Tag: bangla news

bangla news

  • BJP: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, মমতাকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, মমতাকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে হচ্ছিল মশাল মিছিল। রবিবার মিছিল করছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যাদবপুরে একটি মিছিল থেকে হঠাৎই কেউ বা কারা স্লোগান দেয় ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ (Kashmir Mange Azadi Slogan)। ঘটনায় বাম-তৃণমূলকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত? (BJP)

    তিনি বলেন, “অতি বামেরা মূল আন্দোলনকে (আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন) হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে। সেটা করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনেই। কারণ তারা জানে, এই স্লোগানগুলো উঠলে সাধারণ মানুষ আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসবে।” তিনি বলেন, “কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ আজাদি চায় না। তারা ভারতবর্ষকে নিয়ে খুশি আছে। এরাই নির্বাচনের সময় ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান তুলেছিল। এরা সামনে বামপন্থী, পেছনে তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী-সমর্থক।”

    তোপ শুভেন্দুরও

    ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, “পুলিশ তো এ নিয়ে কিছুই করবে না। এরাই নির্বাচনের সময় ‘নো ভোট টু মোদি’ স্লোগান তোলে। এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাষ করা। মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যে দেশবিরোধী-রাষ্ট্রদ্রোহীদের লালন-পালন করছেন। এই কাজের সঙ্গে তাঁর দলেরও একটা অংশ যুক্ত রয়েছে। এটা আসলে দেশের মধ্যে আর (Kashmir Mange Azadi Slogan) একটা দেশ তৈরির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে (BJP)।”

    ডাক্তাররা চুপ কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    বিজেপি (BJP) নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি প্রশ্ন তুলেছেন এই ইস্যুতে ডাক্তাররা চুপ কেন, তা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার প্রতিবাদের মিছিল থেকে আজাদি স্লোগান উঠলেও ডাক্তারবাবুরা কথা বলেন না কেন? তাঁরা বিভিন্ন সময় প্রেস কনফারেন্স করেন, মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করে তার ডিটেইল্স সবাইকে দেন। তাঁদের অরাজনৈতিক মিছিলে বামপন্থী এবং অতি বাম ছাড়া সবাই ব্রাত্য সেটাও তারা বুঝিয়ে দেন। ভালো কথা, কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকি দিয়ে যে স্লোগান (Kashmir Mange Azadi Slogan) ওঠে সেই স্লোগানের বিপক্ষে একটা কথাও জুনিয়র ডাক্তারদের বলতে শোনা গেল না কেন?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বর্গিদের হাত থেকে সুন্দরবনবাসীকে রক্ষা করতে শুরু হয়েছিল মা দুর্গার আরাধনা!

    Durga Puja 2024: বর্গিদের হাত থেকে সুন্দরবনবাসীকে রক্ষা করতে শুরু হয়েছিল মা দুর্গার আরাধনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটু একটু করে সময় যত এগিয়েছে, বেড়েছে পুজোর (Durga Puja 2024) বয়স। এই বছর ৩০৬ তম বর্ষে পদার্পণ করল ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজো। ১১৫২ সালে ভগীরথ ঘোষ এই ঘোষবাড়ির পুজোর সূচনা করেন। শোনা যায়, সে যুগে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা প্রায়ই বন্যার কবলে পড়ত। এর পাশাপাশি বর্গিদের আক্রমণও চলত সমানতালে। আর সেই বন্যার প্রকোপের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও বর্গিদের আক্রমণ থেকে নিজেদের, প্রজাদের ও সকল গ্রামবাসীর সুরক্ষার্থে করঞ্জলী অঞ্চলে সেই সময় জমিদার ভগীরথ ঘোষ ধুমধাম করে শুরু করেন দুর্গাপুজো। শোনা যায়, সেই সময় জমিদার ভগীরথ ঘোষ কুলপি সহ আশপাশের বেশ কিছু জায়গা কিনে প্রচুর ভূসম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছিলেন। সুবিশাল ছিল তাঁর রাজ্যপাট, ছিল প্রজাবর্গ।

    আর হয় না পাঁঠা বলি (Durga Puja 2024)

    এই দুর্গাপুজোর সময় নাকি দূরদূরান্তের প্রজারা আসতেন এই জমিদার বাড়িতে। পুজোর ক’টা দিন তাঁদের থাকা-খাওয়ার জন্য ছিল আলাদা আলাদা ঘর, আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনা। এই পুজোকে কেন্দ্র করে ছিল বলিদান প্রথা। আর তার জেরেই মাংস মহাপ্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে প্রজারা জড়ো হতেন। পাশাপাশি ভোগপ্রসাদ তৈরির জন্য ছিল বিশাল বিশাল উনুন। সময়ের সঙ্গে রাজবাড়ি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে কালক্রমে করোনা মারণব্যাধির সময় থেকে ঘোষ পরিবারের সদস্যরা পাঁঠা বলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। তাই সেই সময় থেকে আর হয় না পাঁঠা বলি।

