Tag: bangla news

bangla news

  • Ramakrishna 476: “দেশ কাল বোধ চলিয়া যাইতেছে, অতি কষ্টে ভাব সম্বরণ করিতে চেষ্টা করিতেছেন”

    Ramakrishna 476: “দেশ কাল বোধ চলিয়া যাইতেছে, অতি কষ্টে ভাব সম্বরণ করিতে চেষ্টা করিতেছেন”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    ঠাকুরের নিজ মুখে কথিত সাধনা বিবরণ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের বালকভাব ও ভাবাবেশ 

    অষ্টসিদ্ধি ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ—গুরুগিরি ও বেশ্যাবৃত্তি

    শ্রীরামকৃষ্ণের সাধনায় প্রলোভন (Temptation)—ব্রহ্মজ্ঞান ও অভেদবুদ্ধি  শ্রীরামকৃষ্ণ ও মুসলমান ধর্ম

    (গিরিশ, মাস্টার প্রভৃতির প্রতি)—“আমার বালক স্বভাব। হৃদে বললে, মামা, মাকে কিছু শক্তির (Ramakrishna)  কথা বলো,—অমনি মাকে বলতে চললাম! এমনি অবস্থায় রেখেছে যে, যে ব্যক্তি কাছে থাকবে তার কথা শুনতে হয়। ছোট ছেলের যেমন কাছে লোক না থাকলে অন্ধকার দেখে—আমারও সেইরূপ হত! হৃদে কাছে না থাকলে প্রাণ যায় যায় হত! ওই দেখো ওই ভাবটা আসছে!— কথা (Kathamrita) কইতে কইতে উদ্দীপন হয়।”

    এই কথা বলিতে (Kathamrita) বলিতে ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইতেছেন। দেশ কাল বোধ চলিয়া যাইতেছে। অতি কষ্টে ভাব সম্বরণ করিতে চেষ্টা করিতেছেন। ভাবে বলিতেছেন, “এখনও তোমাদের দেখছি,— কিন্তু বোধ হচ্ছে যেন চিরকাল তোমরা বসে আছ, কখন এসেছ, কোথায় এসেছ এ-সব কিছু মনে নাই।”

    ঠাকুর কিয়ৎকাল প্রকৃতিস্থ হইয়া বলিতেছেন, “জল খাব।” সমাধিভঙ্গের পর মন নামাইবার জন্য ঠাকুর এই কথা প্রায় বলিয়া থাকেন। গিরিশ নূতন আসিতেছেন, জানেন না তাই জল আনিতে উদ্যত হইলেন। ঠাকুর বারণ করিতেছেন আর বলিতেছেন, “না বাপু, এখন খেতে পারব না।” ঠাকুর ও ভক্তগণ ক্ষণকাল চুপ করিয়া আছেন। এইবার ঠাকুর কথা (Kathamrita) কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita) মাস্টারের প্রতি—হ্যাঁগা, আমার কি অপরাধ হল? এ-সব (গুহ্য) কথা বলা?

    মাস্টার কি বলিবেন চুপ করিয়া আছেন। তখন ঠাকুর আবার বলিতেছেন, “না, অপরাধ কেন হবে, আমি লোকের বিশ্বাসের জন্য বলেছি।” কিয়ৎ পরে যেন কত অনুনয় করিয়া বলিতেছেন, “ওদের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবে?” (অর্থাৎ পূর্ণের সঙ্গে)

    মাস্টার (সঙ্কুচিতভাবে)—আজ্ঞে, এক্ষণই খবর পাঠাব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita) সাগ্রহে—ওইখানে খুঁটে মিলছে।

    ঠাকুর কি বলিতেছেন যে অন্তরঙ্গ ভক্তদের ভিতর পূর্ণ শেষ ভক্ত, তাঁহার পর প্রায় কেহ নাই?

  • UNGA 80: ভারতকে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের দাবি রাশিয়ার

    UNGA 80: ভারতকে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের দাবি রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNGA 80) স্থায়ী সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানালো রাশিয়া। ভারতের দীর্ঘ দিনের দাবিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ৮০ তম সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মেলনে বিশ্বের দরবারে ভারতের জন্য সমর্থনকে আরেক নতুন মাত্রা যোগ করেছে মস্কো। ল্যাভরভ বলেন, “এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকা থেকে প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে ব্রাজিলের সঙ্গে ভারতের স্থায়ী আসনের আবেদনকে পূর্ণ সমর্থন জানায় রাশিয়া (Inida-Russai)।”

    প্রতিনিধিত্বমূলক সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি(UNGA 80)  

    রাশিয়ার (Inida-Russai) বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ রাষ্ট্রপুঞ্জের ৮০ তম সম্মেলনে বলেন, “নিরাপত্তার পরিষদের স্থায়ী (UNGA 80) সদস্য হিসেবে ব্রাজিল এবং ভারতের আবেদনকে সমর্থন কররা সময়ে এসে গিয়েছে। সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার ৮০ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই নিরাপত্তা পরিষদকে আরও কার্যকর করতে প্রতিনিধিত্বমূলক সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন।” সেই সঙ্গে তিনি ইউএনও-র ভাষণে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী এসসিও ও ব্রিকসের মতো ফোরামের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। বিশ্বের উন্নয়নে বিশ্বের স্বার্থে সকলকেই এক সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই ভাবনার কথা বলে মত বিনিময় করেন।

