Tag: bangla news

bangla news

  • Pakistan: বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদ! পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে তলব?

    Pakistan: বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদ! পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে তলব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে ডাকা হয়েছিল। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রীর অফিস (PMO) জানিয়েছে, করাচিতে আহত দুই চিনা নাগরিকের সুস্থতা কামনা করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তাই শাহবাজ চিনা দূতাবাসে গিয়েছিলেন। তবে, সাধারণত কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের দূতাবাসে যান না।  কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে সে দেশে নিযুক্ত অন্য দেশের দূতাবাস থেকে! এটা সত্যই বিস্ময়ের! সব জায়গায়, রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সরকার, এখানে উলটপূরাণ। সরকারকে কার্যত তলব করছে দূতাবাস। চিন যে পাকিস্তানকে কব্জা করে ফেলেছে, এটা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    পাকিস্তান কি চিনের উপনিবেশ!

    চলতি বছর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বুধবার (৬ নভেম্বর) চিনা দূতাবাসে যান। করাচির সাইট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় চিনা নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়ে তাদের আহত করা হয়। চিনা নাগরিক ওয়াং জিং ঝং, ঝেং লুয়েন, ঝোউ বাওলিন এবং ওয়েই সিক্সিয়ান করাচির লিবার্টি মিলসের কাছে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে গিয়েছিলেন। চিনা নাগরিকরা প্রতিদিন একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে যাতায়াত করতেন। তাঁদের সুরক্ষা দিত একটি বেসরকারী সংস্থা এবং সিন্ধ পুলিশ স্পেশাল প্রোটেকশন ইউনিট (SPU)। এই ঘটনার পরই শাহবাজ চিনা দূতাবাসে যান। 

    আরও পড়ুন: স্টেশন জুড়ে রক্তের দাগ, ছিন্নভিন্ন হাত-পা! পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ২৫

    পাকভূমে চিনের সেনা

    চিনা রাষ্ট্রদূত জিয়াং জেইডংকে শাহবাজ বলেন, “আমি এখানে চিনা নাগরিকদের ওপর আক্রমণের নিন্দা জানাতে এবং আহতদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে এসেছি। আমি নিজে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া তদারকি করছি এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করব।” পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, চিন হচ্ছে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু। তাই কুশল জানতেই তাঁর যাওয়া। যদিও বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পাকিস্তান চিনের একটি উপনিবেশের মতো হয়ে উঠেছে, যেখানে পাক প্রধানমন্ত্রীকে সময়ে সময়ে ডেকে চিন তাদের অভাব-অভিযোগ জানায়। অনুমান, পাক-ভূমে চিনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান ব্যর্থ হওয়ায়, চিন এখন নিজের সশস্ত্র বাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর কথা ভাবছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russian-Oil: “রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত”, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Russian-Oil: “রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত”, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার কাছ থেকে তেল বা জ্বালানি (Russian-Oil) কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত। ঠিক এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে রোধ করেছে। বিশ্ববাজারে দামের ভারসাম্য রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত খুবই কার্যকারী। বিশ্বব্যাপী তেলের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও, ভারতই একমাত্র প্রধান উপভোক্তা দেশ যেখানে গত তিন বছরে জ্বালানির দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে।”

    তেলের দাম ২০০ ডলার প্রতি ব্যারেলে মূল্যবৃদ্ধি হতো (Russian-Oil)

    কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হারদীপ সিং নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বলেন, “ভারত রাশিয়ার তেল বা জ্বালানি (Russian-Oil) কেনার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের জন্য উপকার করেছে। কারণ আমরা যদি তা না করতাম, তাহলে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম ২০০ ডলার করে প্রতি ব্যারেলে মূল্যবৃদ্ধি হত। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ত দৈনন্দিন দ্রব্যমূল্যে। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছিল না। তবে শুধুমাত্র একটি মূল্যের উপর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। আর এতে আশ্বস্ত করেছে যে ভারতীয় কোম্পানিগুলি শর্ত মেনে চলবে।”

    আরও পড়ুনঃ অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে আস্থা

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরী আরও উল্লেখ করে বলেন, “ইউরোপীয় এবং এশিয়ার দেশগুলিও রাশিয়ার (Russian-Oil) কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে জ্বালানি কিনেছে। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যারা ভারতের উপর বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলেছিল, তাদের মধ্যে অনেক ইউরোপীয় এবং এশিয়ার দেশ রাশিয়া থেকে বেশি পরিমাণে অশোধিত তেল, ডিজেল কিনেছিল। আমাদের তেল কোম্পানীগুলোকে যারাই ভালো দামে জ্বালানি দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে এই জ্বালানি কিনব। এটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বের আস্থা এবং বিশ্বাস। ভারতের নাগরিকদের জন্য জ্বালানির উপযুক্ত প্রয়োজনীয় জোগান, ক্রয়ক্ষমতা এবং সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এটাতেই আমাদের সবথেকে আগে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭ কোটি ভারতীয় প্রতিদিন পেট্রোল প্রত্যক্ষভাবে ব্যবহার করে থাকেন। তাই জ্বালানি বা পেট্রোলের স্থিতিশীল প্রাপ্যতা, সাশ্রয় এবং স্থায়িত্বের বিষয়কে সরকার আগে গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2024: স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু হয়েছিল পুজো, ধাত্রীগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোর মাহাত্ম্য জানেন?

