Tag: bangla news

bangla news

  • Mahakumbh Mela 2025: প্রয়াগরাজে এবার ‘সবুজ মহাকুম্ভ’, ১ হাজারের বেশি পরিবেশবিদদের হবে মহাসঙ্গম

    Mahakumbh Mela 2025: প্রয়াগরাজে এবার ‘সবুজ মহাকুম্ভ’, ১ হাজারের বেশি পরিবেশবিদদের হবে মহাসঙ্গম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে পূর্ণমহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) স্নান শুরু হতে চলেছে। এবার মেলায় কোনও পরিবেশ দূষণকারী (Environmentalists) জিনিসকে সম্পূর্ণ বর্জন করা হয়েছে। মেলায় প্রকৃতির বাস্তুতান্ত্রিক পরিবেশে ভারসাম্য বজায় রাখার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মেলায় এবার ১০০০ জনের বেশি পরিবেশ বান্ধব সমাজকর্মীদের মহাসঙ্গম হবে। সারা দেশ থেকে পরিবেশের সচেতনতা মূলক প্রতিযগিতায় যাঁরা সাফল্য লাভ করেছেন তাঁদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে বলা হয়েছে ‘সবুজ মহাকুম্ভ’।

    প্রকৃতি, গাছপালা, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জল নিয়ে আলোচনা হবে (Mahakumbh Mela 2025)

    প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025) নগরে সারা দেশের প্রায় ১০০০ জনের বেশি পরিবেশবিদ (Environmentalists) এবং জলসংরক্ষণ সচেতন কর্মীদের একটি সম্মেলন করা হবে। এই আয়োজনে বিশেষ ভাবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ভারতের পরিবেশ সচেতনতা, পরিবেশ বান্ধব ভাবনাকে বড় করে দেখানো হবে। এই কর্মকাণ্ডে বিশেষ ভাবে আয়োজক হিসেবে থাকবে শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান্যাস সংগঠন। একে বলা হয়েছে ‘সবুজ মহাকুম্ভ’। এদিনের এই অনুষ্ঠানে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রকৃতি, গাছপালা, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জল এবং পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আলোচনা হবে। জলবায়ু এবং দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যার বিষয়কেও আলোকপাত করা হবে। সকল বিশেষজ্ঞ দ্বারা গঠনমূলক একটি পদক্ষেপের সূচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    পৃথিবীকে আরও স্বচ্ছ এবং সুন্দরের ভাবনা থাকবে

    তবে এই ‘সবুজ কুম্ভমেলা’-য় (Mahakumbh Mela 2025) আলোচনা, সচেতনতা এবং পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষা-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আগত ভক্তদের সচেতনতার কথা তুলে ধরা হবে। একই ভাবে মেলায় নানা প্রদর্শনী এবং মডেলের ব্যবহার করা হবে। পরিবেশকর্মী (Environmentalists) রাম বাবু তিওয়ারি বলেন, “সবুজ মহাকুম্ভের প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে। সারা দেশের পরিবেশবিদ এবং বিজ্ঞানীরা এই কর্মযজ্ঞে যোগদান করবেন। পৃথিবীকে কীভাবে আরও স্বচ্ছ এবং সুন্দর করা যায় তা নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।” উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এদিকে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই বিরাট মেলায় ৪৫ কোটি তীর্থযাত্রী, ভক্ত এবং পুণ্যার্থীদের সমাগম হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BCCI: অজি-ভূমে বিরক্তিকর পারফরম্যান্স! রোহিত, কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছে বিসিসিআই?

    BCCI: অজি-ভূমে বিরক্তিকর পারফরম্যান্স! রোহিত, কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছে বিসিসিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে লজ্জাজনক হারের পর ভারতীয় দলের (India Cricket) প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir), অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং দলের প্রধান ক্রিকেটার বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সমালোচনার মুখে পড়েছেন। দলের খারাপ পারফরম্যান্সের ময়নাতদন্তে ব্যস্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। অস্ট্রেলিয়ায় হারের দায় কার? কেন এত খারাপ খেলল দল? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বিসিসিআই। তবে বোর্ড সূত্রে খবর, একটি সিরিজের খেলা বিচার করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না বিসিসিআই। তারা দলকে সময় দিতে চাইছে।

    দলের খারাপ পারফরম্যান্স

    টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তাদের সবচেয়ে খারাপ সিজন নিয়ে ভারতীয় দল বছর শেষ করেছে। ভারতীয় দল ১২ বছর পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে লজ্জাজনক হারের সম্মুখীন হয়েছিল। প্রথমবার ভারতীয় দল তার ঘরের মাঠে তিন বা তার বেশি ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের শিকার হয়। এর পরই ভারত ১০ বছর পর বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি হাতছাড়া করে। এই প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে পারবে না ভারত। কাঠগড়ায় বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও গৌতম গম্ভীর। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপরেই সব কিছু নির্ভর করছে।

