Tag: bangla news

bangla news

  • Ghar Wapsi: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    Ghar Wapsi: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মিরাটের ৩০টি পরিবারের প্রায় ১৫০ জন হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তাঁদেরকে পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল সনাতন ধর্মে (Sanatan Dharma)। গত ১০ নভেম্বর, ঘর ওয়াপসির (Ghar Wapsi) এই অনুষ্ঠান বৈদিক রীতি মেনেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, হিন্দুদের খ্রিস্টান করার চক্রান্তের পিছনে রয়েছেন পাস্তুর বিজ্জু ম্যাথিউ নামের এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর, তাঁর বাড়ি কেরলে। পুলিশের জেরার মুখে পাস্তুর জানিয়েছেন, ৩০০ হিন্দু পরিবারকে তিনি খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে, দরিদ্র হিন্দুদের বিয়ে দিয়ে, শিক্ষার দায়িত্ব নিয়ে অথবা স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবা দিয়েই ধর্মান্তকরণের কাজ করতেন।

    উত্তরপ্রদেশের মিরাটের কঙ্করখেদা পুলিশ স্টেশনের ঘটনা 

    জানা গিয়েছে, ম্যাথিউ এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই এই কাজে সক্রিয় ছিলেন। এই ঘটনার মামলা দায়ের হতেই ম্যাথিউকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এবং বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটের কঙ্করখেদা পুলিশ স্টেশনে। স্থানীয়দের সূত্রে খবর, ম্যাথিউ এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই বিগত আড়াই মাস ধরে এই এলাকায় ভাড়ায় ছিলেন (Ghar Wapsi)। সেখানেই খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণের কাজ করতেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: কোভিডকালে বন্ধু হয়ে পাশে ছিলেন, ‘ডমিনিকা’-র সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ধর্মান্তকরণের তিন পদ্ধতি 

    প্রতি রবিবার নিজের বাড়িতে তিনি প্রার্থনাসভার আয়োজন করতেন এবং হিন্দুদের (Ghar Wapsi) সেখানে আহ্বান জানাতেন। এই ঘটনা স্থানীয় হিন্দু সংগঠনের (Sanatan Dharma) চোখে পড়তেই তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে ম্যাথিউস তিন ধরনের প্ররোচনা দিতেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথমত, দরিদ্র হিন্দুদের বাড়ির ছেলে মেয়েদের বিবাহের খরচ বহন করতেন, দ্বিতীয়ত, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাঁদেরকে দিতেন, তৃতীয়ত কেউ অসুস্থ হলে তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2024: নবদ্বীপের রাস মানেই শাক্ত-বৈষ্ণবের মিলন! দেখা মেলে মঙ্গলকাব্যের দেবী কমলে কামিনীর

    Rash Yatra 2024: নবদ্বীপের রাস মানেই শাক্ত-বৈষ্ণবের মিলন! দেখা মেলে মঙ্গলকাব্যের দেবী কমলে কামিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে নবদ্বীপ। নিত্যনতুন থিম আর বাহারি আলোয় জমজমাট তীর্থের এই শহর। রাস উৎসবে সামিল হতে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করা শুরু করেছেন নবদ্বীপে (Nabadwip)। আলোর রোশনাইয়ে নবদ্বীপ শহর এখন জ্বলজ্বল করছে। একে অপরকে টেক্কা দিতে থিমের ছড়াছড়ি।

