Tag: bangla news

bangla news

  • NIA: ময়নায় বিজেপি নেতা খুন, কোমরে দড়ি পরিয়ে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    NIA: ময়নায় বিজেপি নেতা খুন, কোমরে দড়ি পরিয়ে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে খুনের (BJP Leader Murder) অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় (Moyna) এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হলেন এক তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। বিজেপি নেতাকে খুনের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ (NIA)। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তারপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় পুলিশ আগেও একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও এই প্রথম কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (NIA)

    ২০২৩ সালের ১ মে বাকচার গোড়ামহল গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করে খুনের (BJP Leader Murder) অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মীরানি বাকচা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরা-সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ময়না থানার পুলিশ অভিযুক্ত ন’জনকে গ্রেফতার করেছিল। তবে চার্জশিটে অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনের নাম তারা বাদ দেয়। এতে কয়েকজন আদালতে জামিন পান। এমন অবস্থায় বিজয় ভুঁইয়ার পরিবার ওই মামলার তদন্তে পুলিশের ওপর আস্থা না রেখে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে (NIA) দ্বায়িত্ব দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন।

    এপ্রিলে তদন্তভার নেয় এনআইএ

    চলতি বছর এপ্রিলে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলাটির তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে দেন। আর সেই তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে নবকুমারের বিরুদ্ধে। এরপরই খুনের (BJP Leader Murder) ঘটনায় পলাতক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ এনআইএ (NIA) প্রতিনিধিরা নবকুমার মণ্ডল নামে ওই নেতাকে গোড়ামহল গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। কোমরে দড়ি পরিয়ে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। বুধবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এনআইএ বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ভোটে কারচুপি মার্কিন মুলুকে! ট্রাম্পের অভিযোগে শোরগোল আমেরিকায়

     গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কী বললেন?

    স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামে নবকুমারের মুদির দোকান রয়েছে। তিনি এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত। খুনের মামলার অধিকাংশ অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন নবকুমারও। তবে তিনি কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফেরেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে এনআইএ ওই অভিযান চালায়। বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জিৎ ভৌমিক বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি (NIA) গ্রেফতার করেছে। বিজয়বাবুর খুনের ঘটনায় (BJP Leader Murder) যাঁদের নোটিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাঁদের অনেকেই গিয়েছেন হাজিরা দিতে। অনেকেই যাননি। তাঁদের খুঁজে বের করছে এজেন্সি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IPL 2025 Auction: আইপিএলের মেগা অকশনে ১৫৭৪ ক্রিকেটার! কোন দেশের কত জন তালিকায়?

    IPL 2025 Auction: আইপিএলের মেগা অকশনে ১৫৭৪ ক্রিকেটার! কোন দেশের কত জন তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএল ২০২৫-এর জন্য মেগা অকশনের তারিখ ও ভেন্যু নিশ্চিত করে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। একটি ইমেলে বোর্ড জানিয়েছে, ২৪ ও ২৫ নভেম্বর সৌদি আরবের শহর জেড্ডায় হবে আইপিএলের নিলাম অনুষ্ঠান। দু-দিনের মেগা অকশনে উঠবেন ১৫৭৪ জন ক্রিকেটার। এদের মধ্যে ২০৪ জন ক্রিকেটার দল পেতে পারেন। অর্থাৎ, ১৫৭৪ জন নথিভুক্ত ক্রিকেটারের মধ্যে ১৩৭০ জন আইপিএল খেলার সুযোগ পাবেন না। নিলামে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করেছেন তাঁদের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটার ১১৬৫ জন। বিদেশি ক্রিকেটার ৪০৯ জন।

