Tag: bangla news

bangla news

  • Sanatan Dharma: হিন্দু মন্দির রক্ষার কাজে ওয়াকফের ধাঁচে গড়া হোক সনাতন ধর্ম বোর্ড, দাবি ত্রিপুরার মন্ত্রীর

    Sanatan Dharma: হিন্দু মন্দির রক্ষার কাজে ওয়াকফের ধাঁচে গড়া হোক সনাতন ধর্ম বোর্ড, দাবি ত্রিপুরার মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের মন্দির রক্ষার কাজে ওয়াকফ বোর্ডের আদলে গড়া হোক সনাতন ধর্ম বোর্ড (Sanatan Dharma), সম্প্রতি এমনই দাবি জানালেন ত্রিপুরার মন্ত্রী সুধাংশু দাস (Sudhanshu Das)। সংবাদ মাধ্যমকে সুধাংশুবাবু বলেন, ‘‘আমাদের সনাতন ধর্মের (Sanatan Dharma) কোনও বোর্ড নেই। কিন্তু মুসলিমদের জন্য ওয়াকফ বোর্ড রয়েছে। আমাদের দাবি একটা সনাতন ধর্মের বোর্ড তৈরি করা উচিত, আমাদের মন্দির রক্ষার্থে। আমরা দেখেছি যে কী ঘটনা ঘটেছে তিরুপতিতে। তাই আমাদের জন্য অবশ্যই একটা বোর্ড থাকা উচিত।’’

    সনাতন ধর্মের জন্য বোর্ড না থাকলে অন্যদেরও জন্যও কোনও বোর্ড রাখা যাবে না

    তিনি (Sudhanshu Das) আরও বলেন, ‘‘আমাদের সনাতন ধর্মের (Sanatan Dharma) জন্য যদি কোনও রকমের বোর্ড না থাকে, তাহলে অন্যদের জন্য কোনও বোর্ড রাখা যাবে না। এটাই আমাদের দাবি।’’

    পেশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে আনা হয় ওয়াকফ আইন এবং এর মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলিকে দেখভাল করা হতে থাকে। কিন্তু ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে, বিভিন্ন সময়ে। ২০২৪ সালে ওয়াকফ আইনকে সংশোধন করার জন্য বিল পেশ করেছে কেন্দ্র। মোদি সরকার গত অগাস্ট মাসেই লোকসভাতে এই বিল পেশ করে। ওয়াকফ বোর্ডের সংস্কার এবং স্বচ্ছতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি ওয়াকফ বোর্ড নিয়ে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। এই কমিটি ইতিমধ্যে গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বর, কলকাতা পাটনা, লক্ষ্মৌ প্রভৃতি জায়গাতে সফর করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: আজ রবিবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে মেগা রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: আজ রবিবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে মেগা রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে হবে এই রোড শো। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার তিন কিলোমিটার রোড শো করবেন রাঁচিতে। তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর এই রোড শো ঘিরে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করবেন এবং এটি ঐতিহাসিক হতে চলেছে।’’

    গত সপ্তাহেই ঝাড়খণ্ডে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই রোড শোতে বিজেপির অনেক সিনিয়র নেতাই উপস্থিত থাকবেন। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহেই ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ৫ নভেম্বর তিনি ঝাড়খণ্ডে প্রচার করেন, তারপরে ফের একবার আজ ১০ নভেম্বর তিনি সেখানে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডের ছাইবাসা এবং গারোয়াতে তিনি প্রচার করেন। ছাইবাসার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার তৈরি হলেই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সেই মতো আইন তৈরি করা হবে। যে সমস্ত জমি অনুপ্রবেশকারীরা দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে।’’

    রোটি-বেটি-মাটি স্লোগান

    সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), রোটি-বেটি-মাটি এই স্লোগানকেও উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘‘সমগ্র ঝাড়খণ্ড আজকে বলছে রোটি-বেটি-মাটি কি পুকার, ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)  মে বিজেপি সরকার।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন যে অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জন্ম হয়েছিল। নিজের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর তোপ দাগেন কংগ্রেস ও ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার জোটকেও। তিনি অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার জন্যই তারা ঝাড়খণ্ডকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা আদিবাসী কন্যাদের টার্গেট করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ঝাড়খণ্ডবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হলে এই সমস্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’

