Tag: bangla news

bangla news

  • Byelection Results 2024: “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি”, প্রত্যয়ী সুকান্ত

    Byelection Results 2024: “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি”, প্রত্যয়ী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।” শনিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি বলেন, “উপনির্বাচনে (Byelection Results 2024) এমনই ফল হয়। কারণ বহু এলাকায় ভোটই দিতে দেওয়া হয়নি।” এর পরেই প্রত্যয়ী সুকান্ত বলেন, “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।” তিনি বলেন, “কালিয়াগঞ্জের উপনির্বাচনে হেরেও জিতেছি।”

    ভোটের ফল (Byelection Results 2024)

    রাজ্যের পাঁচ জেলায় ছ’টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। শনিবার বের হল ফল। দেখা গেল, ছ’টি আসনেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। মাদারিহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। যে মেদিনীপুর এক সময় ছিল বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, সেখানেই এখন পতপত করে উড়তে চলেছে তিরঙ্গা ঝান্ডা। মেদিনীপুর ছাড়াও যে আসনগুলিতে ভোট হয়েছিল এবং এদিন ফল গণনা চলছে, সেগুলি হল নৈহাটি, কোচবিহারের সিতাই। উত্তর ২৪ পরগনায় হাড়োয়ার ফলও এদিন গণনা হয়েছে। অকাল নির্বাচন হয়েছে, বাঁকুড়ার তালডাংরায়ও।

    কী বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, এদিনই ঘাটালে বিজেপির (Byelection Results 2024) সদস্য সংগ্রহ অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এই ফল কোনও বিপর্য়য় নয়। বাংলায় উপনির্বাচন হয় না। কিছুদিন আগে ধূপগুড়িতে আমাদের জেতা আসনে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: বিহার উপনির্বাচনে এনডিএ জোট চারে চার, শূন্য ‘ইন্ডি’, যোগীরাজ্যেও জয় ৭টিতে

    লোকসভা নির্বাচনে জয়ন্ত রায় কুড়ি হাজার ভোটে জিতেছিলেন সেখানে। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।” দলের হার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলায় উপনির্বাচনে ভোটই হয় না। তাই কোনও বিপর্যয় হয়নি।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “এবার থেকে নির্বাচনমুখী সংগঠন, আন্দোলনমুখী দল বা মোর্চা করতে হবে। সব সময় রাস্তায় থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমি যুক্ত থাকি না। তবে কোন কোন জিনিসের প্রয়োজন রয়েছে, তা আমি নিজের উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বলতে পারি।”

    সিতাই উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন দীপক রায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। এখানে আশা বা নিরাশার কিছু নেই (Sukanta Majumder)। জয়-পরাজয় আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। নতুন করে…এটা নিয়ে এখন আর কী বলব (Byelection Results 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “সুশাসন ও কল্যাণ নীতির জন্যই জয়”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: “সুশাসন ও কল্যাণ নীতির জন্যই জয়”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উপনির্বাচনে বিজেপি যে ডমিনেট করছে, তার কারণ সুশাসন ও কল্যাণ নীতি।” শনিবার কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    এগিয়ে বিজেপি

    এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজেপি (UP Bypolls) গাজিয়াবাদ এবং খৈর আসনে জিতেছে। এগিয়ে রয়েছে কুণ্ডারকি, ফুলপুর, মাজহাওয়ান এবং কাতেহারিতে। বিজেপির সহযোগী রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি) মীরাপুর আসনে এগিয়ে রয়েছে। সমাজবাদী পার্টি সিসমাউতে জিতেছে এবং করহালে এগিয়ে রয়েছে।  এদিন সন্ধেয় জানা যায়, ৯টির মধ্যে ৭টি আসনে জিতেছে বিজেপি।

    কী লিখলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী

    ট্যুইট-বার্তায় আদিত্যনাথ লিখেছেন, “উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি-এনডিএর জয় হল জনগণের অটুট বিশ্বাসের প্রমাণ, যা সফল নেতৃত্ব ও মহামান্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নির্দেশনায় স্থাপন করা হয়েছে। এই জয় হল ডাবল ইঞ্জিন সরকারের নিরাপত্তা, সুশাসন এবং জনকল্যাণমূলক নীতি, এবং নিবেদিত কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল।”

    তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের সম্মানিত ভোটারদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যাঁরা উত্তরপ্রদেশের সুশাসন ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং সমস্ত বিজয়ী প্রার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই! এদিন আরও একবার যোগী বলেন, “বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে”, “এক হন তো সুরক্ষিত হন”।

    মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে প্রচারে গিয়ে আদিত্যনাথ তাঁর বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে স্লোগানের জয়গান গেয়েছিলেন। তার জেরে বিরোধীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। আদিত্যনাথ স্বয়ং এই স্লোগান সমর্থন করে বলেন, বিরোধীরাই জাত ও ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করছে।

    আরও পড়ুন: বিহার উপনির্বাচনে এনডিএ জোট চারে চার, শূন্য ‘ইন্ডি’, যোগীরাজ্যেও জয় ৭টিতে