    কোথায় হবে নিলাম

    প্রথমে শোনা গিয়েছিল রিয়াধে হবে নিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সৌদি আরবের জেড্ডাকে বেছে নিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) কর্তারা। জেড্ডার আবাদি আল জোহর এরিনায় দু’দিন ধরে আইপিএলের নিলাম হবে। প্রতিটি দল নিজেদের পরিকল্পনা মতো দুই থেকে ছ’জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। নিয়ম অনুযায়ী, একটি দলে সর্বোচ্চ ২৫ জন ক্রিকেটার থাকতে পারেন। আইপিএলের ১০টি দল মিলিয়ে ৪৬ জন ক্রিকেটারকে আগামী তিন মরসুমের জন্য রেখে দিয়েছে।

    নিলামে কোন দেশের কতজন

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) তথ্য অনুযায়ী, মেগা অকশনের ১৫৭৪ ক্রিকেটারের তালিকায় ভারতের ৪৮ জন ক্যাপড প্লেয়ার, ২৭২ জন বিদেশি ক্যাপড প্লেয়ার রয়েছেন। ১৫২ জন আনক্যাপড ভারতীয় প্লেয়ার যাঁরা গত আইপিএলেও অকশনের তালিকায় ছিলেন, এ বারও রয়েছেন। অতীতে আইপিএলে খেলা ৩ জন বিদেশি আনক্যাপড প্লেয়ারও রয়েছেন। আনক্যাপড ভারতীয় ক্রিকেটারের সংখ্যা মোট ৯৬৫। আনক্যাপড বিদেশি ক্রিকেটার রয়েছেন ১০৪ জন। সব মিলিয়ে ১৫৭৪ ক্রিকেটারের মধ্যে দল পাবেন সর্বাধিক ২০৪ জন। 


    বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯১ জন ক্রিকেটার রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার। অস্ট্রেলিয়ার ৭৬ জন ক্রিকেটার নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। ইংল্যান্ডের ৫২ জন ক্রিকেটার এবং আফগানিস্তানের ২৯ জন ক্রিকেটার নিলামে নাম লিখিয়েছেন। শ্রীলঙ্কারও ২৯ জন ক্রিকেটার রয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের ৩৯ জন ক্রিকেটার আইপিএল খেলতে আগ্রহী। এ ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৩ জন, বাংলাদেশের ১৩ জন, নেদারল্যান্ডসের ১২ জন, আমেরিকার ১০ জন, আয়ারল্যান্ডের ন’জন, জিম্বাবোয়ের আট জন, কানাডার চার জন, স্কটল্যান্ডের দু’জন ক্রিকেটার নিলামে অংশগ্রহণ করছেন। ইতালি এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এক জন ক্রিকেটারের নামও রয়েছে নিলামের তালিকায়। ভারতের লোকেশ রাহুল, ঋষভ পন্থ, শ্রেয়স আয়ার, ঈশান কিসান, মহম্মদ শামি, আরশদীপ সিং, মহম্মদ সিরাজের মতো প্রথম সারির ক্রিকেটারদের নাম রয়েছে নিলামে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Subsidised Bharat Atta Rice: ভর্তুকিযুক্ত ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের আটা-চাল বিক্রির দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা কেন্দ্রের

    Subsidised Bharat Atta Rice: ভর্তুকিযুক্ত ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের আটা-চাল বিক্রির দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভর্তুকিযুক্ত ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের আটা ও ভারত চালের (Subsidised Bharat Atta Rice) খুচরো বিক্রির দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। নয়াদিল্লিতে তিনি কয়েকটি মোবাইল ভ্যানের যাত্রার সূচনাও করেন। এই মোবাইল ভ্যানগুলি ভারতের ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার্স ফেডারেশন, ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং কেন্দ্রীয় ভান্ডারের।

    ‘ভারত’ চাল-আটার দাম (Subsidised Bharat Atta Rice)

    মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এই (Price Rising) প্রকল্পে উপভোক্তারা ভারত আটা প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং ভারত চাল প্রতি কেজি ৩৪ টাকায় কিনতে পারবেন। জোশী বলেন, “এই উদ্যোগ ভারত সরকারের সংকল্পের একটি প্রমাণ, যা ভোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ভর্তুকিযুক্ত মূল্যে প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের আওতায় চাল, আটা এবং ডালের মতো মৌলিক খাদ্যদ্রব্যের খুচরো বিক্রির মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেছে।”

