Tag: bangla news

bangla news

  • DMK: হিন্দুদের বাধা উপেক্ষা করে দু’দুটো মন্দির ভাঙল তামিলনাড়ু সরকার

    DMK: হিন্দুদের বাধা উপেক্ষা করে দু’দুটো মন্দির ভাঙল তামিলনাড়ু সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির ভাঙতে দেবেন না হিন্দুরা। প্রশাসনও পণ করেছে মন্দির ভাঙবেই। শেষমেশ এক প্রকার জোর করেই মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) ডিএমকে (DMK) সরকার। প্রতিবাদকারী হিন্দুরা দাঁড়িয়ে দেখলেন, এই সেদিনও যে মন্দিরে তিনবার করে পুজো হত, প্রশাসনের আর্থমুভারের ধাক্কায় সেই মন্দিরই পরিণত হল কিছু রাবিশে! রাজ্য সরকারের হিন্দু-বিরোধী মনোভাবে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় হিন্দুরা।

    ভাঙা হল দুই মন্দির (DMK)

    পোল্লাচি ও মন্দির নগরী মাদুরাইতে ছিল যথাক্রমে শক্তি বিনায়গর মন্দির ও কল্যাণ বিনায়গর মন্দির। মন্দির দুটিতেই প্রতিদিন তিনবার করে পুজো হত। স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করেই সেই মন্দির দুটি ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। পোল্লাচি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ছিল শক্তি বিনায়গর মন্দির। অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় ভেঙে ফেলা হয় মন্দিরটি। এলাকায় একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

    কী বলছেন স্থানীয়রা

    প্রশাসনের দাবি, রেলস্টেশনে ঢোকার মুখে থাকায় মন্দিরটি যানজটের কারণ হচ্ছিল। তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে সেটি। হিন্দু মুন্নানি সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মন্দিরটি এলাকায় রয়েছে দীর্ঘদিন। তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। প্রশাসনও আগাম তাঁদের মন্দির ভাঙার বিষয়ে কিছু জানায়নি। তাঁদের দাবি, মন্দিরটি তাঁদের দৈনিক ধর্মীয় আচার-আচরণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হতাশ স্থানীয় বাসিন্দা শিবকুমার। তিনি হিন্দু মন্নানির প্রতিনিধিও। তিনি বলেন (DMK), “মন্দির ভাঙা হবে শুনে আমরা প্যালাক্কাড় রেলওয়ে ডিভিশন ও পোল্লাচি সাব কালেক্টরের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলাম। মন্দিরটি ভাঙা হয়েছে চতুর্থীর দিন। তিথির দিক থেকে দিনটি অতি পবিত্র। এদিন বিশেষ পুজো হত ওই মন্দিরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে মন্দিরটির গুরুত্ব অপরিসীম।”

    মন্দির ভাঙা হল মাদুরাইয়েও

    তিনি বলেন, “মন্দিরটির কারণে যানজট হচ্ছে বলে যে যুক্তি দেখানো হচ্ছে, তা আদৌ ঠিক নয়।” তিনি জানান, হিন্দু মুন্নানী ছাড়াও মন্দির বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল ভারতীয় হনুমান সেনা, বিবেকানন্দ সেবা কেন্দ্র এবং অন্যান্য স্থানীয় কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন। তাদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই ভেঙে ফেলা হয় মন্দির। মন্দির ভাঙা হয়েছে মাদুরাইয়েও। সেখানকার সন্নিধি রাস্তায় অবস্থিত কল্যাণ বিনায়গর মন্দিরটি ভেঙে ফেলেছেন স্থানীয় প্রশাসন। মন্দিরটি ছিল তিরুপারানকুন্দ্রম মুরগান মন্দিরের কাছে। ভগবান মুরগানের ছয় আবাসের একটি এটি। এই মন্দিরটিও স্থানীয়দের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এখানেও মন্দির ভাঙার বিরুদ্ধে একজোট হন স্থানীয়রা। সব বাধা উপেক্ষা করেই ভগবানের আবাসস্থলটি ভেঙে ধূলিস্যাৎ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন (Tamilnadu)।

    পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

    দুটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, কর্তৃপক্ষ হিন্দু মন্দিরগুলো ভাঙার ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করছে। উন্নয়নের স্বার্থেও সংখ্যালঘু ধর্মীয় স্থানগুলি ভাঙার দুঃসাহস তারা দেখাচ্ছে না। তাঁদের দাবি, এলাকারই একটি জায়গায় মসজিদ ভাঙতে গিয়েছিল প্রশাসন। স্থানীয়দের বাধায় খালি হাতেই ফিরতে হয় প্রশাসনের আধিকারিকদের। তাঁদের দাবি, মসজিদটি অবৈধভাবে নির্মিত হওয়া সত্ত্বেও, সেটি দিব্যি রয়েছে। অথচ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দু’দুটো মন্দির।

    ভাঙা হয়নি মসজিদ

    অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল চেন্নাইয়ে মসজিদ-ই-হিদায়া মসজিদ। জুন মাসে সেটি ভাঙতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল প্রশাসনের আধিকারিকদের। স্থানীয় মুসলমানদের প্রতিবাদের কাছে নতি স্বীকার করে ফিরতে হয়েছিল তাঁদের। অথচ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই মসজিদটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও। স্থানীয়দের দাবি (DMK), তা সত্ত্বেও স্থানীয় মুসলমান সংগঠনের নেতৃত্ব ও মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে মসজিদ বাঁচিয়েও কীভাবে উন্নয়নের রাস্তা খোঁজা হয়েছিল, তা এলাকাবাসী জানেন। হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, হিন্দুদের মন্দির ভাঙার ক্ষেত্রে এসব কিছু করা হয় না প্রশাসনের তরফে।