    উত্তরপ্রদেশ (Yogi Adityanath) বিধানসভা উপনির্বাচনে ন’টি আসনে বিজেপি ডমিনেট করছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই দুটি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। চারটিতে এগিয়ে রয়েছে। গাজিয়াবাদে বিজেপির সঞ্জীব শর্মা সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী সিং রাজ জাটভকে ৬৯ হাজার ৩৫১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। খাইরেয় বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র দিলের সমাজবাদী পার্টির চারু কাইনকে ৩৮ হাজার ৩৯৩ ভোটে পরাস্ত করেন।

    এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফুলপুরে বিজেপির প্রার্থী দীপক প্যাটেল সমাজবাদী পার্টির মহম্মদ মুজতবা সিদ্দিকির থেকে ১১ হাজার ১৩টি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। কাটেহারিতে বিজেপি প্রার্থী ধর্মরাজ নিষাদ সমাজবাদী পার্টির শোভাবতী বর্মার থেকে ১৫ হাজার ৪১০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। আর এক বিজেপি প্রার্থী সুচিস্মিতা মৌর্য (UP Bypolls) সমাজবাদী পার্টির জ্যোতি বিন্দের থেকে এগিয়ে রয়েছে ৬ হাজার ৮০০ ভোটে (Yogi Adityanath)।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India-Australia Refueling Pact: মাঝ-আকাশেই ভারতের বিমানে জ্বালানি ভরবে অস্ট্রেলিয়া, স্বাক্ষরিত নয়া চুক্তি

    India-Australia Refueling Pact: মাঝ-আকাশেই ভারতের বিমানে জ্বালানি ভরবে অস্ট্রেলিয়া, স্বাক্ষরিত নয়া চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ-আকাশেই এক বিমান থেকে অন্য বিমান জ্বালানি সরবরাহ করবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (India-Australia Refueling Pact)। বাইশ গজে দুজনের মধ্যে লড়াই যতই কঠিন হোক না কেন আসলে দুই দেশই একে অপরের ভাল বন্ধু। সেই বন্ধুত্বের মর্যাদা রেখেই ভারত অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এক নয়া চুক্তি স্বাক্ষরিত হল। সেই চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্স বা ব়্যাফ, উড়ান চলাকালীন মাঝ-আকাশেই এক বিমান থেকে অন্য বিমান জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে।

    নয়া চুক্তি এক মাইলফলক

    সম্প্রতি আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে আলাদা করে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অস্ট্রেলিয়ার (India-Australia Refueling Pact) প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্যাট কনরয়। লাওসে আয়োজিত ওই বৈঠকে নয়া চুক্তি সম্পাদনের কথা ঘোষণা করেন রাজনাথ ও কনরয়। সংশ্লিষ্ট চুক্তির আওতায় ব়্যাফের এয়ার-টু-এয়ার জ্বালানি সরবরাহকারী বিমান, কেসি ৩০এ-র মাধ্যমে ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর বিমানে জ্বালানি ভরা যাবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফে প্রকাশ করা একটি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। তাদের মতে, এই চুক্তি ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সমারিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক তৈরি করল।

    সামরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ়

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি উড়ান চলাকালীনই মাঝ-আকাশে বিমানে জ্বালানি ভরার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে যে কোনও যুদ্ধবিমানের কার্যক্ষমতা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। কারণ, সেই বিমানকে আর জ্বালানি ভরার জন্য মাটিতে নামতে হয় না। ফলে তার উড়ানের পরিসর বিস্তৃত হয়ে যায়। এই চুক্তি অনুযায়ী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতীয় নৌবাহিনীর পি-৮১ নেপচুন নজরদারি বিমানে জ্বালানি ভরতে পারবে কেসি-৩০এ। গত ১৯ নভেম্বর নয়া দিল্লিতে আয়োজিত অস্ট্রেলিয়া-ভারত বায়ু সেনা আধিকারিকদের বৈঠকেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাতে স্বাক্ষর করেন এয়ার ভাইস-মার্শাল হার্ভে রেনল্ডস। তিনি এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর ফলে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

    নয়া চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ

    ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া (India-Australia Refueling Pact) এই দুই দেশই কোয়াডের সদস্য। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই দুই রাষ্ট্রশক্তি যৌথভাবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়েছে। এমনকী, বিভিন্ন সময় যৌথ মহড়া-সহ অন্য়ান্য কর্মসূচিও পালন করেছে।  ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নয়া চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ABVP: এবিভিপির ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে ভাষণ দেবেন যোগী আদিত্যনাথ

    ABVP: এবিভিপির ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে ভাষণ দেবেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে ভাষণ দেবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Chief Minister Yogi Adityanath)। জানা গিয়েছে, আগামীকাল রবিবার, ২৪ নভেম্বর গোরক্ষপুরে দেশের প্রতি ছাত্রসমাজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে এই ভাষণ দেবেন তিনি। খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেলিত ছাত্রসমাজ। 

    ভারত সহ নেপালের ৪৪টি প্রদেশের প্রতিনিধিদের যোগদান(ABVP)

