োজনীয় খরচ দেখা দেয়, তাহলে এর মানে হল আপনার বাড়িতে (Home) বাস্ত ত্রুটি রয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ির কোনও সদস্য যদি ক্রমাগত অসুস্থ থাকে এবং চিকিৎসা করেও সেরে না ওঠে, তাহলে এগুলো বাস্ত দোষের লক্ষণ। এমনকী, যে বাড়িতে বাস্ত দোষ আছে, সেখানে মানুষকে মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়। যদি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসার অবসান ঘটে এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বা তর্ক চলতে থাকে, তাহলে এর অর্থ হল বাড়িতে বাস্তু দোষ রয়েছে। সর্বদা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করা এবং এর কারণে ঘুমাতে না পারা বাস্ত ত্রুটি নির্দেশ করে। এছাড়া পরিবারের সদস্যরা সারাক্ষণ অলস বোধ করে। সারাদিন ফোন বা টিভিতে ব্যস্ত থাকে। আপনার মনে যদি বারবার নেতিবাচক চিন্তা আসে বা জীবন শেষ করার কথা ভাবছেন, তাহলে বাড়ির বাস্তু ঠিক নয়।

    বাস্তু দোষ সংশোধনের উপায়

    বাড়ির মূল দরজার দিকে নজর দিন। অনেক সময় বাড়ির মূল দরজা সঠিক দিকে না থাকার কারণে বাড়ির বাস্তু (Vastu Dosh) নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিদিন বাড়ির প্রধান গেটে হলুদ এবং কুমকুম দিয়ে একটি স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করুন। এতে নেতিবাচক শক্তি চলে যায় এবং বাস্তু দোষও দূর হয়। যদি পরিবারের লোকেদের মধ্যে ঝগড়া হয়, তবে ঘর মোছার সময়, জলে সামান্য নুন মিশিয়ে তারপর মুছুন। রান্নাঘরের অগ্নিকোণে একটি লাল বাল্ব রাখুন, এটি করলে সমস্ত অকল্যাণ দূর হয় এবং ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। যখন কোনও ব্যক্তির গ্রহের অবস্থানের অবনতি ঘটে, তখন নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ শুরু হয়, এমন পরিস্থিতিতেও অনেক ধরণের সমস্যায় পড়তে হয়। তাই, ঘর থেকে বাস্তু দোষ দূর করতে সময়ে সময়ে রামচরিতমানস বা সুন্দরকাণ্ড পাঠ করতে থাকুন। যদি বাড়ির কোনও জায়গায় বাস্তু দোষ তৈরি হয়, তবে প্রথমে একটি কপূরের পুরিয়া রাখুন। সেই কপূর শেষ হলে আরেকটি পুরিয়া রাখুন। এভাবে কপূরের পুরিয়া বদলাতে থাকলে বাস্তু দোষ থাকবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা। তৃণমূল জমানায় নানা প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মিথ্যা দাবি তুলে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই আবহে ফের একবার তথ্য দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তৃণমূলের মালিকরা বারেবারে বলে বিজেপির জমিদাররা ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা কর নিয়েছে। ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার নায্য পাওনা আটকে রেখেছে। ভারত সরকার ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ৬.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছে।’’

    কেন্দ্রের সুদের টাকায় মেলা-খেলা 

    তৃণমূল সরকারকে (West Bengal) তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘আসলে এরা আগে সেন্ট্রালের শেয়ার নিয়ে অ্যাকাউন্টে রেখে দিত। তার সুদের টাকায় খেলা-মেলা-দান-ভাতা এসব করতো। কেন্দ্র এটাকে আটকে দিয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল ডিসিপ্লিন চালু করেছে। যার মধ্যে এরা আসতে রাজি নয়। কারণ এটা তো আলাদা রাজ্য। এখানে আলাদা জাতীয় বাংলা সঙ্গীত রয়েছে, আলাদা পতাকা, আলাদা সংবিধান, পুজো-পার্বনের আলাদা নিয়ম।’’

    থমকে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প

    একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প মমতা সরকার বাংলায় চালু করেনি। এনিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি যে প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলির বাস্তবায়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মোদিজীর কাছ থেকে ৮২ লক্ষের কাছাকাছি শৌচালয় পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু, কে পেয়েছে শৌচালয় কেউ জানে না। বাংলায় ৮৩ লক্ষের বেশি পিএম কিষাণ পাচ্ছে না। কেন পাঠানো হচ্ছে না নাম? কেন সেন্ট্রাল স্কিমগুলি চালু হচ্ছে না? আপনার কার্ড বাইরে চলে না কিন্তু আপনি কেন আয়ুষ্মান ভারত অন্তত বাইরে চালু করছেন না? বিশ্বকর্মা যোজনা নিয়ে ডিএম-দের দিয়ে মিটিং করাচ্ছেন না। তার কোনও উত্তর নেই।’’