    ব্যর্থ কোহলি-রোহিত

     অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। ন’টি ইনিংসে ১৯০ রান করেছেন কোহলি। তার মধ্যে পার্‌থে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রান রয়েছে। অর্থাৎ, বাকি আটটি ইনিংসে মাত্র ৯০ রান করেছেন তিনি। রোহিতের অবস্থা আরও খারাপ। পাঁচটি ইনিংসে মাত্র ৩১ রান করেছেন তিনি। সিডনিতে শেষ টেস্টে দলের বাইরে থাকতে হয়েছে অধিনায়ককে। 

    গম্ভীরকে নিয়েও জল্পনা

    দলের (BCCI) খারাপ পারফরম্যান্সের দায় এড়াতে পারছেন না কোচ গৌতম গম্ভীরও। নিশানায় তাঁর বেছে নেওয়া সাপোর্ট স্টাফেরাও। দ্রাবিড়ের হাত থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর গম্ভীর জমানাতে শুধুই ব্যর্থতা। গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনটে লজ্জাজনক সিরিজ হার। ২৬ বছর পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ হারে ভারত। ঘরের মাঠে প্রথমবার ০-৩ এ নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশের পর এবার বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে হার। 

    বোর্ডের অন্দরে গুঞ্জন

    বোর্ডের (BCCI) এক সূত্র জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ায় ব্যর্থতা নিয়ে একটা রিভিউ মিটিং হবে। তবে কারোর ওপর কোপ পড়বে না। আলোচনা চলছে। কিন্তু একটা সিরিজে ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্য কোচকে ছাঁটাই করা যায় না। গৌতম গম্ভীর কোচ থাকছে। ইংল্যান্ড সিরিজে খেলবে বিরাট, রোহিত। রোহিত, কোহলি দীর্ঘ দিন ভারতীয় ক্রিকেটকে টেনেছে। তাই ওদের কারও শাস্তি হবে না। আমাদের ফোকাস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের কর্তার কথায় বোঝা যাচ্ছে, গম্ভীর, বিরাট, রোহিতকে আরও কিছুটা সময় দিতে চাইছে বিসিসিআই।

    আরও পড়ুন: শহরে পারদ পতন, পৌষ সংক্রান্তির আগে হাওয়া বদল বঙ্গে, কী পূর্বাভাস আলিপুরের?

    ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলুক বিরাট- রোহিত

    ব্যাটে রান নেই। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে চূড়ান্ত ব্যর্থ দুই তারকা ক্রিকেটার (India Cricket)। যার ফলে লাল বলের ক্রিকেট তো বটেই, এমনকী সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যা তাতে একদিনের ক্রিকেটেও খুব বেশি দিন দেখা নাও যেতে পারে আধুনিক ক্রিকেটের দুই সেরাকে। এমন পরিস্থিতিতে কোনও রাখঢাক না করেই দুই সুপারস্টারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার পরামর্শ দিলেন তাঁদের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। রবি শাস্ত্রী জানালেন, অবসর তাঁদের হাতে থাকলেও, নিজেদের কেরিয়ার এবং সুনাম ফেরাতে অবিলম্বে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা উচিত রোহিত এবং বিরাটের। রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘সুযোগ পেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা উচিত। দীর্ঘ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেললে, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা গুরুত্বপূর্ণ। তার দুটো কারণ আছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়া যায়। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে খেললে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করা যায়। আত্মবিশ্বাস বাড়ে।’ ২০১৬ সালে শেষবার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন রোহিত। ২০১২ সালের পর আর খেলেননি কোহলি। স্পিনের সামনে দুর্বিষহ দেখাচ্ছে বিরাট এবং রোহিতকে। গোটা বছরই হিমশিম খায় তাঁরা। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন হেড কোচ মনে করেন, স্পিনের বিরুদ্ধে টাচ ফেরত পেতে অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা উচিত দুই তারকার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 244: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ”

    Ramakrishna 244: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে জুন

    শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের মন্দিরে রাখাল মাস্টার প্রভৃতির সঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আজ কলিকাতায় বলরামের বাটীতে শুভাগমন করিয়াছেন। মাস্টার কাছে বসিয়া আছেন, রাখালও আছেন। ঠাকুরের ভাবাবেশ হইয়াছে। আজ জ্যৈষ্ঠ কৃষ্ণা পঞ্চমী; সোমবার (১২ই আষাঢ়), ২৫শে জুন, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ; বেলা প্রায় ৫টা হইয়াছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভাবাবিষ্ট)—দেখ, আন্তরিক ডাকলে স্ব-স্বরূপকে দেখা যায়। কিন্তু যতটুকু বিষয়ভোগের বাসনা থাকে, ততটুকু কম পড়ে যায়।

    মাস্টার—আজ্ঞা, আপনি যেমন বলেন ঝাঁপ দিতে হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আনন্দিত হইয়া—ইয়া!