    দারিদ্রতা মেটাবে বিজেপি

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর গত সপ্তাহের ভাষণে আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টি ঝাড়খণ্ডের দারিদ্রতা দূরীকরণে বদ্ধপরিকর। কংগ্রেস এবং তার জোটসঙ্গীরা আদিবাসী সম্প্রদায়কে গরিব করে রেখে দিতে চাইছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চ এবং আরজেডি-এই দুই দলও ষড়যন্ত্র করছে। ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাসও পরিবর্তন করা হচ্ছে।’’ এই আবহে আজ প্রধানমন্ত্রীর মেগা রোড শো ঘিরে তাই স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘‘ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব’’, ভোটপ্রচারে ঝাড়খণ্ডে তোপ জেপি নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব’’, ভোটপ্রচারে ঝাড়খণ্ডে তোপ জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব’’, ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Poll) ভোটের প্রচারে গিয়ে এভাবেই তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারসভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‘প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করা হবে রাজ্য থেকে।’’ এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘যে সমস্ত বাংলাদেশি আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করেছেন, তাঁদের সন্তানদের কখনও উপজাতিদের অধিকার দেবে না বিজেপি।’’

    ঝাড়খণ্ড সরকারকে প্রতারক বলেন নাড্ডা (JP Nadda)

    প্রসঙ্গত, ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand Poll) অন্যতম নির্বাচনী ইস্যু হল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। সেখানকার হেমন্ত সোরেন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে অবৈধ বাংলাদেশিদের তোষণ করছে তাঁর সরকার। শুধু তাই নয়, এভাবেই আদিবাসীদের জনসংখ্যা কমছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা সেখানে জমি দখল করছে এবং আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসতি করছে বলেও অভিযোগ। ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলাতে নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তোলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস জোটকে। তিনি বলেন, ‘‘ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়া হবে।’’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস জোট নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেও ব্যর্থ হয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকারি চাকরি দেওয়ার, মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধির, এর কোনওটাই হয়নি। এই সরকার একটা প্রতারক সরকার, এরা মিথ্যাবাদী ও চোরেদের সমর্থনে চলছে বলেও তোপ দাগেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।

    সম্প্রতি তোপ দাগেন অমিত শাহও

    উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ঝাড়খণ্ডে এসে একইভাবে তোপ দেগেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকারকে দেশের মধ্যে সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বলেছিলেন। ঝাড়খণ্ডের জনগণের কাছে শাহ আহ্বান জানিয়েছিলেন, এই সরকারকে ছুড়ে ফেলার জন্য। নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরকার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পুরো দেশের মধ্যে। এদের পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। যদি আপনারা দুর্নীতিকে রোধ করতে চান, তাহলে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে। যারা আপনাদের টাকা চুরি করেছে।’’ প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভার আসন রয়েছে। দুই দফায় ভোট হবে সে রাজ্যে। আগামী ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর ভোট রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কংগ্রেস জিতলেই রাজ্যটি তাদের শাহি পরিবারের এটিএম হয়ে যায়”, তোপ মোদির

    PM Modi: “কংগ্রেস জিতলেই রাজ্যটি তাদের শাহি পরিবারের এটিএম হয়ে যায়”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেখানে কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়, সেই রাজ্য তাদের শাহি পরিবারের এটিএম হয়ে যায়।” ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা মহারাষ্ট্রকে কংগ্রেসের (Congress) এটিএম হতে দেব না।”

    শাহি পরিবারকে চ্যালেঞ্জ (PM Modi)

    আগামী ২০ নভেম্বর হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন। সেই উপলক্ষে আকোলায় এক জনসভায় ভাষণ দিতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসের শাহি পরিবারকে চ্যালেঞ্জ করছি, তারা প্রমাণ করুক যে তারা কখনও ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের পঞ্চতীর্থে গিয়েছেন কিনা।” প্রধানমন্ত্রী “পঞ্চতীর্থ” শব্দটি ব্যবহার করেছেন আম্বেদকরের জন্মস্থান মহো, লন্ডনে পড়াশোনা, নাগপুরের দীক্ষা ভূমি যেখানে তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, দিল্লির মহাপরিনির্বাণ স্থল এবং মুম্বাইয়ের চৈতন্য ভূমি বোঝাতে।