    কোথায় মিলবে ভারত চাল আটা

    জানা গিয়েছে, ভারত আটা এবং ভারত চাল কেন্দ্রীয় ভান্ডার, নাফেড এবং এনসিসিএফের দোকান ও মোবাইল ভ্যানে এবং ই-কমার্সের বড় চেইন খুচরো বিক্রেতাদের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের আটা এবং চাল ৫ কেজি এবং ১০ কেজি ব্যাগে বিক্রি করা হবে। প্রাথমিকভাবে, খুচরো বিক্রয়ের জন্য ৩.৬৯ লাখ মেট্রিক টন গম এবং ২.৯১ লাখ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১৫.২০ লাখ মেট্রিক টন ভারত আটা এবং ১৪.৫৮ লাখ মেট্রিক টন ভারত চাল (Subsidised Bharat Atta Rice) সাধারণ গ্রাহকদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ‘মাধ্যম’ অফিসে পুলিশি হানা, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত-ভারতী

    পাঞ্জাবে ধান সংগ্রহের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “পাঞ্জাবে লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে নির্ধারিত ১৮৪ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করতে ও কৃষকদের দ্বারা মান্ডিতে আনা প্রতিটি (Price Rising) শস্যদানাই সংগ্রহ করতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি জানান, নভেম্বরের ৪ তারিখ পর্যন্ত পঞ্জাবের মান্ডিগুলিতে ধান এসে পৌঁছেছে ১০৪.৬৩ লাখ মেট্রিক টন (Subsidised Bharat Atta Rice)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ফের নিম্নচাপ সাগরে! মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, এখনই কমছে না তাপমাত্রা

    Weather Update: ফের নিম্নচাপ সাগরে! মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, এখনই কমছে না তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে-বিকেলে বইছে উত্তুরে হাওয়া (Weather Update)। কানে চাপা দিয়েই ভোরে স্কুলের পথে গাড়িতে উঠছে ছোটরা। কলকাতা-সহ দক্ষিণবদের জেলাগুলিতে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার মাত্রাও নেমে আসছে। কিন্তু শীত এখনও বেশ কিছুটা দূরে। ঠান্ডার আমেজ থাকলেও তা দীর্ঘস্থায়ী নয়। ফের নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। এর প্রভাবে জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হালকা বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে। সামান্য বৃষ্টি দক্ষিণের উপকূলের জেলায়। মেঘলা আকাশ দক্ষিণের কিছু জেলায়। বাকি রাজ্যে কোনও প্রভাব পড়বে না। দিন ও রাতের তাপমাত্রা খুব সামান্য পতনের সম্ভবনা। উল্লেখযোগ্য পারদ পতন এই সপ্তাহে হবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    বাংলায় নিম্নচাপের প্রভাব

    আবহবিদরা (Weather Update) জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ফের বঙ্গোপাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এর অভিমুখ থাকবে শ্রীলঙ্কা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূল। এর জেরে উত্তর-মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ৩৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস হইবে। আজ ভোর থেকে উত্তর তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। গাঙ্গেয় বঙ্গের কোনও কোনও জেলায় বেলার দিকে কখনো আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। নতুন করে তাপমাত্রা খুব বেশি নামার সম্ভাবনা কম। আগামী চার-পাঁচ দিন তাপমাত্রা পরিবর্তনের সম্ভাবনা কার্যত নেই। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সামান্য বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়ার কারণে সকালের দিকে কিছু কিছু এলাকায় কুয়াশা বা ধোঁয়াশার পরিস্থিতি তৈরি হবে।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় পর্যটকদের জন্য সুখবর! অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা ফ্রি হয়ে গেল তাইল্যান্ডে

