Tag: bangla news

bangla news

  • Digital Arrest: সাইবার প্রতারণার নতুন ছক ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ রুখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন কেন্দ্রের

    Digital Arrest: সাইবার প্রতারণার নতুন ছক ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ রুখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার প্রতারণার নতুন ছক ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ (Digital Arrest) নিয়ে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। এই সংক্রান্ত যাবতীয় ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য এবার উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলেও খবর। অমিত শাহের মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানেই নতুন কমিটি পরিচালিত হবে। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ধরনের প্রতারণা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। ডিজিটাল প্রতারণা (Cyber Crime) ঠেকাতে কী ভাবে সচেতন হওয়া উচিত সেটাও জানান তিনি। তারপরেই পদক্ষেপ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    কমিটির প্রধান কে

    ডিজিটাল অ্যারেস্ট (Digital Arrest)  সংক্রান্ত প্রতারণার (Cyber Crime) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে তার মাথায় থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (আই৪সি) দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর। সাইবার অপরাধ চক্র প্রায়ই কোনও না কোনও নতুন পন্থা অবলম্বন করে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে বিপদে পড়েন সাধারণ মানুষ। টাকা খোয়ানো থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত নথি হাতানোর মতো অপরাধ ঘটে। বর্তমানে সাইবার প্রতারকদের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ডিজিটাল অ্যারেস্টের (Digital Arrest) অভিযোগ সামনে এসেছে। এই ধরনের প্রতারণা (Cyber Crime) রুখতে বিশেষ সচেতনতা কর্মসূচি তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ডিজিটাল অ্যারেস্ট প্রতারণার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার উইং ৬ লক্ষেরও বেশি মোবাইল ফোন ব্লক করেছে। ওই সব ফোন ডিজিটাল অ্যারেস্ট এবং সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখনও পর্যন্ত সাতশোর বেশি মোবাইল অ্যাপ ব্লক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: ‘‘শেষের শুরু’’! হিজবুল্লার নতুন প্রধান কাশেমকে হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের, বার্তা ইরানকেও

    Israel: ‘‘শেষের শুরু’’! হিজবুল্লার নতুন প্রধান কাশেমকে হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের, বার্তা ইরানকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজবুল্লার নতুন প্রধান নঈম কাশেমকে হুমকি দিল ইজরায়েল (Israel)। পরোক্ষ ভাবে তাঁকেও খতম করার হুমকি দিয়ে রাখল তারা। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট কাশেমের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনার শেষের শুরু। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে, খুব বেশিদিন আর নয়।’’ শুধু কাশেমকে শেষ করা নয়, ভবিষ্যতে প্রয়োজনে  ইরানেও (Iran) হামলা চালানো হতে পারে, এমন ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছে ইজরায়েল।

    কে এই কাশেম

    গত ২৭ সেপ্টেম্বর বেইরুটে ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল হিজবুল্লার তৎকালীন প্রধান হাসান নাসরাল্লার। এরপর থেকেই তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। নাসরাল্লার মৃত্যুর পরে অন্তর্বর্তী প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন কাশেমই। শেষপর্যন্ত তাঁকেই পরবর্তী প্রধান হিসেবে বেছে নেয় হিজবুল্লার সর্বোচ্চ কমিটি শুরা কাউন্সিল। ইরান সমর্থিত এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কাশেম। ১৯৫৩ সালে লেবাননের রাজধানী বেইরুটের কেফার ফিলা গ্রামে জন্ম হয় তাঁর। ১৯৯১ সাল থেকে সংগঠনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নাসরাল্লার উত্তরসূরি হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে কাশেমকে। তার কয়েক ঘণ্টা পরই ইয়োয়াভ সমাজমাধ্যমে কাশেমের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘সাময়িক নিয়োগ। বেশি দিন নয়।’’ বিশ্লেষকদের মতে, ইয়োভ গ্যালান্টের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, খুব তাড়াতাড়ি নাসরাল্লার মতোই পরিণতি হতে চলেছে হিজবোল্লার নতুন প্রধানের।