    Jagadhatri Puja 2024: স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু হয়েছিল পুজো, ধাত্রীগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোর মাহাত্ম্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো সূচনা হয়েছিল। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2024) শুরু হওয়ার পিছনেও রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ভূমিকা ছিল অন্যতম। এই সময়কাল ধরেই কালনার (Kalna) ধাত্রীগ্রামে দীর্ঘ ৩০০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন জগদ্ধাত্রী। এবারও এই পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো।

    স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু হয়েছিল পুজো (Jagadhatri Puja 2024)

    জনশ্রুতি রয়েছে, ধাত্রীমাতা জগদ্ধাত্রীর (Jagadhatri Puja 2024) নামেই এই জায়গার নামকরণ করা হয় ধাত্রীগ্রাম। কালনার এই জগদ্ধাত্রীর কতখানি মাহাত্ম্য, তা এর থেকেই অনুমেয়। স্থানীয় ইতিহাস থেকে জানা যায়, তিনশো বছর আগে নদিয়া জেলায় ব্রহ্মশাসন মহল্লা নামে এক জনপদ ছিল। সেখানকার চন্দ্রপতি গোষ্ঠীর এক পণ্ডিত সপরিবার ধাত্রীগ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন এক সময়ে। ধাত্রীগ্রামে শিক্ষার প্রসারে তিনি বেশ বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। কয়েকটি সংস্কৃত শিক্ষার গুরুকুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নিজের হাতে। সেখানে সংস্কৃত শিক্ষার পাঠ দেওয়া হতো। নবদ্বীপ থেকে সেই সময়ে পণ্ডিতরা এই টোলে এসে শিক্ষা দান করতেন। শোনা যায়, সেই সময়েই তৎকালীন চন্দ্রপতি গোষ্ঠীর এক গৃহবধূ স্বপ্নাদেশ পান এবং বাড়ির কাছে পুকুরে দেবী জগদ্ধাত্রীর সাক্ষাৎ মেলে। এর পরেই সেই স্থানে হোগলাপাতার ছাউনি দিয়ে গড়া হয় মণ্ডপ। সেখানেই প্রথম দেবীর পুজো শুরু হয়। জগদ্ধাত্রীর এক অন্য রূপে পুজো শুরু হয় এখানে। দেবী ছিলেন নরসিংহ বাহনে। স্থানীয় মানুষ এই জগদ্ধাত্রীকে ধাত্রীদেবী হিসেবে পুজো করতে শুরু করেন তখন থেকেই।

    নবমীর দিন মায়ের কাছে কী কী ভোগ নিবেদন করা হয়?

    বর্তমানে এলাকার বাসিন্দাদের মতে, এই দেবী খুবই জাগ্রত। অনেকে ধাত্রীগ্রাম (Jagadhatri Puja 2024) নামকরণের নেপথ্যে দেবীর মাহাত্ম্যকেই কারণ হিসেবে দেখেন। প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন রীতি মেনে এখনও এই পুজো করা হয়। নবমীর দিন এখানে মাছের নানা পদ ভোগ হিসেবে মায়ের কাছে অর্পণ করা হয়। পরে, মালশা করে সেই ভোগপ্রসাদ ভক্তদের বিতরণ করা হয়, যা নিতে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। এই পুজোয় ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় বাসমতি চালের খিচুড়ি, তেরো রকমের ভাজা, তরকারি, পায়েস-সহ মাছের নানা পদ। পুজোর কয়েক দিন ধরে গ্রামজুড়ে থাকে উৎসবের মেজাজ। অনেকে মন্দিরের পাশের পুকুর থেকে স্নান করে নিজেদের মনস্কামনা পূরণের জন্য দন্ডিও কেটে থাকেন। আশপাশের প্রায় ২০ থেকে ২৫টি গ্রামের মানুষ অংশগ্রহণ করেন এই পুজোয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল সংগ্রহ করা হয় দরিদ্র সেবার উদ্দেশ্যে। গ্রামজুড়ে এখন উৎসবের আমেজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 10 November 2024: কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 10 November 2024: কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) পেটের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসার জন্য বাড়তি অর্থ দরকার হতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) মহিলা বন্ধুদের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) আয় ভালো থাকলেও দারিদ্র সহজে দূর হবে না।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুবিবেচক ব্যক্তি হিসাবে উন্নতির যোগ।