    ভুটান-মরিশাসের দাবি

    উল্লেখ্য আগে মরিশাস এবং ভুটান ভারতের দীর্ঘদিনের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে এসেছে। মরিশাসের বিদেশমন্ত্রী ধনঞ্জয় রামফুল বলেছিলেন, “ভারত এখন বিশ্বের বড় শক্তিধর দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের যে কোনও বিষয়ে গঠনমূলক শক্তির অধিকারী। আন্তর্জাতিক ভৌগলিক রাজনীতিতে প্রভাব ফেলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।” আবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগেও ভারতকে সমর্থন করে বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরপাত্তা পরিষদে (UNGA 80) ভারত ও জাপানের মতো যোগ্য দেশগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”

    হিংসা এবং হুমকির বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে হবে

    রাষ্ট্রপুঞ্জের (UNGA 80) সম্মলেনে ভারতের তরফে যোগদান করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি সভামঞ্চ থেকে বলেন, “ভারতের মানুষের পক্ষ থেকে নমস্কার। রাষ্ট্রপুঞ্জ গঠনের যে উদ্দেশ্যগুলি ছিল শুধু যুদ্ধ থামানো নয়, বরং শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শুধু অধিকার রক্ষা নয় বরং প্রতিটি মানুষের মর্যাদা রক্ষা করাও। অধিকার রক্ষার পাশাপাশি হিংসা এবং হুমকির বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে হবে। সন্ত্রাসবাদের প্রতিরোধ করা বিশেষভাবে জরুরি।”

  • Bangladesh: “পাকিস্তানে ফিরে যান”, রাষ্ট্রপুঞ্জের বাইরে বিক্ষোভের মুখে ইউনূস

    Bangladesh: “পাকিস্তানে ফিরে যান”, রাষ্ট্রপুঞ্জের বাইরে বিক্ষোভের মুখে ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানে ফিরে যান” সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের বাইরে ইউনূসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা (Bangladesh)। গত ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতারিত কররা পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক অত্যাচার করে জামাত, তৌহিদি এবং বিএনপির কট্টর সমর্থকেরা। যে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর সম্পর্ক ছিল না, আজ ইউনূসের (Muhammad Yunus) জমানায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে পাকিস্তানের জাহাজ। বিনা ভিসায় অবাদ যাতায়েত শুরু হয়েছে। আবার দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে একাধিক সামরিক চুক্তি। ফলে এই অশান্ত বাংলাদেশ নির্মাণের আসল কারিগর প্রধান উপদেষ্টা। তাই সামনে পেয়ে আমেরিকার মাটিতে বিক্ষোভ দেখান আম বাংলাদেশি জনতা।

    সংখ্যালঘুদের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার (Bangladesh)

    গত শুক্রবার নিউইয়র্কে সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জে ভাষণ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সদর দফতরের বাইরেই শোনা যায়, “ইউনূস পাকিস্তানি। দ্রুত পাকিস্তানে ফিরে যাও।” হাসিনা সমর্থক এবং প্রবাসী সম্প্রদায়ের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন শান্তিতে জয়ী অশান্তির জনক মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, “বাংলাদেশের (Bangladesh) শাসন ব্যবস্থার আকস্মিক পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার নেমে এসেছে। দেশে যেভাবে হিংসা এবং ভয়ের বাতাবরণ নেমে এসেছে, তাতে অনেক মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দেশে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। দুষ্কৃতীদের মনে ভয় নেই।”

    ধ্বংসের পথে বাংলাদেশ

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক বিক্ষোভকারী বলেন, “ইসলামী মৌলবাদী এবং কট্টর সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশে ইউনূস (Muhammad Yunus) ক্ষমতায় টিকে আছেন। বাংলাদেশকে তালিবানিদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এবং জৈনদের নিঃশেষ করার খেলা খেলছে সন্ত্রাসীরা। হিন্দু ধর্মের একজন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে বন্দি করে রেখেছে এই অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের ঐতিহ্য এবং স্থাপত্য ভাস্কার্যকে চির তরে ধ্বংস করেছে দুষ্কৃতীরা। দেশের অর্থনীতি এবং শিল্প-বাণিজ্য সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংসের পথে। বাংলাদেশকে (Bangladesh) মানচিত্র থেকে চিরতরে মুছে দেওয়ার কাজ করছে এই নির্মম সরকার।”

