Tag: bangla news

bangla news

  • Turkish invasion: বঙ্গের ‘অন্ধকার যুগ’ তুর্কি আক্রমণ! হিন্দু-বৌদ্ধের ধর্ম ও সংস্কৃতি কতটা বিপন্ন হয়েছিল?       

    Turkish invasion: বঙ্গের ‘অন্ধকার যুগ’ তুর্কি আক্রমণ! হিন্দু-বৌদ্ধের ধর্ম ও সংস্কৃতি কতটা বিপন্ন হয়েছিল?       

    ড. সুমন চন্দ্র দাস

    দ্বাদশ শতকে বঙ্গদেশে ইতিহাসের কালা অধ্যায় হল তুর্কি আক্রমণ (Turkish invasion)। এই আক্রমণ ছিল সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় আক্রমণ। বঙ্গের হিন্দু-বৌদ্ধদের উপর নির্মম আঘাত। মধ্যদেশ বিনির্গত যবনদের এক হাতে ছিল তলোয়ার, আরেক হাতে ছিল কোরান। হয় ইসলামকে স্বীকার করো, না হয় প্রাণে মারা পড়ো-এই ছিল মূলমন্ত্র। দারুল হারবকে দারুল ইসলাম করার ষড়যন্ত্র আজ থেকে প্রায় এগারোশ বছর আগেই তুর্কি মুসলমানরা শুরু করে দিয়েছিল। বিহার হয়ে বঙ্গের নবদ্বীপে আক্রমণ করেছিলেন ‘মুসলমান কসাই’ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি। সনাতনী স্থাপত্য, ভাস্কর্য, শিক্ষা কেন্দ্র, মঠ, মন্দিরগুলিকে অকাতরে ধ্বংস করা হয়। হিন্দু-বৌদ্ধদের অকাতরে কচুকাটা করেন তিনি। হিন্দু পণ্ডিত এবং বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের উপর চরম আঘাত নেমে এসেছিল অস্তিত্ব রক্ষায়। সেই সঙ্গে চলে নির্বিচারে লুট, খুন, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড। ধর্মকে রক্ষা করতে হিন্দু ব্রাহ্মণরা নেপালে গিয়ে আশ্রয় লাভ করেছিলেন। সাহিত্য, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শন, ন্যায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায় নেমে আসে কালা অধ্যায়। ঐতিহাসিকরা এই সময়কে ‘অন্ধকার যুগ’ (Dark Age) বলেছেন।

    বিহারে নালন্দা ধ্বংস (Turkish invasion)

    ১২০১ খ্রিষ্টাব্দে বখতিয়ার খিলজি (Turkish invasion) বিহারে আক্রমণ করেন। বিহারের নালন্দা বৌদ্ধ মহাবিহারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একই ভাবে ধ্বংস করা হয় ওদন্তপুরীকে। কথিত আছে, তুর্কিরা প্রজ্ঞাপারমিতা বা মণিমুক্তা সংগ্রহের জন্য এই জঘন্য তাণ্ডব চালিয়েছিল। ঘটনার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছরের মাথায় মিনহাজ, কথিত বিবরণ শুনে ‘তবাকত-ই-নাসরি, রিয়া-উজ-সালাতিন নামক গ্রন্থের মধ্যে বিবরণ লিখে গিয়েছেন। এক জায়গায় বলা হয়, একটি পুঁথির লিপি পাঠ করতে গেলে পাঠ করার কোনও ব্যক্তিকে ওই স্থানে পাওয়া যায়নি। পরে দূরবর্তী কোনও অবশিষ্ট ভিক্ষুককে দিয়ে লিপি পড়ে যানা যায়, এই ধ্বংসের স্তূপটি একটি শিক্ষালয় ছিল। হিন্দু মন্দির এবং বৌদ্ধ বিহার ভেঙে মসজিদ এবং মাদ্রাসা নির্মাণও করা হয়েছে। বিধর্মী কাফেরদের কচু কাটা করে এলাকা শূন্য করে ইসলাম প্রচার করা ছিল সভ্যতার অত্যন্ত নৃশংস ঘটনা। এরপর থেকে বিহারের ওই জায়গার নাম করা হয় বখতিয়ারপুর। আজও ওই স্থানের রেল স্টেশনের নাম এই ‘নরখাদকের’ নামে নামাঙ্কিত রয়েছে। বিহারের পরবর্তী লক্ষ্য হয় বঙ্গ।