    ইরানে হামলার হুমকি

    শুধু কাশেমকে খতম করা নয়, ভবিষ্যতে ইরানেও (Iran) হামলা চালানো হতে পারে, এমন ইঙ্গিতও দিয়ে রাখল ইজরায়েল। ইজরায়েলি (Israel) সেনার প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি জানান, ইরান যদি পাল্টা হামলার কথা ভাবে, তবে ভুল করবে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দিকে যদি ইরান যদি ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যারেজ (ঝাঁক) ছোড়ে, তবে তার মাশুল চোকাতে হবে। আমরা জানি কী ভাবে আবার ইরানে পৌঁছনো যায়। এত দিন যে শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে, এ বার তার থেকেও বেশি শক্তি নিয়ে হামলা চালানো হবে। কোনও জায়গা ছাড়া হবে না।’’ তবে, এরইমধ্যে মঙ্গলবার লেবাননে অভিযান গুটিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ইজরায়েলি বাহিনী। আইডিএফ জানিয়েছে, লেবাননের অভিযানের লক্ষ্যপূরণ হয়ে গিয়েছে। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে উত্তর ভূখণ্ডে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিয়েছে নেতানিয়াহুর দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Uttarakhand: রেললাইনে ডিটোনেটর! উত্তরাখণ্ডে বড় নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার এক যুবক

    Uttarakhand: রেললাইনে ডিটোনেটর! উত্তরাখণ্ডে বড় নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার এক যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আগে ভারতীয় রেলে বড়সড় নাশকতার ছক। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) দেরাদুনে রেললাইনে মিলল ডিটোনেটর (Detonator)। ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর সেই ছক বানচাল করল রেল পুলিশ। ইতিমধ্যেই ষড়যন্ত্রকারী সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তবে কেন লাইনের ওপর ডিটোনেটর ফেলে রাখা হয়েছিল, সে সম্পর্কে এখনও কোনও ধারণা মেলেনি। ধৃত যুবক ছাড়াও অন্য কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এক তদন্তকারী অফিসার।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Uttarakhand)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) হরিদ্বারের মোতিচুর স্টেশনের কাছে রেললাইন দেখভালের সময় ওই ডিটোনেটর নজরে আসে রেলকর্মীদের। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশকে। ঘটনাস্থলে আসেন রেলের পদস্থ কর্তারা। উদ্ধার করা হয় ওই বিস্ফোরক। প্রাথমিক তদন্তে নেমে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের বাসিন্দা এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই যুবকই লাইনে ডিটোনেটর ফেলে রেখেছিলেন। দীপাবলির আগে বড়সড় নাশকতা ঘটাতেই পরিকল্পিতভাবে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগেই বিষয়টি নজরে আসে রেলকর্মীদের। পুলিশের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    বারবারই নাশকতার ছক!

    বিগত কয়েক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেন লাইনচ্যুত (Uttarakhand) হওয়ার ঘটনা ঘটছে। কখনও গুজরাট, কখনও মধ্যপ্রদেশ, আবার কখনও উত্তরপ্রদেশে ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টা করা হয়। রেললাইনের ওপর গ্যাস সিলিন্ডার রেখে, কখনও সিমেন্টের ব্লক, কখনও লোহার পাত, কখনও মাটি ফেলে ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মধ্যপ্রদেশের নেপানগর বিধানসভা এলাকার সাগফাতা স্টেশনের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা ডিটোনেটরের সাহায্যে ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে। রেললাইনে ফেলে রাখা ডিটোনেটরের ওপর থেকে ট্রেন যাওয়ার সময় জোরদার বিস্ফোরণও ঘটে। কিছু ক্ষেত্রে চালকের তৎপরতায় বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে, আবার অনেক সময় রেলকর্মীরাই রুখে দিয়েছেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা। সাম্প্রতিক সময়ে বার বার ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় রেলের যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: নতুন বছরেই মহাকুম্ভ মেলা, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে টোল ফ্রি নম্বর চালু করল রেল

