Tag: bangla news

bangla news

  • Mass conversion: সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    Mass conversion: সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের বক্সার (Buxar) জেলায় হিন্দুদের ধর্মান্তরিত (Mass conversion) করার অভিযোগ সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, তিনজন খ্রিস্টান মিশনারী ৫০ থেকে ৬০ জন হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন। এই রকমই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই খ্রিস্টান মিশনারিরা হিন্দু মহিলাদের গঙ্গায় ডুব দেওয়ানোর পরে তাঁদের মাথায় ক্রস চিহ্ন এঁকে দিচ্ছেন এবং সিঁদুর সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিচ্ছেন। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই হিন্দু সংগঠনগুলি প্রতিবাদে নামে। তারপরেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিহার পুলিশ তিনজন মিশনারিকে গ্রেফতার করে। মিশনারিদের অবশ্য দাবি, ওই হিন্দুরা তাঁদের নিজেদের ইচ্ছাতেই ধর্মান্তরিত হয়েছেন এবং বাইবেল পড়ে তাঁরা ধর্মান্তরিত (Mass conversion) হয়েছেন। বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ১৪ নভেম্বর। জানা গিয়েছে, এটি বিহারের বক্সার জেলার সিমরি থানার অন্তর্গত নাগপুরা গ্রামের ঘটনা।

    মিশনারিদের পরিচয় (Mass conversion)

    অভিযুক্ত তিন জন মিশনারির মধ্যে দুইজনের বাড়ি বিহারে। তাঁদের নাম রাজুরাম এবং রাজীব রঞ্জন। তৃতীয় জনের বাড়ি তামিলনাড়ুতে তাঁর নাম স্যামুয়েল। বিহারের মিশনারি রাজুরাম বলেন, ‘‘অনেক হিন্দুই তাঁর কাছে এসেছিলেন এবং নিজেদের অসুস্থতার কথা বলেছিলেন। আমি তাঁদেরকে ওষুধ খেতে বলি। তারপর তাঁদেরকে বলি যে আমি যিশুর কাছে প্রার্থনা করব। যাতে তাঁদের অসুস্থতা সেরে যায়। যাঁদের কষ্ট লাঘব হয়েছে, যাঁরা সুস্থ হয়েছেন তাঁরা স্বাধীনভাবেই খ্রিস্টান ধর্মকে গ্রহণ করেছেন।’’

    কী বলছেন সিমলি থানার ইনচার্জ?

    অন্যদিকে, সিমলি থানার (Buxar) অফিসার ইনচার্জ কমল নয়ন পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যাঁদেরকে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই গ্রামে বাড়ি এবং বাইবেল অনুসারে তাঁদের ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছে এবং ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বলছেন গিরিরাজ?

    এই ঘটনায় বিবৃতি সামনে এসেছে (Mass conversion) বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আগে আদিবাসীদের হয়রানি করা হত। এখন দরিদ্র আদিবাসীদের নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে। ধর্মান্তকরণ নিষিদ্ধ করার জন্য শক্তিশালী আইন প্রয়োজন। প্রতিটি জেলাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

    RSS: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে অবশ্যই ভারত-কেন্দ্রিক হতে হবে, এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। একই সঙ্গে তিনি সামাজিক সম্প্রীতিরও বার্তা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যে, ভারতকে এমন একটা মডেল দেশে পরিণত করা হোক, যাকে অনুসরণ করতে পারে গোটা বিশ্ব। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখা সংগঠন ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের তিনদিনের ‘ভিশন ফর বিকশিত ভারত’, সম্মেলন শুরু হয়েছে গুরুগ্রামে। অংশগ্রহণ করেছেন দেশের তরুণ গবেষকরা।

    ভাগবতের ভাষণ (RSS) 