    সকলে চুপ করিয়া আছেন, ঠাকুর আবার কথা কহিতেছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—দেখ, সকলেরই আত্মদর্শন হতে পারে।

    মাস্টার—আজ্ঞা, তবে ঈশ্বর কর্তা, তিনি যে ঘরে যেমন করাচ্ছেন। কারুকে চৈতন্য করছেন, কারুকে অজ্ঞান করে রেখেছেন।

    স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—না। তাঁকে ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা করতে হয়। আন্তরিক হলে তিনি প্রার্থনা শুনবেই শুনবেন।

    একজন ভক্ত—আজ্ঞা হাঁ—‘আমি’ যে রয়েছে, তাই প্রার্থনা করতে হবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—লীলা ধরে ধরে নিত্যে যেতে হয়; যেমন সিঁড়ি ধরে ধরে ছাদে উঠা। নিত্যদর্শনের পর নিত্য থেকে লীলায় এসে থাকতে হয়। ভক্তি-ভক্ত নিয়ে। এইটি পাকা মত।

    “তাঁর নানারূপ, নানালীলা—ঈশ্বরলীলা, দেবলীলা, নরলীলা, জগৎলীলা; তিনি মানুষ হয়ে অবতার হয়ে যুগে যুগে আসেন, প্রেমভক্তি শিখাবার (Kathamrita) জন্য। দেখ না চৈতন্যদেব। অবতারের ভিতরেই তাঁর প্রেম-ভক্তি আস্বাদন করা যায়। তাঁর অনন্ত লীলা—কিন্তু আমার দরকার প্রেম, ভক্তি। আমার ক্ষীরটুকু দরকার। গাভীর বাঁট দিয়েই ক্ষীর আসে। অবতার গাভীর বাঁট।”

    ঠাকুর (Ramakrishna) কি বলিতেছেন (Kathamrita) যে, আমি অবতীর্ণ হইয়াছি, আমাকে দর্শন করিলেই ঈশ্বরদর্শন করা হয়? চৈতন্যদেবের কথা বলিয়া ঠাকুর কি নিজের কথা ইঙ্গিত করিতেছেন?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে বন্দুক উঁচিয়ে বিএসএফ তাড়া করতেই দে দৌড় অনুপ্রবেশকারীরা

    BSF: ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে বন্দুক উঁচিয়ে বিএসএফ তাড়া করতেই দে দৌড় অনুপ্রবেশকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি, ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh Border) সীমান্তেও ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আহত হয়েছেন একাধিক বিএসএফ (BSF) জওয়ান। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পাল্টা বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া করে ভাগিয়ে দেয় অনুপ্রবেশকারীদের। ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরার কালীশহর মাগুরোলি পঞ্চায়েত এলাকার পানিসাগরের ৪৭ নম্বর পিলায়। বিএসএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশি চোরাকারবারি এবং দুষ্কৃতীরা কয়েকদিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় পাচারে সক্রিয় হয়েছে, বাঁধা দিলে ব্যাপক গোলমাল বাঁধে।

    সীমান্তে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘাতে বিএসএফ-এর (BSF)

    বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ওই দেশের কারাগার থেকে বহু জঙ্গি ছাড়া পেয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরাট উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতের গোয়েন্দারা বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলেছে। সীমান্ত (India Bangladesh Border) পেরিয়ে বেশ কিছু জঙ্গি এপার বাংলায় এসে নাশকতামূলক চক্রের কাজে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে গ্রফতারও হয়েছে। সম্প্রতি ত্রিপুরা সীমান্তে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘাতের ফলে ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পিএমজি বন্দুক নিয়ে অনুপ্রবেশকারী এবং চোরাকারবারিদের তাড়া করেছিল বাহিনী। উল্টে দুষ্কৃতীরা হাতে বাঁশ, লাঠি, নিয়ে জওয়ানদের উপর চড়াও হয়। জওয়ানদের হাতের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। এরপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে জওয়ানদের আঘাত করার চেষ্টা করে অনুপ্রবেশকারীরা। এরপর ঘটনাস্থলে বিএসএফের অতিরিক্ত ফোর্স এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। জওয়ানরা বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া করলে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায় অনুপ্রবেশকারীরা। এদিকে, অন্য এক অভিযানে সীমান্ত থেকে ১৯ হাজারের বেশি গগলস্ উদ্ধার করেছে বিএসএফ। এইগুলির আনুমানিক বাজার মূল্যপ্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা। বাহিনীর অনুমান, চোরাকারবারীরা এই গগলসগুলি চোরাচালান করছিল।

    আরও পড়ুনঃভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী বিএসএফ

    উল্লেখ্য সীমান্ত এলাকায় পাচারকাজ রুখতে বিএসএফ (BSF) অত্যন্ত সক্রিয়। নানা সময়ে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে সোনা, রুপো এবং নানা ধরনের মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। গত ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে বিতারিত করার পর থেকেই পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে চলেছে বিএসএফ। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা যে কোনও সময়ে কাঁটাতার টপকে এপারে আসতে পারে। তাই এমতাবস্থায় সীমান্ত নিয়ে বাংলাদেশের চোরাকারবারি (India Bangladesh Border) এবং জঙ্গিদের কড়া বার্তা দিয়েছে বিএসএফ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: অপরাধ, তিনি হিন্দু! বাংলাদেশে যুবককে কুপিয়ে খুন, চুপ শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস

    Bangladesh Crisis: অপরাধ, তিনি হিন্দু! বাংলাদেশে যুবককে কুপিয়ে খুন, চুপ শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দু হলেই হামলা। এবার ঝালকাঠি জেলার রামপুর গ্রামে সুদেব হালদার নামে বছর আঠাশের যুবককে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের অভিযোগ সামনে এল। দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয় তাঁকে। অপরাধ! তিনি হিন্দু (Target Hindu)। 