    নদিয়ায় আক্রমণ

    বিহার আক্রমণের পর বখতিয়ার খিলজি (Turkish invasion) অনেক ধনরত্ন নিয়ে দিল্লির বাদশাহ কুতুবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এরপরই তিনি বাংলা জয়ের জন্য মনস্থির করেন। বঙ্গে তখন শাসক রাজা লক্ষ্মণ সেন। দুপুর বেলায় মাত্র অল্প কিছু অশ্বারোহীকে (মাত্র ১৭ জন) নিয়ে নদিয়ায় আক্রমণ করেন খিলজি। ঘটনায় অত্যন্ত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অল্প সময়ের মধ্যেই কাটা হয় রক্ষীদের। বলা হয়, লক্ষ্মণ সেন পিছনের দরজা দিয়ে খালি পায়ে নৌকায় করে বিক্রমপুরে চলে যান। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র নিজের প্রবন্ধে মাত্র ১৭ জনের তত্ত্ব দিয়ে বাংলা দখলের বিষয়কে মানেননি। নদিয়া বা নবদ্বীপ আক্রমণ করার পর মুসলমানরা বাংলা জয় করেছেন, এই তত্ত্বও মানতে নারাজ তিনি। কারণ তাঁর মতে, তুর্কিরা নবদ্বীপ দখলের পরেও অনন্ত ৫০ বছর গৌড়, বর্ধমান, বিষ্ণুপুর সহ একাধিক জায়গায় হিন্দু জমিদারদের আধিপত্য ছিল। তাই বিনা বাধায় বঙ্গে মুসলমানরা আধিপত্য বিস্তার করেছে, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভাবে ঠিক নয়। হিন্দু রাজাদের বল ছিল না-একই কথা অসত্য। ইতিহাসকারেরা তুর্কিদের বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন, আক্রমণকে উপেক্ষা করেছেন। 

    কেন অন্ধকার যুগ?

    মুসলমান আক্রমণের (Turkish invasion) এই পর্বকে বঙ্গে ‘অন্ধকার যুগ’ (Dark Age) বলা হয়। কারণ এই সময় বাংলায় সাহিত্য নির্মাণ হয়নি বললেই চলে। একদিকে ইসলামি শরিয়া শাসন, অপর দিকে সৃজনশীল সাহিত্যকলার বিকাশে ব্যাপক খারাপ প্রভাব পড়েছিল। প্রাণ এবং ধর্ম বাঁচাতে বাংলার হিন্দু পণ্ডিত এবং বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা নেপালে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। যার বাস্তব উদাহরণ হল বাংলা ভাষায় লেখা পুঁথি নেপাল থেকে উদ্ধার হয়েছে। ধর্মকে বাঁচাতে পর্বত গাত্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন পণ্ডিতরা। চর্যাপদ বাংলা, বিহার, মিথিলা এবং ওড়িশার সম্পদ হলেও পাওয়া গিয়েছে নেপাল থেকে। তুর্কি মুসলমানরা পর্বতে উঠতে অক্ষম ছিল বলেই হয়তো হিন্দু-বৌদ্ধরা পালিয়ে নিজেদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার, মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, প্রাচ্যবিদার্নব নগেন্দ্রনাথ বসু, আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ডক্টর নীহাররঞ্জন রায়, আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন, আচার্য সুকুমার সেন, শ্রীভুদেব চৌধুরী, শ্রীগোপাল হালদার, ডক্টর অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ডক্টর শহিদুল্লাহ, ডক্টর আহমেদ শরীফ, ডক্টর এনামূল হক-সহ অনেক তাত্ত্বিক একবাক্যে বঙ্গে তুর্কি আক্রমণের প্রভাব সম্পর্কে অত্যন্ত নেতিবাচক মন্তব্য করে গিয়েছেন। এই সময়ে কার্যত কোনও সাহিত্য, শিল্প ভাবনার প্রকাশ দেখা যায়নি। কারণ রাজ শাসনে মুসলমান রাজাদের ধর্মীয় বিদ্বেষ ব্যাপক ভাবে সমাজে ছিল। পরবর্তী মুসলমান শাসকদের বিরুদ্ধে সামজিক দৃষ্টিকোণে ধর্মীয় নবজাগরণ ঘটান শ্রী চৈতন্যদেব। ইতিহাসের পাতায় যতটা মুসলমান শাসকদের বাংলা জয় সহজ করে দেখানো হয়েছে, ঠিক ততটাই কঠিন ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 06 october 2024: প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 06 october 2024: প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) গরিব মানুষকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দ লাভ।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) প্রিয়জনের কাছ থেকে ভালোবাসা পাবেন।

    ২) গাড়িচালকদের জন্য দিনটি শুভ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে।

    ২) কোমরের নীচে যন্ত্রণা নিয়ে চিন্তা।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) খুব কাছের কোনও মানুষের জন্য পারিবারিক অশান্তি হতে পারে।

    ২) দামি কিছু প্রাপ্তি হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) উপার্জন নিয়ে মনে প্রচুর ক্ষোভ থাকবে।

    ২) ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে মিশ্রফল।

    ২) নিজের ভাগের সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ ছাড়তে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে  দিনটি শুভ নয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ।

    ২) স্বামীর সঙ্গে তর্ক না করাই ভালো হবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: অজুহাত নিরাপত্তা! বাংলাদেশে বহু পুজোর অনুমতি দিল না ইউনূস সরকার, উদ্বিগ্ন ভারত

