Tag: bangla news

bangla news

  • Ramakrishna 189: “অনুরাগ আগে, পরে প্রার্থনা…ডাক দেখি মন ডাকার মতো, কেমন শ্যামা থাকতে পারে”

    Ramakrishna 189: “অনুরাগ আগে, পরে প্রার্থনা…ডাক দেখি মন ডাকার মতো, কেমন শ্যামা থাকতে পারে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ সিঁথির ব্রাহ্মসমাজে ব্রাহ্মভক্তসঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) শ্রীযুক্ত বেণী পালের সিঁথির বাগানে শুভাগমন করিয়াছেন। আজ সিঁথির ব্রাহ্মসমাজের ষান্মাসিক মহোৎসব। চৈত্র পূর্ণিমা (১০ই বৈশাখ, রবিবার), ২২শে এপ্রিল, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ; বৈকাল বেলা। অনেক ব্রাহ্মভক্ত উপস্থিত; ভক্তেরা ঠাকুরকে ঘিরিয়া দক্ষিণের দালানে বসিলেন। সন্ধ্যার পর আদি সমাজের আচার্য শ্রীযুক্ত বেচারাম উপাসনা করিবেন।

    ব্রাহ্মভক্তেরা ঠাকুরকে মাঝে মাঝে প্রশ্ন করিতেছেন (Kathamrita)।

    ব্রাহ্মভক্ত—মহাশয়, উপায় কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—উপায় অনুরাগ, অর্থাৎ তাঁকে ভালবাসা। আর প্রার্থনা।

    ব্রাহ্মভক্ত—অনুরাগ না প্রার্থনা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অনুরাগ আগে, পরে প্রার্থনা।

    “ডাক দেখি মন ডাকার মতো, কেমন শ্যামা থাকতে পারে”—

    শ্রীরামকৃষ্ণ সুর করিয়া এই গানটি গাইলেন (Kathamrita)।

    “আর সর্বদাই তাঁর নামগুণগান-কীর্তন, প্রার্থনা করতে হয়। পুরাতন ঘটি রোজ মাজতে হবে, একবার মাজলে কি হবে? আর বিবেক, বৈরাগ্য, সংসার অনিত্য, এই বোধ।”

    ব্রাহ্মভক্ত ও সংসারত্যাগ—সংসারে নিষ্কামকর্ম 

    ব্রাহ্মভক্ত—সংসারত্যাগ কি ভাল?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—সকলের পক্ষে সংসারত্যাগ নয়। যাদের ভোগান্ত হয় নাই তাদের পক্ষে সংসারত্যাগ নয়। দুআনা মদে কি মাতাল হয়?

    ব্রাহ্মভক্ত—তারা তবে সংসার করবে (Kathamrita)?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, তারা নিষ্কামকর্ম করবার চেষ্টা করবে। হাতে তেল মেখে কাঁঠাল ভাঙবে। বড় মানুষের বাড়ির দাসী সব কর্ম করে, কিন্তু দেশে মন পড়ে থাকে; এরই নাম নিষ্কামকর্ম। এরই নাম মনে ত্যাগ। তোমরা মনে ত্যাগ করবে। সন্ন্যাসী বাহিরের ত্যাগ আবার মনে ত্যাগ দুইই করবে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিজট না কাটায় চূড়ান্ত হতাশ সুকান্ত, দুষলেন রাজ্যকে

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিজট না কাটায় চূড়ান্ত হতাশ সুকান্ত, দুষলেন রাজ্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি (Dakshin Dinajpur) রেল প্রকল্পের জমিজট এখনও না কাটায় হতাশ বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর অভিযোগ, জেলা প্রশাসন জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করে পুরো জমি রেলমন্ত্রককে দিতে না পারায় প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বাজেট বরাদ্দের টাকা রেল দফতর জেলা প্রশাসনকে হস্তান্তর করেছে বেশ কয়েক মাস আগে। কিন্তু এখনও অর্ধেক জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি রাজ্য প্রশাসন। হতাশ সুকান্তবাবু দ্রুত এই কাজ শেষ করে জেলা প্রশাসনকে রেল দফতরের কাছে জমি হস্তান্তর করার দাবি তুলেছেন। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “জেলা প্রশাসন কিছু জমি রেলকে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু এখনও পুরোটা হয়নি। কবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে আমি জানি না, আমরা চূড়ান্ত হতাশ।”

    মাত্র ১০ কিমি রেলপথের জমি হস্তান্তর (Dakshin Dinajpur)!