    কী ঘটেছিল হিন্দু যুবকের সঙ্গে

    নিহতের পরিবার এবং স্থানীয়দের একটা বড় অংশের দাবি, রামপুরের বাউকাঠি বাজারে নিজের মোবাইল বিক্রি ও সার্ভিসের দোকান রোজকার মতো সোমবারও রাত ১১টা নাগাদ বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন সুদেব। রামপুর জোড়াপোল এলাকায় আচমকা তাঁকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পরে খালের পাশে দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। সকালে স্থানীয়রাই মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। হিন্দু বলেই খুন, নাকি এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছনে কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতার রেশ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বলকুমার রায়। তাঁর কথায়, ‘নিহত যুবকের মাথায়–ঘাড়ে একাধিক কোপের আঘাত মিলেছে। খুন বলেই মনে হচ্ছে। আপাতত ময়নাতদন্তের জন্য দেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। খুনের মামলা দায়ের করেই তদন্ত হবে।’ 

    হিন্দু হওয়াই অপরাধ!

    পুলিশ শান্তি (Bangladesh Crisis) বজায় রাখার বার্তা দিলেও ভয়াবহ এই খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। চলতি বছরের গোড়াতেই নড়াইল জেলায় এক হিন্দু মহিলাকে গণধর্ষণের পরে মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কট্টরপন্থী কিছু দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ দিন বাংলাদেশের শিবচরে এক হিন্দু পরিবারের উপর হামলার খবরও মিলেছে। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে।

    কবে ঘুম ভাঙবে প্রশাসনের

    নিহত যুবকের ছবি ও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) স্থানীয় একটি চ্যানেলের খবর পোস্ট করে কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা কি একবিংশ শতাব্দীতে বাস করছি, নাকি প্রস্তর যুগে পড়ে রয়েছি?’ এই হানাহানি কবে বন্ধ হবে, সেই প্রশ্ন তুলে পোস্টে তিনি ট্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক বিভাগকেও। কিন্তু অনুরোধ-আবেদন-সমালোচনা-নিন্দা, কোনওকিছুতেই ঘুম ভাঙছে না ইউনূস সরকারের! কট্টরপন্থী-মৌলবাদীদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে তারা। যিনি শান্তির জন্য় নোবেল পেয়েছিলেন, আজ তাঁর আমলেই বাংলাদেশে হিন্দুদের (Target Hindu) শান্তিতে বসবাস তো দূর, প্রাণরক্ষাই দায় হয়ে উঠেছে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ দ্বিতীয় কিস্তি…

     

    অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোক যখন রেস্তোরাঁ চালিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করছেন এবং পুলিশও যথন তাঁর ওপর নজরদারি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে, তখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নাগা গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দিল চিন (India China Relation)। ঠিক এক বছর আগে এনএসসিএন-এর দুজন প্রবীণ কর্তা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অনুমান (Arunachal Pradesh)। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) দক্ষিণ-পূর্ব অরুণাচলপ্রদেশের তিরাপ, চাংলাং এবং লংডিং জেলাগুলোতে সক্রিয়। এই জেলাগুলি নাগাল্যান্ড লাগোয়া। আইবির এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ডোকের সঙ্গে যোগাযোগকারী এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর দুই কর্তা ছিলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের দূত। তাঁদের দায়িত্ব ছিল ডোক নতুন একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে আগ্রহী কিনা তা জেনে নেওয়া।

    চিনের জঙ্গি-যোগ! (India China Relation)

    এনএসসিএন-এর দুটি গোষ্ঠী— এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এবং এনএসসিএন (ইসাক-মুইভাহ)। দুই গোষ্ঠীই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে চিনের সঙ্গে। অতীতে চিন নাগা গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়, প্রশিক্ষণ এবং এমনকি অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করেছিল। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর প্রায় পুরো নেতৃত্ব এবং বেশিরভাগ সদস্য মায়ানমারের উত্তরের সাগাইং এবং পশ্চিমের কাচিন রাজ্যের শিবিরগুলোয় রয়েছে (India China Relation)। এসব এলাকা এখন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও)-এর নিয়ন্ত্রণে, যার সশস্ত্র শাখা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) মায়ানমারের শাসক সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কাচিনের বড় অংশ দখল করেছে। কেআইও-এর সঙ্গে চিনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চিন তাদের অর্থায়ন করছে এবং কৌশলগত পরামর্শ দিচ্ছে। কেআইও চেয়ারম্যান জেনারেল এন’বান লা গত (Arunachal Pradesh) ডিসেম্বরের শুরুতে চিনে গিয়ে মায়ানমারের জাতিগত সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও খবর।

    নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী

    আইবির ধারণা, বেজিংয়ের ইঙ্গিতেই কেআইও এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বকে ডোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে বলা হয়েছিল। ডোক প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ তাঁর আগের গোষ্ঠী এনএলসিটিতে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তিনি জানতেন যে পর্যাপ্ত সম্পদ, অস্ত্র, এবং বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া একটি গোষ্ঠী টিকিয়ে রাখা শুধু মুশকিলই নয়, তাকে কার্যকর করাও অসম্ভব।