    ৩) মোটামুটি কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) মিথ্যা বদনাম রটতে পারে।

    ২) ব্যবসায় পরিশ্রম বৃদ্ধি পেলেও লাভ ভালো হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) পিতামাতার সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে।

    ২) চোখের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের বাকপটুতায় সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবেন।

    ২) জনহিতকর কাজে সুনাম পাবেন।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) সন্তানের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) শত্রুদের থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) একটু বিপদের সম্ভাবনা আছে।

    ২) মানসিক অস্থিরতার জন্য কোনও ভালো কাজ হাতছাড়া হতে পারে। 

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) সারা দিন ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Blast: স্টেশন জুড়ে রক্তের দাগ, ছিন্নভিন্ন হাত-পা! পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ২৫

    Pakistan Blast: স্টেশন জুড়ে রক্তের দাগ, ছিন্নভিন্ন হাত-পা! পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ২৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেঁপে উঠল পাকিস্তান (Pakistan Blast)। এবার হামলা রেলস্টেশনে। শনিবার সকালে পাকিস্তানের বালোচিস্তানের কোয়েটা রেল স্টেশনে (Quetta Railway Station) ভয়৷বহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল অন্তত ২৫ জনের৷ আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন৷ হামলার দায় স্বীকার করেছে বালোচ লিবারেশন আর্মি সংগঠন। এটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।

    সকালে ব্যস্ত সময়ে বিস্ফোরণ

    পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পেশোয়ারগামী একটি ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কোয়েটার প্রধান রেল স্টেশন৷ সেউ সময় ওই স্টেশনটি ভিড়ে ঠাসা ছিল৷ বিস্ফোরণের (Pakistan Blast) জেরে প্ল্যাটফর্মের উপরেই ছিটকে পড়ে রেলযাত্রীদের দেহ৷ উড়ে যায় স্টেশনের ছাদ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, সম্ভবত সেনাবাহিনীর স্কুল থেকে আসা একটি দলকে লক্ষ্য করেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ কোয়েটার সিনিয়ার সুপারিনটেডেন্ট মহম্মদ বালোচ জানান, বিস্ফোরণের সময় স্টেশনে প্রায় শতাধিক মানুষ ছিলেন। ফলে বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি পড়ে যায় প্ল্যাটফর্মে। খবর পেয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বম্ব স্কোয়াড বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ মহম্মদ বালোচ বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে।”

    বালোচিস্তান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছেছে। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডও উপস্থিত হয়েছে। বিস্ফোরণস্থল (Pakistan Blast) থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিন বিস্ফোরণের পরই কোয়েটার আশেপাশের হাসপাতালগুলিতে ইমার্জেন্সি জারি করা হয়েছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বালোচ লিবারেশন আর্মি এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। সাম্প্রতিক কালে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে৷ মাস তিনেক আগে এই বালোচিস্তানেই থানা এবং হাইওয়েতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2024: কীভাবে শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? জানুন সেই অজানা ইতিহাস

    Jagadhatri Puja 2024: কীভাবে শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? জানুন সেই অজানা ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগৎকে ধারণ করেন মা দেবী শক্তি, তাই তাঁর নাম দেবী জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2024)। তাঁর বিশাল রূপ, টানা চোখ, অপরূপ সুন্দর ত্রিনয়ন, চার হাতে শোভা পাচ্ছে অসুর সংহারের জন্য অস্ত্র। দেবী দুর্গার আরেক রূপ মা জগদ্ধাত্রী। তিনিও সিংহবাহিনী। এই রূপেই পূজিত হন দেবী জগদ্ধাত্রী। সারা বাংলা জুড়েই বিশাল বিশাল মাতৃ মূর্তি নির্মাণ করে আরাধনা করা হয়। কৃষ্ণনগরেই জন্ম জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagaddhatri Puja 2024)। তবুও চন্দননগরের পুজোই বিখ্যাত হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে এক অজানা ইতিহাস। উল্লেখ্য চন্দননগরের পুজোর আলোকসজ্জা, সুবিশাল প্রতিমা দর্শনার্থীদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আশেপাশের জেলা, রাজ্য এমনকী বিদেশ থেকেও দর্শনার্থীরা পুজো দেখতে আসেন। অথচ এই পুজো শুরুর পিছনে রয়েছে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বিশেষ প্রভাব এবং অবদান। কীভাবে প্রচলিত হল চন্দননগরের পুজো? আসুন জেনে নিই এই অজানা কাহিনি। 

    দেবী রাজাকে স্বপ্নাদেশ দেন (Jagadhatri Puja 2024)