  • Bhagat Singh: প্রত্যক্ষ সংগ্রামের প্রতীক ছিলেন ভগত সিং, যুবসমাজের আইকন

    Bhagat Singh: প্রত্যক্ষ সংগ্রামের প্রতীক ছিলেন ভগত সিং, যুবসমাজের আইকন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮ সেপ্টেম্বর আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগত সিং (Bhagat Singh)- এর জন্মদিন। আজ সারা দেশজুড়ে এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মজয়ন্তী (Birth Day) পালন করছে। পরাধীন ভারতে তিনি ছিলেন নির্ভীক অকুতোভয়ী এবং অদম্যসাহসী। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে যোগদান করেছিলেন। তাঁকে ঘিরে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল ব্রিটিশ শাসকদের। ফাঁসির মঞ্চে হাসির জয়গান দিয়ে বরণ করেছিলেন মৃত্যু। এই বিপ্লবীর অবদান স্বাধীনতা উত্তর ভারতে আজও অম্লান। ভগত সিং এখন শুধু নাম নয় অনুপ্ররণা।

    প্রত্যক্ষ সংগ্রামকেই একমাত্র শ্রেষ্ঠপথ(Bhagat Singh)

    ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন পশ্চিম পঞ্জাবে জন্মগ্রহণ (Birth Day) করেছিলেন ভগত সিং (Bhagat Singh)। মাত্র ২৩ বছর বয়সে নিজের জীবনকে ভারত মাতার মুক্তির জন্য উৎস্বর্গ করে দিয়েছিলেন। তাঁর সহযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন রাজগুরু ও সুখদেব। তাঁদের ব্রিটিশ বিরোধী কর্মকাণ্ড দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সম্পূর্ণ ভাবে বদলে দিয়েছিল। ১৯৯১ সালে জালিয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকাণ্ড ব্যাপক ভাবে মনে প্রভাব ফেলছিল। যে ভাবে ব্রিটিশ শাসক জেনারেল ডায়ার নিরাপরাধ নারী ও শিশুদের হত্যা করেছিল, তাতে ব্রিটিশ বিরোধী প্রত্যক্ষ সংগ্রামকেই একমাত্র শ্রেষ্ঠপথ বলে মনে করেন ভগত সিং।

    জন সন্ডার্সকে হত্যা করেছিলেন

    ভগত সিং (Bhagat Singh) ভারতকে স্বাধীন করতে হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তাঁর কর্মকাণ্ড অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে ছিল। ব্রিটিশদেরও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন নিজে। তিনি ভালো ভাবেই জানতেন আবেদন-নিবেদন নীতিতে দেশের স্বাধীনতা আসবে না। প্রয়োজন একটি বড় সংগ্রামের। বধির ভারতীয়ের মনে-প্রাণে যাতে সাড়া জেগে ওঠে সেই জন্যই প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অংশ নেন ভগত সিং। তিনি লালা লাজপত রায়কে হত্যার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। প্রতিবাদে ১৯২৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর লাহোর জেলা পুলিশের সদরদফতরের বাইরে ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন সন্ডার্সকে হত্যা করেছিলেন। ১৯২৮ সালের ৮ এপ্রিল বটুকেশ্বর দত্তের সঙ্গে মিলিত হয়ে বিধানসভায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। তিনি বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক বা ইনকিলাব জিন্দাবাদের ধ্বনিও তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সরকার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কাণ্ডারি হিসেবে গ্রেফতার করেছিল। ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ তাঁর ফাঁসি হয়েছিল। তাঁর আত্মবলিদান দেশের জন্য আজও স্মরণীয়।

  • Thalapathy Vijay:  বিজয় থলপতির সভায় পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত ৩৯ জনের, তদন্তের নির্দেশ স্ট্যালিনের

    Thalapathy Vijay:  বিজয় থলপতির সভায় পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত ৩৯ জনের, তদন্তের নির্দেশ স্ট্যালিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলাগা ভেটরি কাজাগম দলের প্রতিষ্ঠাতা দক্ষিণ ভারতের অভিনেতা বিজয় থলপতি (Thalapathy Vijay)। শনিবার তাঁর একটি বড় জনসভায় ব্যাপক পরিমাণে জনসমাগম হয়েছিল। উপচে পড়া ভিড়ে কার্যত বক্তৃতা থামিয়েই দিতে হয় তাঁকে। উপস্থিত পুলিশ বেসামাল হয়ে পড়েছিল। মাত্রাছাড়া ভিড়ের কারণে পদপৃষ্ট (Stampede) হয়ে এখনও পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিশুও। বেশকিছু জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রপতি মুর্মু।

    অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন (Thalapathy Vijay)

    এই মর্মান্তিক (Thalapathy Vijay) ঘটনায় তামিলনাড়ু প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত, ৩৯ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৭ জন মহিলা, ৪ জন ছেলে এবং ৫ জন মেয়ে। ২৬ জন পুরুষ এবং ২৫ জন মহিলা সহ ৫১ জন গুরুতর ভাবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কারুর জেলায় বিজয়ের দল তামিলাগা ভেত্র্রি কাজাগামের একটি রাজনৈতিক সমাবেশের সময় এই ঘটনাটি ঘটেছে। সম্পূর্ণ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য তামিলনাড়ু সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত করবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণা জগদীশনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন।”