    শীতের আগমনী

    আলিপুর হাওয়া (Weather Update) অফিস জানাচ্ছে, মঙ্গলবারও কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামেনি। তবে আপেক্ষিক আর্দ্রতা নেমে আসছে ৫৫ শতাংশে। সেই কারণেই নভেম্বরে শীতের যে আমেজ ‘স্বাভাবিক’ বলে মনে করা হয়। তবে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের আগে দক্ষিণবঙ্গে তেমন ভাবে শীতের অনুভূতি পাওয়ার সম্ভাবনা কমই। নিম্নচাপের প্রভাব কাটিয়ে বৃহস্পতিবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রাতের তাপমাত্রা অন্তত ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলে ইতিমধ্যেই শীতের কামড় ভালোই অনুভূত হতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার ভোরে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ১১.৯ ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল বলে জানাচ্ছে আলিপুর হাওয়া অফিস। কালিম্পংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও নেমে আসে ১৭.৩ ডিগ্রিতে। পাল্লা দিচ্ছে পশ্চিমের জেলাগুলোও। পুরুলিয়াতে তাপমাত্রা মঙ্গলবার ১৬ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 187: “চিটেগুড়ের পানা দিয়ে ভুলে থাকলে, মিছরীর পানার সন্ধান কত্তে ইচ্ছা হয় না”

    Ramakrishna 187: “চিটেগুড়ের পানা দিয়ে ভুলে থাকলে, মিছরীর পানার সন্ধান কত্তে ইচ্ছা হয় না”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই এপ্রিল

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও সাকার-নিরাকার

    রাত্রি প্রায় সাড়ে নয়টা। শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণা ঠাকুরদালান আলো করিয়া আছেন। সম্মুখে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে দাঁড়াইয়া। সুরেন্দ্র, রাখাল, কেদার, মাস্টার, রাম, মনোমোহন ও অন্যান্য অনেক ভক্তেরা রহিয়াছেন। তাঁহারা সকলে ঠাকুরের সঙ্গে প্রসাদ পাইয়াছেন। সুরেন্দ্র সকলকে পরিতোষ করিয়া খাওয়াইয়াছেন। এইবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-বাগানে প্রত্যাবর্তন করিবেন। ভক্তেরাও স্ব স্ব ধামে চলিয়া যাইবেন। সকলেই ঠাকুরদালানে আসিয়া সমবেত হইয়াছেন।

    সুরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—আজ কিন্তু মায়ের নাম একটিও হল না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ঠাকুরের (Ramakrishna) প্রতিমা দেখাইয়া)—আহা, কেমন দালানের শোভা হয়েছে। মা যেন আলো করে বসে আছেন। এরূপ দর্শন কল্লে কত আনন্দ হয়। ভোগের ইচ্ছা, শোক—এ-সব পালিয়ে যায়। তবে নিরাকার কি দর্শন হয় না—তা নয়। বিষয়বুদ্ধি একটুও থাকলে হবে না; ঋষিরা সর্বত্যাগ করে অখণ্ড সচ্চিদানন্দের চিন্তা করেছিলেন।

    “ইদানীং ব্রহ্মজ্ঞানীরা ‘অচল ঘন’ বলে গান গায়,—আমার আলুনী লাগে। যারা গান গায়, যেন মিষ্টরস পায় না। চিটেগুড়ের পানা দিয়ে ভুলে থাকলে, মিছরীর পানার সন্ধান কত্তে ইচ্ছা হয় না।

    “তোমরা দেখ, কেমন বাহিরে দর্শন কচ্ছ আর আনন্দ পাচ্ছ। যারা নিরাকার নিরাকার করে কিছু পায় না, তাদের না আছে বাহিরে না আছে ভিতরে।”

    “তোমরা দেখ, কেমন বাহিরে দর্শন কচ্ছ আর আনন্দ পাচ্ছ। যারা নিরাকার নিরাকার করে কিছু পায় না, তাদের না আছে বাহিরে না আছে ভিতরে।”ঠাকুর মার নাম করিয়া গান গাহিতেছেন:

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 186: “ঠাকুর ভাবে মগ্ন…খুলির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিতেছেন, আ মরি! আ মরি! আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে”

