Tag: bangla news

bangla news

  • West Bengal Assembly: ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য’’, বিধানসভা বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা

    West Bengal Assembly: ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য’’, বিধানসভা বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা প্রশ্নে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) মুলতুবি প্রস্তাব আনলেন প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির দাবি, ভারতের মাটিতে স্বাধীনভাবে নিজের নিজের ধর্মচর্চা করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। সেই অধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের তরফে এটি করা হচ্ছে৷ শুক্রবার, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে মুলতুবি প্রস্তাব আলোচনার জন্য ওঠে। কিন্তু, আলোচনায় বিরোধী দলের কোনও সদস্যই প্রস্তাবটি পাঠ করার সুযোগ পাননি। এরপর হট্টোগোল শুরু হয়। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা বয়কট (BJP Walk Out) করেন বিজেপির বিধায়করা। 

    ধর্মাচরণে বাধা

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য়। এ ব্যাপারে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) আলোচনা চেয়েছিলাম। অথচ অধ্যক্ষ নিজেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন। গরিষ্ঠতা, দম্ভ, অহঙ্কার দিয়ে বিধানসভার মধ্যেও বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। বাধ্য হয়েই ওয়াকআউট।’’ এ ব্যাপারে অধ্যক্ষর প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা যায়নি। বুধবার রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে বলতে না দেওয়ার অভিযোগে বিধানসভা বয়কট করেছিলেন গেরুয়া বিধায়করা। আর শুক্রবার ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে’- অভিযোগে কক্ষে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, অশোক দিন্দা, দীপক বর্মণ একযোগে এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ১৪০ কোটি ভারতবাসীর গর্ব! বন্ধু অ্যালবানিজের সঙ্গে রোহিতদের দেখে খুশি মোদি

    ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ

    শুভেন্দুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বীরভূমের পুরন্দরপুরে বজরংবলীর মূর্তি ও মন্দির ভাঙা হয়েছে। এ ব্যাপারেই আলোচনা চাওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের ধর্মের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ ধারা বারেবারে লঙ্ঘিত হচ্ছে। যেমন ফালাকাটা, গার্ডেনরিচ, রাজাবাজার, নোদাখালি, বেলডাঙা- বিশেষ সম্প্রদায় হিন্দুদের অনুষ্ঠানে বাধা তৈরি করছে। অবিলম্বে এই জিনিস বন্ধ করা উচিত। অথচ রাজ্য এ বিষয়ে ব্যর্থ। সভায় এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানালে তা খারিজ করা হয়।’’ শুভেন্দু স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘শতাংশের হিসেব দেখলে সবচেয়ে বেশি ভোট আমরা হিন্দু জনগোষ্ঠী এবং জনজাতিদের পেয়েছি। আমরা যদি তাদের ধর্ম পালনে নিরাপত্তা দিতে না-পারি, তাদের কথা বিধানসভায় বলতে না-পারি, তাহলে কী মূল্য আছে আমাদের!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Unrest: ২ বছর ধরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনেছে ইসলামি ছাত্র শিবির, আইএসআই!

    Bangladesh Unrest: ২ বছর ধরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনেছে ইসলামি ছাত্র শিবির, আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের কবল থেকে ভারতের প্রত্যক্ষ মদতে স্বাধীনতা লাভ করেছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ৫২ বছর পর সেই বাংলাদেশে ভিড়ল পাকিস্তানের জাহাজ। পাকিস্তানের সেই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছয়। জাহাজে কী ছিল? জানা যায়নি স্পষ্ট করে। কিন্তু এরমধ্যে হাসিনার গণতান্ত্রিক সরকারকে ফেলে দিয়ে লুট হয়েছে গণভবন (Bangladesh Unrest)। আওয়ামি লিগকে বিতাড়িত করে, পেছনের দরজা দিয়ে গদিতে বসেছেন মহম্মদ ইউনূস (Muhammed Yunus)। দেশ এখন সম্পূর্ণ ভাবে জামাত-ই-ইসলামি এবং বিএনপি-র মতো কট্টর মৌলবাদী জেহাদিদের হাতে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার চলছে (Anti Hindu Conspiracy)। একই ভাবে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করার দৃষ্টান্ত নজরে এসেছে সামজিক মাধ্যমে। কীভাবে উপকারীর অপকার করতে হয় তার হয়ত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ইউনূস প্রশাসন। তবে, এটা আচমকা শুরু হয়নি। গত ২ বছর ধরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী (Anti Hindu Conspiracy) ও ভারত-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনে চলেছে কট্টর মৌলবাদী ইসলামি ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) এবং পাকিস্তানের আইএসআই (Pak ISI)। আসুন জেনে নিই কীভাবে এতকাণ্ড ঘটল।