    রাসযাত্রার ইতিহাস (Rash Yatra 2024)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, প্রায় আড়াইশো বছর আগে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে নবদ্বীপে শাক্ত মতে রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) শুরু হয়েছিল! এখানে মূলত শক্তির দেবীদের পুজো করা হয়। প্রথম থেকেই শাক্ত এবং বৈষ্ণবদের মধ্যে বিরোধ ছিল চরমে। এই বিরোধ মেটাতেই উদ্যোগী হয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। ১৭৫২-৫৬ সালের মাঝামাঝি শঙ্করনাথ তর্কবাগীশ শক্তিমূর্তি গড়ে রাস পূর্ণিমার পুজো শুরু করেন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের তরফে আসে অর্থসাহায্য। শঙ্করনাথের ওই পুজোর পরের বছরই ব্যাদড়াপাড়ার ব্রাহ্মণরা শবশিবা মায়ের পুজো শুরু করলেন। কালীমূর্তির নীচে পর পর দু’টি শিব। এক দম নীচে শবরূপী শিব। তাঁর ওপরে সপ্রাণ শিব। একই মূর্তির পুজো হয় আমপুলিয়া পাড়াতেও। নবদ্বীপে রাসের দ্বিতীয় প্রাচীন প্রতিমা হল শবশিবা মাতার। স্থানীয় পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, শবশিবা মাতা কৃষ্ণচন্দ্রের গুরুদেব চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্যের ইষ্টদেবী। এখন যেখানে পুজো হয় সেটি ছিল তাঁর ভিটে। কমবেশি দেড়শো বছর আগে তাঁরা এখান থেকে চলে যান। পুজোর ভার নেন অঞ্চলের বর্ধিষ্ণু ব্রাহ্মণেরা। চাঁদা তুলে এই পুজো হয়। নবদ্বীপের রাসের বিশেষত্ব তার মূর্তির বৈচিত্র্যে। মঙ্গলকাব্যের দেবী কমলেকামিনীর দেখা মেলে রাস উৎসবে। নবদ্বীপে স্মৃতিশাস্ত্র পড়তে আসা অশ্বিনী কুমার স্মৃতিরত্ন এই পুজোর সূচনা করেন। তাঁর পরিবারের উত্তরসূরীরা বর্তমানে সেই পুজো করছেন। বর্তমানে পুজো এলাকাবাসীর সাহায্যে হয়। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে নবদ্বীপ তরুণ সঙ্ঘ।

    নবদ্বীপে কতদিন রাসযাত্রা?

    মূলত নবদ্বীপে দুই দিন রাস (Rash Yatra 2024) হয়। শুক্রবার থেকে নবদ্বীপের রাসযাত্রা শুরু হয়েছে। আর আজ শনিবার নবদ্বীপে আড়ং চলবে অর্থাৎ যাকে আমরা বিসর্জন বলে থাকি। এবছরও রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে শুভ  সূচনা হওয়ার রাসে যে নিয়ম ছিল সেই একই নিয়মে রাস পালিত হচ্ছে। বেশ কিছু বারোয়ারি এবং কিছু প্রাচীন মন্দিরে এই রাস পালিত হচ্ছে। নবদ্বীপে মূলত শক্তির দেবদেবতাকে পুজো করা হয়।

    এবছর কোথায় কী থিম?

    এবছরও মহা ধুমধামে পালিত হচ্ছে নবদ্বীপের রাসযাত্রা। তাদের মধ্যে অন্যতম গৌড় বিষ্ণুপ্রিয়া সঙ্ঘ। প্রতি বছরই সাধারণ দর্শনার্থীদের কাছে চমক দিয়ে থাকে এই বারোয়ারি। এবছর তাদের ভাবনা ভূতের সার্কাস। তাদের এই নতুন থিম (Rash Yatra 2024) সাধারণের মন মাতিয়ে দেবে বলে মত বারোয়ারি কমিটির। অন্যদিকে, প্রাচীন মায়াপুর সাউথমাতা পুজো কমিটির ভাবনা কাঁটাতারের বেড়া। মূলত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করেন, সেই চিত্রই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই মণ্ডপের মাধ্যমে। পাশাপাশি শ্রী শ্রীকৃষ্ণ কালীমাতা এবার ১০০ বছরে পদার্পণ করল। মূলত এখানে মণ্ডপশয্যা না থাকলেও ঐতিহ্যবাহী এক অঙ্গে কৃষ্ণ এবং এক অঙ্গে কালী থাকে। তবে আরেক ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা তেঘরি পাড়া বড় শ্যামা মাতা। প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার পাঁঠা বলি হয়। তবে এ বছর ট্রাস্টি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনওরকম বলি দেওয়া যাবে না। তবে নবদ্বীপে আরেক ঐতিহ্যবাহী পরম্পরা রয়েছে। আগামীকাল ছোট-বড় প্রতিটি রাস কমিটি তাদের নিজেদের মণ্ডপে প্রতিমা পুজো দেওয়ার আগে প্রত্যেকে পোড়ামাতলায় যাবেন। সেখানে পুজো দেওয়ার পর নিজেদের মণ্ডপের প্রতিমাদের পুজো দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rashmela 2024: হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ ধর্মের সংমিশ্রণে তৈরি রাসচক্র ঘুরিয়েই শুরু হয় কোচবিহারের রাস উৎসব