    হিন্দুদের দাবি

    হিন্দু মুন্নানি নেতাদের দাবি, প্রশাসনের এই পক্ষপাতিত্বের ছাপ সর্বত্র স্পষ্ট। তাঁদের দাবি, ড্রাভিডিয়ান মডেল সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন বছরে ২৫০টিরও বেশি মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, অবৈধভাবে নির্মিত হলেও প্রশাসনের ধ্বংসের হাত থেকে রেহাই পায় মসজিদ এবং গির্জা। আদালতের নির্দেশ থাকলেও, সেগুলি ভাঙা হয় না। অথচ নির্বিচারে ধ্বংস করা হয় হিন্দু মন্দির।

    আরও পড়ুন: ভারতের বহু শহরে ‘রেল জিহাদ’-এর চক্রান্ত করছে পাক জঙ্গি, সতর্কবার্তা এনআইএ-র

    প্রসঙ্গত, গত বছরই (DMK) সেপ্টেম্বর মাসে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি এক জনসভায় বলেছিলেন, “দেখুন, কিছু জিনিসের বিরোধিতা করা যায় না। এটা একেবারে শেষ করে দিতে হয়। আমরা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, মশা, করোনার বিরোধিতা করতে পারি না। আমাদের এগুলো তাড়াতে হয়। সেই কারণেই আমাদের তাড়াতে হবে সনাতন ধর্মকে। ওই সনাতন ধর্মের আপত্তি না করে একে তাড়ানো দরকার।”

    পর পর দু’দুটো মন্দির ভেঙে, সেই প্রক্রিয়াই কি শুরু করল তামিলনাড়ু (Tamilnadu) সরকার (DMK)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে রাস্তা, ডেবরায় টিউবে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল রোগিণীকে

    Cyclone Dana: বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে রাস্তা, ডেবরায় টিউবে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল রোগিণীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ থেকে বিধায়ক সকলেই তৃণমূল। ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে তৃণমূলের সরকার চলছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদও শাসক দলের দখলে রয়েছে দীর্ঘদিন। কিন্তু, নিকাশির হাল ফেরেনি ডেবরা (Debra) ব্লকের ৫/১ অঞ্চলের বাড়াগড় এলাকায়। ডেবরা ব্লকের এই এলাকা ঘাটাল লোকসভার অধীনে রয়েছে। ঘাটালের সাংসদ রয়েছেন দেব। তিনিও এই এলাকার নিকাশি সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হননি বলে অভিযোগ। অল্প বৃষ্টিতেই ভেসে যায় পথ। ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টিতে তাই রাস্তা এখন আস্ত নদী। তখন এলাকায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভাবেই টিউবের উপর বসিয়ে রোগীকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। স্থানীয় বাসিন্দার প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ,  তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় থেকেও এতবছর যে নিকাশি সমস্যা সমাধানে কিছু করেনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cyclone Dana)

    তৃণমূল সরকারের উদাসীনতার খেসারত দিত হল ডেবরার স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী নায়েক ও তাঁর পরিবারকে। দিন দশেক আগে মা হয়েছেন লক্ষ্মী। শুক্রবার বাইরে তখন প্রচণ্ড বৃষ্টি (Cyclone Dana)। তার মধ্যে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সিজ়ার হওয়া রোগিণীকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু রাস্তার কোথাও কোমরসমান, তো কোথাও হাঁটুর উপর জল। উপায় কী? অগত্যা বাতিল হওয়া টিউবে রোগিণীকে চাপিয়ে পার করা হল জলমগ্ন রাস্তা। কোনওক্রমে রোগিণীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়নি। হাসপাতাল থেকে তাঁকে বাপের বাড়ি নিয়ে যান পরিজনেরা। অসুস্থ বধূকে টিউবে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: বিরাম নয় বারিধারায়! শনিবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয়দের (Cyclone Dana) বক্তব্য, “দীর্ঘদিন ধরে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে টিউবে চাপিয়ে জলমগ্ন রাস্তা পার করানো ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু, প্রশাসন এ বিষয়ে উদাসীন। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের বারবার বলা হলেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই, ফি-বছর বৃষ্টির সময় কাউকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হলে টিউবই আমাদের কাছে একমাত্র ভরসা।”

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    যদিও পঞ্চায়েত প্রধান পূর্ণিমা ভুঁইয়া বলেন, “চলতি মরসুমেই নিকাশি সংস্কারের (Cyclone Dana) লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে। যে পরিস্থিতিতে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তা মর্মান্তিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপাকে! জানুন তারাপীঠের মাহাত্ম্যকথা

    Kali Puja 2024: মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপাকে! জানুন তারাপীঠের মাহাত্ম্যকথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিপীঠ, সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (Tarapith)। কালীপুজোয় (Kali Puja 2024) জমজমাট থাকে বীরভূমের তারাপীঠ। অনেকে ভাবেন এটি সতীপীঠ কিন্তু তারাপীঠ সতীপীঠ নয়। কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি৷ দেবীও নিরাশ করেননি৷ এখানেই তাঁকে মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারামায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে এটি সিদ্ধপীঠ হিসেবেও পরিচিত। তাই অমাবস্যায় রীতি মেনে পুজো হয় এখানেও।

    কালীপুজোয় কেমন হয় তারামায়ের ভোগ (Kali Puja 2024)?