    বাংলা বঞ্চিত নয়, বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে  

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বেলডাঙার এক প্রধান একা ১৭টি বাড়ি নিয়েছেন। কাবিলপুরের প্রধান সাগরদিঘির একা আত্মীয়-স্বজন মিলে ৩৫টি বাড়ি নিয়েছেন। কারণ পঞ্চায়েত মন্ত্রী নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত। এরা বাইরে আছে এটাই আশ্চর্যের। এদের ভিতরে থাকার কথা। প্রত্যেকটা লোক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। বাংলা বঞ্চিত নয়। বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘‘আশা করব স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে চিন্ময়কৃষ্ণের’’, ঢাকাকে কড়া বার্তা দিল্লির

    Bangladesh: ‘‘আশা করব স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে চিন্ময়কৃষ্ণের’’, ঢাকাকে কড়া বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় ইউনূস সরকারের তীব্র নিন্দা করল দিল্লি। একই সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনি অধিকার সুরক্ষিত রাখার আবেদনও জানাল ঢাকার কাছে। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আশা করব চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে। তাঁর আইনি অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে।’’

    হিন্দুদের ওপর হামলা, চিন্তিত ভারত সরকার 

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই বাংলাদেশের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে। ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। আমরা লাগাতার বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যদি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও বৈঠকের কথা হয়, তাহলে তা জানানো হবে।’’

    বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি

    রণধীর জয়সওয়ালের (Randheer Jaiswal) মতে, ‘‘ভারতের অবস্থান খুব পরিষ্কার। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। নিরাপত্তার দায়িত্বও নিতে হবে।’’ তবে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে বাণিজ্য চলবে বলে জানিয়েছেন রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যে এখনই এর কোনও প্রভাব পড়ছে না। ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য যেমন চলছিল তেমনই চলবে।’’ উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বার বার সংখ্যালঘু এবং হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটতে থাকে।

    শুক্রবারই সংসদে বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রী

    শুক্রবারই বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে সংসদে লিখিত বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নিজের বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রত্যেকটি ঘটনার ওপরেই নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছে। হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের দোকান, ঘর, বাড়ি লুট করা হচ্ছে। মন্দিরগুলির ওপরে হামলা চালানো হচ্ছে এবং অন্যান্য ধর্মস্থলগুলিতেও হামলা চলছে।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সেখানকার সরকারের দায়িত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 205: “মহারাজ! আমাকে সসাগরা পৃথিবী দান করিয়াছ, অতএব ইহার ভিতর তোমার স্থান নাই”

    Ramakrishna 205: “মহারাজ! আমাকে সসাগরা পৃথিবী দান করিয়াছ, অতএব ইহার ভিতর তোমার স্থান নাই”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতায় ভক্তমন্দিরে — শ্রীযুক্ত রামচন্দ্র দত্তের বাড়ি কীর্তনানন্দে

    ঠাকুর (Ramakrishna) অধরের বাড়ি হইতে কলহান্তরিতা কীর্তন শ্রবণ করিয়া রামের বাড়ি আসিয়াছেন। সিমুলিয়া মধু রায়ের গলি।

    রামচন্দ্র ডাক্তারী শিক্ষা করিয়া ক্রমে মেডিক্যাল কলেজে সহকারী কেমিক্যাল এক্‌জামিনার হইয়াছিলেন ও Science Association-এ রসায়নশাস্ত্রের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি স্বোপার্জিত অর্থে বাড়িটি নির্মাণ করিয়াছেন। এ-স্থানে ঠাকুর কয়েকবার শুভাগমন করিয়াছিলেন, তাই ভক্তদের কাছে এটি আজ মহাতীর্থস্থান। রামচন্দ্র শ্রীগুরুর করুণাবলে বিদ্যার সংসার করিতে চেষ্টা করিতেন। ঠাকুর (Ramakrishna) দশমুখে রামের সুখ্যাতি করিতেন—বলিতেন (Kathamrita), রাম বাড়িতে ভক্তদের স্থান দেয়, কত সেবা করে, তাদের বাড়ি ভক্তদের একটি আড্ডা। নিত্যগোপাল, লাটু, তারক (শিবানন্দ), রামচন্দ্রের একরকম বাড়ির লোক হইয়া গিয়াছিলেন। তাঁহার সহিত অনেকদিন একসঙ্গে বাস করিয়াছিলেন। আর বাড়িতে ৺নারায়ণের নিত্য সেবা।