    ডোককে আশ্বাস চিনের

    ডোককে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এবার অর্থ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব হবে না। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর কর্তারা তাঁকে এও বলেছিলেন যে, তাঁর কাজ হবে কেবল লোকজন নিয়োগ করা। অর্থ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয় সরবরাহ করবে তারা (India China Relation)। ডোককে সাহায্য করার জন্য এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর আরও দুই সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম পর্ব)

    চিনের লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া

    চিনের এই লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে আর না করতে পারেননি ডোক। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে উদ্যোগী হন তিনি। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) তাকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করে। ডোক কীভাবে সম্ভাব্য নিয়োগপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করা, গোপনে যোগাযোগ করা এবং তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে নিয়োগ করতে হয়, তা শিখে নেন।

    হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে ফান্ডিং!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, নাগা গোষ্ঠীর সদস্যরা হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ ডোকের কাছে পাঠায়। চার মাস পর ডোক ইটানগর ও আশপাশ এলাকার প্রায় আটজন যুবককে সংগঠনে নিয়োগ করতে সক্ষম হন। দরিদ্র পরিবারের এই আধা-শিক্ষিত বা স্কুলছুট যুবকদের ইটানগরের (Arunachal Pradesh) শহরতলির দুটি বাড়িতে রাখা হয় এবং তাদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

    ডোকের নয়া দল

    ওই বছরেরই অক্টোবরের গোড়ার দিকে, ডোক ২০ জন সদস্যের একটি দল গড়ে তোলেন। তাঁরা সকলেই লংডিং জেলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা ভারত-মায়ানমারের অরক্ষিত সীমানা পেরিয়ে কাচিনে ঢোকে। কাচিনের একটি শিবিরে ডোক দেখা করেন এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বের সঙ্গে। কাচিনের এই শিবিরটি, যা চাংরাং হি এলাকায় অবস্থিত বলে মনে করা হচ্ছে, ইউটিএর অস্থায়ী সদর দফতর হয়ে উঠেছে। এই গোষ্ঠী ডোককে নেতা করে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছে (India China Relation)।

    চলছে প্রশিক্ষণ

    এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর সদস্যরা বর্তমানে ইউটিএ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চিন কেআইএ এবং এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর মাধ্যমে ইউটিএ-কে অ্যাসল্ট রাইফেল, গ্রেনেড লঞ্চার এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে ইউটিএ প্রধান ডোক একটি ছোট ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাতে তিনি দাবি করেছিলেন, যে এটি একটি ইউটিএ ক্যাম্প। ভিডিওতে একটি মাঝারি আকারের মিলিট্যান্ট ক্যাম্প দেখা যাচ্ছে, যা একটি পাতলা জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রায় দু’ডজন রাইফেল, যেগুলো সবই চিনে তৈরি। ক্যাম্পে কিছু কর্মীকে ছদ্মবেশী পোশাক পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। রয়েছে কয়েকটি অস্থায়ী কাঠামোও। তবে সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা কর্তারা, যাঁরা ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা জানান, ভিডিওতে দেখানো ক্যাম্পটি (Arunachal Pradesh) আসলে এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এর, যেখানে ইউটিএ-র কর্মীরা সাময়িকভাবে থাকতে পারে (India China Relation)।

    কী বলছে সেনাবাহিনী?

    সেনাবাহিনীর ২ মাউন্টেন ডিভিশনের এক প্রবীণ কর্তা বলেন, “সর্বোচ্চ, ক্যাম্পের একটি-দুটি অস্থায়ী কাঠামো ইউটিএ কর্মীদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যাম্প, যা অন্তত কয়েক বছর আগে নির্মিত। ভিডিওয় যেসব উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র দেখা যাচ্ছে, ইউটিএর কাছে তা নেই।” তাঁর মতে, ক্যাম্পটি অসমের ডিব্রুগড়ে অবস্থিত। আইবির এক কর্তা বলেন, “ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ইউটিএ-কে প্রচারের আলোয় আনতে এবং নিজেদের একটি শক্তিশালী ও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র দল হিসেবে তুলে (Arunachal Pradesh) ধরতে। এর উদ্দেশ্য নতুন সদস্যদের আকর্ষণ করা এবং চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা শুরু করে দিলেন আমেরিকার হবু প্রেসিন্ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তার আগেই তিনি শুরু করে দিলেন ‘কাজ’! তাঁর দাবি, কানাডা (Canada) হতে চলেছে আমেরিকার ৫১তম স্টেট (প্রদেশ)। কেবল মুখের কথাই নয়, এ সংক্রান্ত ম্যাপও শেয়ার করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    কানাডা আমেরিকারই! (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে দুটি ম্যাপ শেয়ার করেছেন ট্রাম্প। একটিতে তিনি দেখিয়েছেন, কানাডা আমেরিকারই অন্তর্গত আর একটি স্টেট। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর কানাডা দখলে তিনি অর্থনৈতিক বাহিনী পাঠাবেন বলেও দাবি করেছেন সাংবাদিক সম্মেলনে। তাঁর প্রতিশ্রুতি, তিনি মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকার উপসাগর’ রাখবেন এবং নেটো মিত্রদের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রতিরক্ষা ব্যয় দাবি করবেন। তিনি বলেন, “কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র এক সঙ্গে হলে, সেটা সত্যিই অসাধারণ কিছু হবে।” হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি যদি সেই কৃত্রিমভাবে আঁকা লাইনটি (মার্কিন-কানাডা সীমান্ত) সরিয়ে দেন এবং দেখেন এটি কেমন দেখায়, তবে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও অনেক ভালো হবে।” ট্রাম্প কানাডিয়ান পণ্য ও দেশের সামরিক সাহায্যের জন্য আমেরিকার ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেন, “ওয়াশিংটন তার থেকে কোনও উপকার পায় না।” এই প্রথম নয়। গতমাসেও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার জোর সওয়াল করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি, তিনি সেই সময়ে ট্রুডোকে ‘কানাডার গভর্নর’ বলেও অভিহিত করেছিলেন।