    Rashmela 2024: হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ ধর্মের সংমিশ্রণে তৈরি রাসচক্র ঘুরিয়েই শুরু হয় কোচবিহারের রাস উৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের রাস জগৎ-বিখ্যাত। বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষ এই মদনমোহনের পুজো দেখতে হাজির হন। ১৮১২ সাল নাগাদ মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণ ভেটাগুড়িতে রাসপূর্ণিমার দিন বিশেষ পুজো করে রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেন। সেই উপলক্ষ্যে ভেটাগুড়িতে ১৫ দিন ব্যাপী মেলা বসে। পরবর্তীতে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ বৈরাগিদিঘির পাড়ে মদনমোহন মন্দির গড়ে তুললে সেখানে রাস উৎসব শুরু হয়। পাশাপাশি মন্দিরের পাশের মাঠে বিশাল এলাকা জুড়ে মেলা বসে, যা রাসমেলা বলে পরিচিত।

    কোচবিহারে রাস উৎসবের সূচনা

    কোচবিহারের রাজ পরিবারের কুলদেবতা মদনমোহন। ১৮৯০ সালে কোচবিহারের তৎকালীন মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের রাজত্বকালে মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় কোচবিহারের রাজপ্রাসাদ থেকে মদনমোহন দেবকে নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। তারপর থেকেই এই রাস উৎসবের সূচনা। বংশপরম্পরায় এই রাস উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ রাসচক্র তৈরি করে আসছে আলতাফ মিঞার পরিবার। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। আলতাফ মিঞা অসুস্থ হলেও, তাঁর ছেলে এবার ঐতিহ্যবাহী সেই রাসচক্র তৈরির দায়িত্ব নিয়েছেন। হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মের সংমিশ্রণে তৈরি এই রাসচক্র, যা ঘুরিয়ে পুণ্য অর্জন করেন অগণিত মানুষ। ১৫  দিনের এই উৎসব উপলক্ষে মদনমোহনবাড়ি চত্বরে বসে মেলা। থাকে যাত্রাপালা, ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান। এছাড়াও কোচবিহারের লোকসংস্কৃতির ছোঁয়া দেখা যায় মদনমোহন মন্দিরের সাংস্কৃতিক মঞ্চে। শুধুমাত্র কোচবিহার জেলা নয়, পার্শ্ববর্তী অসম থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এই উৎসবে।  

    বিপুল ভক্ত সমাগম 

    বর্তমান সময়ে এই মেলা জেলা কোচবিহারের পাশাপশি উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন ও বড় মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় জমে কোচবিহারের মধ্যে। দূর-দূরান্তের মানুষ এই মেলার সময় মদনমোহন বাড়িতে আসেন ঘুরতে। একটা সময় এই মেলার ও মদনমোহনবাড়ি মন্দিরের দায়িত্ব ভার সামলাতেন রাজারা। তবে বর্তমানে এই মেলার ও মদনমোহন বাড়ি মন্দিরের দায়িত্ব পালন করেন দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের কর্মকর্তারা। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, “মেলা উপলক্ষে বহু ভক্তরা মন্দিরে এসে থাকেন। তাই মন্দিরের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে। এছাড়া মন্দিরের রঙ ও সংস্কারের কাজ করা হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।” তিনি আরও জানান, “দীর্ঘ প্রাচীন এই মেলাকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। সবচেয়ে বড় আবেগের বিষয় রাস মেলার রাসচক্র। প্রাচীন সমস্ত নিয়ম-রীতি পালন করা হচ্ছে প্রথা মেনে।” 

    আরও পড়ুন: টাটাকে বাঁচিয়েছিল এই মহিলার হিরে, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস অলিম্পিয়ানকে?

    মেলা ঘিরে বিশাল আয়োজন

    আগে রাজারা রাসচক্র ঘুরিয়ে এর সূচনা করলেও বর্তমানে কোচবিহারের জেলাশাসক এই রাস উৎসবের সূচনা করেন। এখন রাসচক্র ঘুরিয়ে ১৫ দিন ব্যাপী রাস উৎসবের সূচনা করেন জেলাশাসক। আগে অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাসমেলা উপলক্ষে মানুষ কোচবিহার আসতেন। সে সময় বিশেষ ট্রেনও চলত। এখনও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আসেন। কোচবিহারের রাসমেলায় গেলে ওপার বাংলার জামদানি শাড়ি থেকে শুরু করে পদ্মার ইলিশ ও খেজুরের গুড় সবই মিলবে। ভারতেরও বিভিন্ন রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা যোগদান করেন এই মেলায়। প্রায় কয়েক’শ কোটি টাকার কেনাবেচা হয় কোচবিহারের রাসমেলায়। এ বছর রয়েছে আরও চমক। বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান, মালেশিয়া, তাইওয়ান ও ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরাও যোগদান করে কোচবিহারের রাসমেলায়। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে কোচবিহারের এই রাসমেলার গুরুত্ব যেমন অপরিসীম, তেমনি আর্থিক দিক থেকেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: কোভিডকালে বন্ধু হয়ে পাশে ছিলেন, ‘ডমিনিকা’-র সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    PM Modi: কোভিডকালে বন্ধু হয়ে পাশে ছিলেন, ‘ডমিনিকা’-র সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের দিনে যে পাশে থাকে সেই তো প্রকৃত বন্ধু। সেই বন্ধুত্বের পুরস্কারই পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করার কথা ঘোষণা করল কমনওয়েলথ অব ডমিনিকা। প্রধানমন্ত্রী মোদি কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালীন ডমিনিকাকে সাহায্য করেছিলেন। তাই তাঁকে ডমিনিকা অ্যাওয়ার্ড অফ অনার, প্রদান করা হবে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে মোদিকে এই সম্মান তুলে দেবে ডমিনিকা (Dominica)।

