Tag: bangla news

bangla news

  • Patashpur: শুধু বিষক্রিয়ায় মৃত্যু? খুশি নয় পটাশপুরের নির্যাতিতার পরিবার, দ্বারস্থ হাইকোর্টের

    Patashpur: শুধু বিষক্রিয়ায় মৃত্যু? খুশি নয় পটাশপুরের নির্যাতিতার পরিবার, দ্বারস্থ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার ময়না তদন্ত নিয়ে জোর জলঘোলা হয়েছিল। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) পটাশপুরে (Patashpur) নির্যাতিতার ময়না তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পরিবারের লোকজন। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। কিন্তু মৃতার পরিবার এই রিপোর্টে খুশি নয়। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ময়না তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ (Patashpur)

    রবিবার তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পটাশপুরের (Patashpur) মৃতার দেহের ময়না তদন্ত হয়। উপস্থিত ছিলেন পটাশপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিক। উপস্থিত ছিলেন মহিলার ছেলে এবং অন্য পরিজনেরা। মৃতার ছেলে বলছেন, “ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বিষক্রিয়ার জেরেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন কিংবা ধর্ষণের মতো ঘটনার প্রমাণ মেলেনি। এর পরেই পুলিশ মৃতদেহটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের জানায়। আমরা দেহ নিতে অস্বীকার করেছি।” মৃতার ছেলে আরও বলেন, “ময়না তদন্তের রিপোর্টে আমরা মোটেই খুশি নই। তাই দেহ না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি। নতুন করে ময়না তদন্তের দাবি নিয়ে সোমবার আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। আদালত যা রায় দেবে সেই মতোই কাজ হবে।” মৃতার পরিজনদের মতে, ওই মহিলার ওপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছে। তাঁর বুকে, পেটে আঘাত করা হয়েছে। যে সময় তাঁর দেহটি উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর শরীরে পোশাকের চিহ্নমাত্র ছিল না। অথচ ময়না তদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে তা মিলছে না। সেখানে বিষক্রিয়ায় স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শরীরেও কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।  

    আরও পড়ুন: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    পুলিশ প্রশাসন কী সাফাই দিল?

    কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) শুভেন্দ্র কুমার বলেন, “রবিবার পটাশপুর  (Patashpur) এলাকায় এক মহিলার মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ্যে আসে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পারি, গ্রামেরই এক ব্যক্তির সঙ্গে এক মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কথা জেনে ফেলার জন্যই ওই মহিলাকে গত শুক্রবার মারধর করে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার মহিলার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতেই এলাকাবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যক্তিকে মারধর করেন। গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার পরিবারের তরফে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যেখানে অভিযুক্ত-সহ আরও এক মহিলার বিরুদ্ধে মারধর করে বিষ খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযোগে কোথাও ধর্ষণের মতো কোনও বিষয়ের উল্লেখ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ইদের তুলনায় পুজোর বোনাস কম পরিবহণ কর্মীদের! ‘মমতা সরকার সনাতন বিরোধী’, তোপ বিজেপি নেতার

    BJP: ইদের তুলনায় পুজোর বোনাস কম পরিবহণ কর্মীদের! ‘মমতা সরকার সনাতন বিরোধী’, তোপ বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদের তুলনায় পুজোতে পরিবহণ কর্মীদের কম বোনাস দিচ্ছে মমতা সরকার! এনিয়ে তোপ দাগলেন বিজেপি (BJP) নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chattopadhyay)। রবিবারই জগন্নাথবাবু সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি পোস্ট করেন। নিজের পোস্টে তিনি জানান, ইদের সময় পরিবহণ কর্মীদের ৬,০০০ টাকা করে বোনাস দেওয়া হয়েছে, দুর্গাপুজোর সময় এর পরিমাণ মাত্র ৩,৬০০ টাকা। ওই পোস্টে তিনি আরও জানান, দুর্গাপুজোর দিনগুলিতেই রাজ্যের বিএড ও এমএড কলেজগুলিতে ভর্তির দিনক্ষণ স্থির করেছিল মমতা সরকার। পরবর্তীকালে বিক্ষোভের কারণেই তা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় তৃণমূল সরকার। নিজের পোস্টে এসংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি দুটিও জুড়ে দিয়েছেন এই বিজেপি (BJP) নেতা। ওয়াকিবহাল মহল জগন্নাথবাবুর (Jagannath Chattopadhyay) ফেসবুক পোস্টের বক্তব্যকে সিলমোহর দিয়ে বলছে, ‘‘তোষণ ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণেই মমতা সরকার বোনাস বৈষম্য করছে। সরকারের দুর্গাপুজো নিয়ে কোনও শ্রদ্ধা বা আগ্রহ যে নেই, তা একাধিক সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, একাধিক মণ্ডপে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে দেখা গিয়েছে। সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী যা করা যায় না। পণ্ডিত মহলের মত, দেবীপক্ষতেই মাতৃ আরাধনা শুরু করার নিয়ম। নিজের পোস্টে এনিয়েও সরব হন বিজেপির (BJP) এই রাজ্য নেতা।