    অনুষ্ঠিত হত নাটক, যাত্রা

    তৎকালীন সময়ে দুর্গাদালানের সামনে অনুষ্ঠিত হত নাটক, যাত্রা থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠান (Durga Puja 2024)। ঘোষবাড়ির প্রবেশের সম্মুখে বাঁদিকে তাকালেই চোখে পড়বে সেই যাত্রাদলের ভগ্নপ্রায় গ্রিনরুমের দৃশ্য। এখন সেসবই অতীত। তবে সেই সময়কার জৌলুশ কালক্রমে ধরে রাখা সম্ভব না হলেও এখনও নির্দিষ্ট রীতি মেনে শ্রদ্ধা, নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁরা পুজো করে চলেছেন প্রত্যেক বছর। তবে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি দুর্গাদালানের পাশেই প্রতিষ্ঠিত রয়েছে ‘শ্যামসুন্দর জীউ’-এর মন্দির, যেখানে নিত্যপুজোর পাশাপাশি তিনদিন সাড়ম্বরে পালিত হয় রাস উৎসব। জমিদার আর নেই, জমিদারের জমিদারিত্ব অনেকাংশ কমে গিয়েছে। তবে বংশধরেরা এখনও পর্যন্ত নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে মা দুর্গার আরাধনা করে চলেছেন। দূরদূরান্তের সমস্ত আত্মীয় পুজোর সময় উপস্থিত হন এই ঘোষ পরিবারে। পুজোর চারটে দিন খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে গমগম করে এই ঘোষ পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শহরে শরত-মেঘের আনাগোনা,  ভিজতে পারে উত্তরবঙ্গ! পুজেতে পাহাড় এড়ানোই কি মঙ্গল?

    Weather Update: শহরে শরত-মেঘের আনাগোনা, ভিজতে পারে উত্তরবঙ্গ! পুজেতে পাহাড় এড়ানোই কি মঙ্গল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মহালয়া। পুজোর শুরু বললে ভুল বলা হবে না। পরের দিন থেকেই শুরু নবরাত্রির উৎসব। আর পুজো মানেই ঘুরুঘুরু। তাই দেবীপক্ষের শুরুতে আম বাঙালির একটাই প্রশ্ন পুজোয় কেমন থাকবে আবহাওয়া? আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) সঙ্কেত বলছে, বৃষ্টি থেকে পুরোপুরি রেহাই পাচ্ছে না বঙ্গ, অন্তত এখনই। উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলায় পুজোতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। ফলে পুজোর সময় পাহাড়ে ঘুরতে নাযাওয়াই ভাল মহালয়ার আগে তেমনটাই জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর। 

    প্রাক পুজোয় শহরে বৃষ্টি কেমন (Rain Forecast)

    মঙ্গলবার বিকেল থেকেই শহরের ইতিউতি বৃষ্টি নেমেছে। বেহালা, বালিগঞ্জ এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। উত্তর শহরতলিতেও বৃষ্টি নেমেছে। গত সপ্তাহে বৃষ্টি কমার পর থেকেই ফের ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা৷ রোদের তাপে ছাতা ছাড়া বাইরে বেরনোও দায়৷ এই পরিস্থিতিতে কলকাতা সহ  উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে শহরবাসীর। হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সতর্কতা জারি হয়নি। মহালয়ার দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকবে বলেই আশা আবহবিদদের। মঙ্গলবার অংশত মেঘলা থাকতে পারে কলকাতার আকাশ। দু’-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    কোথায় কীরকম বৃষ্টি (Rain Forecast)

    দেশ থেকে বর্ষা বিদায় পর্ব শুরু হয়েছে। তবে বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নেবে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি। ১৬ অক্টোবরের পর থেকেই একটু একটু করে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান কমবে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দুর্যোগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পাহাড়ে। আপাতত দুর্যোগ কাটলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগু়ড়ি এবং কালিম্পংয়ে। পুজোতেও সিকিম সহ দার্জিলিঙের পাহাড়ে দফায় দফায় বৃষ্টি হতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: মহালয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৭ জেলায়, মাসের প্রথম সপ্তাহে কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    Weather Update: মহালয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৭ জেলায়, মাসের প্রথম সপ্তাহে কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে বঙ্গপোসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের (Weather Update) কারণে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছিল গোটা রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা এই বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। একই ভাবে উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং তরাই অঞ্চলেও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। তবে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ায় আপাতত স্বস্তি। একই ভাবে রাজ্যে দুর্গাপুজোর আগে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। মহালয়া (Mahalaya) থেকে তেমন কোনও পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত না থাকলেও  এদিনেই আবার উত্তরবঙ্গের ৩ জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিক এমনিই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    উত্তরের তিন জেলায় হলুদ সতর্কতা (Weather Update)