    ষড়যন্ত্র শুরু হয় ২০২২ সালে

    বাংলাদেশে (Bangladesh Unrest) গভীর ষড়যন্ত্রের প্রথম শুরু হয় ২০২২ সালের একেবারে গোড়ায়। ইসলামিক ছাত্র শিবিরের (Islami Chhatra Shibir) নেতারা তখন ঘনঘন পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে লাগাতার বৈঠক হয়। সেখানেই আন্দোলন এবং পরিকল্পনার রোডম্যাপ তৈরি করা হয়। তবে তারা এক দিনের আন্দোলন নয়, দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের বিষয় স্থির করেছিল। যার প্রথম ধাপে ছিল বিপুল পরিমাণ মানুষকে ক্ষিপ্ত করে রাস্তায় নামানো (Bangladesh Unrest)। এরপর শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করানো। তারপর দ্বিতীয় ধাপে মহম্মদ ইউনূসকে তত্ত্বাবোধায়ক সরকার গঠনে নেতৃত্ব দেওয়া। কারণ ইউনূস এমন ব্যক্তি যিনি ইসালামি আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই কাজ করবেন। আইএসআই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বাংলাদেশে ইসলামকে সর্বাত্মক কার্যকর করতে হবে। কোনও সংখ্যালঘু (Anti Hindu Conspiracy) যেন আর না থাকে। অত্যাচার, নিপীড়ন, লুট, ধর্ষণ, খুনের বিরাট টার্গেট স্থির করা হয়। পাকিস্তানের মতো যেন বাংলাদেশ হিন্দু শূন্য হয়, এটাই পরিকল্পনা স্থির হয়েছিল। 

    আইএসআই-এর বিরাট ষড়যন্ত্র! (Anti Hindu Conspiracy)

    কার্যত এই পরিকল্পনার স্পষ্ট বাস্তবায়ন আমরা দেখেছি গত ৫ অগাস্টের পর থেকে। একে একে রংপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রামে হিন্দু মন্দির এবং বাড়ি-ঘরে কীভাবে হামলা হয়েছে (Bangladesh Unrest)। তবে আইএসআই ছাত্র শিবিরকে আশ্বাস দিয়েছিল, আন্দোলনে শোরগোল ফেলতে আরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে। তরুণ মুসলমান যুবকদের ভারত বিরোধী (Anti India Campaign) মগজ ধোলাই করতে সামজিক মাধ্যমে নানা উপকরণ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিকৃত তথ্য এবং বিভ্রান্ত খবরের জোগান দিয়ে যুব সমাজের মনকে আকর্ষণ করা হয়। প্রথমে সামজিক মাধ্যমে আবহকে উত্তপ্ত করা হয় এবং এরপর মাঠে-ময়দানে, রাস্তায়  ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করে নামানো হয় জনগণকে।

    ছাত্রদের মুখ করতে হবে

    আইএসআই খুব স্পষ্ট ভাবে নির্দেশ দিয়েছিল এই আন্দোলন যেন দেখতে সম্পূর্ণ ভাবে ছাত্র আন্দোলন হয়। ছাত্রদের সামনে রাখলে তবেই আন্দোলন বাস্তবায়ন হবে। উদ্দেশ্য সফল হবে। যে ছাত্র সমাজ কোটা-বিরোধী আন্দোলনে (Bangladesh Unrest) যোগদান করেছিল, তাদের একটা বড় অংশ আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল (Anti Hindu Conspiracy)। বিএনপি এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক রং দেয়। বিশ্বের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে ছাত্র আন্দোলনের নামে যে কোনও স্বার্থকে খুব সহজেই আদায় করা যায়। জামাত শিবির, ইসলামিক ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) এবং আইএসআই তাই এই বৃহৎ পরিকল্পনা করেছিল (Islami Chhatra Shibir Pak ISI Nexus)।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘লুট করা হচ্ছে হিন্দুদের দোকান-বাড়ি’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে বিবৃতি জয়শঙ্করের