    দুই দেশের দৃঢ় সম্পর্ক

    ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পক্ষ থেকে সম্মান প্রদান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডমিনিকাকে সাহায্য করেছেন। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি মাসে ডমিনিকাকে ৭০,০০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca vaccine) ভ্যাকসিন দিয়েছিল ভারত। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইটি সহ একাধিক ক্ষেত্রে ভারত বরাবর পাশে থেকেছে। যার ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।’ ২০২৫ সালে ১৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ইন্ডিয়া ক্যারিকম (CARICOM Caribbean Community) সম্মেলন। এবার গায়ানার জর্জটাউনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই সম্মেলনেই প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান তুলে দেবেন ডমিনিকার প্রেসিডেন্ট সিলভানি বার্টন।

    ডমিনিকা প্রধানমন্ত্রী রুজভেল্ট স্কেরিট বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ডমিনিকার প্রতি প্রকৃত সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিলেন, বিশেষ করে অতিমারির সময়। এটি আমাদের জন্য সম্মানের বিষয় যে, আমরা তাঁকে ডমিনিকার সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত করছি৷ আমরা ওনার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং এই বিষয়টা দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কের প্রতিফলন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NIA: কলকাতায় আল-কায়দার ডেরা! অ্যাপ বাইক চালককে তলব এনআইএ-র, কী যোগসূত্র?

    NIA: কলকাতায় আল-কায়দার ডেরা! অ্যাপ বাইক চালককে তলব এনআইএ-র, কী যোগসূত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল-কায়দা (Al Qaeda) জঙ্গিরা ডেরা করেছে খোদ কলকাতায়। তাদের সবরকমভাবে সাহায্য করার একজন লিঙ্কম্যানের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জঙ্গিদের গতিবিধি খতিয়ে দেখতে গিয়ে এনআইএ-এর হাতে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আসে। তদন্তে নেমে এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, কলকাতায় বসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের টিকিট কাটত বাংলাদেশের আল-কায়দার জঙ্গিরা।

    নজরে অ্যাপ বাইক চালক (NIA)

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকার একটি দোকান থেকে কাটা হয় একাধিক ট্রেনের টিকিট। এমনকী, নিউ মার্কেট এলাকা থেকে কলকাতার সিমকার্ডও সংগ্রহ করে জঙ্গিরা। পূর্ব কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকায় তল্লাশি চালানোর পর এই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে এনআইএ-র হাতে। এবার  এনআইএ-র নজরে কলকাতারই এক অ্যাপ বাইক চালক। ওই চালককে তলব করেছেন এনআইএ আধিকারিকরা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাসে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয় চার বাংলাদেশি। মহম্মদ সজীব মিয়া, মুন্না খালিদ আনসারি ওরফে মুন্না খান, আজহারুল ইসলাম ওরফে খালিফুদ্দিন আনসারি ওরফে আকাশ খান ও আব্দুল লতিফ ওরফে মোমিনুন আনসারি নামে এই চার বাংলাদেশি ভারতীয় আল কায়দা তথা আকিসের সদস্য বলে গুজরাট পুলিশ অভিযোগ তোলে। এই চারজনকে ক্রমে নিজেদের হেফাজতে নেয় এনআইএ। গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, এই চার আল কায়দা জঙ্গি কয়েক বছর আগে চোরাপথে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত পার হয়ে কলকাতায় আসে। এখানে একটি ডেরায় থাকে তারা।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    মগজধোলাই করত জঙ্গিরা!