    ‘দেশ দুর্বল হলে তারাই শক্তিশালী হবে’

    তিনি বলেন, “হরিয়ানার জনগণ ‘এক আছে তো নিরাপদ আছে’ মন্ত্র মেনে কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে। কংগ্রেস জানে, দেশ দুর্বল হলে তারাই শক্তিশালী হবে। ওই দলের নীতিই হল এক জাতিকে আর এক জাতির বিরুদ্ধে দাঁড় করানো।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মহারাষ্ট্রের বিরোধী মহা বিকাশ আঘাড়ি মানেই হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম দুই মেয়াদে, আমি চার কোটি পাকা বাড়ি গরিবদের দিয়েছি।” তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাজোটের জন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাইতে আমি এসেছি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যের ৩ কোটি মহিলা কেন পান না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন ছুড়লেন বিজেপি নেতা

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে রাম মন্দির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “এই দিনে, ২০১৯ সালে, দেশের সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দির নিয়ে তাদের রায় ঘোষণা করেছিল। ৯ই নভেম্বরের এই তারিখটি মনে থাকবে কারণ সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর সব ধর্মের মানুষ অসাধারণ সংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের প্রথমের এই অনুভূতিই ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি।” তিনি বলেন, “২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছরে মহারাষ্ট্র বিজেপিকে ধারাবাহিকভাবে পূর্ণ সমর্থন করেছে। মহারাষ্ট্রের বিজেপির প্রতি আস্থার পিছনে একটি কারণ রয়েছে। এর কারণ হল মহারাষ্ট্রের মানুষের (Congress) দেশপ্রেম, রাজনৈতিক বোঝাপড়া এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টি (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় ততদিন মুসলিমরা সংরক্ষণ পাবেন না’’, ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: ‘‘যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় ততদিন মুসলিমরা সংরক্ষণ পাবেন না’’, ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘বিজেপি (BJP) এ দেশে যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন পর্যন্ত সংখ্যালঘুরা সংরক্ষণ পাবে না।’’ শনিবার ঝাড়খণ্ডের পালামুতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) এই মন্তব্য করেন। শাহ বলেন, কংগ্রেস ওবিসি, দলিত এবং উপজাতিদের সংরক্ষণের সীমা কমিয়ে মুসলমানদের সংরক্ষণ করতে চায়। বিজেপি থাকতে সেটা হবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন তিনি।

    কী বললেন শাহ? (Amit Shah)

    ঝাড়খণ্ডের পালামুতে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘কংগ্রেস সংরক্ষণের কথা বলে, কিন্তু আমাদের সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার কোনও বিধান নেই। মহারাষ্ট্রে কিছু ‘ওলামা’র একটি দল একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। মুসলিমদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়ে তাদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংরক্ষণের বিষয়ে তারা তাদের সাহায্য করবে। রাহুল গান্ধীকে সতর্ক করতে চাই এই বলে যে, যতদিন পর্যন্ত এই দেশে বিজেপি থাকবে ততদিন সংখ্যালঘুরা সংরক্ষণ পাবে না। ওবিসি, দলিত এবং আদিবাসীদের বাবা সাহেব আম্বেদকর দিয়েছেন। আমরা এটিকে অসম্মান করতে পারি না।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    কংগ্রেস ‘‘ ওবিসি-বিরোধী ’’দল

    কংগ্রেসকে ওবিসি-বিরোধী দল বলে অভিহিত করে শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘যখনই কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে, তারা ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রতি অবিচার করেছে। কাকা কালেলকর কমিটি  ১৯৫০ সালে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তার রিপোর্ট হারিয়ে গিয়েছে। যখন মণ্ডল কমিশন ওবিসিদের সংরক্ষণ করতে এসেছিল, তখন ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী এটি বাস্তবায়নের বিরোধিতা করেছিলেন।’’ শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে বলেন, ‘‘মোদি ক্ষমতায় এসে ওবিসিদের ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছেন।  অনগ্রসর শ্রেণির জন্য একটি জাতীয় কমিশন (এনসিবিসি) গঠন করেছেন।’’