    রাজনৈতিক সভায় পদপৃষ্ঠ

    ২০২৬ সালেই এই রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এখন থেকেই নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছেন বিজয়। ২০২৪ সালেই বিজয় তাঁর দলের স্থাপনা করেন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সিনেমায় যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক সভায় আগেও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে এদিনের সভায় স্পষ্ট দেখা গিয়েছে ভিড়ে ঠাসা একটি জায়গায় বিজয় (Thalapathy Vijay) গাড়ির উপরে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তারপর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলেই শুরু হয় ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

    আগেও হয়েছিল পদপৃষ্ঠ

    বিজয় (Thalapathy Vijay) নিজের এক্স হ্যান্ডলে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। আমার যন্ত্রণা প্রকাশের ভাষা নেই। যাদের আত্মীয়দের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমি সমব্যাথি। মৃতদের প্রতি আমি শোক প্রকাশ করছি। হাসপাতালে ভর্তিদের প্রতি দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” তবে বিজয়ের সভায় এই প্রথম পদপৃষ্ঠ (Stampede) হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। আগে গত বছরের অক্টোবরে এই ঘটনা ঘটে। সেই বারও মোট ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। বারবার এই ধরনের ঘটনায় ব্যবস্থাপনা এবং সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন রাজনীতির একাংশ মানুষ।

  • Durga Puja 2025: জড়িত মনুষ্য জাতির ভবিষ্যৎ! এ বছর দেবীর আগমন কীসে, গমনই বা কীসে? কেন তা তাৎপর্যপূর্ণ?

    Durga Puja 2025: জড়িত মনুষ্য জাতির ভবিষ্যৎ! এ বছর দেবীর আগমন কীসে, গমনই বা কীসে? কেন তা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। তার পরেই, মর্ত্যে আসছেন মা দুর্গা৷ বাঙালি মাতবে তার শ্রেষ্ঠ উৎসবে৷ দেবী দুর্গার বাহন যতই সিংহ হোক না কেন, মর্ত্যে তিনি তাঁর অন্য চার বাহনের একটিতে চেপে আসেন এবং অন্যটিতে ফেরেন। দেবীর চার বাহন হল গজ (হাতি), দোলা, ঘোটক (ঘোড়া) এবং নৌকা। এই চার বাহনের মধ্যে গজ শান্তি এবং সমৃদ্ধি আনে। অর্থাৎ শুভ ইঙ্গিত দেয়। অন্য দিকে, ঘোটক ছত্রভঙ্গ, যুদ্ধ, অশান্তির ইঙ্গিত বয়ে আনে। নৌকায় দেবীর আগমন বা গমন ঘটলে বন্যা হতে পারে বলে মনে করা হয়। যদিও আর একটি মত অনুযায়ী, ভালো বৃষ্টির কারণে পৃথিবী শস্য শ্যামলা হয় দেবী নৌকায় এলে বা ফিরে গেলে। মড়ক, মহামারির ইঙ্গিত দেয় দোলা।

    সপ্তমীতে দেবীর আগমন, দশমীতে গমন

    শাস্ত্র মতে, বলা হয় সপ্তমীতে দেবী দুর্গার আগমন এবং দশমীতে গমন। ফলে, পঞ্জিকা খুলে দুর্গাপুজোর তারিখ খোঁজার পাশাপাশি সকলেই দেখতে চান, এই বছর দেবীর কীসে আগমন, কীসে গমন। মানুষের বিশ্বাস, দেবীর আগমন ও গমনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে মনুষ্য জাতির ভবিষ্যৎ। এবছর কিন্তু মা দুর্গার আগমন থেকে গমন হতে চলেছে একেবারেই আলাদা। আর এর প্রভাব এখন থেকেই বলে দিচ্ছে অনেক কিছু। কারণ, মা দুর্গার আগমন এবং গমনে নির্ভর করে গোটা বছরটা পৃথিবীবাসীর কেমন কাটবে।

    কী বলছে শাস্ত্র?

    সাধারণত, প্রতি বছর সপ্তমী ও দশমী কী বার পড়ছে তার ওপর নির্ভর করে দেবীর কিসে আগমন এবং গমন। শাস্ত্রে কথিত, “রবৌ চন্দ্রে গজারূঢ়া, ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ, গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং নৌকায়াং বুধবাসরে।” অর্থাৎ সপ্তমী বা দশমী যদি রবিবার এবং সোমবার হয়, তাহলে দুর্গার আগমন ও গমন হবে গজে অর্থাৎ হাতিতে। এর ফল- “গজে চ জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা।” শনি বা মঙ্গলবারে সপ্তমী বা দশমী পড়লে দেবীর আগমন ও গমন হবে, ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায়। এর ফল- “ছত্রভঙ্গস্তুরঙ্গমে”। ঘোটক বা ঘোড়া যেমন ছটফটে কেমনই ঘোটকে আগমন ও গমনে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হয়। এর ফল, অরাজকতা, গৃহযুদ্ধ, রাজনৈতিক উত্থান-পতন।সপ্তমী বা দশমী যদি বৃহস্পতি ও শুক্রবারে হয় তাহলে দেবীর আগমন ও গমন হবে দোলায়। এর ফল- “দোলায়াং মরকং ভবেৎ”। দোলায় আগমন ও গমন সবচেয়ে অশুভ। দোলা পৃথিবীকে দুলিয়ে দিয়ে যায়। বুধবারে সপ্তমী বা দশমী হয় তবে দেবী দুর্গার যান হবে নৌকা। অর্থাৎ আগমন ও গমন হবে, নৌকায়। এর ফল- “শস্যবৃদ্ধিস্তুথাজলম”। এর ফলে প্রবল বন্যা, ঝড়, অতিবৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে দ্বিগুণ শস্যবৃদ্ধি আশা করা হয়।