    সেই সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘শিক্ষাকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়, কিন্তু শিক্ষাকে অবশ্যই ভারত-কেন্দ্রিক হতে হবে। আমাদের উচিত সারা বিশ্ব থেকে ভালো ভালো ভাবগুলিকে সংগ্রহ করা। কিন্তু কখনও আমরা অন্ধ অনুগামী হব না। প্রত্যেক শিক্ষকের দায়িত্ব হল, তাঁর ছাত্রদেরকে দিশা দেখানো। যাতে তাঁদের গবেষণা ভারত-কেন্দ্রিক হতে পারে।’’ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান আরও বলেন, ‘‘আজকে সারা পৃথিবীব্যাপী মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ, ৮০ শতাংশ সংস্থানকে ভোগ করছেন। বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন এখন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে বড় সমস্যার কারণ হলে দাঁড়িয়েছে।’’ মোহন ভাগবত আরও (RSS) বলেন, ‘‘সারা বিশ্বব্যাপী বিতর্ক চলছে যে তারা উন্নয়নকে নেবে নাকি পরিবেশকে রক্ষা করবে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বস্তুগত বিষয়গুলির উন্নয়ন যেমন দরকার, তেমন আমাদের মনেরও উন্নয়ন দরকার। যাতে আমাদের ভিতরে সর্বদাই সমৃদ্ধি এবং সুখী ভাবটা থাকে।’’

    হাজির ইসরো চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী

    প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথও। তিনি এই সম্মেলনকে সম্বোধন করে বলেন, ‘‘আমাদের চন্দ্রযান মিশন সফল হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য রয়েছে চাঁদে মানুষ পাঠানো ও ২০৪০ সালের মধ্যে নিজেদের নতুন স্পেস স্টেশন তৈরি করা।’’ এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন নোবেল জয়ী কৈলাশ সত্যার্থীও। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য ১,২০০ গবেষক এবং দু লাখ অংশগ্রহণকারী এক ছাদের তলায় এসে জড়ো হয়েছেন। এটা পৃথিবীর বড় ইভেন্ট বলা যেতে পারে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ICC: অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, পাক বোর্ডের পরিকল্পনা বাতিল করে জানাল আইসিসি

    ICC: অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, পাক বোর্ডের পরিকল্পনা বাতিল করে জানাল আইসিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তিনটি শহরে যাবে না চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পরিকল্পনা বাতিল করে এমনটাই জানাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি (ICC)। প্রসঙ্গত, পিসিবির পরিকল্পনা ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে যাওয়ার। তবে সেই পরিকল্পনাতে জল ঢেলে দিল আইসিসি। আগামীকাল ১৬ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ঘুরবে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সে দেশের স্কার্দু, মুরি, মুজফফরবাদ- এই তিন শহরেরই অবস্থান হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। পিসিবি পরিকল্পনা করেছিল এই শহরগুলিতেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC) নিয়ে যাওয়ার। একইসঙ্গে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ গডউইন অস্টিন বা  K2.  সেখানেও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটি (Champions Trophy)। তবে সেই পরিকল্পনাও বাতিল করল আইসিসি। আইসিসির তরফে সাফ জানানো হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে না ট্রফি।

    ঘন কুয়াশার কারণে আরও তিন শহরে যাবে না ট্রফি

    জানা যাচ্ছে, ইসলামাবাদে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে এই ট্রফি (ICC)। একই সঙ্গে লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতেও ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে না বলে জানিয়েছে আইসিসি। কারণ সেখানকার ঘন কুয়াশা। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) হওয়ার কথা রয়েছে। সে কারণেই সে দেশের বিভিন্ন শহরের ট্রফি ট্যুরের আয়োজন করেছিল পিসিবি। তবে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবেই, একথা নিশ্চিতভাবে এখনই বলা যাচ্ছে না।

    পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি নয় ভারত

    পাকিস্তানে গিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স (ICC) ট্রফি খেলতে রাজি নয়। মোট আটটি দল খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে সমস্যা দেখা দিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে। কারণ এই দুই দেশের রাজনৈতিক সমস্যা। প্রসঙ্গত পাকিস্তানে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বড় করে দেখছে বিসিসিআই। তারা মনে করছে, সে দেশের জঙ্গিরা রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের টার্গেট করতে পারে। তার কারণ পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বাসে আক্রমণের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 16 November 2024: বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 16 November 2024: বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ২) সন্তানের কাজে গর্ববোধ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) আধ্যাত্মিক চিন্তায় মনোনিবেশ করুন।

    মিথুন

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে বিবাদে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ২) ইচ্ছাপূরণ হওয়ার দিন।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) বাড়তি খরচের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে।

    ২) দাঁতের রোগ বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ২) বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মীন

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arsh Dalla: কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি আরশ ডাল্লা গ্রেফতার হতেই হস্তান্তরের আর্জি জানাল দিল্লি

    Arsh Dalla: কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি আরশ ডাল্লা গ্রেফতার হতেই হস্তান্তরের আর্জি জানাল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) আরশ ডাল্লাকে হস্তান্তর করার জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রক কানাডা সরকারের কাছে দাবি জানাল। কানাডার এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে দেশের অন্টারিওর মিল্টনের গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরশ ডাল্লাকে (Arsh Dalla)। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাকে হস্তান্তর করার জন্য ভারত জোরালো দাবি তুলল। 

    কী বলছেন ভারতের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র?