     কী লিখলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    রবিবার নিজের পোস্টে জগন্নাথবাবু লেখেন, ‘‘মাননীয়ার সরকার মানসিকভাবে দুর্গাপুজো বিরোধী। সেই কারণে পিতৃপক্ষে পুজোর উদ্ধোধন হয়। নীচে বিজ্ঞপ্তি দুটিতে আরও কাণ্ড দেখুন। রাজ্যের বিএড-এমএড কলেজ গুলিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য সরকার পুজোর দিনগুলি নির্দিষ্ট করেছিল। ঠিক ৮ থেকে ১৪ অক্টোবর পুজোর দিনগুলিতে শিক্ষক শিক্ষণের কলেজগুলিকে খোলা রেখে ছাত্র ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছিল। নোটিস সামনে আসার পর থেকে সরকারি-বেসরকারি বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বাধ্য হয়ে সেদিনই আলাদা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুজোর পরে ভর্তির কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এই সরকার এতটাই দুর্গাপুজো বিরোধী যে প্রথম কারণ হিসাবে বলা হয়, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য সূচি বদল করা হল। কেউই জানে না এখন কোথায় বন্যা চলছে। নামমাত্র দুর্গাপুজোর কথা উল্লেখ করা হয়। বিএড কলেজগুলো কিন্তু শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর কারণেই ভর্তি পিছিয়ে দিতে সরব হয়েছিল। সরকারের দুর্গাপুজো বিরোধী এই মানসিকতার কারণেই ইদের সময় পরিবহণ কর্মীদের ৬০০০ টাকা বোনাস দেওয়া হলেও দুর্গাপুজোয় তা দেওয়া হয়েছে ৩৬০০ টাকা। শিক্ষা থেকে পরিবহণ সর্বত্র সনাতন-বিরোধী মানসিকতা প্রকাশ পাচ্ছে। সমূলে এর উৎপাটন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে (SSC Scam) বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ মলয় পিটের বিরুদ্ধে নানা নথি পেয়েছে সিবিআই। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ-দুর্নীতিতে বীরভূমের মলয় পিটের সঙ্গে কলকাতার কুন্তল ঘোষের মিল খুঁজে পাচ্ছে সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মলয়ও কুন্তলের মতো মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন। 

    নিয়োগ-দুর্নীতিতে এনজিও যোগ

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মলয়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। মলয়ঘনিষ্ঠ পূর্ব বর্ধমানের এক এনজিও (NGO) কর্তার কাছ থেকে উদ্ধার চাকরি প্রার্থীদের একের পর এক তালিকা। সিবিআই (CBI) জানতে পেরেছে, সেই তালিকার মধ্যে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত ১৭ জন, যাঁরা প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ জন এখনও চাকরি করছেন। এঁরা সবাই পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (SSC Scam) কর্মরত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এনজিওটি একটি বিএড কলেজ চালায়। ওই এনজিও-র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সফিউল আলম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। 

    সফিউল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ

    ইতিমধ্যেই সফিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এমনকী সফিউলের ই-মেল আইডিও ঘেঁটে বিস্ফোরক সব তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এ থেকে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৭টি ই-মেল (SSC Scam) পুনরুদ্ধার করেছে সিবিআই। প্রতিটিতেই রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা। উদ্ধার হওয়া মেলের মধ্যে একটি আবার ২০১৭ সালের ১৩ই মার্চ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বীরভূমের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার এবং একাধিক এনজিও –পরিচালক মলয় পিটের থেকে সফিউলের আইডিতেও ঢুকেছে ই-মেল। সেখানেও রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা।

    আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে এয়ার শো দেখতে ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত! প্রবল গরমে মৃত ৫

    মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ

    প্রথমে গরুপাচার মামলা। পরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) নাম জড়িয়েছে অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়ের। ইতিমধ্য সিবিআই দফতরে হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে যখন মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই, সেই সময় তিনি নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, সফিউল জানিয়েছেন, যা ই-মেল তিনি করেছেন বা তাঁর কাছে এসেছে, সবটাই মলয়ের নির্দেশে। মলয়ের নির্দেশেই তালিকা পাঠানো হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jayanagar Incident: জয়নগরকাণ্ডে ময়নাতদন্ত করবেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Jayanagar Incident: জয়নগরকাণ্ডে ময়নাতদন্ত করবেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরে (Jayanagar Incident) নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলা পকসো আদালতে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, সুরতহাল রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের ইঙ্গিত স্পষ্ট এবং নির্যাতিতার বয়স ১০ বছরের কম। তারপরেও কেন পকসো আইনে মামলা রুজু করেনি পুলিশ? একই সঙ্গে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এইমসের বিশেষজ্ঞরা ময়নাতদন্ত করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    রবিবারের শুনানি

    প্রসঙ্গত, জয়নগরের (Jayanagar Incident) নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত নিয়ে ব্যাপক জটিলতা তৈরি হয়। নির্যাতিতার পরিবার রাজ্য পুলিশের ওপর একেবারেই ভরসা করেনি। এর পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালেও ময়নাতদন্ত তাঁরা করাতে চান না বলে জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন নিয়েই রবিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই নির্যাতিতার পরিবার। এই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সেই মতো কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে রবিবার শুনানি হয়। রাজ্যের তরফ থেকে উচ্চ আদালতে সওয়াল করা হয়, কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। গোটা শুনানি পর্বে একাধিক হাসপাতালের নাম উঠে আসে। কমান্ড হাসপাতালে তরফে মেজর বিজয় হাইকোর্টে জানান যে তাঁদের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ নেই। বিচারপতি তখন বলেন, ‘‘হাসপাতাল যদি নারাজ হয় তাহলে আমি জোর করতে চাই না।’’ এরপরে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিজেই প্রস্তাব দেন (Jayanagar Incident) কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করবেন।

    পরের দিন পকসো আদালতে পেশ করা হবে অভিযুক্তকে (Jayanagar Incident)

    পরিবারের দাবি মেনে বারুইপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই ময়নাতদন্ত হবে বলে জানানো হয় হাইকোর্টের তরফে। রবিবার বিচারপতি রাজ্যকে বলেন, ‘‘সুরতহাল বা ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট দেখেও কেন আপনারা পকসো যুক্ত করেননি?’’ পরের দিন, অভিযুক্তকে আর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে না পেশ করে পকসো আদালতে মামলা স্থানান্তর করার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IAF Event: চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে এয়ার শো দেখতে ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত! প্রবল গরমে মৃত ৫

    IAF Event: চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে এয়ার শো দেখতে ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত! প্রবল গরমে মৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ভিড়কেও ছাপিয়ে গেল বায়ুসেনার শো-এর (IAF Event) ভিড়! মুহূর্তের আনন্দ পরিণত হল বিষাদে। চেন্নাইয়ে বায়ুসেনার মহড়া দেখতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় এবং গরমের চোটে কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, অসুস্থ ২৩০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের সকলেই তামিলনাড়ুর (Chennai) বাসিন্দা। ভারতীয় বায়ুসেনার ৯২ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল গ্র্যান্ড এয়ার শো-র। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছিলেন লক্ষাধিক মানুষ, কিন্তু আনন্দের জায়গায় তাতে বিষাদের সুর ছড়াল। 

    কেন এই দুর্ঘটনা

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছিল বায়ুসেনার (IAF Event) এই অনুষ্ঠান দেখতে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে। তবে সাধারণ মানুষ সকাল ৭টা-৮টা থেকেই হাজির হয়েছিলেন ভালো বসার জায়গা পাওয়ার আশায়। একে ভিড়, তার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ চড়া রোদে থাকায় ডিহাইড্রেশন হয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন শতাধিক মানুষ।

    প্রশাসনের যুক্তি

    তামিলনাড়ুতে (Chennai) এখন তীব্র গরম। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বহু মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান সংগঠনে প্রশাসনের কোনও ত্রুটি ছিল না। দাবদাহের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তামিলনাড়ুর দুই বিরোধী দল বিজেপি এবং এডিএমকে সামগ্রিক ‘অব্যবস্থা’ এবং তিন জনের মৃত্যুর জন্য রাজ্যের ডিএমকে সরকারকে দায়ী করেছে।