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি (Weather Update) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া সংক্রান্ত তেমন কোনও সতর্কতা জারি হয়নি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছিল। একই ভাবে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তিস্তার জলে বিপদ সংকেত বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে দুর্যোগ কেটে গিয়েছে। কিন্তু সোমবার থেকেই পাহাড়ের আকাশ ছিল ঝলমলে। কিন্তু তবুও বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রপাত সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিংম্পয়ে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এই জেলাগুলিতে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। সেই সঙ্গে উত্তরের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।

    দক্ষিণের ৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা

    মঙ্গলবার দক্ষিণের চার জেলায় বৃষ্টিপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলির মধ্যে হল উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলা। তবে আগামী রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের তেমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দেশ থেকে বর্ষা ইতিমধ্যে বিদাই নিতে শুরু করেছে। আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে বাতাসে অল্প অল্প করে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমতে শুরু করবে এবং সেই সঙ্গে এই মাসের শেষ থেকেই আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে শীতের আগমন ঘটবে।

    আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোতে গভীর রাতেও মিলবে মেট্রো, জানুন চতুর্থী থেকে একাদশীর সময়সূচি

    মহালয়ার দিনে কেমন তাপমাত্রা থাকবে?

    মঙ্গলবার ২ অক্টোবর হল মহালয়া (Mahalaya)। পিতৃপুরুষের উদ্দেশে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে স্মৃতি তর্পণ করা হবে। পিতৃপক্ষ থেকে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ থাকবে রোদ ঝলমলে (Weather Update)। কিন্তু আবার আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, দুএক জায়গায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৮ ডিগ্রি বেশি হবে। একই ভাবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৭ ডিগ্রি বেশি থাকবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই”, নেতানিয়াহুকে ফোনে বললেন মোদি

    PM Modi: “এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই”, নেতানিয়াহুকে ফোনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোনে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লেবাননে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)। বেইরুটে (লেবাননের রাজধানী) হিজবুল্লার ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা (Benjamin Netanyahu)। পাশাপাশি, সোমবার থেকে লেবাননে ঢুকে গিয়েছে ইজরায়েলি পদাতিক বাহিনীও। হিজবুল্লার তৈরি করা সুড়ঙ্গে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই আবহে, দুই রাষ্ট্রনেতার ফোনালাপ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন মোদি? (PM Modi)

    শবিবার, বেইরুটের কাছে নির্দিষ্ট জায়গায় এয়ারস্ট্রাইক করে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। তাতেই খতম হয়েছে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা। অন্যদিকে, সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইয়েমেনি হুথিদের ডেরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে আইডিএফ। এহেন আবহে ফোনালাপ হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সেই সময়ই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই বলে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথোপকথনের পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, “পশ্চিম এশিয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই। সমস্ত পণবন্দিদের নিরাপদে উদ্ধার করতে হবে।” তিনি লিখেছেন, “ভারত বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি (PM Modi) এ-ও জানান, পশ্চিম এশিয়ায় দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব রকম সাহায্যে প্রস্তুত ভারত।

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ

    গত বছর অক্টোবরে ইজরায়েলি নাগরিকদের অপহরণ করে প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা হামাসরা। পরে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে ঢুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মুসলিম সংগঠন হামাস। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। হামাসকে নির্মূল করতে গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালায় তারা। হামাসকে নিয়মিত মদত জুগিয়ে যাচ্ছিল লেবাননের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লা। হামাস ‘বধে’র পর বেইরুটে হিজবুল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হানা চালায় ইজরায়েল।

    আরও পড়ুন: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    বিমান হানা চালানোর পাশাপাশি সীমান্তে হিজবুল্লার ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিতে গ্রাউন্ড অভিযানও শুরু করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনার দাবি, চলতি বছরে তাদের ন’জন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। খতম হয়েছে হিজবুল্লা প্রধানও। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত করতে পারবেন না।” আর মোদি বার্তা দিলেন, “আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই।”

    বিশ্বকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে (Benjamin Netanyahu) দুই রাষ্ট্রপ্রধানের গলায় একই সুর (PM Modi)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahalaya 2024: আজ মহালয়া, পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে সূচনা হতে চলেছে দেবীপক্ষের

    Mahalaya 2024: আজ মহালয়া, পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে সূচনা হতে চলেছে দেবীপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়া (Mahalaya 2024) মানেই বাঙালির কাছে নস্টালজিয়া। রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী দিয়ে শুরু হয় সকাল। মহালয়ায় (Mahalaya 2024) পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। কথিত আছে, মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তাই দিনটি হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মহালয়া শুভ না অশুভ, এনিয়ে বিস্তর মতভেদ রয়েছে। একাংশের মতে, মহান কিংবা মহত্বের আলয় থেকেই এই শব্দের উৎপত্তি। সনাতন ধর্মে বলা হয়, এই দিনে পরলোক থেকে মর্ত্যে আত্মাদের যে সমাবেশ হয়, তাকেই মহালয়া বলা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর আসল ব্যাখ্যা। পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অমর হয়ে উঠেছিলেন। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত। অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ, তখন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন। তিনিই মহামায়ারূপী দেবী দুর্গা। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা। এজন্যেই বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয়।  

    মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করার রীতি রয়েছে (Pitri paksha and Devi Paksha)। এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়। মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন সেই মহান আলয়। মহালয়ার শুভ, অশুভ দুই হওয়ার পিছনেই ব্যাখ্যা রয়েছে।

    মহালয়া শুভ কেন?