    বিজেপি সরকার হলে দুর্নীতিবাজদের কারাগারে ভরা হবে

    ইন্ডি জোটকে আক্রমণ শানিয়ে শাহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি সরকার দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার।” তিনি (Amit Shah) বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যে বিজেপি সরকার আনার আবেদন করতে এসেছি, কারণ বর্তমান রাজ্য সরকার দুর্নীতিতে জর্জরিত। জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। কেউ কি কখনও ৩০০ কোটি টাকা দেখেছেন? কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ৩০০ কোটি টাকার বেশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। টাকা গুনতে প্রায় ২৭টি মেশিন আনা হলেও এত বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে গিয়ে ওই মেশিনগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। আলমগীর আলম রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এমনকী তাঁর পিএ- এর বাড়ি থেকে ৩০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, হেমন্ত সোরেন বা কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি। এই টাকা আপনার, এটা ঝাড়খণ্ডের যুবক ও দরিদ্রদের, যা এই কংগ্রেসিরা খেয়ে ফেলেছে। আপনি যদি রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করেন, আমরা দুর্নীতিবাজদের কারাগারের পিছনে ফেলব।’’ প্রসঙ্গত, ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন হবে দুদফায় – ১৩ ও ২০ নভেম্বর। ২৩ নভেম্বর হবে ভোট গণনা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WB BJP: রাজ্যের ৩ কোটি মহিলা কেন পান না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির

    WB BJP: রাজ্যের ৩ কোটি মহিলা কেন পান না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ কোটি ২০ লাখ মহিলা পাচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কেন মুখ্যমন্ত্রী প্রতারণা করছেন বাকি ৩ কোটি মহিলার সঙ্গে? সম্প্রতি এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের বিতর্ক সভায় যোগ দিয়ে এমন প্রশ্নই তুললেন রাজ্য় বিজেপির (WB BJP) সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chattopadhyay)। তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে শাসক দল ঘোষণা করেছিল রাজ্যের সব মহিলাই পাবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’’ প্রসঙ্গত,রাজ্য়ে ৫ কোটির বেশি মহিলা থাকলেও প্রত্যেকে এই সুবিধা পান না। বিতর্ক সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য় সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শশী পাঁজা এবং কুণালকে দেখা যায় চুপচাপ বসে জগন্নাথের প্রশ্নবাণ হজম করতে। 

    রাজনৈতিক দাসী বানাতে চায় শাসক দল (WB BJP)

    জগন্নাথের বিস্ফোরক দাবি, ‘‘অন্য রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ধরনের প্রকল্পগুলি নারী ক্ষমতায়ন আনতে পারলেও, পশ্চিমবঙ্গে তা দুর্বৃত্তায়নের কাজে ব্যবহার করছে শাসকদল।’’ কীভাবে? সে উত্তরও দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির (WB BJP) সাধারণ সম্পাদক। বিজেপির এই রাজ্য নেতা বলেন, ‘‘নির্বাচন এলেই জায়গায় জায়গায় শাসক দলের নেতারা হুমকি দিতে থাকেন, আমরা টাকা দিচ্ছি, ভোট না দিলে বন্ধ করে দেব।’’ জগন্নাথ বলেন, ‘‘মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতা দিয়ে তাঁদের উন্নতি করার কথা ছিল এই প্রকল্পের মাধ্যমে। অথচ তা নারী শক্তিকে রাজনৈতিক দাসী বানানোর কাজে ব্যবহার করছে শাসক দল।’’

    দেশের মধ্যে ৫টি আর্থিক দুর্বল রাজ্যের মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ

    বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘রাজ্যের মোট বাজেট ৩ লাখ ৩৬ কোটি টাকার। এর মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা আসে রাজ্যের নিজের আয় থেকে। ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা পাঠায় দিল্লি। বাকি ১ লাখ কোটি মাননীয়া ধার করেন বাজার থেকে। ২ লাখ ৬৮ কোটি টাকা মুখ্যমন্ত্রী খরচ করেন রোজের কাজে অর্থাৎ যার কোনও দূরগামী পরিণাম নেই। বছরে মাননীয়ার ২৬ হাজার কোটি টাকা যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিতে। ২৮ টাকার চোলাই বেচে আসে ২১ হাজার কোটি। তেলের দাম না কমিয়ে আসে ১৩ হাজার কোটি।’’ ১ লাখ কোটি টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে ৫টি দুর্বল রাজ্য়ের মধ্যে অন্যতম বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির এই রাজ্য নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    Mohan Bhagwat: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বয়ংসেবকদের সনাতন ধর্মের মূলনীতি রক্ষা ও তাদের কাজে বাধা দিতে চাওয়া বিরোধী শক্তি থেকে সাধু-সন্তদের সুরক্ষার আহ্বান জানালেন আরএসএস (Mohan Bhagwat) প্রধান মোহন ভাগবত। চিত্রকূটে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভাগবত সনাতন ধর্ম রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। ভারতকে সহিষ্ণু, ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে বর্ণনা করেন (RSS) তিনি।