    প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনা (Bangladesh Unrest)

    প্রায় দুই বছর ধরে ইসালামিক ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক জায়গায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। জামাতের এই ছাত্র সংগঠনের অনেক সদস্য পাকিস্তানের আইএসআই-এর দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়। তবে তারা নিজেরা রাস্তায় না নামলেও পরিকল্পিত ভাবে সাধারণ ছাত্র-জনতাকে রাস্তায় নামতে যুক্তি, কারণ এবং তথ্য প্রদানের কাজ করেছে। ফলে, আজকে বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি, তার জন্য আইএসআই ভীষণ ভাবে দায়ী। 

    ভারত বিদ্বেষী প্রচার 

    আইএসআই-এর কাছে হাসিনার সরকারকে টার্গেট করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঠিক হয় ভারত বিদ্বেষী (Anti India Campaign) ভাবনার ব্যাপক প্রচার-প্রসার। হাসিনার আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৬.৩ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছিল। ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মিত্রতার। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের (Bangladesh Unrest) বাণিজ্য ২০২১ সালে রেকর্ড স্তর ১৪ বিলিয়ন ডালারে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে ১১.৩ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়েছে। অপর দিকে নতুন ইউনূস সরকার জানিয়েছে, দুই দেশের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না। যদিও বাংলাদেশের থেকে আদানি পাওয়ার সংস্থার ৮০ কোটি ডলার পাওনা রয়েছে। এখন এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সঙ্গে যাতে বাংলাদেশের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mccluskieganj: নক্কি পাহাড় আর চট্টি নদী! অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের দেখা মেলে ঝাড়খণ্ডের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে

    Mccluskieganj: নক্কি পাহাড় আর চট্টি নদী! অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের দেখা মেলে ঝাড়খণ্ডের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউডের ‘আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ’ ছবিটি হয়ত অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু সবাই জানেন না, এই ছবির শ্যুটিং হয়েছিল ম্যাকলাস্কিগঞ্জে (Mccluskieganj)। রাঁচি থেকে ৭০ কিমি দূরে ছোটনাগপুর মালভূমির ছোট্ট শহর এটি। ১৯৩৪ সালে রাতুর মহারাজের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি লিজ নিয়ে (যার মধ্যে ছিল কঙকা, হেসাল এবং লাপড়া বস্তি) ভারতে বসবাসকারী অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের জন্য একটি কলোনি তৈরি করেন ই টি ম্যাকলাস্কি। তাঁর নামেই স্থানের নাম হয় ‘ম্যাকলাস্কিগঞ্জ’। শুরুতে ছিল ৩০০টি পরিবার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ জমজমাট ছিল এই জায়গা। যদিও  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্রমেই পরিবারের সংখ্যা কমতে থাকে। এখন তা (Anglo-Indians) কমতে কমতে ২৫ এরও নীচে নেমে এসেছে।

    নীল আকাশ আর অফুরন্ত শান্তি (Mccluskieganj)

    লাল পাথুরে মাটির পথ, দুপাশে শাল-সেগুন-মহুয়ার জঙ্গল, পাখির কূজন, নীল আকাশ আর অফুরন্ত শান্তি-এই নিয়েই সংসার ম্যাকলাস্কিগঞ্জের। এই অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নক্কি পাহাড় নামের একটি ছোট্ট পাহাড় আর চট্টি নামের একটি ছোট্ট নদী। এখনও এখানে যে কয়েক ঘর অ্যাঙ্গলো ইন্ডিয়ানদের (Anglo-Indians) পরিবার রয়েছে, গাছ-গাছালির ফাঁকফোকর দিয়ে দেখা যায় তাঁদের বাংলোগুলি। আর পথে চলতে গিয়ে দেখা হয়ে যায় আদিবাসী বাচ্চা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে। তাদের মুখে সর্বদাই লেগে রয়েছে হাসি। অদ্ভুত সুন্দর আর নিষ্পাপ সারল্যের হাসি।