    Bangladesh: অজুহাত নিরাপত্তা! বাংলাদেশে বহু পুজোর অনুমতি দিল না ইউনূস সরকার, উদ্বিগ্ন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। এমন সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং মুসলমান সংগঠনগুলি দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোর (Durga Puja) অনুমতি দেয়নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং হুমকির কথা উল্লেখ করে দেওয়া হয়নি অনুমতি। যেসব কমিটি পুজো করছে, নমাজ আদায়ের সময় তাদের নীরবতা বজায় রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এমনকী, পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলেও বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    চলছে প্রতিমা ভাঙচুর (Bangladesh)

    এদিকে, গত কয়েক বছরের মতো এবারও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা ভাঙচুর। কিশোরগঞ্জের বত্রিশ গোপীনাথ জিউয়ের আখড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। কুমিল্লা জেলাতেও ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। লুট করা হয়েছে মন্দিরের দান বাক্স। নারায়ণগঞ্জ জেলার মিরপাড়া এলাকায় ভাঙচুর করা হয় একটি দুর্গা মন্দিরে।

    জিজিয়া কর

    বাংলাদেশ সরকারের এক শীর্ষ সূত্রের খবর, দুর্গাপুজোর আগে ৯ অক্টোবর থেকে পুজো কমিটিগুলির প্রত্যেক সদস্যকে ৫ লাখ টাকা করে জিজিয়া কর (অ-মুসলমানদের কাছ থেকে মুসলমানরা ধর্ম পালনের জন্য যে কর আদায় করে) দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই জিজিয়া করের ভয়ে অনেক উদ্যোক্তাই পুজো বন্ধ করে দিয়েছেন (Bangladesh)। শুক্রবার ভোরে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় তিনটি দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলে হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চিনের নাকের ডগায় হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ গড়ল ভারত

    গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    দুর্গাপুজোর আগে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে আসায়, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বাংলাদেশি হিন্দুরা  (Bangladeshi Hindus) যাতে শান্তিতে এবং নির্বিঘ্নে দুর্গাপুজো তথা শারদোৎসব পালন করতে পারেন, তার জন্য সেদেশের প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলেই আশা করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় যদি কোনও (অনভিপ্রেত) ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটা ভালো কথা নয়। দুর্গাপুজো সবসময়েই শুভ বার্তা বয়ে আনে এবং এই উৎসব উপলক্ষে আমি সকলকে আমার শুভ কামনা জানাচ্ছি।’’ রণধীর আরও বলেন, রণধীর বলেন, ‘‘ভারত সরকার আশা করছে, বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রশাসন সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এমনকী, এই বিষয়টি সর্বোচ্চ স্তরেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রণধীর।’’

    ইউনূস প্রশাসনের আশ্বাসই সার

    বাংলাদেশের আইজিপি মহম্মদ ময়নুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটাতে পারে, সেজন্য বাড়ানো হয়েছে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা। তাঁদের সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রোধে পুলিশের সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে (Bangladesh)। প্রয়োজনে সে দেশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা স্থানীয় থানায় যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে উদ্যোক্তাদের। তার পরেও অবশ্য দিব্যি চলছে পুজো উদ্যোক্তাদের হুমকি দেওয়ার কাজ, চলছে প্রতিমা (Durga Puja) ভাঙচুরের কাজ। আদায় করা হচ্ছে জিজিয়া করও (Bangladesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: মেয়ের যন্ত্রণায় মুখ ঢেকেছেন মা! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ কাঁকুড়গাছির মণ্ডপে

    RG Kar: মেয়ের যন্ত্রণায় মুখ ঢেকেছেন মা! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ কাঁকুড়গাছির মণ্ডপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদের ছোঁয়া দেখা গেল দুর্গা প্রতিমা নির্মাণেও। মেয়ের যন্ত্রণা দেখে মুখ ঢাকছেন মা! এই থিমেই দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছে কাঁকুড়গাছির একটি পুজো। 

    থিমের নাম ‘লজ্জা’

    কাঁকুড়গাছি শ্রী শ্রী সরস্বতী ও কালীমাতা মন্দির পরিষদের এবারের পুজোয় এমনই অভিনব প্রতিবাদ ধরা পড়েছে। কাঁকুড়গাছির এই পুজোয় মাতৃমূর্তিও তৈরি করা হয়েছে একেবারে বিবর্ণ প্রকৃতির। হাতে কোনও অস্ত্র রাখা হয়নি। পায়ের কাছে অসুর হত অবস্থায় রয়েছে। লজ্জায় (RG Kar) মাথা নুইয়ে রয়েছে মায়ের প্রিয় বাহন সিংহ। মাতৃমূর্তির পাদদেশে রয়েছে নির্যাতিতার শরীরের প্রতিকৃতি। থিমের নাম রাখা হয়েছে ‘লজ্জা’। থিমের অঙ্গ হিসেবে মণ্ডপে রাখা হয়েছে একটি অ্যাপ্রন ও স্টেথোস্কোপ। আরজি করের ঘটনার প্রতিচ্ছবি মণ্ডপেও ফুটে উঠেছে এভাবেই। অন্যদিকে, মমতা সরকারকে কটাক্ষ করে মণ্ডপের গায়ে একটি ভাঁড়ার তৈরি করা হয়েছে। তার গায়ে পাঁচশো ও হাজার টাকার নোটের ছবি দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হিসেবে উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সরকার জানাচ্ছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রতীক এটি। মানুষকে এভাবেই জনমোহিনী প্রকল্পের সুবিধা দিয়ে ভোলানোর চেষ্টা করছে সরকার। এর তলায় চাপা পড়ে যাচ্ছে যাবতীয় অপরাধ।

    বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার প্রতিষ্ঠা করেন এই পুজো 

    জানা গিয়েছে, এই পুজো ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। তিনি ২০২১ সালে খুন হন শাসকদলের দুষ্কৃতীদের হাতে, এমনটাই অভিযোগ। তারপর থেকে নিহত অভিজিৎ-এর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার এই পুজোর দায়িত্ব নেন। বিশ্বজিৎ সরকার সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘‘কামদুনি, হাঁসখালি, আরজিকর (RG Kar), ভোটপরবর্তী হিংসা — সব কিছুকে মাথায় রেখেই এই বিশেষ থিম। রাজ্যে মহিলারা কীভাবে সন্ত্রাসের শিকার হয়, সেই বাস্তবই মনে করিয়ে দিতে চায় এই থিম। মেয়েদের কষ্টে, যন্ত্রণায় মা কষ্ট পাচ্ছেন। লজ্জায়, কষ্টে ও দুঃখে মুখ ঢাকছেন নিজের। সেটি বোঝাতেই প্রতিমার আদল গড়া হয়েছে এমনভাবে। মহিলাদের ওপর সমস্ত অত্যাচারের প্রতীকরূপেই এই থিম (Durga Puja 2024) বেছে নেওয়া হয়েছে।’’

    বিগত বছরগুলিতে কাঁকুড়গাছি দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) থিম-

    ২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদকে পুজোর থিম করা হয়েছিল।

    ২০২২ সালে ‘মায়েদের কান্না রক্তাক্ত বাংলা’ নামের থিম হয় ৷

    ২০২৩ সালে ভারতমাতা মোদির হাতে দেশের ম্যাপ তুলে দিচ্ছেন, এই থিম দেখা গিয়েছিল।

    ২০২৪ সালে আরজি করের নৃশংসতার প্রতিবাদ জানিয়ে থিম করলেন উদ্যোক্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল সাংসদকে ‘গো-ব্যাক’ স্থানীয়দের, মৃতার দেহ সংরক্ষণের দাবি অগ্নিমিত্রার

    Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল সাংসদকে ‘গো-ব্যাক’ স্থানীয়দের, মৃতার দেহ সংরক্ষণের দাবি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে এখনও প্রতিবাদের ঝড় চলছে রাজ্যজুড়ে। এই আবহের মধ্যে ন’বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগরের (Jaynagar) মহিষমারি এলাকায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হল পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে। নিহত নির্যাতিতা বালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবিতে হাসপাতালে ধর্নায় বসেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ পৌঁছলে তাকে শুনতে হয় ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান।

    বিজেপি বিধায়ক-তৃণমূল সাংসদ বচসা (Jaynagar)

    এদিন দুপুরে অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা পৌঁছে যান হাসপাতালের (Jaynagar) সামনে। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। কিছু সময় পরে তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলও পৌঁছন সেখানে। দুই বিপক্ষ শিবিরের সাংসদ-বিধায়ক মুখোমুখি হতেই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। তৃণমূল সাংসদ প্রতিমাকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, “কেন শুক্রবার রাতে এফআইআর নেওয়া হল না পরিবারের। পুলিশ কেন চুপ ছিল অভিযোগ জানানোর পরেও। পুলিশ কেন নিষ্ক্রিয়? আপনাকে জবাব দিতে হবে দিদি!” দৃশ্যত বচসায় জড়ান সাংসদ ও বিধায়ক। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কার্যত আঙুল উঁচিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকলেন অগ্নিমিত্রা। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ককে হাত জোড় করে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রতিমা। অগ্নিমিত্রা আরও বলেন, “আপনি এখানকার সাংসদ। আপনি অভিভাবক। আপনাকে জবাব দিতে হবে।”

    তৃণমূল সাংসদকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান (Jaynagar)

    সাংসদকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগানও উঠল ভিড়ের মধ্যে থেকে। উত্তেজিত জনতার দাবি, “কোন বিচার দিতে পারবে না তৃণমূল সাংসদ, আমাদের ব্যাপার আমরা বুঝে নেব।” পাশাপাশি অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছিল তাতে ময়নাতদন্ত নিয়ে একাধিক ভুল ভ্রান্তি সামনে এসেছিল। আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তাই দেহ সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি।”  সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পরে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে যান তৃণমূল সাংসদ। তিনি শুধু বলেন, “নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে চাই।”