    Mahakumbh Mela 2025: নতুন বছরেই মহাকুম্ভ মেলা, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে টোল ফ্রি নম্বর চালু করল রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর এবার ফের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025)। নতুন বছরের প্রথম মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই শুরু হবে (Railways) মহাকুম্ভ স্নান। চলবে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। যেহেতু এই যোগ ফের আসবে ১৪৪ বছর পরে, তাই এবার ব্যাপক ভিড় হবে বলেই আশা উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের।

    টোল ফ্রি নম্বর (Mahakumbh Mela 2025)

    মহাকুম্ভ মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এবার এগিয়ে এল রেলও। কোটি কোটি তীর্থযাত্রী যাতে সহজ ও সুষ্ঠুভাবে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভারতীয় রেল। পুণ্যার্থীদের আরামদায়ক ও নির্বিঘ্ন ভ্রমণ নিশ্চিত করতে টোল-ফ্রি হেল্পলাইন (১৮০০৪১৯৯১৩৯) নম্বর চালু করেছে তারা। এই নম্বরে ফোন করেই জানা যাবে ট্রেনের সময়সূচি, বুকিং এবং স্টেশনে মিলবে যেসব সুবিধা, সেগুলি সম্পর্কে (Mahakumbh Mela 2025)।

    কুম্ভমেলা

    প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে হয় কুম্ভমেলা। ১২টি কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার হচ্ছে মহাকুম্ভ। তাই এবার ভিড়ও হবে রেকর্ড। ২০২৫ সালের এই মেলায় দেশ তো বটেই, বিদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ যোগ দেবেন এই ত্রিবেণী সঙ্গমের মহাকুম্ভে। ভক্তদের বিশ্বাস, মহাকুম্ভ স্নানে মোচন হয় পাপ। মেলে কাঙ্খিত মুক্তি। সেই মোক্ষ লাভের আশায়ই ফি কুম্ভে ব্যাপক ভিড় হয় প্রয়াগরাজে। মেলায় আসতে গিয়ে দর্শনার্থীরা যাতে বিপাকে না পড়েন, তাই চব্বিশ ঘণ্টার জন্য হেল্পলাইন চালু করল রেল।

    আরও পড়ুন: ইউপিআইয়ের মাধ্যমে গণেশ মূর্তি কিনলেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট, সস্ত্রীক পালন করলেন দীপাবলিও

    প্রত্যাশিত ভিড় সামলানোর জন্য, রেল বিশেষ ট্রেন, অতিরিক্ত পরিষেবা এবং প্রয়াগরাজ ও আশপাশের স্টেশনগুলিতে উন্নতমানের পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনাও করছে (Railways)। বাড়তি পরিষেবার পাশাপাশি টোল-ফ্রি হেল্পলাইনটি একটি মূল বৈশিষ্ট্য যা যাত্রীদের প্রয়োজন মেটাতে ভারতীয় রেলওয়ের প্রস্তুতির প্রতিফলন (Mahakumbh Mela 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Ramakrishna 179: “ঠাকুর সমাধিস্থ! কেবল চক্ষের বাহিরের কোণ দিয়া আনন্দধারা পড়িতেছে”

    Ramakrishna 179: “ঠাকুর সমাধিস্থ! কেবল চক্ষের বাহিরের কোণ দিয়া আনন্দধারা পড়িতেছে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি

    তুমি হে উপায়, তুমি হে উদ্দেশ্য, তুমি স্রষ্টা পাতা তুমি হে উপাস্য,
    দণ্ডদাতা পিতা, স্নেহময়ী মাতা, ভবার্ণবে কর্ণধার (তুমি) ॥

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি Ramakrishna)—আহা কি গান! “তুমি সর্বস্ব আমার!” গোপীরা অক্রুর আসবার পর শ্রীমতীকে বললে (Kathamrita), রাধে! তোর সর্বস্ব ধন হরে নিতে এসেছে! এই ভালবাসা। ভগবানের জন্য এই ব্যাকুলতা।

    আবার গান চলিতে লাগিল:

    (১)— ধোরো না ধোরো না রথচক্র রথ কি চক্রে চলে,
    যে চক্রের চক্রের চক্রী হরি যার চক্রে জগৎ চলে।

