Tag: bangla news

bangla news

  • Balurghat: ‘ভুয়ো’ চেক দিয়ে ধাপে ধাপে বালুরঘাট পুরসভার ১৪ লক্ষ টাকা গায়েব!

    Balurghat: ‘ভুয়ো’ চেক দিয়ে ধাপে ধাপে বালুরঘাট পুরসভার ১৪ লক্ষ টাকা গায়েব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়ে নানা অনিয়মকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা, দুই বর্ধমানসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কয়েক’শো স্কুল পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে নাজেহাল শিক্ষা দফতরের পড়ুয়ারা। সেই আবহেই এ বার পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠল। বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ১৪ লক্ষের বেশি টাকা তুলে নিয়েছেন অন্য কেউ! এমন ‘ভুতুড়ে কাণ্ডে’র অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটে। কে বা কারা পুরসভার টাকা গায়েব করলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এখানেও কি তাহলে ট্যাবের মতো প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে? সেই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে। যদিও বিজেপির দাবি পুরসভা নিজের কেলেঙ্কারির দোষ ব্যাঙ্কের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র টাকা গায়েবের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে মোট ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। তিনটি চেকের মাধ্যমে সেই টাকা তুলেছে প্রতারকরা। কিন্তু, অশোকের দাবি, যে যে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছে, তা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউকে দেওয়া হয়নি। তার পরও কীভাবে ওই চেকগুলির মাধ্যমে টাকা তোলা হল, তা বুঝতে পারছেন না তিনি। অশোকের দাবি, ৫৩৭৭১, ৫৩৭৭২ এবং ৫৩৭৭৩ এই তিনটি নম্বরের চেক ব্যাঙ্কে (Bank) জমা দিয়ে পুরসভার টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু চেকগুলি এখনও পুরসভার চেক বুকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অথচ তা দিয়েই ধাপে ধাপে ১৪ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কী ভাবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুরসভার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অশোক। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, পুরো বিষয়টি জানিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। এক দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যদি পুরসভার টাকা ফেরত না আসে তবে আইনি পদক্ষেপ করব। বালুরঘাট থানা, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কী বললেন?

    বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর হতেই ব্যাঙ্কের বালুরঘাট (Balurghat) শাখার ম্যানেজার বিক্রান্ত কুমার বলেন, ‘‘এই শাখায় এমন কোনও অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি সদর দফতরে জানানো হয়েছে। কী ভাবে ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    এই বিষয়ে বিজেপির বালুরঘাট (Balurghat) শহরের সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত বলেন, ‘‘আমরা সবাই জানি এই সরকার চোরের সরকার। পুরসভা নিজের কেলেঙ্কারির দোষ ব্যাঙ্কের ওপর দিয়ে দিতে চাইছে। এই ঘটনায় পুরসভার সবাই জড়িত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Pollution: প্রবল দূষণে নাজেহাল দিল্লি, জারি ৫ দফা নির্দেশ, প্রাথমিক স্কুল চলবে অনলাইনে

    Delhi Pollution: প্রবল দূষণে নাজেহাল দিল্লি, জারি ৫ দফা নির্দেশ, প্রাথমিক স্কুল চলবে অনলাইনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল দূষণে (Delhi Pollution) নাজেহাল দিল্লি। যার জেরে জারি করা হয়েছে ৫ দফা নির্দেশ। প্রাথমিক স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে অনলাইন মাধ্যেম ক্লাস চালাতে। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই বলেছেন, ‘‘এখনই নতুন করে কড়াকড়ি জারি হবে না। তবে বিকেল থেকে জানানো হয়েছে দূষণ মোকাবিলায় শুক্রবার থেকে জারি হবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমানতা কমে ৫০০ থেকে ৬০০ মিটারে দাঁড়িয়েছে।’’

    তৃতীয় স্তরের সতর্কতা জারি (Delhi Pollution)

    দিল্লির বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) বা গুণগত মানের সূচক ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছে। দূষণ (Delhi Pollution) মোকাবিলায় শুক্রবার থেকে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে দেশের রাজধানী। দিল্লিতে বাতাসের গুণমান অত্যন্ত অবনতি হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দূষণ মোকাবিলায় শুক্রবার সকাল ৮টা থেকেই কার্যকর হতে চলেছে তৃতীয় স্তরের সতর্কতা (পরিভাষায়, গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩ বা জিআরএপি ৩)। এখন প্রয়োজন নয়, এমন নির্মাণ বা ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। অপর দিকে বাসের সংখ্যাও কমানোর কথা বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা বলেন, “পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত শুক্রবার থেকে দিল্লির সব প্রাথমিক স্কুলে অনলাইন পঠনপাঠন চলবে।”