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণদীপ জয়সওয়াল এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘ কানাডা সরকারের ওই গ্রেফতারির খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা প্রত্যর্পণের অনুরোধ করছি। ভারতে আরশ ডাল্লার (Arsh Dalla) অপরাধমূলক অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবে এটা প্রত্যাশিত যে ভারতেও তার বিচার হওয়া উচিত।’’

    আরও পড়ুন: খাদ্যাভ্যাসে নিরামিষাশী, কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত, আজ বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    ২০২৩ সালেই তাঁকে গ্রেফতারির আবেদন জানায় দিল্লি

    প্রসঙ্গত, কানাডায় ২৮ অক্টোবর গুলি চালনার মামলায় তাঁকে (Arsh Dalla) অভিযুক্ত করা হয়। আরশ ডাল্লার (Khalistani Terrorist) বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, তোলাবাজি, সন্ত্রাসে অর্থ জোগানো সহ ৫০টিরও বেশি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে তাঁকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে ভারত। তখনই ভারত সরকার কানাডার সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তাকে গ্রেফতার করার জন্য। যদিও সেই আবেদন মানেনি কানাডা সরকার। অবশেষে ভারতের দাবিই মান্যতা পেল। গ্রেফতার করা হল আরশ ডাল্লাকে।

    ২০১৮ সালেই পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পাড়ি দিয়েছিল ডাল্লা (Arsh Dalla)

    জানা গিয়েছে, কানাডাতে খুন হওয়া খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল আরশ ডাল্লা। ২০২৩ সালের জুন মাসে কানাডায় বাইরে হত্যা করা হয় নিজ্জরকে। ২০১৮ সালেই পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পাড়ি দিয়েছিল ডাল্লা (Khalistani Terrorist)। সেখানকার সারে নামে একটি জায়গাতে সে বসবাস করত। এমনটাই কানাডার সংবাদ মাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকার প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, ডাল্লা লক্ষ্যবীর নামের একটি গ্যাংয়ের সঙ্গেও যুক্ত।

     

    আরও পড়ুনঃ মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, দেওঘর বিমানবন্দরে ২ ঘণ্টারও বেশি আটকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    Narendra Modi: বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, দেওঘর বিমানবন্দরে ২ ঘণ্টারও বেশি আটকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার শেষ করে দিল্লি ফেরার পথে বিমানবন্দরেই আটকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমান ছাড়ার অনুমতি মেলেনি। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ছিল আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী। এই দিনটি জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আগামী বুধবার ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্যের জামুই ও দেওঘরে দু’টি সভা করেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। সভা শেষ করে সোজা  দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার মধ্যেই এই বিপত্তি। প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে প্রধানমন্ত্রী দিল্লির পথে রওনা দেন। 

    ঠিক কী ঘটেছে? (Narendra Modi)

    পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, প্রচার শেষে দেওঘর থেকে বিমানে দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মতো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে বিমান ওড়েনি। প্রধানমন্ত্রীর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) বিমানবন্দরে পৌঁছলেও, তড়িঘড়ি তাঁর বিমান আটকে দেওয়া হয়। বিমান পরীক্ষা করার কাজ চলে। কাজ করে টেকনিক্যাল টিম। বিমান সারাই হলে, তারপরই উড়বে বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল। পরে অবশ্য বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে তিনি দিল্লি উড়ে যান। দিল্লি থেকেই সেটি পাঠানো হয়। দেওঘর বিমানবন্দরেই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কারণে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়। 