    অনেকেই মনে করেন, এদিন থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা, অশুভ শক্তির বিনাশ হয়, তাই মহালয়া শুভ। দুর্গাপুজোর সূচনা হয় এই দিন। এছাড়াও হিন্দু ধর্মের যে কোনও শুভ কাজেই পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয়। এছাড়াও তর্পণের বৃহত্তর অর্থ মিলন। তাই এই দিন কোনওভাবেই অশুভ হতে পারে না।   

    মহালয়া অশুভ কেন? 

    আবার অনেকে মনে করেন, মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে জলদান করার রীতি রয়েছে। পিতৃপুরুষদের স্মরণ করার দিনকে অনেকেই শোক পালনের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। তাই মহালয়াকে তারা শুভ মানতে নারাজ। মহালয়া শুভ না অশুভ এই দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে। তব এই দিনটি দিয়েই শুরু হয় দুর্গা পুজো, বাঙালির মিলন উৎসব।

    পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ

    বছরের ১২ মাসে মোট ২৪টি পক্ষ রয়েছে, তার মধ্যে ২টি পক্ষ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই পক্ষ দুটি হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ। ভাদ্র পূর্ণিমার পরের কৃষ্ণ পক্ষকে বলা হয় পিতৃপক্ষ। এই পক্ষের অমাবস্যাকে বলা হয় মহালয়া। মহালয়ার পরের পক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। অর্থাৎ মহালয়া (Mahalaya 2024) হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ (Pitri paksha and Devi Paksha) নামক পক্ষ দুটির মিলনক্ষণ। পিতৃপক্ষ হল স্বর্গত পিতৃপুরুষের উদ্দেশে পার্বণ শ্রাদ্ধ ও তর্পণাদির জন্য প্রশস্ত এক বিশেষ পক্ষ। সনাতন শাস্ত্র মতে, সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষ সূচিত হয়।

    পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের মিলনক্ষণ মহালয়া! এই দুই পক্ষ আসলে কী?

    মহালয়ায় তর্পণের সঙ্গে পুরাণেরও যোগ রয়েছে। মহাভারতে কর্ণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সূর্য-পুত্র দানধ্যান করলেও তা ছিল স্বর্ণ, রত্ন, মণিমাণিক্য। তিনি পিতৃপুরুষের পরিচয় না জানায় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে কখনও জল বা খাদ্য দান করেননি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে মৃত্যুর পর স্বর্গে গেলে খাদ্য হিসেবে তাই তাঁকে দেওয়া হয় শুধুই সোনা-রত্ন। জীবিত অবস্থায় যা দান করেছেন তারই অংশ। তখনই কর্ণকে দেবরাজ ইন্দ্র জানান, পিতৃপুরুষকে কখনও তিনি জল দেননি বলেই মৃত্যুর পরে তিনি জল পাবেন না। এই ভুল সংশোধনের জন্য এক পক্ষকাল মর্ত্যে ফিরে পিতৃপুরুষকে জল ও অন্ন দিয়ে পাপস্খলন করেন কর্ণ। সেই এক পক্ষ কালই পিতৃপক্ষ। যার শেষ মহালয়ায় (Mahalaya 2023)।

    রামায়ণে দেবীপক্ষ 

    রামায়ণ অনুসারে ত্রেতা যুগে শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে অর্থাৎ সূর্যের দক্ষিণায়ন চলার সময় দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য। শাস্ত্র মতে দুর্গাপুজো বসন্তকালে হওয়াই নিয়ম। শ্রীরামচন্দ্র অকালে দুর্গাপুজো করেছিলেন বলে একে অকাল বোধন বলা হয়। সনাতন ধর্মে কোনও শুভ কাজের আগে প্রয়াত পূর্বপুরুষের উদ্দেশে অঞ্জলি প্রদান করতে হয়। লঙ্কা বিজয়ের আগে এমনটাই করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। সেই থেকে দুর্গাপুজোর আগে মহালয়ায় তর্পণ অনুষ্ঠানের প্রথা প্রচলিত বলে মনে করা হয়। আর দেবী পুজোর এই পক্ষই হল দেবীপক্ষ।

    দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব

    শ্রী শ্রী চণ্ডীতে রাজা সুরথের কাহিনি রয়েছে। সুরথ যবনদের কাছে পরাজিত হয়ে মনের দুঃখে বনে চলে যান। সেখানেই দেখা হয় মেধা ঋষির সঙ্গে। সেখানে তিনি শোনেন মহাময়ার কাহিনি। বলা হয়, মহালয়ার দিনে তর্পণ করে সমাধি নদীর তীরে তিন বছর তপস্যার পরে দুর্গাপুজো শুরু করেন রাজা সুরথ। পিতৃপক্ষে আত্মসংযম করে দেবী পক্ষে শক্তি সাধনায় প্রবেশ করতে হয়। দেবী শক্তির আদিশক্তি, তিনি সর্বভূতে বিরাজিত। তিনি মঙ্গল দায়িনী করুণাময়ী। সাধক সাধনা করে দেবীর বর লাভের জন্য, দেবীর মহান আলয়ে প্রবেশ করার সুযোগ পান বলেই এ দিনটিকে বলা হয় মহালয়া (Mahalaya 2024)। পুরাণ মতে এই দিনেই দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আবির্ভূতা হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: দুর্গাপুজোতে গভীর রাতেও মিলবে মেট্রো, জানুন চতুর্থী থেকে একাদশীর সময়সূচি

    Kolkata Metro: দুর্গাপুজোতে গভীর রাতেও মিলবে মেট্রো, জানুন চতুর্থী থেকে একাদশীর সময়সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন, এরপর বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গোৎসব। ইতিমধ্যে পুজোর প্রস্তুতি ঘিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে। মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দর্শন করে আনন্দকে উপভোগ করা পুজোতে বাঙালির প্রধান আকর্ষণীয় দিক। কেনাকাটা থেকে ঠাকুর দেখা, সব মিলিয়ে যাতায়েত ব্যবস্থার দিকে নজর দিয়ে মেট্রো রেলের তরফ থেকে একাধিক ঘোষণা করা হয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে চতুর্থী থেকে একাদশী পর্যন্ত চলবে মেট্রো (Kolkata Metro)। একই সঙ্গে পুজোর মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত চলবে ট্রেন। দর্শনার্থীদের জন্য সুখবর।

    সপ্তমী থেকে নবমী ২৪৮টি মেট্রো চলবে (Kolkata Metro)

    পুজোর সময় ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার দর্শনার্থীদের আর চিন্তা করতে হবে না। কলকাতা মেট্রো সপ্তমী থেকে নবমীর ভোর পর্যন্ত মিলবে মেট্রো ট্রেন। একই ভাবে ষষ্ঠী এবং দশমীতে পাওয়া যাবে মাঝরাত পর্যন্ত মেট্রো। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়, “চতুর্থী থেকেই মেট্রোর সূচিতে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এই সূচি পরিবর্তন চলবে ত্রয়োদশী পর্যন্ত। গভীর রাত পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য বাকি দিনের তুলনায় কিছুটা মেট্রো কম চলবে। চতুর্থী, পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে আপ এবং ডাউন মিলিয়ে চলবে ২৮৮টি ট্রেন। সপ্তমী থেকে নবমী ওই শাখায় চলবে ২৪৮টি ট্রেন। দশমীতে ১৭৪, একাদশীতে ১৩০টি করে পরিষেবা দেওয়া হবে। দ্বাদশী এবং ত্রয়োদশীতে আপ এবং ডাউন লাইন মিলিয়ে ট্রেন চলবে মোট ২৩৬টি।

    চতুর্থী-পঞ্চমীতে সময়সূচি

    চতুর্থী এবং পঞ্চমীতে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী ব্লু লাইনের প্রথম মেট্রো (Kolkata Metro) চলবে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে। দমদম থেকে একই সময়ে ছাড়া হবে ট্রেন। দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত প্রথম মেট্রো সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে চলা শুরু হবে। একইভাবে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭টায়। দমদম এবং কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।

    ষষ্ঠীর দিনে সময়সূচি

    ষষ্ঠীতে শেষ মেট্রো (Kolkata Metro) চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১১ টা ৪৮ মিনিটে। একই ভাবে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে ১১ টা ৫০ মিনিটে। আবার দমদম থেকে কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১২টায়।

    সপ্তমী-নবমী পর্যন্ত সূচি

    সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত দুপুর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত চলবে ট্রেন (Kolkata Metro)। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাওয়ার প্রথম মেট্রো শুরু হবে দুপুর ১টায়। স্পেশ্যাল মেট্রো চালানো হবে এই সময়ে। দমদম-কবি সুভাষ এবং কবি সুভাষ-দমদম পর্যন্ত শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে ভোর ৪টেয়। দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার শেষ মেট্রো কবি সুভাষ মিলবে ভোর ৩টে ৪৮ মিনিটে।