    সময়টা তখন ব্রিটিশ শাসনের অধীন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে দমন করতে ব্রিটিশদের সহযোগী হয়ে বাংলার রাজাদের বন্দি করেন মির কাশিম। এই বন্দিদের তালিকায় ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং তাঁর ছেলে। কিন্তু যখন রাজা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান সেই সময় দেখেন দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। পুজোর আনন্দ থেকে রাজা বঞ্চিত হন এবং এরপর মনমরা হয়ে পড়েন। কথিত আছে রাজা এরপরেই দেবীর কাছে স্বপ্নাদেশ পান। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে মায়ের চতুর্ভূজা রূপের আরাধনা করার আদেশ পান রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। দেবী রাজাকে স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন, “জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja 2024) করতে হবে। জনসেবা এবং বিশ্বকে সব রকম অশুভ শক্তি থেকে মুক্ত করতে দেবী পুজো আবশ্যক।” সেই থেকে শুরু হয় কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। পরবর্তীতে রাজবাড়ির রাজপ্রাসাদের গণ্ডি টপকে ছড়িয়ে পড়ে নগরের অলিগলিতে। এরপর থেকেই এই পুজো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে গোটা কৃষ্ণনগরে। মোটামুটি জানা গিয়েছে, ১৭৬৩-৬৪ সালে হৈমন্তিকার আরাধনা শুরু হয় জলঙ্গি নদীর পাড়ে। তবে, সঠিক সময় নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

    কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী পুজো

    তবে বাংলার জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2024) নিয়ে পৌরাণিক মত খুব একটা স্পষ্ট করে পাওয়া যায় না। একটি মতে বলা হয়, ত্রেতা যুগের শুরুতে করীন্দ্রাসুর নামে এক হস্তীরূপী অসুরকে বধ করার জন্য দুর্গার মতো ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের শক্তি থেকে সিংহবাহিনী, চতুর্ভুজা এই দেবীর জন্ম হয়। জগদ্ধাত্রী দেবী চার হাতে থাকে চক্র, শঙ্খ, ধনুক এবং পঞ্চবান। আবার অপর আরেক মতে, কোনও অসুর বধ নয়, মহিষাসুরের বধের পর অগ্নি, পবন, বরুণ এবং চন্দ্র দেবতা আত্ম অহংকারে ভুগতে শুরু করেন।দেবতাদের দর্পচূর্ণ করতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আর্বিভাব। সেখানে হস্তীকে অহংকারের স্বরূপ ধরা হয়। তাঁকেই বধ করেন দেবী। শাস্ত্রমতে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় জগদ্ধাত্রী পুজো।

    আরও পড়ুনঃ রবিবার মাত্র একদিন জগদ্ধাত্রী পুজো হবে কৃষ্ণনগরে, চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের মণ্ডপসজ্জার কাজ

    সুবিশাল মণ্ডপ, প্রতিমা ভক্তদের আকর্ষণ করে চন্দননগর

    কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি চন্দননগরেও পুজো শুরু হয়েছিল। জলঙ্গির পাড় থেকে গঙ্গার পাড়ে কীভাবে পৌঁছাল পুজো? জানা যায়, জমিদার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন ফরাসিদের দেওয়ান জনৈক ইন্দ্রনারায়ণ রায়। তিনি নিজের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2024) শুরু করেছিলেন। ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জের চাউলপট্টির বাসিন্দা। সেখানেই চাউলপট্টির নিচুপাটিতে ইন্দ্রনারায়ণ প্রথম শুরু করেন জগদ্ধাত্রী পুজো। আবার আরেকটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান দাতারামের বিধবা কন্যা থাকতেন ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলায়। সেখানে রাজার অনুমতি নিয়ে পুজো শুরু হয়েছিল। এই পুজোর অনুদান দিতেন স্বয়ং রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। ক্রমে ক্রমে এই পারিবারিক পুজো এবং সর্বজনীন পুজোতে (Jagadhatri Puja 2024) পরিণত হয়েছে। তবে সময়ের ব্যবধানে জাঁকজমক, আলোর খেলায় চন্দননগরের জনপ্রিয়তা অনেক বড় জায়গা করে নিয়েছে। এখানকার সুবিশাল মণ্ডপ, প্রতিমা ভক্ত, দর্শকদের ব্যাপক ভাবে আকর্ষণ করে। দেশ-বিদেশেও বাঙালির বড় পুজোর মধ্যে এই জগদ্ধাত্রী পুজো বড় জায়গা করে নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: আচমকাই লাইনচ্যুত শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস, নলপুরের দুর্ঘটনা ভাবাচ্ছে রেলকে