    আরও পড়ুন: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন

    পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে রণক্ষেত্র এলাকা

    প্রসঙ্গত,শুক্রবার রাতে নাবালিকার (Jaynagar) দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়। তাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও। চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়া শুক্রবার দুপুরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল। তার পর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না নাবালিকার। এই নিয়ে প্রথমে পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে, সেখানে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে রাতের দিকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ (South 24 Parganas)। পরিবারের দাবি, পুলিশ প্রথম থেকে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিলে মেয়েটিকে প্রাণে বাঁচানো যেত। তা নিয়ে সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত জয়নগর। থানা ঘেরাও করেছিলেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ ফাঁড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র‍্যাফ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। লাঠিচার্জও করা হয়েছিল বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dharmapala: বাঙালি সুশাসক রাজা ধর্মপাল কেন পরমেশ্বর ছিলেন জানেন?

    Dharmapala: বাঙালি সুশাসক রাজা ধর্মপাল কেন পরমেশ্বর ছিলেন জানেন?

    ড. সুমন চন্দ্র দাস

    বঙ্গে শশাঙ্কের মৃত্যুর পর শতবর্ষব্যাপী অনৈক্য, আত্মকলহ, বহিঃশত্রু পুনঃ পুনঃ আক্রমণের ফলে বিরাট অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। এই সময় বঙ্গে রাজতন্ত্র ছিল না। ঐতিহাসিক লামা তারানাথ এই সময়কে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলেছেন। ছোট ছোট মাছকে যেমন করে বড় বড় মাছ শিকার করে, ঠিক তেমনি রাজনৈতিক অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল দেশে। সুশাসক না থাকায় দুর্বল মানুষের উপর সবলের অত্যাচার ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে চরম আকার নিয়েছিল। এই সময় পালবংশের গোপাল ৭৪০ থেকে ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রাজা হিসেবে নির্বাচিত হন। আনুমানিক ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তাঁর পুত্রের নাম ধর্মপাল, তিনি দ্বিতীয় পালরাজা হিসেবে সিংহাসনে বসেন ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দে এবং রাজত্ব করেন ৮১০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। পাল রাজারা অবশ্য বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি বাঙালি রাজা হিসেবে অত্যন্ত বীর সাহসী এবং রাজনীতিককুশল ছিলেন। তাঁর কীর্তি ইতহাসে অবিস্মরণীয়।

    পরমভট্টারক, মহারাজাধিরাজ ধর্মপাল

    রাজা হিসেবে ধর্মপাল (Pala Empire) আর্যাবর্তে এক সাম্রাজ্য স্থাপনার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু সাময়িক ভাবে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন প্রতীহার বংশের রাজা বৎসরাজ। গুর্জর, হুণদের সঙ্গে বা ঠিক তাঁদের পরপরই ভারতের পাঞ্জাব, রাজপুতানা এবং মালবে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। অষ্টম শতকের শেষে বৎসরাজ পূর্বে সাম্রাজ্য বিস্তারে অগ্রসর হন। অপর দিকে ধর্মপাল পশ্চিমদিকে অগ্রসর হলে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। কিন্তু যুদ্ধে ধর্মপাল পরাজিত হয়েছিলেন। তবে বৎসরাজ পূর্ব দিকে কতটা সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন, তার উল্লেখ সঠিক ভাবে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে ধর্মপালের সাম্রাজ্য মগধ, বারাণসী এবং প্রয়াগ হয়ে গঙ্গা-যমুনার মধ্যবর্তী ভূ-ভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিলেন। তাঁকে গৌরব সূচক সম্বোধন হিসেবে পরমেশ্বর, পরমভট্টারক, মহারাজাধিরাজ নামে উপাধি দেওয়া হয়েছে।

    আর্যাবর্তের কান্যকুব্জ জয়

    ধর্মপালের পুত্র দেবপালের একটি তাম্রশাসন থেকে জানা যায়, তিনি দিগ্বিজয়ে প্রবৃত্ত হয়ে কেদার, গোকর্ণ নামক দুই তীর্থ এবং গঙ্গাসাগর সঙ্গম পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। কেদার হল হিমালয়ের সুপরিচিত জায়গায়। গোকর্ণ বলতে কেউ কেউ বম্বে প্রেসিডেন্সির মধ্যে উত্তর কানাড়ায় তীর্থধাম বোঝান। আবার নেপালে পশুপতি মন্দিরের দুই মাইল উত্তর-পূর্বে গোকর্ণ নামক তীর্থ স্থান রয়েছে। একই ভাবে কাপিলাবস্তুর নিকটে গঙ্গাসাগর বলে একটা জায়গা আছে। ফলে বিজয় সংকল্প যাত্রা নিয়ে এই বাঙালি সম্রাটের যাত্রা ছিল উত্তরের হিমালয়ের গোকর্ণ পর্যন্ত। সেই সঙ্গে করছেন অনেক সংগ্রাম। পালসাম্রাজ্যকে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে প্রতিষ্ঠিত করতে, আর্যাবর্তের কান্যকুব্জ জয় করেছিলেন। এরপর সিন্ধুনদ, পাঞ্জাবের উত্তরের হিমালয়ের পাদদেশ পর্যন্ত সাম্রজ্য বিস্তার করেছিলেন।

