Tag: bangla news

bangla news

  • Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে গেল ভিস্তারা, শুরু হল উড়ান চলাচল, পরিষেবা কেমন মিলবে?

    Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে গেল ভিস্তারা, শুরু হল উড়ান চলাচল, পরিষেবা কেমন মিলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে সেই শুভক্ষণ আসল। মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) আনুষ্ঠানিকভাবে ভিস্তারার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। যাত্রীদের পরিষেবা আগের মতো বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার আগে সোমবার ভিস্তারা (Vistara) শেষ আন্তঃদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। ভিস্তারার বুকিং সহ আনুমানিক ১ লক্ষ ১৫ হাজার যাত্রী সংযুক্তিকরণ হওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা পাবেন বলে জানা গিয়েছে। ভিস্তারায় যে ধরনের পরিষেবা যাত্রীরা পেতেন, এখনও সেই পরিষেবাই পাবেন বলে সংস্থার পক্ষে দাবি করা হয়েছে। সংস্থার দাবি, যাত্রী পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমঝোতা করা হবে না।

    এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান সংখ্যা কত হল? (Air India)

    ভিস্তারা মূলত টাটা গ্রুপ এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ ছিল। এবার তা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে মিশে গেল। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স সম্প্রসারিত এয়ারলাইন্সে ২৫.১ শতাংশ অংশীদারিত্ব বজায় রাখবে। এই সংযুক্তিকরণ ভারতের বিমান শিল্পে একটি বড় পদক্ষেপ বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে। আর ভিস্তারা মিশে যাওয়ার কারণে এয়ার ইন্ডিয়ার বহর উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হয়েছে। ভিস্তারা তার ৭০টি বিমান নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০টি ফ্লাইট পরিচালনা করত। ২০২২ সালের নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়ার ঘোষণার পর থেকে ভিস্তারা এবং এয়ার ইন্ডিয়ার সিস্টেম, কর্মী এবং অপারেশনগুলিকে একসঙ্গে করার প্রচেষ্টা চলছে। সংযুক্ত হওয়ার পর এখন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০৮টি। এই বিমান নিয়ে এবার ১০৩টি আন্তঃদেশীয় এবং ৭১টি আন্তর্জাতিক রুটে পরিষেবা দেবে। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, এয়ারলাইন্সটি ৪৯টি আন্তঃদেশীয় এবং ৪২টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে পরিষেবা দেবে।

    আরও পড়ুন: ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র

    সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কত টাকা বিনিয়োগ করবে?

    ভিস্তারা মিশে যাওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়াতে (Air India) ৩,১৯৪.৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত বিনিয়োগ করবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর বেশ কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে  অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও, কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের অবসরের সময়সীমা ৫৮ বছর। আর ভিস্তারার কর্মীদের অবসর হয় ৬০ বছরে। ফলে, সংযুক্ত হওয়ার পর কর্মীদের কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাইলটদের সিনিয়ারিটি কীভাবে নির্ধারণ হবে, সেই প্রশ্ন রয়েছে।

    নতুন কী কোড হল?

    আগামী মাসগুলিতে ওয়াইড বডি জেটসহ আরও বিমান যুক্ত হবে। সংযুক্তিকরণ হওয়ার পর ইন-ফ্লাইট অভিজ্ঞতায় যাত্রীরা কোনও পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করবেন না। এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছে যে, তাঁরা আগের মতোই একই বিশ্বমানের পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন। এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন ফ্লাইট কোড করা হয়েছে। ভিস্তারা যে কোড ছিল তা এবার পরিবর্তন হয়ে যাবে। সোমবার রাতে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে এয়ারলাইন্সটির ফ্লাইট কোড ‘UK’ থেকে ‘AI2XXX’-এ পরিবর্তিত হবে।