    Ramakrishna 186: “ঠাকুর ভাবে মগ্ন…খুলির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিতেছেন, আ মরি! আ মরি! আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই এপ্রিল

    ভক্তসঙ্গে সংকীর্তনানন্দে—সমাধিমন্দিরে

    এইবার সংকীর্তন আরম্ভ হইবে। খোল বাজিতেছে। গোষ্ঠ খোল বাজাইতেছে। এখনও গান আরম্ভ হয় নাই। খোলের মধুর বাজনা, গৌরাঙ্গমণ্ডল ও তাঁহাদের নামসংকীর্তন কথা উদ্দীপন করে। ঠাকুর ভাবে মগ্ন হইতেছেন। মাঝেমাঝে খুলির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিতেছেন, “আ মরি! আ মরি! আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে।”

    গায়কেরা জিজ্ঞাসা কল্লেন, কিরূপ পদ গাহিবেন? ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বিনীতভাবে বলিলেন “একটু গৌরাঙ্গের কথা গাও।”

    কীর্তন আরম্ভ (Kathamrita) হইল। প্রথমে গৌরচন্দ্রিকা। তৎপরে অন্য গীত:

    লাখবান কাঞ্চন জিনি। রসে ঢর ঢর গোরা মুঁজাঙ নিছনি ॥
    কি কাজ শরদ কোটি শশী। জগৎ করিলে আলো গোরা মুখের হাসি ॥

    কীর্তনে গৌরাঙ্গের রূপবর্ণনা হইতেছে। কীর্তনিয়া আখর দিতেছে।

    (সখি! দেখিলাম পূর্ণশশী।) (হ্রাস নাই মৃগাঙ্ক নাই)
                    (হৃদয় আলো করে।)

    কীর্তনিয়া আবার বলছে, কোটি শশীর অমৃতে মুখ মাজা।

    এইকথা শুনিতে শুনিতে ঠাকুর সমাধিস্থ হইলেন।

    গান চলিতে লাগিল। কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) সমাধি ভঙ্গ হিল। তিনি ভাবে বিভোর হইয়া হঠাৎ দণ্ডায়মান হইলেন ও প্রেমোন্মত্ত গোপিকার ন্যায় শ্রীকৃষ্ণের রূপের বর্ণনা করিতে করিতে কীর্তনিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আখর দিতেছেন:

    (সখি! রূপের দোষ, না মনের দোষ?)
    (আন্‌ হেরিতে শ্যামময় হেরি ত্রিভুবন!)

    ঠাকুর নৃত্য করিতে করিতে আখর দিতেছেন। ভক্তেরা অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন। কীর্তনীয়া আবার বলছেন। গোপীকার উক্তি — বাঁশি বাজিস না! তোর কি নিদ্রা নাই কো?

    আখর দিয়া বলছেন:

    (আর নিদ্রা হবেই বা কেমন করে!) (শয্যা তো করপল্লব!)
    (আহার তো শ্রীমুখের অমৃত।) (তাতে অঙ্গুলির সেবা!)

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আসন পুনর্বার গ্রহণ করিয়াছেন। কীর্তন চলিতে লাগিল। শ্রীমতী বলছেন, চক্ষু গেল, শ্রবণ গেল, ঘ্রাণ গেল, ইন্দ্রিয় সকলে চলে গেল,—(আমি একেলা কেন বা রলাম গো)।

    শেষে শ্রীরাধাকৃষ্ণের মিলন গান হইল:

    ধনি মালা গাঁথে, শ্যামগলে দোলাইতে,
    এমন সময়ে আইল সম্মুখে শ্যাম গুণমনি।

    [গান—যুগলমিলন ]