    ১৯৪৯ সালের ৯ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ তথা এবিভিপি (ABVP)। এই বছর ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারত সহ নেপালের ৪৪টি প্রদেশ থেকে মোট ১৫০০ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অধ্যাপক, গবেষক সম্মলেনে অংশ গ্রহণ করেছেন। ২৪ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত অধ্যাপক যশবন্তরাও কেলকর যুব পুরস্কারের অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Chief Minister Yogi Adityanath)। এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেওয়া হবে মহারাষ্ট্রের বিশিষ্ট সমাজসেবী দীপেশ নায়ারকে। তিনি সামজিক ক্ষেত্রে শিক্ষার প্রগতি বিস্তারে কাজ করছেন। বিশেষ করে শরীরীক প্রতিবন্ধীদের ব্যক্তিদের পড়াশুনা করানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন। পুরস্কার স্বরূপ ১ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হবে তাঁকে।

    উদ্যোগ, কর্মসংস্থান, আত্মনির্ভরতা

    উল্লেখ্য, প্রখ্যাত ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং জোহা কর্পোরেশনের সিইও শ্রীধর ভেম্বু ২২ নভেম্বর এই এবিভিপির (ABVP) রাষ্ট্রীয় সম্মলেনের উদ্বোধন করেন। এদিন তিনি ভাষণ দিতে গিয়ে যুব সমাজের উদ্যোগ, কর্মসংস্থান, আত্মনির্ভরতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার প্রয়োগের বিষয়ে অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

    একই ভাবে এবিভিপির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি বলেন, “এবিভিপি এই বিশেষ সম্মলেনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মানববিদ্যা, বিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট, প্রকৌশল, চিকিৎসা-সহ ইত্যাদি বিষয়ে যোগদানের জন্য উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণার কাজ করছে। সেই সঙ্গে একটি যুব পুরস্কার দেওয়া হয়। সমাজ এবং জাতির প্রতি কর্তব্যের ভাবনা দিয়ে কাজকে প্রধান্য দেওয় হয়। দিব্যাঙ্গ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো পৌঁছে দিতে বিরাট কাজ করছেন শ্রী দীপেশ নায়ার। জীবনকে অর্থপূর্ণ এবং সার্থক করতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত অপরিহার্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi: ফের একবার ‘ভয়ানক’ পর্যায়ে দিল্লির দূষণ, ধোঁয়াশায় ঢাকল রাজধানী, দেরিতে চলছে বহু ট্রেন

    Delhi: ফের একবার ‘ভয়ানক’ পর্যায়ে দিল্লির দূষণ, ধোঁয়াশায় ঢাকল রাজধানী, দেরিতে চলছে বহু ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) বাতাসের গুণগত মানের সূচক আবার ‘ভয়ানক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে, এমনটাই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে এখনই এখান থেকে মুক্তি মিলছে না, বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কোন বাতাস ভালো? কোনটাই বা খারাপ বুঝব কীভাবে? কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানাচ্ছে, বাতাসের গুণগত মানের সূচক যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে তা হলে তা ভালো পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ সামান্য খারাপ, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুব খারাপ, ৪০১-৫০০ অতি ভয়ানক। রাজধানীর ৩৯টি দূষণ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ২৮টির রিপোর্টেই গুণগত মানের সূচক ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে খবর। বাকি ১১টি কেন্দ্রে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ৪০০-র নীচে খুব খারাপ পর্যায়ে রয়েছে।

    আজ শনিবার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ছিল রাজধানীর ওয়াজিরপুরের

    সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সবচেয়ে খারাপ (Delhi) পরিস্থিতি ছিল রাজধানীর ওয়াজিরপুরের। জাহাঙ্গিরপুরী, আলিপুর, আনন্দ বিহার, চাঁদনি চওকের পরিস্থিতিও ছিল খারাপ। প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীর সকাল ধোঁয়াশায় মোড়া থাকছে। দৃশ্যমানতা নেমে যাওয়ায় সড়ক, বিমান এবং রেল পরিষেবাও মাঝেমধ্যে ব্যাহত হচ্ছে। তবে শনিবার কিছুটা পরিস্থিতি ভালো দেখা গিয়েছে বিমানবন্দর, আইটিও, লোধি রোডের মতো বেশ কয়েকটি জায়গায়।

    আরও পড়ুন: পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, সাগরে নিম্নচাপের পরিস্থিতি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    দিল্লি সরকারকে (Delhi) রীতিমতো তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্ট

    এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার দিল্লি (Delhi) সরকারকে দূষণ নিয়ে ফের একবার সতর্ক করেছে সুপ্রিম কোর্ট।  প্রসঙ্গত, দূষণ রোধে অন্য রাজ্যের গাড়িগুলির চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দিল্লিতে। ব্যাটারিচালিত গাড়ির ক্ষেত্রে সেই নিষেধাজ্ঞা নেই। এরপরেও রাজধানীতে (Delhi Air Pollution) অন্যান্য রাজ্য থেকে কীভাবে ট্রাক ঢুকছে, তা বন্ধ করতে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে দিল্লি সরকারকে রীতিমতো তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Border-Gavaskar Trophy: যশস্বী-রাহুলের ধ্রুপদী ব্যাটিং, বুমরার ৫ উইকেট! পারথ টেস্টে ভালো জায়গায় ভারত