    শুরু হল উড়ান চলাচল

    সংযুক্তিকরণ হওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়া-ভিস্তারা সংস্থাটি সোমবার মধ্যরাত ১২.১৫ মিনিট নাগাদ দোহা থেকে মুম্বই পর্যন্ত প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইটটি ছিল Al2286, দোহা থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে। আন্তঃদেশীয় ক্ষেত্রে প্রথম নির্ধারিত ফ্লাইটটি হবে Al2984, মুম্বই থেকে উড়ে গন্তব্য দিল্লি। দুপুর ১.২০ মিনিট নাগাদ টেক অফ করে। উভয় ফ্লাইটই আগে ভিস্তারার ফ্লাইট কোডের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল। এখন মিশে যাওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়ার নয়া কোড নিয়ে আকাশে উড়বে। একটি স্বাধীন এয়ারলাইন্স হিসেবে ভিস্তারার শেষ ফ্লাইট দিল্লি থেকে সিঙ্গাপুরগামী UK115 বিমানটি সোমবার  রাত ১১.৪৫ মিনিট নাগাদ টেক-অফ করেছিল।

    পাইলটরা কী বললেন?

    এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারা উভয়ই টাটা গ্রুপের অংশ। ভিস্তারা টাটা এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ। সংযুক্ত হওয়ার দিনে ভিস্তারার পাইলটরা ফ্লাইট চলাকালীন যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে, তাঁরা এখন এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) ব্র্যান্ডের অধীনে একই প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন। ‘আকাশ সীমা নয়, শুধুই শুরু’: ভিস্তারা ‘ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’ বলে হৃদয়গ্রাহী পোস্ট শেয়ার করেছে ভিস্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ                                                     

  • AIMPLB: ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ বেসরকারি সংস্থা, সরানো হোক ‘বোর্ড’ শব্দ, দাবি বিজেপি নেতার

    AIMPLB: ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ বেসরকারি সংস্থা, সরানো হোক ‘বোর্ড’ শব্দ, দাবি বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) থেকে ‘বোর্ড’ শব্দটি সরানোর দাবি জানিয়েছেন বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui)। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই সংস্থা যদি নাম পরিবর্তন না করে, সেক্ষেত্রে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেবেন, এই সংস্থাকে (AIMPLB) নিষিদ্ধ করার দাবিতে।

    ১৯৭৩ সালে তৈরি হয় অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

    ভারতে মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইনের দিকগুলি দেখার জন্য ১৯৭৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল বেসরকারি সংস্থা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (AIMPLB)। বোর্ডের কাছে তিনি যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) যুক্তি দিয়েছেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড একটি বেসরকারি সংস্থা, এটা কোনওভাবেই সরকারি সংস্থা নয়, তাই বোর্ড শব্দ সরানো উচিত।’’ এর পাশাপাশি এআইএমপিএলবি-কে (AIMPLB) সিদ্দিকি যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে তিনি, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের টাকার উৎস এবং অডিট রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন।

    মুসলমানদের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

    সংবাদ মাধ্যমকে সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) বলেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (AIMPLB) কর্মকাণ্ড ভারতীয় মুসলমানদের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছে। এর নাম পরিবর্তন করা উচিত।’’ সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র লাভের দিকে তাকিয়ে এই সংস্থা মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছে। এরা শুধু নিজেদের লাভের জন্য ভুল তথ্য ছড়ায়।

    সংবিধানসম্মত সংস্থাই কেবল নামের পাশে বোর্ড শব্দ রাখতে পারে

    তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সংবিধান সম্মত সংস্থাই আইনত তাদের নামের পাশে ‘বোর্ড’ শব্দ ব্যবহার করতে পারে। শাহ বানো মামলা ও ওয়াকফ সংশোধনী বিল সহ বিভিন্ন বিষয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (AIMPLB) যে ধরনের অবস্থান নিয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui)। তিনি দাবি করেন, এই সংস্থা প্রতি পদে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, এর ফলে সমগ্র মুসলমান সম্প্রদায়ের কল্যাণ হয় না ও তাদের অগ্রগতি ব্যাহত হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গুরপতবন্ত পান্নুনের (Pannun) হুমকির পরেই গোটা অযোধ্যায় (Ayodhya) ব্যাপক সর্তকতা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কানাডার খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের নেতা পান্নুন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে হুমকি দেন যে, আগামী ১৬ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে রাম মন্দিরে হামলা চালানো হবে। এরপরেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। অযোধ্যা রেঞ্জের আইজি প্রবীণ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘অযোধ্যা (Ayodhya) আগেই দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনী সর্বদাই প্রস্তুত যে কোনও হামলার মোকাবিলা করার জন্য।’’