    জলবায়ু তুলনাহীন

    অন্যান্য স্থানে যখন প্রবল গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখনও এখানে শীতের আমেজ। ভরা বর্ষায় এই মালভূমির রুক্ষতা, আবার একই সঙ্গে শ্যামলিমা ধরা পড়ে এখানে। আর বসন্তে যখন চারদিকে ফুটে ওঠে রক্তলাল পলাশ, তখন মনে হয় যেন চারদিকের অরণ্যে আগুন লেগেছে। এই অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে এবং দারুণ জলবায়ুর কারণেই এক সময় অনেক কৃতি বাঙালি এই ম্যাকলাস্কিগঞ্জে (Mccluskieganj) বাংলো বাড়ি তৈরি করেছিলেন। এঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক সদ্য প্রয়াত বুদ্ধদেব গুহ। এখানেই তিনি তাঁর ‘ছুটি’ নামের বাংলোতে বসে লিখেছিলেন বিখ্যাত উপন্যাস ‘একটু উষ্ণতার জন্য’।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    যাতায়াত-ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি এবং বেতলা জাতীয় উদ্যান থেকে বাস যাচ্ছে ম্যাকলাস্কিগঞ্জ (Mccluskieganj)। আর কলকাতা থেকে সরাসরি যাচ্ছে শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস এবং ভূপাল এক্সপ্রেস।
    থাকা-খাওয়া-এখানে হোটেলের সংখ্যা খুবই কম। কিছু কিছু বাড়ি আছে যেগুলো সামান্য অর্থের বিনিময়ে পর্যটকদের ভাড়া দেওয়া হয়। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ০৯৮৩১৩৯০৫২৪, ০৮৯৮১৬১২১০০ নম্বরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘লুট করা হচ্ছে হিন্দুদের দোকান-বাড়ি’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে বিবৃতি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘লুট করা হচ্ছে হিন্দুদের দোকান-বাড়ি’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে বিবৃতি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপরে আক্রমণের ঘটনায় লোকসভায় লিখিত বিবৃতি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। নিজের বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রত্যেকটি ঘটনার ওপরেই নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছে। হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের দোকান ঘর বাড়ি লুট করা হচ্ছে। মন্দিরগুলির ওপরে হামলা চালানো হচ্ছে এবং অন্যান্য ধর্মস্থলগুলিতেও হামলা চলছে।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সেখানকার সরকারের দায়িত্ব।

    হামলার চলছে গত অগাস্ট মাস থেকে 

    গত অগাস্ট মাস থেকে এই ঘটনা চলছে বলে লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বিজেপি সাংসদ অরুণ কুমার সাগর। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনারই রিপোর্ট রয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ঘটনাগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। বিদেশমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকার কাছে নিজেদের উদ্বেগও প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন ও চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠল ব্রিটিশ সংসদেও

    উৎসবেও চলেছে হামলা 

    এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) নিজের লিখিত বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উৎসবের সময়ও মন্দির ও পুজো মণ্ডপগুলিতে হামলার ঘটনা চোখে পড়েছে।’’ প্রসঙ্গত চলতি বছরে দুর্গাপুজোর সময়ে ঢাকার তাঁতিবাজারে পুজো মণ্ডপে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় বিগ্রহ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার যশোরের কালীমন্দিরেও চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভারত সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রী নিজের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছেন, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘু সহ সকল নাগরিকদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সেখানকার সরকারের দায়িত্ব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিতে কীর্তনের আয়োজন কলকাতা ইসকনের

    ISKCON: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিতে কীর্তনের আয়োজন কলকাতা ইসকনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনায় ভারতের একের পর এক ধর্মগুরু নিন্দায় সরব হয়েছেন। ভারত সরকার বাংলাদেশকে কড়়া বার্তা দিয়েছে। কলকাতা ইসকন (ISKCON) কর্তৃপক্ষ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ইসকন স্বেচ্ছাসেবকরা একটি কীর্তন সভার আয়োজন করেছে।

    ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট কী বললেন? (ISKCON)

    ইসকন (ISKCON) কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা হয়ত মনে করছেন যে, বিশ্ব তাঁদের ভুলে গিয়েছে এবং কেউ তাঁদের যত্ন নিচ্ছে না। আমরা তাঁদের জানাতে চাই যে, তাঁরা সবাই আমাদের হৃদয়ে এবং প্রার্থনায় বাস করেন এবং আমরা তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি। আর তাই কীর্তন সভার আয়োজন করেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম। কারণ, আলোচনা চলছিল– যেমন বাংলাদেশ ইসকনকে নিষিদ্ধ করবে। কিন্তু, সেখানকার হাইকোর্ট বলেছে যে এই বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তাই আমরা এর থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    প্রতিবাদে সরব হাসিনা