    লাঠি ব্যবহারের নিদান (Mohan Bhagwat)

    তাঁর মতে, ভারত নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে ন্যায়ের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরসংঘচালক বলেন, “সনাতন ধর্ম ও সাধু-সন্তদের কাজে বাধা সৃষ্টি করা সব বাধা অপসারণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে তারা লাঠির ব্যবহারও করবেন।” তিনি বলেন, “সমাজের সম্প্রীতিতে হুমকি সৃষ্টি করে এমন ঘটনাগুলি প্রতিরোধ করা মূলত প্রশাসনের দায়িত্ব। তবে প্রয়োজনে নিজেদের সুরক্ষার জন্য সমাজকেও প্রস্তুত থাকতে হবে।”

    ‘আমরা ধর্মের পথে দাঁড়িয়ে আছি’

    ভাগবত বলেন, “আমাদের অবিচারের ভয় পাওয়ার বা সহ্য করার প্রয়োজন নেই। ধর্ম আমাদের কর্মের মাধ্যমে অর্জিত হয়। সৎ ও অসৎ সবসময়ই বিদ্যমান। ধর্মে প্রোথিত একটি জাতি হিসেবে আমরা ধর্মের পথে দাঁড়িয়ে আছি।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আরএসএস ঋষিদের সেবা করে এবং ধর্মের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। তারা এটা নিশ্চিত করবে যে মন্দিরে ধর্মীয় কাজকর্মে নিয়োজিত ঋষিরা যেন বাধাগ্রস্ত না হন।”

    আরএসএসের এই কর্তা নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে ভারতের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, এর শক্তির ভিত্তি প্রাচীন ঋষি ও সাধুদের স্থাপিত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ভাগবত বলেন, “জাতির বৈচিত্র্যের মধ্যেও, ভারত ধর্মের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিতে এককাট্টা। কিছু শক্তি হয়তো ভারতকে দমন করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু সত্যকে কখনও দমানো যায় না।”

    আরও পড়ুন: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    অযোধ্যার রাম মন্দিরকে সনাতন ধর্মের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে ভাগবত বলেন, “এটি সব সনাতনীর জন্য এবং তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য। যদি রাম মন্দির সনাতনের প্রতীক হয়, তাহলে সনাতনীদের কর্তব্য হল আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করা ও সমুন্নত রাখা।” আরএসএসের প্রথম দিকের দিনগুলির কথা স্মরণ  করিয়ে দিয়ে সরসংঘচালক বলেন, “অসাধারণ প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি (RSS)।” সংগঠনের জাতীয় ঐক্য ও দৃঢ়তার প্রতি স্থায়ী অঙ্গীকারের ওপরও জোর দেন তিনি (Mohan Bhagwat)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Mineral Independence: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট  

    India’s Mineral Independence: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খনিজ সম্পদের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভরতার পথে ভারত (India’s Mineral Independence)। আর টাংস্টেনের জন্য চিনের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না ভারতকে। এই খনিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, পাশাপাশি বিরলতম প্রাকৃতিক সম্পদগুলির মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি ভারতে প্রথম টাংস্টেন ও কোবাল্ট ব্লক নিলাম করা হল। এই নিলামে ভেদান্ত গ্রুপের হিন্দুস্তান জিংক লিমিটেড দুটি টাংস্টেন ব্লক জিতে নেয়। ওই দুটি ব্লকের একটি তামিলনাড়ুর নয়াক্কারপট্টি এবং অন্যটি অন্ধ্রপ্রদেশের বালেপাল্যাম এলাকায়। এর পাশাপাশি, ভেদান্ত একটি কোবাল্ট ব্লকও পেয়েছে। এটি কর্ণাটকের শিমোগায় রয়েছে। এটি ভারতের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অনুসন্ধানে একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

