Tag: bangla news

bangla news

  • BSNL: ‘কানেক্টিং ইন্ডিয়া’ থেকে বিএসএনএল এখন ‘কানেক্টিং ভারত’, সঙ্গে নয়া ৭ প্ল্যানও

    BSNL: ‘কানেক্টিং ইন্ডিয়া’ থেকে বিএসএনএল এখন ‘কানেক্টিং ভারত’, সঙ্গে নয়া ৭ প্ল্যানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রূপ বদল বিএসএনএলের (BSNL)! ‘কানেক্টিং ইন্ডিয়া’ থেকে এবার ‘কানেক্টিং ভারত’ (Connecting Bharat)। ট্যাগ লাইন বদলের পাশাপাশি পরিবর্তন হয়েছে লোগোরও। ইতিমধ্যেই ৪জি পরিষেবা চালু করে সরকারি এই টেলিকম সংস্থা। এবার দেশবাসীকে ৫জি পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ইতিমধ্যেই চালু করে দিয়েছেন নয়া লোগো। নতুন এই লোগোয় জাতীয় পতাকার তিনটি রং প্রতিফলিত হয়েছে। গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ। ‘কানেটিং ইন্ডিয়া’র বদলে ট্যাগ লাইন হয়েছে ‘কানেক্টিং ভারত’। বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে তাল মেলাতে ৭টি নতুন প্ল্যান লঞ্চও করতে চলেছে বিএসএনএল।

    নয়া প্ল্যান (BSNL)

    স্প্যাম কল: নাগরিকদের উন্নতমানের মোবাইল পরিষবা প্রদানের জন্য বিএসএনএল স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্প্যাম কলগুলিকে ব্লক করতে একটি প্রযুক্তি চালু করেছে। গ্রাহকরা এর সাহায্যে সহজেই অপ্রয়োজনীয় কল এড়াতে পারবেন।

    ফাইবার ভিত্তিক টিভি পরিষেবা: ফাইবার ব্রডব্যান্ডের গ্রাহকরা ৫০০টিরও বেশি টিভি চ্যানেলে লাইভ দেখতে পারেন। এর মধ্যে সুপার অফার হল বিএসএনএল ফাইবার ব্রডব্যান্ড ডেটার খরচ ধরা হবে না।

    নিখরচায় ওয়াই-ফাই রোমিং পরিষেবা: বিএসএনএল ফাইবার ব্রডব্যান্ড গ্রাহকরা দেশের যেখানেই যান না কেন, তাঁরা সর্বত্র বিনামূল্যে বিএসএনএল হটস্পট পাবেন। তাই সব সময় মোবাইল ডেটা খরচ না করলেও চলবে।

    ডিরেক্ট টু ডিভাইস

    ডিরেক্ট টু ডিভাইস: দেশের মধ্যে প্রথম ডিরেক্ট টু ডিভাইস সংযোগও (BSNL) চালু করেছে বিএসএনএল। স্যাটেলাইট ও মোবাইল নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করবে এটি। যেসব এলাকায় আন্তঃসংযোগ পরিষেবা নেই, সেখানেও তা চালু হবে। ফলে গ্রাহকরা পাবেন জরুরি কল, ডিজিটাল পরিষেবা।

    স্বয়ংক্রিয় কিয়স্ক: স্বয়ংক্রিয় কিয়স্ক স্থাপন করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে বিএসএনএলের তরফে। দেশবাসী যাতে নিজের পছন্দ মতো বিএসএনএল সিম কার্ড কিনতে পারেন এবং সেটা রিচার্জ করতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।

    ৫জি নেটওয়ার্ক:  বিএসএনএলও ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করতে চলেছে। সি-ডিএসি নামে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে। মাটির নীচেও যাতে নেটওয়ার্ক থাকে, তাই।

    আরও পড়ুন: দেশের ৯৫ শতাংশ জমি ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে, জানালেন শিবরাজ সিং চৌহান

    পছন্দ মতো মোবাইল নম্বর: গ্রাহকরা তাঁদের পছন্দ মতো মোবাইল নম্বরও পেতে পারবেন। ৯৪৪৪১৩৩২৩৩ এর মতো বিশেষ নম্বরও কিনতে পারবেন। ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা চালু (Connecting Bharat) হয়ে গিয়েছে চেন্নাই, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় (BSNL)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assembly Election 2024: মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে আসনরফা চূড়ান্ত, কোন আসনে লড়বেন শিন্ডে, অজিত?