    ভিডিও বার্তা আসল নাকি নকল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

    তিনি (প্রবীণ কুমার) আরও বলেন, ‘‘পুলিশ তবুও পান্নুনের (Pannun) ওই হুমকি বার্তা আসল কী নকল তা খতিয়ে দেখছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এটিএস তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। যাদের খালিস্তানি যোগ ধরা পড়ে। এরা প্রত্যেকেই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের ঠিক চারদিন আগে অযোধ্যায় রেকি করতে এসেছিলে। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ।

    পান্নুনের ভিডিও বার্তা (Ayodhya)

    তবে শুধু রাম মন্দির (Ayodhya) নয়, দেশের একাধিক মন্দির উড়িয়ে দেওয়ারও হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই ভিডিও বার্তায়। জানা গিয়েছে, কানাডার ব্রাম্পটনে এই ভিডিও শ্যুট করা হয়েছে। পান্নুনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘অযোধ্যার মাটি কাঁপিয়ে দেওয়া হবে।’’ সম্প্রতি, কানাডায় একাধিক মন্দিরে খালিস্তানিরা হামলা করছে বলে অভিযোগ। সেখানকার বসবাসকারী হিন্দুদের পান্নুন এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এইসব ঘটনার মধ্যে যেন তাঁরা না জড়ান। একই সঙ্গে, কানাডায় বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই জঙ্গি নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতাতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতাতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘ধান্ধা’য় কোপ অমিত শাহের (Amit Shah)! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতিয়ে নিতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা।’

    কী বললেন শাহ? (Amit Shah)

    সোমবার ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেলায় নির্বাচনী প্রচারসভায় (Jharkhand Assembly Polls) গিয়ে শাহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এমন একটি আইন প্রণয়ন করবে, যা উপজাতি মেয়েদের বিয়ে করে জমি হস্তান্তর করা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের রুখবে।” তিনি বলেন, “বিজেপি এভাবে অধিগৃহীত জমি পুনরুদ্ধার করবে। জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে মূল উপজাতি পরিবারের হাতে।”

    ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমছে!

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের মেয়েদের বিয়ে করে জমি দখল করছে। তারা আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করলে তাদের জমি স্থানান্তর রোধ করার জন্য আমরা একটি আইন প্রণয়ন করব।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে এবং তাদের উচ্ছেদ করে দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করতে আমরা একটি কমিটি গঠন করব।”

    জেএমএম-কে আক্রমণ শাহের (Jharkhand Assembly Polls)

    এদিনের সমাবেশে শাহ মুণ্ডপাত করেন রাজ্যের হেমন্ত সোরেন সরকারের। বলেন, “ওরা (হেমন্ত সোরেনের দল) ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই সোরেনকে অপমান করেছে। তিনি এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অনুপ্রবেশের সমস্যার কথা বলায় তাঁকে অপমান করেছে ওরা।” শাহের (Amit Shah) দাবি, “চম্পাই আদিবাসীদের অধিকার ও অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা বলায় তাঁকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    চম্পাইয়ের বহিষ্কারে আদিবাসীদের অপমান  

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “চম্পাই সোরেন এত বছর ধরে গুরুজি (শিবু সরেন) এবং হেমন্ত সোরেনের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন। কিন্তু তাঁকে যেভাবে অপমান ও বহিষ্কার করা হয়েছে, তা কেবল তাঁর নয়, সমগ্র আদিবাসী সমাজের অপমান। চম্পাই সোরেন কেবল এই একটিই দাবি করেছিলেন যে এই অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু তারা (জেএমএম) তা করতে রাজি নয়।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “রাজ্যের শাসক জোট — ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নতি করছে। করছে দুর্নীতিও।” তিনি বলেন, “যদি ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Assembly Polls) বিজেপি সরকার গঠন করে, তবে জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোটের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের জেলে পাঠানো হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Daily Horoscope 12 November 2024: প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 12 November 2024: প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) কাজের জায়গায় কথার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) দূরে ভ্রমণের জন্য বাড়িতে আলোচনা হতে পারে। 

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ২) সংসারের জন্য অনেক করেও বদনাম হবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) নিজেকে সময় দিন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) বন্ধুদের দিক থেকে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।

    ২) প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় চাপ বাড়লেও আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বুদ্ধির দোষে কোনও কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় নিজের বুদ্ধিতেই আয় বাড়বে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    ধনু

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ২) ব্যবসায় বিবাদ থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ২) কর্মস্থানে সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2024: বিশেষত্ব বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য, একই গ্রামে ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো মুর্শিদাবাদে!