    রাম ঠাকুরকে (Ramakrishna) বৈশাখী পূর্ণিমার দিন—ফুলদোলের দিন—এই ভদ্রাসন বাটীতে পূজার্থে প্রথম লইয়া আসিবেন। প্রায় প্রতিবর্ষে ওই দিনে ঠাকুরকে লইয়া গিয়া ভক্তদের লইয়া মহোৎসব করিতেন। রামচন্দ্রের সন্তানপ্রতিম শিষ্যেরা এখনও অনেকে ওই দিনে উৎসব করেন।

    আজ রামের বাড়ি উৎসব! প্রভু আসিবেন। রাম শ্রীমদ্‌ভাগবত-কথামৃত তাঁহাকে শুনাইবার আয়োজন করিয়াছেন। ছোট উঠান কিন্তু তাহার ভিতরই কত পরিপাটি। বেদী রচনা হইয়াছে, তাহার উপর কথকঠাকুর উপবিষ্ট। রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা হইতেছে, এমন সময় বলরাম ও অধরের বাড়ি হইয়া ঠাকুর আসিয়া উপস্থিত। রামচন্দ্র আগুয়ান হইয়া ঠাকুরের পদধূলি মস্তকে গ্রহণ করিলেন (Kathamrita) ও তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে আসিয়া বেদীর সম্মুখে তাঁহার পূর্ব হইতে নির্দিষ্ট আসনে বসাইলেন। চতুর্দিকে ভক্তেরা। কাছে মাস্টার।

    রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ 

    রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা চলিতে লাগিল (Kathamrita)। বিশ্বামিত্র বলিলেন, “মহারাজ! আমাকে সসাগরা পৃথিবী দান করিয়াছ, অতএব ইহার ভিতর তোমার স্থান নাই। তবে ৺কাশীধামে তুমি থাকিতে পার। সে মহাদেবের স্থান। চল, তোমাকে, তোমার সহধর্মিণী শৈব্যা ও তোমার পুত্র সহিত সেখানে পৌঁছাইয়া দিই। সেইখানে গিয়া তুমি দক্ষিণা যোগাড় করিয়া দিবে।” এই বলিয়া রাজাকে লইয়া ভগবান বিশ্বামিত্র ৺কাশীধাম অভিমুখে যাত্রা করিলেন। কাশীতে পৌঁছিয়া সকলে ৺বিশ্বেশ্বর-দর্শন করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে বজরংবলির মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা, ডিজিকে ব্যবস্থা নিতে বলে টুইট করলেন শুভেন্দু

    Birbhum: বীরভূমে বজরংবলির মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা, ডিজিকে ব্যবস্থা নিতে বলে টুইট করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। যার জেরে উত্তাল ওপার বাংলা। সেই ঘটনার আঁচ পড়েছে এপারেও। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সনাতনীরা। এই আবহের মধ্যে এবার বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের ইন্দ্রগাছা মোড়ে একটি মন্দিরে হনুমান মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সিউড়ি থানার পুলিশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন মন্দিরের পুরোহিত? (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি-বোলপুর (Birbhum) রাস্তার ধারে ১০-১২ বছর আগে একটি হনুমান মন্দির গড়ে ওঠে। প্রতিদিন সেখানে নিয়ম করে পুজোও হয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা বজরংবলির মূর্তি ভাঙে। শুক্রবার সকালে পুরোহিত মন্দিরে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। মন্দিরের পুরোহিত মনোজ দাস বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানতে পারি। সকাল হতেই মন্দিরে ছুটে আসি। এসে দেখি মূর্তিটি দুষ্কৃতীরা ভেঙে দিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার খবর পেয়ে এদিন পুলিশ এসেছিল। সমস্ত বিষয়টি আমরা জানিয়েছি। আমরা অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।”

    সরব শুভেন্দু

    বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, রাজ্যটাকে বাংলাদেশ করার চেষ্টা চলছে। আমরা এসব হতে দেব না। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্য নেতৃত্বকে সমস্ত বিযয়টি জানানো হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি (Suvendu Adhikari) লেখেন, “বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ২ ব্লকের ইন্দ্রগাছা মোড়ে বজরংবলির মূর্তি ভাঙা হয়েছে। আমি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক।” জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, তাঁরা বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন। নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: মহাকাশে ভারতের প্রথম এআই ল্যাবরেটরি! ইসরোর নয়া পরিকল্পনা সম্পর্কে জানেন কি?