    সকালে স্নানের পর (Tarapith) দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়। পরানো হয় চুনরি। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি এবং নিত্যপুজো সম্পন্ন হয়। কালীপুজোর (Kali Puja 2024) দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। এখানে মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়৷ আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তারা। কালীপুজোর দিন ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা।

    সন্তানকে না খাইয়ে ভোগ গ্রহণ করেন না তারা মা

    দীপান্বিতা (Kali Puja 2024) অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। এরপর নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ। তারামায়ের যেভাবে ভোগ পুজো হয়, সেই একই ভাবে পুজো করা হয় শ্মশান কালীকে। শ্মশানেই রয়েছে মায়ের আসল শিলা পাদুকা। তার পাশে বামদেবের সমাধি। তারাপীঠের নিয়ম অনুযায়ী, সন্তানকে খাইয়ে তবেই তারা মা ভোগ গ্রহণ করেন। তাই বামদেবের ভোগ আগে দেওয়া হয়। ভোগের তালিকায় রয়েছে প্রেত ভোগও। ডাকিনী-যোগিনীদের উদ্দেশে দেওয়া এই ভোগ শ্মশানেই দেওয়া হয়। রাতে এক বারই এই ভোগের আয়োজন থাকে। বামদেবের খুব প্রিয় কুকুর ছিল শিবা। তার জন্যও থাকে বিশেষ ভোগের আয়োজন।

    তারা মা ভয়ঙ্কর রূপ দেখান সাধক বামাক্ষ্যাপাকে

    বামাক্ষ্যাপা শৈশবেই গৃহত্যাগ করে কৈলাশপতি বাবা নামে এক সন্ন্যাসীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। কৈলাশপতি বাবা তারাপীঠে থাকতেন। বামাক্ষ্যাপা তারাপীঠের (Kali Puja 2024) দ্বারকা নদের তীরে যোগ ও তন্ত্রসাধনা করেন। নিকটবর্তী মল্লরাজাদের মন্দিরময় গ্রাম মালুটি যা ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত, সেখানে যোগ সাধনা করতে যান। একই ভাবে দ্বারকার তীরে মৌলাক্ষী দেবীর মন্দিরে সাধনাকালে প্রায় ১৮ মাস অবস্থান করেন। এরপর নিজে ধর্মীয় গুরু হয়ে ওঠেন। ভক্তরাও বিশ্বাস করেন তিনি অলৌকিক শক্তির অধিকারী। তবে বাঁধাধরা নিয়ম কানুন মানতেন না তিনি। দেবতার নৈবেদ্য থেকে প্রসাদ খেয়ে নিতেন পুজোর আগেই। কথিত আছে নাটোরের মহারানিকে স্বপ্নে দেবী তারা মা আদেশ দিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়, বামাকে যেন আগে প্রসাদ খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে বামাক্ষ্যাপাকে পুজোর আগেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। আরও কথিত হয়, দেবী তারা মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখান সাধক বামাক্ষ্যাপাকে এবং সেই সময় তাঁকে কোলে তুলে নেন মা। এই তারাপীঠ শ্মশান এবং দুমকা জেলার মালুটি গ্রামে সাধাক বামাক্ষ্যাপার স্মৃতিমন্দির স্থাপন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dhanteras 2024: কাল ধনতেরাস, শুভ সময়ে ঘরে আনুন সোনা-রূপো, কিনুন ঝাঁটা! তবে ভুলেও কিনবেন না…

    Dhanteras 2024: কাল ধনতেরাস, শুভ সময়ে ঘরে আনুন সোনা-রূপো, কিনুন ঝাঁটা! তবে ভুলেও কিনবেন না…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পরই এবার কালীপুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বাঙালিরা। তবে, কালীপুজোর আগে রয়েছে ধনতেরাস (Dhanteras 2024)। আগে বেশিরভাগ সময়ে অবাঙালি হিন্দুদের মধ্যে এই পুজোর চল ছিল। এখন বাঙালিরাও ধনতেরাস পালন করেন। এই ধনতেরাসে শুভ মুহূর্তে সোনা সহ নানান সামগ্রী কিনে ধনলক্ষ্মীর কৃপা লাভের আশায় থাকেন ভক্তরা। 

    ধনতেরাসের দিন জিনিস কেনার আগে ভাবুন

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2024) দিন ভগবান ধন্বন্তরীর পুজো করা হয়। কথিত রয়েছে এই দিনে সমুদ্র মন্থন করে শ্রী ধন্বন্তরী অমৃত কলস নিয়ে আবির্ভূত হন। এই দিনে সোনা, রুপো সহ নানান ধাতু কেনা শুভ। এছাড়াও এমন বহু সামগ্রী রয়েছে, যা ধনতেরাসের দিন কেনা শুভ হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলি এই দিন একেবারেই কেনা উচিত নয়। এর ফলে সৌভাগ্যের বদলে দুর্ভাগ্য নেমে আসতে পারে। জেনে নেব এই দিন কী কেনা উচিত এবং কী কেনা উচিত নয়।