    পানামা খাল পুনরুদ্ধার!

    প্রেস কনফারেন্সে ট্রাম্প পানামা খাল পুনরুদ্ধার ও ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ড অধিকার করার কথাও (Canada) বলেন। সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি তিনি। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্যই আমাদের প্রয়োজন মধ্য আমেরিকার বাণিজ্য পথ এবং ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল অধিকার করা। পানামা খাল আমাদের সামরিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।” প্রসঙ্গত, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেই ট্রাম্প (Donald Trump) পানামা খাল সংযুক্ত করার ইচ্ছে পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। পানামা খাল দিয়ে যাওয়া মার্কিন জাহাজগুলি থেকে অন্যায়ভাবে ফি আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ট্রাম্প জানান, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মাঝখান দিয়ে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরকে যুক্ত করা এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি পরিচালনার কাজে চিনের কোনও খবরদারি তিনি বরদাস্ত করবেন না। পানামা প্রশাসন এই খালটির পরিচালন ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে না পারলে আমেরিকা সেটির নিয়ন্ত্রণভার নিজের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

    পানামা খালের গুরুত্ব

    সমুদ্রপথে সারা বিশ্বের মোট পণ্য পরিবহণের প্রায় ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পানামা খাল ব্যবহার করা হয়। আমেরিকা ছাড়াও পানামা খাল মূলত ব্যবহার করে চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই খাল ব্যবহার করলে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ উপকূল ঘুরে যেতে হয় না বলে সাশ্রয় হয় সময় ও জ্বালানি। নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, আমাদের নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় ও অবিবেচক আচরণ করা হচ্ছে। পানামা যে ফি নিচ্ছে, তা হাস্যকর (Canada)। আমাদের দেশকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। ট্রাম্প বলেছিলেন, এই চ্যানেলটি চালাবে শুধুমাত্র পানামা, চিন বা অন্য কেউ নয়। পানামা যদি কাজটা সুরক্ষিত, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্যভাবে করতে না পারে, তাহলে আমরা দাবি করব, বিনা প্রশ্নে পানামা খাল সম্পূর্ণভাবে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।   

    মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদল!

    এদিন ট্রাম্প বলেন, “আমরা মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকার উপসাগর রাখব, যা একটি সুন্দর নাম। এটি অনেক অঞ্চলের ধারণা দেয়। আমেরিকার উপসাগর। কী সুন্দর একটি নাম এবং এটি যথার্থও।” নেটো সদস্যদের তাদের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পাঁচ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত বলেও মনে করেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি মনে করি, নেটোর ৫ শতাংশ থাকা উচিত। তারা সবাই এটা করতে পারে (Canada)। ২ শতাংশ না হয়ে তাদের উচিত ৫ শতাংশে পৌঁছানো (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pranab Mukherjee: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রণব-কন্যার, ঘোর বিপাকে কংগ্রেস

    Pranab Mukherjee: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রণব-কন্যার, ঘোর বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। অস্বস্তির কারণ দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলেন প্রণব-কন্যা। সেই ছবি তিনি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    অস্বস্তিতে কংগ্রেস (Pranab Mukherjee)

    সেই ছবিই অস্বস্তিতে ফেলেছে সোনিয়া গান্ধীর দলকে। দিন কয়েক আগে মনমোহনের প্রতি বিজেপি সরকার সম্মান প্রদর্শন করছে না বলে তোপ দেগেছিল কংগ্রেস। সেই সময় বোমা ফাটিয়েছিলেন প্রণব-পুত্রী। শর্মিষ্ঠা বলেছিলেন, স্মৃতিসৌধের দাবি তোলা দূরের কথা, তাঁর বাবার মৃত্যুর পর কংগ্রেস কর্মসমিতি একটা শোকসভা পর্যন্ত করেনি। এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। এবার আরও একবার গান্ধী পরিবারকে বিপাকে ফেললেন প্রণব-কন্যা।