    নিধুবনে শ্যামবিনোদিনী ভোর।
    দুঁহার রূপের নাহিক উপমা প্রেমের নাহির ওর ॥
    হিরণ কিরণ আধ বরণ আধ নীল মণি-জ্যোতিঃ।
    আধ গলে বন-মালা বিরাজিত আধ গলে গজমতি ॥
    আধ শ্রবণে মকর-কুণ্ডল আধ রতন ছবি।
    আধ কপালে চাঁদের উদয় আধ কপালে রবি ॥
    আধ শিরে শোভে ময়ূর শিখণ্ড আধ শিরে দোলে বেণী।
    করকমল করে ঝলমল, ফণী উগারবে মণি ॥

    কীর্তন থামিল। ঠাকুর, ‘ভগবত-ভক্ত-ভগবান’ এই মন্ত্র উচ্চারণ (Kathamrita) করিয়া বারবার ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিতেছেন। চতুর্দিকে ভক্তদের উদ্দেশ করিয়া প্রণাম করিতেছেন ও সংকীর্তনভূমির ধূলি গ্রহণ করিয়া মস্তকে দিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US President Election: ভোটে কারচুপি মার্কিন মুলুকে! ট্রাম্পের অভিযোগে শোরগোল আমেরিকায়

    US President Election: ভোটে কারচুপি মার্কিন মুলুকে! ট্রাম্পের অভিযোগে শোরগোল আমেরিকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে কারচুপির (US President Election) অভিযোগ এবার আমেরিকাতে। হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আমেরিকার ‘সুইং স্টেট’ পেনসিলভেনিয়ার। এখানেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী তথা আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। অভিযোগ তুললেও প্রাথমিক ট্রেন্ডে পাল্লা ভারী ট্রাম্পেরই।

    কারচুপির অভিযোগ

    ট্রাম্প হোক বা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস— দুজনেরই ‘পাখির চোখ’ পেনসিলভেনিয়া। প্রচারের (US President Election) শেষবেলাতেও দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে এই প্রদেশে। ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত প্রায় তিন দশক ডেমোক্র্যাটদের দখলে ছিল পেনসিলভেনিয়া। কিন্তু ২০১৬ সালে ধাক্কা দেন ট্রাম্প। হিলারি ক্লিনটনের মুখ থেকে পেনসিলভেনিয়া ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২০ সালে নির্বাচনে সেখানেই হারতে হয় ট্রাম্পকে। চলতি নির্বাচনে একের পর এক আসনে জয়ী হলেও, ফিলাডেলফিয়া নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন ট্রাম্প। ওই আসনে ভোট গণনায় ব্যাপক কারচুপি হচ্ছে বলেই দাবি রিপাবলিকান প্রার্থীর। যদিও নির্বাচন বোর্ডের তরফে ট্রাম্পের এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পেনসিলভেনিয়ার বৃহত্তম শহর ফিলাডেলফিয়ায় সুরক্ষিতভাবেই ভোটিং হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

    এগিয়ে ট্রাম্প

    মঙ্গলবার থেকেই গণনা (US President Election) শুরু হয়েছে।  উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত আমেরিকার নির্বাচনে কমলাকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, রিপাবলিকানরা এগিয়ে আছেন ২৩০টি আসনে। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা ১৮৭ আসনে। ২৭০-এর ম্যাজিক ফিগারের দৌড়ে এগিয়ে ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ আপডেট অনুযায়ী, তিনটি আসনে জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঝুলিতে এসেছে কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া। এর মধ্যে একটানা তৃতীয়বার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় জয়ী হলেন ট্রাম্প। ডেমোক্রাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ভেরমন্টে জিতে গিয়েছেন। তিনি এগিয়ে রয়েছেন নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলিনা ও ভার্জিনিয়াতেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাংলায় হিন্দুদের ওপর হামলা! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিজেপির

    BJP: বাংলায় হিন্দুদের ওপর হামলা! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে দুর্গা পুজো এবং কালী পুজোর বিসর্জনের সময় হিন্দুদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করলেন পুরুলিয়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত (Jotirmoy Singh Mahato)।

    ঠিঠিতে কী লেখা রয়েছে? (BJP)