    ধনতেরাসে কী কী কেনা শুভ

    ধার্মিক মান্যতা অনুসারে ধনতেরাসে (Dhanteras 2024) ঝাড়ু কেনা খুবই শুভ। এই ঝাড়ুকে লক্ষ্মীদেবীর প্রতীক বলে মনে করা হয়। এই দিনে ঝাড়ু কিনলে আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই সময় জমি, বাড়ি কেনা যায় ও সোনা, রুপোও কেনা যায়। এছাড়াও গাড়িও কেনা যায়। কথিত রয়েছে, এই দিন যদি সোনা কেনা যায় তা হলে ধনসম্পত্তি তিন গুণ বৃদ্ধি পায়। রুপোর কয়েন বা রুপোর অন্যান্য জিনিস কেনাও এই দিন শুভ বলে মানা হয়। বিশেষ করে রুপোর গয়না যদি বাড়ির মহিলাদের উপহার দিতে পারেন তা হলে খুবই ভালো হয়। এই দিন বাড়িতে অবশ্যই নুন কিনবেন এবং সেই নুন দিয়েই বাড়ির সমস্ত রান্না করবেন। ধনতেরসের দিন গুড়ের বাতাসা, গাঁট হলুদ, কড়ি, গোমতীচক্র, জায়ফল, হরিতকি, সুপুরি, ধান এই কয়েকটা জিনিস কেনা অত্যন্ত শুভ। এই দিন বাড়িতে গণেশ-লক্ষ্মীর মূর্তি কেনা অত্যন্ত শুভ।

    আরও পড়ুন: আকাশ প্রদীপ জ্বালালে সন্তুষ্ট হন ভগবান বিষ্ণু, পূরণ করেন ভক্তের মনস্কামনা

    ধনতেরাসের দিন কী কী কিনবেন না

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2024) দিন লোহা এবং কাচের তৈরি কোনও জিনিস কিনবেন না। এই দিন বাড়িতে কোনও পাত্র কিনে খালি অবস্থায় আনবেন না, তাতে কিছু জিনিস ভরে তবেই বাড়িতে আনবেন। এই দিন নকল সোনার জিনিস অর্থাৎ নকল গয়না কিনবেন না। এই দিন অ্যালুমিনিয়ামের কোনও জিনিস বাড়িতে কিনে আনবেন না। এতে মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হন।  ধনতেরাসের দিন কোনও ধারালো জিনিস কেনা উচিত নয়। অর্থাৎ ছুরি, কাঁচি, ব্লেড জাতীয় কোনও ধারালো জিনিস না কেনাই ভালো। তা দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে। ধনতেরাসের দিন ধাতুর জিনিস কেনার চল রয়েছে। কিন্তু তাই বলে এই দিনে কোনও রকম প্লাস্টিকের জিনিস কিনবেন না। ধনতেরাসের পুজো করতে গেলে ঘি, তেল লাগবেই। কিন্তু তা আগে থেকে কিনে রাখুন। এই দিনে তেল, ঘি কিনবেন না। পোশাক কিনলেও মনে রাখবেন তার রং যেন কালো না হয়। এদিন কোনও ব্যক্তিকে টাকা ধার দেবেন না কারুর থেকে ধার নেবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Board: গ্রামের ১২০০ একর জমিই নাকি ওয়াকফ সম্পত্তি! কর্নাটক সরকারের নোটিশ ঘিরে বিতর্ক

    Waqf Board: গ্রামের ১২০০ একর জমিই নাকি ওয়াকফ সম্পত্তি! কর্নাটক সরকারের নোটিশ ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের বিজয়পুরা জেলার ১২০০ একর জমি নাকি ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) অন্তর্গত! এ নিয়েই বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর কর্নাটক সরকার নোটিশ পাঠায় স্থানীয় কৃষকদের, যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এমন নোটিশ পাওয়ার পরেই স্থানীয় কৃষকরা কর্নাটক সরকারের মন্ত্রী এমবি পাতিলের কাছে পিটিশন জমা দেন এবং ওই জমি নিজেদের বলেই দাবি করেন চাষীরা (Farmers Protest)। জানা গিয়েছে, জমিগুলির অবস্থান হল কর্নাটকের, বিজয়পুরা জেলার তিকোটা তালুকের হোনওয়াদা গ্রামে। কৃষকদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এই জমি তাঁদের অধিকারে রয়েছে। এমন নোটিশ পাওয়ার পর তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা আরও দাবি করেছেন যে, ওয়াকফ বোর্ড ওই ১,২০০ একর জমিকে তাদেরই একটি প্রতিষ্ঠান শাহ আমিনুদ্দিন দরগার জমি বলে নোটিশে (Waqf Board) উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস সরকারের তহসিলদার নোটিশে জানিয়েছে যে, পুরনো সরকারি নথি ঘেঁটে জানা গিয়েছে, ওই জমিগুলি আসলে ওয়াকফ বোর্ডের।

    কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার ও ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) বৈঠক  

    কর্নাটক রাজ্যের কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের আবাসন ওয়াকফ ও সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী জমির আহমেদ খান, চলতি মাসেই ওয়াকফের জমি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন, সেই বৈঠকেই নাকি আলোচনা হয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের জমি থেকে অবৈধ দখল অপসারণ করা হবে। যার ফলেই এমন বিতর্কিত নোটিশ জারি করেছে কংগ্রেস সরকার।