    Train Accident: আচমকাই লাইনচ্যুত শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস, নলপুরের দুর্ঘটনা ভাবাচ্ছে রেলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার নলপুরের (Nalpur) কাছে সাতসকালেই বেলাইন ডাউন শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস। বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও ঘটনা না ঘটলেও কেন বেলাইন হল ট্রেন (Train Accident) সেই প্রশ্ন ঘুরছে সহ মহলেই। ইতিমধ্যেই জোরকদমে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে রেল। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সব যাত্রীদের উদ্ধার করে তাঁদের গন্তব্যের উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Train Accident)

    শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ শালিমারে ঢোকার আগে সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। দু’টি কামরা এবং একটি পার্সেল ভ্যান লাইনচ্যুত হয়। এদিন দুপুর পর্যন্ত লাইনের ওপর থেকে ট্রেনের বেলাইন কামরাগুলি সরানো যায়নি। রেল সূত্রে খবর, ডাউন লাইন দিয়ে শালিমারের দিকে আসছিল ট্রেনটি (Train Accident)। আচমকা তার শুরুর দিকের কামরাগুলি মাঝের লাইনে চলে আসে। পরে আবার তা ডাউন লাইনে চলে যায়। এর ফলে ট্রেনের ভিতরে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। ডাউন লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেঁকে গিয়েছে লাইনের একাংশ। যে লোহার ক্লিপ দিয়ে লাইন সংযুক্ত রাখা হয়, তা-ও চারদিকে ছিটকে পড়েছে। লাইনের সিমেন্টের ঢালাই স্লিপারও ভেঙে পড়েছে।  যার ফলে হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবাও যে কারণে ব্যাহত হয়েছে। সকাল থেকে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব লাইনের যাত্রীরা (Train Accident)। যদিও দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীরা সকলেই সুরক্ষিত। কারও বড় কোনও আঘাত লাগেনি বলে জানিয়েছেন মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১০টি বাস এবং একটি লোকাল ট্রেনের বন্দোবস্তও করে রেল। কিন্তু, কীভাবে তা সম্ভব হল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে রেল আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    কী বললেন রেলের আধিকারিকরা?

    লাইনচ্যুত (Train Accident) হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বেশ কিছু জিনিস ভাবাচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিকদের। ট্রেনটি ডাউন মেন লাইন থেকে মিডল লাইনে উঠছিল। এই ক্রসিং পয়েন্টে কোনও বিভ্রাট হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন রেলের টেকনিক্যাল বিভাগের কর্তারা। নলপুরের ওই যে অংশে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই অংশে তিনটি লাইন রয়েছে। আপ লাইন, ডাউন মেন লাইন, মিডল লাইন। এই মিডল লাইন দিয়ে আপ এবং ডাউন দুই লাইনের ট্রেন চলাচল করে। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫-২০ কিমি। সে কারণেই বড়সড় দুর্ঘটনা (Train Accident) এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি গতি বেশি থাকত তাহলে অন্য চিত্র দেখা যেত বলে মনে করছেন অনেকেই। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এজিএম সৌমিত্র মজুমদার জানিয়েছেন, যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াই রেলের অগ্রাধিকার। তার পর লাইনচ্যুত কামরাগুলি সরিয়ে লাইন মেরামতির কাজ হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ট্রেন বাতিল, গতিপথ পরিবর্তন

    দুর্ঘটনার (Train Accident) জেরে সকাল থেকে হাওড়া-খড়াপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ডাউন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লোকাল ট্রেন সঠিক সময়ে চলছে না। সকাল থেকে দীর্ঘ ক্ষণ কোনও ট্রেনই ছিল না, দাবি যাত্রীদের।  বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল বা তার সময় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর রেল সূত্রে। বাতিল করা হয়েছে দিঘা থেকে হাওড়া এবং হাওড়া থেকে দিঘাগামী ট্রেন। এ ছাড়া, হাওড়া কিংবা শালিমার স্টেশনে আসার অনেক ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত হয়েছে। হাতিয়া থেকে হাওড়া, পুরী থেকে শালিমার, সম্বলপুর থেকে শালিমার, চেন্নাই থেকে শালিমার, আদ্রা থেকে হাওড়া, পুরুলিয়া থেকে হাওড়া, ভুবনেশ্বর থেকে হাওড়া আসার ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত হয়েছে। ঘুরপথে চলবে মুম্বই-শালিমার, মুম্বই-হাওড়া এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: মৌলবাদীদের খুশি করতে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চলেছে ইউনূস সরকার?