    ISRO: মহাকাশে ভারতের প্রথম এআই ল্যাবরেটরি! ইসরোর নয়া পরিকল্পনা সম্পর্কে জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ল্যাবরেটরি পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ইসরো। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (PSLV) দ্বারা প্রোবা-৩ মিশনটি মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। হায়দরাবাদ ভিত্তিক বেসকরকারি স্পেস প্রযুক্তি সংস্থা ‘টেকমি ২ স্পেস’ ভারতের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবরেটরি ‘মাই অরবিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার – টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর’ (MOI-TD) মহাকাশে পাঠাচ্ছে। ডিসেম্বরের ৪ তারিখেই এটি পিএসএলভি এক্স এল (PSLV-XL) রকেটে মহাকাশে পৌঁছবে। এই মিশন সফল হলে মহাকাশ গবেষণায় বিপ্লব আনতে সক্ষম হবে ভারত। এমওআই-টিডি(MOI-TD) প্ল্যাটফর্মটি মহাকাশে রিয়েল-টাইম ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে গবেষণা পদ্ধতিকে আরও উন্নত করবে।

    মহাকাশে এআই ল্যাব-এর সুবিধা

    বর্তমানে, স্যাটেলাইটের প্রাপ্ত ডেটার ৪০% পর্যন্ত মেঘলা আবহাওয়ার কারণে অকার্যকর হয়ে যায়, যার ফলে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ সময় লাগে। এআই ল্যাব মহাকাশে ডেটা প্রক্রিয়া করে দ্রুত এবং কম খরচে কার্যকরী তথ্য প্রদান করতে সক্ষম হবে। টেকমি২ স্পেসের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও রৌনক কুমার সামানট্রয় বলেন, ‘‘এই গবেষণা মহাকাশ বিজ্ঞানকে আরও উন্মুক্ত করবে।’’ তিনি মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও বিস্তৃত প্রবেশাধিকারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। মহাকাশে এই এআই গবেষণাগার ব্যবহারকারীরা ‘অরবিটল্যাব’ নামে একটি ওয়েব-বেসড কনসোলের মাধ্যমে স্যাটেলাইটের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারবেন। যা তাঁদেরকে পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ, বনভূমি উচ্ছেদ এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন শনাক্তকরণের মতো বিভিন্ন এআই মডেল আপলোড করার সুযোগ দেবে।

     এআই গবেষণাগারের গুরুত্ব

    ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছে এই মিশনটি “ইনস্পেস টেকনিক্যাল সেন্টার”-এর সমর্থনে তৈরি হয়েছে। যা ভারত সরকারের একটি সংস্থা। আমেদাবাদে অবস্থিত ইনস্পেস “মাই অরবিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার – টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর”-কে প্রস্তুত করেছে। তার ওপর সফল পরীক্ষাও করা হয়েছে। এআই অ্যাক্সিলারেটর, নমনীয় সৌর কোষ এবং উন্নত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে এই এআই গবেষণাগারে। এই মিশনটি শুধুমাত্র পৃথিবী থেকে মানুষের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বাড়াবে না, বরং ভবিষ্যতে মহাকাশ ভিত্তিক কম্পিউটিং প্রযুক্তির জন্য ভিত্তি স্থাপন করবে। এই প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যেই তার প্রথম গবেষণা অংশীদার, মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতীয় স্কুল শিক্ষার্থীদের একটি দলকে পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar case: আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা দিল সিবিআই, অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ-সহ ৫

    RG Kar case: আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা দিল সিবিআই, অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ-সহ ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আরজি কর (RG Kar case) হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল গত ৯ অগাস্ট। এবার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ৮৭ দিনের মাথায় তদন্তকারী অফিসারেরা আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন। মোট ১২৫ পাতার চার্জশিট ছিল। তার সঙ্গে আরও ৫০০ পাতার অতিরিক্ত নথি জমা করেছে তদন্তকারী সংস্থা। ফলে আরও বিপাকে সন্দীপ ঘোষ।