    (২)—প্যারী! কার তরে আর, গাঁথ হার যতনে।

    গান শুনিতে (Kathamrita) শুনিতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ গভীর সমাধিসিন্ধুমধ্যে মগ্ন হইলেন! ভক্তেরা একদৃষ্টে ঠাকুরের দিকে অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন। আর সাড়াশব্দ নাই। ঠাকুর সমাধিস্থ! হাতজোড় করিয়া বসিয়া আছেন, যেমন ফটোগ্রাফে দেখা যায়। কেবল চক্ষের বাহিরের কোণ দিয়া আনন্দধারা পড়িতেছে।

    ঈশ্বরের সহিত কথা—শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) দর্শন—কৃষ্ণ সর্বময় 

    অনেকক্ষণ পরে ঠাকুর (Ramakrishna) একটু প্রকৃতস্থ হইলেন। কিন্তু সমাধির মধ্যে যাঁকে দর্শন করিতেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কি কথা কহিতেছেন। একটি-আধটি কেবল ভক্তদের কানে পৌঁছিতেছে। ঠাকুর আপনা-আপনি বলিতেছেন, “তুমিই আমি আমিই তুমি। তুমি খাও, তুমি আমি খাও!… বেশ কিন্তু কচ্ছ।

    “এ কি ন্যাবা লেগেছে। চারিদিকেই তোমাকে দেখছি!

    “কৃষ্ণ হে দীনবন্ধু প্রাণবল্লভ! গোবিন্দ!”

    প্রাণবল্লভ! গোবিন্দ! বলিতে (Kathamrita) বলিতে আবার সমাধিস্থ হইলেন। ঘর নিস্তব্ধ। ভক্তগণ মহাভাবময় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna)—অতৃপ্ত-নয়নে বারবার দেখিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: আজ কালীপুজোর শুভ সময় কখন? অমাবস্যা তিথির স্থায়িত্বই বা কতক্ষণ? জেনে নিন

    Kali Puja 2024: আজ কালীপুজোর শুভ সময় কখন? অমাবস্যা তিথির স্থায়িত্বই বা কতক্ষণ? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শক্তির দেবী মা কালীর পুজো। এই বছর একই দিনে পড়েছে কালীপুজো (Kali Puja 2024) এবং দীপাবলি। সারা রাত ধরে চলবে মা কালীর আরাধনা। এই কালী পুজো হয়ে থাকে সাধারনত অমাবস্যায়। তিথি যোগে এই সময়পর্ব অত্যন্ত পবিত্র এবং পুণ্যলগ্ন। যে কোনও ভালো কাজের সফল কামনা করতে মায়ের পুজো করতে হয়। দেওয়া হয় দেবতার উদ্দেশে বলি। এই মা কালী হলেন দীপান্বিতা, অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যায়। এবছর কালীপুজো এবং অমাবস্যার (Amavasya) সময়সূচি কেমন আসুন জেনে নিই।

    কোন সময়ে পুজো (Kali Puja 2024)

    মা কালীর পুজোর দিন হল আজ, বৃহস্পতিবার। এদিন রাতে মায়ের আরধনা হবে। তান্ত্রিক মতে এই রাতেই পুজো (Kali Puja 2024) হবে। বেণী মাধব শীলের পঞ্জিকা মতে, কার্তিক অমাবস্যা (Amavasya) তিথি পড়বে ৩১ অক্টোবর ২০২৪ বেলা ৩টে ৫২ মিনিটে। অমাবস্যার অবসান হবে ১ নভেম্বর ২০২৪ বেলা ১২টা ৪৮ মিনিটে। কালীপুজোর মূল সময় হল ৩১ অক্টোবর রাত ১১টা ৪৮ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। কালী মায়ের উপাসনা সারা রাত ধরে হয়ে থাকে। এই ১ ঘণ্টা হল যে কোনও মানত পূরণে ভক্তের কাছে পুণ্যের বা শুভ সময়।

    আরও পড়ুনঃ নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার বালুরঘাটের ‘বাহুবলী’ তৃণমূল নেতা