    ISKCON: মৌলবাদীদের খুশি করতে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চলেছে ইউনূস সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারের প্রাণ ভোমরা রয়েছে বিএনপি সমেত মৌলবাদীদের হাতে। এমন অবস্থায় সে দেশে হিন্দুদের ওপর একের পর এক আক্রমণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে ওসমান নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সমাজ মাধ্যমে ইসকনের (ISKCON) বিরুদ্ধে একটি পোস্ট করেন। এই পোস্টে  ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় চট্টগ্রাম। প্রশাসনের তরফ থেকেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার জন্য ইসকনকে দায়ী করা হয়। অনেকেই মনে করছেন বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করে ইউনূস সরকার উগ্র মৌলবাদীদের খুশি করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু বেছে বেছে ইসকনকে টার্গেট করা হচ্ছে কেন? এর কিছু কারণ রয়েছে।

    সংখ্যালঘু আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসকন (ISKCON) 

    বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, ইসকনের সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীরা সেদেশের জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত। এই জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় মঠ, মন্দির, প্রতিষ্ঠানও যুক্ত রয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর মৌলবাদীদের আক্রমণের প্রতিবাদে গত মাসের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে একটি বিরাট সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশের পরে ঢাকাতেও একটি বিরাট সমাবেশ করা হয়েছিল। সেখানে নিজেদের নিরাপত্তার দাবি তুলেছিলেন হিন্দুরা। ঢাকায় সমাবেশকে সফল করার পিছনে জাগরণ মঞ্চের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। চট্টগ্রাম এবং ঢাকায়- এই দুই জায়গার সমাবেশ, ইউনূস সরকারের আমলে সে দেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছিল এবং এতে বিপাকে পড়তে হয়েছিল ইউনূস সরকারকে। কারণ হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলার কথা তারা অস্বীকার করে আসছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাকে নাকি অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে, এমনও বক্তব্য সামনে এসেছে, ইউনূস সরকারের বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তিদের মাধ্যমে। কিন্তু চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যে সংখ্যালঘুদের সমাবেশ হয়, তা প্রমাণ করে যে ইউনূস সরকারের এমন বক্তব্য ঠিক কত বড় মিথ্যা এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রকৃত দুর্দশা ঠিক কতটা!

    বাংলাদেশে হিন্দুদের দাবি 

    প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু হিন্দুরা ইউনূস সরকারের কাছে নিজেদের দাবিও পেশ করেন। এই দাবিগুলির মধ্যে ছিল- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক গঠন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংসদে আসন সংরক্ষণ, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার যারা অভিযুক্ত, তাদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন, হামলায় যে সমস্ত সংখ্যালঘু হিন্দুদের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলগুলির আধুনিকীকরণ, পালি ও সংস্কৃত শিক্ষা বোর্ডের সংস্কার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টিকে ফাউন্ডেশনে উন্নত করা, প্রতিবছর দুর্গাপুজোতে পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা। এই সমস্ত দাবিগুলি নিয়েই সে দেশের হিন্দুরা লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন। একের পর এক সমাবেশ করেছেন। সাম্প্রতিক ইতিহাসে বাংলাদেশে হিন্দুরা, এর আগে কখনও নিজেদের এতটা সংগঠিত করেননি। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এত বড় সমাবেশ কখনও সে দেশে হতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশে হিন্দুদের এমন প্রতিবাদ, গর্জে ওঠা- এই সমস্ত কিছুই সে দেশের কট্টরপন্থী উগ্র ইসলামিক মৌলবাদীদের চমকে দিয়েছে। উগ্র মৌলবাদীদের অনেকেই আবার বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রীও হয়ে রয়েছেন।

    বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশে হিন্দুদের সমাবেশ, তাই কি উদ্বিগ্ন মৌলবাদীরা?

    স্বরাজ্য পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আওয়ামী লিগের সঙ্গে যুক্ত ঢাকার এক হিন্দু আইনজীবী বলছেন, ‘‘উগ্র ইসলামিক মৌলবাদীরা কখনও ভাবতে পারেনি যে হিন্দুরা এত বড় সমাবেশ করবে এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এমনভাবে তাঁরা দাবি জানাবেন। কারণ উগ্র মৌলবাদীরা, সর্বদাই আশা করতেন যে হিন্দুরা বিনয়ী হবেন। তাঁরা বাধ্য হবেন এবং বাংলাদেশে তাঁদের দুঃখজনক পরিণতিকে তাঁরা মেনে নেবেন,- এমনটাই মনে করছিলেন উগ্র মৌলবাদীরা। স্বাভাবিকভাবে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের এমন প্রতিবাদকে মৌলবাদীরা মেনে নিতে পারছেন না।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চট্টগ্রামে হিন্দুদের সমাবেশ যেদিন করা হয় দিনটি ছিল শুক্রবার। শুক্রবার সমাবেশ করাকেও মৌলবাদীরা আবার ভালো চোখে দেখছেন না। কারণ শুক্রবার ইসলামে পবিত্র দিন মানা হয়। মৌলবাদীদের মতে, শুক্রবার সমাবেশের ডাক দিয়ে নাকি তাঁদের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে।

    মৌলবাদীদের খুশি করতেই কি ইসকনকে (ISKCON) নিষিদ্ধ করতে পারে ইউনূস সরকার?