    মালদার নিকটে পাওয়া ‘খালিমপুর’ তাম্রশাসন থেকে জানা গিয়েছে, কান্যকুব্জে যখন রাজ্যশ্রী গ্রহণ করেন, সেই সময় পাঞ্চালদেশের বয়োবৃদ্ধরা ধর্মপালের মাথায় স্বর্ণকলস থেকে পবিত্র তীর্থ জলপ্রদান করেছিলেন। গান্ধার, মাদ্র, কুরু, কীর, ভোজ, মৎস্য, যদু, যবন, অবন্তি বিভিন্ন নগরের সামন্তরা ধর্ম পালের প্রভুত্ব স্বীকার করেছিলেন। ফলে এই রাজ্যগুলি অর্থাৎ স্থান বিচারে পঞ্চনদের পূর্ব, মধ্য, উত্তর ভাগ, সিন্ধুনদীর পশ্চিমপাড়, আলোয়ার, মালব, জয়পুর, সুরাট পর্যন্ত বিস্তৃত ভূভাগের রাজা ছিলেন বঙ্গের রাজা ধর্মপাল। তাঁকে চম্পু কাব্যে উত্তরাপথস্বামী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    বিক্রমশীল, সোমপুর, পাহাড়পুরের বৌদ্ধ মহাবিহার নির্মাণ

    ধর্মপালের (Pala Empire) রাজত্বে বঙ্গে যে ভাবে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছিল, পরবর্তী কালে এমন ভাবে আর দেখার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। যে ভূমি মাত্র ৫০ বছর আগে অরাজকতা, অত্যাচারের ভূমি ছিল, ধর্মপালের সৌজন্যে যেন নিস্তার পেল বঙ্গভূমি। শুধু যে রাজনৈতিক পালা পরিবর্তন হয়েছে তাই নয়, ধর্ম, শিল্প, সাহিত্যের চরম উৎকর্ষলাভ করে। বাঙালি যেন নতুন করে নিজেদের আত্ম প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পেয়ে গেল। ধর্মপালের রাজ্য যেন বাঙালির জীবন প্রভাতের সূচনা হল। খালিমপুর তাম্র শাসনে তাই বলা হয়েছে, “সীমান্তদেশে গোপগণ, বনের বনচরগণ, গ্রামের জনসাধারণ, বাড়ির শিশুরা, দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতা, রাজপ্রসাদের খাঁচার পাখিরা সব সময় সুশাসক ধর্মপালের নামগান করতেন।” তাঁর আমলে নালন্দার মতো বিক্রমশীল ছিল বিখ্যাত অধ্যয়ন কেন্দ্র বৌদ্ধ মহাবিহার। গঙ্গাতটে নির্মাণ করেছিলেন তিনি। চারিদিকে ১০৭টি মন্দির ছিল। ১১৪ জন শিক্ষক ছিলেন এই শিক্ষা কেন্দ্রে। এছাড়াও বরেন্দ্রভূমিতে সোমপুর, রাজশাহীতে পাহাড়পুর এবং বিহারের ওদন্তপুরে আরও একটি মহাবিহার নির্মাণ করেছিলেন। লামাতারা নাথ বলেছেন, তিনি মোট ৫০টি শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন। এক কথায় পালযুগের সুবর্ণযুগ ছিল তাঁর সময়ে।

    আরও ইতিহাস খোঁজের ইঙ্গিত

    বাংলার যথার্থ ইতিহাস নিয়ে বার বার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র নিজের লেখায় বাঙালির ইতিহাস লেখার কথা বঙ্গদেশের কৃষক প্রবন্ধে বলে গিয়েছেন। সমাজ সংস্কৃত ধর্ম রাজনীতি নিয়ে সত্যিকারের ইতিহাস খোঁজের কথা বলে গিয়েছেন। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর ‘বাংলাদেশের ইতিহাস’ বইতে আক্ষেপ করে বলেছেন, “একদিন বাংলার মাঠে-ঘাটে ঘরে-বাহিরে যাঁহার নাম লোকের মুখে মুখে ফিরিত, তাঁহার কোন স্মৃতিই আজ বাংলাদেশে নাই। অদৃষ্টের নিদারুণ পরিহাসে বাঙালি তাঁহার নাম পর্যন্ত ভুলিয়া গিয়াছে।… তাঁহার জীবনের বিশেষ কোন বিবরণ জানিতে পারি নাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘শতবর্ষে আরএসএস-এর লক্ষ্য সুশৃঙ্খল, শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠন’’, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘শতবর্ষে আরএসএস-এর লক্ষ্য সুশৃঙ্খল, শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠন’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংগঠনের শতবর্ষে আরএসএস-এর (RSS) প্রাথমিক লক্ষ্য হল সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠন, রাজস্থানে সঙ্ঘের এক বৈঠকে সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat)। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই ৪ দিনের মরুরাজ্যে সফরে যান ভাগবত। ধর্মদা ধর্মশালায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজিত হয়। সেখানেই এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে ১০০ বছরে পদার্পণ আরএসএস। এনিয়ে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে আগামী বছর। সেই সমস্ত কর্মসূচিগুলি নিয়েই রাজ্যে-রাজ্যে আলোচনা চলছে। রাজস্থানে সঙ্ঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘সংগঠনের শতবর্ষ, উৎসব হিসেবে উদযাপন করা উচিত নয় বরং ঐক্যবদ্ধ-শক্তিশালী-শৃঙ্খলাবদ্ধ হিন্দু সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন কীভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে, সেদিকেই মনোনিবেশ করা উচিত আমাদের।’’