    Assembly Election 2024: মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে আসনরফা চূড়ান্ত, কোন আসনে লড়বেন শিন্ডে, অজিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2024)। তার আগে রয়েছে দেওয়ালি। তাই উৎসব শুরুর আগেই বিজেপির সঙ্গে আসনরফা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা ও এনসিপি (অজিত)। এই আবহে বুধবার মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটে (Maharashtra) প্রথম দফায় ৪৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা। উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের এনসিপি (অজিত) ৩৮টি বিধানসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

    কোথায় লড়বে কে

    তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে ঠাণে জেলার কাপরি–পাচপাখিড়ি আসনে লড়বেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা তিনটি বিধানসভা ভোটে অবিভক্ত শিবসেনার প্রার্থী হিসেবে ওই আসনে জিতেছেন তিনি। শিন্ডে শিবিরের মুখপাত্র সদা সরভঙ্কর তাঁর পুরনো আসন মুম্বইয়ের ফাহিম থেকে লড়বেন। সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শিবসেনার প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরের পুত্র অমিত। এছাড়া মনীষা রবীন্দ্র ওয়েকার লড়বেন যোগেশ্বরী–পূর্ব থেকে। সুহাস দ্বারকানাথ কান্দে (নন্দগাঁও), প্রদীপ শিবনারায়ণ জয়সওয়াল (ছত্রপতি সম্ভাজিনগর–মধ্য) থেকে লড়বেন। অন্যদিকে, এনসিপি প্রধান তথা উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত লড়বেন তাঁর পুরনো আসন বারামতী থেকে। নাসিকের ইয়েলার বিদায়ী বিধায়ক, শিন্ডে মন্ত্রিসভার সদস্য ছগন ভুজবল এ বারও সেখান থেকেই প্রার্থী।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা!” তোপ বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখরের

    পুরোদমে প্রচার শুরু

    মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের (Maharashtra Assembly Election 2024) আর প্রায় এক মাস বাকি। পুরোদমে প্রচারে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় ৯৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। আগামী ২০ নভেম্বরে এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। সেখানে শাসকজোটের বৃহত্তম দল বিজেপি লড়ছে ১৫৫টি আসনে। শিন্ডে সেনা ৭৮ এবং এনসিপি (অজিত) ৫৫টিতে লড়ছে। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’ এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ফণী থেকে আমপান, গত ২৫ বছরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ওড়িশায়, বাদ যায়নি বাংলাও

    Cyclone Dana: ফণী থেকে আমপান, গত ২৫ বছরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ওড়িশায়, বাদ যায়নি বাংলাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফণী থেকে বুলবুল সহ আমপানের মতো প্রায় ২৫ বছরে ডজনখানেক ঘূর্ণিঝড় দেখেছে ওড়িশা (Odisha)। এই রাজ্য বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত। তাই নিম্নচাপ, ঝড়, তুফান প্রতি বছর একটা বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাজ্য বাংলার প্রতিবেশী। ওড়িশার প্রভাব বাংলায় তাই ব্যাপক ভাবে পড়ে। প্রত্যেক বছরে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় এই দুই রাজ্য। বাংলাও আয়লা, আমপান ঝড়ে প্রভাবিত হয়েছিল। এবার আসছে দানা (Cyclone Dana)। কতটা পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি করবে তা আছড়ে পড়ার পরই নির্ণয় করা যাবে।

    সুপার সাইক্লোন ছিল ভয়ঙ্কর (Cyclone Dana)

    ওড়িশা আর ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) যেন সমর্থক হয়ে গিয়েছে। উপকূলে ব্যাপক পরিমাণে সম্পত্তি এবং প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই আগে ভাগেই উপকূলের গ্রাম থেকে মানুষকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই রাজ্যে আগে যেসব ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৯৯ সালে ‘সুপার সাইক্লোন’। টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলেছিল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ২৬৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ওই সময় সবথেকে বেশি ক্ষতিহয়েছিল জগতসিংহপুর। সমুদ্রের কাছে অদূরে পদমপুরে গ্রামগুলি তছনছ হয়ে গিয়েছিল। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। সমুদ্রে ভেসে গিয়েছিল বহু গ্রাম। মৃত্যু হয়েছিল মোট ৮১১৯ জনের। এবার ওই ঝড়ের আতঙ্ক যেন ফের একবার ফিরে এসেছে। দানার আতঙ্কে মানুষের ঘুম উড়ে গিয়েছে।