    প্রসঙ্গত, হিন্দুদের এই জাগরণে সে দেশে ইসকন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য এই সংস্থার সন্ন্যাসী হলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। যিনি জাগরণ মঞ্চের নেতৃত্ব প্রদান করছেন এবং নির্যাতিত হিন্দুদের আওয়াজ বিশ্বের মঞ্চে তুলে ধরছেন। এই আবহে ওয়াকিবহাল মনে করছে যে ইসকনকে টার্গেট করে আসলে ইউনূস সরকার, বাংলাদেশের হিন্দুদের কাছে একটি বার্তা পাঠাবে, আন্দোলন করার জন্য চরম মূল্য দিতে হল ইসকনকে। এতে খুশি করা যাবে বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীদেরও।’’ ঠিক এই কারণেই চট্টগ্রাম সমাবেশের ঠিক একদিন পরেই ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সমেত ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। বাংলাদেশের বিএনপি’র স্থানীয় নেতা ফিরোজ খানের অভিযোগের ভিত্তিতে অন্যান্য ১৯ জনের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওই ঐতিহাসিক সমাবেশ লালদিঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

    কী বলছেন চট্টগ্রামের ব্য়বসায়ী কার্তিক পাল?

    সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত অন্যতম উদ্যোক্তা চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী কার্তিক পাল স্বরাজ্য পত্রিকাকে টেলিফোনে বলেন, ‘‘গত এক নভেম্বরের ওই সমাবেশে ইউনূস সরকার মনে করছে অত্যধিক পরিমাণে বাড় বেড়েছে হিন্দুদের। তাঁদের এজন্য সবক শেখানো দরকার। ঠিক এই কারণেই অত্যন্ত সহজ উপায় ছিল ইসকনকে (ISKCON) টার্গেট করা। কারণ হিন্দুদের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান সে দেশে ইসকন। বড় অংশের হিন্দুরাই সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তাই ইসকনকে টার্গেট করে হিন্দুদেরকে সবক শেখাতে চাইছে আসলে ইউনূস সরকার।’’

    চট্টগ্রামের ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসকনকে দায়ী করছে প্রশাসন

    প্রসঙ্গত, এর পরই গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের ওসমান মোল্লার ইসকনকে নিয়ে সমাজ মাধ্যমে অপমানজনক পোস্টের বিরুদ্ধে হিন্দুরা সংগঠিতভাবে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই নামাতে হয় সেনাবাহিনীকে। সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, হিন্দুদের বাড়িতে ঢুকে তারা লুটপাট চালিয়েছে। মূল্যবান জিনিসপত্র যেমন ভাঙচুর করেছে তেমনই মহিলাদেরও শ্লীলতাহানি করেছে তারা। স্বরাজ্য পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, কয়েকজন মহিলাকে গণধর্ষণও করা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের এই তাণ্ডবকে আড়াল করতে নাকি সিসিটিভি ক্যামেরাও ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ। গত ৬ নভেম্বরের এই ঘটনার জন্য বাংলাদেশের প্রশাসন আবার উল্টে ইসকনকেই দায়ী করেছে। এক প্রশাসনের আধিকারিক জানিয়েছেন, অশান্তি সৃষ্টি ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৫৮২ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পিছনে ইসকনের সমর্থকরা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করেন ওই আধিকারিক।

    কী বলছেন ঢাকার হিন্দু নেতা সুধাংশু পাল?

    একইসঙ্গে ঢাকার হিন্দু সমাজের অন্যতম নেতা সুধাংশু পাল, স্বরাজ্য পত্রিকাকে বলেন, ‘‘ইসকনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এমন অভিযোগ আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ প্রশাসন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার জন্য ও ইসলামপন্থীদের প্রচারে আরও অক্সিজেন দেওয়ার জন্য এধরনের অভিযোগ আনছে। প্রশাসনের এমন অভিযোগের পরে, ইসকনের ওপর ইউনূস সরকার সহজেই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে। এতে বাংলাদেশের হিন্দুদের মনোবলও ভেঙে দেওয়া যাবে।’’

    ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিল, প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সেদেশের মৌলবাদী সংগঠন হেফাজতে-ইসলাম গতকাল শুক্রবার একটি মিছিল করে। সে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। (যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। নিজের পোস্টে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসকন। ৭৬টা দেশে যার শাখা রয়েছে, হরে কৃষ্ণ আন্দোলনকে, যারা ছড়িয়ে দিচ্ছে পৃথিবীজুড়ে, সেই ইসকনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে। তার কারণ সেখানকার সন্ন্যাসী এবং ব্রহ্মচারীরা হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার আওয়াজ তুলছেন।

     