    যদিও গোয়েন্দাদের (NIA) দাবি, ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে তারা কলকাতার হোটেলে ওঠে। তাদের ওপর ভার পড়েছিল দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে আল কায়দার ওপর যারা সহানুভূতিশীল, তাদের সঙ্গে কথা বলে তহবিল সংগ্রহ করতে শুরু করে তারা। একই সঙ্গে চলে সোশাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করার পর যুবকদের সঙ্গে দেখা করার পালা। তাদের সঙ্গে কথা বলে মগজধোলাই করতে থাকে জঙ্গি সদস্যরা। এই কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভ্রমণ করতে থাকে এই চার জঙ্গি।

    কীভাবে হদিশ মিলল অ্যাপ বাইক চালকের?

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের কাছে এনআইএ আধিকারিকরা কয়েকটি মোবাইল নম্বর পান। এর মধ্যে একটি মোবাইল নম্বরে বেশ কয়েকবার কথা বলা হয় বলে গোয়েন্দারা জানতে পারেন। ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরেই সোমবার এনআইএ বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার ক্যান্টোফার লেনের একটি চারতলা বাড়ির দোতলায় হানা দেয়। ওই বাড়ির দোতালার একটি ফ্ল্যাটে চলে তল্লাশি। যদিও ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা এনআইএ আধিকারিকদের জানান, যে যুবকের মোবাইল নম্বর, তিনি ওই ব্যক্তির আত্মীয় মাত্র। ওই আত্মীয়টি আগে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন বলেই তাঁর আধার কার্ড বেনিয়াপুকুরের ঠিকানায়। ওই আধার কার্ডেই যুবক সিমকার্ড নেন। এখন যুবক পরিবার নিয়ে পিকনিক গার্ডেন এলাকায় থাকেন। নিউ মার্কেট এলাকায় ওই যুবকের একটি দোকান ছিল। ওই দোকানের আশপাশের হোটেলে থাকেন বাংলাদেশিরা। তারা এসে ওই ট্রাভেল এজেন্টের দোকান থেকে ট্রেন ও বিমানের টিকিট কাটত। যদিও লক ডাউনের পর তাঁদের ব্যবসা খারাপ হতে থাকে। তাঁরা দোকানটি বন্ধ করে দেন। ওই যুবক এখন অ্যাপ বাইক চালান। এনআইএ-র গোয়েন্দাদের কাছে খবর, কলকাতা থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার জন্য এই যুবকের কাছ থেকেই ট্রেনের টিকিট কাটত আল-কায়দার ওই জঙ্গিরা। এ ছাড়াও ওই যুবকের পরামর্শে তারা সিমকার্ড সংগ্রহ করে। এনআইএ-র প্রশ্ন, সেই ক্ষেত্রে আল কায়েদার জঙ্গিদের কি জেনেশুনে সাহায্য করেছিলেন ওই যুবক? এই ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে তাঁকে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    জঙ্গিদের খোঁজে কোথায় কোথায় তল্লাশি?

    শুধু কলকাতা এবং এরাজ্যই নয়, দুদিন আগে দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, কর্নাটক, অসম, বিহার, ত্রিপুরার একাধিক জায়গা। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (NIA) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এবার আল-কায়দা প্রচার এবং স্লিপার সেল বৃদ্ধিতে হাত মিলিয়েছে। এছাড়াও অন্য জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যে সকল নথিপত্র এবং ডিজিটাল সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে এনআইএ’র হাতে এসেছে আল-কায়দা সংগঠনের নতুন রিক্রুটমেন্ট সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কলকাতার পাশাপাশি কোচবিহারের হলদিবাড়িতে বিশ্বজিৎ বর্মন নামে এক যুবকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। তবে এনআইএ আধিকারিকরা যখন বিশ্বজিতের বাড়িতে আসেন, সে সময় বিশ্বজিৎ কাজের জন্য বাইরে ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার মা’কে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অধিকারিকরা। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, এ রাজ্য থেকে আল-কায়দার সংগঠনগুলিকে মজবুত করার জন্য বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদিন বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। বিশ্বজিতের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গিদের কার্যকলাপে নজরদারি করতেই একযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শুক্র থেকেই শীতের শুরু! সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা নামবে হু হু করে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: শুক্র থেকেই শীতের শুরু! সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা নামবে হু হু করে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের হাওয়ায় নাচন লাগার অপেক্ষা শেষ হতে চলল। সপ্তাহান্তেই পারদ পতনের কথা জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এক ধাক্কায় তিন থেকে চার ডিগ্রি কমবে রাতের তাপমাত্রা। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বাংলায় এই মুহূর্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ইতিমধ্যে সন্ধের পর থেকে শিরশিরানি (Winter in Bengal) ভাব অনুভূত হচ্ছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই অনুভূতি আরও প্রবল হবে। শীতের আমেজ পড়ে যাবে। 