    আর্থিক অভিযোগ করেছিলেন সহকর্মীরা (RG Kar case)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে হাসপাতালে (RG Kar case) আর্থিক নয়-ছয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন ওই হাসাপাতলের সহকর্মীরাই। এদিন দুপুর ২টো ১৫ নাগাদ আদলাতে আসেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। সন্দীপ ঘোষ নিজের প্রভাব খাটিয়ে হাসপাতালে সবরকম বেআইনি কাজ করতেন। নিজের পছন্দের লোকজনকে টেন্ডার পাইয়ে দিতেন। ওষুধ, জৈব উপাদান-সহ নানা বিষয়ে তিনি বেআইনি কাজ করতেন। ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, মোবাইল, মেমরি কার্ড-সহ অন্তত ১৮টি ডিজিটাল ডিভাইসের ‘ক্লোনিং’ করা হয়েছে বলে দাবি সিবিআই-এর। সেগুলি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সমস্ত দুর্নীতির তথ্য এদিন তদন্তকারী অফিসাররা জমা করেন। সন্দীপের সঙ্গে আর বাকি যারা অভিযুক্ত তারা হল, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিং, আফসার আলি, আশিস পান্ডে।

    ২ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই

    চিকিৎসক তরুণীর মৃত দেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করে। তাঁকে ওই হাসপাতাল (RG Kar case) থেকে সরিয়ে মমতা সরকার ন্যাশেনাল মেডিক্যাল কেলেজে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করলে সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। পরে সরকার সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এরপর চিকিৎসক তরুণীকে হত্যার প্রমাণ লোপাটের গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার করে সিবিআই। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা পড়ায় বিরাট চাপের মুখে মমতা ঘনিষ্ঠ এই ডাক্তার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Leader: বাড়িতে মিলল তেজস্ক্রিয় ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’, সেনা নথি পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গ্রেফতার

    TMC Leader: বাড়িতে মিলল তেজস্ক্রিয় ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’, সেনা নথি পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রাণঘাতী তেজস্ক্রিয় মৌল। দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ির তৃণমূল নেতা (TMC Leader) ফ্রান্সিস এক্কার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’ নামে বহুমূল্য ওই তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক। দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত সন্দেহে নকশালবাড়ির (Naxalbari) বেলগাছি চা বাগান থেকে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল সেনাবাহিনী। শাসক দলের নেতার বাড়িতে এই ধরনের তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক কী করে এল তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কে এই ফ্রান্সিস? (TMC Leader)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলগাছি চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করতেন ধৃত তৃণমূল নেতা (TMC Leader) ফ্রান্সিসের স্ত্রী অমৃতা এক্কা। গত মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তিনি। অপ্রচলিত শক্তি বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর বাগানের কাজ ছেড়ে দেন অমৃতা। স্বামী ফ্রান্সিস স্ত্রীর সুবাদেই বাগানে থাকেন। সূত্রের খবর, নেপালে ফ্রান্সিসের যাতায়াত ছিল। সম্প্রতি তাঁর চালচলন-পোশাকে নাকি বড় পরিবর্তন হয়েছিল। যা চোখে পড়েছিল প্রতিবেশীদেরও। তবে, তিনি তৃণমূল নেতা হওয়ায় কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেননি।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    তিনদিন আগে আচমকা বাগানের চার্চ লাইনে ফ্রান্সিসের (TMC Leader) বাড়ির সামনে বেশ কিছু গাড়ির কনভয় এসে দাঁড়ানোয় সবাই চমকে ওঠেন। আপাদমন্তক ঢাকা ‘হ্যাজমাত স্যুট’ পরা বেশ কিছু লোকজন এবং প্রচুর পুলিশ দেখে কেউই আর এগিয়ে আসার সাহস পাননি। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে গোটা বাড়িতে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালায় সেনা ও এনডিআরএফ। বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নজরদারি করে পানিঘাটা ফাঁড়ির পুলিশ। অপারেশন শেষে উদ্ধার হওয়া সমস্ত সামগ্রী সহ ফ্রান্সিসকে নিয়ে চলে যায় সেনা। ভোরে তাঁকে পানিঘাটা ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কার্শিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, “সেনাবাহিনী ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আমাদের হাতে দিয়েছে। একটি অভিযোগও দায়ের করেছে। যে সমস্ত সরঞ্জাম ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি সেনাবাহিনী নিয়ে গিয়েছে।” তবে, এই ক্যালিফোর্নিয়াম এবং ডিআরডিও-র নথি আসল না নকল সেটা সেনাবাহিনী পরীক্ষার পরই বলতে পারবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    কী অভিযোগ রয়েছে?

