Tag: bangla news

bangla news

  • Lighting Lamp: প্রদীপ জ্বালানোর একাধিক সুফল! গৃহে আসে লক্ষ্মী, দূর হয় রাহুর দোষ

    Lighting Lamp: প্রদীপ জ্বালানোর একাধিক সুফল! গৃহে আসে লক্ষ্মী, দূর হয় রাহুর দোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে (Hindu Dharma) পুজো পার্বণ, শুভ অনুষ্ঠান, যে কোনও উৎসবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত (Lighting Lamp) করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত না-করলে পুজো সম্পন্ন হয় না। একইসঙ্গে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বাড়িতে নিয়মিত প্রদীপ জ্বালালে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে নিয়মিত প্রদীপ জ্বালালে ধনদেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। মনে করা হয়, এই প্রদীপ জ্বালালে সমস্ত ধরনের নেতিবাচক শক্তির প্রভাব সমাপ্ত হয়। আবার বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রদীপ জ্বালালে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় বাড়ি থেকে। পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসে প্রদীপের আলো। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রদীপের শিখা রাখা উচিত উত্তর বা পূর্ব দিকে। পশ্চিম দিকে কখনও প্রদীপ জ্বালাতে নেই।

    বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর সুফল-

    বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হয় সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ (Lighting Lamp) জ্বালালে বাড়িতে লক্ষ্মীর আগমন হয়। এর ফলে সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।

    বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করলে সমৃদ্ধির আগমনের পথের সমস্ত বাধা দূর হয়।

    বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করলে রাহু দোষ দূর হয় বলে জানাচ্ছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। রাহু দোষে জীবন জর্জরিত থাকলে কোনও মন্দির বা তুলসী গাছে প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। এতে সুফল মিলবে।

    প্রদীপ জ্বালানোর সময় কোনগুলি মাথায় রাখবেন?

    জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ভাঙা প্রদীপ (Lighting Lamp) বাড়িতে কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রদীপ নষ্ট হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা বদলে ফেলতে বলছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। ভাঙা প্রদীপ ঘরে অশান্তি, নেতিবাচকতা নিয়ে আসে।

    শাস্ত্র অনুসারে, মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানোর (Lighting Lamp) সময় প্রদীপ শিখার বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এতে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে।

    সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ জ্বালানোর সময় জপ করতে পারেন এই মন্ত্র

    শুভং করোতি কল্যাণম্ আরোগ্যম্ ধনসম্পদা।

    শত্রুবুদ্ধিবিনাশায় দীপকায় নমোস্তুতে।।

    দীপো জ্যোতি পরংব্রহ্ম দীপো জ্যোতির্জনার্দনঃ।

    দীপো হরতু মে পাপং সন্ধ্যাদীপ নমোস্তুতে।।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Constitution Day: আজ সংবিধান দিবস! সংসদে ভাষণ শেষে সকলকে প্রস্তাবনা পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি

    Constitution Day: আজ সংবিধান দিবস! সংসদে ভাষণ শেষে সকলকে প্রস্তাবনা পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশের সংবিধান দিবস (Constitution Day)। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গৃহীত হয়েছিল ভারতের সংবিধান। সেই উপলক্ষেই মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ ও একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হাজির ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং। বক্তব্যের শেষে সকলকে সংবিধান প্রস্তাবনার (President Droupadi Murmu) পাঠ পড়ান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu)।

     সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি

    এদিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘এই সংবিধান (Constitution Day) অসামান্য মেধা, এবং তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। স্বাধীনতা সংগ্রামের ফল এই সংবিধান। সেই অতুলনীয় আন্দোলনের আদর্শকেও সংবিধানে বিশেষ গুরুত্ব এবং স্থান দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবনাতেও সেই ভাবধারাকে সুস্পষ্ট রূপে সংক্ষিপ্ত ভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ন্যায়, স্বতন্ত্রতা, ক্ষমতা এবং বন্ধুতা এই আদর্শের উপরেই তৈরি হয়েছে আমাদের সংবিধান। সংবিধানের প্রত্যেকটি গুণ একে অপরের পরিপূরক।’’

    গত কয়েক বছরে পিছিয়ে পড়া জাতির উন্নয়নের জন্য বিপুল কাজ করেছে সরকার

    আর্থিক উন্নয়নের জন্য জিএসটি-এর কথাও উঠে আসে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। তিনি (Constitution Day) বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে দেশের আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হল জিএসটি।’’ রাষ্ট্রপতি মুর্মু আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়মকে কার্যকরী করে সাংসদরা আধুনিক চিন্তা ভাবনার পরিচয় দিয়েছেন।’’ ‘গরিব জনজাতি’র উন্নতির জন্য গত কয়েক বছরে অনেক কাজ হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি, তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে পিছিয়ে পড়া জাতির উন্নয়নের জন্য বিপুল কাজ করেছে সরকার। এখন গরিব মানুষ পাকা বাড়ি পাচ্ছেন। জল, বিদ্যুৎ, সড়কের মতো সাধারণ সুযোগ সুবিধাও উপভোগ করছেন। খাদ্য সুরক্ষা এবং চিকিৎসাও মিলছে। সমগ্র ও সমবেত বিকাশের জন্য এমন অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘‘হিন্দুদের সুরক্ষা দিন’’, চিন্ময় প্রভুর জামিন খারিজ হতেই বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিল ভারত