    দেবীর আগমন কীসে…

    চলতি বছরে মা দুর্গার গজে আগমন৷ গজ অর্থাৎ হাতি। এই গজই দেবীর সবচেয়ে সেরা বাহন। শাস্ত্রমতে, গজে দেবীর আগমনের ফলাফল শুভ। দেবীর আগমন গজে হলে মর্ত্যলোক সুখ শান্তিতে ভরে ওঠে৷ ধরাধামে আসে সমৃদ্ধি। বলা হয় এর ফলাফল হয় শস্যশ্যামলা বসুন্ধরা। ধরাধামে আসে সমৃদ্ধি। বলা হয়, এরফলে পূর্ণ হয় ভক্তদের মনের ইচ্ছা। কথিত রয়েছে, পরিশ্রমের সুফল মেলে গজে দেবীর আগমন হলে। বর্ষণের দিক থেকেও অতিবৃষ্টি বা অনবৃষ্টি হয় না। ফলত, বর্ষণও থাকে ঠিকঠাক।

    দেবীর গমন কীসে…

    অন্যদিকে, এ বছর, দেবীর গমন ঘটবে দোলায়। অর্থাৎ উমার কৈলাসে ফেরা এ বার পালকিতে। শাস্ত্রমতে বলা হয়, ‘দোলায়াং মকরং ভবেৎ’, এর অর্থ, দোলা বা পালকিতে দেবী দুর্গার আগমন বা গমন হলে তার ফল মহামারী, ভূমিকম্প, অতিমৃত্যু। এরই সঙ্গে এর আরও ফলাফল রয়েছে। আর তা হল দুর্ভোগ ও দুর্যোগ। ফলত, দোলায় দেবীর গহমকে শুভ হিসাবে দেখা হচ্ছে না। যেহেতু বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবার পড়েছে, তাই ২০২৫ সালে দেবীর গমন দোলায়।

  • Durga Puja 2025: প্রথম দুর্গাপুজো কে করেছিলেন? মর্ত্যে মহামায়ার আরাধনা শুরু কবে?

    Durga Puja 2025: প্রথম দুর্গাপুজো কে করেছিলেন? মর্ত্যে মহামায়ার আরাধনা শুরু কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর (Durga Puja 2025) ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। দেবী দশভুজা চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে মর্তে আসেন। মর্ত্যবাসী তাঁকে নিজের মেয়ের মতো মনে করেই বরণ করে নেন। কিন্তু আমাদের অনেকের মনেই যে প্রশ্ন জাগে, তা হল, কবে এই দুর্গাপুজোর (First Durga Puja) প্রচলন হয়েছিল? এর উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে পুরাণের (Puranas) দিকে। কারণ বিভিন্ন শাস্ত্রগ্রন্থই এসবের উত্তর বের করার মূল রাস্তা। এছাড়া এ ব্যাপারে আর নির্ভর করার মতো তেমন কিছু নেই।

    প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ

    ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ (Hindu Mythology) অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথম দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) করেছিলেন। তিনি পুজো করেছিলেন বৈকুণ্ঠের মহারাস মণ্ডলে। ওই শাস্ত্রের প্রমাণ বাক্যটি হল, প্রথমে পূজিতা সা চ কৃষ্ণেন পরমাত্মনা। শ্রীকৃষ্ণের পরে দুর্গাপুজো করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। মহামায়ার পুজো করেছিলেন স্বয়ং মহাদেবও। ত্রিপুরাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করার আগে তিনি পুজো করেছিলেন দেবী দুর্গার (First Durga Puja)। মহাদেবীর আরাধনা করেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রও। তার অনেক পরে মর্ত্যে শুরু হয় মহামায়ার আরাধনা।

    দেবী ভাগবত পুরাণ কী বলছে?