    সব জেলাতেই শীত শীত ভাব

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই শীত শীত ভাব চলে আসছে শুক্রবারের পর থেকে। উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের পরিবেশ অনুকূল হবে। শহরে র্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নীচে নামতে পারে। মূলত পরিষ্কার আকাশ। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা ও ধোঁয়াশা। শুষ্ক আবহাওয়া; বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.১ ডিগ্রি। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫৬ থেকে ৯৩ শতাংশ। শনিবার থেকে ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা। আগামী ৪-৫ দিন ৩-৪ ডিগ্রি নামবে তাপমাত্রা (Winter in Bengal)।

    আরও পড়ুন: নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    পশ্চিমের জেলায় পারদ পতন একটু বেশি

    উত্তরে আবার পার্বত্য এলাকায় জলীয় বাষ্প থাকায় ধোঁয়াশা সৃষ্টি হবে। তবে সকালের দিকে মালদা ও দুই দিনাজপুরে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আগামী দু’দিন ঘন কুয়াশার সতর্কতা দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়। দৃশ্যমানতা কমে ৫০ থেকে ২০০ মিটার হতে পারে। রবিবার পর্যন্ত মাত্র কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলিতে শীতের আমেজ বাড়বে। পশ্চিমের জেলায় পারদ পতন একটু বেশি হবে। শ্রীনিকেতনে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নামবে পারদ। পুরুলিয়াতে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকবে পারদ (Weather Update)। আগামী দু-তিন দিনে আরো কিছুটা নামবে তাপমাত্রা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tulsi Gabbard: তুলসী গ্যাবার্ডের হিন্দু প্রেম, কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য, ভারত প্রেমের বড় প্রমাণ

    Tulsi Gabbard: তুলসী গ্যাবার্ডের হিন্দু প্রেম, কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য, ভারত প্রেমের বড় প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মকে ভালোবেসে তাঁর মা হিন্দু হয়েছিলেন। সন্তানদের নাম দিয়েছিলেন হিন্দুদের নামে। এহেন এক মার্কিন মহিলার এক সন্তান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard) বর্তমানে খবরের শিরোনামে। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি এসেছিলেন খবরের হেডলাইনে। সেবার মার্কিন দেশে সফর করাকালীন (Donald Trump) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন গীতা। তখনই প্রকাশ পেয়েছিল তুলসীর গীতা-প্রেম। তিনি বলেছিলেন, “হিন্দু ধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম, গীতা শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ।”

    তুলসীই প্রথম হিন্দু মার্কিন কংগ্রেসে (Tulsi Gabbard)

    এক সময় তুলসী ছিলেন ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। পরে যোগ দেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানে। সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রচার করেছেন ট্রাম্পের হয়ে। তার জেরে জুটেছে পুরস্কারও। ট্রাম্প তাঁকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ পদে বসিয়ে দিয়েছেন। তুলসী প্রথম হিন্দু হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। সারা জীবন নিরামিষ খেয়ে আসছেন। শপথগ্রহণ করেছিলেন পবিত্র হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ভাগবত গীতায় হাত রেখে। হিন্দু ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাঁর মা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তুলসীকেও বড় করেছিলেন সেই ধর্মের আদর্শেই। সেই কারণেই তুলসীও মনে-প্রাণে মায় ধর্মেও হিন্দু (Tulsi Gabbard)। হাওয়াইয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তুলসী। তিনি কেবল হাউজের প্রথম হিন্দু সদস্যই হননি, কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বকারী প্রথম আমেরিকান সামোয়ানও হয়েছিলেন। তুলসি (Tulsi Gabbard) সেনাবাহিনীর এক অভিজ্ঞ সদস্য। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে কাজ করার সুবাদে ইরাক ও কুয়েতে মোতায়েন ছিলেন তুলসি। দু’বছর ধরে হাউস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিতেও কাজ করেছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘‘ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা, দুই-ই এক’’, শ্যামপুরের সভা থেকে তোপ শুভেন্দুর