    ইসকনের (ISKCON) পাশপাশি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের নিন্দা করেছেন এবং তাঁর অবিলম্বে মুক্তর দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সংখ্যালঘু এবং তাঁদের উপাসনালয়ে হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একজন সিনিয়র নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আমি তার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি। চট্টগ্রামে মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর আগে, মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে হেফাজতে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর লাগাতার কট্টরপন্থী মুসলমানদের আক্রমণের ফলে সাধারণ জনজীবন অত্যন্ত সঙ্কটের মুখে। ওই দেশের অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকারের প্রশাসন এবং সেনা শাসন যৌথ ভাবে হিন্দু নিধনে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য প্রতিবাদ জানিয়ে সারা ভারত জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishva Hindu Parishad)। বাংলাদেশে ক্রমাগত হিন্দুদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর, সম্পত্তি দখল, মঠ-মন্দির ভাঙচুর, ধর্মগুরুদের মিথ্যা মামলায় জেলে বন্দি করা, খুন-ধর্ষণ হত্যার কথা তুলে ধরে বিরাট কর্মসূচির আয়োজন করেছে এই হিন্দু সংগঠন। একই ভাবে সেখানে হিন্দুদের জন্য ন্যায় বিচার এবং আঞ্চলিক স্বার্থকে সুনিশ্চিত করার দাবিও তোলা হয়েছে।

    আমরা হিন্দুদের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Bangladesh)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad) জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বানসাল বাংলাদেশের হিন্দুদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রসঙ্গ তুলে এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল লাগাতার বাংলাদেশে হওয়া হিন্দু নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাজপথে অবতরণ করবে। বাংলাদেশে মুসলমানরা হিন্দুদের ধন-সম্পত্তি, মঠ-মন্দির, মূর্তি নিরন্তর ভেঙে চলেছে। হিন্দুধর্মের মা-বোনরা কেউ সুরক্ষিত নন। বাংলাদেশের হিন্দু সাধু-সন্তদের টার্গেট করে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। আগামিকাল সারা ভারতে বিক্ষোভে নামব জেহাদি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় বংশ উদ্ভূত, মানবিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার জায়গায় থেকে আমরা হিন্দুদের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সকলে হিন্দু আমরা সকলে এক। সকল মানুষকে একত্রিত হয়ে আমাদের বিক্ষোভে যোগদানের আহ্বান জানাই।”

    ভিএইচপি এবং বজরং দলের দাবি

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad) পক্ষ থেকে বলা হয়-

    ১> বাংলাদেশে (Bangladesh) নৃশংস অত্যাচারের নিন্দা করা দরকার। উগ্র মুসলমান কট্টরপন্থীরা যে ভাবে হিন্দু জনজীবনকে নিধন করছে, তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অবিলম্বে পাশবিক অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।

    ২> বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু সুরক্ষার বিষয় তুলে ধরে লাগাতার বাংলাদেশের উপর চাপবৃদ্ধি করতে হবে ভারত সরকারকে।

    ৩> ভারতের মধ্যে হিন্দু সমাজের সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে সকলকে একত্রিত হতে হবে। বাংলাদেশের দুর্দশাকে তুলে ধরে আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে।

    গত ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। ‘কোটা’ বিরোধিতার নামে আন্দোলন করে জামাত শিবির এবং বিএনপি হাসিনার গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করেছে। এরপর ওই দেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন মহম্মদ ইউনূস। তারপর থেকেই ওই দেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার আক্রমণ চলছে মৌলবাদীদের। সম্প্রতি হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ মহারাজকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে এই সরকার। এরপর থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Border-Gavaskar Trophy: ১৪০ কোটি ভারতবাসীর গর্ব! বন্ধু অ্যালবানিজের সঙ্গে রোহিতদের দেখে খুশি মোদি