    দেবী ভাগবত পুরাণ (Hindu Mythology) মতে, ব্রহ্মার মানসপুত্র মনু প্রথম পৃথিবীতে দুর্গাপুজো (First Durga Puja) প্রচলন করেন। শ্রীশ্রী চণ্ডী অনুযায়ী, রাজা সুরথ রাজ্য লাভের আশায় দেবী দুর্গার পুজো করেন। বাল্মীকি রামায়ণে দুর্গাপুজোর কোনও বর্ণনা নেই। তবে কৃত্তিবাস ওঝা রচিত রামায়ণে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) উল্লেখ রয়েছে। বাসন্ত কালে দুর্গার পুজো করেছিলেন রাবণও। মৈথিলি কবি বিদ্যাপতি দুর্গা ভক্তি তরঙ্গিনীতে দুর্গাপুজোর উল্লেখ রয়েছে।

    আরও নানা মত

    কারও কারও মতে, ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে দিনাজপুরের জমিদার প্রথম দুর্গাপুজো (First Durga Puja) করেন। কারও কারও মতে আবার ষোড়শ শতকে রাজশাহী তাহেরপুর এলাকার রাজা কংস নারাযণ প্রথম দুর্গাপুজো করেন মর্তে। কোচবিহারে ১৫১০ সালে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) করেন রাজসিংহ। কেউ কেউ মনে করেন, ১৬০৬ সালে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন নদিয়ার ভবনানন্দ মজুমদার। কলকাতার বরিশাল রায় চৌধুরী পরিবার প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন বলেও মনে করেন অনেকে। আবার কারও কারও মতে, ১৬১০ সালে প্রথম দুর্গাপুজো করেছিল কলকাতার সাবর্ণ রায় চৌধুরীর পরিবার। তাঁরা মহিষমর্দিনী দুর্গার পুজো করেননি। ওই পরিবারে দেবীর আগমন (Durga Puja 2025) ঘটেছিল ছেলেমেয়ে সহ।

  • Durga Puja 2025: নবদুর্গার ষষ্ঠ রূপ, মহাষষ্ঠীতে পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী, জানুন মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2025: নবদুর্গার ষষ্ঠ রূপ, মহাষষ্ঠীতে পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী, জানুন মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের (Durga Puja 2025) সূচনা হয়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্ল প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয় নবরাত্রি (Navaratri 2025)। যা চলে দুর্গা নবমী পর্যন্ত। এই নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা নয়টি ভিন্ন রূপে পূজিতা হন। নবদুর্গার (Nabadurga) এই নয়টি রূপ হল— দেবী শৈলপুত্রী, দেবী ব্রহ্মচারিণী, দেবী চন্দ্রঘণ্টা, দেবী কুষ্মাণ্ডা, দেবী স্কন্দমাতা, দেবী কাত্যায়নী (Devi Katyayani), দেবী কালরাত্রি, দেবী মহাগৌরী এবং দেবী সিদ্ধিদাত্রী।

    ঋষি কাত্যায়নের কন্যা কাত্যায়নী

    হিমালয়ের কোলে ঘন অরণ্য ঘেরা এক ঋষির আশ্রম। কাত্য গোত্রধারী ওই ঋষির নাম কাত্যায়ন। দীর্ঘদিন তিনি মাতা অম্বিকাকে নিজের কন্যা রূপে পাওয়ার জন্য তপস্যায় রত ছিলেন। পুরাণে কথিত আছে, দেবী তাঁর এই তপস্যায় প্রসন্ন হয়েছিলেন এবং তাঁকে এরূপ বর দিয়েছিলেন যে, যখন দেবতাদের প্রয়োজন হবে, তখন তিনি তাঁর কন্যা রূপে অবতীর্ণ হবেন। বামন পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুরের কাছে স্বর্গরাজ্য হারিয়ে বিতাড়িত দেবতারা শরণাপন্ন হয়েছিলেন ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের (Brahma-Vishnu-Maheswar)। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই ত্রিদেবের তেজ থেকে উদ্ভব হয় অষ্টাদশ ভূজা এক নারীমূর্তির, ইনিই মাতা কাত্যায়নী। নবরাত্রির মহাষষ্ঠীর (Mahasasthi) দিন আরাধিতা হন দেবী কাত্যায়নী। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে সমস্ত দেবগণ নিজেদের অস্ত্র দ্বারা সাজাতে শুরু করলেন দেবী কাত্যায়নীকে (Devi Katyayani)। শিব দিলেন তাঁর ত্রিশূল, ভগবান বিষ্ণু প্রদান করলেন তাঁর সুদর্শন চক্র, অগ্নি দিলেন শক্তি, বায়ু দিলেন ধনুক, সূর্য দিলেন তীরভরা তূণীর, ইন্দ্র দিলেন বজ্র, কুবের দিলেন গদা, ব্রহ্মা দিলেন অক্ষমালা ও কমণ্ডলু, কাল দিলেন খড়্গ ও ঢাল এবং বিশ্বকর্মা দিলেন কুঠার ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এইভাবে সমস্ত দেবতা তাঁদের অস্ত্র তুলে দিলেন দেবীর হাতে মহিষাসুর বধের নিমিত্তে।