    Bangladesh: ‘‘হিন্দুদের সুরক্ষা দিন’’, চিন্ময় প্রভুর জামিন খারিজ হতেই বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। এবার ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল। ঢাকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় মশাল মিছিল, বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। গ্রেফতারির পর থেকেই দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিবাদ হয়েছে ভারতেও। তারপরও মঙ্গলবার চিন্ময় দাসের জামিন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর জামিন হতেই বাংলাদেশে থাকা হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার দাবি জানাল ভারত।

    প্রতিবাদে মশাল মিছিল (Bangladesh)

    সোমবার ঢাকার (Bangladesh) শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করা হয়। চিন্ময় দাস বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ। সম্প্রতি চিন্ময় দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেই মামলাতে গ্রেফতার করা হয়েছে চিন্ময় দাসকে। চিন্ময় দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পথে নামেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। বিভিন্ন জায়গায় মশাল মিছিলও হয়। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবি জানান।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বিজেপির ইস্তাহার কমিটি

    জামিন খারিজ করে দিল আদালত

    বাংলাদেশে (Bangladesh) ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন খারিজ করে দিল চট্টগ্রামের আদালত। দেশদ্রোহের অভিযোগে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে পেশ করা হয় আদালতে। তাঁর হেফাজত চায়নি পুলিশ। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে হিন্দুদের ওপর চলছে অত্যাচার। মারধর, ঘরবাড়ি লুট থেকে জোর করে চাকরি ছাড়ানোর মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ। হিন্দুদের একজোট করার কাজ করেছিলেন।

    বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রনধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডলে বাংলাদেশে হিন্দু সহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার আর্জি জানিয়েছেন।

    কী বার্তা দিলেন চিন্ময় প্রভু?

    চট্টগ্রামের (Bangladesh) আদালত নির্দেশ দিয়েছে, জেলের মধ্যে চিন্ময়কৃষ্ণ যাতে সমস্ত রকম ধর্মীয় আচার-আচরণ করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। এ দিন আদালত চত্বরে সংবাদ মাধ্যমকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বার্তা দেন, পূর্বপরিকল্পিত সমস্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে হিন্দুদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jama Masjid Sambhal: বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল? এএসআই কী বলছে?

    Jama Masjid Sambhal: বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল? এএসআই কী বলছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে? ১৮৭৫ সালের এএসআই (ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ) এবং বাবরনামা কি বলছে? উল্লেখ্য ভারতের প্রাচীন মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। বাবরি মসজিদ থেকে জ্ঞানবাপি, মথুরার শাহি ইদগাহ্ থেকে বাংলার আদিনা মসজিদ, সবক্ষেত্রে মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণের নানা দৃষ্টান্ত উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের পাতায়। উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের জামা মসজিদ (Jama Masjid Sambhal) হিন্দু মন্দির (Vishnu Temple) ছিল বলে মামলা দায়ের হয়। যার প্রেক্ষিতে সেখানে জরিপের নির্দেশ দেয় আদালত।  রবিবার এএসআই-এর পক্ষ থেকে মসজিত জরিপের কাজ করতে গেলে স্থানীয় উগ্র মুসলিম জনতা ব্যাপকভাবে পাথর-ইট বর্ষণ করে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। নামানো হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। এখন যে মসজিদ নিয়ে বিবাদ, তার সম্পর্কে বিস্তৃত রিপোর্টে কি ধরনের তথ্য উঠে এসেছে শুনলে চমকে যাবেন।

    সম্ভল কীভাবে ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভূমি (Jama Masjid Sambhal)?