    ধনতেরাস থেকে ভাতৃদ্বিতীয়া

    অনেকেই আবার কালীপুজোর (Kali Puja 2024) দিনে লক্ষ্মীর পুজোও করে থাকেন। কেউ কেউ গোবর্ধন পুজো করে থাকেন। এই দিনেই গোকূলকে রক্ষা করতে গোবর্ধন পর্বতকে নিজের আঙুলে তুলে নিয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তবে কোনও কোনও বছর দীপাবলি এবং কালীপুজো একদিন আগে পরেও হয়ে থাকে। কালীপুজোর আগের দিন থাকে ভূত চতুর্দশী। এবছর তা হবে বুধবার, ৩০ অক্টোবর। বাড়িতে ১৪ শাক এবং ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে পূর্ব পুরুষদের মুক্তি কামনা করা হয়। একই ভাবে অতৃপ্ত আত্মাকে শান্ত করতে বিশেষ উপাচার করা হয়। আবার ভূত চতুর্দশীর একদিন আগে ধনতেরাস বা ধন ত্রেয়োদশী পালন করা হয়। এদিন অনেকে মঙ্গল কামনায় সোনা-রূপা কেনেন। একই ভাবে কালীপুজোর ঠিক দুই দিন পর ভাতৃ দ্বিতীয়া পালিত হয়। ভাইয়ের মঙ্গলকামনায় বোন বা দিদিরা ফোঁটা দিয়ে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহাই এখানে মন্দির! ছিল রঘু ডাকাতের প্রধান আস্তানা

    Kali Puja 2024: শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহাই এখানে মন্দির! ছিল রঘু ডাকাতের প্রধান আস্তানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূর্তি নেই। অশ্বত্থ গাছ-ই কালী রূপে পূজিতা হন। বারাসতের অন্যতম পুরানো কালীমন্দির কাঠোর রোডের ডাকাত কালীবাড়ি। এই ডাকাত কালীবাড়ি  ঘিরে বহু কথা প্রচলিত রয়েছে আজও। আজও কালীপুজোয় (Kali Puja 2024) এখানে ভক্তদের ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয়, প্রতিমা তো নেই-ই, নেই কোনও পুরোহিতও৷ সেখানে কোনও প্রতিমাও নেই। অশ্বত্থ গাছেরও সঠিক বয়স এখন জানা নেই কারও। এখানে এসে মায়ের কাছে মানত করে নমস্কার করে মোমবাতি-ধূপকাঠি জ্বালিয়ে নিজেই পুজো করে যায়।

    মন্দিরের কোনও দরজা নেই (Kali Puja 2024)

    আনুমানিক ৪০০ বছরের পুরানো এই কালীমন্দির। বারাসতের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এই ডাকাত কালীবাড়ি বর্তমানে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ বিশ্বাস বলেন, এক সময় রঘু ডাকাত (Raghu dakat) এই মন্দির থেকেই পুজো করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বের হতেন। আবার ডাকাতি করে তাঁর দলবল নিয়ে এই মন্দিরেই ফিরে আসতেন৷ এটাই তাঁর প্রধান আস্তানা ছিল। রঘু ডাকাত সেসময় জমিদারদের বাড়ি ডাকাতি করে গরিবদের বিলিয়ে দিতেন৷ রঘু ডাকাত কখনও গরিবদের ওপর অত্যাচার করতেন না৷ এসব কথা তিনিও শুনেছেন৷ পাশাপাশি আর এক বাসিন্দা সোমনাথ ব্রহ্মচারী জানান এই মন্দিরের কোনও দরজা নেই। যতবারই দরজা লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা গিয়েছে, সেই দরজা নেই। সবার বিশ্বাস, মা স্বয়ং দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন। তাই দরজার কোনও দরকার পড়ে না এই মন্দিরে।