    ৪১ জন কৃষককে নোটিশ, হুঁশিয়ারি চাষীদের (Farmers Protest)

    নোটিশ পাওয়ার পরে চাষীরা জানিয়েছেন যে, জমিটি শাহ আমিনুদ্দিন দরগার বলে দাবি করা হচ্ছে বটে। কিন্তু এই দরগার কয়েকশো বছর ধরে অস্তিত্ব নেই এবং কৃষক পরিবারগুলি কয়েক পুরুষ ধরে এই জমির মালিকানা ভোগ করছেন। প্রসঙ্গত, ওই গ্রামের ৪১ জন কৃষককে এই নোটিশ পাঠিয়ে জমির মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সরকারি অফিসে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষকরা বলছেন, ‘‘আমরাই তো জমির আসল মালিক। যদি সরকার এই নোটিশ প্রত্যাহার না করে, তাহলে ব্যাপক কৃষক আন্দোলন গড়ে উঠবে।’’ হোনওয়াদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শঙ্করাপ্পা টুডিগাল এ বিষয়ে জানিয়েছেন যে, তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত।

    কী বলছেন ওয়াকফ বোর্ডের আধিকারিকরা

    অন্যদিকে, ওয়াকফ বোর্ডের আধিকারিকদের দাবি, ১৯৭৪ সালে যে গেজেট ঘোষণা করা হয়েছিল, তার ওপর ভিত্তি করেই নোটিশগুলি পাঠানো হয়েছে এবং জমিটি রাজ্য সরকার বর্তমানে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছে। তবে ওয়াকফ বোর্ডের আধিকারিকরা স্বীকার করছেন যে, কিছু নোটিশ ভুলবশত কৃষকদের পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিজয়পুরা ওয়াকফ বোর্ডের একজন আধিকারিক তাবাসসুম জানিয়েছেন, যদি কৃষকরা তাঁদের জমির বৈধ রেকর্ড দেখাতে পারেন, তবে ওয়াকফ বোর্ড সেই জমির ক্ষেত্রে কোনও রকমের পদক্ষেপ করবে না।

    কৃষকদের শান্ত থাকার আহ্বান কংগ্রেসের মন্ত্রীর

    কিন্তু বিজয়পুরা জেলার স্থানীয় কৃষকরা একেবারেই নাছোড়বান্দা। তাঁরা সরকারকে ক্রমাগত বিক্ষোভ-আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েই চলেছেন। একইসঙ্গে তাঁরা জোরালো দাবি করছেন, সমস্যার সমাধান খুব দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। শুধু তাই নয়, গ্রামের ওই ৪১ জন কৃষক বাদে অন্যান্য চাষিরাও যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন। বাকি চাষীরা আশঙ্কিত যে কোনও সময় তাঁরাও নোটিশ পেতে পারেন এবং একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। হোনওয়াদা গ্রামের কৃষকরা দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল তৈরি হয়েছে যে কর্নাটকের মন্ত্রী এমবি পাতিল নিজের সমাজ মাধ্যমের পাতায়, বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছেন। তিনি কৃষকদের আশ্বাস দিয়েছেন, ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে যা সম্পর্কিত নয় এমন কোনও ব্যক্তিগত জমি বা সম্পত্তিকে সরকার অধিগ্রহণ করবে না। এর পাশাপাশি মন্ত্রী ওই পোস্টে আরও বলেছেন, ‘‘যদি কোনও জমি ভুল ভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Board)  হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে, তা সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন এবং কৃষকদের সমস্যার সমাধানের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। কৃষকদেরকে শান্ত থাকতেও আবেদন করেছেন এমবি পাতিল।

    বিজেপির তোপ কংগ্রসকে

    অন্যদিকে, কর্নাটকের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে এই সরকার কৃষক বিরোধী এবং ওয়াকফ বোর্ডের পদক্ষেপকেই সমর্থন করছে। কন্নড় ভাষায় একটি এক্স হ্যান্ডেলের পোস্ট রাজ্য বিজেপির অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে এবং সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘কংগ্রেস সরকারের অনুপ্রেরণায় ওয়াকফ বোর্ড এখন কৃষকদের জমি দখল করার চেষ্টা করছে। এটা তোষণের রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dhanteras 2024: ধনতেরাসে বিধি মেনে পুজোয় অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি, লাভ হয় অপার ঐশ্বর্য

    Dhanteras 2024: ধনতেরাসে বিধি মেনে পুজোয় অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি, লাভ হয় অপার ঐশ্বর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ধনতেরাস (Dhanteras 2024) পালিত হয়। এদিন নতুন বাসন, অলঙ্কার, ইত্যাদি কেনা শুভ মনে করা হয়। ‘ধন’ শব্দের মানে সম্পত্তি। ত্রয়োদশী শব্দের অর্থ হিন্দু ক্যালেন্ডারের ১৩ তম দিন। দীপাবলির সময় লক্ষ্মীপুজোর দুই দিন আগে ধনতেরাস হয়। বলা হয়, ধনতেরাসের দিন দেবী লক্ষ্মী তাঁর ভক্তদের গৃহে যান ও তাঁদের ইচ্ছাপূরণ করেন। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে এই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা এদিন দামি ধাতু কেনেন। সম্পদের দেবতা কুবেরও এ দিন পূজিত হন।