    চিঠিতে (BJP) লেখা হয়েছে,  “দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মতো উৎসব উদযাপনের সময় প্রতিনিয়ত বাধা, পাথর ছোড়া এবং হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। হিন্দু উত্সব এবং ধর্ম পালনের ন্যায্য এবং আইনানুগ আচরণ নিশ্চিত করুন। হিন্দু বিরোধী হিংসামূলক ঘটনাগুলি পরীক্ষা করে দেখুন। রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ এবং নীতিগুলি পর্যালোচনা করুন যা মৌলবাদী উপাদানগুলিকে উত্সাহিত করে বলে মনে হয়। হিন্দু উত্সব এবং ধর্মীয় পালনের ন্যায্য এবং আইনানুগ আচরণ নিশ্চিত করুন। হিন্দু বিরোধী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করুন এবং চরমপন্থী উপাদানগুলির সঙ্গে কোনও লিঙ্ক রয়েছে কি না তা তদন্ত করুন।” তিনি আরও লিখেছেন, “রাজ্যপাল হিসেবে, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ অনুচ্ছেদের অধীনে আপনার কিছু ক্ষমতা রয়েছে, যা এই বিষয়গুলির মোকাবিলা করতে পারে।”

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    রাজাবাজারের ঘটনা উল্লেখ চিঠিতে

    সাংসদের (BJP) চিঠিতে রাজাবাজারের ঘটনাও উল্লেখ রয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “শুধু এই বছর রাজ্যজুড়ে দুর্গা পুজো এবং কালী পুজোর বিসর্জনের সময় বেশ কয়েকটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। কলকাতার রাজাবাজার এলাকায় একটি সাম্প্রতিক ঘটনায় একটি কালী পূজার বিসর্জন মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, পুলিশ পরে বিষয়টিকে “পার্কিং বিরোধ” বলে উড়িয়ে দিয়েছে, যা শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং পক্ষপাতিত্বের উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে।” প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর কালীপুজোর বিসর্জনের মিছিল চলছিল। সেই সময়  উত্তর কলকাতার নারকেলডাঙ্গা- রাজাবাজারে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়, ফাটায় টিয়ার গ্যাসের সেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhyom: ‘মাধ্যম’ অফিসে আচমকা হানা মমতার পুলিশের, তুলে নিয়ে যাওয়া হল ২ সাংবাদিককে!

    Madhyom: ‘মাধ্যম’ অফিসে আচমকা হানা মমতার পুলিশের, তুলে নিয়ে যাওয়া হল ২ সাংবাদিককে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংবাদ মাধ্যমের বাক স্বাধীনতায় (Freedom Of Speech) হস্তক্ষেপ। মঙ্গলবার দুপুরে মমতার পুলিশ আচমকাই হানা দেয় মাধ্যম কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে (Madhyom)। অফিস কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের দফায় দফায় জেরা চালাতে থাকে। সম্প্রতি কালীপুজোতে কালিন্দীতে একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে হওয়া ঘটনার প্রতিবেদন মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে মাধ্যম অফিসে তল্লাশি অভিযানে চলে আসে। সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে যা যা দেখেছেন, সেটাই প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে-এ কথা বারবার বোঝানো হলেও তারা কোনও কথা শুনতে চায়নি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে অফিসের কম্পিউটারের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে এবং শেষমেশ অফিসের দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে লেকটাউন থানায় নিয়ে যায়। একইসঙ্গে একটি কম্পিউটার এবং তার যাবতীয় সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। এক কর্মীর মা বাড়িতে একা থাকেন এবং তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, একথা বলা সত্ত্বেও তারা তাতে কান দেয়নি।