    গোপালপুরে এই ঝড়ের গতি ছিল ২৪০ কিমি

    এই ১৯৯৯ সালের ঝড়ের (Cyclone Dana) পর ওড়িশা (Odisha) রাজ্যের এখনও পর্যন্ত মোট ১২টি ঝড় দেখা গিয়েছে। ২০১৩ সালে ১২ অক্টোবর ‘ফাইলিন’ আঘাত হেনেছিল ওড়িশায়। ঝড়ে বাড়িঘর, চাষের জমি, দোকান, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে গঞ্জাম, পুরী, খুর্দা জেলায় ব্যাপক ধবংসলীলা চলে। গোপালপুরে এই ঝড়ের গতি ছিল ২৪০ কিমি। ২০১৪ সালে ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল হুদহুদ। ১২ অক্টোবর বিশাখাপত্তনমে আছড়ে পড়েছিল। গজপতি, মালকানগিরি, নবরং, করাপুট জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১৮৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০১৮ সালে ২১ সেপ্টেম্বর আছড়ে পড়েছিল ‘দায়ে’। ওড়িশার গোপালপুরে ব্যাপক ভাবে ঝড় হয়েছিল। ঝড়ের গতি ছিল ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০১৮ সালের অক্টোবরের ঝড়ের নাম ছিল ‘তিতলি’। অন্ধ্রপ্রদেশের তিতিলিতে আছড়ে পড়েছিল ঝড়। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিমি। ২০১৯ সালে ৩ মে ওড়িশার পুরীতে ঝড় হয়েছে ফণী। ২০৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায় আছড়ে পড়েছিল। এর প্রভাব হয়েছিল মারাত্মক। ২০১৯ সালে ৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনায় বুলবুল তাণ্ডব করেছিল। একই ভাবে ঝড়ে বালেশ্বর, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ের গতি ছিল ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০২০ সালে দীঘা ও হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়েছিল আপমান। গতি ছিল ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি করেছিল।

    আরও পড়ুনঃ জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    দানাও ভয়ঙ্করী হবে

    ২০২১ সালের ২৬ মে ওড়িশার (Odisha) ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানে আছড়ে পড়েছিল ‘ইয়াস’ (Cyclone Dana) । অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আছড়ে পড়েছিল। বাতাসের গতিছিল ১০০ কিমি। ২০২২ সালের ১১ মে যে ঝড়ের প্রভাব ফেলেছিল তা হল ‘অশনি’। এবার দানা ওড়িশার পুরী এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝিতে আছড়ে পড়ার কথা। ঝড়ের গতিবেগ হওয়ার কথা ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বৈঠকে বোতল ভেঙে বরখাস্ত হন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পর পরই ওয়াকফ বোর্ড নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই বোর্ড নিয়ে বিজেপি সরকারের অবস্থানও তিনি স্পষ্ট করেছেন।

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    শিলিগুড়িতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে। যেমন, তারা ১৫০০ বছরের পুরানো মন্দিরকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে দাবি করছে। ইসলামের বয়স ১৪০০ বছর। আর ভারতে তার বয়স আরও অনেক কম। কিন্তু, ১৫০০ বছরের পুরানো মন্দির ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করা হচ্ছে। এটা কি একটা ভোট ব্যাঙ্ক ছাড়া আর কিছুই নয়”? প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এ জেপিসির এক অধিবেশনের জন্য বরখাস্ত করা হয়। সূত্রের মতে, ৯ জন সাংসদ সাসপেনশনের পক্ষে রায় দেন। আর ৭ জন বিপক্ষে রায় দেন। এরপরই ৩৪৭ বিধির অধীনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একদিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    ঠিক কী হয়েছিল?

    মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ওয়াকফ (Waqf Board) বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখছিলেন। পর পর তিনবার তিনি তাঁর বক্তব্য রেখেছেন। তারপরও আরও একবার বক্তব্য রাখার চেষ্টা করেন।  কিন্তু বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আপত্তি করেন, যার ফলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়। এরপরই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কাচের জলের বোতল তুলে নিয়ে টেবিলের ওপর আঘাত করেন এবং নিজেকে আহত করেন। এরপর ভাঙা বোতলটি চেয়ারম্যানের দিকে ছুড়ে দেন তিনি। ঘটনার জেরে বৈঠক মুলতবি করা হয়। ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪, রেকর্ডের ডিজিটাইজেশন, কঠোর অডিট, বর্ধিত স্বচ্ছতা এবং অবৈধভাবে দখলকৃত ওয়াকফ সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া সহ উল্লেখযোগ্য সংস্কার আনার লক্ষ্যেই এই বৈঠক করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajeev Chandrasekhar: “তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা!” তোপ বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখরের

    Rajeev Chandrasekhar: “তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা!” তোপ বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতির এক নতুন ধারার জন্ম দিয়েছে, যা হল হিংসার রাজনীতি। এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে রাজীব বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সংবিধান এবং গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে এর বিপরীত কাজ করছে। তাদের রাজনীতি এখন নতুন স্তরে পৌঁছেছে, যা সহিংসতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।”

    রাজীবের অভিমত

    রাজীব বলেন, “যাঁরা গণতন্ত্র বা সংবিধানের কথা বলছেন, তাঁরাই প্রতিদিন এর অসম্মান করছেন। সংসদে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা। গণতন্ত্রকে এইভাবে নিচে নামাচ্ছে তৃণমূল, এর থেকে নিকৃষ্ট উদাহরণ আমরা দেখিনি।” রাজীব চন্দ্রশেখর আরও জানান, “তৃণমূল কংগ্রেস সংসদের জন্য একটি বাজে নিদর্শন তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ক্যাল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এর যৌথ সংসদীয় কমিটির সভা থেকে এক দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। জানা গিয়েছে, তিনি আলোচনার সময় অতিরিক্ত কথা বলতে চান, কিন্তু বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তি জানান, যা একটি তীব্র বিতর্কের রূপ নেয়। এই সময় কল্যাণ জলের একটি কাচের বোতল তুলে নিয়ে টেবিলের উপর মারেন এবং আহত হন। পরে তিনি ভাঙা বোতল চেয়ারম্যানের দিকে ছুড়ে দেন, যার ফলে সভা মুলতুবি করতে হয়।

    আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের উষ্ণতা, অনুবাদক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী মোদির কথা বোঝেন পুতিন!

    ওয়াকফ বোর্ডের সমালোচনা

    ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এর উদ্দেশ্য হ রেকর্ডের ডিজিটাইজেশন, কঠোর অডিট, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অবৈধভাবে দখলকৃত ওয়াকফ সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে আয়োজিত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক বয়কট করার জন্য আগেই বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)। কর্ণাটকে সংঘটিত গুরুতর ওয়াকফ জমি কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি এই সমালোচনা করেন। কিছু রাজনীতিবিদ কীভাবে ওয়াকফ জমি কেলেঙ্কারিতে লাভবান হয়েছেন, তাও বলেন রাজীব। দরিদ্র মুসলমানদের জন্যই ওয়াকফ বোর্ডের কাজ করা উচিত। কিন্তু, ওয়াকফ বোর্ড তা করছে না বলেও অভিযোগ রাজীবের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    Cyclone Dana: জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) দানা। ইতিমধ্যেই সাগরে জন্ম নিয়ে নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘দানা’। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা সরকার।

    পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ (Cyclone Dana)

    ‘দানা’ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) প্রভাবে যাতে মন্দিরে কোনও বিপত্তি না ঘটে, তার জন্য আপাতত মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল। পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই পুরী মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার শঙ্কায় আপাতত ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, পুজো বন্ধ হবে না। মন্দিরের ভিতরে প্রতিদিনের মতোই সমস্ত আচার মেনে জগন্নাথ দেবের পুজো হবে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারে। বাংলা ছাড়াও ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুর জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে। পর্যটকশূন্য করে দেওয়া হয়েছে পুরী। রাজ্য জুড়ে মোতায়েন হয়েছে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    ঝড়ের প্রভাব পড়বে ওড়িশার কোন কোন জেলায়?

    মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ওড়িশার জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বরে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার (Cyclone Dana) ছাড়িয়ে যেতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম প্রভাব পড়বে ময়ূরভঞ্জ, পুরী, ভুবনেশ্বর, কটক, সম্বলপুরে। ‘দানা’ বাঁধার আগে থেকেই এর প্রভাবে শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ভিজতে পারে উপকূলীয় ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দাপাড়া, পুরী এবং জজপুর। বৃহস্পতিবার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ,কটক, ভদ্রক এবং বালাসোরে জারি হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ছয় জেলায় ছয় অভিজ্ঞ আইএএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন হয়েছে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল। জেলায় আগামী তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বাতিল হয়েছে ২০০-রও বেশি ট্রেন। রাজ্যের ৮০০টি দুর্যোগ আশ্রয় শিবিরের পাশাপাশি ৫০০টি অতিরিক্ত শিবির তৈরি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কী বললেন?