    সফল নিলাম অনুষ্ঠান

    এই নিলামটি মাইনস অ্যান্ড মিনারেলস (ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ১৯৫৭-এর আওতায় অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি খনিজ ব্লকেই কম্পোজিট লাইসেন্স (CL) প্রদান করা হয়েছে। এই লাইসেন্সগুলির আওতায়, সরকার প্রাথমিক অনুসন্ধান সম্পন্ন করেছে, কিন্তু খনিজ কোম্পানিগুলিকে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান করতে হবে। একবার খনিজের মজুত নিশ্চিত হলে, কোম্পানিগুলি রাজ্য সরকারের কাছে খনি খননের জন্য আবেদন করতে পারবে। খনন কার্য শুরুর আগে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি, লাইসেন্স এবং “নো অবজেকশন” সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

    টাংস্টেন-এর গুরুত্ব

    উল্লেখ্য, যেসব খনিজ — যেমন কপার, লিথিয়াম, নিকেল এবং কোবাল্ট — বিশ্বজুড়ে ক্লিন এনার্জি প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাদের মধ্যে টাংস্টেন অন্যতম। টাংস্টেন, বা ‘ওলফ্রাম’, উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারার কারণে বিভিন্ন শিল্পে এর ব্যবহার করা হয়। এর ফলে এটি অত্যন্ত মূল্যবান। এটি সেমিকন্ডাক্টর, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, মহাকাশ ও মেডিক্যাল ডিভাইসগুলিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

    চিনের প্রাধান্য হ্রাস

    বর্তমানে, চিন বিশ্বব্যাপী টাংস্টেন উৎপাদনে ৮৫ শতাংশেরও বেশি অংশীদার। এরপর রয়েছে রাশিয়া। চিন ও রাশিয়া এক সঙ্গে বিশ্বের ৯০ শতাংশ টাংস্টেন সরবরাহ করে। ভারত এখনও টাংস্টেন সম্পূর্ণভাবে আমদানি করে। এখানে এখনও কোনও টাংস্টেন খনিজের উৎস তৈরি করা যায়নি। এই মুহূর্তে ভারতের কোথাও টাংস্টেন উত্তোলিত না হওয়ায়, ভারতকে তার চাহিদার পুরোটাই আমদানি করতে হয়। এই আমদানিকারক দেশগুলিতে সব চেয়ে বেশী আমদানি হয় চিন থেকে। ভারত তার মোট চাহিদার ৫৬ শতাংশ টাংস্টেন চিন থেকে আমদানি করে। এবার দেশে টাংস্টেন মিললে চিনের উপর আর নির্ভর করতে হবে না। বাঁচবে গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রাও। পাশাপাশি চিনের অর্থনীতিকেও ধাক্কা দেওয়া যাবে। এই কারণে, ভারতের প্রথম টাংস্টেন ব্লক নিলামে বিক্রির সাফল্য দেশের খনিজ সরবরাহ (India’s Mineral Independence) চেইনে সম্ভাব্য ঝুঁকি কমানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    কোবাল্ট কেন প্রয়োজন

    কোবাল্ট একটি অত্যন্ত মূল্যবান রৌপ্যধাতু, যা বিশেষভাবে বৈদ্যুতিন যানবাহনের (ইভি) ব্যাটারির জন্য অপরিহার্য। ২০৩৫ সালের মধ্যে কোবাল্টের চাহিদা তিনগুণ বাড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা ইভি শিল্পের বৃদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হবে। বর্তমানে, কোবাল্টের প্রধান উৎস হল কঙ্গো প্রজাতান্ত্রিক গণতন্ত্র (ডিআরসি), যা বিশ্বের কোবাল্ট সরবরাহের ৬৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কঙ্গোর রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শিশু শ্রমের সমস্যা কোবাল্ট সরবরাহের উপর সম্ভাব্য ঝুঁকি তৈরি করছে। এছাড়া, বিশ্বব্যাপী কোবাল্ট পরিশোধন প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণরূপে চিনের হাতে, যা অন্য দেশগুলোর জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