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    আটকে রাহুলও

    অন্যদিকে, দেওঘর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় কপ্টারে প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে থাকে রাহুল গান্ধীর কপ্টার। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে বিধি ভেঙে রাহুলের কপ্টারকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। দু’ঘণ্টা পরে পরে রাহুলের কপ্টারকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 194: “সত্ত্বগুণ যেন সিঁড়ির শেষ ধাপ, তারপরেই ছাদ, মানুষের স্বধাম হচ্ছে পরব্রহ্ম”

    Ramakrishna 194: “সত্ত্বগুণ যেন সিঁড়ির শেষ ধাপ, তারপরেই ছাদ, মানুষের স্বধাম হচ্ছে পরব্রহ্ম”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও আচার্য শ্রীবেচারাম — বেদান্ত ও ব্রহ্মতত্ত্ব প্রসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যখন তিনি সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় করেন তখন তাঁকে সগুণ ব্রহ্ম, আদ্যাশক্তি বলি। যখন তিনি তিন গুণের অতীত তখন তাঁকে নির্গুণ ব্রহ্ম, বাক্য-মনের অতীত বলা যায়; পরব্রহ্ম।

    “মানুষ তাঁর মায়াতে পড়ে স্ব-স্বরূপকে ভুলে যায়। সে যে বাপের অনন্ত ঐশ্বর্যের অধিকারী তা ভুলে যায়। তাঁর মায়া ত্রিগুণময়ী। এই তিনগুণই ডাকাত, সর্বস্ব হরণ করে; স্ব-স্বরূপকে ভুলিয়ে দেয়। সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ—তিন গুণ। এদের মধ্যে সত্ত্বগুণই ঈশ্বরের পথ দেখিয়ে দেয়। কিন্তু ঈশ্বরের কাছে সত্ত্বগুণও নিয়ে যেতে পারে না।

    “একজন ধনী বনপথ দিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় তিনজন ডাকাত এসে তাকে ঘিরে ফেলল ও তার সর্বস্ব হরণ করলে। সব কেড়ে-কুড়ে নিয়ে একজন ডাকাত বললে, ‘আর একে রেখে কি হবে? একে মেরে ফেল’—এই বলে তাকে কাটতে এল। দ্বিতীয় ডাকাত বললে, ‘মেরে ফেলে কাজ নেই, একে আষ্টে-পিষ্টে বেঁধে এইখানেই ফেলে রেখে যাওয়া যাক। তাহলে পুলিসকে খবর দিতে পারবে না।’ এই বলে ওকে বেঁধে রেখে ডাকাতরা চলে গেল। খানিকক্ষণ পরে তৃতীয় ডাকাতটি ফিরে এল। এসে বললে, ‘আহা তোমার বড় লেগেছে, না? আমি তোমার বন্ধন খুলে দিচ্ছি।’ বন্ধন খুলবার পর লোকটিকে সঙ্গে করে নিয়ে ডাকাত পথ দেখিয়ে দেখিয়ে চলতে লাগল। সরকারী রাস্তার কাছে এসে বললে, ‘এই পথ ধরে যাও, এখন তুমি অনায়াসে নিজের বাড়িতে যেতে পারবে।’ লোকটি বললে, ‘সে কি মহাশয়, আপনিও চলুন; আপনি আমার কত উপকার করলেন। আমাদের বাড়িতে গেলে আমরা কত আনন্দিত হব।’ ডাকাতটি বললে, ‘না, আমার ওখানে যাবার জো নাই, পুলিশে ধরবে।’ এই বলে সে পথ দেখিয়ে দিয়ে চলে গেল।

    “প্রথম ডাকাতটি তমোগুণ, যে বলেছিল, ‘একে রেখে আর কি হবে, মেরে ফেল।’ তমোগুণে বিনাশ হয়। দ্বিতীয় ডাকাতটি রজোগুণ; রজোগুণে মানুষ সংসারে বদ্ধ হয়, নানা কাজ জড়ায়। রজোগুণ ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়। সত্ত্বগুণ যেন সিঁড়ির শেষ ধাপ। তারপরেই ছাদ। মানুষের স্বধাম হচ্ছে পরব্রহ্ম। ত্রিগুনাতীত না হলে ব্রহ্মজ্ঞান হয় না।”

    আচার্য—বেশ সব কথা হল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—(সহাস্যে)—ভক্তের স্বভাব কি জানো? আমি বলি তুমি শুন, তুমি বল আমি শুনি! তোমরা আচার্য, কত লোককে শিক্ষা দিচ্ছ। তোমরা জাহাজ, আমরা জেলেডিঙি। (সকলের হাস্য)