    Border-Gavaskar Trophy: ১৪০ কোটি ভারতবাসীর গর্ব! বন্ধু অ্যালবানিজের সঙ্গে রোহিতদের দেখে খুশি মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু অ্যালবানিজকে রোহিত-কোহলিদের সঙ্গে গল্প করতে দেখে খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাজমাধ্যমে সে কথা জানালেনও তিনি। ক্রিকেট এখন ভারতের সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অঙ্গ। রোহিত-কোহলিরা দেশবাসীর কাছে গর্বের। ১৪০ কোটি ভারতবাসী মেন ইন ব্লু-এর জন্য গর্বিত। মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অস্ট্রেলিয়ায় ভালো শুরু করেছে ভারত। বর্ডার-গাভাসকর সিরিজে (Border-Gavaskar Trophy) পিছিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পারথে প্রথম টেস্টে ভারতের কাছে ২৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয় হজম করতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। দ্বিতীয় টেস্ট অ্যাডিলেডে। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। সেই উদ্দেশে ক্যানবেরায় পৌঁছেছে ভারতীয় দল। প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে গিয়েছিলেন রোহিত, কোহলি, যশপ্রীত বুমরা-রা। সেখানে রোহিতদের কাছ থেকেই বন্ধু মোদির খোঁজ নেন অজি প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ।

    অজি প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

    প্রত্যেকবারই অস্ট্রেলিয়া সফরে এলে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার রেওয়াজ রয়েছে ভারতীয় দলের। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেখানেই রোহিতদের সতর্ক করেন অ্যালবানিজ। সরাসরি না বললেও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বোঝাতে চেয়েছেন, ভারতীয় দলকে হারিয়ে দেবে অস্ট্রেলিয়া প্রধানমন্ত্রী একাদশ। তিনি বলেন, “অসাধারণ একটা ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে প্রধানমন্ত্রী একাদশ। ওদের কাজ খুবই কঠিন হতে চলেছে। তবে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আগেই বলেছিলাম, জোরকদমে অজিদের সমর্থন করতে চলেছি যাতে ওরা জিততে পারে।”

    কোহলি-অ্যালবানিজ গল্প

    ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে অ্যালবানিজের পরিচয় করিয়ে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কোহলির সামনে এসে অ্যালবানিজ বলেন, “পারথে দারুণ সময় কাটিয়েছো তুমি। মনে হচ্ছিল আমাদের কষ্টটা যেন যথেষ্ট ছিল না।” কোহলি হাসতে হাসতে বলেন, “আমি সব সময় কিছুটা মশলা যোগ করার চেষ্টা করি।” এ কথা শুনে দু’জনেই হাসতে থাকেন। কোহলির ভক্ত অস্ট্রেলিয়ার সহকারী বিদেশমন্ত্রী টিম ওয়াটসও। তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুরও ভক্ত। কোহলিকে সামনে পেয়ে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি ওয়াটস। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের কাছে এসে ছবির জন্য অনুরোধ করেন। কোহলিও হাসিমুখে সম্মতি জানান। কোহলির সঙ্গে ছবি তোলার পর সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন উচ্ছ্বসিত ওয়াটস। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জার্সি পরা নিজের আরও একটি ছবি।

    ভারত-অস্ট্রেলিয়ার লম্বা ইতিহাস 

    খেলাধুলো হোক বা বাণিজ্য, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার লম্বা ইতিহাস রয়েছে, বলে জানান ভারত অধিনায়ক রোহিত। পার্লামেন্ট হাউসে ভাষণের সময় রোহিত বলেন, “আমরা পৃথিবীর এই অংশে বার বার আসতে পছন্দ করি। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি সংস্কৃতিও শেখার চেষ্টা করি। অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ায় এসে খেলা অন্যতম কঠিন কাজ। এখানকার সমর্থকদের আবেগ এবং প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা আমাদের খুব ভালো লাগে। তাই এখানে এসে খেলা খুব কঠিন।” রোহিত আরও বলেছেন, “গত সপ্তাহে আমরা এখানে সাফল্য পেয়েছি। ছন্দটা ধরে রাখতে চাই। সামনের কয়েকটা সপ্তাহে ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের বিনোদন দিতে চাই। কাজটা সহজ নয়। তবে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে তৈরি।”