    তুলসীর জনপ্রিয়তা

    ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান-দুই দলেই তুলসীর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। সে কথা স্বীকারও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ডেমেক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে, একজন প্রাক্তন প্রার্থী হিসেবে তাঁর উভয় দলের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে–তিনি এখন গর্বিত রিপাবলিকান।” তুলসীর ভারত-প্রেম বেশ পুরানো। ২০১৪ সালে প্রথম হিন্দু-আমেরিকান কংগ্রেসওম্যান তুলসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আন্তর্জাতিক যোগ দিবস প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে সমর্থনের অঙ্গীকার করেছিলেন। এক বিবৃতিতে তুলসী বলেছিলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির রাষ্ট্রসঙ্ঘে আহ্বানকে সমর্থন করার জন্য একটি প্রস্তাব পাশ করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তুলসী এবং মোদি-দুজনেই একমত হন যে যোগব্যায়াম শুধুমাত্র শারীরিক অনুশীলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি জীবনধারা সচেতনতা এবং বিশ্বদৃষ্টি, যা স্বাস্থ্যের উন্নতি, শান্তির প্রচার এবং (Donald Trump) বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান প্রদান করতে পারে।” তিনি এও বলেছিলেন, “প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থগুলিতে আধুনিক বিশ্বের জন্য যে বিশাল জ্ঞান রয়েছে, তা পশ্চিমি বিশ্বকে বিস্মিত করবে।” আন্তর্জাতিক যোগ দিবস প্রতিষ্ঠায় মোদির প্রস্তাবের পক্ষে জোরালো সওয়ালও করেছিলেন তুলসী।

    কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য

    কাশ্মীর নিয়েও তুলসী সুন্দর মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “কাশ্মীরের জটিল ইতিহাস বোঝা আমাদের মতো বাইরের লোকদের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে এবং এখনও ফিরে আসতে পারেনি। অঞ্চলটির নীতিগুলি ঐতিহাসিকভাবে অধিকার, বিশেষ করে নারীদের অধিকার সীমিত করেছিল।” তুলসীর মতে, সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো নতুন আশা এবং উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, “এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান ভারতের অভ্যন্তর থেকেই আসা উচিত। এটি একটি সার্বভৌম দেশের পরিস্থিতি… যা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের দ্বারা সমাধান করতে হবে, যাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ এখানে নির্ভর করছে।”

    কী বললেন তুলসী

    তুলসী (Tulsi Gabbard) বলেন, “আজ হিন্দু আমেরিকানদের প্রোফাইলিং এবং লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে… আগামীকাল কি মুসলিম বা ইহুদি আমেরিকানদের পালা আসবে?” তিনি বলেন, “এটি ধর্মীয় এবং জাতিগত প্রোফাইলিংয়ের ক্ষেত্রে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। অতীতের নির্বাচনে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার ধর্মবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা করেছে।” তিনি মনে করিয়ে দেন, তাঁর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীরা হিন্দুধর্মকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে দাবি করেছিলেন। এই ধরনের বিভাজনমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করে তুলসী বলেন, “ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মগুলোর প্রতি ভীতি সঞ্চারের প্রচেষ্টা এখনও রয়ে গেছে।”

    হিন্দু নিধনযজ্ঞ নিয়ে মন্তব্য

    বাংলাদেশে হিন্দু নিধনযজ্ঞ দেখে তুলসী বলেছিলেন, “এই ধরনের ঘৃণা ও হিংসা দেখে আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছে।” বাংলাদেশের সরকারকে হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ-সহ সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘুকে ঘৃণার জিহাদি শক্তি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। তুলসী বলেন, “এই ধরনের হিংসা বিশ্বাসের মৌলিক নীতিগুলির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। ঈশ্বর হলেন ভালোবাসা এবং তাঁর প্রকৃত সেবকরা সেই ভালোবাসা পৃথিবীতে (Donald Trump) ধারণ ও প্রকাশ করে (Tulsi Gabbard)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 15 November 2024: কর্মস্থলে পদোন্নতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 15 November 2024: কর্মস্থলে পদোন্নতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) শত্রুভয় কাটাতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) কাজের ব্যাপারে দুশ্চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ ঘটতে পারে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে পারবে না।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) আর্থিক টানাটানির যোগ।

    ২) কর্মস্থলে পদোন্নতি হতে পারে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে গেলে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের উপদেশে কর্মে উন্নতি। 

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় শুভ ইঙ্গিত।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভপ্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে একটু কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) যে কোনও কাজে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় সহকর্মীর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) স্ত্রীর কারণে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tamil Nadu: বিজেপির অফিসে ‘ভারত মাতা’র মূর্তি ফিরিয়ে দিতে তামিলনাড়ু সরকারকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Tamil Nadu: বিজেপির অফিসে ‘ভারত মাতা’র মূর্তি ফিরিয়ে দিতে তামিলনাড়ু সরকারকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাজ হাইকোর্ট সম্প্রতি বিজেপি অফিস থেকে অবৈধভাবে বাজেয়াপ্ত করা ‘ভারত মাতা’র মূর্তি ফেরত দেওয়ার জন্য তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। আদালত (Madras High Court) ডিএমকে-নেতৃত্বাধীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে যে, এই মূর্তির অপসারণ সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। এমন কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর ঘটতে দেওয়া উচিত নয়।