    স্মৃতিসৌধের জন্য জমি

    ফেরা যাক খবরে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের পর তাঁর স্মৃতিসৌধের জন্য জমি দেওয়ার দাবি তুলেছিল কংগ্রেস। তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চাপানউতোর চলেছিল সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে। শেষমেশ ভারত সরকার স্মৃতিসৌধের জন্য জমি চিহ্নিত করার কথা ঘোষণা করে। তবে সেই জমি মনমোহনের জন্য নয়, প্রণবের (Pranab Mukherjee) স্মৃতিসৌধের জন্য। ১ জানুয়ারি শর্মিষ্ঠাকে চিঠি লিখে এ কথা জানিয়ে দেয় ভারত সরকারের আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। প্রণব-কন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রণবের জন্য রাষ্ট্রীয় স্মৃতি কমপ্লেক্সের মধ্যেই স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ছবি শর্মিষ্ঠা পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। জানিয়েছেন, ভারত সরকার তাঁর বাবার স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: “আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়,” কাকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    এক্স হ্যান্ডেলে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, “আমরা কোনও আর্জি না জানানো সত্ত্বেও বাবার জন্য স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হচ্ছে। এটা আরও বেশি করে ভালো লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই অপ্রত্যাশিত কিন্তু প্রকৃতই সহৃদয় আরচণ আমাকে খুবই স্পর্শ করেছে।” শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, “বাবা বলতেন, রাষ্ট্রীয় সম্মান চাইতে নেই। আপনা থেকেই পেতে হয়। বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ আমি। বাবা এখন যেখানে, তিনি প্রশংসা ও সমালোচনার বাইরে। এর কোনও প্রভাবই তাঁর ওপর পড়বে না। কিন্তু ওঁর মেয়ে হিসেবে আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই আমার কাছে (PM Modi)।” প্রণব-কন্যার এই পোস্টেই বেকায়দায় কংগ্রেস (Pranab Mukherjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV: শিশুরাই কি ‘চিনা ভাইরাস’-এর সহজ টার্গেট? সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    HMPV: শিশুরাই কি ‘চিনা ভাইরাস’-এর সহজ টার্গেট? সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে চিনা ভাইরাসের দাপট। যার পোশাকি নাম হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (HMPV)। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। সচেতন থাকলেই হবে। অযথা আতঙ্কের দরকার নেই। তবুও কর্ণাটক থেকে পশ্চিমবঙ্গ চিনা ভাইরাসের কবলে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই উদ্বেগ আরও বাড়ছে। যদিও চিকিৎসকদের একাংশ আশ্বস্ত করছেন, বাড়তি আতঙ্ক অপ্রয়োজনীয়!

    কেন শিশুরাই এই ভাইরাসের সহজ টার্গেট? (HMPV)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনা ভাইরাসের দাপট শিশুদের দেহেই বেশি। ভারতের পাশপাশি চিনেও শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা সহজেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তার প্রধান কারণ রোগ প্রতিরোধ শক্তিতে ঘাটতি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ‌ শক্তি তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তাই যে কোনও ভাইরাস শিশুদের দেহে সহজেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস তাই সহজেই শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধতে পেরেছে। ভারতেও যেসব শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তারা অধিকাংশ সদ্যোজাত। জন্মের পরেই শিশুর দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তেমন কিছুই থাকে না। ফলে এই ভাইরাস শিশুর দেহে সহজেই আক্রমণ করে।

    অধিকাংশ শিশু নিয়মিত স্কুল যায়। আবার মাঠে বা বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে অনেকে বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করে। এর ফলে সংক্রমণ রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই শিশুদের জন্য এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকছে।

    তাছাড়া, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের এই আবহাওয়ায় শিশুদের প্রত্যেক বছরই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এবছরে সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই চিনা ভাইরাস। তাই বাড়তি ভোগান্তির ঝুঁকি থাকছে।

    তবে, শুধুমাত্র শিশুরাই নয়। প্রাপ্তবয়স্ক বিশেষত প্রবীণদেরও ভোগাতে পারে এই চিনা ভাইরাস (HMPV)। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকলেই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এখন‌ অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানান সমস্যায় ভোগেন। তাদের কো-মরবিটি রয়েছে। তাই যে কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।

    সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসের উপসর্গ সর্দি-কাশি এবং জ্বর। এই সময়ে আবহাওয়ার তারতম্যের জেরে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। কিন্তু শিশু বেশ কয়েকদিন সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত হলে দ্রুত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাঁর পরামর্শ মতোই নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিশু (HMPV) ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। আক্রান্ত হলে শিশুকে আলাদা ভাবে রাখাই উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাতে পরিবারের অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে। পাশপাশি শিশুও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে স্কুল পাঠানো উচিত নয় বলেও‌ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাছাড়া, যদি শিশুর শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। না হলে বাড়িতে থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন এখনই উদ্বেগ নয়? (HMPV)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস নিয়ে এখনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাস নতুন নয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কীভাবে রোগ মোকাবিলা করা যাবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। এই ভাইরাস এখনও নতুন প্রজাতি তৈরি করেনি। তাই এই নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। বরং সচেতনতা জরুরি। রোগ যাতে বেশি না ছড়ায়, সে দিকে সতর্কতা থাকা দরকার। হাঁচি-কাশি হলে হাত দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকা দেওয়া উচিত। তাছাড়া বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, পরিচ্ছন্ন জামা-কাপড় পরা, বাড়ির পরিবেশ‌ পরিষ্কার রাখার দিকে নজরদারি জরুরি। তাহলে সহজেই এই ধরনের ভাইরাসের মোকাবিলা করা যাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: ভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    BSF: ভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় এখন ইউনূস সরকার। যতদিন যাচ্ছে ইউনূস প্রশাসনের কদর্য রূপ বিশ্ববাসীর কাছে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর কত মিথ্যা বলবে বাংলাদেশ? এবার ইউনূসের সেনার মিথ্যার মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ (BSF)। ঝিনাইদহে বিতর্কিত ৫ কিলোমিটার ভূখণ্ডকে ‘ভারতের দখলমুক্ত’ করা হয়েছে বলেই দাবি করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই বিবৃতি দিয়ে জানাল বিএসএফ।