    অনুশীলনে ফিরলেন গিল

    পারথ টেস্ট জয়ের আনন্দ তুলে রেখে এ বার মিশন অ্যাডিলেড নিয়ে ভারতের ভাবার পালা। ক্যানবেরায় পৌঁছে গিয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। সেখানে এবার দিন দুয়েকের প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলবে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। শুক্রবার ক্যানবেরায় অনুশীলন করে ভারত। শুভমনকে শুক্রবার অনুশীলনে দেখা গিয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন শুভমন গিল। প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি চোটের কারণে। ভারতের তরুণ ব্যাটার দ্বিতীয় টেস্টের আগে অনুশীলনে ফিরলেন। তবে অ্যাডিলেডে খেলতে পারবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। অ্যাডিলেড টেস্ট খেলা হবে গোলাপি বলে। সেই কারণে ক্যানবেরার প্রস্তুতি ম্যাচটিও হবে গোলাপি বলে। ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ। ২ ডিসেম্বর ভারত রওনা দেবে অ্যাডিলেডের উদ্দেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন ও চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠল ব্রিটিশ সংসদেও

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন ও চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠল ব্রিটিশ সংসদেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের সংসদে সরব হলেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি বব ব্ল্যাকম্যান। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ ও চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারির ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বব ব্ল্যাকম্যান (Bob Blackman) বলেন, “বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে, জেলে ভরা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে, সেসবের তীব্র নিন্দা করছি। ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে বাংলাদেশের হাইকোর্টে যেভাবে মামলা দায়ের হয়েছে, সেটাও যথেষ্ট উদ্বেগের। বিশ্বের সমস্ত দেশেই ধর্মপালনের স্বাধীনতা থাকা উচিত।”

    ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর এমন নির্যাতন মোটেই বরদাস্ত করা যায় না

    বব ব্ল্যাকম্যান (Bob Blackman)  আরও বলেন, “বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের হত্যা করে তাঁদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মন্দির। বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারে যাই পরিবর্তন হয়ে থাকুক না কেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর এমন নির্যাতন মোটেই বরদাস্ত করা যায় না। গোটা ঘটনায় দায় রয়েছে আমাদেরও, কারণ বাংলাদেশকে স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিল ব্রিটেন।”

    ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে দু’হাজারের বেশি হিংসার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে

    প্রসঙ্গত, গত বুধবারই বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রিপোর্ট পেশ করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স-এর বহুদলীয় গোষ্ঠী ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর দ্য কমনওয়েলথ’। ওই রিপোর্টে বলা হয়, “ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে দু’হাজারের বেশি হিংসার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার বদলা নিতে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করেছে। আইনকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার সংস্কৃতি অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Antibiotics: সামান্য কিছু হলেই টপাটপ অ্যান্টিবায়োটিক? জানেন কত বড় বিপদ ডেকে আনছেন?

    Antibiotics: সামান্য কিছু হলেই টপাটপ অ্যান্টিবায়োটিক? জানেন কত বড় বিপদ ডেকে আনছেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঋতু পরিবর্তনের সময় সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি হোক কিংবা পেটের অসুখ, যে কোনও সমস্যাতেই অনেকে  অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খান। একটা অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করলেই সব সমস্যা মিটে যাবে, অনেকের ধারণা এটাই।‌ তাই অনেক সময়েই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ইচ্ছে মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া চলতেই থাকে। আবার অনেকে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খান। আর এর জেরেই বাড়ছে বিপদ। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ফলে, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এখন থেকেই সতর্ক না হলে পরে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।

    কী বিপদের আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Antibiotics)