    বেশি পরিমাণে জল ছেটানোর ব্যবস্থা করা হবে

    ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা এবং সতর্কতা। একই সঙ্গে কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কিছু সরকারি পরিকাঠামো সংক্রান্ত নির্মাণ কাজকে এই কাজের বাইরে রাখা হয়েছে। বিএস ৩-এর নিচে থাকা পেট্রল গাড়ি এবং বিএস ৪-এর নিচে থাকা ডিজেল গাড়ি চলাচল করতে পারবে না দিল্লির রাস্তায়। এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে উত্তরপ্রদেশ, গুরুগাম, গাজিয়াবাদ এবং নয়ডায়। নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাস চলাচলও। আন্তঃরাজ্য পরিবহণে বৈদ্যুতিক সিনএনজি এবং ডিজেল চালিত বিএস ৬ বাস ছাড়া অন্য কোনও বাস চলাচল করবে না। একমাত্র অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনের ক্ষেত্রেই ডিজেল চালিত জেনারেটার ব্যবহার করা যাবে। জিআরএপি ৩ কার্যকর থাকাকালীন রাস্তায় ধুলো (Delhi Pollution) নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও বেশি পরিমাণে জল ছেটানোর ব্যবস্থা করা হবে।

    বাতাসের গুণগত মানের সূচকের মান ৪২৮

    দিল্লি-সহ আশপাশের এলাকায় দূষণের (Delhi Pollution) মাত্রা বিরাট আকার নিয়েছে। বৃহস্পতিবার আগ্রায় বিরাট ধোঁয়াশা এতটাই ছিল যে তাজমহলের প্রবেশদ্বার থেকে সৌধ দেখা যাচ্ছিল না। দিল্লিতেও ছিল ঘন চাঁদর। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মানের সূচক পৌঁছে গিয়েছিল ৪২৮-এ। বাতাসের মান বিষয়ক কমিশন (সিএকিউএম) জানিয়েছে দিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে জিআরপি ৩ কার্যকর হয়ে যাবে। দেখা গিয়েছে প্রতি ৭ থেকে ১০টি পরিবারের মধ্যে কমপক্ষে ১ জন দূষণের শিকার হচ্ছেন। অসুস্থাতার জন্য গলা ব্যথা বা কাশি, চোখে জ্বালাপোড়া ভাব, নাক দিয়ে জল পড়া-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Giriraj Singh: চাপ মৌলবাদীদের! মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে, বিস্ফোরক গিরিরাজ

    Giriraj Singh: চাপ মৌলবাদীদের! মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে, বিস্ফোরক গিরিরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘দেশে একটি নতুন সংস্কৃতি আমদানি হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে উগ্র মৌলবাদীদের ফতোয়ার কারণে মহিলারা সেই সমস্ত জায়গাতেও বোরখা (Burqa) পরছেন, যেখানে হয়ত তার দরকারই নেই।’’ গিরিরাজের দাবি, ‘‘মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে। এদেশে ১০০ কোটিরও বেশি হিন্দুর কাছে এগুলি নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তার কারণ রাহুল গান্ধী কিংবা লালু প্রসাদ যাদব, তাঁরা হচ্ছেন ‘ভোটের সওদাগর’। তাঁরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য এগুলো সমর্থন করছেন। এদিন গিরিরাজ জমিয়তে-উলেমা-হিন্দের প্রধান আরশাদ মাদানিকেও তীব্র আক্রমণ করেন। একই সঙ্গে ইত্তেহাদ-ই-মিলাদি কাউন্সিলের প্রধান তকবীর রাজাকেও তিনি একহাত নেন। তাঁর মতে, ‘‘এঁরা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে।’’

    বর্তমানে নারী সশক্তিকরণের সময় চলছে

    এদিন তিনি (Giriraj Singh) আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে নারী সশক্তিকরণের সময় চলছে। মুসলিম দেশগুলিতে বোরখার বিরুদ্ধে নারীরা আন্দোলন করছেন। কিন্তু ভারতবর্ষে উগ্র মৌলবাদীরা নতুন ধরনের সংস্কৃতি আমদানি করেছে, যেখানে অপ্রয়োজনীয় জায়গাতেও তাঁরা বোরখা (Burqa) পরছেন।’’ প্রসঙ্গত, মুসলিম নেতা মাদানি সম্প্রতি বলেছেন যে, পাঁচ লাখ লোক তাঁরা জমায়েত করবেন, ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে। আইনের বিপক্ষে গিয়ে তাঁরা কিছুই করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন গিরিরাজ।

    গৃহযুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করছেন রাহুল গান্ধী!

    সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেও তোপ দেগেছেন তিনি। তিনি (Giriraj Singh) বলেন, ‘‘সারাদেশে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে সবচেয়ে বেশি কংগ্রেস দল। কারণ তারাই দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চায়। শুধুমাত্র তাই নয়, রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী চাইছেন সারা ভারতে একটা অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক। এইভাবে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করে তিনি গৃহযুদ্ধে মদত দিতে চান এবং ভারতবর্ষকে এর মাধ্যমে ধ্বংস করতে চান।’’ খাড়্গেকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘খাড়্গে সাহেব আপনার উদ্দেশ্য কখনও পূরণ হবে না, কারণ ভারতবর্ষের যুবসমাজ বর্তমানে জেগে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pneumonia: প্রত্যেক নিঃশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ! নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট মারাত্মক বাড়ছে কেন?

    Pneumonia: প্রত্যেক নিঃশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ! নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট মারাত্মক বাড়ছে কেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে দূষণ। বিশেষত বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে একাধিক বিপদ। আর সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ফুসফুসের! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। যার জেরে নিউমোনিয়ার (Pneumonia) মতো রোগের দাপট মারাত্মক বেড়েছে। ১২ নভেম্বর ছিল বিশ্ব নিউমোনিয়া সচেতনতা দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যেভাবে পৃথিবী জুড়ে এই রোগের দাপট বাড়ছে, তাতে সচেতনতা না বাড়ালে মোকাবিলা করা কঠিন। আরও কঠিন হয়ে উঠবে সুস্থ জীবনযাপন। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এই বছরে তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক নিঃশ্বাস কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বোঝা জরুরি। বাতাসে যেভাবে দূষিত উপাদান বাড়ছে, তাতে পরিশুদ্ধ বাতাস কতখানি পাচ্ছে, মানুষকে সেদিকে নজর দিতে হবে। এ বছরের থিম ‘Every Breath Counts’।

    কাদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া? (Pneumonia) 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু এবং বয়স্কদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এই রোগ।‌ নিউমোনিয়ার দাপটে বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর ৮০ লাখ শিশুর জীবন-সঙ্কট তৈরি হয়। প্রবীণ নাগরিকদেরও জীবনের ঝুঁকি বাড়ায় এই রোগ। গত কয়েক বছরে সত্তরোর্ধ্ব অধিকাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকছে নিউমোনিয়া। তাই প্রথম থেকেই এই রোগ নিয়ে সচেতনতা না থাকলে বিপদ বাড়বে। কিন্তু কীভাবে নিউমোনিয়ার মোকাবিলা সম্ভব?

    টিকাকরণ জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুসফুসের সুস্থতার (Lung infection) দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। তাই টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের নিউমোনিয়ার টিকা নিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, বিশ্বের একাধিক দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে বিশেষ সচেতনতা নেই। ফলে, এই রোগের দাপট আরও বাড়ছে।

    ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে হবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপান অত‌্যন্ত ক্ষতিকারক। এই অভ্যাস ছাড়তেই হবে। যে ধূমপান করছে, তার পাশপাশি তার আশপাশের মানুষের জন্যও এই অভ্যাস ক্ষতিকারক।ফুসফুসের উপরে এটা মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ফুসফুসের একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। নিউমোনিয়ার (Pneumonia) দাপট বাড়াতে পারে এই অভ্যাস। তাই ধূমপানের অভ্যাস ছাড়া দরকার।

    নিয়মিত হাত পরিষ্কার

    সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস থাকলে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ফলে, নিউমোনিয়ার মতো জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে।

    ঘরের ভিতরের বাতাস পরিশুদ্ধ থাকা জরুরি (Pneumonia) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরের ভিতরের বাতাস কতখানি পরিশুদ্ধ সেদিকেও‌ নজরদারি জরুরি। প্রয়োজনে আরও ইন্ডোর গাছ ঘরে রাখার দিকেও নজর দেওয়া দরকার। বহু গাছ বাতাসের দূষিত উপাদান সহজেই টেনে নেয়। তাই সেদিকে নজর দিলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হয়‌।

    রোগ নিয়ে সচেতনতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লাগাতার সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলে একেবারেই এড়িয়ে চলা যাবে না। প্রথম থেকেই রোগ নিয়ে সতর্ক থাকলে বড় বিপদ এড়ানো‌ সহজ হয়। নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন ২৫ তারিখ, প্রক্রিয়া শুরু হল আসানসোল সিবিআই আদালতে