    দশমীতে স্পেশ্যাল ট্রেন

    দশমীতে চলবে একই ভাবে চলবে স্পেশ্যাল ট্রেন (Kolkata Metro)। প্রথম মেট্রো দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী চলবে দুপুর ১ টায়। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১২টায়। একাদশীতে সকাল ৯ টা থেকে প্রথম পরিষেবা পাওয়া যাবে কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। দ্বাদশী এবং ত্রয়োদশীতে প্রথম মেট্রো সকাল ৬টা ৫০ মিনিট এবং শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।

    গ্রিন, পার্পল এবং ওরেঞ্জ লাইনের সূচি

    ব্লু লাইনের পাশাপাশি গ্রিন (১ এবং ২), পার্পল এবং ওরেঞ্জ লাইনের সূচিও জানিয়েছে মেট্রো রেল। ১ নম্বর গ্রিন লাইন শিয়ালদা থেকে সেক্টর ৫ শাখায় চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী প্রথম মেট্রো (Kolkata Metro) পাওয়া যাবে ৬টা ৫৫ মিনিটে। সেক্টর ৫ থেকে শিয়ালদাগামী মেট্রো চলবে ৭টা ০৫ মিনিটে। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টা ৩৫ মিনিট এবং রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। সপ্তমী থেকে দশমী ওই লাইনে প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে দুপুর ১টা থেকে। শেষ মেট্রো রাত সাড়ে ১১টা। দশমীতে প্রথম মেট্রো দুপুর ২টো থেকে চলবে এবং শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে।

    আরও পড়ুনঃমাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    এসপ্ল্যানেড-হাওড়া সময়সূচি

    একইভাবে এসপ্ল্যানেড এবং হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রোর (Kolkata Metro) ২ নম্বর গ্রিন লাইনের সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই রুটে চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত ওই শাখায় প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে। শেষ মেট্রো চলবে রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যাবে বেলা ১টায় এবং শেষ মেট্রো মিলবে রাত ১টা ৪৫ মিনিটে। দশমীর দিনে মেট্রো মিলবে দুপুর ২ টোর সময় এবং শেষ মেট্রো চলবে রাত ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। একই ভাবে জোকা-মাঝেরহাট পার্পল লাইনে চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত মেট্রো চলবে। চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী জোকা-মাঝেরহাট লাইনে প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং শেষ মেট্রো দুপুর সাড়ে ৩টে পর্যন্ত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: ‘শিরদাঁড়া’য় আপত্তি, কোথাও পুজোর থিমের ঠাঁই হল আস্তাকুঁড়ে, কোথাও ঢাকল ত্রিপলে!

    Durga Puja: ‘শিরদাঁড়া’য় আপত্তি, কোথাও পুজোর থিমের ঠাঁই হল আস্তাকুঁড়ে, কোথাও ঢাকল ত্রিপলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর নিয়ে আন্দোলনের মাঝে ‘শিড়দাঁড়া’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের হাতে প্রতীকী শিরদাঁড়া তুলে প্রশাসনের শিরদাঁড়া সোজা রাখার বার্তা দিয়েছেন। যা তাঁদের আন্দোলনকে এক নতুন মাত্রা দেয়। তারপর থেকে ‘শিরদাঁড়া’ ইস্যুতে রক্তচাপ বেড়েছে প্রশাসনের। এবারের পুজোয় প্রতীকী শিরদাঁড়াকে থিম করে মণ্ডপসজ্জার কথা ভেবেছিল শহর ও শহরতলির কয়েকটি পুজো কমিটি। প্রবল ‘পারিপার্শ্বিক চাপে’ পুজোর সেই শিরদাঁড়া মডেলের ঠাঁই হয়েছে কোথাও মণ্ডপের পিছনে আবর্জনার স্তূপে। কোথাও আবার শিরদাঁড়া মডেল ঢাকা পড়ল ত্রিপলে।

    ‘শিরদাঁড়া’ মডেলের ঠাঁই হয়েছে মণ্ডপের পিছনে আবর্জনার স্তূপে (Durga Puja)