    ভগবান কল্কিকে ভগবান বিষ্ণুর দশম এবং শেষ অবতার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রের বিশ্বাস অনুসারে, কল্কি কলিযুগ শেষ করে সত্যযুগ শুরু করতে সম্ভলে আবির্ভূত হবেন। বিভিন্ন যুগে সম্ভলের বিভিন্ন নাম ছিল। একে সত্যযুগে সম্ভলেশ্বর, ত্রেতাযুগে মহাদগিরি, দ্বাপর যুগে পিংলা এবং কলিযুগে সম্ভল বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই স্থানেই বিষ্ণুর মন্দির নির্মাণ হয়। পরে মুসলমান শাসনে মন্দির ভেঙে মসজিদ (Jama-Masjid-Sambhal) নির্মাণ হয়।

    মসজিদের স্তম্ভ হিন্দু মন্দিরের

    ১৮৭৫ সালে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ জামা মসজিদের (Jama Masjid Sambhal) আসল তথ্য তুলে ধরেছিল। ‘ট্র্যাভেলস ইন দ্য সেন্ট্রাল দোয়াব অ্যান্ড গোরখপুর ১৮৭৪-৭৫ এবং ১৮৭৫-৭৬’-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, “মসজিদের ভিতরে ও বাইরে স্তম্ভগুলি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের। সেগুলি প্লাস্টার দিয়ে লুকোনোর চেষ্টা করা হয়েছিল। মসজিদের স্তম্ভগুলির একটি থেকে প্লাস্টার সরানো হলে প্রাচীন লাল রঙের হিন্দু মন্দিরের নকশা বেরিয়ে আসবে। স্তম্ভের নকশা হিন্দু স্মৃতি চিহ্নবহ। মসজিদের গম্বুজ হিন্দু সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানের আমলে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদে এমন অনেক নিদর্শন রয়েছে যাতে স্পষ্ট এটি এককালে প্রাচীন হিন্দু মন্দির ছিল।”

    এই রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তৎকালীন কর্তা এসিএল কার্লাইল। তিনি স্পষ্ট করে আরও বলেন, “সম্ভলের প্রধান ভবনটি হল জামা মসজিদ, যা হিন্দুরা মূলত হরি মন্দির (Vishnu Temple) বলে দাবি করে। এটি একটি কেন্দ্রীয় গম্বুজ বিশিষ্ট ২০ ফুট বর্গাকার কক্ষ নিয়ে গঠিত, যার দুটি ডানা অসম দৈর্ঘ্যের। উত্তর দিকের একটি অংশ ৫০ ফুট ৬ ইঞ্চি, যখন দক্ষিণ দিকের অংশ মাত্র ৩৮ ফুট ১.৫ ইঞ্চি। উভয় অংশে তিনটি খিলানযুক্ত দরজা রয়েছে। যার সবকটিই বিভিন্ন প্রস্থের, ৭ ফুট থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত পরিবর্তিত।” উল্লেখ্য সম্প্রতি স্থানীয় আদালত মসজিদ সমীক্ষা কাজের নির্দেশ দিয়েছে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হবে আগামী ২৯ নভেম্বর।

    হিন্দু পক্ষের দাবি

    সম্ভলের শাহি জামা মসজিদ (Jama Masjid Sambhal) সম্পর্কে হিন্দু পক্ষের দাবি হল, এই নির্মাণ আদতে হিন্দু দেবতা হরিহরের। এএসআই সমীক্ষা করে জানিয়েছে, মসজিদ আদতে মন্দির ছিল। ব্রিটিশ রাজত্বের সময় এএসআই সার্ভে করে ১৮৭৫ সালে মসজিদ থেকে পুরাতন পুঁথির সন্ধান পেয়েছে, যা হিন্দু সংস্কৃতির আরও বড় প্রমাণ। একই ভাবে মসজিদের একটি শিলালিপি থেকে জানা গিয়েছে, ৯৩৩ হিজরিতে মসজিদ নির্মাণ করেছিল মীর হিন্দু বেগ। মীর ছিল বাবরের দরবারের লোক। এক হিন্দু মন্দিরকে মসজিদে পরিণত করে এই মুসলমান সেনা।

    বাবর নামাতে উল্লেখ

    হিন্দু পক্ষের তরফে বিবাদের আবেদনকারী হরিশঙ্কর জৈন বাবরনামার উল্লেখ করে বলেন, “এই বাবরনামা বাবর স্বয়ং লিখেছেন। ব্রিটিশ প্রাচ্যবিদ অ্যানেট বেভারিজ সেটি নিজে অনুবাদ করেছেন। পুস্তকের ৬৮৭ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, বাবরের নির্দেশ মীর হিন্দু বেগ সম্ভলের হিন্দু মন্দিরকে জামা মসজিদে (Jama Masjid Sambhal) রূপান্তর করেছিল। প্রাপ্ত শিলালিপির সঙ্গে এই তথ্য মিলে গিয়েছে। তাতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে মীর হিন্দু বেগ ৯৩৩ হিজরিতে এই মসজিদ নির্মাণ করেছে।