    ঘূর্ণিঝড়টি (Cyclone Dana) সাগরদ্বীপ ও পুরীর মধ্যবর্তী কোথাও আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের কাছাকাছি এসে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘দানা’। ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পুজারি জানিয়েছেন, ৮০০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া স্কুল-কলেজ সহ আরও ৫০০টি অস্থায়ী ত্রাণকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ওড়িশায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি টিম ও পশ্চিমবঙ্গে ১৪টি টিমকে স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Menstrual Leave: ঋতুকালীন ছুটি ঘোষণা ওড়িশা সরকারের, বছরে ১২ দিন অতিরিক্ত ছুটি মহিলাদের

    Menstrual Leave: ঋতুকালীন ছুটি ঘোষণা ওড়িশা সরকারের, বছরে ১২ দিন অতিরিক্ত ছুটি মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়েদের জন্য বিশেষ ‘উপহার’ ওড়িশার (Odisha) বিজেপি সরকারের। এবার থেকে মাসে এক দিন করে সবেতন ঋতুকালীন ছুটি (Menstrual Leave) পেতে চলেছেন মেয়েরা। শুধু রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারি কর্মীরাই নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরতা মহিলারাও এই সুবিধা পাবেন। বেসরকারি দফতরগুলিকে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠানো হবে। মঙ্গলবার‌ এমনই ঘোষণা করেছে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির দফতর। আগামী মাস থেকেই কার্যকর হতে চলেছে এই নিয়ম।

    ঘোষণা অনুযায়ী কাজ

    চলতি বছরে স্বাধীনতা দিবসের দিনই সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রভাতী পারিদা জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই রাজ্যের মহিলা কর্মীদের জন্য ঋতুকালীন ছুটি (Menstrual Leave) আনতে চলেছে ওড়িশা সরকার। ঋতুচক্রের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় দিন মিলবে এই বিশেষ ছুটি। নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এ বার সেই নির্দেশেই সিলমোহর পড়ল। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, ওড়িশার (Odisha) সমস্ত ক্ষেত্রে কর্মরত মহিলারা মাসে এক দিন করে ঋতুকালীন ছুটি নিতে পারবেন। অর্থাৎ বছরে মোট ১২টি এমন ছুটি নেওয়া যাবে। এই ছুটি সাধারণ ক্যাজুয়াল লিভ (সিএল) বলেই গণ্য হবে। 

    আরও পড়ুন: নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে সাসপেন্ড হোমগার্ড! রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মোট কটা সিএল মহিলাদের

    ওডিশায় (Odisha) মহিলারা বার্ষিক ১৫টি সিএল পেতেন। চলতি বছরের মার্চে ‘পারিবারিক দায়িত্ব এবং মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা’ মাথায় রেখে বার্ষিক ১০টি অতিরিক্ত ছুটি (Menstrual Leave) ঘোষণা করেছিল পূর্ববর্তী বিজেডি সরকার। এখন তাঁদের প্রাপ্য বার্ষিক সিএলের সংখ্যা বেড়ে হল ২৭। বর্তমানে ভারতে শুধুমাত্র বিহার এবং কেরলেই মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটির নীতি চালু রয়েছে। এবার সেই পথে হাঁটল ওড়িশাও। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক করার আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। অনেক রাজ্যই মেয়েদের সুবিধার্থে এই ছুটি চালু করতে চাইছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shivraj Singh Chouhan: দেশের ৯৫ শতাংশ জমি ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে, জানালেন শিবরাজ সিং চৌহান

    Shivraj Singh Chouhan: দেশের ৯৫ শতাংশ জমি ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে, জানালেন শিবরাজ সিং চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর স্বপ্ন ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র। তাঁর স্বপ্নের ভারতকে ডিজিটাল করতে একাধিক পদক্ষেপও করেছেন তিনি। তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত ইউপিআই দেশ তো বটেই, বিদেশেও সমাদৃত হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন যাতে আরও বেশি আয়েশি করা যায়, দিনরাত তারই চেষ্টা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ‘৯৫ শতাংশ গ্রামের জমিই ডিজিটাইজড’ (Shivraj Singh Chouhan)