    এই ডাকাত কালীবাড়ি জাগ্রত

    এক সময় এই এলাকায় মানুষ আসতে ভয় পেতেন৷ গোটা এলাকা জঙ্গলে ঘেরা ছিল৷ রাতে এই রাস্তায় কেউ যাতায়াত করত না৷ বাড়িঘরও তেমন ছিল না এখানে৷ আজ চিত্রটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। তবে আজও দূর-দূরান্তের মানুষের কাছে এই ডাকাত কালীবাড়ি (Kali Puja 2024) জাগ্রত। মন্দিরটির ছাদ বলতে অশ্বত্থ গাছের শিকড়৷ ইটগুলি রঘু ডাকাত সহ তার দলবলই কাঠের ডাইস বানিয়ে তাতে মাটি দিয়ে সেই সময় তৈরি করেছিল বলেই শোনা যায়৷ তাঁর দাবি, এই ইট দেখলেই বোঝা যায় একেবারে আলাদা। নেই কোনও নম্বর এবং অক্ষর, যা অন্যান্য ইটের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। মন্দির বলতে গাছে শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহা, যার চারিদিকে ইট দিয়ে গাঁথা। আজও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে অন্যতম এই মন্দির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Trade in Diwali: দেশে বেড়েছে ভারতীয় পণ্য কেনার ঝোঁক, ১.২৫ লক্ষ কোটির ক্ষতি চিনের

    Indian Trade in Diwali: দেশে বেড়েছে ভারতীয় পণ্য কেনার ঝোঁক, ১.২৫ লক্ষ কোটির ক্ষতি চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা মতো দেশীয় পণ্য (Indian Trade in Diwali) কেনার দিকে মন দিয়েছে ভারতবাসী। সস্তার চিনা পণ্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা, এমনটাই জানিয়েছে সিএআইটি। আর এর এতেই, কপাল পুড়ল চিনের। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, চলতি উৎসবের (Diwali 2024) মরসুমে, ভারতীয়দের মধ্যে দেশীয় পণ্য কেনার ঝোঁক বেড়েছে। এর ফলে, চিনের ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার!

    দেশে সওয়া চার লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা

    দুই দেশের ভূ-রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপেড়েনের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চিনা পণ্য সরিয়ে ভারতীয় পণ্য কেনার ঝোঁক বাড়ছে। দীপাবলির (Diwali 2024) মরসুমে দেশব্যাপী প্রায় সওয়া চার লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসার (Indian Trade in Diwali) আশা করছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা সিএআইটি। ব্যবসায়ী সংগঠনটির আশা, সারা দেশের মধ্যে শুধুমাত্র দিল্লিই প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করতে পারে। ই-কমার্স সংস্থা এবং চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দেওয়ার জন্য কোমর বেঁধে নামতে চলেছে দেশের বিভিন্ন অংশের খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। 

    উপহারে দেশি পণ্য চাই

    লোকাল সার্কল নামের একটি সংস্থার সমীক্ষা অনুসারে, উৎসবের দিনে ভারতীয়রা একে অপরকে উপহার দেন। এবার সেই উপহারে ভারতীয় পণ্যের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, উৎসবের মরসুমে (Diwali 2024) শহুরে নাগরিকরা আনুমানিক ১.৮৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করতে পারেন (Indian Trade in Diwali)। সমীক্ষাটি প্রকাশ করেছে যে, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১.২ লক্ষ কোটি টাকা উৎসবের জন্য খরচ করে ফেলেছেন ভারতীয়েরা। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৫৩ শতাংশ ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, বেকারির পণ্য বা চকোলেট জাতীয় উপহার কিনতে পছন্দ করেন। ৪৮ শতাংশ মানুষ উপহার দেওয়ার জন্য শুকনো ফল বেছে নেন। ২৭ শতাংশ মানুষ সুগন্ধি, মোমবাতি এবং বাতি বেছে নেন। ১৮ শতাংশ জনতা রান্নাঘরের জিনিসপত্র কেনেন। ১২ শতাংশ ভারতীয় দীপাবলি (Diwali 2024) উপলক্ষে বাড়ির জন্য আসবাব ও বাসনপত্র কিনতে পছন্দ করেন। চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধির আশায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সামগ্রী যেমন উপহার, পোশাক, গয়না, ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল ফোন, আসবাবপত্র, সাজসজ্জার জিনিসপত্র, পূজার সামগ্রী, রঙ্গোলি, দেবতার প্রতিমা ও ছবি, তৈরি পোশাক ইত্যাদি কিনেছেন।

    আরও পড়ুন: আর চিনা সামগ্রী নয়, দীপাবলিতে অযোধ্যার রাম মন্দির সেজে উঠেছে শুধুই মাটির প্রদীপে