    Jagadhatri Puja 2024: বিশেষত্ব বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য, একই গ্রামে ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো মুর্শিদাবাদে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজো মানে একবাক্যে সকলেই চন্দননগর, কৃষ্ণনগরের নাম বলবেন। কিন্ত, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারের কাগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagadhatri Puja 2024) আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। শুধুমাত্র একটি গ্রাম জুড়ে হয় ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো। আধুনিকতা কিংবা চাকচিক্য নয়, এখানকার পুজোর বিশেষত্ব সাবেক বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য। এরই সঙ্গে মিশে আছে মেলা, নাগরদোলা, কবিগান, বাউলগান আর আবালবৃদ্ধবনিতার অনাবিল আনন্দ। জগদ্ধাত্রী এক দিনের পুজো হলেও এর রেশ থেকে যায় বেশ কয়েকটা দিন।

    কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো দেখে গ্রামে পুজোর প্রবর্তন (Jagadhatri Puja 2024)

    কাগ্রাম জেলার প্রান্তবর্তী এক প্রাচীন বনেদি গ্রাম। রয়েছে বহু ব্রাহ্মণ, শাক্ত ও বৈষ্ণব পরিবার। মধ্য রাঢ়ের অতি প্রাচীন এই গ্রামের নামকরণ গ্রাম্যদেবী কঙ্কচণ্ডীর নামানুসারে। অতীতের কাগাঁ আজকের কাগ্রাম। পারিবারিক ও বারোয়ারি মিলিয়ে এখানে পুজোর সংখ্যা ২৭টি। এ গ্রামে দুর্গাপুজো, কালীপুজো সহ অন্যান্য পুজো (Jagadhatri Puja 2024) হলেও মুখ্য আকর্ষণ সাবেক মেজাজের জগদ্ধাত্রী পুজো। এ গ্রামের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মার্সায় বাড়ির পুজো। সাবেক বাংলা রীতির প্রতিমায় আজও দেখা যায় অভিজাত্যের ছোঁয়া। শোনা যায়, পরিবারের আদিপুরুষ নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো দেখে গ্রামে পুজোর প্রবর্তন করেন। পরবর্তী কালে বর্তমান মন্দিরটি নির্মিত হয়। আজও পুজোর প্রধান আকর্ষণ মহিষ বলি। পুরনো প্রথা মেনে হয় কুমারী পূজাও। এই পুজো ঘিরে হয় সাত দিন ব্যাপী মেলাও। এছাড়া রায়বাড়ির পুজো, পালবাড়ির পুজো, পশ্চিমপাড়ার বারোয়ারি পুজো দেখতে ভিড় উপচে পড়়ে। সারা রাত ধরে প্রতিমা দেখতে আশপাশর বহু গ্রামের হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন।

    বিসর্জনে শোভাযাত্রা

    শুধু সাড়ম্বরে পুজো নয়। কাগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2024) বিসর্জনের শোভাযাত্রাও সমান আকর্ষণীয়। এক একটি প্রতিমার শোভাযাত্রা হয় দীর্ঘ বিস্তৃত। সঙ্গে থাকে আলোকসজ্জা এবং নানা ধরনের বাজনা। যেমন ব্যান্ড তাসা ইত্যাদি। বিসর্জন উপলক্ষে মেলে প্রশাসনের বিশেষ সহযোগিতা। প্রতিটি পাড়ার প্রতিমার সঙ্গে থাকে পুলিশ পোস্টিং।  আগে বাহকদের কাঁধে চেপে প্রতিমা বিসর্জনে গেলেও এখন ট্রলিতে কিংবা ভ্যানে প্রতিমা বিসর্জনে যায়। যে সব পুজোগুলি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে প্রশাসনের তরফে পুজো কমিটিকে প্রতিমা তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে। সেই অনুযায়ী হয় বিসর্জন। মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে এই সব প্রতিমা সারা রাত গ্রাম প্রদক্ষিণ করে পরদিন সকাল ৯টা নাগাদ মণ্ডপে ফেরে। তার পরে শুরু হয় বিসর্জন পর্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে সিআরপিএফের শিবিরে হামলা কুকি জঙ্গিদের। এলোপাথাড়ি গুলি (Gunfight) চালায় জঙ্গিরা (Manipur Violence)। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। নিহত হন ১১ জন। সিআরপিএফের দাবি, নিহত ১১ জনই জঙ্গি। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন বাহিনীর এক জওয়ান।