    মহিষাসুরের সঙ্গে দেবীর যুদ্ধ

    পুরাণে কথিত আছে, এরপর দেবী (Durga Puja 2025) গেলেন মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। মহিষাসুরের দু’জন চর দেবীকে দেখে মহিষাসুরের নিকটে গিয়ে তাঁর রূপ বর্ণনা করলেন। দেবীর রূপে মুগ্ধ মহিষাসুর দেবীকে লাভ করতে চাইলেন। দেবী কাত্যায়নী তখন শর্ত দিলেন যে, তাঁকে লাভ করার পূর্বে যুদ্ধে পরাস্ত করতে হবে। শুরু হল মহিষাসুরের সঙ্গে দেবী কাত্যায়নীর এক প্রবল যুদ্ধ। দেবী কাত্যায়নী ছিলেন তাঁর বাহন সিংহের ওপর সওয়ার, অন্যদিকে মহিষাসুর ছিলেন মহিষের রূপে। পুরাণে আরও উল্লেখ রয়েছে, যুদ্ধ চলাকালীন দেবী কাত্যায়নী (Devi Katyayani) পা দিয়ে তীব্র আঘাত করেন ওই ছদ্মবেশী মহিষকে। আঘাতে মহিষাসুর ধরাতলে পতিত হলে, মাতা কাত্যায়নী তাকে ত্রিশূল দ্বারা বধ করেন। এভাবেই দেবী কাত্যায়নী হয়ে ওঠেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ (Mahisasurmardini)। যে মহিষাসুরমর্দিনীকে কেন্দ্র করেই প্রতি বছর সম্পন্ন হয় দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025)। যে মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব প্রত্যেক মহালয়ার ভোরবেলায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে আমরা শুনতে পাই। পুরাণ অনুযায়ী, দেবতারা যুদ্ধ শেষে মাতার কাত্যায়নীর উদ্দেশে পুষ্পবৃষ্টি করেন। রম্ভাপুত্র মহিষাসুরের অত্যাচারে যে দেবতারা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন, তাঁরাই আবার স্বর্গরাজ্যের অধিকার ফিরে পেলেন মাতা কাত্যায়নীর কৃপায়।

    দেবী কাত্যায়নী যোদ্ধাদেবী, ঠিক মাতা চণ্ডী বা ভদ্রকালীর মতোই

    বামন পুরাণে উল্লেখিত এই আখ্যান বরাহ পুরাণ এবং দেবী ভাগবত পুরাণেও একইভাবে উল্লেখ করা আছে। অন্যদিকে কালিকা পুরাণ অনুযায়ী, দেবী কাত্যায়নী তিনবার মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন (Durga Puja 2025)। আদি সৃষ্টিকল্পে অষ্টাদশভূজা উগ্রচণ্ডী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। দ্বিতীয় সৃষ্টিকল্পে ষোড়শভুজা ভদ্রকালী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। আবার তৃতীয় সৃষ্টিকল্পে দশভূজা দেবী দুর্গা রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। মহিষাসুর তৃতীয়বার বধ হওয়ার পর দেবীর আশীর্বাদে তিনি চিরতরে দেবীর পদতলে স্থান পান। বেদের অন্য একটি আখ্যান অনুযায়ী, কাত্যায়নী ও মৈত্রেয়ী ছিলেন শতপথ ব্রাহ্মণের রচয়িতা ঋষি যাজ্ঞবল্ক্যের দুই স্ত্রীর নাম। শাক্তরা মনে করেন, দেবী কাত্যায়নী (Devi Katyayani) যোদ্ধাদেবী ঠিক মাতা চণ্ডী বা ভদ্রকালীর মতোই। মহর্ষি পতঞ্জলি রচিত ‘মহাভাষ্য’ গ্রন্থে মাতা কাত্যায়নীকে সৃষ্টির আদি শক্তিরূপে বর্ণনা করা হয়েছে।

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে। মার্কন্ডেয় রচিত ‘দেবী মাহাত্ম্যে’ দেবী কাত্যায়নীর দিব্যলীলার বর্ণনা রয়েছে, এর পাশাপাশি, ভাগবত পুরাণেও দেবী কাত্যায়নীর লীলা বর্ণিত হয়েছে। আবার বৈষ্ণবদের ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায় (Durga Puja 2025)। ভাগবত পুরাণে এটি কাত্যায়নী ব্রত নামেই পরিচিত। ব্রজের গোপীরা শ্রী কৃষ্ণকে পতি রুপে পেতে এই ব্রত উদযাপন করত। মাঘ মাস জুড়ে এই ব্রত চলত। যমুনা নদীর তীরে দেবী কাত্যায়নীর মাটির মূর্তি তৈরী করে দীপ, ফল, চন্দন, ধূপ দ্বারা মায়ের আরাধনা করার পরম্পরা ছিল উত্তর ভারতে। আবার একই ভাবে মকর সংক্রান্তিতে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল উৎসবে মাতা কাত্যায়নীর পুজো চালু রয়েছে।