    আরও পড়ুন: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    দোকানপাট বন্ধ, ব্যাপক যানজট

    শুধু মূল অনুষ্ঠানস্থলই নয়, মেরিনা বিচ (Chennai) সহ শহরের একাধিক জায়গাতেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় জমেছিল। এর ফলে ব্যাপক যানজটের (IAF Event) সৃষ্টি হয়। ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে, অনুষ্ঠানে যাঁরা যোগ দিতে এসেছিলেন, তাঁদের অভিযোগ, এয়ার শো-এর জন্য রাস্তার ধারের সমস্ত দোকানপাট সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে অসুস্থবোধ করলেও, সামান্য জলটুকুও পায়নি মানুষ। অনেকে অনুষ্ঠান শুরুর আগেই জ্ঞান হারান। ব্যাপক যানজটের ফলে হাসপাতালে পৌঁছতেও দেরি হয়। এর ফলেই কয়েকজন প্রাণ হারান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    RG Kar: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় শনিবার রাত থেকেই আমরণ অনশন শুরু করেন ছয় জুনিয়র ডাক্তার। রবিবার রাতে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আরও এক জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাত। তিনি আরজি করের (RG Kar) জুনিয়র ডাক্তার। প্রথম থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ তিনি।

    আমরণ অনশনে কারা?

    শনিবার ধর্মতলায় (Dharmatala) আমরণ অনশনে (RG Kar) বসেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা, এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য। সেই সময়ই দেখা যায় আরজি করের কেউ নেই। তখনই উঠতে শুরু করে প্রশ্ন! আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেখানে কেন সেই হাসপাতালের কেউ উপস্থিত (RG Kar) নেই? ঠিক এরই মধ্যে রবিবার অনশন মঞ্চে হাজির হলেন অনিকেত মাহাত।

    কী বলছেন অনিকেত মাহাত?

    জুনিয়র ডাক্তাররা অবশ্য বারবারই বলছেন, ‘‘কারা অনশনে (Dharmatala) বসবেন, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সর্বসম্মত ভাবেই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্যান জিবিতে সকলে মিলে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকলের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ অনিকেত মাহাত বলেন, ‘‘সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের আন্দোলনের অন্যতম বিষয় থ্রেট কালচার। আর তার বিরুদ্ধে লড়াই। আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি।’’

    কী বললেন ডাক্তার দেবাশিস হালদার?

    রবিবার অনশন মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘এই অনশনে আরজি কর সামিল নেই কেন, এই প্রশ্ন উঠেছে। কলেজ ভিত্তিক লড়াইয়ে আরজি কর ব্যস্ত ছিল। থ্রেট কালচারের মাথাদের শাস্তি দেওয়ার লড়াইয়ে বিগত কয়েকদিন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যস্ত ছিলেন। সেই লড়াইয়ে আমরা আংশিক জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছি। শনিবার আমরণ অনশন শুরুর সময় সেই কারণে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা অনশনে যোগ দেওয়ার জায়গায় ছিলেন না।’’ দেবাশিস হালদার আরও বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলছেন, এটা রিলে অনশন। তা নয়, আমাদের সহযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে অনশন শুরু করেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 07 october 2024: কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 07 october 2024: কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মায়ের তরফ থেকে কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) অধিক খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) শেয়ারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে ভীষণ সংশয় বা ভয় কাজ করবে। 

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন। 

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মীন

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohamed Muizzu: “অর্থসঙ্কটে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্র, পাশে দাঁড়াবে ভারত”, আশায় মুইজ্জু

    Mohamed Muizzu: “অর্থসঙ্কটে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্র, পাশে দাঁড়াবে ভারত”, আশায় মুইজ্জু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অর্থসঙ্কটে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্র। পাশে দাঁড়াবে ভারত (India Maldives Relation)।” রবিবার এমনই আশা প্রকাশ করলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu)। এদিনই চারদিনের সফরে সস্ত্রীক ভারতে এসেছেন মুইজ্জু। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এ দেশে থাকবেন তিনি।

    ভারত সফরে মুইজ্জু (Mohamed Muizzu)