    কেন পালিত হয় ধনতেরাস

    পুরাণ অনুযায়ী, সমুদ্র মন্থনের সময় এই তিথিতেই হাতে অমৃত কলস নিয়ে ধন্বন্তরী প্রকট হন। কথিত আছে, ইন্দ্রের অভদ্র আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে মহর্ষি দুর্বাসা তিন লোককে শ্রীহীন হওয়ার অভিশাপ দেন। এর ফলে পৃথিবী থেকে নিজের লোকে গমন করেন অষ্টলক্ষ্মী। জগৎ সংসারে শ্রী প্রতিষ্ঠার জন্য সমুদ্র মন্থনের পরামর্শ দেন শিব। সমুদ্র মন্থনের ফলে ১৪টি প্রমুখ রত্নের উৎপত্তি হয়। চতুর্দশ রত্ন হিসেবে স্বয়ং অমৃত কলশ নিয়ে ধন্বন্তরী প্রকট হন। এর ঠিক দুদিন পর প্রকট হন লক্ষ্মী। তাই ধনতেরাসের (Dhanteras 2024) দুদিন পর দীপাবলীতে লক্ষ্মী পুজো করা হয়।

    ধন্বন্তরীর উপাসনা 

    বিষ্ণু ধন্বন্তরীকে দেবতাদের বৈদ্য ও বনস্পতি এবং ঔষধির অধিপতি নিযুক্ত করেন। তাঁর আশীর্বাদেই সমস্ত বৃক্ষ ও বনস্পতির মধ্যে রোগনাশক শক্তির সঞ্চার হয়।  জনকল্যানের জন্য ধন্বন্তরীই অমৃতময় ঔষধির খোঁজ করেন। মহর্ষি বিশ্বামিত্রের পুত্র সুশ্রুত তাঁর শিষ্য ছিলেন। সুশ্রুতই আয়ুর্বেদের মহানতম গ্রন্থ সুশ্রুত সংহিতার রচনা করেন। এদিন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ধন্বন্তরীর উপাসনা করা হয়। পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী, ধনতেরাসের দিনে বিধি মেনে পুজো করলে ও দীপ দান করলে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    পৌরাণিক আখ্যান

    কথিত আছে, রাজা হিমার ১৬ বছরের ছেলের এক অভিশাপ ছিল। তার কুষ্টিতে লেখা ছিল, বিয়ের চার দিনের মাথায় সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হবে। তার স্ত্রীও জানত সেই কথা। তাই সেই অভিশপ্ত দিনে সে তার স্বামীকে সে দিন ঘুমোতে দেয়নি। শোয়ার ঘরের বাইরে সে সমস্ত গয়না ও সোনা-রূপার মুদ্রা জড়ো করে রাখে। সেই সঙ্গে সারা ঘরে বাতি জ্বালিয়ে দেয়। স্বামীকে জাগিয়ে রাখতে সে সারারাত তাকে গল্প শোনায়, গান শোনায়। পরের দিন যখন মৃত্যুর দেবতা যম তাদের ঘরের দরজায় আসে, আলো আর গয়নার জৌলুসে তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে যায়। রাজপুত্রের শোয়ার ঘর পর্যন্ত তিনি পৌঁছন ঠিকই। কিন্তু সোনার উপর বসে গল্প আর গান শুনেই তাঁর সময় কেটে যায়। সকালে কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যান তিনি। রাজপুত্রের প্রাণ বেঁচে যায়। পরদিন সেই আনন্দে ধনতেরাস (Dhanteras 2024) পালন শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: আকাশ প্রদীপ জ্বালালে সন্তুষ্ট হন ভগবান বিষ্ণু, পূরণ করেন ভক্তের মনস্কামনা

    এই বছর ধনতেরাসের যোগ

    চলতি বছর,২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার পড়ছে ধনতেরাস (Dhanteras 2024) । ২৯ অক্টোবর, সকাল ১০.৩১ মিনিটে ধনতেরাস শুরু হবে। ৩০ অক্টোবর ধনতেরাসের তিথি শেষ হবে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে। উদয়া তিথি অনুসারে ২৯ অক্টোবর ধনতেরাস পালিত হবে। ভারতে ধনতেরাস উত্সব উদযাপিত হয় সোনা, রুপো বা বাসন কিনে। একে সৌভাগ্যের লক্ষণ বলা হয়। নতুন জামাকাপড়ও এ সময় কেনে মানুষ। এরপর করা হয় লক্ষ্মী পুজো। চারিদিকে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীর আরাধনা করা হয়। এদিন ধন- সমৃদ্ধির জন্য কুবেরেরও পুজো করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: ছিল ছেলে হল মেয়ে! সদ্যোজাত বদলের অভিযোগে তোলপাড় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল

    North Bengal Medical: ছিল ছেলে হল মেয়ে! সদ্যোজাত বদলের অভিযোগে তোলপাড় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিতর্কে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ। এবার শিশু (Newborn Babies) বদলের চেষ্টার অভিযোগ। জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সদ্যোজাতর লিঙ্গের পরিচয় বদলে দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার শোরগোল পড়ে যায়। হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রসূতির বাড়ির লোকজন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North Bengal Medical)