    সংঘর্ষ শুরু গত বছর

    গত বছরের শুরুর দিক থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে। তার জেরে অশান্তির আগুন জ্বলছে চিত্রাঙ্গদার দেশে। দিন দুই আগে বছর একত্রিশের এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে ঝিরিবাম জেলায়। ওই মহিলা তিন সন্তানের জননী। অভিযোগ, সশস্ত্র হামলাকারীরা প্রথমে গ্রামে ঢুকে লুটপাট চালায়। নির্বিচারে গুলিও করতে শুরু করে। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি। সব মিলিয়ে এদিন পোড়ানো হয়েছে ১৭টি বাড়ি।

    সিআরপিএফ শিবিরে গুলি

    সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের অশান্তির আগুন জ্বলল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে আচমকাই জঙ্গিরা হামলা চালায় সিআরপিএফের ক্যাম্পে। তার আগে তারা হামলা চালায় বড়বেকরা মহকুমা সদর থানায়। এরপর তারা লুটপাট চালায় এলাকার কয়েকটি বাড়িতে (Manipur Violence)। দোকানও লুটপাট করে জঙ্গিরা। পরে তারা হামলা চালায় সিআরপিএফের ওপর। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় দুপক্ষের গুলির লড়াই। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা প্রত্যেকেই কুকি জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে বাহিনী।

    আরও পড়ুন: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    শনিবার রাতে জিরিবামের জাইরাওন নামে এক গ্রামে মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাম্বাই টেঙ্গল এবং ইনএনএলএফের যৌথ বাহিনীর হামলায় এক কুকি মহিলা নিহত হয়েছিলেন। রবিবার কুকি-জো জনজাতিদের যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা এক মেইতেই মহিলাকে খুন করে।

    এদিকে, পূর্ব ইম্ফল জেলার থামনাপোকপি, ইয়াইঙ্গাংপোকপি, সাবুংখোক এবং সানসাবি-সহ বিভিন্ন এলাকায় মেশিনগান রকেটচালিত গ্রেনেড নিয়ে হামলা চলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের (Gunfight) ওপর। এদিনও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সংঘর্ষের খবর এসেছে দফায় দফায় (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রী পুজোয় কৃষ্ণনগরে ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা, রাজবাড়িতে হল সিঁদুর খেলা

    Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রী পুজোয় কৃষ্ণনগরে ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা, রাজবাড়িতে হল সিঁদুর খেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার একদিকে যখন কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে মহিলারা উন্মাদনায় মেতে ওঠেন, ঠিক সেই সময় শহর জুড়ে বিভিন্ন বারোয়ারির ঘট বিসর্জন ঘিরেও উচ্ছ্বাস দেখা গেল শহরে। বিভিন্ন রাস্তায় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জগদ্ধাত্রী পুজোকে (Jagadhatri Puja 2024) কেন্দ্র করে এ যেন এক অন্য কৃষ্ণনগর!

    ঘট বিসর্জনে শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2024)