    ২০০৪ সালে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পর্যন্ত ট্রেন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি ওঠে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে ইউপিএ সরকার ওই রেলপথের অনুমোদন দিয়ে দেয়। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘদিন ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর চলতি বছরেই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। বেশ কিছু জমিদাতা ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। জমিজট কেটে যাওয়ায় এখনও পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার জমি রেলমন্ত্রককে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু বাকি জমি অধিগ্রহণ শেষ করে রেলকে কবে হস্তান্তর করা হবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

    বিজেপি সাংসদের বক্তব্য

    বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “জেলা প্রশাসন কিছু জমি রেলকে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু এখনও পুরোটা হয়নি। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণভাবে অসহযোগিতা করছে। এখন কবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে আমি জানি না। আমরা চূড়ান্ত হতাশ।”

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যের ৩ কোটি মহিলা কেন পান না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির

    প্রশাসনের বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা অবশ্য আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, “আরও দু-একটি দাগের সমস্যা রয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে সেই সমস্যা মিটিয়ে নিয়ে প্রথম পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪ কিলোমিটার জমি রেলকে হস্তান্তর করা হবে। নভেম্বর মাসের শেষ বা ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই রেললাইন তৈরির কাজ শুরু করতে পারবে রেল দফতর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “যাঁরা ঝাড়খণ্ড তৈরিতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যের উন্নয়ন করবেন না”, ইন্ডি জোটকে তোপ মোদির

    PM Modi: “যাঁরা ঝাড়খণ্ড তৈরিতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যের উন্নয়ন করবেন না”, ইন্ডি জোটকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Poll) নির্বাচনী প্রচারে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে বোকারোতে জনসভা করেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে ইন্ডি জোটকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা ঝাড়খণ্ড তৈরিতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যের উন্নয়ন করবেন না’’। তিনি আরও বলেন, ‘‘ এনডিএ-র একটাই মন্ত্র। আমরা ঝাড়খণ্ড তৈরি করেছি, রাজ্যের উন্নয়ন আমরাই করব।’’

    ছোটনাগপুরের মালভূমিও বলছে, রোটি-বেটি-মাটি কি পুকার, বিজেপি সরকার

    তিনি আরও বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Poll) বিজেপির পক্ষে ঝড় শুরু হয়েছে। ছোটনাগপুরের মালভূমিও বলছে, রোটি-বেটি-মাটি কি পুকার, বিজেপি সরকার।’’ এদিন নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী আলমগির আলমের উদাহরণ টেনে আনেন। যাঁকে ইডি গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বাড়ি থেকে অবৈধভাবে ৩৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা উদ্ধার হয়। প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরকারকে আক্রমণ করেন এবং বলেন, ‘‘রাজ্যের জনগণ যেখানে জীবন-জীবিকার জন্য সংগ্রাম করছেন, সেখানে আলমগির আলমের মতো নেতারা বালি পাচার করে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন।’’

    পাঁচ বছরে কোনও পরিষেবাই দেয়নি ঝাড়খণ্ডের সরকার

    নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘বিজেপি সর্বদাই চায় যে দরিদ্ররা ভালো বাড়ি পাক, তাঁদের জন্য ভালো রাস্তা তৈরি হোক। উন্নত শহর এবং গ্রাম তৈরি হোক। বিদ্যুৎ পরিষেবা আসুক। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে জলের পরিষেবা পৌঁছে যাক। প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিক থাকুক। তাঁদের সন্তানদেরকে শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক থাকুক। কিন্তু বিগত পাঁচ বছর ধরে এই সমস্ত পরিষেবাগুলি দিতে পারেনি ঝাড়খণ্ডের সরকার।’’ ইন্ডি জোটকে তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন বলেন, ‘‘যখন কংগ্রেসের সরকার ছিল ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তারা ঝাড়খণ্ডকে নামমাত্র টাকা দিত উন্নয়নের জন্য। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে আমরা চারগুণ বরাদ্দ বাড়িয়েছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: কর্মীর সঙ্কট, অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে

    Ram Temple: কর্মীর সঙ্কট, অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের জুন মাসে। তবে জুনে কাজ শেষ হচ্ছে না। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, “বর্তমানে আমাদের শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই মন্দির নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শেষ হতে সময় লাগবে।”

    কর্মী-সঙ্কট (Ram Temple)

    জানা গিয়েছে, মন্দিরটি নির্মাণে প্রায় ২০০ জন কর্মীর সঙ্কট রয়েছে। কমিটি মন্দিরের প্রথম তলায় কিছু পাথর পরিবর্তনের পরিকল্পনাও করছে। তিনি বলেন, “প্রথম তলার কিছু পাথর দুর্বল ও পাতলা বলে মনে হচ্ছে। নতুন পাথর দিয়ে সেগুলি প্রতিস্থাপন করলে মন্দিরের স্থায়িত্ব নিশ্চিত হবে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রায় ৮.৫ লাখ ঘনফুট লাল বাঁশি পাহাড়পুর পাথর মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছে। তবে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে নির্মাণকাজ বিলম্বিত হচ্ছে।”

    কাজ বাকি

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি (Ram Temple) এক বৈঠকে কমিটি অডিটোরিয়াম, সীমানা প্রাচীর তৈরি এবং প্রদক্ষিণ পথ-সহ অন্যান্য স্ট্রাকচার নির্মাণের কাজ কতদূর এগোল, তাও পর্যালোচনা করেছে। সূত্রের খবর, এখনও বাকি রয়েছে রাম দরবারের কাজ। সম্পূর্ণ হয়নি আশপাশের ছ’টি মন্দিরের মূর্তি তৈরির কাজও। মূর্তিগুলি আসবে জয়পুর থেকে। ডিসেম্বরের মধ্যে সেগুলি অযোধ্যায় পৌঁছানোর কথা। রামলালার যে দুটি মূর্তি ট্রাস্ট গ্রহণ করেছে, সেগুলিও প্রতিষ্ঠিত হবে। মিশ্র বলেন, “শিল্পী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে সমস্ত মূর্তি বছর শেষের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুন: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    তিনি জানান, মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যে কবে বিগ্রহগুলি স্থাপন করা হবে, সে সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে। ব্যাপক ভিড়ের কারণে যে মন্দিরে সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি জানান, দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশদ্বার বাড়ানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। দৈনিক দর্শনার্থীর আগমন (Ayodhya) সংখ্যা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেই বিষয়েও চলছে আলোচনা (Ram Temple)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) মন্দিরে হামলার ঘটনায় ধৃত আরও এক খালিস্তানপন্থী (Khalistan) দুষ্কৃতী। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর ব্রাম্পটনের গোর রোডের মন্দিরে ভক্তদের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছিল জঙ্গি সংগঠন খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ভারতীয় উপদূতাবাসের একটি শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তি ওই জঙ্গি সংগঠনের সমন্বয়ক।

    আক্রমণ, হামলা ও বিক্ষোভের উদ্যোক্তা গোসাল (Canada)!

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ সিংহ গোসাল। ৩৫ বছরের এই যুবক ব্রাম্পটনের বাসিন্দা। তিনি খালিস্তানপন্থী (Khalistan) শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের সমন্বয়ক। কানাডা (Canada) পুলিশের তদন্তকারী দল (সিট) ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে। এখান থেকেই শনাক্ত করা গিয়েছে ওই অভিযুক্তকে। ৮ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং এরপর তাকে ওই দিনই আদালতে তোলা হয়। ওই দেশের একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করে, ধৃত ব্যক্তি শিখ ফর জাস্টিসের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ চালাত। ৩ নভেম্বর মন্দিরের ভক্তদের উপর আক্রমণ এবং বাইরে বিক্ষোভের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এই অভিযুক্ত ছিল। একই ভাবে ধৃত দাবি করে, খালিস্তানপন্থী হওয়ার জন্য তাকে টার্গেট করা হয়েছিল আগেও এবং বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়ে হামলা করা হয়েছিল।

    ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    মন্দিরে হামালাকাণ্ডে ধৃত গোসাল কানাডার (Canada) এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়াছে, “আমাদের লক্ষ্য কোনও হিন্দু নয়। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। এটা কোনও ভাবেই হিন্দু এবং শিখদের যুদ্ধ নয়।” উল্লেখ্য কানাডা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার মন্দিরে হামলার অভিযোগে রণেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রণেন্দ্রলালের বয়স ছিল ৫৭। হিংসা এবং উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই ব্যক্তি।

    আরও পড়ুনঃ “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    ব্রাম্পটনে (Canada) হিন্দু সভা মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হয়েছিলেন বেশ কিছু ভক্ত। উল্লেখ্য সেই সময় মন্দিরের সামনে ভারতে ১৯৮৪ সালের শিখ (Khalistan) বিরোধী দাঙ্গার প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে ছিল খালিস্থানপন্থী বেশ কিছু সমর্থক। হাতে ছিল খালিস্তান জঙ্গির পতাকা এবং লাঠি। ভক্তরা মন্দিরে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় ওই খালিস্তানপন্থীরা। এরপর চড়াও হয়ে আক্রমণ করে ভক্তদের উপর। এতে আহত হন বেশ কিছু মহিলা-শিশু ভক্ত সহ পুরুষরাও। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ছিল ভারতীয় দূতাবাসের উপকেন্দ্র। অভিযোগ সেখানেও চলে হামলা। ঘটনার নিন্দা করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জার্স্টিন ট্রুডো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Elections 2024: “প্রকাশিত ‘সঙ্কল্পপত্র’ মহারাষ্ট্রের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন”, বললেন শাহ

    Maharashtra Assembly Elections 2024: “প্রকাশিত ‘সঙ্কল্পপত্র’ মহারাষ্ট্রের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহাজোট সরকার কৃষকদের সম্মান, দরিদ্রদের সহায়তা এবং নারীদের আত্মসম্মান রক্ষার জন্য কাজ করেছে এবং কথা বলেছে। আজ এখানে প্রকাশিত ‘সঙ্কল্পপত্র’ মহারাষ্ট্রের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।” ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে (Maharashtra Assembly Elections 2024) বিজেপির ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    শাহি প্রতিশ্রুতি (Maharashtra Assembly Elections 2024)

    রবিবার তিনি এই ইশতেহার প্রকাশ করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস, রাজ্য বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে, মুম্বই বিজেপি সভাপতি আশিস শেলার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মহারাষ্ট্রের একঝাঁক নেতাও। বিজেপি একনাথ শিন্ডে-নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ার-নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র সঙ্গে মহাজোট গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ শাসক জোটের কৃষক, নারী এবং দরিদ্রদের কল্যাণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও দেন।

    নেতৃত্ব দিয়েছে মহারাষ্ট্র

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Maharashtra Assembly Elections 2024) বলেন, “এক অর্থে, বহু যুগ ধরে মহারাষ্ট্র প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। এক সময়, যখন প্রয়োজন হয়েছিল, তখন ভক্তি আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল মহারাষ্ট্র থেকেই। শিবাজি মহারাজ এখান থেকে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। সমাজবিপ্লবও এখান থেকেই শুরু হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে আমাদের সংকল্পপত্রে।” তিনি বলেন, “বিজেপির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।”

    আরও পড়ুন: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    শাহ বলেন, “ভারত বর্তমানে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ২০২৭ সালের মধ্যে আমরা তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠব। আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছি — ৭ কোটি টয়লেট, বাড়ি, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, খাদ্যশস্য, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা আমরা জনগণকে দিতে পেরেছি।” প্রতিপক্ষ মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের সমালোচনা করে শাহ (Maharashtra Assembly Elections 2024) বলেন, “লড়াইয়ের ময়দানে আগাড়ি রয়েছে। এমনকি কংগ্রেস নেতারাও বলছেন যে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। কারণ তারা প্রতিশ্রুতি দেয়, পূরণ করতে না পারায় পরে জবাবদিহি করতে (Amit Shah) হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