    ভারতে কোবাল্টের সন্ধান 

    ভারতে (India’s Mineral Independence) প্রচুর পরিমাণে কোবাল্ট মজুত রয়েছে। বিশেষ করে ওডিশা, ঝাড়খণ্ড ও নাগাল্যান্ডে কোবাল্টের ভাণ্ডার রয়েছে। তবে, বর্তমানে ভারত সম্পূর্ণভাবে কোবাল্টের চাহিদা আমদানির ওপর নির্ভরশীল। শিমোগার কোবাল্ট ব্লক নিলামের মাধ্যমে ভারতের কোবাল্টের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এছাড়া, ভারত সমুদ্রের তলদেশে কোবাল্ট অনুসন্ধানেও মনোযোগ দিয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে, ভারত আন্তর্জাতিক সি-বেড অথরিটির (ISA) কাছে আফানাসি নিকিতিন সিমাউন্টের কোবাল্ট অনুসন্ধানের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে, যা মলদ্বীপের পূর্বে ভারত মহাসাগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।

    আরও পড়ুন: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    ভবিষ্যতে লাভের পথে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত এখন অমৃত যুগের দিকে এগোচ্ছে। খনিজ স্বাধীকারের পথে কাজ করছে সরকার। বর্তমানে দেশের সম্ভাব্য কৌশলগত খনিজ সম্পদের মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম অনুসন্ধান করা গিয়েছে। কেন্দ্র নিরন্তর প্রয়াস জারি রেখেছে। আগামী দিনে ভারত (India’s Mineral Independence) এই খনিজগুলি খুঁজে বের করার এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব ও চুক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে। টাংস্টেন ও কোবাল্ট ব্লকের মতো নিলামগুলি এক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ। ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির সঙ্গে সাপ্লাই চেন তৈরি করাই এখন সরকারের প্রথম লক্ষ্য। দেশে গবেষণার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সচেষ্ট মোদি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মমতা না তাঁর ভাইপো নাকি জামাত, কে সরকার চালাচ্ছে বুঝতে পারছি না,’’ তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘মমতা না তাঁর ভাইপো নাকি জামাত, কে সরকার চালাচ্ছে বুঝতে পারছি না,’’ তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সরকার (পশ্চিমবঙ্গ) কে চালাচ্ছে, সেটাই বুঝতে পারছি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাচ্ছেন, নাকি জামাত চালাচ্ছে, না তাঁর ভাইপো চালাচ্ছেন, সেটাই বুঝতে পারছি না।’’ শনিবার বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বালুরঘাটে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল সরকারকে এই ভাষাতেই তোপ দাগলেন। মূলত, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা হ্যাক হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কোন দিন দেখা যাবে সরকারটাই হ্যাক হয়ে গিয়েছে। সরকার কে চালাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাচ্ছেন, নাকি জামাত চালাচ্ছে, নাকি ভাইপো চালাচ্ছেন, আমরা তো সেটাই বুঝতে পারছি না।’’

    আবাস দুর্নীতি নিয়ে সরব (Sukanta Majumdar)

    হাতিয়ারা পূর্বপাড়াতে নকল নাম দিয়ে জল বিক্রি করার অভিযোগে এক জল ব্যাবসায়ী গ্রেফতার হয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘গোটা রাজ্য জুড়ে এমন খাদ্য দ্রব্যের বিভিন্ন ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। কখনও দামি ব্র্যান্ডকে নকল করা হচ্ছে। কখনও চাইনিজ রসুন ঢুকে যাচ্ছে। এরপরে শুনবো চাইনিজ চাল বাজারে ঢুকে যাবে। সরকার তো এবার চাইনিজ হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীও চাইনিজ মুখ্যমন্ত্রীতে পরিণত হবে।’’ আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘গোটা রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার দুর্নীতি চলছে। গরিবদের ঘর না দিয়ে বড়লোকরা ঘর পাচ্ছেন। তৃণমূল তালিকায় নাম তুলতেও টাকা নিচ্ছে। তৃণমূল সরকার যা পাবে তাই বেচে দেবে। তৃণমূল সব কিছু বিক্রি করা ছাড়া কিছু জানে না। পারলে পুরো রাজ্যটাকে বেচে দিত।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    মর্ডান ইভিএমে ভোট হলে বেশিরভাগ পুরসভাতে জিতবে বিজেপি