    গত চার মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতে এলেন তিনি। চলতি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। সরকারি কয়েকজন শীর্ষ আমলার সঙ্গেও আলোচনায় বসতে পারেন তিনি। মুইজ্জু কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের বেলআউট চাইতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। মলদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে গিয়েছে। যা দিয়ে মাত্র দেড় মাস আমদানি করা যাবে। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন।” তিনি (Mohamed Muizzu) বলেন, “আমাদের সব চেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে একটি হিসেবে ভারত আমাদের বোঝা কমাতে আমাদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলির আরও ভালো বিকল্প ও সমাধান খুঁজতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।”

    আরও পড়ুন: হিজবুল্লার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত ইজরায়েলের, গভীর রাতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ

    মুইজ্জুর ভোলবদল

    ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে বসেন মুইজ্জু। চিনপন্থী হিসেবে পরিচিত মুইজ্জু। মলদ্বীপে নির্বাচনের আগে ভারতের বিরুদ্ধে দেদার প্রচার করেছিলেন তিনি। কুর্সিতে বসেই প্রথমে ভারত সফর করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টরা। দীর্ঘদিনের সেই রীতি লঙ্ঘন করে মুইজ্জু প্রথমে যান বেজিংয়ে। ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানও দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপমান করেন মুইজ্জু সরকারের জুনিয়র তিন মন্ত্রী। তার পরেই মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন পর্যটকরা। বিপদে পড়ে যান দ্বীপরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। কারণ পর্যটন শিল্প নির্ভর দেশ মলদ্বীপে যত পর্যটক প্রতি বছর বেড়াতে যান তার ৮০ শতাংশই ভারতীয়। পেটে টান পড়তেই ভোল বদলান মুইজ্জু। চলে আসেন ভারত সফরে।

    তবে তার আগে সলতে পাকানোর কাজ করেছিলেন মুইজ্জু সরকারের পর্যটনমন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়জল। ভারতীয় পর্যটকদের ফের মলদ্বীপ ভ্রমণের আহ্বান জানাতে ভারতের কয়েকটি শহরে রোড-শো-ও করেন তিনি (India Maldives Relation)। তার পর এলেন মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) স্বয়ং।

    ঠেলায় পড়লে বেড়ালও গাছে ওঠে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 156: “রাম পূর্ণব্রহ্ম, পূর্ণ অবতার—একথা বারজন ঋষি কেবল জানত”

    Ramakrishna 156: “রাম পূর্ণব্রহ্ম, পূর্ণ অবতার—একথা বারজন ঋষি কেবল জানত”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    সাকার-নিরাকার—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের রামনামে সমাধি

    ঋষিরা জ্ঞানী ছিলেন, তাই তাঁরা অখণ্ড সচ্চিদানন্দকে চাইতেন (Kathamrita)। আবার ভক্তেরা অবতারকে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita) দাঁড়াইয়া ভক্তদের কাছে এই কথা বলিতেছেন। বলিতে বলিতেই একেবারে বাহ্যরাজ্য ছাড়িয়া মন অন্তর্মুখ হইল! “হৃৎপদ্ম প্রস্ফুটিত হইল।—এই কথাটি উচ্চারণ করিতে না করিতে ঠাকুর একেবারে সমাধিস্থ।

    ঠাকুর সমাধিমন্দিরে। ভগবানদর্শন করিয়া শ্রীরামকৃষ্ণের হৃৎপদ্ম কি প্রস্ফুটিত হইল! সেই একভাবে দণ্ডায়মান। কিন্তু বাহ্যশূন্য। চিত্রার্পিতের ন্যায়। শ্রীমুখ উজ্জ্বল ও সহাস্য। ভক্তেরা কেহ দাঁড়াইয়া, কেহ বসিয়া; অবাক্‌; একদৃষ্টে এই অদ্ভুত প্রেম রাজ্যের ছবি। এই অদৃষ্টপূর্ব সমাধি-চিত্র সন্দর্শন করিতেছেন।

    অনেকক্ষণ পরে সমাধি ভঙ্গ হইল।

    ঠাকুর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া ‘রাম’ এই নাম বারবার উচ্চারণ করিতেছেন। নামের বর্ণে বর্ণে যেন অমৃত ঝরিতেছে। ঠাকুর উপবিষ্ট হইলেন। ভক্তেরা চর্তুদিকে বসিয়া একদৃষ্টে দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদিগের প্রতি)—অবতার যখন আসে, সাধারণ লোকে জানতে পারে না—গোপনে আসে। দুই-চারিজন অন্তরঙ্গ ভক্ত জানতে পারে। রাম পূর্ণব্রহ্ম, পূর্ণ অবতার—এ-কথা বারজন ঋষি কেবল জানত। অন্যান্য ঋষিরা বলেছিল, “হে রাম, আমরা তোমাকে দশরথের ব্যাটা বলে জানি।