  • Manik Saha: “ধর্মের নামে কোনও অশান্তি সহ্য করবে না রাজ্য সরকার”, কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

    Manik Saha: “ধর্মের নামে কোনও অশান্তি সহ্য করবে না রাজ্য সরকার”, কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মের নামে কোনও অশান্তি সহ্য করবে না রাজ্য সরকার। কার্যত এই ভাবেই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। দীর্ঘ ৩৫ বছরের বাম শাসনের পর রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। ফলে হিন্দু সনাতন ধর্মের বিরাট জাগরণ ঘটেছে। তাই এই অবস্থায় কোনও প্রকার অশান্তি, হিংসা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। রাজ্যের গোমতি জেলার উদয়পুরে নেতাজি সুভাষ কলেজে ‘সনাতন ধর্ম সম্মেলন’ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এইভাবেই হুঁশিয়ারি দেন। 

    বাম শাসন একটি নাস্তিক পরিবেশকে তৈরি করেছিল (Manik Saha)

    এদিন এই ‘সনাতন ধর্ম সম্মেলন’ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী (Tripura) মানিক সাহা বলেন, “রাজ্যে গত ৩৫ বছরের বাম শাসন একটি নাস্তিক পরিবেশ তৈরি করেছে। আমাদের বিজেপি সরকার এবার ধর্মীয় পরিবেশকে ফিরিয়ে আনতে সনাতন ধর্মের পুনঃজাগরণ ঘটিয়েছে। তাই ধর্মের নামে কোনও রূপ অশান্তিকে বরদাস্ত করা হবে না। একই ভাবে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলে রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতিকে আগে প্রধান্য দিতে হবে। সকল ধর্মের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টি করলে কড়া হাতে দমন করা হবে।”

    বাংলাদেশে অত্যাচারকে লক্ষ্য করেছি

    মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha) আরও বলেন, “মানব সভ্যতা ঈশ্বরের একটি অপূর্ব সৃষ্টি। সমাজের প্রতি আমাদের অনেক কর্তব্য রয়েছে। আমরা বাংলাদেশে সনাতনী সমাজের উপর অত্যাচারকে লক্ষ্য করেছি। আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রেখেছে বাংলাদেশের উপর। আমি সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছি। ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখব সনাতন ধর্ম আগেও অনেক অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছে। এখনও নানা সময় ওই ধারা দেখা যাচ্ছে। আজ যেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, কাল থাকবে না এমন নয়। তাই সকলকে একত্রিত হতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    মন্দিরগুলিকে উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার

    একই ভাবে ১৯৮০ দশকের ত্রিপুরার (Tripura) পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে মানিক (Manik Saha) বলেন, “ওই সময় রাজ্যে কোনও রকম আইনশৃঙ্খলা ছিল না। কেবল হত্যা এবং সন্ত্রাসের ঘটনা রোজ ঘটত। কিন্তু বর্তমানে এই রকম ঘটনা অনেক কমে গিয়েছে। এখন নেই বললেই চলে। কিন্তু কখনও কখনও বিরোধীরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সামজে বৈষম্য ছড়ায়। মানুষের মনে বিভ্রান্ত তৈরি করে। দেশের প্রধানমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী মন্দিরগুলিকে উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার দিয়েছেন। অসমের কামাখ্যা, গুজরাটের দ্বারকা, সোমনাথ, ত্রিপুরার ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ শুরু হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sudhanshu Trivedi: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    Sudhanshu Trivedi: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবেও।” রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে সাফ জানিয়ে দিলেন সাংসদ তথা বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী (Sudhanshu Trivedi)। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান মিথ্যা কথা বলে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘে শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়ে অধিবেশন চলছে। সেই অধিবেশনে ভারতের তরফে যোগ দিয়েছিলেন সুধাংশু। সেখানেই তিনি মুখোশ খুলে দেন পাকিস্তানের।

    পাকিস্তানকে জবাব সুধাংশুর (Sudhanshu Trivedi)