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSNL: গ্রাহকদের আরও কাছে! দেশে প্রথম  ‘স্যাটেলাইট টু ডিভাইস’ পরিষেবা চালু করল বিএসএনএল

    BSNL: গ্রাহকদের আরও কাছে! দেশে প্রথম ‘স্যাটেলাইট টু ডিভাইস’ পরিষেবা চালু করল বিএসএনএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএনএল (BSNL) ভারতে ‘স্যাটেলাইট টু ডিভাইস’ (Satellite to Device Service) পরিষেবা চালু করেছে। গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ দিয়ে পরিষেবাকে আরও উন্নত করতেই তারা এই উদ্যোগ নিয়েছে। টেলিকমিউকেশন বিভাগের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। বিএসএনএলকে যাতে আরও সহজলভ্য করা যায়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এই ভাবনা বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ভিয়াস্যাট (Viasat)-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ (BSNL)

    জানা গিয়েছে, ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL) ভারতে প্রথম স্যাটেলাইট সংযোগ পরিষেবা চালু করেছে। এই (Satellite to Device Service) যোগাযোগ পরিষেবা মার্কিননির্ভর প্রযুক্তি কোম্পানি ভিয়াস্যাট (Viasat)-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। এর মূল লক্ষ্য হল দেশের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার ব্যবহারকারীদের সংযুক্ত করা। এই উদ্যোগে ভারতের ভূ-মণ্ডল পৃষ্ঠের সমান্তরাল বরাবর যোগাযোগ স্থাপন হবে। বিশ্বের আর বাকি যে দেশগুলিতে এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার হয়, এখন থেকে তাদের সঙ্গে ভারতের নামও যুক্ত হল। একে বিরাট চমক বলেই অনেকে মনে করছেন।

    আরও পড়ুনঃ মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

    ইউপিআই ব্যবহার করার সুবিধা 

    ভিয়াস্যাট কোম্পানি অক্টোবর মাসেই ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে অংশগ্রহণকারীদের জন্য স্যাটেলাইট চালিত এই পরিষেবা নিয়ে সফল প্রদর্শনী করেছিল। ইতিমধ্যে ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, নন টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক সংযোগের জন্য সক্ষম একটি বাণিজ্যিক স্মার্টফোন ব্যবহার করে দ্বিমুখী এবং জরুরি বার্তা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রেরণ করা যায়। এই ক্ষেত্রে বার্তাগুলি প্রায় ৩৬০০০ কিমি দূরে জিও স্টেশনারি এল-ব্যান্ড স্যাটেলাইটে পাঠানো হয়েছিল। বিএসএনএল-এর (BSNL) এই স্যাটেলাইট (Satellite to Device Service) পরিষেবা ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনীয় জরুরি কল, এসওএস বার্তা এবং ইউপিআই ব্যবহার করার সুবিধা পাবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে জরুটি অবস্থার বাইরে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নিয়মিত কল বা এসএমএস করা যাবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: লটারি দুর্নীতি, দক্ষিণ কলকাতার আবাসনে টাকার পাহাড়! গুনতে ব্যাঙ্ক থেকে যন্ত্র আনল ইডি

    ED: লটারি দুর্নীতি, দক্ষিণ কলকাতার আবাসনে টাকার পাহাড়! গুনতে ব্যাঙ্ক থেকে যন্ত্র আনল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লটারি প্রতারণা মামলায় শুক্রবারেও তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সকাল থেকেই তদন্তকারীদের কয়েকটি দল দক্ষিণ কলকাতার লেক মার্কেট এবং আরও একটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার হয়।

    টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে (ED)

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালে যে নথি প্রকাশ করে তাতে দেখা যায়, ফিউচার গেমিং নামে একটি গোষ্ঠী নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সব থেকে বেশি চাঁদা দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলিকে।আদতে কেরলের কোচি শহরের বাসিন্দা সান্তিয়াগো মার্টিন নামে এক পেপার লটারি ব্যবসায়ীর সংস্থা ওই ফিউচার গেমিং। এই রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে মার্টিন ও তার ঘনিষ্ঠদের প্রায় ২০টি ঠিকানায় তেড়েফুঁড়ে অভিযানে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে দক্ষিণ ভারতের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযানের পর সেখান থেকে প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে কলকাতায় (Kolkata) বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় দিল্লি থেকে আসা ইডি আধিকারিকদের বিশেষ দল। এর মধ্যে রয়েছে সল্টলেকের মহিষবাথান, উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগর-সহ দক্ষিণ কলকাতার দুই ঠিকানা। ইডি সূত্রের খবর, লেক মার্কেটের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডের একটি বহুতল আবাসনে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাট থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। নিয়ে আসা হয়েছে টাকা গোনার যন্ত্রও।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    ৬০ হাজার কোটি টাকার লটারি দুর্নীতি!