    প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্নের ডিজিটাইজেশনের (Bhu AADHAAR) প্রভাব কতদূর পৌঁছেছে, তা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “দেশের ৯৫ শতাংশ গ্রামের জমিই ডিজিটাইজড করা হয়েছে।” এতদিন ছিল কাগুজে নথি। এবার থেকে জমি সংক্রান্ত হিসেব নিকেশের তথ্য মিলবে ডিজিটাল মাধ্যমেও। তাই জমি সংক্রান্ত নথি পেতে আর অযথা ঝক্কি পোহাতে হবে না জমির মালিকদের। শিবরাজ জানান, দেশের মোট ৬ লাখ ২৬ হাজারটি গ্রামের জমি ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, “দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ গ্রামে সরকারি খরচে সব তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। কমপক্ষে ৫ হাজার সাব রেজিস্ট্রার অফিসে এই জমির রেকর্ড থাকছে।”

    আরও পড়ুন: নাসরাল্লার পর সপ্তাহ তিনেক আগেই নিকেশ হাসেম সফিদ্দিন, দাবি ইজরায়েলের

    ভূ-আধার

    জানা গিয়েছে, ২২.৩ মিলিয়ন ম্যাপের ডিজিটাইজেশন হয়েছে। তৈরি হয়েছে ১৪০ মিলিয়ন ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ভূ-আধার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা অ্যাকিউরেসি ইমপ্রুভ করতে পারি, পারি স্বচ্ছতা বজায় রাখতে, দেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষের ল্যান্ড রেকর্ডও রাখতে পারি অনায়াসেই।”  মন্ত্রী (Shivraj Singh Chouhan) জানান, দেশের প্রায় সব গ্রামের নথিগুলো ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি সরকার প্রায় ৫ হাজার সাব রেজিস্ট্রার অফিসকে কম্পিউটারাইজড করেছে। এতে জমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আরও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ১৪০ কোটি অনন্য জমি পার্সেল শনাক্তকরণ নম্বর, যা ভূ-আধার (Bhu AADHAAR) নামে পরিচিত, জারি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় উপকৃত হবেন জমির মালিক, ক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদাররা (Shivraj Singh Chouhan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 173: “অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন”

    Ramakrishna 173: “অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল
    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব

    কিয়ৎক্ষণ পরে কলিকাতা হইতে কয়েকটি পুরাতন ব্রাহ্মভক্ত আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তন্মধ্যে একজন—শ্রীযুক্ত ঠাকুরদাস (Ramakrishna) সেন। ঘরে অনেকগুলি ভক্তের সমাগম হইয়াছে। ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। সহাস্যবদন, বালকমূর্তি। উত্তরাস্য হইয়া বসিয়াছেন। ব্রাহ্মভক্তদের সঙ্গে আনন্দে আলাপ করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ব্রাহ্ম ও অন্যান্য ভক্তদের প্রতি)—তোমরা ‘প্যাম’ ‘প্যাম’ কর; কিন্তু প্রেম কি সামান্য জিনিস গা? চৈতন্যদেবের ‘প্রেম’ হয়েছিল। প্রেমের দুটি লক্ষণ। প্রথম—জগৎ ভুল হয়ে যাবে (Kathamrita)। এত ঈশ্বরেতে ভালবাসা যে বাহ্যশূন্য! চৈতন্যদেব “বন দেখে বৃন্দাবন ভাবে, সমুদ্র দেখে শ্রীযমুনা ভাবে।”

    দ্বিতীয় লক্ষণ—নিজের দেহ যে এত প্রিয় জিনিস, এর উপরও মমতা থাকবে না, দেহাত্মবোধ একেবারে চলে যাবে।

    ঈশ্বরলাভের (Ramakrishna) কতকগুলি লক্ষণ আছে। যার ভিতর অনুরাগের ঐশ্বর্য প্রকাশ হচ্ছে তার ঈশ্বরলাভের আর দেরি নাই।

    অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, সাধুসঙ্গ, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন, সত্যকথা—এই সব।