    ফ্রান্সিসের (TMC Leader) বাড়ি থেকে রেডিওঅ্যাক্টিভ বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ ক্যালিফোর্নিয়াম (Californium) এবং প্রচুর ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (DRDO) প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে। দেশের নামীদামি বিজ্ঞানীরা এখানে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে বিভিন্ন গবেষণা করেন। সেই সমস্ত গবেষণাপত্র পাচারের অভিযোগ রয়েছে ফ্রান্সিসের বিরুদ্ধে। সেই নথি কীভাবে তাঁর হাতে এল, সেই চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। তবে, গবেষণাপত্রগুলি আসল না নকল তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না সেনা। সেনা সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক বাজারে মাত্র এক গ্রাম ক্যালিফোর্নিয়ামের মূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ডিআরডিও’র প্রচুর নথি এবং ক্যালিফোর্নিয়াম নামক রেডিওঅ্যাক্টিভ পদার্থ ভর্তি কনটেনার পাওয়া গিয়েছে ফ্রান্সিসের কাছে। মাস তিনেক আগে বিহার থেকেও এই ক্যালিফোর্নিয়াম সহ তিনজন ধরা পড়েছিল। এই চক্রের সঙ্গে ফ্রান্সিসের যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কী এই ক্যালিফোর্নিয়াম?

    সেনাকর্তারা বলছেন, “গবেষণাগারে কিউরিয়াম এবং আলফার মিশ্রণে ল্যাবরেটরিতে ক্যালিফোর্নিয়াম তৈরি করা হয়। এটা মানুষের দ্বারা তৈরি একটি সিন্থেটিক পদার্থ। আন্তর্জাতিক বাজারে যার এক গ্রামের দাম কয়েক কোটি টাকা। ভারতে সাধারণ মানুষের এই রেডিওঅ্যাক্টিভ ব্যবহার নিষিদ্ধ। মূলত নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে এগুলি ব্যবহৃত হয়।” এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্তা আরকে দাস। তিনি বলেন, “ক্যালিফোর্নিয়াম অত্যন্ত সেন্সিটিভ, ডেঞ্জারাস। একটা সাধারণ মানুষের (TMC Leader) বাড়িতে কীভাবে এল, সেই প্রশ্ন তো উঠবেই। এই রাসায়নিক খুব গোপনভাবে ব্যবহার হয়। এই ক্ষেত্রে নিরাপত্তার গাফিলতি সামনে আসছে। এটা দেশের জন্য চিন্তার বিষয়।”

    কী বললেন অর্জুন সিং?

    কয়েকদিন আগেই বিজেপি নেতা অর্জুন সিং দাবি করেছিলেন, রাশিয়া থেকে রাসায়নিক আনা হয়েছে তাঁকে খুন করার জন্য। এই ঘটনার পর ফের মুখ খুললেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “অসাধু চক্রের সঙ্গে যে তৃণমূলের (TMC Leader) যোগ আছে, সেই প্রমাণ আগেই মিলেছে। এবার সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Assembly: ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য’’, বিধানসভা বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা

    West Bengal Assembly: ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য’’, বিধানসভা বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা প্রশ্নে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) মুলতুবি প্রস্তাব আনলেন প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির দাবি, ভারতের মাটিতে স্বাধীনভাবে নিজের নিজের ধর্মচর্চা করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। সেই অধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের তরফে এটি করা হচ্ছে৷ শুক্রবার, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে মুলতুবি প্রস্তাব আলোচনার জন্য ওঠে। কিন্তু, আলোচনায় বিরোধী দলের কোনও সদস্যই প্রস্তাবটি পাঠ করার সুযোগ পাননি। এরপর হট্টোগোল শুরু হয়। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা বয়কট (BJP Walk Out) করেন বিজেপির বিধায়করা। 