    ৬০ হাজার কোটি টাকার লটারি দুর্নীতি হয়েছে, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। লটারির টিকিট বিক্রি করেও সেই টিকিট নম্বরে লটারি না করিয়ে সম্পূর্ণ অন্য সিরিয়াল নম্বরের টিকিটের মাধ্যমে প্রভাবশালীদের টাকা পাইয়ে দেওয়া-সহ অজস্র আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি (ED)। অভিযোগ উঠেছিল, লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে। আর এই প্রতারণার ঘটনায় প্রভাবশালী যোগেরও তত্ত্ব উঠে এসেছে। সেই মামলারই তদন্তে দিল্লি থেকে আসে ইডির বিশেষ দল। এই প্রতারণার জাল কত দূর বিস্তৃত, কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তার তদন্ত হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

    Manipur: মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন করে সহিংসতার মধ্যেই মণিপুরে (Manipur) সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) আরোপ করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর আইন জিরিবাম সহ ছয়টি থানায় পুনর্বহাল করা হয়েছে। উল্লেখ্য এখানেই শেষবার হিংসা সংগঠিত হয়েছিল। উল্লেখ্য গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি জঙ্গিদের সংঘর্ষে ১০ জন সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীর হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। গোটা এলাকা এখনও থমথমে।

    কোন কোন থানায় পুনর্বহাল আফস্পা (Manipur)?

    সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে এই এলাকাকে অশান্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই নিরাপত্তা বিষয়ে কড়া নজর রাখা হয়েছে। এলাকায় আফস্পা আরোপ করা হয়েছে। এই ছয় থানা হল— ইম্ফল পশ্চিম জেলার সেকমাই, লামসাং, ইম্ফলপূর্ব জেলার জিরিবাম, কাংপোকপির লেইমাখং এবং বিষ্ণুপুরের মৈইরাং।

    পুলিশের বিবৃতি

    অশান্তির ঘটনা না ঘটায় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখে মণিপুরের ১৯টি থানায় আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল আগেই। কিন্তু ফের গত সপ্তাহে অশান্তির কারণে কড়া অবস্থান নিয়েছে সেনা। মণিপুর (Manipur) রাজ্যের পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, “গত ৯ সেপ্টেম্বর মেইতি এবং কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর বন্দুক দিয়ে লড়াই হয়। মৃতদের মধ্যে তিনজন চুরাচাঁদপুর জেলার কুকি বিদ্রোহী বলে জানা গিয়েছে। চতুর্থ মৃতদেহটি জিরবামের কুকি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। আবার পঞ্চম মৃতদেহ মেইতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (পাম্বে)-এর সদস্য হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি

    ২০২৩ সালে হাইকোর্টের সংরক্ষণ বিষয়ক রায়কে ঘিরে মণিপুরের (Manipur) মেইতেই এবং কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রচুর পরিমাণে মাদকদ্রব্য চোরাচালান, ড্রাগ কারবারি এবং মায়ানমারের একাধিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ভারত সরকার এবং মণিপুর সরকারের যৌথ আহ্বানে কুকি-জো উপজাতিদের প্রায় ২৪টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী একটি যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষর করেছিল আগেই। যার নাম সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি। তাতে বলা হয়, বিদ্রোহীরা নির্ধারিত ক্যাম্পে থাকতে হবে এবং তাদের অস্ত্র জমা রাখতে হবে। নিয়মিত চলবে নজরদারি। যদিও এই চুক্তি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়েছে। এখনও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। মণিপুরের পার্বত্য অঞ্চলে হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২২০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৫০,০০০ মানুষকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। সবটা মিলিয়ে মণিপুরে অশান্তির কালো মেঘ এখনও কাটেনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share