    এই সকল অনুরাগের লক্ষণ দেখলে ঠিক বলতে পারা যায়, ঈশ্বর দর্শনের আর দেরি নাই। বাবু কোন খানসামার বাড়ি যাবেন, এরূপ যদি ঠিক হয়ে থাকে, খানসামার বাড়ির অবস্থা দেখে ঠিক বুঝতে পারা যায়! প্রথমে বন-জঙ্গল কাটা হয়, ঝুলঝাড়া হয়; ঝাঁটপাট দেওয়া হয়। বাবু নিজেই সতরঞ্চি, গুড়গুড়ি এই সব পাঁচরকম জিনিস পাঠিয়ে দেন। এই সব আসতে দেখলেই লোকের বুঝতে বাকি থাকে না, বাবু এসে পড়লেন বলে।”

    একজন ভক্ত—আজ্ঞে, আগে বিচার করে কি ইন্দ্রিয়নিগ্রহ করতে হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—ও এক পথ আছে। বিচারপথ। ভক্তিপথেও অন্তরিন্দ্রিয় নিগ্রহ আপনি হয়। আর সহজে হয়। ঈশ্বরের উপর যত ভালবাসা আসবে, ততই ইন্দ্রিয়সুখ আলুনী লাগবে।

    যেদিন সন্তান মারা গেছে, সেই শোকের উপর স্ত্রী-পুরুষের দেহ-সুখের দিকে কি মন থাকতে পারে?

    একজন ভক্ত—তাঁকে ভালবাসতে (Kathamrita) পারছি কি?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 172: “ওদের দেশে বড় জলকষ্ট। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন”

    Ramakrishna 172: “ওদের দেশে বড় জলকষ্ট। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    গৃহস্থ ও কর্মযোগ

    ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna) শ্রীশ্রীভবতারিণী, শ্রীশ্রীরাধাকান্ত ও দ্বাদশ শিবের পূজা শেষ হইল। ক্রমে ভোগারতির বাজনা বাজিতেছে। চৈত্রমাস দ্বিপ্রহর বেলা। ভারী রৌদ্র। এই মাত্র জোয়ার আরম্ভ হইয়াছে। দক্ষিণদিক হইতে হাওয়া উঠিয়াছে। পূতসলিলা ভাগীরথী এইমাত্র উত্তরবাহিনী হইয়াছেন। ঠাকুর আহারান্তে কক্ষমধ্যে একটু বিশ্রাম করিতেছেন। রাখালের দেশ বসিরহাটের কাছে। দেশে গ্রীষ্মকালে বড় জলকষ্ট।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মণি মল্লিকের প্রতি)—দেখ রাখাল বলছিল, ওদের দেশে বড় জলকষ্ট (Kathamrita)। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন। তাহলে কত লোকের উপকার হয়। (সহাস্যে) তোমার তো অনেক টাকা আছে, অত টাকা নিয়ে কি করবে? তা শুনেছি, তেলিরা নাকি বড় হিসাবী। (ঠাকুরের ও ভক্তগণের হাস্য)

    মণিলাল মল্লিকের বাড়ি কলিকাতা সিন্দুরিয়াপটি। সিন্দুরিয়াপটির ব্রাহ্মসমাজের সাংবাৎসরিক উৎসব উপলক্ষে তিনি অনেককে নিমন্ত্রণ করিয়া থাকেন। উৎসবে শ্রীরামকৃষ্ণকে নিমন্ত্রণ করিয়া থাকেন। মণিলালের বরাহনগরে একখানি বাগান আছে। সেখানে তিনি প্রায় একাকী আসিয়া থাকেন ও সেই সঙ্গে ঠাকুরকে দর্শন করিয়া যান। মণিলাল যথার্থ হিসাবী লোক বটে! সমস্ত গাড়িভাড়া করিয়া বরাহনগরে প্রায় আসেন না; ট্রামে চাপিয়া প্রথমে শোভাবাজারে আসেন, সেখানে শেয়ারের গাড়িতে চাপিয়া বরাহনগরে আসেন। অর্থের অভাব নাই; কয়েক বৎসর পরে গরিব ছাত্রদের ভরণপোষণের জন্য এককালে প্রায় পঁচিশ হাজার টাকা বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছিলেন।

    মণিলাল চুপ (Kathamrita) করিয়া রহিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে এ-কথা ও-কথার পর, কথার পিঠে বলিলেন, “মহাশয় পুষ্করিণীর কথা বলছিলেন। তা বললেই হয়, তা আবার তেলি-ফেলি বলা কেন?”

    ভক্তেরা (Ramakrishna) কেহ কেহ মুখ টিপিয়া হাসিতেছেন। ঠাকুরও হাসিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share