    Border-Gavaskar Trophy: যশস্বী-রাহুলের ধ্রুপদী ব্যাটিং, বুমরার ৫ উইকেট! পারথ টেস্টে ভালো জায়গায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাল বলকে প্রাপ্য সম্মান দিয়ে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে (Border-Gavaskar Trophy) রানে ফিরল ভারতের ওপেনিং জুটি। যশস্বী ও রাহুল দু’জনেই অর্ধশতরান পেলেন। দিনের শেষে অপরাজিতও থাকলেন। রবিবার যশস্বীর শতরানের অপেক্ষায় থাকল ভারত। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ১৭২। এগিয়ে ২১৮ রানে। হাতে ১০ উইকেট। যশস্বী অপরাজিত ৯০ রানে। রাহুল খেলছেন ৬২ রানে। ম্যাচের এখনও তিন দিন বাকি। যশপ্রীত বুমরার দাপটে পারথ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১০৪ রানেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। বলা যায় আপাতত ম্যাচে এগিয়ে ভারত।

    বুমরার বিষাক্ত স্পেল

    ঘরের মাঠে ভারতের (India vs Australia) বিরুদ্ধে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান অজিদের। ৪৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম। এর আগে ১৯৮১ সালে এমসিজিতে ৮৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেটাই নিজেদের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন রান। এবার পারথে বুমরার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি অজি ব্যাটাররা‌। ৩০ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন ভারত অধিনায়ক। টেস্টে এই নিয়ে ১১ বার পাঁচ উইকেট নিলেন ভারতীয় পেসার। তাঁর দাপটে প্রথম ইনিংসের শেষে ৪৬ রানের লিড নেয় ভারত। প্রথম দিনের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৬৭। ৫২তম ওভারে শেষ হয়ে যায় অজিদের ইনিংস। শনিবার নিজের প্রথম বলেই অ্যালেক্স ক্যারিকে ফিরিয়ে দেন বুমরা। বাকি উইকেট পড়তে বেশি সময় লাগেনি। অভিষেকেই নজর কাড়েন হর্ষিত রানা। ৪৮ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন। তারমধ্যে রয়েছে নাথান লিয়ন এবং মিচেল স্টার্কের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। মহম্মদ সিরাজ নিয়েছেন ২ উইকেট। 

    সমানে সমানে লড়াই

    পারথ টেস্টের প্রথম দিন, শুক্রবার পড়েছিল ১৭টি উইকেট। এই পরিস্থিতিতে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া, উভয় দলই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের হাত শুধরোনোর চেষ্টা চালাবে। এই ম্যাচে টস জিতে শুক্রবার বুমরা প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু, যশস্বী জয়সওয়াল, দেবদত্ত পড়িক্কল, বিরাট কোহলিরা কার্যত অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিংয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করেন। প্রথম ইনিংসে ভারতকে মাত্র ১৫০ রানে আটকে দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া ভেবেছিল যে তারা বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। কিন্তু, ভারত অধিনায়ক বুমরার জ্বলন্ত স্পেলে স্টিভ স্মিথ, উসমান খোয়াজা, নাথান ম্যাকসুইনি, প্যাট কামিন্সরা হারিয়ে যান। 

    দ্বিতীয় ইনিংসে নিখুঁত ব্যাটিং ভারতের

    দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও পর্যন্ত নিখুঁত ব্যাটিং ভারতের ওপেনিং জুটির। প্রথম ইনিংসে এমন প্রত্যাশাই ছিল। তবে পিচ যেমন কঠিন তেমনই ধৈর্যের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। প্রথম বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলছেন। স্নায়ুর চাপও ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ধ্রুপদী টেস্ট ব্যাটিং। সঙ্গ দিলেন অভিজ্ঞ লোকেশ রাহুল। আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রবণতায় ঢাকা পড়ে যায় টেস্ট ব্যাটিংয়ের কৌশল। পারথের পিচ ভারতকে সেই কৌশল ফের শেখাল। ২০০৪ সালে সিডনি টেস্টে ওপেনিং জুটিতে ১২৩ রান করেছিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ এবং আকাশ চোপড়া। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের আরও একটা শতরানকারী ওপেনিং জুটি পেতে ২০ বছর চলে গেল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্মের পর প্রথম বার।

    ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপে বড় ধস না নামলে অজিদের সামনে বড় রানের টার্গেট দিতে চলেছে ভারত। অজিদের লড়তে হবে ম্যাচ বাঁচাতে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজের সিংহভাগ জিতেছে অজিরা। সিরিজের প্রথম টেস্টও। ২০১৮ সালে সিরিজের প্রথম টেস্টে অজিদের পরাস্ত করেছিল ভারত। পারথে তাই অ্যাডিলেডের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে বিরাট কোহলির নজির স্পর্শের হাতছানি অধিনায়ক বুমরার সামনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NDA: বিহার উপনির্বাচনে এনডিএ জোট চারে চার, শূন্য ‘ইন্ডি’, যোগীরাজ্যেও জয় ৭টিতে