    চিনের লোকসান

    উৎসবের মরসুমে (Indian Trade in Diwali) পড়শি দেশ চিনের ব্যবসা কমেছে, এমন পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছে সিএআইটি। ফেডারেশনের সচিব প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, উৎসবের মরসুমে চিনা পণ্যের চাহিদা কমেছে। যার ফলে, প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটির ব্যবসা মার খেতে পারে চিন, বলে অনুমান করছেন প্রবীণ। ধনতেরাস ও কালিপুজোর বাজার আশা যোগাচ্ছে মৃৎশিল্পীদেরও। চিনা বাতির দাপটে (Diwali 2024) কৌলিন্য হারাতে বসেছিল ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রদীপ শিল্প। কিন্তু গত দু-তিন বছর ধরে প্রদীপের চাহিদা ধীরে ধীরে বেড়েছে। রঙবেরঙের নানা নকশায় সজ্জিত বিভিন্ন প্রদীপ বাজার ছেয়েছে। এখন মাটির প্রদীপের চাহিদা তুঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tab: ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা বহু পড়ুয়ার ব্যাঙ্কে জমাই পড়েনি! প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দফতর

    Tab: ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা বহু পড়ুয়ার ব্যাঙ্কে জমাই পড়েনি! প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে রাজ্য সরকার ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৬ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী ট্যাব (Tab) কেনার টাকা দিতে শুরু করে। সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু করে। কিন্তু, অনেকের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য পড়েছে। প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের ভূমিকাও।

    বহু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি টাকা! (Tab)

    এ বারই প্রথম রাজ্য সরকার একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সব পড়ুয়াকে এই টাকা (Tab) দিচ্ছে। যা বাজেট পেশের সময়েই রাজ্যের পক্ষে জানানো হয়েছিল। প্রথমে ঠিক ছিল প্রতি বছরের মতো এ বারেও শিক্ষক দিবসের দিন ৫ সেপ্টেম্বর উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। শেষ বেলায় তা পিছিয়ে যায়। তবে পুজোর আগেই টাকা পাঠানো শুরু করে দেয় শিক্ষা দফতর (Education Department)। দীপাবলি এসে গেলেও বেশির ভাগ পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা জমা পড়েনি। বিভিন্ন জেলা থেকেই এমন অভিযোগ এসেছে যে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় ট্যাব বা মোবাইল কেনার টাকা থেকে বঞ্চিত বৃত্তিমূলক শিক্ষার্থীরা। সরকারি পোর্টালে পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্ত না থাকার কারণেই এই জটিলতা বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠলেও শিক্ষা দফতরের বক্তব্য, কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোলমাল হয়ে থাকলেও তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠিক হয়ে যাবে, সকলেই টাকা পাবে। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘বৃত্তিমূলক শাখার পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা এখনও আসেনি। বাংলা শিক্ষা পোর্টালে নাম নেই বলেই এই টাকা দেওয়া হচ্ছে না।’’

    আরও পড়ুন: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

     কী সাফাই দিল বিকাশ ভবন?

    শুধু বৃত্তিমূলক পড়ুয়ারাই নয়, বিভিন্ন জেলার কোথাও চার হাজার, কোথাও ছ’হাজার পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (Tab) এখনও টাকা পৌঁছয়নি। তবে এই টাকা না পৌঁছনোর কারণ হিসেবে বিকাশ ভবনের দাবি, অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল দেওয়া, অন্যের অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া এমন কারণেও অনেকের টাকা পৌঁছায়নি। ভুল অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়ায় অনেকের টাকা সেখানে চলে যাওয়ার ঘটনাও রয়েছে। তবে পুজোর ছুটি মিটে যেতেই দ্রুত সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছে বিকাশ ভবন। ৩০ অক্টোবর থেকেই সব পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে কি না তার খোঁজ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হাওড়া, দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু পড়ুয়া টাকা পাননি বলে অভিযোগ।

    সরকারি অর্থের অপচয়

    বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘বিদ্যালয়গুলোকে বাঁচাতে, পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে ও শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করতে যদি এর দশ ভাগের এক ভাগ (Tab) তৎপরতা দেখাত, তা হলে এই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটা বেঁচে যেত। সরকারি অর্থের অপচয় কী ভাবে করতে হয় তা এই সরকারের কাছ থেকে শেখা উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ!