    সমর্পিত কর্মকর্তাদের সংখ্যা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়

    প্রসঙ্গত, চার দিনের রাজস্থান সফরে জেলা প্রচারক ও ক্ষেত্র প্রচারকদের বৈঠকে সঙ্ঘপ্রধান (RSS) আরও বলেন, ‘‘শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সংগঠনের প্রতি সমর্পিত কর্মকর্তাদের সংখ্যা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’’ উল্লেখ্য চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই কেরলের পালাক্কড়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠক চলেছিল ৩১ অগাস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এখানে ২০২৫ সালের সঙ্ঘের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

    ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) কী কী কর্মসূচি নিচ্ছে?

    ২০২৫ সালে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেখা যাবে সঙ্ঘকে। ইতিমধ্যেই আরএসএস ঘোষণা করেছে ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে নেওয়া হবে পঞ্চ পরিবর্তন কর্মসূচি, যা চলবে ২০২৬ সালের বিজয় দশমী পর্যন্ত। পঞ্চ পরিবর্তনের বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি, কুটুম্ব প্রবোধন যার অর্থ হল পরিবারকে শক্তিশালী করা, পরিবেশ সংক্রান্ত ইস্যু, আত্মনির্ভরতা-এক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক চিহ্নগুলিকে মুছে ফেলার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, সব শেষে রয়েছে সিভিক ডিউটি বা নাগরিক কর্তব্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Zakir Naik: ‘কন্যা বলা যাবে না’! অনাথ মেয়েদের মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন ঘৃণাভাষণকারী জাকির

    Zakir Naik: ‘কন্যা বলা যাবে না’! অনাথ মেয়েদের মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন ঘৃণাভাষণকারী জাকির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন পলাতক ঘৃণাভাষণকারী ইসলামি প্রচারক জাকির নায়েক (Zakir Naik)। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছেন তিনি। বর্তমানে জাকির রয়েছেন পাকিস্তানে (Pakistan)। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অনাথ মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তিনি।

    মঞ্চ থেকে নেমে পালালেন (Zakir Naik)

    সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সময় আচমকাই মঞ্চ থেকে নেমে পড়েন তিনি। তাঁর এই মঞ্চ-ত্যাগের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাকিস্তানের গবেষক উসমান চৌধুরির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে অনাথ মেয়েরা জাকিরকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিল। সেই সময় তাঁকে একটি স্মারক দিতে যান উদ্যোক্তারা। সেই স্মারক না নিয়েই ত্রস্ত্র পায়ে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান তিনি (Zakir Naik)।

    জাকিরের মঞ্চ ত্যাগের কারণ

    কী কারণে স্মারক না নিয়েই মঞ্চ ত্যাগ করলেন জাকির? জানা গিয়েছে, উদ্যোক্তারা ওই অনাথ আশ্রমের মেয়েদের ‘কন্যা’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। এতেই আপত্তি করেন জাকির। তাঁর বক্তব্য, “আপনি তাদের স্পর্শ করতে পারবেন না বা তাদের আপনার কন্যা বলতে পারবেন না।” এই মেয়েদের জাকির ‘নন-মাহরাম’ বলে উল্লেখ করেন। জাকিরের যুক্তি, এই ছোট মেয়েরাই বিবাহযোগ্যা হয়ে গিয়েছে। তাই তাদের আর কন্যা হিসেবে পরিচয় দেওয়া যায় না। ইসলামে ‘মাহরাম’ শব্দটি এসেছে ‘হারাম’ শব্দ থেকে। এর অর্থ, এমন একজনকে বোঝায় যাকে বিয়ে করা যায় না, যেমন পিতা-পুত্রী। ‘নন-মাহরাম’ বলতে বোঝায় এমন একজনকে যাকে কেউ বিয়ে করতে পারে অথবা সেই ব্যক্তিকে বিয়ে করা হারাম নয়।

    আরও পড়ুন: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    সোমবারই মাসখানেকের জন্য ইসালামাবাদ সফরে গিয়েছেন জাকির। ভারতের এই শত্রুকে রেড কার্পেটে বরণ করে পাকিস্তানের সরকার। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।