    অখণ্ড সচ্চিদানন্দকে কি সকলে ধরতে পারে? কিন্তু নিত্যে উঠে যে বিলাসের জন্য লীলায় থাকে, তারই পাকা ভক্তি। বিলাতে কুইন (রানী)-কে দেখে এলে পর, তখন কুইন-এর কথা, কুইন-এর কার্য—এ সকল বর্ণনা করা চলতে পারে। কুইন-এর কথা তখন বলা ঠিক ঠিক হয়। ভরদ্বাজাদি ঋষি রামকে স্তব করেছিলেন, আর বলেছিলেন, ‘হে রাম (Ramakrishna), তুমিই সেই অখণ্ড সচ্চিদানন্দ। তুমি আমাদের কাছে মানুষরূপে অবতীর্ণ হয়েছ। বস্তুত তুমি তোমার মায়া আশ্রয় করেছ বলে, তোমাকে মানুষের মতো দেখাচ্ছে!’ ভরদ্বাজাদি ঋষি রামের পরম ভক্ত। তাঁদের ভক্তি পাকাভক্তি (Kathamrita)।”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 155: “ভক্তি আস্বাদন করবার জন্য, তাঁকে দর্শন করলে মনের অন্ধকার দূরে যায়”

    Ramakrishna 155: “ভক্তি আস্বাদন করবার জন্য, তাঁকে দর্শন করলে মনের অন্ধকার দূরে যায়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    সাকার-নিরাকার—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের রামনামে সমাধি

    এইবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে ঘরের উত্তর-পূর্ব বারান্দায় আসিয়াছেন। ভক্তদের মধ্যে দক্ষিণেশ্বরবাসী একজন গৃহস্থও বসিয়া আছেন। তিনি গৃহে বেদান্ত-চর্চা করেন। ঠাকুরের সম্মুখে শ্রীযুক্ত কেদার চাটুজ্যের সঙ্গে তিনি শব্দব্রহ্ম সম্বন্ধে কথা কহিতেছেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও অবতারবাদ—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও সর্বধর্ম-সমন্বয় 

    দক্ষিণেশ্বরবাসী—এই অনাহত শব্দ সর্বদা অন্তরে-বাহিরে হচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—শুধু শব্দ হলে তো হবে না, শব্দের প্রতিপাত্য একটি আছে। তোমার নামে কি শুধু আমার আনন্দ হয়? তোমায় না দেখলে ষোল আনা আনন্দ হয় না।

    দ: নিবাসী—ওই শব্দই ব্রহ্ম। ওই অনাহত শব্দ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেদারের প্রতি)—ওঃ বুঝেছ? এঁর ঋষিদের মত। ঋষিরা রামচন্দ্রকে বললেন, হে রাম, আমরা জানি তুমি দশরথের ব্যাটা। ভরদ্বাজাদি ঋষিরা তোমায় অবতার জেনে পূজা করুন। আমরা অখণ্ড সচ্চিদানন্দকে চাই! রাম এই কথা শুনে হেসে চলে গেলেন।

    কেদার—ঋষিরা রামকে অবতার জানেন নাই। ঋষিরা বোকা ছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গম্ভীরভাবে)—আপনি এমন কথা বলো না। যার যেমন রুচি। আবার যার যা পেটে সয়। একটা মাছ এনে মা ছেলেদের নানারকম করে খাওয়ান। কারুকে পোলাও করে দেন; কিন্তু সকলের পেটে পোলাও সয় না। তাই তাদের মাছের ঝোল করে দেন। যার যা পেটে সয়। আবার কেউ মাছ ভাজা, মাছের অম্বল ভালবাসে। (সকলের হাস্য) যার যেমন রুচি।

    চান—ভক্তি আস্বাদন করবার জন্য। তাঁকে দর্শন করলে মনের অন্ধকার দূরে যায়। পুরাণে আছে, রামচন্দ্র (Ramakrishna) যখন সভাতে এলেন, তখন সভায় শত সূর্য যেন উদয় হল। তবে সভাসদ্‌ লোকেরা পুড়ে গেল না কেন? তার উত্তর—তাঁর জ্যোতিঃ জড় জ্যোতিঃ নয়। সভাস্থ সকলের হৃৎপদ্ম প্রস্ফুটিত হল। সূর্য উঠলে পদ্ম প্রস্ফুটিত হয়।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ“ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share