    CBI: কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন ২৫ তারিখ, প্রক্রিয়া শুরু হল আসানসোল সিবিআই আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার (Coal Smuggling) মামলায় চার্জ গঠনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সিবিআই (CBI) আদালতে চার্জ গঠনের প্রস্তাব দিলেন সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমার। নির্দিষ্ট মামলা ও ধারা সহ প্রস্তাব গ্রহণ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এর আগে গত ৩ জুলাই কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য হয়েছিল। অভিযুক্ত ও একাধিক সাক্ষী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় ওইদিন চার্জ গঠন হয়নি। তারপরেই বিচারক ৯ অগাস্ট দিন ধার্য করেছিলেন। সেবার আদালতে কর্মবিরতি থাকায় চার্জ গঠন হয়নি। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য হয়। সেদিন দুটি সংস্থার বা কোম্পানির জটিলতা থাকায় চার্জ গঠন হয়নি। তারপরেই ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। ১৪ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শুরু হয় চার্জ গঠনের (Coal Smuggling) প্রাথমিক প্রক্রিয়া।

    আদালতে কী হল? (CBI)

    এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শুনানি শুরু হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবি রাকেশ কুমার চার্জ গঠনের আবেদন জানান। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের আইনজীবির কাছে জানতে চান কোন কোন ধারায় কাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। তখন রাকেশ কুমার বলেন, পাবলিক সারভেন্ট বা সরকারের ১২ জন ইসিএল কর্মী, কোম্পানির ১০ ও ইনডিভিজুয়াল বা ব্যক্তিগত ভাবে ২৭ জনের নামে মোট তিনটি ভাগে বিভিন্ন ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা। তাঁরা তাঁদের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখার জন্য সময় চাইলে বিচারক আগামী সোমবার ১৮ নভেম্বর তাঁদের বক্তব্য রাখার দিন ধার্য করেন। আশা করা হচ্ছে, সেই (Coal Smuggling) শুনানির পরে কয়লা পাচার মামলায় বহু চর্চিত চার্জ গঠনের অন্য একটি দিন ঠিক করা হবে। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী ২৫ তারিখ চার্জ গঠন করা হবে।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    তিনটি চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই

    কয়লা পাচার মামলায় মূল কিংপিন অনুপ মাজি ওরফে লালা, রত্নেশ ভর্মা ও বিকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে আলাদা করে বিশেষ কিছু ধারা যোগ করা মামলায় চার্জ দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের (CBI) এই মামলায় ৩৯৬ জন সাক্ষী রয়েছেন। মামলায় অভিযুক্ত ৫০ জন। প্রত্যেকের জন্য রয়েছে ২৫ হাজার পাতার নথি। রয়েছে ১১৪৯ পাতার তথ্যপ্রমাণ। এই মামলায় সিবিআই মোট তিনটি চার্জশিট জমা দিয়েছে। এই মামলায় মোট ৫০ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে বিনয় মিশ্র ফেরার। এক ইসিএল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হবে। এদিন ৪৮ জনের মধ্যে ৪৬ জন উপস্থিত ছিলেন।

    অভিযুক্তদের আইনজীবী কী বললেন?

    অভিযুক্তদের তরফে তিন আইনজীবী শেখর কুণ্ডু, সোমনাথ চট্টরাজ ও অভিষেক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগামী সোমবার আমরা আমাদের বক্তব্য রাখব। সিবিআইয়ের (CBI) তরফে বেশ কিছু ধারা দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। আমরা সেটাই বলব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: অবশেষে কলকাতাসহ জেলায় জেলায় ঠান্ডার আমেজ, জাঁকিয়ে শীত কবে?

    Weather Update: অবশেষে কলকাতাসহ জেলায় জেলায় ঠান্ডার আমেজ, জাঁকিয়ে শীত কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরপর নিম্নচাপ আর বৃষ্টির জন্য আটকে ছিল শীত। নভেম্বরের শুরুতেও রীতিমত ঘাম দিয়েছে। অবশেষে বদলাতে শুরু করেছে আবহাওয়া (Weather Update) । শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় শীত শীত (Winter) ভাব অনুভব করা যাচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম হাওয়ার দাপটের ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নেমেছে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। আগামী এক সপ্তাহ ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা।

    কোথায় কোথায় কুয়াশা? (Weather Update)

    হাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা ঝাড়খণ্ড এবং বিহার লাগোয়া উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে। ঘন কুয়াশায় ঢাকবে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু এলাকা। দৃশ্যমানতা কোথাও ৫০ মিটার ছুঁতে পারে। বাকি সব জেলাতেই সকালের দিকে হালকা কুয়াশা। দিনভর পরিষ্কার আকাশ। রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। রবিবার দার্জিলিং-এর পার্বত্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। পুরুলিয়াতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ঘরে নেমে আসে। ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ঝাড়গ্রাম, শ্রীনিকেতন, পানাগড়। কলকাতা রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। সোমবার ১৯-এর ঘরে নামতে পারে কলকাতার রাতের পারদ। শহরের আকাশ মেঘমুক্ত ঝলমলে পরিষ্কার। দিনের তাপমাত্রা ২৯.৪ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের তুলনায় দেড় ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ৪০ থেকে ৯৩ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    তাপমাত্রা আরও নামবে!