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ফাঁসিদেওয়ার (North Bengal Medical) শৈলানি জ্যোতের বাসিন্দা বৃষ্টি বিশ্বাস নামে এক প্রসূতি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।  তাঁর পরিবারের অভিযোগ, জন্মের পরপরই তাঁদের ডেকে পুত্র সন্তান দেখানো হয়েছে। শুক্রবার বলা হয়, কন্যা সন্তান হয়েছে। এখবর পেয়ে ওই প্রসূতির পরিবারের লোকজন উত্তরবঙ্গ মোডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে এসে জনে জনে জবাবদিহি করেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রসূতির এক আত্মীয়া ললিতা বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমাদের মেয়ে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। সঙ্গে সঙ্গে লেবার রুমে আমাদের ডেকে দেখানো হয় ছেলে হয়েছে। সেই মতো একটি কাগজে ফর্ম ফিলআপ করে দিয়ে জরুরি বিভাগে জমা দিয়ে ভর্তির টিকিট আনতে বলা হয়। সব করে এদিন ভোরে বাড়ি ফিরে যাই। তার কিছুক্ষণ বাদে হাসপাতাল থেকে আমাদের খবর দেওয়া হয় বৃষ্টির ছেলে নয়, মেয়ে হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রথমে খারাপ ব্যবহার করা হয়। পরে, চেপে ধরতেই প্রসূতি বিভাগের নার্স ও কর্মীরা ভুল স্বীকার করে জানান, পূত্র সন্তানই হয়েছে। লেখার ভুলে এই বিভ্রান্তি। সেই সদ্যোজাত এসএনসিইউতে রয়েছে। গিয়ে দেখে আসতে বলা হয়।  সেই মতো এসএনসিইউতি গিয়ে মেয়ের পূত্র সন্তান দেখে আমরা শান্ত হই।’’

    আরও পড়ুন: বিরাম নয় বারিধারায়! শনিবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী সাফাই দিল?

    এই ঘটনায় হাসপাতালের (North Bengal Medical) লেবার রুমে স্বাস্থ্য কর্মীদের শিশু বদল চক্রের সঙ্গে  যুক্ত থাকার অভিযোগ জোরালো হতে শুরু করেছে। কয়েক বছর আগে প্রসূতি বিভাগ থেকে এক সদ্যোজাতের চুরি যাওয়ার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়েছিল। পরে পুলিশ উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার এক পরিবার থেকে সেই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করলেও প্রসূতি বিভাগের চূড়ান্ত গাফিলতির দিকটি আড়াল করা যায়নি। এবার শিশু বদলের চেষ্টার অভিযোগে ফের গাফিলতির দিকটি প্রকাশ্যে আসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে। হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সুপার নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে প্রতিদিনই অনেক শিশুর জন্ম হচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তবে ফাঁসি দেওয়ার এক মহিলাকে প্রথমে পুত্র সন্তান দেখিয়ে পরে কন্যা সন্তান হওয়ার কথা বলার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। কেন এমনটা হল, কোথাও গাফিলতি রয়েছে কিনা আমরা তা খতিয়ে দেখছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 175: “মনের গুণে হনুমান সমুদ্র পার হয়ে গেল, আমি রামের দাস, রামনাম করেছি, আমি কি না পারি!”

    Ramakrishna 175: “মনের গুণে হনুমান সমুদ্র পার হয়ে গেল, আমি রামের দাস, রামনাম করেছি, আমি কি না পারি!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল
    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব

    নাম-মাহাত্ম্য—উপায়—মায়ের নাম 

    আন্তরিক ভক্তি ও দেখানো ভক্তি—ঈশ্বর মন দেখেন 

    যেমন ভাব তেমনি লাভ। দুজন বন্ধু পথে যাচ্ছে। এক যায়গায় ভাগবত পাঠ হচ্ছিল। একজন বন্ধু বললে, ‘এস ভাই, একটু ভাগবত শুনি।’ আর-একজন একটু উঁকি মেরে দেখল। তারপর সে সেখান থেকে চলে গিয়ে বেশ্যালয়ে গেল। সেখানে খানিকক্ষণ পরে তার মনে বড় বিরক্তি এল। সে আপনা-আপনি বলতে লাগল, ‘ধিক্‌ আমাকে! বন্ধু আমার হরি কথা শুনছে, আর আমি কোথায় পড়ে আছি!’ এদিকে যে ভাগবত (Ramakrishna) শুনছে, তারও ধিক্কার হয়েছে। সে ভাবছে, ‘আমি কি বোকা! কি ব্যাড় ব্যাড় করে বকছে, আর আমি এখানে বসে আছি! বন্ধু আমার কেমন আমোদ-আহ্লাদ করছে।’ এরা যখন মরে গেল, যে ভাগবত শুনেছিল, তাকে যমদূত নিয়ে গেল; যে বেশ্যালয়ে গিছিল, তাকে বিষ্ণুদূত বৈকুণ্ঠে নিয়ে গেল।

    ভগবান (Kathamrita) মন দেখেন। কে কি কাজে আছে, কে কোথায় পড়ে আছে তা দেখেন না। ভাবগ্রাহী জনার্দন।

    কর্তাভজারা মন্ত্র দিবার সময় বলে এখন ‘মন তোর’। অর্থাৎ এখন সব তোর মনের উপর নির্ভর করছে।

    তারা বলে, যার ঠিক মন, তার ঠিক করণ, তার ঠিক লাভ।

    মনের গুণে হনুমান সমুদ্র পার হয়ে গেল। আমি রামের দাস, আমি রামনাম (Ramakrishna) করেছি, আমি কি না পারি!’ এই বিশ্বাস