    মামলার সূত্রপাত

    সম্ভলের জেলা আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করা হয় প্রথমে। পিটিশনে বলা হয়েছে সম্ভলে অবস্থিত জামা মসজিদটি (Jama Masjid Sambhal) শতাব্দী প্রাচীন শ্রী হরিহর মন্দিরের (Vishnu Temple) উপর নির্মিত হয়েছে। এটি কার্যত ভগবান কল্কিকে উৎসর্গ করা হয়েছিল এবং মুসলমান শাসক বাবর তা ধ্বংস করে দিয়েছিল। আবেদনকারীরা বলেছেন, স্থানটি হিন্দুদের জন্য ধর্মীয় তাৎপর্য রাখে এবং মুঘল আমলে জোর করে একটি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের বাবা, হরি শঙ্কর জৈন, নয়ডার পার্থ যাদব এবং অন্যান্য আবেদনকারীরা মামলা দায়ের করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: চিন-কানাডার পণ্যে চড়া আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

    Donald Trump: চিন-কানাডার পণ্যে চড়া আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। শেষমেশ সত্যিই হল। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার আগেই বড় ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী (এখনও শপথ নেননি) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন তাঁর আগামী বাণিজ্য-নীতির কথা। তিনি বলেন, “২০ জানুয়ারি, আমার প্রথম এক্সিকিউটিভ নির্দেশগুলোর একটি হিসেবে, আমি সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিতে স্বাক্ষর করব, যা মেক্সিকো এবং কানাডা (Tariffs On China Canada) থেকে আমেরিকায় প্রবেশ করা সমস্ত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।”

    শুল্ক আরোপ (Donald Trump)

    তিনি যে মেক্সিকো, কানাডা এবং চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করবেন, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। সোমবার রীতিমতো ঘোষণাই করে দিলেন। নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে একাধিক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের থেকে আমদানিকৃত সব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবেন।’ অন্য একটি পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘অতিরিক্ত শুল্কের বাইরে তিনি চিনের ওপরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।’ তিনি বলেন, “ফেন্টানিল পাচার মোকাবিলায় ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই শুল্ক আরোপ করা হবে।”

    ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি

    প্রসঙ্গত, শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি মিত্র এবং প্রতিপক্ষ উভয়ের উপরই ব্যাপক শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এদিন সেই সংক্রান্ত ঘোষণাটিই করলেন ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেনি চিন ও কানাডা। দুই দেশই জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের বাণিজ্যিক সহযোগিতা ‘মিউচুয়ালি বেনিফিসিয়াল’। চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ জানান, কেউই বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ী হবে না। ফেন্টানিল পাচার রোধে চিনের প্রচেষ্টার পক্ষে সাফাইও গেয়েছেন তিনি। লিউ বলেন, “চিন বিশ্বাস করে, চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা প্রকৃতিগতভাবে মিউচুয়ালি বেনিফিসিয়াল।”       

    কানাডা জানিয়েছে, এটি আমেরিকার জ্বালানি সরবরাহের জন্য অপরিহার্য এবং এই (Donald Trump) সম্পর্ক আমেরিকার শ্রমিকদের জন্যও উপকারী। কানাডার উপ প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা অবশ্যই নতুন প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাব।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    উল্লেখ্য যে, এর আগের দফায় হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন, ট্রাম্প চিনের সঙ্গে সর্বাত্মক বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। শত শত বিলিয়ন ডলারের চিনা পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছিলেন। সেই সময় তিনি যুক্তি হিসেবে (Tariffs On China Canada) উল্লেখ করেছিলেন অন্যায্য বাণিজ্য প্রথা, মেধাস্বত্ব চুরি এবং বাণিজ্য ঘাটতির কথা (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • 26/11 Mumbai Attacks: আজ অভিশপ্ত ২৬/১১, মুম্বই হামলার ১৭তম বর্ষপূর্তি, ফিরে দেখা বীরদের লড়াই

    26/11 Mumbai Attacks: আজ অভিশপ্ত ২৬/১১, মুম্বই হামলার ১৭তম বর্ষপূর্তি, ফিরে দেখা বীরদের লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৬ নভেম্বর। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে সংবিধান দিবস। একইসঙ্গে এই দিনটির সঙ্গে ভারতের ইতিহাসে জড়িয়ে রয়েছে এক ভয়াবহ স্মৃতিও (26/11 Mumbai Attacks)। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ১৮ জন নিরাপত্তা কর্মীসহ ১৬৬ জন নিহত হন। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছিল ৩০০ জনেরও বেশি। আজ মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬/১১ মুম্বাই হামলায় যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদকে সমগ্র মানব সভ্যতার কলঙ্ক বলে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    করাচি থেকে সমুদ্রপথে এসেছিল জঙ্গিরা 

    ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় (26/11 Mumbai Attacks) জঙ্গিরা মৎস্যজীবী বলে পরিচয় দিয়ে সমুদ্রপথে মুম্বই পৌঁছায়। প্রত্যেক জঙ্গিই করাচি থেকে এসেছিল। প্রথমে তারা ভারতীয় নৌকা ছিনতাই করে। এরপর কোলাবার মাছের বাজারে রাত ৮টার দিকে নামে তারা, সেখান থেকেই জঙ্গিরা পৌঁছায় ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল রেলওয়ে স্টেশনে। একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে শুরু করে নির্বিচারে গুলি (Mumbai Attacks  2008) চালনা। আজমল কাসভ নামে এক জঙ্গি জীবিত ধরা পড়ে এবং পরবর্তীতে তার ফাঁসি হয়। মুম্বইয়ের বিভিন্ন জনবহুল স্থান, তাজ হোটেল, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট হোটেল এবং নরিমান হাউসকে টার্গেট করে তিন দিন ধরে চলে এই হামলা। নিরাপত্তা বাহিনী এবং এনএসজি কমান্ডোদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৯জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়।

    সন্ত্রাস হামলাকে প্রতিহত করেছিলেন যে সমস্ত সাহসীরা

    তুকারাম ওমলে: মুম্বই পুলিশের একজন এএসআই ছিলেন তুকারাম ওমলে। ২৬/১১ জঙ্গি হামলায় সন্ত্রাসবাদিরা (Mumbai Attacks  2008) তাঁকে হত্যা করে। তুকারাম ওমলেই ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি সম্পূর্ণ নিরস্ত্র অবস্থায় আজমল কাসভকে ধরে ফেলেন। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর দক্ষিণ মুম্বইয়ের গিরগাউন চৌপাটিতে তুকারাম ওমলেকে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। গাড়িতে আজমল কাসভকে দেখা মাত্র তুকারাম ওমলে তার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ও রাইফেল ধরে রাখে। সেই সময় কাসভ গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে শহিদ হন তুকারাম। কিন্তু বাকি পুলিশ অফিসাররা গ্রেফতার করতে সমর্থ হন জঙ্গি আজমল কাসভকে।

    সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন: ২০০৮ সালের মুম্বইয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ হন মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন। প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের (26/11 Mumbai Attacks) তাজ হোটেলে হামলা চালায় জঙ্গিরা এবং সেখানকার হোটেলে থাকা সমস্ত লোকেদের বন্দি করে জঙ্গিরা। সেই সময়েই অপারেশন শুরু করে এনএসজি কমান্ডোদের একটি দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন মেজর সন্দীপ উনিকৃষ্ণন। এই সন্ত্রাসী হামলাতেই শহিদ হন মেজর উন্নিকৃষ্ণন।

    হেমন্ত কারকারে: ১৯৮২ সালের আইপিএস ব্যাচের অফিসার ছিলেন হেমন্ত কারকারে। তিনি আন্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের প্রধান ছিলেন। ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় এই আইপিএস অফিসার কামা হাসপাতালের কাছে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন। একই সঙ্গে নিহত হন আইপিএস অফিসার অশোক কামতে ও এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট বিজয় সালাসকর।

    মল্লিকা জগদ: ২৬/১১ হামলার (26/11 Mumbai Attacks) সময় তাজ হোটেলে অন্যতম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত মল্লিকা জগদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। হোটেলের জঙ্গি হামলা শুরু হতেই তিনি এবং তাঁর টিম দরজা বন্ধ করে লাইট বন্ধ করে দেন এবং সবাইকে চুপচাপ বসে থাকতে বলেন। হোটেলের ভিতরে প্রবল বিস্ফোরণ হতে থাকে। ধোঁয়ায় ধোঁয়াকার হয়ে যায় তাজ হোটেল। এর পরেও মল্লিকা জগদ শান্তভাবে বসেছিলেন এবং হোটেলের অতিথিদের তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন শান্তভাবে বসে থাকতে। ভারতের সেনাবাহিনী হোটেলে প্রবেশ করার আগে পর্যন্ত তিনি অতিথিদের আগলে রেখেছিলেন।

    করমবীর সিং কাং: ২৬/১১ হামলার (26/11 Mumbai Attacks) সময় মুম্বইয়ে তাজ হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন করমবির সিং কাং। তাঁর স্ত্রী এবং পুত্ররা ভিতরে আটকে পড়েছিলেন। পরে সন্ত্রাসী হামলায় করমবীরের স্ত্রী ও পুত্র নিহত হন। এই আঘাত সামলে নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে তিনি জঙ্গি মোকাবিলায় লড়াই শুরু করেন। হোটেলের সমস্ত কর্মী এবং অতিথিদের বাঁচাতে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্য করেন। করমবীর সিংয়ের প্রচেষ্টাতে অজস্র মানুষকে জীবিত উদ্ধার করতে সব সক্ষম হয় দেশের সেনাবাহিনী।