    বিশ্বমঞ্চে আরও একবার স্পষ্ট করে দেন, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান। এদিনের অধিবেশনে বিজেপি সাংসদ সেই সব শান্তিরক্ষীদের জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন, যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের প্রতিনিধিও। সেখানে তিনি জানান, ১৯৪৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে একটি বিতর্কিত অঞ্চল হিসেবে ধরে সেখানে শান্তিরক্ষীদের পাঠিয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এর পরেই বলতে ওঠেন ভারতের প্রতিনিধি (Sudhanshu Trivedi)। সাফ জানিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতেই অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি ফোরামকে জানান, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (জম্মু-কাশ্মীর) সম্প্রতি সঠিক গণতান্ত্রিক নির্বাচন পরিচালনা করেছে। রাষ্ট্রসংঘের ফোরামে অসংগঠিত ও বিভ্রান্তিকর শব্দ ব্যবহার করায় পাকিস্তানকে তিরস্কারও করেন ত্রিবেদী।

    কী বললেন সুধাংশু

    তিনি বলেন, “ভারত পাকিস্তানের মন্তব্যের জবাব দিতে বেছে নিয়েছে সেই সম্মানিত সংস্থা, যার থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবেও।” রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ সম্প্রতি তাঁদের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী অধিকার প্রয়োগ করেছেন। একটি নতুন সরকার নির্বাচন করেছেন। পাকিস্তানের উচিত এই ধরনের বক্তব্য ও মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকা। কারণ এটি বাস্তবকে পরিবর্তন করতে পারবে না।”

    আরও পড়ুন: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    এক্স হ্যান্ডেলে ত্রিবেদী (Sudhanshu Trivedi) লিখেছেন, “রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার সময়, পাকিস্তানের প্রতিনিধি একই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রসঙ্গ থেকে সরে গিয়ে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উল্লেখ করেন যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ সালে, যখন রাষ্ট্রসঙ্ঘ বিতর্কিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Vladimir Putin: “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    Vladimir Putin: “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের (Global Superpower) তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, ঠিক এই দাবিতে বিশ্বজুড়ে ভারতের অবস্থান নিয়ে ফের একবার পাশে দাঁড়ালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। বর্তমানে ভারত আর্থিক, সামরিক এবং জনসংখ্যার সাপেক্ষে একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে। ফলে ভারতকে বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে দেখা উচিত বলে দাবি করেন ভারতের পরম মিত্র রাষ্ট্রপ্রধান। যদিও ভারতের ক্রমাগত উন্নয়ন নিয়ে অনেক দেশই ঈর্ষা প্রকাশ করে থাকে। কারণ বাকি দেশগুলি থেকে ছাপিয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছে ভারত।

    ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক আরও মজবুত  (Vladimir Putin)

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন (Vladimir Putin) সোচি-তে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবে একটি বক্তৃতায় বলেন, “একাধিক ক্ষেত্রে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে। ভারত একটি অসাধারণ দেশ। জনসংখ্যার দিক থেকেও সর্ববৃহৎ দেশ ভারত। প্রতি বছর এক কোটি করে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিপুল জনসংখ্যা এবং সুপ্রাচীন সংস্কৃতির ভারতের মধ্যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সেই দিক থেকে বিচার করলে গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের (Global Superpower) তালিকায় স্থান দেওয়াই উচিত। ভারতীয় সেনায় কত ধরনের রাশিয়ার সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের বিশ্বাসের প্রমাণ। আমরা কেবলমাত্র অস্ত্র বিক্রিই করছি না, উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগে ডিজাইনের কাজও করছি।”

    ব্রাহ্মোস ক্রুজ মিসাইলে উভয় দেশ কাজ করছে

    এই প্রসঙ্গে পুতিন (Vladimir Putin) আরও বলেন, “ব্রাহ্মোস ক্রুজ মিসাইলের প্রকল্পগুলি দুই দেশের পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সহযোগিতার প্রমাণ। আগামী দিনে আমরা এই ভাবেই কাজ করে যাব।” একই ভাবে পুতিন ভারত ও চিনের সীমান্তে কিছু অসুবিধার কথাও স্বীকার করেছেন। সুচিন্তক জ্ঞানী ও যোগ্য ব্যক্তিরা দেশের ভবিষ্যতকে মনে রাখে আপসের খোঁজ করে। সমস্যা নয়, সমাধানই একমাত্র রাস্তা হতে পারে আসল পথ। ফলে চিন-ভারতের সম্পর্ক (Global Superpower) নিয়ে আশাবাদী এই বিশ্ব নেতা।