    রাজ্যে ১৫৬টা পুরসভার চেয়ারম্যান ঠিক ঠাক করে কাজ করেননি, সেই চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেই ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটে গঙ্গারামপুর পুরসভা ও বালুরঘাট পুরসভার রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেবে তৃণমূল? এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘তৃণমূল জানে শিক্ষিত লোকরা যাঁরা আত্মনির্ভর, তাঁরা কেউ তৃণমূলকে ভোট দেন না। যদি পুরসভার ভোট মর্ডান ইভিএম দিয়ে হয়, তাহলে বিজেপি বেশিরভাগ পুরসভাতে জিতবে। কয়জনকে সরাবে। শিক্ষিত মানুষরা ভোট দেন না তৃণমূলকে। রাজ্যটাকে এমন করে রেখেছে, রাজ্যে কোনও রোজগার নেই, রাজ্যে কোনও চিকিৎসা নেই, মানুষ ওই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভিক্ষে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁদেরকেই জোর করে তৃণমূলকে ভোট দেওয়াচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 188: “যারা নিরাকার নিরাকার করে কিছু পায় না, তাদের না আছে বাহিরে না আছে ভিতরে”

    Ramakrishna 188: “যারা নিরাকার নিরাকার করে কিছু পায় না, তাদের না আছে বাহিরে না আছে ভিতরে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই এপ্রিল

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna) ও সাকার-নিরাকার

    “তোমরা দেখ, কেমন বাহিরে দর্শন কচ্ছ আর আনন্দ পাচ্ছ। যারা নিরাকার নিরাকার করে কিছু পায় না, তাদের না আছে বাহিরে না আছে ভিতরে।”ঠাকুর মার নাম করিয়া গান গাহিতেছেন (Kathamrita):

    গো আনন্দময়ী হয়ে আমায় নিরানন্দ কর না।
    ও দুটি চরণ বিনা আমার মন, অন্য কিছু আর জানে না ॥
    তপন-তনয়, আমায় মন্দ কয়, কি দোষে তাতো জানি না।
    ভবানী বলিয়ে, ভবে যাব চলে, মনে ছিল এই বাসনা,
    অকূলপাথরে ডুবাবে আমারে, স্বপনেও তা জানি না ॥
    অহরহর্নিশি শ্রীদুর্গানামে ভাসি, তবু দুখরাশি গেল না।
    এবার যদি মরি, ও হরসুন্দরী, (তোর) দুর্গানাম কেউ আর লবে না ॥

    আবার গাহিতেছেন:

    বল রে বল শ্রীদুর্গানাম। (ওরে আমার আমার মন রে) ॥
    দুর্গা দুর্গা দুর্গা বলে পথ চলে যায়।
                শূলহস্তে শূলপাণি রক্ষা করেন তায় ॥
    তুমি দিবা, তুমি সন্ধ্যা, তুমি সে যামিনী।
                কখন পুরূষ হও মা, কখন কামিনী ॥
    তুমি বল ছাড় ছাড় আমি না ছাড়িব।
                বাজন নূপুর হয়ে মা চরণে বাজিব ॥
                (জয় দুর্গা শ্রীদুর্গা বলে)।
    শঙ্করী হইয়ে মাগো গগনে উড়িবে।
                মীন হয়ে রব জলে নখে তুলে লবে ॥
    নখাঘাতে ব্রহ্মময়ী যখন যাবে মোর পরাণী,
                কৃপা করে দিও রাঙা চরণ দুখানি।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আবার প্রতিমার সম্মুখে প্রণাম করিলেন। এইবার সিঁড়িতে নামিবার সময় ডাকিয়া বলিতেছেন, “ও রা-জু-আ”? (ও রাখাল, জুতো সব আছে, না হারিয়ে গেছে?)

    ঠাকুর গাড়িতে উঠিলেন (Kathamrita)। সুরেন্দ্র প্রণাম করিলেন। অন্যান্য ভক্তেরাও প্রণাম করিলেন। রাস্তায় চাঁদের আলো এখনও আছে। ঠাকুরের (Ramakrishna) গাড়ি দক্ষিণেশ্বর অভিমুখে যাত্রা করিল

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share