    টমাস ভার্গিস: টমাস ভার্গিস ছিলেন তাজ হোটেলের একজন সিনিয়র ওয়েটার। ২৬/১১ হামলার সময় তাঁর সাহস ও বীরত্বে অজস্র মানুষের প্রাণ বাঁচে। ব্যাপক গোলাগুলির বিস্ফোরণের পর, তাজ হোটেল থেকে অতিথিদের তিনি নিচে নামতে বলেন। এরপর তাঁদেরকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন তিনি। হোটেলের সকলে চলে গিয়েছেন সেটা নিশ্চিত হওয়ার পরই তিনি তাজ হোটেল থেকে বের হন। কিন্তু শেষমেশ সন্ত্রাসবাদীরা তাঁকে হোটেলের পিছনে এক গলিতে গুলি করে হত্যা করে।

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে, সন্ত্রাসের বর্ণনা দিয়েছিলেন তাজ হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গিয়ে সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে ২৬/১১ হামলা নিয়ে মুখ খোলেন তাজ প্যালেস হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার কে এস কাং। বিশ্ব মঞ্চে হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার বলেছিলেন, ‘‘সেই অভিশপ্ত রাতে প্রাণের বাজি রেখে হোটেলে আগত অতিথিদের রক্ষা করাই ছিল তাজ প্যালেস হোটেলের কর্মীদের একমাত্র লক্ষ্য। প্রায় ২ হাজার অতিথি এবং স্টাফরা তখন হোটেলের মধ্যে। তাজ প্যালেসে ঢুকে পড়ে চার জঙ্গি। নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে তারা। আমাদের স্টাফরা জীবন বাজি রেখে আমাদের অতিথিদের প্রাণরক্ষা করেছিলেন। সাহায্য পেয়েছিলেন কয়েকজন সাহসী পুলিশ কর্মীর।’’ তাজ প্যালেস হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে আরও বলেছিলেন, ‘‘২০০৮ সালের নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখ আমাদের কাছে এক অভিশপ্ত দিন। আমাদের হোটেলের রান্নাঘরে, লবিতে, রেস্তরাঁ, করিডরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে থাকেন স্টাফরা। ওঁরা মানববন্ধন তৈরি করে বুকে গুলির আঘাত নিয়েছিলেন, যাতে অতিথিরা রক্ষা পান। মনে হয়েছিল আমাদের বাড়ি আক্রান্ত, আর তাকে রক্ষা করতে হবে। আসলে ভারতীয় সংস্কৃতিতে অতিথিকে দেবতা সমান মনে করা হয়। তাই তাঁদের বাঁচাতে প্রাণপাত করেছিলেন তাজের স্টাফরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: বরফ ঘেরা সিয়াচেন, দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন

    Ladakh: বরফ ঘেরা সিয়াচেন, দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারো মাস বরফে ঢাকা লাদাখের (Ladakh) সিয়াচেন এবং দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করল ভারতীয় সেনা। এর ফলে চরম প্রতিকূল আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও ওই অঞ্চলের খবর পাবে সেনাবাহিনী। সহজ হবে যোগাযোগ। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সিয়াচেনের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে, ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরে’র সিগন্যালার-রা চরম প্রতিকূল আবহাওয়া ও বিপজ্জনক দুর্গম ভূমি উপেক্ষা করে ১৮ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার এলাকা পার করে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করেছে। এর ফলে দেশের নিরাপত্তা জোরদার হবে বলে জানিয়েছে সেনা।

    কঠিন লড়াই করে সংযোগ স্থাপন

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮,০০০ থেকে ২০,০০০ ফুট উচ্চতায় কাশ্মীরের কারাকোরাম পর্বতশ্রেণিতে অবস্থিত সিয়াচেন হিমবাহ। এটি বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। এখানে কর্মরত সেনাদের তীব্র ঠান্ডা, প্রচণ্ড বাতাস, এবং বরফ সহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। সম্প্রতি ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোর তাদের একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে সেনারা বরফে ঢাকা পাহাড়ে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপন করছেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেনারা বরফে হাঁটছেন, বরফ-ঢাকা শিখরে ওঠা এবং চরম খাড়াই ঢাল পার করার পর ধীরে ধীরে কেবল স্থাপন করছেন।