    NDA: বিহার উপনির্বাচনে এনডিএ জোট চারে চার, শূন্য ‘ইন্ডি’, যোগীরাজ্যেও জয় ৭টিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে উপনির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার (Bihar)- সর্বত্র উপনির্বাচনে দেখা গিয়েছে গেরুয়া ঝড়। বিহারে চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল। চারে চার দখল করল এনডিএ জোট। চারটি আসনের মধ্যে বিজেপি জয়লাভ করেছে দুটি আসন। অন্যদিকে বাকি দুটি আসনের মধ্যে একটি পেয়েছে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। আরেকটি জিতন রাম মাঞ্জির হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চা (হাম)।

    বিহারের তারারি আসনে  (NDA) জয়ী বিজেপি

    বিহারের তারারি আসনে বিজেপির বিশাল প্রশান্ত ৭৮,৭৫৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-এর রাজু যাদব পেয়েছেন ৬৮,১৪৩ ভোট। ওই একই আসনে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টির (জেএসপি) প্রার্থী কিরণ সিং ৫,৬২২ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।

    রামগড়ে জয়ী  (NDA) বিজেপি

    রামগড় আসনে বিজেপির অশোক কুমার সিং ১,৩৬২ ভোটে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সতীশ কুমার সিং যাদবকে পরাজিত করেছেন। বিজেরি ঝুলিতে গিয়েছে ৬২,২৫৭ ভোট এবং বহুজন সমাজ পার্টির সতীশ সিং পেয়েছেন ৬০,৮৯৫ ভোট।

    বেলাগঞ্জে জনতা দল (ইউনাইটেড)

    বেলাগঞ্জ আসনে জনতা দল (ইউনাইটেড) এর মনোরমা দেবী ২১,৩৯১ ভোটে জয়ী হয়েছেন (NDA)। এই আসনে আরজেডির প্রার্থী ছিলেন বিশ্বনাথ কুমার সিং। তিনি পেয়েছেন ৫১,৯৪৩ ভোট।

    ইমামগঞ্জ আসনে (Bihar) জয়ী হিন্দুস্তানী আওয়ামী মোর্চা

    ইমামগঞ্জ আসনে (NDA) হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চার দীপা কুমারী ৫৩,৪৩৫ ভোট পেয়েছেন এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দী আরজেডির রৌশন কুমারকে ৫,৯৪৫ ভোটে পরাজিত করেছেন। দীপা কুমারী হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জির পুত্রবধূ।

    উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনেও ভালো ফল বিজেপির

    উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা উপনির্বাচনেও এনডিএ জয়জয়কার। ৯টি আসনের মধ্যে জোট জিতেছে ৭টিতে। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৬টি আসন, শরিক আরএলডি জিতেছে একটিতে। বিজেপির (NDA) ভালো ফলের জন্য খুশি ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শনিবার যোগী আদিত্যনাথ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি-এনডিএ-এর এই জয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফল নেতৃত্ব ও নির্দেশনার প্রতি মানুষের অটল বিশ্বাসের প্রমাণ।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও লিখেছেন, ‘‘এই জয় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সুরক্ষা, সুশাসন ও জনকল্যাণমূলক নীতি এবং নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। আমি উত্তর প্রদেশের ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা উত্তর প্রদেশের সুশাসন ও উন্নয়নের জন্য ভোট দিয়েছেন এবং সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই! বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে। এক রেহেঙ্গে-সেফ রেহেঙ্গে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Elections: মাত্র ছ’মাসেই মহারাষ্ট্রে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি, কোন মন্ত্রবলে জানেন?

    Maharashtra Assembly Elections: মাত্র ছ’মাসেই মহারাষ্ট্রে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি, কোন মন্ত্রবলে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবধান মাত্রই ছ’মাসের। এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে যে রাজ্যে পদ্মের হাল (Mahayuti) মলিন হয়ে গিয়েছিল, মাত্র ছ’মাস পরেই সেই রাজ্যই পদ্মময়। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোটকে ধরাশায়ী করে জয়ডঙ্কা বাজাচ্ছে বিজেপি। এ রাজ্যে গেরুয়া শিবির বলে বলে গোল দিয়েছে বিরোধীদের। লোকসভা নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্রের কুর্সি দখলের যে স্বপ্ন বিরোধীরা দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নই বিধানসভা নির্বাচনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেল আরব সাগরের জলে। প্রশ্ন হল, কোন মন্ত্রবলে বিজেপির এই ঘুরে দাঁড়ানো আর বিরোধীদের অধঃপতন? আসছি সেই আলোচনায়ই।

    নিশ্চুপে মেরামত করে চলেছে ভাঙা নৌকার হাল (Maharashtra Assembly Elections)

    বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের পর হাতে যে ছ’মাস ছিল, সেই সময় নিজেকে গড়েপিটে নিয়েছে মহারাষ্ট্র বিজেপি। শত্রুর ঘরে (পড়ুন বিরোধী শিবিরে) যখন নিত্য বয়ে গিয়েছে অশান্তির চোরাস্রোত, তখন বিজেপি নিশ্চুপে মেরামত করে চলেছে ভাঙা নৌকার হাল। যারই সুফল গেরুয়া শিবির কুড়িয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে। গত ছ’মাসে একের পর এক সাহসী এবং জনকল্যাণকর পদক্ষেপ নিয়েছেন গৈরিক নেতারা।

    জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ

    নীতিগত সংশোধনের পদক্ষেপের পাশাপাশি কৃষক, নারী ও অনগ্রসর শ্রেণির জন্যও বিভিন্ন জনহিতকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে মহরাষ্ট্র সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, মহাযুতি সরকারের এসব পদক্ষেপই ফলপ্রসূ হয়েছে। মহাযুতি সরকারের তিন শরিক— বিজেপি, শিবসেনা এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে পরিস্থিতি পাল্টাতে সক্ষম হয়েছে এই জোট। মহারাষ্ট্রে লোকসভা আসন রয়েছে ৪৮টি। তার মধ্যে (Maharashtra Assembly Elections) বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১৭টি আসন (Mahayuti)। বাকি কেন্দ্রের রাশ গিয়েছে মহা বিকাশ অঘাড়ী (MVA) জোটের ঝুলিতে। শনিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়া শুরু হতেই চওড়া হতে থাকে বিজেপি নেতাদের মুখের হাসি। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১২৪টি আসনে জয় পেয়েছে পদ্ম শিবির। বিভিন্ন আসনে এগিয়ে রয়েছে মহাযুতি সরকারের জোট শরিকরা।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে জয় নিশ্চিত ‘মহাযুতি’ জোটের, ভোটারদের ধন্যবাদ একনাথ শিন্ডের

    দুয়ারে জনকল্যাণকর বিভিন্ন পরিষেবা

    মহারাষ্ট্রবাসীর দুয়ারে জনকল্যাণকর বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সুফল যেমন বিজেপি কুড়িয়েছে, তেমনি আরএসএসের প্রচারও গৈরিক শিবিরের ঘরে তুলে দিয়েছে লাভের কড়ি। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছিল আরএসএস। বিজেপি এবং রাজ্যের শাসক জোটের হয়ে ব্যাপক প্রচারও করেছে তারা। যার জেরে হতাশা কাটিয়ে উঠে বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ভোটারদের একটা বড় অংশ। বিজেপিও তাদের কঠোর হিন্দুত্ববাদী অবস্থান জোরালো করে তোলে। বিজেপির স্লোগানের মধ্যে ছিল ‘এক হো তো সেফ হো’, ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ (ভাগ হলেই পতন)-এর মতো ঝাঁঝালো স্লোগান। এগুলোও ভোটারদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। এসবই জুগিয়েছে বিজেপির পালে হাওয়া। বিজেপি এবং আরএসএসের যুগলবন্দির মোকাবিলা করতে পারেনি মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট। যার জেরে মহারাষ্ট্রে পানি পায়নি এই মহাজোট।

    ওবিসি সম্প্রদায়

    মারাঠা আন্দোলন (Maharashtra Assembly Elections) ওবিসি সম্প্রদায়গুলিকে মেরুকরণ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। বিজেপি তার জনসংযোগ পরিকল্পনার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ৩৫৩টি সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে নেমেছিল। মহারাষ্ট্র নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং রাজ্যের শীর্ষ নেতারা অঞ্চলভিত্তিকভাবে ওবিসি সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিজেপির সংযোগ স্থাপনের জন্য সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছিলেন। বিজেপি কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় সাতটি জাতি বা উপজাতিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও রেখেছিল ওবিসি কমিশনের কাছে। ওবিসি সম্প্রদায়ের এই সূক্ষ্ম ব্যবস্থাপনা মহাযুতির পক্ষে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮টি। এর মধ্যে ১৭৫টি আসনে নির্ণায়ক শক্তি ওবিসি সম্প্রদায়। তার একটা বড় অংশই এবার গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। যার জেরে আরব সাগরের তীরের লোনা মাটিতেও ফুটেছে পদ্ম।

    ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি’

    মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত হওয়ার পর কৃষকদের ভোট পদ্ম-ঝুলিতে টানতে একাধিক পদক্ষেপ করে মহারাষ্ট্রের মহাযুতি সরকার। এর মধ্যে ছিল রাজ্য বাজেটে সরকার ৭.৫ হর্সপাওয়ার পর্যন্ত কৃষি পাম্প ব্যবহারকারী কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘোষণা। নির্বাচনী ইশতেহারে, মহাযুতি ফসল ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতিও দেয় সরকার। ‘ভাবান্তর যোজনা’র মাধ্যমে এমএসপি এবং প্রকৃত ক্রয়মূল্যের পার্থক্য পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিও দেয় সরকার। এছাড়াও গুচ্ছ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি হাতে নেয় সরকার। বিধানসভা নির্বাচনে এসবই ডিভিডেন্ট দিয়েছে বিজেপিকে। তার জেরেই আরব সাগরের তীর হয়েছে (Mahayuti) পদ্মময়। মহারাষ্ট্রের কুর্সির রং হয়েছে গেরুয়া (Maharashtra Assembly Elections)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Pilgrims: পাকিস্তানের হজযাত্রীদের দিতে হবে মুচলেকা! ভিক্ষাবৃত্তি রোধে কড়া পদক্ষেপ সৌদির