    কেন ঈশ্বরদর্শন হয় না? অহংবুদ্ধির জন্য 

    যতক্ষণ অহংকার ততক্ষণ অজ্ঞান। অহংকার থাকতে মুক্তি নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) বড় পদক্ষেপ করল ইডি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের মামলায় ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে একটি পোস্ট করেছে। যেখানে কয়েকশ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হয়েছে। 

    কত কোটা টাকার সম্পত্তি

    শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী কাজল সোনি রায়ের নামে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে একাধিক হোটেল, রিসর্টও। বাজেয়াপ্ত করা মোট সম্পত্তির মূল্য ১৬৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ইডি যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, তা মূলত প্রসন্ন এবং তাঁর স্ত্রীর নামে থাকলেও একটি সংস্থার ভাগও তাতে রয়েছে। শ্রী দুর্গা ডিলকম প্রাইভেট লিমিটেডের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে। ইডি জানিয়েছে, ওই সংস্থাটি প্রসন্নই নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করতেন। এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ফলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি মামলায় ইডির বাজেয়াপ্ত করা মোট অর্থ এবং সম্পত্তির মূল্য দাঁড়াল ৫৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। 

    ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ

    আদালতের নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ (SSC Scam) সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। বিপুল আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডি। আর এই তদন্ত নেমেই ‘মিডলম্যান’ হিসাবে প্রসন্ন রায়ের খোঁজ পান আধিকারিকরা। দীর্ঘ জেরার পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন প্রসন্ন। অন্যদিকে, ইডির তরফেও বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হয়। তদন্তকারীরা প্রসন্নর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পান। যা একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠদের মোট ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির ফরেন্সিক অডিট করিয়েছিল সিবিআই। চার্জশিটে ইডির দাবি, অ্যাকাউন্টগুলিতে ৭২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ইডি আরও জানায়, প্রসন্নর স্ত্রীর আয়ের অন্য কোনও উৎস নেই। তাঁর অ্যাকাউন্টেও দু’কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভারতের বহু শহরে ‘রেল জিহাদ’-এর চক্রান্ত করছে পাক জঙ্গি, সতর্কবার্তা এনআইএ-র

    NIA: ভারতের বহু শহরে ‘রেল জিহাদ’-এর চক্রান্ত করছে পাক জঙ্গি, সতর্কবার্তা এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রেল জিহাদ’ (Rail Jihad) চক্রান্ত করছে পাকিস্তানের এক জঙ্গি। তার পর থেকেই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। সূত্রের খবর, ট্র্যাক পর্যবেক্ষণকারী গ্যাংম্যানদের, নিরাপত্তা কর্মী ও লোকো পাইলটদের এ ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে।

    রেল জিহাদ (NIA)

    পাক গোয়েন্দা সংস্থার মদতপুষ্ট ফরহাতুল্লা ঘোরি নামে এক জঙ্গি সম্প্রতি টেলিগ্রাম সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে। সেই পোস্টে বলা হয়, দিল্লি, মুম্বই-সহ ভারতের নানা জায়গায় রেলে নাশকতা ঘটানোর জন্য এ দেশে (ভারতে) তার সমর্থকদের ডাক দেয়। ফিঁদায়ে যুদ্ধের ডাক দিয়ে রেলের মতো দুর্বল জায়গায় আঘাত করার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনারই নাম হয়েছে ‘রেল জিহাদ’।

    পাঠানো হয়েছে সতর্কবার্তা 

    গোয়েন্দাদের বক্তব্য, জুলাই মাসে ওই ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই রেলে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা হঠাৎই বেড়ে গিয়েছে। এর পরেই ট্র্যাক পর্যবেক্ষণকারী গ্যাংম্যান, নিরাপত্তা কর্মী ও লোকো পাইলটদের সচেতন করা হয়েছে। সরকারি এক সূত্রের খবর, যদিও হুমকির আশঙ্কা বড় শহরগুলির জন্য, মহারাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাজ্যেও যেখানে নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে, সেখানেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রেলে ছ’টিরও বেশি সন্দেহজনক দুর্ঘটনার পর রেল প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রত্যাঘাত ইজরায়েলের! নিশানায় ইরানের সামরিক ঘাঁটিগুলি, হামলা সিরিয়াতেও

    সম্প্রতি মাইসুরু-দ্বারভাঙা বাগমতী এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। তার পরেই এনআইএ (NIA) এর আধিকারিকরা চেন্নাইয়ের কাছাকাছি দুর্ঘটনাস্থলে যান। গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাস্থলগুলি তদন্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ফাররুখবাদ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাও। এ ক্ষেত্রে রেললাইনের ওপর একটি গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়েছিল। অগাস্টে রাজস্থানের পালি জেলায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যাওয়ার পথে রেললাইনের ওপর রাখা হয়েছিল সিমেন্টের ব্লক। এক আধিকারিক বলেন, “ট্রেনে এসকর্ট দল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির জন্য কোচের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বজায় রাখা হয়েছে।” নিরাপত্তা সংস্থা সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা ট্র্যাকে কংক্রিটের পাথর, লোহার রড এবং গ্যাস সিলিন্ডার রেখে বাধা সৃষ্টি করছে, যা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তিনি বলেন, “জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি বনভূমি বা পরিত্যক্ত জমির মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ট্র্যাকগুলিকে লক্ষ্যবস্তুতে (Rail Jihad) পরিণত করছে (NIA)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share