    সেনার উল্লেখযোগ্য সাফল্য

    ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোর তাদের পোস্টে জানিয়েছে, ‘‘এই প্রথমবার এবং সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অপটিক্যাল ফাইবার কেবলগুলি দক্ষতার সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ চালু রাখা যায়।’’ তারা আরও বলেছে, ‘‘বিপজ্জনক গর্ত এবং তীব্র ঠান্ডা বাতাসের মধ্যেও, সংকেতবাহিনীর সদস্যরা অটুট মনোবল এবং নিষ্ঠা নিয়ে তাদের কাজ সম্পন্ন করেছেন।’’ এছাড়াও, ডেমচক ও ডেপসাং সমভূমিতে গত একমাস ধরে ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের পর, এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর প্যাট্রলিং পুনরায় শুরু হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সতর্ক এবং সজাগ রয়েছে, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এই আবহে কারাকোরাম পর্বতমালার এই রেঞ্জগুলিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন সেনার উল্লেখযোগ্য সাফল্য। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তি না দিলে সীমান্তে অবরোধ হবে, ইউনূসকে কড়া বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তি না দিলে সীমান্তে অবরোধ হবে, ইউনূসকে কড়া বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সেদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের গুরুতর অভিযোগ এনে কড়া বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইসকনের চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হতেই উত্তাল বাংলাদেশ। রাস্তায় নামছেন সেখানকার হিন্দুরা। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি বাংলাদেশের সনাতনীদের আশঙ্কা, ইউনূসের প্রশাসন যা খুশি করতে পারে। এমনকী, প্রশাসনের ওপর চাপ এলে শেষ করেও দিতে পারে। চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভুর একটি ভিডিও শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় ভারতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

    সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে (Suvendu Adhikari)

    চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সোমবার রাতের মধ্যে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে ইউনূসের সরকার মুক্তি না দিলে মঙ্গলবার থেকে সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে। ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।’’ একই সঙ্গে কলকাতায় থাকা বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিসও টানা ঘেরাও অবস্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে দমন পীড়ন শুরু হয়েছে, তাতে আমরা চিন্তিত, ব্যথিত। এই জিনিস আর বরদাস্ত করা হবে না।’’ বিষয়টি তিনি কেন্দ্রকেও জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার নিউ আলিপুর, জোকায় চলছে অভিযান

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি

    কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। আন্দোলনের জেরে গত অগাস্টে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই বাংলাদেশে গঠিত হয় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে সেদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে অভিযোগ উঠেছে। চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে একটি টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ঢাকার বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভুকে বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগ আটক করেছে। হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাঁচানোর লড়াইয়ে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

    ১০৮টি দেশে প্রতিবাদের ডাক

    এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিশ্বের ১০৮টি দেশে প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে। একাধিক হিন্দু সংগঠনের তরফে প্রতিবাদ হবে আমেরিকাতেও। এমনকী, মঙ্গলবার থেকে রাজধানী ঢাকা (Bangladesh) সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে আন্দোলন আরও তীব্র করার ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে সনাতনীদের মিছিল বের হবে বলে খবর।  বিক্ষোভ থেকে লাগাতার জয় শ্রী রাম-জয় বজরঙ বলির নামে স্লোগান তোলেন সে দেশে বসবাসকারী হিন্দু সংখ্যালঘুরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal Violence: ‘‘গোধরার মতো পূর্বপরিকল্পিত’’, সম্ভল সংঘর্ষে বিরোধীদের নিশানা করলেন গিরিরাজ

    Sambhal Violence: ‘‘গোধরার মতো পূর্বপরিকল্পিত’’, সম্ভল সংঘর্ষে বিরোধীদের নিশানা করলেন গিরিরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে সংঘর্ষের (Sambhal Violence) জন্য বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ বিজেপির গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তাঁর মতে, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত, গোধরার মতো।

    মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের (Sambhal Violence)

    রবিবার মুঘল আমলে তৈরি জামা মসজিদে আদালতের নির্দেশে শুরু হয় সমীক্ষার কাজ। সেই সময় সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। জখম হন ২০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মী। এঁদের মধ্যে একজন কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার মৃত্যু হয় জখম হওয়া আরও একজনের। অশান্তির আঁচ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই এলাকায় ব্যবস্থা করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ) প্রয়োগ করা হয়েছে।

    তদন্তের নির্দেশ

    জানা গিয়েছে, হিংসার ঘটনার কারণ জানতে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ সাতটি এফআইআর দায়ের করেছে। এর মধ্যে একটিতে অভিযুক্ত করা হয়েছে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়াউর রহমান বার্ক এবং স্থানীয় সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক ইকবাল মাহমুদের ছেলে সোহেল ইকবালকে। এদিকে, সম্ভল মসজিদ কমিটি অশান্তির জন্য দায়ী করেছে পুলিশকে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    ঘটনার (Sambhal Violence) নেপথ্যে বিরোধীরা রয়েছে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তাঁর অভিযোগ, ঘটনাটি বিরোধীদের কারণে ঘটেছে। তারা দেশকে পুড়িয়ে দিতে চায়। সম্ভলকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়। গিরিরাজ বলেন, “বিরোধীদের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত কৌশল, গোধরাকাণ্ডের মতো।” তিনি আরও বলেন, “এটি সমীক্ষক দলের ওপর আক্রমণ ছিল না। আক্রমণ ছিল ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্রের ওপর। তারা (পড়ুন বিরোধীরা) দেশকে জ্বালিয়ে দিতে চায়। তারা সম্ভলকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়। যারা মারা গিয়েছে তারা হামলাকারীদের গুলিতে মারা গিয়েছে, পুলিশের গুলিতে নয়। ময়নাতদন্ত থেকেই এটা পরিষ্কার।” মন্ত্রী (Giriraj Singh) বলেন, “দেশ এটা সহ্য করবে না (Sambhal Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Dandruff: শীত পড়তেই বাড়ছে খুসকি! কেন‌ হয় এই সমস্যা? কোন ঘরোয়া উপাদানে হবে মুশকিল আসান? 