    বেলেঘাটা গান্ধীমাঠ ফ্রেন্ডস সার্কেলের পুজো (Durga Puja) থিমের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বাবারা পরিবারের শিরদাঁড়া’। উদ্যোক্তাদের দাবি, ‘বাবা’রা হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যে থেকে পরিবারকে আগলে রাখেন। সন্তানকে মানুষ করতে প্রাণপাত করেন। সকল ঘাত- প্রতিঘাত সামলে পরিবারের গায়ে আঁচড় টুকু লাগতে দেন না। মেরুদন্ডকে সোজা রেখে নিঃশব্দে লড়াই জারি রাখেন। বাবাদের সেই সংগ্রাম আত্মত্যাগকে কুর্নিশ জানাতেই এই থিম। গত ফেব্রুয়ারি থেকেই সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। থিমের নকশাতে ছিল ৪০ ফুটের এই মেরুদণ্ডটি। সেই মতোই কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন শিল্পীরা। মণ্ডপসজ্জার সামগ্রী দিয়ে মেরুদণ্ড তৈরি করে তা মণ্ডপে বসানোও হয়ে গিয়েছিল। আচমকা, তা সরিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, শিরদাঁড়া মডেলের ঠাঁই হয়েছে মণ্ডপের পিছনে আবর্জনার স্তূপে। পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা যে কোনও রকমের বিতর্ক এড়িয়ে যেতে চেয়েছি। আরজি কর আবহে এই ‘শিরদাঁড়া’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। এমন পরিস্থিতিতে আমরা দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে আমরা অন্য কিছু ভাবছি না। আমরা উৎসব নিয়েই থাকতে চাই।’’ 

    আরও পড়ুন: রাজ‍্যজুড়ে ফের কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের, সিদ্ধান্ত জিবি বৈঠকে

    হাওড়ার সাঁতরাগাছির ক্লাবে ‘শিড়দাঁড়া’ ঢাকা পড়ল ত্রিপলে

    এ বার ৪১তম বর্ষে পা দিয়েছে হাওড়ার সাঁতরাগাছি কল্পতরু স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো। তাদের পুজোর থিম বাস্তবতা। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই তৈরি করা হয়েছে ২০ ফুট লম্বা প্রতীকী শিরদাঁড়া। প্রতিবাদের প্রতীক হিসাবে পুজোর মণ্ডপে ব্যবহার করা হয়েছে মানুষের মেরুদণ্ড। সঙ্গে মণ্ডপের গায়ে লেখা, ‘মা আমি ডাক্তার হতে পারলাম না’। মা দুর্গার হাতে অস্ত্রের বদলে থাকছে আয়না। মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে এই প্রতীকী আয়না ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পী সৌরভ ঘোষ। পুজো উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এক চিকিৎসকের স্বপ্নকে বোঝাতে প্যান্ডেল জুড়ে মুখ বাঁধা ছোট ছোট থলি ব্যবহার করা হয়েছে। যে স্বপ্ন প্রতি দিন বাস্তবতার আঘাতে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, অন্যায় দেখে মানুষের নির্লিপ্ততা বোঝাতে ছোট ছোট মূর্তির চোখে কালো কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। সোমবার সেই প্যান্ডেলে ঢোকার মুখেই বসানো হয়েছিল শিরদাঁড়া। পুজো কমিটি সূত্রে খবর, এরপরই পুলিশ আসে মণ্ডপে। এরপরই ত্রিপল দিয়ে তা ঢেকে ফেলা হয়।

    চিকিৎসকদের আন্দোলনেও ছিল শিড়দাঁড়া

    আরজি কর-কাণ্ডের আবহে সেই শিরদাঁড়ার অনুষঙ্গ বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে। শিরদাঁড়ার প্রসঙ্গ এসেছে সাহসিকতার প্রতিরূপ হিসেবে। প্রতীকী শিরদাঁড়া নিয়ে মিছিল (Durga Puja) করেছিলেন চিকিৎসকেরা। শুধু তা-ই নয়, কলকাতার সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও চিকিৎসকেরা শিরদাঁড়া উপহার দিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, চিকিৎসকের আন্দোলনের চাপেই বিনীতকে কলকাতার কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। পুজোর থিমেও সেই শিরদাঁড়া নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য।” ১ অক্টোবর ডাক্তারদের মিছিলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে কেউ যদি যেচে (Mamata Banerjee) চড় খেতে চায়, তো খাবে। সুপ্রিম কোর্ট তো আগেই বলে দিয়েছিল, ডাক্তারদের কেন, যে কোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বাধা দিতে পারবে না সরকার।”

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এর আগে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানও আটকাতে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা শোনেইনি। ডিভিশন বেঞ্চও তো তা গ্রাহ্য করেনি। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকার এসব করতে যায়। যদি লেগে যায়। ফাটকা খেলতে যায় আর কি!” তৃণমূল সুপ্রিমোকেও নিশানা করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “আরজি কর, সাগর দত্ত, তারপর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারদের ওপর নিগ্রহ হয়েছে। সব সমস্যার মূলে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “ওঁকে প্রাক্তন করা না হলে, কোনও সমস্যা মিটবে না। কারণ পুলিশের যে কাজ করার কথা, সেটা তারা করে না। পুলিশ দলের কাজ করে, টাকা তোলে।”

    মিছিলের ডাক চিকিৎসকদের

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আজ, ১ অক্টোবর বিকেল ৫টায় মিছিলের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের ৫৫টি সংগঠন। উদ্যোক্তা জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। মিছিল হবে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। মিছিলের জন্য অনুমতি চাওয়া হলেও, পুলিশ তা দেয়নি। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উদ্যোক্তারা।

    আরও পড়ুন: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    শর্ত সাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেয় আদালত। আদালতের শর্ত হল, নির্দিষ্ট রুটেই মিছিল হবে। নামাতে হবে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকও। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন, “এক কাজ করুন। গোটা শহরেই আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন (Mamata Banerjee)।” আদালতের এহেন মন্তব্য প্রসঙ্গেই ‘যেচে চড়’ খাওয়ার উপমা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

       

  • Durga Puja 2024: রাত জেগে দুর্গাপুজোয় ঠাকুর-দর্শন! লাগাতার এই অভ্যাস কতখানি অস্বাস্থ্যকর?