    আবহাওয়ার (Weather Update) রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, এবার ধীরে ধীরে নামবে পারদ। উত্তরের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আগামী পাঁচ দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে রাতের তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চলে যাবে স্বাভাবিকের নীচে। সপ্তাহান্তে অর্থাৎ শনি-রবিবারেই আবহাওয়া বদলে যাবে অনেকটাই। তবে, শীতের আমেজ আসলেও জাঁকিয়ে শীত নয় নভেম্বরে। জাঁকিয়ে শীতের জন্য অপেক্ষা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। ধীরে ধীরে নামবে পারদ। আগামী পাঁচ দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে রাতের তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার নিচে চলে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Guru Nanak Jayanti: স্বয়ং ঈশ্বর তাঁকে অমৃত দিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস, আজ গুরু নানক জয়ন্তী

    Guru Nanak Jayanti: স্বয়ং ঈশ্বর তাঁকে অমৃত দিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস, আজ গুরু নানক জয়ন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার ১৫ নভেম্বর গুরু নানক জয়ন্তী। শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানককে (Guru Nanak Jayanti) ‘বাবা নানক’ নামেও অভিহিত করা হয়। জানা যায়, ১৪৬৯ সালে গুরু নানকের জন্ম হয় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নানকানা সাহিবের এক হিন্দু পরিবারে। শিখ ধর্মের এই প্রবর্তক আজীবন অগণিত মানুষকে দিশা দেখিয়েছেন। জীব সেবার নানা পথের সন্ধান তিনি দিয়েছেন। আজও তিনি সমাজকল্যাণের এক বটবৃক্ষ হয়ে রয়েছেন। গুরু নানকের জন্মদিন অত্যন্ত ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয়। এই দিন শিখ (Sikhism) ধর্মাবলম্বী মানুষরা নগর কীর্তন বের করেন, শোভাযাত্রা করেন, গুরু নানকের উদ্দেশে স্তব গান করেন।

    সংক্ষিপ্ত জীবনী

    প্রসঙ্গত, ছোট থেকে গুরু নানকের (Guru Nanak Jayanti) মধ্যে ছিল প্রবল ঈশ্বর চিন্তা। অল্প বয়সেই নানকের বিয়ে হয় বলে জানা যায়। এরপরে কিছুকাল তিনি হিসাব রক্ষকের কাজও করেন। জানা যায়, প্রত্যহ সূর্যোদয়ের ১ ঘণ্টা আগে গুরুনানক নদীতে স্নান করতেন। এরকমই একটি অভিজ্ঞতার কথা কথিত হয়ে রয়েছে। ৩০ বছর বয়সে ভোরবেলায় নানক একদিন নদীতে স্নান করতে যান। সে সময় ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয় বলে কথিত রয়েছে। জানা যায়, ঈশ্বর (Sikhism) তাঁকে এক কাপ অমৃত দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তোমার মাধ্যমে আমার নাম মহিমান্বিত হবে। তোমাকে যে অনুসরণ করবে আমি তাকে রক্ষা করব। জীবনে দাতব্য (দান), অজু (পরিচ্ছন্নতা), সেবা (সেবাকার্য) এবং সিমরান (প্রার্থনা)-র ওপর জোর দিতে নানককে পরামর্শ দেন ঈশ্বর। জানা যায়, গুরু নানক তাঁর বার্তা ছড়িয়ে দিতে হেঁটে ভ্রমণ করেছিলেন, শ্রীলঙ্কা, বাগদাদ, মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২২ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন।

    গুরু নানকের (Guru Nanak Jayanti)  গুরুত্বপূর্ণ ১০ বাণী

    ১) ‘‘নিজের কাজ নিজে করো, কারও সাহায্য ছাড়াই কাজ করার চেষ্টা করো’’

    ২) ‘‘কোনও কুসংস্কারকে মনে প্রশ্রয় দিও না। কারণ কুসংস্কার মনের মধ্যে ভয় তৈরি করে। জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়।’’

    ৩) ‘‘যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করা যায় না, সারা জীবন ধরে চেষ্টা করলেও কেউ তা পেরে উঠবে না।’’

    ৪) ‘‘যাঁর নিজের উপরে কোনও বিশ্বাস নেই, তিনি ভগবানকে কী করে বিশ্বাস করবেন!’’