    পুজো এবং প্যান্ডেলের পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল আকর্ষণ বিসর্জন। বিসর্জন ঘিরে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রবিবার কৃষ্ণনগরের প্রতিটি জগদ্ধাত্রী মাতা (Jagadhatri Puja 2024) একদিন পূজিতা হন। সোমবার সকাল থেকেই একাধিক বারোয়ারি ঘট বিসর্জনের জন্য শোভাযাত্রা নিয়ে রাজপথে রওনা দেয়। তবে অন্যান্য বারোয়ারি ঘট বিসর্জন করলেও কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি তা করে না। সেই কারণেই রাজবাড়িতে দেখা গেল রানিমার উপস্থিতিতে সিঁদুর খেলা। তা চলল দফায় দফায়। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর শহরের প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড়ে সকাল থেকে রাস্তার পাশে মানুষের উপস্থিতি। তাদের মধ্যে মূল আকর্ষণ চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমাকে ঘিরে। সকাল থেকে ঘট বিসর্জনের পর রাতে জগদ্ধাত্রী মাতাকে নিয়ে বের হয় তারা। মূলত সাং যাত্রার মাধ্যমে চলে রাতের শোভাযাত্রা। এখানে প্রতিমা কোনও গাড়িতে করে যায় না। মূলত মানুষের কাঁধে করে বিসর্জনের পথে রওনা দেয় কৃষ্ণনগরের প্রতিটি বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী মাতা। বিভিন্ন বারোয়ারি নিত্যনতুন আকর্ষণ তুলে ধরেছে। পুরুলিয়ার ছৌ নাচ থেকে শুরু করে বাংলার যে সমস্ত সংস্কৃতি এবং শিল্প রয়েছে সেগুলো তুলে ধরা হয় এই শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে।

    কদমতলা ঘাটে নিরঞ্জন

    কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) বিভিন্ন রাজপথ অতিক্রান্ত করে কদমতলা ঘাটে বিসর্জন হয় জগদ্ধাত্রী মাতার। অন্যদিকে, এই শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2024) ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে কারণে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ-প্রশাসন। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka: কর্নাটকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’! ৩৩ কংগ্রেস মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি বিজেপির

    Karnataka: কর্নাটকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’! ৩৩ কংগ্রেস মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ কংগ্রেস-শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তীর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ ৩৩ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, সরকারি অর্থের অপব্যবহার এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় সন্দেহজনক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নানা দিকে। বিরোধী দলগুলো কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে স্বচ্ছতার অভাব এবং আইন মেনে চলার প্রতি উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে। বিরোধীদের দাবি, অর্থের বিনিময়ে কর্নাটক সরকারের কিছু মন্ত্রী বিশেষ কিছু ঠিকাদারদের স্বার্থের কথা ভেবে কাজ করে। তাদের হাতেই রয়েছে ক্ষমতার চাবি কাঠি।

    বিবিএমপি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট স্ক্যাম

    সম্প্রতি কংগ্রেস সরকার পরিচালিত বিবিএমপি-এর (ব্রুহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিক) সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) নিয়ে এক বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অ্যান্টি-কোরাপশন ফোরামের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা এন আর রমেশ এই  অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, কর্নাটক সরকার একটি ঠিকাদারকে ২৫ বছরের জন্য বর্জ্য নিষ্কাশনের চুক্তি প্রদান করেছে। আগে থেকেই অর্থের বিনিময়ে ওই ঠিকাদারকে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছিল। যা প্রোকিওরমেন্ট এবং টেন্ডারিং আইনের লঙ্ঘন। এই অভিযোগের সঙ্গে ১,৫৭০ পৃষ্ঠার নথি জমা দেওয়া হয়েছে। ওই নথিতে কংগ্রেস সরকারের ৩৩ জন মন্ত্রীকে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পাবলিক ফান্ড চুরির অভিযোগ অভিযুক্ত করা হয়েছে। রমেশ দাবি করেছেন যে, এই চুক্তি রাম্মি ইনসা স্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে, যা অতীতে ব্ল্যাকলিস্টেড হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, এই চুক্তি ২৫ বছরের মধ্যে ৪০,০০০ কোটি পর্যন্ত সরকারি অর্থের অপব্যবহারের কারণ হতে পারে। এটা কর্ণাটকের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ দুর্নীতির ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া ও অন্যান্য মন্ত্রীদের থেকে জবাবদিহি চাইছে। সরকারকে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাপ দিচ্ছে বিরোধীরা।

    জমি দুর্নীতি

    কর্নাটক কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কংগ্রেস নেতারা ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করেছেন এবং নির্বাচিত কিছু ব্যক্তির হাতে সরকারি জমি বিক্রি করেছেন। এসব সম্পত্তি বেচে সরকারি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত লাভ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া, ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি জমির অবহেলা করে প্রাইভেট ডেভেলপারদের কাছে তা বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, এসব লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা কমিশন হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।