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার। তার ফলেই বাড়ছে বিপদ। শিশু বয়স থেকেই যে কোনও সামান্য অসুখে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত  অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার জেরে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শরীর ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া করছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খাওয়ার জেরে শরীরের ভিতরে থাকা জীবাণু ওষুধের বিরুদ্ধে শক্তিশালী থাকার কৌশল জেনে যাচ্ছে। এর ফলে বড় কোনও অসুখ হলে ওই ওষুধ আর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারছে না।‌ অ্যান্টিবায়োটিকের (Antibiotics) বিরুদ্ধে যেসব জীবাণু শক্তি বাড়াচ্ছে, তাদের বিশেষজ্ঞেরা ‘সুপারবাগস’ বলেই চিহ্নিত করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর ফলে বিভিন্ন জটিল অসুখে শারীরিক অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে। বিশেষত যে কোনও অস্ত্রোপচারের পরে শরীরে ইনফেকশন আটকানো‌ আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস শরীরে প্রবল শক্তিশালী হয়ে থাবা বসাচ্ছে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ বয়স্কদের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে এই সুপারবাগস (superbugs)। বয়স বাড়লে নানান অসুখে শরীর কাবু হচ্ছে। কিন্তু কোনও ওষুধ শরীরে ঠিকমতো কাজ করছে না।‌ শারীরিক পরীক্ষা করে ধরা পড়ছে অধিকাংশ ওষুধের বিরুদ্ধে শরীরে জীবাণুর রেজিস্ট্যান্স শক্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়ছে। আবার হাসপাতালে বারবার ভর্তি থাকতে হলেও পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। শরীরের ভিতরের একাধিক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠছে। ফলে নানান জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়ছে‌।

    কীভাবে সুপারবাগস-এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা সম্ভব? (Antibiotics)

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতা এবং সতর্কতাকেই হাতিয়ার করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যায় না, এ নিয়ে আরও সচেতনতা জরুরি। কারণ, অনেকেই এ ব্যাপারে একেবারেই সতর্ক নয়। বিশেষত শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতনতা জরুরি। সামান্য সর্দি-কাশি কিংবা সাধারণ ভাইরাসঘটিত অসুখে একেবারেই যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না। কারণ খুব ছোট থেকেই এভাবে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খেলে পরবর্তী জীবনে জটিলতা (Big danger) আরও বাড়বে। তাই সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খাওয়া দরকার। তবেই এই বিপদ আটকানো সম্ভব হবে‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal Violence: সম্ভলে আক্রমণ ও হিংসার ঘটনায় তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন

    Sambhal Violence: সম্ভলে আক্রমণ ও হিংসার ঘটনায় তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভলের (Sambhal-Violence) মসজিদ জরিপ চলাকালীন উগ্র মুসলিম জনতার হামলার ঘটনায় তদন্তের জন্য তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেলের নির্দেশে গত ২৪ নভেম্বরের হিংসার ঘটনায় তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন (Judicial panel) গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সমীক্ষায় এই মসজিদে হিন্দু মন্দিরের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। হিন্দু পক্ষের দাবি, মসজিদ হল হিন্দু দেবতা হরিহরের মন্দির। বাবরের সময়ে এই মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল।

    চার জন মারা যান এবং বেশ কিছু পুলিশ কর্মী আহত (Sambhal-Violence)

    জানা গিয়েছে, সম্ভলের (Sambhal-Violence) কোট গারভি এলাকায় শাহি জামা মসজিদের জমি বিবাদ নিয়ে আদালতের নির্দেশে জরিপের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু গত রবিবার সমীক্ষা করতে গেলে সরকারি কর্মচারী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপর ব্যাপক পরিমাণে ইট-পাথর ছোড়ে মুসলিম দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। বেশ কিছু সরকারি আধিকারিক ও পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হন। একই ভাবে হিংসাত্মক হামলায় চার দুষ্কৃতী মারা যায়। তবে এই মন্দিরের একটি পিটিশনে উল্লেখ করা হয়, মসজিদ আদতে হরিহর মন্দির ছিল। মুসলমান শাসকরা মন্দির ভেঙে মসজিত নির্মাণ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    প্রকৃত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করার নির্দেশ

    ২৮ নভেম্বর, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, “ঘটনার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং বিস্তৃত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করা হবে।” জানা গিয়েছে, এই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনে (Judicial panel) থাকবেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবেন্দ্র কুমার আরোরা। সেই সঙ্গে বাকি সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার অমিত মোহন প্রসাদ এবং অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার অরবিন্দ কুমার জৈন। ২৪ অক্টোবর সুপরিকল্পিত ভাবে হিংসার ঘটনা (Sambhal-Violence) ঘটানো হয়েছে কিনা সেই বিষয়েও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে হিংসার ঘটনা ২৪ অক্টোবর ঘটলেও তার সূত্রপাত হয়েছিল ১৯ অক্টোবর থেকেই। ফলে এই প্ররোচনা এবং ষড়যন্ত্রের পিছনে ঠিক কারা কারা যুক্ত তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share