    Kali Puja 2024: নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার কুঁড়ে ঘরে থাকতে ভালো লাগছে না, অতি তাড়াতাড়ি মন্দির তৈরি করে দে।” রাজাকে স্বপ্নাদেশ দেওয়ার পরে এতটুকুও বিলম্ব না করে মন্দির তৈরি করেন রাজা। এর পর থেকেই ১৫ ফুট উচ্চতার হাড়িকাঠে ১০৮টি মহিষ বলি দিয়ে শুরু হয় জাগ্রত দেবী মহিষখাগীর বিশেষ পুজো-অর্চনা (Kali Puja 2024)।

    তান্ত্রিকের হাতে পুজোর সূচনা

    নদিয়ার শান্তিপুর শহরের প্রায় ৩৫০ বছরের প্রাচীন মহিষখাগী কালীমাতার পুজোর ইতিহাস অনন্য। শোনা যায়, এই স্থানে এক তান্ত্রিকের হাতে পুজোর সূচনা হয়। পরবর্তীতে চ্যাটার্জি বংশের কাঁধে পুজোর দায়িত্বভার পড়ে। কিন্তু দেবীর মন্দির না থাকায় স্বপ্নাদেশে মন্দির নির্মাণ করেন স্বয়ং নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। বর্তমানে স্থানীয় বারোয়ারির তত্ত্বাবধানেই হয়ে আসছে এই জাগ্রত কালীমায়ের পুজো। প্রথমদিকে মন্দির ছিল একটি কুঁড়েঘরের আদলে। পুজোটি (Kali Puja 2024) আগে ছিল চ্যাটার্জি বংশের দায়িত্বে, পরে তাঁরা গত হলে বারোয়ারির হাতে দিয়ে যান পুজোর দায়িত্বভার। আগের মন্দির বহু প্রাচীন হয়ে যাওয়ায় এখন মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ হয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায়। শোনা যায়, বাঙালি বিয়ের রীতি অনুযায়ী পুজো করা হয় মহিষীখাগী কালীমা’কে। মাকে প্রথম পাটে তোলার সময় থাকে একাধিক নিয়মরীতি। পাটে তোলার পরে মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করে সেদিন ভোররাতে হয় দধিমঙ্গল। তারপরে অমাবস্যা শুরু হলে বিয়ের রীতি মেনেই পুজো করা হয় দেবীকে। পরের দিন পালন করা হয় বাসি বিয়ের রীতি। বাসি বিয়ের রীতি অনুযায়ী পূজিত হন মা। পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয় মা’কে নিরঞ্জনের জন্য।

    আগে এই পুজোয় উৎসর্গ করা হত মহিষকে (Kali Puja 2024)

    পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে জানা যায়, বহু বছর আগে এই পুজোয় উৎসর্গ করা হত মহিষকে, পরবর্তীতে হয় পাঁঠা বলি। তবে অনেক বছর আগে একবার পুজার্চনা করতে দেরি হয়ে যাওয়াতে বলি উৎসর্গের সময় পেরিয়ে যায়। সেই দিন থেকেই মহিষখাগী কালীমায়ের পুজোতে কোনও রকম বলি উৎসর্গ করা হয় না। সেই থেকেই বন্ধ হয়ে যায় মহিশখাগী মাতার পুজোতে বলি প্রথা। তবে নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে (Goddess Mahishkhagi) দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ। এই পুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করে সারা শান্তিপুরবাসী মেতে ওঠেন দীপাবলির আনন্দে। দেবীর নিরঞ্জনের ক্ষেত্র রয়েছে দেবী ও ভক্তদের মেলবন্ধন, ভক্তদের কাঁধে করেই নিরঞ্জনযাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয় দেবী মহিষখাগীকে। মনের ভক্তি ও মায়ের আবার আগমনীর আহ্বান জানিয়ে চিৎকার করতে থাকেন হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share