    Dandruff: শীত পড়তেই বাড়ছে খুসকি! কেন‌ হয় এই সমস্যা? কোন ঘরোয়া উপাদানে হবে মুশকিল আসান? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়ির একরত্তি সদস্য হোক কিংবা পরিবারের সবচেয়ে প্রবীণ, শীতের আমেজ শুরু হতেই এক অদ্ভুত সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কত বয়স, ছেলে না মেয়ে-এই পরিচয় আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সমস্যার জেরে নাজেহাল আট থেকে আশি। তাপমাত্রার পারদ নামতেই অনেকেই খুসকির (Dandruff) সমস্যায় কাবু। ঘন ঘন মাথা চুলকানো, অস্বস্তিবোধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যার সহজ সমাধান রয়েছে। নিয়মিত কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করলেই হবে মুশকিল আসান।

    কেন শীতের শুরুতে বাড়ে খুসকি? (Dandruff)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের চামড়ার অপরিচ্ছন্নতা থেকেই খুসকির সমস্যা তৈরি হয়। অনেকেই নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না। আর ধুলো ও দূষণের জেরে মস্তিষ্কের চামড়া অর্থাৎ চুলের ভিতরের অংশ অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। তার জেরেই তৈরি হয় খুসকির সমস্যা। তবে, এই সমস্যাকে আরও জটিল করে শুষ্ক ত্বক। ত্বক শুষ্ক হলে খুসকির সমস্যা বাড়ে। আর শীতের শুরুতে ত্বকের শুষ্কতা এমনিতেই বাড়ে। আরেক দিকে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই শীতের শুরুতে ভোগান্তি বাড়ায় খুসকি। তাছাড়া, অনেকের নানা ধরনের অ্যালার্জি থাকে। যার জেরেও খুসকির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতের প্রথমে অনেক সময়েই তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করার জেরে রক্তে অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে তৈরি হয় নানান ছত্রাকের সংক্রমণ। এর জেরে খুসকির মতো সমস্যাও বাড়তে থাকে। কিন্তু কীভাবে মুশকিল আসান হবে? বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে সহজেই কমতে পারে খুসকির ভোগান্তি।

    রাতভর ভেজানো নিমপাতার মিশ্রণ

    খুসকির সমস্যা কমাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে নিমপাতা। নিমপাতা শরীরের একাধিক রোগ‌ মোকাবিলায় সাহায্য করে। খুসকি কমাতেও বিশেষ উপকারী এই নিমপাতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০ থেকে ১৫টা নিমপাতা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে সেই ভেজানো নিমপাতা বেটে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। সেই মিশ্রণ মাথায় মাখলে খুসকির (Dandruff) সমস্যা অনেকটাই কমবে‌।

    মেথি বীজ এবং পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চামড়ায় লাগানো (Dandruff)

    মস্তিষ্কের চামড়ায় অর্থাৎ চুলের ফাঁকে ভালো ভাবে মেথির বীজ এবং পাতিলেবুর রসের মিশ্রণ লাগালে দ্রুত খুসকির সমস্যা কমে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সারা রাত মেথির বীজ ভিজিয়ে রেখে তাকে মসৃণ ভাবে বেটে নিতে হবে। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে লেবুর রস। পাতিলেবুর রস মেশানো সেই মেথির বীজের মিশ্রন মাথায় সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন মাখলেই কমবে খুসকির (Dandruff) সমস্যা।

    তুলসী পাতা এবং আমলার ব্যবহার

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত তুলসী পাতা এবং আমলা একসঙ্গে বেটে মাথায় মাখলে খুসকি দ্রুত কমে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমলা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে‌। দশ থেকে বারোটা তুলসী পাতা ভিজিয়ে বেটে নিতে হবে। আমলার গুঁড়ো এবং তুলসী পাতা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে মাথায় মেখে অন্তত তিরিশ মিনিট রাখতে হবে। নিয়মিত এটা ব্যবহার করলেই খুসকির সমস্যা কমবে। 

    তবে এই সব ঘরোয়া উপাদান‌ (Domestic ingredients) ব্যবহারের পাশাপাশি নিয়মিত ভালোভাবে স্নান করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চুল পরিষ্কার থাকলে, মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকলে খুসকির সমস্যা সহজেই কমানো যায়। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share