    Durga Puja 2024: রাত জেগে দুর্গাপুজোয় ঠাকুর-দর্শন! লাগাতার এই অভ্যাস কতখানি অস্বাস্থ্যকর?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রায় সারা রাত জেগে থাকা। ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুমোতে‌ যাওয়া।‌ আবার বেলা গড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠা! তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ এই অভ্যাসে চলছেন। কখনও কাজের প্রয়োজনে, আবার কখনও মোবাইল, ল্যাপটপের পর্দায় ওটিটি সিরিজে বুঁদ হয়ে রাত কাটিয়ে দেন তরুণ প্রজন্মের একাংশ। তাই কলকাতা ঘুরে ঠাকুর-দর্শনের জন্যও আদর্শ সময়, রাতের কলকাতাকেই বেছে নেন বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী। অবশ্য দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সময়ে রাত জেগে উৎসব উদযাপনে বাদ যায় না কচিকাঁচারাও। পরিবারের সঙ্গে অনেকেই সারা রাত জেগে উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, ‘প্যান্ডেল হপিং’ চলে। কিন্তু এই রাত জেগে প্রতিমা-দর্শন একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, রাত জাগার এই অভ্যাস শরীরে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে। এর ফলে একাধিক জটিল রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।

    কোন ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা? (Durga Puja 2024)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাত জেগে থাকলে শরীরে একাধিক অঙ্গের উপরে চাপ পড়ে, এর ফলে শরীরে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে। রাত জাগার অভ্যাস লিভার এবং পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর সময়ে অনেকেই গভীর রাতে নানান রকমের ভারী খাবার খান। অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার, চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার পরে সারা রাত জেগে থাকা শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকারক। এর জেরে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। অন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।‌ এর ফলে লিভার এবং পাকস্থলীর সমস্যা তৈরি হতে পারে। রাত জাগার ফলে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের নির্দিষ্ট ঘড়ি আছে। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ বলা হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী, দিনে বিভিন্ন কাজের সময় শরীরের নানান হরমোন নিঃসরণ হয়। আবার রাতের সময় শরীরের বিশ্রামের সময়। সেই সময়েও শরীরের বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ হয়। শরীরের এমন কিছু হরমোন রয়েছে, যা রাতে ঘুমোনোর পরেই নিঃসরণ হয়। তাই রাত জাগলে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ঘটে। এর ফলে বিভিন্ন অঙ্গের সক্রিয়তা হারায়। আবার মানসিক চাপ, খিটখিটে মেজাজ তৈরি হয়। অসম্ভব ক্লান্তি বোধ গ্রাস করে।
    রাত জেগে থাকলে (Durga Puja 2024) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও কমে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের বিশ্রাম জরুরি। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোলে তবেই মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণ হয়। যা মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রাত জাগার অভ্যাস মস্তিষ্কে বিশেষত স্মৃতিশক্তিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থূলতার সমস্যায় ভুক্তভোগীদের জন্যও রাত জাগার অভ্যাস বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। ঠিকমতো বিশ্রাম না নিলে শরীরের ওজন বেড়ে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কাদের বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুজোর সময়ে (Durga Puja 2024) অনেকেই রাত জেগে উদযাপনে যোগ দেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই অভ্যাস বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই তাদের আগাম সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকতে রাত জাগা এড়িয়ে চলাই উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠিকমতো খাওয়া এবং ঘুম, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই জরুরি। রাত জাগলে রক্তচাপ ওঠা-নামা করতে পারে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে‌। 
    আবার ডায়বেটিস আক্রান্তদের রাত জাগা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া, ঠিকমতো হজম হওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে এগুলো খুব জরুরি। তাই রাত জেগে থাকা (Pratima-darshan) কিংবা গভীর রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপদ তৈরি করতে পারে। হজমের সমস্যা থাকলে রাত জেগে উদযাপন এড়িয়ে চলাই উচিত বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাত জাগার অভ্যাস অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।‌ তাই রাত জাগলে হজমের আরও গোলমাল হয়। 
    মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে রাত জাগার অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতে নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্রাম, পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। তাই মাইগ্রেন সমস্যা কমাতে রাত জাগার অভ্যাস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share