    Pakistani Pilgrims: পাকিস্তানের হজযাত্রীদের দিতে হবে মুচলেকা! ভিক্ষাবৃত্তি রোধে কড়া পদক্ষেপ সৌদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিক্ষাবৃত্তি রোধ করতে সৌদি আরব (Saudi-Arabia) এবার পাকিস্তানি তীর্থযাত্রীদের (Pakistani Pilgrims) কাছ থেকে মুচলেকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বহিরাগত ভিখারিদের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে ইসিএল তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে ভিখারিদের মোট সংখ্যা রয়েছে ৪৩০০। সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিতাড়িত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। একই ভাবে ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান প্রশাসন। ইতিমধ্যে অবৈধভাবে ভিসা দেওয়ায় ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ধরপাকড়ের মতো পদক্ষেপও দেখা গিয়েছে। মুসলমান রাষ্ট্রে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে পাকিস্তান। নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে।

    ভিক্ষাবৃত্তির বাণিজ্যিকরণ রুখতে পদক্ষেপ (Pakistani Pilgrims)?

    সৌদি আরবের (Saudi-Arabia) ইসলামিক ধর্মীয় তীর্থস্থানে পাকিস্তানি (Pakistani Pilgrims) ভিখারিদের বিরাট রমরমা! সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে উমরাহ্ তীর্থযাত্রীদের ছদ্মবেশে পবিত্র ধর্মীয় স্থানে এই ভিখারিদের বিরাট আধিপত্য বৃদ্ধি পেয়ছে। স্থানীয় জনবিন্যাস এবং ভিক্ষাবৃত্তির বাণিজ্যিকরণ রুখতে প্রশাসন এবার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও পাক প্রশাসন উমরাহ্ আইন আনার কথা জানিয়েছে। 

    বিরাট পরিমাণে ভিখারিদের সংখ্যা বৃদ্ধি

    গত সেপ্টেম্বরে সৌদি সরকার (Saudi-Arabia) রিয়াদ উমরাহ্ এবং হজ ভিসার অধীনযুক্ত অঞ্চলে বিরাট পরিমাণে পাকিস্তানি ভিখারিদের (Pakistani Pilgrims সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তথ্য সমানে এসেছে। সেই সময়ের বন্যায় এই ভিখারিরা ব্যাপক ভাবে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। তাই এই ভিখারিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক তা জানিয়ে নোটিশ জারি করেছিল সৌদি প্রশাসন। একই ভাবে বলা হয়, এই ধরনের ভিখারিদের ভিক্ষার উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে ভিসা প্রদানকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সৌদির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানি ভিখারিদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। ৪৩০০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে।”

    আরও পড়ুনঃ নিজ্জর খুনের ঘটনা জানতেন না মোদি-জয়শঙ্কর-ডোভাল, দিল্লির চাপে ‘ঢোঁক গিলল’ ট্রুডো সরকার

    মুচলেকা দিতে হবে পাক হজ যাত্রীদের

    একই ভাবে সমস্যার কথা মাথায় রেখে, বেশ কিছু নিয়ম জারি করেছে সৌদি প্রশাসন। তাতে বলা হয়েছে—

    এক) সৌদি আরবে আগত হজযাত্রীদের ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ না করার বিশেষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুচলেকা দিতে হবে। আর যদি অন্যথা করেন তাহলে তীর্থযাত্রীদের (Pakistani Pilgrims) বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরিমানা সহ পাকিস্তানে বিতাড়িত করা হবে। 

     দুই) তীর্থযাত্রীদের শুধুমাত্র ভ্রমণের জন্য গ্রুপ করে বা দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ করতে হবে। দল ছুট হলে ভিক্ষা বৃত্তির সম্ভাবনা বেড়ে যায়, তাই সকল দর্শনার্থীদের একসঙ্গে দলগত ভাবে ভ্রমণ করতে হবে। এই শর্ত অনিবার্য। আর যদি এই ভাবে ভ্রমণ না করে তাহালে তীর্থযাত্রীদের ভিসা বাতিল করা হবে। দেশে ফেরত পাঠানো হবে। 

     তিন) একই ভাবে যে সব ট্যুরিষ্টরা ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমণ করতে যাবে, তাদের কাছ থেকেও মুচলেকা নেওয়া হবে। শর্ত না মানলে ট্র্যাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কোনও ভাবেই অসৎ উদ্দেশে ধর্মস্থলে ভিক্ষা করা যাবে না। 