    কী ঘটেছিল

    প্রসঙ্গত, গত ৭ অগাস্টের রাতে, আরুপুরকোত্তাই রেভেনিউ ডিভিশনাল অফিসার (RDO) শিবকুমার এবং তহসিলদার বাস্করান বিজেপি অফিসে ঢুকে মূর্তি অপসারণ করেন। তাঁদের দাবি, যে মূর্তিটি অনুমতি ছাড়া বসানো হয়েছিল। এই দলের সদস্যরা পুলিশি সহায়তায় অফিসের গেট খুলে মূর্তি অপসারণে উদ্যোগী হন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে, এক পুলিশ অফিসার বিজেপি অফিসের দেওয়াল টপকে গেট খোলার চেষ্টা করছেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি অন্নামালাই এই ঘটনাকে “অগ্রহণযোগ্য” বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) ডিএমকে সরকার এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত যে, এখন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতেও ‘ভারত মাতা’র মূর্তি স্থাপন করার অধিকার নেই।”

    আদালতের অভিমত

    মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) বিচারক নানদু আনন্দ ভেঙ্কটেশ এই বিষয়ে বলেন, “সরকারি অনুমোদন ছাড়া প্রতিকৃতির স্থাপন যদি জনগণের জায়গায় হয়, তবে নিয়ন্ত্রণ যথাযথ। কিন্তু বেসরকারি জায়গায় এরকম কোনও নিয়ন্ত্রণ অকারণ। ব্যক্তিগত জায়গায় এমন মূর্তি স্থাপন কোনওভাবেই রাষ্ট্রের অধিকারকে লঙ্ঘন করে না।” এছাড়া, আদালত জানায় যে, ভারত মাতার মূর্তি স্থাপন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত এবং সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির বিষয়, এটা মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক। এই মূর্তি মানুষকে একত্রিত হতে এবং স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে সাহায্য করে। এই রায়ে আদালত বিজেপির অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে মূর্তিটি তাদের অফিসে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে সতর্ক করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: জোর ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণায়! ১৫ নভেম্বর থেকে ৩ দিনের সম্মেলন করছে আরএসএস

    RSS: জোর ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণায়! ১৫ নভেম্বর থেকে ৩ দিনের সম্মেলন করছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণাকে যুব সমাজের মধ্যে আরও জনপ্রিয় করতে তিন দিনের সম্মেলন করতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এই সম্মেলন। যার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। এই সম্মেলনের নাম রাখা হয়েছে ‘ভিশন ফর বিকশিত ভারত’ (Vision For Viksit Bharat)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখা সংগঠন বলে পরিচিত ‘ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডল’, গুরুগ্রামে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। সেখানকার এসজিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই হবে এই সম্মেলন।

    সারা দেশ থেকেই ছাত্র-তরুণ-শিক্ষকরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন 

    কবীন্দ্র তালিয়ান হলেন বর্তমানে ‘ইউথ ইউনাইটেড ফর ভিশন অ্যান্ড অ্যাকশন’- এই মঞ্চের আহ্বায়ক। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘দেশজুড়ে ছাত্ররা, শিক্ষকরা এবং যুবসমাজ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। আমরা আশাবাদী এই সম্মেলন সফল হবে।’’ সম্মেলনকে সফল করতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) সমেত ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে হাজির হয়েছেন গুরুগ্রামে। জানা যাচ্ছে, ছাত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধিরাও ইতিমধ্যে পৌঁছেছেন সেখানে। এঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের গবেষণাপত্র জমা করবেন।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    কী জানালেন ভারতীয় শিক্ষণ মন্ডলের জাতীয় সভাপতি?

    ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের জাতীয় সভাপতি সচ্চিদানন্দন জোশি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে গবেষকরা গবেষণাপত্র জমা করবেন। তারপর সেগুলিকে বাছাই করা হবে। যেগুলি মনোনীত হবে, সেগুলিকে প্রদর্শন করা হবে। সচ্চিদানন্দ জোশি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণাতে (Vision For Viksit Bharat) বেশি জোর দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই সম্মেলন দেশজুড়ে যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত (RSS) করবে এবং তা গ্রামীণ বিকাশ এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে সংরক্ষণে সাহায্য করবে। জানা যাচ্ছে, এই সম্মেলনের অন্যতম অংশ হিসেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সেরও ব্যবহার করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share