    ঠিক কী নিয়ে বিতর্ক? (BSF)

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মাটিলা সীমান্ত (India-Bangladesh Border) ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে কোদলা বা কোদালিয়া নদী। এই নদীর পাঁচ কিলোমিটার অংশ নিয়েই বিতর্ক। বিএসএফ (BSF) এবং বিজিবি— উভয়েই তাদের কোদালিয়া নদীর পাশে দায়িত্ব পালন করে। ওই এলাকাটি কাঁটাতার বিহীন হওয়ায়, চোরাচালান এবং সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি থাকে সর্বদাই। বিএসএফ এই এলাকা থেকে আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এখন এই এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা নগণ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দাবি করেছে, এই ভূখণ্ড নাকি তাদের। কিন্তু, সেখানে কোনও বাংলাদেশি মাছ ধরতেও যেতে পারত না। দুই দেশেরই টহল চলে এই এলাকায়। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ওই এলাকাকে নাকি দখলমুক্ত করেছে বিজিবি। সেখানে বাংলাদেশের দখল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা! বিএসএফের রণমূর্তির দেখে পগার পার বাংলাদেশিরা

    নদীতে না নামার হঁশিয়ারি

    নদীতে কেউ নামবেন না, কারণ কোদালিয়া নদীটি পুরোপুরি বাংলাদেশের মধ্যে। বাংলাদেশের বিজিবি-র পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয়দের দাবি, ওই নদী ভারতের সীমান্তের মধ্যে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিএসএফ (BSF) রেঞ্জের অধীনঘাট রংঘাট, কৃষ্ণ প্রতাপপুর সহ একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে। সেই সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের মাঝে একটি কোদালিয়া নদী রয়েছে। এই নদীটি উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে,  দীর্ঘদিন ধরেই সেটা ভারত সীমান্তের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু, কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ সেনা মাইক প্রচার করছে সেই নদী নাকি তাদের দখলে। সেই কারণে কোনও ভারতীয় যাতে সেই নদীতে না নামেন, কিংবা না ব্যবহার করেন। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয়দের দাবি, ওই নদী দীর্ঘদিন ধরেই ভারত সীমান্তর মধ্যে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই নদী বিভিন্ন স্নানের কাজে অথবা মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করে আসছেন। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তরফে কিছু সিমেন্টের পিলার ছিল সীমানা নির্ধারিত করার জন্য, সেই পিলারগুলিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুলে দিয়েছে। ভারতীয়রা মনে করছেন, বাংলাদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সঙ্গে একটি ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভারতের যে অংশ সে অংশ যাতে বাংলাদেশ সরকার কখনও দখল করতে না পারে। সেই কারণেই পাকাপোক্তভাবে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হবে।

    বিএসএফ কী বলল?

    বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই নজরে আসে বিএসএফেরও। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিএসএফ (BSF) জানিয়েছে, ওই এলাকাটি ভারতের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা ব্লকের রাংঘাট গ্রামের অন্তর্গত, যেখানে আন্তর্জাতিক সীমান্ত কোদালিয়া নদীর পাশ দিয়ে চলছে। নদীপথের কারণে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশে রেফারেন্স পিলার ভালভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ডিউটি প্যাটার্নের কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি, জানাল বিসিএফ

    ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা ১৯৭৫’-এর বোঝাপড়া অনুযায়ী, প্রকৃত স্থল পরিস্থিতি অক্ষুণ্ণ এবং উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শান্তিপূর্ণ আধিপত্যের অধীন— এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছে বিএসএফ। বিএসএফ (BSF) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের অখণ্ডতা রক্ষা করে তারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশি নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে, গত ১৯ ডিসেম্বর বিজিবি সদস্যরা নদীর ওপর নিয়ন্ত্রণ পেতে মোটর চালিত নৌকা এবং এটিভি ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টা  টহল শুরু করেছিল। এটি একটি মনগড়া গল্প ছাড়া কিছুই নয়। ৫৮ বিজিবির নবনিযুক্ত কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিক ইসলামের করা মিথ্যা, মন গড়া দাবিগুলি অস্বীকার করা হয়েছে। এই ধরনের নিবন্ধ এবং মিডিয়া রিপোর্ট দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সদ্ভাবকে নষ্ট করবে বলেই সতর্ক করেছে বিএসএফ। পাশাপাশি বিএসএফ আশ্বস্ত করেছে যে ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি বা ভবিষ্যতেও প্রতিপক্ষের দ্বারা দখল করা হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share