    ৫) ‘‘জঙ্গলের মধ্যে ঢুকলে আলোর সন্ধান পাবে না। তাই উদার হও’’

    ৬) ‘‘ঈশ্বর আর মানুষ আলাদা নয়, মানুষকে ভালোবাসলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়।’’

    ৭) ‘‘এমন কথাই সব সময় বলা উচিত যেখানে অন্যরা সেটা শুনে আপনাকে শ্রদ্ধা সম্মান করতে পারে।’’

    ৮) ‘‘ব্যক্তির তাঁর আয়ের ১০ ভাগ দাতব্য কাজে এবং ১০ ভাগ সময় ঈশ্বরের ভক্তির জন্য ব্যয় করা উচিত।’’

    ৯) ‘‘টাকা সবসময় পকেটে থাকা উচিত। এটি আপনার হৃদয়ের কাছাকাছি রাখা উচিত নয়।’’

    ১০) ‘‘খারাপ কাজ করার চিন্তা করা উচিত নয় এবং কাউকে নির্যাতন করা উচিত নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birsa Munda: খাদ্যাভ্যাসে নিরামিষাশী, কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত, আজ বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    Birsa Munda: খাদ্যাভ্যাসে নিরামিষাশী, কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত, আজ বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড রাজ্যের খুন্তি জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম উলিহাতু। মেরেকটে আড়াইশো পরিবারের বাস গ্রামে। মোট জনসংখ্যা ১,১২৬। এমন গ্রামের সংখ্যা ভারতে নেহাত কম নয়। গুণতে গেলে কয়েক লাখে থামতে হবে। তবে হঠাৎ উলিহাতু নিয়ে আলোচনা কেন? কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই গ্রামে? উত্তর হল, ছোট্ট প্রত্যন্ত এই গ্রাম এক দেশ বিখ্যাত যোদ্ধার জন্মভূমি। যাঁকে তাঁর অনুগামীরা ‘ধরতি আবা’ বলতেন। অর্থাৎ কিনা স্বয়ং ভগবান। যাঁকে দমানোর জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত মাঠে নামতে হয়েছিল। তিনি মুন্ডা বিদ্রোহের অবিসংবাদী নেতা ভগবান বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda)। আজ শুক্রবার ১৫ নভেম্বর তাঁর ১৫০তম জন্মদিন। মুন্ডা শব্দটি সংস্কৃত থেকে উৎপত্তি হয়েছে যার প্রকৃত অর্থ ‘গ্রাম প্রধান’।

    বিরসা মুন্ডার মুখস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত

    এক গরীব পরিবারে জন্ম হয় বিরসা মুন্ডার (Birsa Munda)। পার্থিব জীবন মাত্র ২৫ বছরের ছিল। কিন্তু তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে। জীবিত অবস্থাতেই তিনি ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে তিনি আসীন। ভারতের জনজাতি এলাকাগুলিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ ব্রিটিশ আমল থেকেই চালু রয়েছে। ছোট্ট প্রত্যন্ত গ্রামে বিরসা মুন্ডাকে খ্রিস্টান ধর্মের উপাসনা করার জন্য জোর করা হলে, তিনি গ্রামের খ্রিস্টান স্কুল ত্যাগ করেন। বিরসা মুন্ডা হিন্দুধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে জানা যায়। নিজগৃহের বিভিন্ন দেবতার প্রতি তাঁর পরম ভক্তি ছিল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে দীক্ষা নেন। খাদ্যাভ্যাসে ছিলেন নিরামিষাশী। কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত।

    অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনাবাহিনী গঠন

    ১৮৯৪ সালে ভয়াবহ খরা দেখা দিল। নির্দয় ব্রিটিশ সরকার তবুও কর সংগ্রহ করছিল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। ওই বছরেই ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন বলবৎ করে। এরফলে অরণ্যের ওপর জনজাতিদের অধিকার খর্ব হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হন তরুণ বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda)। স্থানীয় মানুষজনকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সেনাবাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেন। ১৮৯৫ সালেই ‘কর মুক্ত’ আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। দুই বছর জেলে থাকার পরে ১৮৯৭ সালে তিনি মুক্তি পান। পুনরায় শুরু হয় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক আন্দোলন। ছোটনাগপুরে শুরু হয় তীর-ধনুক নিয়ে আন্দোলন।

    ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ

    ১৮৯৮ সালে টাঙ্গা নদীর তীরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজিত করতে সমর্থ হন তিনি। যুদ্ধজয়ের পর তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু এর বিরূপ প্রভাব শত শত মানুষ ভোগ করছে। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। এত নির্যাতনের পরেও থামেনি মানুষের সংগ্রাম।’’ ১৯০০ সালে ডোবাড়ি পাহাড়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সংঘর্ষে অনেক নারী ও শিশু নিহত হন। বিরসা মুন্ডাকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে ব্রিটিশ সরকার। নিরস্ত্র বিরসাকে জঙ্গলের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। কথিত আছে, কারাগারে থাকাকালীন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিরসা মুন্ডাকে (Birsa Munda) হত্যা করা হয়‌। ১৯০০ সালের ৯ জুন স্বর্গযাত্রা করেন ভগবান বিরসা মুন্ডা।