    আরও পড়ুনঃ “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    পূর্ব লাদাখে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের ইঙ্গিত

    ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিনের সেনা জওয়ানদের সংঘর্ষে বিরাট প্রভাব পড়েছিল উভয় দেশের মধ্যে। গত ২১ অক্টোবর, ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি নয়াদিল্লিতে বলেছিলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনার পরে ভারত ও চিনের মধ্যে একটি চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে এবং এটি ২০২০ সালে উদ্ভূত সমস্যা থেকে সমাধানের পথে এগিয়ে যাবে। চুক্তিটি পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা টহল এবং প্রত্যহার করার বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ। ফলে গত চার বছরেরও বেশি সময়ের অচলাবস্থার অবসান দ্রুত ঘটবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে হিন্দু সমাজকে একত্রিত করতে সঙ্ঘ চালু করল ‘সজাগ রহো’ কর্মসূচি

    RSS: ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে হিন্দু সমাজকে একত্রিত করতে সঙ্ঘ চালু করল ‘সজাগ রহো’ কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি জোট। ঠিক এই আবহে হিন্দু ভোটকে একত্রিত করতে করা হয়েছে বেশ কিছু কৌশলগত পদক্ষেপও। সামাজিকভাবে হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার কাজে নেমেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। আরএসএস সেখানে চালু করেছে সজাগ রহো (Sajag Raho) প্রচার অভিযান। অর্থাৎ সজাগ থাকো-জাগ্রত হও। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে সঙ্ঘের অনুমোদিত ৬৫টি সংগঠনই হিন্দু ভোটকে একত্রিত করার কাজে শুরু করেছে মহারাষ্ট্রে।

    সম্প্রতি মোদিও বলেন, এক থাকলেই নিরাপদ থাকব 

    প্রসঙ্গত, এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS), হিন্দু সমাজের ভোটকে একত্রিত করতে চাইছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মন্তব্য করেছিলেন বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে-অর্থাৎ আমরা যদি বিভাজিত হই, তাহলেই আমরা ধ্বংস হবে। ঠিক এমন আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মহারাষ্ট্রে মন্তব্য করেন, ‘‘আমরা যদি এক থাকি, তাহলে আমরা নিরাপদ থাকব।’’ এরপরই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) সেখানে চালু করল এমন কর্মসূচি।

    কয়েকশো সভাও করে ফেলেছে আরএসএস-এর (RSS) বিভিন্ন শাখা সংগঠন

    এক সর্বভারতীয় সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) জানিয়েছে, এমন প্রচার শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়। অনেক বড় কর্মসূচি এটা এবং দেশজুড়েই এই প্রচার অভিযান চালানো হবে। সজাগ রহো কর্মসূচি কারও বিরুদ্ধে নয় বরং হিন্দুদের মধ্যে বর্ণ বিভাজন দূর করার জন্যই এমন প্রচার চালানো হবে। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখা সংগঠন, সজাগ রহো কর্মসূচির জন্য ইতিমধ্যে কয়েকশো সভাও করে ফেলেছে গোটা মহারাষ্ট্রতে। সঙ্ঘের অনুমোদিত বিভিন্ন সংগঠনও কাজ করছে, যেমন চাণক্য প্রতিষ্ঠান, মাতঙ্গ সাহিত্য পরিষদ, রণরাগীনি সেবাভাব সংস্থা ইত্যাদি। মহারাষ্ট্রতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের চারটি বিভাগ রয়েছে যথা-কোঙ্কন, দেবগিরি, পশ্চিম মহারাষ্ট্র এবং বিদর্ভ, এর প্রতিটিতেই চলছে প্রচার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share