    রোগ-ভয়-ব্যাধি সমস্ত কিছু মাতা হরণ করে নেন বলেই ভক্তদের ধারণা

    দেবী কাত্যায়নীর (Devi Katyayani) স্বরূপ শৌর্য, তেজ এবং পরাক্রমের প্রতীক বলেই বিবেচিত হয়। পুরাকালে দেবী কাত্যায়নী যেমন মহিষাসুরকে বধ করে আসুরিক শক্তি তথা অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন, ঠিক একইভাবে ভক্তদের জীবন থেকে সমস্ত অশুভ শক্তিকে তিনি বিনষ্ট করেন এবং আসুরিক যা কিছু প্রবৃত্তি সেটাও তিনি ধ্বংস করেন বলেই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। মাতার এই রূপের উপাসনা করলে সমস্ত অশুভ প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করা যায়, জীবনের সমস্ত বাধাবিঘ্ন দূর হয়, রোগ, ভয়, ব্যাধি সমস্ত কিছু মাতা হরণ করে নেন বলেই ভক্তদের ধারণা। মাতা কাত্যায়নীর ভক্তরা নৈবেদ্যতে মায়েরা উদ্দেশ্যে মধু নিবেদন করেন। এতে মা সন্তুষ্ট হন।

  • Daily Horoscope 28 September 2025: মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 28 September 2025: মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি ব্যবসা থাকলে বিনিয়োগ করবেন না।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে বাধা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের সুযোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সখ পূরণ হবে।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথা নিয়ে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সপরিবার ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Assembly Election 2026: ছাব্বিশের ভোটে বাংলার দায়িত্বে ভূপেন্দ্র যাদব, বিপ্লব দেব! কেন এই দুজনকে বাছল বিজেপি?

    Assembly Election 2026: ছাব্বিশের ভোটে বাংলার দায়িত্বে ভূপেন্দ্র যাদব, বিপ্লব দেব! কেন এই দুজনকে বাছল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2026) আগে রাজ্যে সংগঠন মজবুত করতে নয়া দায়িত্ব ভাগ করে দিল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী দায়িত্বে কেন্দ্রের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে করা হল রাজ্য নির্বাচনী ইনচার্জ। তাঁর সঙ্গে সহ-ইনচার্জ হিসেবে থাকবেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লবকুমার দেব। এই ঘোষণার পরই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘোষণা থেকেই পরিষ্কার শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদারদের মতো রাজ্যের নেতাদের জন্য কৌশল ঠিক করে দেবেন ভূপেন্দ্র যাদবরা।

    ভূপেন্দ্র যাদবের ট্র্যাক রেকর্ড

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা। সেই কারণেই এত তাড়াতাড়ি ভূপেন্দ্র যাদবের নাম ঘোষণা করা হল। নির্বাচনী রাজনীতিতে তাঁর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাঁকেই বাংলার মতো দুর্জয় ঘাঁটির দায়িত্ব দেওয়া হল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভূপেন্দ্রকে বাংলায় দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে রয়েছে তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড। ২০২০ সালে তিনি একই দায়িত্বে ছিলেন বিহারের। সেখানে তিনি চমকপ্রদ ফল এনে দেন। বিজেপি এনডিএ জোটের মধ্যে এককভাবে বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর আগেও একাধিক রাজ্যের ভোটে নিজের দক্ষতার প্রমাণ বারবার দিয়েছেন ভূপেন্দ্র। এর আগে রাজস্থান, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মতো চ্যালেঞ্জিং রাজ্যের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। সেই সব জায়গায় দলের নির্বাচনী কৌশল ঠিক করা, নবীন-প্রবীণের দ্বন্দ্ব মেটানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কাজ করেছেন।

    কেন বিপ্লব দেবকেও দায়িত্ব? 

    বাংলার একেবারে লাগোয়া রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। দিল্লির কার্যকর্তা থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, তারপর লোকসভায় বিজেপির সদস্য। একটি মানুষের রাজনীতি ও সাংগঠনিক দক্ষতা কতটা ভালো, এই প্রোফাইলেই তার ইঙ্গিত মেলে। ভোট রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা ও সংগঠন সামলানোর মিশেল। ত্রিপুরার রাজনীতিতে বিপ্লব দেবের এন্ট্রি ২০১৫ সালে। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে বলা যায় বিজেপির টার্নিং পয়েন্ট। শুধু বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গেই নয়, সিপিএম এর নেতা ও পরিবারের সঙ্গেও নিজে গিয়ে দেখা করতে শুরু করলেন। যাকে বলা যায়, একেবারে মাঠে নেমে রাজনীতি। মানুষের সঙ্গে মেলামেশা। ত্রিপুরার মানুষের মন বোঝার চেষ্টা। ২০১৬ সালে ত্রিপুরায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হন বিপ্লব। তারপর মাত্র দু’বছরেই ত্রিপুরায় পরিবর্তন। ৬০ আসনের বিধানসভার ত্রিপুরায় ৩৬টি আসন নিয়ে জিতল বিজেপি। ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান। বিপ্লব দেব হলে ত্রিপুরার প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। বিপ্লব দেবের এই বহুমুখী দক্ষতাকেই পশ্চিমবঙ্গে কাজে লাগাতে চাইছেন অমিত শাহ। একই সঙ্গে প্লাস পয়েন্ট হল, বিপ্লব দেব বাংলাও একেবারেই সরগর। ফলে হিন্দিভাষী তকমা জুটবে না। আসলে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখছে, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ত্রিপুরার অনেক মিল রয়েছে।

LinkedIn
Share