    বিরসার জন্মদিন ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ (Janjatiya Gaurav Divas)

    ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশাতে আজও পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ ‘বিরসা মুন্ডা’কে ‘ভগবান বিরসা মান্দা’ হিসাবে পুজো করে থাকেন। এমন একজন ঐশ্বরিক ব্যক্তিত্ব যিনি তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার কেন্দ্র- যিনি ভারতের সম্পদ, তিনি ব্রাত্য থেকেছে বরাবর। তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাননি। স্বাধীনতার পর থেকেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েক বছর আগে ‘মন কি বাত’, ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র দুঃসাহসিক গল্প স্মরণ করেন এবং ঘোষণা করেন, তাঁর জন্ম-জয়ন্তী (Janjatiya Gaurav Divas), প্রতি বছর ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসাবে উদযাপন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rash Yatra 2024: ঐতিহ্য আর থিমের মেলবন্ধন! শান্তিপুরে রাসযাত্রা শুরুর পিছনে স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব!

    Rash Yatra 2024: ঐতিহ্য আর থিমের মেলবন্ধন! শান্তিপুরে রাসযাত্রা শুরুর পিছনে স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৫৫০  বছর আগে অদ্বৈত আচার্যের হাত ধরে প্রথম শুরু হয় শান্তিপুরের (Santipur) রাসযাত্রা। আজও একইভাবে নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হচ্ছে রাস উৎসব। এবারও রাসযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি তুঙ্গে। নিত্যনতুন থিমে সেজে উঠেছে গোটা শহর। পুরানো ঐতিহ্যের সঙ্গে থিমের মেলবন্ধনে রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) আরও জাঁকজমক হয়ে উঠেছে।

    শান্তিপুরে রাস লীলার ইতিহাস (Rash Yatra 2024)

    কথিত আছে, দ্বাপর যুগে বৃন্দাবনে তখন প্রতিদিন রাসলীলা (Rash Yatra 2024) হচ্ছে। যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ব্যতীত কোনও পুরুষের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তখন মহাদেবের মনে প্রশ্ন জাগল, রাসলীলা কীভাবে হয়। সেখানে কেন পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ? এই প্রশ্ন থেকেই তিনি মহিলা রূপে রাসলীলায় প্রবেশ করেন। সেদিন শ্রীকৃষ্ণ বুঝতে পারেন, রাসলীলার মধ্যে কোনও পুরুষ প্রবেশ করেছে। তিনি কাউকে কিছু না বলেই রাসলীলা থেকে হঠাৎ বেরিয়ে যান। তখন যোগমায়া অর্থাৎ দুর্গা বুঝতে পারেন, রাসলীলার ভিতর কোনও পুরুষ প্রবেশ করেছেন। তিনি জানতে পারেন, মহাদেব নিজে নারীরূপ ধারণ করে রাসলীলায় সামিল হয়েছেন। তখন তিনি মহাদেবকে রাসলীলা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। মহাদেব বলেন, দ্বাপরে আমার রাসলীলা দেখার সৌভাগ্য না হলেও আমি অন্য যুগে রাসলীলা দেখব এবং প্রসার ঘটাব।

    শান্তিপুরের অদ্বৈত আচার্যকে মহাদেব এবং বিষ্ণুর অবতার বলা হত। প্রায় ৫৫০ বছর আগে তিনি প্রথম নারায়ণ পুজো করে রাসের শুভ আরম্ভ করেন। প্রথমে মূলত বিভিন্ন গোস্বামী এবং বিগ্রহ বাড়িতেই শান্তিপুরে রাসযাত্রা চলত। এরপর হঠাৎ গোস্বামী বাড়ি থেকে রাধারমন জিউ অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের বিগ্ৰহ চুরি হয়ে যায়। এরপর অদ্বৈত আচার্যের পৌত্র মথুরেশ গোস্বামী বাংলাদেশের যশোর থেকে পুনরায় সেই মূর্তি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। গোস্বামী বাড়ির পরবর্তী বংশধররা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন, যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ একাই মন্দিরে আছেন, তাকে যুগল রূপে পুজো করতে হবে। এরপরই রাধারানিকে স্থাপন করার উদ্দেশ্যে বৈষ্ণবদের মতামত নিয়ে একটি ভালো দিন দেখে রাধারানির বিগ্রহ স্থাপন করা হয়। আর সেই দিন থেকেই শুরু হয়ে আসছে শান্তিপুরের রাসযাত্রা। আর ঠিক যখন রাধারানির মূর্তি স্থাপন করা হয়, তখন বাড়ির সকলেই বলেন, যেহেতু রাধা কৃষ্ণের মিলন ঘটেছে সে কারণে একটি অনুষ্ঠানের প্রয়োজন। সেই কারণেই শান্তিপুরে তিন দিন উৎসব পালন করা হয়। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে শান্তিপুরের রাসযাত্রা। শেষ হবে রবিবার।

    কোথায় কী থিম?