    তথ্য সহায়তা: স্বরাজ্যমার্গ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BCCI Board Meeting:  বোর্ডের বৈঠকে প্রশ্নের মুখে রোহিত-গম্ভীর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় ভারতের

    BCCI Board Meeting: বোর্ডের বৈঠকে প্রশ্নের মুখে রোহিত-গম্ভীর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথমবার টেস্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা সহ্য করতে হয়েছে ভারতকে (BCCI Board Meeting)। নিউজিল্যান্ডের কাছে হোম সিরিজে বিধ্বস্ত হয়ে ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা নিতান্ত কঠিন করে ফেলেছে। এই আবহে শুক্রবার দীর্ঘ ছয় ঘন্টার বৈঠকে বোর্ড কর্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন কোচ গৌতম গম্ভীর এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বৈঠকে ছিলেন নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকর, বোর্ড সচিব জয় শাহ ও প্রেসিডেন্ট রজার বিনি। বৈঠকে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান, কোচ এবং অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই ব্যর্থতার ধাক্কা সামলে কীভাবে দল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

    বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা

    সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বোর্ডের জনৈক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘ছয় ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে ভারতীয় দলকে ত্রুটিমুক্ত করার বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। দল কী ভাবে আবার ছন্দে ফিরতে পারে, তা জানতে চাওয়া হয় কোচ এবং অধিনায়কের কাছে।’’ জানা গিয়েছে, মুম্বই টেস্টে বুমরা-কে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্তে মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি বোর্ডের (BCCI Board Meeting) কর্তারা। তা ছাড়়াও কেন পুণে টেস্টে স্পিন সহায়ক উইকেটে হারের পরেও মুম্বইয়ে সেই একই ধরনের পিচ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়েও বিরক্ত কর্তারা। এখন ভারতের টানা তৃতীয়বার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা নির্ভর করছে আসন্ন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পারফরম্যান্সের উপরে। গুরুত্বপূর্ণ অজি সফরে পা হড়কালেই এবারের মতো ডব্লিউটিসি ফাইনালের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হবে রোহিত শর্মাদের।

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়

    টেস্টে ঘরের মাঠে পরাজিত হলেও আইপিএল খেলে অভ্যস্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি-তে নিজেদের দাপট বজায় রাখলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকাকে (India vs South Africa) হারিয়েছিল ভারত। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে একই প্রতিপক্ষকে হারাতে বেশি পরিশ্রমই করতে হল না ভারতকে। সঞ্জু স্যামসনের শতরান এবং বরুণ চক্রবর্তীর তিন উইকেটের সৌজন্যে ভারত জিতল ৬১ রানে। সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— তিন বিভাগেই ভাল খেলেছে ভারত। গোটা ম্যাচই তারা নিয়ন্ত্রণ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) আসীন হওয়াটা (India US Trade Security Ties) এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। নতুন বছরের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন তিনি। তাঁকে ঘিরে আশার আলো দেখছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কারণ মার্কিন দেশে ক্ষমতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’। তবে উদ্বেগ যে একেবারেই নেই, তা নয়। উদ্বেগ রয়েছে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য বন্ধন নিয়ে। তবে, দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump)

    ট্রাম্প হতে চলেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে মোদির সম্পর্ক খুবই ভালো। এর আগের দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে ট্রাম্পের উদ্যোগেই হয়েছিল ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সখ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরেও ভারত-আমেরিকা সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলেও ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    ভারতের পাশে ট্রাম্প

    ভারতের সঙ্গে ট্রাম্প (Donald Trump) বরাবরই সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজ অনুপ্রবেশের সময় ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য দু’টি সি গার্ডিয়ান ড্রোনের লিজ মঞ্জুর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ট্রাম্প। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সময় মোদি সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন ট্রাম্প। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয়তাও উপলদ্ধি করেছিলেন। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, ট্রাম্প (Donald Trump) ভারতে বৃহত্তর বিনিয়োগের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    ভারতীয়দের আমেরিকায় বিনিয়োগ করার আহ্বান করেছিলেন। ডাম্পিং সমস্যায় চিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছিলেন তিনি। এর আগের মেয়াদে ট্রাম্প ভারতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রাকৃতিক শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেছিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ক্যাম্পে আক্রমণের সময় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা আঘাত করার অধিকারকে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন তিনি। সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের ওপর মুসলমানদের হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনাও করেছিলেন ট্রাম্প।

    নানা বিষয়ে মতের মিল হওয়ায় ট্রাম্প যে ভারতের পাশেই থাকবেন, সে ব্যাপারে আশাবাদী (India US Trade Security Ties) ভারত। উদ্বেগ বলতে ওইটুকুই, সেটা হল বাণিজ্য চুক্তি। তবে, ট্রাম্পের (Donald Trump) দ্বিতীয় দফায় দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share