    নির্মাণ চুক্তি ও পরিকাঠামোগত অব্যবস্থাপনা

    কংগ্রেস সরকারকে বিভিন্ন নির্মাণ ও পরিকাঠামোগত প্রকল্পে অব্যবস্থাপনার জন্যও অভিযুক্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে যে, সরকার অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করে এবং প্রকল্পগুলির জন্য টেন্ডার ছাড়া ঠিকাদারি কাজ দিয়েছে। যেমন রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং শহরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ রয়েছে। বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন যে, ঠিকাদাররা এই প্রকল্পগুলির খরচ বাড়িয়ে প্রকল্পের মান কমিয়েছে, এবং তাদের দুর্নীতির ফলস্বরূপ সরকারি অর্থের অপব্যবহার হয়েছে।

    শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে দুর্নীতির ছায়া

    কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান খাতে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র স্কলারশিপ এবং পেশাদারি প্রশিক্ষণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এরকম  ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার এবং স্কলারশিপের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগও উঠেছে।

    স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি

    কর্নাটকের স্বাস্থ্য খাতও দুর্নীতির আকরভূমি। সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না হওয়া এবং নিন্মমানের চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। আরও অভিযোগ করা হচ্ছে যে, রাজনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে কিছু ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। যার ফলে সরকারি হাসপাতালগুলিতে অত্যন্ত উচ্চমূল্যে নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট

    কৃষি ক্ষেত্রে বিতর্ক

    কৃষকদের জন্য ঘোষিত ঋণ এবং সহায়তা প্রকল্পেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, কংগ্রেস সরকার কৃষকদের জন্য ঘোষিত ঋণ শুধুমাত্র নির্বাচিত কিছু রাজনৈতিক সমর্থকদের মধ্যে বিতরণ করছে। এছাড়া, কৃষকদের জন্য বরাদ্দ অর্থ ও সাহায্য নানা কারণে বিলম্বিত হয়েছে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অনেক সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    তদন্তের দাবি

    কর্নাটকে এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতারা কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এন আর রমেশের দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করা উচিত। বিজেপি প্রতিনিধি দলের যুক্তি, যদি এসব অভিযোগের সঠিকভাবে তদন্ত না করা হয়, তাহলে তা রাজ্যের অর্থনীতি এবং জনগণের আস্থার জন্য বিপজ্জনক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘একটি ক্যামেরা লাগাতে খরচ ৩.৫ লক্ষ টাকা’’! সিসিটিভি-দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘একটি ক্যামেরা লাগাতে খরচ ৩.৫ লক্ষ টাকা’’! সিসিটিভি-দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোয় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় নথি পেশ করে শুভেন্দুবাবু দাবি করেছেন, আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর খরচ দেখানো হয়েছে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, অবিশ্বাস্য, নির্লজ্জ। প্রত্যেকে জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু এবার তারা নিজেরাই নিজেদের ছাপিয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    কী অভিযোগ করলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে মহিলা চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়ার পর সিসিটিভি লাগানো নিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে অনেক গলাবাজি করেছেন। এরপর স্বাস্থ্য দফতর সিসিটিভি লাগাতে টেন্ডার জারি করে। আর হাসপাতালে সেই সিসি ক্যামেরা লাগানোর নাম করেই তৃণমূল সরকার টাকা তুলছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। ঝাড়গ্রাম এবং আরামবাগের দুটি হাসপাতালের তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯৫টি সিসিটিভি লাগানোর কথা, তাতে মোট খরচ হবে ৩ কোটি ২২ লক্ষ ৫২ হাজার ৯২৩! অর্থাৎ ইউনিট প্রতি খরচ ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, আরামবাগের প্রফুল্লচন্দ্র সেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০টি সিসিটিভি লাগাতে হবে। তার জন্য খরচ হবে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৩৯ টাকা। ইউনিট প্রতি খরচ ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৭৪! বিজেপি নেতার স্পষ্ট দাবি, কলেজ-হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি বসানো নিয়ে কাটমানি তুলছে তৃণমূল। গোটা ঘটনাকে অত্যাশ্চর্য, অভাবনীয় বলার পাশাপাশি লজ্জাজনকও বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার যে দুর্নীতিগ্রস্থ তা সকলের জানা। কিন্তু এই কাজ করে তাঁরা সব সীমা ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিকে টাকা কামানোর সুযোগে পরিণত করার জন্য তৃণমূলের হাততালি প্রাপ্য।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share