    আজও শান্তিপুরে সেই একই নিয়ম মেনে রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) হয়ে আসছে। এই রাসযাত্রা এখন শুধুমাত্র গোস্বামী বাড়ি বা বিগ্রহ বাড়িতে থেমে নেই। ছোট-বড় অনেক বারোয়ারি বিভিন্ন মণ্ডপ সাজিয়ে রাসযাত্রা করছে। এবারও বিভিন্ন বারোয়ারি তাদের সেরা উপহার তুলে দিতে চাইছে দর্শনার্থীদের মধ্যে। শ্যামবাজার রাস উৎসব কমিটি এ বছর বিভিন্ন প্রকার লৌহসামগ্রী দ্বারা নির্মিত করেছে মণ্ডপ। থানার মাঠ রাস উৎসব কমিটির এ বছরের নিবেদন অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপ। শান্তিপুর লিডার্স ক্লাবের এবছর থিম, ‘এবার রাসে শান্তিপুর, আলোক মালায় ভরপুর’। অন্যদিকে লক্ষ্মীতলা বারোয়ারির এ বছরের থিম বদ্রিনাথ ধাম। পঞ্চাননতলা যুব সঙ্ঘর এ বছরের নিবেদন ময়ূর মহল। রাধাকৃষ্ণ কলোনি ক্লাব এবার তাদের থিম রেখেছে যন্ত্রই জীবন। এর পাশাপাশি একাধিক উল্লেখযোগ্য বারোয়ারি রয়েছে যারা বিভিন্ন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে। আলোকসজ্জায় ফুটিয়ে তুলেছে গোটা শান্তিপুরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে’’, মহারাষ্ট্রে তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে’’, মহারাষ্ট্রে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharastra) নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিরোধীদের তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে।’’ মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের লড়াইকে তিনি আখ্যা দেন সম্ভাজি মহারাজের বনাম ঔরঙ্গজেবের লড়াই হিসেবে। এদিন নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীদের তুলোধনা করেন ৩৭০ ধারা ইস্যুতেও। তিনি বলেন, ‘‘ যে ধারা কাশ্মীরকে আলাদা সংবিধান তৈরি করার অধিকার দিয়েছিল, ফের আবার তা ফিরিয়ে আনতে চলেছে কংগ্রেস ও জোট সঙ্গীরা।

    ছত্রপতি সম্ভাজি নগরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী 

    এরপরই তিনি জনগণের উদ্দেশে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, ‘‘মহারাষ্ট্র কি কংগ্রেসকে সমর্থন করে? যারা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে।’’ তারপরেই জনগণের (PM Modi) উদ্দেশ্যে তিনি দুটির মধ্যে একটিকে বাছতে বলেন। তিনি বলেন, ‘‘একদিকে রয়েছে সম্ভাজি মহারাজের সমর্থকরা, অন্যদিকে রয়েছে ঔরঙ্গজেবের সমর্থকরা। জনগণকে ঠিক করতে হবে তারা কাকে বাছবে। এদিন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জনসভা করেন ছত্রপতি সম্ভাজি নগরে (Maharastra)। সেখানেই কংগ্রেসকে এক হাত নেন তিনি। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রস্তাব পেশ করেছে যাতে আর্টিকেল ৩৭০কে ফিরিয়ে আনা যায়। এ নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস কখনও চায় না কাশ্মীর অখণ্ড ভারতের অংশ হোক।

    প্রত্যেক ভারতবাসী চায় জম্মু-কাশ্মীর শাসিত হোক বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান থেকেই

    নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমরা যখন কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারা মুক্ত করেছিলাম তখন কংগ্রেস ও তার জোট সঙ্গীরা এর বিরোধিতা করেছিল, সংসদে দাঁড়িয়ে। শুধুমাত্র তাই নয়, তারা আদালতের দরজাতে কড়া নেড়েছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তারা ফের একবার সেই ৩৭০ ধারাকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। জম্মু-কাশ্মীরের জন্য আলাদা সংবিধান তারা চাইছে।’’ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতবাসী চায় জম্মু-কাশ্মীর শাসিত হোক বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান থেকেই।’’ প্রধানমন্ত্রী এদিন কংগ্রেসের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘‘তারা জাতভিত্তিক জনগণনা চাইছে এবং তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং ওবিসিদের মধ্যে বিভাজন আনার চেষ্টা করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share