    এদিকে, জাকিরের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তান যেভাবে জাকিরকে সম্মানিত করেছে, তার নিন্দা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই জাকিরের এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা রিপোর্টে দেখেছি, জাকিরকে নিয়ে পাকিস্তানে কীভাবে মাতামাতি হচ্ছে। কীভাবে তাঁকে সেখানে (Pakistan) স্বাগত জানানো হচ্ছে (Zakir Naik)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Electricity Trade Deal: ভারত-নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হল

    Electricity Trade Deal: ভারত-নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঠমান্ডুতে গত ৩ অক্টোবর ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি ত্রিদেশীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর ফলে তিন দেশের আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ বাণিজ্যে (Electricity Trade Deal) আরও গতি আসবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। প্রসঙ্গত, এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতবর্ষে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে তার অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎকে রফতানি করতে পারবে নেপাল। দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    এর ফলে নেপাল প্রতি বছর ৯২ লাখ মার্কিন ডলার আয় করতে পারবে

    এই চুক্তির মাধ্যমে প্রতি বছর বর্ষাকালে, বিশেষত ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত নেপাল, বাংলাদেশে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ (Electricity Trade Deal)  করতে পারবে। ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়া ধলকেবর-মুজাফফরপুর ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করবে নেপাল। প্রসঙ্গত, এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে নেপাল প্রতিবছর ৯২ লাখ মার্কিন ডলার আয় করতে পারবে। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় হাজির ছিলেন নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এনইএ) আধিকারিক কুলমান ঘিসিং, ভারতের এনটিপিসি-র সিইও ডিনো নারান এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহম্মদ রিজওয়ান করিম। এছাড়াও হাজির ছিলেন নেপালের জ্বালানিমন্ত্রী দীপক খাডকা এবং বাংলাদেশের জ্বালানিমন্ত্রী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

    আগেই স্বাক্ষরিত হত, তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যায়

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নেপাল (Nepal), ভারত ও বাংলাদেশের জন্য এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ এর মাধ্যমে শুধু অর্থনৈতিক সম্পর্কই নয়, তার সঙ্গে এই তিন দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাও (Electricity Trade Deal)  শক্তিশালী হবে। নেপাল তার অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের ২৮ তারিখে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তখনকার মতো তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। এর পরবর্তীকালে তিন দেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা কাঠমান্ডুতে বিস্তারিত আলোচনা করেন এই নিয়ে। তারপরেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ নিয়ে পরবর্তীকালে তিন দেশের আধিকারিকদের মধ্যেই মউ সাক্ষরিত হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশ রুখে দিল সেনা, খতম দুই জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক

    Jammu and Kashmir: কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশ রুখে দিল সেনা, খতম দুই জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ফের অনুপ্রবেশ রুখে দিল ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইতে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। একই ভাবে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র এবং বিস্ফোরক। শনিবার সীমান্ত টপকে কুপওয়ারা হয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল একদল জঙ্গি। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। রাতভর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আর তাতেই মেলে বিরাট সাফল্য।

    দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি (Jammu and Kashmir)

    সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রীনগরস্থিত সেনার (Jammu and Kashmir) চিনার কোর তাদের এক্স হ্যান্ডলে একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, “যৌথবাহিনী গুগল লোকেশন নির্ণয় করে অভিযানে যেতেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণরেখা ধরে অনুপ্রবশ করতে চেষ্টা করছিল। তাদের আটকে দিয়ে পালটা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষে মারা পড়ে দুই জঙ্গি। জঙ্গি দমনের এই বিশেষ অভিযানে নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন গুগলধর’।”

    আরও পড়ুনঃসুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশ এবং সেনার যৌথ অভিযানের ফলে জঙ্গিরা পিছনে হঠতে শুরু করে। লড়াইতে দুই জঙ্গি মারা পড়লে বাকিরা পালিয়ে যায়। মৃত দুই জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক এবং অস্ত্র। এরপর এলাকায় চলে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। তবে যে পরিমাণে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে তাতে মনে হয় বেশকিছু দিন ধরে লড়াই করার ভাবনা নিয়ে হয়ত অনুপ্রবেশ করতে চেয়েছিল জঙ্গিরা। কিন্তু সময় মতো অভিযান চালিয়ে সব চক্রান্তকে বানচাল করে দেওয়া হয়েছে। তবে দুই জঙ্গি ঠিক কোন সংগঠনের, তার তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

    একই ভাবে কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের সঙ্গে এনকাউন্টার হয় নিরাপত্তা বাহিনীর। সেনার পক্ষথেকে বলা হয় গোপন খবরের ভিত্তিতে এই এলাকার ছাত্রো গ্রামে অভিযান চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ধারা ৩৭০ বাতিল করেছে। এরপর থেকে বিশেষ অনুচ্ছেদের অধ্যায় সমাপ্ত হয়েছে এই রাজ্যে। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশাল সংখ্যায় ভোটগ্রহণের গণতান্ত্রিক উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন মিটতেই ফের অশান্ত করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share