    দুপুরে আসে পুলিশ    

    এদিন দুপুরে অফিসের কাজকর্ম অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক গতিতে চলছিল। হঠাৎ পুলিশের আটজনের একটি দল অফিসে (Madhyom) ঢুকে পড়ে। তারা আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে এসেছে বলেও দাবি করে। তাদের মূল অভিযোগ, সম্প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এতে নাকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। উল্লেখ্য, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে এবং বারবার তাঁর ভাষণে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা শব্দটি অবলীলায় ব্যবহার করে থাকেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক (Freedom Of Speech) যখন তাদের বারবার বোঝাতে থাকেন, তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। ফিরে এসে যা দেখেছেন সেটাই প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে (Madhyom)। এর মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করার কোনও প্রবণতা ছিল না। কিন্তু মমতার দলদাস পুলিশ সেসব কথায় কর্ণপাত করেনি। 

    প্রতিহিংসার রাজনীতি

    মমতার পুলিশের আক্রমণের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসার রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব যেমন এই ঘটনার নিন্দা করেছে, তেমনি এই ঘটনার খবর পৌঁছে যায় দিল্লিতেও। সেখান থেকেও একের পর এক তীব্র প্রতিবাদ ভেসে আসতে থাকে। সাংবাদিক মহল থেকেও এই ঘটনার ধিক্কার (Madhyom) জানানো হয়েছে।

    ,

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Relation: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের, প্রতিবাদে শামিল শিখরাও

    India Canada Relation: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের, প্রতিবাদে শামিল শিখরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের! রবিবার কানাডার ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায় (India Canada Relation) খালিস্তানপন্থীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাজার হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ পথে নামেন। এদিনের (Justin Trudeau) প্রতিবাদ মিছিলে বেশ কিছু শিখকেও হাঁটতে দেখা গিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার যে খালিস্তানিদের তোল্লাই দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধেই একজোট হয়েছেন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু ও শিখরা।

    হিন্দু জাগরণ! (India Canada Relation)

    এদিন প্রতিবাদীদের একদল যখন রাস্তা অবরোধ করছিলেন, তখন অন্যদল খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছিলেন। এদিনের এই প্রতিবাদ-যাত্রার আয়োজক ছিল উত্তর আমেরিকার হিন্দুদের সংগঠন কোয়ালিশন অফ হিন্দুজ ইন নর্থ আমেরিকা। এই প্রতিবাদ মিছিলের লক্ষ্যই ছিল, খালিস্তানিদের অযৌক্তিক সহিংসতার মোকাবিলায় ঐক্য ও সাহসিকতার বার্তা দেওয়া। কানাডার সাংবাদিক ড্যানিয়েল বোর্ডম্যান বলেন, “এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এক ধরনের (India Canada Relation) জাগরণ। আগে কখনও হাজারে হাজারে হিন্দু এমনভাবে পথে নেমে প্রতিবাদ করেনি। খালিস্তানপন্থীরা সীমা অতিক্রম করেছে। আর হিন্দুরা সংগঠিত হয়ে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেছে।” তিনি জানান, এদিন সব সম্প্রদায়ের মানুষই খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমি হিন্দু সভা মন্দিরে ছিলাম। যেখানে হাজার হাজার হিন্দুদের পাশাপাশি শিখ, ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইরানি সম্প্রদায়ের মানুষ মন্দিরে খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ ও পিল পুলিশের ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন জানাতে এসেছিলেন।” সাংবাদিক মোচা বেজিরগান জানান, খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ বৃদ্ধি পায়। সড়ক অবরোধ ও যানবাহন ভাঙচুরের মাধ্যমে অশান্ত হয়ে ওঠে ব্রাম্পটন। এদিনের প্রতিবাদে হিন্দু এবং শিখ উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই অংশগ্রহণ করেন। পিল পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তাঁরা। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তোলেন প্রতিবাদীরা।

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক প্রতিবাদী বলেন, “শিখরা আমাদের ভাই। খালিস্তানপন্থীরা শিখ নয়। আমার শিখ বন্ধু ও ভাইয়েরা আছেন এবং তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এই ঘৃণার সঙ্গে যুক্ত নয়। আমি চাই (Justin Trudeau) কানাডাবাসী এটি জানুক।” তিনি বলেন, “একটি মন্দিরে আক্রমণ করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়। আমরা একত্র এবং ঐক্যবদ্ধ (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share