    ধর্মাচরণে বাধা

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য়। এ ব্যাপারে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) আলোচনা চেয়েছিলাম। অথচ অধ্যক্ষ নিজেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন। গরিষ্ঠতা, দম্ভ, অহঙ্কার দিয়ে বিধানসভার মধ্যেও বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। বাধ্য হয়েই ওয়াকআউট।’’ এ ব্যাপারে অধ্যক্ষর প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা যায়নি। বুধবার রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে বলতে না দেওয়ার অভিযোগে বিধানসভা বয়কট করেছিলেন গেরুয়া বিধায়করা। আর শুক্রবার ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে’- অভিযোগে কক্ষে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, অশোক দিন্দা, দীপক বর্মণ একযোগে এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ১৪০ কোটি ভারতবাসীর গর্ব! বন্ধু অ্যালবানিজের সঙ্গে রোহিতদের দেখে খুশি মোদি

    ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ

    শুভেন্দুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বীরভূমের পুরন্দরপুরে বজরংবলীর মূর্তি ও মন্দির ভাঙা হয়েছে। এ ব্যাপারেই আলোচনা চাওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের ধর্মের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ ধারা বারেবারে লঙ্ঘিত হচ্ছে। যেমন ফালাকাটা, গার্ডেনরিচ, রাজাবাজার, নোদাখালি, বেলডাঙা- বিশেষ সম্প্রদায় হিন্দুদের অনুষ্ঠানে বাধা তৈরি করছে। অবিলম্বে এই জিনিস বন্ধ করা উচিত। অথচ রাজ্য এ বিষয়ে ব্যর্থ। সভায় এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানালে তা খারিজ করা হয়।’’ শুভেন্দু স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘শতাংশের হিসেব দেখলে সবচেয়ে বেশি ভোট আমরা হিন্দু জনগোষ্ঠী এবং জনজাতিদের পেয়েছি। আমরা যদি তাদের ধর্ম পালনে নিরাপত্তা দিতে না-পারি, তাদের কথা বিধানসভায় বলতে না-পারি, তাহলে কী মূল্য আছে আমাদের!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Unrest: ২ বছর ধরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনেছে ইসলামি ছাত্র শিবির, আইএসআই!

    Bangladesh Unrest: ২ বছর ধরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনেছে ইসলামি ছাত্র শিবির, আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের কবল থেকে ভারতের প্রত্যক্ষ মদতে স্বাধীনতা লাভ করেছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ৫২ বছর পর সেই বাংলাদেশে ভিড়ল পাকিস্তানের জাহাজ। পাকিস্তানের সেই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছয়। জাহাজে কী ছিল? জানা যায়নি স্পষ্ট করে। কিন্তু এরমধ্যে হাসিনার গণতান্ত্রিক সরকারকে ফেলে দিয়ে লুট হয়েছে গণভবন (Bangladesh Unrest)। আওয়ামি লিগকে বিতাড়িত করে, পেছনের দরজা দিয়ে গদিতে বসেছেন মহম্মদ ইউনূস (Muhammed Yunus)। দেশ এখন সম্পূর্ণ ভাবে জামাত-ই-ইসলামি এবং বিএনপি-র মতো কট্টর মৌলবাদী জেহাদিদের হাতে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার চলছে (Anti Hindu Conspiracy)। একই ভাবে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করার দৃষ্টান্ত নজরে এসেছে সামজিক মাধ্যমে। কীভাবে উপকারীর অপকার করতে হয় তার হয়ত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ইউনূস প্রশাসন। তবে, এটা আচমকা শুরু হয়নি। গত ২ বছর ধরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী (Anti Hindu Conspiracy) ও ভারত-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনে চলেছে কট্টর মৌলবাদী ইসলামি ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) এবং পাকিস্তানের আইএসআই (Pak ISI)। আসুন জেনে নিই কীভাবে এতকাণ্ড ঘটল।

    ষড়যন্ত্র শুরু হয় ২০২২ সালে

    বাংলাদেশে (Bangladesh Unrest) গভীর ষড়যন্ত্রের প্রথম শুরু হয় ২০২২ সালের একেবারে গোড়ায়। ইসলামিক ছাত্র শিবিরের (Islami Chhatra Shibir) নেতারা তখন ঘনঘন পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে লাগাতার বৈঠক হয়। সেখানেই আন্দোলন এবং পরিকল্পনার রোডম্যাপ তৈরি করা হয়। তবে তারা এক দিনের আন্দোলন নয়, দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের বিষয় স্থির করেছিল। যার প্রথম ধাপে ছিল বিপুল পরিমাণ মানুষকে ক্ষিপ্ত করে রাস্তায় নামানো (Bangladesh Unrest)। এরপর শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করানো। তারপর দ্বিতীয় ধাপে মহম্মদ ইউনূসকে তত্ত্বাবোধায়ক সরকার গঠনে নেতৃত্ব দেওয়া। কারণ ইউনূস এমন ব্যক্তি যিনি ইসালামি আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই কাজ করবেন। আইএসআই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বাংলাদেশে ইসলামকে সর্বাত্মক কার্যকর করতে হবে। কোনও সংখ্যালঘু (Anti Hindu Conspiracy) যেন আর না থাকে। অত্যাচার, নিপীড়ন, লুট, ধর্ষণ, খুনের বিরাট টার্গেট স্থির করা হয়। পাকিস্তানের মতো যেন বাংলাদেশ হিন্দু শূন্য হয়, এটাই পরিকল্পনা স্থির হয়েছিল। 