    পাকিস্তানে ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের (Pakistani Pilgrims) ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) ইতিমধ্যে অবৈধভাবে উমরাহ্ ভিসাকে সহজ করতে গিয়ে নানা বেআইনি কাজ করেছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কাজ শুরু করেছে পাক প্রশাসন। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানে চারটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা নানা সময়ে অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকত। ফলে বিশ্বের কাছে পাকিস্তান আরও অসম্মানজনক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    মোটা টাকা নিয়ে দেশে ফেরে ভিখারিরা

    প্রতিবছর হজের সময় ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো দেশগুলি থেকে বহু তীর্থযাত্রী হজে যায়। তাদের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে এইসব ভিখারিরা। সৌদিতে নেমে হারিয়ে যায় মানুষের ভিড়ে। তারপর তারা ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে দেয়। ফেরার সময় মোটা টাকা ঘরে নিয়ে আসে। এতে সমস্যায় পড়ে সৌদি প্রশাসন। উল্লেখ্য সৌদির বক্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে পাকিস্তানের তরফে বলা হয়েছে, ভিখারিদের সমস্যা মেটাতে একটি উমরাহ আইন নামে একটি আইন আনা হবে দেশে। এতে যেসব উমরাহ এজেন্সিগুলি মানুষজনকে হজে নিয়ে যায় তাদের উপরে নজর রাখা হবে ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Election: মহারাষ্ট্রে ‘মহাযুতি’-র বিপুল জয়ের কাণ্ডারি এই দুই মুখ, তাঁরা কারা জানেন?

    Maharashtra Election: মহারাষ্ট্রে ‘মহাযুতি’-র বিপুল জয়ের কাণ্ডারি এই দুই মুখ, তাঁরা কারা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra Election) সব অনুমান ছাপিয়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ফিরছে বিজেপি (BJP) জোট। ধরাশায়ী বিরোধী মহাবিকাশ অঘাড়ী শিবির। মহারাষ্ট্রে ২৮৮টির মধ্যে ২২১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে শিন্ডেসেনা-বিজেপি-এনসিপি (অজিত)-র ‘মহাযুতি’। জোটে বিজেপি একাই ১২৫টি আসনে এগিয়ে। মারাঠাভূমে বিজেপির এই জয়ের নেপথ্য কারিগর হলেন দুই শীর্ষ বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র যাদব এবং আশ্বিনী বৈষ্ণব। গত ১০ নভেম্বর মুম্বইয়ের জনসভায় যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিজেপির নির্বাচনী (Maharashtra Election) প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করছিলেন তখন মঞ্চে নয়, দর্শকাসনে বসেছিলেন এই দুই নেতা। রাজ্য নেতাদের আসন ছেড়ে দিয়ে গোপনে পরিকল্পনা করছিলেন মানুষের মন জেতার। সেই কাজে আপাতত ১০০ শতাংশ সফল তাঁরা।

    দুই শীর্ষ নেতার দায়িত্ব

    মহারাষ্ট্র নির্বাচনের (Maharashtra Election) দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির (BJP) দুই শীর্ষ নেতা ভূপেন্দ্র যাদব এবং আশ্বিনী বৈষ্ণব খুব কম কথা বলেন। পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করাই তাঁদের স্বভাব। তাঁরা মুম্বইয়ে সপ্তাহের পর সপ্তাহ কাটিয়েছেন। মাটিতে থেকে কাজ করেছেন তৃণমূল স্তরে। দলের আভ্যন্তরীণ বিবাদ মেটাতে তাঁরা ছিলেন সদা সক্রিয়। লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে বিজেপির খারাপ ফলের পরই শীর্ষ নেতৃত্ব এই দুই নেতাকে রাজ্যে দলের দায়িত্ব দেন। সেখান থেকেই দলকে সাজান তাঁরা। ওবিসি ভোটারদের একত্রিত করা, কৃষকদের জন্য ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি, ‘লাডলি বেহেন’ স্কিম মারাঠাভূমে জনমানসে প্রভাব ফেলে।

    আরও পড়ুন: পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, সাগরে নিম্নচাপের পরিস্থিতি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    যাদব এবং বৈষ্ণব জুটির সাফল্য

    এই ‘কৌশলী’ যুগল – যাদব এবং বৈষ্ণব – এর আগে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির (BJP) জয় নিশ্চিত করে। বিগ স্টেট উত্তরপ্রদেশে বিজেপির জয় নিশ্চিত করার পর থেকেই যাদব দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী কৌশলবিদ হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, বৈষ্ণব মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Election) মতো বড় রাজ্যে বিজেপির কৌশল বাস্তবায়ন এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির জয়ের পর সাংগঠনিক কাজে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন। এই একই কৌশলী দলটি মধ্যপ্রদেশে গত বছর নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের যাদুকাঠিতেই ২৩০ আসনের মধ্য থেকে ১৬৩টি আসনে বিজয়ী হয়ে মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠন করে বিজেপি। একই দলটি পরে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে (Maharashtra Election) দায়িত্ব পান। ফের নিজেদের দক্ষতা দেখালেন এই জুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share