    আইএসআই-এর বিরাট ষড়যন্ত্র! (Anti Hindu Conspiracy)

    কার্যত এই পরিকল্পনার স্পষ্ট বাস্তবায়ন আমরা দেখেছি গত ৫ অগাস্টের পর থেকে। একে একে রংপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রামে হিন্দু মন্দির এবং বাড়ি-ঘরে কীভাবে হামলা হয়েছে (Bangladesh Unrest)। তবে আইএসআই ছাত্র শিবিরকে আশ্বাস দিয়েছিল, আন্দোলনে শোরগোল ফেলতে আরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে। তরুণ মুসলমান যুবকদের ভারত বিরোধী (Anti India Campaign) মগজ ধোলাই করতে সামজিক মাধ্যমে নানা উপকরণ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিকৃত তথ্য এবং বিভ্রান্ত খবরের জোগান দিয়ে যুব সমাজের মনকে আকর্ষণ করা হয়। প্রথমে সামজিক মাধ্যমে আবহকে উত্তপ্ত করা হয় এবং এরপর মাঠে-ময়দানে, রাস্তায়  ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করে নামানো হয় জনগণকে।

    ছাত্রদের মুখ করতে হবে

    আইএসআই খুব স্পষ্ট ভাবে নির্দেশ দিয়েছিল এই আন্দোলন যেন দেখতে সম্পূর্ণ ভাবে ছাত্র আন্দোলন হয়। ছাত্রদের সামনে রাখলে তবেই আন্দোলন বাস্তবায়ন হবে। উদ্দেশ্য সফল হবে। যে ছাত্র সমাজ কোটা-বিরোধী আন্দোলনে (Bangladesh Unrest) যোগদান করেছিল, তাদের একটা বড় অংশ আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল (Anti Hindu Conspiracy)। বিএনপি এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক রং দেয়। বিশ্বের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে ছাত্র আন্দোলনের নামে যে কোনও স্বার্থকে খুব সহজেই আদায় করা যায়। জামাত শিবির, ইসলামিক ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) এবং আইএসআই তাই এই বৃহৎ পরিকল্পনা করেছিল (Islami Chhatra Shibir Pak ISI Nexus)।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘লুট করা হচ্ছে হিন্দুদের দোকান-বাড়ি’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে বিবৃতি জয়শঙ্করের

    প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনা (Bangladesh Unrest)

    প্রায় দুই বছর ধরে ইসালামিক ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক জায়গায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। জামাতের এই ছাত্র সংগঠনের অনেক সদস্য পাকিস্তানের আইএসআই-এর দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়। তবে তারা নিজেরা রাস্তায় না নামলেও পরিকল্পিত ভাবে সাধারণ ছাত্র-জনতাকে রাস্তায় নামতে যুক্তি, কারণ এবং তথ্য প্রদানের কাজ করেছে। ফলে, আজকে বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি, তার জন্য আইএসআই ভীষণ ভাবে দায়ী। 

    ভারত বিদ্বেষী প্রচার 

    আইএসআই-এর কাছে হাসিনার সরকারকে টার্গেট করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঠিক হয় ভারত বিদ্বেষী (Anti India Campaign) ভাবনার ব্যাপক প্রচার-প্রসার। হাসিনার আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৬.৩ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছিল। ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মিত্রতার। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের (Bangladesh Unrest) বাণিজ্য ২০২১ সালে রেকর্ড স্তর ১৪ বিলিয়ন ডালারে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে ১১.৩ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়েছে। অপর দিকে নতুন ইউনূস সরকার জানিয়েছে, দুই দেশের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না। যদিও বাংলাদেশের থেকে আদানি পাওয়ার সংস্থার ৮০ কোটি ডলার পাওনা রয়েছে। এখন এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সঙ্গে যাতে বাংলাদেশের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share